• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tea

খেলার দুনিয়া

‌Tennis : অন্য ছবি, পাকিস্তানে খেলতে গিয়ে রাজার হালে খুদে টেনিস দল

রাজনৈতিক কারণেই নাকি ক্রিকেটে ভারতপাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু করা যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন যাই থাকুক না কেন, খেলার মাঠে যে তার প্রভাব পড়ে না অনূর্ধ্ব ১২ এশিয়ান টেনিস প্রতিযোগিতাতেই তার প্রমাণ। ইসলামাবাদে ৬ খুদে খেলোয়াড়কে রাজার হালে রেখেছে পাকিস্তান।এবছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১২ এশিয়ান টেনিসের যোগ্যতা অর্জন পর্ব। ভারত থেকে ৬ জনের দল গেছে খেলতে। এর মধ্যে ৩ জন বালক, ৩ জন বালিকা। দুজন কোচ, আশুতোষ সিংহ ও নমিতা বল। বালকদের দলে রয়েছে আরব চাওলা, ওজাস মেহলাওয়াত, রুদ্র বথাম। আর বালিকাদের দলে রয়েছে মায়া রেবতী, হরিতশ্রী বেঙ্কটেশ এবং জাহ্নবী কাজলা।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলেএই ভারতীয় দলের সরাসরি ইসলামাবাদ যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই দোহা হয়ে ইসলামাবাদ যেতে হয়েছে। দোহা বিমানবন্দরে নামার পর ইসলামাবাদগামী বিমানে ওঠার সময় জার্সিতে ভারতের পতাকা দেখে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি এগিয়ে এসে কথা বলেন। ইসলামাবাদে খেলতে যাচ্ছে জেনে খুশিও হয়। দোহা বিমানবন্দরে এইরকম অভ্যর্থনা পেয়ে দারুণ খুশি হন আশুতোষরা।ইসলামাবাদে পৌঁছে আরও চমক অপেক্ষা করছিল। এই রকম অভ্যর্থনা পাবেন, স্বপ্নেও ভাবেননি আশুতোষ, নমিতারা। বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরে পৌঁছনোর আগেই পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অভিবাসন সংক্রান্ত সব কাগজপত্র তৈরি করে রাখা হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় গোটা দলকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে চমকে উঠেছিলেন আশুতোষরা। অনেকের ধারণা, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় আতঙ্কের। তাঁদের ক্ষেত্রে ছবিটি সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানিযেছেন আশুতোষ। তাঁর কথায়, নিরাপত্তা নিয়ে আমরা একটুও চিন্তিত নই। রাজনীতি থেকে টেনিসকে সবসময় দূরে রাখে।আরও পড়ুনঃ সি আর সেভেনকে পেছনে ফেলে আবার শীর্ষে লিওনেল মেসিখাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও দারুণ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে আয়োজকরা। দলের এক সদস্য নিরামিষাশী। তাঁর জন্য আলাদা করে নিরামিষ খাবেরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুশীলনের জন্য কোর্টের ব্যবস্থা করার কথা ভারতীয় দলের থাকলেও সেই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশন। ভারতীয় দলের যেদিন পৌঁছনোর কথা ছিল, তার একদিন আগে চলে গেলেও বাড়তি একদিনের হোটেল ভাড়ার খরচও দিচ্ছে পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশন। আতিথেয়তায় মুগ্ধ বালিকাদের কোচ নমিতা বল। তিনি বলেন, পাকিস্তানে যে ভালবাসা, সম্মান, যত্ন পাচ্ছি, এককথায় অসাধারণ। সবসময় খোঁজ নিচ্ছে, আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা পুলিশকে তৃতীয় চিঠি তৃণমূলেরখুদেদের দল গেলেও পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সেলিম সৈফুল্লা চান সিনিয়র দল পাকিস্তানে খেলতে যাক। অনূ্র্ধ্ব ১২ পর্যায়ে ভারতের সেরা খেলোয়াড় আরব চাওলাআ। তার বাবা বলেছেন, ছেলেকে পাকিস্তানে খেলতে পাঠানো নিয়ে আমার আপত্তি ছিল না। আমাদের ছেলেমেয়েরা ওখানে জাতীয় অতিথি হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা রাজার হালে রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

S‌ri Lanka T20 Team : শ্রীলঙ্কার টি২০ বিশ্বকাপ দলে চমক রহস্যময় স্পিনার মহেশ থীক্ষণা

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা। দলে একাধিক চমক রয়েছে। বিশ্বকাপে দলকে যেমন নেতৃত্ব দেবেন দাসুন শনাকা। দলে সুযোগ পেয়েছেন সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ২১ বছর বয়সী মহেশ থীক্ষণা। এই রহস্যময় স্পিনার নাকি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার তুরুপের তাস হতে পারেন। এমনই মনে করছেন শ্রীলঙ্কার নির্বাচকরাআ। এছাড়াও নতুন মুখ প্রবীন জয়াবিক্রমা। তবে মিনোদ ভানুকার বাদ পড়াটা অন্যতম চমক।বলতে গেলে একপ্রকার ভাঙাচোরা দল নিয়েই এবার সংযুক্ত আরব আমীরশাহী ও ওমানে টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে করোনাবিধি ভাঙার জন্য নির্বাসিত হয়েচেন নিরোশন ডিকওয়েলা, কুশল মেন্ডিস, দানুষ্কা গুণতিলকেরা। সিনিয়র ক্রিকেটাররা না থাকায় অপেক্ষাকৃত তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরই ভরসা করতে হয়েছে নির্বাচকদের। দাসুন শনাকার নেতৃত্বেই তরুণ দল ভারতের বিরুদ্ধে শেষ দুটি টি২০ ম্যাচে জিতেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও একদিনের সিরিজে ২১ ব্যবধানে হারিয়েছে। সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচেও জিতেছে। সুতরাং তরুণ দল ভরসা জোগাচ্ছে নির্বাচকদের।আরও পড়ুনঃ গোডাউনে বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডার মজুতের দায়ে মেমারিতে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইসিসির কাছে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। কিন্তু আনু্ষ্ঠানিকভাবে তা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। ১৫ জনের দল ঘোষণার পাশাপাশি ৪ জন ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। ঘোষিত ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন : দাসুন শনাকা (অধিনায়ক), ধনঞ্জয় ডি সিলভা, আবিষ্কা ফার্নান্ডো, চরিথ আসালঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপক্ষ, কুশল পেরেরা, দীনেশ চন্ডীমল, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, দুষ্মন্ত চামিরা, আকিলা ধনঞ্জয়, মহেশ থীক্ষণা, বিনুরা ফার্নান্দো, প্রবীণ জয়বিক্রমা। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রয়েছেন : নুয়ান প্রদীপ, পুলিনা থরঙ্গা, লাহিরু মাদুশঙ্কা, লাহিরু কুমারা।কুশল পেরেরার চোট ও অসুস্থতার কারণে মিনোদ ভানুকা শ্রীলঙ্কা দলে উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি। তবে চমক রহস্যময় স্পিনার মহেশ থীক্ষণা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তাঁর অভিষেক হয়েছে। অভিষেক ম্যাচেই ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মহেশ থীক্ষণা। তাঁর সঙ্গেই ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার প্রবীণ জয়বিক্রমা, আকিলা ধনঞ্জয় ও বাঁহাতি পেসার বিনুরা ফার্নান্দো। জয়বিক্রমা দেশের হয়ে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেললেও টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে ঘরোয়া টি২০ খেলার অভিজ্ঞতা ভালই রয়েছে। জোরে বোলার নুয়ান প্রদীপকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। আইপিএলে আরসিবিতে থাকলেও প্লে অফ না খেলেই শ্রীলঙ্কা শিবিরে যোগ দিতে হবে ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ও দুষ্মন্ত চামিরাকে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সুযোগ পেয়েছেন ভানুকা রাজাপক্ষ ও কামিন্দু মেন্ডিস। আর তেমন কোনও বড় চমক নেই শ্রীলঙ্কা দলে।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
রাজ্য

Rice Mill: রাইসমিলের যন্ত্রাংশ চুরিতে জড়িত ১৬ দুষ্কৃতী গ্রেফতার

রাতের অন্ধকারে বন্ধ থাকা রাইস মিলের যন্ত্রাংশ চুরির কারার সময়ে পুলিশি অভিযানে ধরা পড়লো ১৬ জন দুষ্কৃতী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পলশা এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের ধরে। ধৃতরা বর্ধমান ও দেওয়ানদিঘী থানা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, মিল থেকে চুরি করা দামি যন্ত্রাংশ ভর্তি একটি লরিও তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তের প্রয়োজনে হেপাজতে নেওয়া হবে বলে পুলিশ কর্তাদের কথায় জানা গিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির পলশা এলাকার আদ্যামা নামের রাইসমিলটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই মিলের দামি যন্ত্রাংশ চুরির জন্য শুক্রবার রাতে ১৫-২০ জনের দুষ্কৃতী দল মিলের ভিতরে ঢোকে। গোপন সূত্রে সেই খবর পৌছায় মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ওসি বলেন, বন্ধ থাকা রাইসমিলে দুষ্কৃতী দলের হানা দেওয়ার খবর পেয়েই মেমারি থানার পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌছে যায়। পুলিশ দেখে কয়েকজন দুষ্কৃতী পালাতে সক্ষম হলেও কয়েকজন ধরে পড়ে যায়। তারপর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে মোট ১৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিলের যেসব যন্ত্রাংশ চুরি করে দুষ্কৃতীরা একটি লরিতে লোড করেছিল সেই লরিটিও বাজোয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছে। দুষ্কৃতী দলে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

Teacher Hanged: ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

দরজা বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতার নাম সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য বয়স্ক শিক্ষিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের প্রফেসার কলোনিতে। বুধবার রাতে কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার বাড়ির একটি ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনার একটি মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মৃতার ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানায়, সে পড়াশোনা গাফিলতি করায় গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর মা রেগে যায়। মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেই তাঁর মা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সম্ভ্রম বলেন ,এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর ঘরের দরজা খুলে আর বাইরে হয় না। তাঁর মা কোন সাড়া শব্দও দিচ্ছিল না। এই ভাবে মঙ্গলবার রাত পেরিয়ে যাবার পর বুধবার সাকালে ফের দরজা ধাক্কাধাক্কি করও সম্ভ্রম তাঁর মায়ের সাড়া পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে সম্ভ্রম কলকাতায় তাঁর মামার বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা মামাদের খুলে বলে। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে সম্ভ্রম কালনা থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার কথা জানায়। কালনা থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুনন্দাদেবীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রাথমিক ভাবে এটি একটি আত্মহত্যায় ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান। তবে পাড়া প্রতিবেশীকে কিছু না জানিয়ে সম্ভ্রম কেন কলকাতায় মামার বাড়িতে গেল তাঁদেরকে ঘটনার কথা জানালো সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India T20 Team : টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, চমক রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ধোনি

টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত হল ১৫ জনের ভারতীয় দল। চমকে ভরা ভারতীয় টি২০ দলে দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে সবচেয়ে বড় চমক মহেন্দ্র সিং ধোনি। না, অবসর ভেঙে তিনি টি২০ বিশ্বকাপে যাচ্ছেন না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে বড় দায়িত্ব দিয়ে সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে পাঠাচ্ছে। মেন্টর হিসেবে ধোনিকে কোহলিদের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।দল নির্বাচনে চমক দেখিয়েছেন নির্বাচকরা। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল যে বাদ পড়বেন, কেউ কি ভেবেছিলেন? কিংবা শিখর ধাওয়ান? রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও যে দীর্ঘদিন পর সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরানো হবে, কেউ সামান্য আঁচ করতে পেরেছিলেন? দীর্ঘদিন পরে ফের নীল জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পেতে চলেছে রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা ক্রূনাল পান্ডিয়ার জায়গা না পাওয়াটাও অস্বাভাবিক।আরও পড়ুনঃ সাক্ষরতা দিবসে আদিবাসী পরিবারের শিশুদের শিক্ষার পাঠ দিলেন পুলিশ কর্তা২০১৭ সালের জুলাই দেশের হয়ে শেষবার সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছিলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। তাঁকে যে দলে রাখা হবে, হয়তো কেউই ভাবেননি। আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করে অশ্বিন টি২০ বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। অশ্বিনের দলে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা বলেছেন, আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলার জন্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, দেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করা যুজবেন্দ্র চাহাল যে টি২০ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাবেন না, সেটাও ছিল ক্রিকেট প্রেমীদের ধারণার বাইরে।শিখর ধাওয়ানও জায়গা পাননি। এটাও অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পর প্রত্যাবর্তন ঘটানো জোরে বোলার ভুবনেশ্বর কুমারকে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের দলে রাখা হয়েছে। শ্রেয়স আয়ারকে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হয়েছে। ওয়াশিংটন সুন্দর অবশ্য জায়গা পাননি চোটের জন্য। তাঁর পরিবর্তে স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে অক্ষর প্যাটেলকে। আইপিএলে ভাল খেলার পুরস্কার পেয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, রাহুল চাহাররা। ঋষভ পন্থ, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদবদের ওপরও ভরসা করেছেন নির্বাচকরা।আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগের তৃতীয় ম্যাচেই আটকে গেল মহমেডানঘোষিত ভারতীয় দল : বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা (সহ অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, রাহুল চাহার, অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী, ঈশান কিষাণ (উইকেটকিপার), ভুবনেশ্বর কুমার।স্ট্যান্ডবাই: শ্রেয়স আইয়ার, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌India T20 Team : টি২০ বিশ্বকাপ দলে কারা কারা থাকতে পারেন?‌ দেখে নিন

মঙ্গলবার রাতেই কি আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড? ১৫ সদস্যের দল ইতিমধ্যেই বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা বাকি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ওভাল টেস্ট শেষ হলেই টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হতে পারে।১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইসিসিকে টি২০ বিশ্বকাপের দল জমা দিতে হবে। সুতরাং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় না শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। তাছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্ট শুরু হবে। টেস্ট দলে যে সব ক্রিকেটাররা খেলছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ সুযোগ না পেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই আগেই দল ঘোষণা করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।ওভাল টেস্টের আগেই অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরে নিয়েছিল চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচকমণ্ডলী। ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নির্বাচকরা। এমনিতে ভারতের টি২০ দল তৈরিই ছিল। কয়েকটা জায়গা নিয়ে দ্বিধা ছিল। সেই সব জায়গা নিয়েই বিরাট কোহলির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নির্বাচকরা। টিম ম্যানেজমেন্টের কথাকে গুরুত্ব দিয়েই টি২০ বিশ্বকাপের জন্য সেরা দলই বেছে নেওয়া হয়েছে। লর্ডস টেস্ট চলাকালীন কোহলির সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপের দল নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি ও সচিব জয় শাহ।১৫ জনের দল ঘোষণা করা হবে, না ১৪ জনের সে ব্যাপারেও দ্বিধায় রয়েছেন নির্বাচকরা। তবে শোনা যাচ্ছে ১৫ জনের দল ঘোষণা করা হতে পারে। করোনার কথা মাথায় রেখে স্ট্যান্ডবাইও রাখা হতে পারে। কোন কোন ক্রিকেটার টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে পারেন, তা দেখে নেওয়া যেতে যাক। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজ, যুজবেন্দ্র চাহালরা নিশ্চিত। সূত্রের খবর সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়শ আয়ার, ভুবনেশ্বর কুমার, শার্দুল ঠাকুর, হার্দিক পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দররাও দলে থাকতে পারেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়া ও ওয়াশিংটন সুন্দরের দলে থাকা নির্ভর করছে তাঁরা কতটা ফিট, তার ওপর।দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে লড়াই ঈশান কিশান ও সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে। অতিরিক্ত ওপেনার হিসেবে লড়াই শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বী শর মধ্যে। দলে থাকার লড়াইয়ে রয়েছেন অক্ষর প্যাটেল, ক্রুনাণ পান্ডিয়া, চেতন সাকারিয়া, টি নটরাজনরাও। দীপক চাহার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের কথাও ভেবেছেন নির্বাচকরা। তবে সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর পরিবেশের কথা ভেবে বেশি স্পিনার অলরাউন্ডার নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন নির্বাচকরা।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌IPL : ২০২২ আইপিএলের দুটি নতুন দল কারা?‌ টেন্ডার ডাকল বোর্ড

২০২২ আইপিএলের জন্য দুটি নতুন দল নেওয়া হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অবশেষে নতুন দল নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নতুন দল নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ৫ অক্টোবরের মধ্যে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে টেন্ডার জমা দিতে বলা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, একটা সংস্থা একটামাত্রই টেন্ডার জমা দিতে পারবে।আরও পড়ুনঃ কেন ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানালেন ডেল স্টেন?আইপিএলের নতুন দল কিনতে গেলে কী যোগ্যতা থাকতে হবে, টেন্ডার জমা দেওয়ার নিয়ম, প্রস্তাবিত নতুন দলের অধিকার সম্পর্কিত তথ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া ইনভাইটেশন অফ টেন্ডারএ পাওয়া যাবে। অফেরৎযোগ্য ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পর ইনভাইটেশন অফ টেন্ডার পাওয়া যাবে। এই ১০ লক্ষ টাকার সঙ্গে সার্ভিস ট্যাক্স যুক্ত হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী বছর আইপিএলে যে নতুন দুই দল অন্তর্ভূক্ত হবে, তাদের বেস প্রাইজ ২ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। টেন্ডারের মাধ্যমে দুটি নতুন দল বিক্রি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় হবে।আরও পড়ুনঃ সৌরভের চমক, ইডেনে রনজি ফাইনাল ১৬ মার্চনতুন দলের জন্য প্রথমে ১৭০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। যে সংস্থা বার্ষিক ৩ হাজার কোটি টাকা ও তার বেশি আর্থিক লেনদেন করে থাকে, একমাত্র তাদেরই আইপিএলের নতুন দল কেনার বিডে অংশ নিতে দেওয়া হবে। দেশের দুটি বড় শহরের নামে আইপিএলের নতুন দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে। শোনা যাচ্ছে আমেদাবাদের নামে একটা দলের অন্তর্ভূক্তি ঘটতে চলেছে। দ্বিতীয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি শহর হওয়ার দৌড়ে পুনে ও লক্ষ্মৌ। একসময় পুনে রাইজিং স্টার দলের মালিক ছিলেন শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার জন্য ঝাঁপাতে চলেছেন। আমেদাবাদ দল কেনার জন্য শিল্পপতি গৌতম আদানি ঝাঁপাতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

আগস্ট ৩১, ২০২১
রাজ্য

High Court: নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা

নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগে ঘটনায় রাজ্য সরকারকে একহাত নিল হাইকোর্ট। প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। পরে ত্রুটি ধরতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ওই শিক্ষককে টেটের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বললেও তিনি তা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি।আরও পড়ুনঃ অসমে বড়সড় জঙ্গি হামলায় মৃত কমপক্ষে ৫আদালতে শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করে। নথি না দেখে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। কিন্তু পরে নথি না পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এর পরই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক আরও ১২ জনের নামের তালিকা আদালতের কাছে জমা দেন। অভিযোগ, এই ১২ জনের কারও প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এখনও চাকরি করছেন স্কুল শিক্ষক হিসাবে।এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক কিংবা বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্ষেত্র, এমনকী শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ নিয়েও চূড়ান্ত অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যে। কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। এমডিএমএসদের এড়িয়ে এমবিবিএসরা নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসা সংগঠনের একাংশ দাবি করে, এমবিবিএসকে সুযোগ করে দিতেই এই পথ অবলম্বন করেছে নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ড। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

আগস্ট ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal : বিদেশি বাছাইয়ের দায়িত্ব ফাউলারকে, দল গঠনে নেমে পড়লেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকে জটিলতা কেটেছে। এই মরশুমে আবার আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন লালহলুদ সদস্যসমর্থকরা। স্বস্তির পাশাপাশি আশঙ্কাও রয়েছে। ৩১ আগস্ট ট্রান্সফার উইন্ডোর সময়সীমা শেষ। এত কম সময়ে আদৌও ভাল দল গড়া সম্ভব? এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা অবশ্য ভাল দল গড়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন। যদিও দলগঠন নিয়ে লালহলুদ কর্তাদের কোনও ভুমিকা নেই। পুরোটাই দেখাশোনার দায়িত্ব শ্রী সিমেন্টে। বুধবার আইএসএলে খেলার ব্যাপারে জট কাটতেই শ্রী সিমেন্ট কর্তারা দলগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে টালবাহনা থাকলেও বেশকিছু ফুটবলারের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলে রেখেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দুএকদিনের মধ্যেই চুক্তি করা হবে। মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়, মির্শাদ, জেজে, অঙ্কিত মুখার্জিরা গতমরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। এটিকে মোহনবাগান থেকে কয়েকজনকে নিতে পারে। প্রবীর দাসদের সঙ্গে কথা বলছেন লালহলুদ কর্তারা। অরিন্দম ভট্টাচার্যকেও প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছেন।আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু জট এখনও কাটেনিবেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারের বায়োডাটা আগেই দেখে রেখেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কোচ রবি ফাউলারের ওপর বিদেশি ফুটবলার বাছাইয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। গতমরশুমে খেলে যাওয়া ব্রাইট এনবাখারে, মাত্তি স্টেইনম্যানরা অন্য ক্লাবে সই করলেও জাক মাঘোমা এখনও কোনও ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি। তাঁর সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কোচ রবি ফাউলার বাকি বিদেশিদের সঙ্গে নিয়েই আসবেন।আরও পড়ুনঃ ঔদ্ধত্য ভেঙে চুরমার, লজ্জাজনক আত্মসমর্পন কোহলিদেরএদিকে, লালহলুদ কর্তারাও দল গঠনে শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের সাহায্য করতে তৈরি। বুধবার রাতেই কর্মসমিতির জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দল গঠনের কাজে শ্রী সিমেন্টকে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে। ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা স্থানীয় ফুটবলারদের একটা তালিকাও তৈরি করেছেন। যাতে এই ফুটবলারদের নিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে খেলা যায়। যদিও কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি শ্রী সিমেন্ট কর্তারা।আরও পড়ুনঃ সমর্থকরা আবেগে ভাসলেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কি ভাল দল গড়া সম্ভব?কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের নতুন সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে খেলার কথা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তবে হাতে সময় মাত্র ৫ দিন। এর মধ্যে দল গঠন করে মাঠে নামা খুবই কঠিন। যদিও ক্লাবের অন্যতম ক্লাব কর্তা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে দল তৈরি আছে। আমরা সাহায্য করতে তৈরি। তবে এই ব্যাপারে আগে থেকে হস্তক্ষেপ করব না। যদি সাহায্য চায়, এগিয়ে যাব।

আগস্ট ২৬, ২০২১
রাজনীতি

By Election: আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

সেপ্টেম্বরেই হোক উপনির্বাচন। এই দাবি নিয়ে আজ দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রে যে উপনির্বাচন সেই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই নিয়ে মতামত জানাবে। প্রতিনিধি দলে থাকছেন সৌগত রায়, জহর সরকার, মহুয়া মৈত্র, সাজদা আহমেদ, সুখেন্দু শেখর রায়। সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কমিশনের কাছে যেতে চলেছে বিজেপি। তার আগে আজই, কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল।আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো আইপিএসএদিকে, উপনির্বাচন চায় না রাজ্য বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিস্থিতিই নেই। আট দফা কারণ তুলে ধরে রাজ্য বিজেপি এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। বিজেপি যুক্তি খাঁড়া করেছে, বাংলায় এখন নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই। কারণ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম লোক নিয়ে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আছড়ে পড়তে চলেছে তৃতীয় তরঙ্গ। রাজ্যে যে সরকার রয়েছে, তার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের কোনও সংকট নেই, সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়। এরই মাঝে সব দলের থেকেই উপনির্বাচন নিয়ে মত জানতে চেয়েছে কমিশন। তৃণমূল আসলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই দ্রুত উপনির্বাচন করাতে চাইছে। আর বিজেপি চাইছে তা পিছিয়ে দিতে।

আগস্ট ২৬, ২০২১
কলকাতা

Bratya Basu: আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ শিক্ষামন্ত্রীর

বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকাকে বিজেপি ক্যাডার বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই ঘটনা অনভিপ্রেত বলে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। তাঁরা সকলেই আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষিকারা। বদলির অস্বচ্ছতার দাবি তুলে রাস্তায় নামে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। বিকাশ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েই সেই বিক্ষোভ। তারপর তাঁরা মুখে কিছু ঢেলে দেন। এরপর মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোতে থাকেন। যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাঁদের বিক্ষোভ, সেই ব্রাত্য বসুই তাঁদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ দাগলেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা রাজ্যেরশিক্ষামন্ত্রী ফেসবুকে দাবি করেন, বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে এবং এমএসকে-র সহায়ক-সহায়িকা, সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকরা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে তাঁদের একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়। সহায়ক-সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও বাৎসরিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লক্ষ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। এত কিছুর পরও যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।

আগস্ট ২৫, ২০২১
কলকাতা

Bikash Bhaban: বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৫ শিক্ষিকার

বদলির প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পাঁচ শিক্ষিকা। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে আচমকাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থও হয়ে পড়েন। পুলিশ পাঁচ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ বেড পেতে গেলে আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে!অসুস্থ পাঁচ শিক্ষিকাই ঐক্য মঞ্চের সদস্য। শিক্ষকদের এই সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষকদের বদলি ইস্যুতে আন্দোলন করছে। এর আগে নবান্নের সামনে এমনকী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলন করার শাস্তি হিসেবেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা মূল ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় আন্দোলনকারীদের। এর পর আচমকাই ব্যাগ থেকে বিষ বার করে খেতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শিক্ষিকা ফাজিলাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অপর শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জ্যোৎস্না টুডু নামে এক শিক্ষিকাকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শিখা দাসকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। পুতুল মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কেচাবিহারে বদলি করা হয়েছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষিকাদের এই বদলি অনৈতিক বলে দাবি করছে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
রাজ্য

Post Poll Violence: রিপোর্ট তৈরি করতে জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই

ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট তৈরি করতে কলকাতার পর এবার জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে জেলা সফর। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত তিনটি জেলায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন গোয়েন্দারা। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে মোডাস অপারেন্ডি জানার চেষ্টা করা হবে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে প্রাথমিক রিপোর্ট।রাজ্য পুলিশের এফআইআর কপির ভরসায় না থেকে সরাসরি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হবে। তা পাঠানো হবে দিল্লিতে। বেলেঘাটায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সিবিআইয়ের কাছে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন, যাঁরা পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম জানিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, অভিজিৎকে পিটিয়ে মারার কয়েকটি ফুটেজও গোয়েন্দাদের কাছে তুলে দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ প্রশ্নপত্র বিতর্কের মাঝেই রাজ্যকে আক্রমণ দিলীপেরপ্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জেলা ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তদন্তকারীরা। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে। ভোট পরবর্তী বাংলায় যতগুলি অভিযোগ হয়েছে, রাজ্য পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই এফআইআর কপি ও কেস ডিটেলস চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলে সেই রিপোর্টের ভরসায় না থেকে সিবিআই নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবেন।উল্লেখ্য, গতকাল, সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই কর্তারা। দুঘণ্টার কথোপকথনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম তুলে ধরেছেন। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও সিবিআই-এর কাছে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
রাজ্য

Post poll violence: পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের চারটি দল খুঁজে দেখবে হিংসাস্থল

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। সূত্রের খবর, তদন্তের সুবিধার্থে প্রথমেই গোটা রাজ্যকে চারটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চারটি দল রাজ্যে আসার পর এই জ়োন ধরেই তদন্ত করবে। শুক্রবারই চার দলের দায়িত্বে থাকা জয়েন্ট ডিরেক্টরদের ভার্চুয়াল বৈঠক।সূত্রের খবর, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ এই চার ভাগে রাজ্যকে ভাগ করবে সিবিআই। এরপর যে সমস্ত জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা ঘুরে দেখবে দলগুলো। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে এই তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও সূত্রের দাবি। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারই রাজ্যে আসতে চলেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত ১৯ অগস্টই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করবে সিবিআই। একইসঙ্গে গঠন করা হয় সিট। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সিটের তদন্তের নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।আরও পড়ুনঃ বার্লার পাশে দাঁড়িয়ে সুর বদল দিলীপের এই নির্দেশ মিলতেই দিল্লিতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। শুক্রবারই এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে সিবিআই। প্রতি দলের নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। সূত্রের খবর, লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেহরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হয়েছে এই বিশেষ দল। চারটে দলে আট জন করে আধিকারিক থাকছেন। প্রত্যেক টিমে এক জন করে এসপি পদমর্যাদার মহিলা আধিকারিকও থাকছেন।

আগস্ট ২১, ২০২১
দেশ

Post Poll violence: ৪ রাজ্যের অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিবিআইয়ের বিশেষ দল

কলকাতা হাইকোর্টে সবুজ সংকেত মিলতেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা।এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চারটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করল সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রতি দলের নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে রাখা হচ্ছে ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসারদের। লখনউ, পাটনা, দিল্লি ও দেরাদুনের সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে এই বিশেষ দল। গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। তদন্তে নজরদারি করবে উচ্চ আদালত।আরও পড়ুনঃ দেশের সাধারন মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানপাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে নির্দেশ আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে। অনান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।ভোটের পর শাসকদলের মদতে বিরোধীদের ওপর হিংসা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একাধিক মামলা। আদালতের নির্দেশে রাজ্য ঘুরে রিপোর্ট দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৩ অগস্ট শুনানি শেষ হয়।

আগস্ট ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs ENG Test : ‌দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতের

লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে নতুন বলে দ্রুত ভারতের শেষ ৪ উইকেট তুলে নেওয়া লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের। অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেন মহম্মদ সামি ও যশপ্রীত বুমরা। দুজনের অবিস্মরনীয় ইনিংস ভারতকে শুধু সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে বার করে নিয়ে আসেনি, পৌঁছে দিয়েছিল জয়ের দোরগোড়ায়। সামিবুমরা জুটি শুধু দেশের মান বাঁচায় নি, কেড়ে নিয়েছিল রুটের মুখের গ্রাস। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয়। ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।আরও পড়ুনঃ খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কটি২০ যুগে টেস্ট ক্রিকেট নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে কথাটার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। একদিন আগেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ভারতইংল্যান্ড টেস্টও পৌঁছে গিয়ে চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্সে। প্রথম দিন থেকেই পেন্ডুলামের মতো দৌদুল্যমান। কখনও ভারতের দিকে, কখনও আবার ইংল্যান্ডের দিকে। পঞ্চম দিন তো একসময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন টিম ইন্ডিয়ার। নায়ক অবশ্যই মহম্মদ সামিযশপ্রীত বুমরা। ব্যাট হাতে এই দুজন পৌঁছে দিয়েছিল লড়াই করার জায়গায়। ক্রিকেট দেবতাও নিশ্চিতভাবে কুর্নিশ করবে সামিবুমরার প্রাইসলেস ইনিংস।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?তৃতীয় দিল শেষ বেলা থেকেই উত্তপ্ত লর্ডস। জিমি অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বুমরার বাউন্সার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে বুমরার বাকযুদ্ধ। পরে বাটলারের সঙ্গে, যোগ দেন মার্ক উডও। উডের বাউন্সার হেলমেটে লাগতেই অন্য চেহারায় বুমরা। মুখে নয়, জবাব দিয়ে গেলেন ব্যাটে। লর্ডসেই ব্রিটিশ রাজের পতন ঘটাতে যেন বদ্ধপরিকর।ভারতের লড়াইয়ে ফেরার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে। চাপে পড়লেই জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিন ভারত যখন ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, রুখে দাঁড়ান পুজারারাহানে। দুজনে মিলে জুটিতে ১০০ রান তুলে দলকে প্রাথমিক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। দুই ওপেনার রাহুল (৫), রোহিত (২১) দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। কোহলিও (২০)। দলের সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়ান পুজারা ও রাহনে। দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে বড় রান পেতেন পুজারা (৪৫)। মার্ক উডের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটের কানায় লেগে রুটের হাতে। রাহানে (৬১) অবশ্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেননি।আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইস্টবেঙ্গলকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের সংশোধিত খসড়া পাঠাল শ্রী সিমেন্টচতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ১৮১/৬। ক্রিজে ছিলেন ঋষভ পন্থ (১৪) ও ইশান্ত শর্মা (৪)। ঋষভের (২২) ওপর দায়িত্ব ছিলে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু পঞ্চম দিন সকালে দলকে বেশি টানতে পারেননি। ইশান্ত মূল্যবান ১৬ রান যোগ করেন। তিনি যখন ফিরে যান, দলের রান ২০৯। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ভারতের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপরই শুরু সামি (অপরাজিত ৫৬) ও বুমরার (৩৪) সেই অবিস্মরনীয় লড়াই। ইশান্ত ১৬ রানে লেগ বিফোর হতে ভারতের অষ্টম উইকেট পড়ে ২০৯ রানে। লিড তখন ১৮২। ইংল্যান্ড যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে, তখনই রুখে দাঁড়ান সামি ও বুমরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। অসমাপ্ত নবম উইকেট জুটিতে সামি ও বুমরা যোগ করেন রেকর্ড ৮৯ রান। লাঞ্চের পর ৮ উইকেটে ২৯৮ তুলে যখন ইংল্যান্ডকে জেতার জন্য ২৭২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিতে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন কোহলি, তখন সামি অপরাজিত ৫৬ রানে।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপসামিবুমরা জুটি ব্যাট করার সময় বারবার মাথায় হাত দিচ্ছিলেন রুট। দেওয়াল লিখনটা তখনই হয়তো চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ ইনিংসে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ার ঐতিহ্য রয়েছে রুটের ইংল্যান্ডের। লর্ডসেও তার ব্যাতিক্রম নয়। ২৭১ রানে এগিয়ে থাকাটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল কোহলি ব্রিগেডকে। রুটদের ওপর শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার রসদ ছিল ওই ২৭১র মধ্যে। প্রথম দুই ওভারে সামিবুমরা জুটি যেভাবে ইংল্যান্ডের ওপর আঘাত হেনেছিলেন, তা থেকে বেরিয়ে আসার মতো দক্ষতা নেই এই ইংল্যান্ড দলের। রুট (৩৩), বাটলার (২৫) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন বুমরা (৩/৩৩), সিরাজরা (৪/৩২)। শেষ পর্যন্ত ৫১.৫ ওভারে ১২০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।

আগস্ট ১৬, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - অন্তিম পর্ব

আমরা তখন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। মাষ্টার্স করছি। আমি আর দীপ্ত স্কুল থেকে একসাথে পড়ি। কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে ও এক সাথেই থাকি। দীপ্ত খুব ভালো গান করে বরাবর। ইউনিভার্সিটির একটা কম্পিটিশনে যুগ্ম প্রথম হয় ফিজিক্সের দীপ্ত সেন আর ইংরাজীর মধুছন্দা ব্যানার্জী।তারপর ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিনত হয়।মধুর বাড়ি শিলিগুড়ি। ওর বাবা ওখানকার সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার উপর ওরা ব্রাহ্মণ। ওদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা বন্ধুরা খুব চিন্তিত ছিলাম। মধু বড়লোকের মেয়ে ওর কাছে এটা ছেলে খেলা এরকম অনেক কিছু আমরা ভাবতাম। মাস্টার্স কমপ্লিট করে দীপ্ত পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। মধুও মাস্টার্স শেষ করে শিলিগুড়ি গিয়ে একটি স্কুলে চাকরি পায়। এরমধ্যে দীপ্ত পিএইচডিতে যোগ দেয়। কিন্তু মধুর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করেন। তখনই সমস্যা শুরু হয়। মধু ওর মা, বাবাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওর মা বুঝলেও বাবা বোঝে না।অগত্যা মধু পালিয়ে চলে আসে দীপ্তর কাছে। আমরা বন্ধুরা তখন বুঝতে পারি মধুর ভালোবাসা কত গভীর। ওরা বিয়ে করে। তখন দীপ্ত কয়েকটি টিউশন পড়ায় মাত্র, আর স্কলারশিপের কটা টাকা।আমার বাড়ি যেহেতু এখানে আর আমার বাবারও কিছু নামডাক ছিল তাই বাবাকে বলে একটা স্কুলে মধুর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিই।বেশ আনন্দের মধ্যে দিয়ে কাটতে থাকে ওদের জীবন। স্বাচ্ছন্দ্য স্বচ্ছলতা না থাকলেও আনন্দ ছিল।অনিমেষবাবুর সাথে কথা বলার পর মেহুলের মনের মধ্যে তোলপাড় চলে। কি করবে ও এখন? কিভাবে দুটো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষকে সামনাসামনি আনবে? যখন আবার একটা মানুষ অসুস্থ। বলা যায় এটা ওই মানুষটার শেষ ইচ্ছা। এইসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফেরে।ওকে দেখে মাধুরীদেবী মানে ওর দিয়া বলে ওঠে কি ব্যাপার দিদি ভাই আজ এত দেরি কেন? কোথায় গিয়েছিলে? তোমাকে এত গম্ভীর দেখাচ্ছে কেন?বলছি সব বলছি। আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। তোমার সঙ্গে আজ অনেক কথা আছে। আলোচনাও আছে অনেক। বলে মেহুল বাথরুমে ঢুকে পড়ে।মাধুরীদেবী ভাবেন কি বলবে মেহুল!একটু পরেই মেহুল বেরিয়ে এসে মাধুরী দেবীকে নিয়ে নিজের ঘরে এসে বসে।শোনো দিয়া আজ আমি যা যা জানতে চাইব সব আমাকে বলবে। কোনও কিছু আমার কাছে লুকিয়ে রাখবে না। অনেক দেরি হলেও একটা চেষ্টা আমাকে করতেই হবে।কি বলছিস আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।বুঝতে পারবে বললে বুঝতে পারবে।সেদিন আমি যখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম সৌরীশ সেন নামে কাউকে চেনো কিনা? তুমি চমকে উঠেছিলে আমি সেটা লক্ষ্য করেছি। তার মানে তুমি চেনো।হ্যাঁ না মানে হ্যাঁ চিনি।এবার আমি যা বলছি দেখো সব ঠিক বলছি কিনা?অবাক চোখে তাকায় মাধুরীদেবী মেহুলের দিকে।মেহুল একে একে সব বলে যা শুনেছে অনিমেষ বাবুরকাছে। এবার বলো মা কে কি তোমরা আবার বিয়ে দিতে পেরেছিলে?না না কোলকাতা থেকে ফিরে গিয়ে তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার তোর আসার খবর শোনায়। এও বলেন যে তোর মাকে খুব সাবধান থাকতে হবে। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ কোনওরকম উত্তেজনা চলবে না। তাই আমরা আর তোর বাবাকে খবর দিতে পারিনি। আর তোর দারুণ চায়নি মাও না। মাধুরীদেবী বলেন আমি জানতাম কোথাও একটা মস্ত ভুল হচ্ছে। বারবার বলেছিলাম মেয়েটাকে দীপ্তকে একবার বলার সূযোগ দিতে।না মেয়ে শুনলে না মেয়ের বাবা। এখন আমি কি করি?? বলে কপাল চাপড়াতে লাগলেন। মাঝখানে তুই কত কষ্ট ভোগ করলি। পারবে ওরা এখন তোকে সেসব ফিরিয়ে দিতে?সেসব এখন ছাড়ো। এখন যেটা করতে হবে মা কে আনতে হবে কলকাতায়। একমাত্র আমার শরীর খারাপ শুনলেই আসবে।তুমি ফোন করে বলো আমার খুব জ্বর। কিছুতেই জ্বর ছাড়ছে না।সেরকমই করলেন মাধুরীদেবী। মধুছন্দাকে ফোন করে বলেন মেহুলের খুব জ্বর।সেকথা শুনে পরদিনই ফ্লাইট ধরে মধুছন্দা চলে আসে। মেহুল একটু নাটক করে শরীর খারাপের।বিকেলে প্ল্যান অনুযায়ী অনিমেষবাবু মেহুলকে দেখতে আসে।অনিমেষ বাবুকে দেখে মধুছন্দা একটু ঘাবড়ে যায়। মেহুল পরিচয় করাতে গেলে অনিমেষ বলেন ওনারা পূ্র্ব পরিচিত। মধুছন্দা এড়িয়ে যেতে চান কিন্তু অনিমেষ বাবু চেপে ধরেন। এবং বলেন সৌরীশ অর্থাৎ দীপ্ত খুব অসুস্থ। প্রথমে শুনতে চায় না তখন মেহুল জোর করে।বলে মা ভুল বুঝে আর কত কষ্ট দেবে মানুষটাকে আর তুমি আমি সবাই কেন আর কষ্ট পাব। একবার বলার সূযোগ তো দিতে হবে।মধুছন্দা বলে তুমি ছোটো যা জানো না তা নিয়ে বড়দের মাঝে কথা বলো না।মেহুল কিন্তু থামে না বলে আর আমি ছোট নেই। আর আমি এখন পুরোটাই জানি। আমার মনে হয় তোমারও জানা উচিত। যে মানুষটা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সে কখনও মিথ্যা বলবে না।মধুছন্দা বলে মানে? কে জীবনের শেষ পর্যায়ে?অনিমেষ বাবু বলেন দীপ্ত; ওর ব্রেইনে একটা টিউমার হয়েছে অপারেশন করতে হবে। তাতে ও নাও বাঁচতে পারে। তাই আমাদের সবার অনুরোধ তুমি একবার সত্যিটা শোনো।তারপর সব শোনে মধুছন্দা।মেহুল বলে আমি তো স্যারের ঘরে তোমার অতো বড় একটা ছবি দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তারপর আঙ্কেল আমাকে সব বলেন।মধুছন্দা অঝোরে কাঁদতে থাকে। বলে সে কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে?অনিমেষ বলেন সব হবে তুমি চলো আমাদের সাথে।সবাই মিলে চলে সৌরীশ সেনের বাড়িতে। অনিমেষ বাবু মল্লিকাকেও ডেকে নেন।অনিমেষ বাবুর সাথে মধুছন্দাকে দেখে অবাক হয়ে যান সৌরীশ।মধু মেহুলকে এগিয়ে দিল ; তোমার মেয়ে, আমি এতদিন আগলে রেখে ছিলাম এবার তুমি সামলে রাখবে। তাড়াতাড়ি তোমাকে সুস্থ হতে হবে। বলে মধুছন্দা কাঁদতে থাকে। মল্লিকা এর মধ্যে খাবার দাবার নিয়ে হাজির। মধুছন্দা মল্লিকার কাছেও ক্ষমা চায়।মল্লিকা বলে, না বৌদি আমার কাছে নয় তুমি দাদার কাছে ক্ষমা চেয়েছ ওতেই হবে। দুঃখ শুধু একটাই ভুল বুঝে তুমি মেয়েটাকে বাবার থেকে দূরে রাখলে। যাক পুরনো সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু করো। দাদা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক আর আমার কিছু চাই না।অপরাধ বোধে ভুগতাম তোমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী মনে হত। আজ এতদিন পরে আবার সব ঠিক হল। এবার সবাই একটু মিষ্টি মুখ করো। মল্লিকা প্লেটের মধ্যে মিষ্টি নিয়ে সবাইকে দেয়।মেহুল গিয়ে বাবার পাশে বসে। সৌরীশবাবু ওকে বুকের মধ্যে টেনে নেন।অনিমেষ বাবু বলেন, দীপ্ত একেই বলে রক্তের টান।-সমাপ্ত- লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

আগস্ট ১৫, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

হ্যালো, আঙ্কেল আমি মেহুল বলছি। ...... হ্যাঁ, ঠিক চিনেছেন। ........ হ্যাঁ আমি যাই তো। আপনার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি তো কলেজ থেকে যাই। .........বলছিলাম আপনার সাথে খুব জরুরি একটা দরকার আছে। একদিন দেখা করতে চাই। ......... আপনার সুবিধা মত বলুন আমি ঠিক হাজির হয়ে যাব। ......... ঠিক আছে আঙ্কেল তাহলে কাল দেখা হচ্ছে। এখন রাখি। এই বলে মেহুল ফোন রেখে দিলে। পরের দিন ঠিক সময়ে অনিমেষ বাবু আর মেহুল হাজির নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায়। বসো, কি খাবে বলো? কিছু না। একটু কফি। আচ্ছা তাহলে কোল্ড কফি হয়ে যাক। বললেন অনিমেষ বাবুতাই হোক। দুটো কোল্ড কফি অর্ডার দিয়ে জমিয়ে বসলেন। বলো তো মা কি দরকার এই বুড়োটাকে? ঠিক বুঝতে পারছি না কিভাবে কথাটা বলবো? কোনো দ্বিধা না করে বলো। আমার মনেও একটা কৌতূহল জেগেছে তোমার কৌতূহলের সাথে মিলে যেতেও পারে। তাই বলছি বলে ফেলো, কোনও সংকোচ করো না। স্যারের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো জেগেছে। কিন্তু স্যারকে জিজ্ঞাসা করতে পারছি না। আর যাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি সে তো কাছে থাকে না, তাই ভাবলাম আপনি তো স্যারের খুব কাছের বন্ধু তাই ভাবলাম আপনার কাছেই জানতে পারব। বেশ বেশ বলো না কি জানতে চাও। বলছি স্যারের তো নিজের বলতে কেউ নেই শুনছি, তবে ওনার ঘরে ওই ছবিটি কার? আপনি কি চেনেন ছবির ওই ভদ্র মহিলা কে? অনিমেষ বাবু মেহুলের প্রশ্নে একটু যেন চমকে গেলেন; সাথে সাথে নিজেকে ঠিক করে নিয়ে বলেন আমার মনে যে কথাটি এসেছে তার সাথে তোমার প্রশ্ন রিলেটেড। মেহুল এবার চমকে যায়, মানে? আমার প্রশ্ন হলো তুমি কে? কি তোমার পরিচয়? আর তোমার এই কৌতূহল কেন? তুমি কি চেন? কাকে চেনার কথা বলছেন? ছবির সঙ্গে তোমার মিল আমি সেদিনই খেয়াল করেছি যেদিন হাসপাতালে তোমাকে দেখি। বলতে পারো চমকে গেছিলাম তোমাকে দেখে। তারপর ভাবলাম মানুষে মানুষে তো মিল হয়। তাই চুপ করে ছিলাম। আজ তোমার কথায় আবার সেটা ফিরে এল। বলো চেনো ছবির ওই ভদ্রমহিলাকে? চুপ করে থেকো না বলো!! মেহুল বলে----- হ্যাঁ চিনি। কে হন উনি? আ আ-- মার মা----ঠিক আন্দাজ করেছিলাম আমি। বলেন অনিমেষ বাবু। আপনি আমার মাকে চেনেন? হ্যাঁ খুব চিনি। তা তিনি এখন কোথায়? শিলিগুড়িতে? নাকি অন্য কোথাও? মা সাউথের একটা স্কুলে পড়ায়। আমি দাদু দিদার কাছে বড়ো হয়েছি। মা ছুটিতে আমাদের কাছে আসে। অনিমেষ বাবু এবার জিজ্ঞাসা করেন তোমার বাবা? মেহুলের মুখটা কালো হয়ে যায়। বলতে থাকে, আমি জানি না কে আমার বাবা। কারণ সব জায়গায় মায়ের নাম দেওয়া আছে। যেখানে বাবার নাম দরকার হয়েছে শুধু লেখা আছে ডি. সেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। খুব ছোট বেলায় একবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাবার কথা। মা খুব কেঁদে ছিল আর বলেছিলেন বাবা হারিয়ে গেছে। তারপর থেকে কোনও দিন কাউকে আর জিজ্ঞাসা করতে পারিনি। স্যারের ঘরে মায়ের ছবি দেখে মনের কোণে তাই এত প্রশ্ন।এখানে কোথায় থাক? কার কাছে?আমি আর আমার দিদা ইউনিভার্সিটির কাছে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি।এবার আঙ্কেল আপনি বলুন আমার মায়ের ছবি স্যারের ঘরে কেন?সেটা জানতে গেলে তোমাকে একটা গল্প শুনতে হবে। অত সময় আছে তো তোমার কাছে?হ্যাঁ আমার কাছে সময় আছে। শুধু একবার বলে দিই দেরি হবে ফিরতে।বলে মেহুল ওর দিকে ফোন করে বলে দেয়। এবার আপনার গল্প শুরু করে দিন।অনিমেষ বাবু বলেন এবার কিছু অর্ডার না করলে এরা তুলে দেবে। তাছাড়া খিদেও পেয়েছে কি বলো?মেহুল ওনার কথা শুনে হেসে ফেলে। বলে তাহলে এদের চিকেন কাটলেটটা খুব ভালো। বলে ও ওয়েটারকে ডেকে দুটি কাটলেট অর্ডার দেয়।এবার আপনার গল্প শুরু করুন আঙ্কেল।গল্প শুরু করেন অনিমেষ বাবু ...............ক্রমশঃলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্ব

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

বিদেশী পাতা বাহার গাছ চুরির বিহিত চেয়ে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ গাছপ্রেমী

সূযোগ পেলেই চোরেরা যে গৃহস্থের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে পালাবে একথা কেইবা আর না জানেন। তবে রাতের অন্ধকারে গাছপ্রেমীর সাধের বাগান থেকে বিদেশী পাতা বাহার গাছ চোরে চুরি করে নিয়ে পালাবে এমনটা বোধহয় সকলেরই কল্পনার অতীত। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে শহর বর্ধমানের নতুন পল্লীতে। এই এলাকার বাসিন্দা গাছপ্রেমী অমর চক্রবর্তী তাঁর বাড়ির বাগান থেকে বিদেশী বাহারি গাছ চুরির ঘটনা নিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিহিত চেয়েছেন। তাঁর বাড়ির চারপাশে থাকা গোপন ক্যামেরায় গাছ চোরেদের যে ছবি ধরা পড়েছে তাও তিনি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন । টাকা পয়সা, সোনা,গয়না চুরির পাশাপাশি চোরেরা এখন বিদেশি পাতা বাহার গাছও চুরি করতে শুরু করেছে জেনে স্তম্ভিত বর্ধমানবাসী।আরও পড়ুনঃ রাস্তার ধারের বহুমূল্য গাছ বিক্রি করার অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেনতুন পল্লীর বাসিন্দা অমর চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ মানুষ। তিনি গাছপ্রেমী। তাঁর নিজের বাড়িতে নামী-দামি বিভিন্ন গাছ আছে। তার মধ্যে বিদেশী পাতাবাহার গাছও রয়েছে। এছাড়াও পাখিও তিনি পুষেছেন ।অমর বাবু বলেন, অতিমারিতে জারি হওয়া বিধিনিষেধ মেনে তিনি বাইরে খুব একটা বের হন না।বড়িতে বাগানেরর গাছপালা নিয়েই তিনি সময় কাটান। কিন্তু গত এক বছর ধরে তিনি লক্ষ্য করছেন তাঁর বাগানে টবে থাকা বিদেশি নামিদামি গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। কারা, কীভাবে চুরি করছে তা জানার জন্য তিনি তাঁর বাড়ির চারিদিকে সি সি ক্যামেরা লাগান। সেই সি সি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিতে তিনি দেখতে পান, রাতের অন্ধকারে মুখ ঢাকা দিয়ে দুজন ব্যক্তি তাঁর বাড়ির বাগাণের গাছ চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে। সেই কারনেই গাছ চুরির বিহিত চেয়ে তিনি বর্ধমান থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ গাছচোরকে পাকড়াও করবে এমনটাই প্রত্যাশা গাছপ্রেমী অমর চক্রবর্তীর। অমরবাবুর বাগানের গাছচুরি কাণ্ডের জল কতদূর যায় সেটাই এখন দেখার।আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা মূল্যের গাছ চুরি কাণ্ডে নাম জড়াতেই তদন্ত চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতাবর্ধমান শহরের এক বাসিন্দা বলেন, পুলিশের এখন হয়েছে বড় জ্বালা। হাই প্রোফাইল ক্রিমানাল দুস্কৃতি নয়। মাস খানেক আগে বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে একটি শিরিষ গাছের রহস্যজনক মৃত্যুতে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেখানকার প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষক। শিরিষ গাছের মৃত্যু রহসের জল অনেকদূর গড়ায়। এবার গৃহস্থের বাড়ির বাগানে থাকা বিদেশী পাতা বাহার গাছ চুরির তদন্তভার কাঁধে নিতে হল বর্ধমান থানার পুলিশকে । এটাই আশ্চর্যের। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, গাছ চুরির অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আগস্ট ০৭, ২০২১
রাজ্য

Rape: বধূকে ধর্ষণের পর সোনার গয়না ও টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক

গৃহবধূকে ধর্ষণ করার পর তাঁর সোনার গয়না ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক। ধৃতের নাম ফজলুল হক শেখ। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার জুনাড়া গ্রামে।দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিনই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি ধৃতের মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ সাহসী পোশাকে আলুপোস্ত রেঁধে ভাইরাল রিম্পিপুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা বধূর বাড়ি জুনাড়া গ্রামেই। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হয় না। ভরণপোষনের দায়িত্ব নেবে বলে আশ্বাস দিয়ে ফজলুল ওই গৃহবধূকে তাঁর কাছে চলে আসার জন্য বলে। গৃহবধূ তাতে রাজি হয়ে ৮৬ হাজার টাকা ও ৩ ভরি সোনার গয়না নিয়ে মাসখানেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন।আরও পড়ুনঃ উদ্বেগ বাড়িয়ে ডেল্টার প্রভাবে ফের বাড়ছে সংক্রমণঅভিযোগ এরপর ফজলুল ওই গৃহবধূকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। এমনকী সে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গৃহবধূকে সাদা কাগজে সইও করিয়ে নেয়। এর কয়েক দিন পরই গৃহবধূ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ফজলুল তাঁর গয়না ও টাকা হাতিয়ে নিলেও তাঁকে বিয়ে করবে না বুঝে গৃহবধূ ফের শ্বশুর বাড়িতে ফিরে এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আগস্ট ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal