• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Violence

কলকাতা

CBI: সিবিআই জেরার মুখে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট

বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তলব করেছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে গিয়েছেন। তার আগে সুফিয়ান বলেছেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার নাম জড়াতে চাইছে। তবে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমার লড়াই করার সাহস আছে।আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশউল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারান নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি। ভোটের ফল ঘোষণার পর দিন তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই হামলাতেই দেবব্রত জখম হন বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে গেলে, দুদিন পরই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের কাছেই দেবব্রতের মৃত্যুর ঘটনায় সুফিয়ান-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানানো হয়।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। দেব্রব্রতের মৃত্যুর মামলায় মূল অভিযুক্তের তালিকায় সুফিয়ানের নাম থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হলদিয়ায় ডেকে পাঠায়। সেই মতো বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। সেখানে গিয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
কলকাতা

Post Poll Violence: অভিজিতের দেহ নিয়ে পুলিশ-বিজেপি ধুন্ধুমার

ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ দীর্ঘ চার মাস পর অবশেষে হাতে পেল পরিবার। বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। কিন্তু এই দেহ নিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের চরম বচসা বাধে। হাসপাতাল চত্বরে কার্যত ধস্তাধস্তি চলে দুপক্ষের মধ্যে। অবশেষে দেহ নিয়ে বিজেপি কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, বুধবারই শিয়ালদা কোর্টের তরফে অভিজিৎ সরকারের দেহ ও ডিএনএ রিপোর্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও পড়ুনঃ ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জয়ের দিকে আরও একধাপ এগোলেন জকোভিচবৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো এনআরএস হাসপাতালের মর্গে পৌঁছে যান অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার-সহ পরিবারের সদস্যরা। সেখানে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, শিবাজি সিংহ রায়, দেবদত্ত মাজি-সহ নেতা-কর্মী। অভিযোগ, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে ঢিলেমি করে পুলিশ। দেহ লোপাটের চেষ্টা করে প্রশাসন। এই অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজির বিরুদ্ধে পুলিশকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

SIT: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিট-এর মাথায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিটের মাথায় বসানো হল অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে। হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া সিটের প্রধান হলেন কলকাতা এবং বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। উল্লেখ্য, আর কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফাঁকা না থাকার কারণে মঞ্জুলা চেল্লুরকে সিটের মাথায় বসালো হাইকোর্ট। আরও পড়ুনঃ ইডার দাপটে লন্ডভন্ড নিউইয়র্ক, মৃত অন্তত ৪৪ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগে তদন্তে সিট গঠন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তিন সদস্যের এই সিটের দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, আইপিএস সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারকে। সম্প্রতি হাইকোর্টে এক মামলাকারী জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সিট গঠন করতে পারেনি এখনও। এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। এরপর তড়িঘড়ি সিট গঠন করে নবান্ন।স্রেফ সিট গঠন করাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ১০ আইপিএস নিয়োগ করে নবান্ন। রাজ্যকে ভাগ করা হল পাঁচটি জোনে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে ২ জন আইপিএস।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

SIT: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিট গড়ল রাজ্য

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে মোট ১০ জন আইপিএস নিয়োগের কথা ঘোষণা করে নবান্ন।সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার এক মামলাকারী হাইকোর্টকে জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও রাজ্য সরকার এখনও সিট গঠন করে উঠতে পারেনি। স্বভাবতই শুরু হয়নি সিটের কাজ। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিষয়টি আদালতের নজরে আছে। তারপরই সিটের গঠনের কাজ শেষ করে ফেলল রাজ্য সরকার। আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরকলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, খুন, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ হিংসার মামলার তদন্ত করবেন আইপিএস সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বাধীন সিট। সিটের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। নবান্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাজ্যকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করে প্রতিটি ভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুজন করে আইপিএস-কে।নির্দেশিকা অনুযায়ী, তদন্তের স্বার্থে রাজ্যকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। রয়েছে নর্থ জোন, সাউথ জোন, ওয়েস্ট জোন। এ ছাড়া সিটের সদর দপ্তরে থাকবেন দুজন। কলকাতা পুলিশের দুজন আধিকারিককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হেড কোয়ার্টারের দায়িত্বে থাকছেন রেলের ডিআইজি সোমা দাস মিত্র, ডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য। নর্থ জোনে থাকবেন উত্তরবঙ্গের আইজিপি ডিপি সিং ও মালদা রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীন কুমার ত্রিপাঠি। ওয়েস্ট জোনের দায়িত্বে থাকছেন পশ্চিমাঞ্চলের এডিজি সঞ্জয় সিং, বর্ধমান রেঞ্জের আইজিপি বি এল মীনা। সাউথ জোনে তদন্তের ভার থাকবে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সিদ্ধনাথ গুপ্ত ও বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে তদন্তে দায়িত্ব নেবেন আইপিএস তন্ময় রায় চৌধুরী ও আইপিএস নীলাঞ্জন বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Post Poll violence: সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

ইঙ্গিত ছিলই। সেই মতো ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবারই এই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্ট যেভাবে খুন ও ধর্ষণের মামলায় সিবিআই-কে দিয়ে, ও অন্যান্য হিংসা মামলাগুলি সিটকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। বলা ভাল, হাইকোর্টের রায়ে যেভাবে রাজ্য ধাক্কা খেয়েছে, তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে যাবতীয় জল্পনা সত্যি করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগের লক্ষ্যে পানাগড়ে একাধিক বড় ঘোষণা মমতারহাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য যে সুপ্রিম কোর্টে যাবে, তা একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও এতে খুব একটা লাভ হতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনা দেখছে না আইনজীবী মহল। কারণ, ভোট পরবর্তী হিংসার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ভিন্ন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু একটি বিষয়ে সকলেই সহমত হন। তা হল- খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধের তদন্ত যেন সিবিআই দ্বারা করা হয়। ঠিক এই জায়গাতেই সুপ্রিম কোর্টে গেলেও রাজ্যের আপত্তি ধোপে নাও টিকতে পারে। শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখার নির্দেশ দিতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। যদিও রাজ্য সরকারের আগাগোড়াই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। ফলে আজকের সিদ্ধান্ত যে একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়, সেটা বলাই যায়।রাজ্য সরকার যদিও প্রথম থেকে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার কথা অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু হাইকোর্ট নিজের রায়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই মান্যতা দিয়েছে, সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে যাবতীয় খুন ধর্ষণের তদন্তভার তুলে দেওয়া হলেও গোটা বিষয়টির উপর আদালতের কড়া নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
রাজ্য

CBI Arrest: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যে প্রথম গ্রেপ্তার ২ জন। নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল মৃত্যু-মামলায় অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। শনিবারই, সকালে ধৃতদের আটক করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, আরও ১০ টি নতুন এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। মূলত, তদন্তে গতি আনতে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।আরও পড়ুনঃ ধমকি দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না, শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকেরগত ১৪ মে হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন ধর্ম মণ্ডল। অভিযোগ তীর ছিল তৃণমূলের দিকে। বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। তারপর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৬ মে মৃত্যু হয় ধর্মের।পারিবারিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করে ৭ জনকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখের নেতৃত্বে ওই হামলা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়াও, অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষও এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল মৃতের পরিবারের। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, রাজ্যে ১৫টি খুন ও ৬ টি ধর্ষণের মামলায় নতুন করে আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর দপ্তরে ৯টি এফআইআর রুজু করা হয়েছিল আগেই। শুক্রবার, এই মামলায় আরও ২ টি এফআইআর রুজু করা হয়। শনিবার আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করায় এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের মোট দায়ের করা এফআইআরের সংখ্যা ২১টি।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

Post Poll Violence: রিপোর্ট তৈরি করতে জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই

ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট তৈরি করতে কলকাতার পর এবার জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে জেলা সফর। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত তিনটি জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন গোয়েন্দারা। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে মোডাস অপারেন্ডি জানার চেষ্টা করা হবে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে প্রাথমিক রিপোর্ট।রাজ্য পুলিশের এফআইআর কপির ভরসায় না থেকে সরাসরি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হবে। তা পাঠানো হবে দিল্লিতে। বেলেঘাটায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সিবিআইয়ের কাছে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন, যাঁরা পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম জানিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, অভিজিৎকে পিটিয়ে মারার কয়েকটি ফুটেজও গোয়েন্দাদের কাছে তুলে দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ প্রশ্নপত্র বিতর্কের মাঝেই রাজ্যকে আক্রমণ দিলীপেরপ্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তদন্তকারীরা। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে। ভোট পরবর্তী বাংলায় যতগুলি অভিযোগ হয়েছে, রাজ্য পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই এফআইআর কপি ও কেস ডিটেলস চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলে সেই রিপোর্টের ভরসায় না থেকে সিবিআই নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবেন।উল্লেখ্য, গতকাল, সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই কর্তারা। দুঘণ্টার কথোপকথনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম তুলে ধরেছেন। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও সিবিআই-এর কাছে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
রাজ্য

Post poll violence: পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের চারটি দল খুঁজে দেখবে হিংসাস্থল

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। সূত্রের খবর, তদন্তের সুবিধার্থে প্রথমেই গোটা রাজ্যকে চারটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চারটি দল রাজ্যে আসার পর এই জ়োন ধরেই তদন্ত করবে। শুক্রবারই চার দলের দায়িত্বে থাকা জয়েন্ট ডিরেক্টরদের ভার্চুয়াল বৈঠক।সূত্রের খবর, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ এই চার ভাগে রাজ্যকে ভাগ করবে সিবিআই। এরপর যে সমস্ত জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা ঘুরে দেখবে দলগুলো। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে এই তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও সূত্রের দাবি। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারই রাজ্যে আসতে চলেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত ১৯ অগস্টই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করবে সিবিআই। একইসঙ্গে গঠন করা হয় সিট। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সিটের তদন্তের নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।আরও পড়ুনঃ বার্লার পাশে দাঁড়িয়ে সুর বদল দিলীপের এই নির্দেশ মিলতেই দিল্লিতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। শুক্রবারই এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে সিবিআই। প্রতি দলের নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। সূত্রের খবর, লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেহরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হয়েছে এই বিশেষ দল। চারটে দলে আট জন করে আধিকারিক থাকছেন। প্রত্যেক টিমে এক জন করে এসপি পদমর্যাদার মহিলা আধিকারিকও থাকছেন।

আগস্ট ২১, ২০২১
দেশ

Post Poll violence: ৪ রাজ্যের অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিবিআইয়ের বিশেষ দল

কলকাতা হাইকোর্টে সবুজ সংকেত মিলতেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা।এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রতি দলের নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে এই বিশেষ দল। গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। তদন্তে নজরদারি করবে উচ্চ আদালত।আরও পড়ুনঃ দেশের সাধারন মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানপাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে নির্দেশ আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে। অনান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।ভোটের পর শাসকদলের মদতে বিরোধীদের ওপর হিংসা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একাধিক মামলা। আদালতের নির্দেশে রাজ্য ঘুরে রিপোর্ট দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৩ অগস্ট শুনানি শেষ হয়।

আগস্ট ২০, ২০২১
রাজ্য

Caveat: রাজ্যকে আটকাতে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীর

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে, বা শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে নতুন আরেকটি পিটিশন দায়ের করা হতে পারে। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালতে যাতে কোনও ভাবেই একতরফা শুনানি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখলেন জনস্বার্থ মামলার মামলাকারী।আরও পড়ুনঃ নতুন ছবির প্রযোজনায় অরোরাহাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে যে দুই আইনজীবী মামলা করেছিলেন, তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টে এই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন। মামলাকারী দুই আইনজীবীর নাম, অনিন্দ্য সুন্দর দাস ও প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করার অর্থ, এ বার কোনও মামলায় শুধু রাজ্যকে রেখে একতরফা শুনানি করা যাবে না। রাজ্য সরকার যখনই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে, তখন মামলাকারীদেরও শুনানিতে শামিল করা বাধ্যতামূলক হবে। অর্থাৎ, মামলাকারীরাও কার্যত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এক চুলও পিছু হটতে তাঁরা নারাজ। যে মুহূর্তে তাঁরা জানতে পারবেন যে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, সেই মুহূর্তে নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করবেন মামলাকারীরা।আরও পড়ুনঃ দেশের সাধারন মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সজোরে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। অন্যদিকে, বাকি হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের তিন সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। দুই দলকেই আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।

আগস্ট ১৯, ২০২১
রাজ্য

Post-poll Violence: বড় খবর: ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অন্য ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। খুন, ধর্ষণ, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তে সিবিআই। তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ছসপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। গত ৩ অগস্ট এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে তা আদালতে জমা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু সেই রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে রাজ্য। কমিশনের রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানায় আদালত। এমনকী, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। দুই তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। সেই রিপোর্টও ছসপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট

আগস্ট ১৯, ২০২১
রাজ্য

Post-poll Violence: কমিশনের রিপোর্ট পড়তে আরও সময় চাইল রাজ্য

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যার পাল্টা হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে, রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। যদিও বুধবারের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এখনও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পড়া শেষ করা হয়নি। তা পড়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চায় রাজ্য। হাইকোর্ট আবেদন মঞ্জুর করে নির্দেশ দিয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পড়া শেষ করতে হবে, ওই সময়ের মধ্যেই অতিরিক্ত হলফনামা জমা করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ অগস্ট, সোমবার।আরও পড়ুনঃ অনীক দত্তের সিনেমায় বিমলা রায়ের চরিত্রে সায়নী ঘোষচলতি সপ্তাহের সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে রাজ্য সরকার। যেখানে কড়া ভাষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বিজেপির হয়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে। এমনকী, কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বিজেপির প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রাজ্যের হলফনামায়। এই প্রকারের ব্যক্তিদের থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্য সরকারকে ফের হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা উচ্চ আদালত। চলতি মাসের অন্তিম দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের হলফনামা পেশ করতে হবে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানিতে মানিকতলায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াইজেড দস্তুর।আরও পড়ুনঃ ফের দুর্ঘটনার বলি ১৮ পরিযায়ী শ্রমিকঅন্যদিকে, মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ১৬টি অভিযোগ নতুন করে জমা পড়েছে। যার মধ্যে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের চাপও রয়েছে। ফলে তারাও সাপ্লিমেন্টারি রিপোর্ট জমা দিতে চান বলে আদালতে জানান। যদিও হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করেছে। এদিকে এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন করেছেন রাজ্যের দুই বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তাদের অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্য বৃহত্তর বেঞ্চ এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

জুলাই ২৮, ২০২১
কলকাতা

NHRC Report: ভোট পরবর্তী হিংসায় মানবাধিকার কমিশনের বিস্ফোরক রিপোর্ট, পালটা মমতা

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভোট পরবর্তী হিংসায় কবলিত রাজ্যের একাধিক জায়গা ঘুরে আলাদতে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের শাসন চলছে।এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে রীতিমতো ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পালটা তোপ দেগে তিনি বলেন, কমিশনের নামে মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আদালতে।আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত সিন্ধু, আঙুলের নখে শোভা পাচ্ছে অলিম্পিক রিংমানবাধিক কমিশনের এই বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি তোলা হলে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালতে জমা পড়া রিপোর্ট কেন প্রকাশ্যে এল সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ পক্ষাপাতমূলক একটা রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। উত্তরপ্রদেশের নদী থেকে লাশ গঙ্গায় ভেসে আসার সময় মানবাধিকার কমিশন কোথায় থাকে। যদিও বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যা হয়নি তা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে। উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসিত রাজ্য বলে ওদের সাত খুন মাফ। ভোটের আগে যে হিংসা হয়েছে তখন নির্বাচন কমিশন দায়িত্বে ছিল। বিজেপি হার হজম করতে পারছে না। তাই হারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এইসব অভিযোগ তুলছে।আরও পড়ুনঃ জেএমবি-কাণ্ডে ধৃত মূল লিঙ্কম্যানভোট পরবর্তী হিংসার যে যে অভিযোগ রাজ্যে উঠেছিল, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের ঘুরে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার আদালতে জমা পড়ে। রিপোর্টে উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হিংসার ঘটনায় যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি রাজ্য সরকার চরম উদাসীন আচরণ দেখিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। হিংসার ঘটনার কারণে একাধিক পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের বাইরে মামলা হওয়া বাঞ্ছনীয় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার কমিশন। এর পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি সিট গঠন করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। যারা আহত বা মৃত, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।

জুলাই ১৫, ২০২১
কলকাতা

High Court: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছিতে হিংসায় মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। এবার অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে মুখবন্ধ খামে তা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আরও পড়ুনঃ ভ্যাকসিনে ভাটা, বন্ধ হচ্ছে দিল্লির একাধিক টিকাকেন্দ্রভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার শুনানিতে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অভিজিতের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করবে। তার পর সেই নমুনা পাঠানো হবে সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর কাছে। সেখানেই নমুনা পরীক্ষা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। এই পরীক্ষাটি অগ্রাধিকারের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিজিতের দেহ শনাক্ত করার জন্য এই পরীক্ষা জরুরি বলেই জানিয়েছেন বিচারপতিরা। আরও পড়ুনঃ রাশফোর্ডদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য, সাউথগেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উল্লেখ্য, গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিতের। তাঁর পরিবার অভিযোগ করে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অভিজিৎকে। গত ২ জুলাই হাইকোর্ট অভিজিতের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার জানান, তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাঁরা নিশ্চিত হয়ে পারছেন না যে মৃতদেহটি অভিজিতেরই। তার পরেই এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

জুলাই ১৩, ২০২১
কলকাতা

Post poll violence: রাজ্যের আর্জি খারিজ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিল হাইকোর্ট

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় কলকাতার হাইকোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ হয়ে গেল। আগের নির্দেশই বহাল রাখল উচ্চ আদালত। সোমবার দিনের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদন শোনার পর তাঁরা তা খারিজ করে দেন। ১৮ জুনের নির্দেশ বহাল রাখেন। যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, রাজ্যকে আগে সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই সেই ভার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) হাতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। গত ১৮ তারিখ, শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে রবিবার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর আবেদন ছিল, এখনই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে না জড়িয়ে রাজ্যকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হোক। আরও পড়ুনঃ ২০টি চুরি করে পুলিশের জালে ইংরেজিতে এমএ পাশ যুবকএদিন মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা স্পষ্ট জানান, এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে একটি কমিটিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ঘরে ফেরানো তো হয়ইনি, এমনকী এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগই সেভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। রাজ্য সরকারের এই উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত।

জুন ২১, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu-Dhankhar: হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে নালিশ শুভেন্দুর

চারদিনের দিল্লি সফর সেরে শনিবারই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল জনগদীপ ধনখড়। আর রবিবার বিকেলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সন্ধেয় উভয়ের সাক্ষাৎ হয়। শুভেন্দু তাঁকে ফের রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নালিশ জানান বলে টুইটে জানিয়েছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ইতিমধ্যেইএই একই ইস্যুতে বেশ কয়েককবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু। রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আবেদন তিনি জানিয়েছেন, সূত্রের খবর এমনই।LOP alleged complicity of state machinery @WBPolice @KolkataPolice in perpetration of gruesome violations of human rights. In barbaric and dastardly criminal acts there has been no investigation, much less arrest of culprits @MamataOfficial. pic.twitter.com/zRf3AKB9US Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 20, 2021কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে জোড়া বৈঠক সেরে দিল্লি থেকে শনিবার ফিরেছেন রাজ্যপাল। এমনিতেই ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ধনকড়ের সঙ্গে অমিত শাহর বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে উভয়ের, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ধনখড় নিজেই জানিয়েছেন, রাজ্যের ভোট পরবর্তী (Post Poll Violence) পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত। সে কথাই প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর তিনি সোমবার আবার এক সপ্তাহের জন্য চলে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। তাই রবিবার সন্ধেবেলায় তড়িঘড়ি সময় চেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিষয় একটাই রাজ্যের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা পরিস্থিতি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তা নিয়ে এই মুহূর্তে বেশ উদ্বিগ্ন শুভেন্দু। রাজ্য সরকার শান্তিরক্ষায় ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে তিনি রাজ্যপালকেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।Unrelenting pursuit of justice for the opposition workers affected by the post poll violence. Met Honourable Governor @jdhankhar1 to further discuss the ways to put an end to it.#PoschimbongoDibos pic.twitter.com/KG9yv4Ws0U Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 20, 2021আরও পড়ুনঃ খুনের আগে অপহরণের নাটক, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার আসিফের দুই বন্ধুরবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েই চলেছে। বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলবন্দি করা হচ্ছে। নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি পশ্চিমবঙ্গে, একথাও মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী।

জুন ২০, ২০২১
কলকাতা

Post-poll violence: হাইকোর্টের নির্দেশের স্থগিতাদেশের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবারই তিনি আবেদন জানাতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC) আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের উপরই স্থগিতাদেশ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ মে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ব্যাপক হিংসা চলছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন শাসকদলের কর্মীরাই। বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা ভয়ে এলাকাছাড়া হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ ভিনরাজ্যেও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একটা নির্বাচিত সরকার আসার পর এ ধরনের হিংসা কাম্য নয় বলেও একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সমর্থকদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলাও দায়ের করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মামলার শুনানিতে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়া বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ করতে মানবাধিকার কমিশনের তত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই কমিটি বিশেষ কাজই করেনি। এখনও ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো যায়নি। এমনকী এ বিষয়ে রাজ্য সরকারও যথেষ্ট উদসীনতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ এই সমস্যা সমাধানে রাজ্যেরই সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়ার কথা, এমনই উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা।

জুন ২০, ২০২১
কলকাতা

Dhankhar: মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের

ফের রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (WB Governor Jagdeep Dhankar)। দিল্লি সফরের আগে সোমবার কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন তিনি। সেই চিঠিতে একদিকে যেমন হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তেমনই গত ১৭ মে সিবিআই দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ওই দিনের ঘটনাপ্রবাহকে গণতন্ত্রে নজিরবিহীন বলে কটাক্ষ করেছেন ধনখড়। সবমিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একবার সম্মুখ সমরে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল। তবে ধনখড়ের এই চিঠি নিয়ে পালটা সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। সোমবার সকালেই রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগে এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। টুইটারে সেই চিঠি পোস্টও করেছেন ধনখড়। সঙ্গে লিখেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নীরবতা ভাঙুক মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সামাল দিক তিনি। দুর্গতদের ত্রাণেরও ব্যবস্থা করুন। দ্রুত এ নিয়ে আলোচনায় বসুন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, পরের টুইটে ধনখড় লিখেছেন, রাজ্যে চরম রাজনৈতিক হিংসা, মহিলাদের উপর অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর অত্যাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় সবচেয়ে খারাপ সময় এবং গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ। চিঠিতেও নির্বাচন পরবর্তী নিজের নন্দীগ্রাম, শীতলকুচি পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।একইসঙ্গে নারদকাণ্ডে দুই মন্ত্রী-সহ চারজনের গ্রেপ্তারির পর সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়েও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে ওইদিন আপনি চারজনের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। ওই দিন যা যা ঘটেছে তা গণতন্ত্রে নজিরবিহীন ঘটনা। এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল।

জুন ১৫, ২০২১
রাজনীতি

Dhankhar: শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিস্ফোরক রাজ্যপাল

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে রাজ্যপালের। বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021) পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই সংঘাত যেন আরও জোরাল হয়েছে। রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। সোমবার বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে চা-চক্রের পর একই অভিযোগে রাজ্য সরকারকে ফের কড়া ভাষায় দুষলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুললেন তিনি।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবারই রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ (Suvendu Adhikari) একঝাঁক বিজেপি বিধায়কের। টুইটেই সেকথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। ঠিক সেইমতো সোমবার বিকেলে বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন তাঁরা। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে।এরপর শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। কড়া ভাষায় আরও একবার রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না? ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের খোঁচা, বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। আরও একবার রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁর দাবি, উর্দিধারীরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল ভোটে জিতে বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মানুষের রায়ে বাংলা দখল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন কোনও কাজ করছে না বলেও অভিযোগ জগদীপ ধনখড়ের। রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক যে সুমধুর নয়, তা একের পর টুইট-পালটা টুইটেই স্পষ্ট। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের পর দুপক্ষের সম্পর্কের যে আরও অবনতি হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

জুন ১৪, ২০২১
রাজনীতি

ভোট পরবর্তী হিংসা: টুইট আদানপ্রদান তথাগত-চন্দ্রিমার

ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে আরও তৎপর তথাগত রায় (Tathagata Roy)।চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফের টুইট চালাচালি শুরু করলেন তিনি। ঘরছাড়াদের তথ্য দিতে রাজ্যের মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর কিংবা ই-মেল আইডি চাইলেন। পালটা ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস চন্দ্রিমার।Thank you! I understand your limitations assure you that GoWB is working round the clock towards rehabilitating all displaced persons.Kindly DM me so I can share my email address with you since Im unable to DM you. Thanks. https://t.co/jnGh3yDuuH Chandrima Bhattacharya (@Chandrimaaitc) June 7, 2021ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় ঘরছাড়াদের ফেরানোর ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। নাম না করে শীর্ষ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তথাগত রায়। সেই সময় ঘরছাড়াদের ফেরাতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সৌজন্য শীর্ষ বিজেপি (BJP) নেতাকে রীতিমতো মুগ্ধ করেছিল। ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। তার সূত্র ধরেই এবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর কিংবা ই-মেল আইডি চাইলেন তথাগত রায়।আবারও তার টুইটের পালটা জবাব দিলেন চন্দ্রিমা (Chandrima Bhattacharya)। রাজ্যের মন্ত্রী টুইটের শুরুতেই তথাগত রায়কে ধন্যবাদ জানান। তিনি লেখেন, রাজ্য সরকার ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরছাড়াদের আশ্রয়স্থল ফিরিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন চন্দ্রিমা।

জুন ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal