• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

RS

কলকাতা

বিজেপির 'যশ প্রাপ্তি', গেরুয়া শিবিরে একঝাঁক টলি তারকা

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তাঁর পাশাপাশি বুধবার বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস, শর্মিলা ভট্টাচার্য-সহ টলিউডের একঝাঁক তারকা।ভোট ঘোষণার সময় যতই এগোচ্ছে, ততই সরগরম টলিপাড়া। কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, রণিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্যর মতো পর্দার চেনা অভিনেতারা ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আবার তৃণমূলকে বিদায় জানিয়ে বিজেপির হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। যোগ দিয়েছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ কৌশিক রায়ও। শাসকদলের মতো তারকাদের সামনে রেখেই চমকদার প্রচার চাইছে বিজেপিও। আর বুধবার সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগোল তারা। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে যশ বলেন, রাজনীতি মানেই খারাপ কিছু নয়। আমার মনে হয়, পরিবর্তন শুধু চাইলেই হয় না, মুখে পরিবর্তনের কথা বললেই হয় না। বৃহত্তর স্বার্থে ময়দানে নেমে কাজ করতে হয়। কোনও পদের কথা চিন্তা করে যোগ দিইনি। বিজেপির সঙ্গে আমার আদর্শ মেলে। তাই এই দলের হয়ে প্রাণ খুলে কাজ করতে পারব। যুবসমাজের সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি।আরও পড়ুন: শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ?

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
দেশ

বঙ্গ জয়ে এবার গেরুয়া শিবিরের প্রচারক মিঠুন?

বাংলার ভোটের মুখে হঠাতই সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাংলোয় হাজির আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার সাতসকালে মহাতারকার বাংলোয় যান ভাগবত। ভোটের মুখে এই সাক্ষাৎ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি বাংলার নির্বাচনে মিঠুনদার সমর্থন চাইছে সংঘ পরিবার? শুরু হয়েছে কানাঘুষো।মোহন ভাগবতের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর এই সাক্ষাৎ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে নাগপুরে ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মহাগুরু। দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় হয়। সূত্রের খবর, তখনই ভাগবতকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান মিঠুন। মঙ্গলবার বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বইয়ের মাঢ় অঞ্চলে মহাতারকার বাংলোয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। অভিনেতা অবশ্য দাবি করেছেন, এই বৈঠক অরাজনৈতিক। তাঁর দাবি, ওঁর সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে মুখই খুলতে চাননি আরএসএস প্রধান।প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাঁকে। একটা সময় এরাজ্যের শাসকদলের হয়ে ভোটের প্রচারেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএস প্রধানের সঙ্গে মিঠুনের এই সাক্ষাৎ সেজন্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের মুখে মিঠুনের সমর্থন জোগাড় করতে পারলে বিজেপি যে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যাবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সম্ভবত সেকারণেই মিঠুনের সঙ্গে আরএসএসের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করল বিজেপি।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
প্রযুক্তি

নাসার 'মঙ্গল' কামনায় অ্যালিসার আত্ম-বলিদান

যে বয়সে একরত্তি বাচ্ছা তার বাবা মায়ের কাছে খেলনা, চকোলেট বা পার্কে নিয়ে যাবার বায়না ধরে, সেই ছোট্ট বয়সে, যখন সে সবেমাত্র ৩ বছর তার বাবাকে বলেছিল, বাবা, আমি একজন নভোচারী হতে চাই এবং মঙ্গলগ্রহে যাওয়া লোকদের মধ্যে একজন হতে চাই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার বাবার এই বিষয়ে কোনও সম্যক ধারনা ছিল না এবং তিনি ভাবতেই পারেননি যে তার ছোট্ট অ্যালিসা তাঁর এই স্বপ্ন সফল করবে।অ্যালিসা কারসন ১০ই মার্চ ২০০১ আমেরিকা লুসিয়ানিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। অ্যালিসা রাউজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি তার সমস্ত বিষয়গুলি ৪ টি ভিন্ন ভাষায় অধ্যয়ন করেন। ৯ ই অক্টোবর, ২০১৩-তে তিনি নাসা পাসপোর্ট প্রোগ্রামে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তখনই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি নাসা সেন্টার ঘুরে দেখার অনুমতি পান। মাত্র ১১বছর বয়সে নাসা তাঁর ইচ্ছাশক্তি, অদম্য মনোভাব, নিষ্ঠা দেখে তাঁকে মঙ্গল গ্রহে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় ও ম্যাগাজিনে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০৩৩-এ অ্যালিসাই সেই মানুষ যে মঙ্গল গ্রহে প্রথম পদার্পণ করবেন। এবং ভয়ংকর সত্যি এটাই যে মঙ্গল গ্রহে গিয়ে তিনি আর পৃথিবীতে ফিরবেন না জেনেও তিনি নাসার সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। যেহুতু নীল গ্রহ থেকে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই তাই তাঁকে বিবাহ, যৌনতা, সন্তান ধারন থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানেই প্রশ্ন, একজন মানুষের স্বপ্ন কত বড় হলে সেখানে সে তাঁর অস্ত্বিত্ত্বকেও অস্বীকার করতে পারে? অ্যালিসা জানে যে সে আর পৃথিবী-তে ফিরে আসতে পারবে না, আর মাত্র ১৪-১৫ বছর বাদে একেবারে নিঃসঙ্গ ভাবে কিছু যন্ত্রকে সঙ্গী করে কোটি কোটি যোজন দূরে হিমশীতল নীল তারার বুকে বিলীন হয়ে যাবে। এই হারিয়ে যাওয়াতেই তার স্বপ্নপূরণ! আদ্ভুত!! অ্যালিসা ব্যাটন যেন রবি ঠাকুরের কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা গাইতেই গাইতেই সুরের রেশ টুকু রেখে হারিয়ে যেতে চায়।অ্যালিসা কারসন এক স্বপনের ব্যপারি, তাঁর বিখ্যাত উক্তি সর্বদা আপনার স্বপ্ন আপনি নিজে পূরণ করুন এবং কাউকে এটিকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে দেবেন না।Always follow your dream and dont let anyone take it from you.জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
দেশ

"দল ছেড়ে ভালই করেছেন, নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন"

নাটকীয় ভাবে তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদপদও ছেড়ে দিয়েছেন। বস্তুত, রাজ্যসভাতেই তাঁর ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন দীনেশ। বলেছেন, আমার রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। অথচ আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমি রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমি থেকে আসা মানুষ। তাই এটা আমি আর দেখতে পারছি না। আমি একটি দলে আছি। তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। এর চেয়ে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় গিয়ে কাজ করা ভাল। তাঁর আরও বক্তব্য, আমি আমার অন্তরের ডাক শুনেছি। সকলকেই কখনও না কখনও অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়।পাশাপাশিই দীনেশ বলেছেন, আমি তৃণমূল ছাড়ছি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। জল্পনা, অতঃপর বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন দীনেশ। দীনেশের ওই ঘোষণা শুনে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান দীনেশকে বলেন, এ ভাবে ইস্তফা দেওয়া যায় না। এর একটি পদ্ধতি আছে। আপনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিন। দীনেশ যে ভাবে আচম্বিতে দল এবং রাজ্যসভার সাংসদপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে চমকিত তৃণমূল। যদিও সংসদে দীনেশের সতীর্থ প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, উনি ছেড়ে দেওয়ায় আমরা দুঃখিত। দীনেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন আলোচনায় তিনি আমাকে সে কথা বলেছিলেন। দিল্লির কিছু নেতাকেও বলেছিলেন। তবে উনি যে এ ভাবে দল ছেড়ে দেবেন, সেটা সম্পর্কে কোনও ধারণা আমাদের ছিল না। বস্তুত, দীনেশ নিজেও কোনও পরিচিত মহলেই দল ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে তৃণমূলে থেকে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই দীনেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি টুইটকে রিটুইট করেছিলেন। যা থেকে তাঁর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। জিতেছিলেন অর্জুন সিং, যাঁর সঙ্গে জেলার রাজনীতিতে তাঁর দ্বন্দ্ব সুবিদিত। অর্জুন অবশ্য দীনেশের তৃণমূল ত্যাগের কথা শুনে প্রাক্তন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিজেপি-তে স্বাগত জানিয়েছেন। দীনেশের পদত্যাগে তাঁর রাজ্যসভার সতীর্থ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ওঁর যখন দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তখন দল ছেড়ে ভালই করেছেন। নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু একটা বিষয়ে খটকা লাগছে। যখন রাজ্যসভায় আমাদের দলের বলার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন চেয়ারম্যান কেন ওঁকেই বাজেট নিয়ে বলতে দিলেন! এটা তো নজিরবিহীন। সেই সময়েই সুযোগ পেয়ে উনি গোটা দেশের সামনে ওই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের ধারনা, ওঁকে কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।আরও পড়ুন: দিনভর বামেদের হরতালে কী ঘটল বাংলায়? পড়ুন

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

দিনভর বামেদের হরতালে কী ঘটল বাংলায়? পড়ুন

বাম-কংগ্রেসের ছাত্র এবং যুব সংগঠনগুলির সম্মিলিত নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামেরা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সকাল থেকেই কলকাতাতে বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি চলছে। মানুষও বেরিয়েছেন কাজে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনেও সকালে ভিড় অন্যান্য দিনের মতোই দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেলা বাড়তেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেল অবরোধের খবর আসছে। জেলায় বিভিন্ন রাজ্য ও জাতীয় সড়কও অবরোধ করেছেন হরতাল সমর্থনকারীরা।সকাল ১১.০৫: পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের মহিষাদলে বামেদের পথ অবরোধ।সকাল ১০.৫৫: হরতালের সমর্থনে আসানসোলে মিছিল কংগ্রেসের। হরতালের বিরোধীতা করে পাল্টা মিছিল তৃণমূলের।সকাল ১০.৪৫: পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে পথ অবরোধ বামেদের। অবরোধ করা হয় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক।সকাল ১০.২৫: চুঁচু্ড়া দেশবন্ধু স্কুলের সামনে এসএফআই-এর অবরোধ। স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হল না ছাত্রদের। ১১ মাস পর আজ স্কুল খুললেও ঢুকতে না পেরে ফিরে গেল ছাত্ররা।সকাল ১০.২০: বারুইপুরে রেল অবরোধ।সকাল ১০.১৫: প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পান্ডুয়াতে রেল অবরোধ উঠল।সকাল ১০.১০: ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ হরতাল সমর্থকদের। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। যান চলাচল বন্ধ।সকাল ১০.০৭: চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডে পিকেটিং বাম কংগ্রেসের।রাস্তায় নামেনি কোনও বাস।সকাল ১০.০৫: হুগলি জেলার হিন্দিমোটরের ধারসায় জিটি রোড অবরোধ করে ফুটবল খেলছেন হরতাল সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে এলে পুলিশকে চকোলেট ধরিয়ে দেন তাঁরা।সকাল ৯.৪০: হাওড়া ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত শানপুর মোড়ে রাস্তায় ফুটবল খেলে অবরোধ। পুলিশ এসে অবরোধ ওঠাতে গেলে ধাক্কাধাক্কি। এক ক্যাব চালকের ওপর চড়াও হন হরতাল সমর্থনকারীরা।সকাল ৯.৩০: বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে বামকর্মীদের রাস্তা অবরোধ। অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস।বর্ধমানে বামেদের মিছিল পার্কাস রোড হয়ে জিটি রোড দিয়ে যাচ্ছে।সকাল ৯.২০: বর্ধমান-আরামবাগ রোডের মিরেপোতা বাজারে বামকর্মীরা রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে অবরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বামকর্মীদের হটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।সকাল ৯.১০: দুর্গাপুর, আসানসোলে রাস্তায় নাম বাস, টোটো বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। যার জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর স্টেশনে নামা যাত্রীরা সমস্যায়।সকাল ৮.৫৫: কান্দি বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বাম-কংগ্রেসের বিক্ষোভ প্রদর্শন। সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ।সকাল ৮.৫০: কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডের সামনে বাস আটকে দেন কংগ্রেস কর্মীরা। শুয়ে পড়েন বাসের সামনে। পুলিশ ৫ জন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করেছে।সকাল ৮.৪৫: যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ বাম সমর্থকদের।সকাল ৮.৩৫: হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের পান্ডুয়া স্টেশনে রেল অবরোধ। সকাল ৮.২৮ থেকে বন্ধ ট্রেন চলাচল।সকাল ৮.৩০: অশোকনগরে লেভেল ক্রসিংয়ের ২৬ নম্বর গেট অবরোধ। বনগাঁ লাইনে ট্রেন চলাচল ৮.১৫ থেকে ব্যাহত।সকাল ৮.২০: দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখায় ডোমজুড় স্টেশনে রেল অবরোধ। আটকে যায় ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল।সকাল ৮.০১: ডায়মন্ডহারবার সেকশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলেছেন হরতাল সমর্থনকারীরা। ৭.৫০ থেকে ওই লাইনে স্তব্ধ ট্রেন চলাচল।সকাল ৭.৪৫: ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ। ধূপগুড়িতেও রাজ্য সড়ক অবরোধ হরতাল সমর্থকদের।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
কলকাতা

পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বামফ্রন্টের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট

নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধের ডাক বামপন্থীদের। রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালিত হবে। বামেদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাল কংগ্রেসও। সাধারণ মানুষকে বন্ধ সফল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই আচমকা একেবারে নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে তাঁদের আটকায়। ইব্রাহিম-সহ ৫ জনকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। তখনও উঁচু গলায় স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। ওঠে খেলা হবে স্লোগানও।পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত বাম নেতৃত্ব। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, নির্মমভাবে আমাদের তরুণ কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। কেন এমনটা হবে? পুলিশ যে অত্যাচারীর ভূমিকা নিয়েছে, তা নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ ডাকা হয়েছে বাম সংগঠনগুলির তরফে। আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য বিবৃতি দিয়ে জানান, আজ ১১ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনগুলির পূর্ব নির্ধারিত নবান্ন অভিযানে রাজ্যের ছাত্র-যুবরা শান্তিপূর্ণভাবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংসতার সঙ্গে মিছিলের উপরে আক্রমণ করে। নির্বিচারে লাঠি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। রাজ্য বামফ্রন্ট আগামিকাল রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালন ও ১২ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে। এই হরতাল সফল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করুন।আরও পড়ুন: বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
রাজ্য

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় মূলচক্রীর ২৯ বছরের জেল

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। এনআইএ-র আইনজীবী জানিয়েছেন, বুধবার এই হামলার মাস্টারমাইন্ড বোমারু মিজান ওরফে শেখ কওসরকে ২৯ বছরের জেলের সাজা দিল এনআইএর স্পেশ্যাল কোর্ট। খাগড়াগড় কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাদের মধ্যে ৩০ জনের সাজা ঘোষণা আগেই হয়েছে। এবার কওসরকে ২৯ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হল। খাগড়াগড়ের পাশাপাশি, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও জড়িত রয়েছে কওসর। প্রসঙ্গত, বীরভূমে কওসরের একটি বাড়িও রয়েছে। সেখান থেকেই একটা সময় এই রাজ্যের সংগঠন চালাত সে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের বিভিন্ন মাদ্রাসাতে গোপনে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল কওসর। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যায়, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কুখ্যাত বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এদিকে, বিস্ফোরণের পরই বাংলাদেশে পালিয়ে যায় কওসর। সেখান থেকে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু করে সে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে মনে করে আবারও ভারতে চলে আসে ওই জঙ্গি। তারপরই ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে রীতিমতো ফাঁদ পেতে কওসরকে ধরেন এনআইএ গোয়েন্দারা। জানা যায়, কওসর জেএমবি-র উজির পদে ছিল। সংগঠন তৈরি করে নাশকতা চালানোয় পারদর্শী কওসর বেশ কিছুদিন ধরেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। কেরলে তার এক সঙ্গী ধরা পড়তেই আরও বিপাকে পড়ে যায় সে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার ঘুরে বেঙ্গালুরুতে আত্মগোপনের চেষ্টা চালায় সে। তবে বিশেষ ফল হল না। প্রত্যেকটি রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কওসরের খোঁজে ছিল এনআইএ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
বিদেশ

মায়ানমারের পাশে থাকার বার্তা আমেরিকার

গণতান্ত্রিক সরকার ফেলে মায়ানমারের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয়েছে জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সুকি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা। ফলে সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। এই ডামাডোলে বিক্ষোভ থামাতে মার্শাল ল চলছে দেশটিতে। তবে শক্তিপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখল করলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে হয়ে পড়েছে বার্মিজ সেনা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে এবার মায়ানমারের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল আমেরিকা।গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ মায়ানমারের দখল নেয় সর্বশক্তিমান জুন্টা। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি হন নোবেলজয়ী রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সুকি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট-সহ অনেকেই। সেনা জানায়, আপাতত এক বছরের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে তারা। অভ্যুত্থানের সপক্ষে সেনাবাহিনীর যুক্তি, বিগত নির্বাচনে বিস্তর কারচুপি হয়েছে। তাই করোনা আবহে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। মায়ানমারে ক্রমে জটিল হয়ে ওঠা পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা বার্মার জনগণের পাশে আছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমর্থন দেখানোর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
কলকাতা

শহরে নৃশংসভাবে খুন নাবালিকা

নৃশংস হত্যাকাণ্ড জোড়াবাগান থানা এলাকায়। ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে দলা কেটে খুন করা হয়েছে। ওই নাবালিকা বুধবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকারই একটি বহুতলের সিঁড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শোভাবাজার থেকে জোড়াবাগানে মামারবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পরিবারের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে তাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে তৃণমূল-বিজেপির নেতা-কর্মীরা। গুরুতর জখম হয়েছেন দুদলের দুজন।জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেখ স্ট্রিটে কেন সিসিটিভি নেই এই প্রশ্ন তোলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ ও অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান। পুলিশের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তাঁরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তখনই কথা কাটাকাটি শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। এরপরই বচসা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনে চলে আক্রমণ, পালটা মার। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শান্ত হয় এলাকা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে তদন্ত চলছে। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আমরাও ঘটনাস্থলে আছি। এর পর শশী বলেন, শিশুটি তার দিদার কাছে এসেছিল। এখানে যে সে প্রথমবার এসেছে, তা নয়। এর আগেও অনেকবার এসেছে। মেয়েটির বাড়ি যেখানে, সেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটি আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুরলী ধর (অপরাধ দমন শাখা) এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিবারের পাশাপাশি পুরসভার স্থানীয় কো-অর্ডিনেটরও অভিযোগ করেন, যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে জোড়াবাগান থানার পুলিশ ছাড়াও ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছন।ঘটনাস্থলে যায় প্রশিক্ষিত কুকুরের দল।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
দেশ

সুর নরম কৃষকদের

কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি কৃষকরাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের পরই সুর নরম করল কৃষক সংগঠনের সংযুক্ত মোর্চা। শনিবার ৪০টি কৃষক সংঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষকরা এতদূর থেকে দিল্লিতে সরকারের দ্বারে এসেছে শুধু নিজেদের নির্বাচিত সরকারকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে। সুতরাং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যদিও, কৃষক সংগঠনগুলো আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, কৃষি আইন বাতিল ছাড়া কোনওভাবেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।শনিবার সর্বদল বৈঠকে কৃষি আইন ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করার সবরকম প্রচেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষকরা চাইলে এখনও তাঁর সরকার এই বিতর্কিত আইন সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখতে রাজি আছে। বিরোধী সাংসদদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষকদের এই আইন স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনও আছে। আমার সরকার এখনও ১৮ মাসের জন্য এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তুত। এদিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে কৃষক সংগঠনগুলো। তাঁদের দাবি, দিল্লি পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণে উস্কানি দিচ্ছে। স্থানীয়দের নামে বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে নিরীহ বিক্ষোভকারীদের উপর।

জানুয়ারি ৩১, ২০২১
দেশ

সরকারের 'জবরদস্তিতে' পুনরুজ্জীবিত কৃষকরা

সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে অশান্তির পর এমনিতেই শক্তি হারাচ্ছিল কৃষক আন্দোলন। সিঙ্ঘু, গাজিপুর ও রাজধানী দিল্লির অন্যান্য সীমান্ত থেকে ধীরে ধীরে ঘরে ফেরার পথে পা বাড়াচ্ছিলেন হতাশ আন্দোলনকারীরা। সরকারিভাবে গোটা দুই কৃষক সংঠন আন্দোলন প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল। কৃষকদের যে সংঠনটি সবচেয়ে প্রভাবশালী সেই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নও আন্দোলন প্রত্যাহার করা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিল। কিন্তু রাতারাতি সবকিছু বদলে গেল উত্তরপ্রদেশ সরকারের একটা ভুল পদক্ষেপে।গাজিপুর সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের একপ্রকার জোর করে তুলে দেওয়ার ছক কষেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে গাজিপুরে কৃষকদের বিক্ষোভস্থল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় যোগী সরকার। সেখানে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বিক্ষোভস্থল কার্যত ছেয়ে ফেলা হয় নিরাপত্তারক্ষীতে। এমনকী, ৪ কোম্পানি র্যা ফও মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে,গাজিপুর সীমান্তের বিক্ষোভস্থলে বিদ্যুৎ এবং জলের সরবরাহ আগে থেকেই অনিয়মিত করে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।টিকাইত ঘটনাস্থলে যেতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ষড়যন্ত্র করে বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে চাইছে। চোখের জলে ঘোষণা করেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এক পাও নড়ব না। প্রয়োজনে গুলি খাব। প্রয়োজনে অনশন করব। নিজের গ্রাম থেকে এনে জল খাব। রাকেশ টিকাইত আত্মহত্যা করবে, তবু বিক্ষোভ স্থল ছাড়বে না।আরও পড়ুন: গাজিপুর সীমানা খালি করার নির্দেশতাঁর এমন ভাষণে পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন কৃষকরা। রাতারাতি হাজারো কৃষক নতুন করে গাজিপুরের বিক্ষোভস্থলে হাজির হন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাভক্টরে চেপে গাজিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। গতকাল সারারাত কৃষক নেতারা গাজিপুরের বিক্ষোভস্থলে জয় জওয়ান-জয় কিষাণ স্লোগান দেন। সেই সঙ্গে উড়তে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। আপাতত কৃষী আইন প্রত্যাহার না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এখানেই থাকবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সরকার ষড়যন্ত্র করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২১
কলকাতা

ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, গ্রেপ্তার ৬

রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় চলছে ধরপাকড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ৩টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার রাত আটটা নাগাদ ইন্দ্রনীল সেন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তিনি ছিলেন চন্দননগরে। অভিযোগ, তারই মাঝে বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। কসবায় মন্ত্রীর বাড়ির কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের বিপরীতে একটি মুদিখানা দোকানের পাশ থেকে বোমা ছোঁড়ে ওই দুষ্কৃতীরা। বিকট শব্দে বোমা ফাটে। কসবার মতো এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চন্দননগর থেকে ফেরার পর এই ঘটনার কথা জানতে পারেন ইন্দ্রনীল সেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরা শুরু করে। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ধৃতদের নাম হল গৌতম মণ্ডল, অশোক বৈদ্য, সোনু সাউ, রাহুল রায়, ভোলা পাসোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটর বাইকও। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
কলকাতা

সমবেতনের দাবিতে শিক্ষক বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বিধানসভা চত্বর

অধিবেশন শুরুর আগেই উত্তাল বিধানসভা চত্বর। বুধবার সমবেতন, সমান সুবিধার দাবিতে বিধানসভা অভিযান করলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভার সামনে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। এমনকী, গেট ভেঙে বিধানসভার ভিতর ঢোকারও চেষ্টা করেন তাঁরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখার করার দাবিতে বিধানসভার বাইরে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও পুলিশ এসে পরে তাঁদের সরিয়ে দেয়।প্রাণীমিত্র, প্রাণীবন্ধু, এসএসকে, এমএসকে, পার্শ্বশিক্ষকরাই শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সদস্য। বেতন কাঠামোর উন্নতি-সহ একাধিক দাবি রয়েছে তাঁদের। এদিন তাঁরা হাইকোর্টের বাইরে অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বিধানসভা অভিযান করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা চত্বর। তাঁদের ঠেকাতে ৬ নম্বর গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এদিন সেই গেট টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। যদিও পুলিশ তাদের আটকে দেয়।আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষকদের সমান বেতন ও সুবিধা দিতে হবে। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সদস্যদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে দেখা করেন, দাবি দাওয়া শোনেন। ক্লাবগুলোকে টাকা দেন। কিন্তু আমাদের সঙ্গে দেখাও করেন না। আমাদের সুযোগ সুবিধাও দেখেন না।

জানুয়ারি ২৭, ২০২১
দেশ

লালকেল্লার তাণ্ডবে ষড়যন্ত্র দেখছেন কৃষকরা

সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের তাণ্ডবের নেপথ্যে এবার এক বিজেপিপন্থী অভিনেতার হাত রয়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারী কৃষকদের। তাঁদের দাবি, পঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দীপ সিধুর উস্কানিতেই দিল্লিতে যাবতীয় অশান্তি ঘটেছে। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেও দাবি করছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নামের এক কৃষক সংঠনের নেতা।বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত দাবি করেছেন, আমরা লালকেল্লায় যেতে চাইনি। অশান্তি যারা ছড়িয়েছে তাঁরা রাজনৈতিক দলের সদস্য। আমরা তাঁদের শনাক্ত করতে পেরেছি। কৃষকদের আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানা ইউনিটের প্রধান গুরনাম সিং চাড়ুনি দাবি করেছেন,পঞ্জাবি গায়ক দীপ সিধুর নেতৃত্বেই কৃষকদের একটি দল লালকেল্লায় গিয়েছিল। ওই হিংসায় উস্কানি দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, দীপ সিধুর বিক্ষোভে যোগ দেওয়া নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল তাঁদের। দীপ আসলে বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা সানি দেওলের ঘনিষ্ঠ। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ আছে বলে দাবি কৃষকদের।

জানুয়ারি ২৭, ২০২১
রাজ্য

কাটআউটে মোদির পায়ের তলায় মনীষীরা! উত্তেজনা বালুরঘাটে

কাটআউটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পায়ের তলায় মনীষীদের ছবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ঋষি অরবিন্দ রয়েছে সেই কাটআউটে। বালুরঘাটের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কাটআউট ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও ছবির নীচে সৌজন্যে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে এমন কাজ করেছে। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান সাংসদ-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বোল্লা এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাটআউটগুলোতে আমার নাম দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটে পায়ের নিচে মনীষীদের ছবি রয়েছে। এটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মনীষীদের অপমান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাকে এবং বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল এখানে জয়লাভ করতে পারবে না দেখে এই ধরনের কুৎসা করছে। আমরা বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেন শীল বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার কাটআউট বিজেপির তরফে লাগানো হয়েছে। কিন্ত মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেই তারা তৃণমূলের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যে দলই এই কাজ করে থাকুক না কেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে এটি। রাজনীতিতে সম্প্রতি যেভাবে মনীষীদের ব্যহার পরে ফায়দা লোটার চেষ্টা হচ্ছে, তা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
দেশ

লালকেল্লায় উড়ল কৃষক আন্দোলনের পতাকা

লালকেল্লায় উড়ল কৃষক আন্দোলনের পতাকা। সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চার্জ। কিছু দিয়েই পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না প্রতিবাদী কৃষকদের। তিন সীমানায় সব ব্যারিকেড ভেঙে চুরমার হল মঙ্গলবার। পুলিশের ঘোষিত পথে গেল না হাজার হাজার ট্র্যাক্টর। পথ পাল্টে লালকেল্লায় গিয়ে কৃষকদের মধ্যে থেকে আওয়াজ উঠল অকুপাই দিল্লিDelhi: Flags installed by protestors continue to fly at Red Fort. #FarmLaws #RepublicDay pic.twitter.com/U0SZnTw4Wn ANI (@ANI) January 26, 2021পুলিশ জানিয়েছিল, মঙ্গলবার সকাল ১২ টা নাগাদ কৃষকদের মিছিল নির্দিষ্ট তিনটি রুটে গিয়ে আবার উৎসস্থলে ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল উল্টো। সকাল ৮টা থেকে লাগামছাড়া গতিতে দিল্লির দিকে ধেয়ে আসতে থাকে মিছিল। পুলিশের বাধা কেউ মানেননি। আর তাই নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লির নয়ডা মোড়, আইটিও মোড়েও একাধিক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছে পুলিশ। চলছে লাঠি। পাল্টা কৃপাণ হাতেও কৃষকদের দেখা গিয়েছে। সকাল ১০টায় নয়ডা মোড়ের চিত্রটা ছিল এমনই। পুলিশ লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। মূলত দিল্লির সীমানা এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকার কারণে দিল্লির অন্দরে পুলিশের আঁটুনি দূর্বল হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে থাকেন কৃষকরা।दिल्ली: नांगलोई इलाके में प्रदर्शनकारी किसानों पर पुलिस ने आंसू गैस के गोले इस्तेमाल किए। pic.twitter.com/RP81oJVJYJ ANI_HindiNews (@AHindinews) January 26, 2021#WATCH A protestor hoists a flag from the ramparts of the Red Fort in Delhi#FarmLaws #RepublicDay pic.twitter.com/Mn6oeGLrxJ ANI (@ANI) January 26, 2021

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

ফেব্রুয়ারিতে সাধারণের জন্য খুলছে বেলুড়মঠ

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে ফের সাধারণের জন্য বেলুড়মঠের দ্বার খোলা হচ্ছে। গতবছর মঠ খুলে আবার বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সোমবার বেলুড়মঠের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঠ খোলার কথা জানানো হয়। সোমবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ।উল্লেখ্য, করোনা আবহে লকডাউনের জেরে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বেলুড়মঠ। টানা ৮২ দিন মঠ বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন আবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় একাধিক করোনা বিধি মেনে গেটে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঠে ঢোকার সময় সামাজিক দুরত্ব মানা, হাত স্যানেটাইজ করে মঠে ঢোকা, সব করোনাবিধিই মানতে হত ভক্ত থেকে দর্শনার্থী সকলকেই। এর প্রায় দেড় মাস পর ২ আগস্ট থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। দুর্গাপূজা, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অনুষ্ঠান সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি দেখেছে আপামর ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে আবার বেলুড়মঠের দরজা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলতে চলেছে। সকালে সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকেলে সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকবে বেলুড়মঠ। মঠের মন্দিরে প্রবেশ করলেও কোনও মন্দিরেই বসতে পারবেন না ভক্তরা। তবে মিউজিয়াম ও নরনারায়ণ সেবা এখনই চালু করা হচ্ছে না। সন্ধ্যা আরতিও এখন দেখতে পারবেন না ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে প্রবেশ করেছে ৬ জেএমবি জঙ্গি

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ফের রাজ্যে জেএমবি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্কবার্তা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা সীমান্ত দিয়েই অনুপ্রবেশ করেছে নব্য জেএমবির ৬ জন ।ফলে ২৬ জানুয়ারির আগে ফের রাজ্যের নিরাপত্তা বাড়ল কয়েকগুণ।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি লালগোলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ৬ জন নব্য জেএমবির সদস্য। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কোনও রেলস্টেশনে নাশকতা চালাতে পারে তারা। গোয়েন্দাদের মতে, রাজ্যের কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে।ইতিমধ্যেই মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক স্টেশনে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এছাড়া কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলেও অতিরিক্ত সতর্ক হয়েছে পুলিশ।গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই ৬ জঙ্গি লালগোলার রুট ধরেই সম্ভবত প্রবেশ করেছে এই রাজ্যে। এরপর তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
দেশ

ট্র্যাক্টর মিছিলে বিশৃঙ্খলতার ছক পাকিস্তানের

বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে পৃথকভাবে ট্রাক্টর মিছিল করবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। একাধিকবার আলোচনার পর শেষপর্যন্ত দিল্লি পুলিশের অনুমতিও মিলেছে। কিন্তু এর মধ্যেই আবার সামনে এসেছে আশঙ্কার খবরও। কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক কষেছে পাকিস্তান। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে সে দেশে নতুন করে ৩০০টি টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে।এদিনই দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার অব পুলিশ (ইন্টেলিজেন্স) দীপেন্দ্র পাঠক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানান। পাশাপাশি বলেন, প্রতিবারের মতো কুচকাওয়াজ শেষে কৃষকরা তাঁদের এই মিছিলের আয়োজন করবেন। কোনওরকম যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে এরপরই আশঙ্কার কথা শুনিয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের এই মিছিলে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক কষছে পাকিস্তান। এজন্য ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তানে তিনশোরও বেশি টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে শুধু এই বিষয়টিকে সামনে রেখে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তবে ২৬ জানুয়ারির প্যারেডের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই কৃষকদের এই মিছিল আয়োজন করা হবে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

সোমবার পুরশুড়ায় জনসভা মমতার

সোমবার হুগলির পুরশুড়ায় সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা নন্দীগ্রাম, পুরুলিয়ার পর এবার হুগলির পুরশুড়াতে এই জনসভা । আগামিকাল ঠিক দুপুর একটা নাগাদ মঞ্চে ওঠার কথা মমতার। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির জবাবে কী বলেন তিনি, সেদিকেই নজর সকলের।রাজনৈতিক মহলের মতে, সব মিলিয়ে হুগলি জেলা নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে তৃণমূল। তাই শুভেন্দুর পাল্টা হিসাবে এবার হুগলির পুরশুড়ায় জনসভা করার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ সেখানেই জনসভা রয়েছে তাঁর। ওই সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। যদিও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপিকে দেখেই ভোটযুদ্ধের রণকৌশল তৃণমূল স্থির করছে বলেই দাবি তাদের। তবে এ বিষয়ে তৃণমূল শিবির অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal