• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Malda,

রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মার ফের পুলিশ হেফাজত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, পোশাক, মোবাইল....

তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। শুক্রবার ধৃত দুইজনকে মালদা সিজিএম কোর্টে পেশ করা হয়। যদিও এদিন ওই দুই অপরাধীর পক্ষে মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবীরাই পক্ষে দাড়ায়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল দুই অপরাধীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপরই সিজিএম কোর্টের বিচারক সুজিত কুমার ব্যানার্জি ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে এদিন মৃত বাবলা সরকারের মামলা চলাকালীন আদালতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবলা সরকারের স্ত্রী আইনজীবী চৈতালী সরকার। তিনি বলেন, আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন কোন আইনজীবী ওই দুই আসামির পক্ষ নিয়ে সাওয়াল জবাব করেননি। তবে আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসাবে এই মামলা শুনেছি। কেউ যাতে কোনওরকম ভাবে প্রভাবিত করতে না পারে সেটিও দেখছি। পুলিশ এখনও আসল অপরাধীদের খুঁজে বার করার জন্য তদন্ত করছে। যার ফলে এদিন ওই মূল চক্রীকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক উদ্ধার করলো পুলিশ। ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ওয়ান সাটার এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা যে পোশাক ব্যবহার করেছিল সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই অস্ত্র এবং পোশাক কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশ জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন বিহারের পেশাদার খুনি রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচজনকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং অপর এক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ধৃত ওই দুইজনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই দুই মূল চক্রীর কাছ থেকে আরও বিশদ তথ্য জানার জন্য এদিন মালদা আদালতের কাছে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত অমিত রজকের বাড়ি থেকে কৃষ্ণ রজক অরফে রোহানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইলের সূত্র থেকে অনেক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের। যদিও বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাতজন গ্রেফতার হলেও আরও তিনজন বাবলু যাদব, কৃষ্ণ রাজক এবং বিহারের বাসিন্দা আশরাফ খান পলাতক রয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুই মূলচক্রী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই এদিন ধৃত ওই দুইজনকে বাড়তি পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অপরাধী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ "চিরস্থায়ী" বহিষ্কৃত, মালদায় তৃণমূলের ঘোষণা

মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে বহিষ্কার করলো দল। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোড এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ছাড়া ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, গত এক বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলেই জানতাম। তাকে আপাতত চিরস্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইংরেজবাজার টাউন সভাপতির পদে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। এদিকে এদিন পুলিশের হেফাজতে থাকা বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ইংরেজবাজার থানা থেকে হাসপাতালে মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই মানতে হবে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে তৃণমূল সভাপতির পুলিশ হেফাজত, আসল মাথা ধরার দাবিতে অনড় স্ত্রী

মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুন করার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজত দিল আদালত। বুধবার বিকালে কলকাতার ভবানী ভবন থেকে এডজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন। এদিকে বুধবার গ্রেফতারের পরই ইংরেজবাজার থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির বিস্ফোরক দাবি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, এর পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। তাহলে কে এই মাস্টারমাইন্ড? সবকিছু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করলো ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অধরা এখনও দুই। মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তার দুই ভাইকে রাতভর জেরা করেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম। বুধবার সকলেই ঘোষণা করা হয় নরেন্দ্রনাথ তেয়াওরি এবং আরেক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজন বাবলু যাদব এবং কৃষ্ণ রজক এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের ছবি প্রকাশ করে দুই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মালদা জেলা পুলিশ। এদিকে নরেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বকশী বলেন, যে অপরাধ করবে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে। সে দলের যেই হোন না কেন। তৃণমূলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি আমার কোনদিনও ঘনিষ্ঠ ছিল না। এদিকে এদিন মৃত তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মা গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি। তবে ওদের দুইজনকে ধরে চুপ করে থাকলেই হবে না। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় মাথা কাজ করেছে। পুলিশের প্রকৃত তদন্ত এবং সঠিক বিচারের আশায় রয়েছি।তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, স্বপন শর্মার বাম জমানায় নানা কর্মকাণ্ড আছে। একসময় স্বপন শর্মা আমাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল। আর নরেন্দ্রনাথ গত পুরসভা নির্বাচনে বাবলার সাথে গোলমালের পর বলেছিল দেখে নেবে। ওকে গুলি করে খুন করবে। আর সেটাই ঘটল। তবে এখানে রাজনীতির কোন বিষয় জড়িত নয়। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। এলাকা দখল ও এলাকার তোলাবাজির জন্যই খুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় মাস আগে এই ষড়যন্ত্র করা হয়। মালদা শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে বসে সুপারি দেওয়া হয় বিহারের দুই সুপারি কিলারকে। ৬ দিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাবলা সরকারের গতিবিধির রেইকি করছিল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ভীড়ের সুযোগ নিয়ে খুন করার চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে মহানন্দাপল্লী এলাকায় ২ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন করে বাবলা সরকারকে। এদিন এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সিআইডি সুপ্রতিম সরকার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, এই চক্রান্ত করেছিল নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মা। স্বপন শর্মা একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুই অভিযুক্তকে আদালতে তুললে তাদের আইনজীবীরা অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তাদের জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীর দাবি মেনে ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

ফিল্মি কায়দায় মালদার তৃণমূল নেতাকে খুন, কেন দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল? শুরু জোর বিতর্ক

এ যেন হিন্দি সিনেমার শুটিং। মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতাকে শুট আউট করলো দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনে থেকে ধাওয়া করে দোকানের ভিতর ঢুকে পরপর মাথায় তিনটে গুলি করে খুন করা হল মালদা জেলা তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে(৬২)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এই রোমহর্ষক ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে তাঁর অনুগামীরা মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এরপরই শহরের একটা অংশে কার্যত বন্ধের চেহারা নেই। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীসমর্থকরা। মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাবলা সরকার আমার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ছিলেন। ওকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। কি ভাষায় যে কথা বলব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। বাবলার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ওর স্ত্রী চৈতালি সরকার মনকে শক্ত রেখে এগিয়ে চলুক, ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করছি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে চার চাকা নিয়ে নিজের দোকানে আসছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ইংলিশ বাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝলঝলিয়ার মহানন্দাপল্লী এলাকায় দোকানের কাছেই একটি মোটর বাইকে চারজন এসে তাঁকে গুলি করে। প্রথমে তাকে এক রাউন্ড গুলি করা হয়। প্রথম রাউন্ডের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই প্রাণ রক্ষার জন্য পাশের একটি দোকানে ঢুকে পড়েন বাবলা সরকার। এরপরই চারজন দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে তাঁকে তিন রাউন্ড গুলি করে। একটি গুলি মাথায় এবং দুটি শরীরে লাগে। সিসিটিভি ফুটেছে স্পষ্ট সেই ছবি দেখতে পেয়েছে পুলিশ। মুখ বাধা দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে একের পর এক গুলি করছে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলা সরকারকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছে বাবলাবাবুর অনুগামীরা। এদিকে এই ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঠিক সেইরকম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে বাবলা সরকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদায় আসেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তবে কেন গুলি করে খুন করা হলো বাবলা সরকারকে তা নিয়ে এখনও দ্বন্ধে রয়েছে সকলেই। পুলিশকে বাবলা সরকারের গাড়ির চালক সুমন দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতোই এদিন সকালে দাদাকে বাড়ি থেকে প্লাইউডের দোকান ও কারখানায় ছাড়তে গিয়েছিলাম। মহানন্দাপল্লীতে দাদার দোকানটি রয়েছে। দোকানের সামনে দাদা যখন গাড়ি থেকে নামছিলেন তখনই চারজন দুষ্কৃতী একটি মোটরবাইকে এসে দাদাকে গুলি করে। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপরেই বাবলাদা দৌড়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। তখন দুষ্কৃতীরা পিছু ধাওয়া করে দাদাকে দোকানের মধ্যেই মাথায় গুলি করে খুন করে। আমি বাঁচাতে আসলে ওরা আমাকেও বন্দুক দেখিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়, তখন প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি দেবী বলেন, কেন এভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হলো কিছু বুঝতে পারছি না। ২০০৭ সালে স্বামীকে একবার দুষ্কৃতীরা গুলি করে মারার চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর দুইজন দেহরক্ষীও নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই দেহরক্ষী তুলে নেয় জেলা প্রশাসন। আজকে স্বামীর দেহরক্ষী থাকলে হয়তো ওকে হারাতাম না। এর জবাব পুলিশ কে দিতে হবে। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, বাবলা সরকারের রাজনৈতিক কোন শত্রু ছিল না। এর পিছনে অন্য কিছু রহস্য থাকতে পারে। পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। ভাবতেই পারছি না যে বাবলা সরকার নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, বাবলা সরকার আমাদের মধ্যে নেই ভাবতেই পারছি না। সাত সকালে দুষ্কৃতীদের এই তান্ডব দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, আসলে শাসকদলের যোগ্য নেতাদের কদর নেই। বাবলাবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উপকার করেছেন। অথচ তারই দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। অযোগ্যদের এখন একগাদা দেহরক্ষী দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরাও অসন্তুষ্ট। মানুষ এর বিচার করবে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল বলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে গোটা এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। আপাতত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হেলিকপ্টারে করে মালদা যান রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের আরেক রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন মালদায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রথমে মেডিকেল কলেজে বাবলা সরকারের মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কনভয় নিয়ে সোজা চলে যান বাবলা সরকারের সুকান্তপল্লী এলাকার বাড়িতে। সেখানে স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁকে সমবেদনা জানান। মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম বলেন, বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মালদায় এসেছি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধী যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন তৃণমূল নেতা শহরের বুকে খুন হয়ে যাবে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। এছাড়াও বাবলাবাবুর দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল সেটাও আমরা জানতাম না। কে এবং কেন বাবলাবাবুর দেহরক্ষী গত তিন বছর আগে তুলে নিয়েছিল, সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। অত্যন্ত মিষ্টিভাষী মানুষের এরকম শত্রু হতে পারে ভাবতেই অবাক লাগছে। ওনার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দুইজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে বলেও পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারে। অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে।

জানুয়ারি ০২, ২০২৫
রাজ্য

মালদায় বিডিও অফিসের পিছনে আমবাগানে এ কী কান্ড! তদন্ত শুরু করল পুলিশ

আমবাগানের মধ্যে উদ্ধার হল খড় দিয়ে পোড়ানো আধপোড়া মৃতদেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলা জুড়ে। মনে করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সাত সকালে ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় মালদার চাঁচল-২নং ব্লকের মালতীপুর এলাকায় বিডিও অফিসের পেছনে আমবাগান এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খুব সকালের দিকে স্থানীয়রা আমবাগানের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্য করেন খড়ের আগুনে মৃতদেহ জ্বলছে। দেহের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পায়ের অংশটুকু বাকি পড়ে আছে।এই ভয়ানক ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক তৈরি হয়। বহু মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁচল থানার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রথমে পুলিশ আধপোড়া দেহের অংশটুকু উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। স্থানীয়দের অনুমান মৃতদেহটি কোন মহিলার। তাকে দুষ্কৃতীরা বাইরে কোথাও কিংবা ঘটনাস্থলেই খুন করে দেহে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু জানিয়েছেন, দেহটি মহিলার না কোন পুরুষের সেই ব্যাপারে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের পরেই সঠিক তথ্য সামনে আসবে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

১০৪ বছরে খোলা আকাশের স্বাদ, আনন্দে উদ্বেল পরিবার, বিরল ঘটনা বাংলায়

এ জীবনে এমন আনন্দের ঘটনা ঘটবে ভাবেননি ১০৪ বছরের বৃদ্ধ। এই বয়সে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন মালদহের মানিকচকের এক বৃদ্ধ। এই মুক্তিতে তার পরিবারেও যেন আলোর রোশনাই নিয়ে এসেছে। ওই বৃদ্ধের নাম রসিকচন্দ্র মণ্ডল (১০৪)। জেল থেকে বেরিয়ে হাসতে হাসতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে বিবাদে ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ হয়েছিল। তার জেরে গুলি করে ছোট ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল দাদার বিরুদ্ধে। যদিও দাদার পরিবারের দাবি, পারিবারিক ঝামেলার সুযোগ নিয়ে অন্য এক ব্যক্তি ছোট ভাইকে গুলি করে মারে। সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে। দাদার জেল হয়। তারপর কেটে গিয়েছে এক এক করে ৩৬টা বছর। কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানালেও তাঁর জামিন হয়নি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন ১০৪ বছর ওই বৃদ্ধা। আর বাড়ি ফেরার আনন্দে বাঁধনহারা মন্ডল পরিবার। মালদহের মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা রসিকচন্দ্র মণ্ডল। তার তিন ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। ইতিমধ্যে বড় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ১৯২০ সালে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে জন্ম রসিকবাবুর। বেশ কয়েক বিঘা জমির মালিক ছিলেন তিনি। গঙ্গার পলি সমৃদ্ধ উর্বর ওই জমি ছিল বহুফসলি। পৈতৃক সেই জমি নিয়েই তাঁর সঙ্গে বিবাদ বাধে ছোট ভাই সুরেশ মণ্ডলের৷ দুই ভাইয়ের পাশাপাশি বাড়ি৷ ১৯৮৮ সালের একদিন নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সুরেশবাবু। সেই ঘটনায় সুরেশবাবুর স্ত্রী আরতি মণ্ডল ভাসুর রসিক সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে৷সবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়৷ ১৯৯৪ সালে রসিকচন্দ্র মণ্ডল ও জিতেন তাঁতি নামে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়৷ তখন রসিকবাবুর বয়স ছিল ৬৮ বছর। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন দুজন৷ বছর তিনেক আগে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে নদীতে ডুবে মারা যান জিতেন তাঁতি। প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বেশ কয়েক বছর বাড়িতে ছিলেন রসিকবাবু ও। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে ফের সংশোধনাগারে পাঠায়। এই দীর্ঘ সময়কালে তাঁকে মূলত মালদা জেলা সংশোধনাগারেই রাখা হয়েছিল। ২০১৮ সালে রসিকবাবু নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান৷ কিন্তু তাঁর আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়৷পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টেও তিনি সেই আবেদন জানান৷ কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি৷ ২০২০ সালে ৯৯ বছর বয়সী রসিকবাবু তাঁর বয়স এবং বয়সজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শীর্ষ আদালতে মুক্তির আবেদন জানান৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০২১ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে। অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে রসিকবাবুর আবেদনের শুনানি হয়। রসিকচন্দ্র মণ্ডল ও রাজ্য সরকারের কৌসুলিদের সওয়াল জবাবের পর ডিভিশন বেঞ্চ ১০৪ বছর বয়সী রসিকবাবুকে অন্তবর্তী জামিন মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে৷তবে ছোট ছেলে উত্তম মণ্ডল বলেন, তাঁর বয়স ১০৩ বছর৷ আর কয়েকদিন বাদেই ১০৪ বছরে পা দেবেন। বাবার জামিনের জন্য আমরা অনেকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানাই৷ আইন যাই বলুক, আমার বাবার বয়সী কাউকে কোনও অপরাধে জেলে রাখা আমি অন্যায় মনে করি৷ বাবা এখন অসুস্থ৷ ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না৷ তিনি ছাড়া পেলে আমরা খুব আনন্দ পাব৷রসিকবাবুর স্ত্রী মিনা মণ্ডলের বয়সও ৮৫ বছর পেরিয়েছে৷ কানে ঠিকমতো শুনতে পান না। তিনি বলেন,স্বামী জেল থেকে ছাড়া পাবে খুব ভালো লাগছে৷ ছেলের সংসারে আছি৷ ওর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি৷ যাঁর মৃত্যু নিয়ে এত কাণ্ড,সেই সুরেশ মণ্ডলের পরিবার এখন আর গ্রামে থাকে না৷

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

খোল, করতাল, হারমোনিয়াম নিয়ে কীর্তন, আরজি করে কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ

ভোরের আলো ফুটতেই হরিনাম সংকীর্তনের শুরু হয়েছিল। কীর্তন শুনতেই ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য প্রাত:ভ্রমণকারী। কিন্তু আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন হবে, তা দেখে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে মালদা শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই আরজি কর ঘটনার অভিনব প্রতিবাদে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, খোল, করতাল, হারমোনিয়াম বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে এভাবেই সোচ্চার হলেন মালদার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিন সাতসকালে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজ হোটেল মোড় এলাকায় ছোটখাটো মঞ্চ করেই শুরু হয় আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কীর্তন। হরিনাম সংকীর্তনের পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে সোচ্চার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার উদ্যোক্তারা। সাতসকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়ানো অসংখ্য মানুষেরা এই অভিনব প্রতিবাদ দেখতেই দাঁড়িয়ে পড়েন। রাজমহল রোডের রাজপথে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে আরজিকর কান্ডের এই অভিনব প্রতিবাদ। এই সংস্থার এমন প্রতিবাদকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার চেয়ারপার্সন চিত্রা সরকার বলেন, কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে দোষীদের ফাঁসি চাই। পাশাপাশি মৃত নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা এদিন করা হয়েছে। প্রত্যেকে যেন সঠিক বিচার পায়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা চাই এবং চারিদিকে বিষাক্ত বাতাবরণ শুদ্ধিকরণ জন্য নাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে এদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ ঘিরে মালদায় পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধ, জখম বিক্ষোভকারী, পুলিশও

পথ অবরোধ তুলতে গিয়ে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরে। পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতো হয় পুলিশকে, অভিযোগ। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই যুবক। এমনকি বিক্ষোভকারীদের পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশকে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়। পরে মানিকচক থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থলে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ফাটানো হয় বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের হামলায় মাথা ফাঁটে মানিকচক থানার আইসি পার্থ প্রতিম হালদারের। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মালদার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়াও আরও দুই পুলিশ কর্মী বিক্ষোভকারীদের হামলায় জখম হয়েছেন। তাঁরাও চিকিৎসাধীন মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। দুইজনেরই পায়ে গুলি লেগেছে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। পরে মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী, কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। এরপরই ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক। পুলিশ ওই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই অন্ধকারে ডুবে রয়েছে মানিকচক থানার এনায়েতপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সকাল থেকেই এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকার দফায় দফায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক গ্রামবাসীরা। যাদের মধ্যে মহিলারাই বেশি ছিলেন। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ অবরোধ তুলতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়ে মানিকচক থানার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তারপরই আচমকা পুলিশকে ইঁট,পাথর নিয়ে ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ বলে অভিযোগ। কয়েকজ্ন হাতে গোনা পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে থাকায় তাদের পিছিয়ে আসতে হয়। সেই সময় পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশ কর্মী। আর সেই বাড়িকে লক্ষ্য করে পুলিশকে এলোপাথাড়ি ইঁট, পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা, অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশকে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলেপৌছায়। তখনই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে আইসির মাথা ফেটে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে বেরিয়ে যায়। তখনই পুলিশ গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। সেই সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন পথচারী জখম হন।এনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ আকবর শেখ জানিয়েছেন, এদিন বিক্ষোভের সময় তিনি রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আচমকা তার বাম পায়ে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তির ব্যবস্থা করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে বলেও জখম দুই যুবকের অভিযোগ।এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই গ্রামে লোডশেডিং চলছে। বুধবার রাত থেকে একটানা লোডশেডিং-এর জেরে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকেই গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট শিশুরাও গরমের জ্বালায় ছটফট করছে। লোডশেডিং-এর জেরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এইসব ঘটনার বিষয় প্রতিবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু আচমকায় পুলিশ এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালাই। তখনই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যায়।যদিও এই ব্যাপারে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, কোনওরকম গুলি চলেনি। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস লোডশেডিংয়ের বিষয়টি মানতে চাননি। অরূপ বিশ্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, মানিকচক থানার এনায়েতপুরে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সেখানে কোন সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার মানিকচকের লোডশেডিং-এর প্রতিবাদ রাজ্য সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বাঁধে। মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোডশেডিং শব্দটি চিরতরে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যেখানে অন্যান্য রাজ্যে প্রায় দিনই ছয় থেকে আট ঘন্টা লোডশেডিং হয়। সেই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে এক মিনিটও লোডশেডিং হয় না। তবে মালদার মানিকচকে এনায়েতপুরে সমস্যা হচ্ছে বৈদ্যুতিক হাই টেনশন টাওয়ার বসানো নিয়ে। উন্নত মানের বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে মালদা পাওয়ার গ্রিড থেকে মানিকচক পর্যন্ত ৮৯ টি টাওয়ার বসানোর কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৬ টি টাওয়ার বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি টাওয়ার বসানো বাকি রয়েছে। কিছু এলাকার মানুষের অসহযোগিতার কারণেই এই তিনটি হাই টেনশন টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে মালদা জেলা পুলিশ, প্রশাসন, বিদ্যুৎ দপ্তর সক্রিয়তার সাথে কাজ করে চলছে। এই তিনটি টাওয়ার বসানো হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মালদায় উন্নতমানের বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

জুলাই ১৮, ২০২৪
রাজ্য

সাগর পেরিয়ে হিম-সাগর! দুবাই, ইংল্যান্ডে বসেই মালদার হিমসাগরের স্বাদ

বিদেশে রপ্তানি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মালদার আম। এই বছর হিমসাগর প্রজাতির আম বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে আম পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গতদুই বছর আগে মালদহের আম বিদেশে রফতানি হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে গতবছর মালদহের আম বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এই বছর মালদহের আম বিদেশে পাঠাতে প্রথম থেকে উদ্যোগ নিয়েছেন বেশ কিছু রফতানিকারক। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই মালদহের আমের গুনগত মান যাচাই করে ভাল আম বিদেশে পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে হিমসাগর আমকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে মালদহের হিমসাগর বিদেশে পাড়ি দিবে।উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে মালদহে আমের ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এবার আমের ফলনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এমনটাই দাবি উদ্যান পালন দফতরের। স্থানীয় বাজারে আমের দাম এবার চড়া। তারপরেও বেশ কিছু রফতানিকারক সংস্থা এবছর মালদহের আম বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, দুবাই ও ইউকেতে প্রথম পর্যায়ে আম পাঠানো হবে। এই দুটি দেশে প্রথমে ১৩০০ কেজি আম পাঠানো হবে। সমস্ত আম হিমসাগর প্রজাতির। প্রথম পর্যায়ের আম দুটি দেশে ভাল বিক্রি হলে আগামীতে ধাপে ধাপে আরও আম পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদেশে আম রফতানির সমস্ত রকম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বেছে বেছে জেলার যে সমস্ত বাগানে ভাল মানের আম রয়েছে সেগুলি পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের আম বিদেশে পাড়ি দিবে।

জুন ২৮, ২০২৪
রাজ্য

২৪ ঘন্টায় ৩টে শ্যুট আউট-পার্কস্ট্রিট, বেলঘরিয়া, মালদায়, ২ জন জখম, ছড়াল আতঙ্ক

পার্কস্ট্রিটে গতকাল রাতে শ্যুট আউটের ২৪ ঘন্টা পেরোয়নি। এরই মধ্যে বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি। দিনের ব্যস্ত সময়ে বেলঘরিয়ার রথতলায় শ্যুট আউটের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে চুড়ান্ত চাঞ্চল্য।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের ওই ব্যবসায়ীকে খুনের উদ্দেশ্যেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর কমিশরাটের পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।ব্যারাকপুরের বাসিন্দা গাড়ি ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডল এদিন দুপুরে তাঁর নিজস্ব কালো ভলভো গাড়িতে চেপে কোনও কাজে যাচ্ছিলেন। বেলঘরিয়ার কাছে রথতলা মোড়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী পিছন থেকে তার পথ আটকায়। গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে তারা। এদিকে প্রকাশ্যে গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাইকে চেপে জনা তিনেক দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার গাড়িতে অন্তত ৫টি বুলেটের চিহ্ন মিলেছে। টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই গুলি চালনার ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান।এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশানার অলোক রাজোরিয়া বলেন, দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে সরাসরি অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ করে গুলি করে। ওই ব্যবসায়ীর গাড়িতে পাঁচ রাউন্ড বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বেশ কদিন আগে থেকে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল বলেই জানা গিয়েছে । ঘটনায় থানায় এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।বেলঘরিয়া, পার্কস্ট্রিটের পাশাপাশি মালদহতেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সুমন সাহা। বয়স ৪৫ বছর। ছেলের অভিযোগ, সাড়ে তিন বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছে। দুষ্কৃতীরা জোর করে সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে। তারই প্রতিবাদ করাতেই বাবাকে টার্গেট করা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে চার দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে সুমন সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তবে গুলি ব্যবসায়ীর পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। তাই প্রাণরক্ষা হয় সুমনের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে মালদহ থানার পুলিশ।আক্রান্ত ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে জানিয়েছেন, এদিন চারজন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনেই তাঁকে ঘিরে ধরে । এরপরই তাঁকে মারধর করেই গুলি করে খুনের চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে তিনি পালিয়ে বাড়িতে ঢুকে যান। তখনই দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি তার বাম পায়ে লাগে।পুরাতন মালদা থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

জুন ১৫, ২০২৪
স্বাস্থ্য

মালদায় বার্ড ফ্লু নিয়ে শোরগোল! পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়, বললেন স্বাস্থ্যকর্তা

মানবদেহে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ খতিয়ে দেখতেই মালদার কালিয়াচকে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তিন প্রতিনিধি দল । শুক্রবার কালিয়াচক ১ ব্লকের আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলামপুর এলাকার আক্রান্ত ওই শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি সহ তিনজন কর্মকর্তা। তাঁরা কথা বলেন আক্রান্ত শিশুর পরিবারের সঙ্গে। তবে পরিস্থিতি খুব উদ্বেগ জনক নয় বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে শিশুর শরীরে পশু-পাখির রোগের সংক্রমণ মিলতেই গোটা আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে ব্যাপক আতংক ছড়িয়েছে। করোনার মত এই রোগ মানব দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো চিন্তিত রয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা।এদিন ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর কালিয়াচক ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়েও বৈঠক করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত শিশুর মা এবং বাবা জানিয়েছেন, গত চার মাস ধরে তার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে। প্রায় দিনই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। একবার অক্সিজেন দিতে গেলে এক হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে তাঁরা ছেলের কোনরকমে চিকিৎসা চালাচ্ছেন । এই অবস্থায় ভালো চিকিৎসা পরিষেবার দাবিও জানিয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার । তাঁরা দাবি করেছেন, ছেলের বার্ড ফ্লু হয়েছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের এই রোগ এতদিন পর কেন জানানো হলো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।উল্লেখ্য, সিলামপুর এলাকার চার বছরের শিশুর গত জানুয়ারি মাসে জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর ওই শিশুকে মালদা থেকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপরই ওই শিশুর রক্ত সহ শারীরিক সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করে মহারাষ্ট্রের পুনেতে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর গত তিনদিন আগে বার্ড ফ্লু জড়িত সংক্রমণ ওই শিশুর শরীরে মিলেছে বলে রিপোর্টে পাঠানো হয়। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে চরম শোরগোল পড়ে যায় । ভারতের ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের একজন এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদার কালিয়াচকের একজন মোট দুই মানবদেহে এই ধরনের পশু- পাখির রোগের সংক্রমণ মিলেছে। যা অতীতে ভারতবর্ষের কোথাও কোনদিন দেখা যায়নি। বিগতদিনে বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ দীপঙ্কর মাঝি বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে ওই শিশু এবং তার পরিবার নজরদারিতেই থাকবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়ের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

জুন ১৫, ২০২৪
রাজ্য

মালদায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি, বজ্রপাতে জেলা জুড়ে মৃত্যু ১১

আচমকা ঝড় বৃষ্টিতে মালদায় বজ্রপাতে মৃত্যু হল ১১ জনের। জখম হয়েছে দুজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদার পৃথক কয়েকটি থানা এলাকায় বাজ পড়ে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে দুইজন স্কুল ছাত্র রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। মৃত ১১ জনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। অপর দুইজনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। বাকিদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর এবং ইংরেজ বাজার থানায় এলাকায়। মৃতদেহগুলো মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য আনা হচ্ছে। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম চন্দন সাহানি(৪০), রাজ মৃধা(১৬), মনোজিৎ মন্ডল(২১), অসিত সাহা (১৯) এবং সুমিত্রা মন্ডল (৪৬), পঙ্কজ মণ্ডল(২৩), নয়ন রায়(২৩) প্রিয়ঙ্কা সিংহ রায়(২০) রানা শেখ(৮), অতুল মণ্ডল(৬৫) এবং সাবরুল শেখ(১১)। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর এলাকায়। ওপর দুজনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। এছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়ন রায় প্রিয়ঙ্কা রায় এই দুই এক দম্পতি জমিতে পাটের চাষ করার সময় বাজ পড়ে মারা গিয়েছে। ৮ এবং ১১ বছর বয়সী দুইজন নাবালক রয়েছে। তাদের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলায এলাকায়। অপর মৃতদের বাড়ি ইংরেজবাজার এবং মানিকচক থানা এলাকায়। পাশাপাশি বাজ পড়ে আহত হয়েছেন ফাতেমা বিবি (৩৫) এবং দুলু মন্ডল (৪৫)। এদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অসিত সাহা এবং রাজ মৃধা দুজনেই দশম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার মৃত মনোজিৎ মন্ডলের দাদা সঞ্জীব মন্ডল জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে তাঁর ভাইসহ তিনজন ভাটরা এলাকার ধানের জমিতে কাজ করছিল। বৃষ্টির জন্য একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেয় ওরা। সেই সময় ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আচমকা বাজ পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার ভাই সহ তিনজনের। অন্যদিকে গাজোলের আদিনা এলাকায় আম বাগান দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একাদশ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া অসিত সাহার। অন্যদিকে একইভাবে জমিতে ধান কাটার সময় আচমকায় ঝড় বৃষ্টিতে এই বাজ পড়ে মৃত্যু হয়, রতুয়া থানার বালুপুর এলাকার গৃহবধূ সুমিত্রা মন্ডলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে আনার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

মে ১৬, ২০২৪
রাজ্য

নির্বাচনের মুখে মালদায় বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা

লোকসভা নির্বাচনের মুখে চাঁচোলের বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় চাঁচোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির ইনচার্জ তিলক রাম সহ গাড়িতে থাকা আরও তিন দলীয় কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নির্বাচন কমিশনের স্কোয়াড বাহিনীর অফিসারেরা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচোল থানার পাহাড়পুর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। যদিও চাঁচোলের বিজেপি নেতা তিলক রাম স্বীকার করেছে যে দলের জেলা নেতৃত্ব বুথ খরচের জন্য এই টাকাগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আর বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হতেই মালদায় শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক।পুলিশ সূত্রে খবর, লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের স্কোয়াড বাহিনী মালদার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালানো শুরু করেছে। মূলত মালদার বিহার, ঝাড়খন্ড সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেই বেশি করেই তদারকি চলছে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্রের চার বিজেপি নেতা একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ে মালদা থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় চাঁচোলের পাহাড়পুর বাইপাস রোডে ওই গাড়িটি আটকায় নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী টিম স্কোয়াড বাহিনীর অফিসারেরা। কিন্তু পুলিশের ঘেরাটোপে এড়িয়ে গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই স্কোয়াড টিমের অফিসারেরা ধাওয়া করে গাড়িটিকে মাঝ রাস্তায় আটক করে । তারপরে ওই গাড়ি থেকেই ৮ লক্ষ টাকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিজেপির বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্র, ফেস্টুন। এই ঘটনার পর উদ্ধার হওয়া ৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের চাঁচোল ১ ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি জানিয়েছেন, বুথ খরচের জন্য এত টাকা বিজেপি দিচ্ছে তা ভাবতে অবাক লাগছে। এসবই কালো টাকা। মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না। অথচ সেই গরিব মানুষের টাকা ভোটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের মাধ্যমে মানুষ এর বিচার করবে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলেও আমরা আশা করছি।চাঁচোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির ইনচার্জ তিলক রাম জানিয়েছেন, মালদা জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই এই আট লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বুথ খরচের জন্য। এদিন জেলা বিজেপি পার্টি অফিস থেকে টাকাগুলি নিয়েই আমরা চাঁচোলে আসছিলাম। তখনই পুলিশ নজরদারি চালিয়ে টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যাদের গাড়ি থেকেই টাকাগুলি উদ্ধার হয়েছে সেই বিজেপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়ার টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার রুজু করা হয়েছে।

মে ০২, ২০২৪
রাজ্য

বিএমওএইচকে সরাতে পথ অবরোধ, কেন এই দাবি?

মালদার বামনগেলা ব্লকের বিএমওএইচকে বদলির দাবিতে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। গত মঙ্গলবার বামনগোলা ব্লকের মুদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়াতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই অসন্তোষের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এদিন মুদিপুকুর হাসপাতালের সামনে মালদা - নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বামনগোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। এরপর বিওএমএইচের বদলিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়েই সংশ্লিষ্ট ব্লকের ডেপুটেশন দেয় বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মুদিপুকুর গ্রামীন হাসপাতালটি এলাকার একমাত্র চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র। বামনগোলা থেকে মালদা মেডিকেল কলেজের দুরুত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। ফলে রাত-বেড়াতে অতি সহজেই রোগীদের মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এর জন্য অসংখ্য গ্রামবাসীদের কাছে মুদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরসা। কিন্তু এই হাসপাতালের ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। যার জন্যই এদিন বিএমওএইচ সুদীপ কুন্ডুর বদলি দাবি নিয়ে গ্রামবাসীরা সোচ্চার হন।পুলিশো স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার মুদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন এক রোগীর মৃত্যু হয় । মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির জেরে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর তারপর থেকেই বিএমওএইচ-এর ওপর ক্ষোভ বাড়তে থাকে।যদিও এপ্রসঙ্গে বামনগোলা ব্লকের বিএমওএইচ ডা: সুদীপ কুণ্ডু কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশ জানিয়েছে কিছু মানুষ এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
রাজ্য

পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে মালদায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সভা

মালদার বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে মালদা শহরে জেলার সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হল। মালদার মূল সমস্যা পরিযায়ী শ্রমিক। নানা রাজ্যে গিয়ে সমস্যায় পড়ে মালদা সহ নানা জেলার বাঙালিরা৷ কিন্তু অন্য রাজ্যে কাজে কেন যেত হবে? বাংলায় কি কাজ নেই? বাংলা পক্ষ ৫ বছরের লড়াইয়ে বুঝেছে, বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। এমনকি মালদায় কাজ না থাকলে বিহার-ইউপির লোকজন এত বাড়ছে কেন? মালদা-মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন যে শিল্প তালুক তৈরি হচ্ছে সেখানে অধিকাংশই চাকরি ও কাজ করছে বিহার-ইউপির লোকজন। অথচ বাঙালি অন্য রাজ্যে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। নানা রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলাদেশী সন্দেহে আক্রমণের শিকার হয়। কিন্তু বাংলার শহর ও শিল্পাঞ্চল গুলোয় চাকরি-কাজ- ব্যবসা বহিরাগতদের হাতে। আমরা তাই সমস্ত বেসরকারি চাকরি-কাজে ও টেন্ডারে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই।বাংলা পক্ষের দাবি, এছাড়া মালদায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে, মূলত আম নির্ভর শিল্পে আরও জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে এবং তা জেলার ছেলেমেয়েদের দিতে হবে। মালদার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ। লোকাল ট্রেন নেই। মালদা থেকে শিলিগুড়ি দুই দিনাজপুর হয়ে (বিহার নয়) লোকাল ট্রেন চালাতে হবে। ফারাক্কার টোল ট্যাক্স তুলে দিতে হবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ফারাক্কা। কিন্তু এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে দিল্লিকে টাকা ট্যাক্স হিসাবে দিতে হবে কেন? রেলের ডিভিশন অফিস মালদা থেকে সরিয়ে ভাগলপুরে নিয়ে যাওয়া যাবে না।আজকের সাংগঠনিক মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, মালদার নেতৃত্ব রফিক আহমেদ, শুভ্রজ্যোতি দত্ত, মালদার ভূমিপুত্র তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ডঃ আব্দুল লতিফ প্রমুখ।আগামীতে পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার সমাধান ও ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালুর দাবিতে জেলা জুড়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলবে বাংলা পক্ষ।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
রাজ্য

কুমিরের পর এবার গঙ্গায় ধরা পড়ল ঘড়িয়াল, মালদার গ্রামে হইচই

এর আগে গঙ্গায় কুমির দেখা গিয়েছিল। কুমির ধরাও পড়েছিল। এবার এল ঘড়িয়াল। বুধবার সকালে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝিদের জালে ধরা পড়লো একটি ঘড়িয়ালের বাচ্চা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উৎসবটোলা এলাকায়। এরপর মাঝিরা ওই ঘড়িয়ালের বাচ্চাকে গঙ্গা নদী থেকে নিজেদের উৎসবটোলা গ্রামে নিয়ে আসে। ঘড়িয়াল দেখতে ভীড় করে স্থানীয় মানুষজন। তারপর খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। পরে বনদপ্তরের কর্মীরা এসে ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।উৎসবটোলা এলাকার মাঝি তুফান চৌধুরী জানান, এদিন ভোরে তিনি মথুরাপুরের গঙ্গা নদীতে নৌকায় করে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় তার জালেই একটি বাচ্চা ঘড়িয়াল আটকে পড়ে। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কোনওরকমে জালে পেঁচানো ওই ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গ্রামে।বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘড়িয়াল বর্ষার মরশুমে মাঝেমধ্যেই মালদার ফুলাহার এবং গঙ্গা নদীতে দেখা যায়। মূলত ঘড়িয়ালরা প্রজনন ঘটাতে এবং খাবারের খোঁজে এইসময় নদীতে চলে আসে। ফোর ঘড়িয়ালটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বন দফতর।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

দুই ভাইকে গাছে বেঁধে ছোট ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা, চাঁচলের ঘটনায় উত্তাল

দুই ভাইকে পোলের সঙ্গে বেঁধে রেখে, আরেক ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠলো জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে চরম বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। মৃতদেহ গ্রামের রাস্তায় ফেলে রেখেই পুলিশের সামনে চলে তুমুল বিক্ষোভ। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ এই শুট আউটের ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল থানার জালালপুর গ্রামে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির ছোট ছেলেকে মাথায় গুলি করার পর দেহের বিভিন্ন অংশেও গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হন। মৃত ওই যুবকের পরিবার হামলাকারী গফুর আলী, আহাদ শেখ, খাইরুল শেখ, শাহজাহান আলী সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সহিদুল আলী (৩০)। তিনি পেশায় মুয়াজ্জেম ছিলেন। সহিদুলরা ছিল ছয় ভাই। সে বাড়ির ছোট। পরিবারে তাঁর স্ত্রী এবং এক নাবালক সন্তান রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমির দখলদারিকে ঘিরে গোলমালের জেরেই এই শুট আউটের ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। মৃতের এক দাদা সামিউল শেখ জানিয়েছেন, তাদের একটি চার বিঘার জমি দখলদারিকে ঘিরেই গফুর আলি ও তার দলবলের সঙ্গেই গোলমাল চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই নিয়ে আদালতে মামলাও পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এদিন অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে তাঁদের জমি দখল করতে আসে। সেই সময় তাঁরা বাধা দিলে তাঁদের দুই ভাইকে জমির সামনে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। তারপরেই ছোট ভাই সাইদুল আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার সময় কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা একবারের জন্য বাধা দিতে আসেননি। চোখের সামনে ভাইকে গুলি করে দেওয়ার পর দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আর তারপরে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য , সহিদুল আলী অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। ওই পরিবারটি কারও সঙ্গে কোন রকম ঝামেলার মধ্যে ছিল না। ওদের একটি জমির দখলদারি নিয়েই মামলা চলছিল। এরপরই এদিন দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যেই ওই পরিবারটির কয়েকজন সদস্যকে মারধর করে এবং সাইদুলকে গুলি করে খুন করেছে। এই ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। চাচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত ঘটনাকে ঘিরেই গোলমালে সূত্রপাত। তারপরই এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে গোটা এলাকায় তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।

আগস্ট ৩০, ২০২৩
দেশ

মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনের চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি অধীরের

মিজোরামের দুর্ঘটনায় মালদার শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ফোনে পাননি, কিন্তু রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। অসহায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে যে করেই হোক সবাইকে একসঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, বলেন বহরমপুরের সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদায় মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন চাঁচল মহকুমার পুখুরিয়া থানার কোকলামারী চৌদুয়ারি গ্রামে যান সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই গ্রাম থেকেই ১৬ জন শ্রমিক মিজোরামের কাজ করতে গিয়ে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। মিজোরামের রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মালদার মোট ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে চৌদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও ইংরেজবাজার ব্লকের সাটটারি এবং নরহাট্টা গ্রামেরও শ্রমিকরাও রয়েছেন।এদিন চৌদুয়ারি গ্রামের মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, মিজোরাম সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই সামান্য টাকায় ওইসব মৃত শ্রমিকদের পরিবারের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। আমি ওইসব পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, ওরা খুব অসহায়। ওদের পাশে কেউ নেই। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁকে পাইনি। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বলেছি মৃত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মৃত শ্রমিকদের পরিবারের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।

আগস্ট ২৪, ২০২৩
রাজ্য

১৮ অগাষ্ট বাংলার এই জেলায় পালিত হল স্বাধীনতা দিবস, কেন ১৫ অগাস্ট নয়?

একই দেশ। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের দিন ভিন্ন। গত মঙ্গলবার ১৫ অগাস্ট দেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু মালদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ নয়, ১৮ অগাস্ট। এই দিনে স্বাধীনতা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে সামনে রেখেই শুক্রবার মালদায় পালিত হলো স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল। ইংরেজরা দেশ ছেড়েছিল। ঠিক সেই সময় মালদা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন সর্বত্র ছিল আলোর রোশনাই তখন মালদা ডুবেছিল গাঢ় অন্ধকারে। সেই সময়কার স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই তিনদিন পর স্বাধীনতা পায় আমের জন্য খ্যাত মালদা জেলা। মালদার কালেক্টরের ভবনে পূর্ব পাকিস্তানের ঝান্ডা নামিয়ে উড়ানো হয় ভারতীয় তিরঙ্গা। আর সেই পুরনো স্মৃতিকে বজায় রেখেই আজও মালদায় ১৮ আগস্টে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে স্বাধীনতা দিবস।শুক্রবার মালদা শহরের গ্রন্থাগারের বই বাগানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাসের উদ্যোগে এবং মালদার বিশিষ্ট শিল্পীরা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ীর নেতৃত্বে ১৮ আগস্ট উপলক্ষে মালদার স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রবীণ মানুষদের উপস্থিতিতে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। তখন গোটা দেশ এই স্বাধীনতার উৎসবে মেতে উঠেছিল। সেই সময় মালদা ছিল পরাধীন। পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অধীনে চলে গিয়েছিল মালদা জেলার দশটি থানা। এই নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। মালদার কালেক্টারে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। কিন্তু সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ব্যারিস্টারদের হস্তক্ষেপেই শুরু হয় সীমানা নির্ধারণের লড়াই। এরপর ১৮ আগস্ট মালদা জেলা ভারতের অংশ বলেই ঘোষণা করা হয়। আর সেই ১৮ আগস্ট থেকেই শুরু হয় মালদার স্বাধীনতা দিবস। পূর্ব স্মৃতি ও অতীত বিজড়িত অনেক কাহিনী মালদার এই স্বাধীনতাকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে। দুটি জায়গাতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কচিকাঁচা থেকে বড়রা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

আগস্ট ১৮, ২০২৩
রাজ্য

আপাতত মুক্তি মিলল মালদার দুই নির্যাতিতার, সংবর্ধনা সমাজসেবী সংস্থার

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মালদার দুই নির্যাতিতা মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হল। মঙ্গলবার মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। নতুন শাড়ি, ফুলের মালা এবং কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে মালদার দুই নির্যাতিতা মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় এদিন। উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী মধুময় সরকার। উল্লেখ্য, মালদার পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর পাল্টা দোষীদের গ্রেপ্তার না করে ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ দুই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পরে। এদিকে পাকুয়া পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ দিয়ে জেলে পাঠানো হয় দুই মহিলাকে বলে জানা যায়। ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠে গোটা জেলা জুড়ে। অবশেষে সোমবার মালদা জেলা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তাঁরা। জানা গিয়েছে, এরপর মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা এই দুই মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।

জুলাই ২৫, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal