• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Virat

খেলার দুনিয়া

TWO World Cup-Kohli : সামির সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ কোহলির, বললেন মেরুদণ্ডহীন

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছিল মহম্মদ সামিকে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সামির সমালোচকদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সমালোচকদের মেরুদণ্ডহীন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রায় একসপ্তাহ পর মুখ খুললেও কোহলির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।এতদিন মহম্মদ সামির পায়ে দাঁড়িয়ে কোনও বিবৃতি দেননি ভারতীয় দলের কোনও সদস্য। সামির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র একটা ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের নির্দেশ দিয়েছিল সামির সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন কোনও মন্তব্য না করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কোহলি সামির সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ করেছেন। কোহলি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও কাউকে এভাবে আক্রমণ করা যায়, ভাবতেই পারি না। যারা সামিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেছে, তারা মেরুদণ্ডহীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের মানুষ আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, এটা খুবই খারাপ। আমাদের সাহস রয়েছে, চারিত্রিক দৃঢ়তা আছে। এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যাদের কোনও সাহস নেই, ভাল কাজ করার ক্ষমতা নেই, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যকে আক্রমণ করে। আমরা মাঠে নেমে যা করতে পারি তা করার ক্ষমতা নেই।কোহলি আরও বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে সামনাসামনি বলার সাহস নেই। নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যজনকে নিয়ে আক্রমণ করে। অন্যকে নিয়ে মজা করা এখন অনেকের কাছেই বিনোদন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ হিসেবে খারাপ কাজ করতেও অনেকে পিছপা হচ্ছেন না। মাঠে নেমে আমরা কী করতে চাই তা আমাদের সকলের কাছেই পরিষ্কার। প্রত্যেকের চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল। মাঠে নেমে আমরা যা করে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়ায়, তারা ভাবতেই পারি না। তাই ওইসব মানুষকে আমরা পাত্তা দিই না। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আক্রমণ করা খুবই জঘন্য কাজ। হতাশা থেকেই তারা এসব করে থাকে।সামির পাশে দাঁড়িয়ে কোহলি আরও বলেন, যারা সামিকে আক্রমণ করেছে, তারা জানে না ভারতকে কত ম্যাচে ওরা জিতিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে বুমরার পাশাপাশি সামি আমাদের প্রধান বোলার। গত কয়েক বছর ধরে সামি ভারতীয় দলের জন্য যা করেছে তা সবাই দেখে নিতে পারে। দেশের প্রতি সামির আবেগকে যারা অগ্রাহ্য করে আক্রমণ করছে তাদের নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। আমাদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে কেউ চিড় ধরাতে পারবে না। দলের প্রত্যেকে সামির পাশেই রয়েছে।

অক্টোবর ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

virat kohli : কোহলির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারের স্ত্রী?‌ সত্যিই আজব ব্যাপার

টি২০ বিশ্বকাপে ভারতপাকিস্তান লড়াই। আর কোহলির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন কিনা পাকিস্তানের এক ক্রিকেটারের ঘরণী! সত্যিই অবাক হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ওই ঘরণী বিরাট কোহলির হয়ে গলা ফাটালেও নিজের স্বামীর দেশেরই জয় চান। সত্যিই আজব ব্যাপার। পাঠকবর্গের খুব জানতে ইচ্ছে করছে কোন ক্রিকেটারের ঘরণী বিরাট কোহলির ভক্ত? তাঁর নামই বা কী। এবার খোলসা করা যাক।পাকিস্তানের জোরে বোলার হাসান আলির স্ত্রী শামিয়া আরজু কোহলির দুর্দান্ত ভক্ত। শামিয়ার কোহলি প্রেমের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। কারণ কোহলির আবেগ,আগ্রাসনে মুগ্ধ অগনিত ক্রিকেটপ্রেমী। শুধু ক্রিকেট প্রেমীই বা বলি কি করে। ক্রিকেটের বাইরেও অনেক ভক্ত রয়েছে কোহলির। নিজগুনে মহিলাদের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।শামিয়া আরজুর কোহলি প্রীতির মধ্যে রয়েছে অন্যরকম গল্প। আদতে ভারতের মেয়ে শামিয়া আরজু। হরিয়ানার ছান্দেনি গ্রামে বেড়ে ওঠা। ফরিদাবাদের মানব রচনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি টেক পাশ করেন। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর জেট এয়ারওয়েজে এয়ার হোস্টেস হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন সেখানে কাজ করার পর এমিরেটস এয়ারলাইনসে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের পদে যোগ দেন। দুবাইতে কর্মরত অবস্থাতেই হাসান আলির সঙ্গে পরিচয়। দুবছর ধরে চলে প্রেম পর্ব। তারপর বিয়ে। ২০১৯ সালে দুবাইতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজনে।তিনি যে বিরাট কোহলির ভক্ত ভারতপাকিস্তান ম্যাচের আগে শামিয়া আরজু জানাতে দ্বিধা করেননি। বিরাটের ব্যাটে সাফল্য চাইলেও হাসান আলির স্ত্রী অবশ্য পাকিস্তানের জয় চান। পাকিস্তানের আর এক ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জা অবশ্য শামিয়া আরজুর মতো খুল্লামখুল্লা নন। ভারতপাকিস্তান ম্যাচের আগে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও অনেক দুরে সরে রয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে শামিয়া আরজু তাঁর কোহলি প্রেমের কথা জানিয়েছেন।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav-Kohli : বিরাট কোহলির মিথ্যাচার! ফাঁস করলেন সৌরভ

কয়েকমাস আগে বিরাট কোহলি ঘোষণা করেছিলেন,বিশ্বকাপের পর টি২০ ক্রিকেটে দেশকে আর নেতৃত্ব দেবেন না। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কোহলি দাবি করেছিলেন, নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সাথে কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোহলি যে মিথ্যা কথা বলছেন, ফাঁস হয়ে গেল সৌরভ গাঙ্গুলির কথাতে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সৌরভ দাবি করেছেন, কোহলির টি২০ নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে তিনি অবাক হয়েছেন। বিষয়টি তিনি একেবারেই জানতেন না।সৌরভ বলেছেন, কোহলির সিদ্ধান্তে আমি অবাক। বিষয়টি নিয়ে আগে কোনও দিনই আলোচনা হয়নি। নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকেও বিরাটের ওপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। ইংল্যান্ড সফর থেকে ফিরে আসার পরই কোহলি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌরভ আরও বলেন, আমিও ৬ বছর দেশের ক্যাপ্টেন ছিলাম। দীর্ঘদিন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া দারুণ সম্মানের ব্যাপার। দেশকে নেতৃত্ব দিতে দিতে হয়তো মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সম্প্রতি খুব একটা ভাল ছন্দে নেই বিরাট কোহলি। আইপিএলে তেমন রান পাননি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ব্যর্থ। বিশ্বকাপের আসরে কতটা জ্বলে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় দলের অধিনায়কের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন সৌরভ। তিনি বলেন, প্রায় ১০-১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছে কোহলি। প্রতি বছরই যে রান পাবে, এমন কোনও কথা নেই। উত্থান-পতন থাকবেই। আমি নিশ্চিত, টি২০ বিশ্বকাপেই কোহলি ছন্দে ফিরে আসবে। টি২০ বিশ্বকাপের আগে আইপিএল না হলেও সংযুক্ত আরব আমীরশাহির পরিবেশে ভারতীয় দলের মানিয়ে নিতেও কোনও সমস্যা হত না বলে মনে করেন সৌরভ। তাঁর যুক্তি, সংযুক্ত আরব আমীরশাহির পরিবেশ ভারতের মতোই। সুতরাং আমার মনে হয় না কোনও সমস্যা হত।এখনও পর্যন্ত একবারই টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত, ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। তারপর এই ফরম্যাটে একবারই সেমিফাইনালে উঠেছে, ২০১৬ সালে। এবছর ট্রফি খরা কাটার ব্যাপারে আশাবাদী সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর কথায়, টি২০ ক্রিকেটে যে কোনও দলই চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে বড় ম্যাচ জেতা জরুরি। ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিউজিল্যান্ড প্রতিবারই আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামে। বেশ কয়েক বছর ধরে দারুন ধারাবাহিতা দেখাচ্ছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 WC -Wasim Akram : আক্রামের মতে কোহলির সমকক্ষ হতে বাবর আজমের সময় লাগবে

ভারতপাকিস্তান দ্বৈরথের আগে সবসময় তুলনায় চলে আসেন দুই দলের অধিনায়ক। ২৪ অক্টোবর বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের মহারণের আগেই তুলনায় টানা শুরু হয়ে গেছে বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের মধ্যে। কারও মতে বিরাট কোহলি পাকিস্তান অধিনায়কের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। কেউ আবার মনে করছেন, দুজনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রাম মনে করেন, কোহলির সমকক্ষ হতে বাবার আজমের সময় লাগবে। বাবর এখন উন্নতির পর্যায়ে রয়েছে। আক্রাম বলেছেন, বিরাট কোহলি, কোহলিই। ওর সঙ্গে এই মুহূর্তে কারও তুলনা করা উচিত নয়। কোহলি বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে। প্রচুর রান করেছে। দেশকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাবর আজম সবে মাত্র একবছর হল দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে একটা কথা বলব, দক্ষতার দিক থেকে বাবর দুর্দান্ত। সব ধরণের ফর্ম্যাটে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা ভালভাবে শিখছে। দ্রুত শেখার ক্ষমতা আছে। এই মুহূর্তে বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা করাটা ঠিক হবে না। কোহলি এখন যে অবস্থায় আছে বাবর ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই সেইদিকে এগিয়ে যাবে। মাত্র এক বছর হল সব ধরণের ফরম্যাটে দেশকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন বাবর আজম। ইতিমধ্যেই তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়েও কোহলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। টি২০ ক্রিকেটে বিশ্বকাপের পরেই দেশের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে অবাক ওয়াসিম আক্রাম। তিনি বলেছেন, টি২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে আমি অবাক। তবে একটা কথা বলব, বর্তমান পরিস্থিতিতে একসঙ্গে তিন ধরণের ফরম্যাটে খেলা খুবই কঠিন। আর আইপিএল তো চতুর্থ ফরম্যাট। এই প্রতিযোগিতাতেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো চাপ থাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যর্থ হলেই মালিকদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তবে টি২০ ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ায় কোহলির লাভ হবে বলে মনে করছেন ওয়াসিম আক্রাম। তাঁর যুক্তি, এর ফলে কোহলি অনেক চাপমুক্ত হয়ে ভরডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারবে।

অক্টোবর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli vs Babar Azam : কোহলি–বাবর মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?‌ টি২০ বিশ্বকাপের আগে দ্বৈরথে দুই অধিনায়ক

২৪ অক্টোবর আগামী রবিবার টি২০ বিশ্বকাপের দ্বৈরথ ভারত ও পাকিস্তানের। ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন বিরাট কোহলি, অন্যদিকে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। টি২০ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে এই দুজন প্রথমবার মুখোমুখি হবেন। এতদিন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অন্যদিকে, পাকিস্তান বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছে। ভারতপাকিস্তান ম্যাচ এলেই তুলনা এসে যায় দুই দলের অধিনায়কের। বিরাট কোহলি ও বাবর আজমও অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম নন।টি২০ ফরম্যাটে বিরাট কোহলির থেকে এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টি২০ আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে বাবর আজম রয়েছেন দু নম্বরে। অন্যদিকে বিরাট কোহলি রয়েছেন চার নম্বরে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বাবর আজম। আইসিসির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক রয়েছেন ১ নম্বরে। অন্যদিকে বিরাট কোহলি রয়েছেন দুই নম্বরে। শুধু মাত্র টেস্ট ক্রিকেটেই বাবর আজমের থেকে এগিয়ে রয়েছেন কোহলি। তাও আবার খুব বেশি এগিয়ে নেই। কোহলি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে, আর বাবর আজম রয়েছেন সাত নম্বরে।বিরাট কোহলির পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও বাবর আজমের নেই। এই প্রথম টি২০ ফরম্যাটে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবেন বাবর আজম, তাও আবার অধিনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে বাবার আজম ৬১ ম্যাচে ২২০৪ রান করেছেন। গড় ৪৬.৮৯, স্ট্রাইক রেট ১৩০.৬৪। সর্বোচ্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১২২। ১টি শতরান ও ২০টি অর্ধশতরান রয়েছে বাবরের। ২০২১ সালে ১৭ ম্যাচে ৫২৩ রান করেছেন, সর্বোচ্চ ১২২। গড় ৩৭.৩৫, স্ট্রাইক রেট ১৩২.৭৪। ১টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতরান রয়েছে।অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি। প্রথম খেলেছিলেন ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি২০ বিশ্বকাপে। ৬১ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। ওই বছরই দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে বেঙ্গালুরুতে ৯ রান করেছিলেন কোহলি। আমেদাবাদে করেন ২৭। ২০১৪ সালে ঢাকায় টি২০ বিশ্বকাপে ৩৬ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন কোহলি। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ৫১ বলে ৪৯ রান করে ম্যাচের সেরা হন বিরাট কোহলি। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে ইডেনে ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ২৫৪ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৮। গড় ৮৪.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১১৮.৬৯। ২টি অর্ধশতরান রয়েছে।

অক্টোবর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T‌‌20 World Cup : কোহলির নেতৃত্বে ভারত কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে? ভবিষ্যতবানী ইঞ্জিনিয়ারের

মাস খানেক আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করেছিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের পরই এই ফর্ম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। সেই অর্থে এটাই কোহলির কাছে নেতা হিসেবে শেষ বিশ্বকাপ। দেশের অধিনায়ক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোনও আইসিসির কোনও টুর্ণামেন্টে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে শেষ টি২০ বিশ্বকাপে ছাপ রেখে যেতে মরিয়া হবেন কোহলি। ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারও মনে করছেন কোহলির নেতৃত্বে ভারত এবার বিশ্বকাপ জিতবে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, এবছর টি২০ বিশ্বকাপ জেতার দারুণ সুযোগ আছে কোহলির কাছে। বড় টুর্ণামেন্টে ভারত বরাবরই প্রভাব দেখিয়ে এসেছে। এবারও দেখাবে। কোহলির নেতৃত্বেই ভারত এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে খুব ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কোহলি। এই ভারতীয় দলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, যশপ্রীত বুমরা, ঋষভ পন্থরা যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। কোহলির নেতৃত্বেরও দারুণ প্রশংসা করেছেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, বিরাট দুর্দান্ত অধিনায়ক। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের আসনে অনায়াসে ওকে বসানো যায়। কোহলির এনার্জি, পরিকল্পনা, প্রভাব বিস্তার করার দক্ষতা, নিজেকে প্রয়োগ ক্ষমতা এককথায় অসাধারন। দলের শক্তির রসদ জোগাড় করে। জেতার জন্য সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে। রানের প্রচুর খিদে রয়েছে। এই কারণেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ওর জন্যই দলের ফিটনেস লেভেল দুর্দান্ত। সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসার ব্যাপারে কোহলির জুড়ি মেলা বার বলেও মনে করেন ভারতের এই প্রাক্তন উইকেটকিপার। ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, কোন সময় সতীর্থদের কীভাবে ব্যবহার করতে হয় কোহলি খুব ভালভাবেই জানে। দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনারকে পেয়েছে। এদের মধ্যে বুমরা, হার্দিক অন্যতম। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নিজের মতো করে দলটাকে সাজিয়ে নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কোহলির নেতৃত্বেই ভারত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : টি২০ বিশ্বকাপের আগে কোহলিদের কী পরামর্শ দিলেন সৌরভ?‌

টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ২০০৭এ মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর থেকে খেতাব অধরা থেকে গেছে। প্রতিবারই অন্যতম ফেবারিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় খেলতে নামে ভারত। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। অধিনায়ক হিসেবে এবছরই শেষ টি২০ বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির। খেতাব জিততে মরিয়া কোহলি। এবছরও অন্যতম ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে ভারত। মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। নিজের দেশকে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে অভিহিত করে একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলকে সতর্ক করে বলেছেন, ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো প্রতিভা রয়েছে। তবে একটু পরিণতিবোধ দরকার। বিশ্বকাপে একগুচ্ছ ম্যাচ খেলতে হবে। ক্রিকেটাররা যদি শুরু থেকেই ভেবে নেয় যে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছে, সেটা বোকামি হবে। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ফাইনালে জিততে হবে। তার জন্য ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কাজটা কিন্তু ততটা সহজ নয়। কোনও টুর্নামেন্টে নামলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়াও যায় না। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নিজেদের খেলায় পরিণতভাব দেখানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরু থেকেই যদি চ্যাম্পিয়নের কথা মাথায় ঢুকে যায়, তাহলে ফোকাস ঠিক রাখতে পারবে না। সৌরভ আরও বলেছেন, ভারতের এই দলে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। রান করা বা উইকেট নেওয়ার দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটাররাই বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছে। মানসিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। ভারতীয় দলে যে প্রতিভার ছড়াছড়ি, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। তঁার কথায়, দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। প্রত্যেকের ব্যাট হাতে রান তোলার দক্ষতা রয়েছে, বল হাতে উইকেটও তুলে নিতে পারে। বিশ্বকাপ জিততে এসেছি এমন মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিংয়ের সময় গার্ড নেওয়া উচিত নয়। তাতে গোটা প্রক্রিয়াটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। যে বলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেটা কতটা সঠিকভাবে খেলা যায় তার ওপর ফোকাস রাখা উচিত। ফাইনালে ওঠা না পর্যন্ত এমনটাই করতে হবে। আইপিএলের পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ। আইপিএলের ম্যাচগুলি যেখানে খেলা হয়েছে সেখানেই হবে বিশ্বকাপের খেলা। তবে তাতে পিচগুলি মন্থর হবে না বলেই ধারণা সৌরভের। তবে শারজার উইকেট মন্থর আচরণ করতে পারে মনে করছেন তিনি। সৌরভের কথায়, শারজার উইকেটে একটু কম রান উঠতে পারে। দুবাইয়ে সেই সমস্যা নেই। আইপিএল ফাইনালেও উইকেট ভাল আচরণ করেছে। তবে সবথেকে ভাল উইকেট আবু ধাবিতে। বিশ্বকাপের আদর্শ উইকেট।

অক্টোবর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

V‌irat Kohli : বায়ো বাবলের মধ্যে থেকে খেলার অনুভূতি কেমন?‌ মজার ছবি শেয়ার কোহলির

করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর একবছরেরও বেশি সময় আগে আবার চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ক্রিকেটাররা মাঠে নেমেছেন। বিভিন্ন দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যেমন হচ্ছে, তেমনই অনুষ্ঠিত হয়েছে আইপিএল। আইপিএল শেষ হতে না হতেই টি২০ বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। বিভিন্ন সিরিজ খেলার জন্য ক্রিকেটারদের কাটাতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা কেমন? ইনস্টাগ্রামে বিরাট কোহলির পোস্ট করা ছবিই অনেককিছুর ইঙ্গিত দিয়ে দেয়।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি একটা মজার ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ব্রডকাস্টিং রুমে কোহলি চেয়ারে বসে রয়েছেন, আর তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবির নিচে শিরোনামে কোহলি লিখেছেন, বাবলের মধ্যে থেকে খেলার অনুভূতি। কোহলির এই ইনস্টাগ্রাম ঘিরে তোলপাড়। অনেকেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, বায়ো বাবলের সঙ্গে প্লেয়ার/ব্রডকাস্টররা কাজ করছে। দারুণ ছবি।দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেটাররা ক্লান্ত। অনেক ক্রিকেটারই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তি নিয়ে সাম্প্রতিককালে মুখ খুলেছেন। বিরাট কোহলি তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন। আইপিএলের প্রথম পর্বে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ধকল নিতে না পেরে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দ্বিতীয় পর্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন পাঞ্জাব কিংসের ক্রিস গেইল। শেষ দিকে তিনি জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে যান। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য আবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়তে হবে। সেকথা মাথায় রেখে মানসিকভাবে একটু চাঙ্গা হচে চেয়েছিলেন ক্রিস গেইল। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস তো আবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার আতঙ্কে আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজ থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে বিদায় নিলেও বিরাট কোহলি দুবাইয়ে থেকে গেছেন। কারণ টি২০ বিশ্বকাপে মাঠে নামতে হবে। টি২০ বিশ্বকাপে ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে ভারত।

অক্টোবর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌Ishan Kishan-Virat Kohli : টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঈশানকে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরাট কোহলি?‌

আইপিএলে প্লে অফের জন্য এবছর ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। স্বয়ং সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত ঈশান কিষান ও সূ্র্যকুমার যাদবের তাগিদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গাভাসকারের মনে হয়েছিল, ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় আইপিএলে সেভাবে তাগিদ দেখাচ্ছেন না এই দুই ব্যাটসম্যান। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ছবিটা বদলে গেছে। ফর্মে ফিরেছেন ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদব। ঈশানকে তো টি২০ বিশ্বকাপে ওপেন করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেশ কয়েকটা ম্যাচে রান না পেলেও আইপিএলের গ্রুপ লিগের শেষ দুই ম্যাচে পরপর দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ঈশান কিষান। তার মধ্যে ওপেন করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সকলের নজর কেড়েছে। ম্যাচের পর ঈশান বলেন, আমি ওপেন করতে ভালবাসি। কিন্তু দলের কম্বিনেশনের জন্য আইপিএলের সব ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পাইনি। শেষ দুই ম্যাচে ওপেন করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। বিরাট ভাই আমাকে বলেছে, টি২০ বিশ্বকাপে আমাকে ওপেনে সুযোগ দিতে পারে। পাশাপাশি আরও বলেছে, বড় পর্যায়ে সব পরিস্থির জন্য তৈরি থাকতে হয়।বিরাট কোহলি প্রতিশ্রুতি দিলেও টি২০ বিশ্বকাপে ঈশান কিষান ওপেন করার কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ নিয়মিত ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মা রয়েছেন। লোকেশ রাহুলও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। বিরাট কোহলিও অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে টি২০ বিশ্বকাপে তিনি ওপেন করতে পারেন। ফলে ঈশানের পক্ষে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া কঠিন। এদিকে, টি২০ বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরার জন্য খুশি ঈশান কিষান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমি রানে ফিরেছি। এটা আমার কাছে যেমন ভাল ব্যাপার, তেমনি দলের কাছেও দারুণ খবর।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

V‌irat Kohli : আজ চেন্নাইয়ের কাছে হারলেই কি নেতৃত্ব হারাবেন কোহলি?‌

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কয়েকদিন পর আবার চমক বিরাট কোহলির। জানিয়েছিলেন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের হয়ে নেতা হিসেবে এই আইপিএলই শেষ। কোহলির এই মনোবাসনা পূর্ণ নাও হতে পারে। চলতি আইপিএলেই নেতৃত্ব হারাতে পারেন কিং কোহলি। আজ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। ধোনিদের কাছে হারলেই প্লে অফে ওঠার কাজ কঠিন হয়ে যাবে রয়্যাল চ্যলেঞ্জার্সের কাছে। এই অবস্থায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর বিরাট কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগের দিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জর্সের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরও বলেছেন, নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা বিরাট আইপিএলের শেষেই করতে পারতেন। কারণ, তাঁর এই সিদ্ধান্তে দলের ছন্দ নষ্ট হতে পারে। সঞ্জয় মঞ্জরেকরও বিরাটের জাতীয় দল ও আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় সঠিক হয়নি বলেই মনে করেন। এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, কেকেআর ম্যাচে বিরাটকে বারবার অসহায় দেখিয়েছে। তিনি যে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা বারবার প্রকট হয়েছে। সে কারণেই বিরাটকে আরসিবি চলতি আইপিএলেই অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে পারে যদি দল কাঙ্ক্ষিত ফল না করে। এর আগে গত আইপিএলে দীনেশ কার্তিককে সরিয়ে ইওয়িন মর্গ্যানকে নেতৃত্বের ভার দিয়েছে কেকেআর। সানরাইজার্স হায়দরাবাদেও ডেভিড ওয়ার্নারকে সরিয়ে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাপ্টেন করা হয়েছে। কেউ নিজে থেকে ছাড়ার ঘোষণা করেছেন, কাউকে সরানো হয়েছে। ফলে কেকেআর ম্যাচের পর বলাই যায় আরেকটা খারাপ ম্যাচ গেলেই বিরাটকে যদি আরসিবি ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নাইট রাইডার্স ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কোহলি। সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না, তা সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর তথা কোচ মাইক হেসন। বিরাট আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা করে যে সঠিক কাজ করেননি তেমনটাই মনে করছে আরসিবি ম্যানেজমেন্ট। প্রকাশ্যে কেউ না মুখ খুললেও সকলেই মনে করছেন, বিরাট যদি এই আইপিএলেই শেষবার নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকতেন তাহলে তিনি তো প্রথমেই সেই ঘোষণা করে দিতে পারতেন। বিরতির পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে এমন ঘোষণায় দলের বাঁধন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।ইতিমধ্যেই বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধ করেছে, টি ২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে। বিরাট যদি খারাপ খেলেন এবং অধিনায়ক বদল হয় তাহলে কোহলিকেও বিশ্রাম দিতে পারে আরসিবি। তবে যদি আজকের ম্যাচ-সহ কয়েকটি ম্যাচ আরসিবি জিতে প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলে তাহলে প্লে অফের আগেও বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে ভারত অধিনায়ককে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

RCB: ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট রাজত্ব শেষের পথে, নেতৃত্ব থেকে সরাতে পারে রয়্যাল চ্যালেজার্স

ভারতীয় ক্রিকেটে কি বিরাট রাজত্ব শেষের পথে? ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। ওয়ার্কলোডের কথা ভেবে জাতীয় দলের টি২০ ক্রিকেটে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি, একদিনের ক্রিকেটে তাঁকে নেতৃত্বে রাখা হবে কিনা। এই অবস্থায় জল্পনা শুরু হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে তাঁকে অধিনায়ক পদে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে।আরও পড়ুনঃ রোহিতকে সহকারী চাননি, ভবিষ্যত বুঝেই নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত কোহলিরদীর্ঘদিন ধরে রয়্যাল চ্যালেজার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্বে রয়েছেন বিরাট কোহলি। প্রতি বছর তারকাখচিত শক্তিশালী দল থাকা সত্ত্বেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে একবারও আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। এবারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স রয়েছে তিন নম্বরে। বিরাট যদি এবারও আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারেন, তাহলে তিনি কি আইপিএলেও অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে পারবেন? প্রশ্নটা উঠেই গেছে। সামনের বছর আইপিএলের জন্য জানুয়ারিতে মেগা নিলাম হওয়ার কথা। বিরাটের নেতৃত্বে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স এবারও যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারে তাহলে হয় তিনি নিজেই অধিনায়কত্ব ছাড়বেন, নয়তো তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।ভারতীয় দলের মতো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেও উত্তরসূরী তৈরি না করার রণকৌশল নিয়েছেন কোহলি। যাতে তাঁর পথ কণ্টকাকীর্ণ না হয়ে ওঠে। কিন্তু এটা তো আর দেশের খেলা নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। সুতরাং নিলামে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ বাক্যে। এবি ডিভিলিয়ার্সকেও দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কর্তারা। অথবা এমন কাউকে বেছে নিতে পারেন যিনি বয়সে নবীন এবং বেশ কয়েক বছর দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।আরও পড়ুনঃ নীরজ চোপড়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক ভ্যালু ৪২৮ কোটি টাকা! কলকাতায় মজে গেলেন বাঙালী খানায়বিরাট কোহলি আইপিএলে ১৩২টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ৬০টি ম্যাচে, হেরেছেন ৬৫টিতে। শতকরা হার ৪৮.০৪। জেতার শতকরা হারের নিরিখে অনেকের চেয়েই পিছিয়ে কোহলি। আইপিএলের সফলতম দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিত শর্মার সাফল্যের শতকরা হার ৬০.১৬ শতাংশ, মহেন্দ্র সিং ধোনির ৫৯.২৭ শতাংশ, গৌতম গম্ভীরের ৫৫.৪২ শতাংশ। ধোনি আইপিএলে ১৯৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গম্ভীর ১২৯টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রোহিত শর্মা আইপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১২৩টি ম্যাচে। এই চারজনই একশোর বেশি ম্যাচে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন।আরও পড়ুনঃ কোহলিদের পাশে সৌরভ, শাস্ত্রীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে নারয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স তিনবার ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তিনবার বিদায় নিয়েছে প্লে অফ থেকেই। এই পরিস্থিতিতে বিরাট আইপিএলের অধিনায়কত্ব ধরে রেখে ভারতের টি২০ নেতৃত্ব ছাড়ায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর বলেছেন, দেশের নেতৃত্ব কোহলি ছেড়েছে, কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব কোন যুক্তিতে ধরে রেখেছে বোধগম্য নয়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকার বলেছেন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কোহলিকে অনেক সময় দিয়েছে। বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইন-আপ, বোলিং লাইন-আপ নিয়েও কোহলি যদি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে কাঙ্ক্ষিত খেতাব জেতাতে না পারে তাহলে নেতৃত্বে রদবদল দোষের কিছু নয়। আইপিএল শুরুর আগে সেই চাপ নিয়েই নামতে হবে বিরাটকে। কোহলি ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে এখনও অবধি কোনও আইসিসি ট্রফি জেতেননি। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন শুধু। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়েও ব্যর্থ। টিম ম্যানেজমেন্টও ভাবতে শুরু করেছে। পরের আইপিএলে কোহলিকে নেতৃত্বে না দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Captain: রোহিতকে সহকারী চাননি, ভবিষ্যত বুঝেই নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত কোহলির

ঝুলি থেকে এবার আস্তে আস্তে বিড়াল বার হতে শুরু করেছে। ভারতীয় শিবিরের অন্দরমহলে ঠান্ডা লড়াই যে অনেকদিন ধরে চলছিল, আগেই বোঝা গিয়েছিল। এবার সেই অন্দরমহলের খবর বাইরে আসতে শুরু করেছে। বিরাট কোহলির সংসারে বিভাজন তৈরি হয়েছিল। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে নিজের আধিপত্য আরও কায়েম করতে বিরাট কোহলি নির্বাচকদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রোহিত শর্মাকে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরানোর জন্য। যেটা একেবারেই ভালভাবে নেননি নির্বাচকরা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।টি২০ বিশ্বকাপের আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন নির্বাচকরা। সেই বৈঠকের আগে কোহলি নির্বাচকদের ও বোর্ড কর্তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে ঋষভ পন্থকে সহ অধিনায়ক করা হোক। আর একদিনের ক্রিকেটে লোকেশ রাহুলকে। নির্বাচক ও বোর্ড কর্তারা কোহলির কোনও প্রস্তাবই মেনে নেননি। টি২০ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বোর্ড কর্তারা কোহলিকে পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনিই শেষ কথা নন। নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললেও আসলে ভবিষ্যত বুঝতে পেরেই টি২০ বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি।সবকিছু ঠিকঠাক চললে টি২০ বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মার হাতেই নেতৃত্ব তুলে দিতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। স্টপগ্যাপ অধিনায়ক হিসেবে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে তিনি সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। অনেকদিন ধরেই রোহিতকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক করার কথা আলোচিত হচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। কিন্তু রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্কর জন্যই কোহলি নেতৃত্বে থেকে গেছেন। গত অস্ট্রেলিয়া সফর থেকেই চাকা ঘুরতে শুরু করে বিরাটের বিপক্ষে।আরও পড়ুনঃ মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্কভারতীয় ড্রেসিংরুমে বিরাট বিরোধী হওয়ায় প্রবল। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অনেকেই কোহলির আচরণে অসন্তুষ্ট। যদি কোনও সফরে অনুষ্কা শর্মা সঙ্গে থাকেন, তাহলে তো কথাই নেই। অন্য সময়ও যখন তখন কোহলির সঙ্গে মাঠের বাইরে দেখা করা, কথা বলা বা হাল্কা মেজাজে সময় কাটাতে পারেন না সতীর্থ ক্রিকেটাররা। কোচ, নির্বাচক, সাপোর্ট স্টাফ ও বিসিসিআই কর্তাদের আস্থা অর্জন করে বিরাট ভারতীয় দলে একনায়কতন্ত্র বা স্বেচ্ছাচারিতাও শুরু করেন বলে অভিযোগ। তিনি এমন কৌশল নিয়েছিলেন যাতে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর উত্তরসূরী কেউ তৈরি হতে না পারেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে পাকাপাকিভাবে চার নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যান হিসেবে কাউকে তৈরি করতে চাননি বিরাট। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা কিংবা ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে এক নম্বর স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বসিয়ে রাখাও বিরাটেরই স্বেচ্ছাচারিতার নমুনা বলে জানা যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে এডিলেড টেস্টের আগেও বিরাটের হাতেই ছিল নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু তা আলগা হতে শুরু করে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে টেস্ট হারার পর। এরপর পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বিরাট দেশে ফিরতেই এককাট্টা হয়ে গোটা দল অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। এতেই বিরাটের প্রতি দলের অনাস্থা প্রকাশ্যে আসতে থাকে।আরও পড়ুনঃ খড়ের পালুইয়ে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য রায়নায়কোহলি নিশ্চিতভাবেই বুঝছিলেন, আজ নয় কাল তাঁর সাদা বলের অধিনায়কত্ব চলে যাচ্ছেই। একটিও আইসিসি ইভেন্টে দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি কোহলি। টি ২০ বিশ্বকাপেও খারাপ কিছু হলে এমনিতেই অধিনায়কত্ব যেত। আগেভাগেই সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে কিছুটা মুখরক্ষা করলেন এবং নিজের উপর চাপ কমালেন।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : বাইশ গজের বাইরে দুরন্ত ‘‌ব্যাটিং’‌ বিরাট কোহলির

দু বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত। সেঞ্চুরি নেই বিরাট কোহলির। তাতেও অবশ্য জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি ভারত অধিনায়কের। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীর ব্যাপারে কোহলি এমন এক নজির গড়েছেন, যা কেবলমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনল্ডো, লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের রয়েছে। কোহলি মাঠের বাইরে যেভাবে খেলছেন, যে কোনও মুহূর্তে টপকে যেতে পারেন নেইমারকে। আর দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তো কোনও কথাই নেই। সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়ের দিক দিয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও।কোহলি যে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিকেটার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে আয়ের দিক থেকে আইপিএলের ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবথেকে এগিয়ে। শুধু দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেই নয়, বিশ্বের সব ক্রিকেটারের মধ্যেও তাঁর আয় বেশি। কোহলির স্পনসর হিসেবে রয়েছে পুমা, মন্ত্র, অডির মতো সংস্থা। কোহলির ইস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে কোহলির আয় ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে তিনিই বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেটার।আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার অবসান, বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি রোহিতেরইনস্টাগ্রাম পোস্টের আয়ের দিক থেকে ভারতীয়দের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও ধোনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন অ্যাক্টিভ নন। তবুও ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। ধোনির স্পনসর হিসেবে রয়েছে ভিভোর মতো কোম্পানি। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে ধোনির আয় ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরস রোহিত। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে রোহিতের আয় প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। প্রতিটা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে হার্দিকের আয় ৬৫ লাখ টাকা। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। প্রতিটা স্পনসর ইনস্টাগ্রাম থেকে রায়নার আয় ৩৪ লক্ষ টাকা। আর প্রতিটা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে আয় ৫১ লাখ।আরও পড়ুনঃ কোহলি নাকি অক্সফোর্ড স্ট্রিটেও জামা ছাড়া ঘুরতে পারেন? এ কী বললেন সৌরভ!১৫ কোটির বেশি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার বিরাট ছাড়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে রয়েছে শুধু বিশ্বের সেরা তিন ফুটবলারের। ইনস্টাগ্রামে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফলোয়ার সংখ্যা ৩৩.৭ কোটি। রোনাল্ডোর পরে রয়েছেন লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৬ কোটি। নেইমার রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা ১৬ কোটি।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : ‌শচীন, ধোনির রেকর্ড ভেঙে ওভালে নতুন কীর্তি বিরাট কোহলির

দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটে রান নেই। ভারত অধিনায়ককে নিয়ে চারিদিকে গুঞ্জন কম হচ্ছে না। তার মধ্যেই আবার একটা রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ভেঙে দিলেন কিংবদন্তী শচীন তেন্ডুলকারের রেকর্ড। বিশ্বের দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৩ হাজার রানের মালিক হয়ে গেলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টেস্ট চলছে ওভালে। ওভাল টেস্ট বিরাট কোহলির ৪৪০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ৪৯০তম ইনিংসে জেমস অ্যান্ডারসনের বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩ হাজার রান পূর্ণ করেন বিরাট। ২৩ হাজার রানে পৌঁছতে শচীন তেন্ডুলকারের লেগেছিল ৫২২ ইনিংস। আর রাহুল দ্রাবিড়ের লেগেছিল ৫৭৬ ইনিংস। সেই জায়গায় কোহলি ২৩ হাজার রানে পৌঁছলেন ৪৯০ ইনিংসে। বিশ্বের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলি ২৩ হাজার রানে পৌঁছলেন। তাঁর আগে এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছেন শচীন, দ্রাবিড় ছাড়াও রিকি পন্টিং (৫৪৪), জ্যাক কালিস (৫৫১), কুমার সাঙ্গাকারা (৫৬৮), মাহেলা জয়বর্ধনে (৬৪৫)। কোহলির টেস্টে সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২৫৪। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০টি শতরান ও ১১৬টি অর্ধশতরান রয়েছে বিরাটের। ২৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করার নিরিখে ভারত অধিনায়ক রয়েছেন ৭ নম্বরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীন তেন্ডুলকারের। তিনি করেছেন ৩৪৩৫৭ রান। ৬৬৪টি ম্যাচে ৭৮২টি ইনিংসে শচীন এই রান করেছেন। এরপর রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা (২৮০১৬), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (২৭৪৮৩), শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনে (২৫৯৫৭), দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক কালিস (২৫৫৩৪) এবং ভারতের রাহুল দ্রাবিড় (২৪২০৮)। তিন ফরম্যাটেই বিরাটের গড় ৫০এর উপর। শুধু শচীনের রেকর্ডই ভাঙা নয়, ওভালে এদিন আরও একটি নজির গড়েছেন বিরাট কোহলি। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিদেশের মাটিতে একটা দেশের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১০টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার নজির গড়লেন কোহলি। ভেঙে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ড। ধোনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দেশকে ৯টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সুনীল গাভাসকার পাকিস্তানের মাটিতে দেশকে ৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশকে সবথেকে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও কোহলির দখলে। তিনি মোট ৬৫টি টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ধোনি দিয়েছিলেন ৬০টি টেস্টে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৪৯টি টেস্টে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌CC Test Ranking :শীর্ষে উঠে এলেন জো রুট, রোহিতেরও নীচে কোহলি

ছয় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফের বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের মুকুট উঠল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের মাথায়। ভারতইংল্যান্ড চলতি টেস্ট সিরিজে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। শুধু এই সিরিজে নয়, একবছর ধরে তাঁর ব্যাটে রানের ধারা অব্যাহত। তার পুরস্কার পেলেন রুট। নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে সরিয়ে বিশ্বের ১ নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা দখল করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।আরও পড়ুনঃ দৈনিক টিকাকরণে দেশে ফের রেকর্ডচলতি সিরিজ শুরুর সময় টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে ছিলেন রুট। প্রথম দুটি টেস্টে শতরানের সুবাদে উঠে এসেছিলেন ২ নম্বরে। হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে আবার সেঞ্চুরি। প্রত্যাশিতমতোই চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে বিশ্বের ১ নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানের জায়গায় উঠে এলেন।নটিংহ্যাম, লর্ডস ও হেডিংলেতে তিনতিনটি সেঞ্চুরি এসেছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট থেকে। এখনও পর্যন্ত ৩ টেস্টে জো রুটের রান ৫০৭, গড় ১২৬.৭৫। এই স্বপ্নের ফর্মের জন্যই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সরিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১ নম্বের উঠে এলেন রুট। হেডিংলে টেস্টে রান পাওয়ায় জনি বেয়ারস্টো উঠে এসেছেন ২৪ নম্বরে, ৫ ধাপ ওপরে। ডেভিড মালান ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে।আরও পড়ুনঃ দলগঠনে চমক এসসি ইস্টবেঙ্গলের, অরিন্দমকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব!জো রুট শীর্ষে উঠে এলেও অবনমন হয়েছে বিরাট কোহলির। হেডিংলেতে কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করলেও ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে নেমে গিয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁকে টপকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন রোহিত শর্মা। হেডিংলিতে রোহিত দুটি ইনিংসে করেন ১৯ ও ৫৯ রান। প্রথম দশ টেস্ট ব্যাটসম্যানের তালিকা থেকে ছিটকে গেছেন ঋষভ পন্থ, তিনি এখন ১২ নম্বরে রয়েছেন। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রান করায় চেতেশ্বর পুজারা ৩ ধাপ উঠে চলে এসেছেন ১৫ নম্বরে। অজিঙ্ক রাহানে নেমে গিয়েছেন ১৮ নম্বরে। নেমে গিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং লোকেশ রাহুলও। জাদেজা রয়েছেন ৪৫ নম্বরে, রাহুল ৪৮এ।আরও পড়ুনঃ কেন ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানালেন ডেল স্টেন?হেডিংলে টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের বোলারদের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের সেরা ৫ বোলারের মধ্যে চলে এসেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ১ ধাপ উঠে তিনি এখন পঞ্চম স্থানে। ৯ ধাপ উঠে অলি রবিনসন চলে এসেছেন ৩৬ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে ফের ঢুকে পড়ে ক্রেগ ওভার্টন রয়েছেন ৭৩ নম্বরে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছেন। ১ ধাপ উঠে ১০ নম্বরে রয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। মহম্মদ সামি ১৮ নম্বরে উঠে এসেছেন। ১৯ নম্বরে নেমে গিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। বোলারদের ক্রমতালিকায় নেমে গিয়ে ৪১ নম্বরে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ, ৫৬ নম্বরে শার্দুল ঠাকুর।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs ENG‌ Test : হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে কি উইনিং কম্বিনেশন ভাঙছে ভারত?‌

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম থেকেই আধিপত্য দেখিয়ে আসছে ভারত। সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও নটিংহাম টেস্টে জয় আসেনি। নটিংহামের হতাশা কাটিয়ে লর্ডসে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। হেলিংলেতে কি ব্যবধান বাড়াতে পারবেন বিরাট কোহলিরা? আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় শিবির। তবে যতই চেতেশ্বর পুজারা, রবীন্দ্র জাদেজাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠুক, তৃতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করছে না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।আরও পড়ুনঃ হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে কি উইনিং কম্বিনেশন ভাঙছে ভারত?শুধু কি পুজারা কিংবা রাহানে? অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটেও রান নেই। ভারতকে হেডিংলেতে দাপট দেখাতে গেলে রানে ফিরতেই হবে ভারতীয় অধিনায়ককে। নিজের ফর্মের চেয়েও দলের স্বার্থের দিকে বেশি তাকিয়ে কোহলি। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে ভাবছি না। ইংল্যান্ডে একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে সেট হওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং। প্রথম ২০ রানের জন্য যেভাবে লড়াই করতে হয়, গোটা ম্যাচে সেভাবেই খেলতে হয়। কোনও অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগে না। যে কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য ইংল্যান্ডের পরিবেশ সবচেয়ে কঠিন।আরও পড়ুনঃ ৫ বছর পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে এটিকে মোহনবাগানতৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড বেশ কয়েকজন সেরা ক্রিকেটারকে পাবে না। বোলিং শক্তি একেবারে বিপর্যস্ত। বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না কোহলি। তিনি বলেন, ওদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা থাকলেও আমরা ম্যাচ জয়ের পরিইকল্পনা করেই মাঠে নামতাম। বিপক্ষের দুর্বলতার অপেক্ষায় আমরা বসে থাকি না। যে কোনও পরিস্থিতিতে বিশ্বের যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি। প্রতিপক্ষর শক্তি আমাদের কাছে গুরুত্ব পায় না। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি ইংল্যান্ডের জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন জোফ্রা আর্চার। অলি স্টোন এবং ক্রিস ওকস চোটে কাবু। ব্যক্তিগত ও মানসিক স্বাস্থ্যের কারণ দর্শীয়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অনুপস্থিত বেন স্টোকসও। কনকাশনে থাকায় হে়ডিংলে টেস্টে ক্রেগ ওভারটনকেও খেলাতে পারবে না ইংল্যান্ড। কাঁধে চোটের কারণে তৃতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন জোরে বোলার মার্ক উডও।আরও পড়ুনঃ সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন অজিঙ্কা রাহানেলর্ডসের উইনিং কম্বিনেশন না ভাঙার পরিকল্পনা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। তবে অশ্বিনকে খেলানোর ক্ষীণ সম্ভাবনার কথাও শুনিয়ে রেখেছেন বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, চোটআঘাত সমস্যা না থাকলে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার প্রশ্ন ওঠে না। লর্ডসে সাফল্যের পর সকলে উত্তেজিত। রোহিতরাহুল দুর্দান্ত শুরুটাই দুটো টেস্টে সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছিল। সিরাজকে দেখে ভাল লাগছে। তবে হেডিংলের পিচ দেখে বেশ অবাক কোহলি। যতটা ঘাস থাকবে আশা করেছিলেন, ততটা নেই।

আগস্ট ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : ‌‌শচীন, দ্রাবিড়ের সঙ্গে এক আসনে বিরাট কোহলি?‌ আবেগে মুগ্ধ পিটারসেন

এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে সবথেকে জনপ্রিয় টি২০। অনেক ক্রিকেটারই যেমন ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটকে বেশি গুরুত্ব দেন, ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহও তুঙ্গে। তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু লালবলের ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির আবেগ দেখে মুগ্ধ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তাঁর মতে, টেস্টে সাফল্যের জন্য কোহলি সবকিছুই করতে পারেন। পাশাপাশি শচীন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়দের সঙ্গেও তুলনা করেছেন পিটারসেন।আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন অন্তর এসএসকেএমে কয়েক ঘণ্টা বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন?কোহলির চিন্তাভাবনা ও সাহসের প্রশংসা করে ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির চিন্তাভাবনা ও সাহসের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। টি২০ ক্রিকেটের যুগেও টেস্ট ক্রিকেট ওর কাছে অন্যরকম আবেগের। অন্য ফর্ম্যাটের ক্রিকেটের মতো সমান গুরুত্ব দেয়। শচীন তেন্ডুলকার, রহুল দ্রাবিড়ের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোহলি জানে বিশ্ব ক্রিকেটে ও একজন কিংবদন্তী। নিজের মানসিকতা দলের বাকিদের মধ্যেও ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্ট জয়ে কোহলির উর্বর ক্রিকেট মস্তিষ্ক বড় ভুমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন পিটারসেন। তিনি বলেন, একসময় ভারত খুব চাপে ছিল। সেখান থেকে সামি, বুমরার ব্যাটিংয়ে ভারত ম্যাচে ফেরে। তবে কোহলির ক্রিকেট মস্তিস্কের প্রশংসাও করতে হবে। শেষদিকে বোলিং পরিবর্তনে দারুণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ জেতা যে উপমহাদেশের দলগুলির পক্ষে সহজসাধ্য নয়, তা জানিয়েই ভারতীয় ক্রিকেট দলের লর্ডস টেস্ট জয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কেভিন পিটারসেন। তাঁর মতে, ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট বৃষ্টিতে পণ্ড না হলে ওই টেস্ট ম্যাচেও জিততে পারত বিরাট কোহলির দল। সেক্ষেত্রে সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যেত। কোনও অঘটন না ঘটলে চলতি টেস্ট সিরিজ জিততে চলেছে ভারতই।

আগস্ট ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : ‌‌‌লর্ডসে জেতার পর সতীর্থদের সম্পর্কে কী বললেন কোহলি?‌

লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিন ঋষভ পন্থ আউট হতেই মাথায় হাত দিয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচ বাঁচবে তো? আশঙ্কায় দুলছিলেন। মহম্মদ সামিযশপ্রীত বুমরার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই বদলে যায় ছবিটা। মাত্র দুটো সেশনেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনকে গুঁড়িয়ে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেই ভারত। লর্ডসের এই জয়কে বিদেশের মাটিতে অন্যতম সেরা জয় বলে অভিহিত করেছেন বিরাট কোহলি। সতীর্থদের এই পারফরমেন্সে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ মুখে বিষ ঢেলে সৎ মাকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার ছেলে ও বৌমাম্যাচের পর বিরাট কোহলি বলেন, বিদেশের মাটিতে এখনও পর্যন্ত যেকটা টেস্ট জিতেছি, লর্ডসের এই জয় অন্যতম সেরা। সতীর্থরা যেরকম একাগ্রতা ও মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল, এককথায় অসাধারণ। দলগত প্রচেষ্টায় এই জয় এসেছে। দলের প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। কোথায় খেলছি, সেটা নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল না। বিদেশের মাটিতে অনেকগুলো ভাল জয় পেয়েছি। লর্ডসের এই জয় তাদের সঙ্গে এক আসনে রাখব।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদল২০১৪র টেস্ট সিরিজে লর্ডসে জিতলেও, ২০১৮র সিরিজে হারতে হয়েছিল। আগের সিরিজের সেই হারের কথা মাথায় রাখেনি শিবির। সেই কথাই ম্যাচের পর তুলে ধরেছেন কোহলি। তিনি বলেন, ২০১৪তে আমরা লর্ডসে জিতেছিলাম। কিন্তু ২০১৮তে খুবই খারাপভাবে হারতে হয়েছিল। তবুও আমাদের বিশ্বাস ছিল, লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারব। সতীর্থদের এই পারফরমেন্স আমাকে গর্বিত করেছে। বিদেশের মাটিতে এখনও পর্যন্ত যেকটা টেস্ট জিতেছি, লর্ডস তাদের মধ্যে ওপরের দিকেই থাকবে।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান পুরসভায় ৫ জনের পুরপ্রশাসক বোর্ড, দায়িত্বে প্রণব, আইনুলদ্বিতীয় ইনিংসে সামিবুমরা জুটি অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করলেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে বড় রানের মূলে এই জুটি। দুজনকেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কোহলি। তবে সামিবুমরার ইনিংসকে অবিশ্বাস্য বলে বর্ণনা করেছেন। কোহলির কথায়, রাহুল ও রোহিত প্রথম ইনিংসে ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। সামি ও বুমরার পার্টনারশিপ তো অবিশ্বাস্য। ঋষভের ওপর আরও প্রত্যাশা ছিল। ওর কাছ থেকে আরও কিছু রানের আশা করেছিলাম। ভেবেছিলাম ২০০ রানের লিড নিলেই লড়াই করতে পারব। ২৭১ রানের লিড হবে ভাবিনি। সামি ও বুমরা অসাধারন ব্যাটিং করেছে। ওরাই ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। জানতাম ইংল্যান্ড ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে। আশা ছিল ওদের ৬০ ওভারের মধ্যে আউট করতে পারব। সেটাই হয়েছে।

আগস্ট ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs ENG Test : ‌দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতের

লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে নতুন বলে দ্রুত ভারতের শেষ ৪ উইকেট তুলে নেওয়া লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের। অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেন মহম্মদ সামি ও যশপ্রীত বুমরা। দুজনের অবিস্মরনীয় ইনিংস ভারতকে শুধু সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে বার করে নিয়ে আসেনি, পৌঁছে দিয়েছিল জয়ের দোরগোড়ায়। সামিবুমরা জুটি শুধু দেশের মান বাঁচায় নি, কেড়ে নিয়েছিল রুটের মুখের গ্রাস। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয়। ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।আরও পড়ুনঃ খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কটি২০ যুগে টেস্ট ক্রিকেট নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে কথাটার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। একদিন আগেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ভারতইংল্যান্ড টেস্টও পৌঁছে গিয়ে চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্সে। প্রথম দিন থেকেই পেন্ডুলামের মতো দৌদুল্যমান। কখনও ভারতের দিকে, কখনও আবার ইংল্যান্ডের দিকে। পঞ্চম দিন তো একসময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন টিম ইন্ডিয়ার। নায়ক অবশ্যই মহম্মদ সামিযশপ্রীত বুমরা। ব্যাট হাতে এই দুজন পৌঁছে দিয়েছিল লড়াই করার জায়গায়। ক্রিকেট দেবতাও নিশ্চিতভাবে কুর্নিশ করবে সামিবুমরার প্রাইসলেস ইনিংস।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?তৃতীয় দিল শেষ বেলা থেকেই উত্তপ্ত লর্ডস। জিমি অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বুমরার বাউন্সার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে বুমরার বাকযুদ্ধ। পরে বাটলারের সঙ্গে, যোগ দেন মার্ক উডও। উডের বাউন্সার হেলমেটে লাগতেই অন্য চেহারায় বুমরা। মুখে নয়, জবাব দিয়ে গেলেন ব্যাটে। লর্ডসেই ব্রিটিশ রাজের পতন ঘটাতে যেন বদ্ধপরিকর।ভারতের লড়াইয়ে ফেরার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে। চাপে পড়লেই জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিন ভারত যখন ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, রুখে দাঁড়ান পুজারারাহানে। দুজনে মিলে জুটিতে ১০০ রান তুলে দলকে প্রাথমিক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। দুই ওপেনার রাহুল (৫), রোহিত (২১) দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। কোহলিও (২০)। দলের সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়ান পুজারা ও রাহনে। দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে বড় রান পেতেন পুজারা (৪৫)। মার্ক উডের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটের কানায় লেগে রুটের হাতে। রাহানে (৬১) অবশ্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেননি।আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইস্টবেঙ্গলকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের সংশোধিত খসড়া পাঠাল শ্রী সিমেন্টচতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ১৮১/৬। ক্রিজে ছিলেন ঋষভ পন্থ (১৪) ও ইশান্ত শর্মা (৪)। ঋষভের (২২) ওপর দায়িত্ব ছিলে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু পঞ্চম দিন সকালে দলকে বেশি টানতে পারেননি। ইশান্ত মূল্যবান ১৬ রান যোগ করেন। তিনি যখন ফিরে যান, দলের রান ২০৯। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ভারতের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপরই শুরু সামি (অপরাজিত ৫৬) ও বুমরার (৩৪) সেই অবিস্মরনীয় লড়াই। ইশান্ত ১৬ রানে লেগ বিফোর হতে ভারতের অষ্টম উইকেট পড়ে ২০৯ রানে। লিড তখন ১৮২। ইংল্যান্ড যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে, তখনই রুখে দাঁড়ান সামি ও বুমরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। অসমাপ্ত নবম উইকেট জুটিতে সামি ও বুমরা যোগ করেন রেকর্ড ৮৯ রান। লাঞ্চের পর ৮ উইকেটে ২৯৮ তুলে যখন ইংল্যান্ডকে জেতার জন্য ২৭২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিতে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন কোহলি, তখন সামি অপরাজিত ৫৬ রানে।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপসামিবুমরা জুটি ব্যাট করার সময় বারবার মাথায় হাত দিচ্ছিলেন রুট। দেওয়াল লিখনটা তখনই হয়তো চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ ইনিংসে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ার ঐতিহ্য রয়েছে রুটের ইংল্যান্ডের। লর্ডসেও তার ব্যাতিক্রম নয়। ২৭১ রানে এগিয়ে থাকাটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল কোহলি ব্রিগেডকে। রুটদের ওপর শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার রসদ ছিল ওই ২৭১র মধ্যে। প্রথম দুই ওভারে সামিবুমরা জুটি যেভাবে ইংল্যান্ডের ওপর আঘাত হেনেছিলেন, তা থেকে বেরিয়ে আসার মতো দক্ষতা নেই এই ইংল্যান্ড দলের। রুট (৩৩), বাটলার (২৫) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন বুমরা (৩/৩৩), সিরাজরা (৪/৩২)। শেষ পর্যন্ত ৫১.৫ ওভারে ১২০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।

আগস্ট ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs ENG Test : শুরুতে ধাক্কা সিরাজের, লর্ডসে অ্যাডভান্টেজ ভারত

লর্ডসে প্রথম দিন ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে দলকে বড় রানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় দিন ব্যর্থ। দলের বাকি ব্যটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারলেন না। ফলে বড় রানের স্বপ্ন দেখেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রানে থেমে যেতে হল ভারতকে। ভারতের শেষ ৭ উইকেট পড়ল ৮৮ রানে। ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন জিমি অ্যান্ডারসন। ২৭৬/৩ রানে নিয়ে দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। এদিন দ্বিতীয় বলেই লোকেশ রাহুলের উইকেটট তুলে নেন অলি রবিনসন। রবিনসনের হাফ ভলি ড্রাইভ করতে গিয়ে ডম সিবলির হাতে সহজ ক্যাচ দেন রাহুল। ২৫০ বলে ১২৯ রানের ইনিংস খেলে তিনি আউট হন। সেই সময় ভারতের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৭৮। রাহুল আউট হওয়ার পাঁচ বল পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে। ২৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন রাহানে। দীর্ঘদিন বড় রান নেই রাহানের ব্যাটে। চলতি বছরে ৯টি টেস্টে ১৪টি ইনিংসে তাঁর রান ২৬৯। সর্বাধিক ৬৭।আরও পড়ুনঃ রাহুলরোহিতদের দাপটে লর্ডসে ইংরেজদের দর্প চূর্ণদ্রুত দু উইকেট হারানোর পর ঋষভ পন্থের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভারতকে ৩০০ রানের গন্ডি পার করে দেয়। মার্ক উডের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন ঋষভ। তিনি ৫৮ বলে ৩৭ রান করেন। পাঁচ বল পরেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন মহম্মদ সামি (০)। মঈন আলির বলে তিনি আউট হন। ভারতের সপ্তম উইকেট পড়ে ৩৩৬ রানে।আরও পড়ুনঃ এবছর কী লক্ষ্য স্থির করেছেন এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণা?মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর মাত্র ১০.১ ওভার স্থায়ী হয় ভারতের ইনিংস। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৬৪ রানে। ৮ রান করে ইশান্ত শর্মা আউট হন দলের ৩৬২ রানের মাথায়। এক ওভার পরেই অ্যান্ডারসনের বলে ফেরেন বুমরা (০)। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার (৪০) উইকেটট তুলে নেন মার্ক উড। ৬২ রানে ৫ উইকেট নেন জিমি অ্যান্ডারসন। মার্ক উড ও অলি রবিনসন পান দুটি করে উইকেট। মঈন আলির ঝুলিতে ১ উইকেট।আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার ডামাডোল, বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাবর আজমদেরব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ররি বার্নস ও ডম সিবলে। শুরুর স্পেলে যশপ্রীত বুমরা ও ইশান্ত শর্মা সুবিধা করতে পারেননি। ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মহম্মদ সিরাজ। সিবলেকে (১১) তুলে নেন। পরের বলেই ফেরান হাসিব হামিদকে। দীর্ঘদিন পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন সুখের হল না হাসিব হামিদের কাছে (০)। বুমরা, ইশান্তের শুরুর ব্যর্থতা ঢেকে দেন মহম্মদল সিরাজ, পরপর দুবলে সিবলে ও হামিদকে ফিরিয়ে। ররি বার্নস ও জো রুট দলকে টেনে নিয়ে যান। বার্নসকে (৪৯) তুলে নেন মহম্মদ সামি। দিনের শেষে ইংল্যান্ড ১১৯/৩। ক্রিজে রয়েছেন রুট (৪৮) ও জনি বেয়ারস্টো (৬)।

আগস্ট ১৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal