• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mp

বিনোদুনিয়া

জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বর্ধমানে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ

শিশু কিশোর আকাদেমি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংসস্কৃতি দপ্তরের যৌথ আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী জেলাভিত্তিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার শুভারম্ভ হল ২৭ আগস্ট। প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করলেন ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার। দুদিনব্যাপী আবৃত্তি, রবীন্দ্রগীত, নজরুগীত,রাগপ্রধান গান এবং শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতিযোগিতা চলবে। জেলা তথ্য ও সংসস্কৃতি দপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেনে গান গেয়ে ভাইরান হন গায়ক মিলন কুমার, সেই মিলন কুমারকে সরকারি মঞ্চে প্রধান অতিথি করে নিয়ে এসে সম্বর্ধনা দেওয়া খুবই তাৎপর্যপুর্ণ। মিলন নিজেও সে কথা জানান। তিনি মানুষের প্রতিনিধি মানুষের জন্য গান গেয়ে যেতে চান বলে জানান ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে কুড়ি বছরের জেল ও নগদ জরিমানার আদেশ কালনা কোর্টের

প্রতিবেশী দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুড়ি বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও ছয় মাস জেলের সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সুব্রত হালদারের বাড়ি কালনা থানার সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লী গ্রামে।গত ২০২০-র ১৪ ই অক্টোবর সন্ধ্যাবেলায় প্রতিবেশী ওই নাবালিকা মুদিখানা দোকানে গিয়েছিল। ফেরার পথে আসামি সুব্রত হালদারের সঙ্গে ওই নাবালিকার দেখা হয়। সুব্রত একটা মোবাইল দেখিয়ে নাবালিকাকে বলে চার্জ ফুরিয়ে গেছে, তুই এটা বাড়িতে দিয়ে আয়। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার বাড়িতে মোবাইল পৌঁছে দিতে গেলে সুব্রতও চুপিসারে পিছন পিছন বাড়ি ফিরে আসে। নিজের বাড়ির ভিতরে পেঁপে গাছ তলায় তাকে ধর্ষণ করে।বাড়ি ফিরে নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে সব খুলে বললে পরিবার তরফে কালনা থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। কালনা থানার পুলিশ সুব্রত হালদারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এ বি এবং পস্ক আইনের ৪ উপ-ধারায় মামলা রজু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন পুলিশ অফিসার সোমনাথ নস্কর। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যদানের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার শুক্রবার তাকে কুড়ি বছর জেল এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। অনাদায় আরও অতিরিক্ত ছয় মাসের জেলের সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, এই মামলার রায়ে সমাজে একটা বার্তা পৌঁছালো যে, নাবালিকার উপর অত্যাচার করলে তার পরিণতি এটাই হবে। তবে নির্যাতিতা ওই মহিলা কেস চলাকালীন আত্মহত্যা করেন এই ঘটনার চাপ সহ্য করতে না পেরে। যদিও তার আগেই এই কেসের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার মা এদিন শুক্রবার কালনা আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার মেয়ে বেঁচে থাকলে আমি আজ আরও খুশি হতাম।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

কৌশিকী অমাবস্যায় বাঁধভাঙ্গা ভিড় তারাপীঠে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘিড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির সংলগ্ন এলাকা

আজ শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। দুপুর ১২ টা ২৬ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা থাকবে। এদিন মা তারার বিশেষ পুজার্চনা আয়োজন করা হয়। বহু পুণার্থী দ্বারকা নদীতে স্নান সেরে মা তারার পুজো দেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক পুর্নার্থীর সমাগম হবে আশা করে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা তারাপীঠ সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ভারতের শক্তিসাধনায় তন্ত্র সাধনার বিশেষ গুরুত্ব লোকমুখে প্রচারিত। স্বনামধন্য সাধকরা অনেক জায়গায় বলে গেছেন, একমাত্র তন্ত্রই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কঠিন সাধন করে এই ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। সেই সাধনার বেশ কিছু রীতিনীতি মেনে চলতে হয়, এবং বিশেষ তিথি ও ক্ষণে এই সাধনা করতে হয়। সেই বিশেষ তিথিগুলির অন্যতম এক তিথি বা ক্ষণ হল কৌশিকী অমাবস্যা। প্রত্যেক বছরের ন্যায় কৌশিকী অমাবস্যার এই পুন্য লগনে বীরভুম জেলার অন্যতম সতীপীঠ তারাপীঠে প্রচুর জনসমাগম হয়।জনশ্রুতি, কৌশিকী অমাবস্যার এই বিশেষ দিনেই বহু সাধক/সাধিকা তাঁদের দীর্ঘ সাধন ভজনের সায়াহ্নে সিদ্ধিলাভ করেছেন। এই তালিকায় প্রথম যাঁর নাম আসে তাঁদের অন্যতম হলেন তারাপীঠে দেবী তারার সন্তান বলে খ্যাত অন্যতম জগৎবিখ্যাত সাধক বামাচরণ। লোকমুখে বামাক্ষ্যাপা বলেই অধিক জনপ্রিয়। আরও জানা যায়, এই বিশেষ তিথিতে মা তারার মন্দিরের একদম পাস দিয়ে প্রবাহমান দ্বারকা নদীতে স্নান করে দেবী তারার পুজার্চনা করলে নাকি কুম্ভস্নানের পুণ্যলাভ অর্জন হয়। মনে করা হয় সেই পুণ্যের আশায়-ই শয়ে শয়ে মানুষ এই কৌশিকী অমাবস্যা দিন তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পুজার্চনা করতে ছুটে আসেন অগণিত ভক্ত।তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন হোটেল গুলিতে কোনও ঘড় খালি নেই বলে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন তরফে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই অনেক পুণ্যার্থী এই পুণ্যভুমী তে চলে এসেছেন। হোটেলগুলোর প্রায় সবকটিই পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ভরা। তারাপীঠ মন্দির কমিটির ধারণা, এই বছর করনা বিধিনিষেধ না থাকায় পুর্ণার্থীর ঢল নামবে, তাঁদের আশা এবছর কৌশিকী অমাবস্যায় প্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে। এই ব্যাপক ভক্তসমাগমের কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার মুড়ে ফেলা হয়েছে রামপুরহাট সহ তারাপীঠের আশপাশ এলাকা।

আগস্ট ২৬, ২০২২
কলকাতা

কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিতা ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

নরেন্দ্রপুর থানার একটি কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বলবীর সিং নামে এক কোচিং সেন্টারের মালিক কাম শিক্ষক। ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকার সিং এন্ড শাও নামে ওই কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হলো বলবীর সিং নামে ওই শিক্ষককে।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাতেন। তারপরে ওই ছাত্রী কে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন। কাউকে না জানানোর আবেদনের সঙ্গে ছিল খুনের হুমকি। লজ্জায়, ভয়ে, কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী টি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীতির মা।মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

রায়নার সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অবধি সাতজনকে গ্রেফতার করেছে রায়না থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। এখানে উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে রায়নার জোতসাদিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন গোলাম মোস্তাফা মল্লিক নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। তিনি রায়না-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় মানুষ জানান। জোতসাদি আর বেলসরের মাঝে কয়েকজন দুস্কৃতী তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গলাম পুলিসকে জানান তিনি বাইকে করে বর্ধমান থেকে দলীয় কার্যালয় হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, এসময় কয়েকজন দুস্কৃতী তার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা সশস্ত্র ছিল। প্রচন্ড মারধর করে তাকে ফেলে চলে যায়। এলাকায় এখবর ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে। তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতে। তার পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

আগস্ট ১৭, ২০২২
রাজ্য

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উতপ্ত রায়না, সংঘর্ষে গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী

ফের অশান্ত পূর্ব বর্ধমানের রায়না। রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুরুতর আহত গোলাম মোস্তাফা মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। জানা গিয়েছে, তিনি ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডলের ঘনিষ্ঠ। বামদেব মন্ডলের অভিযোগ, গোলাম বর্ধমান শহর থেকে ফেরার সময় জোতসাদি আর বেলসরের মাঝে কিছু দুস্কৃতী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি বাইকে করে দলীয় কার্যালয় হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় কিছু দুস্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁরা সশস্ত্র ছিল। প্রচন্ড মারধর করে তাঁকে ফেলে চলে যায়। এলাকায় এখবর ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে। তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বামদেব বাবুর আরও অভিযোগ, আক্রান্ত নেতা এলাকায় ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন। কিছু লোক গত বিধানসভার ভোটে দলকে হারাতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে এই এলাকায় দল বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে। তাই তাকে দমিয়ে দিতেই এই আক্রমণ বলে বামদেবের অভযোগ। এলাকা সূত্রে খবর, এলাকায় প্রভাব বাড়ানো নিয়ে ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডলের সাথে সভাধিপতি ও বিধায়ক শম্পা ধারার গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। এ ঘটনাও তারই জের বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। যদিও দলের সূত্রে এখনো এমন কিছু বলা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে রায়নায় নানা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসেছে। বর্ধমানের রাজনৈতিক মানচিত্রে রায়না রাজনৈতিক উপদ্রুত অঞ্চল বলেই অনেকের ধারণা। বার বার রাজনৈতিক ঘটনা চলে আসছে বাম আমল থেকে।

আগস্ট ১৭, ২০২২
রাজ্য

অনুব্রতর নাম করে পেট্রলপাম্প হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে, বর্ধমান থানায় ব্যবসায়ী

বির্তক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না অনুব্রত মণ্ডলের। বর্তমানে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে। তবুও তার নাম উঠে আসছে। তার নাম করে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে পেট্রোল পাম্প নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আইনের সাহায্য নিলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, শ্লীলতাহানি করা হয় ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও। প্রাণহানির আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ ওই ব্যবসায়ীর পরিবার।বর্ধমান শহরের কচিপুকুর চাঁদমারি লেনের বাসিন্দা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০০৬ সাল থেকে বীরভূমের ইলামবাজারের ঘুড়িষা এলাকায় একটি ইণ্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের মালিকানা রয়েছে। বিভিন্ন কারণে পেট্রোল পাম্পটি নিয়ে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অরিন্দম বাবুর অভিযোগ সেই সময় ইলামবাজারের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশ বাউরি তাকে সাহায্যের নাম করে এগিয়ে আসেন এবং পেট্রোল পাম্পটির শেয়ার নেওয়ার নাম করে বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করিয়ে মালিকানা নিজের নামে করিয়ে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে অরিন্দমবাবু বিএলআরও অফিসে গিয়ে মালিকানা পরিবর্তন হওয়া আটকে দেন।ব্যবসায়ী অরিন্দমবাবুর অভিযোগ, এর পর থেকে জোর করে নরেশ বাউরি ও তার লোকজনেরা পেট্রোল পাম্পটি দখল নিয়েছে। পেট্রোল পাম্পে থাকা ১৩ হাজার লিটার ডিজেল তারা চুরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অরিন্দমবাবু। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা বলে জানান তিনি । বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বোলপুর কোর্টে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।অরিন্দম বাবুর অভিযোগ, গত মাসের (জুলাই) ১০ তারিখে নরেশ বাউরি, নরেশ বাউরির স্ত্রী তাপসী বাউড়ি দলবল নিয়ে ভোর পাঁচটা নাগাদ তার বাড়িতে যায়। অরিন্দমের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পেট্রল পাম্পের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। স্ত্রী বাধা দিতে এলে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। অরিন্দম বাবুর বাড়িতে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় নরেশ বাউরি। মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে রাখায় কোনওরকম চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারেননি বলে জানান অরিন্দম। নরেশ বাউরি ক্রমাগত অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে হুমকি দিতে থাকে এবং কেউ তার কিছু করতে পারবেন না বলে জানান। এরপর বারাবাড়ি করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার। এই পরিবারকে আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে ছেলেমেয়েদের টিউশন পড়তে বাইরে যেতে দিচ্ছে না তাঁরা। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের নাম করেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হয়েছে অরিন্দম বাবু। নরেশ চন্দ্র বাউরি, তাপসি বাউরি সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।এই বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে নরেশ বাউরী কিছু বলতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন বলেই ফোন কেটে দেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেশ বাউরী।

আগস্ট ১৪, ২০২২
রাজ্য

চ্যাংড়াবান্ধায় শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। গতকাল, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার অন্তর্গত চ্যাংড়াবান্ধার ধরলা সেতু সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা কোচবিহারের শ্রীশ্রী শীতলকুচি থানা এলাকার বাসিন্দা।জানা গিয়েছে, শীতলকুচি থেকে ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দিরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে জল ঢালতে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা। তাঁরা সবাই একটি পিকআপ ভ্যানে রওয়ানা দিয়েছিলেন। পিকআপ ভ্যানে ডিজে সিস্টেম থেকে আচমকাই শর্ট সার্কিট হয়ে যায় বলে প্রশাসন দাবি করেছে। এর ফলেই নাকি দশজন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়।জানা গিয়েছে, পিক আপ ভ্যান ছিল ঠাসা। ডিজে সিস্টেম থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন পিকআপে থাকা ২৭ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ির চালক পলাতক। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা পৌঁছায়।

আগস্ট ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আশিয়ান জয়ের ১৯ বছর, ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল

মনে আছে ২৬ জুলাই দিনটির কথা? লালহলুদ সমর্থকদের নিশ্চয় ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই। ১৯ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া মাটিতে ইতিহাস গড়েছিল লালহলুদ ব্রিগেড। ভারতীয় ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জিতেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।এশিয়ার অন্যতম সেরা দলগুলিকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় বসেছিল আশিয়ান কাপের আসর। ইন্দোনেশিয়ার সেরা দুটি দল পেত্রোকিমা পুত্রা, পার্সিতা তাঞ্জেরাং, কম্বোডিয়ার সামার্ট ইউনাইটেড, মায়ানমারের সেরা দল পেরাক এফসি, ফিন্যান্স অ্যান্ড রেভেনিউ, সিঙ্গাপুর আমর্ড ফোর্স, ব্রুনেইয়ের ডিপিএমেম এসসি, ভিয়েতনামের হোয়াং আন গিয়া লাই, থাইল্যান্ডের বেকতেরো সাসানা, ফিলিপিন্স আর্মির মতো দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ভারত থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল একমাত্র ইস্টবেঙ্গলকে।গ্রুপ ডিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই এই গ্রুপে ছিল থাইল্যান্ডের হাইপ্রোফাইল দল বেকতেরো সাসানা ও ফিলিপিন্স আর্মি। গ্রুপ লিগের ম্যাচে বেকতেরো সাসানার কাছে ১০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপিন্স আর্মিকে ৬ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় ইস্টবেঙ্গল। শেষ আটে ইন্দোনেশিয়ার পার্সিতা তাঞ্জেরাংকে ২১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় লালহলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলদুটি করেন বাইচুং ভুটিয়া ও বিজেন সিং। সেমিফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার পেত্রোকিমিয়া পুত্রার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১১। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরান বাইচুং। টাইব্রেকারেও খেলার মীমাংসা হয়নি। সাডেন ডেথে ৭৬ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ওঠে ইস্টবেঙ্গল।জাকার্তার গিলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বেকতেরো সাসানার মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপ লিগের ম্যাচে সাসানার কাছে হারলেও ফাইনালে সেই ম্যাচের কথা মাথায় রাখেনি লালহলুদ ব্রিগেড। ফাইনালে দারুণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মাইক ওকোরোর দুরন্ত গোলে প্রথমার্ধে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটা গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ২০ করেন বাইচুং ভুটিয়া। ২ মিনিটের মধ্যে বেকতেরো সাসানার হয়ে সমতা ফেরান পানাই কংপ্রাপুন। ম্যাচে ৭৮ মিনিটে গোল করে লালহলুদের আশিয়ান জয় নিশ্চিত করেন আলভিটো ডিকুনহা।আশিয়ান কাপ জয়ে ফুটবলারদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমন অস্বীকার করা যাবে না প্রয়াত কোচ সুভাষ ভৌমিকের অবদানকেও। লালহলুদ ব্রিগেডকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনিই। ফুটবলারদের পাঁচতারা হোটেলে রেখে আসাবাসিক শিবির, ক্লাবে জাকুজি, সবই তিনি আশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য করেছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুর্দান্ত ফর্মেশন। গ্রুপ লিগে বেকতেরো সাসানার খেলা দেখে মনি হয়েছিল। মাঝমাঠই সবথেকে বেশি শক্তিশালী। আর বিপক্ষের সবথেকে সেরা ফুটবলার ছিলেন চাইম্যান। ফাইনালে ৩৫২ ছকে দল সাজানোর পাশাপাশি ষষ্ঠী দুলেকে চাইম্যানের মার্কার করে দিয়েছিলেন। ষষ্ঠী দুলেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, চাইম্যান যেখানে যাবেন, তাঁর সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকতে। ম্যাচ চলাকালীন চাইম্যান সাইড লাইনে জল খেতে এলেও ষষ্ঠী চাইম্যানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকছিলেন। ফাইনালে চাইম্যানকে পুরোপুরি বন্দী করে রেখেছিলেন ষষ্ঠী দুলে। ফলে বেকতেরো সাসানার সাপ্লাই লাইন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গোল না করেও সেদিনের হিরো হিসেবে কিন্তু ষষ্ঠী দুলের কথা বলতেই হবে।

জুলাই ২৬, ২০২২
দেশ

দ্রৌপদী মুর্মু ভোটপ্রচারে শিলিগুড়িতে, কাল কলকাতায়

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি বাগডোগরা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। বিধায়ক-সাংসদদের কাছে ভোট চাইতে তিনি বাংলায় এসেছেন। শিলিগুড়িতে দ্রৌপদী মুর্মু সিকিম ও আশেপাশের রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগমিকাল তিনি কলকাতায় যাবেন। সেখানে এরাজ্যের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে আছেন। তৃণমূল নেত্রী এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অবিজেপি দলের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। যদিও পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করেনি। দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

জুলাই ১১, ২০২২
রাজ্য

দুর্গাপুরের তিন গৃহবধূ মানবিকতার অনন্য নজির গড়লেন, এক মন ভাল করা কাহিনী

খুনোখুনি, আগুন, তোলাবাজি, ভাতের হোটেলে মদ এমন নানা খবরে ক্লান্ত বাঙালি। দুর্গাপুরের তিন নারীর মানবিক উদ্যোগ কিন্তু মন ভালো করে দিয়েছে সারা বাংলাকে। ওই তিন গৃহবধু মানবিকতার অনন্য নজির গড়েছেন। শনিবার দুস্থ মূক ও বধির মহিলার বিয়ের ব্যবস্থা করেছে দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। নগরনিগমের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে দুই বিশেষভাবে সক্ষম পাত্র-পাত্রীর চার হাত এক করে দিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, পাত্রী সম্পূর্ণ ভাবে মূক ও বধির। পাত্রের রয়েছে কথা বলার সমস্যা। দুর্গাপুরের তিন গৃহবধুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিধাননগরের মনি চৌধুরী, সেপকোর বাসিন্দা শম্পা গিরি ও বেনাচিতির বুলু মন্ডল এই বিবাহের সম্পূর্ণ খরচ বহণ করেন।জানা গিয়েছে, শম্পা গিরি তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন ৩৪ বছর বয়সী রাখী যাদব সম্পূর্ণরূপে মূক ও বধির। বাবা মারা যাওয়ার পর গোঁসাইনগরের ঘর বিক্রি করে মায়াপুরে একটি ভাড়া ঘরে মা-মেয়ে কোনরকমে দিনযাপন করছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে বিবাহযোগ্যা কন্যার বিয়ে হচ্ছিল না। একইসঙ্গে মেয়ে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় সেভাবে তাঁকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না। এই কথা শোনামাত্র শম্পাদেবী তাঁর দুই বন্ধু মনি চৌধুরী ও বুলু মণ্ডলকে বিষয়টা জানান। শোনামাত্রই তিন বন্ধু পাত্র খোঁজার কাজ শুরু করে দেন। বিয়ের আসর কোথায় হবে, তার সমস্ত খরচ তাঁরা খরচ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। তিন গৃহবধূর প্রচেষ্টায় অবশেষে দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মুন্না যাদবকে পাত্র হিসাবে খোঁজ মেলে। পাত্রীর সঙ্গে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। যাবতীয় খরচা বহন করেন তিন বন্ধু। আগামী দিনেও দম্পতির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।মনি চৌধুরী বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে সারা বছর ধরেই সামাজিক কাজে যুক্ত থাকি। আমাদের লক্ষ্য দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এই দুস্থ মূক ও বধির কন্যার কথা শুনতে পেয়ে আমরা এককথায় পাশে থাকার জন্য রাজি হয়ে যাই। বুলু মণ্ডলের বক্তব্য, এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা খুব খুশি।

জুলাই ০৯, ২০২২
রাজ্য

আদিবাসীদের আন্দোলন স্মরণ জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার, জানিয়ে দিলেন সরকার তাঁদের পাশে আছে

সারা রাজ্যে মহা সমারোহে পালিত হল হুল উৎসব। ইংরেজ অপশাসনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে সংগ্রাম হয়েছিল তা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত, সেই বিশেষ এই দিনটিকে স্মরণ করে পালিত হয় হুল দিবস। অলচিকি ভাষায় হুল কথার অর্থ বিদ্রোহ। ১৮৫৭ তে সিপাহী বিদ্রোহের ২ বছর আগে ১৮৫৫ তে সংগঠিত হওয়া এই বিদ্রোহ-ই আলো দেখিয়েছিলো ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে জোড়ালো করতে। একই পরিবারের ভাইবোন সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব,আর দুই বোন ফুলমনি এবং ঝানু মুর্মু-র এই আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এই ছয় ভাইবোনের ডাকা আন্দোলনে এককাট্টা হয়েছিল চারশোটি গ্রাম। সে ডাকে সাঁওতালরা ছাড়াও সারা দিয়েছিলো সমস্ত নির্যাতিত মানুষ।বৈদ্যপুর রথতলায় হুল উৎসব-এ উপস্থিত অতিথিবর্গপূর্ব বর্ধমান জেলার অনগ্রসর, শ্রেনীকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর রথতলায় বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠ সংলগ্ন ময়দানে হুল উৎসব পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সম্পা ধারা, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী শাখা সংগঠনের সভাপতি দেবু টুডু, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক, কালনা মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ, কালনা-২ বিডিও ও জেলা অনগ্রসর শ্রেনীকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের অধিকারিকগন।এদিনের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়াও তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের আম্বেদকর মেধা পুরস্কার প্রদান করা হয়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, আদিবাসী আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে পথ দেখিয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে আমাদের আমরা ভুলতে পারি না। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা উপস্থিত সকলকে হুল দিবসের শুভেচ্ছা জানান। জেলাশাসক বলেন, বিদ্রোহের সময় যে অবদান আদিবাসীদের ছিল, আজকের সমাজেও তাদের অবদান ভোলার নয়।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা কে আদিবাসী প্রথায় বরন করা হচ্ছেতিনি আরও বলেন,আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি যত উদযাপন করতে পারি সেটা আমাদের পক্ষে মঙ্গল। তিনি আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য যা যা সুবিধা দেয় সেটা তাঁরা যেন ঠিক ঠিক সময় সরকারি দপ্তরে উপস্থিত হয়ে গ্রহণ করেন। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে উপস্থিত হয়ে তাঁদের জাতিগত সংসাপত্র গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, জমির পাট্টা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে সরাসরি সরকারি দপ্তরে তাঁরা যেন যোগাযোগ করেন। সরকার আপনাদের পাশে আছে।কালনার-২ বৈদ্যপুর রথতলা সংলগ্ন বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠ সংলগ্ন ময়দানের এই অনুষ্ঠানে মানুষের উপস্থিতির হার ছিল যথেষ্ট। এদিন নানারকম আদিবাসী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধামসা, মাদল এর ছন্দে পা মেলান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু।

জুন ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা'-র আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ব্যাপক সাড়া

২৮ শে জুন মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা আয়োজিত আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হল। আবৃত্তি নিয়েই আবৃত্তিশিল্পী সংস্থার পথ চলা চুরু ২০১৫ সালে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশাল ভাবনা চিন্তার চাষ শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকেই আগে। সারা বিশ্ব যখন আতিমারির কবলে আটকে পড়েছিল সেই সময় আবৃত্তিশিল্পী সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। ভারত তথা বিশ্বের বহুপ্রান্তীয় সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। সংখ্যাটা ছিল ৪১৬৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের শেষে গত ২৮ জুন চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন তিনটে বিভাগে মোট ১৯ জন প্রতিযোগী।এদিন চূড়ান্ত পর্বের বিচারকের আসন অলংকৃত করেছিলেন স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী প্রণতি ঠাকুর, রত্না মিত্র, সুকুমার ঘোষ। উদ্বোধন করা হয় গাছে জল সিঞ্চন এবং কবিগুরুর বিভিন্ন কথার মালা গাঁথা হয় গাছটিতে। উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার সভাপতি সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, সহ সভাপতি মধুমিতা বসু, কর্ণধার জয়ন্ত ঘোষ এবং বিচারকরা। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই মেন্টরদের সংবর্ধনা দেওয়া হয। এছাড়াও যে সমস্ত প্রতিযোগী সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তাঁদেরকেও সংবর্ধিত করা হয়। কবি দিধিতি চক্রবর্তী এবং কবি মনীষা যুগ্ম সম্পাদনায় আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার নিজস্ব পত্রিকা কন্ঠকথার তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগ ছিল ক-খ-গ, ক বিভাগে প্রথম হয় তৃষিত চক্রবর্তী (চিত্তরঞ্জন), দ্বিতীয়- পরিযায়ী চ্যাটার্জী (পুরুলিয়া), তৃতীয় - প্রমীতি পন্ডা ( পাটুলী)। খ বিভাগে প্রথম হয় সৃজা রায় ( পুরুলিয়া), দ্বিতীয় - শ্রীপর্ণা সিং (মুর্শিদাবাদ), এবং তৃতীয় -সোমশ্রী দেব ( হুগলি)। গ বিভাগ প্রথম- রীতি সেন(দক্ষিণ দিনাজপুর), দ্বিতীয়- স্বাগতা মির্জা (মুর্শিদাবাদ), তৃতীয়- সুশ্বেতা চক্রবর্তী ( উত্তর ২৪ পরগণা)। অনুষ্ঠানের শেষে সমস্ত প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।এইদিন সংস্থার নিজস্ব প্রযোজনা ছিল শতাধিক শিল্পীর কন্ঠে হে মোর চিত্ত পূণ্যতীর্থ কবিতাটি। দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইনে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং তার গ্রান্ড ফিনালে - এই ভাবনা বাস্তবায়িত হয়েছে জয়ন্ত ঘোষের তত্বাবধানে।

জুন ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অন্য লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন হার্দিক

২০১৫ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। পাঁচ বার ফাইনালে উঠে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্বই আলাদা তাঁর কাছে। কারণ এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের রঙ্গমঞ্চে। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাননা হার্দিক। তাঁর এবার লক্ষ্য দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া।গুজরাট টাইটান্সকে ট্রফি জেতানোর পর হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, একসময় দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন পূরম হয়েছে। দেশের হয়ে খেলার সময় সকলের সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছি। আমি সবসময় দেশের সাফল্যকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। এবার দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছি। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আশা করছি সফল হব।হার্দিক আরও বলেন, আমি বরাবরই দায়িত্ব নিতে ভালবাসি, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। আমি যদি সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা বহন করতে পারি, তাহলে সতীর্থদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব। আইপিএলে ৫ বার ফাইনালে উঠে ৫ বারই চ্যাম্পিয়ন হলাম। এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবছরই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার আর একটা লক্ষ্য রয়েছে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।টি২০ ক্রিকেট নাকি ব্যাটারদের খেলা। হার্দিকের মত অবশ্য ভিন্ন। তিনি মনে করেন, ব্যাটাররা কয়েকটা ম্যাচ জেতাতে পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে জিততে গেলে ভাল বোলিং শক্তি দরকার। আইপিএলের মেগা নিলামে সেই দিকেই নজর দিয়েছিলেন বলে জানান হার্দিক। তাঁর কথায়, আমি আর বোলিং কোচ আশিস নেহরা ঠিক করেছিলাম, অভিজ্ঞ বোলিং শক্তি তৈরি করব। সেই লক্ষেই সামি, রশিদ, ফার্গুসনদের দলে নিয়েছিলাম। অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে দল তৈরির সুফল পেয়েছি। বোলাররা প্রতি ম্যাচেই ১০২০ রান কম দিয়েছে। ওই রানগুলোই ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছে। এবছর প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচ। স্ত্রী ও পরিবার তাঁর সব থেকে বড় শক্তি বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, নাতাশা আমার লড়াইয়ের সাক্ষী। ওই আমার অনুপ্রেরণা। আমি কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা ও জানে। আমি সফল হওয়ায় ওর খুব আনন্দ হয়েছে। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল।

মে ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বেবি বাম্প আগলে ছবি শেয়ার সোনমের

অভিনেতা অনিল কাপুরের মেয়ে সোনম কাপুর বেবি বাম্পের নতুন ছবি শেয়ার করলেন। প্রথম খবরটা অভিনেত্রী গত মার্চ মাসেই দিয়েছিলেন। এবার আরও একটি খুশির খবর ভাগ করে নিলেন। স্বামীর সঙ্গে পুনর্মিলনের জেরে সোনমের আনন্দ আরও অনেকটাই বেড়েছে এটা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে এমনটাই আঁচ পাওয়া গেল। কর্মসূত্রে আনন্দ আহুজা বেশিরভাগ সময় লন্ডনে থাকেন। তবে এখন সোনম মা হতে চলায় তার সঙ্গেই সময় কাটছে। এদিন শরীর চাপা কাঁধকাটা কালো রং-এর পোশাকে বেবি বাম্প ফ্লন্ট করতে দেখা গেল সোনমকে। পেটের নীচের দিকটা এক হাত দিয়ে আগলে, অপর হাতে ক্যামেরা- আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছবিটি তুলেছেন অভিনেত্রী। কমেন্টে প্রচুর শুভেচ্ছা পেয়েছেন অভিনেত্রী। এখন শুধু সন্তানের পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষা।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস হার্দিক পান্ডিয়ার

চলতি আইপিএলে কি নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা? না, দ্বিতীয় বারের জন্য আবার রাজস্থান রয়্যালসের হাতে উঠবে ট্রফি? আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রশ্নটা রবিবাসরীয় সন্ধেয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল। ঘরের দলকে সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ হতে হয়নি। দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলে অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস গড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস বড় রানের জন্য তাকিয়েছিল জস বাটলারের দিকে। বাটলার ব্যর্থ হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। জয়ের জন্য ১৩১ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্প ছিটকে দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন ওয়েড।🏆 ➡️ 🎂 #SeasonOfFirsts #AavaDe #IPLFinal #GTvRR pic.twitter.com/eDUCgtQZgD Gujarat Titans (@gujarat_titans) May 29, 2022ওয়েড যখন আউট হন গুজরাট টাইটান্সের রান তখন ৪.৩ ওভারে ২৩/২। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলার ওপর ক্রমশ চাপ তৈরি করতে শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিল। এই দুই ব্যাটার পার্টনারশিপ গড়ে তুলে গুজরাটকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হার্দিক পান্ডিয়াকে তুলে নেন। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক। গুজরাটের রান তখন ৮৬। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শুভমান গিল (৪৩ বলে অপরাজিত ৪৫) ও ডেভিড মিলার (১৯ বলে ৩২)। ১৮.১ ওভারে ১৩৩/৩ তুলে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট টাইটান্স।টস জিতে এদিন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং ও নেতৃত্ব একবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে। যশস্বী জয়সোয়ালকে (১৬ বলে ২২) তুলে নিয়ে রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন যশ দয়াল। তারপর বাইশ গজে আগুন ঝড়ান হার্দিক। তাঁর শিকারের তালিকায় সঞ্জু (১১ বলে ১৪), বাটলার (৩৫ বলে ৩৯), হেটমায়ার (১২ বলে ১১)। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ খান। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

তাচ্ছিলের জবাব, ‘‌লিস্টন সাইক্লোনে’‌ উড়ে গেল বসুন্ধরা কিংস

ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোর মুখে এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে শোনা গিয়েছিল তাচ্ছিল্যের সুর। জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ভাবছিলেন কত ব্যবধানে জিতবেন, সেই কথাই। তাঁর সেই কথা যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই ছিল না, এদিন প্রমাণ হয়ে গেল। কলকাতায় সাইক্লোনের মতো বসুন্ধরার ওপর বয়ে গেল সাইক্লোন। এই সাইক্লোনের নাম লিস্টন সাইক্লোন। যার দাপটে এটিকে মোহনবাগানের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে বসুন্ধরা কিংস। ৪০ ব্যবধানে জিতে এএফসি কাপে আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। দুরন্ত হ্যাটট্রিক লিস্টন কোলাসোর।এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ম্যাচ ছিল। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়ের তান্ডব। উড়ে যায় যুবভারতীর ছাউনির বেশ কিছুটা জায়গা। রেফারি খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। ম্যাচ আদৌও হবে কিনা, তা নিয়ে একসময় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ঝড় থামার পরও আকাশে মেঘের ঘনঘটা। তার মাঝেই দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। আর তারপরই বসুন্ধরার ওপর সবুজমেরুণ ঝড়।Weather Update:Its raining goals at VYBK tonight 🌧#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon #AFCCup2022 #MarinersInAsia pic.twitter.com/8eVdxJDTPx ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) May 21, 2022প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসির কাছে হার এবং বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোর তাচ্ছিল্য হয়তো তাতিয়ে দিয়েছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেডকে। পরের পর্বে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না এটিকে মোহনবাগানের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন জুয়ান ফেরান্দোর দলের ফুটবলাররা। বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে বসুন্ধরা কিংসকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন লিস্টন কোলাসোরা।শুরু থেকেই এদিন আক্রমণে ঝড় তুলেছিল এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল বসুন্ধরা বক্সে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন। ৩৪ মিনিটে তিনিই ব্যবধান বাড়ান। দ্বিতীয়ার্ধেও সবুজমেরুণের দাপট অব্যাহত ছিল। প্রথমার্ধের মতো সেই একই ছবি। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে দলকে ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিস্টন। একই সঙ্গে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন। তিন গোল হজম করার পরও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি বসুন্ধরা কিংস। বরং দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সবুজমেরুণ ফুটবলাররা সেই সুযোগ দেননি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস বাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।

মে ২১, ২০২২
রাজ্য

বরাক উপত‍্যকার একাদশ অমর ভাষা শহীদদের স্মরণে 'বাংলা পক্ষ'

মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুরে বাংলা পক্ষ সংগঠনের জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ১৯ শে মে বরাক উপত্যকার একাদশ অমর ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এই শোভাযাত্রায় বাংলা পক্ষের সসদ্যদের সাথে পা মেলান বহরমপুর সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন। শোভাযাত্রার পথে বর্ণপরিচয় স্রষ্ঠা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন ও ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।ভাষা আন্দোলন বলতে আমরা সাধারণ ভাবে যে দিনটির কথা জানি সেটা হল ২১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু স্বাধীন ভারতের মাটিতে হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলন দিবস ১৯ শে মে এবং ১ লা নভেম্বরের কথা অনেকেই জানে না। উল্লেখ্য, আসামের বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল আসাম সরকারের অসমীয়া ভাষাকে রাজ্যের একমাত্র সরকারি ভাষা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যেহেতু সেই অঞ্চলে বসবাসকারী জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল বাংলাভাষী। এই গণ ঘটনাটি ১৯৬১ সালের ১৯ মে, ১১ জন প্রতিবাদে সামিল ভাষা আন্দোলনকারি কে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে আসাম রাজ্য পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে।পদযাত্রার শেষে বহরমপুরের কালেক্টরেট ক্লাবের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গর্গ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বাংলা পক্ষ শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নুরুল হাসান ও কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে মঞ্চ আলোকিত করেন অধ্যাপক মধু মিত্র, ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় রায়চৌধুরী।জ্যোতির্ময় বাবু কিভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আন্দামানের বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন সেই কথা তুলে ধরেন, মধু মিত্র মুর্শিদাবাদে বাংলা পক্ষের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে হিন্দী আগ্রাসনের বিরোধিতা শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বলেন ভারতের প্রত্যেক রাজ্য ভূমিপুত্র সংরক্ষণের মাধ্যমে নিজের জাতির ভবিষ্যত সুরক্ষিত করছে, বাংলা ব্যতিক্রম হতে পারে না। বাংলা পক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় যেমন বাংলা ভাষা দাবি করে তেমন বাংলার রাজ্য সরকারি চাকরিতেও বাংলা ভাষা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি করে। সার্বিক ভাবে বাংলা পক্ষ বাংলা ভাষাকে কাজের ভাষা করে তুলতে চায়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য মুর্শিদাবাদ জেলার ভূমিপুত্র তথা বাংলা পক্ষবার্তার প্রধান নুরুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বাংলা পক্ষে প্রয়োজনীয়তা, লক্ষ্য ও বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি মুর্শিদাবাদের রেশম, বিড়ি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন। এতো কাজের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলার ছেলে দের কেন ভিনরাজ্যে যেতে হবে সেই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন বাংলা পক্ষ দাবি করে বেসরকারি চারকিতেও ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই। সভায় উপস্থিত জেলা সংগঠনের পর্যবেক্ষক তথা শীষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাংলা পক্ষ ভবিষ্যতের সংগঠন, তরুণ প্রজন্মের সংগঠন। বাংলার যুব সমাজের চাকরি, ব্যবসা, টেণ্ডারে ভূমিপুত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শুধু সাংস্কৃতিক ভাবে বাংলা ভাষা তথা বাঙালিকে বাঁচানো যাবে না। রাজনৈতিক ভাবেই হিন্দি আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে হবে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহিরাগতদের সংখ্যা বাড়ায় বাঙালির চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যার কথা বলেন। বলেন বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে বাঙালির বঞ্চনার কথা। আগামীতে এই বিষয়েও বাংলা পক্ষ প্রতিবাদে সরব হবে বলে তিনি জানান। এই সভাটি সঞ্চালনা করেন মুর্শিদাবাদের বাংলা পক্ষের অন্যতম সংগঠক অরিন্দম চন্দ্র।

মে ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম, ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সেরা ভারত

ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কিদাম্বী শ্রীকান্তরা ৩০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছেন ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে। ফেবারিটের তকমা নিয়েই এবারের টমাস কাপে খেলতে নেমেছিল ইন্দোনেশিয়া। ফাইনালে ওঠার পথে একটা ম্যাচও হারেনি। প্রচন্ড শক্তিশালী দল। ফাইনালে ওঠার পথে ভারতকে গ্রুপ লিগে চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। সেই অর্থে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই ফাইনালে কোর্টে নেমেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু ফাইনালে তার প্রভাব দেখা যায়নি। ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে এদিন প্রথম সিঙ্গলসে কোর্টে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিশ্বের ৪ নম্বর তারকা অ্যান্টনি সিনিসুকা জিনটিং। এবছর মার্চে জার্মান ওপেনে ইন্দোনেশিয়ার এই তারকাকে হারিয়েছিলেন লক্ষ্য সেন। সেই জয়ই এদিন লক্ষ্যর কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করেছিল। তাই প্রথম গেম হেরে গিয়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন লক্ষ্য। প্রথম গেমে লক্ষ্যকে দাঁড়াতেই দেননি বিশ্বের ৪ নম্বর তারকা অ্যান্টনি সিনিসুকা জিনটিং। ২১৮ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন জিনটিং। দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন লক্ষ্য সেন। ২১১৭ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় গেম ২১১৬ পয়েন্টে জিতে ভারতকে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। বিশ্বের ৪ নম্বর তারকার বিরুদ্ধে লক্ষ্য সেনের জয় চাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলকে। চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডির কাছে টনিকের মতো কাজ করেছিল। ডাবলসে এই ভারতীয় জুটি খেলতে নেমেছিল মহম্মদ এহসান ও সুকামুলিয়োর বিরুদ্ধে। প্রথম গেমে ১৮২১ ব্যবধানে হেরে যায় চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ জুটি। দ্বিতীয় গেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান চিরাগরা। দুর্দান্ত লড়াই করে ২৩২১ ব্যবধানে বিতীয় গেম জিতে সমতা ফেরান। তৃতীয় গেমে চিরাগরা জেতেন ২১১৯ ব্যবধানে। ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত।তৃতীয় গেমে প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ছন্দে থাকা কিদাম্বি শ্রীকান্ত কোর্টে নামেন বিশ্বের ৮ নম্বর তারকা জোনাথন ক্রিস্টির বিরুদ্ধে। প্রথম গেমে ২১১৫ ব্যবধানে জেতেন শ্রীকান্ত। দ্বিতীয় গেমে জোনাথান ক্রিস্টি প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। ২৩২১ ব্যবধানে জিতে ভারতকে প্রথমবারের মতো টমাস কাপ জেতার স্বাদ এনে দেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। ভারত ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় বাকি দুটি সিঙ্গলস খেলার প্রয়োজন হয়নি।

মে ১৫, ২০২২
রাজ্য

কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যাবে বহরমপুরে? কটাক্ষ শুভেন্দুর

রাজনীতি ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এখন সমার্থক শব্দ। বাংলায় ঘটনা ঘটলে বিজেপি কেন্দ্রীয় ভাবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠাচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য বা কেন্দ্রীয় পুলিশের তত্বাবধানে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে এই কমিটি গঠন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাম একই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এবার বহরমপুরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, জানতে চাই মাননীয়া কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে? @MamataOfficial আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন।জানতে চাই মাননীয়া কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে?@MamataOfficial আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন। Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 3, 2022রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুন হওয়ার পর গণহত্যায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আরও ২জন অগ্নিদগ্ধের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিলেন। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নাড্ডাকে রিপোর্ট দিয়েছিল। পরে হাঁসখালিতে গণধর্ষণের ঘটনাতেও দলের মহিলা সদস্যের নিয়ে ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে গলার নালি কেটে কেটে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। সেখানে পৌঁছায় তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তারপর দিল্লির ঘটনায় ফের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠায় তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে যোগীর সরকার। আর দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পাল্টা তৃণমূলও গঠন করে।গতকাল সোমবার সন্ধ্য়ায় বহরমপুরে চাকু দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে অনেকের সামনে এক কলেজছাত্রীকে খুন করে যুবক। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।

মে ০৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal