• ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Colour

রাজ্য

দোলের দিন দোকান না খোলায় মারধর, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ, তিরে পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা

মদ্যপানের অভিযোগ, দোকান না খোলায় মারধর, পাল্টা অভিযোগ। এতেই জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান। যা নিয়ে সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা। বাগদার কৃষক বাজারের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পার্টি অফিসের উল্টোদিকের দোকান। অভিযোগ এখানে প্রতিদিন মদ্যপান করে প্রধানের অনুগামীরা। সাম্প্রতিক দোকানের সামনে বসতে নিষেধ করেছিল দোকানের মালিক। অভিযোগ, হোলির দিন কেন দোকান খোলেনি সেই আক্রোশে দোকানের মালিক রাজু বিশ্বাস ঘর থেকে বেরোতেই তাকে হেনস্তা করে। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রধানের অনুগামীরা একত্রিত হয়ে রাজু বিশ্বাসকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রাজুকে বাঁচাতে গেলে তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। বাড়ির উদ্দেশ্য করে বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত সরদার ইট নিয়ে আক্রমণ করে, তার ছোড়া ইঁট ওই মহিলার লাগে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় রাজু বিশ্বাসের দোকান। এই বিষয়ে বাগদা থানার দ্বারস্থ হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। প্রধান কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনের দোকানে বিভিন্ন সময় মদ্যপান করে গালাগাল করে প্রধানের অনুগামীরা। গতকাল তাঁর স্বামীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে স্বামী প্রতিবাদ করতেই তাঁকে মারধর শুরু করে। তিনি ঠেকাতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন । যদিও এই বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু মন্ডল। শুভেন্দুর দাবি, একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করছিল দোকান মালিক, তিনি ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। তিনিও পাল্টা থানায় অভিযোগ করেছেন রাজুর বিরুদ্ধে। বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

রং তোলার ভয়ে যারা দোল খেলেন না তাদের জন্য, দোলের রং তোলার সহজ উপায়

নানারকম দোলের রং মেখে সারা মুখে এক কিম্ভুতকিমাকার দশা। স্নানের সময় বার বার সাবান দিয়ে ধুয়েও কোনও ভাবে যাচ্ছেই না, বেশী ত্বক ঘসার জন্য ত্বকে জ্বালা, অফিস যেতে সমস্যা। না! রং তোলা মোটেই খুব কঠিন বিষয় নয়। আমাদের হাতের কাছেই থাকা কয়েকটা উপাদান দিয়ে অতি সহজেই ত্বকের রং তুলে ফেলা যায়। কিন্তু এগুলির অনেকই আবার ত্বকের জন্য ততটা নিরাপদ নয়। তা হলে? দেখে নেওয়া যাক, রং তোলার কিছু সহজ প্রক্রিয়া, যারা ক্ষতি তো করবেই না, বরং এগুলিতে উপকার হবে ত্বকের।পাতিলেবুঃ একটু হালকা রং তোলার জন্য পাতিলেবুর বিকল্প নেই। লেবু, মধু, জলপাই তেল আর হলুদ আছে এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করে রং তুললে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ত্বকের নমনীয়তাও বাড়ে। এছাড়া পাতিলেবুর রস তুলো দিয়ে ত্বকে বুলিয়ে নিয়ে ৩-৪ মিনিট রেখে জলে ধুয়ে নিয়ে রঙের প্রলেপ অনেকটা হালকা হয়।ডিমঃ রং খেলার নাম করে মাথায় ডিম ফাটানোর রেওয়াজ আজকের নয়। অনেকেরই দাবি, এতে চুলের উপকার হয়। কথাটা খুব একটা ভুলও নয়। চুলের এবং মাথার ত্বকের রং তুলতে ডিমের হলুদ অংশ খুবই পারদর্শী। ডিমের হলুদ অংশ রং লাগা জায়গাগুলিতে মাখিয়ে রেখে, পরে তা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেললেই হল। রং পরিষ্কার।বিয়ারঃ পানীয় হিসেবে দোলের দিনে এটি অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় হিসেবে নয়, এটিকে রং তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের রং আর মুখের রং তুলতে বিয়ার ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে চুলের এবং ত্বকের উভয়েরই উপকার হয়। শুধু বিয়ার দিয়ে রং সাফ করার আগে, এক বোতল এই পানীয়ের সঙ্গে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।হোলির বা দোলের রং সহজে তুলতে অলিভ অয়েল অতি উপকারী উপাদান। যারা আলিভ অয়েল যগার করতে পারবেন না তারা অলিভের পরিবর্তে নারকেল তেল ও ব্যবহার করতে পারেন। রং খেলার আগে তেল মেখে নিলে রং সহজে উঠে যায় এবং ত্বকের ক্ষতিও হয় না।এখানে রং খেলার পর সেটি তোলার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের কিছু উপায় দেওয়া হলোঃরং খেলার আগেরং খেলার আগে ভালো করে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল হাতে, পায়ে, এবং মুখে লাগিয়ে নিন। রং খেলার পরঃরং খেলার পর সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার আগে, অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের জন্য প্যাকঃরং তোলার জন্য দই, বেসন, হলুদ গুঁড়ো, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।চুলের জন্যঃচুলের রং তুলতে ডিমের সাদা অংশ বা নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।ত্বকের যত্নঃরং তোলার পর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।বিঃদ্রঃ ত্বকে এই উপাদানের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে এই ধরনের উপকরণ ব্যবহারের করবেন না।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

বিধাননগরে রঙের উৎসবে একই মঞ্চে হাজির সুজিত বসু ও সব্যসাচী দত্ত

ব্যক্তিগত দূরত্ব সরিয়ে রঙের খেলায় এক মঞ্চে হাজির হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। একসঙ্গে গানের তালে কিছুটা নাচেন দুজনে। আবিরও মাখেন তাঁরা।শুক্রবার দোলের দিন সকালে করুণাময়ী মেলা প্রাঙ্গণে রঙের উৎসবের আয়োজন করা হয়। গানে গানে রঙের খেলায় মেতে ওঠে ছোট বড় সকলে। করুণাময়ী মেলা মাঠে একই সময়ে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধান লনগর কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। একসঙ্গে দুজনে মঞ্চে। গানের তালে বেশ কিছুটা নাচের প্রচেষ্টা তাদের। বেশ অনেকটা সময় একসঙ্গেই মঞ্চে থাকেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলে তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত দূরত্বের জল্পনা শোনা গেলেও এদিনের মঞ্চে একেবারেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

নেই রাজা, নেই রাজ্যপাট, অব্যাহত ঐতিহ্যের ধারা, শনিবার রঙের উৎসবে মাতবে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন আবির, রঙের উৎসবে মাতোয়ারা সারা বাংলা। কিন্তু এখনও বর্ধমান শহরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত। আজ, শুক্রবার বর্ধমান শহরের সাধারণ মানুষ রঙের উৎসবে মেতে নেই। আগামিকাল রঙীন হবে শহর বর্ধমান। এখানে রঙের উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজা নেই, নেই রাজ্যপাট, কিন্তু রাজ ঐতিহ্যের ধারা এখনও মেনে চলে বর্ধমান শহরের মানুষ।একই রকম ভাবে সাবেকি রীতি মেনে এই জেলার কালনা শহর ও জামালপুর ব্লকের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারাও দোলের দিন আবিরের রঙে রাঙা হন না। দোল পূর্ণিমার পরের দিন এই এলাকায় পালিত হয় দোল উৎসব। যা জোড়া রাধাবল্লভের দোল নামেই খ্যাত। কেন দোল পূর্নিমার পরের দিন উৎসবে মেতে ওঠে বর্ধমানবাসী?এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। সাধারণ ঠাকুরের পায়ে আবির উৎসর্গ করা হয় দোল পূর্ণিমার দিন। রাজবাড়ির কূলদেবতা লক্ষীনারায়ন জিউ মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ দোল যাত্রায় অংশ নেয়। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা মহতাব চাঁদ এই প্রথা চালু করেন। পঞ্জিকা মতে দোল পূর্ণিমার দিনটিকে বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল হিসাবে মানা হয়। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমানের সাধারণের রঙের উৎসব। আজও সেই রীতির সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ।বর্ধমান রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন, প্রায় তিনশো বছর আগে বর্ধমানের মহারাজ ছিলেন মহতাবচাঁদ । ফাল্গুন মাসে পূর্ণিমার দিনে রাজবাড়ির কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউকে উদ্দেশ্য করে তিনি আবির নিবেদন করতেন। যেহেতু ওইদিন দেবতাকে রং অর্পণ করা হত ফলে সাধারণ মানুষের সেদিন রং খেলা উচিত নয় বলে মনে করা হত। তখন থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দোলের পরের দিন রং খেলতেন রাজা । রাজ নিয়মকে অনুসরণ করে বর্ধমানে আজও সেই রীতি চলে আসছে ।বর্ধমানের মতই একই রকম ঐতিহ্য মেনে দোল পূর্ণিমা তিথির পরে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতোয়ারা হন পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রায় চার শতাধিক বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে আসছেন জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে। রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে তারপর বিকালে জামালপুরবাসী রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হবেন। ওইদিন মন্দির প্রাঙ্গনে বসে মেলা। জোড়া রাধাবল্লভের পুজো দেখতে আশপাশের বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে জড়ো হন। জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ।জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা। জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত রায় জানান , তাঁদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত । প্রায় চার শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন রাজপুত সিংহ বংশীয় তাঁদের এক পূর্ব পুরুষ।অবিভক্ত বর্ধমান জেলার জামালপুরে তিনি আস্তানা গাড়েন। শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে গড়কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে। সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায় । আস্তানা এলাকায় ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করেন তদানিন্তন রাজপুত পরিবারের সদস্যরা । সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের একটি কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর একটি রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান ।সেই থেকেই দোল পূর্ণিমা তথি পরবর্তীতে প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে রাধাবল্লভ মন্দিরে।

মার্চ ১৪, ২০২৫
রাজ্য

বিশ্ব কবির বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব ১১ মার্চ, এবারও প্রবেশ নিষেধ সাধারণের

কবি গুরুর বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হবে ১১ মার্চ। এবারও গতবারের মতো সাবেকি প্রথায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। সেখানে একমাত্র বিশ্বভারতীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্তরাই অংশ গ্ৰহণ করতে পারবে। এবারও সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকছে। শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসন্ত উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, পাঠভবন, শিক্ষাসত্র সহ বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, যেহেতু গৌর প্রাঙ্গন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, এখানে কয়েক ঘন্টার অনুষ্ঠানে পাঁচ লক্ষ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। পৌষ মেলা হয় মেলার মাঠে। সেখানে ৬ দিন ধরে মেলা হয়েছে। তাই জনসমাগমের সংখ্যা ভাগ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী সাধারণত দোলের দিন বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে না। আশ্রমে বসন্ত উৎসবের সাথে যুক্ত নয় কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ। তাছাড়া হেরিটেজ তকমা রক্ষার্থে এবারও বিশ্বভারতী বেশি সতর্ক। ১১ মার্চ পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিকদের নিয়ে বসন্তোৎসব করবে বিশ্বভারতী। সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বহাল থাকছে। ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে এবার সতর্ক বিশ্বভারতী। স্বাভাবিক ভাবে দোলপূর্ণিমার দিন হচ্ছে না বসন্তোৎসব। দোলপূর্ণিমা ১৪ মার্চ৷ তার কয়েক দিন আগে ১১ মার্চ বসন্তোৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী। কারণ, ১৪ মার্চ শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড় থিক থিক করে৷ তাই ওই দিন বসন্তোৎসব করলে বহিরাগতরা আশ্রমে প্রবেশ করে যেতে পারে৷ এদিন, বসন্তোৎসব নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন। তাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হতো আশ্রম মাঠে৷ আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘন্টা লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হত৷ উৎসবের সূচনার পরেই বহিরাগতদের তাণ্ডবের সাক্ষী বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিক, শান্তিনিকেতনবাসী সকলেই৷ এই আশ্রম মাঠ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চৈতি বাড়ি, গৌরপ্রাঙ্গণ, ঘন্টা তলা, কালো বাড়ি, রামকিঙ্কর বেইজের মূল্যবান ভাস্কর্য প্রভৃতি। তাতেও আবির ছুঁড়ে দেওয়া হতে পারে৷ এছাড়া অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, বসন্তোৎসব শেষে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসজুড়ে মিলত মদের রাশি রাশি বোতল, প্ল্যাস্টিক প্রভৃতি। এমনকি, বহিরাগতদের হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে বিশ্বভারতীর বহু ছাত্রীকে। এই বিশ্বভারতী বর্তমানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষার্থে আর বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার দিয়ে বসন্তোৎসব করতে চায় না বিশ্বভারতী। তাই এবারও বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না৷ রবীন্দ্রসংগীত ও নৃত্যের মধ্যদিয়ে পড়ুয়ারা উদযাপন করবে বসন্তোৎসব।শেষবার ২০১৯ সালে আশ্রম মাঠে হয়েছিল বসন্তোৎসব। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উৎসব। ২০২১ সাল থেকে তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন৷ এমনকি, ভিড় এড়াতে দোলপূর্ণিমার দিন বসন্তোৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
উৎসব

আড়াল আবডালেও যেন 'রাজনীতির রঙ' না লাগে! রঙ নিয়ে ছুতমার্গী রঙীন বাঙালি

দিনগুলি মোর - সোনার খাঁচায় রইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। বাঙালির কোনও অনুষ্ঠানই সম্পূর্ন হয় না কবিগুরুর গান ছাড়া, সে পয়লা বৈশাখ হোক বা বসন্ত উৎসব। সোনার খাঁচার সোনার দিন অনেকটা কল্পনিক লাগলেও বাঙালি আজও রঙ খেলে, সে হোলি বা দোলযাত্রা বা বসন্ত উৎসব যে নামেই হোক।রাত পোহালেই দোলযাত্রা। সাজো সাজো রব বাজারে। নিত্যসামগ্রীর দোকানের নিত্যদ্রব্য সরিয়ে সাময়িক ভাবে জায়গা হয়েছে রঙ-র। নানা রঙের শোভায় চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। অতীতে লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল, কমলা মত স্বাভাবিক কয়েকটি রঙের আবির-ই দেখা যেত, এখন নানা-রঙের বাহার। বেনিআসহকলা (বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল) বাইরেও বেশ কিছু রঙের দেখা মিলছে বাজারে।শহর বর্ধমানে রঙের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, অপ্রচলিত (uncommon) রঙের চাহিদা-ই সবচেয়ে বেশী এইবারে। ভরা ভোট মরসুমে কেউই তাঁর নিজের রঙ চেনাতে নারাজ। তাই লাল, নীল, সবুজ বা গেরুয়ার পরিবর্তে অপ্রচলিত রঙের দিকেই বেশী ঝুঁকেছেন জনগণ। শহরের তেঁতুলতলা পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দোল উৎসবে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা নিজ-নিজ দলের রঙের আবিরই কিনছেন।এবারে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই দোলযাত্রা অনুষ্টিত হতে চলেছে। শিল্পাঞ্চল থেকে বর্ধমান গ্রামীণ-এ শুরু হয়ে গেছে জোড় প্রচার পর্ব। শহর থেকে শহরতলী চলছে দোলের প্রস্তুতি। মল থেকে শুরু করে ছোট-বড় বাজারে আবির ও রঙের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বাজারে কচি কাঁচাদের ভিড় লক্ষণীয়। রঙের ব্যাপারীরা জানাচ্ছেন, ক্রেতাদের মধ্যে এ বার আবিরের চাহিদা বেশী। কিন্তু তারা আবিরের রঙ নিয়ে বেশ সজাগ। সাধারণ ভাবে যে যে রঙ (লাল, নীল, সবুজ, গেরুয়া) রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাপ বহন করে, সেই সেই রঙের আবিরের থেকে তারা এড়িয়েই চলছেন। এবারে ক্রেতারা মজেছেন হলুদ, বেগুনি, আকাশি, হালকা গোলাপির মত অনেক নাম না জানা রঙে।রবিবার বর্ধমানে বিরহাটার এক রঙের দোকানে ক্রেতা জানান, এবারে বেশীরভাগ স্কুলের পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট বেরিয়ে গেছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের রঙ মেখে শরীর খারাপ হয়ে পরীক্ষা খারাপ হবে-র মত ব্যাপার নেই। তাই বাচ্ছারা এবারে জোড় কদমে রঙ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্ধমান শহরে বেশ কয়েকটি জায়গায় দোল উৎসব পালন করার আয়োজন করা হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র টাউনহলে এক দোল উৎসব কমিটির আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী দোল উদযাপন অনুষ্ঠান চলছে।বর্ধমান শহরের বীরহাটার আবির বিক্রেতা জনতার কথা কে জানান, এবারে গোলা রঙের চাহিদা সেই ভাবে নেই বললেই হয়, তাঁর বদলে আবিরের চাহিদা দারুন। বিক্রেতার দাবি, এ বার সবচেয়ে বেশি বিক্রী হচ্ছে হলুদ ও আকাশি আবির। তার পরে বেগুনি ও হালকা আকাশি রঙের আবিরও কিনছেন ক্রেতারা।পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান দুই শহর কালনাও বর্ধমান-এ নির্ধারিত দোলের দিনে কোনোরূপ রঙ খেলা হয় না। প্রথামত এইদিন বর্ধমান মহারাজার পরিবার তাঁদের অধিষ্টাত্রী দেবীর পায়ে আবির দিয়ে দোল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন, এবং পরের দিন শহরের আম জনতা সকলে রঙের উৎসবে মাতেন। মহারাজাদের শাসনকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে যা আজও প্রবাহমান।শহরের এক বাচিক শিক্ষা কেন্দ্র শ্রুতিশ্রীর প্রধান সুদেষ্ণা আচার্য জনতার কথা কে জানান, তাঁরা তাঁদের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসব পালন করছেন। এবার তারা তাদের উৎসব নতুন পল্লী আদি কালীবাড়িতে পালন করছেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা কোনও অনুষ্ঠান-ই কবিগুরুকে ছাড়া পালন করতে পারিনা, সে ভাবেই তাঁর গান ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান......র মধ্যেই আমরা আমাদের মনের রঙের ফেরী করব আগামীকাল।।বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী তুনা রুদ্র জনতার কথা কে বলেন, দোল মানেই রঙের উৎসব। দোল মানেই শত দুঃখকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেকে রঙিন করে তোলা। সকল দুঃখ কষ্টকে দূরে সরিয়ে রেখে আনন্দের পথে এগিয়ে চলাই জীবন। আর এই রঙের উৎসব পরিবারের সাথে কাটানোতেই তাঁর সবচেয়ে বেশী অনন্দ বলে তিনি মনে করেন।

মার্চ ২৪, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

নতুন সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অঙ্কিতা

বন্ধু অভিনেতা প্রান্তিকের সঙ্গে বিয়ের খবরে পরিবার থেকে ভক্তদের চমকে দিয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত জীবনে নতুন ইনিংস শুরু করার পর এবার কাজের জগতেও নতুন ইনিংস শুরু করলেন অঙ্কিতা। কালার্স বাংলার নতুন সিরিয়াল ইন্দ্রাণী তে ফিরছেন অঙ্কিতা। প্রকাশ্যে এসেছে ইন্দ্রাণীর প্রথম প্রোমো। এই সিরিয়ালে এক নামী হাসপাতালের প্রশাসকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অঙ্কিতা। তাঁর চরিত্রের নাম ইন্দ্রাণী রায়। একজন পেশাগত সফল নারীর ভাঙাচোরা জীবনের গল্প বলবে ইন্দ্রাণী। দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে গেলেও টিনএজার মেয়ে, শ্বশুর শাশুড়ির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের কাজ নিয়ে ডুবে থাকে ইন্দ্রাণী। কিন্তু একদিন হাসপাতালের এক ডাক্তারের ভালো লেগে যায় তার থেকে বয়সে বড় ইন্দ্রাণীকে। সঙ্গে কোন খাতে বইবে অসমবয়সী সম্পর্কের সমীকরণ।সিরিয়ালের স্লট এখনও জানানো না হলেও দর্শকমহল এই নতুন ধরনের গল্প নিয়ে বেশ উত্তেজিত। টেলিভিশনে মুখ্য চরিত্রে বেশ কয়েকদিন বাদে ফিরলেও সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে চুটিয়ে কাজ করেছেন ও করে চলেছেন অঙ্কিতা। একসময় ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে এবার আবার নতুন রূপে পেতে চলেছেন দর্শকরা।

জুন ১২, ২০২২
রাজ্য

জামালপুরে দোল খেলতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত রাজ্য বিজেপি নেতা

শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার পথে দুস্কৃতি হামলার শিকার হলেন রাজ্য বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায়। ঘটনা বিষয়ে এদিন সন্ধ্যায় জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল্যান চৌবে। তাঁর অভিযোগের তীর যদিও তৃণমূলের দিকেই। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার উল্টোডাঙ্গা নিবাসী কল্যাণ চৌবে দলের উত্তর কলকাতার সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি রাজ্য বিজেপিরও সদস্য। জামালপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে কল্যান চৌবে জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন তিনি জামালপুরের রাজারামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে তিনি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। পিছনের গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা। বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ তাঁরা মেমারি তারকেশ্বর রোডে মসাগ্রাম লেবেল ক্রসিং এর কাছে পৌছান। কলাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর গাড়ির সামনে বিজেপির একটি পতাকা লাগানো ছিল। এছাড়াও ড্যাসবোর্ডে রাখা ছিল উত্তরীয় ও ব্যাচ। এইসব দেখেই মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায় থাকা দুস্কৃতি দল তাঁকে প্রাণে মেরে দেবার উদ্দেশ্যে আচমকাই তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয়। কল্যাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনক্রমে তাঁকে ও তাঁর পরিবার সদস্যদের রক্ষা করেন। হামলায় তাঁদের দুটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ফের স্বপরিবার রাজারামপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির নেতার আনা এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস। পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেতার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনই হয়তো এইসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের তদন্তেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

মার্চ ১৯, ২০২২
রাজ্য

প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে দোল পূর্ণিমায় রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন না বর্ধমান ও রাধাবল্লভবাটির বাসিন্দারা

দোল পূর্ণিমার দিন সারা বাংলা মাতোয়ারা থাকলো রঙের উৎসবে।কিন্তু সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এই দিনটিতে আবিরের রঙে রাঙা হন না রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা।এখানে দোল উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন ।রাজা না থাকলেও শতাব্দী প্রাচীন কাল ধরে রাজরীতি মেনেই এই ভাবেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। একই রকম ভাবে সাবেকী রীতি মেনে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের। রাধাবল্লভবাটি মৌজায় দোল পূর্ণিমার পরদিন পালিত হয় দোল উৎসব। যা জোড়া রাধাবল্লভের দোল নামেই খ্যাত।দোল পূর্ণিমার দিন বর্ধমানবাসী কেন রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন না তার পিছনেও রয়েছে দেবতাদের প্রতি ভক্তির কাহিনী। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে খেলা হবে দোল। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে মানব সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ। ঐতিহ্য মেনে আজও দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রাচীন বর্ধমানের প্রানকেন্দ্র সর্ব্বমঙ্গলা বাড়িতে দোল উৎসব পালিত হয় এবং বর্ধমানবাসী পরের দিন দোল উৎসব পালন করে।একই রকম ঐতিহ্য মেনে দোল উৎসবের পরদিন জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতোয়ারা হন জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রায় চারশো বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে আসছেন জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে। শনিবার রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে তারপর বিকালে রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হবেন জামালপুরবাসী। মন্দির প্রাঙ্গনে বসবে মেলা। জোড়া রাধাবল্লভের পুজো দেখতে আশপাস এলাকারও বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গনে এইদিন জড়ো হন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ বহন করেচলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব।জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা। জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত কুমার রায় জানালেন, তাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত। প্রায় চার শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন তাদের রাজপুত সিংহ বংশিয় এক পূর্ব পুরুষ। বর্ধমান জেলার জামালপুরে তিনি আস্তানা গাড়েন। শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে গড়কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে। সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায়। আস্তানা এলাকায় ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করে রাজপুত পরিবার। সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান। সেই থেকে দোল উৎসবের পরদিন প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে রাধাবল্লভ মন্দিরে। প্রশান্ত বাবু জানালেন পূর্বতন বর্ধমান মহারাজা জামালপুরের কয়েকটি মৌজা এলাকার জমিদারি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের পূর্ব পুরুষদের। সেই সময় কালেই রাধাবল্লভ কে স্মরণ করে এখানকার জমিদারি মৌজা রাধাবল্লভবাটি মৌজা নামে পরিচিতি পায়। বর্ধমান মহারাজা কর্তৃক রায় উপাধিতে ভূষিত হয় রাজস্থান থেকে জামালপুরে আস্তানা গাড়া সিংহ পরিবার। ভক্তিতে ভর করেই জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবের দিনেই রঙের উৎসবে মাতেন জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারা।রায় পরিবারের অপর সদস্য পার্থপ্রতিম রায় জানালেন, দোল পূর্ণিমার দিন রাধাবল্লভ মন্দির প্রাঙ্গনে পরিবারের সকল সদস্য মিলে চাঁচর পোড়ান। পূর্ণিমার পর দিন প্রতিপদ তিথিতে বংশের মন্দিরে হয় রাধা বল্লভের পুজোপাঠ। পার্থপ্রতিম বাবু বলেন, রাধাবল্লভের ভোগ অন্নে শুক্তো চাই। এদিন সকাল থেকে শুরু হয় পুজোপাঠ। রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে বিকালে মন্দির চত্ত্বরে এলাকাবাসী আবির খেলায় মাতেন। সন্ধ্যায় বিতরণ করা হয় অন্ন ভোগ।

মার্চ ১৮, ২০২২
নিবন্ধ

নব বসন্ত (ছোট গল্প)

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান--- গান বাজছে পাশের মাঠে। আপন মনে গানটির দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে বন্ধ জানালা টা খুলে দাঁড়িয়ে পড়ল নীলিমা। যে জানালা গত এক বছর কেউ খুলতে পারে নি। শুভ্র বসনা নীলিমা জানালার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে। আজ দোল, তাই প্রতি বছরের মত বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে পাড়ার ক্লাব থেকে। প্রতি বছর হয়। নীলিমাদের বাড়ি ঠিক মাঠের পাশে। নীলিমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যায় বিকেলবেলা রঙীন প্রজাপতির মতো বাচ্চারা খেলে বেড়ায়। বয়স্করা হাঁটতে আসে। আজ দোল সবাই মেতেছে আবীরের রঙে। নীলিমার মন পড়ে এমনই এক দোলের দিনে হলুদ শাড়ি পড়ার তাকে হলুদ আবীর গালে মাখাতে মাখাতে কিছু যেন বলতে চেয়েছিল একজোড়া চোখ। তখন বুঝতে পারে নি, বলা যায় বুঝতে চায় নি। কারণ অনেক দেরী হয়ে গেছে, ততদিনে নীলিমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে দিব্যেন্দুর সাথে। ও তখন তৃতীয় বর্ষে পড়ে। গ্রাজুয়েশন করে বিয়ে হয় ওর। তারপর আর দেখা হয়নি তার সাথে।বিয়ের পর খুব আনন্দে কাটছিল নীলিমার। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা নীলিমার জীবনের সব রঙ কেড়ে নেয়। সেই চরম আঘাতে ও নিজেকেও হারিয়ে ফেলে। একটু একটু করে নিজেকে আবার জীবনের ছন্দে আনার চেষ্টা করছে ও, সেই চেষ্টা করছে যার সাহায্যে সে আর কেউ নয় সেই চোখ জোড়া যার ছিল। যদিও নীলিমা জানত না, কারণ দুর্ঘটনার পর ওদের যে হাসপাতালে নিয়ে যায় আকাশ সেখানকার ডাক্তার। নীলিমা আজ জানালায় দাঁড়িয়ে নিজের অতীত আর বর্তমান নিয়ে ভাবছে। এই দোল, রঙ ছিল ওর ভীষণ প্রিয়--নীলা এখানে কী করছিস মা? পিছনে এসে মা জিজ্ঞাসা করে। তোর চোখে জল কেন? বলেছি না কাঁদবি না। তুই এরকম করে থাকলে আমার কি ভালো লাগে। একটা হলুদ রঙের শাড়ি বিছানার উপর রেখে বলেন এই শাড়িটা পড়ে নীচে চল দেখবি কারা এসেছে। এই বলে নীলিমার শাশুড়ি মা চলে যায়। নীলিমা ভাবে হঠাৎ তাকে কেন সাদা থানার ছেড়ে রঙীন শাড়িটা পড়তে বললো! ও ভাবতে ভাবতে নীচে নামে---কাদের কথা শোনা যাচ্ছে, খুব চেনা লাগছে গলা গুলো ভাবে সে। দ্বিধাগ্রস্ত ভাবে বসার ঘরের পর্দাটা একটু সরিয়ে অবাক হয়ে যায় নীলিমা। আকাশের সাথে আজ ও ওর মা বাবাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। এবার কী করবো আমি?? ভাবে নীলিমা। আকাশ শুধু ওকে চিকিৎসা করে না শুশ্রূষা করে সঙ্গ দিয়ে সুস্থ করে তুলেছে। বহুবার বোঝাতে চেয়েছে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা। না কিছুতেই আজ ও পারবে না সব সংস্কার পেরিয়ে যেতে। এইসব ভাবছে নীলিমা এমন সময় কই নীলা মা ভিতরে এস বলে ডাকে নীলিমার শ্বশুর মশায়। ভীরু পায়ে ঘরের ভেতর গিয়ে দাঁড়ায়। তোমাকে যে তোমার মা শাড়িটা দিয়ে এল তুমি পরলে না! অবাক চোখে তাকায় নীলিমা। ও কী ভুল শুনছে! নাকি স্বপ্ন দেখছে ভাবে! না মা তুমি ঠিক শুনছো, আমি তোমাকে রঙীন শাড়িটা পড়তে বলছি। আকাশ আমার চোখ খুলে দিয়েছে। ও আমাদের ছেলে হয়ে এসেছে মা তুমি ওকে ফিরিয়ে দিও না। আমি বাবা হয়ে তোমার কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইছি। আমি তোমাকে বৈধব্য পালন করতে বলে মহা ভুল করেছি। যা নীলা পড়ে আয় শাড়িটা আকাশ নিজে কিনে এনেছে বলেন আকাশের মা। নীলিমার হাত ধরে ঘরে নিয়ে গিয়ে শাড়ি পড়িয়ে আগের মতো সাজিয়ে নিয়ে আসে আকাশের মা। আজই আশীর্বাদ করে যাই আসছে বৈশাখ মাসে শুভ দিন দেখে আমার ঘরের লক্ষ্মী কে নিয়ে যাবে ---- বলে আকাশের বাবা। তাই হোক আমার ঘরের লক্ষ্মী আপনার হোক বলে চোখ মেলে নীলিমার শ্বশুর মশায়। এমন সময় একমুঠো হলুদ আবীর নিয়ে নীলিমার মুখে মাখিয়ে দিতে দিতে আকাশ বলে সারাজীবন এইরকম রঙীন থাকবেনীলিমার দুচোখ আকাশ কে বলে সেই না বলা কথা তুমি এভাবেই আমাকে রাঙিয়ে রেখো সারা জীবন পাশের মাঠে বেজে ওঠে নব বসন্তের দানের ডালি-----

মার্চ ১৮, ২০২২
দেশ

Independence Day: দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর বিপ্লবীদের পীঠস্থান বর্ধমান

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমান জেলার নাম। দেশ মাতৃকাকে ব্রিটিশ শৃঙ্খল মুক্ত করার শপথ নিয়ে এই জেলার বহু বীর সন্তান বিপ্লবী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্যাই অগ্রগণ্য এই জেলার সদর দক্ষিণ মহকুমার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বোস, রাসবিহারী ঘোষ ও অনিল বরণ রায়। এই চার দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম আজও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এনারা ছাড়াও অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আরও অনেকে আছেন যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে জোরদার করার কাজে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা হয় তো বিস্মৃতির অতলে রয়ে গিয়েছেন। তবে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ব্রতী হবেন বর্ধমান জেলার আপামর বাসিন্দা। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৫ সালে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বর্ধমান জেলাতেও। শুধু শহর বর্ধমানের মানুষজনই নয়, গ্রামীন বর্ধমানের মানুষজনও সেই সময়ে সামিল হয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ আন্দোলনে। তদানীন্তন সময়কালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের সন্তান কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা স্বাধীনতা আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৯২৫ সালে বর্ধমানে এসে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদের আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসবিদরা মনে করেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন অংশেই কম ছিল না বর্ধমানের গুরুত্ব। স্বদেশী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিপ্লবী আন্দোলন, সবেরই উত্তোরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্ধমানের বিপ্লবীদের নাম। এই জেলার জ্যোতিন্দ্রনাথ বন্দ্যেপাধ্যায় যৌবনে বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। পরে অবশ্য তিনি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করে নিরালঙ্গ স্বামী নামে পরিচিত হন। ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ভারত সভার তিনটি শাখা গড়ে উঠেছিল বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।ওই শাখাগুলি বর্ধমান শাখা, কালনা শাখা ও পূর্বস্থলী হিতকরী সভা নামে আত্মপ্রকাশ করে। কালনার কবিরাজ বংশীয় উপেন্দ্রনাথ সেন ও দেবেন্দ্রনাথ সেনের উদ্যোগে কালনা ও কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সভা।ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সেই সভায় স্বয়ং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ব চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য বলেন, স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ সেই সময়ে কালনার বাঘনা পাড়ার যুবক মহলে প্রভাব ফেলেছিল। ১৯০৬ সালে বিদেশী দ্রব্য লুঠ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছিল কালনার বাঘনা পাড়ার যুবকরা। সেই ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, মণিগোপাল মুখোপাধ্যায়, সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃন্দাবন গোস্বামী, বলাই গঙ্গোপাধ্যায় ও বলাই দেবনাথ। সিদ্ধেশ্বরবাবু এও বলেন, এদের গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত মোকদ্দমাই ছিল বঙ্গে প্রথম রাজনৈতিক মোকদ্দমা। তদানিন্তন সময়ে বাঘনা পাড়ায় স্বদেশী ভাণ্ডারও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৪২ শে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাঘনা পাড়ার যুবকরা জড়িত হয়েছিলেন বলে সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য জানিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উৎসাহিত করার জন্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দুবার বর্ধমানে এসেছিলেন। ইংরেজ আমলে জাতীয় শিক্ষা নিয়েও বর্ধমান জেলা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল। ইংরেজি বিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপনে খণ্ডঘোষের তোরকোনায় রাসবািহারী ঘোষ প্রভূত অর্থ দান করেছিলেন। কালনা, বর্ধমান সদর, বৈকন্ঠপুর নানা স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বান্ধব সমিতি, মহামায়া সমিতি প্রভৃতি নামে জেলার কালনা, পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বরে বিপ্লববাদী গুপ্তসমিতি গড়ে উঠেছিল। মানকরের জমিদার রাজকৃষ্ণ দিক্ষিত ও দুর্গাপুরের ভোলানাথ রায় সেই সময়ে স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন।স্বরাজ তহবিলের চাঁদা তোলার জন্য ১৯২১-২২-তে চিত্তরঞ্জন দাস বর্ধমানে এসেছিলেন। তাঁর আগমনে বর্ধমান জেলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। জাতীয়তাবাদী কবিতা লোখার জন্য বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর গ্রাম নিবাসী গোবিন্দরাম বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল । ১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি এই গোপালপুরের ইংরেজ বিরোধী মানুষজনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পায় গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়। গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতি এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত হয়, ইংরেজদের নিয়ম মেনে রবিবার নয় - বিদ্যালয় ছুটি থাকবে সোমবার। সেই থেকে আজও রবিবার পুরোমাত্রায় পঠনপাঠন চালু থাকে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয় ছুটি থাকে সোমবার। পরাধীন ভারতবর্ষের মাটিতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ভিন্নমাত্রায় পৌছে দিতে বর্ধমানের মহিলারাও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নির্মলা সান্যাল ও সুরমা মুখোপাধ্যায়ের নাম । ১৯৩১ -তে কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্ধমান জেলা কৃষক সমিতি। তদানীন্তন কালেই কৃষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে সভার সভাপতি হয়েছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর নামেই পরবর্তীকালে হাটগোবিন্দপুরে গড়ে ওঠে ভূপেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়।পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবিভক্ত বর্ধমান জেলাবাসীর অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। এই জেলার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বসু, রাসবিবাহী ঘোষ, অনিলবরণ রায় প্রমুখ দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এঁরা ছাড়াও জেলার আরও যাঁরা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তাঁদের অবদানও জেলাবাসী মনে রেখেছে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে বর্ধমানবাসী সকল বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তাই ব্রতী হবেন।

আগস্ট ১৫, ২০২১
টুকিটাকি

দোলের রং উঠবে, ত্বক আর চুলের লাভও হবে, জেনে নিন সহজ উপায়

দোলের রং সারা মুখে ভর্তি, স্নানের সময় বার বার সাবান দিয়ে ধুয়েও কোনও ভাবে যাচ্ছেই না, অফিস যেতে সমস্যা, না, রং তোলা মোটেই খুব কঠিন বিষয় নয়। হাতের কাছে থাকা কয়েকটা উপাদান দিয়েই সহজেই তুলে ফেলা যায় রং। কিন্তু এর অনেকগুলিই আবার ত্বকের জন্য ততটা নিরাপদ নয়। তা হলে? দেখে নেওয়া যাক, রং তোলার কিছু সহজ প্রক্রিয়া, যারা ক্ষতি তো করবেই না, বরং এগুলিতে উপকার হবে ত্বকের।লেবুর ব্যবহার: একটু হালকা রং তোলার জন্য লেবুর বিকল্প নেই। লেবু, মধু, জলপাই তেল আর হলুদ আছে এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করে রং তুললে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ত্বকের নমনীয়তাও বাড়ে।ডিম: রং খেলার নাম করে মাথায় ডিম ফাটানোর রেওয়াজ আজকের নয়। অনেকেরই দাবি, এতে চুলের উপকার হয়। কথাটা খুব ভুলও নয়। চুলের এবং মাথার ত্বকের রং তুলতে ডিমের হলুদ অংশ খুবই পারদর্শী। এই হলুদ অংশ রং লাগা জায়গাগুলিতে মাখিয়ে রেখে, পরে তা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেললেই হল। রং পরিষ্কার।বিয়ার: পানীয় হিসেবে দোলের দিনে অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু শুধু পানীয় হিসেবে নয়, এর ব্যবহার হতে পারে রং তোলার ক্ষেত্রেও। চুলের রং আর মুখের রং তুলতে বিয়ার ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে চুলের এবং ত্বকের উভয়েরই উপকার হয়। শুধু বিয়ার দিয়ে রং সাফ করার আগে, এক বোতল এই পানীয়ের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।

মার্চ ২৯, ২০২১
কলকাতা

জোর করে রং মাখালে ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে

গায়ের জোরে রং মাখালে রাত কাটবে শ্রীঘরে। দোলের জন্য এমনই কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। সেই আইনেই লেখা, শারীরিকভাবে কাছে গিয়ে ধরে রং/আবির মাখাবেন না।যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, গায়ের জোরে কাউকে রং দেওয়া অপরাধ। কোথাও এমনটা হচ্ছে, খবর পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বছর উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হবে। এদিকে, নিজেরা নিয়ম মেনে রং খেললেও রাস্তাঘাটে একটা আতঙ্ক থেকেই যায়। রাজপথে পথচলতি কাউকে চেপে ধরে রং মাখানোর দৃশ্য গা-সওয়া। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছর এমন প্রবণতা না থাকাই শ্রেয়। বৃহস্পতিবারের ৫১৬ জন থেকে করোনা আক্রান্ত বেড়ে এক লাফে শনিবারে ৮১২। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুইয়ের গলায় শঙ্কা, সংক্রমণ কী হারে বাড়ছে সরকারি তথ্যই বলে দিচ্ছে। এমন আবহেই আজ দোল। বাঁধভাঙা রং খেলার হুল্লোড় তিনগুণ করে দিতে পারে দৈনিক সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে ফের ২০২০ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।

মার্চ ২৮, ২০২১
রাজ্য

চোখে রং লাগায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন লকেট

প্রথম দফা ভোটের দিনই আক্রান্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। শনিবার সন্ধেয় চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগরের কালীতলা মাঠে কচিকাঁচা ও মহিলাদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবে শামিল হয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, উৎসব চলাকালীনই লকেটের উদ্দেশে দুষ্কৃতীরা বিষাক্ত রং ছুঁড়ে মারে। রং সরাসরি লকেটের ডান চোখে এসে লাগে। চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ধরে। কর্মীরাই তাঁকে গাড়িতে তুলে দেন। চুঁচুড়ার লিচুবাগানের বাড়িতে গিয়েও চোখই খুলতে পারছেন না তিনি।TMC goons led by GP Pradhan Bidyut Biswas, Kodalia No. 2, attacked Locket Chatterjee, a BJP candidate from Chinsurah Assembly.The khela of hatred, violence harassment will be put to an end soon. This cowardly khela of harassing women is triggered by the fear of defeat! pic.twitter.com/yyLBbOMli2 BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 27, 2021লকেট জানান, এদিন সন্ধেয় কোদালিয়ায় টোটো করে প্রচারে যাওয়ার সময় মাঠে বসন্ত উৎসব হচ্ছিল। সেখানে অনেক মহিলারা তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন। মহিলাদের অনুরোধেই তিনি টোটো থেকে নেমে বসন্ত উৎসবে মাতেন। মহিলারা রং মাখাবেন বলে আবদার করলে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের রং মাখাতে বারণ করেন লকেট। শেষ পর্যন্ত রঙের পরিবর্তে কপালে একটা টিপ পরেন। মহিলারা যখন তাঁকে টিপ পরাচ্ছিলেন, ঠিক তখন দুজন পুরুষ হঠাৎই সামনে এসে বলে, আজ আপনাকে রং মাখাব, কিছুতেই ছাড়ব না। ওই দুই দুষ্কৃতী মহিলাদের পিছনে চলে যায়। তারপরই হঠাৎ গুড়ো গুড়ো কিছু পদার্থ চোখে এসে পড়ে লকেটের। চশমার জন্য তাঁর চোখ অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও কিছুটা হলেও চশমার ফাঁক দিয়ে রং চোখে ঢুকে যায়। প্রথমে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা করছিল। তারপর একটু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখেন পিছনেই তৃণমূলের ব্যাজ পরা তিন থেকে চারজন যুবক দাঁড়িয়ে সেখানে। তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করছিল। লকেটের অভিযোগ, মহিলাদের ভিড়ের আড়াল থেকে তৃণমূলই তাঁর দিকে এই বিষাক্ত রং ছুঁড়েছে। লকেট কাঁদতে কাঁদতে বলেন, একজন মহিলাকে যে এরকমভাবে আক্রমণ করা যায়, আমি ভাবতেই পারি না।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে চুঁচুড়ায়। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার বলেন, বিরোধী দলনেতা-নেত্রীদের অসম্মান করা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। আসল কথা লকেট জেনে গিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারবেন। তাই প্রচারে থাকার জন্য নাটক করছেন।

মার্চ ২৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অম্বরীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! সিএবিতে চিঠি আজহারের

সিএবিতে চিঠি পাঠালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে এই আজহার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বা ইডেনের বরপুত্র নন। এই আজহারের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায়। যদিও এই আজহারের দাবি নয়া মাত্রা যোগ করল সিএবিতে চলা সাম্প্রতিক এক বিতর্কে।সম্প্রতি আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া একটি চিঠি সিএবি, বিভিন্ন ক্লাব-সহ নানা জায়গায় পাঠিয়ে সিএবির স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন। অম্বরীশ প্রাক্তন ক্রিকেটার, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। রেলের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করেন সিএবিতে। ফলে ভিজিল্যান্স-সহ রেলের কর্তাদের কাছেও অম্বরীশের নামে অভিযোগপত্র পাঠান সুমন। তাঁর দাবি, অম্বরীশ বিভিন্ন ক্লাব, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন, হাইকোর্ট ক্লাবে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছেন প্রভাবশালী পরিচয় দেওয়া অম্বরীশ। জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, দুর্নীতিতে অম্বরীশের সঙ্গী দেবনিক দাস যুক্ত বলেও দাবি সুমনের। উল্লেখ্য, দেবনিক হলেন টাউন ক্লাবের কর্তা। তিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পুত্র। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধেও এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে সিএবি ওম্বুডসম্যানের কাছে। সুমন চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে অম্বরীশ যে টাকা পেয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছিল আজহারের নাম। এবার সেই আজহার চিঠি দিলেন সিএবিতে। আর্জি জানালেন, অম্বরীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে দিতে। সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অম্বরীশ ও তাঁর খ্যাতিতে আঘাত দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অপব্যাখ্যা করে ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আজহারের।আজহার সিএবি সভাপতি ও সচিবকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ক্রিকেট খেলার সূত্রে অম্বরীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। খেলার পাশাপাশি তাঁরা নানাভাবে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সাহায্য করে থাকেন। গত মরশুমে হাইকোর্ট ক্লাবকে সহযোগিতা করেছেন অম্বরীশ, সে কাজে তিনিও অম্বরীশের পাশে ছিলেন।ক্রিকেট দল চালাতে অর্থের প্রয়োজন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব অনুদান-সহ নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে খেলাধুলো পরিচালনা করে। সে কাজটাই তিনি ও অম্বরীশ করেছিলেন বলে জানান আজহার। তাঁরা সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ক্রিকেটারদের জার্সি, ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেন, যাতায়াত, টিফিন, লাঞ্চের খরচ জোগান, অনুশীলনের জন্য প্র্যাকটিস-স্লট বুকিং, পরিকাঠামো তৈরি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সহায়তার কাজে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করেন বলে দাবি আজহারের। তিনি আরও বলেন, যে অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট চালানোর কাজেই তহবিল গড়তে দেওয়া হয়েছে। যাতে মসৃণভাবে এই প্রক্রিয়া চলে সে কারণেই অম্বরীশের ইউপিআই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ অম্বরীশ ও আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোলেননি বলেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করা হলো তিনিই যখন আসল তথ্য সিএবিকে চিঠি লিখে জানালেন তাতে অভিযোগকারীর দাবি অনেকটাই লঘু হয়ে গেল। অভিযোগকারী সুমন অম্বরীশের কর্মক্ষেত্রে যে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছেন সেটিও সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মঙ্গল-রাতে আজহারের চিঠি জমা পড়ার পর সিএবি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজ্য

জাতীয় সড়কে উড়ালপুলের দাবিতে রোড অবরোধ, নবানহাটে জনজোয়ার

আজ সকাল ৮টা থেকে পূর্ব বর্ধমানের মেটেল, নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক রোড অবরোধ শুরু হয়েছে। মূল দাবিঅতি দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের যানজট ও দুর্ঘটনার সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও গৃহীত হয়নি।সকাল থেকেই প্রায় ৩,০০০-র বেশি মানুষ জাতীয় সড়কের উপর জড়ো হয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উড়ালপুল চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাইএই দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন স্কুল, অফিস যেতে গিয়ে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। উড়ালপুল না হলে ভবিষ্যতে আর বড় ক্ষতি হবে। এই অবরোধে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী যগদান করেছে, জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তেই হাজার হাজার লড়ি বাস প্রাইভেট কার আটকে আছে। দূর্ভোগের চূড়ান্ত অবস্থা।অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কের দুদিকেই শতাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

নিশানায় মহাদেব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল সিএবিতে

প্রবীর চক্রবর্তী, দেবব্রত দাস, অম্বরীশ মিত্রর পর এবার সিএবিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল মহাদেব চক্রবর্তীর নামে। সিএবির ওম্বুডসম্যান, সিএবি সচিব ও কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা তথা ক্রিকেট অনুরাগী শ্যামল দাস। গত ১৮ জুলাই। অভিযোগ, সিএবির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাদেব চক্রবর্তী বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের এসিপি (ওএসডি) পদে আসীন থাকা অবস্থায় কীভাবে মহাদেব চক্রবর্তী সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে গেলেন তা নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী।এমনকী তিনি মনোনয়নের সময় বা হলফনামায় যথোপযুক্ত নথি জমা দিয়েছিলেন কিনা, তাতে কোনও গরমিল আছে কিনা তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে। সিএবির নিয়মের চতুর্থ চ্যাপ্টারে ৩৪(৩)(ডি) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ মূলত উঠেছে মহাদেবের বিরুদ্ধে। এই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী স্পোর্টস কোটায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য বা সিএবির পদাধিকারী হতে পারবেন। আবেদনকারীর সংশয় ঠিক এই জায়গাতেই। ফলে ক্লিনচিট পেতে মহাদেব এখন যথোপযুক্ত নথি পেশ করেন কিনা বা তিনি কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।আবেদনকারীর আর্জি, মহাদেবকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তদন্ত অবিলম্বে শুরু হোক। প্রয়োজনে ফৌজদারি পদক্ষেপ শুরু করা যেতে পারে বলেও আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মহাদেবের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বছর বাহাত্তরের ওই অভিযোগকারী। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগে দোষী প্রতিপন্ন হলে মহাদেব যাতে ভবিষ্যতে সিএবিতে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিএবির কেউ কিংবা অভিযুক্ত মহাদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেননি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal