• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Music

বিনোদুনিয়া

কালী পুজোর নতুন মিউজিক ভিডিও

উমা বিদায়ের আবেগের মাঝেই অশুভ শক্তির বিনাশে মা কালির আবাহনে রাজ্য সহ গোটা দেশবাসী। কিন্তু মানবমনে এই দুর্গা বা কালীর ভাবাবেগ ঠিক কতটা আর তাকেই জাগ্রত করতে অর্পিতা রায় ও পরিচালক শুভ্রজিৎ দাসের পরিচালনায় সমস্ত অডিও প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে পুজোর নতুন গান জাগো দুগ্গা মা। কিশুর মিউজিক কম্পোজিশনে ও সৌহার্দ্যর কন্ঠে কালি পুজোর আগে মুক্তি পাওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই গান। এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন অর্পিতা রায়, প্রিয়া চন্দ, দিবেন্দু দাস দের মতো তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের। নারী ক্ষমতায়নের পাশাপাশি সাম্প্রতিক আরজিকরের ঘটনাও গান হয়ে ধরা দিয়েছে এই অডিও প্রোজেক্টটিতে। আর কিছুদিন অপেক্ষা। এরপরই প্রকাশিত হবে এই গানের ভিডিও। এই ভিডিওর দায়িত্বে রয়েছেন আরিয়ান শুভ্র ও অর্পন ঘোষ। প্রোজেক্টির পোস্টার ডিজাইন করেছেন সন্দীপন চক্রবর্তী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৪
নিবন্ধ

'মহীনের ঘোড়া' নিয়ে পথ পরিক্রমা বর্ধমানের বাংলা ব্যান্ড প্রেমী শিল্পীদের

বিকালের সূর্যস্নাত শহর বর্ধমানের পথের দখল নিয়েছিল এক ঝাঁক কালো ঘোড়া। গিটার কাঁধে কালো পোশাকে পথে নামলো সঙ্গীত প্রিয় তরুণ প্রজন্ম। মহীনের ঘোড়ার শেষ ঘোড়া বাপিদা(তাপস দাস)-র প্রয়াণকে স্মরণ করতে তাঁরা আজ বিকালে বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে কাঁধে গিটার নিয়ে সমবেত গানে গলা মিলিয়ে পথ হাঁটলো মফস্বলের নবীন প্রজন্ম।ঘোড়াগুলি থামবে না এই শিরোনামে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে আজ শেষ বিকেলে থমকে যায় শহর বর্ধমানের প্রানকেন্দ্র। বাংলা গানে রকব্যান্ড-র স্বাদ নিয়ে আসা আসা মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম ঘোড়া তাপস দাস (বাপীদা)-র স্মরণে এই মহৎ উদ্যোগ। এই ছোট্ট কিন্তু প্রানোচ্ছল অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা বর্ধমান শহরেরই একঝাঁক তরুণ সঙ্গীত প্রেমী সংকেত ও গান বন্ধুরা এবং বর্ধমান ওয়েভ।শিল্পীর দল ও সংগীত প্রেমী এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী আজ রবিবাসরীয় বিকালে কার্জন গেটের সামনে জড়ো হয়। কোনও রকম আনুষ্ঠানিক উপঢৌকনতা ও গুরুগম্ভীর অভিভাষণ না করেই, গিটারে সুর তুলে সমবেত কন্ঠে গেয়ে ওঠে সত্তরের দশকের তুফান তোলা গান পৃথিবীটা নাকি ছোট ছোট হতে হতে... যে গান আজও সমান প্রসঙ্গিক এই প্রজন্মের সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে।সংকেত, মধুবন্তী, অনির্বাণ, অয়ন, অরাত্রিকা হয়ে শত কন্ঠ মিলিয়ে দিল সত্তর দশককে একবিংশের সাথে। অষ্টাদশী থেকে মধ্যযৌবনা কেউই বাদ যাননি এই আনন্দের স্বাদ নিতে। মহীনের ঘোড়াগুলির অ্যালবাম থেকে একের পর এক গান উদ্ধত কন্ঠে মাতিয়ে দিল শহরের প্রান কেন্দ্র।প্রসঙ্গত, মহীনের ঘোড়াগুলি ১৯৭৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম বাংলা স্বাধীন রক ব্যান্ড। জানা যায়, এটিই ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড, ১৯৭০-এর দশকের মাঝ পর্বে কলকাতায় এর যাত্রা শুরু হয়। গৌতম চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, এব্রাহাম মজুমদার, তাপস দাস ও তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, এই সাত সঙ্গীতশিল্পী একত্রে নব্বই-এর দশকের পর তাঁরা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আমেরিকান, লাতিন, রক, জ্যাজ, লোক, বাউল বিভিন্ন সঙ্গীত ধারায় পরীক্ষামূলক নানা কাজ তাঁরা করতে থাকে এবং তরুণ প্রজন্মের কছে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।আজ বর্ধমানে নানারকমের পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পোস্টার আর প্লাকার্ডে ছয়লাপ হয়ে ওঠে কার্জনগেট চত্বর। নানারকম বার্তা প্লাকার্ডে লিখে তাঁরা হাজির হয়। সেইরকমই একটি প্লাকার্ডে লেখা...ঘোড়াগুলি ছুটছে.... শহর বর্ধমান উত্তেজনায় ফুটছে ছুটছে ওরা ছুটছে... মহীনের ঘোড়াগুলি ছুটছে...... কার্জন গেট থেকে টাউনহল প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পথ পরিক্রমা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে এই কথাই মনে করায় মহীনের মৃত্যু হলেও ঘোড়া গুলির দৌড় বোধহয় থামার নয়।

জুলাই ০২, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

২৫- শে পা দিচ্ছে কৌশিক ইভেন্টস

কৌশিক ইভেন্টস একটি অর্গানিসশন যেটি এই বছর ২৫ এ বছরে পা দিচ্ছে। তারা এতো বছর ধরে কলকাতা তথা ভারত বর্ষে বিভিন্ন জায়গায় তাদের নিজস্ব অতুলনীয় উদ্ভাবনীয় অনুষ্ঠান করে দর্শক মহলে ছাপ ফেলে দিয়েছে তাদের জার্নি শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ এর মাঝামাঝি একটা কলেজ সোশ্যাল ইভেন্ট করে। একটা দারুন বিষয় সেই কলেজে ২৫ বছর ধরে এখনো কৌশিক ইভেন্টস সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে,এই দলের প্রধান উদ্যোক্তা কৌশিক রাহুল ঘোষ জনতার কথা কে জানিয়েছেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংগীত ও শিল্প কর্ম সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম বলে এই দলটির শুরু হয়েছিল। মূলত নতুন শিল্পীদের প্লাটফর্ম দেয়ার পাশাপাশি আমরা বিখ্যাত শিল্পীদের একসাথে মঞ্চস্থ করার জন্য বহু ইভেন্ট করেছি। নজরুল মঞ্চে প্রথমবার একসাথে ভৌমিক ক্যাকটাস এবং চন্দ্রবিন্দুকে পারফর্ম করিয়েছিল এই ইভেন্টস তেমনি আবার রক সক নামে একটি রক কনসার্টের কলকাতা শহরে প্রথমবার আয়োজন করি। আমাদের ইভেন্টস যেখানে পারফর্ম করেছিল বিখ্যাত ব্যান্ড ফসিলস ক্যাকটাস এবং ক্রস উইন্স প্রথমবার একসাথে।এর পাশাপাশি তিনি জানান, কবীর সুমন একক নচিকেতা সুমন চক্রবর্তী এবং কলকাতার তথা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত আর্টিস্টদেরকে নিয়ে করা বিভিন্ন সরকারি মেলা তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজস্ব চিন্তাধারায় অটুট বন্ধন নামে ওয়াল্ড মিউজিক ডে উদযাপন করা কৌশিক ইভেন্টস এর স্পেশালিটি,এর পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম থেকে প্রতিভা তুলে আনার জন্য তারাই প্রথম শুরু করে আগামীর তারারা অনুষ্ঠান এবং সেই অনুষ্ঠান থেকেই অনেক শিল্পী আজ বিশ্বের দরবারে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নতুন প্রজন্ম পুরনো প্রজন্ম এবং তার সঙ্গে নতুন প্রতিভা দের নিয়ে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে তারা কলকাতার বুকে বিভিন্ন থিম পুজো, ঠাকুর এবং পুজোর থিম সং এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশেষ ছাপ ফেলেছে গত বছর কৌশিক ইভেন্টস ব্যাঙ্গালোরের বুকে এক অভিনব যাত্রা শুরু করে সেখানে তারা সর্বপ্রথম কলকাতায় কুমোরটুলির ঠাকুর মহিলা ঢাকি স্বনামধন্য শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গে থিমের প্যান্ডেল এবং ডেকোরেশনের কাজ শুরু করে যেটা একটা অন্য মাত্রায় কাজের রুচির পরিচয় পাওয়া যায়. করোনা কালে কৌশিক ইভেন্টস আর্টিস্টদের পাশে দাঁড়িয়ে লিজেন্ডদেরকে সম্মান জানিয়ে আ ট্রিবিউট টু দ্য লিজেন্ডস এর কাজ বিশেষ প্রশংসনীয়। এর পাশে কৌশিক ইভেন্টস কিছু সমাজমুলক কাজ করেন তাদের বিশিষ্ট কিছু ইভেন্টস এর মাধ্যমে যেমন তারা প্রত্যেক বছর নিয়ম করে দুস্থদের সেবা এবং গরীব দুঃখীদের বস্ত্র, পড়াশোনার জিনিসপত্র বিভিন্ন হাইজেনিক প্রোডাক্ট যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি তারা প্রদান করে থাকে। বৃদ্ধাশ্রম এর প্রবীণ দের পুজোর আগে নতুন জামা কাপড় পথ শিশুদের জন্য এবং তাদের পরিবারের জন্য পুজোর জামা কাপড় এবং প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করে থাকে। ঠান্ডার সময় শীত বস্ত্র প্রদান এছাড়া নিয়ম করে গরীব মানুষদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রেশনের ব্যবস্থা করে থাকে।ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কৌশিক ইভেন্টস। জনতার কথা-র পক্ষ থেকে তাদের জন্য রইল অনেক শুভকামনা।

জুন ১৫, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

এই বিশ্বখ্যাত প্রবাদপ্রতীম শিল্পী কে? বিস্তারিত জেনে নিন

বেশ কিছুদিন আগে থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ফেসবুক বা ফেসবুক টাইম লাইনে অশীতিপর এক বৃদ্ধার সংগীত পরিবেশন কে ট্রোলড হতে দেখা গিয়েছে বারংবার। তিনি কে? কি ভাষায় তিনি গান গাইছেন ? অথবা গানের অর্থই বা কি এর তথ্যানুসন্ধান কেউ করেনি। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের বিচারে এই মহান শিল্পীকে নিয়ে শুধু নানান মন্তব্য ও স্ববোধের বিচারে হাসাহাসি চলেছে। কিন্তু প্রকৃত সংগীত পিপাসুদের কানে এই শিল্পীর পরিবেশিত গানটি শুনে কেমন যেন একটা ভালোলাগা অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, গানটি সোয়াহিলি ভাষার একটি বিখ্যাত গান। আর এই অশীতিপর বৃদ্ধা শিল্পীটি আর কেউ নন আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়ার মহান সংগ্রামী শিল্পী বিকিডুডু। যাঁর পোশাকি নাম ফাতুমা বিনতি বারাকা। এই সোয়াহিলি আরব প্রভাবিত সংগীতের স্টাইল তারাবোর কিংবদন্তী পারফর্মার তিনি। তাঁকে তারাব ও ইউনেয়াগো সংস্কৃতির রানীও বলা হয়। এটি মূলত তানজানিয়া এবং কেনিয়ার কিছু অঞ্চলের সংস্কৃতি। অনুমান করা হয় বিকিডুডের জন্ম ১৯১০সালে তানজানিয়া জাঞ্জিবার দ্বীপের একটি ছোট্ট গ্রামে, গ্রামটির নাম মাফাগিমিরিঙ্গ। তাঁর বাবা ছিলেন ওই দ্বীপেরই একজন নারকেল বিক্রেতা। বিকিডুডে তাঁর মাত্র ১০ বছর বয়সেই আফ্রিকান রক্ষণশীল সমাজের নিয়ম ভাঙতে শুরু করেন। তিনি সমাজ ও প্রথার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজে ব্যক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে আফ্রিকান সংগীতএবং নারী জাগরণের পথ তৈরি করে গেছেন। বিশ্ব সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ওমেক্স এওয়ার্ড। এই পুরস্কারপ্রাপ্তির আগে পর্যন্ত বিকিডুডে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিলেন। ২০০৫ সালে প্রাপ্ত এই পুরস্কারে তিনি বিশ্ববাসীর নজরে আসেন এবং বিশ্ববাসীর মন জয় করেন। ব্রিটিশ নির্মাতা এন্ডি জোন্স শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন Shot Bi kidudu প্রবল লিঙ্গ বৈষম্যে জাঞ্জিবার সমাজে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। তাঁর সারল্য জেদ আর অনমনীয় মনোভাবের মধ্যে দিয়ে পদদলিত করেন এই সমাজের জরা ও পশ্চাদপদ প্রথাকে। একক ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জাঞ্জিবার প্রথার অমলিন সংস্কৃতিকে উন্মুক্ত করেন বিশ্ববাসীর সামনে। নিঃসন্তান প্রথাবিরোধী স্বাধীনচেতা এই শিল্পীর জীবনটাই ছিল বিতর্কিত। তথাকথিত একটা পর্দানশীন সমাজের বাইরে বেরিয়ে আসা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান করতেন, আবিশ্ব ঘুরে বেড়াবেন এই স্বপ্ন ছিল তার। নিজের সমস্ত উপার্জিত অর্থ তিনি অকাতরে দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে নিজে নিঃস্ব থাকতেন। হাঁপানি রোগ নিরাময়ে একজন ভেষজ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই শিল্পী পরিচিত ছিলেন। এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী জাঞ্জিবার তরুণ ও দুঃস্থ শিল্পীদের সংগীত শেখানো ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। আফ্রিকার লোকসংগীত এর প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অবিসংবাদিত। ১৯৮০ সালে স্বৈরাচারী নাইজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তার কন্ঠ। তানজানিয়ার জাঞ্জিবার সমাজের তিনি ছিলেন জাতীয় ধন। দীর্ঘ ১০৩ বছরের জীবন পথ অতিক্রম করে মহান এই মানবতাবাদী শিল্পী ২০১৩ সালের ১৭ই এপ্রিল জাঞ্জিবার দ্বীপে নিজ গ্রামে লোকান্তরিত হন। গত ১৭ এপ্রিল ছিল তার মৃত্যুর দশম বৎসর।

মে ০৬, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

ঊড়িষ্যার প্রোজেক্টে পৃথার অভিষেক

বাঙালি অভিনেত্রীর এবার ঊড়িষ্যা পাড়ি! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, অভিনেত্রী, মডেল পৃথা দাস এবার উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও জমুনা জিবাকু মতে হইচি মনা।উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি এর এক নামজাদা প্রোডাকশান থেকে মুক্তি পেয়েছে এই মিউজিক ভিডিওটি। পুরোপুরি ভিন্ন লুকে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী পৃথা দাস কে এই মিউজিক ভিডিও তে। একদম উড়িয়া কমার্শিয়াল মিউজিক ভিডিও হিসাবে মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। ভিডিওটির শ্যুটিং হয়েছে উড়িষ্যাতে।অভিনেত্রী পৃথা দাস জানান একটা অন্যরকম অনুভূতি এই প্রোডাকশন হাউসের সাথে কাজ করা। খুব প্রফেশনাল, খুব সাপোর্টিভ পরিচালক, প্রযোজক, পুরো ইউনিট। প্রচন্ড ভালো লাগছে এমন একটা টিমের সাথে কাজ করে। আশা করছি আরো ভালো কাজ আমার দর্শকদের উপহার দিতে পারবো।

মার্চ ২৫, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

সিনেমা, মডেলিং জগতে নতুন জনপ্রিয় মুখ মাম মন্ডল

বাংলা সিনেমা জগত ও মডেলিং জগতের নতুন নাম মাম মন্ডল। নানা মিউজিক ভিডিও তে নানান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। মিউজিক ভিডিওতে বেশ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। দর্শকদের মনে এক অনন্য জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী, মডেল মাম মন্ডল।অন্যদিকে বেশ নাম করা ব্র্যান্ডের শ্যুটে দেখা গিয়েছে তাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যুটে আলাদা আলাদা লুকে তাকে দেখা গিয়েছে। দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তবে বর্তমানে ভালো প্রজেক্টের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেত্রী মডেল মাম মন্ডল। অভিনেত্রী মাম মন্ডল জানান ভালো প্রজেক্টে ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। যেখানে নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখানোর জায়গা পাবো। যার জন্য অপেক্ষা করছি, ভালো প্রজেক্ট পেলে অবশ্যই ভালো অভিনয় আমার দর্শকদের উপহার দেবো। সাথে মডেলিং টাও করতে চাই।

জানুয়ারি ২১, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

কৃষ্টি ক্রিয়েশান থেকে প্রকাশিত হলো নীলিমা কর্মকার এর আধুনিক গানের মিউজিক ভিডিও "ভুল শুধু হয়ে যায়"

ইউটিউব ও সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এ কৃষ্টি ক্রিয়েশান থেকে প্রকাশিত হলো মিস নীলিমা কর্মকার এর আধুনিক গানের মিউজিক ভিডিও এ্যালবাম ভুল শুধু হয়ে যায়। শিল্পী নীলিমা একজন প্রবাসী বাঙালি গায়িকা যিনি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গান রেকর্ড করে জনপ্রিয় হয়েছেন। এনার কণ্ঠে আমরা ইতিপূর্বে আমরা ইংরেজি, স্কটিশ তথা আইরিশ ভাষায় এবং বিদেশী সুরে রবীন্দ্রসংগীত শুনেছি।সম্প্রতি তিনি একটি বাংলা আধুনিক গান (ভুল শুধু হয়ে যায়) কুন্দন সাহার সুরে ও দেবপ্রসাদ চক্রবর্তীর কথায় গেয়েছেন যেটি শ্রোতা মহলে বেশ সারা ফেলে দিয়েছে। পেশাগত ভাবে নীলিমা একজন অধ্যাপিকা ও বিজ্ঞানী। ভবিষ্যতে উনি দেশি ও বিদেশি লোকসংগীত নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খুব শীঘ্রই নীলিমা একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসাবে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিজয় সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গানে গানে আসর মাতালেন সুমন চক্রবর্তী

মোটা টাকার আর্কিটেক্ট এর চাকরি ছেড়ে নিজের পছন্দের গানের সমুদ্রে তরী ভাসানো সহজ কাজ নয়। সুমন চক্রবর্তী সেই কাজটা করে দেখিয়েছেন। অনেকেই নিছক পাগলামো বলে এড়িয়ে গিয়েছিল, কেউ বলেছিল এসব রোমান্টিসিজমের সময় এখন নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিল ট্রোলিং, সুমন কিন্তু হার মানেনি। অল্প কিছু বন্ধু আর শুভাকাঙ্ক্ষীর উৎসাহ আর নিজের সাহসে ভর করে সুমন তার সুরের তরী ভাসিয়েছিল। গানের রেওয়াজ ছিল, ছিল তালিম, দরকার ছিল শুধু ঝাঁপ দেওয়ার। সুমন সেটাই করেছে। আজ ইন্টারনেটে তার বাংলা গান অসম্ভব জনপ্রিয়। ২০২০ সালে এই প্রেস ক্লাবেই মুক্তি পেয়েছিল ওর গানের অ্যালবাম আবিরের সকাল। হারিয়ে যাওয়া বাংলার স্বর্ণযুগের সুর, গায়কী ফিরিয়ে দিয়েছিল সুমন। অসম্ভব প্রশংসিত হয় আবিরের সকাল। এর পরে গান মেলায় পারফর্ম, সাড়া ফেলে দেওয়া। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতায় আরও সমৃদ্ধ হল সুমন। কলকাতা প্রেস ক্লাবের বিজয় সম্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সুমনকে সন্মানিত করে, তার গান সবার সামনে তুলে ধরার দুর্দান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সলিল চৌধুরী থেকে সুধীন দাশগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে মুকুল দত্ত, আর ডি বর্মন, কিশোর কুমার, অনায়াস নস্টালজিয়ায় শ্রোতাদের পৌঁছে দিল সুমন। উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই অবাক হয়েছেন সুমনের গান শুনে। একঝলক বসন্তের বাতাসের মত সুমন স্বর্ণযুগের সুবাস ফিরিয়ে দিল যেন।

নভেম্বর ০৪, ২০২২
রাজ্য

ডিজে'র সর্টসার্কিটে নাতির জন্মদিনে মৃত্যু দাদু-ঠাকুমা সহ তিন জনের

যমজ নাতি-নাতনির জন্মদিন ছিলো। এলাহি আয়োজন। ডিজে বাজছিলো চটুল গান। শুরু হয়েছে নাচ। ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের গাফিলতির জন্যে মৃত্যু হলো ৩ জনের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হল ঠাকুরদা-ঠাকুমা সহ তিনজনের। রবিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার তিলনা সংলগ্ন মোহনবাড়ি গ্রামে। পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের নাম বাবলু মুর্মু (৩৫), যুবরাজ মার্ডি (৫৫) ও হোপময়ি সোরেন (৪২)। যুবরাজ ও হোপময়ি সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অপরজন আত্মীয় । ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মৃত দম্পতির ছেলে গোপাল মুর্মু (২৭)। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।এলাকার বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গোপাল মুর্মুর যমজ ছেলে-মেয়ে তুষার ও নিবেদিতার জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিজে সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর জন্য বাড়ির সামনের বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। সন্ধায় ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টির কারণে তার ছিঁড়ে যায়। যারফলে গোটা বাড়িতে শর্ট-সার্কিট হয়ে যায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন চারজন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক বাবলু মুর্মু যুবরাজ মার্ডি ও হোপময়ি সোরেন কে মৃত ঘোষণা করেন। গোপাল মুর্মু চিকিৎসাধীন। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।এলাকায় অন্ধকার।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গানের হাত ধরে ভ্রমণ এক অন্য রকম ট্রাভেল ভ্লগ

কখনো মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, কখনো পোস্টার বয়, ভিনটেজ চলচ্চিত্রের পোস্টারের সংগ্রহ, পরিচর্যা, প্রদর্শনী, সেই দুষ্প্রাপ্য পোস্টার-ফিল্ম পাবলিসিটি মেটেরিয়াল-এর ছবি সম্বলিত ক্যালেন্ডার প্রকাশ, কখনো আবার কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এর আয়োজন, আবার পাহাড় নিয়ে গান বানানো। এক ঝাঁক তরুণ শিল্পীদের নিয়ে পাহাড়ের গান শীর্ষক ছটা আধুনিক বাংলা গানের ডালি নিয়ে হাজির সুদীপ্ত চন্দ। গানের কথা-সুর সুদীপ্তের। গান নিয়ে নানা রকমের কাজের ফাঁকে মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এর পরিকল্পনা করেন সুদীপ্ত। পাহাড়ের উপত্যকায় নানা ধারার সুরের মিশেলে হবে এক সঙ্গীতের মহোৎসব। যেমনটা ভাবনা, তেমনটা কাজ। ঠিক করোনা কালের আগেই ২০২০-তে ইস্ট সিকিমের আগোমলোকে বসল এই সঙ্গীতের উৎসব। কলকাতার শিল্পীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও গান-বাজনায় অংশগ্রহণ করেন। পরের বার দার্জিলিং-কে কেন্দ্র করে দেওয়াইপানির ছোট্ট গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। পরে এরই রেশ ধরে একটা মিউজিক অ্যালবামের পরিকল্পনা করেন সুদীপ্ত। এর আগে তাঁরই কথায়-সুরে পাহাড় নিয়ে গান করেছেন রূপঙ্কর বাগচী। এবার ইচ্ছা ছিল উত্তরবঙ্গ-কলকাতার বেশ কিছু তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার। সেই হিসেবে ছটা নতুন গান লেখা-সুর করেন সুদীপ্ত। কলকাতা-শিলিগুড়ি-তে গানের রেকর্ডিং হলো। গত মার্চ মাসে চিলাপাতার জঙ্গলে, পাহাড়ি নদী সংলগ্ন অঞ্চলে,গ্যাংটকের নানা জায়গায়, ছাঙ্গু লেকে এই অ্যালবামের গানের শুটিং হয়েছে। প্রতিটা গানের মুড অনুযায়ী জায়গা নির্বাচন করা হয়। কোথাও রাতের অন্ধকার, তো কোথাও সাদা বরফের চাদর বিছানো, কোথাও সবুজে ভরা চায়ের বাগান, তো কোথাও পাইনের বন, তিস্তার পাড়। এরকমই বৈচিত্র্যে ভরা ছটা আধুনিক বাংলা গানের ডালি নিয়ে এই পাহাড়ের গান অ্যালবাম। সম্প্রতি বিশিষ্ট শিল্পী অমিত কুমার প্রকাশ করলেন এই অ্যালবাম।এই অ্যালবামে গান করেছেন মাধুর্য মুখোপাধ্যায়, অরিত্র মুখোপাধ্যায়, রিক বিশ্বাস, নীলাঞ্জন সাহা, অয়ন মুখোপাধ্যায়,ঋতবান গুহ, সুদীপ্ত চন্দ।যন্ত্রসংগীতে ছিলেন অনুনয় চামলিং রাই, সৌরজ্যোতি চ্যাটার্জি, শুভম ঘোষ, তীর্থঙ্কর সরকার দাস, পলাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সমগ্র অ্যালবামের সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন মাধুর্য মুখোপাধ্যায়।রেকর্ডিং করেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত। অ্যালবামের কভার এঁকেছেন অতনু রায়। এই অ্যালবামের একমাত্র হিন্দি গানটা গেয়েছেন রিক বিশ্বাস। ভিডিওগ্রাফিতেও অভিনবত্বের ছাপ রেখেছেন সৌরভ ব্যানার্জি ও অর্চন চক্রবর্তী।এবার সুদীপ্ত চন্দের নতুন উদ্যোগ নিজেদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেল ভ্লগ শুরু করার। সম্প্রতি এই কথাই জানিয়ে নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তিনি জানান এই ভ্লগে থাকছে নানা জায়গায় ঘোরার মুহূর্তের সঙ্গে সেই সব যায়গার খাওয়া-দাওয়ার খবরাখবর, সঙ্গে গান। সেখানকার স্থানীয় সুর, শিল্পীদের গান, থাকবে নানা রকমের গল্প। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে সুদীপ্ত চন্দ বললেন, আমার পাহাড় খুবই প্রিয়। মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এর পাশাপাশি এবার একটা ট্রাভেল ভ্লগ শুরু করার ইচ্ছা ছিল।এবার সেটার কাজ শুরু করতে চলেছি। এতে ভ্রমণের সাথে সেই সব জায়গার সঙ্গীত খুব সুন্দর ভাবে ডকুমেন্টেড হবে। থাকবে আবহসঙ্গীত, নতুন শিল্পীদের গান। সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় বলা যায়।অক্টোবরে শুরু হবে এই মিউজিকাল ট্রাভেল ভ্লগ।

জুন ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

না ফেরার গান

না ফেরার গানটি হল জিপসি গান ডিজেলেম ডিজেলেমের একটি রূপান্তর। গানটি মূলত ১৯৪৯ সালে সার্বিয়ান জিপসি সঙ্গীতশিল্পী জারকো জোভানোভিক লিখেছিলেন যিনি তিনটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বেঁচে গিয়েছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা ব্ল্যাক লিজিয়ন (হিটলারের সেনাবাহিনী) দ্বারা নিহত হয়েছিল। জার্মান অধিকৃত ইউরোপে ৬ মিলিয়ন ইহুদি ছাড়াও ৫০,০০০-১৫০,০০০ জিপসিকে নাৎসিরা হত্যা করেছিল। কেউ কেউ বলছেন আসল অঙ্ক দেড় লাখ। ১৯৭১ সালে, আন্তর্জাতিক রোমানি কংগ্রেস, লন্ডনে গানটি রোমানি সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।ভারত ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘৃণার রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কবি ও সুরকার সান্তনু রায় এই ফ্যাসিবাদ-বিরোধী গানটি তৈরি করেছেন। বাংলা সংস্করণে জিপসিদের বিচরণ লালসা এবং সেই অসহায় দরিদ্র মানুষের আর্তনাদও রয়েছে যারা বেঁচে থাকার জন্য এক ভূখণ্ড থেকে অন্য অঞ্চলে চলে যায়।গানটি ইউডি এন্টারটেইনমেন্ট প্রকাশ করেছে এবং সমস্ত নেতৃস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জুড়ে উপলব্ধ। মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশিত হবে ইউটিউব চ্যানেল সান্তনু রায়-দুপুরের নীলে।

জুন ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পোস্টকার্ডে বিশেষ ভাবনা, সঙ্গে গান

সময়টা বড়ই আধুনিক। যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও তার প্রভাব যথেষ্ট। সেই রানারের চিঠি বিলির দিন আজ অনেকটাই সরকারি কাজে, না হলে খুব প্রয়োজনে, এছাড়া চিঠি-চাপাটির দিন আজ অনেকটাই সেকেলে।আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইউটিউবে আজ মানুষ ভ্লগ দেখেন, ইমেল, হোয়াস্ট অ্যাপে মনের কথা, কাজের কথা আদান প্রদান করেন। একটা সময় ছিল যখন চিঠি লেখা ছিল অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম। যেহেতু মানুষের প্রয়োজনের মাধ্যম ছিল তাই অনেক সচেতনতা সংক্রান্ত বিষয়ও পোস্টকার্ডে ছাপা হতো। দেওয়া হতো নানা রকমের বিজ্ঞাপন। আজ এই সব অনেকটাই অতীত।সচেতনার পাঠে পোস্টকার্ড ব্যবহার এখন তেমন ভাবে চল না থাকলেও একটা সময় পোলিও দূরীকরণ কর্মসূচীর বিজ্ঞাপন বেশ চোখে পড়তো।থাকতো সিনেমার বিজ্ঞাপন, নানা রকম বানিজ্যিক দ্রব্যের বিজ্ঞাপনও। ডাক বিভাগের এছিল আয়ের এক সূত্র।সেটা আজ অতীত হলেও এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে পোস্টকার্ডের সেই চিঠি পাঠানোর নস্টালজিয়াকে উস্কে দিল সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন। এবার পোস্টকার্ডে জনসংযোগে নামলেন থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সচেতনতাকে কাজে লাগাতে। এই বিষয়ে সারা বছর নানা কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত প্রাণ এই সংস্থা এবার পোস্টকার্ড পাঠালো বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থার কর্মী-সদস্যদের। উদ্যেশ্য একটাই, থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে পন্থা একটু অন্যরকম।এর উপরি পাওনা আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসের প্রাক্কালে বিশ্ব সঙ্গীতের আঙ্গিনায় সনামধন্য কৃতি সঙ্গীত শিল্পীদের পোস্টকার্ডে স্মরণ। পোস্ট কার্ডের একপাশে যেমন আছে থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সচেতনতার কথা, অপর দিকে আছে এলভিস প্রিসলি, ম্যাডোনা, সলিল চৌধুরী, রাহুল দেব বর্মণ, জন লেনন-এর মতো সঙ্গীতজ্ঞদের সম্পর্কিত কিছু তথ্য। গানের ভুবনে যাঁদের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য এই পোস্টকার্ড থ্যালাসেমিয়া সচেতনতার পাশাপাশি ওঁদেরকেও স্মরণ করায়। এই ভাবনা প্রসঙ্গে সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য বলেন, পোস্টকার্ড হলো জনসংযোগের সব থেকে পকেটফ্রেন্ডলি মাধ্যম। এত সস্তায় আম আদমি পোস্টকার্ড ছাড়া নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত না। এখন এসব অতীত। এখন পোস্টকার্ডের দাম কত জিজ্ঞাসা করলে অনেকেই বলতে পারবেননা। আমরা সেই নস্টালজিয়াটাকে ফিরে দেখলাম এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে। তিনি আরও জানান, গানের এই বিশেষ দিনকে মনে করলাম বিশ্বসঙ্গীতের কয়েকজন কিংবদন্তিকে যাঁরা সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের সেবা করেছেন। মিউজিক থেরাপি। মানুষের মন ভালো রাখার ওষুধ। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মাথায় রেখেই আমরা এবার পোস্টকার্ডে জনসংযোগে নামলাম।

জুন ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রকাশ হল 'ম্যাহেসুস' মিউজিক অ্যালবাম, মাধুর্য ছড়ালেন 'মধুরা'

নিতিন জৈন পরিচালিত মিউজিক ভিডিও ম্যাহেসুস গানটি মুক্তি পেল এনভি প্রোডাকশনের ব্যানারে। মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করতে দেখা যাবে বসুন্ধরা পণ্ডিতা ও করণ সারোহা কে। শিশুশিল্পী হিসাবে রয়েছেন কবীর পাহনা এবং অ্যামারাইরা সুদ।এই মিউজিক অ্যালবাম-এ কন্ঠ দিয়েছেন রাজ বর্মন ও মধুরা ভট্টাচার্য। এই প্রজন্মের বাঙ্গালি কণ্ঠ সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম মধুরা। সঙ্গীতের সুত্রে দীর্ঘ সময় মুম্বাই-য়ে কাটিয়েছেন। আর বাংলা টেলিভিশিন ও সিনেমার জগতে অতি পরিচিত মুখ তিনি।ম্যাহেসুস গানটা নিয়ে জনতার কথা কে সঙ্গীতশিল্পী মধুরা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, খুব সুন্দর একটা ৯০ দশকের ফিল আছে গানটার মধ্যে। পুরুষ কন্ঠটা রাজ বর্মনের। ও প্রথমে গানটার ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। যারা মিউজিক করেন, তারা সবাই দিল্লি, মুম্বই দুই জায়গার ব্যস্ততম মানুষ। এই মিউজিক ভিডিওটার মাধ্যমে একটা গল্প খুব সুন্দরভাবে বলা হয়েছে। যাঁরা অভিনয় করেছেন তারাও খুব-ই ভালো অভিনয় করেছেন। পুরো ব্যাপারটা খুব ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষের ও বেশি মানুষ গানটা শুনেছেন। এটাও একটা বিশেষ ভালোলাগা।কেকে-র অকাল প্রয়াণের পর যখন মুম্বাই ও কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী দের মধ্যেআমরা-ওরা ধারনা-র অদৃশ্য প্রাচীর তৈরি হচ্ছে ঠিক সেই সময় মধুরা-র ম্যাহেসুস যেন সেই ক্ষতে প্রলেপ। অনেক আগেই তিনি সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর সঙ্গীতের মাধ্যমে সামনে এসেছেন। আমাদের আশা ম্যাহেসুস তাঁকে প্রচারের আলোয় আরও সামনে এনে দেবে।

জুন ১৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গানের মাধ্যমে কেকে কে শ্রদ্ধা কলকাতার শিল্পীদের

কেকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশবাসী।তিনি যে আমাদের মধ্যে আর নেই সেটা মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে থমথমে পরিবেশ বিনোদন মহলে। এদিন দক্ষিণ কলকাতার ক্যাফে ক্যাফে আলাপ প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিনোদন জগতের এক ঝাঁক তারকা।সারেগামা মঞ্চ খ্যাত অনুষ্কা পাত্র, রিক বসু, নবাগত সংগীত পরিচালক জুটি শুভম-শুভঙ্কর উপস্থিত ছিলেন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে। এদের পাশাপাশি উপস্তিত ছিলেন অনুষ্কা চক্রবর্ত্তী, রেমো, জিৎ চক্রবর্ত্তী, সায়ন মুখোাধ্যায়, অধিরাজ গঙ্গোপাধ্যায়, নীলাঙ্কুর মুখোাধ্যায় এবং দীপান্বিতা নাথ।কেকের গানে জমজমাট ছিল সন্ধ্যা। আলোচনা হল এই বিশিষ্ট শিল্পীকে নিয়ে। কথা প্রসঙ্গে উঠে এল কেকে কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনে গানের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। কেকের জারা সা গানটি গাইলেন রিক বসু।

জুন ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মিলিন্দ গাবার মিউজিক ইন্ডিয়া ট্যুর

কলকাতার বৃহত্তম লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি, সিলেক্ট দর্শকদের জন্য নিয়ে এল মিলিন্দ গাবার ইন্ডিয়া ট্যুর। এটি হল মিলিন্দ গাবার প্রথম লাইভ ইন কনসার্ট ইন্ডিয়া ট্যুর। কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিওটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সিলেক্টের এই উদ্যোগে ২ মাসে দেশের ৮ টি শহরে হবে মিলিন্দ গাবার এই মিউজিক ট্যুর। কনসার্টগুলি হবে একদম অনন্য, আগে কখনও দেখা যায়নি এমন অভিজ্ঞতা হবে। যেখানে মিলিন্দ গাবা তার সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরবেন৷ মিলিন্দ গাবার সঙ্গে লাইভ এবং প্রিয় গায়কের সঙ্গে ছন্দ ও সুরে ভক্তরা গান গাইতে এবং নাচতে পারে।মিলিন্দ গাবা একজন ভারতীয় বলিউড গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক, পাঞ্জাবি এবং বলিউড সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা। তিনি তার নজর লাগা যায়েগি, সে জানে না এবং ইয়ার মোদ দো গানগুলির জন্য পরিচিত। তার জনপ্রিয় একক গানগুলি হল নজর লাগা যায়েগি, সে জানে না, ম্যায় তেরি হো গায়ে, জিন্দেগি দি পাউদি, পিলে পিলে, সুন্দর, নাচুঙ্গা আইসে এবং কেয়া কারু। তার সে ডোন্ট নো গানের মিউজিক ভিডিওটি ইউটিউবে টি-সিরিজে ৮ জানুয়ারী ২০১৯-এ প্রকাশিত হয়েছিল।এই ভিডিওটি ৫০০মিলিয়নেরও বেশি ভিউ নিয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলিউড গায়ক মিলিন্দ গাবা বলেন , এটি হল আমার প্রথম সমন্বিত এবং একচেটিয়া ভারত সফর। বিভিন্ন শহরে আমার দর্শকদের জন্য লাইভ পারফর্ম করার এই সুযোগ পেয়ে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। সিলেক্টের সঙ্গে এই যাত্রা অবশ্যই আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, সিলেক্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবি আগরওয়াল এবং গীতেশ শর্মা, সিলেক্টের প্রতিনিধি বলেন, সিলেক্ট সারা ভারতে ভক্তদের কাছে সেরা লাইভ মিউজিক্যাল অভিজ্ঞতা আনার ক্ষেত্রে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করছে। আমরা এখন মিলিন্দ গাবার প্রথম মেগা ইন্ডিয়া ট্যুরে তার ভক্তদের বিনোদন দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে উত্তেজিত। মিলিন্দ গাবা, তার প্রাণময় সুর দিয়ে, ভারতের লক্ষ লক্ষ ভক্তের সঙ্গে একসঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি এই প্রজন্মের কণ্ঠস্বর। সিলেক্ট দ্বারা আয়োজিত এই মিউজিক ট্যুরটি অন্যান্য তিনটি শহরের সঙ্গে মুম্বই, কলকাতা, গোয়া, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদের মতো বড় শহরগুলিতে পৌঁছাবে।

জুন ০৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাইকেল এক করে দিল সাইক্লিস্ট ও সঙ্গীতশিল্পীকে

একজন পাহাড়ে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ান, আর আরেকজন স্ট্রিট মিউজিক করেন শহরের রাস্তা থেকে সুন্দরবনের গ্রামে।একজন চন্দন বিশ্বাস, আরেকজন নীলাঞ্জন সাহা। এদের মিল বাইসাইকেল-এ। চন্দন বেড়িয়ে পড়েন নানা পাহাড়ের উঁচু-নিচু রাস্তায়, ঘুরে ফেরেন এমন রাস্তায় যা খুব কম লোকই পাড়ি দিয়েছেন, শুধু ঘুরেই বেড়াননি,বানিয়েছেন ডকুমেন্টারি ছবি চরৈবেতি দেখান হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আর এই ঘুরে বেড়ানোটা সবটাই কলকাতা থেকে সঙ্গী বাইসাইকেল। আরেকজন নীলাঞ্জন সাহা কলকাতার রাজপথে স্ট্রিট মিউজিক নিয়ে কাজ করবেন বলে ভেবে ফেলেন এক অভিনব ভাবনা।মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ, হ্যাঁ এটাই তাঁর ব্র্যান্ড। এখন অনেকেই তাঁকে সেই নামেই চেনেন। পারফর্ম করেছেন কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এর মতো অনুষ্ঠানে। নিজে উদ্যোগী হয়ে করেছেন কলকাতা ইনস্ট্রুমেন্টাল জ্যামিং ফেস্টিভ্যাল। গোলপার্কের মোড়ে বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে স্যান্ডউইচ বিক্রির সাথে গানের উপহার আজ অনেকেই জানেন। অনেকেই আসেন এই স্ট্রিট মিউজিক উপভোগ করতে। এসেছেন তিমির বিশ্বাস, সমীধ-ঊর্ভির মতো পরিচিত শিল্পীরা গলা মিলিয়েছেন গানে। বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে কলকাতা থেকে পাড়ি দেন সুন্দরবনে এক স্থানীয় স্কুলে কচিকাঁচাদের গান শেখাতে।এমনই দুই বাইসাইকেলিস্টদের সম্মান জানানো হল খুকুমণি-সিন্দুর ও আলতার পক্ষ থেকে কলকাতার আইসিসিআর এর স্পাইসেস এন্ড সসেস ক্যাফেতে। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার অরিত্র রায়চৌধুরী। এদিন চন্দন বিশ্বাস বললেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৮ সাইকেল নিয়ে ট্রান্স হিমালয়ান সফর শুরু করি, কলকাতা, বাংলাদেশ, ত্রিপুরা হয়ে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল ঘুরে সেখান থেকে ভুটান পৌঁছই। তারপর সিকিম ঘুরে শিলিগুড়িতে আসি। সেখান থেকে গন্তব্য ছিল নেপাল। ২-৩ মে সাইকেল নিয়ে রওনা দিই নেপালে। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সেই জায়গার ছবি-ভিডিও তোলা আর সেখানকার নানা তথ্য সংগ্রহের অমোঘ নেশা আমার এই সব জার্নির পিছনের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি একটা তথ্যচিত্র বানিয়েছি চরৈবেতি যেটা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে।নীলাঞ্জন সাহা তার জার্নি শেয়ার করে বলেন, গানকে সঙ্গী করে আগামী দিনে পথ চলার ইচ্ছা রয়েছে। মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ করার উদ্দেশ্য ছিল স্ট্রিট মিউজিককে একটা জায়গা করে দেওয়া। স্ট্রিট মিউজিক নিয়ে চর্চা হওয়া।সব কিছুর জন্য একটা অর্থ লাগে তাই স্যান্ডউইচ বিক্রির কনসেপ্টটা মাথায় আসে। কিছুটা হাতখরচ তো আসে।আর সাথে রইল গান। সঙ্গী বাইসাইকেল। এই বাইসাইকেল কেন বলতে দুজনেরই মত দূষণহীন এই যান প্রকৃতির পক্ষে ভালো, সাইকেলিং করলে শরীর ভালো থাকে, ভীড় এড়িয়ে নিজের মতো করে চলা যায়।এদিন খুকুমণি এর পক্ষে সংস্থার কর্ণধার অরিত্র রায়চৌধুরী বলেন, যাঁরা এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন। এই অকুতোভয় যুবকেরা যাঁরা এই প্রজন্মের প্রতিনিধি এই রকম কাজ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তাঁদের আমরা আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কুর্নিশ জানাই। এরকম একটা উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। জীবনে একটু অন্যরকম ভাবেও যে ভাবা যায় আর সেই মাধ্যমের প্রতি ভালোবাসা, নিষ্ঠা দিয়ে যে নিজের পরিচয় গড়ে তোলা যায় এই দুই যুবক তার নজির সৃষ্টি করেছেন। বাইসাইকেলকে সঙ্গী করে ওঁদের এই যাত্রাপথ আরও ভালোভাবে এগিয়ে যাক এটাই আমি চাই।

জুন ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল 'প্রাপ্তি'-র গান, ১০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি

বুদ্ধদেব গুহর গল্প প্রাপ্তি অবলম্বনে আগামী ১০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে অনুরাগ পাতি পরিচালিত ছবি প্রাপ্তি। এই ছবিরই গান মুক্তি পেল। গান মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা ছাড়াও অন্যান্য অভিনেতারা।প্রাপ্তি তে অভিনয় করেছেন সমদর্শী দত্ত, প্রত্যুষা রোসলিন, দেবদূত ঘোষ এবং অনন্যা পাল ভট্টাচার্য। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন প্রত্যুষা। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছে শ্রবণ ভট্টাচার্য। গানের কথা লিখেছেন ঋতম সেন। ছবিতে গানগুলি গেয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ ও অমৃতা সিং।অনুরাগ পাতি-র প্রাপ্তি তে মোট ৩টি গান রয়েছে। একটি গান রাই। রিতম সেনের লেখায় শ্রবণ ভট্টাচার্যের সুরে গানটি গেয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ। গানটির রিপ্রাইস ভার্সনও গেয়েছেন তারা। আরেকটি গান সই। এই গানটি গেয়েছেন ঋতম সেন ও শ্রবণ ভট্টাচার্যের কথায় শ্রবণ ভট্টাচার্যের সুরে গানটি গেয়েছেন শ্রবণ নিজেই। ছবির গানগুলো দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। এখন ছবিটি কতটা দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার।

জুন ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বিশেষ অনুভূতি

গানের মধ্যে কত অনুভূতিই না জুড়ে থাকে। কোনও গানে শৈশবকে তুলে ধরা হয়। কোনও গানে স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। আবার কোনও গানে কাছের মানুষকে আবার ফিরে পাওয়া যায়।কিন্তু এমন একটা গান যেখানে এই সবকিছুর ছোঁয়া পাওয়া যাবে। শৈশবের পুরনো স্মৃতি, আবেগ ও কাছের মানুষটা আবার কাছে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি এই নিয়েই আসছে একটি নতুন গান। গানটির নাম সোনালি দুপুর। শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথায় জয় সরকারের সঙ্গীত পরিচালনায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী ফারজানা সিফাত গানটি গেয়েছেন। সৌমজিৎ আদকের পরিচালনায় গানটির মধ্যে দেখা যাবে ফারজানা সিফাত, শিশু শিল্পী রূপদীপ্তা মুখার্জি এবং লিনা মুখার্জিকে। গানটি নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

মে ১৯, ২০২২
দেশ

শততন্ত্রীবীনা-র তার ছিঁড়ে গেলো, চলে গেলেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা

ইন্দ্রপতন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে। চলে গেলেন ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের মহীরুহ পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। প্রবাদ প্রতীম এই সন্তুর বাদক ভারতীয় প্রচলিত ভারতীয় সিনেমায় সঙ্গীত রচনা করেছেন। তিনি মঙ্গলবার মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন শিবকুমার। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী মনোরমা এবং পুত্র রাহুল শর্মাকে। তিনি গত ছয় মাস ধরে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং ডায়ালাইসিসে ছিলেন। উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সন্তুর বা শততন্ত্রীবীনা একটি লোক সঙ্গীত বাদ্যযন্ত্র বলেই গন্য করা হত। সেই যন্ত্রকে মার্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মূল ধারায় এনে ফেলার কৃতিত্ব সম্পুর্ন কৃতিত্ব শিবকুমার শর্মার। তিনি হরিপ্রসাদের চৌরাশিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউডের বেশ কয়েকটি কালজয়ী সিনেমাতে সুরসৃষ্টি করেছেন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম সিলসিলা, লমহে, চাঁদনী। তাঁর সুযোগ্য পুত্র রাহুল বাবার পিতার যোগ্য উত্তরসূরি। সন্তুরবাদক হিসাবে তিনি আজ সুপ্রতিষ্টিত।তিনি বহু ভারতীয় ও আন্তর্জাতীক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ও পদ্মবিভূষণ পান। এ ছাড়াও আমেরিকার বাল্টিমোরে তাঁকে সম্মাননীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

মে ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল ‘চাঁদ সোহাগি মন’

রঙ টার্ন মোশন পিকচারস প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারে মুক্তি পেল চাঁদ সোহাগি মন গানটি। সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবন অডিটোরিয়ামে মিউজিক্যাল কনসার্ট করে চাঁদ সোহাগি মন গানটি মুক্তি পেল।এই মিউজিক ভিডিওর পরিচালনার পাশাপাশি ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছেন তুহিন সাহা। গানটির গীতিকার ও সুরকার সোমেশ্বর চন্দ্র। সঙ্গীত পরিচালক ইশানু চক্রবর্তী। গানটি গেয়েছেন মনশ্বিতা ঠাকুর। মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন ঋষভ চক্রবর্তী, চিত্রাঙ্গদা সমাজদার, সুমনা মুখোপাধ্যায়, নীলাঞ্জনা দত্ত, ভাস্বর চন্দ্র প্রমুখ।চাঁদ সোহাগি মন প্রসঙ্গে ঋষভ চক্রবর্তী জানালেন, রঙ টার্ন এর প্রথম মিউজিক ভিডিও চাঁদ সোহাগি মন। গানটা অপূর্ব সুন্দর। আমার খুব ভালো লেগেছে কাজটা করে। সকলের কাছ থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। ঋশভ আরও জানালেন, আমার কো-আরটিস্ট ছিল চিত্রাঙ্গদা। ওর সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করলাম। বেশ ভালো লাগলো।এদিন চাঁদ সোহাগি মন মুক্তির পাশাপাশি গানের আয়োজনও ছিল। গানের মধ্যে ছিল পুরাতন ও নতুনের মেলবন্ধন। সুরেলা কন্ঠের জাদুতে সকলের মন জয় করলেন রিষভ।

মে ০৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal