• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengal

খেলার দুনিয়া

আবার হার, লজ্জা আরও বাড়ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিটনেস সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে বসেই ছিলেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ফ্রান সোতাকে প্রথম একাদশে জায়গা দিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। দিনেন সহজতম সুযোগ নষ্ট করে দলকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিলেন ফ্রান সোতা। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১০ গোলে হারল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার টানা দ্বিতীয় হার লালহলুদের। ম্যাচের আগের দিন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা বলেছিলেন, তাঁর দলের বিরুদ্ধে যে কোনও দল খেলতে ভয় পাবে। কথাটা খুব একটা ভুল বলেননি। লিগ টেবিলে চার নম্বরে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্সকে জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হল। আর ফ্রান সোতা যদি দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট না করতেন, তাহলে তো জয়ই পেত না কেরালা ব্লাস্টার্স। চোট সমস্যার জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রথম একাদশের কয়েকজন ফুটবলার ছিলেন না। ড্যারেন সিডোয়েল ও গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গলও সমস্যায় পড়ে। প্রথম একাদশে এদিন বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ফ্রান সোতা, জয়নার লরেন্সো, মহম্মদ রফিক, শঙ্কর দাস, রাহুল পাসোয়ানদের নিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেন লালহলুদ ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের ২৫ মিনিট পর্যন্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল সেভাবে ছন্দে ছিল না। এরপর আস্তে আস্তে খেলাটা ধরে নেয়। দারুণ ফুটবল উপহার দেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। বেশ কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাঁর সেন্টার থেকে লালহলুদ জার্সি গায়ে অভিষেককারী রাহুল পাসোয়ান গোল করতে পারলে ছবিটা বদলে যেত। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা ব্লাস্টার্স। ৪৯ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন এনেস সিপোভিচ। পিছিয়ে পড়েও হতদ্যোম হয়ে পড়েনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। পেরোসেভিচের নেতৃত্বে আবার ম্যাচে ফিরে আসে। ৮২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান সাতো। সামনে শুধু গোলকিপারকে পেয়েও বাইরে মারেন। গোল করতে পারলে অন্তত ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
কলকাতা

যত জিতব তত নম্র হতে হবে, বললেন মমতা

তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে যাওয়ার আগে চার পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়কে জনগণকে উৎসর্গ করলেন দলের সভানেত্রী।বিমানে ওঠার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জয়ের জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। যত জিতব তত আমাদের নম্র হতে হবে। আগামী দিনে আমার লক্ষ্য শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। আমাদের সমস্ত সামাজিক প্রকল্প যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হবে। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল, কলকাতা পুরসভায় জিতেছি। আগামী দিনে আরও কয়েকটি পুরসভা নির্বাচন আছে।তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের পরিষেবা, বাংলার সবুজায়ন, শিল্প সমৃদ্ধ করা, মায়ের সম্মান, ছাত্র যুবদের সম্মান, শ্রমিক কৃষকের ভালবাসা, সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে সংস্কৃতি সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে আমরা করে চলেছি এবং করে যাব। আরও বেশি করে মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আগামিদিন আমার ডেস্টিনেশন ইন্ডাস্ট্রি। কাজের সুযোগ বাড়ানো।একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, জনগনের পরিষেবা পুরনিগম, পুরসভা দেবে। সরকারের অনেক কাজ। মঙ্গলবার থেকে আবার দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। আমাদের সমস্ত সরকারি প্রকল্প যেন ঠিকমতো চলে তা সবাইকে দেখতে হবে। কোভিড কমে গেলেও সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এই জয় মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। আজ শিলিগুড়ি যাচ্ছি। কোচবিহারে অনুষ্ঠান আছে। ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মিটিংও আছে। আজ পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন। ওখানে পৌঁছে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করব।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

৩ দিনের সফরে আজ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনদিনের সফরে আজ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার বিকেলে তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন। রাতে শিলিগুড়িতে থাকবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার কোচবিহার যাবেন। সেখানে সার্কিট হাইসে থাকবেন তিনি। বুধবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বানেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বীর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা। এরপর কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ মন্দিরে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌যে কোনও দলই এখন আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে’‌, কেন একথা বললেন লালহলুদ কোচ রিভেরা?‌

প্লে অফের আশা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বাকি ৩ ম্যাচ লালহলুদের কাছে শুধুই সম্মানরক্ষার লড়াই। মারিও রিভেরার দলের সামনে হারানোর কিছু নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে খেলতে যে কোনও দলই যে ভয় পাবে, একথা মনে করিয়ে দিয়েছেন লালহলুদ কোচ। রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কেরালার কাছে ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালভাবে টিকে থাকার জন্য এই ম্যাচটা জিততেই হবে কেরালা ব্লাস্টার্সকে। হারলেই পিছিয়ে পড়তে হবে। কেরালার কাছে ম্যাচটা সহজ হবে না। সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে মারিও রিভেরার মুখে। কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লালহলুদ কোচ বলেন, আমার দল আগের থেকে অনেক ভাল ছন্দে রয়েছে। আমাদের এখন হারানো বেশ কঠিন। কোনও দলই এখন আর আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে খুশি হবে না। যে কোনও দলই আমাদের এখন ভয় পাবে। দল নিয়ে খুব একটা চিন্তায় নেই লালহলুদ কোচ। জ্যাকিচাঁদ সিং, ফ্রান সোতারা খেলার মতো জায়গায় চলে এসেছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন সোতা। না হলে পরিবর্ত হিসেবে নামবেন। কয়েকজন ফুটবলারের হালকা চোট থাকলেও তাঁদের মাঠে নামতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, ফ্রান সোতা পুরোপুরি ফিট। কেরালার বিরুদ্ধে ওকে মাঠে নামানোর কথা ভাবছি। জ্যাকিচাঁদও অনুশীলন করছে। ওকেও স্কোয়াডে রাখব। কয়েকজন একটু মানসিক চাপে ভুগছে। দুএকজন ছাড়া বাকিরা মাঠে নামার জন্য তৈরি। এই মুহূর্তে ১৪ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু এসি। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ২৩ পয়েন্ট। ১৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারালে তৃতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। তাই বিপক্ষ যে জয়ের জন্য মরিয়া হবে, সেকথা মাথায় রাখছেন মারিও রিভেরা। কেরালাকে যথেষ্ট গুরুত্বও দিচ্ছেন। লালহলুদ কোচ বলেন, কেরালার সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার আছে। দলে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। গুরুত্ব তো দিতেই হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
নিবন্ধ

মরীচিকা (The Mirage)

নীল আকাশের বুকে পেঁজা তুলোর মতভেসে যাওয়া মেঘের পিছু-পিছু,ছুটে চলে অভিমানী মন, দূরে, বহু দূরে;যেথা শিশিরে ভেজা জোনাকির আলোআর কদমের ঘ্রাণে মেশা মিষ্টি বাতাসগড়েছে শান্তির উপনিবেশ।মধ্যাহ্নের প্রচন্ড দাবদাহে, ঝলসে যাওয়ামৃতপ্রায় মন খুঁজে পায় শিউলির শীতল পরশ।ক্ষয়িষ্ণু আয়ুর প্রহর গুনতে গুনতেআসে বসন্তের শিহরণ।তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে কামনার হাতছানি আততায়ীর মতো।আকণ্ঠ নীলিমা পান করে, জ্যোৎস্না প্লাবিতছায়াপথ ধরে এগিয়ে যাই,কোন অনামি নক্ষত্রের কক্ষপথের দিকে।অস্তিত্ব রক্ষার প্রবল সংগ্রামের মাঝেক্ষণিকের অজ্ঞাতবাস। ক্ষীণ হয়ে আসেধমনীতে প্রবাহিত রক্তের দাপাদাপি।প্রাণভরে নিই গভীর প্রশ্বাস।তবু অবচেতন মনের কোণেউঁকি মারে ভয়।এই বুঝি ভোর হয়।পূবের আকাশে রক্তের ছিটে।অচিরেই সরে যাবে কুয়াশার চাদর।অন্ধকারের অজ্ঞাত আশ্রয় থেকে বেরিয়েআমাকে সম্মুখীন হতে হবে জ্বলন্ত সুর্যের।দারিদ্র্যের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হবেবিবেক, মনুষত্ব আর বিশ্বাসের।প্রবঞ্চকের শানিত তরবারি নির্মমআঘাত হানবে আমার বুকে।অনৈতিকতার নির্লজ্জ চাবুক নেমে আসবেশরীরে, মনে, প্রতি রোমকূপে-রোমকূপে।প্রত্যেকদিনের যুদ্ধে জয়ী তুমিই হবে,হে দারিদ্র্য, তুমিই জয়ী নিয়তির অমোঘ বিধানে।আমি নিরস্ত্র অসহায়।অপুষ্টিতে ভোগা, ঘামে ভেজা আমার ক্লান্ত শরীরহয়ে আসবে অবসন্ন।রুধিরস্নাত শরীরের রঙ মিশে যাবেসূর্যাস্তের বর্ণচ্ছটায়।তবু আমি হাঁটব।প্রেমহীন, স্থবির সমাজের চোখে চোখ রেখে,জীবনপথের অতিভূজ ধরে,এক বুক স্বপ্ন নিয়ে হেঁটে যাবমরীচিকার পানে নবজীবনের সন্ধানে।কবিঃ দীপক কুমার মণ্ডল

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

২৯ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় লালহলুদ জার্সি গায়ে ৫ বছর কাটানো লালরিনডিকা রালতে

১৩ বছরের পেশাদার ফুটবলজীবন। তারমধ্যে ৫ বছরই কাটিয়েছেন লালহলু্দ জার্সি গায়ে। একসময়ের লালহলুদের নয়নের মনি লালরিনডিকা রালতে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন। শনিবারই পেশাদার ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।দারুণ সাড়া জাগিয়েছিলেন মিজোরামের এই মিডফিল্ডার। পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে। তারপর যোগ দেন ইস্টবেঙ্গলে। আই লিগে তাঁর দুর্দান্ত ফুটবল সুযোগ করে দেয় আইএসএলে খেলার। মুম্বই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, অ্যাটলেটিকো কলকাতা ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৬ সালে অ্যাটলেটিকো কলকাতা আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন লালরিনডিকা রালতে। অ্যাটলেটিকো কলকাতাকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই মিজো মিডফিল্ডার। ২টি গোল করেছিলেন। আর তাঁর পাস থেকে এসেছিল ৫টি গোল। মুম্বই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও অ্যাটলেটিকো কলকাতার জার্সি গায়ে আইএসএলে মোট ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন লালরিনডিকা রালতে।কেন হঠাৎ থেকে ফুটবল থেকে অবসর নিলেন এই মিজো মিডফিল্ডার? দায়ী করছেন করোনা পরিস্থিতিকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লালরিনডিকা রালতে লিখেছেন, প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলাম, যতটা দীর্ঘসময় ধরে খেলতে পারি খেলব। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য ফুটবলাররা বায়ো বাবলের মধ্যে থেকে খেলতে বাধ্য হচ্ছে। মাঠে দর্শকও থাকছে না। আগের মতো পরিবেশ নেই। এইরকম পরিস্থিতিতে খেলে নিজেকে অনুপ্রানিত করতে পারছি না। আমার কোচও আমাকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু আমি পরিস্থিতির জন্য ফুটবল থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।রালতে আরও বলেছেন, আমার বাবা দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমার ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রালতে লিখেছেন, আমার হৃদয় ও আত্মা ফুটবলে নিয়োজিত করেছিলাম। ফুটবলই আমাকে পরিচিতি দিয়েছে। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে চ্যাপ্টার শেষ করলাম। এবার নতুন আর একটা জীবন শুরু করব। বছরের পর বছর ধরে যারা আমার পাশে থেকেছে, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।১৩ বছরের পেশাদার ফুটবলজীবনে লালহলুদ জার্সি গায়েই অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন লালরিনডিকা রালতে। পাঁচপাঁচটি বছর খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। তবে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু করেছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে। আইএসএল ঘুরে ২০১৮তে দ্বিতীয় দফায় সই করেন। দুই মরশুম লালহলুদ জার্সি গায়ে কাটিয়ে ২০২১ সালে রিয়েল কাশ্মীরে যোগ দেন রালতে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০-২১ দেবশ্রীতা

জীবন যুদ্ধে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করেছিলেন । তিনিই প্রথম বাঙালি যিনি বিশ্বের দরবারে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া র হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০২০-২১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স এর শিরোপা ওঠে তার মাথায়। মডেলিং এবং ফ্যাশন জগতে তার নাম প্রথম সারিতে। তিনি হলেন দেবাশ্রীতা মুখার্জি। তার জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা কলকাতায়। আইন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক তার পর বিদেশে ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে বিবাহের পর তিনি অস্ট্রেলিয়া বাসি। তার ১০ বছরের মেয়ে রয়েছে। এক সংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া কে একযোগে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুব খুশি। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড নিয়ে এখনও অনেকের মনে অনেক ভীতি রয়েছে। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে যদি স্থির থাকা যায় তাহলে কোনো সমস্যা হয় না। স্বামীর থেকে পাওয়া সহযোগিতার কথাও উল্লেখ্য করেন দেবশ্রী। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে মিসেস ইউনিভার্স অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট রানারআপ , মিসেস কার্ভস অ্যান্ড কার্ল ইন্টারন্যাশনাল ২০২১। মিসেস সিক্রেট অস্ট্রেলিয়া পুরস্কার রয়েছে তার কাছে। ওয়ান্ডার অফ ওম্যানহুড র ব্র্যান্ড এম্বাসেডর তিনি। ওয়ান্ডার অফ ওম্যানহুড এডভোকেসি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পেয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত তার মা রুবি মুখার্জি বলেন, প্রাথমিক ক্ষেত্রে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড নিয়ে আমি একটু সংকোচ বোধ করি। কিন্তু বর্তমানে মেয়ের সাফল্য সেই দ্বিধা কে সম্পূর্ণ দূর করে দিয়েছে। আগামী প্রজন্মের কাছে আমি বলতে চাই যারা এই গ্ল্যামার ওয়ালড নিয়ে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা অবশ্যই পারিবারিক সম্মতিতে এগিয়ে যেতে পারবে। উপস্থিত ডেভিনা সেনগুপ্ত দেবাশ্রীতার ১০ বছরের কন্যাও তার মায়ের সাফল্যে উচ্ছসিত। এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবা অসিত মুখার্জি, কে কে চ্যাটার্জী, সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট তেজাস গান্ধী, তুষার ঢালীওয়ালা, সৌমী দত্ত প্রমুখ।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে কেন ভর্তি হলেন সৌরভ গাঙ্গুলি?‌

তাহলে কি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি? ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট শুক্রবার বেঙ্গালুরুর নারায়না হেলথ সিটি হাসপাতালে যেতেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। সৌরভপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র উৎকন্ঠা শুরু হয়ে যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজনের কাছে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। অবশেষে ঘনিষ্ঠমহল থেকে সকলকে আশ্বস্ত করা হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির কিছুই হয়নি। ডাঃ দেবী শেঠির কাছে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শনিবার ও রবিবার বেঙ্গালুরুতে হবে ২০২২ আইপিএলের মেগা নিলাম। সেই মেগা নিলামে হাজির থাকতে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। বেঙ্গালুরু পৌঁছনোর পর তিনি চলে যান ডাঃ দেবী শেঠির কাছে। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতেই রয়েছেন ডাঃ দেবী শেঠি। তাই সেখানেই হার্টের পরীক্ষার জন্য হাজির হন সৌরভ। চেকআপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। গতবছর সৌরভের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়েছিল। দুদুবার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও করতে হয়েছে। এখন বেশ ভালোই রয়েছেন সৌরভ। হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যাও নেই। এবছর শুরুতে করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। আইপিএলের মেগা নিলামে প্রথম দিন ভাগ্য পরীক্ষা হবে ১৬১ জন ক্রিকেটারের। প্রথম দিন যে সব ক্রিকেটার অবিক্রিত থাকবেন দ্বিতীয় দিনেও আবার তাঁদের নিলামে তোলা হবে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, প্যাট কামিন্স, কুইন্টন ডিকক, শিখর ধাওয়ান, ফাফ ডুপ্লেসি, শ্রেয়স আয়ার, কাগিসো রাবাডা, মহম্মদ সামি, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ১০ জন মার্কি ক্রিকেটারদের প্রথমে নিলামে তোলা হবে। প্রথম দিনের নিলামে ৬২টি সেট থাকবে।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার বিপাকে এসসি ইস্টবেঙ্গল, পড়তে চলেছে ফেডারেশনের শাস্তির মুখে

চলতি আইএসএলে খুব খারাপ জায়গায় রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৬ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয়। লিগ টেবিলে আপাতত দশম স্থানে। মাঠের মধ্যে তো সমস্যায় রয়েছেই, এবার সমস্যা মাঠের বাইরেও। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৭ ফুটবলারের বকেয়া টাকা না মেটালে আগামী তিনটি ট্র্যান্সফার উইন্ডোতে কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না লালহলুদ।অতীতেও ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোর অভিয়োগ রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। টাকা না মেটানোয় বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। লালহলুদের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল। ফুটবলার সই করানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরে ফুটবলারদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে সে যাত্রায় শাস্তির হাত থেকে বেঁচেছিল। আবার সেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে চলেছে। তবে এবার ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির পক্ষ থেকে।কেভিন লোবো, কিগান পেরেরা, গিরিক খোসলা, ইউজেংসন লিংডো, অনিল চৌহান, সিকে বিনিথ, রিনো অ্যান্টো, এই ৭ ফুটবলারকে ২০২০ সালে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ওই বছর সেপ্টেম্বরে লালহলুদের দায়িত্ব নেয় শ্রী সিমেন্ট। নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট এই ৭ ফুটবলারকে দলে রাখেনি। এমনকি চুক্তির পুরো অর্থও দেয়নি। বকেয়া অর্থের জন্য এই ৭ ফুটবলার ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন জানায়। বুধবার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি চিঠি পাঠিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়েছে, ৪৫ দিনের মধ্যে ফুটবলারদের বকেয়া অর্থ মেটাতে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বকেয়া অর্থ না মেটালে ট্র্যান্সফার ব্যানের মুখে পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ৭ ফুটবলারের মোট বকেয়ার পরিমান ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সবথেকে বেশি বকেয়া কেভিন লোবোর। তিনি পাবেন ৪১ লক্ষ টাকা। রিনো অ্যান্টো পাবেন ২৬ লক্ষ, সিকে বিনিথ ও লিংডোর বকেয়া ২১ লক্ষ টাকা করে। কিগান পেরেরার বকেয়া ১৬.৮০ লক্ষ, অনিল চৌহানের ১০.২৮ লক্ষ, গিরিক খোসলার বকেয়া ৬.৩০ লক্ষ। ফেডারেশনের চিঠি পাওয়ার পরপরই পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। চিঠিতে শাস্তি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে অ্যাপিল কমিটির কাছে এখনও আবেদন করেনি।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গলের আসল ‘‌হীরে’‌ তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান

চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে মরশুম শুরুর আগেই টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটে। শেষ মুহূর্তে দল গড়তে নেমে ভালমানের ফুটবলার পাননি এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যে কজন স্বদেশি ফুটবলারকে সই করিয়েছিলেন, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত উজ্জ্বল হীরা মণ্ডল। চলতি আইএসএলে হীরাই লালহলুদের আসল হীরে। ইতিমধ্যেই সামনের মরশুমের জন্য তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। ২০১৫ সালে পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে ফুটবলজীবন শুরু করেন হীরা মণ্ডল। তারপর রোনবো এসসি, টালিগঞ্জ, পিয়ারলেস হয়ে ২০১৮১৯ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। লালহলুদ জার্সি গায়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। পরের মরশুমে যোগ দেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। ২০২০২১ মরশুমে সাদাকালো জার্সি গায়ে আই লিগে নজরকাড়া ফুটবল খেলেছিলেন হীরা মণ্ডল। ১৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন আই লিগে। লেফট ব্যাকে খেললেও দুর্দান্ত ওভারল্যাপে উঠতে পারেন। আই লিগে সাদাকালো জার্সি গায়ে দুটি গোলও করেছিলেন। এই মরশুমে আইএসএল শুরুর আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সই করায় হীরাকে। চলতি আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যে ২ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি হীরা মণ্ডল। বাকি ১৪টি ম্যাচেই তিনি খেলেছেন। আদতে লেফট ব্যাক হলেও দলের প্রয়োজনে কখনও সেন্ট্রাল ডিফেন্সে, কখনও আবার রাইট ব্যাকে খেলতে হয়েছে। সব জায়গাতেই নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। চলতি আইএসএলে ভুল যে করেননি, এমন নয়। দুদুটি ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছিলেন হীরা। তবে বাকি ম্যাচে তাঁর দুরন্ত পারফরমেন্স ভুলত্রুটি ঢেকে দিয়েছে। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে একটা দুর্দান্ত গোললাইন সেভ করে রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চলতি আইএসএলে এসসি ইস্টেঙ্গলের স্বদেশী ফুটবলারদের রেটিংয়ে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর রেটিং ৬.০৭। স্বদেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রেটিং নওরেম মহেশ সিংয়ের। তাঁর রেটিং ৬.১১। আইএসএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা এসসি ইস্টবেঙ্গলের হীরে তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই হীরা মণ্ডলকে প্রস্তাব দিয়েছেন সবুজমেরুণ কর্তারা। সূত্রের খবর, এটিকে মোহনবাগান ছাড়াও আরও কয়েকটি ক্লাব হীরাকে পেতে চায়। এই তালিকায় রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, হায়দরাবাদ এফসির মতো ক্লাবগুলি। তবে এখনই সামনের মরশুম নিয়ে ভাবতে চাননা হীরা। লালহলুদ জার্সি গায়ে আপাতত ভালভাবে মরশুম শেষ করাই লক্ষ্য।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অনেক অপমান সহ্য করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলে, বাতিল চিমাই ফুল ফোটাচ্ছেন

তাঁকে মাঠে দেখলেই লালহলুদ সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। আবার ড্যানিয়েল চিমা চুকুয়ামা কেন। ওন্য কোনও ফুটবলার ছিল না। লালহলুদ জার্সি গায়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ। গোলের সামনে বল পেলেও তিন কাঠিতে পাঠাতে পারতেন না। অনেকেই বলাবলি করতেন চিমা নামের কলঙ্ক। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই বাতিল চিমাই ফুল ফোটাচ্ছেন জামশেদপুর এফসির জার্সি গায়ে।উইলিস প্লাজাকে মনে আছে? লালহলুদ জার্সি গায়ে আই লিগে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই চমকে দিয়েছিলেন। তাঁর টাচ সকলের মন কেড়েছিল। দুএকটা ম্যাচ যেতে না যেতেই প্লাজাকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছিল। পরের মরশুমে প্লাজাকে দলে রাখেননি লালহলুদ কর্তারা। অথচ সেই প্লাজাই আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে পরে ফুট ফুটিয়েছিলেন। সেই অবস্থা ড্যানিয়েল চিমা চুকুয়ামারও।লালহলুদ জার্সি গায়ে এই মরশুমে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থতার পর কর্তারা চিমাকে রিলিজ দেন। হতাশায় ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিমা। দেশে রওনা আগের মুহূর্তে জামশেদপুর এফসিতে খেলার প্রস্তাব পান। জামশেদপুর এফসির প্রস্তাব পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ভাবেননি চিমা। দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে জামশেদপুরে সই করেন। চিমার জামশেদপুরের জার্সি বেছে নেওয়ার পেছনে লালহলুদে ব্যর্থতা। চিমা চেয়েছিলেন, নিজেকে প্রমাণ করতে। তাই ভারতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, প্রমাণ করে দিয়েছেন। তিনি যে খারাপ ফুটবলার নন, এটাই প্রমাণ করার সবচেয়ে বেশি তাগিদ ছিল। নরওয়ের প্রথম ডিভিশন ক্লাব মোল্ড এফ কেতে চুটিয়ে খেলেছেন চিমা। ক্লাবকে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোল্ডের কোচ ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ গানার সোলসজায়ের। তাঁর কোচিংয়ে খেলেছেন চিমা। ২০১৩ সালে মোল্ডের জার্সি গায়ে প্রথম ডিভিশনে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন চিমা। করেছিলেন ১৩ গোল। কেন লালহলুদ জার্সি গায়ে সাফল্য পাননি? তার ব্যাখাও দিয়েছেন চিমা। তিনি বলেন, যখন আমি ভারতে আসি, কোনও সমস্যা ছিল না। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। ক্লাবের খারাপ পারফরমেন্স আমার ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। নানারকম নেগেটিভ কথা বলা হত, আমাকে নিয়ে ট্রোল করা হত, এমনকি অপমানও সহ্য করতে হয়েছে। খারাপ সময়ে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন চিমা। তিনি বলেন, দুঃসময়ে পরিবার আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। মানসিকভাবে আমাকে উজ্জীবিত করেছিল। না হলে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম না। জামশেদপুর এফসি যে তাঁকে দলে নেবে, ভাবতেই পারেননি চিমা। তাঁর কথায়, জামশেদপুর এফসির মতো লিগ টেবলের ওপরের দিকে থাকা দল আমাকে নেবে, ভাবতেই পারিনি। ওদের প্রস্তাব পেয়ে আমি দারুণ খুশি হয়েছিলাম। আমার মধ্যে নিশ্চয় ওরা কিছু দেখেছিল, না হলে প্রস্তাব দিত না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই দলকে জিতিয়েছিলেন।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মহাবিপর্যয় লালহলুদের, সম্মানটুকুও হয়তো বাঁচবে না এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যত কী? ফুটবলাররা তো দূরের কথা, কর্তারাও জানেন না। হারতে হারতে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কবেই শেষ। সম্মানটুকুও হয়তো বাঁচবে না। ওড়িশা এফসি-র কাছে আবার হার। তবে প্রথম পর্বের মতো ৬ গোল হজম করতে হয়নি। এটাই যা রক্ষা। তবে ২-১ ব্যবধানে হেরে প্লে-অফের লড়াইয়ে ধুকতে থাকা ওড়িশা এফসি-কে নতুন করে অক্সিজেন জোগান দিল লাল-হলুদ। এই নিয়ে ১৬ ম্যাচের মধ্যে আটটিতে হারল এসসি ইস্টবেঙ্গল।ঢিমেতালে ম্যাচ শুরু করেছিল দুদল। আস্তে আস্তে ম্যাচের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ওড়িশা। ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায়। জাভি হার্নান্দেজ একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ধার থেকে ফার পোস্টে পাস বাড়ান অরক্ষিত জোনাথাস ক্রিস্টিয়ানের লক্ষ্য করে। ছোট্ট টোকায় বল গোলে পাঠান জোনাথাস। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায় ডিফেন্সের। কোনও ডিফেন্ডারই নিজেদের পজিশনে ছিলেন না। প্রথমার্ধে কয়েকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছলেও সমতা ফেরাতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি বজায় ছিল। প্রথমার্ধের প্রথম দশ মিনিট ছাড়া পুরোটাই খেলল ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিলেন জাভি-আইজ্যাকরা। প্রতি আক্রমণে এসে বিশ্বমানের গোল করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরায় অ্যান্তোনিও পেরোসেভিচ। ফ্রাঞ্জো পর্চের লব করে দেওয়া বল ধরে বাম পায়ের দুরন্ত প্লেসিং-এ দলকে সমতায় ফেরান পেরোসেভিচ। পেরোসেভিচের গোলের কিছু আগে ড্যারেন সিডোলের প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া দুরন্ত ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়।পেরোসেভিচের গোলের মর্যাদা দিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ। ৭৫ মিনিটে পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জাভি হার্নান্ডেজের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান জোনাথাস। সতীর্থের দেওয়া শট থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। যদিও বলটি জালে জড়ানোর আগে লাল-হলুদের এক ফুটবলারের পায়ের চেটোয় লেগে দিক পরিবর্তন করে। এই ম্যাচে হেরে ১৬ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দশ নম্বরে থাকল এসসি ইস্টবেঙ্গল।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

বাংলা গানে নিষেধাজ্ঞা, বাংলা পক্ষের বিক্ষোভে পিছু হটল কলকাতার নামীদামী রেস্তোরাঁ

শহর কলকাতার রেস্তোঁরাতে বাংলা গান চালাতে অস্বীকার করার প্রতিবাদে মুখর সঙ্গীত জগত থেকে শুরে করে সাধারন মানুষজন। বাংলা পক্ষও এই ব্যবস্থার চরম প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সংস্থার মুখ্য পারিষদ কৌশিক মাইতি জনতার কথা কে জানান বাংলার রাজধানী বাঙালির রাজধানী কলকাতায় সেহগালের মালিকানাধীন ব্রডওয়ে রেস্তোঁরাতে বাংলা ভাষার গান প্রোহিবিটেড, নিষিদ্ধ। বাংলায় বহিরাগত যত বাড়বে তত কোনঠাসা হব আমরা আমাদের মাটিতে। আজ বাংলার রেস্তোরাঁয় বাংলা ভাষায় গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, একদিন তোমার মুখে তোমার ভাষার গান, শব্দ নিষিদ্ধ করবে।রবিবার সন্ধায় বাংলা পক্ষের সদস্যরা গণেশ চন্দ্র এভিনিউতে চাঁদনীচক মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ওই বার কাম রেস্তোঁরাতে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, ওই বারে বারাসত থেকে শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবার নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে এসে টানা হিন্দী গান চলছে বলে একটা বাংলা গান শোনানোর অনুরোধ জানান। তাঁকে কতৃপক্ষ জানান এখানে বাংলা গান বাজানো নিষেধ আছে। মালিকের নির্দেশ ছাড়া তাঁরা এখানে বাংলা গান চালাতে পারবেন না।বাংলা পক্ষ তাঁদের প্রতিবাদ সভা থেকে আওয়াজ তোলেন ওই রেস্তোঁরাতে বাংলা গান নিষিদ্ধ হলে বাংলার বুকে ওই রেস্তোঁরাকেও নিষিদ্ধ করা হোক। এরপর তাঁরা ওই রেস্তোঁরাতে প্রবেশ করে দ্বীজেন্দ্রলাল রায়ের ধন ধান্য পুষ্পে ভরা গানটি সমবেত ভাবে গান এবং ওই রেস্তোঁরাতে উপস্থিত সকল বাঙালিকে অনুরোধ করেন গানটি তাঁদের সঙ্গে সমবেত ভাবে গাওয়ার জন্য। এর পর তাঁরা মুক্তির মন্দির সোপান তলে, আমি বাংলায় গান গাই- গেয়ে আরও জোরালো প্রতিবাদ তোলে বাংলা পক্ষ। বাংলাপক্ষ-র প্রতিবাদের ঝড়ে পিছু হঠে সেই রেস্তোঁরাতে বেজে ওঠে এই পথ যদি না শেষ হয়...... কৌশিক মাইতি আরও জানান, তাঁদের প্রতিবাদে পিছু হঠে রেস্তোঁরা মালিকপক্ষ ক্ষমা চেয়ে নেন। কতৃপক্ষ কথা দিয়েছে সেখানে বাংলা গান বাজবে। তিনি বলেন, বাঙালি এক হলে বাংলার শত্রুরা লেজ গুটিয়ে পালাবে। তিনি বলেন এই জয় প্রতিটা বাঙালি শিল্পী, প্রতিবাদী বাঙালির জয়। এভাবেই আমরা জিতব, বাঙালি জিতবে। প্রতিবাদ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, সোয়েব আমিন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলা পক্ষর সামাজিক মাধ্যম সমন্বায়ক সায়ন মিত্র প্রমুখ।এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায় বলেন বাংলা ভাষা আমাদের নিজেদের ভাষা, আমাদের বাংলায় আমরা বাংলায় কথা বলি, বাংলায় গান গাই, আবশ্যই অনান্য ভাষা যেমন হিন্দী, ইংরাজি এবং উর্দুর প্রতি আমাদের সমান শ্রদ্ধা আছে, সব ভাষাকেই সম্মান করি। বিশেষ করে নিজের মাতৃ ভাষাকে তো অবশ্যই সম্মান করি। তাই বাংলায় বসবাসকারী সকলকে আমার অনুরোধ আপনারা বাংলা গান, কবিতা, সাহিত্য, নাটক ও সিনেমাকে শ্রদ্ধা করুন ভালোবাসুন এবং আমাদের বাংলাকে আরও অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে চলুন। আরও এক সঙ্গীত শিল্পী ভুমী ব্যন্ডের সৌমিত্র রায় বলেন, আজ ওখানকার ঘটনা শুনলাম মনটা খারাপ হয়ে গেলো, আমি বিশ্বাস করি গানবাজনায় কোনও জাতি বা কোনও ভাষা থাকে না। যে ভাষায় হোক সেটা উপভোগ করি। আমরা বিদেশে মন্টেরিয় জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল মত অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষায় গান গেয়েছি, ইউনাইটেড নেশন মত যায়গায় ভুমী বাংলায় গান করেছে, যেখানে কোনও বাঙ্গালি ছিলো না। ব্রডওয়ের মত একটা যায়গায় একটা দুটো বাংলা গান গাইলে ক্ষতিটা কি হত?এই ঘটনার প্রতিবাদ কি ভাবে করব আমি জানি না। আমার প্রতিবাদের ভাষা হচ্ছে গানকে গানের মত থাকতে দাও। ওদের গাইতে দাও। বাংলায় থেকে বাংলায় কথা বলতে দাও। বলতে দাও নয়, আপনারাও বলুন।সঙ্গীত শিল্পী ইমন সেন বলেন, বাংলায় থেকে যদি বাংলা গান না নিশিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে ওই রেস্তোরাঁ কেই বাংলায় নিশি করা হোক। আর যদি পাব খোলা রাখতে হয় তাহলে বাংলা গান চালাতে হবে। এই প্রতিবাদ কর্মসুচীর জন্য বাংলা পক্ষ কে ধন্যবাদ জানান। জয় হৃদয় বলে তাঁদের জয় কামনা করেন।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাকি ৫ ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য কী?‌ কঠিন কাজ করে চলেছেন রিভেরা

সোমবার আইএসএলে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদ শিবির এখন লক্ষ্যভ্রষ্ট। সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আগেই শেষ। আইএসএলের বাকি ম্যাচ সম্মান রক্ষার। সামনের মরশুমে তাঁদের কী হবে ফুটবলাররা নিজেরাও জানেন না। শুধু ভাল খেলে পরের মরশুমের জন্য নিজেদের জায়গা খোঁজা। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের মোটিভেট করা খুবই কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। যদিও রিভেরা মুখে বলছেন ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার কিছু নেই। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামাগ আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। জেতার জন্যই সব ম্যাচে মাঠে নামে। ভাল খেলে প্রমাণ করতে চায় ওরা কতটা যোগ্য। লিগ টেবিলে আমরা এই মুহূর্তে যে জায়গায় রয়েছি, সেখানে থাকার কথা নয়। জয়ের খিদে নিয়েই ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ফুটবলাররা। ১৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে দশম স্থানে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদের একধাপ এগিয়ে আসার পেছনে কৃতিত্ব অবশ্য তাদের নয়। নর্থইস্ট ইউনাইটেড হেরে একাদশ স্থানে নেমে গেছে। তাও আবার ১ ম্যাচ বেশি খেলেছে। বাকি ৫ ম্যাচ জিতলে লিগ টেবিলে মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। সেসব কথা মাথায় রাখছেন না লালহলুদ কোচ রিভেরা। তিনি বলেন, লিগ টেবিলে কোথায় শেষ করব সেটা মাথায় রাখছি না। আপাতত আমাদের লক্ষ্য পরের ম্যাচ। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। আপাতত লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট। মরশুম শেষ হলে দেখা যাবে কত নম্বরে রয়েছি। আগের ম্যাচে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে ১৫ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও পরে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইন ম্যাচের পারফরমেন্স আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে লালহলুদ শিবিরের। রিভেরা বলেন, চেন্নাইন ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ওই ম্যাচের পারফরমেন্স ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ওডিশার বিরুদ্ধে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

৬ মে বড়পর্দায় আসছে মিমি চক্রবর্তীর 'মিনি'

আগামীকাল সরস্বতী পুজো। অর্থাৎ বাঙালিদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এই বিশেষ দিনের আগে ভক্তদের খুশির খবর শোনালেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। স্মল টক আইডিয়াস, সম্পূর্ণা লাহিড়ী ও ও রাহুল ভাঞ্জার প্রযোজিত এবং মৈনাক ভৌমিকের পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্যর ছবি মিনি-র মুক্তির তারিখ ঘোষিত হল। এই ছবির ডাবিং ও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও শেষ হয়েছে। এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে এই বছর ৬ মে। মুখ্য চরিত্রে মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও অভিনয় করছেন শিশুশিল্পী অয়ন্না চ্যাটার্জি। অয়ন্নার এটা প্রথম ছবি। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিঠু চক্রবর্তী, সপ্তর্ষি মৌলিক ও কমলিকা ব্যানার্জি। অয়ন্না ও তার পিসির গল্প মিনি তে তুলে ধরছেন পরিচালক। এই ছবির মধ্যে দিয়েই প্রযোজক হিসাবে আত্মপ্রকাশ হচ্ছে সম্পূর্ণা লাহিড়ীর।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
নিবন্ধ

স্মৃতিকণা (কবিতা)

স্মৃতির ধুলো উড়িয়ে খুঁজে পাওয়াকিছু মুহুর্ত, আজও সোনার চেয়ে দামী।কোথায় হারিয়ে গেল সেই সোনাঝড়াদিন, শুধু জানেন অন্তর্যামী।পৌষ সংক্রান্তির পিঠেপুলির রেশ কাটতেনা কাটতেই, মিশন দেবী সরস্বতী;চাঁদা তোলা, কবিতা মুখস্থ, নাটকের মহড়া,এতেই অর্ধেক প্রসন্ন হতেন দেবী বিদ্যাবতী।কুল না খেয়ে, উপোস থেকে,পুরুতের সঙ্গে, কজ্জল পুরিত, ব্যস;এরপর হোমের ফোঁটা কপালে ঘষে,ষোলোআনা দিয়ে হেটমুণ্ড, টেনশন শেষ।পুরুতের আঙুল ধরে অ লিখছে ছোট্ট বাবাই,মণ্ডপ সেজেছে শিউলির হাতের আলপনায়।আর পাঁচ বছরের ছোট্ট তিতলির বিড়ম্বনাষোলো ফুটের কাপড় সামলানোই মহা দায়।হলুদ গাঁদার ভীড়ে, অতি চুপিসারে,শীতের বিদায়ঘন্টা নিঃশব্দে চলেছে বেজে;একরাশ খোলাচুলে, বাসন্তী শাড়ীতে,স্মিতহাস্যে বসন্ত এসেছে সেজে।সেদিনের স্নিগ্ধ চাহনিতে, ঝাপসা হৃদয়পেয়েছিল অদম্য প্রাণের স্পন্দন;বেজেছিল বীণা, রেঙেছিল মন পলাশের সাথেএক অনন্য অনুভূতি আবিষ্ট করেছিল মন।মন আজও খুঁজে ফেরে ফেলে আসা দিন,ভাবে সেদিনের কথা, করে আঁখি বন্ধ,এক চিলতে মিঠে দখিণা বাতাসবয়ে নিয়ে আসে, ছেড়ে আসা স্কুলের গন্ধ।আজও অশোক-পলাশ মেশে গোধুলিতে,দিগন্তে গোলাপী আভা, তবু রাঙে না মন।চেতনার আকাশ ঢেকেছে উদাসী মেঘ,তাই শুধু মুঠো ফোনে বন্দী জীবন।কবিঃ দীপক কুমার মণ্ডল

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

জেতার মানসিকতা নিয়ে দল গড়া হয়নি, কেন এমন বললেন লালহলুদের প্রাক্তনরা?‌

একসময় লালহলুদ জার্সি গায়ে ওরা ঘাম ঝড়িয়েছেন। লালহলুদের ব্যর্থতায় আজও ওদের প্রাণ কাঁদে। চলতি আইএসএলে দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ১৫ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয়। লিগ টেবিলে একেবারে শেষে। প্রিয় ক্লাবের ব্যর্থতায় যেমন হতাশ সদস্যসমর্থকরা, তেমনই হতাশ একসময় লালহলুদ জার্সি গায়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো প্রাক্তন ফুটবলাররা। কীভাবে ক্লাবের মর্যাদা ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়, সেই ব্যাপারে উদ্যোগী লালহলুদেপ প্রাক্তনরা। প্রায় বছরখানেক আগে প্রাক্তন ফুটবলাররা মিলে ১১ জনের একটা কমিটি তৈরি করেছিলেন ক্লাবকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। এই কমিটি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সচিব কল্যান মজুমদারকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠির উত্তর এখনও দেননি লালহলুদ সচিব। তাঁদের সেই চিঠির বক্তব্য বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। তাঁরা ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সেই উদ্বেগের কথাও প্রাক্তন ফুটবলাররা তুলে ধরেন। লালহলুদের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ইস্টবেঙ্গল শুধু খেলার জন্য মাঠে নামে না, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নামে। অতীতে আমরা সব টূর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এমন নয়। দলের মধ্যে জেতার মানসিকতা দরকার। জেতার মানসিকতা নিয়ে দল গড়তে হবে। এবছর শুধু অংশগ্রহনের মানসিকতা নিয়ে দল গড়া হয়েছে। লালহলুদের এই ব্যর্থতার জন্য কোচকে দায়ী করতে রাজি নন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, একটা দলের ৭০৮০ শতাংশ সাফল্য নির্ভর করে ফুটবলারদের ওপর। এই এসসি ইস্টবেঙ্গলে সেই মানের ফুটবলার নেই। বিদেশিদের মানও যথেষ্ট খারাপ। দল গঠন ঠিক হয়নি। পরে যারা ক্লাবে লগ্নি করবে, তাদের কাছে অনুরোধ যেন জেতার মানসিকতা নিয়ে দল গড়া হয়। পরের মরশুমে প্রাক্তনদের পরামর্শ নিয়ে দল গড়ার কথাও বলেছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রশান্ত ব্যানার্জি, বিকাশ পাঁজি, মেহতাব হোসেন, ভাস্কর গাঙ্গুলিদের মুখেও মনোরঞ্জনের কথার প্রতিধ্বনি। বিকাশ পাঁজি বলেন, ১০০ বছরের ইতিহাসে লালহলুদকে এইরকম খারাপ অবস্থার মধ্যে কখনও পড়তে হয়নি। জেতার মানসিকতা নিয়ে এবছর দল গড়া হয়নি। শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গলের সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। প্রশান্ত ব্যানার্জি বলেন, এই খারাপ পারফরমেন্সের জন্য ক্লাবের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। ক্লাব আমাদের দায়িত্ব দিক, সব বিষয়েই আমরা দায়িত্ব নেব। প্রাক্তন ফুটবলারদের আবেদন, ক্লাব নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী দল গড়ে প্রতিযোগিতায় খেলুক, সেটা যে প্রতিযোগিতাতেই হোক না কেন। আইএসএল খেলার দরকার নেই।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌বেঙ্গালুরুতে কোহলির শততম টেস্ট খেলার ইচ্ছেপূরণে বাধা হতে চলেছে বোর্ড

প্রিয় মাঠ বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে কি জীবনের শততম টেস্ট খেলা হবে না বিরাট কোহলি? সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রবল হয়ে উঠছে। আর কোহলিকে বেঙ্গালুরুতে শততম টেস্ট খেলতে না দেওয়ার পেছনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভুমিকা বড় হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। অর্থাৎ বোর্ড কর্তারা ইচ্ছে করেই হয়তো বেঙ্গালুরুতে কোহলির আটকে দিতে পারেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক একেবারেই ভাল নয়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির গায়ে যেভাবে মিথ্যাবাদী তকমা সাঁটিয়ে দিয়েছেন, তা ভালভাবে নেননি অন্য বোর্ড কর্তারা। যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তিনটি টেস্টেই খেললে এতদিন শততম টেস্ট খেলা হয়ে যেত বিরাট কোহলির। কিন্তু জোহানেসবার্গে চোটের অজুহাতে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কোহলি। জোহানেসবার্গে খেললে সেটাই হত কোহলির ৯৯ তম টেস্ট। পরে কেপ টাউনে সিরিজের শেষ টেস্টে খেলেন। ফলে ৯৯তম টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই খেলে ফেলেছেন। ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। দুটি টেস্ট হবে বেঙ্গালুরু ও মোহালিতে। বেঙ্গালুরুতেই প্রথম টেস্ট হওয়ার কথা। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন কোহলি। সেই সুবাদে বেঙ্গালুরু তাঁর ঘরে মাঠ। বেঙ্গালুরুতে প্রচুর সমর্থকও রয়েছে কোহলির। সেসব কথা মাথায় রেখে কোহলি চেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে শততম টেস্ট খেলতে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পরিকল্পিতভাবে চোটের অজুহাতে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে তিনটি টি ২০ ম্যাচও হবে। টেস্ট সিরিজ শেষ হলে তিনটি টি ২০ ম্যাচ হওয়ার কথা মোহালি, ধরমশালা ও লখনউতে। যদিও এই সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুটি টেস্ট বেঙ্গালুরু ও মোহালি। একটি টেস্ট দিনরাতের করার ব্যাপারে উদ্যোগী বোর্ড। কিন্তু মোহালিতে দিনরাতের টেস্ট আয়োজন করা সমস্যা। কারণ মোহালিতে সন্ধেবেলা খুব বেশি শিশির পড়ছে। তাই বেঙ্গালুরুতে গোলাপি বলের টেস্টের সম্ভাবনা বেশি। করোনার জন্য যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সূচিতে অদলবদল হতে পারে। বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, টি২০ সিরিজ শেষ করে তারপর টেস্ট সিরিজ হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম দুটি টি২০ ম্যাচ ধরমশালায় খেলার পর দুটি দল মোহালি আসবে। সেখানে ১টি টি২০ ও ১টি টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। তারপর দ্বিতীয় টেস্ট হতে পারে বেঙ্গালুরুতে। সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুতে দিনরাতের টেস্ট হলেও কোহলিকে দর্শকহীন মোহালিতে শততম টেস্ট খেলতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইএসএলের সেরা ম্যাচ খেলে চেন্নাইনকে আটকে দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল

অতীতে ডার্বিতে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস লালহলুদের রয়েছে। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে শুরুতে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন এসসি ইস্টবেঙ্গলের। নামতের শেষ মুহূর্তের গোলে আইএসএলের সেরা ম্যাচ খেলে আটকে দিল চেন্নাইনকে। ম্যাচের ফল ২২।এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোল খাওয়ার অভ্যাস কি যাবে না? আইএসএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রশ্নটা উঠেছিল। লালহলুদের ১৫ টা ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। গোল খাওয়ার অভ্যাস এখনও কাটিয়ে উঠতে পারল না। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ১৪ ম্যাচে ২৮ গোল হজম করেছিল। এদিন আরও ২ গোল।শুরুতে গোল খেলে যে কোনও দলের মনোবল ভেঙে পড়তে বাধ্য। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে সেটা অবশ্য হয়নি। ২ মিনিটেই প্রথম ধাক্কা খায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। জেরি লালরিনজুয়ালা বাঁদিক থেকে একটা সেন্টার করেছিলেন লালহলুদ বক্সে। সুহেল পাশা হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন। কিন্তু বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। সেই বল হীরা মণ্ডলের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়।চেন্নাইন এফসির দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই হীরা মণ্ডলের অবদান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে তাঁর ভুল পাস ধরে নিনথোই মিতাই বাঁপায়ের দুরন্ত শটে চেন্নাইন এফসিকে ২০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ১৪ মিনিটের মধ্যে ২ গোল হজম করেও হতদ্যোম হয়ে পড়েনি লালহলুদ শিবির। দারুণ লড়াই করছিল। ৪৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নওরেম মহেশ সিংয়ের ব্যাক সেন্টার দারুণ জায়গায় পেয়েও বাইরে হেড করেন মার্সেলো রিবেইরো।ম্যাচে ফেরার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে চেন্নাইন এফসির রক্ষণকে চাপে ফেলে দেন পেরোসেভিচ, মার্সেলো, মহেশ সিংরা। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। রেফারি এড়িয়ে যান। ৬১ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে বিশ্বমানের গোল করে ব্যবধান কমান ড্যারেন সিডোয়েল। বাকি সময় চেন্নাইনকে চাপে রাখে এসসি ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরায় লালহলুদ। কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন নামতে। জয় নার হেড জালে জড়িয়ে যায়।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার রবির উদয়, চোখে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন

তিন বছর আগে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেটারদের বয়স যাচাই প্রক্রিয়া চলছিল। হাড়ের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি রবি কুমার। সেদিন হতাশায় ইডেন চত্বর ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। তবে ভেঙে পড়েননি। নতুন উদ্যমে আবার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। অবশেষে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলার এই জোরে বোলারকে। একেবারে জাতীয় দল। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ খেলে বিশ্বকাপের আসরে।ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপের সুযোগ পেলেও প্রথম দিকে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করে সকলের নজর কেড়েছেন রবি কুমার। তাঁর বিষাক্ত সুইংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অ্যান্টিগুয়ার পরিবেশও সুবিধা করে দিয়েছিল রবি কুমারকে। তাঁর সুইংয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং কার্লোস ব্রেথওয়েট। কমেন্ট্রি বক্সে বসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন রবি কুমারকে।রবি কুমারের বাবা রাজেন্দ্র কুমার সিং আদতে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। সিআরপিএফে চাকরি করতেন। চাকরীসূ্ত্রে তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। কলকাতাতেই রবির জন্ম। পরে আলিগড়ে চলে যান। সেখানেই প্রথাগত ক্রিকেটে হাতেখড়ি রবি কুমারের। সেখান থেকেই তাঁর ছোট বেলার কোচ অরবিন্দ ভদ্বরাজ রবিকে কলকাতায় পাঠান ক্লাব ক্রিকেট খেলতে। কলকাতায় এসে কাকাকাকীমার কাছে থাকতেন। হাওড়া ইউনিয়নের হয়ে কলকাতা দ্বিতীয় ডিভিশন খেলে নজরে পড়েন। এরপর বালিগঞ্জ ইউনাইটেডে যোগ দেন। সেখানে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন অমিতাভ রায়কে। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রবি কুমারকে।সিএবির চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ভাল খেলে সুযোগ করে নেন বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। বাংলা দলে তাঁকে ঘষেমেজে তৈরি করে কোচ দেবাং গান্ধী ও বোলিং কোচ জয়ন্ত ঘোষ দস্তিদার। ছোট থেকেই হাতে সহজাত সুইং ছিল রবি কুমারের। কিন্তু হাতের পেশিতে খুব বেশি জোর ছিল না। অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলে রবি কুমারের পেশির শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেন দেবাং গান্ধী। তবে বোলিং ভঙ্গী বদলানোর চেষ্টা করেননি।অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের ভক্ত রবি কুমার। বালিগঞ্জ ইউনাইটেডেই হোক কিংবা বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অনুশীলনে, নেটে অনেকটা সময় একা একা বোলিং করতেন। কলকাতায় যখন অফ সিজন। চলে যেতেন আলিগড়ে। সেখানে অনুশীলন করতেন অরবিন্দ ভদ্বরাজের কাছে। মরশুম শুরু হলেই আবার কলকাতায় চলে আসতেন রবি কুমার। আলিগড়ে নেটে একটা উইকেট পুঁতে স্পট বোলিং প্র্যাকটিস করাতেন অরবিন্দ ভদ্বরাজ। এইভাবেই অনুশীলন করে লাইনলেংথে নিখুঁত হয়েছেন রবি কুমার। দেশকে সেমিফাইনালে তুলে রবির লক্ষ্য ফাইনাল। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরছেন, এখন এই স্বপ্নটাই দেখছেন বাংলার রবি।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • ...
  • 41
  • 42
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal