• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Uttrakhand

দেশ

শুরু উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটগণনা, নজরে উত্তরপ্রদেশ-পঞ্জাব

উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। বাকি চারটি রাজ্য হল-পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুর। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা, কোন দল জিতবে এই পাঁচটি রাজ্যে, সেই ফলাফল জানার অপেক্ষায় সমগ্র দেশ। রাজনৈতিক মহল তো বটে, গোটা দেশের নজর এখন এই পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের দিকে। উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুর বিজেপির দখলে রয়েছে, পঞ্জাব কংগ্রেসের দখলে। প্রতিটি দলই জয়ের বিষয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় চলছে ভোটগণনা।উত্তরপ্রদেশে এবার লড়াই হয়েছে চতুর্মুখী। বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির মধ্যে। গোয়ায় লড়াই হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মধ্যে, লড়াইয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। পঞ্জাবে এবার জোরদার টক্কর হয়েছে বিজেপি এনডিএ জোট, কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে। উত্তরাখণ্ডে লড়াই মূলত বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে লড়াই হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস জোট ও এনপিপি এবং এনপিএফ-এর মধ্যে। উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপিই জিতবে, ভোটগণনা সকালে এমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা ব্রজেশ পাঠক ও রাজেশ্বর সিং। উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস জিতবে বলে আশাবাদী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। ভোটগণনা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে এদিন সকালে গুরুদ্বারে গিয়ে প্রার্থনা করেছেন পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান। প্রার্থনা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিও।

মার্চ ১০, ২০২২
দেশ

দ্বিতীয় দফার ভোটপর্ব শুরু উত্তরপ্রদেশে, ভোট হচ্ছে উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায়

নির্বাচনের দামামা বেজেছে চারদিন আগেই। তবে আজ, একইদিনে তিন রাজ্যে হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। একদিকে যেমন উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন রয়েছে, তেমনই গোয়া ও উত্তরাখণ্ডেও এক দফাতেই ভোটপর্ব মিটিয়ে ফেলা হবে। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে। উল্লেখযোগ্যভাবে যে তিনটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, প্রত্যেকটিতেই শাসক দলের ভূমিকায় রয়েছে বিজেপি। প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় কংগ্রেস। এছাড়াও আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দলগুলিও রাজ্যের গণ্ডি পার করে ভিনরাজ্যে নিজেদের বিস্তার ছড়ানোর লড়াইয়ে নেমেছে।ভোট শুরু হতেই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।Polling will be held across Uttarakhand, Goa and in parts of Uttar Pradesh. I call upon all those whose are eligible to vote today to do so in record numbers and strengthen the festival of democracy. Narendra Modi (@narendramodi) February 14, 2022গোয়া ও উত্তরাখণ্ডে এক দফাতেই যথাক্রমে ৪০ ও ৭০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফায় মোট ৯টি জেলায় ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরে থাকবে সাহারানপুর, বিজনৌর, মোরাদাবাদ, সম্বল, রামপুর, আমরোহা, বদায়ুন, বরৈলি ও শাহজাহানপুর। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে, চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।গোয়ায় ৪০টি আসনে মোট ৩০১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। গোয়াতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও কংগ্রেস হলেও, এবারের নির্বাচনে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে যোগ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। দুই দলই নিজের রাজ্য়ের সীমানা পার করে সৈকত শহরের জমি দখলে মরিয়া।উত্তরাখণ্ডে ১৩টি জেলা মিলিয়ে মোট ৭০ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। প্রায় ৮১ লক্ষেরও বেশি ভোটার মোট ৬৩২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ২০০০ সালে আলাদা রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চম দফা বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। এই নির্বাচনে যে প্রার্থীদের উপর বিশেষ নজর থাকবে, তারা হলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, সতপাল মহারাজ, ধ্যান সিং রাওয়াত, মদন কৌশিক, হরিশ রাওয়াত প্রমুখ।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
দেশ

সাধারণতন্ত্র দিবসে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে স্কি আইটিবিপি-র!

মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় স্কি করছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)! উত্তরাখণ্ডের অউলিতে বরফের কোলে আইটিবিপি হিমবীর- এর সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।आईटीबीपी के हिमवीरों का राष्ट्र को नमनHappy Republic Day from #Himveers of ITBPFrom #Ladakh#RepublicDay2022 #RepublicDay #गणतंत्रदिवस pic.twitter.com/bS1A8pnPlH ITBP (@ITBP_official) January 26, 2022৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মোদি লেখেন, সবাইকে শুভ প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ।On 73rd #RepublicDay, lets listen to the ITBP Constable Lovely Singh singing a song dedicated to the nation:हम हिन्दुस्तानी हैंसैनिक तूफानी हैं..#RepublicDay2022 #RepublicDayIndia@PMOIndia @DefenceMinIndia @rajnathsingh @PIBHomeAffairs @ianuragthakur📽️: @ITBP_official pic.twitter.com/9O4pUKJ1N0 Ministry of Information and Broadcasting (@MIB_India) January 26, 2022আইটিবিপি-র একাধিক ভাইরাল ভিডিওর মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা বরফে ডাকা অউলিতে কালো পোশাকে স্কি করছেন জওয়ানরা। হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। আরেক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, আইটিবিপি জওয়ানরা কুচকাওয়াজ করছেন বরফে ঘেরা লাদাখে। ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে এই দুই ভিডিও কার্যত ভাইরাল হয়েছে টুইটারে।

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
কলকাতা

Trekkers: ফিরল ৫ বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ

আজ বাড়ি ফিরল উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে মৃত ৫ পর্বতারোহীর কফিনবন্দি নিথর দেহ। শোকে স্তব্ধ পাঁচ পাহাড়িয়ার পরিবার। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০ এবং ৭টা ২০ নাগাদ দিল্লি থেকে দেহ নিয়ে রওনা দেয় বিমানে। এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। সুজিত বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসেছি। আজ ৫ জনের মৃতদেহ এখান থেকে পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের পরিবারের কাছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।গত ১০ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের খারকিয়া থেকে বাগেশ্বর ,জাটুলি, দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড হয়েকানাকাটা পাসে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন সাগর দাসেরা। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে আটকে যান সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কাছে। এতদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার বারবার ব্যাহত হচ্ছিল তাদের উদ্ধারকাজ। পরে সেই সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কাছেই পাওয়া যায় পাঁচ ট্রেকার নিথর দেহ। মৃত ট্রেকারদের তালিকায় রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

অক্টোবর ২৮, ২০২১
কলকাতা

Uttrakhand: ৬ বন্ধুকে আজীবনের মত বিদায় দিয়ে বাড়ি ফিরলেন মিঠুন

ফেরা হল না বাকি বন্ধুদের। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন বিষ্ণুপুরের মিঠুন দারি । গতকাল উত্তরাখণ্ড থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফেরেন তিনি। উত্তরকাশিতে যাওয়া সাত বাঙালির মধ্যে একমাত্র জীবিত তিনি। আহত অবস্থায় উত্তরাখণ্ডের জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মিঠুন। গত ১১ই অক্টোবর কলকাতা থেকে উত্তর কাশিতে ট্রেকিং করতে যান সাতজন বাঙালি। এরপর সোমবার সকালে চার অভিযাত্রীর দেহ ফেরে কলকাতায়। ঘটনার বিষয়ে যদিও মিঠুন বেশি কিছু সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। তবে ভুলতে পারছেন না সেখানকার ভয়াবহ স্মৃতি।গত ২২ অক্টোবর প্রথম পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে।১১ জন পর্বতারোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল আগেই। অর্থাৎ বাকি ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, এই দলটি ট্রেকিং-এ গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ওই দলের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বাঙালি। সেই ৭ জনের মধ্যে স্বশরীরে বাড়ি ফিরলেন মিঠুন।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
দেশ

Uttrakhand: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু বাংলার ৫ অভিযাত্রীর, নিখোঁজ আরও তিন

উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে তুষারধসে মৃত্যু হল ৫বাঙালি অভিযাত্রীর। উত্তর কাশী জেলার লামখাগা পাসে ট্রেক যাওয়া ১১ জনের একটি দলের ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ সূত্রে। কানাকাটা পাসেও ট্রেক করতে গিয়েছিল একটি দল। ওই দলেও পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রী ছিলেন। তুষারপাতে তাঁদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, বাঁচতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকেরলামখাগা পাসে ট্রেক করতে যাওয়া দলটিতে যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেপালগঞ্জের দুই বাসিন্দা রয়েছেন। যাঁদের নাম সৌরভ ঘোষ ও বিকাশ মৈকাল। তুষারপাতে মৃত্যু হয়েছে সাবিয়ান দাস নামে কালীঘাটের এক অভিযাত্রীর। অনিতা রাওয়াত ও তন্ময় তিওয়ারি নামে আরও দুই অভিযাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। কিন্তু তাঁদের বাড়ি কোথায়, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। ওই দলের রিচার্ড মণ্ডল নামে এক সদস্য-সহ দুই পোর্টারের মৃত্যু হয়েছে। ওই দলে সুখেন মাঝি নামে আরও এক জন ছিলেন। তবে তাঁর দেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।কানাকাটা পাসে যাওয়া দলটিতে ছিলেন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা সাধনকুমার বসাক, নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা প্রীতম রায় এবং হাওড়ার বাগনানেরও তিন বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাস, সরিৎশেখর দাস ও সাগর দে। বাগেশ্বেরের এসপি জানিয়েছেন, এই পাঁচ জনের সঙ্গে এক জন গাইডও ছিলেন। ওঁদের এখনও খোঁজ মেলেনি। তাই ওঁরা সত্যিই মৃত কি না, তা আমরা বলতে পারছি না। ছজনের দলটিকে উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই একটি দল রওনা দিয়েছে। সেই সঙ্গে হেলিকপ্টারেও উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে তাতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও এই পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রী-সহ এক গাইডের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দীনেশ দানু নামে এক গাইড।

অক্টোবর ২২, ২০২১
রাজ্য

Uttrakhand: বিপদসংকুল উত্তরাখণ্ডে আটকে চুঁচুড়ার রায় পরিবার

পুজোর পরেই উত্তরাখণ্ডের পথে পা বাড়িয়েছিলেন চুঁচুড়ার রায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেখানে বিপদ যে এভাবে আসবে তা কী করে জানতেন তাঁরা। প্রবল বর্ষণে জায়গায় জায়গায় নেমেছে ধস। ভেসে গিয়েছে একাধিক এলাকা। ভারী বর্ষণে উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সেখানে বেড়াতে গিয়ে রীতিমতো জীবন-মরণ সংকটে ওই বাঙালি পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এত ভয়াবহ হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না।আরও পড়ুনঃ অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুলবিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী চুমকি ও মেয়ে অন্বেষাদের সঙ্গে ছিলেন অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিকে গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়ে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। নেমেছে ধসও। ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলছে ঝড়। বাধাপ্রাপ্ত উদ্ধারকার্য। কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, পাহাড়েই আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছে রায় পরিবার। এদিকে তাঁদের সঙ্গী অরিজিৎ ও সত্যব্রত ঝুঁকি নিয়ে গৌরীকুণ্ডে পৌঁছতে পারলেও বিশ্বজিৎ বাবুর পরিবার তা পারেননি। কেদার থেকে বদ্রীনাথ, গুপ্তকাশী, লখনউ হয়ে আগামী ২৪ তারিখ ফেরার কথা ছিল বিশ্বজিতবাবুদের। কিন্তু, বাদ সেধেছে আবহাওয়া।চুমকিদেবীর কথায়, আমাদের এতক্ষণে এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বৃষ্টির জন্য আর পেরে উঠিনি। বাংলায় যেরকম আমফানের ভয়াবহতা দেখেছি এখানেও তেমন ভয়ঙ্কর ঝড়। আম্ফানের চেয়েও বিপদজ্জনক! আমাদের হোটেল ছাড়তে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোথায় থাকব সেটাই বুঝতে পারছি না। নীচে না নামা পর্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছি এমনটা বলতে পারব না। যে হারে ঝড় হচ্ছে কখন কী হবে তা জানা নেই। আমার স্বামী কোনওরকমে ঝুঁকি নিয়ে ঘর খুঁজতে বেরিয়েছেন। রেল সার্ভিসও বন্ধ। যদি পাওয়া যায় তবে ট্রেনেই ফিরব যেভাবেই হোক না কেন। পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। এত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, আমরা বাইরে থেকে এসেছি, সব কিছু জানি না। অথচ,প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। কোনওরকম সহযোগিতা পাইনি।এদিকে, বিশ্বজিৎবাবুদের আটকে যাওয়ার ঘটনায় কার্যত উদ্বিগ্ন চুঁচুড়ায় রায় পরিবার। বিশ্বজিৎ বাবুর দাদা কেদার রায় বলেন, প্রথমে তো ছবিটবি দিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা আটকে পড়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না কী করব। ওদের যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। জানি না ফিরতে পারবে কিনা। ওখানে তো ইলেকট্রিসিটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোবাইলেও যোগাযোগ করব যে সম্ভব হচ্ছে না। দেখা যাক কী হয়! আমরা এখানে থানাকে জানিয়েছি। রেলেও যোগাযোগ করছি।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
দেশ

উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার ৩২ জনের দেহ

উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের পর তৃতীয় দিনেও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ইন্দো-তিবেটিয়ান সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এসডিআরএফ ও অন্যান্য এজেন্সি একজোট হয়ে দুর্গম তপোবন টানেলের মধ্যে ঢুকে আটকে পড়াদের বের করার আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০৬ জন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৩২ জনের দেহ।টানেলের মুখ আটকে গিয়েছে পাথর ও বালিতে। তার ফলে সেখানে আটকে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সন্ধান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১২০ মিটার ভিতরে ঢুকতে সফল হয়েছে উদ্ধারকারী দল। টানেলের ভিতর অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চামোলি জেলার আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই টানেল থেকে যত দ্রুত সম্ভব ধসের কবলে পড়া মানুষগুলোকে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চামোলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ১৩ টি গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামগুলো নদীর উপরের সেতুর মাধ্যমে চামোলি জেলার মূল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করত। কিন্তু হিমবাহ ধসে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সেই সেতু। ফলে ওষুধ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, কোনও কিছুই আর পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না সেই সব গ্রামে। গ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম রাইনি গ্রামের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলেই সেনার তরফে খবর।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
দেশ

মিলছে না সাড়া, ভয় বাড়াচ্ছে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ

উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের কাছে ধউলিগঙ্গাতে হিমবাহ ফেটে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের জেরে রবিবার ভেসে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম। রেনি গ্রামে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প-সহ ওই এলাকার ৪টি ঝুলা পুল অর্থাৎ ঝুলন্ত সেতু ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের পর ওই শ্রমিকদের জীবিত থাকা সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে।১৩.২ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎপ্রকল্পে ২০২০ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সেই প্রকল্পে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই বন্যার জেরে প্রকল্পটির ১০০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। আমরা যদি ৫ কিলোমিটার নীচের দিকে আসি, তা হলে তপোবন বলে একটি জায়গা আছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছিল এনটিপিসি-র ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। সেখানে দুটি সুড়ঙ্গে প্রচুর শ্রমিক কাজ করছিলেন। তার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।অপর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ এখনও সে ভাবে শুরুই করা যায়নি। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সুড়ঙ্গ কাদায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যে কারণে আইটিবিপি-র জওয়ানরা সুড়ঙ্গের বেশি ভিতরে ঢুকতেই পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাত্র ১৫০-২০০ মিটার ভিতর পর্যন্ত যেতে পেরেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে ওই সুড়ঙ্গে আইটিবিপি, সেনা ও রাজ্য সরকারের উদ্ধারকারী দল ফের কাজ শুরু করবেন। ওই সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ব্যক্তিদের কাছে খাবার-জল পৌঁছনো গিয়েছে কি না, সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা আটকে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারেননি। তিনি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আটকে থাকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বহু চিৎকার করা সত্ত্বেও কারও সাড়া মেলেনি। হতে পারে তাঁরা এক দম ভিতরে আটকে আছেন। তাই কারও কথা শুনতে পাচ্ছেন না। তাই আন্দাজে কিছু বলা সম্ভব নয়।কিন্তু এই যোগাযোগ না হওয়ায় ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও চেষ্টার খামতি রাখছেন না উদ্ধারকারীরা।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
দেশ

উত্তরাখণ্ডের তুষার ধসে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা!

রবিবার সকালে নামা তুষার ধসে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড। জোশীমঠের কাছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর দ্রুত বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে নদীর পাড়ের বহু ঘরবাড়ি। এই ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনায় ১০০-১৫০ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। আচমকা নামা ধসের ফলে চামোলির তপোবন বাঁধের কাছে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে পড়েছেন অন্তত ২০ জন মানুষ। আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাঁদের দল আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রেনি গ্রামের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন কাজ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। বাকিদেরও খোঁজে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন আইটিবিপি-র ২৫০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও সেখানে যাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উদ্ধার কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা লাগাতার এনটিপিসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছিল নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে। এদিন ধস নামার পরেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। সেজন্য খালি করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধ। জলের তোড় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জোশীমঠের মালারি অঞ্চলে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের তৈরি এক সেতু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে সকলের নিরাপদে থাকার প্রার্থনা করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর ও অমিত শাহর। দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তিনি তাঁর টুইটারে লিখেছেন, আমি নিশ্চিত উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য ভালভাবেই চলছে।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
ভ্রমণ

'মানা' যেন এক টুকরো  স্বর্গ

ছোটবেলা থেকেই সুন্দর জায়গা বা অপার শান্তির পরিবেশ এর উপমা আমরা সাধারণত টানি স্বর্গের সঙ্গে। ওখানে তো স্বর্গ সুখ বা কি সুন্দর জায়গা, ঠিক যেন স্বর্গ। কথাগুলো শুনে অনেক সময়েই ভাবতাম, যদি দেখতে বা অনুভব করতে পারতাম, কি ভালই হত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝলাম, পৃথিবীর সকল কাজ সমাধা করার পরই সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়, অবশ্যই সেটা ভালো কাজের পুরস্কার। অপকর্মের ফলে নরকের দরজা খোলা হয়। মহাভারত এর যুগের কথা অবশ্য আলাদা। কথিত আছে তখনকার সময়ে অনেক যোগী, ঋষিগণ তাঁদের তপস্যার বলে স্বশরীরে স্বর্গে যেতে আসতে পারতেন, দেবদেবীদের সাথে কথাবার্তাও সম্ভব হত। কঠোর তপস্যার পর অর্জুন স্বর্গে গিয়াছিলেন দেবতাদের কাছ থেকে অস্ত্র আনতে যা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি ব্যবহার করতে পারেন। এরপর যুধিষ্ঠির স্বশরীরে স্বর্গে গিয়াছিলেন স্বর্গরোহিণীর পথ ধরে, জীবন সায়াহ্নে, পরীক্ষিতকে সাম্রাজ্যভার অর্পণ করে, পথে চার পাণ্ডব সহ দ্রৌপদীর মৃত্যু হয়েছিলো। এই গৌরচন্দ্রিকা র উদ্দেশ্য হলো এই ঘোর কলিতে তো স্বশরীরে স্বর্গে যাওয়া যাবে না, তবে স্বর্গীয় অনুভুতি এবং সেসব মহামানবদের কীর্তিকাহিনী, পুরাণের গল্প সবকিছুর স্বাদ নিতে বদ্রীনাথ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মানা গ্রামে চলে যাওয়া যাবে।মানা-র প্রবেশপথমানা একটি ছোট্ট পাহাড়ি জনবসতি, প্রাচীনকালে যার নাম ছিল মনিবভদ্রপুরম। কমবেশি ছয় মাস এখানে মানুষ বসবাস করে, প্রবল শীতে সাধারন মানুষ এই জনবসতি ত্যাগ করে নিচের দিকে নেমে আসেন। চারিদিকে সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গ, নীলকন্ঠ, আলোকাপুরী (এটাই নাকি সবচেয়ে ধনী দেবতা কুবেরের রাজধানী), নর এবং নারায়ণ পর্বত (শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুন এর বন্ধুত্বের সাক্ষ্য বহন করে, এই নারায়ণ পর্বতেই বর্তমানে বদ্রি দ্রীবিশালজীর অপূর্ব সুন্দর মন্দির অবস্থিত), একটু দূরে তাকালে দেখা যায় স্বর্গরোহিনীর সুবিশাল উপস্থিতি। ধাপে ধাপে উঠে গেছে অসীমের দিকে, বুঝি স্বর্গের দিকে।সরস্বতী মন্দিরপঞ্চ পাণ্ডব সহ দ্রৌপদী কোন পথে স্বর্গে গিয়াছিলেন তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। একটি মত অনুযায়ী এই মানা - বসুধারার পথ ধরেই নাকি তাঁরা যাত্রা করেছিলেন। মতের বিভিন্নতা যাই থাক, গ্রামটির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়, যা কল্পনার স্বর্গের মতই। জনশ্রুতি অনুযায়ী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস এখানেই মহাভারত রচনা করেছিলেন। ব্যাস গুম্ফা নামে একটি গুহা বর্তমান, ভিতরে কৃষ্ণ বর্ণের ব্যাস দেবের মূর্তি। অদূরে গণেশ গুম্ফা, ভিতরে পার্বতী পুত্রের মূর্তি, তিনিই মহাভারতের লেখক। ব্যাসদেব বলেছিলেন আর গণেশ শুনে লিখেছিলেন। বেশ হাইটেক ব্যাপার সেযুগেও ছিল যা বুঝলাম, কি ছিল তা অবশ্য তাঁরাই জানতেন, কারণ গুহা দুটি নিকটবর্তী হলেও কথা শুনতে পাওয়ার মতো নয়। ব্যাস গুম্ফার উপরে প্রস্তরীভুত পুঁথির আকারে তাঁর রচনা বর্তমান, কারণ কলিকালের মানুষের কাছে সত্যি কারের সেই পুঁথি দর্শন সম্ভব নয়। প্রস্তরীভুত পুঁথিএই রচনার সঙ্গে আর একটি ঘটনাও ঘটেছিল, ব্যাসদেব যখন বলছিলেন এবং গণেশজী লিখছিলেন, বিদ্যাচর্চার সেই স্থানে দেবী সরস্বতীর আবির্ভাব ঘটে, নদী রূপে। প্রচন্ড গর্জনের সাথে, প্রবল বেগে ছুটে চলা নদীর শব্দে মনঃসংযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাতে কুপিত ব্যাসদেব অভিশাপ দেন অদূরেই এই নদী বিলীন হবে। সৃষ্টি হয় কেশবপ্রয়াগের, যেখানে সরস্বতী লীন হয়েছে অলকানন্দাজলে। এই সরস্বতীর উপরেই বিদ্যমান ভীমপুল, একটি মাত্র বিশাল পাথরের দ্বারা দুই পাড়ের সংযোগ রক্ষা করছে। মহাপ্রস্থানের পথে সরস্বতী নদীর প্রাবল্যে ভীত দ্রৌপদী নদী পার হতে অসমর্থ হলে, মহাবলী ভীম একটি মাত্র শিলা দ্বারা এই পুল তৈরী করেন। দেবী সরস্বতীর একটি মন্দির এখানে আছে। আছে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। এখানকার সব গল্প, কাহিনী আমাদের গাইড ভাই এর কাছে শোনা। চায়ের কাপ হাতে, প্রচন্ড বেগে ধাবমান সরস্বতীর ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপ দর্শনের সাথে এইসব কাহিনীর বর্ণনা শুনতে শুনতে টাইম মেশিনে চলে গিয়েছিলাম সেই সুদূর অতীতে।এই পথ চলে গেছে বসুধারা, লক্ষ্মীবন, চক্র তীর্থ, সতপন্থ হয়ে সেই অসীমের দিকে। এখান থেকেই সৃষ্টি হোয়েছে স্বর্গের গঙ্গা অলকানন্দা, আলোকপুরী হিমবাহ থেকে। বিপুল জলরাশির জোগান দিয়ে প্রানসুধা সঞ্চার করেছে ভাগীরথীর বুকে। সবকিছু নিয়ে মানা গ্রামটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে একটুকরো স্বর্গ, অপার শান্তির ঠিকানা।ব্যাস গুম্ফাডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়) কিভাবে যাবেনহাওড়া থেকে হরিদ্বার যাবার দৈনিক ট্রেন ১৩০০৯ দুন এক্সপ্রেস। এছাড়া ১২৩৬৯ কুম্ভ এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার ও শুক্রবার বাদে), উপাসনা এক্সপ্রেস ১২৩২৭ (মঙ্গলবার ও শুক্রবার থাকে) ট্রেন দুটি হরিদ্বার যায়। হরিদ্বার পৌঁছে সেদিন বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে। পরের দিন সকালে বেরিয়ে চলে আসুন যোশী মঠ, হরিদ্বার থেকে দূরত্ব ২৭৭ কিমি, গাড়িতে যেতে সময় লাগবে ১০ঘণ্টা। যোশী মঠ এ দেখে নিতে পারেন আদি শঙ্করাচার্য নিসৃংহ বদ্রী মন্দির, এটিই বদ্রীবিশাল জীর শীতকালীন আবাস।খুব সকালে পরের দিন রওনা দিন বদ্রীনাথের উদ্দেশ্যে। যোশী মঠ থেকে দূরত্ব ৪৫ কিমি। সেখান থেকে মানা গ্রামটি আরো ৪কিমি। গাড়ী থেকে নেমে পায়ে হেঁটে দেখেনিন দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। হাতে একদিন অতিরিক্ত থাকলে ৬ কিমি দূরে বসুধারা জলপ্রপাত দেখতে পারেন। পুরোটাই হাঁটা পথ।হরিদ্বারে থাকার জন্যGMVN এর রাহী মোটেল (০১৩৩৪-২২৬৪৩০)যোশী থাকার জন্যGMVN এর জ্যোতি টুরিস্ট কমপ্লেক্স (৯৫৬৮০০৬৬৬৭)বদ্রীনাথে থাকার জন্যGMVN এর দেবলোক (৯৫৬৮০০৬৬৫১)গাড়ী বা হোটেল বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেনকিশোর ট্রাভেলস (৯১-৯৯২৭৭১২০৯০)

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal