• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Scheme

রাজ্য

লোকসভা নির্বাচনের আগে কল্পতরু বাজেট মমতার, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি দ্বিগুণ

রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য মন্ত্রীরা। শুরুতেই বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করল রাজ্য। বাড়ানো হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দ। এতদিন দেওয়া হত ৫০০ টাকা করে। এখন হবে ১০০০ টাকা করে দেওয়া বলে ঘোষণা করেন অর্থ মন্ত্রী। নতুন ঘোষণায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াল আরও ৪ শতাংশ। বছরে ৫০ দিনের কাজ নিশ্চিতে নয়া উদ্যো মমতা সরকারের কর্মশ্রী প্রকল্প। যা আগামী মে মাস থেকে চালু হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের বিকল্প কর্মশ্রী।চন্দ্রিমার বাজেট পেশের মাঝেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও বিরোধীরা না থামলে উঠে বলতে শুরু করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, এটা বিজেপির পার্টি অফিস না। এটা বিধানসভা।কর্মশ্রী নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে বেকারদের জন্য। বাজেটে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগে ব্যয় বরাদ্দ ২.২৭০.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ। সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৫.৫৩৯.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, বাজেটে ঘাটতি সাত কোটি টাকা। রাজস্ব ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে।বাজেটে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া বাবদ ৩৭০০ কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। জব কার্ড আছে এমন শ্রমিকরা পাবেন এই টাকা। আবাস যোজনার টাকার জন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করব। তার পরও কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে বাজেট ঘোষণায় বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মিড ডে মিল রাঁধুনিদের মাইনে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা করা হল।সিভিক, গ্রীন পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি হয়েছে। গ্রিন পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভাতা আরও হাজার টাকা করে বাড়ল। অবসরকালীন সময়ে ২ লক্ষ টাকা সুবিধা পেতেন। সেটা বেড়ে ৫ লক্ষ টাকা হল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৩.৬৬.১১৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজ্য

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বকেয়া আদায়ে তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ চিঠি মোদি সরকাকে

এবার দিল্লির বুকে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছে তৃণমূল। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার কাজের টাকা মিলিয়ে বাংলার মোট ১৫ হাজার কোটি বকেয়া টাকা মোদী সরকার আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। জোড়া-ফুলের দাবি, এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের বহু গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সেই ভুক্তভোগী মানুষদের চিঠি দিল্লিতে নিয়ে যেতে চলছে তৃণমূল।মঙ্গলবার তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলার থেকে বান্ডিল বান্ডিল চিঠির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবির সঙ্গেই লেখা রয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে বাংলার মানুষ! বিজেপি মনরেগা এবং আবাস যোজনার অধীনে বাংলার জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা নির্মমভাবে আটকে রেখেছে। এর ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তাদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে। ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বাংলা লড়াই করবে।দলের সেই এক্সবার্তা শেয়ার করে পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, যা আমাদের অধিকার তা দাবি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গণতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতাই সর্বোচ্চ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বঞ্চিত মানুষদের সব চিঠি এসে জমা হয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। এই চিঠিগুলিই পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে।গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ১ অক্টোবরই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ চালাবে ঘাসফুল শিবির। সেই আন্দোলনের মাত্রা কেমন হবে? এ দিন চিঠির ছবি প্রকাশ করে যেন সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ, ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মালদায়

মালদা, ২১ ডিসেম্বর। সরকারি প্রকল্পে বাংলা আবাস যোজনায় তালিকা তৈরি নিয়ে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীদের নাম। কিন্তু প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকায় নাম নেই। যাদের পাকা বাড়ি নেই। কাটমানি দিতে না পারায় নাম নেই অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী শতাধিক গ্রামবাসীরা। বুধবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাটা এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে রাজ্য সড়কে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। এদিন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ফেশান আলি সহ একাধিক নেতার, সরকারি কর্মচারীর এবং যাদের পাকা বাড়ির রয়েছে তাদেরও। কিন্তু যাদের পাকা বাড়ি নেই, দরিদ্র পরিবার তাদের কারোর নাম নেই। তারা কাটমানি দিতে পারে নি বলে নাম নেই এমনটাই দাবি বিক্ষোভকারীদের। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ভোট বয়কট করা হবে বলেও জানিয়েছে বিক্ষোভকারী দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। অপরদিকে তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও একই অভিযোগে বিক্ষোভ। পঞ্চায়েতের কার্য্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা।হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, এরকম ঘটনার বিষয় যদি ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন অবশ্যই তা তদন্ত করে দেখবে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না হবে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনায় নেতা নেত্রীদের নাম প্রত্যহারের পালা অব্যহত

রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা নেতা নেত্রী ও তাঁদের পরিবারের নাম প্রত্যহার পালা অব্যহত। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পর এবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তার ছেলের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন।সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময় মালিকের নাম থাকায় তিনি তা বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন বুধবার। তিনি পরিবারের অভিভাবক। তাই তিনি তালিকা থেকে তন্ময়ের নাম বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন বলে তিনি জানান।ছোটো একটা ভাঙা মাটির বাড়িতে থাকতেন পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময়। সেখানকার ভিআরপিদের সাহায্যে তিনি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ থাকায় নিজের বাবার দেওয়া জমি বিক্রি করে কয়েক দিন আগেই বাড়ি তৈরি করেন পাট্টা পাওয়া জায়গার উপর। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাংলার আবাস যোজনায় পার্বতী ধারা মালিকের ছেলের নাম আসে। যেহেতু ছেলের বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে তাই তিনি এই প্রকল্প থেকে তার ছেলের নাম বাদ দিয়ে দেন। তিনি চান অসহায় দুঃস্থ মানুষরা আবাস যোজনার সুযোগ পাক। এখানে উল্লেখ্য গত সোমবার রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহান্ত তার নিজের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেন তিনি নিজেই।মঙ্গলবার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের রায়ান ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যা ফতেমা বিবি সেখও একই পথে হাঁটেন।আবাস যোজনা তালিকায় নাম ছিল ফতেমা বিবি সেখের।তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেন।আর বুধবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকও নাম তালিকা থেকে বাদ দেন তার ছেলের। তবে লাগাতার আবাস যোজনার তালিকা থেকে শাসকদলের নেতানেত্রীদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ যে সত্যি তা পরিস্কার হল। হৈচৈ হয়েছে বলেই এখন তৃণমূল নেতারা তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে সাধু সাজছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ সব চালাকি বুঝতে পারছেন।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ২০১৬-১৭ সালে আবাস যোজনার বাড়ির জন্য সার্ভে করা হয়। তখন অনেকেরই মাটির বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন অনেকেই পাকা বাড়ি করেছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী নাম বাদ যাবে। অনেকেই আগেভাগেই নাম তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। এতে দোষের কি হল। বরং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই তারা এই পথ বেঁচে নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজেই কাটালেন তাঁর নাম, কটাক্ষ বিরোধীদের

এযেন উলোট পূরাণ। আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকায় সেই নাম নিজেই কেটে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত।যেখানে আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ছেন আইসিডিএস ও অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। পাকা বাড়ি থাকা স্বত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের নাম আবাস যোজনায় তালিকায় আছে। সেই নিয়ে সার্ভে করতে গিয়েই অশান্তি হচ্ছে। রোষের মুখে পড়ছেন সার্ভের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। কোথাও কোথাও আবার সরকারি আধিকারিকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।জেলার খণ্ডঘোষের ব্লকের শাঁখারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের পেল্লায় চারতলা বিশাল বাড়ি। তবু্ও তার নাম আবাস যোজনা তালিকায় জ্বল জ্বল করছে। প্রথম দিকে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেননি উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ, অভিযোগ বিরোধীদের। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ হওয়ায় ব্লকের বিডিও তালিকা থেকে জাহাঙ্গীর সেখের নাম বাদ দেন।এখানে অবশ্য রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত ঠিক উল্টো পথেই হেঁটেছেন। তালিকায় তার নাম দেখে নিজেই নাম কেটে দেন। তিনি বলেন, আগে যখন সার্ভে করা হয়েছিল সেই সময় তার কোনও পাকা বাড়ি ছিল না। ছিল মাটির বাড়ি। সেই সময় সার্ভে করতে গিয়ে ছবি তোলা হয় এবং সেই অনুযায়ী এবার আবাস যোজনার তালিকায় নামও আসে তার। কিন্তু রায়না ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্বদের সাহায্যে বর্তমানে তার একটি পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তার যেহেতু পাকা বাড়ি মাথার ছাদ সবটাই রয়েছে তাই তার জায়গায় যাতে অন্য আরেকজন দুঃস্থ অসহায় মানুষ আবাস যোজনার তালিকায় আসতে পারেন সেই জন্য তিনি নিজের নাম সোমবার কেটে দেন। তবে বিরোধীরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ঠেলায় পড়েই নাম কাটতে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলে দাবী করেন জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনা’র স্বচ্ছতা বাড়াতে এবার অভিযোগ জমা নেওয়ার উদ্যোগ জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা'র

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে যেকোনো ধরনের অভাব, অভিযোগ এবার জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরেরই জানানো যাবে। সেই উদ্দেশ্যেই পূর্ব-বর্ধমানের জেলাশাসক সহ জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরের সামনেই বসানো হল অভিযোগ বক্স।জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত প্রায় ৭৩৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার বেশীরভাগটাই যোজনায় অন্তর্ভুক্তকরণের। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ গুলোও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার নাম নথিভুক্ত আছে। যে তালিকা আবার নতুন করে প্রশাসনিকভাবে যাচাই করার কাজ চলছে। মূলত বিডিও ও এসডিও স্তরে দুবার যাচাইয়ের পর ফের তৃতীয়স্তর হিসাবে এডিএম স্তরে সেই তালিকা যাচাইয়ের পরই ফের নতুন তালিকা তৈরী করা হবে।রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির ও স্বজনপোষণের অভিযোগের শেষ নেই। এবং তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজাও কম হচ্ছে না। এরই মাঝে জেলাপ্রশাসনের তরফে অভিযোগ বক্স বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ফের রাজনৈতিক চাপানউতর।জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এরপর এত অভিযোগ প্রতিদিন জমা পড়বে, প্রশাসনের আধিকারিকরা নাজেহাল হবেন। কারণ গরিব মানুষজনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় নেই। যারা প্রকৃত দাবীদার তাদের নাম শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বাদ দিয়ে নিজেদের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করেছেন। এই দাবী আমরা প্রথম থেকেই করে আসছি। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ নিয়ে আমরা অভিযোগ করেছি বারে বারে। তখন তৃণমূল কান দেই নি। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তাই বক্স করছে প্রশাসনিক দপ্তরে। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে এতদিন মিথ্যে অভিযোগ করছিল রাজ্য সরকার ও তৃণমূল। এখন তা প্রমাণিত হল। আইসিডিএস কর্মী সার্ভে করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা তাদের আক্রমণ করছে। হুমকি দিচ্ছে।অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন,যখন সার্ভে হয়েছিল তখন তার পাকা বাড়ি ছিল না। এখন ২০২২ সালে আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম আছে। এতে বেনিয়মের কি আছে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখে তবেই তো নাম থাকবে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে গিয়ে নাম কাটাচ্ছেন।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনার তালিকায় উপপ্রধানের নাম! তাঁর বিলাসবহুল অট্টালিকা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হতেই বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর পড়লো পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। বাম ডান সব আমলেই স্বজনপোষণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ হয়েছে। শাসকদলের নেতারা কমবেশি অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতার জাহির করেছেন।কিন্তু খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর গ্রামে চুরি নয় রীতিমত পুকুর চুরি বললেও কম বলা হবে। এককথায় ডাকাতি হয়েছে। তাই নিয়ে সরব হয়েছেন শাসকদলের একাংশ।শাঁকারি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ। গ্রামেই রয়েছে তার বিলাসবহুল চোখ ধাঁধানো চারতলা ইমারত। তবুও সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের স্ত্রী সীমা সেখের নাম রয়েছে। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি তার মৃত বাবা সেখ মহসিন, ভাই আমনগীর সেখ ও আর এক ভাই আজমগীর সেখের নামেও আবাস যোজনার বাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। গোল বেঁধেছে এখানেই। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ তারা গরিব হলেও তারা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন না। তাদের মাটির বাড়ি আছে,কারো মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে। তবুও তাদের নামে আবাস যোজনার বাড়ি আসে নি।শাঁকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলী খাঁ বলেন, আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় নি।আমাকে পুরোপুরি নিক্রিয় করে রাখা হয়েছে। উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ নিজের খুশী মত সব ঠিক করেছে।এখানে আমার কোন ভূমিকাই নেই। এই বিষয়ে আমি উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলাম।এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সাফাই তিনি দলের কাজে ব্যস্ত থাকেন।অফিসে খুব একটা যান না। কে বা কারা এই লিস্ট করেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি তার নজরে আসা মাত্র নাম বাতিলের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান। খণ্ডঘোষের বিডিও সত্যজিৎ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই সব নাম বাতিল করা হয়েছে।জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পাকা বাড়ি থাকলে বা আর্থিক অবস্থা ভালো হল তিনি আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন না। এই ক্ষেত্রে কি ভুল ভ্রান্তি হয়েছে প্রশাসন তা দেখছে। আর এটা আগেকার তালিকা।এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। চারতলা বাড়ির মালিক অথচ তার নামে আবাস যোজনার বাড়ি আসছে।প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

ডিসেম্বর ১০, ২০২২
রাজ্য

মৃত ব্যক্তির নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে টাকা লুট - ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত

কেউ মারা গিয়েছেন প্রায় আট বছর আগে। আবার কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাতে আর কি যায় আসে বাংলা আবাস যোজনার অর্থ লুটেরাদের।কাগজে কলমে এই সকল মৃত ব্যক্তিদের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে লুট কে নেওয়া হল সেই ঘরের টাকা। এমন ঘটনা জানাতে পরেই সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের বিডিও-র দ্বারস্থ হলেন মৃতর পরিজনরা। তাঁরা এই দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ব্লক প্রসাসন অভিযোগের তদন্ত করে কি ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই এখন তাকিয়ে মৃতর পরিজনরা।বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এমটা নয়।চার দিন আগেই কিছু প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো ব্যক্তি বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিডিও কে অভিযোগ জানান। নান্দাই পঞ্চায়েতের দুপসা গ্রাম নিবাসী প্রতিবন্ধী মহসীন মণ্ডল ওই দিন প্রশাসনকে জানান ,কাগজে কলমে তিনি বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন ঠিকই।কিন্তু ঘরের টাকা তিনি পান নি। দুর্নীতি করে তাঁর আই ডি নম্বর ব্যবহার করে ঘরের টাকা অন্য ব্যক্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিতে নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রধান ও গ্রাম সদস্য যুক্ত বলেও ওই দিন প্রশাসনকে জানান মহসীন মণ্ডল। একই দিনে নান্দাই পঞ্চায়েতের আশ্রম পাড়া নিবাসী বুলু দেবনাথও একইরকম অভিযোগ এনে ওই বিডিওর দ্বারস্থ হন। তিনিও বাংলা আবাস যোজনায় এই আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার কে কাঠগড়ায় তোলেন।এই ঘটনার পর চার দিন কাটতে না কাটতে এদিন ফের বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আরো চঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন একাধীক বাসিন্দা। স্থানীয় দুপসা গ্রাম নিবাসী ভ্যাবল মোল্লা এদিন বিডিওকে জানান, তাঁর মা নুরনাহার বিবি ১০১৪ সালের ৩০ জুলাই মারা গিয়েছেন। তার পর কাগজে কলমে তাঁরা মায়ের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হয়। কিন্তু ঘরের টাকা তাঁরা কেউ পান নি। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর মায়ের নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা অন্য জন হাতিয়ে নিয়েছেন। ভ্যাবল মোল্লা ছাড়াও স্থানীয় কুতিরডাঙা মিবাসী শিখা মধু এদিন বিডিওকে অভিযোগে জানান, তাঁর বাবা মহাদেব মধু ২০১৭ সালে মারা যান। তার পরে তাঁর বাবার নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হলেও ঘরের টাকা তাঁরা পান নি। জালিয়াতি করে অন্যজন তাঁর বাবার নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুই জন ছাড়াও কুতিরডাঙা নিবাসী সুশীলা বিশ্বাসও একই ধরণের অভিযোগ করেছেন। এমন কি প্রকৃত গৃহহীন কে বঞ্চিত রেখে দোতলা বাড়িতে বসবাস করা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি নিজের স্ত্রীর নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে এদিন অনেকে অভিযোগ করেছেন।এদিকে বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে একের পর এক এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসতেই মুখ লুকিয়েছেন নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুর ঘোষ ও উপ-প্রধান লিয়াকত শেখ। বিষয়টি নিয়ে এদিও তাঁরা কেউই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না । বিডিও (কালনা- ১) সেবন্তী বিশ্বাস এদিন জানান, অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে তদন্তে খুব তাড়া তাড়ি সত্য সামনে আসবে। তদন্তে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এপ্রিল ২৬, ২০২২
রাজ্য

Kanyashree: 'মনগড়া' রিপোর্ট জমা দেওয়ায় কন্যাশ্রী ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছাত্রী

বিয়ে না হওয়া সত্ত্বেও কনাশ্রী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদনকারী বিবাহিত বলে মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে দেন বুথ লেবেল অফিসার। আর সরকারী দফতরে জমা পড়া এমন ভুয়ো রিপোর্টের জন্যই কন্যাশ্রী ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হল এক ছাত্রী। সরকারি কাজে আধিকারিকের গাফিলতির এমন নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। ঘটনার বিহিত চেয়ে ছাত্রী মণিমালা মণ্ডল নিজেই বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পাবার পরেই নড়ে চড়ে বসেছেন ব্লক প্রসাসনের কর্তারা। শুরু হয়েছে ভুল শুধরে ওই ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া। ছাত্রী মণিমালা মণ্ডলের বাড়ি জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতর উত্তর মোহনপুর গ্রামে। তাঁর বাবা বিশ্বনাথ মণ্ডল পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। মা পূর্ণিমাদেবী সাধারণ গৃহবধূ। দাদা মহাদেব মণ্ডল টোটো চালান। এমন অভাবী পরিবারের মেয়ে মণিমালা ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়ার প্রতি অত্যন্ত সচেতন। জামালপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সফল ভাবে মাধ্যমিক পাশ করার পর সে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ার জন্য জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর মণিমালা এখন জামালপুর মহাবিদ্যালয়ে বি.এ প্রথম বর্ষে পাঠরত। কন্যাশ্রী ভাতা পাবার জন্য ২০২০ সালে সে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করে। সহপাঠীরা সকলে কন্যাশ্রী ভাতা পেয়ে গেলেও বঞ্চিত থাকে মণিমালা। কি কারণে কন্যাশ্রী ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হল তা জানতে কয়েকদিন আগে মণিমালা বিডিও অফিসে যায়। ব্লকের কন্যাশ্রী আধিকারিকের মুখ থেকে সব ঘটনা শোনার পর তাঁর মাথায় হাত পড়ে যায়।বিডিওকে লিখিত ভাবে মণিমালা জানিয়েছে, ২০২০ সালে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সে কন্যাশ্রী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু সে ভাতার টাকা পায়নি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে সে ২৭ ডিসেম্বর ব্লকের কন্যাশ্রী বিভাগের আধিকারিকের কাছে যায়।ওইদিন কন্যাশ্রী আধিকারিক তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাই সে আর কন্যাশ্রী ভাতা পাবে না। মণিমালা ওই দিনই বিডিওকে জানায়, তাঁর বিয়েই হয়নি। মিথ্যা রিপোর্ট তাঁর সম্পর্কে সরকারী দফতরে পেশ করা হয়েছে। রিপোর্ট যে সম্পূর্ণ মিথ্যা সেই কথা মণিমালার বাবা বিশ্বনাথ মণ্ডল ও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রুপালি বিশ্বাসও লিখিত ভাবে বিডিওকে জানিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেছেন, এমন রিপোর্ট কে, কি উদ্দেশ্যে দিয়েছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি অঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরাও বিদ্যালয়ের তরফে খোঁজ নিয়ে দেখেছি ছাত্রীটির আদৌ বিয়ে হয়নি। তা সত্ত্বেও কাদের মাধ্যমে এমন রিপোর্ট জমা পড়লো সেটাই আশ্চর্যের । বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদনকারী ছাত্রী মণিমালা মণ্ডলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে বুথ লেবেল অফিসারের( বিএলও)তরফে রিপোর্ট জমা পড়ে।সেই কারণে ছাত্রীর আবেদন বাতিল হয়। তবে ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ার পর বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গিয়েছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল তা সঠিক নয়। ছাত্রীটি যাতে কন্যাশ্রী ভাতা পেতে পারে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

Laxmir Bhandar: শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকার

সামাজিক দূরত্ব চুলোয় যাক, পেতেই হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য সুযোগ সুবিধের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে নতুন প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর সেই প্রকল্পের জন্য ঝাঁপাচ্ছেন মহিলারা। করোনা বিধি শিকেয় তুলে বহু মানুষ ভিড় করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন জেলার শিবিরগুলোতে। আর সেই ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। এত পরিমাণ ভিড়ের ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে সোমবার সকাল থেকেই দেখতে পাওয়া যায় উপচে পড়া ভিড়। অধিকাংশ মানুষের মুখে দেখা মেলেনি মাস্কের। দুয়ারে সরকারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমান টাউনহল। অন্যদিকে, বীরভূমের মুরারইয়ের ১ নম্বর পঞ্চায়েতেও ছবিটাও এক। জানা গিয়েছে, এদিন ফর্ম বিলি শুরু হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হন কমপক্ষে ৭ জন। বহু মানুষের মোবাইল খোয়া দিয়েছে। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে রাষ্ট্রসঙ্ঘএকদিকে অত্যাধিক গরম অন্যদিকে মারাত্মক ভিড়ে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ কাউন্টারের সামনে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ভিড় এড়িয়ে আগেভাগে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়৷ প্রশাসনের তরফে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয় প্রত্যেককে৷ কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম হাতে পেতে এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠে মানুষ, যে সেদিকে কোনও খেয়ালই ছিল না তাদের। চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। এ বিষয়ে মুরারই ১ নম্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ জানান, আমরা সবাইকে ভাগে ভাগে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু একইদিনে সবাই চলে আসায় বিপত্তি। পঞ্চায়েত প্রধান রজনী পাখিরা বলেন, গ্রামবাসীদের সচেতন করতে মাইকিংও করেছি। মানুষ বোঝেনি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই পরিস্থিতি। অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বর্ধমান থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, সব জায়গার ছবিটাই কার্যত এক। ফর্ম নিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে নাজেহাল মানুষ।

আগস্ট ১৬, ২০২১
কলকাতা

Suvendu: শহরের জলযন্ত্রণা নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

টানা বৃষ্টিতে শহরের জল যন্ত্রণা নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের একবার খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বর্ষণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য বর্তমান শাসকদলকের একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। শহরবাসী তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কারণেই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। খোঁচার সুরে শুভেন্দু বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর আগেই রাজ্যে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে। কলকাতা তো লন্ডন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শাসকদল এখানে ১১ টা আসনই জিতেছে। কলকাতার মানুষই সব দেখুন, কাদেরকে ভোট দিয়ে তাঁরা জেতালেন। কলকাতাকে আদর্শ নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি তো প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন। সেই মানুষই তৃণমূলের উপর আস্থা রেখে ১১ টা আসন জিতিয়েছে, তাই কলকাতার মানুষজনই দেখুন। যশ-এর পর বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা। এখন সবাই বলছে, দুয়ারে নর্দমার জল। হয়তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হওয়ার আগে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে। সেই শুনানি শেষ করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, অধ্যক্ষ আগামী ১৭ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারিত করেছেন। তবে অনির্দিষ্টকাল ধরে যাতে এই শুনানি না চলে সেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে ফের একবার আইনের পথ হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি।

জুলাই ৩০, ২০২১
রাজ্য

Rupashree: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ

সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ বার বার উঠেছে। ফের একবার একই অভিযোগ উঠল বীরভূমের রামপুরহাটে। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৮ মহিলার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নলহাটিতে রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা লোপাটের অভিযোগ ওঠায় প্রশাসনিক পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বীরভূমের জেলাশাসক। রামপুরহাটের মহকুমা শাসককে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ চুক্তিপত্রে সই না করায় প্রতিবাদের ঝড় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে, কর্তাদের পদত্যাগ দাবিমিথ্যে পরিচয় দিয়ে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৮ মহিলার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৮ জনই বিবাহিত এবং এদের প্রত্যেকের সন্তান আছে। তবু নিজেদের অবিবাহিত বলে দাবি করে সরকারি প্রকল্পে টাকা তুলে নেন এই এই মহিলারা। এই প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী অভিযোগ করেন থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জালিয়াতির খবর পেয়েই তদন্তে নামেন নলহাটির বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী। হাতনাতে ধরা পড়ে ওই ৮ জন। অভিযুক্তদের দাবি, গ্রামেরই এক ব্যক্তি সাড়ে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেইমতো অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। বিডিও অফিস থেকে কেন তথ্য যাচাই করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্তরা। কারচুপির ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রামবাসীর খোঁজ মেলেনি।আরও পড়ুনঃ তারাপীঠ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতার যুবকের, বরাত জোরে রক্ষা বন্ধুরএর আগেও ভুয়ো নথি দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চানন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানটোলার বাসিন্দা চেনো খাতুন ও সোনা বিবির বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত নামে ব্লক প্রশাসন। গত ২ জুলাই পুলিশকে নিয়ে তদন্তকারী দল অভিযুক্ত দুই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়ে তাঁদের সোমবার শুনানির জন্য বিডিও অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এদিন তাঁরা আসেননি। ফের শুনানির জন্য আরও একবার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু একদিন আগেই এদিন দুপুরে ওই দুই মহিলা এসে মুচলেকা লিখে তদন্তকারীদের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে ফেরত দেন।

জুলাই ১৮, ২০২১
দেশ

কর্মসংস্থানের জন্য আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ঘোষণা নির্মলা সীতারমনের

করোনা পরবর্তী সময়ে দেশে নয়া কর্মসংস্থানের জন্য আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। যেখানে বলা হয়েছে , ২০২০ সালের অক্টোবরের পর যে সমস্ত সংস্থা নতুন কর্মী নিয়োগ করবে সেই সব সংস্থা ইপিএফও র অধীন বিশেষ কিছু সুবিধা পাবে। এছাড়াও পুরনো যেসব কর্মী ইপিএফও র সদস্য ছিল না , তাদেরকেও ইপিএফও র অধীনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও যে সমস্ত সংস্থায় ১ হাজারের কম কর্মী থাকবে, সেই সংস্থায় নতুন কর্মীদের ইপিএফওর ২৪ শতাংশ খরচই কেন্দ্র বহন করবে। আর যে সমস্ত সংস্থায় ১ হাজারের বেশি কর্মী, সেই সব সংস্থার শুধুমাত্র কর্মীদের ভাগের ১২ শতাংশ অর্থ ভারত সরকার দেবে। অর্থাৎ ইপিএফও বাবদ সংস্থাকে শুধু সংস্থার অংশের টাকাই দিতে হবে, কর্মীর ভাগের টাকা দিতে হবে না। এই সুবিধা মিলবে আগামী ২ বছর পর্যন্ত। দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ সংস্থাই প্রথম অংশে পড়বে। আরও পড়ুন ঃ কাজ করলে সমর্থন মিলবেঃ মোদি পাশাপাশি কৃষকদের জন্যও বড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী অর্থবর্ষে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সার এবং কৃষি উপকরণে ভরতুকি হিসেবে দেওয়া হবে। ১৪ কোটি কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনার আওতায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হল। যা ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে খরচ করা হবে। এর ফলে ১০০ দিনের কাজের বাজেট বেড়ে হল ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, বেশ কয়েকটি সূচক দেখাচ্ছে, অর্থনীতি সুস্পষ্টভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। একটানা সংস্কারের ভিত্তিতে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে চলেছে সরকার। তিনি আরও বলেন , জিএসটি আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়ছে। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে দেশবাসী বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পেয়েছে।

নভেম্বর ১২, ২০২০
কলকাতা

রাস্তা সারাইয়ে নতুন প্রকল্প পথশ্রী

কলকাতাঃ রাস্তা মেরামতের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হল। যার নাম দেওয়া হয়েছে পথশ্রী অভিযান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা রাজ্যে ১২০০ কিমি রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সময় বেঁধে এই প্রকল্পের কাজ় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে এই সরকার ৩১৬,৭৩০ কিমির রাস্তা তৈ্রি করেছে।২০২০-২১ সালের বাজেটে রাস্তা তৈ্রির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫,৭৪৬.৯৯ কোটি।জনগন যাতে অংশগ্রহন করতে পারে এই প্রকল্পে , সে বিষয়ে বিশেষ ভাবে জো্র দেওয়া হয়েছে। যারা এই প্রকল্পে অংশগ্রহন করবেন, তাদের সহায়তা করবেন বিধায়করা।রাজ্যের সাধারণ মানুয রাস্তার ছবি তুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রিকে পাঠাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার হাল খুবই খারাপ। সরকারের এই উদ্যো্গ সাধারণ মানুষে্র কিছুটা সুরাহা করবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

অক্টোবর ০১, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal