• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

UN

বিনোদুনিয়া

বাবা হলেন কুণাল কাপুর, বচ্চন পরিবারে নতুন সদস্য

বচ্চন পরিবারে খুশির খবর। বাবা হলেন রং দে বসন্তী-র অভিনেতা কুণাল কপূর। তাঁর স্ত্রী নয়না বচ্চন আজ পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এই বলিউড অভিনেতা টুইট করে প্রথম সন্তানের জন্মের সুখবর দিলেন তাঁর ভক্তদের। কুণাল লিখলেন, আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই, আমি আর নয়না পুত্রসন্তানের অভিভাবক হয়েছি। অগাধ আশীর্বাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। কুণাল পোস্ট করার পর তার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে বলি তারকাদের শুভেচ্ছার জানিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন হৃতিক রোশন, হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান, অঙ্গদ বেদী, দিনো মোরিয়া প্রমুখ। শুধু তাই নয় অভিষেক বচ্চন এবং তাঁর দিদি শ্বেতা বচ্চন তাঁদের পরিবারের নতুন ছোট্ট সদস্যকেও কমেন্টে একরাশ ভালোবাসা পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে অভিষেক বচ্চনের তুতো বোনের সঙ্গে বিয়ে হয় কুণালের। নয়নার সঙ্গে মাঝে মাঝেই ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় লগা চুনরি মে দাগ এর অভিনেতাকে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বাড়ি ফিরতেই অল্লু অর্জুনকে ভালোবাসায় ভরালেন তাঁর মেয়ে

ছেলেরা যেমন মায়ের খুব কাছের হয় তেমনি মেয়েরা বেশি ভালোবাসে বাবাকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি কারোর জন্যই এটার ব্যতিক্রম হয় না। সেরকমই মেয়ের একটুকরো মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে নিলেন অল্লু অর্জুন।গতবছরের শেষের দিকে ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে পুষ্পা দ্য রাইজ। বক্স অফিসে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটির ব্যবসা করেছে পুষ্পা। শুধু দেশে নয়, বিদেশের দর্শকরাও ভালোবাসায় ভরিয়েছেন অল্লু-রশ্মিকার জুটিকে।গত ১৬ দিন সিনেমার কাজে দুবাইতে থাকার পর বাড়ি ফিরলেন অল্লু অর্জুন। বাড়ি ফিরতেই জানাল অল্লুর কন্যা আরহা তাঁকে ভালোবাসায় স্বাগত জানাল। ফুলের পাপড়ি সাজিয়ে ক্ষুদে লিখেছে, ওয়েলকাম নানা। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখলেন, ১৬ দিন বাইরে থাকার পর যখন ফিরে এলাম, তখন আমাকে এই বিশেষ ভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি হেরেও গর্বিত লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা!‌ কেন?‌

একসময় আলেজান্দ্রোকে সরিয়ে মারিও রিভেরাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্তারা। তাঁর হাত ধরেই আই লিগে দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারও আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোয় আশায় সেই রিভেরার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দায়িত্ব নিয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয়। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচেই হার। লালহলুদ সমর্থকদের সবথেকে বেশি ধাক্কা দিয়ে গেছে ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৩১ ব্যবধানে পরাজয়। সারা ম্যাচে ভাল খেলেও কেন হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? ম্যাচের শেষ ২ মিনিটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রক্ষণ জমাট করে ডার্বিতে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ। লক্ষ্য ছিল প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি স্ট্রাইকারদের জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি আদিল খান, ফ্রাঞ্জো পর্চেরা। ড্যারেন সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হারলেও ফুটবলারদের পারফরমেন্সে খুশি লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ডার্বিতে হারের পর তিনি বলেন, যে কোনও হারে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার ওপর ডার্বির মতো ম্যাচে হার। খুবই খারাপ লাগছে। তবে ফুটবলাররা যেভাবে গোটা ম্যাচ লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। আমার পরিকল্পনা মতোই ওরা খেলেছে। দারুণ লড়াই করেছে।ডার্বিতে হারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দুটি কারণকে উল্লেখ করেছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, শুরুতেই অঙ্কিতের চোট সমস্যায় ফেলে দিল। রক্ষণে পরিবর্তন করা ছাড়া আমার আর অন্য কোনও উপায় ছিল না। অমরজিৎ কিয়াম দারুণ লড়াই করেছে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার পর এটিকে মোহনবাগান সমতা ফেরায়। আমরা চেয়েছিলাম ১০ ফল ধরে রাখতে। কিন্তু ওরা দ্রুত সমতা ফেরায়। আর একটু দেরিতে প্রথম গোল করলে হয়তো আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতাম। শেষ ২ মিনিটে ২ গোল করে আমার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল। রিভেরা আরো বলেন, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাচটা ওপেন হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমরা ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি ব্যবধান বাড়াতে পারতাম, তাহলে অন্যরকম ফল হত। হারলেও ফুটবলাররা গর্বিত করার খেলেছে।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, ডার্বির নায়ক কিয়ানের লক্ষ্য কী?‌

ডার্বিতে দুরন্ত পারফরমেন্সের পরে অনেক ফুটবলার হারিয়ে গেছেন। অনেকেই বিস্মৃতির অন্তরালে। আসলে ফোকাসটা নড়ে যায়। শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে সতর্ক এটিকে মোহনবাগানের নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি। মাটিতেই পা রেখে চলতে চান সবুজমেরুণের এই নতুন স্ট্রাইকার। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। ডার্বিতে গোল করাটা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন থাকে। কোচ জুয়ান ফেরান্দো যখন তাঁকে মাঠে নামার জন্য ওয়ার্ম আপের কথা বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখছিলেন মাঠে নেমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢোকানোর। শুধু স্বপ্নপূরণই হয়নি, একেবারে হ্যাটট্রিক। কিয়ান বলেন, সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে ডার্বিতে গোল করার। আমিও মাঠে নামার আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলতে কী, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে আমি ঘোরের মধ্যে রয়েছি। আমি একজন উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার। নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভাল লাগছে।শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে তিনতিনবার বল ঢুকিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন কিয়ান নাসিরি। ইতিহাস নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ সবুজমেরুণের নতুন তারকা। তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমার কাজ হল গোল করে দলকে জেতানো। সেই কাজটা করতে পেরেছি। কোচ আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে ভাল লাগছে। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করাটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। দলে জায়গা পাকা করতে হবে। দল পিছিয়ে থাকার সময় কিয়ানকে মাঠে নামিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। মাঠে নেমেই সমতা ফেরান কিয়ান। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ম্যাচ ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে, একেবারে অন্তিম লগ্নে গোল করে দলকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নিজের তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাকেই সেরা বেছে নিয়েছেন কিয়ান। তাঁর কথায়, আমার কাছে দ্বিতীয় গোলটাই সেরা। কারণ ওই গোলেই দল এগিয়ে গিয়েছিল। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক গোটা দলকে উৎসর্গ করেছেন কিয়ান।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভবিষ্যতে কি লালহলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন কিয়ান?‌ এড়িয়ে গেলেন জামশিদ নাসিরি

পড়াশোনার জন ইরান থেকে ভারতে এসেছিলেন জামশিদ নাসিরি। ভর্তি হয়েছিলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে নজরে পড়ে যান ইস্টবেঙ্গল রিক্রূটারদের। লালহলুদ কর্তারা সই করিয়েছিলেন ইরানের এই ফুটবলারকে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানে। দুই প্রধানের জার্সি গায়ে ডার্বিতে গোলও করেছিলেন। সেই সময় বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম ছিল না মোহনবাগানে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি জামশিদের। নিজের স্বপ্নপূরণ না হলেও জামশিদ নাসিরি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে কিয়ান নাসিরি সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলুক। সবুজমেরুণ অলিন্দেই বেড়ে ওঠা কিয়ানের। একেবারে ছোট থেকেই বাবার হাত ধরে মোহনবাগান মাঠে যাতায়াত শুরু। জামশিদ একসময় সিসিএফসির অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন। বাবার কাছেই ফুটবলের হাতেখড়ি কিয়ানের। ছোট থেকেই বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। ১২ বছর বয়সে জুনিয়র বাংলা দলে সুযোগ। ২০১৩ সালে মোহনবাগান যুব দলে। ২০১৬তে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে জুনিয়র আই লিগে খেলেছিলেন কিয়ান। এরপর মোহনবাগান অনূর্ধ্ব ১৯ দল হয়ে ২০১৯২০ সালে সিনিয়র দলে। কিউ ভিকুনার কোচিংয়ে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলার সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন কিয়ান। অবশেষে ডার্বিতে মাঠে নেমেই বাজিমাত। একেবারে নায়ক। মাঠের বাইরে বসে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিয়ান। তবে হতাশ হয়ে পড়েননি। যেমন হতাশ হননি কিয়ানের বাবা জামশিদ নাসিরিও। গর্বিত পিতা বলছিলেন, এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলেও ভাবতাম, হয়তো ১০১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পাবে ছেলে। প্রতিদিন টিভির সামনে বসে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কিন্তু আশা ছাড়িনি। জানতাম একদিন না একদিন সুযোগ পাবে। অবশেষে প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক। তাও আবার ডার্বির মতো ম্যাচে। এর থেকে ভাল অভিষেক আর হতে পারে না। আমি যা করে দেখাতে পারিনি, ছেলে সেই কাজ করে দেখিয়েছে। প্রমাণ করেছে বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে দেওয়ার যোগ্যতা কিয়ানের রয়েছে। সত্যিই আমি গর্বিত। ছেলের এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন কিবু ভিকুনাকে। জামশিদ বলছিলেন, দীর্ঘদিন মোহনবাগান জুনিয়র দলে ছিল। একসময় ভিকুনা জুনিয়র দল থেকে ৪ জনকে সিনিয়র দলে নিয়েছিল। তারমধ্যে কিয়ান ছিল। ভিকুনাই ঘসেমেজে ওকে তৈরি করেছে। কিয়ানের এই জায়গায় উঠে আসার জন্য সব কোচের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তবে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ ভিকুনার কাছে। এই মুহূর্তে দেশে ভালমানের স্ট্রাইকারের অভাব। জামশিদের আশা কিয়ান ঠিকমতো সুযোগ পেলে দেশে স্ট্রাইকারের অভাব মেটাতে পারবে।সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ছেলের হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হার। ভাললাগার পাশাপাশি খারাপও লাগছে জামশিদ নাসিরির। বলছিলেন, ছেলে হয়াটট্রিক করেছে, এরথেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। তবে ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়ায় খারাপও লাগছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনেও গোল করার মতো অনেক সুযোগ এসেছিল। গোল করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। লালহলুদ জার্সি গায়ে অনেক ডার্বি ম্যাচ কাঁপিয়েছেন জামশিদ। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ডার্বি অভিষেকেই চমক কিয়ানের। ছেলেকে কি ভবিষ্যতে লালহলুদ জার্সিতে দেখতে চান জামশিদ নাসিরি? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটা। তাহলে কি নিজের পুরনো ক্লাবের প্রতি কোনও অভিমান রয়েছে জামশিদের? জামশিদ বলছিলেন, আমি লালহলুদ জার্সি গায়ে ঘাম ঝড়িয়েছি। ও মোহনবাগানের কাছে দায়বদ্ধ। তবে আমি চাই ভবিষ্যতে কিয়ান দেশের হয়ে খেলুক।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ানের

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন জামশিদ নাসিরির সুপুত্র কিয়ান নাসিরি। তাঁর দুরন্ত হ্যাটট্রিকে আইএসএলের ডার্বিতে উড়ে গেল লালহলুদ। তারুণ্যের কাছে বিধ্বস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। এবার ম্যাচের ফল ৩১। নতুন তারকার জন্ম হল এবারের আইএসএলের ডার্বিতে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত কিয়ান নাসিরির।ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে থেকে ডার্বিতে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় রয় কৃষ্ণাকে মাঠে নামাননি কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আক্রমণভাগে শুরু করেছিলেন হুগো বোমাস ও ডেভিড উইলিয়ামস। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগে ছিলেন দুই বিদেশি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও মার্সেলো রিবেইরো। বিদেশিদের ছাপিয়ে নায়ক এক ভারতীয় ফুটবলার।শুরু থেকেই ম্যাচ আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল। এটিকে মোহনবাগান মূলত বাঁদিক দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। লিস্টন কোলাসো বারবার ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন লালহলুদ ডিফেন্সকে। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে রক্ষণের জন্য ডুবতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ফ্রাঞ্জো পর্চে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন। ডার্বিতে পর্চেকে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসদের সেভাবে জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি।এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বেশি থাকলেও প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে নওরেম মহেশ সিংয়ের মাটি ঘেঁসা শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে সামনে শুধু এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংকে একা পেয়েও বাইরে মারেন মার্সেলো রিবেইরো। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠলেও প্রথমার্ধে কোনও দল গোল করতে পারেনি।গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে। ২ মিনিট পরেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে হেডে বল জালে রাখতে পারেননি। ৫১ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর আরও একটি দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।৫৪ মিনিটে ডানদিক থেকে ঢুকে গিয়ে বাঁপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং। পেরোসেভিচের কর্ণার বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ড্যারেল সিডোয়েল। তাঁর শট মনবীরের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। সৌরভ দাসের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধেরে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন কিয়াম নাসিরি। জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ামের এটাই প্রথম ডার্বি। ৬৫ মিনিটে লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন অমরজিৎ কিয়াম। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। অবিশ্বাস্যভাবে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। নওরেম মহেশ সিংয়ের শট আটকে দেন অমরিন্দার সিং। ৮৬ মিনিটে কোলালোর শট গোল লাইন থেকে সেভ করেন হীরা মণ্ডল।ম্যাচের ইনজুরি সময়ে আবার জ্বলে ওঠেন কিয়ান। লিস্টন কোলাসোর সেন্টার ডেভিড উইলিয়ামস হেড করলে বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দুরন্ত শটে ২১ করেন কিয়ান। ১ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ডার্বির অভিষেকেই হ্যাট্টট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন জামশিদ নাসিরির পুত্র।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

দমদমের পর নদিয়া, শ্লীলতাহানির পর চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মহিলাকে

দমদমের পর এবার নদিয়া। ফের একবার চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা। শুধু তাইই নয়, এরপর সেই মহিলা তার প্রতিবাদ করলে সুযোগ বুঝে ধাক্কা দেওয়া হয় সেই ট্রেন থেকেই। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত সেই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুরে। আরও একবার লোকাল ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।সূত্রের খবর, রানাঘাট-বনগাঁ শাখার গাংনাপুরের কাছে চলন্ত ট্রেনে ছিলেন সেই মহিলা। গাড়ি যখন রায়নগর স্টেশনে ঢুকছে, সেই মুহূর্তে সেই মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকেন সেই মহিলাকে। সেই হেনস্থার প্রতিবাদ করায় এরপর চলন্ত লোকাল ট্রেন থেকে ধাক্কা মারেন অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই মহিলাকে। প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়ার পরে মহিলাকে উদ্ধার করে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি গুরুতরভাবে আহত। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করলেও, আরও এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

কবীর সুমনকে ক্ষমা চাইতে বললেন কুনাল ঘোষ, কেন?

সম্প্রতি একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে বাংলা রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিদ্বজন পর্যন্ত হতবম্ব! সেখানে শোনা যাচ্ছে একজন সাংবাদিক আরেকজনের সাথে ফোনে বাক্যালাপ করছেন। দাবি করা হচ্ছে সেই দুই পক্ষের এক দিকে এক বহুজাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক অপরদিকে যে কণ্ঠস্বর, সেটির সাথে বিশিষ্ট সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী ও তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবির সুমনের কন্ঠের মিল আছে (যদিও জনতার কথা এই অডিও টির স্ত্যতা যাচাই করেনি)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে টুইট করেন, যে অডিওটি ঘুরছে, সেটি যদি কবীর সুমনেরই হয়, তাহলে তা অতি আপত্তিকর এবং তীব্র প্রতিবাদযোগ্য। এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত, না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত। জনপ্রিয় গায়ক বা প্রতিভাধর বুদ্ধিজীবী হলেই এ সব বলা যাবে, এটা হতে পারে না।ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে কবির সুমন একটি ফেসবুক পোস্ট করেন সেখানে তিনি লেখেন, তিনি যা করেছেন, তা দরকার হলে আবার করবেন। পাশাপাশি লিখেছেন, ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে স্বাভাবিক ভাবেই আমি আক্রান্ত। এটাই হওয়ার কথা। আরও হবে। আমার যায়-আসে না। যা করেছি তা, দরকার হলেই, আবার করব। কবির সুমনের এই পোস্টের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিওটাকেই তিনি যে মান্যতা দিচ্ছেন, সেটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। যদিও কবির সুমন খুব সন্তর্পনেই ফোনে বাক্যবিনিময়ের ব্যপারটা এড়িয়ে গিয়েছেন, সে প্রসঙ্গ তিনি টানেননি তাঁর পোস্টে । এবং পোস্টটি তিনি পাবলিক করেননি, অর্থাৎ যে বা যাঁরা তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকবে তারাই এটি দেখতে পারবেন।যে অডিওটি ঘুরছে, সেটি যদি কবীর সুমনেরই হয়, তাহলে তা অতি আপত্তিকর এবং তীব্র প্রতিবাদযোগ্য। এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত, না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত। জনপ্রিয় গায়ক বা প্রতিভাধর বুদ্ধিজীবী হলেই এসব বলা যাবে, এটা হতে পারে না। Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) January 29, 2022তিনি তাঁর সেই পোস্টে আরও লিখেছেন, আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছিলেন, কিছুর পক্ষে যুক্তি দিতে যেও না। তোমার বন্ধুদের তা দরকার পড়বে না। তোমার শত্রুরা তা বিশ্বাস করবে না। সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম, শিল্পীর কোনও আলাদা স্বাধীনতা থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। যে কোনও মানুষের যে অধিকার, তাদের অধিকার ততটাই। একটি বিশেষ চ্যানেল ও তার সাংবাদিকরা দিনের পর দিন যা করে যাচ্ছে, তার জবাব দিয়েছি উপযুক্ত ভাষায়। সুরসম্রাজ্ঞীর অপমানের বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক বৈঠক হয়েছিল সেখানে কোন চ্যানেলের কোন সাংবাদিক কী করেছে, বলেছে আমি ভুলিনি।এর পর কবির লিখেছেন, সামগ্র দুনিয়ায় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকরা তাদের ইচ্ছেমতো পথে চলে। যে কোনও উপায় নেয়। যার হাতে চ্যানেল-কাগজ কিছু নেই, সে-ও তার ইচ্ছেমতো উপায় নেবে। এ বিষয়ে যাঁদের আগ্রহ, জার্মান কাহিনিকার হেনরিখ বোয়েল (Heinrich Boell)-এর লেখা The Lost Honour of Katharina Blum উপন্যাসটি পড়ুন। বইটি পড়া দরকার। একজন প্রাক্তন সাংবাদিক ও নিয়মিত পাঠক হিসেবে বলছি।এই প্রসঙ্গে কুনালের জোরালো প্রতিবাদের সাথে সাথে উল্লেখনীয় কবি ও গীতিকার শ্রীজাত-র ফেসবুক পোস্ট, তিনি সেখানে লিখেছেন, শিল্প আর শিল্পীর স্বাধীনতার আড়ালে যে যা খুশি করতে পারেন না। তিনি কবিরের-ই একটি গানেরর লাইনকে কোটেশন করে একটি সুবৃহৎ পোস্ট করেন বিরোধীকে বলতে দাও।ভাইরাল হওয়া ওই ফোনে কথাপোকথনের কোনও সুস্থ ও রুচিশীল মানুষের মুখ থেকে আস্তে পারে সেটা বিশ্বাস করাই কঠিন। ওপর দিকের ব্যাক্তিটি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বলেছিলেন, যেন তাঁর ওই কথা ব্রডকাস্ট করা হয়। সুমনের মত কণ্ঠের ব্যক্তিটি অভিযোগ করছিলেন যে, ওই চ্যানেল ও তাদের সহকারীরা প্রবীণ গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে মেরে ফেলছেন। এবং সেই অভিযোগ সুমন-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্ম-সন্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সাংবাদিক বৈঠকেও জানিয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল সন্ধ্যার মতো প্রবীন ও বিদগ্ধ শিল্পীকে পদ্মশ্রী-র মতো পুরস্কার নিতে বলাটা চরম অন্যায়। একজন নব্বই-উর্ধ ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের এই আচরণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এরপরেই, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে এসএসকেএম হয়ে বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

এবার ওটিটিতে মিঠুন চক্রবর্তী

অ্যামাজন প্রাইমে দর্শকরা পেতে চলেছেন একটি ভিন্নধারার ক্রাইম থ্রিলার। বেস্টসেলার নামক এই সিরিজ়ের মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তী, শ্রুতি হাসান, গওহর খান, সত্যজিৎ দুবে, অর্জন বাজওয়া, সোনালি কুলকার্নির মতো অভিনেতাদের। এই বেস্টসেলার-এর পোস্টার রিলিজ হয়েছে। এখানে মিঠুন-সহ অন্যান্য অভিনেতারা রয়েছেন। অসংখ্য বই, যার মাথায় বসে রয়েছেন অর্জন। বোঝাই যাচ্ছে, এক নামী লেখক ও তার সাহিত্যকর্মকে ঘিরে দানা বাঁধবে এই মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার। বুলবুল-এর চিত্রনাট্য লেখা ও পরিচালনার দায়িত্ব সামলানো অন্বিতা দত্ত এই সিরিজ়ের জন্য গল্প লিখেছেন। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মুকুল অভয়ঙ্কর। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এই সিরিজ মুক্তি পাওয়ার কথা। এই সিরিজের মাধ্যমেই ওটিটি তে অভিষেক হতে চলেছে মিঠুন চক্রবর্তীর। আপাতত তিনি একটি হিন্দি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তার শুটিংও চলছে পুরোদমে। অন্য দিকে শ্রুতি হাসান তাঁর ডেবিউ ছবি লাক এর প্রায় ১২ বছর পরে ফের কাজ করলেন মিঠুনের সঙ্গে। শ্রুতি জানিয়েছেন, আমার ডেবিউ ছবি লাক-এ মিঠুনদা ছিলেন। আমি ওই ছবিতে খুব খারাপ অভিনয় করা সত্ত্বেও, উনি আমার প্রশংসাই করেছিলেন। এত বছর পরে আবার ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। উনি আমার মা-বাবাকে খুব ভাল করেই চেনেন। তাই সেটে সব সময়ে আমার প্রতি অভিভাবকসুলভ আচরণ করতেন মিঠুনদা।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন রিভেরা, লালহলুদকে সমীহ বাগান কোচ ফেরান্দোর

ডার্বি মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভরা গ্যালারি। দুই দলের সদস্য সমর্থকদের বাকবিতন্ডা, ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি, তুমুল উত্তেজনা। করোনার দাপটে এখন সে সব স্মৃতিতে। দেশীয় ফুটবলাররা ডার্বির আবেগ জানলেও, বিদেশি ফুটবলাররা ডার্বির উত্তেজনার আঁচ পায়নি। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ফুটবলারদের ডার্বির আবেগ বোঝাতে পুরনো ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ফুটবলাররা এতে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন তিনি।তিন বছর ধরে ডার্বিতে সাফল্য নেই লালহলুদ শিবিরের। গতবছর যেমন হারতে হয়েছিল, এবছরও প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তার ওপর আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লালহলুদ কোচ। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ফুটবলারদের বলেছি, লিগ টেবিলে আমরা কোথায় আছি সেটা মাথায় না রাখতে। এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। ডার্বি মানেই কঠিন লড়াই। সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছি। ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা ডার্বির গুরুত্ব জানে।হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওই ম্যাচের ফলাফল ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন রিভেরা। তিনি মনে করছেন, হায়দরাবাদের কাছে হার ডার্বিতে ইতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে। লালহলুদ কোচের যুক্তি, বড় হারের পর ডার্বি ম্যাচ থাকলে ফুটবলারদের মোটিভেশনের অভাব হয় না। কারণ সবাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া থাকে। ফুটবলারদের নতুন করে মোটিভেট করার দরকার হয় না। এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে বেশি চিন্তাও করছেন না রিভেরা। তাঁর ব্যাখ্যা, আমাদের তুলনায় ওরাই বেশি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে। আমার মতে এই ম্যাচ ৫০৫০।রিভেরার ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই প্রথম ডার্বিতে ডাগ আউটে বসবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। ডার্বিতে অশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, এইরকম ম্যাচের অংশীদার হওয়াটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। এই ম্যাচের আবেগ কতটা জানি। কোনও ভাবেই ফোকাস নষ্ট করা যাবে না।লিগ টেবিলের সবার শেষে থাকলেও লালহলুদকে যথেষ্ট সমীহ করছেন সবুজমেরুণ কোচ। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আগের এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই দলকে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওরা অনেক বদলে গেছে। আগে মনে হত চাপ নিয়ে মাঠে নামছে। এখন খোলা মনে খেলছে। দলে ছন্দ ফিরে এসেছে। নতুন বিদেশি যোগ দিয়েছে। ফলে আমাদের জিততে গেলে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হবে। তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে মাঠে নামব। প্রথম একাদশ নিয়ে মুখ না খুললেও রয় কৃষ্ণার খেলার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌স্নায়ুচাপের ডার্বিতে কোন দল হট ফেবারিট, কারাই বা আন্ডারডগ?‌

ডার্বি মানেই স্নায়ুচাপের খেলা। অতীতে দেখা গেছে, ভাল দল নিয়েও ডার্বি জেতা যায় না। ম্যাচের দিন যে দল স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছে, তারাই ডার্বিতে বাজিমাত করে গেছে। ফলে ডার্বিতে নির্দিষ্ট কোনও দলকে এগিয়ে রাখাটা বোকামি। কিন্তু এবারের আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হট ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।এটিকে মোহনবাগান ডার্বিতে হট ফেবারিট থাকলেও ফুটবল বোদ্ধারা হয়তো এগিয়ে রাখার ঝুঁকি নেবেন না। কারণ করোনার জন্য পরপর তিনটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের খেলায় ছন্দপতন হয়েছে। যার প্রভাব আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দেখা গেছে। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের খেলার মধ্যে ধারাবাহিকতার চরম অভাব। অন্যদিকে, একের পর এক ম্যাচ হেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তার ওপর প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছিল লালহলুদকে। ফলে বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।এসসি ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের চাপ অনেকটাই বেশি। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহুর্তে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসিরর বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটা জিতলে চার নম্বরে উঠে আসত। সেটা সম্ভব হয়নি। ডার্বি না জিতলে প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই চাপটা নেই। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে লালহলুদ শিবির। সেমিফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফলে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবে মারিও রিভেরার দল।যদি দুই দলের শক্তির বিচার করা হয়, তাহলে আক্রমণভাগে অনেকটাই এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে সবুজমেরুণ করেছে ২০ গোল। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে করেছে ১৩ গোল। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস ডার্বিতে প্রথম একাদশে ফিরছেন। রয় কৃষ্ণা রয়েছেন, সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস। লিস্টন কোলাসোও চলতি আইএসএলে বেশ কয়েকটা গোল করেছেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা নেই। নির্বাসন কাটিয়ে আগে ম্যাচে মাঠে ফিরলেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারেনি। সমর্থকরা তাকিয়ে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সোলো রিবেইরার দিকে। পেরোসেভিচের সঙ্গে তাঁকে শুরু থেকে খেলিয়ে চমক দেখাতে পারেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। এছাড়া মাঝমাঠে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাও তাঁর তুরুপের তাস হতে পারেন।আইএসএলের শুরু থেকেই দুই দলের রক্ষণ যথেষ্ট নড়বড়ে। গোল করেও গোল ধরে রাখতে পারেনি দুই দল। বরং রেনেডি সিং যে কটা ম্যাচে দলের দায়িত্বে ছিলেন, অনকেটাই সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে লালহলুদ রক্ষণকে। আদিল খান অনেকটাই নির্ভরতা দিয়েছে। ড্যারেল সিডোয়েলও ছন্দে ফিরেছেন। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হবে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসদের।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
কলকাতা

কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ, স্বীকার করে নিলেন ফিরহাদ

কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। পুরসভার প্রথম অধিবেশনেই স্বীকার করে নিলেন ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকটের জেরে কলকাতা পুরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন আটকে রয়েছে। পুরনিগমের তরফে বৃহস্পতিবারই এই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল, ক্রাইসিস অব ফান্ড অর্থাৎ টাকা নেই পুরনিগমের ভাঁড়ারে। তাই কোপ পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনে। স্বাভাবিকভাবেই এই নোটিসে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মাথায় হাত পড়ে।পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই জানা যায় নোটিসের কথা জানেনই না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রাথমিকভাবে টাকার অভাবের কথা তিনি স্বীকার করে নিলেও পরে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মেয়র নিজেই স্বীকার করে দেন, ভাঁড়ার শূন্য। আর্থিক সংকটে ভুগছে পুরসভা।শুক্রবার কলকাতা পুরসভার প্রথম অধিবেশনে ফিরহাদ বলেন, কলকাতা পুরসভার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাই আমরা কোনও নতুন প্রকল্প আমরা হাতে নিতে পারছি না। কাউন্সিলরদের সাম্মানিক বৃদ্ধির জন্য যে দাবি-দাওয়া আসছে, তাও পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কলকাতা পুরসভার বোর্ডের প্রথম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিস্কার করে বলে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা পুরসভার অনেক দেনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক চরম সংকটের মধ্যে রয়েছি আমরা। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই মৃত কাউন্সিলরদের সম্মান জানানোর জন্য পেনশন দেওয়ার যে দাবি আসছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। কলকাতা পুরসভার আর্থিক ভাড়ার অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তাই ইচ্ছা থাকলেও আমরা অনেক কাজ করতে পারছিনা।তবে মেয়র এও জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সময় লাগবে। অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটা হবে সবথেকে বড় অঘটন, কেন একথা বললেন শ্যাম থাপা?‌

শনিবার আইএসএলের মহারণ। রাত পোহালেই আবার মাঠে নামছে কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের এই হাইভোল্ডেজ ম্যাচ নিয়ে আগের মতো ক্রীড়ামহলে আর তেমন উত্তেজনা নেই। সদস্যসমর্থকদের মধ্যেও সেই উন্মাদনা নেই। সবাই যেন ধরে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবুও ডার্বি বলে কথা। অনেক কিছুই তো ঘটতে পারে। কিন্তু লালহলুদকে নিয়ে আশা দেখতেন না কেউ। যেমন দুই প্রধানকে বহু ডার্বিতে উতরে দেওয়ার নায়ক শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলছিলেন, আমি তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের জেতার কোনও আশাই দেখছি না। জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারবে কিনাও সন্দেহ। এই ইস্টবেঙ্গল টিমের কী আছে বলুন তো? একটা পজিশনেও ভাল ফুটবলার আছে, যাকে ঘিরে সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিকে মোহনবাগানের দিকে তাকান। সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার। রক্ষণ একটু কমজোরি হলেও আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি রয়েছে আক্রমণভাগে। এছাড়া লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংয়ের মতো দেশীয় ফুটবলাররা। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই।১৯৭৮ র ডার্বি ম্যাচে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিকশোনা যাচ্ছে চোটের জন্য রয় কৃষ্ণা অনিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলেও সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস প্রথম একাদশ ফিরছে। ডেভিড উইলিয়ামস আছে। মাঝমাঠে জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরি, ম্যাকহিউরা আছে। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। শুনছি নাকি সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকেও খেলানো হতে পারে। সুতরাং এই এটিকে মোহনবাগানকে যদি এসসি ইস্টবেঙ্গল হারাতে পারে, সেটা হবে এই আইএসএলের সবথেকে বড় অঘটন।অতীতে দুর্বল দল নিয়েও লালহলুদের ডার্বি জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্ষমতা নেই বলে মনে করছেন শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, আগে ডার্বির একটা অন্য আবেগ ছিল। এইসব বিদেশি কোচ, ফুটবলাররা মুখে যাই বলুক, ডার্বির আবেগ জানে? গুরুত্ব বোঝে? আবেগ থাকা চাই। সেটা থাকলেও দুর্বল দল নিয়ে জেতা যায়। সেটা অতীতে আমরা অনেকবার জিতেছি। কখনও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে, কখনও এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। সেসব দিন এখন আর নেই।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী বললেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ?‌ জানলে চমকে যাবেন

এবারের আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে তিনিই ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামছে লালহলুদ শিবির। এবার আর ডাগ আউটে নয়, সুদূর স্পেনে বসে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে হবে মানোলো দিয়াজকে। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম পর্বের ডার্বিতে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল লালহলুদকে। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না লালহলুদের এই প্রাক্তন কোচ।ডার্বি নিয়ে মানোলো দিয়াজের বক্তব্য, এসসি ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, এবারও ডার্বি জেতার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্যের জোরে জিতেছিল। পরের ম্যাচেই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হার। দলটার যদি ছন্দ ফিরে আসত তাহলে তো পরের ম্যাচেও জিতত। মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে প্রথম পর্বের ডার্বিতে প্রথমার্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল। ৫ গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।মানোলো দিয়াজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রেনেডি সিং। তাঁর কোচিংয়ে লালহলুদ ফুটবলারদের মধ্যে লড়াইটা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যা দিয়াজের সময় দেখা যায়নি। তবুও এই স্প্যানিশ কোচের দাবি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার ছাড়া বাকিদের আইএসএলে খেলার যোগ্যতাই নেই। এমনকি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও ড্যারেল সিডোল ছাড়া বাকি বিদেশি ফুটবলারদের নাকি কর্তারাই পছন্দ করে দলে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের তিন মূলত এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দারের দিকে।রেনেডি সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আদিল খান প্রথম একাদশে। নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতাও দিচ্ছেন। তবু আদিল খানকে ভাল মানের ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে নারাজ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আদিল খানের দক্ষতা এমন কিছু আহামরি নয়। ভাল স্ট্রাইকারের সামনে পড়লে ওর দুর্বলতা ফুটে উঠবে। ওকে না খেলানোর জন্য আমার অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সবই শুনেছি। ওকে একটা ম্যাচে আমি খেলাতে চেয়েছিলাম। ও খেলতে রাজি হয়নি। একজন পেশাদার ফুটবলারের এইরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। টিমটার মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না। এরজন্য কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
দেশ

রেলে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক, অবরুদ্ধ একাধিক হাইওয়ে! সকাল থেকেই রণক্ষেত্র বিহার

রেলে নিয়োগের পরীক্ষায় বেনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে সপ্তাহের শুরু থেকেই উত্তপ্ত গোটা বিহার। আজ রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগঠন। সেই বনধ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিহার। বনধ সমর্থকরা সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তা, হাইওয়ে অবরোধ করেছে। একাধিক জায়গায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পাওয়া গিয়েছে।Bihar: Protesters block roads in Patna in support of bandh called by various political parties over alleged discrepancies in RRB NTPC results pic.twitter.com/BKXMH3Kaxl ANI (@ANI) January 28, 2022চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই রেলে নিয়োগের পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ডের ২০২১ সালের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির পরীক্ষার এখনও ফল প্রকাশ না হওয়ায় তারা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। তবে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নেয় সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন। গয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতেই অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে আজ বিহারজুড়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকেই থমথমে পরিস্থিতি চোখে পড়ে রাজ্যজুড়ে। একাধিক সড়ক ও হাইওয়ে বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ও পরীক্ষার্থীরা। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন দোকান। টায়ার ও রেলমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়েও রাস্তা আটকে দেয় অবরোধকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যজুড়েই কড়া পুলিশি পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, তদন্তকারী কমিটি গঠন করে রেলের নিয়োগ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন না হওয়া অবধি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।রাজ্যজুড়ে হিংসা, বিশৃঙ্খলার ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবারই রেলওয়ে বোর্ডের তরফে আপাতত নন-টেকনিক্যাল পপুলার বিভাগ ও লেভেল-১ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় বক্তব্য শোনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দুই পক্ষের বয়ান শোনার পর ওই কমিটি রেল মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। অন্যদিকে, রেল মন্ত্রকের তরফে অপর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ভাঙচুর ও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, তারা রেলের চাকরি পাবেন না।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ছন্নছাড়া লালহলুদকে ডার্বিতে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের হুগো বোমাস?‌

এই মুহূর্তে আইএসএলের লিগ টেবিলে সবার শেষে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৩ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। ডার্বিতে নামার আগে মনোবল একেবারে তলানিতে লালহলুদ শিবিরের। তা সত্ত্বেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান শিবির। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকলেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে যেতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি সবুজমেরুণ শিবিরের। ওডিশা ম্যাচের ড্র ডার্বিতে পুষিয়ে নিতে চান এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। সবুজমেরুণ শিবিরের লক্ষ্য ডার্বি জিতে লিগ টেবিলের ওপরের দিকে উঠে আসতে। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে একেবারেই ছন্দে ছিল না এটিকে মোহনবাগান। আসলে দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না থাকাটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দোর বিশ্বাস ডার্বিতে ছন্দে ফিরবে দল।ডার্বিতে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচকে স্বস্তি দিচ্ছে ফুটবলারদের চোটআঘাত ও কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ওঠা। কার্ড সমস্যার জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি হুগো বোমাস। ডার্বিতে তিনি মাঠে ফিরছেন। করোনামু্ক্ত হয়ে জনি কাউকোও খেলার জন্য তৈরি। এছাড়া বাকিরাও ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আগের ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম পর্বের ডার্বিতে জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান শিবির।প্রথম পর্বের ডার্বিতে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন হুগো বোমাস। শনিবার মাঠে নামার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ডার্বি নিয়ে বোমাসের প্রতিক্রিয়া, ডার্বির গুরুত্ব কতটা জানি। সবাই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন অনুশীলন করতে পারিনি। তারজন্য আগের ম্যাচে সমস্যা হয়েছিল। ডার্বির আগে পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি গোটা দল ছন্দে ফিরবে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪ গোল খেলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের এই স্তম্ভ। বোমাস বলেন, প্রথম পর্বে জিতেছিলাম বলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আগের ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে। জিততে গেলে আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। আইএসএলে ডার্বির পরিসংখ্যান অবশ্য এটিকো মোহনবাগানের অনুকূলে। একবারও জিততে পারেনি লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ডার্বিতে ৫–৬ গোলের লজ্জায় পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? কী বললেন সমরেশ চৌধুরি‌

আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আবার দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি দুই দলের কাছে। এটিকে মোহনবাগান আগের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসির কাছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচে জয় পেয়েছে লালহলুদ। ৬টি হার, ৬টি ড্র। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে চারটিতে জয়, চারটি ড্র। হার দুটি ম্যাচে। ডার্বিতে লালহলুদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না লালহলুদ জার্সি গায়ে একসময় দাপিয়ে খেলা সমরেশ চৌধুরি।এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম শুনলেই রীতিমতো রেগে আগুন লালহলুদের এই ঘরের ছেলে। সমরেশ চৌধুরি বলছিলেন, এই এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে আলোচনা করতেই আমার ঘেন্না লাগছে। এটা কোনও দল হল? গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার, একটাও ভাল ফুটবলার আছে। আমার তো মনে হয় লালহলুদ জার্সি গায়ে দেওয়ার কোনও যোগ্যতাই এদেন নেই। কোন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করব? কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখবে সমর্থকরা?ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের অনেক দল দেখেছি। এইরকম দুর্বল দল কখনও দেখিনি। দুর্বল দল নিয়েও অতীতে লালহলুদ ডার্বি জিতেছে। এবার জেতার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। এমনকি ড্র করতে পারে, এমন আশাও নেই। আমার তো মনে হয় ৫৬ গোলের লজ্জায় না পড়তে হয়। আক্রমমভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণ, সব পজিশনেই হতশ্রী অবস্থা। তাছাড়া এই দলে কজন ফুটবলার ডার্বির আবেগ বোঝে? ডার্বিতে এই এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আতঙ্কে আছি।এটিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে যে আটকানো কঠিন, মেনে নিয়েছেন সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ওডিশা এফসির কাছে এটিকে মোহনবাগান আটকে গেলেও ওরা ভাল ছন্দে রয়েছে। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো ফুটবলাররা রয়েছে। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার লালহলুদে নেই। তাছাড়া প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে উড়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গাঁটছড়া বাঁধলেন মৌনী-সূরজ

শহর জুড়ে যেন প্রেমেরই মরশুম। অনুপম রায়ের এই গানের লাইনটা বর্তমান সময়ের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। তবে এখন প্রেমের মরশুমের পরিবর্তে বলা চলে শহর জুড়ে যেন বিয়ের মরশুম। টলিউড থেকে বলিউড অনেক তারকারই চার হাত এক হচ্ছে। সেই তালিকায় জুড়ল এবার বলিউড অভিনেত্রী মৌনী রায়ের নাম। পাত্র সূরজ নাম্বিয়ার। বরের পরিবারের নিয়ম মেনে মালয়ালী রীতিতে বিয়ে করলেন বাঙালি কন্যা। গোয়ায় সাতপাক ঘুরলেন দুজনে। সাদা চাদোয়া এবং সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল বিয়ের মণ্ডপ। লাল এবং সাদা শাড়িতে সেজেছেন মৌনী। দক্ষিণী রীতিতে বিয়ে হলেও বেনারসি পরেছেন কোচবিহারের মেয়ে। মাথায়, গলায়, হাতে সোনার গয়নায় উজ্জ্বল মৌনী। ঘিয়ে রঙা শেরওয়ানি এবং সাদা মুন্ডতে দেখা গেল সূরজকে। মালাবদল করার পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন নবদম্পতি। দুজনের হলদি আর মেহেন্দির অনুষ্ঠান হয়েছিল বুধবার। মালয়ালী মতে বিয়ে হলেও আজ সন্ধ্যের লগ্নে বাঙালি মতে বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে আগ্নেআস্ত্র সহ দু’জন গ্রেফতার

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হল দুস্কৃতীদের নাশকতার ছক। মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে বিপুল আগ্নেআস্ত্র সহ দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করলো জেলার নাদনঘাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম কুতুবউদ্দিন মণ্ডল ও মনসুর মণ্ডল। তাদের মধ্যে কুতুবউদ্দিনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শাহজাদা গ্রামে। অপর ধৃত মনসুর নাদনঘাটের গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি রাইফেল, দুটি ওয়ানশটার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফেন উদ্ধার হয়েছে। নাদনঘাট থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই দুই ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। দুস্কৃতীরা কোথা থেকে, কি উদ্দেশ্যে এত আগ্নেআস্ত্র জোগাড় করে বাসে চাপিয়ে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল সেই বিষয়টি পুলিশ কর্তাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। এই তথ্য উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে এখনও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় দুষ্কৃতীরা অধরাই থেকে গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে যে কোনও ধরণের নাশকতার ছক বানচাল করতে রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কারণে জেলার নাদনঘাট থানার পুলিশও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং শুরু করে। যাত্রীবাহী বাসে আগ্নেআস্ত্র পাচার হবে এমন খবর গোপন সূত্র মাধ্যমে আগেভাগেই পুলিশের কাছে পৌছায়। এই খবর আসার পরেই কালনা মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকার মোড়ে মোড়ে এদিন সকাল থেকে নাকা চেকিং আরও জোরদার করে পুলিশ। নাদনঘাট থানার পুলিশও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ছিল। এদিন সকালে নাদনঘাট থানার পুলিশ হেমায়েতপুর মোড়ে বর্ধমানগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের পথ আটকে বাসের ভিতর তল্লাশি চালানো শুরু করে। তল্লাশিতে বাসে থাকা দুই দুস্কৃতির কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি রাইফেল, দুটি ওয়ান শটার সহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন। দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি আগ্নেআস্ত্র গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে দুই দুস্কৃতিদের এদিন আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুস্কৃতিরা কোথা থেকে আগ্নেআস্ত্র নিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল সেই বিষয়টি জানতে ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ওডিশা এফসি–র বিরুদ্ধেই কেন ডার্বির মহড়া সেরে নিতে চান বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো?‌

কলকাতা ডার্বির উন্মাদনার কথা শুনেছেন। কখনও মাঠে বসে চাক্ষুস করার অভিজ্ঞতা হয়নি। রিজার্ভ বেঞ্চে বসার তো নয়ই। এটিকে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়ায় এবার সে সুযোগ আসতে চলেছে জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকবেন এই স্প্যানিশ কোচ। দীর্ঘদিনের বিরতি কাটিয়ে রবিবার ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ২৯ জানুয়ারি ডার্বিই পাখির চোখ করছেন জুয়ান ফেরান্দো। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে ডার্বির মহড়াও সেরে নিতে চান তিনি। ৫ জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। তারপর ১৮ দিনের বিরতি। বিরতি অবশ্য করোনার জন্য। এটিকে মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন ফুটবলার একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের ম্যাচ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিল আইএসএলের আয়োজক কমিটি। ৮ জানুয়ারি ওডিশা এফসি ম্যাচের পর বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচও স্থগিত হয়ে যায়। সবুজমেরুণ শিবিরকে ১১ দিন কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হয়। তারপর আবার অনুশীলনে নামার অনুমতি পায় এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা।হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ ২২ গোলে ড্র করেছিলে এটিকে মোহনবাগান। মাঠে ১৮ দিন ফুটবলাররা খেলার মধ্যে না থাকায় ছন্দ যে নষ্ট হবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দলকে ছন্দে ফেরানোটাই চ্যালেঞ্জ জুয়ান ফেরান্দোর। করোনার জন্য দীর্ঘদিন অনুশীলন হয়নি। ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত এটিকে মোহনবাগান কোচ। তবে জুয়ান ফেরান্দোর কাছে স্বস্তির খবর চোট সারিয়ে ম্যাকহিউয়ের ফিট হয়ে ওঠা। কার্ড সমস্যার জন্য হুগো বোমাস ওডিশা এফসি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে শুরু করবেন ডেভিড উইলিয়ামস। গোলকিপার অমরিন্দার সিংও খেলার মতো জায়গায় চলে এসেছেন। ওডিশা এফসি ম্যাচকেই ডার্বির রিহার্সাল হিসেবে দেখছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডার্বির আগে এই ম্যাচ জিতে একদিকে যেমন লিগ টেবিলে ওপরের দিকে উঠতে চান, তেমনই ফুটবলারদের মনোবলও বাড়িয়ে নিতে চান।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • ...
  • 53
  • 54
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal