• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Retainment

কলকাতা

গাড়ি চালকের অবসরের দিনে মেট্রোকর্তার অদ্ভুত সম্মান প্রদান, যা শুনে আপনারও মন ছুঁয়ে যাবে

কার্তিকচন্দ্র মন্ডল জীবিকা নির্বাহের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন গাড়ি চালানোকে। চাকরি হিসেবে তিনি ড্রাইভার পদে যুক্ত হয়েছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলে। সেখানেই তিনি কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির গাড়ি চালাতেন। স্বাভাবিকভাবে এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের গাড়ি চালানায় যে বাড়তি সতর্কতা কিংবা নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন, সে বিষয়কে মাথায় রেখে নিজের কাজ দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করেছেন নিজের কর্মজীবনে। ফলস্বরূপ মেট্রোরেলের বিভিন্ন অফিসার এবং সহকর্মীদের স্নেহ ও ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিশেষ করে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির কাছের পাত্র হয়েছিলেন প্রতিদিন একসাথে যাওয়া-আসার সুবাদে। সেই কার্তিক মন্ডল কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন আজ, মঙ্গলবার। এই অবসরের দিনে আনুষ্ঠানিক বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় মেট্রো রেল ভবনে। এদিন কার্তিকবাবুর কর্তব্যনিষ্ঠা এবং সময়ানুবর্তিতাকে সম্মান জানিয়ে বিদায়লগ্নে তাঁকে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি নিজে গাড়ি চালিয়ে - কার্তিকবাবুকে পেছনে বসিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন। অবসরের দিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার থেকে এহেন সম্মান পেয়ে হতবাক কার্তিকবাবু। আনন্দ এবং গর্ব অনুভব করার প্রতিফলন ধরা পড়ছিল কার্তিকবাবুর অশ্রুসিক্ত চোখের এক কোণে। এই সম্মান ও ভালোবাসা তাঁর অবসরযাপনকালে স্মৃতির মণিকোঠায় অম্লান হয়ে থাকবে। চালকের প্রতি বিশেষ সম্মান জানানোয় মেট্রো রেলের কর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন পি উদয়কুমার রেড্ডিকে।মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র এবিষয়ে জানিয়েছেন, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডির গাড়ি চালানোর কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেছেন। অবসরের দিন স্বয়ং জেনারেল ম্যানেজারের কার্তিকবাবুর প্রতি এহেন সম্মান প্রদর্শন এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ।

নভেম্বর ০১, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

'বাজা তোরা , রাজা যায়...' সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার

২০১৬ সাল। তিন বন্ধু সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম সুইজারল্যান্ড, চোদ্দ দিন ধরে, কোনো ট্র্যাভেল এজেন্ট-এর সাহায্য ছাড়াই। তুষারমৌলি আল্পস... কাকচক্ষু জলের অসংখ্য দিগন্তপ্রসারী হ্রদ... নকশিকাঁথার মতো বন-প্রান্তর-জনপদ--- স্মৃতিপটে গাঁথা হয়ে গেছে চিরদিনের মতো।তবু সেই অপরূপ পর্যটন অসম্পূর্ণ রয়ে গেছিল আমার চোখে, কারণ প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও ভ্রমণসূচীতে রাখা যায় নি একটি সুন্দর শহরকে --- বাসেল, যেখানে বাস খেলার জগতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির।স্কুলজীবনে রচনা লিখতে হতো-- তোমার প্রিয় ক্রীড়াবিদ। ছোটবেলা থেকে আমার খাতায় বারবার বদলে গেছে সে চরিত্র -- প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়... সুনীল গাভাসকর... সের্গেই বুবকা... বিশ্বনাথন আনন্দ... হোসে রামিরেজ ব্যারেটো...। কিন্তু গত দুই দশক জুড়ে সবচেয়ে প্রিয় নাম একটিই-- রজার ফেডেরার। আগামী সপ্তাহেই লন্ডনে অনুষ্ঠেয় লেভার কাপ-এ চব্বিশ বছরের বর্ণময় আন্তর্জাতিক টেনিস জীবনে দাঁড়ি পরতে চলেছে যাঁর।নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেনকিং রজার কি লন টেনিস-এর ওপেন যুগে সর্বকালীন সেরা ? দ্বিমত পোষণ করতে পারেন অনেকে, কিন্তু স্কিল- স্ট্যামিনা- এনডিওরেন্স-এর যে চূড়ান্ত পর্যায়ে দুই দশক বিরাজ করেছেন তিনি, যে অনায়াস দক্ষতায় তুলির টান দিয়েছেন সারা পৃথিবীর টেনিস কোর্টে, গগনচুম্বী সাফল্য সত্ত্বেও যেভাবে মাটির কাছাকাছি রয়ে গেছেন বিনয়-ভদ্রতা-মানবিক মূল্যবোধের প্রতিমূর্তি হয়ে-- তাতে আমার মতো বিশ্বজোড়া কোটি কোটি সমর্থকের বুকে চিরস্থায়ী আসন পাতা হয়ে গেছে তাঁর।কুড়িটি গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব (আটবার উইম্বলডন, ছয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, পাঁচবার ইউএস ওপেন, একবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ), চল্লিশটি এটিপি ট্যুর সিঙ্গলস খেতাব, সব মিলিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ১০৩টি সিঙ্গলস খেতাব, গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় রেকর্ডসংখ্যক ৩৬৯টি সিঙ্গলস ম্যাচ জেতা, ৩১০ সপ্তাহ একনম্বর স্থান ধরে রাখা, সবচেয়ে বেশী বয়সে (ছত্রিশ বছর দশ মাস) একনম্বর স্থান পুনরুদ্ধার করা, অন্ততঃ তিন মরশুমে (২০০৬, ২০০৭,২০০৯) সবকটি গ্র্যান্ড স্লাম-এর ফাইনাল খেলা--- এগুলো নেহাত পরিসংখ্যান নয়; সদ্য-অবসৃত সেরেনা উইলিয়ামস যেমন মেয়েদের টেনিস-এ , তেমনই নাদাল-জকোভিচকে নিয়ে পুরুষদের টেনিস-এ চিরকালীন মানদণ্ড গড়ে দিয়ে গেলেন রজার ফেডেরার।বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা দুনম্বরে ছিলেন৮১ সালের আটই আগস্ট বাসেল অঞ্চলে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন রজার-- বাবা রবার্ট সুইস, মা লিনেট দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। আট বছর বয়সে টেনিস Racket হাতে তুলে নিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। তেরো চোদ্দ বছর বয়সেই ছোটবোন ডায়ানা-কে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল লুসান-এর সুইস টেনিস অ্যাকাডেমিতে। সুইজারল্যান্ড-এর এই অংশে ফরাসী ভাষাটাই চলে বেশী, কিন্তু রজার যে জার্মান ভাষাতেই বেশী স্বচ্ছন্দ! বার বার মন চাইতো বাসেল-এ ফিরে যেতে, কিন্তু ততদিনে আশেপাশের অনেকেই তার মধ্যে দেখতে পেয়েছেন অমিত সম্ভাবনা। কাজেই লড়াই জারী রইলো তার; লুসান আর ছাড়া হলো না। ৯৩ থেকে ৯৫ , বাসেল-এর এটিপি টুর্নামেন্টে বলবয় ছিল রজার-- বড় হয়ে যে খেতাব দশ বার জিতে নিয়েছিল সে।৯৮-এ মাত্র সতেরো বছর বয়সে পেশাদার হয়ে গেল রজার, আর তিনবছর বাদেই জিতে নিল প্রথম এটিপি সিঙ্গলস খেতাব, মিলান-এ। স্টিফেন এডবার্গ, বরিস বেকার, আর পিট স্যাম্প্রাস আদর্শ ছিলেন তার। মাত্র উনিশ বছর বয়সে সেই স্যাম্প্রাসকেই হারিয়ে দিল রজার।এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণেঅনেক বন্ধু বলতো, মনে হয় এবছর তুই ওঁকে হারাতে পারবি ,ফেডেরার বলেছিলেন, জানতাম সম্ভাবনা আছে একটা, তবে পুরোপুরি নয়; মানে ঘাসের কোর্টে উনিই তো আসল লোক!পরের রাউন্ডেই হেরে গেলেন টিম হেনম্যান-এর কাছে।পরের বছর কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই বিদায়। তার ধাতটাই তখন অশান্ত--- Racket আছড়ানো... পনিটেল... রুক্ষ মানসিকতা...। হঠাৎই ব্যক্তিজীবনের এক আঘাত তাকে বদলে দিল চিরদিনের মতো। একুশ বছরের জন্মদিনের পরেই, দক্ষিণ আফ্রিকায় এক পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পিটার কার্টার, রজার-এর কোচ ও বহুদিনের বন্ধু। প্রিয় সঙ্গীর আকস্মিক চলে যাওয়া জন্ম দিল এক নতুন রজার ফেডেরার-এর -- শান্ত, সৌম্য,ভদ্রতার প্রতিমূর্তি; এক সর্বজনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।২০০৩-এ মার্ক ফিলিপৌসিস-কে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন জিতেছিলেন। সেই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের উনিশ বছর পর, গত বৃহস্পতিবার, অবসরগ্রহণের ঘোষণা এল তাঁর কাছ থেকে।ফেব্রুয়ারি০৪ থেকে আগস্ট ০৮--- টানা ২৩৭ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন ফেডেরার। এক বিরল সৌন্দর্য ছিল তাঁর খেলায় -- টেনিস যেন বড় অনায়াস, সাবলীল, সহজ ছন্দে বইতো তাঁর হাতে। কব্জির সুক্ষ মোচড়ে অসাধারণ ফোরহ্যাণ্ড... একহাতে মারা চোখজুড়ানো ব্যাকহ্যাণ্ড... অনায়াস সার্ভিস... অবলীলায় কোর্টের যে কোনো প্রান্ত থেকে দুরূহ প্লেসমেণ্ট--- টেনিস-এর শেষ কথা মনে হতো তাঁকেই। তারপর দেখা দিলেন রাফেল নাদাল....মিক্সড ডাবলসে সানিয়ার সাথেসবদিক দিয়ে ফেডেরার-এর ঠিক বিপরীতে ছিলেন নাদাল। সার্ভ অ্যান্ড ভলি গেমকে যে শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ফেডেরার, রাফা-র অ্যাথলেটিসিজম-শক্তি-গতিময়তা তাকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললো। রোল্যাঁ গ্যারো-র লাল সুড়কির কোর্টে তো নাদাল-এর মৌরসিপাট্টা ছিলই, ফেডেরার-কে তিনি পিছনে ফেলতে লাগলেন অন্যত্রও। ততদিনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দেখা দিয়েছেন নোভাক জকোভিচ-ও।আমি কখনোই এইরকম খেলোয়াড় হয়ে উঠতাম না,যদি না নাদাল থাকতো, ফেডেরার বলেছিলেন তাঁর কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কোর্টের বাইরে প্রিয় বন্ধুর সম্বন্ধে। পরপর তিনবার ফ্রেঞ্চ ওপেন-এর ফাইনাল-এ, আর ২০০৮-এ উইম্বলডন-এও নাদাল-এর কাছে হার রজার-কে বাধ্য করলো নতুন করে নিজেকে বদলাতে।হয়তো এর পরিণতিতেই পরের বছর এলো ফেডেরার-এর খেলোয়াড় জীবনের সম্ভবতঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়, ২০০৯-এর ফ্রেঞ্চ ওপেন-এ। নাদাল হেরে গেলেন রবিন সডারলিং-এর কাছে, আর ফেডেরার তখন চতুর্থ রাউন্ডে টমি হাস-এর বিরুদ্ধে দু সেট খুইয়ে বসে আছেন। এক বছর আগে হলে হয়ত চাপের মুখে আবার হেরে বসতেন, কিন্তু অবিশ্বাস্য এক ফোরহ্যাণ্ড তৃতীয় সেট-এর অষ্টম গেম-এ ব্রেকপয়েণ্ট বাঁচিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলো তাঁকে; শেষমেশ জিতেই নিলেন ম্যাচটা। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে মঁফিলস, সেমিফাইনাল-এ দেল পোট্রো, আর ফাইনালে নাদাল-জয়ী সডারলিং--- একের পর এক কঠিন ম্যাচ জিতে রজার দেখিয়ে দিলেন, ক্লে কোর্টেও কিছু কম যান না তিনি।এর পরেই যদি অবসর নিয়ে নিতেন, কারো কিছু বলার থাকতো না। ত্রিশ পেরিয়ে গেছে... সামপ্রাস-এর সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন... জিতেছেন সবরকম সারফেস-এ... নতুন করে প্রমাণ করার আর ছিল কী?টেনিসের রাজা ভারতেপ্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ততদিনে জকোভিচ-ও; অস্তগামী সূর্য ফেডেরার পড়ন্ত বেলায় তাঁর বিরুদ্ধে ততটা সফল হতে পারেন নি। চোটআঘাতও ভোগাতে শুরু করলো বারবার। একচল্লিশ বছর বয়সে, গত দেড় বছরে উপর্যুপরি তিনবার হাঁটুর অপারেশন করাবার পরে, সময় ও শরীরের দাবী মেনে নিলেন তিনি। এ সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারতেন চার বছর আগেই, তাঁর তো আর কারো কাছে কিছু প্রমাণ করার ছিল না !২০১৭-এ কঠিন চোট থেকে সেরে উঠে, ১৮-র জানুয়ারির মধ্যেই আবার তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিয়ে, ২০১৯-এর উইম্বলডন ফাইনালে একচুলের জন্য খেতাব হাতছাড়া করার পরেই রাজসিক মর্যাদায় অবসর নিতে পারতেন রাজা রজার। কিন্তু তিনি নিজে তো নিজেকে আম আদমি-ই ভেবে এসেছেন বরাবর। টেনিস-এর প্রতি নিটোল প্রেম আর অগণিত ভক্তদের প্রতি অটুট দায়বদ্ধতাই তাঁকে সরে যেতে দেয় নি ।চেষ্টা করে গেছেন অন্তরালে থেকেও পাদপ্রদীপের আলোয় ফিরে আসার।সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার; গার্হস্থ্য মূল্যবোধের প্রতিভূ হয়ে রয়ে গেছেন, কোনো কেচ্ছা-কেলেঙ্কারী কখনো ছুঁতে পারেনি তাঁকে। স্ত্রী মির্কা নিজেও ছিলেন নামী টেনিস খেলোয়াড়--- ডব্লিউটিএ Ranking-এ ছিয়াত্তর পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিলেন এক সময়, উঠেছিলেন ইউএসওপেন-এর তৃতীয় রাউন্ডে। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। পরে একসময় জুটি বেঁধে হপম্যান কাপে মিক্সড ডাবলসেও নেমেছিলেন। দুইজোড়া যমজ সন্তান তাঁদের-- দুই মেয়ে মাইলা ও শার্লিন, আর দুই ছেলে লিও ও লেনি। গ্যালারী থেকে পুরো পরিবার তাঁকে সোচ্চার সমর্থন করছে ম্যাচের সময়-- এর থেকে মধুর দৃশ্য তাঁর কাছে কিছু নেই, জানিয়েছিলেন ফেডেরার।পৃথিবী জুড়ে এত ভালবাসা কীভাবে পেলেন ফেডেরার?কখনো মনুষ্যত্ব হারান নি তিনি। একবার লন্ডন-এ উইম্বলডন খেলতে এসে দেখলেন, হোটেলে তাঁর কোচ ও সাপোর্ট টিমের অন্যান্যদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাধারণ ডিলাক্স রুম, আর তাঁর জন্য বিলাসবহুল সুইট। রজার নির্দেশ দিলেন সবার জন্যই তাঁর মতো ঘরের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু জানা গেল যে আর কোনো সুইট খালি নেই। ফেডেরার পত্রপাঠ সুইট ছেড়ে চলে এলেন সাধারণ ডিলাক্স রুমে!The great moments I spent here will forever be in my memory. Thank you New Delhi! Tremendous crowd support! Forever grateful 🙏 Roger Federer (@rogerfederer) December 8, 2014কখনো ম্যাচ হারের পর অজুহাত দেন নি, বা প্রতিপক্ষকে ছোটো করেন নি তিনি। একবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-এ --- ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস জ্বরে ভুগতে ভুগতেই ফাইনাল-এ গেলেন রজার, প্রচুর লড়েও হারলেন জকোভিচ-এর কাছে। ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের শারীরিক কষ্টের অজুহাত দিলেন না, বরং বললেন, বিগত কয়েক দিন আমার শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছে। কিন্তু আজ যেন নোভাক-এর কৃতিত্ব কিছু কম বলে মনে করা না হয়; কারণ ম্যাচটা জিততে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম।অবসর-এর পর কী করবেন? পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন... স্কিইং... সমুদ্রসৈকত... তাস... টেবলটেনিস। পছন্দের তালিকায় আছে আরো অনেক কিছু--- হাইকিং, সাইক্লিং, সংগ্রহশালায় ঘুরে বেড়ানো ,প্রিয় সুইস খাবার খাওয়া (চকোলেট-ফন্ডু-রাকলেট-রোস্টি উইথ কর্ডন ব্লু ইত্যাদি)। চারটি ভাষায় স্বচ্ছন্দ তিনি-- ফরাসী, ইংরেজী, সুইস ও জার্মান।২০০৩ সালে শুরু করেছিলেন রজার ফেডেরার ফাউন্ডেশন, বিশ্ব জুড়ে এক কোটির বেশী ছেলেমেয়ের জীবনকে ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে যে সংস্থা। রাফেল নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেন ২০-র জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান বুশফায়ার রিলিফ-এ। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড- সাহায্যার্থে দান করেছেন প্রায় আট কোটি টাকা। টেনিস ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতির দুটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলেছেন নাদাল (কেপটাউন: ফেব্রুয়ারি২০) ও আলেকজান্ডার জেরেভ (মেক্সিকো সিটি: নভেম্বর ১৯)-এর সঙ্গে। এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণে। এদেশের টেনিস কোর্ট তাঁকে পেয়েছে পরে ১৪ সালে , প্রদর্শনী ম্যাচের সূত্রে।রিপুটেশন ইনস্টিটিউট ২০১১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা করতে গিয়ে দুনম্বরে রেখেছিল তাঁকে, একমেবাদ্বিতীয়ম নেলসন ম্যান্ডেলা-র পরেই। ঠিক পিছনেই ছিলেন বিল গেটস, স্টিভ জোবস ,ওপ্রা উইনফ্রে, বোনো।রাজা রজার-এর প্রস্থানে রিক্ত হবে ক্রীড়া জগৎ। তবু অনুপ্রাণিত করতে থাকবেন তিনি, খেলোয়াড় হিসেবে, মানুষ হিসেবে, এক আদর্শ ফ্যামিলিম্যান হিসেবে....Good bye, sweet Prince ! It was a pleasure and privilege walking on the same earth with you !!কৃতজ্ঞতা স্বীকার : টাইমস অফ ইন্ডিয়া।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০২, ২০২২
নিবন্ধ

Small Story: বাণপ্রস্থ (ছোট গল্প)

শিমুলতলি গ্রামের সবাই আজ ছুটে চলেছে তাদের ভগবান কে একবার শেষ দেখা দেখ্তে। আজ গ্রামের এতো উন্নতি যার জন্য সেই বাবাঠাকুর আজ তারার দেশে পাড়ি দিয়েছেন।লোকে লোকারন্য আজ তার প্রিয় বাণপ্রস্থের মাঠ। শহর থেকেও বহুমানুষ এসেছে।কিন্তু প্রশ্ন হলো কে এই মানুষটি? কেনই বা সবাই তার জন্য এতো কষ্ট পাচ্ছে।তিনি হলেন সুবিনয় রায়চৌধুরী,কলকাতা শহরের এক নামী কলেজের অধ্যাপক । এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়।আজকে তার জন্য মানুষের মনে তার জন্য এই বেদনার কারণ জানতে হলে ফিরে যেতে হবে পনেরো বছর আগে------সুবিনয় বাবু তখন অবসর নিয়েছেন বেশ কিছুবছর, তার স্ত্রী চারুলতা দেবী ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা । তিনিও মাস ছয় হলো অবসর নিয়েছেন। সুবিনয় বাবু অবসর সময় কাটাতে মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে যেতেন । সেখানে গিয়ে তার মনে হয় গ্রাম টা যেন অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এসব কথা তিনি জানান স্ত্রী চারুকে আর ঐ গ্রামেই একসঙ্গে বড়ো হয়ে ওঠা যে কজন বন্ধুর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে তাদের। তারাও সবাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকে।স্ত্রী অবসর নেওয়ার পর তারা ভাবতে থাকেন কিভাবে অবসর জীবনটা কাটান যায়। কারণ এতদিন সংসারের যাবতীয় কর্তব্য দুজনে খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। ছেলে মেয়েরা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত নিজ নিজ ক্ষেত্রে । সবার বিয়ে হয়ে গেছে। বেশ একটা সুখী পরিবার। কিন্তু তাদের মন অন্য কিছু চায়। সংসারে আর আটকে থাকতে চান না তারা। বন্ধুদের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা চলে।একদিন ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে ডেকে পাঠান বাড়িতে।সবাই হাজির কৌতূহলী হয়ে।কি কারণ হতে পারে কেউ আন্দাজ করতে পারছে না।অবশেষে বাবা মা হাজির হয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটান। গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন তারা আগামী মাসে। ওখানেই তারা থাকবেন এবার থেকে।ছেলেরা চুপ করে শুনছে তাদের কথা অবাক চোখে।কেনো আমরা কি কোনো ভুল করেছি? জিজ্ঞাসা করে ছেলের বৌরা ।তাদের থামিয়ে দিয়ে সুবিনয় বাবু বলেন না না তোমরা আমাদের খুবই যত্নে রেখেছ।কিন্তু আমরা আর সংসারে থাকতে চাই না। এবার আমরা বাণপ্রস্থে যেতে চাই। তাই গ্রামের বাড়িতে একটা আশ্রম করছি। আমরা ছোটো বেলার কিছু বন্ধু একসঙ্গে থাকতে চাই । আবার ফিরে যেতে চাই সেই শৈশবে । আর যে গ্রামে আমরা বড়ো হয়েছি কিছু করে যেতে চাই তার জন্য।তাই আগামী মাসে আমরা আমাদের আশ্রম বাণপ্রস্থে চলে যাব।ছেলে মেয়েরা বাবার কোনো সিদ্ধান্ত কে কোনোদিন অসম্মান করেনি। কিন্তু আজ সবাই আপত্তি করলো। গ্রামের জন্য কাজ করতে চাও ভালো কথা । সেটা তো এখান থেকেই হয়।ওখানে গিয়ে থাকার কি খুব দরকার আছে? মেয়ের কথা শুনে চারুলতা দেবী বললেন সব কাজ দুর থেকে হয়না। তাছাড়া আমাদের এখন বাণপ্রস্থেরই সময়। তোমরা এখন নিজেরা সব সামলাতে চেষ্টা কর।আর কোনো কথা বাড়াল না কেউ।এর একমাস পরে তারা সবাই হাজির হলেন একে একে শিমুলতলিতে। তারা শুরু করেন ছেলে মেয়েদের পড়ানো, নানারকম হাতের কাজ শেখান। এইভাবে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল।তারপর অনেকেই এসেছেন এখানে থাকতে। অবশ্যই যারা ওনাদের মত গ্রাম ভালবাসে, সেবা করতে চায় তারাই। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরা অনেকেই বাইরে কাজ করে।অনেক উন্নতি হয়েছে গ্রামের।এই সবই হয়েছে যার ঐকান্তিক ইচ্ছায় আর উদ্যগে তিনি হলেন সুবিনয় রায়চৌধুরী ।আজ তার খবর পেয়ে ছেলেমেয়েরাও এসেছে। তারা অবাক চোখে দেখ্ছে বাবা মা আর তাদের বন্ধুদের কর্মকান্ড।তারা কোনোদিনই গ্রামে আসেনি। আজ তারা অভিভূত গ্রামের মানুষদের আন্তরিকতায়।বাবার এই কর্মকান্ড তারা বুঝতেই পারেনি। আজ নিজেদের খুব ছোটো লাগছে। তিন ভাইবোন বাবার পায়ের কাছে বসা মাকে ঘিরে ধরে। মা বলে আজ তোরা শুধু নয় শিমুলতলি গ্রাম পিতৃ হারা হলো। এই কথায় ওরা আর নিজেদের রুখতে পারলো না । কেঁদে ফেলল ছোট্ট বাচ্ছাদের মত। বাবার পায়ে হাত দিয়ে শপথ করলো তিন জনেই আর আমরা দুরে থাকব না। বাবার এই আশ্রমের সব দায়িত্ব আজ থেকে আমাদের।দিনটা ছিল পিতৃদিবস ,বাবার প্রতি এটাই ওদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।।লেখিকাঃ রাখি রায়রাখি রায়-র কলমে আরও কিছু লেখাআরও পড়ুনঃ দাগ (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ কুঁড়ে ঘর থেকে ক্রিকেটের নন্দনকাননেআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ উত্তরণ (বাংলা ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাতআরও পড়ুনঃ মিঠির ডায়েরি (বাংলা ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- তৃতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- চতুর্থ পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)-অন্তিম পর্ব

ডিসেম্বর ২৬, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal