• ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

দেশ

কোথায় এখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি? উত্তরপ্রদেশের পাঁচ নৃশংস খুন নিয়ে তোপ তৃণমূলের

প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচ জনকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা নিয়ে যোগী সরকারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল অত্যাচার করছে। যে ভূমিকে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ভূমি বলে আখ্যা দিয়েছেন সেই প্রয়াগরাজের খেবরাজপুর গ্রামে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা বেদনাহত। গতকাল রাতে বাড়ির ছেলে না থাকার সময় পাঁচজনকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। তাতে একটি শিশুও আছে। খুন করেই ক্ষান্ত থাকেনি একটি মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পর বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চন্দ্রিমা বলেন, আমাদের প্রশ্ন ভারতে অনেকে যোগীরাজের কথা বলেন। ফলাও করে প্রচার করেন। এটা কি যোগীরাজ না গুন্ডারাজ? এক সপ্তাহের মধ্যে আরও একটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখানে যাঁরা অবান্তর ভাবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন আজ তাঁরা মূক ও বধির হয়েছে। আজ তাঁরা সাইলেন্ট মোডে চলে গিয়েছে। তাঁরা কী এখন সেখানে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার কথা বলবেন। আজ তাঁদের আওয়াজ নেই কেন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এখন হবে না। সম্প্রতি আনিস খুন থেকে রামপুরহাটের বগটুই, হাঁসখালি গণধর্ষণসহ নানা ঘটনা নিয়ে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির দুটো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ঘুরে গিয়েছে এরাজ্য থেকে। ওই কমিটি দলের সভাপতির কাছে বাংলায় ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারার উপযোগী বলে সুপারিশ করেছে। একই পরিবারের পাঁচজনকে খুন প্রকাশ হতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ যোগী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রয়াগরাজের ঘটনা নিয়ে আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন একযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা টুইট করেছেন।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
রাজনীতি

অনুব্রত মন্ডল ছাড়া পাচ্ছেন হাসপাতাল থেকে, থাকবেন কলকাতাতেই

সিবিআই তলবের দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল৷ হাসপাতাল সূত্র জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়ার সতেরো দিন পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত। গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। আগের দিন কলকাতায় চিনারপার্কে নিজের ফ্লাটে এসেও ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু পরের দিন নিজাম প্যালেসে না গিয়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। এদিকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে সিবিআই-এর সামনেও হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল৷ সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে তাঁদের মক্কেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের হৃদযন্ত্রের দুটি ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে৷ আপাতত তাঁকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন তিনি বীরভূম যাচ্ছেন না। চিনারপার্কের ফ্লাটেই তিনি থাকবেন।গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে ৫ বার তলব করেছিল সিবিআই৷ প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে সিবিআয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। এবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন।

এপ্রিল ২২, ২০২২
দেশ

দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে পুলিশি বাধা, কটাক্ষ বিজেপির

দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির মহিলা সদস্যরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের ওই এলাকায় পুলিশ ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দাবি, এত বাঁধা সত্বেও তাঁরা পিছনের দিক থেকে ঢুকে অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, নিজের এলাকায় গণধর্ষণ, গণহত্যা ঘটলেও সেখানে যান না তৃণমূল সাংসদ। আর ছুটেছেন দিল্লি!বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের গণহত্যার ঘটনায় দিল্লি বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল। তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দিল্লি ফিরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট দাখিল করেন। তারপর হাঁসখালির গণধর্ষণে নাবালিকার মৃত্যুর অভিযোগ খতিয়ে দেখতেও জেপি নাড্ডার নির্দেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বাংলার মানুষ ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ চাইছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। এবার দিল্লির দাঙ্গাস্থল পরিদর্শনে তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এদিন ওই দলে ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার ও অর্পিতা ঘোষ।কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, জায়গাটা পুলিশ ঘিরে ব্যারিকেড করে রেখেছে। পুলিশ মানুষকে মানুষ মনে করছে না। তবু বাচ্ছা ও মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে পিছনের দিক থেকে ঢুকেছি। সেদিনের অত্য়াচারের কাহিনী শুনেছি। বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে, জল নেই, খুবই কষ্টে রয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের জন্য জায়গা ছেড়ে রাখতে হয়। জাহাঙ্গিরপুরীতে আমাদের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিল। গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারছে না বিজেপি।এদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যাওয়ায় কটাক্ষ করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, নিজেরে এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সেখানে যাননি সাংসদ। গণহত্যার এলাকাও পরিদর্শনে দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদকে। আগে নিজের এলাকা সামলাও তারপর দিল্লি যাবে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
দেশ

দিল্লি দাঙ্গার মাষ্টারমাইন্ড আনসার বিজেপি না তৃণমূলের? বিতর্ক বাড়ছে

দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসায় নাম জড়িয়েছে বাংলারও। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর দাঙ্গায় মূল অভিযুক্ত আনসারের বাড়ি হলদিয়ার কুমারপুর গ্রামে। এরইমধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি দল ওই গ্রামে ঘুরে গিয়েছে। এদিকে আনসারের সঙ্গে হলদিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলরের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক বেড়েছে। এবার বিতর্কে যুক্ত হল বিজেপিও। জাহাঙ্গিরপুরীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মূল অভিযুক্ত আনসারের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের গুচ্ছ-গুচ্ছ ছবি প্রকাশ্যে এনে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। আনসারের সঙ্গে তৃণমূল না বিজেপির যোগ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আনসারের সঙ্গে কোন দলের সম্পর্ক তা নিয়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করছে তৃণমূল ও বিজেপি। দিল্লি দাঙ্গার মূল অভিযুক্ত আনসারের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ছবি এনে শুক্রবার একসঙ্গে টুইট করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সুজিত বসু, আইএনটিটিউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ররা। তৃণমূল নেতৃত্ব একযোগে দাবি করেছে, দিল্লির দাঙ্গায় মূল অভিযুক্ত আনসার বিজেপিরই কর্মী।I truly believe that our priority should be ensuring justice! The perpetrators must be adequately punished!Here, we see how Ansar has been closely associated with @BJP4India. Lets not have a one-track mind! pic.twitter.com/1hu8JEl6Vb Partha Chatterjee (@itspcofficial) April 22, 2022এর আগে হলদিয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূল নেতা আজিজুল রহমানের কাঁধে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন আনসার। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে সোচ্চার হয় ঘাসফুল শিবির। অস্বস্তি বাড়তে থাকে তৃণমূলেও। আজিজুল রহমান জানিয়ে দেয়, ওই ছবিটা ২০১৯ সালের মে মাসের ছবি। জামা মসজিদের কাছের ছবি। আনসারের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। কিন্তু আনসারের কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। বদনাম করার জন্য এই অভিযোগ আনছে বিজেপি। শুক্রবার তৃণমূল নেতারা বিজেপির সঙ্গে আনসারের ছবি টুইট করে পাল্টা তোপ দেগেছ বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, আনসার বিজেপি না তৃণমূলের এই বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসের মদতদাতাকে আইন মোতাবেক শাস্তি দিক পুলিশ প্রশাসন।

এপ্রিল ২২, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ বগটুইয়ের প্রত্যক্ষদর্শীর, তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

আনারুলের পর এবার রাজ্যের মন্ত্রী ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন মিহিলাল শেখ। মিহিলাল রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর পরিবারের লোকজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পরপরই। সংশোধনাগারে আনারুল, লালনরা খেয়ে-দেয়ে ফূর্তি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মিহিলালের অভিযোগ, এই সমস্ত ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। পুরো বিষয়টা তিনি সিবিআইকে জানাবেন বলেছেন। এদিকে মিহিলালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আশিষ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।কী বলেছেন মিহিলাল শেখ?আমার পরিবার তো শেষ হয়ে গেল। আনারুলরা জেলের মধ্যে ফূর্তি করছে। জেলে বিয়ার, মদ খেয়ে এনজয় করছে। বাড়িতে যা পেত তা জেলে পাচ্ছে। বাইরে থেকে খাবার যাচ্ছে। আমাদের লোকজনকে শেলে রেখে দিয়েছে। এসবে মদত দিচ্ছে আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপো আমাদের ওপর অত্যাচার করত। আনারুলকে গাইড করছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব কান্ড আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। একমাসেও কোনও খবর নেয়নি। ওর লোকজনও খবর নিতে আসেনি। আমি বিডিওকে হোয়াটসঅ্যাপে খাদ্যদ্রব্যের জন্য পাঠিয়েছিলাম। প্রথমে তিন-চার দিনের জন্য কিছু পাঠিয়েছিলেন। এখন সব বন্ধ। আমরা এক মাসের খাবার চেয়েছিলাম প্রশাসনের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সত্বেও কোনও খাবার দিচ্ছে না প্রশাসন। পুরো বিষয়টা সিবিআইকে জানাব। চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট নই। কারণ জীবনের বিনিময়ে কিছু হয় না।এর আগে বগটুইয়ের ঘটনায় বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম জড়াচ্ছিল। আনারুল কার লোক তা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। আনারুলকে সুপারিশের বিষয় সংক্রান্ত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দেওয়া চিঠিও বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। এবার সরাসরি অভিযোগ উঠলো রামপুরহাটের বিধায়কের বিরুদ্ধে। তবে আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অভিযোগকেই পাত্তা দিতে নারাজ।

এপ্রিল ১৯, ২০২২
দেশ

ফের কংগ্রেসে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির

কংগ্রেসের ঘরে হানা দিয়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে গোয়ায় একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর আগে অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। রবিবার অসম কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রিপুন বোরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কয়েকদিন আগে রাজ্যসভার নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন বিপুন। এদিনই পূর্বাঞ্চলের এই কংগ্রেস নেতা টুইটে কংগ্রেসের সভানেত্রীকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। এই তৃণমূলযোগের ফলে উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন অব্যাহত রইল। এর আগে মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।It gives us immense joy to welcome Shri @ripunbora, who joined the @AITCofficial family in the presence of our National General Secretary Shri @abhishekaitc pic.twitter.com/qfJka4PVIq All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 17, 2022উত্তর পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত। এদিন কলকাতায় রিপুন বোরার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের পর এবার কংগ্রেসের ঘর ভেঙে অসমে সংগঠন বিস্তার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে শনিবারই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সনিয়া গান্ধিসহ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের বৈঠক হয়। প্রশান্ত কিশোর আবার তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।Extending a very warm welcome to Shri @ripunbora, a stalwart and skilled politician, who joined the @AITCofficial family today.We are extremely pleased to have you onboard and look forward to working together for the well-being of our people! pic.twitter.com/Tz0Q691Egd Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 17, 2022অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৩ ও ৪ মে মেঘালয়ে যাবেন। সেখানে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। মেঘালয়ের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্য়মন্ত্রীসহ একাধিক নেতা তৃণমূলে ভিড়েছেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন দক্ষ রাজনীতিক রিপুন বোরাকে তৃণমূল পরিবারে স্বাগত।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
কলকাতা

বিধায়কের নির্দেশ অমান্য, বেহালাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সোমনাথসহ ৭ জন পুলিশের জালে

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্তের স্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আত্মসমর্পণ করতে। তাতেই কাজ হয়নি। অবশেষে বেহালাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সোমনাথকে হাওড়ার জয়পুর থেকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এর আগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ধৃতদের একাধিক মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অভিযুক্তকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিষ্কারও করে দেয়।পাঁচ দিন আগে চড়কমেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে যায় বেহালা। অভিযোগ, সেদিন বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। ওই দিন বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক হামলা করা হয়। মহিলারাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। ওই দিন একাধিক গাড়ি, পুলকার, বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। বসতবাড়ির জানালার কাঁচও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিও চলে। পুলিশ স্রেফ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। দুদফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। আড়াই ঘন্টা ধরে এলাকায় তান্ডব চলে। দুপক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি চলে, চলে বোতল ছোড়াছুড়ি। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন। দুই পক্ষই বেহালা থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ হাজিরায় ভরসা করে বিপদে পড়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। চড়কতলার বাসিন্দাদের মধ্যে সেদিনের ঘটনার আতঙ্ক তাড়িয়ে বেরাচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তোলা আদায়ের জন্যই সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বও বেহালার এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে। বিধায়ক জানান, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার দিকে নজর রেখেছেন। বাবন অর্থাৎ সোমনাথ যেন আত্মসমর্পণ করে। তারপরেও কিন্তু বাবন আত্মসমর্পণ করেনি।সূত্রের খবর, সোমনাথ ঘটনার পর থেকেই নানান জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এক জায়গায় বেশিক্ষণ ছিলেন না। বারে বারে বদল করেছেন সিম কার্ডও। পাশের রাজ্য ওড়িশার বালাসোরে গিয়েছিলেন। তারপর দীঘার হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন। মাঝে খড়্গপুরে থেকে হাওড়ার জয়পুরে একটা অতিথিশালায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা সোমনাথসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজ্য

কোন সমীকরণে বালিগঞ্জের 'জয়'-এ চিন্তায় ঘুম উড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের?

বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে বিজেপি ফেরত বাবুল সুপ্রিয়র নাম ঘোষণার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। মুসলিম ভোটারদের একাংশ ভ্রু কুঁচকাতে থাকে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ শিল্পাঞ্চলের দাঙ্গায় মদত দিয়েছিলেন। মুসলিমদের একাংশ বাবুলকে ভোট দিতে বেকে বসেন। দু-একটা মুসলিম সংগঠন প্রকাশ্যে বিবৃতিও দেয়। তারওপর আনিস খুন, বগটুইয়ের গণহত্যার মতো জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে। শনিবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় দুটি ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী এগিয়ে গিয়েছেন, তিন ওয়ার্ডে ব্যাপক ভোট কমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। মোদ্দা কথা জয়ের ব্যাপক মার্জিন কমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের।২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোট প্রাপ্ত ভোটের ৭০.৬০ শতাংশ পেয়েছিলেন। এবার বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন প্রায় ৪৯.৬৯ শতাংশ ভোট। গত বিধানসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ছিল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট। দ্বিতীয় বিজেপি তখন পেয়েছিল ২০.৬৮ শতাংশ ভোট। এবার মোট ভোট কম পড়লেও শতাংশের হিসাবই দেখিয়ে দিয়েছে গতবারের থেকে এবারের উপনির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির ফারাক। জয়ের ব্যবধানেও ব্যাপক ফারাক হয়েছে। ৭৫ হাজারের ওপর ব্যবধান নেমে এসেছে ২০ হাজারে। দুই আসনে সবুজ ঝড়ের কথা বলা হলেও কার্যত বালিগঞ্জে তৃণমূল ভোট হারিয়েছে। এর পিছনে মুসলিম ভোটই প্রধান কারণ বলে জানিয়ে দিয়েছে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিশন। তাঁদের বক্তব্য, বালিগঞ্জে মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব আত্মসমীক্ষা করে দেখতে পারে। মুসলিমদের একাংশের ভোট তৃণমূল না পাওয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই সংগঠনের কর্তারা।রাজনৈতিক মহলের মতে, উপনির্বাচনে শাসকদলের অ্যাডভান্টেজ থাকে এটা অতীতের ফলাফলে প্রমানিত। কিন্তু বালিগঞ্জের ক্ষেত্রে এবার অন্তত সেকথা খাটছে না। সিপিএম এখানে ৩০.০৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কংগ্রেস ৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ কংগ্রেস ও সিপিএমের মিলিত ভোট প্রায় ৩৬ শতাংশ। সামনে ২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোট, ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন, ২০২৬-তে বিধানসভা ভোট। বালিগঞ্জের ধারা অব্যাহত থাকলে ভোট রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক-এ সংকট হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজনীতি

আসানসোলে সবুজ ঝড়ে উড়ল গেরুয়া শিবির, বালিগঞ্জে জয়েও আতঙ্কে তৃণমূল

রাজ্য়ের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে পরপর দুবারে জয় পাওয়া বিজেপিকে। প্রায় ২ লক্ষের ওপর ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে পরাজিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয় পেয়েছেন ২০ হাজারের ওপর ভোটের ব্যবধানে। এখানে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কিন্তু এই কেন্দ্রে যে ভাবে তৃণমূলের ভোট কমেছে তাতে ঘাসফুল নেতৃত্বের যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ ও ২০১৯-এ জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রায় ১,৯৭,৬৩৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে পরাজিত করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর আসানসোল কেন্দ্রে জয় পায়নি। এই প্রথম সেখানে জয় পেয়েছে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহা ভোট পেয়েছেন ৬,৪৬,৬৬১ ভোট পেয়েছেন শত্রুঘ্ন। প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট। অগ্নিমিত্রা পাল ভোট পেয়েছেন ৩,৫০,০১৫। শতাংশের হিসাবে ৩০%। বিজেপির প্রায় ২২ শতাংশ ভোট কমেছে গতবাবের তুলনায়।এদিকে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপিকে সরিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ২০হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে। বাবুল পেয়েছেন ৫০,৯৯৬ ভোট। সায়রার প্রাপ্ত ভোট ৩০,৯৪০ ভোট। বিজেপি গতবারে তুলনায় ৭ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে। বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন ১৩,১৭৪ ভোট। তবে এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট প্রাপ্তি কমেছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবারের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট কমায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ঘাসফুল শিবিরের।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
দেশ

কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর?

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। শনিবার দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধী, মল্লকির্জুন খাড়গে সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন পিকে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। ক্ষমতা হারিয়েছে পঞ্জাবে। এছাড়া সামনেই নির্বাচন রয়েছে গুজরাটে, তাছাড়া ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন, নানা কারণেই এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় খারপ ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরে দ্বারস্থ হয়েছিল। তারপরই তৃণমূলের কৌশল রচনার দায়িত্ব নেন পিকে। আই প্যাকের সঙ্গে জনসংযোগের নানান পন্থা অবলম্বন করে তৃণমূল। তার ফল পায় ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে। ২১৩টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। পরবর্তীতে ফের আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের চুক্তি হয়েছে। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের সঙ্গে পিকের মত-বিরোধের জল্পনার অবসান হয়। সেই ভোটকুশলী এবার দিল্লিতে বৈঠক করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? নাকি আগামি নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেসের হয়ে ভোটের কৌশল রচনা করার দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর? আগামিদিন এই প্রশ্নের জবাব মিলবে।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
রাজ্য

'ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব', তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুমকি ভিডিও ভাইরাল

হাঁসখালি থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনসহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করে সিপিএম। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লক প্রেসিডেন্ট আফরোজ সরকারের হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট শোনা যায়, তিনি বলছেন, ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা)।আফরোজ সরকারকে ওই ভিডিও-তে বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো যাবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। আমরা আছি। ধর্ষণ হলে বড়বাবু, এসপিকে বলব গ্রেফতার করার কথা। প্রমান দেখাক ধর্ষণ করেছে। সিপিএম একটা মিছিল বের করে দিয়েছে। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ঠান্ডা করে দেব। তার জন্য ডান্ডার দরকার। বেশি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলে তবে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দবে। আমি পদের ভয় করি না। যুব সভাপতিসহ নানা পদে ছিলাম, সিপিএম যদি উল্টোপাল্টা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছেলে আছি আফরোজ সরকার। এমন ঠান্ডা করে দেব বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই হুমকির পর সুড় চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, হুমকি ছাড়া কথাই বলছেন না তৃণমূলীরা। এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
রাজ্য

হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদের বিষ্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধীরা এই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসিয়ে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা ঘটনাও সকলের কাছে লজ্জার। সৌগতর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তবে তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যকে বিতর্ক সৃষ্টির প্রচেষ্টা বলে মনে করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ঘটনার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেও এমন মন্তব্য করতে পারেন।তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন, রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সকলেই চিন্তিত। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স করতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব বরদাস্ত করা যাবে না। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা ঘটনাও লজ্জার। পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে নজর রাখবেন। বিরোধীদের দাবি, একথা বলে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ। একইসঙ্গে সাংসদের এমন মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশলও হতে পারে।দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণীর ঘটনার তদন্ত ভার আদালত দিয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। আদালতের তদারকিতে হাঁসখালির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে সৌগত রায়ের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
রাজ্য

সিবিআইতে হাজিরাঃ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আপতত স্বস্তিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

আপতত স্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআইতে হাজিরার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতরে হাজির হতে হবে। এমনকী এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডেও ভর্তি হতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেয় আদালত। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা যেতে পারে। আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ফের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে।এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, কী আইনি প্রক্রিয়া চলছে তা শুনেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এর আগে এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে বলেছিলেন কুণাল। সেই বক্তব্যের জের বহুদূর পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পাল্টা কুণালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে বিজেপির বক্তব্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা খুবই জরুরি। তা হলেই সত্যের উদ্ঘাটন হবে।

এপ্রিল ১২, ২০২২
রাজনীতি

কাশীনাথ মিশ্রের আদর্শ মেনে চলার আহ্বান আশিসলালের

বাঁকুড়া বিধানসভা থেকে পাঁচবার বিধায়ক হয়েছিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কাশীনাথ মিশ্র। ২০১২-এর ১০ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াণ হয়েছিল এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। যিনি নিয়মিত বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হতেন। সাধারণের জন্য রাজনীতি করতেন। রবিবার তাঁর প্রয়াণ দিবসে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয় বাঁকুড়ায়। সমস্ত অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।রবিবার সকালে কাশীনাথ মিশ্রের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর তাঁর স্মরণে ছিল রক্তদান শিবির। এই অনুষ্ঠানে মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন প্রয়াত কাশিনাথ মিশ্রের স্ত্রী মিনতি মিশ্র। রবীন্দ্র ভবনে ওই অকৃতদার নেতার স্মৃতিচারণা করেন প্রাক্তন সাংসদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়, ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আশিসলাল সিং, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, জেলা নেতা অরূপ চক্রবর্তী ও অরূপ খাঁ, অলোক মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি দিব্যেন্দু সিনহা মহাপাত্র, সমাজসেবী অচিন্ত্য ঘোষ, লড়াকু নেত্রী বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মৌ সেনগুপ্ত, ৬ বারের কাউন্সিলর রাখী রজক, মূল আয়োজক রাহুল সেন, জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধক্ষ শিবাজী ব্যানার্জী, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতা পলাশ সাধুখাঁ।ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং বলেন, কাশীনাথ মিশ্রকে আমরা ভুলতে পারব না। তাঁর কর্মপদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাঁর আদর্শে আমরা চলতে চেষ্টা করব। তাঁর সম্বন্ধে জানতে পারলে আগামী প্রজন্মের অনেক কাজে আসবে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, কাশীনাথ মিশ্রের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও সদ্ভাব ছিল। বিধানসভায় তাঁর অংশগ্রহণ থেকে অনেকেই শিক্ষা নিতে পারেন।

এপ্রিল ১০, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতাদের বিক্রী করা ওভারলোড মাটি বোঝাই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট নিরীহ গ্রামবাসী, বিক্ষোভ

প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে অন্ধকারে রেখেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামে চলছিল পুকুরের মাটি কেটে পাচার। তৃণমূলের নেতারাই পুকুরের মাটি কেটে পাচার করাচ্ছে বলে আগে থেকেই এলাকায় গুঞ্জনও ছড়িয়ে ছিল। সেই গুঞ্জনই শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমানিত হয় শনিবার সকালে ওভার লোড মাটি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় এলাকার প্রৌঢ় বরুণ রক্ষিত(৫৮) এর মৃত্যুর ঘটনার পরেই।ঘটনা জানাজানি হতেই জৌগ্রামের শীতলাতলা এলাকায় বাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা বরুণ রক্ষিতের দেহ ও ঘাতক ডাম্পারটি আটকে রেখে দুর্ঘটনাস্থল এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জামালপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায়।মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়েও পুলিশ মৃতর পরিবার ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে। প্রায় ঘন্টা তিনেক ধরে মৃতদেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ।পুলিশ অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দিয়ে বেলা পৌনে ১২ টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই মৃত ব্যক্তির দেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে।ঘাতক ডাম্পার আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পাশাপাশি পুলিশ ডাম্পারের চালক ও খালাসির সন্ধানও চালাচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বরুণ রক্ষিতের বাড়ি জৌগ্রামের উত্তর পাড়ায়। এদিন সকালে তিনি সাইকেলে চেপে বাজার যাচ্ছিলেন। জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকায় তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মৃতর ভাগ্নে সুরজিত রক্ষিত ও এলাকাবাসী শিবু পোড়েল জানান, জৌগ্রামের জলেশ্বর তলা এলাকায় রয়েছে প্রাচীন শিব মন্দির। সেই মন্দিরের কাছেই রয়েছে বড় দেবত্তর পুকুর। বিগত তিন চারদিন যাবৎ জেসিবি মেসিন দিয়ে ওই পুকুরের মাটি তুলে ডাম্পারে লোড করে পাচার করা হচ্ছে।অজস্র মাটি বোঝাই ডাম্পার এখন সারাদিন ধরে জৌগ্রাম- রাণাপাড়া রোড দিয়ে যাতাযাত করছে। সুরজিত রক্ষিত অভিযোগে বলেন,এদিন সকালে আমার মামা বরুণ রক্ষিত সাইকেলে চেপে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন বেপরোয়া গতীতে চলা ওভারলোড মাটি বোঝাই একটি ডাম্পার আমার মামাকে ধাক্কা মারে। মামা মাটিতে পড়ে গেলে ডাম্পারের চাকা মামার মাথা উপর দিয়ে চলে যায়। মামা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।মৃতর আত্মীয় পরিজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন,এলাকার ঐতিহ্যশালী জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর সম্পতির মধ্যেই পড়ে ওই পুকুরটি। ওই দেবত্তর সম্পত্তির অন্যতম সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। তিনি ইতিপূর্বে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব সামলেছেন। এখনও অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। বাকি সেবাইত গণ অরবিন্দ বাবুদেরই আত্মীয়।এলাকাবাসীরঅভিযোগ প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য ও জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল এবং এলাকার তৃণমূল কর্মী আফজল মোল্লা নিজেদের মধ্যে রফা করে পুকুরের মাটি তুলে চড়া দামে বিক্রী করে দিচ্ছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য যাঁরা মাটি কিনছে তাঁদেরকেই এই তৃণমূল নেতারা জলেশ্বরের পুকুরের মাটি কেটে বিক্রী করেছে বলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন।এই বিষয়ে জানতে তৃণমূল নেতা তথা জৌগ্রামের জলেশ্বর শিব মন্দিরের সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি বলেন,আমি ছাড়াও আমার পরিবারে আরও তিন জন জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর সম্পত্তির সেবাইত।জৌগ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল ও আফজল মোল্লার সঙ্গে আমাদের সকল সেবাইতের একটা রফা চুক্তি হয়। সেই চুক্তিপত্রে আমিও সই করি।চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয়েছিল পুকুরের পাড় বাঁধিয়ে দিয়ে বাকি পুকুরের মাটি ওরা বিক্রী করবে।কত টাকার রফা চুক্তি হয় সেই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চান নি অরবিন্দবাবু। তবে তিনি এই কথা কবুল করেন,২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য যাঁরা মাটি কিনছে তাঁদেরকেই মৃদুলরা মাটি বিক্রী করবে বলে শুনেছিলেন। পুকুরের মাটি তুলেনিয়ে বিক্রীর ব্যাপারে ভূমি দফতরের অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপরাটা মৃদুল দেখে নেবে বলেছিল।শেষ অবধি ভূমি দফতরের অনুমোদন মৃদুল নিয়েছিল কিনা তা জানেন না বলে অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল যদিও কোন রাখঢাক না রেখে স্বীকার করে নেন, জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর পুকুরের মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে ডাম্পারে লোড করে তাঁরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসানের কাজের জায়গায় বিক্রীর জন্য তিন দিন হল পাঠাচ্ছেন। ভূমি সংস্কার দপ্তর এর অনুমোদন নেননি বলে মৃদুল কান্তি মন্ডল স্বীকার করে নেন। এই ঘটনা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতা জীতেন্দ্র নাথ ডকাল বলেন, বালি ,মাটি সবকিছু থেকেই অবৈধ ভাবে মুনাফা লোটার জন্য এখন দৌড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা।আর মুনাফালোভী নেতাদের ঠিক করা ওভারলোড মাটিবাহী ডাম্পারের চাকায় পিষে মরতে হল নিরীহ গ্রামবাসীকে। এটাই এখন বাংলার সাধারণ মানুষের ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এপ্রিল ১০, ২০২২
রাজ্য

অভিষেকের ভাষণের সময় পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে কল্যান, আপশোষ তৃণমূল কখনও আসানসোল জেতেনি

দলের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে না বলে তোপ দেগেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার আসনসোলে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে কল্যানের পাশে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখলেন অভিষেক। হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিষেকের আপশোষ তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দিন আসানসোল লোকসভা আসনে জয় পায়নি।এবার আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁকে বহিরাগত বলে দাবি করছে বিজেপি। অন্য দিকে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগত তত্বে অনড় বলতে শোনা গেল অভিষেকর ভাষণে। বরং শত্রুঘ্ন সিনার সঙ্গে আসানসোলের দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক বলে তিনি ঘোষণা করলেন। অভিষেক বলেন, এই আসন থেকে তৃণমূল কোনও দিন জিততে পারেনি। এবার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। একটা ইডি, সিবিআইয়ের নোটিশ ধরিয়ে কিছু করতে পারবে না।শ্রীলঙ্কায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে লঙ্কাকান্ড ঘটে চলেছে। ওই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। ভারতের অর্থনীতির হাল যে শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ, বলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ১৫৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার। শ্রীলঙ্কার থেকে ভারতের ২০ গুন খারাপ অবস্থা। ৬৭ বছরে ভারতের ঋণের পরিমান ছিল ৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদী ৭ বছরে ১০২ কোটি টাকা ঋণ করেছে।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসায় বাবুল সুপ্রিয়র প্রশাংসা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল জয়ের পর ফের খেলা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, বাবুল সুপ্রিয় চলে গিয়েছে তৃণমূলে। গায়ে লাগছে। যে করে হোক সিটটা জিততে হবে! আমি বলছি খেলা এখনও শুরু হয়নি। আসানসোল জেতার পর খেলা শুরু হবে। তারপর দরজা খুলব, কে কে আসবে আর কে কোথায় জিতবে আপনারা দেখবেন। তৈরি থাকুন। কী ভাবছেন তৃণমূলকে দমিয়ে রাখবেন। তাঁর ভাষণের সময় সারাক্ষণ পাশে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন কল্যান।

এপ্রিল ০৯, ২০২২
রাজ্য

কুণালের পাল্টা দিলেন ফিরহাদ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা

রাজ্যের নানা ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। বগটুইয়ের দুটি ঘটনা, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের পাশাপাশি এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই। শুক্রবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এসএসসি নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রসঙ্গে বলেছেন, যা বলার পার্থদা বলবেন। তিনি সে সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তাঁর মন্তব্যে এই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণালের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নয় বলে শনিবার স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম? তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও মন্ত্রী-নেতা অন্যায় করেনি? অন্যায় করবে না{ অন্যায় হয় না{ প্রসিডিওর মিসটেক হয় কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ। পার্থদার ক্যাবিনেটে আমিও মন্ত্রী। যদি কোনও জায়গায় হয়, তাহলে যতটা দায়িত্ব পার্থদার ততটা দায়িত্ব আমারও। সুতরাং একটা কালেক্টিভ পরিবার। ওটা আমরা কারও কাছে কারও দায় ঠেলতে পারি না। আমি আমার মন্তব্য বললাম।কোনও আড়াআড়ি ভাঙার ব্যাপার না। ক্যাবিনেটের মেম্বার কুণাল নয়। আমরা যৌথ দায়িত্ব পালন করি। সেই দায়িত্ব ক্যাবিনেটের, এটা পার্থদার ব্যাপার নয়। এতবড় ক্যাবিনেট চলে কোথায় কী হচ্ছে সেটা একজন মন্ত্রীর পক্ষে জানা সম্ভব? আমি কর্পোরেশনে থাকি কোথায় অ্যাসেসমেন্টে ঘুস নিলে আমার পক্ষে জানা সম্ভব? কোথাও ট্রেড লাইসেন্সে বেনিয়ম হচ্ছে সেটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব? পার্থদার সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে। হয় ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারি হবে। যে এনকোয়ারি হচ্ছে তা হবে।এর আগে অনুব্রত মন্ডল প্রসঙ্গেও কুণাল কটাক্ষ করেছিলেন। সেদিন তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, সিবিআই বা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তলব করলে প্রয়োজনে ৫ মিনিট আগে গিয়েছি। অনুব্রত প্রসঙ্গে তাঁর চিকিৎসক বা আইনজীবী বলবেন বলে তিনি থেমে যাননি। শুক্রবার বলেছেন, ব্রাত্য এখন শিক্ষামন্ত্রী। তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যা বলার বলতে পারবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বা মুখপাত্র মানে তিনি দলের কথাই বলছেন এটাই স্বাভাবিক। অর্থাৎ পার্টি লাইন বলাই তাঁর দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে তা পরখ করে নিতেই এমন মন্তব্য করেছেন দলের মুখপাত্র?

এপ্রিল ০৯, ২০২২
দেশ

থমকে ত্রিপুরা তৃণমূলের গতি, বিধানসভা ভোটের আগে অন্য দলে ঝুঁকছে দলের বড় অংশ

বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে রোড শো করার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের ত্রিপুরা, মেঘালয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ২৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও কোনও আসনেই জয় পায়নি ঘাসফুল শিবির। এবার লক্ষ্য উত্তর পূর্ব ভারত। কিন্তু ত্রিপুরার সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আশাহত সেখানকার তৃণমূলের বড় অংশ।তিন দিন আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের মহামিছিলে তেমন জনসমাগম হয়নি বলেই ওই অংশ দাবি করেছে। ওই মিছিলে অংশ নেননি ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা কোর কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং, প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস, দলের সংখ্যালঘু নেতা জহিরুদ্দিন শেখসহ নেতৃত্বের বড় অংশ। কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের একমাত্র কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামি ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে সংগঠনের এমন দশা হলে লড়াই তো দূরের কথা তৃণমূল হালে পানি পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু বাংলায় বিপুল জয়ের পর ত্রিপুরা অভিযানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বহু মানুষ তৃণমূলে যোগও দিয়েছিল। কিন্তু কী এমন হল যে দলের বিস্তার না হয়ে, ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে কার্যকলাপ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে।ত্রিপুরা তৃণমূলের একাংশের দাবি, সম্মান না পেয়ে দল ছেড়েছেন একমাত্র কাউন্সিলর সুমন পাল। এমনকী দলের সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে বিজেপির হাতে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের পাশেও সেভাবে নেতৃত্ব দাঁড়ায়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ। ত্রিপুরার ৮ জেলার মধ্যে ৪ জেলায় দল আশিসলাল সিংকে দায়িত্ব দিয়েছিল। অথচ মারধর খেয়ে দিল্লিতে চিকিৎসা করতে চলে যান তিনি। তাঁকেও সামান্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলে দলের একাংশে অভিযোগ।জানা গিয়েছে, ২১ দিনের নোটিশে ২০১৪-এ ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আশিসলাল সিং। ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রে ১ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি ভোট পায় তৃণমূল প্রার্থী রতন চক্রবর্তী। ত্রিপুরা পূর্বে ভৃগুরাম রিয়াং ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পায়। দুটি আসনেই তৃণমূল ছিল তৃতীয়, তারপরে চতুর্থ স্থানে ছিল বিজেপি প্রার্থী। ২০১৭-এ ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং-পুত্র আশিসলালকে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সব আসনেই হেরে যায় তৃণমূল।দলের বিক্ষুব্ধ অংশের বক্তব্য, দলবদলুরা ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ায় সংগঠন তলানিতে পৌঁছেছে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি থেকে আসা প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, দল তাঁকে ত্রিপুরায় দায়িত্ব দিলে বিজেপি-সিপিএমকে টেক্কা দেবে তৃণমূল। পাঁচ-পাঁচবার বিজেপি আশিসলাল সিংয়ের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। আশিসবাবুর দাবি, কোনও উপজাতিকে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। তাহলেই বাজিমাত করতে পারবে দল। তিনি চান ত্রিপুরা তৃণমূলের হাল ধরুক আশিস দাস। রেললাইনের পথ ঘুরিয়ে জনজাতিদের উচ্ছেদ রুখে ছিলেন আশিসলাল। সিপিএম সরকার রেললাইনের ম্যাপিং করেছিল। কিন্তু তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ১০ হাজার জনজাতিকে উচ্ছেদ হতে হয়নি। সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল-পুত্র। মাছমারায় বাঁশের সেতু লোহার সেতু হয়েছে, তাঁরই উদ্যোগে হাসপাতাল হয়েছে।এই মুহূর্তে ত্রিপুরার পাহাড়ী এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ত্রিপ্রা মথা। তবে সমতলেও প্রভাব বাড়ছে দুবছর আগে তৈরি হওয়া এই দলের। সূত্রের খবর, শচীন্দ্রলাল-কন্যা নন্দিতা সিং, শ্যামাচরণ ত্রিপুরার মেয়ে অদিতি ত্রিপুরা, শচীন্দ্রলাল সিংয়ের মন্ত্রীসভার প্রাক্তন জনপ্রিয় মন্ত্রী তসলমফা ওরফে রাজপ্রসাদ চৌধুরী-র পুত্র ভৃগুরাম রিয়াং ত্রিপ্রা মাথায় যোগ দিতে পারেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলে বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ত্রিপ্রা মথার সঙ্গে। বছর গড়ালেই বিধানসভা ভোট। তাই অনেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, আশিসলাল ব্যক্তিগত ভাবে দল ছাড়তে চাইছেন না। কিন্তু কর্মীরা ক্ষিপ্ত। সংখ্যালঘু ও পাহাড়ের তৃণমূলীরা কি সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় আছে। তাঁরা মনে করছে, এমন চলতে থাকলে আশিসবাবুও তাঁদের পথ ধরতে পারেন।ত্রিপুরার পাহাড়ের কোনায় কোনায় ঘাসফুলের পতাকা উড়েছে। এবার তা বন্ধ হতে বসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কর্মী মুজিবর মারা গিয়েছেন। তাঁকে জখম অবস্থায় নেতৃত্ব ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। মুজিব ও তাঁর স্ত্রী সেদিন টোটো করে বাড়ি যায়। জানা গিয়েছে, মামন খানকে বেধরক মারধর করা হয়েছিল। এসএসকেএম থেকে ফিরে আসছে তাঁরও খোঁজ নেয় না দল। ত্রিপুরার নন্দীগ্রামে দলের পতাকা উচিঁয়ে রেখেছে বেচারাম দাস। তাঁকে ১৫ অগাস্ট বেধরক মারধর হয়। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়, অথচ দল খবরই নেয়নি বলে অভিযোগ। আশিসলাল সিং বিজেপির কাছে মার খেল, ত্রিপুরা তৃণমূল নাকি তখনও চুপ ছিল। তৃণমূলের মহিলা নেতৃত্বও নিগৃহীত হয়েছেন। অমরপুর পাহাড়ের জঙ্গলে বাচ্চা কোলে অবস্থায় এক মহিলাকে গুলি মারা হয়েছিল। সেখানে কর্মীদের নিয়ে রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন আশিসলাল। তাছাড়া খুমলুঙে মদ্য়পরা ছাত্রদের ব্যাপক মারধর করেছিল। খুমলুঙ জ্বলছিল। অশান্ত খুমলুঙে গিয়েছিলেন আশিসবাবু। যে পার্কে সেদিন ঘটনা ঘটেছিল তা দাবি জানিয়ে বন্ধ করিয়েছিলেন তিনি। সেদিনও আগরতলা শহর থেকে কেউ যায়নি।কার্যত ত্রিপুরার দলের কর্মীরা নেতৃত্বের ওপর ভরসা হারাচ্ছে বলেই খবর। দলের ওই অংশের বক্তব্য, পার্টি অফিস হয়নি বরং বাড়িতে বাড়িতে দলের অফিস গড়ে উঠছে। সেসব জায়গায় অনেকে যেতেও পারছেন না। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের এমন দশা থাকলে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কোনও আশা না করাই ভাল। অল্প সংখ্যক ভোট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ঘাসফুল শিবিরকে।

এপ্রিল ০৯, ২০২২
রাজ্য

অনুব্রতর সিবিআইয়ে গরহাজিরা, 'খোঁচা' খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণালের

গরুপাচার কান্ডে এবারও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এড়ালেন অনুব্রত মন্ডল। এবার বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডে। তাঁর আইনজীবীরা সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত অসুস্থ তাই আসতে পারছেন না। এদিকে অনুব্রতর সিবিআই হাজিরা নিয়ে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি কখনও জেরা এড়িয়ে যাননি বলে স্পষ্ট দাবি করেছেন।অনুব্রতর সিবিআইতে হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ওনার শরীর অসুস্থ বা কেন সিবিআইতে যাননি তা তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে আমি বলতে পারি, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, থানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখনই ডেকেছে গিয়েছি। বরং নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে হাজির হয়েছি। কারণ আমি কোনও অন্য়ায় করিনি। আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে হাজির হচ্ছেন। মাথা উঁচু করে বেরিয়ে আসছেন।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সরাসরি কিছু না বললেও অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিজ্ঞ মহলের মতে, অনুব্রত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু ওই বিষয়টা বলেই থেমে যেতে পারতেন। সেখানে কুণাল পাঁচ মিনিট আগে হাজির হওয়ার কথা, নিজে অন্যায় না করার কথা ঘোষণা করেছেন, পাশাপাশি অভিষেকের মাথা উঁচু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। কেন অনুব্রতর সিবিআই-হাজিরা নিয়ে নিজের ও অভিষেকের প্রসঙ্গ টানলেন কুণাল ঘোষ, তা নিয়েই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এপ্রিল ০৬, ২০২২
রাজ্য

উডবার্ন না নিজাম প্যালেস', অনুব্রতর গন্তব্য নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে

মঙ্গলে ঊষা বুধে পা......। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বুধবার গরুপাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই তলব করেছে। সুত্রের খবর, মঙ্গলবার বারবেলায় সেই উদ্দেশ্যেই তিনি বোলপুরের বাসভবন থেকে কলকাতার উদ্দশ্যে রওনা দেন। অনুব্রত কলকাতায় পৌঁছতেই কৌতূহলী মানুষজনের একটাই প্রশ্ন। তাহলে কি অবশেষে সিবিআইয়ের ডাকে সারা দিতেই কলকাতায়? না চিকিৎসার জন্য এসএসকেএমের উডবার্ন! তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের ধারণা, বুধবার নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই তদন্তকারীদের সামনে তিনি হাজিরা দেবেন।অনুব্রত সন্ধ্যা ছটার সামান্য পরে চিনার পার্কের একটি আবাসনে আসেন। তাঁর বুধবার সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা। কলকাতায় অনুব্রত মন্ডলের উপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। চিনার পার্কের সেই আবাসনের বাইরে সাংবাদমাধ্যমের যঠেষ্ট ভিড় ছিল। তিনি এখনও পর্যন্ত কারও সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। একটা বড় অংশের মতে, অনুব্রত চিকিৎসার কারণেই কলকাতায় এসেছেন। এর আগে তিনি শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন অনুব্রত দলের কাজে কলকাতায় এসেছেন। এটি গরুপাচার মামলায় তাঁর চতুর্থ সমন। উডবার্ন না নিজাম প্যালেস বুধবারে মিডিয়ার অভিমুখ কোন দিকে থাকে তাঁর দিকেই তাকিয়ে বাংলার কৌতূহলী জনতা।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • ...
  • 53
  • 54
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal