• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cbi,

রাজ্য

CBI: বিজেপি নেতার মাকে খুনের তদন্তে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার সিবিআইয়ের

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রামে খুন হন বিজেপি নেতার মা কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। হাইকোর্টের নির্দেশে এই খুনের মামলার তদন্তে নেমে ধৃতদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করলো সিবিআই। অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কথা সিবিআই রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে জানিয়েছে। সিআইয়ের দাবি, তল্লাশীতে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তরোয়াল, কাস্তে ও কাটারি। এরআগে পুলিশও বেশকিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সহ সব কিছু নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে সোমবার বর্ধমান আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী ইন্সপেক্টার অরুন কুমার সিং। বিজেপি কর্মীর মা-কে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে সিবিআইয়ের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই নবগ্রাম এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।আরও পড়ুনঃ লাইনে হুড়োহুড়ি নয়, এই জেলায় বাড়িতে বসেই মিলবে কোভিড-টিকার কুপনবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে দুপুরে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুরের নবগ্রাম এলাকা। ওই দিন নবগ্রামের বিজেপি শক্তিপ্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। আশিসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি টাঙি দিয়ে তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের হাত থেকে স্বামী অনিল ক্ষেত্রপালকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কাকলি ক্ষেত্রপালও আক্রান্ত হন। নির্মম মারধর ও ভোজালির আঘাতে কাকলিদেবী মারাত্মক জখম হন। একই হামলায় জখম হন আশিস ক্ষেত্রপালেরকাকা মানস ক্ষেত্রপালও। জখমদের সকলকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকলি ক্ষেত্রপালকে মৃত ঘোষণা করেন। জখম আশিসের বাবা ও কাকাকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিজেপি শক্তিপ্রমুখের বাড়িতে হামলা-আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই আশপাশ থেকে বিজেপির কর্মীসমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌছে তৃণমূলের লোকজনকে ঘিরে ফেলে। ওই সময়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘের্ষ তৃণমূলের দুই কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু ও বিভাস বাগ গুরুতর জখম হন।তাঁদের ওইদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভির্ত করার কিছু সময় পর তাঁরাও মারা যান।আরও পড়ুনঃ আইপিএলের নতুন ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া হতে পারে কোন কোন শহর থেকে?রাজনৈতিক হিংসায় একই দিনে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই তরফের অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ পৃথক দুটি মামলা রুজু করে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকে যদিও বাড়ি ছাড়া থাকে আশিস ক্ষেত্রপাল পাল। পুলিশ পরের দিন ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিশ গত ৩ অগস্ট আদালতে চার্জশিটও পেশ করে দেয়। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে বিজেপি নেতা আশিস ক্ষেত্রপাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটপরবর্তী এই রাজনৈতিক হিংসার মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তদন্তের জন্য সিবিআই আধিকারিক দল ২৯ আগষ্ট প্রথম নবগ্রামে পা রাখে। তাঁর পর থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে সিবিআই দল নবগ্রাম এলাকাচষে বেড়ায়। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমও নবগ্রামে তদন্তে যায়। কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সকল সদস্যের পাশাপাশি এলাকার বেশ কয়েকজনের বয়ানও সিবিআই আধিকারিকরা নথিুভুক্ত করেন। তারই মাঝে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও এদিন আদালতে দাবি জানালো সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

CBI: নবগ্রামের ফেরার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি সিবিআইয়ের

রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপি নেতার মায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার ফেরার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালালো সিবিআই।সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে। সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তা জামালপুরের শাসক দলের নেতা কর্মীদের দুশ্চিন্তাও যথেষ্টই বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তদন্ত করেছে।আরও পড়ুনঃ শার্দুল, ঋষভের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন ভারতেরবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরদিন রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুরের নবগ্রাম। ওই দিন নিহত হন নবগ্রামের বিজেপি শক্তি প্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। ওই রাজনৈতিক হিংসায় দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু (৩০) এবং বিভাষ বাগ ওরফে বিনোদ (২৭) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কাকলি ও বিভাসের বাড়ি নবগ্রামে।অপর নিহত শাজু শেখের বাড়ি জামালপুর থানার ভেড়িলি গ্রামে। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বর্ধমান আদালতে পেশ করে। ধৃতদের মধ্যে ১০ জন ছিল বিজেপি সমর্থক। একজন ছিল তৃণমূল কর্মী। মা কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর বিষয়ে জাতীয় মাণবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায় ছেলে আশিস ক্ষেত্রপাল। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।আরও পড়ুনঃ ৩৭ বছর বয়সেও চমক দেখিয়ে চলেছেন সুনীল ছেত্রীজামালপুরের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য গত ২৯ আগষ্ট সিবিআই দল প্রথম পা রাখে নবগ্রামে। তার পর থেকে এক প্রকার নবগ্রামের মাটি কামড়ে পড়ে আছে সিবিআই দল। এখনও পর্যন্ত পাঁচ দিন সিবিআই দল নবগ্রামে তদন্তে গিয়েছে। নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবার সদ্যসদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এলাকার ভিডিওগ্রাফিও করেন। ১ সেপ্টেম্বর ফরেন্সিক টিম নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা নবগ্রামে পৌছান। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এদিন বেশ কিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআইয়ের তিনটি দল বেলায় নবগ্রামে পৌছায়। তাঁরা নবগ্রামের ঘোষ পাড়া ও ওড়িষ্যা পাড়ার ফেরার তৃণমূল কর্মী সোমনাথ শিল, অমরেশ বাগ, সাগর রায়, কুমারেশ ঘোষ ,সমীর ঘোষ,সমর ধাড়া ও সমীর বাগের বাড়িতে পৌছে গিয়ে তল্লাশী চালান। পরে জামালপুর থানাতে গিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখতে যান বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এই সক্রিয়তা নিয়ে জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা অবশ্য কোন মন্তব্য করতে চাননি।আরও পড়ুনঃ জনতার কথা-র মুখোমুখি অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের ছেলে আশিস ক্ষেত্রপাল ঘটনার দিনের পর থেকে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। এদিন আশিষ ক্ষেত্রপালকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,, ভোটের ফল প্রকাশের পরদিন পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূলের লোকজন তাঁদের বাড়ি আক্রমণ করে। সেই সশস্ত্র আক্রমণে তাঁর মা কাকলি ক্ষেত্রপাল মারা যান। মারাত্মক জখম হয়ে তাঁর বাবা অনীল ক্ষেত্রপাল চলার শক্তি হারিয়েছেন। আশিস অভিযোগে বলেন , হামলা আক্রমণের বিষয়ে তাঁর পরিবার যে অভিযোগ থানায় জমা দিতে দিয়েছিল তা পুলিশ গ্রহন করেনি। অভিযুক্ত অনেকে এখনও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশি তদন্তে সুবিচার মিলবে না বুঝে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আশিস এদিন দাবি করেন,সিবিআই যে ভাবে তদন্ত করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা সুবিচার পাবেন বলে আশা করছেন। একই দাবি করেছেন নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের স্বামী অনিল ক্ষেত্রপাল।আরও পড়ুনঃ ৭৭ থেকে কমে ৭১! ফের ভাঙন বিজেপি শিবিরেসিবিআইয়ের এই তদন্তকে যদিও পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একই দিনে নবগ্রামে দুই তৃণমূল কর্মীও খুন হন। অথচ সিবিআই আধিকারিকরা নিহত দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু নিয়ে কোন তদন্তই করছে না। শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী পরিবারের মহিলার মৃত্যু নিয়েই তদন্ত করে যাচ্ছে। এর থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবেই হচ্ছে সিবিআই তদন্ত।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
রাজ্য

CBI Visit: নিহত বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে গেলেও সিবিআই গরহাজির হত দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি, বিতর্ক চরমে

হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য রবিবার পূর্ব বর্ধমানে পা রাখলো সিবিআই দল। চার সদস্যের সিবিআই আধিকারিকের দলটি এদিন দুপুরে পৌছান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুর পঞ্চায়েতের নবগ্রামে।সিবিআই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জেলার শাসক দলের নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন। তেমনি নবগ্রামের নিহত বিজেপি সমর্থকের পরিবার সদস্যরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।আরও পড়ুনঃ যাত্রা শুরু ভিস্তাডোমের! তিস্তার বুক চিরে, ডুয়ার্সের চা-বাগানের ঘ্রাণ নিয়ে, সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে ঝর্ণায় মন ভিজিয়ে গহন জঙ্গলের পথেবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দিন রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুর থানার নবগ্রাম। সেই হিংসার ঘটনায় নিহত হন দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু (৩০) এবং বিভাষ বাগ ওরফে বিনোদ (২৭)। একই হিংসার ঘটনায় ওই দিন প্রাণ হারাণ নবগ্রামের বিজেপি শক্তি প্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপাল। নিহতদের মধ্যে কাকলি ও বিভাসের বাড়ি নবগ্রামে।অপর নিহত শাজু শেখের বাড়ি জামালপুর থানার ভেড়িলি গ্রামে। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার কেরে পরদিন বর্ধমান আদালতে পেশ করে। ধৃতদের মধ্যে ১০ জন বিজেপি সমর্থক। একজন ছিল তৃণমূল কর্মী।আরও পড়ুনঃ কাবুল বিমানবন্দরে আবারও হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলা!সিবিআই আধিকারিকরা এদিন নিহত বিজেপি সমর্থক কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন। পরে তাঁরা যান নবগ্রামের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে পুলিশের সাক্ষী করা এলাকার বাসিন্দা মামনি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে। নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলে সেদিনের ঘটনা নিয়ে জানতে চান। মামনি ক্ষেত্রপাল যদিও সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেও ছিলেন না বলে সিবিআই আধিকারিকদের জানান। একই সঙ্গে মামনিদেবী সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পুলিশ কেন- কি জন্য তাঁকে সাক্ষী করেছে তার বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না। এনাদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিও করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কড়া পুলিশি পাহারায় এই দু জনের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই আধিকারিকরা নবগ্রাম ছাড়েন।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের স্বামী অনিল ক্ষেত্রপাল জানান, তিনি সিবিআই অফিসারদের জানিয়েছেন তাঁর ছেলে আশিষ বিজেপি পার্টি কর। সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন তাঁর ছেলেকে ও তাঁদের শত্রু বানিয়ে ফেলে। ভোটের ফল বের হওয়ার পরদিন তৃণমূলের সশস্ত্র দুস্কৃতিরা তাঁর ছেলের বাড়িতে আক্রমণ করে। ছেলেকে না পেয়ে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী কাকলিকে মারধোর শুরু করেদেয়। তারা টাঙ্গি দিয়ে তাঁর পায়ে মারে। ওই সময়ে তাঁর স্ত্রী কাকলি তাঁকে বাঁচাতে গেলে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকেও আঘাত করে। তার জেরে কাকলি প্রাণ হারায়।মারধরে মারাত্মক জখম হয়ে এখন সাবলিল ভাবে পায়ে হেঁটে চলার শক্তি হারিয়েছেন বলে অনিল ক্ষেত্রপাল জানান।আরও পড়ুনঃ পুলিশে আস্থা নেই, সিআইডি তদন্তের দাবি অপহৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ি চালকের পরিবারেরঅনিলবাবুর ছোট ছেলে, নবম শ্রেণির ছাত্র দীপঙ্করের সঙ্গেও সিবিআই আধিকারিকরা কথা বলেন। কাকলিদেবীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন আশিস এখনও ঘরছাড়া হয়ে রয়েছে। তবে আক্ষেপ প্রকাশ করে অনিলবাবু বলেন, আমার সিবিআই কর্তাদের আরও অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু ওনারা আমাদের সব কথা সেই ভাবে শুনতেই চাইলেন না। এদিন নিহত দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যদিও যাননি সিবিআই আধিকারিকরা। তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নিহত তৃণমূল কর্মীদের পরিবার।নিহত বিভাস বাগ ও শাজাহান শেখের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সিবিআই তাঁদের বাড়িতে না আসা থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল সিবিআই পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে কাজ করছে। সিবিআই কেন তাঁদের কথা শুনবে না সেই প্রশ্ন এদিন তুলেছেন নিহত তৃণমূল কর্মী বিভাস বাগের স্ত্রী ঝর্ণাদেবী।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডি-রজেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, সিবিআই বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেই নিহত দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে কথা বলার সদিচ্ছা দেখায় নি । যদিও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই তদন্ত হওয়ায় তৃণমূল অশনি সংকেত দেখছেন। সে জন্যই এই সব মন্তব্য করছেন তৃণমূলের নেতারা।ভোট পরবর্তী হিংসায় জেলার কেতুগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের নিহত বিজেপি কর্মী বলরাম মাজির বাড়িতেও এদিন সন্ধ্যায় যায় ৪ সদস্যের সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। তাঁরা নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। নিহতের মা টুম্পা মাজি কেতুগ্রাম থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। ছেলের হত্যার সুবিচার চেয়ে টুম্পাদেবী সিবিআই আধিকারিকদের কাছে আর্জিও জানান।

আগস্ট ২৯, ২০২১
রাজ্য

Post poll violence: পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের চারটি দল খুঁজে দেখবে হিংসাস্থল

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। সূত্রের খবর, তদন্তের সুবিধার্থে প্রথমেই গোটা রাজ্যকে চারটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চারটি দল রাজ্যে আসার পর এই জ়োন ধরেই তদন্ত করবে। শুক্রবারই চার দলের দায়িত্বে থাকা জয়েন্ট ডিরেক্টরদের ভার্চুয়াল বৈঠক।সূত্রের খবর, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ এই চার ভাগে রাজ্যকে ভাগ করবে সিবিআই। এরপর যে সমস্ত জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা ঘুরে দেখবে দলগুলো। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে এই তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও সূত্রের দাবি। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারই রাজ্যে আসতে চলেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত ১৯ অগস্টই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করবে সিবিআই। একইসঙ্গে গঠন করা হয় সিট। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সিটের তদন্তের নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।আরও পড়ুনঃ বার্লার পাশে দাঁড়িয়ে সুর বদল দিলীপের এই নির্দেশ মিলতেই দিল্লিতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। শুক্রবারই এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে সিবিআই। প্রতি দলের নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। সূত্রের খবর, লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেহরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হয়েছে এই বিশেষ দল। চারটে দলে আট জন করে আধিকারিক থাকছেন। প্রত্যেক টিমে এক জন করে এসপি পদমর্যাদার মহিলা আধিকারিকও থাকছেন।

আগস্ট ২১, ২০২১
দেশ

Post Poll violence: ৪ রাজ্যের অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিবিআইয়ের বিশেষ দল

কলকাতা হাইকোর্টে সবুজ সংকেত মিলতেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা।এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রতি দলের নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে এই বিশেষ দল। গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। তদন্তে নজরদারি করবে উচ্চ আদালত।আরও পড়ুনঃ দেশের সাধারন মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানপাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে নির্দেশ আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে। অনান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।ভোটের পর শাসকদলের মদতে বিরোধীদের ওপর হিংসা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একাধিক মামলা। আদালতের নির্দেশে রাজ্য ঘুরে রিপোর্ট দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৩ অগস্ট শুনানি শেষ হয়।

আগস্ট ২০, ২০২১
রাজ্য

Fake CBI: সিবিআই অফিসার সাজতে শুভদীপ ওয়াকি-টকিও ব্যবহার করত!

হাওড়ার জগাছার নকল সিবিআই শুধু নীল বাতির গাড়িতেই চড়ত না, ২টি ওয়াকি-টকির সেটও কিনেছিল। তদন্তকারী অফিসারদের কায়দায় ওয়াকিটকি ব্যবহারও করত। সিবিআই আধিকারিক সাজতে কোনও কসুর বাদ দেয়নি শুভদীপ। দিল্লি থেকে ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি বুধবার দুপুরে শুভদীপকে নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথিপত্র ও দুটি ওয়াকি-টকি সেট উদ্ধার করলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রেগতকাল রাতে ধৃতকে জেরা করে যে নীলবাতি লাগানো গাড়ি করে শুভদীপ ঘুরে বেড়াত সেটির সন্ধান পায় পুলিশ। গভীররাতে শুভদীপকে সাথে নিয়ে তদন্তকারীদের একটি দল হানা দেয় জোড়াবাগান থানা এলাকার ২৭৫ নম্বর রবীন্দ্র সরণীর বাড়িতে। সেখান থেকে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে জগাছা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সেই সঙ্গে গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থকে বুধবার সন্ধ্যায় থানায় দেখা করার নির্দেশ দেয়। তদন্তে জানা গিয়েছে ওই গাড়িতে শুধু নীল বাতি নয়, সিবিআইয়ের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর লেখা বোর্ড লাগিয়ে শুভদীপ ঘোরা ফেরা করত।পুলিশসুত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ, ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। পাড়ায় শুভদীপকে দেখে তাকে দেখতে লোকজনের ভিড় জমে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি করে ২টি ওয়াকি টকিসহ সিবিআইয়ের জাল কাগজপত্র সহ অন্যান্য নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃত যুবক জানিয়েছে, সিবিআই অফিসাররা তদন্তে গেলে যেমন ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকে, তেমনই সেও করত। ভুয়ো সি বি আই কান্ডে অভিযুক্ত শুভদীপ বন্দোপাধ্যায়কে দিল্লির অভিজাত হোটেল থেকে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে মঙ্গলবার হাওড়ায় আনার পরে, হাওড়ার আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ৮দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরায় এখন পর্যন্ত একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটপ্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই যুবক কম করে ৫ বছর ধরে এই জালিয়াতির কারবারে যুক্ত। বিভিন্ন জায়গায় নানা ভুয়ো পরিচয়ে মানুষে্র কাছ থেকে লক্ষলক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে, ঠিক এই প্রতারণার জাল ঠিক কতদুর বিস্তৃত। এর পিছনে কোনও মাস্টার মাইন্ড রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

Fake CBI: বিয়ের শর্তই ছিল পুলিশে চাকরি, প্রেমে পাগল শুভদীপ সাজে সিবিআই আধিকারিক

পুলিশে চাকুরী না করলে বিয়ে হবে না। এমন কথাই জানিয়েছিল প্রেমিকা। আর সেই কথা শুনেই প্রেমিকাকে বিয়ে করতেই এমন পরিকল্পনা করে শুভদীপ বন্দোপাধ্যায়। প্রেমিকাকে বিয়ে করতেই পুলিশ নয় একেবারে সিবিআই আধিকারিক সাজে শুভদীপ। পুলিশ সূত্রে খবর জেরার মুখে এমনটাই জানািয়েছে ওই যুবক।ভুয়ো সিবিআই-কান্ডে দিল্লি থেকে ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয় হাওড়ায়। তাকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে রাজধানী স্পেশাল এক্সপ্রেসে তাকে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। এদিন দুপুরে তাকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয় । বিচারক ৮দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশের জেরা শুভদীপ জানায়, বিয়ের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে শুভদীপের প্রথমে ফেসবুকে আলাপ হয়। বন্ধুত্ব থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের বাড়িই জগাছা এলাকায় হওয়ায় দেখাসাক্ষাতও করে তারা। সেই প্রেমপর্ব চলার সময়ই ওই তরুণী শুভদীপকে পুলিশে চাকরি করার কথা বলে।আরও পড়ুনঃ দেবাঞ্জনের পর এবার হাওড়ায় ভূয়ো সিবিআই কর্তা সেজে প্রতারণাএকটি বেসরকারি সংস্থায় কনসালটেন্সির চাকরি করা শুভদীপ তরুণীর প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করতে চেয়ে শেষ পর্যন্ত সিবিআই আধিকারিক সাজারই সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার মুখে শুভদীপ স্বীকার করেছে ২০১৯ সালে বিয়ের আগে থেকেই হবু স্ত্রীয়ের কাছে পুলিশ সাজতে সিবিআইয়ের বেস ধরে সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুভদীপ বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লির তাজবেঙ্গল প্যালেস হোটেলের ৭৩৯ নম্বর, রূমে ৪দিন ছিল। সোমবার নেপালে পালানোর ছক করে সে। তার পরিকল্পনা ছিল ট্রেনে রক্সৌল হয়ে সে নেপাল পালাবে। কিন্তু তার আগেই রবিবার রাতে তাকে হোটেলের ঘর থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ এ মাসেইবিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হওয়ার পরই তার স্ত্রী, স্বামীর ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক সাজার বিষয়টি সামনে আনেন। শুভদীপ সিবিআই সেজে ঠিক কী কী করেছে, কোথায় কোথায় সে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিল কি না এসব কিছু জানতেই তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিজের স্ত্রীর কাছে সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত জগাছার যুবক শুভদীপ বন্দোপাধ্যায়কে রবিবারই দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। অন্যদিকে এই কান্ডে বারে বারেই লালন কুমারের নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, লালন কুমারের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। লালন কুমারকে হাতে পেয়ে এই ঘটনার গভীরে পৌঁছাতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

জুলাই ১৪, ২০২১
রাজ্য

CBI: দেবাঞ্জনের পর এবার হাওড়ায় ভূয়ো সিবিআই কর্তা সেজে প্রতারণা

ভূয়ো টিকা কাণ্ডে ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারের পর রাজ্যজুড়ে ভূয়ো আধিকারিকের হদিশ ক্রমশ বাড়ছে। এবারে ভুয়ো সি বি আই অফিসার সেজে প্রতারণার অভিযোগ হাওড়ার জগাছার এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। পাশাপাশি বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। ভুয়ো সি বি আই অফিসার সেজে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরা-ফেরা করতেন জগাছার সুবিনয় ঘোষ সরণী লেনের বাসিন্দা শুভদীপ বন্দোপাধ্যায় বলে অভিযোগ করেন শুভদীপের প্রাক্তন স্ত্রী।আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণেররবিবার অভিযোগকারিনী মহিলা বলেন, আমি বিয়ের পাঁচ মাস পরে সিজিও কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামী মিথ্যা কথা বলছেন। উনি সিবিআই-এর পদস্থ অফিসার না হওয়া সত্বেও নীলবাতি গাড়ি, সিবিআইয়ের পরিচয় পত্র নিয়ে আমাকে প্রতারণা করেছেন। বহু লোকের থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। আমি তাই বাপের বাড়ি চলে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা করেছি। যদিও হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য বলেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভুয়ো সিবিআই সেজে প্রতারণার কোনও অভিযোগ কেউ করেননি। তবে ওনার স্ত্রী গৃহবধূ নির্যাতনের মামলা ও জালিয়াতির মামলা করেছেন। সব কিছুরই তদন্ত চলছে। তদন্তে কিছু পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ উইম্বলডনের নতুন রানি অ্যাশলে বার্টি, তৈরি করলেন অন্য নজিরঅভিযুক্ত যুবকের বাবা-মাও ছেলেকে সিবিআই অফিসার বলেই জানতেন। এমনটা রবিবার জানিয়েছেন তাঁরা। রাজকুমার বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, আমি জানতাম ছেলে সিবিআই আধিকারিক।আমাকে নিয়োগপত্র, আই কার্ড দেখিয়েছে। আমরা অত কিছু তো তখন বুঝিনি। এদিন শুভদীপের মা ছেলেকে জগাছা থানায় আত্মসমর্পন করতে বলেন। শুভদীপের কীর্তিতে বাবা-মা তিতিবিরক্ত। বর্তমানে শুভদীপ বাড়ি ছাড়া।

জুলাই ১১, ২০২১
কলকাতা

Gyaneswari Incident: 'মৃত' ব্যক্তিকে আটক করল সিবিআই

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তি আচমকাই জীবিত হয়ে উঠলেন। শুধুই বেঁচে ওঠেননি। একই সঙ্গে সরকারি ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরিও ভোগ করছিলেন এতদিনে। কিন্তু জালিয়াতি বেশিদিন চালানো গেল না। শনিবার কলকাতার জোড়াবাগান এলাকা থেকে ভুয়ো নথি, ডিএনএ রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অমিতাভ চৌধুরী। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তের বাবাকেও।২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের। মৃতদের পরিবারে জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরির ঘোষণা করে রেল। তবে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়, ক্ষতিপূরণের জন্য মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র জমা করতে হবে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির ডিএনএ-র নমুনা মিলবে এমন কোনও পরিবারের ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই ডেথ সার্টিফিকেট এবং এবং ডিএনএ রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেই কারচুপি করেছিলেন অভিযুক্ত অমিতাভ।জীবিত মানুষকেই কাগজপত্রের মাধ্যমে মৃত ঘোষণা করে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরি বাগিয়ে নেওয়া হয়। নথিতে মৃত অমিতাভ চৌধুরীর বোন রেলের একটি উর্ধ্বতন পদে সেই চাকরি পান। সেই ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর রেলের অভ্যন্তরীণ অডিটে এই বেআইনি কার্যকলাপ ধরা পড়ে। অভিযোগ দায়ের করা হয় সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন শাখায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতে জোড়াবাগান থাকা এলাকায় অভিতাভ চৌধুরীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এরপর গতকাল রাতেই অমিতাভ চক্রবর্তী এবং তাঁর বাবাকে আটক করে সিবিআই। বর্তমানে তাঁদের নিজামে প্যালেসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করতে পারে। এই ধরনের ভুয়ো নথি জমা পড়লে সাধারণত গোড়াতেই তদন্তের সময় ধরা পড়ে। তাহলে কেন আগে এদের ধরা গেল না? তবে কি রেলের কোনও আধিকারিকও গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে? আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই।

জুন ১৯, ২০২১
দেশ

সিবিআই-এর ‘ত্রুটিপূর্ণ আবেদন’ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হল না সিবিআইয়ের নারদ-আবেদন। আবেদনে এক ডজন ভুল থাকায় শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত। সিবিআই সূত্রের খবর, ত্রুটি শুধরে ফের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হবে।নারদ মামলায় ধৃত রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ অভিযুক্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুনানির জন্য শুক্রবার বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রবিবার মধ্যরাতে অনলাইনে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনই সোমবার খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।১৭ মে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় সে দিন ৪ জনকেই জামিন দেন। কিন্তু সিবিআই সেই রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের উপরে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে চার জনকেই জেল হেপাজতে পাঠানো হয়।এরপর শুক্রবার হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মামলাটি ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সোমবার বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বুধবার।

মে ২৪, ২০২১
কলকাতা

অবৈধ অর্থ ভান্ডারের খোঁজে তৃণমূল নেতার সন্ধানে সিবিআই

কয়লা ও গরু পাচারকারীদের লিংক ম্যান বিনয় মিশ্রের অফিস ও বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। বিনয় মিশ্র গরু পাচারকারী এনামুল ও কয়লার বেআইনি কারবারি অনুপ মাঝি ওরফে লালা এই দুজনেরই খুবই ঘনিষ্ঠ। সিবিআই তদন্তে তেমনি তথ্য উঠে আসে। বিনয় মিশ্রের নামে লুকআউট নোটিশও জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বিনয় মিশ্র। এই প্রথম সরাসরি তৃণমূলের কোনও নেতার নাম জড়িয়ে গেল গরু ও কয়লা পাচারচক্রে।সিবিআই সূত্রের খবর, এনামুল ও লালার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পৌঁছে যেত বিনয় মিশ্রর কাছে। তদন্তকারীদের মতে, সম্ভবত সেই কালো টাকা ঘুরপথে বিদেশ থেকে ঘুরে সাদা টাকায় পরিণত হত। আবার কখনও ভুয়ো সংস্থার নামে ওই টাকা সাদা হতে সময় লাগত না। কিন্তু সেই টাকা কোথায়? অবৈধ টাকার ভান্ডারের সন্ধান খুঁজতেই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এদিন তল্লাশিতে বহু নথি উদ্ধার হলেও বিনয় মিশ্রের খোঁজ পায়নি সিবিআই।বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্য় রাজনীতি তোলপাড় গরু ও কয়লা পাচারচক্র নিয়ে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই পাচার নিয়ে বিভিন্ন জনসভায় সরব হয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম শাসকদলের কোনও নেতার কলকাতার তিনটে অফিস-বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছে রাসবিহারী, চেতলা ও লেকটাইউনে। সিবিআইয়ের মাথা যন্ত্রনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের এই যুব নেতা কয়লা ও গরুর টাকা কোথায় গচ্ছিত রেখেছেন তা নিয়ে।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
রাজ্য

উলেন রায়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

উলেন রায়ের মৃত্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। মঙ্গলবার উলেন রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই বনধকে সফল করতে শিলিগুড়ির রাজপথে মিছিল করে বিজেপির একাধিক সাংসদ, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সায়ন্তন বসু, সাংসদ রাজু বিস্তা, নিশিথ প্রামাণিক এবং অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির জেলার অন্যান্য কার্যকর্তারা। এই মিছিল থেকেই মৃত বিজেপি কর্মীর উলেন রায়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেন দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তা। এই দাবিতে অবিলম্বেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি এমনটাও জানান তিনি। এদিন উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। প্রমান লোপাট করতেই রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করেছে প্রশাসন। যদিও রাজ্যপুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শটগানের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই কেউ শটগান এনেছিলেন এবং খুব কাছ থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নিজে খুন করে বলছে পুলিশ মেরেছেঃ মমতা অন্যদিকে, উলেন রায়ের মৃত্যু নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্ত শেষ করে রাতারাতি দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় পরিবারকে। এমন অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে এই অবস্থায় দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন উলেন রায়ের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা। তাঁদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে জানিয়ে তাঁদের মুচলেকা লিখতে বলা হয় পুলিশের তরফে। মুচলেকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ লিখতে বলায় তাঁরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাদা কাগজে পুলিশের লেখা বয়ানেই জোর করে সই করতে হয়েছে তাঁদের। এমনকি মুচলেকায় উলেন রায়কে বিজেপি কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়নি। রাতে কেন ময়নাতদন্ত হল? পাশাপাশি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চাপ কেন এমন একাধিক অভিযোগ জানিয়ে ফের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছে উলেন রায়ের পরিবার। এছাড়াও উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিল উত্তরবঙ্গের বিজেপির চার সাংসদ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েতের মেনঘোড়া গ্রামে যান কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ, নিশিথ প্রামানিক, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, দার্জিলিং -এর সাংসদ রাজু বিস্তা, বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন মৃতের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ওই পরিবারের পাশে সবসময় থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কলকাতা

সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে

সারদা মামলার তদন্তে নতুন একটি ভয়েস রেকর্ডিং হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই ভয়েস রেকর্ডিং-এর ভিত্তিতে এবার জেলে গিয়ে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের জেরার অনুমতি দিয়েছে নিম্ন আদালত। ্মঙ্গলবার দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের শুনানিতেই এমনটা জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। আরও পড়ুন ঃ আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের তদন্তকারীদের দাবি, ওই ভয়েস রেকর্ডিং চিটফাণ্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। আট সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি। সেদিনই ফের দেবযানীর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন? কুণাল ঘোষ যদি জামিন পেতে পারেন, তাহলে দেবযানী মুখোপাধ্যায় কেন পাবেন না? সিবিআই-এর বক্তব্য, কুণাল ঘোষ মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি সারদা গোষ্ঠীর বেতনভূক কর্মী ছিলেন। দেবযানী ও কুণালের বিষয়টি এক নয়।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। সো্মবা্র রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আসার পর সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুন সিং বলেন, বিজেপি ও মণীশ শুক্লার বাবার পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি সাংবিধানিকভাবে যা করার করবেন।মমতার সরকারের পুলিশের উপর ভরসা নেই। মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান। এছাড়াও বিজেপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়,কৈ্লাস বিজয়বর্গীয়। মনীশ শুক্লার বাবা রাজ্যপালকে বলেন, পুলিশ খুনের মামলা রুজু করতে চাইনি। পুলিশ বলেছিল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।এদিকে এদিন বিকেলে এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মণীশের ময়নাতদন্ত হয়। তার পরেই তাঁর দেহ নিয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে রাজভবনের উদ্দেশে এগোতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা।মৃতদেহ নিয়ে এগোতে শুরু করলে, কলকাতা পুলিশের তরফে বিজেপি নেতাদের বলা হয়, যে মরদেহ নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিজেপি নেতারা। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে তাঁরা এগোতে থাকেন। এক সময়ে নিউ মার্কেট চত্বরে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়।এরপরেই রাজভবনে সরাসরি ফোন করেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তার পরে সেই ফোনেই রাজভবনের সঙ্গে ডিসি সেন্ট্রালকে কথা বলিয়ে দেন তিনি। রাজভবনের সঙ্গে কথা বলার পরে ডিসি জানান, প্যারাডাইস সিনেমা হলের সামনে মৃতদেহ ও গাড়ি রেখে বিজেপির চার জন সদস্য রাজভবনে যাবেন। শেষমেশ মৃতদেহ নিয়ে গাড়িটি চলে যায় টিটাগড়ের দিকে।

অক্টোবর ০৫, ২০২০
দেশ

কর্নাটকের কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে সিবিআই হানা

কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডি শিব কুমার ও তাঁর ভাই ডিকে সুরেশের ১৫টি সম্পত্তিতে অভিযান চালাল সিবিআই। সো্মবার সকালে এই অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। কংগ্রসের অভিযোগ, কর্নাটকের উপ নির্বাচনগুলির প্রস্তুতি বানচাল করতেই এই হানা। গত বছর অর্থ তছরূপের অভিযোগে ৫৮ বছরের কর্নাটক কংগ্রেস প্রধানকে ৪ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছিল ইডি। মোদি ও ইয়েদুরাপ্পার এই রাজনৈতিক খেলা সবাই ধরে ফেলেছে বলেও কটাক্ষ করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগ অস্বীকার করে সিবিআই আইন অনুযায়ী কাজ করছে বলে দাবি কর্ণাটক বিজেপির।

অক্টোবর ০৫, ২০২০
দেশ

হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যোগীর

হাথরস গণধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে সিবিআইয়ের হাতে।এমনই সিদ্ধান্তের কথা শনিবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। সারা দেশ উত্তাল হাতরস কাণ্ড নিয়ে।নির্যাতিতার জন্য পথে নেমে সওয়াল করছে রাজনৈতিক -অরাজনৈতিক সব পক্ষ।হাতরস কাণ্ডে বহু বিষয়ই হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। বেগতিক বুঝেই শনিবার বিকেলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন যোগী আদিত্যনাথ। তার আগে ধর্ষিতা দলিত কন্যার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ডিজিপি এইচসি অস্তি এবং স্বরাস্ট্রসচিব অবিনাশ অতশী। তাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার পরিবার। খবর পৌঁছয় যোগীর টেবিলে।এদিকে আজ রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি দেখা করেন হাতরস কন্যার পরিবারের সঙ্গে। দেশের নানা প্রান্তে পথে নামছে বিরোধীরা।যন্তরমন্তর থেকে গর্জন করছেন চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম আর্মির সদস্যরা। পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দাবি করা হচ্ছে যোগীর পদত্যাগ।বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও যোগীকে এই ঘটনায় সঠিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এই চাপের মুখেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।অন্যদিকে,পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাহুল গান্ধী বলেন, কোনও শক্তি আমাদের রুখতে পারবে না। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।প্রিয়াঙ্কা বলেন, মেয়েটির পরিবার ন্যায়বিচার না পাওয়া অবধি আমরা লড়ে যাব। যোগী আদিত্যনাথ নিজের দায়িত্বকর্তব্য ভুলে যেতে পারেন না। আর দ্ব্যর্থহীন ভাষায়ক্ষোভ উগড়ে দেন মৃতার ভাই। তিনি বলেন, জেলাশাসক আমাদের শাসিয়েছে। তাকে কেন বরখাস্ত করল না সরকার? ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমার বোনের অস্থিবিসর্জন হবে না।

অক্টোবর ০৩, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal