• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba BArdhaman

রাজ্য

প্লাস্টিক চাল সন্দেহে এবার হুলস্থুল বাঁধলো বর্ধমানের আইসিডিএস সেন্টারে

প্লাস্টিকের ডিমের মতোই এবার প্লাস্টিক চাল সন্দেহে বাঁধলো হুলস্থুল কাণ্ড। আইসিডিএস সেন্টারে প্লাস্টিক চাল পাঠানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে চালের গাড়ি পর্যন্ত আটকে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ২ ব্লকের শক্তিগড় থানার আমড়া গ্রামে। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে যদিও জানা যায় আইসিডিস সেন্টারে পাঠানো যে চালকে গ্রামবাসীরা প্লাস্টিক চাল বলে ভাবছেন তা আসলে পুষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ একধরনের চাল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার আমড়া মসজিদতলা এলাকায় রয়েছে আইসিডিএস সেন্টার। বস্তায় ভরা চাল এদিন বেলায় গাড়িতে লোড হয়ে ওই আইসিডিএস সেন্টারে আসে। বস্তা থেকে চাল বের করে কয়েকজন হাতে নিয়ে দেখেন। চালের রং সাধারণ চালের মত না হয়ে সাদা হওয়ায় তারা হুলস্থুল বাধিয়ে দেন। আইসিডিএস সেন্টারে প্লাস্টিক চাল পাঠানো হয়েছে বলে এলাকায় রটে যায়। তার পরেই চালের গাড়ি আটকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার বাসিন্দা শেখ জুলফিকার ইসলাম জানান, আইসিডিএস সেন্টারে যে চাল পাঠানো হয়েছে তাতে আগুনে দিলেই সাথে সাথে পুড়ে যাচ্ছে না। সেই কারণেই ওই চাল প্লাস্টিক চাল বলে তাঁদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী আলিয়া খাতুন বলেন, প্রত্যেকবার পরিস্কার চাল আমাদের সেন্টারে আসে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে চাল আসা মাত্র আমরা বস্তা খুলে দেখি সাদা রংয়ের একরকম চাল এসেছে। ওই চাল দেখা মাত্রই আমরা বিষয়টি স্থানীয় মানুষজনকে জানাই। সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই চাল সেন্টারে শিশুদের দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আলিয়া খাতুন জানিয়েছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য লব কুমার দাস জানান, খালি চোখে দেখে চালের গুণগত মান নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তবেই ওই চাল বিলি বন্টন করা হবে।বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানিয়েছেন, আইসিডিএস সেন্টারে যে চাল পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ওই চাল আসলে পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ একধরণের ফর্টিফায়েড চাল। এই চাল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনার অভাব রয়েছে।সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয় বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

কাটোয়ায় গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে কার্যত ঘাড়ধাক্কা খেয়ে ফিরলেন সাংসদ

বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরেই তৃণমূলেই আছি বলে দাবি করলেও সুনীল মণ্ডল তৃণমূল কর্মীদের মন ভোলাতে পারেননি। যার পরিণাম স্বরুপ বুধবার নিজের সংসদ এলাকা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় গিয়ে কার্যত ঘাড় ধাক্কা খেলেন সুনিলবাবু।তাঁকে ঘিরে গোব্যাক শ্লোগান দেবার পাশাপাশি গ্রামবাসীরা সুনীল মণ্ডলকে চোর বলেও অভিহিত করেন। কাটোয়ায় আর না ঢোকার কথাও সাংসদকে হুমকিও দেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজনা চরমে উঠতে থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা তড়িঘড়ি সাংসদকে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। বিক্ষোভে পড়া নিয়ে সুনীল মণ্ডল মুখে কুলুপ আঁটলেও এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় মালঞ্চ থেকে দেয়াসিন যাওয়ার পথে পাকা সেতু তৈরির কাজ পাঁচ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। ঠিকাদার বদলে সম্প্রতি ফের নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সেই সেতু তৈরির কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডল গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল।সংসদ সদস্য তহবিল থেকে এই মালঞ্চ সেতু তৈরির জন্য ২০১৮ সালে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়৷ ব্রম্ভানী নদীর উপরে কয়েকটি পিলার তৈরির কাজ হয়েছে মাত্র। তারই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই কাজ ছেড়ে দেয়। এরপরে সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফের অন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। সেতু তৈরির কাজে যুক্ত লোকজনের ৫ বছর ধরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। সাংসদ সুনীল মণ্ডল বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই টাকা আজও মেলেনি। এছাড়াও বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়ে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক সহ তৃণমূলের নেতাদের নানা হুমকি দিয়ে ছিলেন। এইসবেরই ক্ষোভ এদিন আছড়ে পড়েছে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উপর।যদিও সনীল মণ্ডল বলেন, সেতু তৈরির কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের কি চুক্তি হয়েছিল তা আমার জানা নেই। আগের ঠিকাদার এখন আর কাজ করছে না। ওই ঠিকাদার বলছে এরা দু চার লক্ষ টাকা পাবে। অথচ গ্রামবাসীরা বলছে ২০ লক্ষ টাকা পাবে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই ঠিকাদারের গন্ডোগোল কি হয়েছে তা মিটিয়ে দেওয়ার কথা আমি জেলাশাসককে বলেছিলাম এরমধ্যে তো আর আমি নেই৷ পাশাপাশি সুনীল মণ্ডল এও বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি বিজেপি তে চলে গিয়েছিলাম। সেটা তো মিটে গিয়েছে। আমি এখন তৃণমূলের সঙ্গেই আছি। সেটা মমতা দিদিও জানেন।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী আশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, সেতু তৈরির কাজে যুক্ত হয়ে গ্রামে অনেক শ্রমিক টাকা পাননি। সাংসদ সুনীল মণ্ডল আমাদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও দেননি। আরেক বাসিন্দা তুফান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালপত্র সাপ্লাই করেছেন। কিন্তু আজও সেই টাকা পাইনি।এদিকে সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিক্ষোভের বিষয়ে আমার জানা নেই। কি নিয়ে বিক্ষোভ সেই বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তবে কাজ করে কারুর টাকা পাওনা হয়ে থাকলে তা মেটানো উচিত।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

সেচ দফতরের জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে ঘটেছে সেচ দফতরের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ এনে সোচ্চার হলেন পঞ্চায়েতেরই দুই সদস্যর। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গোপালনগর এলাকায়। পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের অভিযোগ, গোপালনগর এলাকার সেচ দপ্তরের জায়গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন রাতারাতি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। শাসকদলের তকমা লাগিয়ে অর্থের লোভে অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরী করে এই সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তারা। এই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস ও আরেক সদস্য হেমন্ত খাঁ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে দুই সদস্য বর্ধমান সেচ দপ্তর ও বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবী, প্রশাসন সরকারি জায়গাটি অসাধু প্রমোটারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করুক। সেই সঙ্গে এই জায়গায় শিশুদের জন্য পার্ক বা স্বচ্ছ জল প্রকল্পের মতো পরিকল্পনা গ্রহন করুক যাতে গ্রামবাসীরা উপকৃত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত খাঁ পুলিশ কে বলেন, উপপ্রধানের মদতেই এলাকায় নানা অনৈতিক কাজ হচ্ছে । বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে খবরের শিরোনামে আসে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদত্যাগ করেছেন আগের প্রধান। বর্তমানে উপপ্রধানই সমস্ত কার্যভার সামলাচ্ছেন। যদিও দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেন। বর্তমানে সমস্ত দ্বায়িত্ব সামলানো উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর নামে কেন অভিযোগ করছেন এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি ওই সদস্যদের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহঃ হোসেন টেলিফোনে জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে বেআইনী কিছু করা যাবে না।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের মারপিট সংঘর্ষে জড়ালো শাসক দলের দুই গোষ্ঠী। দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা ও বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহানারা খাতুনের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানের অনুগামী তথা ঘটনায় আহত সেখ আজিমের অভিযোগ, সকালে ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তায়ের অনুগামী দিলীপ ও ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল লাঠি, বন্দুক ও তলোয়ার নিয়ে নবাবহাটের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আক্রমণ চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় অফিসে। প্রতিবাদ করলে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়। মূলত বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার দখল নিতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে তার অভিযোগ।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা জানান, এটা নিতান্তই দুটি পাড়ার ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেয়। ইচ্ছাকৃতভাবেই দল ও তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর যারা করেছেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বিজেপি বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, তৃণমূলের তোলাবাজি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। নবাবহাট বাসস্ট্যাণ্ডে তৃণমূলের নাম করে তোলা আদায় করা হয় সেই টাকার ভাগ নিয়েই এই দ্বন্দ্ব। যার ফলে এলাকার মানুষ ভিত সন্ত্রস্ত। যা কাম্য নয়। প্রশাসনের অবিলম্বে বিষয়টি দেখা দরকার। অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, ঘটনার সঙ্গে দল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।যে, বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল

একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। ছদিন ধরে গত দুবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কী-কী হয়েছে, আবাস যোজনার কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, সরেজমিন পরিদর্শন করবে রাজ্যে আসা আটটি দল। পূর্ব বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, মালদহ ও বীরভূম জেলায় তিন-চারটে ব্লকের ১০-১২টি পঞ্চায়েতে তারা ঘুরবেন। ২০১৯-এর শেষ দিকে আগে এ রকমই কেন্দ্রীয় দল এসে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ১০০ দিনের কাজে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার দাবি করে রাজ্যকে রিপোর্ট করে। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য প্রশাসন সেই সূত্র ধরে পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে দাবি করেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তথ্য দিয়ে এসেছিলেন। আর ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশি টাকা পায় পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেও দুর্নীতির অজস্র অভিযোগ। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সম্ভবত কেন্দ্রের বিশেষ দল আসছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুবছরের প্রকল্পের কাজের সব নথি ঠিক করে রাখতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের সব রসিদ, ক্যাশবুক থেকে সাতটি রেজিস্টার যথাযথ ভাবে পূরণ করে রাখার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রকল্পে কাজ চলছে, সেখানে যাতে কাজের নাম, বরাদ্দ, কাজের বিবরণ-সহ বোর্ড টাঙানো থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনায় ২১০ বর্গফুটের মধ্যে বাড়ি করার নিয়ম। তা মানা হয়েছে কি না, যোগ্য প্রাপক বাড়ি পেয়েছেন কি না, জিও ট্যাগিং যথাযথ হয়েছে কি না কিংবা বাড়ির বাইরে লোগো দেওয়া বোর্ড লাগানোর মতো খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, জেলার চারটি ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যাবে।খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট,আউশগ্রাম ২ ও গলসি ২ নম্বর ব্লকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যাবেন। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন। তারপর তারা খণ্ডঘোষ ব্লকের লোদনা পঞ্চায়েতে যান। সভাধিপতি বলেন, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। এটা নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি তিনি দাবী করেন, কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা লোদনা পঞ্চায়েতের কাজ দেখে খুশী হয়েছেন।অন্যদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,আবাস যোজনার ঘর ও একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আশা করছি কেন্দ্রীয় দল আসায় এবার সত্য উদঘাটন হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

কুঁড়ে ঘরের খুদে শিল্পীর মায়াবী গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরা

চারপাশে সবুজে ভরা ক্ষেত। তারাই মাঝে কোনওরকমে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ফুটো একচিলতে কুঁড়ে ঘর। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যে সেই কুঁড়ে ঘর থেকে ভেসে আসে শিশু পুত্র অভিষেক সানার মায়াবী কন্ঠে ভরা লোক গানের সুর। নিথুর প্রেম ভিখারি করেছে মোরে। মা হারানো অভিষেকের গাওয়া এই গানের সুর মূর্ছনাতেই মোহিত পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের আট থেকে আশি সকলে। মায়াবী কন্ঠে ভরা গানের জাদুতেই একরত্তি ছেলে অভিষেক গ্রামের সকলের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। বড়শুলের সকল বাসিন্দাই মনেপ্রাণে চান দিন দরিদ্র পরিবারের ছেলে অভিষেক বড় হয়ে নামজাদা বাউল কিংবা লোকগানের শিল্পী হোক। অভিষেকও সেই স্বপ্নকে আঁকড়েই নিজেদের কুঁড়ে ঘরে নিত্যদিন রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ পুরভোট বন্ধ নিয়ে সরাসরি রায় নয় হাইকোর্টের, নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত বর্তাল কমিশনের ওপরবর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুল ২ পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম বালিমাঠ। এই গ্রামের চারপাশে থাকা চাষের জমির মাঝেই রয়েছে ছিটেবেড়া আর খড়ের চালার তৈরি অভিষেকদের কুঁড়ে ঘরটি। নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পে পাওয়া জায়গায় গড়ে তোলা ভাঙা ফুটো সেই ঘরেই ৯ বছর বয়সী অভিষেক ও তাঁর ছোট ভাই সহ বাবা, বৃদ্ধা ঠাকুমা ও পিসি বসবাস করেন। জায়গা মিললেও এখনও পাকা বাড়ি তাঁদের মেলেনি। অভিষেকের যখন ৪ বছর বয়স তখন তাঁকে ও তাঁর ছোটভাই কৌস্তভ কে বাড়িতে ফেলে রেখে গায়েব হয়েযান মা ভারতীদেবী। অভিষেকের বাবা তারকচন্দ্র সানা বালি খাদানে শ্রমিকের কাজ করে যৎসামান্য যা রোজগার করেন তা দিয়েই তাঁদের দিন গুজরান হয়। অভিষেক বড়শুল নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর ভাই কৌস্তভ একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া। বাড়িতে বিদ্যুতের বাতির আলোয় পড়াশুনা করার সৌভাগ্যও এখনও তাঁদের হয়নি। সন্ধ্যা নামলেই লম্ফ অথবা হারিকেনের আলোই ভরসা অভিষেকদের। তবে কষ্টের সংসারে অভিষেকই গানের সুরে সবার মন ভুলিয়ে রেখেছে।তারকচন্দ্র সানা জানিয়েছেন, তিনি গান-বাজনা ভালোবাসেন। বাউল ও লোকগান শোনার টানে আগে তিনি বীরভূমে জয়দেবের মেলায় যেতেন। তখন ছোট্ট অভিষেককেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। জয়দেব মেলায় হাজির হওয়া বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনে অভিষেকেরও গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমদিকে সে বাড়িতেই গুনগুন সুরে গান গাইতো। তা দেখে অভিষেককে একটা হারমোনিয়াম কিনে দেয় ওর মামারা। হারমোনিয়াম পাওয়ার পর প্রথম প্রথম অভিষেক নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতো। বছর দুই হল বড়শুল নিবাসী মঙ্গল কালিন্দী কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে গান শেখাচ্ছেন অভিষেককে। মঙ্গলবাবু নিজেই গান লিখে গানের সুর দেন। সেই গানই এখন গেয়ে অভিষেক বড়শুলবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক তাঁর নিজের ছোট ভাই কৌস্তবকেও একটু একটু করে গানের তালিম দিচ্ছে।আরও পড়ুনঃ যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকিখুদে শিল্পী অভিষেক জানিয়েছে, বাবার হাত ধরে সে জয়দেবের মেলায় যেত। সেখানে বাউল ও লোকগানের শিল্পীদের গাওয়া গান শুনেই সে গান গাওয়ার ব্যপারে অনুপ্রাণিত হয়। অভিষেক এও জানায়, বাউল ও লোকগান শেখার প্রতিই তাঁর টান বেশী। বড় হয়ে স্বনামধন্য বাউল গানের শিল্পী হতে চায় বলে অভিষেক। মঙ্গল কালিন্দী বলেন, তাঁর ছাত্র অভিষেকের প্রতিভা রয়েছে। গান গেয়ে এত ছোট বয়সে ও যে ভাবে সবার মন জয় করে নিয়েছে সেটাই সবথেকে গৌরবের বলে মঙ্গলবাবু দাবি করেছেন। এলাকার বাসিন্দা নয়ন মণ্ডল বলেন, মায়াবী কন্ঠে ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান তাঁদের মুগ্ধ করে।আরও পড়ুনঃ বেসরকারি বাসপরিবহণ শিল্পে তীব্র সংকট, সরকারি সাহায্য জরুরিঅভিষেকের গাওয়া গানের সুর মর্ছনাতেই এখন মোহিত বড়শুলবাসী। দূর দূরান্তের সংগীত প্রেমীরাও অভিষেকের কন্ঠে গান শুনতে এখন তাদের কুঁড়ে ঘরে হাজির হচ্ছে। বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার ও ছোট্ট অভিষেকের গাওয়া গান শুনে মুগ্ধ। জানা গিয়েছে, তিনি অভিষেক ও তাঁর পরিবারকে সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। অভিষেকের প্রতিভার কথা শুনে যারপরনায় মুগ্ধ বিশিষ্ঠ বাউল গান শিল্পী তথা অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির রাজ্য সম্পাদক মণিমোহন দাস। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেকের বাবা চাইলে তিনি সহ তাঁদের সংগঠনের অন্য শিল্পীরাও বিনা পারিশ্রমিকে অভিষেককে গান শেখাতে রাজি রয়েছেন। তবে অভিষেকের বাড়ি গিয়ে হয়তো গান শেখানো সম্ভব হবে না।অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির আখড়ায় এসে অভিষেককে গান শিখতে হবে। অভিষেককে দিয়ে বড় মঞ্চে গান গাওয়ানোর ব্যাপারেও প্রয়োজনে উদ্যোগ নেবেন বলে মনিমোহন দাস জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
উৎসব

যন্ত্রের যুগেও গ্রাম বাংলায় পৌষ পার্বণের পিঠে-পুলি তৈরিতে আজও অনবদ্য ঢেঁকি

কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে। সেই সব এখন গল্পকথা, ইতিহাস। যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চলায় ঢেঁকির কদর ইদানিং কালে কমে গিয়েছে। তবুও এই রাজ্যের গ্রাম বাংলার কিছু মানুষ এখনও আগলে রেখেছেন সাবেকি ঢেঁকিকে। পৌষমাস শুরু হলে পিঠে-পুলির চাল কোটার জন্য তাই রাজ্যের গ্রাম বাংলায় বাড়ে ঢেঁকির কদর। যেমনটা এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শিয়ালী ও কোড়ায়। সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। তাই পৌষ পার্বণের দোরগোড়ায় এইসব গ্রামের মহিলারা এখন সদাব্যস্ত ঢেঁকিতে চাল কোটার কাজে। সেই কারণে গ্রামের বাড়ি বাড়ি কান পাতলেই শুধু ভেসে আসছে ঢেঁকিতে চাল কোটার শব্দ।এক সময় পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা ঘরে ঘরে ঢেঁকিতে চাল কোটা শুরু করে দিতেন। ঢেঁকিতে ভাঙা চাল গুঁড়িয়ে তা দিয়েই তাঁরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পিঠে-পুলি। কিন্তু যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির ধাক্কায় ঢেঁকি এখন যেন মিউজিয়ামে জায়গা করেনিতে বসেছে। ঢেঁকি ছেড়ে গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ এখন চাল গুঁড়ানোড় মিলে পৌছে যাচ্ছেন। তবে তারই মধ্যে কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এখন ট্র্যাডিশন বজায় রেখে বাড়ির সাবেকি ঢেঁকিকে আগলে রেখেছেন। যেমনটা আগলে রেখেছেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মানুষজন। তাঁরা চান না গম ভাঙানোর যন্ত্রে পিঠে-পুলির চালের গুঁড়ো তৈরি করতে। শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও তাই ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ো দিয়ে পৌষ পার্বণে পিঠে-পুলি তৈরি করে পরিবারের সকলকে তৃপ্ত করতে চান।গ্রামের বধূ কাকলী কোলে বলেন, ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ি দিয়ে বানানো পিঠে- পুলির স্বাদটাই আলাদা। আর ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল অনেকদিন ধরে রেখেও দেওয়া যায়। অপর বধূ কল্পনা কোলে বলেন, আমাদের শিয়ালী গ্রামে এখন একটি মাত্রই ঢেঁকি রয়েছে। পৌষ পার্বণের আগে সেই ঢেঁকিতে চাল ভাঙাতে আসেন গ্রামের অনেক মহিলা। পৌষে ঢেঁকিতে চাল ভাঙানোর কাজে পুরুষরাও মহিলাদের সঙ্গে হাত লাগান। খেজুর গুড়ের সঙ্গে ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে তৈরি পিঠে-পুলি আগামী কটা দিন বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এক ভিন্ন মহিমায় পৌছে দেয় বলে মনে করেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা।বুধবার শিয়ালী ও কোড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের এক প্রান্তে মাটির দাওয়ায় বসে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ানোর কাজ করে চলেছেন মহিলা ও পুরুষরা। যন্ত্র ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির যুগে সত্যি যেন এটা একটা বিরল দৃশ্য হিসাবেই সামনে আসে। এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল কাঠের তৈরি ঢেঁকি গ্রামবাংলা থেকে এখনও একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। তাই শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি খামারে কাঠের ঢেঁকিতে চাল ঢেলে অন্যপ্রান্তে ঢেঁকিতে পা দিয়ে চলছে চাল গুঁড়ো তৈরীর কাজ। এই দৃশ্যই আরও একবার মনে করিয়ে দিল গ্রাম বাংলায় ঢেঁকির মাহাত্ম্যকে।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পাঁচ যুবক গ্রেফতার, চাঞ্চল্য মেমারিতে

মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল পাঁচ যুবক। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ জাতীয় সড়কের ধারে কানাইডাঙা এলাকায় চলা মধুচক্রের ডেরায় হানা দেয়। সেখানেই ধরা পড়ে পাঁচ যুবক। উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জন মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম মহম্মদ চাঁদ,আনিসুর রহমান ,দেবু বালা, শম্ভু ক্ষেত্রপাল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। ধৃতরদের বেশিরভাগই মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা।একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বরুপনগরের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া মহিলারা ব্যান্ডেল, রাণাঘাট, নদিয়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে টানা দুদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, কমেছে পজিটিভিটি রেটপুলিশ জানিয়েছে, যুবকরা গোপনে কানাইডাঙা এলাকার একটি বাড়িতে মধুচক্র চালাচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পুলিশের কাছে পৌছায়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওই মধুচক্রের ডেরায় হানা দিয়ে পাঁচ যুবককে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ৮ জন মহিলাকেও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। সবাইকেই এদিন বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

সারা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ! মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

গোটা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক আদিবাসী যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুকুল মুর্মু(৩০)। মানসিক অবসাদে থাকার কারণেই যুবক এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার সদস্যরা। পুলিশ যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত এলাকাবাসী।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জনমজুর শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা সুকুল মুর্মুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই নাবালক ছেলে ও বাবা মা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, সুকুল বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আগে কয়েকবার পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের তৎপরতার তাঁর প্রাণ বাঁচে। কিন্তু সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মুর্মু যখন উনানে রান্না করছিলেন তখন সুকুল গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আচমকা উনুনে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। তাঁর গোটা শরীর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সরস্বতী মুর্মু। সরস্বতীর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুকুলের শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। স্থানীয়রাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালে সুকুলের মৃত্যু হয় ।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

ফের ভেজাল সর্ষের তেলের রমরমা কারবারের পর্দা ফাঁস পূর্ব বর্ধমানে, গ্রেফতার ৫

পুলিশের তৎপরতায় ফের পর্দা ফাঁস হল ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারের। ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি করে বিক্রীর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রাজকুমার সাউ ওরফে রাজু, দীপককুমার সিং, অবদেশ কুমার, অনিতকুমার রায় ও বিশরাম যাদব। ধৃতদের মধ্যে রাজকুমারের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাদশাহী রোড এলাকায়। বাকিদের বাড়ি বিহারের ওলাপুর, সারাইয়ারঙ্গন ও উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার ছোয়েটা গ্রামে।ধৃতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ রাইস অয়েল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার, প্রচুর পরিমাণ ভেজাল সের্ষের তেল, খালি তেলের টিন, রাসায়নিক, রং ও বিভিন্ন কোম্পানির তেলের লেবেল, একটি বাইক ও একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করেছে।পুলিশর দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৯০ টাকাও উদ্ধার হয়েছে।আরও পড়ুনঃ বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে মেঘলা আকাশ, মহানগরীর শীত উধাওভেজাল সর্ষের তেল তৈরি ও বিক্রির ঘটনায় জড়িতরা এই প্রথম ধরা পড়লো এমনটা মোটেই নয়। মাস চারেক আগে দুর্ণীতি দমন শাখা বর্ধমান শহরের লাকুর্ডিতে ভেজাল সর্ষের তেলের কারখানার হদিশ পায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ ভেজাল তেল। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। এর কিছুদিন আগে মেমারি থানার পুলিশ ভেজাল সর্ষের তেলের কয়েকজন কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের ডেরা থেকেও অসংখ্য টিনের ড্রামে ভর্তি ভেজাল সর্ষের তেল, রাসায়নিক, কামধেনু রং উদ্ধার হয়। এইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার রাতে শক্তিগড় থানার পুলিশের অভিযানে ফের ধরা পড়ে ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারীরা।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেশক্তিগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে পুলিশ স্থানীয় অশ্বত্থগড়িয়ায় একটি তেলের ট্যাঙ্কারের সামনে দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। ট্যাঙ্কারের সামনে একটি বাইক ও স্কুটি দাঁড় করানো ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তেলের ট্যাঙ্কারের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ট্যাঙ্কার থেকে রাইস অয়েল বেরকরে পাশের একটি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়। কী কারণে গোডাউনে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার সদুত্তর না মেলায় পুলিশ তাদের আটকে গোডাউনে হানা দেয়। গোডাউনে গিয়ে চমকে যায় পুলিশ। সেখানে তখন রাইস অয়েলের সঙ্গে রং, রাসায়নিক ও অন্যান্য জিনিসপত্র মিশিয়ে রাইস অয়েল থেকে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি হচ্ছিল। গোডাউন থেকে পুলিশ দুলিটার রাসায়নিক, ৬১৬টি বিভিন্ন কোম্পানির তেলের টিন, ৭০০ খালি তেলের টিন, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় টিন সিল করার যন্ত্র, তেলের বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল। সবকিছু খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিৎ হয় রাইস অয়েলে রং, রাসায়নিক ব্যবহার করে গোডাউনে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি করা হচ্ছিল খোলাবাজারে বিক্রীর জন্য।এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।আরও পড়ুনঃ হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত রাখতে রাজ্যগুলোকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরস্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্তকারী অফিসার রাজকুমারকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম রাজকুমারকে ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতেি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ বাজেয়াপ্ত হওয়া তেল, রাসায়নিক, রং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আরও পড়ুনঃ রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল তৈরির ডেরার পর্দা ফাঁস পূূর্ব বর্ধমানে, গোডাউন মালিক বেপাত্তা

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Chotkhanda: 'কথা দিয়ে' বিধায়ক না আসায় মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে উত্তাল

গ্রামে পানীয় জলের সংকট মেটানো নিয়ে সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করবেন বলে গিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু কথা দিয়েও পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এদিন যাননি তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। তা নিয়ে এদিন বিকালে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেন, বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার জন্য পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। ক্ষুব্ধ চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা এরপরেই হুঁশিয়ারি দেন, তাঁদের গ্রামে পানীয় জলের সংকট সমাধানে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।বিধায়ক যদিও দাবি করেছেন, কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই তিনি এদিন পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে করতে যাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তিনি বৈঠক করবেন বলেন জানিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ ঝঞ্ঝার দাপটে আজ থেকে শুরু বৃষ্টিএলাকা সূত্রে খবর, বিধানসভা ভেটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থারও কোন উন্নতি হয়নি। তা নিয়ে চোটখণ্ড সহ আশেপাশের বনশেঁকরা, তালগেঁড়া প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দা মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। পর তিনি পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া চোটখণ্ড গ্রামেও যান। ওই দিন চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজন বিধায়ককে বিধানসভা ভোটের সময়ে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নপ্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক তাঁর প্রতিশ্রূতির কথা স্বীকার করে নেন। ওই দিনই তিনি গ্রামবাসীদের বলে যান গ্রামের মানুষজনের দাবিদাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোমবার তিনি দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে বসবেন। সেই মতো এদিন গ্রামের বাসিন্দারাও দুপুর থেকে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলেও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আর পঞ্চায়েত অফিসে না আসায় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল, বাপি ক্ষেত্রপাল বলেন, বিধায়ককে সমস্যার কথা জানাবেন বলে তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। এমনটি তাঁরা প্রত্যাশা করেননি। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর আবেদন নিবেদন নয়। গ্রামে পানীয় জলের সংকট নিরসন ও এলাকার উন্নয়নে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

STF Operation Burdwan: বর্ধমানে এসটিএফের অভিযানে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার বাবা ও ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে ফাঁস হল হেরোইন তৈরি ও পাচারের সঙ্গপ যুক্ত আন্ত রাজ্য চক্রের।অভিযানে ধরা পড়েছে মোট ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে এসটিএফ রবিবার রাতে ধরে বর্ধমানে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে। পৌরসভা ভোটের আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শহর বর্ধমানে।আরও পড়ুনঃ কেপ টাউন টেস্টের আগে ঋষভকে কেন সতর্ক করলেন কোহলি?এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকা থেকে ধৃতদের নাম বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডল। এঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এই দুই ধৃতর আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গকোটে। তবে ১০ বছর আগে সেখান থেকে চলে এসে তাঁরা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বর্ধমানে পালার- শ্রীরামপুর এলাকায় থাকতে শুরু করে। পরে তাঁরা শহর বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে বাড়ি ক্রয় করে। রবিবার রাতে এসটিএফ বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের বর্ধমানের ডেরায় অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি হেরোইন ও হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ রাজেয়াপ্ত করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৫ কোটি টাকা বলে এসটিএফের দাবি। এছাড়াও ধৃতদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা। বাকি চার ধৃতর মধ্যে ২ জন ওড়িশা ও ২ জন মণিপুরের বাসিন্দা। এদের বিষয়ে হাওড়ার গোলাবারি থানা মামলা রুজু করেছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন বাবর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে বর্ধমানের ডেরার হেরোইন তৈরি করে ওড়িশা ও মণিপুরে পাচার করতো।আরও পড়ুনঃ করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তাতদন্তকারীদের কথায় জানা গিয়েছে, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার রুজু হওয়া একটি মামলার সূত্র ধরে এসটিএফ ওড়িশা ও মণিপুর থেকে ৪ মাদক-পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন বর্ধমানের দুজনের কাছ থেকে তাঁরা মদক দ্রব্য কেনে। বর্ধমানের মাদক কারবারীদের ৫ জন এজেন্ট ওড়িশাতে থাকার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে। এমনকি বর্ধমানে দৈনিক ৪-৫ কোটি টাকার মাদক তৈরি হয়ে পাচারের তথ্যও তদন্তকারীদের কাছে উঠে আসে। এরপরেই রবিবার রাতে এসটিফ কর্তা আমিনুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বর্ধমানের গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের ডেরায় অভিযান চালানো হয়।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নএসটিএফের দাবি বাবর ও রাহুলদের বর্ধমানের ডেরা থেকে ১৩ কেজি হেরোইন, হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ ও নগদ ২০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়াও টাকা গোনার যন্ত্র এবং অন্যান সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। দুটি বাড়ির ভিতরে বস্তাবন্দি করে বড় বড় প্লাস্টিক ড্রামের ভিতর হেরোইন ও অন্যান্য সামগ্রী লুকিয়ে গুলি রাখা ছিল। তদন্তকাীরা জেনেছেন, বর্ধমানে বাবর ও রাহুলের গোপন ডেরায় যে হেরোইন তৈরি হত তার কাচা মাল আসতো মণিপুর থেকে। হেরোইন তৈরি হওয়ার পর তা পাচারের জন্য দেওয়া হত ওড়িশার এজেন্টদের হাতে। হেরোইনের কারবার চক্রে বর্ধমানের আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও এসটিএফ খোঁজ খবর চালাচ্ছে।হেরোইনের কারবারের বিষয়ে বর্ধমান অভিযান চালিয়ে এসটিএফ প্রচুর হেরোইন সহ দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিল। এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Covid Awarness: করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তা

রাজ্যে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্তের পরও মানুষের হুঁশ ফেরেনি। এখনও যত্রতত্র মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। জমায়েত করতেও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের মেমারির ২৬৫ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মাননীয় মধূসুদন ভট্টাচার্য করোনা সচেতনতায় এলাকার মানুষের স্বার্থে বার্তা দিলেন। নিজের বিধানসভাকেন্দ্রের মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মাস্ক পরার পাশাপাশি দূরত্ববিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক। সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কামারপুকুর মঠএলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজ-ক্লাবের শাখা নেতৃত্বদের কাছেও তিনি অনুরোধ করেন, এই কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সাধারণের উদ্দেশ্যে যে করোনাবিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেকথাও বলেছেন তিনি। শুধুমাত্র সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমেই করোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছেন মাননীয় বিধায়ক।আরও পড়ুনঃ করোনায় আক্রান্ত বাহুবলীপ্রসঙ্গত, রাজ্যে এক লাফে কোভিড সংক্রমণ ২৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহতই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১২.৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ %। অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Drowned in Ajay : পিকনিকে এসে অজয়ের চেরাবালিতে তলিয়ে গেল এক, আশঙ্কাজনক দুজন হাসপাতালে

করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়লো একটি পরিবার। খাওয়া-দাওয়ার আগে অজয় নদের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় পিকনিক দলের ৩ জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে অজয় নদ থেকে উদ্ধার করে বিকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনের হদিশ এখনও মেলেনি। ডুবুরির দল জলে নেমে তল্লাশি জারি রাখলেও তলিয়ে যাওয়া একজনের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পরিবার সদস্যরা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের পলিগ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম এলাকার একটি পরিবারের ১২ জন এদিন পালিগ্রামের অজয় নদের ধারে পিকনিক করতে যায়। সেই পিকনিক দলে থাকা সুমনা খাতুন(১৪), সোহানা খাতুন(২০) এবং আসিফ শেখ(১৬) দুপুরে অজয় নদে স্নান করতে নামে। স্নান করার সময়েই অজয়ের চোরাবালির মধ্যে পড়ে তিন জনই তলিয়ে যায়। ওই সময়ে আসিফ কোনক্রমে জল থেকে পাড়ের কাছে এসে পৌছায়। তা দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে গ্রামবাসীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। তারাই জলে নেমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোহানাকে উদ্ধার করেন।আসিফ ও সোহানাকে আশাঙ্কাজন অবস্থায় পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সুমনা খাতুনকে উদ্ধার করা যায়নি। এই খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। খবর দেওয়া হয় ব্লকের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। ডুবুরি নিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অজয় নদে তলিয়ে যাওয়া সুমনার খোঁজ শুরু করে। মঙ্গলকোটের বিডিও সহ অন্য আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন।মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী জানান, দুঃখজনক ঘটনা । তবে প্রশাসনকে বলবো অতিমারির সময়কালে অজয়নদের পাড়ে কেউ যাতে আর পিকনিক না করে সেই বিষয়টি দেখার জন্য।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Old Woman Rape: প্রৌঢ়াকে কুঁড়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, জেল হেফাজত অভিযুক্তের

রাতের অন্ধকারে মুখ টিপে ধরে ভিক্ষুক প্রৌঢ়াকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম ভোম্বল মাঝি। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার কেশিগ্রামে। পৌঢ়ার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। জেরায় ভোম্বল পুলিশের কাছে নিজের কুকীর্তির কথা কবুল করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। পাশাপাশি গোপন জবানবন্দি পেশের জন্য প্রৌঢ়াকেও এদিন আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ভোম্বলের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।পুলিশ জানিয়েছে, কেশিগ্রামের নির্যাতিতা প্রৌঢ়া বিধবা। তাঁর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কাছেই থাকেন। ভিক্ষা করে যে টুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই প্রৌঢ়ার দিন চলে। পুলিশকে প্রৌঢ়া জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি বাড়ির কুঁড়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝরাতে চুপিসারে তাঁর কুঁড়ে ঘরে ঢুকে ভোম্বল প্রৌঢ়ার মুখ টিপে ধরে। প্রৌঢ়াকে ঘর থেকে বের করে দূরের ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ভোম্বল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর মহিলাকে রাতে ফাঁকা মাঠেই ফেলে পালায় অভিযুক্ত। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ বিবস্ত্র অবস্থায় প্রৌঢ়া কোনওরকমে মাঠ থেকে পালিয়ে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা পরিবারের লোকজনকে জানান। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে নির্যাতিতা শুক্রবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Fake Land Deed: মৃত ব্যক্তির জমি রেজিস্ট্রি করে সম্পত্তি জলিয়াতির ভয়ঙ্কর অভিযোগ, গ্রেফতার 'জমি মাফিয়া'

ভূয়ো ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে জমি বিক্রির দলিল করে ভূমি দফতরে রেকর্ড করতে গিয়ে ধরা পড়লো এক জমি মাফিয়া। এই ঘটনা জানাজানি হতেই পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খণ্ডঘোষের শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সালুন গ্রাম নিবাসী প্রতারিত ইন্দ্রজিৎ ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জমি মাফিয়া মনোজকান্তি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় আগে থাকতেন। সেখান থেকে ২০০৯ সালে তিনি সপরিবার খণ্ডঘোষের কামালপুর গ্রামে চলে এসে বসবাস শুরু করেছেন। জালিয়াতির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। অপরের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান আদালতে। বিচারক যদিও ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ চিমার পরিবর্তে কে? নতুন বিদেশি এসসি ইস্টবেঙ্গলেপ্রতারিত ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষের কামালপুর মৌজায় তাঁর ৬০ শতক চাষ জমি রয়েছে। ওই জমি তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ বিক্রি করেননি। অথচ জাল দলিল তৈরি করে ওই জমি বিক্রি হয়েছে বলে কুখ্যাত জমি মাফিয়া মনোজকান্তি মণ্ডল ব্লকের ভূমি দফতরে নথি দাখিল করেছে। ভূমি দফতরের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার রাতে খণ্ডঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত মনোজকান্তি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। ইন্দ্রজিৎবাবু এও দাবি করেন, আগে তাঁর ওই ৬০ শতক সম্পত্তির যাঁরা মালিক ছিলেন তাঁরা প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের জীবিত দেখিয়ে জাল ভোটার কার্ড তৈরি করে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। ইন্দ্রজিৎ বলেন, এমন জালিয়াতি করেই খণ্ডঘোষের প্রায় ১৬-১৭ জন ব্যক্তির সম্পত্তির বিক্রি দলিল করে নিয়েছে ধৃত জালিয়াত ব্যক্তি। ভূয়ো ভোটার কার্ড তৈরি চক্র এই জমি জালিয়াতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন। ইন্দ্রজিৎবাবু ছাড়াও খণ্ডঘোষের তিলডাঙ্গা এলাকার সুরজ মাহাতো জানিয়েছেন, তিলডাঙ্গা মৌজায় ২৪০ দাগে তাঁর দাদু দুষ্টু মাহাতোর নামে ১বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তিতে তাঁদের বাড়ি ঘর রয়েছে। ৫৫ বছর ধরে তাঁদের পরিবার সেখানে বসবাস করছে। দাদুর নামে সেই সম্পত্তির সরকারি দলিল ও পর্চা সব রয়েছে। দিন ১০ আগে তিনি জানতে পারেন তাঁদের সেই সম্পত্তি জনৈক চারুবালা মণ্ডলের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সুরজ মাহাতো দাবি করেন, জাল দলিল তৈরি করে মনোজকান্তি মণ্ডল তাঁদের সম্পত্তি নিজের লোকের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। মনোজকান্তির কঠোর সাজার দাবি করেছেন সুরজ মাহাতো।আরও পড়ুনঃ নেতাইয়ে শুভেন্দুকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ চান রাজ্যপালধরা পড়ার পর মনোজকান্তি মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, বহু বছর আগে মারা যওয়া ব্যক্তির ভোটার কার্ড জোগার করে তাঁকে জীবিত দেখিয়ে বর্ধমান রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তিনি জমির বিক্রি দলিল করিয়ে নিয়েছেন। জালিয়াতি করেই একাধিক ব্যক্তির জমির বিক্রী দলিল করেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমের কাছে কবুলও করেন মনোজকান্তি। এই কাজে তাকে যাঁরা যাঁরা সাহায্য করেছে তাঁদের নামও তিনি জানান। পুলিশ তাদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ রয় কৃষ্ণা করোনায় আক্রান্ত? স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচখণ্ডঘোষ ব্লক বিএলআরও রহিত রঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, মনোজকান্তি মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি একটা সম্পত্তি দুবার দলিল করে রেকর্ড করতে এসেছিল। দ্বিতীয়বার যখন রেকর্ড করতে আসে তখনই তার জালিয়াতি ধরা পড়ে। জালিয়াতি করে অপরের প্রায় ১৬ একরের মত সম্পত্তি মনোজকান্তি হাতিয়ে নেওয়ার কাজ হাসিল করতে চেয়েছিল বলে এখন অবধি জানা গিয়েছে। বর্ধমান রেজিস্ট্রি অফিসে (এডিএসআর ১) কিভাবে মনোজকান্তি জাল লোককে জমি মালিক সাজিয়ে দলিল তৈরি করতো তাঁর তদন্ত হলেই জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয়ে যাবে বলে বিএলআরও জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজ্য

Covid Awareness Memari: করোনা সচেতনতায় পথে মেমারি শহর তৃণমূল

ফের করোনা সংক্রমণে তটস্থ সাধারণ মানুষ। বাইরে বেড়িয়েও অনেকেই এখনও মাস্ক পড়ছেন না। করোনা বিধিকে তোয়াক্কা করছেন না কেউ কেউ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন।আরও পড়ুনঃ পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভশুক্রবার মেমারির ১৬টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন স্বপন ঘোষাল। তাঁরা মানুষকে মাস্ক পড়া নিয়ে সচেতন করেছেন। করোনা বিধি মেনে চলতে শহরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে বামুনপাড়া মোড়েও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে শহর তৃণমূল কংগ্রেস।স্বপন ঘোষাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়া থেকে আমরা মানুষের পাশে আছি। মেমারির বাসিন্দারা যে কোনও প্রয়োজনে আমাদের ডাকলেই কাছে পাবেন। আগেও তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল। এখনও মানুষের পাশে থাকবে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

MLA Protests: পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

প্রতিশ্রুতি মত গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। একই ভাবে হয়নি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থার উন্নতিও। এরই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তা নিয়ে এখন মেমারিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপান-উতোর।মেমারি-১ পঞ্চায়েত সমিতির আন্তর্গত দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চোটখণ্ড গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল বলেন, এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলেরও সমস্যা রয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা। নিকাশী বাবস্থা ভালো না থাকায় বর্ষায় চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তিনি জানান বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আমাদের চোটখণ্ড গ্রামে প্রচারে আসেন। ওই সময়ে গ্রামের জগৎগৌরি মন্দির তলায় বসে মধুসূদন বাবু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান ভোটে জিতলে তিনি হয় সজল ধারা প্রকল্পে চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেও উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর মধুসূদনবাবু তাঁর দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির কথা সব ভুলে গিয়েছেন। পানীয় জলের হাহাকার আজও চোটখণ্ড গ্রামে রয়েই গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকালে বিধায়ক মধুসূদনবাবু যখন চোটখণ্ড গ্রামে আসেন তখন গ্রামের সকলে তাঁর কাছে পানীয় জলের ব্যবস্থা না হওয়ার কথা তুলে ধরেন। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথাও বিধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। ওই সময়ে বিধায়ক প্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেও পরক্ষণেই তা স্বীকার করে নিয়ে বিধায়ক পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, চোটখণ্ড ছাড়াও হঠাৎপাড়া, বনশেঁকরা তালগেঁড়া প্রভৃতি এলাকায় রাস্তা ঘাট সত্যি অত্যন্ত খারাপ রয়েছে। ওইসব গ্রামে পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। এইসব সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীদের একটু ধৈর্য্য ধরার কথা বলা হয়েছে। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কারণ প্রসঙ্গে উপ প্রধান বলেন, গ্রামবাসীরা বলছে বিধানসভা ভোটের সময়ে মধুসূদনবাবু নাকি চোটখণ্ড গ্রামে সজল ধারা প্রকল্পে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ও গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নতি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পানীয় জলের ব্যবস্থা আজ আবধি হয়নি। তাই তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধায়ককে কাছে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান।বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য আমরা নির্দিষ্ট কিছু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাই না। ওই গ্রামে টিউবওয়েল আছে। জলস্তর নীচে থাকা বা অন্য কোনও কারণে ওইসব কল থেকে হয়তো ঠিকঠাক জল উঠছে না। গ্রামবাসীরা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান কি করে করা যায় সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।এই বিষয়ে সিপিএম মেমারি ১ (পূর্ব) এরিয়া কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার বলেন, বাম আমলে ওই পঞ্চায়েতটি রাজ্যের সেরা ও দেশের সের পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এখন ওই পঞ্চায়েতটি করে খাওয়ার জায়গা হয়ে উঠেছে। রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে তৃণমূলের তরফে যে প্রচার করা হয় তা যে আসলে ভাঁওতা সেটা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ-বিক্ষভেই প্রমাণ করে দিয়েছে। মেমারির বিজেপি নেতৃত্বও দাবি করেছে, তৃণমূল উন্নয়নের নামে যা প্রচার করে তা আসলে ধাপ্পা ছাড়া আর কিছুই নয়।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

CBI Charge Sheet: ভোট পরবর্তীতে বিজেপি কর্মীর মাকে খুনের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

বিধানসভা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মীর মা। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই খুনের মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই বুধবার ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করলো। সিবিআইয়ের রাঁচি ইউনিটের ইনসপেক্টর অরুন কুমার সিং এদিন ২৫ পাতার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট বর্ধমান সিজেএম আদালতে জমা দেন। এবং সিজেএম চার্জশিট গ্রহন করেছেন।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ,চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা, খুন ও খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হয়েছে। এই খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৩৬ জনকে সাক্ষী করেছে। চার্জশিটে উল্লিখিত অভিযুক্তদের মধ্যে মোট চারজনের নাম এফআইআরে ছিল, তাঁদের মধ্যে শাহজাহান শা এবং বিভাস বাগ মারা যাওয়ায় তাঁদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ গিয়েছে। বাকি যাদের নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এসেছে তারা হল সমর ধারা, তরুণ ক্ষেত্রপাল, সোমনাথ শীল ওরফে হেপলো, সমীর বাগ ওরফে মুরুব্বি, সমীর ঘোষ, কুমারেশ ঘোষ, সাগর রায় ওরফে সঞ্জু ও অমরেশ বাগ। এই অভিযুক্তদের কেউই সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েনি। এদের মধ্যে সোমনাথকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তরুণ আগেই পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়। পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। দুই সমীর, কুমারেশ, সাগর ও অমরেশ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা জজ। গত বছরের ৩ আগস্ট পুলিশ সমর, তরুণ, সোমনাথ ও সমীর বাগের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই বিজেপি কর্মীর মাকে খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়।সিবিআই জানিয়েছে, বিধানসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পরদিন রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুর থানার নবগ্রাম এলাকা। ওই দিন নবগ্রামের বিজেপি কর্মী আশিস ক্ষেত্রপালকে সায়েস্তা করতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ঘর ভাঙচুর করা হয়। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে টাঙি দিয়ে কোপানো হয়। ওই সময় স্বামীকে বাঁচাতে যান কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। সামনে পেয়ে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি তাঁর গলায় হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারা হয়। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মারধরে জখম আশিসের বাবা ও কাকা মানস ক্ষেত্রপালের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। এরপরই গ্রামের লোকজন আক্রমণকারীদের তাড়া করে শাহজাহান শা ও বিভাস বাগকে ধরে গনপিটুনি দেয়। তাতে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। তদন্ত চলাকালীন সিবিআই খুনে ব্যবহৃত কাস্তে ও কাটারি বাজেয়াপ্ত করে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
রাজ্য

College Student: প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি

প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতের নাম রোহন বাগ। মেমারি থানার পূর্ব গন্তারে তার বাড়ি। বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।পুলিস জানিয়েছে, মেমারি থানারই কবিরপুরে ওই ছাত্রীর বাড়ি। তিনি মেমারি কলেজের বিএ প্রথমবের্ষর ছাত্রী। সোমবার বিকেলে তিনি মেমারি থেকে টিউশন পড়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্ব গন্তারে একটি ক্লাবের কাছে রোহন তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্রী পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলে ছাত্রীকে হুমকি দেয় রোহন। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এ ধরনের আচরণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • ...
  • 33
  • 34
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal