• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

UP

রাজ্য

নথি নিয়ে ইডি দপ্তরে হাজির প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ট কলকাতা কাউন্সিলর

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে নথি নিয়ে হাজির হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট কলকাতা পৌরসভার ১০১ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর ভূমিকা কি ছিল, সম্পত্তির হিসেব ও ব্যাংকের ডিটেলস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।গত বছরের নভেম্বর মাসে নিয়োগকাণ্ডে নাম জড়ায় বাপ্পাদিত্যের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাকরি সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি।কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের স পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। সেই কারণে নিয়োগ মামলায় পার্থের ভূমিকা সম্পর্কে বাপ্পাদিত্য অনেকটাই জানেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রাথমিকের নিয়োগে পার্থের কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। সেই কারণেই ইডি মনে করছে ব্যাপাদিত্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এদিন তলব করা হয়।ইডি দফতরে প্রবেশ করার সময় ব্যাপাদিত্য বলেন, আজকে ইনকাম স্টেটমেন্ট, আই টি রিটার্ন, এসেট ৱ্যাবিলিটি ডিটেলস এই কাগজ গুলো চেয়েছে সেগুলো নিয়ে এসেছি। দেখা যাক কথা বলি। আইটি রিটার্ন রয়েছে ১২ বছরের। যা যা কাগজ চেয়েছে সেই গুলো নিয়ে এসেছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট সেই কারণে ডাকা হচ্ছে হয়তো। প্রাথমিকের নিয়োগের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। সিবিআই যখন বাড়িতে রেড করে যে এডমিট কার্ড পেয়েছে একটাও প্রাথমিকের নয়। সেগুলো আজ জমা করে দেব।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজ্য

বিহিত চাইতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক, তিরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও অমৃতা সিনহা

এবার একযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এছাড়া, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকেও মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।নিয়োগ মামলা থেকে অভিষেকের সম্পত্তি- এছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলায় সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনশ়ৃঙ্খলার পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। কেন কিছু বলছেন না রাজ্যপাল? এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়েছিলেন তিনি? বলেছিলেন, স্বচ্ছতা রাখতে অভিষেকের উচিত সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সম্পত্তির হিসাব পোস্ট করা।বহু সময় বিচারপতির সেইসব মন্তব্য রাজ্যের শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের দাবি, এতে প্রভাব পড়ে মামলায়। এসবের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, বিষয়ের বাইরে গিয়ে মামলার বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকেন। সেই মর্মে যেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়েও সম্প্রতি শাসক দল প্রশ্ন তুলেছিল। তৃণমূলের মুখপাত্রদের মতে, মামলার প্রকৃত রায় এখনও অজানা। তার আগেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে মামলায় নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে আবেদনে অভিষেক জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক যে তিনি যেন একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। সেই বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে। মূলত বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেই মামলাগুলি যাতে ওই বিশেষ বেঞ্চে যায়।

জানুয়ারি ১০, ২০২৪
কলকাতা

"লেখাপড়া করে যে, অনাহারে মরে সে"-এই প্রতীকী কথায় কি গ্রুপ-ডি প্রার্থীদের আপ্ত বাক্য হতে বসেছে?

শনিবার কলকাতায় মাতঙ্গিনী হাজরার মুর্তির পাদদেশে ৫০০ দিনে পড়েছে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণা অবস্থান। চাকরি প্রার্থীদের তরফে আশিষ খামরাই জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাদের জানিয়েছিলেন, গ্রুপ-ডি তে ৬০ হাজার পদে কর্মী নিয়োগ হবে। ২০১৭ তে ৬০০০ শূন্যপদে কর্মীনিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৫ লক্ষ্য চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ১৯ লক্ষ্য প্রার্থী এবং পাশ করেন ১৮ হাজার পার্থী, সবশেষে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর মাত্র ৫৪২২ জন প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। ৬০০০ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর পরও ৫৪২২ জনের মেধা তালিকা তৈরী হওয়ায় চাকরি প্রার্থীরা প্রতিবাদ স্বরূপ ধর্ণায় বসেন। বাকিদের মেধা তালিকায় নাম না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, এমনকি ৫৪২২ জনের মেধা তালিকা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। এই উপলক্ষে তারা ধর্ণা স্থানে প্রতীকী হিসেবে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করেছেন। তারা আরও জানান যে, তারা রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপিও জমা দেবেন এবং সেখানে প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করবেন - লেখাপড়া করে যে, অনাহারে মরে সে এই উক্তিটি। যতার্থই এই শিরোনাম তাদের জীবনের কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।রাস্তায় জীবন কাটছে তাদের। রাস্তায় দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েও চাকরি জোগাড় না করতে পেরে হতাশা ও মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তারা। অনেকেই ছোটোখাটো চাকরি করে জীবন যাপন করছেন।

জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
রাজ্য

অভিষেকের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, সংবাদ মাধ্যমেও হস্তক্ষেপ নয়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা যে ধরনের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন, তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর তাঁর মানহানি হচ্ছে বলে অনুযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার ছিল এই আবেদনের শুনানি। এ দিন অভিষেকের সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নির্দেশে জানিয়েছেন, নিয়োগ মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহার এজলাস থেকে সরানো যাবে না। এছাড়া, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়েও কোনও নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়নি।নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তের কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সম্প্রতি মুখবন্ধ খামে ৫ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে ইডি। তার পরই বিচারপতি সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেছিলেন, সম্পত্তির পরিমাণ যদি কম হত, তাহলে কি এত নথি জমা পড়ত? এই সব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে অধিকাংশ সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর হয়েছ বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। ঘটনাচক্রে ২০১৪ সালেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। এ ব্যাপারটা তদন্ত কি করা হয়েছে তাও প্রশ্ন ছিল বিচারপতি সিনহার।আদালতের পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জোর চর্চা হয়। এ ব্যাপারে আপত্তি করে অভিষেকের আইনজীবী এ দিন সুপ্রিম কোর্টে একটি পাঁচ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেন। তিনি বলেন, এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় তাঁর মক্কেলের মানহানি হচ্ছে।বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এদিন জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ মামলায় কোনও নির্দেশ দিলে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনা করে দেখতে পারে। কিন্তু বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে কী বলছেন তা শীর্ষ আদালতের কাছে বিবেচ্য নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবা-মা সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত বর্তমান ও প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা অধিকর্তাকে তাঁদের সম্পত্তির হিসাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতে ওই রিপোর্ট বৃহস্পতিবার পেশ হয়েছে। ২০ তারিখ এ ব্যাপারে আবার শুনানি হতে পারে বিচারপতি সিনহার এজলাসে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

৪৭ দিনের মাথায় রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম চার্জশিট, জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১০ জনের নাম

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের ৪৭ দিনের মাথায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা করল ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বেহাত হয়েছিল, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেশন দুর্নীতি ১০০ কোটির বলে দাবি করে চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজে পাঁচটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। একইভাবে মন্ত্রী ঘনিষ্ট রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও পাঁচটি কোম্পানির মালিক।চার্জশিটের সংক্ষিপ্তসারঃ*জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান সহ ১২ জনের *নাম রয়েছে চার্জশিটে।*রেশনে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*বাকিবুরের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে।*জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। এছাড়া ৫ সংস্থা রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র নিয়ন্ত্রণে।*চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন।*চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও চলছিল রেশনের এই দুর্নীতি।*শুধুমাত্র ধান কেনার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাকিবুরের ২ সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

দুর্নীতি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা

ভরা মঞ্চ থেকে এবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশকে কড়া ভাষায় হুঙ্কার ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। তাঁর হুঁশিয়ারি কোনও অফিসার দুর্নীতিতে জড়ালে আমি ছেড়ে কথা বলব না। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এভাবেই রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের একাংশকে সতর্কতার পাঠ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সাম্প্রতিক সময়ে গরু, কয়লা, নিয়োগ, রেশন-সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটছেন তাঁদের অনেকেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহারা দিনের পর দিন ধরে জেলে রয়েছেন।কয়লা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডির সমন পেয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার ডেকে পাঠিয়ে চোখা চোখা প্রশ্ন করেছে ইডি। শাসকদলের হেভিওয়েট একাধিক নেতা-মন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার স্ক্যানারে থাকায় ফি দিন তৃণমূলকে তুলোধনা করে সোচ্চার বিরোধীরা।তবে এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন আশঙ্কা নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দলের নেতা-মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক নন, এবার প্রশাসনের অন্দরেই বিরাট অনিময়ের আঁচ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভরা সভায় সেই আশঙ্কার কথাই নিজে মুখে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু জানানোই নয়, অনিয়ম রুখতে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।একটা রাজনৈতিক লোক ৫ টাকা চুরি করলেও ১০ বার টিভিতে দেখানো হয়। কিন্তু কোনও অফিসারও যদি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। দুএকজন বিএলআরও দুষ্টু লোকেদের সাথে মিলে জমি কেনা-বেচায় জড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হতেই ফের একবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বৈঠকের সময় দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে দরবার করবেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
দেশ

জম্মু কাশ্মীরের বাতিল ৩৭০ ধারা নিয়ে ঐতিহাসিক সুপ্রিম রায়, উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির

জম্মু কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা প্রত্যাহারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের সংবিধান বেঞ্চে। চার বছর বাদে সোমবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে সামিল হওয়ার পর তার আর সার্বভৌমত্ব ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়ে দিয়েছে, উপত্যকায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করে যে ব্যবস্থা ছিল তা একেবারেই অস্থায়ী। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে অক্টোবর রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। কিন্তু লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপালের মাধ্যমে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রশাসন চালাচ্ছিল দিল্লি।সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হলে কেন্দ্রকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সব সিদ্ধান্তকেই কথায় কথায় আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। জম্মু-কাশ্মীরে আগামী ৯ মাসের মধ্যে ভোট করাতে হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে পৃথক করে সেটিকে একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে সেই প্রস্তাব দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে পাশ করানোর পর রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদন দিয়েছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপও ছিল বৈধ।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বাংলার ক্রীড়া কুলের দাদা-বন্ধু-ভালো মানুষের গল্পে শ্রদ্ধা অরুণ সেনগুপ্তকে

অরুণ সেনগুপ্তকে যে শুধু একজন নামজাদা ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন, তাই নয়। ছিলেন আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক। ভালো মানুষ। অরুণ কারও কাছে বড়দা, কারও কাছে দাদা-বন্ধু বা কারও কাছে স্নেহের ভাইয়ের মতো। প্রয়াত অরুণ সেনগুপ্তর স্মরণ সভায় বারেবারে উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের স্মরণ সভায় উপচে পড়া ভিড়ে যেমন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-ফেডারেশন-আইএফএ কর্তারা ছিলেন, তেমনই ছিলেন ফুটবলাররা। ছিলেন অরুণের সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অরুণের চলে যাওয়া আমার কাছে অঞ্জনদার (মিত্র) চলে যাওয়ার মতোই বেদনার। ময়দানের এক প্রকৃত বন্ধুকে হারালাম। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায়, অরুণ ছিল এতটাই বিশ্বস্ত, যার কাছে মন খুলে সব কথা বলা যেত। এত বিশ্বস্ত বন্ধু আমি আর পাইনি। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। যাঁর কথায়, অরুণ সেনগুপ্তই আমায় প্রথম শিখিয়েছিলেন, ময়দানে খেলোয়াড়রাই শেষ কথা। সারা জীবন সেটা মনে রাখব। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, টেবল টেনিসের রবি চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফিফা রেফারি চিত্তদাস মজুমদার সহ অসংখ্য মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে কলকাতা প্রেস ক্লাবও। ছিলেন অরুণবাবুর পরিবারের লোকজনও। বন্ধু ও দাদা অরুণকে নিয়ে নানা গল্প শোনান প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষরা। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জিজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন লড়াকু সাংবাদিক আমি খুব কম দেখেছি।কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তর সম্পর্ক ছিল আজীবন। যখন সাংবাদিকতা করতেন, তখন মাঠ থেকে ফিরে এই তাঁবুই ছিল তাঁর কাজের জায়গা। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কয়েক মাস আগে সিএসজেসি বিশেষ সম্মানও জানিয়েছে তাঁকে। বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট শুভেন রাহা বলেন, অরুণদার আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে চলাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সঠিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

এভাবেও স্বপ্ন সত্যি হয়! ১০ টাকার কয়েন জমিয়ে মোটরবাইক কিনলেন লটারি বিক্রেতা

ভাবতেও যেন ভাললাগা আছে। লক্ষ্য স্থির থাকলে তা পূরণ হবেই। নিজের স্বপ্নকে সত্যি করলেন এক লটারি বিক্রেতা। এক বছর ধরে দশ টাকার কয়েন জমিয়ে লক্ষধিক টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলেছেন একটি মোটরবাইক। লটারি বিক্রেতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের খবর ছড়িয়ে পরতেই ভিড় জমে বীরভূমের মল্লারপুরের হিরো গাড়ির শো-রুমে। অবশ্যই লটারি বিক্রেতার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে এগিয়ে এসেছেন শো-রুমের কর্ণধার টুটুল মণ্ডল।জানা গিয়েছে, ভারতের তামিলনাড়ুতে দশ টাকার কয়েন জমিয়ে চার চাকার গাড়ি কিনে তাক লাগিয়েছিলেন এক যুবক। নদিয়ার এক যুবক এভাবে কয়েন জমিয়ে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে বাইক কিনেছিলেন। এবার বাংলার বীরভূমের রামপুরহাট থানার চাকপাড়া গ্রামের যুবক লটারি বিক্রেতা তাপস লেট। লটারি বিক্রেতা তাপস লেট জানান, লটারি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতিদিন বেশ কিছু ৫ ও ১০ টাকার কয়েন দিতেন। তখনই মনে হয়েছিল ১০ টাকার কয়েন জমিয়ে একটি মোটরবাইক কিনব। সেই মতো স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। জমাতে শুরু করি কয়েন। সেই স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবে রুপ দিতে পারলাম। খুব ভালো লাগছে পছন্দের গাড়ি কিনতে পেরে।বীরভূমের মল্লারপুরের বাহিনা মোড়ের জয় জগন্নাথ হিরো শো-রুমে থেকে মোটরসাইকেল কেনেন তাপস। শো-রুমের কর্ণধার টুটুল মণ্ডল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাপস আমাদের শো-রুমে ফোন করছিলেন। জানিয়েছিলেন লাল রঙের হিরো গ্ল্যামার ক্লাসিক গাড়ি নেবেন। কিন্তু টাকা নিতে হবে সব দশ টাকার কয়েন। প্রথমে লক্ষাধিক টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করি। তাপস ফের জানায় এটা তার স্বপ্ন। এরপরেই তার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে কয়েন নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করি। এরপরেই হাসি মুখে ঝোলা ভর্তি করে দশ টাকার কয়েন নিয়ে শো রুমে হাজির তাপসবাবু

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে আবারও নড়াচড়া শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলপর প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এদিন সকালে কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। এদিন একইসঙ্গে তল্লাশি চলে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও। এছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি ও কোচবিহারেও একাধিক ঠিকানায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার তা্র বাড়িতে পৌঁছনোর পর বেশ কিছুক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। বাড়ির ভিতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় বাধ্য হয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট বাড়ির বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সিবিআই অফিসারদের। প্রায় কুড়ি মিনিট পর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত নিজে এসে দরজা খুলে দেন। তিনিই সিবিআই আধিকারিকদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন।এরই পাশাপাশি আজ সকালে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যায় তদন্ত সংস্থা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দেবরাজ তৃণমূলের দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। শহর কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা ছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

প্রাক্তন পাক অধিনায়ক গম্ভীরের মতে মত দিয়ে কোন দুজনকে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে নিতে বললেন?

২০-২০ র বিশ্বকাপে ভারতীয় পুরুশদের ক্রিকেট দলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে হাটে-বাজারে জোড় জল্পনার ক্সুর নেই। তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে আম জনতার জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বাঁহাতি দ্রুত গতির বোলার ওয়াসিম আক্রম ভিন্ন মত পোষণ করলেন। তাঁর মতে ভারতকে অবশ্যই ২০২৪-র আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে তাদের দলের দুই মহারথী ব্যাটারকে দলে নিতে হবে। এখানে উল্লেখ্য, ২০২২ এর নভেম্বর টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষবারের জন্য বিরাট ও রোহিত ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে খেলেন। তারপর থেকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে রোহিত এবং বিরাটের অনুপস্থিতি পাকিস্তানের এই জোরে বোলার কে খুব-ই আশ্চার্যান্বিত করেছে। ২০২৩-র টি ২০ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা অনুপস্থিত থাকায়, হার্দিক পান্ডিয়া ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন।কিছুদিন আগে এই বছরের প্রথম দিকে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক ও প্রারম্ভিক ব্যাটার রোহিত শর্মা আমেরিকায় ক্রিককিংডম একাডেমির উদ্বোধনের সময় ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে খুব উৎসাহিত হয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনুমান এর থেকে হয়ত তাঁর আগামী টি-২০ বিশ্বকাপের অংশগ্রহণের ব্যাপারে কিছুটা আন্দাজ করা যেতে পারে।পাকিস্তানের জোরে বোলার ও প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। আমি ভারতের টিম বাছলে, ওই দুজনকেই দলে নেব। তারাই হবে ভারতের মূল খেলোয়াড়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ-এ একটু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। আপনি শুধুমাত্র তরুণের উপর নির্ভর করতে পাড়েন না। স্পোর্টসকিডা-তে আক্রম আরও বলেন, রোহিত ১৪৮ টি ম্যাচে ৩৮৫৩ রান করেছেন। ওই ফর্মাটে তাঁর স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪০-র কাছাকাছি। রোহিত সেখানে চারটি (৪) শতরান এবং ২৯ টি অর্ধ-শতরান রয়েছে। ভারতের ওপর এক কিংবদন্তী ব্যাটার ক্রিকেটের এই ছোট ফর্মাটে ১১৫ টি ম্যাচ খেলে ৪০০৮ রান করেছেন, একটি সেঞ্চুরি এবং ৩৭টি অর্ধশতরান সহ এই মুহুর্তে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারি। এইমুহুর্তে ভারতের শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, ইশান কিষাণ, এবং রুতুরাজ গায়কওয়াড় সহ একগুচ্ছ তরুণ খেলোয়াড় আছে যারা আইপিএল-এর মত টুর্নামেন্টে তাঁদের প্রতিভার যথেষ্ট ছাপ রেখেছেন। যদি তরুণ প্রতিভারা পারফর্ম করতে না পারে সেক্ষেত্রে নির্বাচকরা বা বিসিসিআই রোহিতকে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করতেই পারে।রোহিত কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তিনি ১৪৮ টি ম্যাচ খেলেছেন যা ভারতের কোন ক্রিকেটারের সর্ব্বচ্চ, যেখানে কোহলি ভারতের হয়ে দ্বিতীয়- সর্বচ্চ স্থানে রয়েছেন, তিনি খেলেছেন ১১৫টি ম্যাচ। পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপের আট বারই রোহিতের ধারাবাহিক পারফরমেন্স বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। উল্লেখযোগ্যভাবে ২০০৭-র চাম্পিয়ান দলেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ।ভারতের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর আবার মনে করেন শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবেই রোহিতের বিশ্বকাপে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে কথা বলেন। তাদের (রোহিত এবং কোহলি) উভয়কেই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে বাছাই করা দরকার, উভয়কেই বাছাই করা উচিত এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, আমি রোহিত শর্মাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসাবে দেখতে চাই, গম্ভীর বলেন।

নভেম্বর ২৫, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

কলিঙ্গে ভারত-কাতার ফুটবলের মহারণ! ত্রাতার ভূমিকায় কি আবার সুনীল ছেত্রী?

উদ্বোধনী ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ জয়ের পর, ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দল ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ কোয়ালিফায়ারে কাতারের বিরুদ্ধে একটি হোম খেলা দিয়ে ২০২৩ এর তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হবে।ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ব্লু টাইগারদের দ্বিতীয় রাউন্ড-র দ্বিতীয় ম্যাচ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বলাবাহুল্য ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী কাতার ভারতের বিপক্ষে ফেভারিট টিম হয়েই নামবে।ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচের দল ২০২৩ এ কিছুটা ভালো-খারাপের মধ্য দিয়ে চলছে, এবং এখনও পর্যন্ত তাঁরা ঘরের মাঠে অপরাজিত রয়েছে। কোলকাতার তিন প্রধানের অন্যতম মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড মনভীর সিংয়ের অসাধরন গোলে ভারত কুয়েতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিন পয়েন্ট অর্জন করে। ঘরের মাঠে চেনা দর্শকের সামনে পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গ্রুপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলার আগে ভারতের মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই ফুটবল বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা। ২০১৯ এ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের খেলায় ভারত অসাধরণ খেলে কাতারের সাথে ম্যচ ০-০ ফলে ড্র করেছে, এবং গ্রুপ এ-তে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে মঙ্গলবার পয়েন্টের আশা নিয়েই খেলতা নামবে ভারতীয় ফুটবল দল।২০২৩ এ ভারতীয় ফুটবল দল ভারতের মাটিতে যে ১১টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে ৯টিতে তাঁরা জয়লাভ করেছে, এবং ২টি খেলা অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে। এই বছরে ঘরের মাঠে এখনও অবধি হারের মুখে দেখেনি স্তিমাচের প্রসিক্ষানাধীন ভারতীয় ফুটবল দল। টানা আটটি খেলায় কোনও গোল খায়নি ভারত। ভারতীয় ফুটবলে এহেন ধারাবাহিকতা দেখে আশায় বুক বেঁধেছে ভারতীয় সমর্থকেরা। বিশেষজ্ঞদের আশা আজ ভুননেস্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের একটা সিট-ও খালি থাকবে না। এই মুহুর্তে ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ভারতীয় ফুটবল দল ৯৯ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে। ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলার ফলেই ফিফার বিশ্ব ক্রমতালিকায় উঠে আসে ভারত।২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় খেলা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়। স্পোর্টস ১৮, স্পোর্টস ১৮ -১ এবং স্পোর্টস ১৮ -৩-এ ভারত-কাতার এর খেলা সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পাবেন। এছাড়াও ভারতের সমস্ত ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা অনলাইন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য জিও সিনেমা (JioCinema) অ্যাপ বা জিও-র ওয়েবসাইট বিনামূল্যে দেখতে পাবেন।বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য ভারতের স্কোয়াড:গোলরক্ষকঃ গুরপ্রীত সিং সান্ধু, অমরিন্দর সিং, বিশাল কাইথ।ডিফেন্ডারঃ সন্দেশ জিঘান, মেহতাব সিং, লালচুংনুঙ্গা, রাহুল ভেকে, নিখিল পূজারি, আকাশ মিশ্র, রোশন সিং নওরেম, শুভাশিস বোস।মিডফিল্ডারঃ সুরেশ সিং ওয়াংজাম, অনিরুধ থাপা, লালেংমাওইয়া আপুইয়া, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেস, রোহিত কুমার, সাহল আবদুল সামাদ, লিস্টন কোলাকো, নওরেম মহেশ সিং, উদন্ত সিং।ফরোয়ার্ডঃ সুনীল ছেত্রী, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, মানভীর সিং, ইশান পন্ডিত, রাহুল কেপি।

নভেম্বর ২১, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

শ্মশানের স্তব্ধতা সাজঘরে! তবুও অন্যথা হল না 'সেরা ফিল্ডার' পুরষ্কার দেওয়ার নিয়মের, কে সেই সেরা ফিল্ডার?

সাজঘরে তখন শ্মশানের স্তব্ধতা! একটা পিন পড়লেও যেন তার শব্দ পাওয়া যাবে। শুরু হল এই বিশ্বকাপে চালু হওয়া ভারতীয় বোর্ড-এর সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। একেবারেই অনাড়ম্বর এক ঘরোয়া অনুষ্ঠান। দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ ব্যতীত কারোর প্রবেশ নিষেধ। দলে মধ্যে সংহতি বাড়ানো ও ফিল্ডিং মানের উত্তরণ ঘাটানোর জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই প্রথা চালু করেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের বেদনায়ক পরাজয়ের পর দলের সদস্যদের বেশীরভাগ অংশেরই ধারনা ছিলো, হয়তবা এই পরিস্থিতিতে সেই সেলিব্রেশন বাতিল হবে। কিন্তু না! গত দেড় মাস ধরে যা ঘটছিল, তার একটুও ব্যতিক্রম রবিবার হল না।গত দেড় মাস ধরে যা ঘটছিল, তার একটু ব্যতিক্রম হল রবিবার। বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জিতে আসা একমাত্র দল ভারত ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হয়েছে! ম্যাচের পর সেরা ফিল্ডারের পদক দেওয়ার পুরস্কার এ বারের বিশ্বকাপেই প্রথম চালু হয়েছে। এই বিশ্বকাপের প্রত্যেকটি ম্যাচ ভারত জিতেছে। কিন্তু ফাইনালের মতো বেদনাদায়ক ম্যাচের শেষে সেই পদক নেওয়ার মানসিকতা কি কারও থাকে?From our first medal ceremony to the last - thank you to all the fans whove given us a lot of love for it 💙Yesterday, we kept our spirits high in the dressing room and presented the best fielder award for one final time.Watch 🎥🔽 - By @28anand#TeamIndia | #CWC23 BCCI (@BCCI) November 20, 2023খেলোয়াড়েরা পরাজয়ের ধাক্কায় বিমর্ষ থাকলেও বোর্ড প্রথামতোই সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান বাতিল করলো না, দেওয়া হল সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটারে) লিখেছে, বিশ্বকাপের প্রথম খেলা থেকে শেষ পদক দেওয়া পর্যন্ত যে ভাবে ভারতীয় দলের সমর্থকেরা আমাদের পাশে থেকেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। ফাইনালে পরাজয়ের পরেও আমরা চেষ্টা করেছি ঠিক থাকতে। এই বিশ্বকাপে শেষ বারের মতো সেরা ফিল্ডারের পদক দেওয়া হল।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটারে) যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছে তাতে প্রথমে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ১০টি ম্যাচের সেরা ফিল্ডার পুরস্কার ঘোষণা এবং সেখানে যে অভিনবত্ব দেখানো হয়েছে, তার একটি কোলাজ দেখানো হয়। এরপর ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ পুরষ্কার প্রপকের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, আমরা জানি আজ আমরা হেরে গিয়েছি। আমরা যা চেয়েছিলাম তা এদিন হয়নি। কিন্তু আমাদের কোচ রাহুল ভাই বলেছেন, আমাদের প্রত্যকের নিজেকে নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। আমার পক্ষ থেকে দলের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবাই যে ভাবে মাঠে নেমে নিজের নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছো তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের পুরস্কার এমন একজন পাবে যে মাঠে নামলেই নতুন একটা ঘরানা তৈরি করে। মাঠে নামলে জাদু দেখায়। নিজের কাজটাই ভাল ভাবে শুধু করে না। বাকিদেরও অনুপ্রাণিত করে। সে আর কেউ নয়, বিরাট কোহলি।এই ঘোষণায় বিরাট কোহলি নিজেও খানিকটা চমকে যান। হয়ত তিনি তাঁর নাম ঘোষণা হবে এটা আসা করেনি নতুবা মাঠের চরম পরিণতি কুরেকুরে খাচ্ছিল। ঘোষণার সাথে সাথে সমস্ত গ্লানি ভুলে হাসিমুখেই ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের হাত থেকে পদক নেন। বিরাট কে ফাইনালের সেরা ফিল্ডারের পদক গলায় পরিয়ে দেন আগের ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পদক জয়ী রবীন্দ্র জাদেজা।

নভেম্বর ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

'হেড'র মগজাস্ত্রে ভোঁতা টিম রাহুলের 'হুল'! ফাইনালের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন!

২০২৩ পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ ৯টি ও সেমিফাইনাল ধরে টানা দশটি ম্যাচ জিতেও চূড়ান্ত খেলায় মুখ থুবরে পড়ল রোহিত ব্রিগেড। আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে হেরে গেল ভারত। রোহিতের অবিশ্বাষ্য ক্যাচ দিয়ে শুরু করে থামলেন ১২০ বলে ১৩৭ করে। ফাইনাল ম্যাচে দলের মাথা হয়েই ট্রেভিস হেড বিরাট অস্ট্রেলিয়াকে চাম্পিয়ান করলেন। রোহিতের ধুমাধার ব্যাটিং, কোহলি, কেএল রাহুলের কঠিন সময়ের অর্ধশতরান অন্তরালেই থেকে গেল।ট্রেভিস হেডর ক্যাচ অনেকেই ১৯৮৩-র কপিল দেবর ধরা ভিব রিচার্ডেসের ক্যাচের সঙ্গে তুলনা করছেন। সেদিন-ও ভিব সমলোচিত হয়েছিলেন তাঁর ওই ঔদ্ধত্য পূর্ণ শট খেলার জন্য। ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করেও ম্যাক্সওয়েলের বলে রোহিতের আত্মহত্যামূলক শট-ও চরম সমলোচিত এদিন। বিশেষজ্ঞ দের মতে, যখন ওভারে একটি চার ও ছয় এসে গেছে, তখন রোহিতের খুচরো রান নিয়ে খেলা উচিত ছিল। তাঁদের মতে, অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের কামিংস, ম্যাক্সওয়েলকে সেই মুহুর্তে আনার মূল উদ্দেশ্য-ই ছিল রোহিত কে বড় শটের জন্য প্রলোভিত করা। আর সেই ফাঁদেই তিনি পরলেন।Travis Head stands alongside the greats of Australia cricket 💯 🏆Heads #CWC23 Final masterclass 📲 https://t.co/5OtUt57klm pic.twitter.com/gOdhc3kiVk ICC (@ICC) November 20, 2023২০০৩-এ খেলোয়াড় হিসাবে পারেননি, ২০২৩-এ কোচ হিসাবেও ব্যর্থ হলেন রাহুল দ্রাবিড়। টানা ১০ টি ম্যচ জিতলেও প্রদীপের তলার অন্ধকারের মত টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশ নির্বাচনের অনেক খামতি-ই বিশেষজ্ঞদের চোখ এড়াইনি। গ্রুপ লিগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে হার্দিক পান্ডিয়া দল থেকে ছিটকে যাওয়াই ভারতীয় দলের ব্যলেন্স অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। ২০ ওভারের খেলা বা একদিনের খেলায় বিশেষজ্ঞ খেলোয়ারের সাথে সাথে আলরাউন্ডারের ভারসাম্য টিমে অবশ্যই থাকা উচিত। এই ভারসাম্য না থাকলে প্রথম সারির ব্যাটার বা বোলারদের ব্যর্থতার দিনে আলরাউন্ডারাই হাল ধরে। অস্ট্রেলিয়া দলের দিলে তাকালেই ফারাকটা বোঝা যাবে। ফাইনালে তাঁরা ৭ জন বোলারকে ব্যবহার করল। যেখানে ভারতের প্রথম পাঁচজন বোলার ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বিরাট-রোহিত-গিল-সুর্যকুমার কেউই বল হাতে সেরকম সাবলীল নয়।ফাইনালের আরেকটা বিষয়েও বিপক্ষকে ধরাশায়ী করে গেলেন টিম অশট্রেলিয়া। ফিল্ডিংয়ে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ রান বাঁচালেন তাঁরা। ৩৬ বছর বয়সী ডেভিড ওয়ার্নার গোটা মাঠ চষে বেড়ালেন। এক সময় তো মনে হচ্ছিলো যেখানে বল সেখানই ওয়ার্নার। অস্ট্রেলীয় উইকেটরক্ষক জোশ ইংলিশ বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরার রেকর্ড গড়লেন। তিনি এদিন পাঁচটি ক্যাচ ধরেন।Virat Kohli put on a magical display at #CWC23 🌟More ➡️ https://t.co/vOK9p7ZFB3 pic.twitter.com/TmNQqrWJe1 ICC (@ICC) November 20, 2023বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা এদিনের দল নির্বাচন নিয়ে আরেকটু চিন্তা ভাবনা করা উচিত ছিল। বিশেষ ম্যাচ, পিচ, পরিবেশ সবকিছু পর্যবেক্ষন করে বিশেষজ্ঞদের মত, ফাইনালের টিমে দুটি পরিবর্তন খুব প্রয়োজন ছিল। মহঃ সিরাজ ও সুর্যকুমার যাদব এই বিশ্বকাপে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও নিজেদের নামে প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ এই দুই ক্রিকেটার। এই দুজনের পরিবর্তে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শার্দুল ঠাকুর কে আজ খেলালে অলরাউন্ডারের সমস্যা অনেকটা মিটে যেত বলে ধারণা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানোর পক্ষে প্রধান যুক্তি বর্তমান ভারতীয় দলে বিরাট কোহলি ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন-ই একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর এক আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই দিকটা অবশ্যই টিম ম্যনেজমেন্টের খেয়াল রাখা উচিত ছিল। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরিদ্ধে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যথেষ্ট সফল বোলার, তাঁর ব্যাটিং ও টিম ইন্ডিয়াকে গভীরতা দিত। জিতলেই প্রথম একাদশে রদবদল ঘটানো উচিত নয় এই বদ্ধমূল ধারণা থেকে বেরিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার করে সঠিক একাদশ নির্বাচন করায় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রধান কাজ।ফাইনালে ব্যর্থতার মধ্যেও ভারতীয় দলের পাওনা বিরাটের অনবদ্য ব্যাটিং, মহঃ শামির আগুনে বোলিং, রোহিতের স্বার্থত্যাগ করা ওপেনিং ব্যাটিং, শ্রেয়াস আইয়ার এর ফর্মে ফেরা...। এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটারের নাম বিরাট কোহলি (৭৬৫)। তিনি শচীনের সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন এই বিশ্বকাপেই। মহঃ শমি, মাত্র সাতটি (৭) ম্যাচ খেলে ২৪টি উইকেট নিয়ে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারি। আবার অপেক্ষা ৪ টি বছরের, এই ভারতীয় দলের অনেকেই হয়ত তখন আর থাকবেন না।

নভেম্বর ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বিরাট, রোহিত-দের পরামর্শদাতা বদল? কি বললেন নতুন পরামর্শদাতা?

ঠিক চূড়ান্ত খেলার আগের দিন পরামর্শদাতার ভূমিকায় নতুন মুখ ভারতীয় দলে! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পরিবর্তে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের অন্য কাউকে পরামর্শ দিতে দেখা গেল। সেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলতে দেখা গেল ভরতিয় ক্রিকেটারদের বলছেন,তাঁরা যেন বিশ্বকাপ জিতে ফেরে। সেই বিশেষ ব্যক্তি এই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের একজন নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। তিনি চোট পাওয়ার আগে চার চারটি ম্যাচ খেলেওছেন। ব্যক্তিটি হলেন হার্দিক পান্ডিয়া।বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরিদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন পায়ে চোট পেয়ে ছিটকে যান হার্দিক। নিজের বলে বাংলাদেশের ব্যাটার লিটন দাশের স্টেট ড্রাইভ পা দিয়ে আটকাতে গিয়ে গোড়ালিতে ভয়ঙ্কর চোট পান। সেটি ছিল বাংলাদেশের নবম ওভার। নবম ওভারের তিন নম্বর বল করতে গিয়েই ঘটনাটি ঘটে। উল্লেখযোগ্য, ওই খেলাই তার বাকি তিনটে বল করতে ডাকা হয় বিরাট কোহলিকে। এটি বিরটের এই বিশ্বকাপে প্রথম বল করা। বিরাট এর পর নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল করে বিশ্বকাপে প্রথবার উইকেট লাভ করেন।ম্যাচের আগের দিন ভারতীয় দলকে সাপোর্ট একটি ভিডিয়ো বার্তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন হার্দিক। ভারতীয় দলের জাতীয় জার্সি পড়ে হার্দিক বলেন, আমি এই দলের জন্য আমি ভীষনভাবে গর্বিত। এখনও পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে আমরা যা খেলছি তা আমাদের দীর্ঘ দিনের কঠিন পরিশ্রমের ফসল। আমরা বিশ্বজয়ের থেকে মাত্র এক কদম দূরে। আমরা ছোটবেলা থেকে যে স্বপ্ন দেখে এসেছি, সেটাই সফল করে তুলতে হবে। বিশ্বকাপটা হাতে তুলতে হবে শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাড় হৃদয় সব সময় তোমাদের পাশে। ভালো কিছুর আশায় রইলাম। চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে গিয়েও হার্দিকের আবেগ ঘন বার্তা সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। দলে না থেকেও, এখনও যে মানসিক ভাবে তিনি দলের সঙ্গেই রয়েছেন সেই বার্তা-ই দিয়েছেন হার্দিক। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে তিনি যে কতটা ভালবাসেন তা বোঝা গিয়েছে হার্দিকের কথা থেকেই। তাঁকে বলতে দেখা যায়, সব সময় আমি দলের সঙ্গে আছি। আমার মন সব সময় তোমাদের পাশে রয়েছে। রবিবারটা তোমাদের সেরাটা আরেকবার দাও। তা হলেই আমদের আসা পুরন হবে। আমরা সফল হব। এটাই সেরা সময় কাপটা দেশে রাখার। জয় হিন্দ।বেশ কয়েক বছর ধরেই ৫০ ও ২০ ওভারের খেলায় ভারতীয় দলের এক নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় উঠেছেন হার্দিক। এই মুহুর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের হাতে গোনা কয়েকজন অলরাউন্ডারের মধ্যে হার্দিক অন্যতম। এই বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হার্দিক। অধিনায়ক রোহিত শর্মার অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ব্যাট-বলে তাঁর উপর অগাধ আস্থা ছিল টিম ইন্ডিয়ায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলায় চোট সব কিছুতে জল ঢেলে দিল। যেভাবে শুভমান ডেঙ্গি হয়েও দলে ফিরে এলেন এবং দারুন প্রত্যাবর্তন করলেন। ঠিক সেইরকমই মনে করা হয়েছিল যে, সেমিফাইনালের আগেই হয়ত সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন হার্দিক। কিন্তু বিধি বাম। আগামী তিন-চার মাস তাঁকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে। একজন প্রথম একাদশের খেলোয়ারের মাঠের বাইরে থাকার কি যন্ত্রণা তা আজকের বার্তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। খেলতে না পারলেও হার্দিক যে মানসিক ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গেই রয়েছেন সে কথা তিনি বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় জার্সির রং গেরুয়া! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বড় প্রশ্ন মমতার

আগামী রবিবারব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাজজ্ঞ। চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি ম্যাচ দূরে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামবে রোহিতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল। এই অবস্থায় শুক্রবার ভারতীয় দলের জার্সি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পোস্তায় শুক্রবার ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই স্বৈরাচারী মনভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই রং নিয়ে রাজনীতির বিষয়টি তোলেন তিনি। বলেন, এখন তো সব গেরুয়া বানিয়ে দিচ্ছে।এই প্রসঙ্গেই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির রঙের বিষয়টি টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা আমাদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে। ওদেরও গেরুয়া বানিয়ে দিয়েছে। ওরা যে ড্রেস করে প্র্যাকটিস করে, সেটা গেরুয়া করে দিয়েছে। ওরা তো নীল রংয়ের জার্সি পরে ম্যাচ খেলে।মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যবাসীর মাথা হেঁট করে দিচ্ছেন। এবার তো মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকায় কেন গেরুয়া রং ব্যবহার হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন।বিশ্বকাপের ম্যাচে এবার ভারতীয় দল চিরাচরিত নীল রঙের জার্সি পড়ে খেলছে। তবে, তাদের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক হয়েছে। কেন হঠাৎ প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ পাল্টানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করেছেন, কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ও বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহর পুত্র জয় শাহর অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া হয়েছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

রোডস-গিবসের দেশের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের দৈনদশায় "চোকার্স" তকমা এবারেও ঘুচলো না।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ সুপার সিক্সের লড়াইয়ে, অস্ট্রেলিয়া ২৭২ রান তারা করছিল, তখন ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াঘ ৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন। স্টিভ মিড-উইকেটে হার্শেল গিবসকে একটি সহজ সুযোগ দেন। গিবস ক্যাচটি ধরে সেলিব্রেশন করতে গিয়ে বলটি মাটিতে ফেলে দেন। তার পর স্টিভ ওয়াঘ ১২০ রানে অপরাজিত থেকেম্যাচটি জিতে ফেরেন। জানা যায় স্টিভ ওই ওভার শেষে গিবসে বলেছিলেন তুমি ক্যাচ মাটিতে ফেলনি, বিশ্বকাপ তোমার হাত থেকে পড়ে গেল। স্টিভের এই কথাটি-ই সত্য হয়। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ লাভ করে।বড় ম্যাচে চোকার্স তকমা এবারেও গেল না। ২০২৩-র বিশ্বকাপে অনবদ্য শুরু করে সাদামাটা ভাবে বিদায় নেলসন মেন্ডেলার দেশের। ৩ উইকেটে জিতে আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১১ রান দেখে যতটা সহজে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাবে মনে হচ্ছিল ততটাই কঠিন ভাবে জিততে হল অস্ট্রেলিয়াকে। হাঁটুর ওপর বল না ওঠা ইডেনের পিচ সেমিফাইনালের যোগ্য নয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে পাচবার সেমিফাইনালে উঠে পাঁচ বারই হারতে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।➡️ From 24/4 in the 12th over➡️ To 212 all outDavid Millers 💯 has given the South Africa bowlers something to defend.Read the live match report📝⬇️#CWC23 #SAvAUS https://t.co/qayvEZNW7J ICC (@ICC) November 16, 2023মেঘলা আকাশ, শিরশিরে হাওয়া থা সত্তেও টসে জিতে কেন প্রথম ব্যাটিং নিলেন তার ব্যখা পাওয়া গেল না। তিন তিনটে পেস বোলার থাকা টিম স্বাভাবিক ভাবেই ওই পরিবেশে টসে জিতে প্রথম বোলিং করবে স্টাই প্রত্যাশিত। মাত্র ২১২ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডেভিড মিলারের অনবদ্য ১০১ রান ও হেনরিক ক্লাসেন ৪৭ রান ইনিংস বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পন করল আফ্রিকার সিংহরা।অধিনায়ক বাভুমা শূন্য দিয়ে শুরু, অবসরের ঘোষণা করে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কুইন্টন ডিকক সারা প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে ব্যার্থ সেমিফাইনালে, করেন মাত্র ৪ রান। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও, তিনি করেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ১১.৫ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।২৪ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার মিচেল স্টার্ক, তিনি ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন। হ্যাজলউড -ও খুব ভালো বল করেন, তিনি ১২ রানে ২ উইকেট নিলেন। অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন ট্র্যাভিড হেড।টি২০ ক্রিকেটের আবির্ভাব হওয়ার পর ৫০ ওভারের ম্যাচে ২১৩ রান খুব-ই সামান্য টার্গেট বলেই মনে করা হয়। এই ২১৩ রান তুলতে যঠেষ্ট-ই বেগ পেতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এক সময় ম্যাচ ৫০-৫০ হয়ে গেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সময় মত ক্যাচ গুলো ধরতে পারলে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারতো। হল না তার সবচেয়ে বড় কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা আজ কমপক্ষে ৪টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন, এই পর্যায়ের খেলায় যা অমার্জনীয় অপরাধ।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

টানা ১০ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছালেও, কেন চিন্তার ভাঁজ রোহিতের কপালে?

বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৭০ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছালেও বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে গেল। ভারতের পাহাড় প্রমান রান তাঁরা করতে গিয়ে প্রথম দিকে দুটো উইকেট হারালেও কনওয়ে-মিচেল জুটি একটা সময় ভারতের শিরদাঁরায় ঠাণ্ডা স্রোত এনে দিয়েছিল। ৩৯৭ রানও সেই সময় সুরক্ষিত দেখাচ্ছিল না। চাপের মুখে একাধিক মিসফিল্ড, ওভারথ্রো, ক্যাচ মিস সেসময় ভারতের দুর্ভেদ্য রক্ষণকে বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল।২০২৩ বিশ্বকাপে এই প্রথমবার ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এটাও ঠিক টানা ৯টি ম্যাচ হেলায় জিতে ভারত তাদের বিশ্বকাপ অভিযানে প্রথমবারের মতো বিপক্ষের কড়া প্রতিরোধের মুখোমুখি হল। ম্যাচের একটা সময় ভারতীয় টিম সহ সাপোর্ট স্টাফ সকলকেই যথেষ্টই আতঙ্কিত লাগছিল।নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ২৩ তম ওভার, ২০১৯ এর ফাইনালিস্টরা তাঁদের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্রকে হারিয়ে, সবে ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন বিপক্ষের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন। ইন্ডিয়া টিমের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে। বল হাতে রবীন্দ্র জাদেজা, জাদেজার ২৩ তম ওভারের শেষ বল, জোরের ওপর আর্মার করেন কেন উইলিয়ামসন স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে বল সোজা চলে যায় জাদেজার হাতে। জাদেজা বল ধরে সজা ব্যাটিং প্রান্তের উইকেট থ্রো করেন, বল উইকেটরক্ষক রাহুলের নাগাল এড়িয়ে সজা মাঠের বাইরে চলে যায়।যখন এক এক রান অতি গুরুত্বপূর্ণ সে সময় ৪ রান উপহার দেওয়াই অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর প্রিয় অলরাউন্ডারের প্রতি যথেষ্টই ঊষ্মা প্রকাশ করেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কেউই ঐ হতচকিত থ্রোয়ের কোন ব্যাখা পাননি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল উইকেটে লাগলেও কেন উইলিমসন যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশ্ন, যখন উইকেটরক্ষকের ব্যাকআপে কোনও ফিল্ডার নেই, তখন এই ভাবে হতচকিত থ্রো করা কোনও বিশ্বমানের ফিল্ডারকে মানায় না।২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত পুরো লিগ পর্বে তাঁদের ফিল্ডিংয়ের একটি উচ্চ মান বজায় রেখেছে, তাঁরা ৯টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। সেমিফাইনালে তাঁদের ফিল্ডিং খুবই ঢিলেঢালা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের নিজেদের তৈরি করা মানদণ্ড কোনও ভাবেই ছুঁতে পারেনি বুধবার। শামি, বুমরা, সুর্যকুমার, জাদেজা, কুলদীপ, সিরাজ এদের প্রত্যেককেই সে সময় খুব দিশেহারা লাগছিল। জাদেজার মিসফিল্ডের কয়েক ওভার পরের মহম্মদ শামি মিড-অনে জসপ্রীত বুমরার বলে কেন উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন। জুটি ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। এর আগে এই বুমরা-ই পয়েন্ট অঞ্চলে পায়ের ফাঁক দিয়ে একটি সহজ ড্রাইভ গলিয়ে দিয়ে বাউন্ডারি উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপদের।সেই সময় এক-দুজন ছাড়া বাকি প্রায় সকলকেই ফিন্ডিং করার সময় দিশেহারা লাগছিল। উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ মিস করা শামি-ই উইলিয়ামসনকে আউট করে প্রায়শ্চিত্ত করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান, ডিপ স্কোয়ার লেগে অনবদ্য ক্যাচ নেন সুর্যকুমার যাদব। শামির এক মহাকাব্যিক বোলিং স্পেল ১২ বছর পর ফের টিম ইন্ডিয়াকে ফের ফাইনালে তোলে। ভারতের দুই প্রধান ব্যাটার শুভমান গিল ও বিরাটের পায়ের মাসল ক্র্যাম্প-ও রোহিতের কপালে চিন্তার ভাঁজের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা টিমের ফিজিও ও ফিল্ডিং কোচ দিলিপের সামনের দুদিন খুব কঠিন যাবে। কারণ, এই ছোট খাটো ভুলত্রুটি শুধরেই ফাইনালের মহারণে ভারতকে নামতে হবে।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

সেমি ফাইনাল নয়- এ যেন 'শামি ফাইনাল'! বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণের ময়দানে মহাকাব্যিক বোলিং!

মহঃ শামি - বিরাট কোহলি - শ্রেয়াস আইয়ার এর দৌলতে এই প্রথমবার কোনও পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের নকঅউট পর্বের ম্যাচে ভারত নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করল। এই জয়ের সাথে সাথে ভারত ২০২৩ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ফাইনালে পৌঁছে গেল। বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে পরাজিত করে। খেলার প্রায় ৪০ ওভার অবধি টান টান উত্তেজনা ছিলএই ম্যাচে।একদিবসীয় বিশ্বকাপের এবার নিয়ে মোট চতুর্থ বার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ভারত। শেষবার এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ধনি অধিনায়কত্বে বিশ্ব চাম্পিয়ান হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। লিগ পর্বের নটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি জিতে লিগ শীর্ষে ছিল রোহিত শর্মার ছেলেরা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভের পর এই বিশ্বকাপে ভারত এখন ১০ এ ১০।টসে জিতে প্রথমে ব্যাট কারার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান করে। বিরাট তাঁর ৫০ তম সেঞ্চুরি করার সাথে সাথে ভেঙ্গে দেন কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের একদিনের ক্রিকেটে ৪৯ টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড।𝗢𝗻𝗲 𝘀𝘁𝗲𝗽 𝗰𝗹𝗼𝘀𝗲𝗿! 🏆#TeamIndia 🇮🇳 march into the FINAL of #CWC23 🥳#MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/OV1Omv4JjI BCCI (@BCCI) November 15, 2023রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল শুরুতে দুর্দান্ত এক ওপেনিং পার্টনারশিপ দেয়। ৮.২ ওভারে তাঁরা ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের এক অনবদ্য ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় অধিনায়ক ২৯ বলে ৪৭ রান করে ভারতকে এক ঝোড়ো সূচনা করে দেন। গিলকে মাসল ক্র্যাম্প-র জন্য খেলার মাঝে মাঠ ছাড়তে না হলে হয়ত আরও একটি শতরানের সাক্ষী থাকত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। শেষ পর্বে আইয়ারের আউট হওয়ার পর মাঠে ফিরে এসে ৬৬ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন।শ্রেয়স আইয়ার-ও ৭০ বলে ১০৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি মাঝ পর্বে কোহলির সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ১৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ মত পাহাড় প্রমান রান করতে সমর্থ হয়। একদম স্লগ ওভারে ব্যাট করতে এসে ছোট্ট কিন্তু মহামূল্যবান একটি ইনিংস খেলে যান কে এল রাহুল। তাঁর মাত্র ২০ বলে ৩৯ রানের এই ঝোড়ো ইনিংস নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে খুব সাহায্য করে।নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বুমরাকে আক্রমন করে তাঁর ছন্দ ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সাময়িক সফল-ও হয়। কিন্তু মহম্মদ শামি বল করতে এসেই ৩০ ও ৩৯ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ের দু দুটি উইকেট নিয়ে লড়ায়টা বিপক্ষের দিকে ছুঁড়ে দেন। দ্রুত দুটি উইকেট পরে গেলেও কিউইদের ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন যে লড়ায় ফিরিয়ে দেন তা ক্রিকেট প্রেমীদের দীর্ঘ দিন মনে থাকবে। মিচেল এবং উইলিয়ামসন ১৮১ রানে অনবদ্য জুটি কিছুটা হলেও কিউয়িদের মনে আশার আলো সঞ্চার করে।We are #TeamIndia 🇮🇳🫶#CWC23 | #MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/HrUuQFzi1K BCCI (@BCCI) November 15, 2023যসপ্রীত বুমরার বলে ৫২ রানের মাথায় মিড অনে দাঁড়িয়ে কেন উইলিয়ামসনের এক সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মহম্মদ শামি। সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেই ভুলের মাসুল ভারত কে দিতে হয়নি শুধুমাত্র মহঃ শামি-র জন্যই। তাঁর অনবদ্য আগুনে ফাস্ট বোলিংয়ের দৌলতেই ছাড়খার হয়ে যায় কিউইরা। এক মাহাকাব্যিক বোলিং স্পেল বুধবার চাক্ষূস করল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লক্ষাধিক দর্শক। ৯.৫ - ০ - ৫৭ - ৭ - এক স্বপ্নের স্পেল, তাও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মত মঞ্চে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য-র মাঝে একটি খুবই প্রাসঙ্গিক - আজ সেমি ফাইনাল ছিল না - আজ শামি ফাইনাল। সত্যি আজ শামি-র ই দিন ছিল। জুড়িরা তাঁকেই এই ম্যাচের জন্য ম্যান-অব-দা-ম্যাচ বেছে নেন।সমগ্র ভারত এখন তাকিয়ে কলকাতায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দিকে। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই লড়াইয়ের বিজয়ী কে হয় সেই দিকেই লক্ষ্য আপামর ক্রিকেট ভক্তের। ১৯ নভেম্বর রবিবার আমেদাবাদ শ হরে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে কে মুখোমুখি হবে ভারতের সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

নভেম্বর ১৫, ২০২৩
রাজ্য

জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়েকে ৯ কোটি ঋণ দিয়েছিলেন বাকিবুর! ফেরত মেলেনি কানাকড়িও

রেশন দুর্নীতির তদন্তে পরতে পরতে রহস্যে মোরা। নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও ধৃত চাল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সম্পর্ক কতটা গভীর তা জানাতে গিয়েই আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ইডির আইনজীবী। এই দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী ও বাকিবুরের জেরা চলছে। আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, সেই জেরাতেই সামনে এসেছে ভয়ংকর তথ্য। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, সুদ এবং সিকিউরিটি ছাড়াই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়েকে ৯ কোটি ঋণ দিয়েছিলেন বাকিবুর! এখনও পর্যন্ত সেই ঋণের কানাকড়িও মেটানো হয়নি।কেন এই ঋণ প্রদান? এর নেপথ্যে গভীর রহস্য দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শনিবার রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত চাল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে আদালতে তোলা হয়েছিল। ঋণের কথা বলে বাকিবুরের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। শেষপর্যন্ত এদিন ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বাকিবুরের জেল হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। প্রয়োজনে জেলে গিয়েও এবার তাঁকে জেরা করতে পারবেন ইডির গোয়েন্দারা।নিজেদের দাবির সপক্ষে এদিন আদালতে একাধিক নথিও পেশ করেছেন ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, খুব ঘনিষ্ঠতা না থাকলে কেন কেউ কোনও কাগজ ছাড়াই অচেনা কাউকে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে? ইডির সূত্রের খবর, রেশনের দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো কৃষক সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। কৃষকদের নামে রয়েছে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। যা অনেকটাই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন চাল ব্যবসায়ী বাকবুর।উল্লেখ্য, ফার্মারস ফোরাম নামে একটি কৃষক সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছিল এ রাজ্যে। তখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই। এই কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমান।রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাঁর একাধিক সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, ৬টি এমন সংস্থা রয়েছে যেখানে আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এনপিজি রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থায় ঢুকেছিল ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা। সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর খাদ্য দফতরের পোর্টালে এই সংস্থাকে হোল্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা, রাজারহাট ও এ রাজ্যে বাকিবুরের ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে বলে খবর। দুবাইতেও তাঁর নাকি ২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও দাবি ইডি সূত্রের।শনিবার দুপুরে ইডি দফ্তরে আসেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রাম স্বরূপ শর্মা। যদিও তার দাবী তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাবার নিয়ে এসেছেন। বেশ কিছুক্ষন পর তিনি ইডি দফ্তর থেকে বেরিয়ে আসেন। এর পর তিনি জানান, আমি কোম্পানির ব্যপারে কিছু বলতে পারবো না। আমার কিছু জানা নেই। তবে আমার কেষ্টপুরে একটি ফ্ল্যাট আছে। আমি লোন হিসাবে নিয়েছি এবং পাঁচ লাখ টাকা শোধও করেছি। সাহেব এর কাছ থেকে নিয়েছি। লকডাউন এর আগে নিয়ে ছিলাম। বাকি টাকা মাসে মাসে দিচ্ছি। আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করিয়ে ছিল আমি করেছিলাম। যারা এসেছিলো তাদের চিনি না সাহেব এর নাম করে বলেছিলো। অনেক বছর আগে এসেছিলো। সইটা উল্টোডাঙা দিকে রাস্তায় সই করিয়েছিলো। বলেছিলো সাহেব পাঠিয়েছে এটা তোমায় করে দিতে হবে। সাহেব বলতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথা বলছিলো। ইডি ডেকেছিল আমি কথা বলেছি। সত্যি কথা যেটা যেটা ছিল সেটাই বলেছি। যা যা জিজ্ঞাসা করেছে আমি বলেছি। ডকুমেন্টস জমা দিয়েছি।

নভেম্বর ১১, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal