• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata Banerjee

দেশ

গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকত

গতবারের মতো এবারও লোকসভা ভোট হবে সাত দফায়। দেশের ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে এক দিনেই। আর বাকি রাজ্যে একাধিক দফায় ভোট হবে। এরমধ্যে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশে এই তিন রাজ্যে ভোট হবে সাত দফায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই তিন টি বড় রাজ্য এবং অতীতে ভোটে হিংসার কথা মাথায় রেখেই সাত দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ভোট যেমন দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এবং এক এক রাজ্যে নানা দফায় ভোট হবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ই বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে টক্কর চলবে। তবে, যেহেতু লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের মতো আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির সরাসরি লড়াই হবে তাই মোদী সরকারের গ্যারান্টি বনাম কংগ্রেসের ন্যায় গ্যারান্টি কোনটাতে জনতার মজবে সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।এই গ্যারান্টি বনাম গ্যারান্টির রিঙের বাইরে মূল যে বিষয়গুলি নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসছে তার হল , নির্বাচনী বন্ড, কৃষক আন্দোলন, রাম মন্দির নির্মাণ, বেকারত্ব, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। দেশটির নাম ভারতবর্ষ। এই দেশের মাটিতে রাজ্য থেকে রাজ্যে বৈচিত্র্যের চাষ। সে বৈচিত্র, ভাষায়, পরিধানে, সংস্কৃতিতে, খাদ্যাভ্যাসে কোথায় নেই? তাই সব রাজ্যে সব ইস্যু যে ভোট ভিক্ষুকদের মুখে শোনা যাবে তা নয়। রাজ্যে রাজ্যেই সুর বদলাবে ন্যারেটিভ বা ভাষ্য এবং রঙ। একবার দেখে নেওয়া যাক অঞ্চল ভেদে কোন ইস্যু কোথায় ভোট প্রচারে প্রাধান্য পেতে পারে।CAA সংশোধনী আইন, অসম ও বঙ্গে কী ভূমিকা নিতে পারে?বাম ও কংগ্রেস ক্রমশ দূর্বল হওয়ায় বঙ্গে প্রধান বিরোধী আসনে বসেছে বিজেপি। কিন্তু গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল বলছে তৃনমূল কংগ্রেসে রাজ্যপাট দখলের থেকে এখনো দূরে ই রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে CAA চালু করে রাজ্যের মতুয়া সহ ৩৪ শতাংশ নমঃশূদ্র ভোট ঝোলায় পুরে অনেক দূর এগোনো যাবে বলে আশা বিজেপির। এর সঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যুতে মহিলা ভোট ও তৃণমূল অনেকটাই হারাতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু CAA নিয়ে মতুয়াদের বড় অংশের উচ্ছাস উদ্বেগে পরিনত হয়ে এখন ক্ষোভের চেহারা নিয়েছে।এই অবস্থায় তৃনমূলের আশা মতুয়া ভোটে ভাগ বসানো যাবে।রাম মন্দির নির্মাণ ও উত্তর প্রদেশরাম মন্দির নির্মাণ উদযাপন দেখেছে গোটা দেশ। সেই সময় মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যে হিন্দুত্বের বিকাশ ই দেখেছে বিজেপি । এরসঙ্গে তাদের আশা বাড়িয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির - জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দু পক্ষের পালে হাওয়া গেরুয়া শিবিরের আশা আরও বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭১টি আসন পেয়েছিল NDA.আর গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল ৬৪টি আসন। এবার ওই দুই ইস্যুতে আসন বাড়ার বাড়ার আশায় গেরুয়া শিবির।মরাঠা ভূমে জোর টক্করমহারাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরেই রাজনীতিতে ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। প্রধান দুই আঞ্চলিক দল শিব সেনা আর NCPতে গড়ার বদলে ভাঙনের ছাপ অত্যন্ত স্পষ্ট। রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি ও যেন আরব সাগরের তীরে কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে জনতা জনার্দন কোন মরাঠা বীর কে জয়তিলক পরান সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।বিহারে ফল কি পিছনে এগোবে?লোক হাসিয়ে, লোক মাতিয়ে ফের বিজেপি তে ফিরেছেন নিতীশ কুমার। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আনুগত্য ও জানিয়ে এসেছেন।২০১৯ শে এই রাজনৈতিক জুটি ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৯ টি জিতেছিল। এবার সঙ্গে রয়েছে চিরাগ পাশোয়ানের এল জে পি। খাতায় কলমে বিহারে NDA জোটে উচ্চবর্ণ ,অ-যাদব OBC, EBC এবং দলিত ভোট ব্যাঙ্কের কোলাজ। উল্টো দিকে কংগ্রেস, RJD ও বাম জোটের ভরসা মূলত মুসলিম, যাদব, আর EBC ভোট। তবে জাতপাতের রাজনীতি টপকে এই জোটের প্রচারের মূল সুর দেশ জুড়ে বেকারত্বের সমস্যা। জাতপাতের ঘেরাটোপে থেকে বিহারে কি ২০১৯শের নির্বাচনী ফলের পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি জাতপাত সরিয়ে RJD জোটের প্রচার ই গুরুত্ব পাবে। এই প্রশ্ন ঘিরে ই লড়াই বিহারে। দাক্ষিণাত্যে গেরুয়া কি ফিকেই থাকবে? এবারের লোকসভা নির্বাচনে NDA র লক্ষ ৪০০ আসন। এরমধ্যে বিজেপির একার লক্ষ ৩৭০ আসন। বিজেপি জানে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হিন্দি বলয়ের বাইরে আসন বাড়াতে হবে। তাই এবার বিজেপির বিশেষ নজরে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং দাক্ষিণাত্য । দক্ষিণের কেরল, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ , তেলেঙ্গানা এবং পুদুচেরি এই ছয় রাজ্য মিলিয়ে মোট লোকসভার ১২৯ টি আসন রয়েছে । এর মধ্যে ২৯টি আসন বিজেপির। অতএব ৩৭০ আসনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দক্ষিণে বিজেপি কে ভালো ফল করতেই হবে। ফলে দক্ষিণে এবার লোকসভা নির্বাচনে দ্রাবিড় বনাম হিন্দুত্বের রাজনীতির জোর টক্কর।

মার্চ ২০, ২০২৪
রাজ্য

'পিছন থেকে ধাক্কা' মুখ্যমন্ত্রীকে, হইচই দিনভর, পাল্টা ব্যাখ্যা রাজ্যের মন্ত্রীর

পুশ ফ্রম বিহাইন্ড। চিকিৎসার পর আহত মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম ছাড়তেই বিতর্ক বাড়তে থাকে। এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা লাগার কারণে পড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে তাঁকে ধাক্কা মারল? তা নিয়েই প্রশ্ন দানা বাঁধে। রহস্য ঘনীভূত হয়। আজ অবশ্য মনিময়বাবু জানিয়ে দেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। দলের তরফে মন্ত্রী শশী পাঁজাও পিছন থেকে যে কেউ ধাক্কা দেয়নি, আসলে কি ঘটেছে তা জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা(push from behind) লেগে পড়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। গভীর ক্ষত হয়েছে কপালে। ক্ষতস্থান থেকে অনেকটা রক্তও বেরিয়েছে। হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান, মেডিসিন এবং কার্ডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন। ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করানো হয়। ইসিজি, সিটি স্ক্যান-সহ বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালে রাতে তাঁকে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান।মুখ্যমন্ত্রীকে কে পিছন থেকে ঠেললো? তা নিয়েই রহস্য বাড়তে থাকে। তদন্তের দাবি জানানো হয় বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতৃত্বের পক্ষে।পুশ ফ্রম বিহাইন্ড আসলে কী? প্রবল বিতর্কের মধ্যেই তার ব্যাখ্যা দেন এসএসকেএমের ডিরেক্ট মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, পুশ ফ্রম বিহাইন্ড আসলে একটা সেনসেশন। এর মানে নয় যে কেউ তাঁকে ধাক্কা দেয়। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। ডাঃ মণিময়ের দাবি, যদি মাথা ঘুরে কেউ পড়ে যান সেক্ষেত্রে এই রকম পুশ ফ্রম বিহাইন্ড বা পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার অনুভূতি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় হয়তো বলতে চেয়েছিলেন পড়ে যাওয়ার সময় তাঁর পিছন থেকে ধাক্কা অনুভূত হয়।দুপুরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চিকিৎসক শশী পাঁজা দলের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিষয়টা সিনকোপ। অনেক সময় হঠাৎ করে মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। শরীরের মধ্যে আমচকা অস্থিরতা দেখা দেয়। সেই সময় কেউ পড়ে যেতেই পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে তাবড় বিরোধী নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

মার্চ ১৬, ২০২৪
দেশ

কি কি নথি প্রয়োজন সিএএ-এর জন্য? কিভাবে আবেদন? জানুন বিস্তারিত

CAAআর ইংরেজির সিক্সলোকসভা ভোটের মুখে CAA কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা হল। এরপরেই রাজনীতিতে উত্তাপ বেড়েছে। এই আইন কে ইংরেজি ছয়ের মতো দেখাচ্ছে, যা টেবিলে রেখে দেখলে একদিক থেকে মনে হবে ছয়, অন্যদিক থেকে দেখলে মনে হবে নয়। যেমন একপক্ষের বক্তব্য এই আইনের দৌলতে বহু মানুষ নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। অন্য পক্ষের দাবি এই আইনে নাগরিকত্বে টান পড়বে অনেক মানুষের। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই আইনের বলে ২০১৪ সালের ৩১ শেষ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ও পাকিস্তান থেকে যে সমস্ত হিন্দু, শিখ, জৈন, খৃষ্টান ও পার্শী ভারতে এসেছেন এবং নাগরিকত্ব চান তারা শংসাপত্র পাবেন।CAA র জন্য কি নথি লাগবে?বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে এলে সে দেশের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সে দেশে জন্মের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট দেশের পরিচয় পত্র, যে কোনো লাইসেন্স, জমি বা ভাড়াটে সংক্রান্ত রেকর্ড। আবেদনকারীর যিনি ওই দেশের নাগরিক ছিলেন তার প্রামাণ্য নথি। ওই নথিগুলির মধ্যে যে কোনো একটি দিতে হবেএছাড়াও যে নথি লাগবেকবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তার প্রমান দিতে হবে। যেমন ভিসার ফটোকপি।ফরেনার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। ভারতে জনগণনার সময়ে গণনাকারীদের দেওয়া স্লিপ। ভারতীয় আধার কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। রেশন কার্ড, ভারত সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র। আবেদনকারীর নামে ভারতীয় জমি বা ভাড়াটে কাগজ, প্যানকার্ড। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি সংস্থার দেওয়া কোনো নথি। ভারতীয় প্রশাসনে বা সংস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দেওয়া শংসাপত্র। আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টের প্রমান। ভারতীয় বিমা সংস্থার পলিসি। আবেদনকারীর নামে বিদ্যুতের বিল। আবেদনকারীর নামে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নথি যদি থাকে। ভারতে কর্ম সংস্থানের নথি। ভারতীয় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি যদি থাকে। ট্রেড লাইসেন্স। বিয়ের শংসাপত্র।এছাড়াও লাগবে হলফনামাআবেদনকারীর ঠিকানা। যে দেশ থেকে এসেছেন সেখানকার শেষ ঠিকানা। পাশাপাশি জানাতে হবে ধর্ম। এই সবই জানাতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সই ও সিল সহ হলফনামায়।কি ভাবে আবেদনপ্রথমে সরকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারীকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। শেষ পর্যায়ে আবেদনের জন্য ৫০টাকা জমা দিতে হবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট দিনে আবেদনকারীকে জেলা স্তরে যাচাই কমিটির কাছে উপস্থিত হতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে সব অরিজিনাল নথি। সবকিছু ঠিক থাকলে নিষ্ঠা শপথ নিতে হবে এবং লিখিত নিষ্ঠা শপথে সই করতে হবে। এরপরে ওই আবেদন যাবে রাজ্য স্তরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির কাছে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান চুড়ান্ত সিলমোহর দিলে আবেদনকারী পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল শংসাপত্র পাবেন।এই আইনে সঙ্গে কি নাগরিকত্ব হারানোর সম্পর্ক আছে?কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এই আইনে কারো নাগরিকত্ব হারানোর প্রশ্ন নেই। আইন জারি হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে CAA র কারো নাগরিকত্ব যাবে না। মুসলমানদের এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এই আইনের বলে কোনো ভারতীয় নাগরিক কে নিজের নাগরিকত্ব প্রমানে আর নতুন করে কোনো নথি দেখাতে হবে না। কিন্তু CAA চালু হওয়ার পরে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের যৌথ forum য়ে বিবৃতি জারি করেছেন সেখানে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের মতে CAA র নিয়মে একটি ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি নাগরিকত্বের আবেদন যাচাই করবে। স্বাভাবিক নিয়মেই অনেক আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে যাঁরা বহুদিন ধরে এদেশে বসবাস করছেন। তাঁদের রেশন, আধার, ভোটার কার্ড ও রয়েছে। তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা কি নাগরিকত্ব হারাবেন? তাঁদের সব কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? অন্য দেশ থেকে আসা মানুষকে নাগরিকত্ব পেতে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে তা হয়তো দিতে পারলেন না। বা অন্য কারনে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি কি হবে? নাগরিক না অ-নাগরিক। এই জরুরি প্রশ্ন গুলির কিন্তু কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। অথচ CAA র মাধ্যমে কে নাগরিক, আর কে নয়, তার বাছাই পর্ব শুরু হবে।

মার্চ ১৬, ২০২৪
রাজ্য

মারাত্মক জখম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএসকেএমে ভর্তি

কপালে মারাত্মক চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তারক্তি অবস্থা। তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর চোটের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, অভিষেকের গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে মন্ত্রীসহ বহু মানুষ তাঁর সুস্থতা কামনা করে ভিড় জমিয়েছেন।Our chairperson @MamataOfficial sustained a major injury.Please keep her in your prayers 🙏🏻 pic.twitter.com/gqLqWm1HwE All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 14, 2024মুখ্যমন্ত্রীর কপালে চোট কতটা মারাত্মক সেদিকে নজর রেখেছেন তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে। ইন্টারনাল কোনও আঘাত লেগেছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে মুখ্যমন্ত্রীর। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

মার্চ ১৪, ২০২৪
রাজনীতি

দিদির বার্তায় চুপসে গেলেও বাবুনের ফোঁসের মুখে হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী

দিল্লি থেকে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাবুন বন্দোপাধ্যায়। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করছেন তিনি।এদিন সন্ধ্যায় শহরে ফিরে এসেই কলকাতা বিমানবন্দরে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এখনও তাঁর ক্ষোভ এক আনাও কমেনি। তবে দিদির সঙ্গে তিনি সমস্ত কিছু ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন দিদি বকেছে দরকারে পাও ধরে নেব।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীর এক হুঙ্কারেই গুটিয়ে গেলেন ভাই বাবুন, আর প্রার্থী নয়

দিনভর নাটকের পর দিদির হুঙ্কারে পুরো ডিগবাজি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন হাওড়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন, এই খবরে তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। এব্যাপারে দিদির কথা শুনবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এমনকী রটে যায় তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু ত্যাজ্য ভাই করেছেন বাবুনকে, এই হুঁশিয়ারিতে টনক নড়ে যায় বাবুনের। ছোটভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাবুন) সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়িতে মমতা সাফ বলেন, আমি যে দিন থেকে দল করি, কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে কাজ করি। আমার পরিবার বলে কিছু নেই। মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমাদের পরিবারে রক্তের সম্পর্কে ৩২ জন সদস্য। কেউ এ রকম নয়। এতে সবাই ক্ষুব্ধ। আমি সরাসরি বলছি, যারা বেশি বড় হয়ে যায়, তাদের লোভও বেড়ে যায়। ওকে পরিবারের সদস্য বলেই আমি মনে করি না। সব সম্পর্ক ছেদ।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি পরিবারতন্ত্র করি না। যে যেখানে ইচ্ছে ভোটে লড়তে পারে। আমার কিছু যায় আসে না। যাঁর নাম করছেন তাঁর অনেক কাজই আমার পছন্দ নয়, তবে মেনে নিতে হচ্ছিল এতদিন। ও ছোটবেলা ভুলে গিয়েছে। যখন বাবা মারা গিয়েছিলেন তখন ওঁর বয়স মাত্র আড়াই বছর ছিল, দুধ বিক্রি করে মানুষ করেছি। ভোট আসলেই এসব করে। অনেক অশান্তি সহ্য করেছি, আর নয়।টিকিট না মেলায় এবার ক্ষোভের আগুন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েদর পরিবারেই। এদিন সকালে বিদ্রোহী তৃণমূল নেত্রীর ছোট ভাই স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন! কলকাতা ছেড়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তিনি জল্পনা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ের হুঙ্কারও ছেড়েছেন তিনি। তবে অসন্তোষের মধ্যেও দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভগবান বলেই উল্লেখ করেছেন ছোটভাই বাবুন।স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই। স্বপনের নিশানায় হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও হাওড়া থেকে তৃণমূলের বাজি গত দুবার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী এই প্রাক্তন ফুটবলারই। প্রসূনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ মমতার ভাইয়ের।কীসের অভিযোগ? বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ফোনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যে মানুষটা হাওড়ায় প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের এজিএমের সময় আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। আমাকে অপমান করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমার প্রচুর অ্যালার্জি আছে। হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই প্রার্থী ঠিক হয়নি। ওঁর যোগ্যতা নিয়ে আমার সংশয় আছে। আমি মনে করি, যে ক্লাস ফাইভ পাশ করতে পারে না। তাকে গ্র্যাজুয়েশন করানো হচ্ছে। এমপি ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের জন্য ঠিকমত খরচ করতে পারেননি, কোনও কাজ হয়নি। প্রসূনের থেকে অনেক ভাল প্রার্থী ছিল। ওর মতো বাজে লোককে না দেওয়াই উচিত ছিল।ভাই স্বপন কি প্রসূনকে নিয়ে তাঁর ক্ষোভের কথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন? জবাবে স্বপন বলেন, কিছু জিনিস জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রথম থেকে বলা হয়েছে ওঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করলে হাওড়ার মানুষ অন্যভাবে গ্রহন করবেন। অরূপ রায়, রাজীব ব্যানার্জীদের দাঁড় করানো হলে ভাল ফলফল হত।স্বপনের সাফ কথা, দিদি যতদিন বেঁচে আছে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাইনি কখনও, যাবও না। ১৯৮১ সাল থেকে দলের সঙ্গে জড়িয়ে। দিদি যতদিন আছে আমি কোথাও যাব না। তবে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, ফুটবল প্রশাসক কল্যাণ চৌবে, পিটি উষাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির যোগ নয়, ক্রীড়া প্রশাসক হওয়ার কারনেই এই যোগাযোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।এরপরই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি হাওড়ার ভোটার হয়েছি। নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াব। দিদিমনির সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। দিদি আমার কাছে ভগবান। দিদির কথা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। দিদির কাছে আশীর্বাদ চাইব। দিদি হয়তো আমাকে না করবে। কিন্তু আমি দিদিকে বোঝানোর চেষ্টা করব কেন দাঁড়াচ্ছি।দিনভর এই কর্মকাণ্ডের পর মমতার এক হুঙ্কারে ফেসবুক পোস্ট করে নিজের বিপ্লব থেকে সরে আসেন স্বপন ব্যানার্জী তথা বাবুন। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দেন দিদিই শেষ কথ। বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজ্য

ভোটে অস্ত্র CAA

কিছুদিন ধরেই হাওয়ায় ভাসছিল। অবশেষে মাটিতে নেমে এল। Citizenship Bill সংসদে পাশ হওয়ার চার বছর পরে আইনে পরিণত হল। লোকসভা নির্বাচনের দরজায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বার্তা মোদী যা বলেন, তাই করেন। আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার কয়েক মূহুর্ত পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর টুইট, সেই বার্তার ই প্রতিধ্বনি। টুইটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লেখেন,এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেন তা পালন করেন। ২০১৯ য়ের লোকসভা নির্বাচনে কয়েক মাস পরেই সংসদে CAA পাশ হয়। ওই নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে এই আইন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই আইনের লক্ষ্য ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের যে শিখ, বৌদ্ধ,জৈন, খৃষ্টান,পার্শী ও হিন্দু রা অত্যাচারিত হয়েছেন বা হচ্ছেন তাদের জন্য একমাত্র স্বাভাবিক আশ্রয়স্থল ভারত এই বার্তা দেওয়া। CAA র ফলে তাঁরা চাইলে ভারতে সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। আশ্রয় যারা পাবেন সেই তালিকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উল্লেখ না থাকায় সংসদে CAA Bill পাশ হওয়ার পরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। সংসদে বিল পাশ হলেও আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা থেকে সরকার বিরত থাকে।দীর্ঘ সময় ধরে সরকার আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি না করায় বিরোধীরা সমালোচনার অস্ত্র পেয়ে যায়। বিরোধীরা বলতে থাকে বিজেপি নির্বাচন এলেই ভোটার দের মেরুকরণের জন্য CAA র গাজর ঝোলাতে থাকে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই আইন চালু করে বিজেপি বিরোধীদের অস্ত্র ভোঁতা করে দিল। এই আইন চালু করে বিজেপি মনে করছে পশ্চিম বঙ্গে তাদের আসন বাড়বে। এবার নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৩৭০-র ও বেশি আসন পাওয়া। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিজেপি কে হিন্দি বলয়ের বাইরের রাজ্যে আসন বাড়াতে হবে। উত্তর প্রদেশের পরে যে তিনটি রাজ্যে লোকসভার আসন বেশি রয়েছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র (৪৮ টি আসন), পশ্চিমবঙ্গ (৪২ টি আসন) এবং বিহার (৪০টি আসন)। তাই পশ্চিমবঙ্গে আসন বাড়ানো এবার বিজেপির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলায় দেশভাগের কারণে ওপার থেকে চলে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের বাস। এই সম্প্রদায়ের ভোট যে দিকে যাবে সেই দলের ঝোলায় অন্তত ২১টি বিধান সভা ও তিনটি লোকসভা আসন চলে যাওয়া নিশ্চিত। মতুয়া ছাড়াও দেশ ভাগের কারণে ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের নানা ধোঁয়াশা ও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে ও উদ্বেগ বেড়েছে। CAA লাগু হওয়ায় এই অংশের ভোটারদের ও সমর্থন পেতে পারে বিজেপি। ২০১৯য-র লোকসভা নির্বাচনে CAAর আশায় মতুয়া সম্প্রদায় ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। তবে CAA চালু না হওয়ায় গত বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট কম পাওয়ায় বিজেপির ফল খারাপ হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায় এবং দেশভাগের কারণে আসা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট CAA র কারণে বিজেপি পেলেও উত্তর বঙ্গে রাজবংশী ভোট বিজেপির চিন্তা বাড়াতে পারে। কারণ রাজবংশী রা চায় NRC। তাদের ধারণা উত্তর বঙ্গে বাইরে থেকে আসা ঊচ্চবর্ণের মানুষ তাদের জায়গা, জমি, কাজ, ব্যবসা সব দখল করে বসে আছে।রাজবংশী দের চোখে এরা সবাই বিদেশি। তাই রাজবংশী দের দাবি বিদেশি তাড়াতে NRC চালু করতে হবে। উত্তর বঙ্গে NRC চালুর আশায় ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশী রা হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। উত্তর বঙ্গের সমতলে জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ রাজবংশী। মূলত এদের ভোটেই উত্তর বঙ্গের সাতটি লোকসভা আসনে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু NRC নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ না করায় গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজবংশীদের বড় অংশ বিজেপি কে ভোট দেয়নি। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর বঙ্গের বিজেপির ফল ভালো হয়নি। এছাড়াও বিজেপির পথে কাঁটা হতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত। CAA র বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২০ সালে Indian Union Muslim League প্রথম মামলা করে। এর পরে ২০০ টির বেশী মামলার আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলাকারি দের মধ্যে রয়েছেন আসাদ উদ্দিন ওএইসি, জয়রাম রমেশ, এবং মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও রয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, অসম গণপরিষদ, National Peoples party ( Assam) এবং দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগম। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি U U Lalit য়ের বেঞ্চ জানায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলার শুনানি শুরু হবে। কিন্তু তারপর থেকে এখনো শুনানি শুরু হয় নি। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মামলা গুলি বর্তমানে বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তালিকাভুক্ত রয়েছে। মামলাকারিদের আবেদনে বলা হয়েছে CAA সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে ভঙ্গ করছে। সংবিধানের ওই ধারায় বলা হয়েছে The state shall not deny to any person equality before the law or the equal protection of the laws within the territory of India মামলাকারিদের আবেদন CAA তে ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সংবিধানের এই বক্তব্য কে অস্বীকার করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালত যদি মামলাকারিদের আবেদনের পক্ষে রায় দেয় তাহলে সমস্যায় পড়বে বিজেপি।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজ্য

সিএএ নিয়ে মোদীর ঘোষণার আগেই তীব্র আক্রমণ মমতার

সিএএ নিয়ে তৎপরতার মধ্যেই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের মুখে কেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকরের চেষ্টা চালাল? কেন আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল, এবার স্পষ্ট হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও বৈষম্য মানব না। এই জন্যই কি তাহলে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল? যাঁরা এতদিন এই রাজ্যে আছেন, লেখাপড়া করছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়ার চেষ্টা কেন হচ্ছে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ছলনা। আমি গোটা আইনটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এদেশের নাগরিক। তাঁদের প্রত্যেকের সামাজিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সম্পত্তিগত অধিকার আছে।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি দেখার পর নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরাজ্যের নাগরিকদের আমি কিছুতেই নাগরিকত্ব হারাতে দেব না। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোনও অশান্তি হোক, সেটা আমি চাই না। রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা হতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন যে, সিএএ নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যদিও অসমের পরিস্থিতি এবং সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ দেখে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, কী এই সিএএ? সংক্ষিপ্তসার হল, ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটা। আপাতত ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান নাগরিকদের এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর আগে যখন সিএএ আইন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তখনই প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তাঁর নেতৃত্বাধীন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল, ক্যা ক্যা, ছি ছি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত প্রতিবাদের মধ্যেই সোমবার সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে সিএএ লাগু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মার্চ ১১, ২০২৪
রাজনীতি

৪২ লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের, চমকের পর চমক

বিজেপি ইতিমধ্যে রাজ্যের ২০টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ৪২টি আসনেই তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল। শাসকদলের প্রার্থী তালিকায় চমকের পর চমক।এক নজরে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাকোচবিহার-জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়াআলিপুরদুয়ার- প্রকাশচিক বরাইক।জলপাইগুড়ি- নির্মলচন্দ্র রায়। (ধূপগুড়ির বর্তমান বিধায়ক)দার্জিলিং-গোপাল লামা।রায়গঞ্জ- কৃষ্ণ কল্যাণী।বালুরঘাট-বিপ্লব মিত্র। (রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী)মালদহ উত্তর- প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন ব্যানার্জি। (সদ্য স্বেচ্ছাবসর নেওয়া রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তা)মালদহ দক্ষিণ- শাহনওয়াজ আলি রেহান।জঙ্গিপুর-খলিলুর রহমান।বহরমপুর- ইউসুফ পাঠান। (ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার)মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান।কৃষ্ণনগর-মহুয়া মৈত্র।রানাঘাট-মুকুটমণি অধিকারী।বনগাঁ-বিশ্বজিৎ দাস।ব্যারাকপুর-পার্থ ভৌমিক।দমদম- সৌগত রায়।বারাসত- কাকলি ঘোষদস্তিদার।বসিরহাট- হাজি নুরুল ইসলাম।জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল।মথুরাপুর- বাপি হালদার।ডায়মন্ড হারবার- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।যাদবপুর- সায়নী ঘোষ।কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়।কলকাতা উত্তর- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।হাওড়া- প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।উলুবেড়িয়া-সাজদা আহমেদ।শ্রীরামপুর- কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।হুগলি- রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। (অভিনেত্রী)আরামবাগ- মিতালী বাগ।তমলুক- দেবাংশু ভট্টাচার্য।কাঁথি- উত্তম বারিক।ঘাটাল- দীপক অধিকারী।ঝাড়গ্রাম- কালীপদ সোরেন।মেদিনীপুর- জুন মালিয়া।পুরুলিয়া- শান্তিরাম মাহাত।বাঁকুড়া-অরূপ চক্রবর্তী।বর্ধমান পূর্ব- শর্মিলা সরকার।বর্ধমান-দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ।আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা।বোলপুর- অসিত মাল।বীরভূম- শতাব্দী রায়।বিষ্ণুপুর- সুজাতা মণ্ডল।এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় রাজ্যর দুই মন্ত্রী, একজন রাজ্যসভার সাংসদ ও ১১ জন বিধায়ক রয়েছেন।

মার্চ ১০, ২০২৪
রাজনীতি

'মুখোশ খুলে পড়েছে, এবার জনগণ জবাব দেবে', প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র নিশানা মমতার

বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবির যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই যোগ নিয়ে ধর্মতলা থেকে নাম না করে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, মুখোশ খুলে পড়ায় তিনি খুশি।বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা সরকার ও তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শাসক শিবিরকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দাগেন। এর ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপি বাবু বিজেপি পার্টির কথা ঘোষণা করছেন। এদের দিকে তাকিয়ে মানুষ বিচার পাবে? আমি বিচারপতি নিয়ে বলতে পারি না, আমি বিচার নিয়ে বলতে পারি। আমিও প্র্যাক্টিস করেছি এক সময়। আইনে কী বেঠিক কী সঠিক আমরাও জানি।নিজের খুশির কথা বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেছেন, আমাকে বলছে তোমাদের যা সব রায় বেরোচ্ছে, এ দেখে তো রয়াল বেঙ্গল টাইগাররাও পালিয়ে যাবে ভয়ে। আমি বললাম কেউ কেউ আছেন কী আর করবেন? এরা কেউকেটা। তবে আমি খুশি এদের মুখোশটা বেরিয়ে গিয়েছে। মুখোশ খুলে পড়েছে। মুখ এবং মুখোশ।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এতদিন রায় দিতেন বিচারপতি। তাতে হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আগামিতে বিজেপি নেতা অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে জনগণ রায় দেবেন। মমতার কথায়, আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম হাজার হাজার চাকরি গিয়ে বড় নেতা হয়ে গিয়েছিলেন। অভিষেককে তো রোজ নাম করে গালাগালি দিত। অনেক কিছু দেখেছি আমি। আজ কোথায় গেলেন আপনি? কাল থেকে আপনার রায় জনগন দেবেন। আপনি হাজার হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি খেয়েছেন। আপনার রায় জনগণ দেবেন।গুঞ্জন যে লোকসভা ভোটে তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। প্রাক্তন বিচারপতিকে নিশানা করে বললেন, তৈরি থাকুন। আপনি যেখানে দাঁড়াবেন আমি স্টুডেন্টদেরই নিয়ে যাব। স্টুডেন্টরাই লড়াই করবে। যাদের চাকরি আপনারা খেয়েছেন। স্বভাবিকভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে দাঁড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করে তা নিয়ে কৌতুহল থাকবে রাজনৈতিক মহলের।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এদিন চাকরি দুর্নীতিতে সংশোধনের কথা শোনা গিয়েছে। বলেছেন, চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, চাকরি কেড়ে নেন। বলতে পারতেন এর বদলে ওকে দিন। বলতে পারতেন এই প্যানেলটা বাতিল করে আরেকবার ডাকুন। আমার আপত্তি নেই। ভুল থাকে সংশোধন করে নিন। কোনও সুযোগ না দিয়ে ওয়ান সাইডেড গেম। এখনও ৫ লক্ষ চাকরি আমার তৈরি আছে। হিংসুটে বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেস। এমন কর্কটে বাপ রে! কেউটে, গোখরোর থেকে ভয়ঙ্কর। চাকরি দিলেই পিল (জনস্বার্থ মামলা) করবে।উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশে বিড়ম্বনায় পড়েছে মমতা সরকার। তদন্তের মুখোমুখি অভিষেকও। তারপর একাধিকবার শাসক দলের নেতাদের তোপবাণে পড়তে হয়েছে তাঁকে। পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় অভিজিৎবাবু দাবি করেছিলেন যে, তৃণমূল নেতৃত্বের ভয়ঙ্কর সমালোচনার সামনে না পড়লে তিনি কোনওদিন রাজনীতিতে যোগদানের কথা ভাবতেন না।

মার্চ ০৭, ২০২৪
দেশ

রাজভবনে বৈঠক শুক্রবার, শনিবার জনসভায় মমতার সুরে সুর বাঁধলেন মোদী

আরামবাগের জনসভা থেকে রাজভবনে ফেরার ১০ মিনিট পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১ ঘন্টার ওপর বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর আজ, কৃষ্ণনগরের জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সভাতে মোদী ৪২-এ-৪২ আসনের আবেদন জানিয়েছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন থেকে ৪২-এ-৪২ আসনের কথা বলে আসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার পথেই হাঁটলেন মোদী।মহাপ্রভু শ্রীচৈতণ্যের ভূমি কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে শনিবার প্রথমেই মোদীর মুখে শোনা যায় হরে কৃষ্ণ, জয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বাংলায় ভাষণ শুরু করেই ধীরে ধীরে ঝাঁঝ বাড়াতে থাকেন মোদী। একদিকে, রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি সামনের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিপক্ষদের কুপোকাত করতে বড় টার্গেট বেঁধে দিলেন দলকেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভা-সমাবেশে ঠিক যে কায়দায় কর্মী-সমর্থকদের চার্জ করেন, ঠিক তেমন কায়দাতেই নমোরও ঝোড়ো ব্যাটিং কৃষ্ণনগরের ময়দানে।পশ্চিমবঙ্গে মা, মাটি, মানুষের স্লোগান দিয়ে মা-বোনেদের ভোট নিয়ে ওদের বিভ্রান্ত করেছে তৃণমূল। এখন মা, মাটি, মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে। কেন্দ্রের প্রকল্পে নিজেদের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। সব প্রকল্পকে তৃণমূল দুর্নীতিতে বদলে দেয়। গরিবের রেশন লুঠ করেছে। তৃণমূল বাংলাকে বদনাম করেছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প কারা পাবে তা এখানে ঠিক করে তৃণমূলের তোলাবাজরা।এর আগে একাধিক সমাবেশে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে লোকসভার সব আসনেই তাঁর দলকে জয়ী করার আবেদন। অর্থাৎ বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনেই জয়ের লক্ষ্য ছিল মমতার। এবার একই লক্ষ্যে স্থির মমতা। রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা BJP-র শীর্ষ সেনাপতি অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে লোকসভায় জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন।কমপক্ষে ৩৫টি আসনে যাতে দলের প্রার্থীরা জয় পান, সেব্যাপারে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। তবে মোদী এবার অমিত শাহের সেই টার্গেটকেও ছাপিয়ে গিয়ে আরও বড় লক্ষ্য স্থির করে দিলেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডকে।মোদীর স্লোগান, এবার NDA সরকার ৪০০ পার! বাংলায় ৪২টির ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। আমার একটি কথা নিয়ে আপনারা বাড়ি বাড়ি যাবেন। বলবেন মোদী এসেছিলেন, আপনাদের প্রত্যেককে প্রণাম জানিয়ে গিয়েছেন।

মার্চ ০২, ২০২৪
রাজনীতি

খালিস্থানির পর এবার পাকিস্তানি? কি আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

বাংলা ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে উঠলো খালিস্থানি বিতর্ক। বুধবারই এ বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার বাংলা ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করলেন বিজেপিকে।দেশপ্রিয় পার্কে রাজ্য সরকারের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী খালিস্তানি ইস্যুটি তুলে ধরেন। বলেন, একটা পাঞ্জাবি অফিসার কী অপরাধ করেছিল? সে ডিউটি করছিল। সে পাগড়ি পরেছিল বলে তাকে খালিস্তানি বলে দেবেন? কত মুসলিম অফিসার আছে, এবার তো মুসলিম অফিসারকে দেখে পাকিস্তানি বলে দেবেন।নানা সময় তাঁর নানা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। জোটে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপও। তখন অতটা কঠোর না হলেও খালিস্তানি বিতর্কে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমাকে তো কতবার কত কিছু বলে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। আমি নিজেরগুলোকে নিয়ে অতটা মাথা ঘামাই না। তবে দুএকজন হঠাৎ করে গজিয়ে উঠেছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে। এই জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না। বাংলার মাথানত হতে দেব না। বাংলার অধিকার কীভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা জানি।মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয়। ধামাখালিতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানেই পুলিশের ব্যারিকেডের মাঝে শিখ পুলিশ আধিকারিক জসপ্রীত সিংকে খালিস্তানি বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরকম বলার জন্য ওই পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের সামনেই প্রতিবাদে সরব হন।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
রাজ্য

ভোটের আগে ছোট পর্দায় ‘দিদি’র দিদিগিরি! মমতার বড় জনসংযোগ

ছোট পর্দায় অত্যন্ত জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১। এই শোয়ের সঞ্চালক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিদি নম্বর ১ মাতালেন বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে শ্যুটিং সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপ্লুত সকলে। শোয়ের সঙ্গে যুক্তদের মত, এতদিনে যেন দিদি নম্বর ১ নামটা সার্থক হল। শ্যুটিং শেষে মুখে হাসি নিয়েই বেরতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।দিন কয়েক আগে জানাজানি হয় যে, দিদি নম্বর ১-এ দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই এপিসোডে মমতা ছাড়াও থাকবেন সৌরভ ঘরণী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। সেই মত প্রস্তুতি সারা ছিল। এদিন নির্ধারিত সময় দুপুর বারোটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দিদি নাম্বার ওয়ানএর সেটে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রায় আড়াই ঘণ্টা টানা চলে শ্যুটিংপর্ব। দুপুর তিনটে নাগাদ বেরিয়ে যান দিদি।কেমন হল দিদিগিরি? স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলে যান, সব ভাল হয়েছে।উচ্ছ্বসিত দিদি নম্বর ১-এর হোস্ট জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপ্লুত রচনা বললেন, দারুন ভাল লাগছে। এতদিনে এই শোয়ের নামটা যেন সার্থক হল।জানা গিয়েছে, শোয়ের হোস্ট তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সেখানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। রাজি হয়ে যান তিনি। এদিন কেবল হাজিরই হননি মুখ্যমন্ত্রী, রীতিমত ওই রিয়েলিটি শোয়ের বেশিরভাগ খেলাতেই তিনি অংশ নিয়েছেন বলে খবর।সূত্রের খবর, এই শোয়ে রুটি বেলা সংক্রান্ত একটি প্রতিযোগিতা ছিল। তাতে অংশ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলে রচনা তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন একটি রুটি বেলতে। মমতা উল্টে হোস্ট রচনাকেই বলেছেন রুটি বেলে দেখাতে। সেই অনুরোধ ফেলেননি রচনা। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীও রুটি বেলে দেখিয়ে দিয়েছেন।দিদি নম্বর ১ খুবই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো। এখানে বিভিন্নস্তরের মহিলা এসে তাঁদের জীবন যুদ্ধের গল্প তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জীবনযুদ্ধও নজরকাড়া। অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার। লোকসভা ভোটের আগে সেই শোয়েই দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে। যা ভোটের আগে মমতার অভিনব কায়দায় জনসংযোগ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
রাজ্য

পাগরিধারী আইপিএসকে 'খালিস্থানি' কটাক্ষ, বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরালেন মমতা

ফের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এদিনও প্রথমে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। তখন পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান শুভেন্দুরা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, এর মাঝেই কর্তব্যরত এক পাগড়িধারী আইপিএস পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। যার প্রতিবাদে মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী। একটি ভিডিও পোস্ট করে গর্জে ওঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ধামাখালিতে আটকায় পুলিশ। কেন এই পদক্ষেপ? তা জানতে চেয়ে পুলিশের সঙ্গে চরম বচসায় জড়ায় শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের সঙ্গে বিরোধে জড়ান। এসবের মাঝেই পুলিশের ব্যারিকেডের মাঝে মাথায় পাগড়ি পরিহিত এক পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরকম বলার জন্য জসপ্রিত সিং নামে ওই পুলিশ আধিকারিককে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।মুখ্যমন্ত্রীর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্তা জসপ্রিত সিং বারবার তাঁকে খালিস্তানি বলার জন্য প্রতিবাদ করছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমার মাথায় পাগড়ি আছে বলে আমায় খালিস্তানি বলছেন? আমাকে খালিস্তানি কেন বলছেন? আমি কি খালিস্তানি? এই মনোভাব আপনাদের? এমনকী, এ জন্য তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। তবে তাঁকে নির্দিষ্ট করে কে খালিস্তানি বলেছে,তা স্পষ্ট করা হয়নি।এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আজ, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমানা অতিক্রম করেছে। বিজেপির কাছে পাগড়ি পরা প্রত্যেক ব্যক্তিই খালিস্তানি? আমি আমাদের শিখ ভাই ও বোনদের খ্যাতি ক্ষুন্ন করার এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই, আমাদের জাতির প্রতি তাঁদের ত্যাগ এবং অটল সংকল্পের জন্য সম্মানিত। আমরা বাংলার সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ়ভাবে রয়েছি এবং এটিকে ব্যাহত করার যে কোন প্রচেষ্টা প্রতিরোধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, পাকিস্তান, খালিস্তান এসব আমাদের বলার প্রয়োজন হয় না। আমি বা আমার সাথীদের দ্বারা কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করি না। ওই অফিসার নম্বর বাড়াতে মমতাকে সঙ্গে নিয়ে এসব করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিম্নমানের রাজনীতি করেন। ওই অফিসারও নম্বর বাড়াতে অসত্য ঘটনা পরিবেশন করছেন।বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, বিরোধী দলনেতা একজন পুলিশ আধিকারিকদের দেখে তাঁর ধর্ম তুলে কটাক্ষ করছেন। এটা বরদাস্ত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
রাজ্য

আধার বাতিল বিতর্ক, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আধার কার্ড নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক জোরদার। তার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই চিঠিতে সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা। তুলে ধরা হয়েছে মানুষের বিড়ম্বনার বিষয়টিও।মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি আধার কার্ডের বেপরোয়া বাতিলের তীব্র নিন্দা করছি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের তপশিলি জাতি ও উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও পূর্ব তদন্ত বা পরামর্শ ছাড়াই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত। লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্ধারিত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি থেকে যোগ্য সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত রাখতেই এই অশুভ চক্রান্ত। আমরা সবাই ভারতের নাগরিক। প্রতিটি বাসিন্দা রাজ্য সরকারের উন্নয়মূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে পারেন, তাদের আধার কার্ড থাকুক বা না থাকুক।হঠাৎ আধার বাতিলে মতুয়ারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলে দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর দাবি, মতুয়াদের সবচেয়ে বেশি আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তফশিলি এবং সংখ্যালঘুদের ওপরও অত্যাচার হচ্ছে। মমতার অভিযোগ, অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির ভাবনা নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তিনি বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গে ডিটেইনশন ক্যাম্প হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন মমতা।আধার বাতিলের সমস্যা নিয়ে তফশিলি ফেডারেশন তাঁকে চিঠিও লিখেছে। মতুয়া থেকে শুরু করে অনেকক্ষেত্রে রাজ্যকে না জানিয়ে ডিএম-কে না জানিয়ে আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গুণ্ডামি করে এনআরসি করার পরিকল্পনা করেই আধার কার্ড বাতিল করছে বলে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একটি দল পাঠানোর ভাবনাও রয়েছে জোড়া-ফুলের।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালির শাহজাহানকে ক্লিনচিট মমতার, আরএসএসকে দিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

সন্দেশখালিতে উত্তেজনা অব্যাহত। স্থানীয় মহিলাদের মারাত্মক অভিযোগে পারদ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি নিয়ে বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে নিয়েও কথা বললেন। কেন সন্দেশখালিতে এত ঝামেলা তা স্পষ্ট করলেন মমতা।বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওখানে আরএসএস-এর একটা বাসা আছে। ৭-৮ বছর আগেও ঝামেলা হয়েছিল ওখানে। কতগুলি ঝামেলার জায়গার মধ্যে ওটাও একটি। সেখানে মুখে মাস্ক পরে গোলমাল করা হচ্ছে। বহিরাগতরাই সন্দেশখালিতে এত গোলমাল পাকাচ্ছে। সন্দেশখালিতে এমন ঘটনা প্রথম না বলেই এদিন দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আগের গন্ডগোলের সময়ে সরকার কড়া পদক্ষেপ করেছিল, তাই পরিস্থিতি খারাপ হয়নি। কিন্তু বিজেপির অনেক পরিকল্পনা ছিল বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ সন্দেশখালির ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোপুরি বিজেপি-কে দায়ী করেন।সন্দেশখালিতে হামলার নেপথ্যে অভিযুক্ত সেখানকার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কিন্তু তা মানতে নারাজ মমতা। বললেন, সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে টার্গেট করে ইডি ঢুকেছিল। সেই নিয়ে গোলমাল করে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের মধ্যে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ১৭ জন-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি জীবনে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। কোনও সমস্যা থাকলে তার সমাধান হবে।রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সেখানে গিয়েছিল ইডি। তবে তাঁর বাড়িতে ঢুকতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উল্টে অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। সেই ঘটনার পর থেকেই ফেরার শাহজাহান। তাঁর দুই অনুগামী শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধেও স্থানীয়দের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উত্তম বর্তমানে জামিনে মুক্ত, কিন্তু বাকিদের কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রায় দেড় মাস ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অত্য়াচারের অভিযোগে সরব গ্রামবাসীরা। বিশেষত সেখানে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রথম সারিতে মহিলারা। তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ যথেষ্ট স্পর্শকাতর। মমতার দাবি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করছে রাজ্য প্রশাসন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেমন সক্রিয় পুলিশ প্রশাসন, তেমনই রাজ্য মহিলা কমিশনও সেখানে গিয়ে মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। তা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
রাজ্য

লোকসভা নির্বাচনের আগে কল্পতরু বাজেট মমতার, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি দ্বিগুণ

রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য মন্ত্রীরা। শুরুতেই বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করল রাজ্য। বাড়ানো হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দ। এতদিন দেওয়া হত ৫০০ টাকা করে। এখন হবে ১০০০ টাকা করে দেওয়া বলে ঘোষণা করেন অর্থ মন্ত্রী। নতুন ঘোষণায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াল আরও ৪ শতাংশ। বছরে ৫০ দিনের কাজ নিশ্চিতে নয়া উদ্যো মমতা সরকারের কর্মশ্রী প্রকল্প। যা আগামী মে মাস থেকে চালু হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের বিকল্প কর্মশ্রী।চন্দ্রিমার বাজেট পেশের মাঝেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও বিরোধীরা না থামলে উঠে বলতে শুরু করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, এটা বিজেপির পার্টি অফিস না। এটা বিধানসভা।কর্মশ্রী নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে বেকারদের জন্য। বাজেটে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগে ব্যয় বরাদ্দ ২.২৭০.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ। সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৫.৫৩৯.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, বাজেটে ঘাটতি সাত কোটি টাকা। রাজস্ব ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে।বাজেটে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া বাবদ ৩৭০০ কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। জব কার্ড আছে এমন শ্রমিকরা পাবেন এই টাকা। আবাস যোজনার টাকার জন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করব। তার পরও কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে বাজেট ঘোষণায় বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মিড ডে মিল রাঁধুনিদের মাইনে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা করা হল।সিভিক, গ্রীন পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি হয়েছে। গ্রিন পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভাতা আরও হাজার টাকা করে বাড়ল। অবসরকালীন সময়ে ২ লক্ষ টাকা সুবিধা পেতেন। সেটা বেড়ে ৫ লক্ষ টাকা হল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৩.৬৬.১১৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজনীতি

শুধুই কি মতান্তর না কৌশল? ফের দলীয় বৈঠকে অভিষেক

ফের কবে দলীয় কর্মসূচিতে আগের মতই সক্রিয় হতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? যখন তৃণমূলের অন্দরেই এই প্রশ্ন জোড়াল হতে শুরু করেছে, তখনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অফিস থেকেই জরুরি বার্তা গেল জোড়া-ফুলের সব সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের কাছে!অভিষেকের অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টের সময়ে দলের সব সাংসদ, বিধায়ক ও তৃণমূল ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেনাপতি। তবে, যেহেতু এক সঙ্গে প্রায় চারশ জনকে নিয়ে বৈঠক করার মতো জায়গা নেই। তাই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হবে ওই বৈঠক।বয়সসীমা ও দলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে মমতা-অভিষেক মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি আপাতত ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে তাঁর কার্যকলাপ সীমিত রাখতে আগ্রহী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন তা পালন করবেন। অথচ কদিন আগে দেখা যায় বীরভূম নিয়ে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বিরোধী ধর্নামঞ্চেও তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে কোথায় অভিষেক? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।এরপরই জানা যায়, সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে অভিষেক দিল্লি গিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর বাতিল করতেই দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলায় তড়িঘড়ি রাজধানী থেকে কলকাতায় ফিরেই কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে গিয়েছেন সেনাপতি। সূত্রের খবর, সেখানে মমতা-অভিষেকের প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয়। এরপরই দলীয় কর্মসূচিতে ফের সক্রিয় হওয়ার বার্তা মিলেছে অভিষেকের অফিস থেকে। তাহলে কী মঙ্গলে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পরই বরফ গলল? লোকসভার আগে কৌতূহলের বিষয় সেটাই।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকল ২০০ কিমি বেগে গাড়ি! মাথায় আঘাত মমতার

বুধবার বর্ধমানের সভা সেরে সড়কপথে কলকাতায় আসার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সহ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত করেছেন। দাবি করেন, যে ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে তাঁর মৃত্যুও হতে পারত! মমতা জানান, একটি গাড়ি ২০০ কিলোমিটার বেগে তাঁর কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল। যে কারণে তাঁর গাড়ির চালক জোরে ব্রেক কষেন। তাতেই তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।আঘাতের কারণে বর্তমানে তাঁর শীতকরছে, মাথাও ব্যথা করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী। জ্বর আসতে পারে বলে আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কীভাবে আঘাত পেলেন তিনি? কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, জানি না ঠিক কী হল। আমরা একটা গলি দিয়ে বেরচ্ছি। সামনে একটা গাড়ি প্রায় ২০০ স্পিডে যাচ্ছে। পুরো মরেই যেতাম। যে ড্রাইভার ছিল, ও সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। তখন ড্যাশবোর্ডটা আমার মাথায় এসে লাগে। রক্তও বেরিয়েছিল। তাই নিয়ে কাজ করে গেলাম।দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর গাড়ির কাচটা খোলা ছিল তাঁর। জনসংযোগের জন্যই ওই কাচ খোলা রেখেছিলেন তিনি। বলেন, যদি কাচটা বন্ধ থাকত তাহলে কাচ-ড্যাশবোর্ড সব শুদ্ধ আমার সারা শরীরের ওপর পড়ত। মানুষের আশীর্বাদে বেঁচেছি।শেষে তিনি বলে যান, আমার মাথা টনটন করছে। গা বমি বমি করছে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।ওই গাড়িতে কে ছিলেন? তা জানেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ সবটা দেখছে।বুধবার কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বর্ধমানে গিয়ে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আর কপ্টারে নয়, গাড়িতে চেপে কলকতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সড়ক পথে ফেরার পথেই চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি জিটি রোডে ওঠার সময়ে চালক আচমকা জোরে ব্রেক কষেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কপাল গাড়ির উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে অন্য একটি গাড়ি ঢুকে পড়াতেই এই বিপত্তি বলে সেই সময়ই জানা গিয়েছিল।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
রাজ্য

অধীরেই আটকে তৃণমূল? মুর্শিদাবাদ নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ মমতার

পশ্মিম মেদিনীপুরের পর মুর্শিদাবাদ। শুক্রবার কালীঘাটে এই জেলার সাংসদ, বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বৈঠক কার্যত হয়ে উঠল অধীরময়! যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম একবারও উচ্চারণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবাবের জেলা নিয়ে বৈঠকে অধীর চৌধুরীর নাম উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। এদিনের বৈঠকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে অধীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন একদা তাঁরই শিষ্য হুমায়ুন কবীর। যদিও হুমায়ুন এখন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রের খবর, বৈঠকে হুমায়ুন মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দিদি বহরমপুরে অধীর চৌধুরী কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ।সূত্রের খবর, দলের বিধায়কের মুখে তা শুনেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, মাথা থেকে এসব বের করে দাও। একসঙ্গে লড়াই করতে পারলে কিছুই চ্যালেঞ্জ নয়।২০১৯-এর ভোটে মুর্শিদাবাদ জোড়-ফুলের দখলে এলেও বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারাতে পারেনি তৃণমূল। বহরমপুরে ১৯৯৯ সাল থেকে পরপর পাঁচবারের সাংসদ অধীর। এবারও বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারানো চ্যালেঞ্জ মমতার দলের। ফলে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম মুখে না নিলেও দিদির মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।নানা কার্যকলাপের জন্য হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এদিন এই বিধায়ককে বেশি কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন দলের দুই সাংসদ আবু তাহের খান আর খলিলুর রহমানের কাজের প্রশংসা করেছেন মমতা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়া নিয়ে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 15
  • 16
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal