• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

SC East Bengal

খেলার দুনিয়া

ডার্বি হেরেও গর্বিত লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা!‌ কেন?‌

একসময় আলেজান্দ্রোকে সরিয়ে মারিও রিভেরাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্তারা। তাঁর হাত ধরেই আই লিগে দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারও আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোয় আশায় সেই রিভেরার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দায়িত্ব নিয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয়। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচেই হার। লালহলুদ সমর্থকদের সবথেকে বেশি ধাক্কা দিয়ে গেছে ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৩১ ব্যবধানে পরাজয়। সারা ম্যাচে ভাল খেলেও কেন হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? ম্যাচের শেষ ২ মিনিটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রক্ষণ জমাট করে ডার্বিতে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ। লক্ষ্য ছিল প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি স্ট্রাইকারদের জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি আদিল খান, ফ্রাঞ্জো পর্চেরা। ড্যারেন সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হারলেও ফুটবলারদের পারফরমেন্সে খুশি লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ডার্বিতে হারের পর তিনি বলেন, যে কোনও হারে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার ওপর ডার্বির মতো ম্যাচে হার। খুবই খারাপ লাগছে। তবে ফুটবলাররা যেভাবে গোটা ম্যাচ লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। আমার পরিকল্পনা মতোই ওরা খেলেছে। দারুণ লড়াই করেছে।ডার্বিতে হারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দুটি কারণকে উল্লেখ করেছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, শুরুতেই অঙ্কিতের চোট সমস্যায় ফেলে দিল। রক্ষণে পরিবর্তন করা ছাড়া আমার আর অন্য কোনও উপায় ছিল না। অমরজিৎ কিয়াম দারুণ লড়াই করেছে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার পর এটিকে মোহনবাগান সমতা ফেরায়। আমরা চেয়েছিলাম ১০ ফল ধরে রাখতে। কিন্তু ওরা দ্রুত সমতা ফেরায়। আর একটু দেরিতে প্রথম গোল করলে হয়তো আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতাম। শেষ ২ মিনিটে ২ গোল করে আমার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল। রিভেরা আরো বলেন, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাচটা ওপেন হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমরা ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি ব্যবধান বাড়াতে পারতাম, তাহলে অন্যরকম ফল হত। হারলেও ফুটবলাররা গর্বিত করার খেলেছে।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, ডার্বির নায়ক কিয়ানের লক্ষ্য কী?‌

ডার্বিতে দুরন্ত পারফরমেন্সের পরে অনেক ফুটবলার হারিয়ে গেছেন। অনেকেই বিস্মৃতির অন্তরালে। আসলে ফোকাসটা নড়ে যায়। শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে সতর্ক এটিকে মোহনবাগানের নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি। মাটিতেই পা রেখে চলতে চান সবুজমেরুণের এই নতুন স্ট্রাইকার। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। ডার্বিতে গোল করাটা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন থাকে। কোচ জুয়ান ফেরান্দো যখন তাঁকে মাঠে নামার জন্য ওয়ার্ম আপের কথা বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখছিলেন মাঠে নেমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢোকানোর। শুধু স্বপ্নপূরণই হয়নি, একেবারে হ্যাটট্রিক। কিয়ান বলেন, সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে ডার্বিতে গোল করার। আমিও মাঠে নামার আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলতে কী, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে আমি ঘোরের মধ্যে রয়েছি। আমি একজন উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার। নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভাল লাগছে।শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে তিনতিনবার বল ঢুকিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন কিয়ান নাসিরি। ইতিহাস নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ সবুজমেরুণের নতুন তারকা। তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমার কাজ হল গোল করে দলকে জেতানো। সেই কাজটা করতে পেরেছি। কোচ আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে ভাল লাগছে। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করাটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। দলে জায়গা পাকা করতে হবে। দল পিছিয়ে থাকার সময় কিয়ানকে মাঠে নামিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। মাঠে নেমেই সমতা ফেরান কিয়ান। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ম্যাচ ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে, একেবারে অন্তিম লগ্নে গোল করে দলকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নিজের তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাকেই সেরা বেছে নিয়েছেন কিয়ান। তাঁর কথায়, আমার কাছে দ্বিতীয় গোলটাই সেরা। কারণ ওই গোলেই দল এগিয়ে গিয়েছিল। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক গোটা দলকে উৎসর্গ করেছেন কিয়ান।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভবিষ্যতে কি লালহলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন কিয়ান?‌ এড়িয়ে গেলেন জামশিদ নাসিরি

পড়াশোনার জন ইরান থেকে ভারতে এসেছিলেন জামশিদ নাসিরি। ভর্তি হয়েছিলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে নজরে পড়ে যান ইস্টবেঙ্গল রিক্রূটারদের। লালহলুদ কর্তারা সই করিয়েছিলেন ইরানের এই ফুটবলারকে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানে। দুই প্রধানের জার্সি গায়ে ডার্বিতে গোলও করেছিলেন। সেই সময় বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম ছিল না মোহনবাগানে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি জামশিদের। নিজের স্বপ্নপূরণ না হলেও জামশিদ নাসিরি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে কিয়ান নাসিরি সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলুক। সবুজমেরুণ অলিন্দেই বেড়ে ওঠা কিয়ানের। একেবারে ছোট থেকেই বাবার হাত ধরে মোহনবাগান মাঠে যাতায়াত শুরু। জামশিদ একসময় সিসিএফসির অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন। বাবার কাছেই ফুটবলের হাতেখড়ি কিয়ানের। ছোট থেকেই বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। ১২ বছর বয়সে জুনিয়র বাংলা দলে সুযোগ। ২০১৩ সালে মোহনবাগান যুব দলে। ২০১৬তে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে জুনিয়র আই লিগে খেলেছিলেন কিয়ান। এরপর মোহনবাগান অনূর্ধ্ব ১৯ দল হয়ে ২০১৯২০ সালে সিনিয়র দলে। কিউ ভিকুনার কোচিংয়ে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলার সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন কিয়ান। অবশেষে ডার্বিতে মাঠে নেমেই বাজিমাত। একেবারে নায়ক। মাঠের বাইরে বসে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিয়ান। তবে হতাশ হয়ে পড়েননি। যেমন হতাশ হননি কিয়ানের বাবা জামশিদ নাসিরিও। গর্বিত পিতা বলছিলেন, এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলেও ভাবতাম, হয়তো ১০১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পাবে ছেলে। প্রতিদিন টিভির সামনে বসে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কিন্তু আশা ছাড়িনি। জানতাম একদিন না একদিন সুযোগ পাবে। অবশেষে প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক। তাও আবার ডার্বির মতো ম্যাচে। এর থেকে ভাল অভিষেক আর হতে পারে না। আমি যা করে দেখাতে পারিনি, ছেলে সেই কাজ করে দেখিয়েছে। প্রমাণ করেছে বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে দেওয়ার যোগ্যতা কিয়ানের রয়েছে। সত্যিই আমি গর্বিত। ছেলের এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন কিবু ভিকুনাকে। জামশিদ বলছিলেন, দীর্ঘদিন মোহনবাগান জুনিয়র দলে ছিল। একসময় ভিকুনা জুনিয়র দল থেকে ৪ জনকে সিনিয়র দলে নিয়েছিল। তারমধ্যে কিয়ান ছিল। ভিকুনাই ঘসেমেজে ওকে তৈরি করেছে। কিয়ানের এই জায়গায় উঠে আসার জন্য সব কোচের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তবে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ ভিকুনার কাছে। এই মুহূর্তে দেশে ভালমানের স্ট্রাইকারের অভাব। জামশিদের আশা কিয়ান ঠিকমতো সুযোগ পেলে দেশে স্ট্রাইকারের অভাব মেটাতে পারবে।সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ছেলের হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হার। ভাললাগার পাশাপাশি খারাপও লাগছে জামশিদ নাসিরির। বলছিলেন, ছেলে হয়াটট্রিক করেছে, এরথেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। তবে ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়ায় খারাপও লাগছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনেও গোল করার মতো অনেক সুযোগ এসেছিল। গোল করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। লালহলুদ জার্সি গায়ে অনেক ডার্বি ম্যাচ কাঁপিয়েছেন জামশিদ। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ডার্বি অভিষেকেই চমক কিয়ানের। ছেলেকে কি ভবিষ্যতে লালহলুদ জার্সিতে দেখতে চান জামশিদ নাসিরি? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটা। তাহলে কি নিজের পুরনো ক্লাবের প্রতি কোনও অভিমান রয়েছে জামশিদের? জামশিদ বলছিলেন, আমি লালহলুদ জার্সি গায়ে ঘাম ঝড়িয়েছি। ও মোহনবাগানের কাছে দায়বদ্ধ। তবে আমি চাই ভবিষ্যতে কিয়ান দেশের হয়ে খেলুক।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ানের

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন জামশিদ নাসিরির সুপুত্র কিয়ান নাসিরি। তাঁর দুরন্ত হ্যাটট্রিকে আইএসএলের ডার্বিতে উড়ে গেল লালহলুদ। তারুণ্যের কাছে বিধ্বস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। এবার ম্যাচের ফল ৩১। নতুন তারকার জন্ম হল এবারের আইএসএলের ডার্বিতে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত কিয়ান নাসিরির।ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে থেকে ডার্বিতে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় রয় কৃষ্ণাকে মাঠে নামাননি কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আক্রমণভাগে শুরু করেছিলেন হুগো বোমাস ও ডেভিড উইলিয়ামস। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগে ছিলেন দুই বিদেশি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও মার্সেলো রিবেইরো। বিদেশিদের ছাপিয়ে নায়ক এক ভারতীয় ফুটবলার।শুরু থেকেই ম্যাচ আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল। এটিকে মোহনবাগান মূলত বাঁদিক দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। লিস্টন কোলাসো বারবার ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন লালহলুদ ডিফেন্সকে। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে রক্ষণের জন্য ডুবতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ফ্রাঞ্জো পর্চে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন। ডার্বিতে পর্চেকে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসদের সেভাবে জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি।এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বেশি থাকলেও প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে নওরেম মহেশ সিংয়ের মাটি ঘেঁসা শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে সামনে শুধু এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংকে একা পেয়েও বাইরে মারেন মার্সেলো রিবেইরো। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠলেও প্রথমার্ধে কোনও দল গোল করতে পারেনি।গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে। ২ মিনিট পরেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে হেডে বল জালে রাখতে পারেননি। ৫১ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর আরও একটি দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।৫৪ মিনিটে ডানদিক থেকে ঢুকে গিয়ে বাঁপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং। পেরোসেভিচের কর্ণার বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ড্যারেল সিডোয়েল। তাঁর শট মনবীরের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। সৌরভ দাসের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধেরে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন কিয়াম নাসিরি। জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ামের এটাই প্রথম ডার্বি। ৬৫ মিনিটে লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন অমরজিৎ কিয়াম। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। অবিশ্বাস্যভাবে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। নওরেম মহেশ সিংয়ের শট আটকে দেন অমরিন্দার সিং। ৮৬ মিনিটে কোলালোর শট গোল লাইন থেকে সেভ করেন হীরা মণ্ডল।ম্যাচের ইনজুরি সময়ে আবার জ্বলে ওঠেন কিয়ান। লিস্টন কোলাসোর সেন্টার ডেভিড উইলিয়ামস হেড করলে বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দুরন্ত শটে ২১ করেন কিয়ান। ১ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ডার্বির অভিষেকেই হ্যাট্টট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন জামশিদ নাসিরির পুত্র।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন রিভেরা, লালহলুদকে সমীহ বাগান কোচ ফেরান্দোর

ডার্বি মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভরা গ্যালারি। দুই দলের সদস্য সমর্থকদের বাকবিতন্ডা, ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি, তুমুল উত্তেজনা। করোনার দাপটে এখন সে সব স্মৃতিতে। দেশীয় ফুটবলাররা ডার্বির আবেগ জানলেও, বিদেশি ফুটবলাররা ডার্বির উত্তেজনার আঁচ পায়নি। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ফুটবলারদের ডার্বির আবেগ বোঝাতে পুরনো ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ফুটবলাররা এতে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন তিনি।তিন বছর ধরে ডার্বিতে সাফল্য নেই লালহলুদ শিবিরের। গতবছর যেমন হারতে হয়েছিল, এবছরও প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তার ওপর আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লালহলুদ কোচ। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ফুটবলারদের বলেছি, লিগ টেবিলে আমরা কোথায় আছি সেটা মাথায় না রাখতে। এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। ডার্বি মানেই কঠিন লড়াই। সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছি। ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা ডার্বির গুরুত্ব জানে।হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওই ম্যাচের ফলাফল ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন রিভেরা। তিনি মনে করছেন, হায়দরাবাদের কাছে হার ডার্বিতে ইতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে। লালহলুদ কোচের যুক্তি, বড় হারের পর ডার্বি ম্যাচ থাকলে ফুটবলারদের মোটিভেশনের অভাব হয় না। কারণ সবাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া থাকে। ফুটবলারদের নতুন করে মোটিভেট করার দরকার হয় না। এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে বেশি চিন্তাও করছেন না রিভেরা। তাঁর ব্যাখ্যা, আমাদের তুলনায় ওরাই বেশি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে। আমার মতে এই ম্যাচ ৫০৫০।রিভেরার ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই প্রথম ডার্বিতে ডাগ আউটে বসবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। ডার্বিতে অশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, এইরকম ম্যাচের অংশীদার হওয়াটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। এই ম্যাচের আবেগ কতটা জানি। কোনও ভাবেই ফোকাস নষ্ট করা যাবে না।লিগ টেবিলের সবার শেষে থাকলেও লালহলুদকে যথেষ্ট সমীহ করছেন সবুজমেরুণ কোচ। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আগের এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই দলকে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওরা অনেক বদলে গেছে। আগে মনে হত চাপ নিয়ে মাঠে নামছে। এখন খোলা মনে খেলছে। দলে ছন্দ ফিরে এসেছে। নতুন বিদেশি যোগ দিয়েছে। ফলে আমাদের জিততে গেলে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হবে। তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে মাঠে নামব। প্রথম একাদশ নিয়ে মুখ না খুললেও রয় কৃষ্ণার খেলার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌স্নায়ুচাপের ডার্বিতে কোন দল হট ফেবারিট, কারাই বা আন্ডারডগ?‌

ডার্বি মানেই স্নায়ুচাপের খেলা। অতীতে দেখা গেছে, ভাল দল নিয়েও ডার্বি জেতা যায় না। ম্যাচের দিন যে দল স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছে, তারাই ডার্বিতে বাজিমাত করে গেছে। ফলে ডার্বিতে নির্দিষ্ট কোনও দলকে এগিয়ে রাখাটা বোকামি। কিন্তু এবারের আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হট ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।এটিকে মোহনবাগান ডার্বিতে হট ফেবারিট থাকলেও ফুটবল বোদ্ধারা হয়তো এগিয়ে রাখার ঝুঁকি নেবেন না। কারণ করোনার জন্য পরপর তিনটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের খেলায় ছন্দপতন হয়েছে। যার প্রভাব আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দেখা গেছে। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের খেলার মধ্যে ধারাবাহিকতার চরম অভাব। অন্যদিকে, একের পর এক ম্যাচ হেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তার ওপর প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছিল লালহলুদকে। ফলে বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।এসসি ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের চাপ অনেকটাই বেশি। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহুর্তে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসিরর বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটা জিতলে চার নম্বরে উঠে আসত। সেটা সম্ভব হয়নি। ডার্বি না জিতলে প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই চাপটা নেই। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে লালহলুদ শিবির। সেমিফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফলে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবে মারিও রিভেরার দল।যদি দুই দলের শক্তির বিচার করা হয়, তাহলে আক্রমণভাগে অনেকটাই এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে সবুজমেরুণ করেছে ২০ গোল। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে করেছে ১৩ গোল। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস ডার্বিতে প্রথম একাদশে ফিরছেন। রয় কৃষ্ণা রয়েছেন, সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস। লিস্টন কোলাসোও চলতি আইএসএলে বেশ কয়েকটা গোল করেছেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা নেই। নির্বাসন কাটিয়ে আগে ম্যাচে মাঠে ফিরলেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারেনি। সমর্থকরা তাকিয়ে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সোলো রিবেইরার দিকে। পেরোসেভিচের সঙ্গে তাঁকে শুরু থেকে খেলিয়ে চমক দেখাতে পারেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। এছাড়া মাঝমাঠে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাও তাঁর তুরুপের তাস হতে পারেন।আইএসএলের শুরু থেকেই দুই দলের রক্ষণ যথেষ্ট নড়বড়ে। গোল করেও গোল ধরে রাখতে পারেনি দুই দল। বরং রেনেডি সিং যে কটা ম্যাচে দলের দায়িত্বে ছিলেন, অনকেটাই সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে লালহলুদ রক্ষণকে। আদিল খান অনেকটাই নির্ভরতা দিয়েছে। ড্যারেল সিডোয়েলও ছন্দে ফিরেছেন। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হবে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসদের।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটা হবে সবথেকে বড় অঘটন, কেন একথা বললেন শ্যাম থাপা?‌

শনিবার আইএসএলের মহারণ। রাত পোহালেই আবার মাঠে নামছে কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের এই হাইভোল্ডেজ ম্যাচ নিয়ে আগের মতো ক্রীড়ামহলে আর তেমন উত্তেজনা নেই। সদস্যসমর্থকদের মধ্যেও সেই উন্মাদনা নেই। সবাই যেন ধরে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবুও ডার্বি বলে কথা। অনেক কিছুই তো ঘটতে পারে। কিন্তু লালহলুদকে নিয়ে আশা দেখতেন না কেউ। যেমন দুই প্রধানকে বহু ডার্বিতে উতরে দেওয়ার নায়ক শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলছিলেন, আমি তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের জেতার কোনও আশাই দেখছি না। জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারবে কিনাও সন্দেহ। এই ইস্টবেঙ্গল টিমের কী আছে বলুন তো? একটা পজিশনেও ভাল ফুটবলার আছে, যাকে ঘিরে সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিকে মোহনবাগানের দিকে তাকান। সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার। রক্ষণ একটু কমজোরি হলেও আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি রয়েছে আক্রমণভাগে। এছাড়া লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংয়ের মতো দেশীয় ফুটবলাররা। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই।১৯৭৮ র ডার্বি ম্যাচে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিকশোনা যাচ্ছে চোটের জন্য রয় কৃষ্ণা অনিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলেও সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস প্রথম একাদশ ফিরছে। ডেভিড উইলিয়ামস আছে। মাঝমাঠে জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরি, ম্যাকহিউরা আছে। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। শুনছি নাকি সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকেও খেলানো হতে পারে। সুতরাং এই এটিকে মোহনবাগানকে যদি এসসি ইস্টবেঙ্গল হারাতে পারে, সেটা হবে এই আইএসএলের সবথেকে বড় অঘটন।অতীতে দুর্বল দল নিয়েও লালহলুদের ডার্বি জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্ষমতা নেই বলে মনে করছেন শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, আগে ডার্বির একটা অন্য আবেগ ছিল। এইসব বিদেশি কোচ, ফুটবলাররা মুখে যাই বলুক, ডার্বির আবেগ জানে? গুরুত্ব বোঝে? আবেগ থাকা চাই। সেটা থাকলেও দুর্বল দল নিয়ে জেতা যায়। সেটা অতীতে আমরা অনেকবার জিতেছি। কখনও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে, কখনও এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। সেসব দিন এখন আর নেই।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী বললেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ?‌ জানলে চমকে যাবেন

এবারের আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে তিনিই ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামছে লালহলুদ শিবির। এবার আর ডাগ আউটে নয়, সুদূর স্পেনে বসে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে হবে মানোলো দিয়াজকে। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম পর্বের ডার্বিতে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল লালহলুদকে। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না লালহলুদের এই প্রাক্তন কোচ।ডার্বি নিয়ে মানোলো দিয়াজের বক্তব্য, এসসি ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, এবারও ডার্বি জেতার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্যের জোরে জিতেছিল। পরের ম্যাচেই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হার। দলটার যদি ছন্দ ফিরে আসত তাহলে তো পরের ম্যাচেও জিতত। মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে প্রথম পর্বের ডার্বিতে প্রথমার্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল। ৫ গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।মানোলো দিয়াজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রেনেডি সিং। তাঁর কোচিংয়ে লালহলুদ ফুটবলারদের মধ্যে লড়াইটা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যা দিয়াজের সময় দেখা যায়নি। তবুও এই স্প্যানিশ কোচের দাবি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার ছাড়া বাকিদের আইএসএলে খেলার যোগ্যতাই নেই। এমনকি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও ড্যারেল সিডোল ছাড়া বাকি বিদেশি ফুটবলারদের নাকি কর্তারাই পছন্দ করে দলে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের তিন মূলত এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দারের দিকে।রেনেডি সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আদিল খান প্রথম একাদশে। নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতাও দিচ্ছেন। তবু আদিল খানকে ভাল মানের ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে নারাজ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আদিল খানের দক্ষতা এমন কিছু আহামরি নয়। ভাল স্ট্রাইকারের সামনে পড়লে ওর দুর্বলতা ফুটে উঠবে। ওকে না খেলানোর জন্য আমার অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সবই শুনেছি। ওকে একটা ম্যাচে আমি খেলাতে চেয়েছিলাম। ও খেলতে রাজি হয়নি। একজন পেশাদার ফুটবলারের এইরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। টিমটার মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না। এরজন্য কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ছন্নছাড়া লালহলুদকে ডার্বিতে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের হুগো বোমাস?‌

এই মুহূর্তে আইএসএলের লিগ টেবিলে সবার শেষে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৩ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। ডার্বিতে নামার আগে মনোবল একেবারে তলানিতে লালহলুদ শিবিরের। তা সত্ত্বেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান শিবির। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকলেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে যেতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি সবুজমেরুণ শিবিরের। ওডিশা ম্যাচের ড্র ডার্বিতে পুষিয়ে নিতে চান এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। সবুজমেরুণ শিবিরের লক্ষ্য ডার্বি জিতে লিগ টেবিলের ওপরের দিকে উঠে আসতে। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে একেবারেই ছন্দে ছিল না এটিকে মোহনবাগান। আসলে দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না থাকাটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দোর বিশ্বাস ডার্বিতে ছন্দে ফিরবে দল।ডার্বিতে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচকে স্বস্তি দিচ্ছে ফুটবলারদের চোটআঘাত ও কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ওঠা। কার্ড সমস্যার জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি হুগো বোমাস। ডার্বিতে তিনি মাঠে ফিরছেন। করোনামু্ক্ত হয়ে জনি কাউকোও খেলার জন্য তৈরি। এছাড়া বাকিরাও ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আগের ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম পর্বের ডার্বিতে জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান শিবির।প্রথম পর্বের ডার্বিতে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন হুগো বোমাস। শনিবার মাঠে নামার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ডার্বি নিয়ে বোমাসের প্রতিক্রিয়া, ডার্বির গুরুত্ব কতটা জানি। সবাই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন অনুশীলন করতে পারিনি। তারজন্য আগের ম্যাচে সমস্যা হয়েছিল। ডার্বির আগে পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি গোটা দল ছন্দে ফিরবে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪ গোল খেলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের এই স্তম্ভ। বোমাস বলেন, প্রথম পর্বে জিতেছিলাম বলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আগের ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে। জিততে গেলে আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। আইএসএলে ডার্বির পরিসংখ্যান অবশ্য এটিকো মোহনবাগানের অনুকূলে। একবারও জিততে পারেনি লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ডার্বিতে ৫–৬ গোলের লজ্জায় পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? কী বললেন সমরেশ চৌধুরি‌

আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আবার দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি দুই দলের কাছে। এটিকে মোহনবাগান আগের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসির কাছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচে জয় পেয়েছে লালহলুদ। ৬টি হার, ৬টি ড্র। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে চারটিতে জয়, চারটি ড্র। হার দুটি ম্যাচে। ডার্বিতে লালহলুদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না লালহলুদ জার্সি গায়ে একসময় দাপিয়ে খেলা সমরেশ চৌধুরি।এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম শুনলেই রীতিমতো রেগে আগুন লালহলুদের এই ঘরের ছেলে। সমরেশ চৌধুরি বলছিলেন, এই এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে আলোচনা করতেই আমার ঘেন্না লাগছে। এটা কোনও দল হল? গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার, একটাও ভাল ফুটবলার আছে। আমার তো মনে হয় লালহলুদ জার্সি গায়ে দেওয়ার কোনও যোগ্যতাই এদেন নেই। কোন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করব? কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখবে সমর্থকরা?ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের অনেক দল দেখেছি। এইরকম দুর্বল দল কখনও দেখিনি। দুর্বল দল নিয়েও অতীতে লালহলুদ ডার্বি জিতেছে। এবার জেতার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। এমনকি ড্র করতে পারে, এমন আশাও নেই। আমার তো মনে হয় ৫৬ গোলের লজ্জায় না পড়তে হয়। আক্রমমভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণ, সব পজিশনেই হতশ্রী অবস্থা। তাছাড়া এই দলে কজন ফুটবলার ডার্বির আবেগ বোঝে? ডার্বিতে এই এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আতঙ্কে আছি।এটিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে যে আটকানো কঠিন, মেনে নিয়েছেন সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ওডিশা এফসির কাছে এটিকে মোহনবাগান আটকে গেলেও ওরা ভাল ছন্দে রয়েছে। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো ফুটবলাররা রয়েছে। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার লালহলুদে নেই। তাছাড়া প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে উড়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের চমক নতুন বিদেশি, কে সেই বিদেশি?‌

টানা ১১ ম্যাচ পর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয় স্বপ্ন দেখিয়েছিল লালহলুদ সমর্থকদের। সোমবার হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪০ গোলে হার প্রত্যাশার পারদ চুপসে গেছে। একাধিক ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। পরের ম্যাচ ২৯ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া মনোবল কি ডার্বিতে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন লালহলুদ ফুটবলাররা। দলের আত্মবিশ্বাস ফেরানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কোচ মারিও রিভেরার।আগের ম্যাচে ভাল খেলেও হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দলের পারফরমেন্সে হতাশ লালহলুদ কোচ। হায়দরাবাদের কাছে হারের পর তিনি বলেন, ম্যাচের ফল খুবই হতাশাজনক। একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও ফুটবলাররা সেরাটা দিয়েছিল। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেনি। বেশ কয়েকটা ভুল আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। পাশাপাশি বিপক্ষের স্ট্রাইকার বার্থোলেমিউ ওগবেচেকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে মারিও রিভেরা। তিনি বলেন, ওগবেচে আইএসএলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ওর কাছেই হারতে হয়েছে। সব সুযোগগুলোই কাজে লাগিয়েছে।🚨𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓🚨We are happy to announce the signing of versatile Spanish midfielder 𝐅𝐫𝐚𝐧𝐜𝐢𝐬𝐜𝐨 𝐉𝐨𝐬 𝐒𝐨𝐭𝐚 on a short term deal that will see him turn out for the red and gold brigade till the end of the season.#JoyEastBengal #WeAreSCEB #আমাগোক্লাব pic.twitter.com/u4FHeGFbNG SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 25, 2022এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচই ডার্বি। ডার্বির আগে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তিনি বলেন, সমর্থকদের কাছে ডার্বির গুরুত্ব কতটা, তা আমি জানি। ওদের জন্যই ডার্বি জিততে চাই। তবে ডার্বিতে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাকে পাবেন কিনা এখনও নিশ্চিত নন মারিও রিভেরা। বেশ কয়েকদিন আগেই গোয়ায় পৌঁছে গেছেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। গোয়ার হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। মাঝে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই অনুশীলনে নামতে পারেননি। ফ্রান সোতার আবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বুধবার অনুশীলনে নামবেন। আমির দারভিসেভিচখএ ছেড়ে দিয়ে তাঁকে নেওয়া হচ্ছে। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কেমন জায়গায় আছে তা দেখেই ডার্বিতে খেলাবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন মারিও রিভেরা। ডার্বিতে তাঁর চমক হতে পারেন ফ্রান সোতা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির মহড়ায় ডাহা ফেল এসসি ইস্টবেঙ্গল, বিধ্বস্ত হায়দরাবাদের কাছে

আগের ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় স্বপ্ন দেখিয়েছিল সমর্থকদের। পরের ম্যাচেই সেই চেনা এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার হারের মুখ দেখতে হল লালহলুদ শিবিরকে। হায়দরাবাদ এফসির কাছে হারতে হল ৪০ ব্যবধানে। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত দিতে হল মারিও রিভেরাকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। একেবারে ডাহা ফেল। ৫ ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে এদিন মাঠে ফিরে এসেছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁকে শুরু থেকেই মাঠে নামান মারিও রিভেরা। কিন্তু খেলার মতো জায়গায় থাকা সত্ত্বেও মার্সেলো রিবেইরাকে প্রথম একাদশে রাখেননি। আগের ম্যাচের মতোই এদিন ৪৩৩ ছকে দল সাজিয়ে ছিলেন রিভেরা। লক্ষ্য ছিল শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে হায়দরাবাদ এফসিকে চাপে ফেলা। কিন্তু সেই লক্ষ্যে এদিন সফল হননি। কারণ এফসি গোয়ার তুলনায় হায়দরাবাদ এফসি অনেক বেশি শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল। হায়দরাবাদ এফসিরও লক্ষ্য ছিল ম্যাচের শুরু থেকে আধিরপত্য বজায় রাখা। আক্রমণ ঝড় তুলে ২১ মিনিটে এগিয়েও যায় হায়দরাবাদ এফসি। সৌভিক চক্রবর্তীর কর্ণারে হেড করেন বার্থোলোমেউ ওগবেচে। তাঁর হেড এসসি ইস্টবেঙ্গলের এক ডিফেন্ডারের গায়ে গেলে গোলে ঢুকে যায়। পিছিয়ে পড়ে কুঁকড়ে থাকেনি লালহলুদ। বরং সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণও তুলে নিয়ে আসছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। খেলার গতির বিরুদ্ধে ব্যবধান বাড়ায় হায়দরাবাদ এফসি। ৪৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে গতিতে আদিল খান ও অমরজিৎতে পেছনে ফেলে অরিন্দমকে ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে ২০ করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ৩০ করেন অনিকেত যাদব।দ্বিতীয়ার্ধে সেমবই হাওকিপকে তুলে নিয়ে মার্সেলো রিবেইরাকে মাঠে নামান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। তা সত্ত্বেও খেলায় ফিরতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ এদিন একেবারে ছিল নিস্প্রভ। উইং প্লেও একেবারে ভাল হয়নি। রক্ষণে ড্যান সিডোয়েলকেও জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল। যখনও হায়দরাবাদ এফসি আক্রমণে উঠে এসেছে, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে লালহলুদ ডিফেন্স। এরই মধ্যে ৭৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ওগবেচে। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মার্সেলো রিবেইরাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন হায়দরাবাদ এফসি গোলকিপার কাট্টিমনি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ফ্রাঞ্জো পর্চের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন কাট্টিমনি। বাকি সময়ে আর ব্যবধান কমাতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণভাগে দুই বিদেশি?‌ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল

একটা জয়ই বদলে দিয়েছে লালহলুদ শিবিরকে। একটা সময় মাঠে নামার আগে কেমন যেন কুঁকড়ে থাকত। মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে ছবিটা। এফসি গোয়াকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই সোমবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।লালহলুদ সমর্থকদের কাছে সুখবর, দীর্ঘদিন পর আক্রমণভাগে দেখতে পাবেন দুই বিদেশিকে। নির্বাসন কাটিয়ে হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে ফিরছেন আন্তোনীও পেরোসেভিচ। নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরাও কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে কয়েকদিন আগে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তিনিও খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকেই খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে লালহলুদ কোচের। তবে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকে একসঙ্গে মাঠে নামাবেন কিনা তা এখনও চূড়ান্ত করেননি মারিও রিভেরা। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, নির্বাসন কাটিয়ে পেরোসেভিচ মাঠে ফিরছে। মার্সেলোও মাঠে নামার জন্য তৈরি। তবে ওকে শুরু থেকে মাঠে নামাব না পরের দিকে খেলাব, তা এখনও ঠিক করিনি। তবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মার্সেলো খেলবে। ও ভাল ফিনিশার। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ভাল উঠতে পারে। গোলটা ভাল চেনে।আগের ম্যাচে জয় ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে দাবি করেন লালহলুদ কোচ। রিভেরার কথায়, জয় এলে যে কোনও দলের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ভাল খেলার জন্য ফুটবলারদের তাগিদ বাড়ে। আগের ম্যাচে ছেলেরা দারুণ ডিফেন্স সামলেছে। এর থেকেই প্রমাণিত ফুটবলাররা মানসিকভাবে কতটা ভাল জায়গায় রয়েছে। এফসি গোয়া ম্যাচে লং পাসে না খেলে ছোট ছোট পাসে দ্রুত গতিতে আক্রমণ শানিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও একই স্ট্র্যাটেজিতে দলকে খেলাতে চান মারিও রিভেরা।হায়দরাবাদ এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন লালহলুদ কোচ। বিপক্ষ দল সম্পর্কে রিভেরা বলেন, এবারের আইএসএলে অন্যতম সেরা দল হায়দরাবাদ এফসি। দলের মধ্যে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। যেমন দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে আসে, তেমনই আবার রক্ষণও সামলায়। এই রকম দলের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কঠিন। তবে আমার দলের ফুটবলাররাও তৈরি। আগে ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন নওরেম মহেশ সিং। আক্রমণভাগে পেরোসেভিচ, মার্সেলো রিবেইরার সঙ্গে মহেশ সিংকে জুড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী ভাবছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা?

টানা ১১ ম্যাচ জয় ছিল না। অবশেষে আগের ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এবারের আইএসএলে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গুমোট ভাব কেটে স্বস্তি ফিরে এসেছে লালহলুদ শিবিরে। একটা জয়ই আত্মবিশ্বাস বড়িয়ে দিয়েছে গোটা শিবিরের। তার ওপর চোটআঘাত কাটিয়ে উঠছেন ফুটবলাররাও। সোমবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে লালহলুদ শিবির যে মনোবল বাড়িয়ে মাঠে নামবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে শক্তি বাড়িয়ে বাড়িয়ে মাঠে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে দলে ফিরবেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন ড্যানিয়েল চিমার জায়গায় দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে দলে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো। তাঁকেও হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে পাবেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রিবেইরাকে ঘিরেই হায়দরাবাদ ম্যাচের পরিকল্পনা করবেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ফ্রাঞ্জো পর্চে ও ড্যান সিডোয়েলের পারফরমেন্সও আশাজনক। সব মিলিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে অনেক ছন্দবদ্ধ লেগেছে। টমিস্লাভ মার্সেলো ছাড়া দলের আর কোনও ফুটবলারের চোট নেই। হীরা মণ্ডলও রবিবার থেকে অনুশীলনে ফিরতে পারেন। সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম পরিবেশ লালহলুদ শিবিরে। একটা জয়ই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এতদিন জয় না পাওয়া দল কীভাবে বদলে গেল? লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা বলেন, দেশে থাকলেও নিয়মিত আইএসএলের খেলা দেখতাম। আইএসএলে খেলা সব ফুটবলারের খেলার ধরণ আমার জানা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমে ফুটবলারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশেছি। ফলে ওরা সমস্যাগুলো আমাকে খুলে বলতে পেরেছে। সেটাই আমাকে সাহায্য করেছে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে খুব বেশি সময় পাননি। এই বছর লালহলুদের খেলা দেখে রিভেরার মনে হয়েছিল ফুটবলাররা একসঙ্গে ৩৪টে পাস খেলতে পারছে না। অনুশীলনে সেটার ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন। তাতেই বদলে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নির্বাসন কাটিয়ে পরের ম্যাচে ফিরছেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। মার্সেলো রিবেইরাকেও পাবেন। আক্রমণভাগে শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এটাই আরও আশাবাদী করে তুলেছে মারিও রিভেরাকে। তিনি বলেন, পেরোসেভিচ খুবই ভাল ফুটবলার। মার্সেলোকে নিয়েও আশাবাদী। অনেক উঁচুমানের স্ট্রাইকার। আশা করছি অন্যদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেবে। ২৯ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচ। ডার্বির উন্মাদনা সম্পর্কে জানেন রিভেরা। তবে এখনও ডার্বি নিয়ে ফুটবলারদের চাপে ফেলতে চান না। আপাতত হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচই পাখির চোখ করছেন।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কাঙ্খিত জয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের, জোড়া গোল করে নায়ক মহেশ সিং

মানেলো দিয়াজ পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংও ব্যর্থ। অবশেষে মারিও রিভেরার হাত ধরেই এবারের আইএসএলে কাঙ্খিত প্রথম জয় পেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২১ গোলে হারাল এফসি গোয়াকে। ১১ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল লালহলুদ শিবির। জয়ের নায়ক নওরেম মহেশ সিং। জোড়া গোল করে তিনিই কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন।মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, ভারসাম্য বজায় রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চান। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সাজিয়েছিলেন। ৪৩৩ ছকে শুরু করেছিলেন রিভেরা। শুরু থেকেই এফসি গোয়ার ওপর চাপ তৈরি করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তার ফলও পায় হাতেনাতে।ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার দুই ফুটবলার নগুয়েরা ও এডু বেদিয়ার ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান নওরেম মহেশ সিং। বল ধরে এগিয়ে গিয়ে ডান পায়ের হালকা পুশে তিনি জালে বল পাঠান। ২৪ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এফসি গোয়া। এডু বেদিয়ার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে বাইরে মারেন রোমারিও।৩৭ মিনিটে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া। মাঝমাঠ থেকে বল এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত পাস বাড়ান জর্জ ওর্টিজ। সেই বল ধরে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে বল জালে পাঠান আলবার্তো নগুয়েরা। ৪২ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার আনোয়ার বল পাস করতে গিয়ে নওরেম মহেশ সিংয়ের পায়ে জমা দেন। তাঁর দুরন্ত শট বারে লেগে গোললাইনের ভেতরে পড়ে বেরিয়ে আসে।এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রক্ষণকে দারুণ নেতৃত্ব দিলেন আদিল খান। লুজ বল ধরে উড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা ছিল না। আক্রমণ গড়ার দিকে নজর দিয়েছিলেন। তবে হীরা মণ্ডলের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। হীরা না থাকায় তাঁর জায়গায় অঙ্কিত মুখার্জিকে মাঠে নামিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। অনভ্যস্ত জায়গায় প্রথমার্ধে নিজেকে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি অঙ্কিত। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছন্দে ফেরেন।সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে এফসি গোয়া। কিন্তু লালহলুদ রক্ষণে আদিল খান ও ফ্রাঞ্জো পর্চে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় ওর্টিজ, নেগুয়েরোরা গোলের তিনকাঠি খুঁজে পাননি। তিনকাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন অরিন্দম ভট্টাচার্যও। দক্ষতার শীর্ষে উঠে বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। না হলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গলের

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌আবার করোনা হানা, এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ আদৌও হবে তো?‌

১১ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। এখনও জয় আসেনি। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে অবস্থান। দলের অন্দরে চূড়ান্ত ডামাডোল। চোটআঘাতের তালিকাও দীর্ধ। বেশ কয়েকজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। মঙ্গলবার তালিকাটা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় লালহলুদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মারিও রিভেরা। বুধবার তাঁর কোচিংয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে মারিও রিভেরা। প্রথম একাদশ গড়তেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। কারণ দলের একাধিক ফুটবলার চোটের কবলে। তার ওপর করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন ফুটবলার কোয়ারেন্টিনে। আর দুএকজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হলেই ম্যাচ স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন আগের ৩টি ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা। এই রকম সমস্যা সঙ্কুল পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন লালহলুদের স্প্যানিশ কোচ। তবে নিজের প্রথছম ম্যাচেই জয়ের কথা ভাবছেন না মারিও রিভেরা। প্রথম লক্ষ্য দলকে ছন্দে নিয়ে আসা। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেন, মরশুমের মাঝখানে কোনও দলের দায়িত্ব নিলে বুঝতে হয় দলের সবকিছু ঠিকঠাক নেই। আপাতত লক্ষ্য দলকে ছন্দে ফেরানো, ফুটবলারদের মনোবল চাঙ্গা করা। তবে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে আগের থেকে ভাল ছন্দে রয়েছে। দলের অবস্থা যাইহোক না কেন, প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার দিকে মন দিতে চান রিভেরা। তিনি বলেন, আমি টোটাল ফুটবলে বিশ্বাসী। আক্রমণাত্মক ফউটবল খেলতে চাই। তবে শুধু আক্রমণাত্মক খেললেই হবে না, রক্ষণও মজবুত রাখতে হবে। এদিকে, ফুটবলারদের তৈরি রাখলেও এপসি গোয়ার বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে আয়োজকদের কাছে ম্যাচ স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে। লালহলুদের বেশ কয়েকজন ফুটবলার চোটের কবলে। তার ওপর বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। মঙ্গলবার আবার নতুন করে দুজন ফুটবলারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই অবস্থায় মাঠে নামা কঠিন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ স্থগিতের কোনও খবর নেই। হয়তো ম্যাচ শুরুর ঘন্টা ৩৪ আগে জানা যাবে আদৌও ম্যাচ হবে কিনা।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের কী বললেন রিভেরা?‌ স্থগিত হতে পারে লালহলুদের ম্যাচ

শিবিরে করোনার হানা। বেশ কয়েকদিন কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে আবার মাঠে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংয়ের তত্ত্বাবধানে নয়। কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন নবনিযুক্ত কোচ মারিও রিভেরা। বেশ কয়েকদিনের বিরতি কাটিয়ে বুধবার আবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম পরীক্ষা মারিও রিভেরার। আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি লালহলুদ ব্রিগেড। তার মধ্যেই দলের মধ্যে চূড়ান্ত ডামাডোল। ম্যানেজমেন্টের ওপর বিরক্ত হয়ে নেতৃত্ব ছেড়েছেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেছেন রেনেডি সিং। এই অবস্থায় দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ নতুন কোচ মারিও রিভেরার। প্রথম দিন মাঠে নেমে অধিকাংশ ফুটবলারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন লালহলুদের নতুন স্প্যানিশ কোচ। কোথায় সমস্যা হচ্ছে ফুটবলারদের কাছ থেকে জেনে নেন। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আরও একদিন দলকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবেন রিভেরা। প্রথমদিনের অনুশীলনের পর তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় কয়েকদিন ফুটবলাররা অনুশীলন করতে পারেনি। দল খারাপ জায়গায় রয়েছে। ফুটবলারদের কাছে কাজটা কঠিন হলেও আমার বিশ্বাস এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। দল নিয়ে মাঠে নামলেও বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আদৌও এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। শবিবার ও রবিবার আইএসএলের ম্যাচ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার জামশেদপুর এফসি ও হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেল। আইএসএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে করোনা সংক্রমণের জেরে এই নিয়ে চারটি ম্যাচ স্থগিত হল। ৮ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের ওডিশা এফসি ম্যাচ এবং গত শনিবারের বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছিল। গতকাল বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ জানানো হয় কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার কথা। আইএসএলের খেলা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে হায়দরাবাদ-জামশেদপুর ম্যাচ স্থগিতের কথা জানানো হয়। ১১ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে জামশেদপুর। এসসি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, বুধবার তাদের ম্যাচও স্থগিত হয়ে যেতে পারে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডামাডোল এসসি ইস্টবেঙ্গলে, স্বপ্নভঙ্গ হয়ে নেতৃত্ব ছাড়লেন সবুজ-মেরুন থেকে আসা গোলকিপার

এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবকে নেতৃত্ব দেবেন। সেই স্বপ্ন নিয়ে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লালহলুদে যোগ দিয়েছিলেন। স্বপ্ন পূরণ হলেও দলকে আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি। ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। শনিবার হঠাৎ করেই তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।শনিবার বিকেলে টুইটারে অরিন্দম লেখেন, নিজের খেলার ব্যাপারে সবসময় সততা বজায় রেখে চলতে বিশ্বাস করি। আমাকে ঘিরে এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে আগের মতোই মাঠে নেমে দলের জন্য, সমর্থকদের জন্য ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব। মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও সবরকম দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি তৈরি। তবে সূত্রের খবর, ম্যানেজমেন্টের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েই নেতৃত্ব ছেড়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।Ive always been honest about the way Ive played the game. And at this moment due to circumstances around me, I am stepping down as the captain of @sc_eastbengal(1/2) Arindam Bhattacharya (@ArindamGK) January 15, 2022নতুন কোচ মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে অরিন্দম ভট্টাচার্যর নেতৃত্ব ছাড়াটা আরও একটা খারাপ খবর এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে। কারণ আগের দিনই লালহলুদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিং পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নতুন কোচ মারিও রিভেরার সহকারী হিসেবে কাজ করবেন না। এখন দেখার লালহলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইতিমধ্যেই গোয়ায় টিম হোটেলে পৌঁছে গেছেন রিভেরা। আপাতত কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে পরের ম্যাচ থেকেই তিনি লালহলুদ ব্রিগেডের দায়িত্ব তুলে নেবেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। লালহলুদের পরের ম্যাচ নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা রয়েছে। এক ফুটবলার ও এক সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত। হয়তো কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যেতে পারে আইএসএল।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : ‌ইতিহাস গড়েও জয় এল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের

ভাগ্য বরাবরই সাহসীদের সঙ্গ দেয়। যেমন আইএসএলে আগের দুম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে দিয়েছিল। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে অবশ্য ভাগ্য সহায় হল না। স্বদেশি ব্রিগেড নিয়ে মাঠে নেমে নজির গড়লেন। আইএসএলের ইতিহাসে এই নজির আগে কোনও দল দেখাতে পারেনি। তবুও এদিন দলের হারল বাঁচাতে পারলেন না লালহলুদের অন্তর্বর্তীকলীন কোচ রেনেডি সিং। শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। টানা ৪ ম্যাচ পর আবার হারের মুখ দেখতে হল। তবে লালহলুদ ব্রিগেডের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই হবে।এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে ছিল জামশেদপুর এফসি। অন্যদিকে লালহলুদ শিবির একেবারে শেষ স্থানে। তার ওপর ৪ জন বিদেশি নিয়ে মাঠে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভরসা স্বদেশি ব্রিগেড। অসম লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হাল মানল লালহলুদ ব্রিগেড।আরও পড়ুনঃ ভামিকার জন্মদিনে সেঞ্চুরি হাতছাড়া, রান পেলেও ব্যর্থ বাবা কোহলিযদিও ম্যাচের শুরু থেকে সমানে সমানে লড়াই করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। এদিন জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে সেমবই হাওকিপকে একা ওপরে রেখে ৪১৪১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিং। লক্ষ্য ছিল মাঝমাঠে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়া। সৌরভ দাস দুই ডিফেন্ডারের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে প্রথমার্ধে তিনকাঠি খুঁজে পাননি জামশেদপুর এফসি স্ট্রাইকাররা।দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণত্মক হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। ৫২ মিনিটে গোল করার সুযোগও এসেছিল। সেবিয়ার সেন্টারে স্টুয়ার্ট হেড করলে বল বারে লেগে ফিরে আসে। অবশেষে ৮৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় জামশেদপুর। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ইশান পান্ডিতা গোল করে দলকে জেতান। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল জামশেদপুর।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal-New Foreigner : ‌চিমার পরিবর্তে লালহলুদে পর্তুগালের স্ট্রাইকার

স্ট্রাইকার সমস্যা কাটতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গলে। কয়েকদিনের মধ্যেই গোয়ার শিবিরে যোগ দিচ্ছেন পর্তুগালের প্রথম ডিভিশনে খেলা স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্টোস।আইএসএলের প্রথম থেকেই স্ট্রাইকার সমস্যায় সমস্যায় ভুগতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে নতুন স্ট্রাইকারকে সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। পর্তুগালের প্রথম ডিভিশনে খেলা ক্লাব গিল ভিসিন্তে খেলা মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্টোসকে এবার খেলতে দেখা যাবে লালহলুদ জার্সি গায়ে।আরও পড়ুনঃ সুপারস্প্রেডারের ভয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে আদালতে আর্জি ডক্টর্স ফোরামেরআইএসএলে বিদেশি ফুটবলাররাই সাধারনত পার্থক্য গড়ে দেন। কিন্তু লালহলুদে ড্যানিয়েল চিমা, আমির ডার্বিসেভিচরা দলকে ভরসা দিতে পারেননি। হাতে বিকল্প না থাকায় ড্যানিয়েল চিমাকে দিনের পর দিন প্রথম একাদশে খেলাতে হয়েছে। কিন্তু তিনি যেভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন, এককথায় অবিশ্বাস্য। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অবশেষে দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে তাঁকে ছেঁটে ফেললেন। মুম্বই সিটি এফ সি ম্যাচের পরই তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করা হয়।আরও পড়ুনঃ আইএসএলে ইতিহাস গড়তে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কীভাবে দেখে নিনড্যানিয়েল চিমার পরিবর্ত হিসেবে আগে থেকেই বিদেশি স্ট্রাইকারের খোঁজে ছিলেন লালহলুদ কর্তারা। একসময় গত মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া ব্রাইট এনবাখারের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি কভেন্ট্রির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে আসতে রাজি হননি। হাইমে কোলাডোরে সঙ্গেও কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত পর্তুগালের মার্সোলো রিবেইরো ডস স্যান্টোসকে সই করালেন লালহলুদ কর্তারা।🚨𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓🚨We are pleased to announce that we have acquired the services of young Brazilian striker 𝐌𝐚𝐫𝐜𝐞𝐥𝐨 𝐑𝐢𝐛𝐞𝐢𝐫𝐨 𝐝𝐨𝐬 𝐒𝐚𝐧𝐭𝐨𝐬 on loan from Gil Vicente FC till the end of the season, subject to clearances.#WelcomeMarcelo #WeAreSCEB pic.twitter.com/FER5whE2Lm SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 10, 2022২৪ বছর বয়সী ডস স্যান্টোস ২০২১র আগস্টে প্রথম গিল ভিসেন্তের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৩টির বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ডস স্যান্টোসও নিয়মিত খেলার আশায় ক্লাব ছাড়তে মুখিয়ে ছিলেন। লালহলুদ কর্তাদের প্রস্তাব তিনি গ্রহন করেন। আপাতত তিনি গিল ভিসেন্তে থেকে লোনে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিচ্ছেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি করার পর মার্সোলো রিবেইরো ডস স্যান্টোস বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। শুনেছি এই ক্লাবটি ভারতের অন্যতম সেরা। আশা করছি দলের হয়ে ভাল অবদান রাখতে পারব। স্যান্টোসকে চুক্তি করলেও আপাতত কয়েকটা ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। ভারতে এসে তাঁকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে একটাই সুবিধা তিনি খেলার মধ্যে রয়েছেন। আরও পড়ুনঃ এসটিএফের অভিযানে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার বাবা ও ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য বর্ধমানে

জানুয়ারি ১০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal