সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে মোহনবাগানের পথে ইস্টবেঙ্গল
ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল মোটেই সুখের হল না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে আটকে যেতে হল লালহলুদ ব্রিগেডকে। সুহের, সুমিত পাসিদের অজস্র গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।রবিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার জন্য রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচই ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছে ড্রেস রিহার্সাল। এদিন প্রথম একাদশে চারচারটি পরিবর্তন করে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। দুই বিদেশি অ্যালেক্স লিমা ও কিরিয়াকু প্রথম একাদশে। সঙ্গে আগের ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নামা তুহিন দাস ও জেরি। আগের ম্যাচে মাত্র একজন গোলকিপার নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন রিজার্ভ বেঞ্চে নবীন কুমার।রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। তাই এদিন সতর্ক হয়ে মাঠে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য লালহলুদের আধিপত্য। ভিপি সুহের, সুমিত পাসিরা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইমামি ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে আক্রমণে উঠে এসে সেন্টার করেন সুহের। সামনে রাজস্থান ইউনাইটেডের গোলকিপারকে একা পেয়েও বাইরে হেড করেন সুমিত। এক মিনিট পরেই সুহেরের সুযোগ নষ্ট। ২৬ মিনিটে অমরজিৎ সিংয়ের দুর্দান্ত শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। পেনিট্রেটিভ জোনে সুহের, সুমিত, অমরজিৎরা আর একটু তৎপর হলে প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যেত ইমামি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে দুদুটি পরিবর্তন করেন স্টিফেন কনস্টানটাইন। কিরিয়াকুর জায়গায় ইভান গঞ্জালেস ও অমরজিৎ সিংয়ের জায়গায় সৌভিক চক্রবর্তী। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে লালহলুদের আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল। তবে গোলের মুখ খুলতে পারেননি সুমিত পাসি, সুহের। বরং রাজস্থান ইউনাইটেডের সামনে জয়ের সুযোগ এসে গিয়েছিল। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি পায় রাজস্থান। বারবোসার শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান লালহলুদ গোলকিপার কমলজিৎ। শেষদিকে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আলেজান্দ্রোকে। তাতেই লাভের লাভ কিছু হয়নি। পরপর দুটি ম্যাচ ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কাজ কঠিন করে ফেলল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগানের মতোই অবস্থা লালহলুদের।