• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ipl,

খেলার দুনিয়া

ছক্কার রেকর্ড!‌ ক্রিস গেইলদের তালিকায় ঢুকে গেলেন রোহিত

শুক্রবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে জয় তুলে নেওয়ার পাশাপাশি একটা কৃতিত্বের অধিকারী হলেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ২০০ ছক্কার মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন। পুল শটের ব্যাপারে রোহিত শর্মার সমকক্ষ বিশ্বের খুব কম ব্যাটারই রয়েছেন। তিনি যখন ছন্দে থাকেন, তাঁর পুল শট দেখাটা সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। একেবারে নয়নাভিরাম শট। রোহিত শুক্রবার মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে তাঁর ট্রেডমার্ক পুল শট মেরে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। চলতি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেই তিনি সর্বোচ রান করেন। ২৮ বলে ৪৩ রান করে তিনি রশিদ খানের বলে এলবিডব্লু হন। এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে আলজেরি জোসেফের বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে পুল শটে ছক্কা মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২০০টি ছক্কা মারার রেকর্ড করেন রোহিত। কায়রন পোলার্ডের পরে রোহিত শর্মাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। কায়রন পোলার্ড মেরেছেন ২৫৭টি ছক্কা। এদিন মহম্মদ সামির বলেও ল্যাপ শটে আর একটি ছক্কা মারেন রোহিত। এদিন ২০০ ছক্কার মাইলস্টোনে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কার অভিজাত তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সবথেকে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড রয়েছে ক্রিস গেইলের। ক্রিস গেইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২৬৩টি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর পরেই রয়েছেন কায়রন পোলার্ড। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে এবি ডিভিলিয়ার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে তিনি মেরেছেন ২৪০টি ছক্কা। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি মেরেছেন ২২৮টি ছক্কা।এছাড়া আইপিএলে ২০০ ছক্কার ক্লাবে রয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের সুরেশ রায়না। তিনি মেরেছেন ২২০ ছক্কা। মহেন্দ্র সিং ধোনি মেরেছেন ২১৮ ছক্কা। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় ডেভিড ওয়ার্নারকেও ছাড়িয়ে গেলেন রোহিত। ৬৪৯৯ রান করে বিরাট কোহলি তালিকার শীর্ষে। শিখর ধাওয়ানস করেছেন ৬১৫৩। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে রোহিত।

মে ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এভাবেও ফিরে আসা যায়!‌ সম্মানের লড়াইয়ে শেষ ওভারে নাটকীয় জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের

এভাবেও ফিরে আসা যায়! মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। নিশ্চিত হারা ম্যাচ জিতল রোহিত শর্মার দল। নাটকীয় ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে হারাল ৫ রানে। শেষ ওভারে নাটক জমে ওঠে। ৬ বলে গুজরাটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯। ড্যানিয়েল স্যামসের প্রথম বলে ওঠে ১ রান। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট রাহুল তেওয়াটিয়া (৩)। চতুর্থ বলে ১ রান। পঞ্চম বলে কোনও রান হয়নি। শেষ বলেও কোনও রান নিতে পারেননি ডেভিড মিলার (১৪ বলে অপরাজিত ১৯)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারালেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যেত। নাটকীয় ম্যাচে ৫ রানে হেরে প্লে অফের ছাড়পত্র ঝুলিয়ে রাখল। জয়ের জন্য ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৭২/৬ রানে থেমে গেল গুজরাট টাইটান্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ ওভারে নাটকীয় জয় এনে দেন ড্যানিয়েল স্যামস।এদিন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ১৭৭। মনে হচ্ছিল আগের ম্যাচে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় পাওয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্স গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। ব্যাটারদের লড়াই একসময় মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছিল বোলারদের ব্যর্থতায়। শেষ মুহূর্তে দারুণ প্রত্যাবর্তন। শুরুতে গুজরাট টাইটান্সের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলের সামনে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা। ওপেনিং জুটিতে ১২ ওভারে দুজনে তোলেন ১০৬। মুরুগান অশ্বিন গুজরাটকে প্রথম ধাক্কা দেন। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন শুভমান গিলকে। ৩৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন শুভমান। একই ওভারের শেষ বলে ঋদ্ধিমানকেও ফেরান অশ্বিন। ৪০ বলে ৫৫ রান করেন ঋদ্ধি।একই ওভারে পরপর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। চাপ আরও বেড়ে যায় সাই সুদর্শন (১১ বলে ১৪) ও হার্দিক পান্ডিয়া (১৪ বলে ২৪) ১০ বলের ব্যবধানে আউট হওয়ায়। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল গুজরাটের। ১৯তম ওভারে যশপ্রীত বুমরার বলে ওঠে ১১।টস জিতে এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে প্রথম ধাক্কা খায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লু হন রোহিত। প্রথমে অন ফিল্ড আম্পায়ার রোহিতকে আউট দেননি। রশিদ ডিআরএসের আশ্রয় নেন। টিভি আম্পায়র রিপ্লে দেখে রোহিতকে আউট দেওয়ার কথা বলেন অন ফিল্ড আম্পায়ারকে। ৫টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন রোহিত। তিনি আউট হওয়ার ২ ওভার পরেই সূর্যকুমার যাদবকে তুলে নেন প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। ১১ বলে ১৩ রান করেন সূর্যকুমার। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে ঈশান কিষানকে তুলে নেন আলজেরি জোশেফ। ২৯ বলে ৪৫ রান করেন ঈশান। ঈশান আউট হওয়ার পর রান তোলার গতি কমে যায় মুম্বইয়ের। কায়রন পোলার্ড চলতি আইপিএলে একেবারেই ছন্দে নেই। এদিন ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করে রশিদ খানের গুগলিতে পরাস্ত হয়। তিলক ভার্মা ১৬ বলে করেন ২১ রান। শেষদিকে টিম ডেভিড ঝড় তুলে মুম্বইকে ১৭৭/৬ রানে পৌঁছে দেন। ২১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। এদিন দারুণ বোলিং করে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন রশিদ খান।

মে ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অতীতকে স্পর্শ করতে পারলেন না ধোনি, প্লে অফ স্বপ্নের অপমৃত্যু চেন্নাইয়ের

অতীতকে স্পর্শ করতে পারলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। হয়ে উঠতে পারলেন না ফিনিশার। ১৯ তম ওভারে জস হ্যাজেলউডের প্রথম বল গ্যালারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। ডিপ মিড উইকেটে রজত পতিদারের হাতে ধরা পড়তেই জয়ের স্বপ্ন শেষ চেন্নাই সুপার কিংসের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে ১৩ রানে হেরে চলতি আইপিএলে প্লে অফের স্বপ্নের সলিল সমাধি চেন্নাইয়ের। জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের ১৮ বলে দরকার ছিল ৪৭। বাইশ গজে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও মইন আলি। এই রকম পরিস্থিতিতে দলকে বহু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন ফিনিশার ধোনি। পারলেন না। তাঁর হাত ধরেই আগের ম্যাচে জয়ের সরণিতে ফিরেছিল চেন্নাই। এদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হারলেই প্লে অফের সম্ভাবনা শেষ। ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারলেন না ধোনিরা। জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের মতো না হলেও এদিনও চেন্নাইয়ের শুরুটা খারাপ হয়নি। লড়াইয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (২৩ বলে ২৮) ও ডেভন কনওয়ে। ব্যাট করার সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি বুঝে গিয়েছিলেন বাইশ গজে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই শাহবাজ আমেদের হাতে নতুন বল তুলে দিতে দ্বিধা করেননি ডুপ্লেসি। ছন্দে থাকা ঋতুরাজকে তুলে নেন শাহবাজ। উথাপ্পা (১) ও রায়ুডুকে (১০) ফিরিয়ে চেন্নাইকে চাপে ফেলে দেন ম্যাক্সওয়েল। দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডেভন কনওয়ে (৩৭ বলে ৫৬)। তাঁকে তুলে নেনে হাসারাঙ্গা। অনেকেই আশা করেছিলেন নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে চাপমুক্ত হয়ে নিজের খেলা ফিরে পাবেন রবীন্দ্র জাদেজা (৩)। তিনিও ব্যর্থ। বল হাতে সাফল্য পাওয়ার পর ব্যাট হাতে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মইন আলি। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। ২৭ বলে ৩৪ রান করে তিনি হর্ষল প্যাটেলের বলে আউট হন। ৩ রান করেন ধোনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬০/৮ তোলে চেন্নাই। টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিজ জুটিতে ওঠে ৬২। এরপরই মইন আলির আঘাত। এদিন মিচেল স্যান্টনারের জায়গায় তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেয় চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট। আস্থার মর্যাদা দিলেন মইন। মইনের হাত ধরেই প্রথম ব্রেক থ্রু আসে। প্রথমে তুলে নেন ছন্দে ফেরা ফাফ ডুপ্লেসিকে। ২২ বলে ৩৮ রান করে তিনি আউট হন। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩) রান আউট। ৫ বল পরেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে সবথেকে বড় ধাক্কা দেন মইন। তুলে নেন বিরাট কোহলিকে। মইনের অফ স্টাম্পের ওপরে পড়া বল কোহলির ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে উইকেট ভেঙে দেয়। ৩৩ বলে ৩০ রান করে আউট হন কোহলি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসা মহীপাল লোমরোর ও রজত পতিদার। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন রজত। ২৭ বলে ৪২ রান করেন মহীপাল লোমরোর। মহীপাল ও হাসারাঙ্গাকে (০) পরপর ২ বলে তুলে নেন মহেশ থিকসানা।একই ওভারের শেষ বলে ফেরান শাহবাজকে (১)। দীনেশ কার্তিক ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন মহেশ থিকসানা। ২৮ রানে ২ উইকেট মইনের।

মে ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টি২০ সুলভ ব্যাটিং কেন করতে পারলেন না বিরাট কোহলি?‌

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও আবার আটকে গেলেন বিরাট কোহলি। টি২০ সুলভ ব্যাটিং পাওয়া গেল না তাঁর কাছ থেকে। তবুও চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তুলল ১৭৩। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বড় রান তুলল মহীপাল লোমরোর, দীনেশ কার্তিকদের সৌজন্যে।প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে। ৯ ম্যাচে চেন্নাইয়ের পয়েন্ট ৬। আর একটা হার মানেই প্লে অফের স্বপ্ন শেষ। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল। ধোনিদের কাছে হারলেই প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগের ম্যাচে তাঁর নেতৃত্বেই জয়ের সরণিতে ফিরেছে চেন্নাই। এদিনও ধোনির নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু চেন্নাইয়ের বোলারদের কোনও সুযোগ না দিয়ে ভাল শুরু করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিজ জুটিতে ওঠে ৬২। এরপরই মইন আলির আঘাত। এদিন মিচেল স্যান্টনারের জায়গায় তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেয় চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট। আস্থার মর্যাদা দিলেন মইন। মইনের হাত ধরেই প্রথম ব্রেক থ্রু আসে। প্রথমে তুলে নেন ছন্দে ফেরা ফাফ ডুপ্লেসিকে। ২২ বলে ৩৮ রান করে তিনি আউট হন। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩) রান আউট। ৫ বল পরেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে সবথেকে বড় ধাক্কা দেন মইন। তুলে নেন বিরাট কোহলিকে। মইনের অফ স্টাম্পের ওপরে পড়া বল কোহলির ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে উইকেট ভেঙে দেয়। ৩৩ বলে ৩০ রান করে আউট হন কোহলি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসা মহীপাল লোমরোর ও রজত পতিদার। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন রজত। ২৭ বলে ৪২ রান করেন মহীপাল লোমরোর। মহীপাল ও হাসারাঙ্গাকে (০) পরপর ২ বলে তুলে নেন মহেশ থিকসানা।একই ওভারের শেষ বলে ফেরান শাহবাজকে (১)। দীনেশ কার্তিক ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন মহেশ থিকসানা। ২৮ রানে ২ উইকেট মইনের।

মে ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের অক্সিজেন পেল নাইট রাইডার্স

টানা ৫ ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে অফের সম্ভাবনাও থেকেও অনেকটাই দুরে সরে গিয়েছিল। অবশেষে জয়ের মুখ দেখল শ্রেয়স আয়ারের দল। মরণবাঁচন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নিল। বোলারদের দাপটে এদিন রাজস্থান রয়্যালকে কম রানে বেঁধে রেখেছিল নাইটরা। জয়ের জন্য সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫৩। খুব একটা কঠিন লক্ষ্য ছিল না। তবু পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে অ্যারন ফিঞ্চ ও বাবা ইন্দ্রজিৎকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নাইট রাইডার্স। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানা চাপ কাটিয়ে দলের জয়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। ১০ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল, এখনও সঠিক কম্বিনেশন নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট বেছে নিতে পারল না। খারাপ ফর্মের জন্য এদিন ভেঙ্কটেশ আয়ারকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখে অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে বাবা ইন্দ্রজিৎকে ওপেন করতে পাঠানো হয়। দুই ওপেনারই এদিন দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে (৭ বলে ৪) তুলে নেন কুলদীপ সেন। ২ ওভার পরেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শিকার বাবা ইন্দ্রজিৎ। ১৬ বলে ১৫ রান করে তিনি আউট হন। ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানা। জুটিতে ওঠে ৬০ রান। শ্রেয়সকে (৩২ বলে ৩৪) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের আর কোনও সুযোগ দেননি নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। তাঁদের ৬৬ রানের জুটি নাইট রাইডার্সকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ৫ বল বাকি থাকতে ১৫৮/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় নাইট রাইডার্স। ৩৭ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রানা। ২৩ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটাও ভাল হয়নি। নাইট বোলারদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল জস বাটলারের ঝড় আটকানো। সেই লক্ষ্যে সফল উমেশরা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন উমেশ। নবম ওভারের তৃতীয় বলে বাটলারকে তুলে নেন টিম সাউদি। ২৫ বলে তিনি ২২ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচগুলোর মতো দাপট দেখাতে পারেননি বাটলার। এরপর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন করুণ নায়ার। ১৩ বলে ১৩ রান করে অনুকূল রায়ের বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। রিয়ান পরাগ ১২ বলে করেন ১৯। দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। শেষদিকে ঝড় তুলে ১৩ বলে ২৭ রান করে রাজস্থানকে ১৫২/৫ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন শিমরন হেটমায়ার। ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন সাউদি। ১ টি করে উইকেট পান উমেশ যাদব, অনুকূল রায় ও শিবম মাভি।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাটলার আটকে যেতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ রাজস্থানের, মান বাঁচালেন সঞ্জু

প্লে অফের ছাড়পত্র আসবে কিনা সেকথা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও খুব বেশি আশাবাদী নন। সম্মান বাঁচানোই এখন মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল শ্রেয়সরা। জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন সমৃদ্ধ রাজস্থান রয়্যালসকে আটকে রাখল মাত্র ১৫২/৫ রানে। দারুণ বোলিং করলেন উমেশ যাদব, সুনীল নারাইনরা। বাটলার আটকে যেতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ রাজস্থানের। ডু অর ডাই ম্যাচে এদিন প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। খারাপ ফর্মের জন্য প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ের গতবছর দলকে প্লে অফে তোলার নায়ক ভেঙ্কটেশ আয়ার। তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অনুকূল রায়। এছাড়াও প্রথম একাদশে নেওয়া হয় শিবম মাভিকে। অন্যদিকে, ড্যারিল মিচেলের জায়গায় করুণ নায়ারকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। উমেশ যাদবদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল জস বাটলারের ঝড় আটকানো। নাইট বোলাররা সেই কাজে সফল। এদিন দারুণ শুরু করেছিলেন উমেশ যাদব। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন দলকে টেনে নিয়ে গেলেও সেই দাপট ছিল না। নবম ওভারের তৃতীয় বলে বাটলারকে তুলে নেন টিম সাউদি। ২৫ বলে তিনি ২২ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন করুণ নায়ার। প্রথম একাদশে এদিন সুযোগ পেয়েও নিজেকে অবশ্য ভালভাবে মেলে ধরতে পারলেন না করুণ নায়ার। ১৩ বলে ১৩ রান করে তিনি অনুকূল রায়ের বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রিয়ান পরাগ ১২ বলে ১৯ রান করে সাউদির বলে আউট হন। একের পর এক উইকেট পেলেও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪৯ বলে ৫৪ রান করে তিনি শিবম মাভির বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সুনীল নারাইন, উমেশ যাদবরা এদিন একেবারেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ দেননি সঞ্জুকে। শেষদিকে ঝড় তুলে ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেটমায়ার। তাঁর সৌজন্যেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫২/৫ রানে পৌঁছয় রাজস্থান রয়্যালস। ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন সাউদি। ১ টি করে উইকেট পান উমেশ যাদব, অনুকূল রায় ও শিবম মাভি।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌সংসারে অশান্তির আগুন নিয়ে রাজস্থানের বিরুদ্ধে নামছে নাইট রাইডার্স

সোমবার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্সের কাছে বলতে গেলে ডু অর ডাই ম্যাচ। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই শ্রেয়স আয়ারের দলের কাছে। এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়ে নাইট শিবির।চলতি আইপিএলে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ৪ ম্যাচে তিনটিতে জিতে শুরুর দিকে বেশ ভাল জায়গাতেই ছিল। তারপর হঠাৎই ছন্দপতন। শেষ পাঁচটি ম্যাচ হেরে একেবারে খাদের কিনারে। প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলিতে জিততেই হবে নাইট রাইডার্সকে। এই অবস্থায় সোমবার এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে, যারা যথেষ্ট ভাল ছন্দে রয়েছে। সুতরাং নাইটদের কাছে কাজটা যে সহজ হবে না, সেকথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে নাইটদের। কাজটা যে যথেষ্ট কঠিন, সেকথা খুব ভালভাবেই জানেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাই প্লে অফের স্বপ্ন তিনি দেখছেন না। শ্রেয়সের একটাই লক্ষ্য দলের সম্মান রক্ষা করা। সেই লক্ষ্যেই সতীর্থদের নিজেদের উজার করে দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও নাইট শিবিবের অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যার নমুনা পাওয়া গেছে টিম সাউদির কথায়। দলের এই জোরে বোলার সরাসরি ওপেনারদের দিকে আঙুল তুলেছেন। প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।জস বাটলারের কথা মাথায় রেখে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্সকে প্রথম একাদশে ফেরানোর ভাবনা শুরু হয়েছে। ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেলদের ফর্মও চিন্তায় রাখছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। ব্যাটে একমাত্র রান রয়েছে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ও নীতিশ রানার। নীতিশ রানাকে কেন আরও ওপরে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আসলে সঠিক কম্বিনেশন বেছে নিতে না পারার জন্যই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নাইট রাইডার্সকে। গতবছর আইপিএলে শেষ পর্বে টানা ম্যাচ জিতে প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছিল নাইটরা। এবছর কাজটা একটু বেশিই কঠিন।দুই দলের সাক্ষাৎকারে নাইট রাইডার্স সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছে। ২৬ সাক্ষাৎকারের মধ্যে নাইটরা জিতেছে ১৩টি ম্যাচে, অন্যদিকে রাজস্থান জিতেছে ১২ ম্যাচে। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে ৭ রানে জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। এবার নাইটদের সামনে প্রতিশোধের সুযোগ। শ্রেয়স আয়ারের দলকে জিততে গেলে জস বাটলারকে আটকাতেই হবে।

মে ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ধোনির হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন যেতেই ভাগ্য বদলে গেল চেন্নাইয়ের

রবীন্দ্র জাদেজার হাত থেকে নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনির হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন যেতেই ভাগ্য বদলে গেল চেন্নাই সুপার কিংসের। থালার নেতৃত্বে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৩ রানে হারিয়ে প্লে অফের লাইফলাইন পেল চেন্নাই। ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল। এদিন চেন্নাইয়ের জয়ের নায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। এই দুই ওপেনারের দাপটে সানরাইজার্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় চেন্নাই। পরে বল হাতে সাফল্য মুকেশ চৌধুরির। প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের দাপটে ২০ ওভারে ২০২/২ রান তোলে চেন্নাই সুপার কিংস। ওপেনিং জুটিতে এই দুই ব্যাটার তোলেন ১৮২। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোনও বোলারই এদিন চেন্নাইয়ের এই দুই ওপেনারের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ তম ওভারের পঞ্চম বলে জুটি ভাঙেন টি নটরাজন। তিনি তুলে নেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। ৫৭ বলে ৯৯ রান করে আউট হন ঋতুরাজ। আইপিএলের ইতিহাসে তিনিই হলেন পঞ্চম ব্যাটার যিনি ৯৯ রানে আউট হলেন। তাঁর আগে ৯৯ রানে আউট হয়েছেন বিরাট কোহলি, পৃথ্বী শ, ঈশান কিষান ও ক্রিস গেইল। ডেভন কনওয়ে ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিন নম্বরে নেমে ধোনি ৭ বলে ৮ রান করে আউট হন। তিনিও নটরাজনের শিকার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রান তোলে চেন্নাই। ৪২ রানে ২ উইকেট নেন নটরাজন। জয়ের জন্য ২০৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৫.৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলে ৫৮। সানরাইজার্সকে প্রথম ধাক্কা দেন মুকেশ চৌধুরি। তুলে নেন ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে (২৪ বলে ৩৯)। পরের বলেই ফেরান রাহুল ত্রিপাঠীকে (০)। পরপর ২ উইকেট হারালেও রানের গতি কমেনি সানরাইজার্সের। উইলমিয়ামসন (৩৭ বলে ৪৭), এইডেন মার্করামরা (১০ বলে ১৭) আউট হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান নিকোলাস পুরান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান তুলতে সমর্থ হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিকোলাস পুরান ৩৩ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুকেশ চৌধুরি ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন।

মে ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

৯৯ রানে আউট হয়ে বিরাট কোহলিদের তালিকায় নাম লেখালেন ঋতুরাজ

রবীন্দ্র জাদেজার হাত থেকে নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে যেতেই ছন্দে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের সাক্ষাৎকারে প্রথমে ব্যাট করে বড় রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই তুলল ২০২/২। দুরন্ত ব্যাটিং করে চেন্নাইকে বড় রানে পৌঁছে দিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ঋতুরাজ। এদিন ৯৯ রানে আউট হয়ে নাম লেখালেন বিরাট কোহলিদের তালিকায়। ডেভন কনওয়ে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। চলতি আইপিএলের শুরুর দিকে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। পরে ছন্দে ফিরেছেন। এদিন মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া। আইপিএলের ইতিহাসে ঋতুরাজ পঞ্চম ব্যাটার যিনি ৯৯ রানে আউট হলেন। তিনি নাম লেখালেন বিরাট কোহলি, পৃথ্বী শ, ঈশান কিশান, ক্রিস গেইলদের সঙ্গে। টস জিতে এদিন চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারেও টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক। সেই ম্যাচে অবশ্য চেন্নাই বড় রান তুলতে পারেনি। এদিন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের দাপটে ২০০ রানের গন্ডি পার করে ফেলল। এদিন প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে চেন্নাই সুপার কিংস। ফিট না থাকায় প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে যান ডোয়েন ব্র্যাভো। খারাপ ফর্মের জন্য বাদে দেওয়া হয় শিবম দুবেকে। এদের পরিবর্তে প্রথম একাদশে ঢোকেন ডেভন কনওয়ে ও সিমরনজিৎ সিং। ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। মার্কো জানসেন, টি নটরাজন, উমরান মালিকের মতো জোরে বোলাররা এদিন একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। সবথেকে করুণ অবস্থা উমরান মালিকের। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৪৮ রান। বারবারা বোলিং পরিবর্তন করেও এদিন চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিলেন না কেন উইলিয়ামসন। ১৭.৪ ওভারে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে তোলেন ১৮২। এরপরই নটরাজন ঋতুরাজকে তুলে নেন। দুরন্ত ব্যাটিং করে ৫৭ বলে ৯৯ রান করেন ঋতুরাজ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি করে চার ও ছয়। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে ৩ নম্বরে তুলে নিয়ে আসেন ধোনি। যদিও সফল হননি। ৭ বলে ৮ রান করে তিনি নটরাজনের বলে উমরান মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভন কনওয়ে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৮টি ৪ ও ৪ টি ৬।

মে ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মহসীনের দাপটে আবার জয় লখনউ–র, এগিয়ে গেল প্লে অফের দিকে

আবার জ্বলে উঠলেন মহসীন খান। ১৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নিলেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের ওপর ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ রানে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টস। একই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লোকেশ রাহুলের দল। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। দারুণ শুরু করেছিলেন কুইন্টন ডিকক ও রাহুল। ওপেনিং জুটিতে ৪.১ ওভারে ওঠে ৪২। এরপরই ধাক্কা। শার্দূল ঠাকুর এসে ডিকককে তুলে নেন। ১৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন ডিকক। এরপর দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের আর কোনও সুযোগ দেনন লোকেশ রাহুল ও দীপক হুডা। লখনউর এই দুই ব্যাটারই দারুণ ছন্দে রয়েছেন। বিশেষ করে লোকেশ রাহুলের কথা বলতেই হবে। রাহুল ও দীপক দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৯৫। জুটি ভাঙার জন্য সেই শার্দূল ঠাকুরকেই দায়িত্ব নিতে হয়। নিজের বলেই ক্যাচ ধরে দীপক হুডাকে ফেরান শার্দূল। ৩৪ বলে ৫২ রান করেন হুডা। হুডা আউট হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ৫১ বলে ৭৭ রান করে তিনি শেষ পর্যন্ত আউট হন। ১৬ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্কাস স্টয়নিস। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান তোলে লখনউ। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তিনটি উইকেটই নেন শার্দূল ঠাকুর। জয়ের জন্য সামনে ১৯৬ রানের লক্ষ্য। এই ধরণের লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। সেটাই করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। পৃথ্বী শর ব্যাটে ধারাবাহিকতার অভাব। এজিন মাত্র ৫ রান করে আউট হন। তাঁকে তুলে নেন দুষ্মন্ত চামিরা। ডেভিড ওয়ার্নারও এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৪ বলে ৩ রান করে মহসীন খানের বলে আয়ূশ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৩ ওভারের মধ্যে ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। মিচেল মার্শ পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। ২০ বলে ৩৭ রান করে তিনি কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে তিনি আউট হন। ঋষভ পন্থকে (৩০ বলে ৪৪) তুলে নেন মহসীন খান। ললিত যাদব (৩) রান পাননি। রভম্যান পাওয়েল ২১ বলে করেন ৩৫। তিনি মহসীন খানের শিকার। শার্দূল ঠাকুরকেও (১) তুলে নেন মহসীন। শেষ দিকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল (২৪ বলে অপরাজিত ৪২) ও কুলদীপ যাদব (৮ বলে অপরাজিত ১৬)। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৮৯/৭ তোলে দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন মহসীন খান।

মে ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন জাদেজা, ব্যাটন আবার সেই ধোনির হাতে

অনেকের হাতেই নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সবাই কি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন? সবাই কি সফল অধিনায়ক হতে পারেন? নিশ্চিতভাবেই নয়। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আলাদা গুণ থাকা দরকার। সব ক্রিকেটারের মধ্যে সেই গুণ থাকে না। কেউ বোঝেন, কেউ আবার বোঝেন না। দেরিতে হলেও রবীন্দ্র জাদেজা বুঝেছেন, চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই নেতৃত্বের ব্যাটন ফিরিয়ে দিলেন থালা মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই। এবছর আইপিএল শুরুর আগেই মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছেতেই অধিনায়ক করা হয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে। প্রতিযোগিতার মাঝপথে যেতে না যেতেই আবার সেই ধোনিকেই নেতৃত্ব ফিরিয়ে দিলেন জাদেজা। কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন জাড্ডু? চলতি আইপিএলের শুরু থেকেই একেবারে ছন্দে নেই চেন্নাই সুপার কিংস। ৪ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা ৮ ম্যাচে জিতেছেন মাত্র ২টিতে। ৬ ম্যাচে হার। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গিল টেবিলে রয়েছে ৯ নম্বরে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ জাদেজা। নেতৃত্বের প্রভাব পড়েছে পারফরমেন্সে। নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। এই অবস্থায় নিজের খেলার প্রতি মনোসংযোগ বাড়াতেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অনুরোধ করেছেন দলকে আবার নেতৃত্ব দেওয়ার। দলের স্বার্থে ধোনি আবার দলকে নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। এখন দেখার ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস আবার স্বমহিমায় ফেরেন কিনা। গতবছর নেতা বদল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বে প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে জিতেছিল ২ ম্যাচে। পরে তাঁকে সরিয়ে ইওয়িন মর্গ্যানকে অধিনায়ক করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে টানা ৫ ম্যাচ জিতে প্লে অফে পৌঁছয়। ফাইনালেও উঠেছিল। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছিল।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌দারুণ বোলিং, অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়লেন কুমার কার্তিকেয়া

আইপিলের অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়লেন কুমার কার্তিকেয়ার। জস বাটলারের মতো ব্যাটারও তাঁর বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বড় রান করতে ব্যর্থ রাজস্থান রয়্যালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ৬ উইকেটে ১৫৮।জয়ের খোঁজে এদিন প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জয়দেব উনাদকাতের পরিবর্তে কুমার কার্তিকেয় এবং ডিওয়াল্ড ডেভিসের জায়গায় টিম ডেভিড। এদিন টসে জিতে তিনি রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। আগের ম্যাচগুলির মতো এদিন শুরুর দিকে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যায়নি রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার জস বাটলার ও দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। ড্যানিয়েল সামস ও যশপ্রীত বুমরা জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি। রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন ঋত্ত্বিক সোকেন। তাঁর বলে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাড়িক্কল। ১৫ বলে তিনি করেন ১৫। সঞ্জু স্যামসন এসে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেন। দুটি ছক্কা মেরে ৭ বলে ১৬ রান করে তিনি কুমার কার্তিকেয়ার বলে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়েন।চোট পাওয়া মহম্মদ আর্শাদের পরিবর্তে কুমার কার্তিকেয়াকে দলে নিয়েছে মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই দুরন্ত বোলিং করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নেন। তাঁর বিরুদ্ধে জস বাটলারও ঝড় তুলতে পারেননি। যদিও বাটলারই এদিনও রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। ৫২ বলে ৬৭ রান করে তিনি হার্দিক সোকেনের বলে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।ড্যারেল মিচেলও (২০ বলে ১৭) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আগের ম্যাচে দলকে জয় এনে দেওয়া রিয়ান পরাগও এদিন ব্যর্থ। তিনি ৩ রান করে রিলে মেরেডিথের বলে আউট হন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও (৯ বলে ২১) তুলে নেন রিলে মেরেডিথ। শিমরন হেটমায়ার ১৪ বলে মাত্র ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে রিলে মেরেডিথের বলে মাত্র ৩ রান তুলতে সমর্থ হয় রাজস্থান রয়্যালস। ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ। ঋত্বিক সোকেন ৪৭ রানে নেন ২ উইকেট। ড্যানিয়েল সামস নেন ১ উইকেট।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলির রানে ফেরার দিনে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল গুজরাট টাইটান্স

দুঃসময় কাটিয়ে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে রানে ফিরলেন বিরাট কোহলি। কোহলি রানে ফিরলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অবশ্য খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারল না। আবার হারতে হল গুজরাট টাইটান্সের কাছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল গুজরাট টাইটান্স। ৯ ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার দলের পয়েন্ট ১৬।এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স। ৪ বছর পর আইপিএলের মঞ্চে ফেরা প্রদীপ সাঙ্গোয়ানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডুপ্লেসি (০)। এদিনও খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তিনি। অধিনায়কের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলেও কোহলি অবশ্য রানে ফিরলেন। রজত পতিদারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ওঠে ৯৯। অবশেষে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে জুটি ভাঙেন প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। তুলে নেন রতজ পতিদারকে। ৩২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। অন্যদিকে, কোহলিকে এদিন খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়নি। ৪৫ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এটা তাঁর আইপিএলে ৪৩ তম হাফ সেঞ্চুরি। এদিনও তিনি ওপেন করতে নেমেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৫৮ রান করে তিনি মহম্মদ সামির বলে বোল্ড হন। কোহলির ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও ১টি ছয়। দীনেশ কার্তিক (২) এদিনও ব্যর্থ। শেষ দিকে ঝড় তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনটি ৪ ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩৩ রান করেন। ৮ বলে ১৬ রান করেন মহীপাল লোমরোর। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ৪ বছর পর আইপিএলের মঞ্চে ফিরে দুরন্ত বোলিং করেন প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। ১৯ ওভারে তুলে নেন ২ উইকেট। প্রথমে ব্যাটিং করে খুব একটা খারাপ রান করেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গুজরাট টাইটান্সও জবাব দেওয়ার কাজটা ভালোই শুরু করেছিল। ওপেনিং জুটিতে ঋদ্ধিমান সাহা (২২ বলে ২৯) ও শুভমান গিল (২৮ বলে ৩১) তোলেন ৫১। মাঝে সাই সুদর্শন (১৪ বলে ২০), হার্দিক পান্ডিয়ার (৩) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া জুটি দারুণভাবে চাপ সামলে দেন। এই জুটিই গুজরাটকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। শেষ ১২ বলে জেতার জন্য গুজরাট টাইটান্সের দরকার ছিল ১৯। ১৯ তম ওভারে হর্ষাল প্যাটেলের শেষ বলে ৬ মেরে কাজ অনেকটাই সহজ করে দেন রাহুল তেওয়াটিয়। ওই ওভারে ওঠে ১২। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৭ রান। জয়ের জন্য কোনও বেগ পেতে হয়নি গুজরাট টাইটান্সকে। চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে সহজ জয় এনে দেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া।২৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ২৫ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। ৩ বলে বাকি থাকতে ১৭৪/৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শাহবাজ আমেদ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মহসীন–ক্রূণালদের দুরন্ত বোলিং জয় এনে দিল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে

দুর্দান্ত বোলিং করে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে কম রানে বেঁধে রেখেছিলেন কাগিসো রাবাডারা। কিন্তু দলের বোলারদের প্রয়াস কাজে লাগল না ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। কম রানের পুঁজি নিয়েও পাঞ্জাব কিংসকে ২০ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস। একই সঙ্গে প্লে অফের সম্ভাবনা জোরালো করল লোকেশ রাহুলের দল। মহসীন খান, দুষ্মন্ত চামিরা, ক্রূণাল পান্ডিয়াদের দুরন্ত বোলিং জয় এনে দিল লখনউকে। লখনউর ১৫৩/৮ রানের জবাবে ১৩৩/৮ রানে থেমে গেল পাঞ্জাব।জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিল পাঞ্জাব কিংস। ৪.৩ ওভারে তুলে ফেলে ৩৫। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে পাঞ্জাব কিংসকে প্রথম ধাক্কা দেন দুষ্মন্ত চামিরা। তুলে নেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে। ১৭ বলে ২৫ রান করে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মায়াঙ্ক। পরের ওভারেই ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ানকে (১৫ বলে ৫) তুলে নেন রবি বিষ্ণোই। চার নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ৭ বলে মাত্র ৯ রান করে তিনি ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন। ৮ ওভারের মধ্যেই ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোন জুটি বেঁধে দলকে টানার চেষ্টা করছিলেন। যদিও জুটিটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলেই লিভিংস্টোনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মহসীন খান। পরের ওভারেই জিতেশ শর্মাকে (২ ) ফেরান ক্রূণাল পান্ডিয়া। জনি বেয়ারস্টো (২৮ বলে ৩২) ফিরতেই পাঞ্জাব কিংসের দেওয়াল লিখন পরিস্কার হয়ে যায়। ঋষি ধাওয়ানের লড়াই কাজে লাগেনি। ২২ বলে ২১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যম্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে থেমে যায় পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন মহসীন খান। দুষ্মন্ত চামিরা (২/১৭), ক্রূণাল পান্ডিয়াও (২/১১) দুরন্ত বোলিং করে দলের জয়ে অবদান রাখেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লখনউ সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি। দুরন্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিন ব্যর্থ। তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাডার পঞ্চম বলে দলের ১৩ রানের মাথায় লোকেশ রাহুল। ১১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। এরপর দলেকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক (৩৭ বলে ৪৬) ও দীপক হুডা (২৮ বলে ৩৪)। জুটিতে দুজনে মিলে তোলেন ৮৫ রান। মার্কাস স্টইনিস (১), জেসন হোল্ডাররা (৮ বলে ১১) রান পাননি। ১০ বলে ১৭ রান করেন দুষ্মন্ত চামিরা। লখনউ ১৫০ রানের গন্ডি পার হয় মহসীন খানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ১ করে চার ও ছয় মেরে ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মহসীন। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেন রাবাডা।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যর্থ লোকেশ রাহুল, বড় রানে পৌঁছতে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টসও

প্লে অফের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটাররা। বলতে গেলে জ্বলে উঠতে দিলেন না কাগিসো রাবাডা। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের জন্যই প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ রানের বেশি তুলতে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টস। সর্বোচ্চ রান ওপেনার কুইন্টন ডিককের। তিনি করেন ৪৬। দুরন্ত ছন্দে থাকা লোকেশ রাহুল এদিন ব্যর্থ। টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শুরুটা ভাল হয়নি লখনউর। দুরন্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিন ব্যর্থ। তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাডার পঞ্চম বলে দলের ১৩ রানের মাথায় লোকেশ রাহুল। ১১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। এরপর দলেকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে লখনউ তোলে ৩৯/১। ৭.৪ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় লখনউর। দলকে ভালোই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। জুটিতে দুজনে মিলে তোলেন ৮৫ রান। ১২.৪ ওভারে জুটি ভাঙেন সন্দীপ শর্মা। তাঁর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডিকক। ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। দলের ১০৪ রানের মাথায় আউট হন দীপক হুডা। ১টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি ২৮ বলে ৩৪ রান করেন। এরপরই ধস নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস ইনিংসে। ১৫ তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া (৭) ও আয়ুষ বাদোনিকে (৪) ফেরান রাবাডা। পরের ওভারেই মার্কাস স্টইনিসকে (১) তুলে নেন রাহুল চাহার। নিজের বলেই তিনি ক্যাচ ধরেন। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে জেসন হোল্ডারকে (৮ বলে ১১) তুলে নেন চাহার। ১৯ তম ওভারে রাবাডার প্রথম দু বলে পরপর ছয় মেরে পরের বলেই আউট দুষ্মন্ত চামিরা। তিনি ১০ বলে করেন ১৭। এরপর লখনউ ১৫০ রানের গন্ডি পার হয় মহসীন খানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ১ করে চার ও ছয় মেরে ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মহসীন। ৪ ওভারে ৩৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন রাবাডা।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার ব্যর্থ কোহলি, ৯ উইকেটে লজ্জার হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের

খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। আবার প্রথম বলে আউট। শুধু কোহলিই নন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলারদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারলেন না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৮ রানে। ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে সহজ জয় সানরাইজার্সের। ৯ উইকেটে হেরে লিগ টেবিলে চার নম্বরে নেমে এল ফাফ ডুপ্লেসির দল। এদিন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও প্রথম বলে আউট হলেন বিরাট কোহলি। পরপর দুই ম্যাচে। আর আইপিএলের ইতিহাসে এই নিয়ে পঞ্চমবার। এদিন আউট হওয়ার পরপরই সোশষ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে নানা রকম কটাক্ষ। কেউ হাঁসের সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছেন, এক বলের কাস্টমার। এদিন টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ইনিংসে। দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মার্কো জানসেন। ৭ বলে তিনি করেন মাত্র ৫ রান। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। জানসেনের ১৪০ কিমি গতিতে ধেয়ে আসা বল অফ স্টাম্পে পড়ে হালকা সিম করে কোহলির ব্যাটের কানা ছঁুয়ে জমা হয় দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা এইডেন মার্করামের হাতে। আবার শূন্য রানে আউট বিরাট কোহলি। এই নিয়ে পঞ্চম বার গোল্ডেন ডাকএর শিকার কোহলি। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আশিস নেহরার বলে আউট হয়েছিলেন। ২০১৭ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন কোহলি। সেই দিনটাও ছিল ২৩ এপ্রিল। আজও ২৩ এপ্রিল গোল্ডেন ডাকএর শিকার কোহলি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আবার ধাক্কা খায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। এবার অনুজ রাওয়াতকে (০) তুলে নেন জানসেন। দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পঞ্চম ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তুলে নেন নটরাজন। মিড অফে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন কেন উইলিয়ামসন। ১১ বলে ১২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর মিছিল শুরু হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে। শাহবাজ আমেদ (৭) থেকে শুরু করে দীনেশ কার্তিক (০), হর্ষাল প্যাটেল (৪), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৮), সবাই ব্যর্থ। সর্বোচ্চ রান করেন সু্য়াস প্রভুদেশাই। ২০ বলে তিনি করেন ১৫। ম্যাক্সওয়েল ও তিনি ছাড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের আর কোনও ব্যাটার দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুরন্ত বোলিং করেন মার্কো জানসেন, টি নটরাজন। ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন জানসেন, আর ১০ রানে ৩ উইকেট নেন নটরাজন। জয়ের জন্য ৬৯ রানের লক্ষ্য মোটেই কঠিন ছিল না সানরাইজার্সের কাছে। শুধু এটাই দেখার ছিল, কত দ্রুত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। অভিষেক শর্মা ও কেন উইলিয়ামসন কোনও সুযোগই দেননি মহম্মদ সিরাজ, জস হ্যাজেলউডদের। ওপেনিং জুটিতে অভিষেক ও উইলিয়ামসন তুলে ফেলেন ৬৪। হর্ষাল প্যাটেলের বলে অভিষেক আউট হন। ২৮ বলে তিনি করেন ৪৭। উইলিয়ামসন ১৭ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮ ওভারে ৭২/১ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাসেলের অলরাউন্ড পারফরমেন্সেও জয়ে ফিরল না নাইট রাইডার্স

বল ও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স সত্ত্বেও জয় অধরা থেকে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গুজরাট টাইটান্সের কাছে শ্রেয়স আয়ারের দলকে হারতে হল ৮ রানে। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মূল্যহীন হয়ে গেল আন্দ্রে রাসেলের লড়াই। বল হাতে ৫ রানে নিলেন ৪ উইকেট। ব্যাট হাতে ২৫ বলে করেন ৪৮ রান। গুজরাটের তোলা ১৫৬/৯ রানের জবাবে ১৪৮/৮ রানে থেমে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটান্স। শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ঋদ্ধিমান সাহা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান শুভমান (৭)। তাঁকে তুলে নেন টিম সাউদি। এরপর গুজরাটকে টেনে নিয়ে যান ঋদ্ধিমান ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। জুটিতে ওঠে ৭৫। রান তোলার গতি খুব একটা খারাপ ছিল না গুজরাটের। ১০.২ ওভারে উঠে যায় ৮৩। এরপরই ধাক্কা। ঋদ্ধিকে (২৫ বলে ২৫) তুলে নেন উমেশ যাদব। সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড মিলার ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন। তাঁকে তুলে নেনে শিবম মাভি। পরের ওভারেই হার্দিককে ফেরান টিম সাউদি। ৪৯ বলে তিনি করেন ৬৭। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের হাতে বল তুলে দেন শ্রেয়স আয়ার। শেষ ওভারে চমক রাসেলের। চারচারটি উইকেট তুলে নেন। এক ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৫ রান খরচ করে তিনি পান ৪ উইকেট। শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে রাসেল তুলে নেন অভিনব মনোহর (২) ও লকি ফার্গুসনকে (০)। ওভারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বলে তিনি তুলে নেন রাহুল তেওয়াটিয়া (১৭) এবং যশ দয়ালকে (০)। ১৫৬/৯ রানে থেমে যায় গুজরাট। ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অ্যারন ফিঞ্চের পরিবর্তে দলে স্যাম বিলিংস, প্যাট কামিন্সের পরিবর্তে টিম সাউদি এবং শেলডন জ্যাকসনের পরিবর্তে রিঙ্কু সিং। রিঙ্কু এবং সাউদি ম্যাচে অবদান রাখলেও ব্যর্থ হয়েছেন স্যাম বিলিংস (৪)। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল নাইট রাইডার্স। এরপর লড়াই চালান রিঙ্কু সিং (৩৫), ভেঙ্কটেশ আয়ার (১৭)। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ডুবতে হল কলকাতাকে। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার আউট হন ১২ রানে। নীতীশ রানা করেন ২। সুনীল নারাইনের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। শেষ দিকে লড়াই করেন রাসেল। তবে ২০ ওভারে ১৪৮/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি নাইটরা। গুজরাতের হয়ে ২টি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি, যশ দয়াল ও রশিদ খান।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলির অন্ধ ভক্ত ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার হ্যারি কেন!‌ কেন জানেন?‌

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন বিরাট কোহলির অন্ধ ভক্ত! হ্যাঁ, অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই বাস্তব। আর বিরাট কোহলির জন্যই তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সমর্থক হয়ে পড়ছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখাও হয়েছে হ্যারি কেনের। কথাও হয়েছে। কোহলির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন হ্যারি কেন।গত বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জাস ব্যাঙ্গালোরের ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হ্যারি কেন। এবছর ফাফ ডুপ্লেসির দল যেভাবে এগোচ্ছে, হ্যারি কেনের বিশ্বাস চলতি আইপিএলে ভাল কিছু করবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নিয়মিত আইপিএলে খোঁজ খবর রাখেন টটেনহাম হটস্পারের এই তারকা ফরোয়ার্ড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের খেলা থাকলে তো কোনও কথাই নেই। সময় পেলেই বসে যান টিভির সামনে। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইপিএলে তাঁর প্রিয় দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর সম্পর্কে হ্যারি কেন বলেন, আমি বিরাট কোহলির দারুণ ভক্ত। তাই আমার দল আরসিবি। বিরাট কোহলির সাথে কয়েকবার দেখা করার এবং তার সাথে কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবছর বেশ কয়েকজন ভাল ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে। গত বছরটা ওদের কাছে দুর্ভাগ্যজনক ছিল। কিন্তু এই বছর তারা সঠিক ভাবে এগোচ্ছে। ভাল শুরু করেছে। এবছর আইপিএলে বেশ কয়েকটা দারুণ কিছু দল আছে। আমি তাদের সবার খেলা দেখতে পছন্দ করি। তবে আশা করি আরসিবি এববছর ভাল ফল করবে। বিরাট কোহলির ব্যাটিং নিয়েও কথা বলেছেন হ্যারি কেন। কোহলির ব্যাটিংয়ের যে তিনি দারুণ অনুরাগী, সেকথাও উল্লেখ করেছেন। হ্যারি কেন বলেন, আমরা ক্রিকেট খেলাটা দারুণ উপভোগ করি। এখন আইপিএলের খেলা উপভোগ করছি। বিরাটের ব্যাটিং অবিশ্বাস্য। মানুষ হিসেবেও দারুণ। একজন সত্যিকারের মাটির মানুষ। যখন ওর ব্যাটিং দেখি, যেভাবে আবেগে জ্বলে ওঠে যা দেখতে দারুণ লাগে। হ্যারি কেন যতই বিরাট কোহলিকে নিয়ে আবেগে ভেসে যান না কেন, চলতি আইপিএলে ব্যর্থতা চলছেই। শনিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আবার গোল্ডেন ডাক কোহলির।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বুড়ো হাড়ে ভেল্কি ধোনির, আবার সেই ফিনিশারের ভুমিকায়

গত আইপিএলে ধোনির ব্যাটিং দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, শেষ হয়ে গেছেন ধোনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দেখা গেল সেই পুরনো ধোনিকে। বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখালেন। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে এনে দিলেন নাটকীয় জয়। মুম্বইকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৭। উনাদকাতের প্রথম বলেই এলবিডব্লুউ প্রিটোরিয়াস (১৪ বলে ২২)। শেষ ৪ বলে ১৬ দরকার ছিল। তৃতীয় বলে ৬ মারেন ধোনি। পরের বলে বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে ২ রান নেন। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ৪। উনাদকাতের ফুলটস বল স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন ধোনি।প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে গেলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আজ জিততেই হত। অথচ এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথমে ব্যাটে করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতের দলের ইনিংসে ধস নামান তরুণ জোরে বোলার মুকেশ চৌধুরি। অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে মুম্বইয়ের মান বাঁচান তিলক ভার্মা।Thala 💛!Showering your timelines with the inspiration thoughts of that finish! #THA7A #MIvCSK #WhistlePodu #Yellove 🦁 pic.twitter.com/OMRL5fssvo Chennai Super Kings (@ChennaiIPL) April 22, 2022গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুই দলই প্রথম একাদশে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এদিন প্রথম একাদশে ঢোকেন রিলে মেরেডিথ, ঋত্ত্বিক শোকেন ও ড্যানিয়েল সামস। অন্যদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম একাদশে এসেছেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ও মিচেল স্যান্টনার। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ওভারেই ধাক্কা মুম্বই শিবিরে। মুকেশ চৌধুরির দ্বিতীয় বলে মিড অনে স্যান্টনারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা (০)। ব্যর্থতার দিক দিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরাট কোহলির সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে চলেছেন রোহিত। ওভারের পঞ্চম বলে আবার ধাক্কা মুম্বইয়ের। ঈশান কিশানের (০) অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মুকেশ। প্রথম ওভারেই ৬ রানে ২ উইকেট হারায় মুম্বই।ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মুম্বইয়ের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেন মুকেশ। এবারের তাঁর শিকারের তালিকায় ডিওয়ালড ব্রেভিস (৪)। মুকেশের শর্ট বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন বেবি এবি। এক ওভার পরেই স্লিপে মুকেশের বলে তিলক ভার্মার সহজ ক্যাচ ফেলেন ডোয়েন ব্র্যাভো। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চেন্নাই বোলারদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছিলেন সূর্যকুমার যাদব (২১ বলে ৩২)। স্যান্টনারের বল সুইপ করতে গিয়ে লং লেগে মুকেশ চৌধুরির হাতে ক্যাচ দেন।সূর্য ফিরে যাওয়ার পর মুম্বইকে টেনে নিয়ে যান দুই তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা ও ঋত্বিক শোকেন। ২৫ বলে ২৫ রান করে ব্র্যাভোর বলে আউট হন শোকেন। কায়রন পোলার্ড (১৪) এদিনও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। দলকে একার কাঁধে টেনে নিয়ে যান তিলক ভার্মা। ৪৩ বলে ৫১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন জয়দেব উনাদকাত। ৩ ওভার বল করে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন মুকেশ চৌধুরি। ৩৬ রানে ২ উইকেট ব্র্যাভোর। মুম্বইয়ের মতো চেন্নাইয়ের শুরুটাও ভাল হয়নি। জয়ের জন্য ১৫৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খায় চেন্নাই। ড্যানিয়েল সামস তুলে নেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (০)। তৃতীয় ওভারে আবার ধাক্কা। এবার আউট মিচেল স্যান্টনার (১১)। তিনিও সামসের শিকার। এরপর চাপ সামলে চেন্নাইকে টেনে নিয়ে যান রবিন উথাপ্পা ও অম্বাতি রায়ুডু। জুটিতে ওঠে ৫০। উথাপ্পাকে (২৫ বলে ৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন জয়দেব উনাদকাত। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে শিবম দুবেকে (১৩) ফেরান সামস। ১২.৫ ওভারে ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারায় চেন্নাই।তবে চেন্নাই বড় ধাক্কা খায় ১৫ ও ১৬ নম্বর ওভারে। পরপর ২ ওভারে ফিরে যান অম্বাতি রায়ুডু ও রবীন্দ্র জাদেজা। সামস ফেরান রায়ুডুকে। ৩৫ বলে ৪০ করে আউট হন রায়ুডু। পরের ওভারেই জাদেজাকে (৩) তুলে নেন রিলে মেরেডিথ। এরপরই চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। তবে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন প্রিটোরিয়াস। তিনি আউট হওয়ার পর দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাংধে তুলে নেন ধোনি (১৩ বলে অপরাজিত ২৮)। ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন ড্যানিয়েল সামস।

এপ্রিল ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রোহিতদের ব্যর্থতা ঢেকে মুম্বইয়ের মান বাঁচালেন তিলক ভার্মা

প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে গেলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আজ জিততেই হত। অথচ এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথমে ব্যাটে করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রানের বেশি তুলতে পারল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতের দলের ইনিংসে ধস নামালেন তরুণ জোরে বোলার মুকেশ চৌধুরি। অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে মুম্বইয়ের মান বাঁচালেন তিলক ভার্মা।আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ এল ক্ল্যাসিকো নামে পরিচিত। কারণ দুই দলই সবথেকে বেশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ম্যাচটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। কারণ প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে রবীন্দ্র জাদেজার দলকেও জিততে হত। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুই দলই প্রথম একাদশে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এদিন প্রথম একাদশে ঢোকেন রিলে মেরেডিথ, ঋত্ত্বিক শোকেন ও ড্যানিয়েল সামস। অন্যদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম একাদশে এসেছেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ও মিচেল স্যান্টনার। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ওভারেই ধাক্কা মুম্বই শিবিরে। মুকেশ চৌধুরির দ্বিতীয় বলে মিড অনে স্যান্টনারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা (০)। ব্যর্থতার দিক দিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরাট কোহলির সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে চলেছেন রোহিত। ওভারের পঞ্চম বলে আবার ধাক্কা মুম্বইয়ের। ঈশান কিশানের (০) অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মুকেশ। প্রথম ওভারেই ৬ রানে ২ উইকেট হারায় মুম্বই। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মুম্বইয়ের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেন মুকেশ। এবারের তাঁর শিকারের তালিকায় ডিওয়ালড ব্রেভিস (৪)। মুকেশের শর্ট বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন বেবি এবি। এক ওভার পরেই স্লিপে মুকেশের বলে তিলক ভার্মার সহজ ক্যাচ ফেলেন ডোয়েন ব্র্যাভো। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চেন্নাই বোলারদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছিলেন সূর্যকুমার যাদব (২১ বলে ৩২)। স্যান্টনারের বল সুইপ করতে গিয়ে লং লেগে মুকেশ চৌধুরির হাতে ক্যাচ দেন। সূর্য ফিরে যাওয়ার পর মুম্বইকে টেনে নিয়ে যান দুই তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা ও ঋত্বিক শোকেন। ২৫ বলে ২৫ রান করে ব্র্যাভোর বলে আউট হন শোকেন। কায়রন পোলার্ড (১৪) এদিনও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। দলকে একার কাঁধে টেনে নিয়ে যান তিলক ভার্মা। ৪৩ বলে ৫১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন জয়দেব উনাদকাত। ৩ ওভার বল করে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন মুকেশ চৌধুরি। ৩৬ রানে ২ উইকেট ব্র্যাভোর।

এপ্রিল ২১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal