• ২ শ্রাবণ ১৪৩২, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC MP

রাজনীতি

Arpita Ghosh Resign: ইঙ্গিত ছাড়াই আচমকা পদ ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদ

আগাম কোনও ইঙ্গিতই ছাড়াই আচমকাই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ। সূত্রের খবর, দলের নির্দেশেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যদিও ঠিক কী কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তিনি দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। তবে ইস্তফার কারণ নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। দলের কেউই এই নিয়ে মুখ খোলেননি। অর্পিতার আচমকাই এই ইস্তফার ফলে তাঁর পদ ছাড়ায় ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অর্পিতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, অর্পিতার জায়গায় নতুন কাউকে রাজ্যসভার মুখ করে সংসদে পাঠাতে পারে তৃণমূল। ঠিক যেভাবে মানস ভুইঞাঁর আসনে সুস্মিতা দেবকে পাঠিয়েছে তৃণমূল। একইভাবে জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচার করে অর্পিতার জায়গায় অন্য কেউ যেতে পারেন। অন্যদিকে, অর্পিতা সংগঠনের আবারও কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
রাজনীতি

Tripura: ত্রিপুরার রাজপথে ফুটবল খেললেন প্রসূন-শান্তনুরা

খেলা হবে দিবসে ত্রিপুরায় বল পায়ে নেমে পড়ল তৃণমূল। ফুটবল খেলতে নামলেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। রাজনীতির ময়দানে গত কয়েক বছর ধরেই তিনি গোল করছেন। এবার তারই সূত্র ধরে বাংলার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার মাটিতে ফুটবল পায়ে নেমে পড়লেন ফুটবলার-সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সাংসদ শান্তনু সেন, অর্পিতা ঘোষরাও। আরও পড়ুনঃ আজ দেশজুড়ে খেলা হবে দিবস পালনপশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যেও খেলা হবে দিবস পালন করছে তৃণমূল। তবে, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে অনুমতি মেলেনি। কিন্তু ত্রিপুরাকে এবার রাজনৈতিকভাবে পাখির চোখ করেছে এ রাজ্যের শাসক দল। সেই মোতাবেক আগরতলার ময়দানে ফুটবল পায়ে নেমে পড়তে দেখা গেল সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, সাংসদ আবু তাহের ও সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। এদিন সকালে বনমালীপুর থেকে আস্তাবল ময়দান প্রায় ৩ কিমি রাস্তা মিছিল করেন তৃণমূল সাংসদ ও কর্মীরা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে খেলা হবে দিবসের স্লোগান দিতে থাকেন৷ রাজপথেই ড্রিবল করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগরতলার রাস্তায় এমন ছবি বিগত ৩-৪ বছরে হয়নি বলেই মত তৃণমূল নেতাদের।তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় তাদের তরফে খেলা হবে দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু বহু জায়গায় তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন সকালেই খেলা হবে জার্সি পরে আগরতলার রাস্তায় নেমে পড়েন ত্রিপুরায় হাজির তৃণমূল সাংসদরা। খেলা হবে ও জিতবে ত্রিপুরা লেখা জার্সি পড়েই মাঠে নামেন তৃণমূল কর্মীরা।

আগস্ট ১৬, ২০২১
রাজনীতি

TMC: 'পদত্যাগ করিনি, তৃণমূলেই আছি', বললেন মুকুল-অনুগামী সাংসদ

আপাতত নানা জল্পনার অবসান ঘটালেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বিধানসভা ভোটের মুখে হঠাৎই বেসুরো শোনা গিয়েছিল সুনীলকে। কিন্তু এরইমধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল থেকে মোহভঙ্গ হয়ে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, অনেকেই নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে ঘাসফুলেই ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে বড় নাম মুকুল রায়।একদা মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় দেখা গিয়েছিল সুনীল মণ্ডলকে। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তাহলে কী রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূলের সাংসদ? প্রশ্ন উঠেছিল। এতদিনে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুনীল নিজেই। সাংসদ জানালেন, তৃণমূলে ছিলাম, আছি। কবে তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছি? যদিও বিজেপিকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গতি প্রাণ কাড়ল ৬ শ্রমিকেরসম্প্রতি, মুকুল রায়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন সুনীল, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ২ জনের মধ্যে বৈঠকও হয় বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠকেই হয়তো সুনীলের মনের ভাব বুঝে নিয়েছেন মুকুল। আর কাজ হয়েছে তাতেই। তাই এবার তিনি ঘোষণা করেই ফেললেন, তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেননি। দলেই আছেন ও থাকবেনও। উল্লেখ্য, গলসির ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক থেকে সুনীলের তৃণমূলে যোগদানের পিছনে মুকুল রায়ের বড় হাত ছিল। এরপর থেকেই মুকুলের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত সুনীল মণ্ডল। এরপর মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনিও হয়তো মন তৈরিই করে ফেলেছিলেন বিজেপিতে যাওয়ার। কিন্তু এরইমধ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর আপাতত সেই চিন্তাধারায় আপাতত ইতি পড়ল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল যেখানে, সুনীলও সেখানে।

আগস্ট ০২, ২০২১
দেশ

Rajya Sabha: বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন

বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য শান্তনুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল সাক্ষাৎ করেন বেঙ্কাইয়ার সঙ্গে। ওই বৈঠকে রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের সহকারী দলনেতা মুখতার আব্বাস নকভি এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভি মুরলীধরনও হাজির ছিলেন। এরপর অধিবেশন শুরু হলে শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বেঙ্কাইয়া। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশন চলবে। ততদিন সাসপেন্ড থাকবেন শান্তনু।আরও পড়ুনঃ রাজভবনে স্পিকারকে তলব রাজ্যপালেরবৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শান্তনু। তারপর তা ছিঁড়ে ফেলে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের আসনের দিকে ছুড়ে দেন। সে সময় পেগাসাস স্পাইওয়্যারের সাহায্যে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে বক্তৃতা করছিলেন অশ্বিনী।শান্তনুকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্যও প্রয়োগ করেছিলেন। ডেরেকের প্রশ্ন, অন্য অভিযুক্ত (হরদীপ) কেন ছাড় পেলেন? তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।

জুলাই ২৩, ২০২১
দেশ

Rajya Sabha: তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর হাতের কাগজ ছিঁড়লেন শান্তনু সেন

পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে বৃহস্পতিবারও উত্তাল হল সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্য রাখার সময় তাঁর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। ফলে বক্তব্য শেষ করতে পারেননি তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী। এর বদলে তিনি বক্তব্য জমা দেন।এদিন রাজ্যসভায় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। এরই মধ্যে মন্ত্রী বলতে শুরু করেন, ১৮ জুলাই, ২০২১-তে একটি ওয়েব পোর্টালে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগের দিন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। এটা কাকতালীয় হতে পারে না। সংশ্লিষ্ট সবপক্ষই এই প্রতিবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আমি সব সদস্যকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এরপরেই মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেন তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্শালদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সব সদস্যকেই অসংসদীয় আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এরপর হট্টগোলের জেরে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি। আরও পড়ুনঃ ফের লাগামহীন সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত ৪১ হাজার২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজও বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। মমতা বলেছেন, পেগাসাস ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি। এভাবে হিটলারি কায়দায় কতদিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখবে? কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। শুনেছি, আরএসএসের অনেকের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। ফোনে প্লাস্টার লাগিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করছি। কালীঘাটের অফিসে সুব্রত বক্সি, অভিষেক, পিকের সঙ্গে মিটিং করছিলাম। আমরা ফোনে কথা বলিনি, তাও পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। পিকের ফোন অডিট করে দেখেছে, মিটিংয়ে কী আলোচনা হয়েছে, সব রেকর্ডিং হয়েছে। আমরা ফোনে কথা বলিনি, তাও সব রেকর্ডিং হয়ে গিয়েছে। অভিষেক, পিকে, আমারও ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। এত কিছুর পরেও লজ্জা নেই। তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধেই ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ করেছেন।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

সেফ হোম ও কমিউনিটি কিচেন খুললেন নুসরত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটে রোগ মোকাবিলার পথে হেঁটেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই উঠছে হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের আকালের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের ভাল রাখার উদ্যোগ অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের। ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজে সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খুললেন তিনি।বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের এহেন উদ্যোগকে নেটদুনিয়ায় কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। করোনা কালে এই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খোলার ভাবনা সত্যিই যথেষ্ট ভাল বলেই জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে অনেকেই আবার তাঁর এই কাজের সমালোচনাতেও মুখর। সাংসদ হিসাবে নুসরত সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি বলেই দাবি তাঁদের। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। মুসলমান পরিবারের সন্তান হয়ে শাঁখা, পলা পরা হোক কিংবা সাহসী পোশাকে ফটোশুট বারবার নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হন বসিরহাটের সাংসদ। প্রতিবারের মতো এবারও সমালোচনায় কান দিতে নারাজ নুসরত। পরিবর্তে বসিরহাট বিধানসভার প্রতিটি কেন্দ্রে সেফ হোম তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হত না বলেও জানিয়েছেন নুসরত। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে কোভিডবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মে ২৩, ২০২১
রাজ্য

আইকোর মামলায় এবার মানস ভুঁইঞাকে তলব ইডির

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার ভুয়ো আর্থিক সংস্থা আইকোর মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব পেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা। সূত্রের খবর, তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে ওই নোটিসে। পাশাপাশি, একই মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছে মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রকে। তাঁকে ২৩ তারিখ ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইডির এই নোটিস প্রাপ্তি নিয়ে কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।এর আগে বুধবার রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আগামী সপ্তাহে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই আইকোর মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে তিনি পরে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, আইকোরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও বাপ্পাদিত্যকে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। চিটফান্ড সংস্থাটির সঙ্গে তাঁদের আর্থিক কোনও লেনদেন ছিল কি না, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবার আইকোর মামলায় ইডির সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মানস ভুঁইঞাও। তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তৃণমূলের আরেক নেতা মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এভাবে বিভিন্ন মামলায় শাসকদলের নেতাদের স্ক্যানারে এনে চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। আইকোর মামলায় ইডির নোটিস পেয়ে কি মানস ভুঁইঞা সরাসরি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন নাকি অন্যভাবে সাড়া দেবেন, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
কলকাতা

ফের বেসুরো শতাব্দী

এবার ফের কিছুটা বেসুরো শোনা গেল শতাব্দী রায়কে। দোড়গোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মসনদ দখলে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলই। ফলে নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তারা। কারণ, প্রতিপক্ষকে বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নয় কেউ। তৃণমূল একশো শতাংশ আশাবাদী যে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিয়ে সেই প্রার্থনাই করলেন শতাব্দী রায়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। লাগাতার দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী বলেন, যাঁরা সম্মান পাচ্ছেন না, তাঁরা দল ছাড়ছেন। দলের উচিত তাঁদের কথা ভাবা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা। অর্থাৎ ফের বেসুরো শতাব্দী। যদিও এহেন দলবিরোধী মন্তব্যের পাশাপাশি সাংসদ বলেছেন, দলের কর্মীদেরও উচিত এই খারাপ সময়ে নেত্রীর পাশে থাকা। মান-অভিমানের পালা মিটে যাওয়ার পর কেন দলবদল নিয়ে এহেন মন্তব্য করলেন শতাব্দী? তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শতাব্দীর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমরা সবাই তৃণমূলের হয়ে লড়ছি। যাঁরা নিজেদের স্বার্থে দলে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

মার্চ ০৫, ২০২১
দেশ

"দল ছেড়ে ভালই করেছেন, নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন"

নাটকীয় ভাবে তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদপদও ছেড়ে দিয়েছেন। বস্তুত, রাজ্যসভাতেই তাঁর ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন দীনেশ। বলেছেন, আমার রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। অথচ আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমি রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমি থেকে আসা মানুষ। তাই এটা আমি আর দেখতে পারছি না। আমি একটি দলে আছি। তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। এর চেয়ে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় গিয়ে কাজ করা ভাল। তাঁর আরও বক্তব্য, আমি আমার অন্তরের ডাক শুনেছি। সকলকেই কখনও না কখনও অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়।পাশাপাশিই দীনেশ বলেছেন, আমি তৃণমূল ছাড়ছি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। জল্পনা, অতঃপর বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন দীনেশ। দীনেশের ওই ঘোষণা শুনে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান দীনেশকে বলেন, এ ভাবে ইস্তফা দেওয়া যায় না। এর একটি পদ্ধতি আছে। আপনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিন। দীনেশ যে ভাবে আচম্বিতে দল এবং রাজ্যসভার সাংসদপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে চমকিত তৃণমূল। যদিও সংসদে দীনেশের সতীর্থ প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, উনি ছেড়ে দেওয়ায় আমরা দুঃখিত। দীনেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন আলোচনায় তিনি আমাকে সে কথা বলেছিলেন। দিল্লির কিছু নেতাকেও বলেছিলেন। তবে উনি যে এ ভাবে দল ছেড়ে দেবেন, সেটা সম্পর্কে কোনও ধারণা আমাদের ছিল না। বস্তুত, দীনেশ নিজেও কোনও পরিচিত মহলেই দল ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে তৃণমূলে থেকে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই দীনেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি টুইটকে রিটুইট করেছিলেন। যা থেকে তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। জিতেছিলেন অর্জুন সিং, যাঁর সঙ্গে জেলার রাজনীতিতে তাঁর দ্বন্দ্ব সুবিদিত। অর্জুন অবশ্য দীনেশের তৃণমূল ত্যাগের কথা শুনে প্রাক্তন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিজেপি-তে স্বাগত জানিয়েছেন। দীনেশের পদত্যাগে তাঁর রাজ্যসভার সতীর্থ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ওঁর যখন দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তখন দল ছেড়ে ভালই করেছেন। নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু একটা বিষয়ে খটকা লাগছে। যখন রাজ্যসভায় আমাদের দলের বলার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন চেয়ারম্যান কেন ওঁকেই বাজেট নিয়ে বলতে দিলেন! এটা তো নজিরবিহীন। সেই সময়েই সুযোগ পেয়ে উনি গোটা দেশের সামনে ওই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের ধারনা, ওঁকে কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।আরও পড়ুন: দিনভর বামেদের হরতালে কী ঘটল বাংলায়? পড়ুন

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
দেশ

'দম বন্ধ হয়ে আসছে', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, পদ্মশিবিরে যোগ?

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন অধিবেশনেই। শুক্রবার দীনেশ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলায় মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। এভাবে আর চুপ করে থাকা যায় না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। আমি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। হঠাৎই তাঁর এই ঘোষণায় হইচই শুরু হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে তিনি কি পদ্মশিবিরে যোগ দিতেচলেছে? এ দিন দীনেশ ত্রিবেদী বিবেকানন্দের উক্তি ও পড়ে শোনান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা রাজ্যসভায় বসে আছি। অথচ মানুষের উপর যে অত্যাচার, অন্যায় হচ্ছে তার জন্য কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি একেবারেই অসন্তোষের কথা বলেননি তাও নয়। তবে নির্বাচনের মুখে এভাবে দল ছেড়ে চলে গেলে অসুবিধা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদ পদত্যাগ করায় বেজায় খুশি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিও স্বাগত জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। উল্লেখ্, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজনীতি

রাজ্যে বিজেপিতে বিধায়ক ২৭জন!

এই মূহুর্তে বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা কত? সংখ্যাটা শুনলে হিসেব গুলিয়ে যেতে বাধ্য। অন্য দল থেকে যোগ দেওয়ার পর এরাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭-এ। যোগদানকারীদের মধ্যে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। তবে সব থেকে বেশি বিধায়ক এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। এছাড়া রাজ্যের তিনজন প্রাক্তন মন্ত্রী যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি মাত্র ৩ আসনে জয় পেয়েছিল। খড়্গপুর থেকে জয় পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার জন্য বিধায়ক পদ ছাড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তখন বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুইয়ে। তারপর ২০১৯ উপনির্বাচনে আরও ৪ আসনে জয়লাভ করে পদ্মশিবির। মোট বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৬-এ। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এখন সেই দলে রয়েছে মোট ২৭ জন বিধায়ক। আর দুজন প্রাক্তন বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।তৃণমূল থেকে ১৫জন বিধায়ক এসেছেন পদ্মশিবিরে। কংগ্রেস থেকে ৩জন। ২জন সিপিএম থেকে ও সিপিআইয়ের ১ জন। এর মধ্যে দিপালী বিশ্বাস সিপিএম থেকে ভায়া তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের দুলাল বর তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলে যোগদান করে এখন বিজেপির বিধায়ক ২৭ জন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় কীনা সেটাই দেখার।কংগ্রেস এখনও বিধানসভায় বিরোধী দল। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক লিখিতভাবে কংগ্রেসে থাকলেও তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে এখন কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কত? তা বলতে হিমসিম খাবে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলে একদিকে যেমন অন্য দল থেকে বিধায়ক এসে যোগ দিয়েছে, ঘাসফুল থেকেও একটা অংশ বিজেপিতে গিয়ে ভিড়ছেন।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

আদিবাসী ও মতুয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে একবারও কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি অমিত শাহঃ অভিষেক

রাজ্য সফরের দু দিনেই আদিবাসী ও মতুয়াদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার আদিবাসী ও মতুয়াদের বাড়িতে খাওয়া নিয়ে অমিত শাহকে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি টুইটে লিখেছেন , তফসিলি ও সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে একবারও কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করা হয়নি। এটাই অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের নেপথ্যের বাস্তব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- আপনি কি শুধু ছবি তুলতে এখানে এসেছেন? আরও পড়ুন ঃ বাগুইআটির মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন অমিত শাহের উল্লেখ্য , এর আগে অমিত শাহের মিছিল চলাকালীন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কানহু মুর্মুর মূর্তি ভাঙারও অভিযোগ ওঠে। বাঙালি কি এটা পাওয়ার যোগ্য ? এদিন তৃণমূলের তরফ থেকে এই প্রশ্ন তোলা হয়। অন্যদিকে , বৃহস্পতিবার বীরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করার বিষয়েও অমিত শাহকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। প্রসঙ্গত , বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে যে মূর্তিকে ভগবান বীরসা মুণ্ডার বলে মালা দিয়েছেন অমিত শাহ , জানা গিয়েছে তা আসলে এক অজ্ঞাত পরিচয় আদিবাসী শিকারীর মূর্তি। যদিও ভুল বুঝতে পেরেই পরে বীরসার একটি ছবি এনে মূর্তির নীচে রাখা হয়। অমিত শাহ তাতেই মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আবারও বহিরাগত একই কাজ করলেন। অন্য একজনের মূর্তির পায়ের কাছে ভগবান বীরসা মুণ্ডার ছবি রেখে মাল্যদান সত্যিই অপমানকর। এই ধরণের আচরণে বাংলার সংস্কৃতি উপেক্ষিত। তিনি কি কখনও বাংলাকে সম্মান করবেন? টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ট্যাগ করা হয়েছে।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
রাজনীতি

দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে ইয়েচুরীদের নাম, প্রতিবাদে সিপিআইএম, সরব মহুয়া

দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরী, জয়তী ঘোষ, অপূর্বানন্দ, জয়তী ঘোষ, রাহুল রায়ের নাম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। এর তীব্র সমালোচনা করে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সুজন চক্রবর্তী টুইটে লিখেছেন, মোদী-শারা ভয় পেয়েছে, তাই সীতারামদের ভয় দেখাতে চাইছে। এতই সহজ? দেশের শাসকরা সংবিধান মানে না। সমগ্র অধিকারগুলোকেই তছনছ কতে চায়। ওদেরই উচ্ছেদ করতে হবে। এটাই নাগরিক কর্তব্য। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের হাতে। তাই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন, দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে সীতারাম ইয়েচুরী, যোগেন্দ্র যাদবদের নাম থাকলেও কপিল মিশ্রর ব্যাপারে নীরব। আমি নিশ্চিত বিজেপি সরকার নতুন করে ইতিহাসের পাঠ্যবই লিখবে, যেখানে গুজরাট দাঙ্গার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে জওহরলাল নেহরুর নাম রাখা হবে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal