• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Maldah

রাজ্য

Maldah Murder: খুনের আগে অপহরণের নাটক, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার আসিফের দুই বন্ধু

মা, বাবা, বোন, দিদাকে খুনের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে নেমে মালদা হত্যাকাণ্ডে (Maldah murder case) অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের গতিবিধিই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কেন এত বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র বছর উনিশের আসিফের, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নজরে আসিফের দাদা আরিফও। সূত্রের খবর, তাঁর বয়ানেও মিলেছে অসঙ্গতি।স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলের গণ্ডি না পেরনো আসিফের টাকার প্রতি অসীম লোভ ছিল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার বেশ কয়েকবছর আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আসিফ। সেই সময় বাবার সঙ্গে অপহরণের নাটক করে সে। বাবার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে বাড়ি ফেরে আসিফ। অপহরণের নাটকে তাকে সঙ্গত দেয় বন্ধুবান্ধবরা। এদিন অস্ত্র-সহ সাবির আলি এবং মাফুজ আলম আসিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫টি সেভেন এম এম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। এই কার্যকলাপে সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ আছে কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসিফের বাড়ি থেকে শনিবারই কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন মাত্র উনিশ বছর বয়সি ছেলের এত টাকার প্রয়োজন ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।চলতি বছরের গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাবা, মা, বোন ও দিদাকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে আসিফ। সুড়ঙ্গপথে গুদামঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানেই চৌবাচ্চায় ফেলে দেওয়া হয় প্রত্যেককে। চাপা দিয়ে দেওয়া হয় বালি, পাথর, সিমেন্ট। শনিবারই চারজনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার আগেরদিন বাজার থেকে আসিফ নিজেই সেলোটেপ, ঠান্ডা পানীয়, ঘুমের ওষুধ কিনে আনে। আগে থেকে চৌবাচ্চা, সুড়ঙ্গপথ তৈরিও করেছিল সে। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক যে সে খুন করেছে, তা তদন্তকারীদের কাছে ধীরে ধীরে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আসিফ থ্রিলার সিনেমা দেখতে ভালবাসত। সিনেমা দেখেই খুনের কৌশল বাছাই করেছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসিফের দাদা আরিফের বয়ানেও যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। পরিজনদের খুনের ঘটনায় তারও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, সে বিষয়টির দিকেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।

জুন ২০, ২০২১
রাজ্য

বড় ঘটনা (Maldah murder): হ্যাকিংয়ে পাকা অপরাধী হয়ে উঠেছিল আসিফ

কালিয়াচক-কাণ্ডে ধৃত মহম্মদ আসিফ নিজেই যেন মূর্তিমান রহস্য! বছর উনিশের ওই তরুণ সম্পর্কে পুলিশ যত জানতে পারছে ততই যেন জড়িয়ে যাচ্ছে একের পর এক রহস্যের জাল।কালিয়াচকের আনন্দ রাজনগর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিল আসিফ। বর্তমানে একটি বেসরকারি স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই আসিফের কম্পিউটার নিয়ে নাড়াচাড়া করার অভ্যাস ছিল বলে প্রতিবেশীদের বক্তব্য। তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, অল্প বয়সেই কম্পিউটারে দারুণ দক্ষতা অর্জন করেছিল সে। আসিফের এক প্রতিবেশী বলছেন, মাস চারেক ধরে আসিফের পরিবারের কাউকে দেখতে পাওয়া যেত না। গ্রামে সকলের জানতেন, ওঁরা অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। পাড়ার লোক তো গতকাল জানতে পারলেন এ সব। ছেলেটাকে এর আগে সাইবার অপরাধের অভিযোগে পুলিশ ধরেছিল। ও ঘরেই থাকত। গ্রামে কারও সঙ্গে মিশত না। এমনকী, অনলাইনে খাবার এনে খেত।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত ১০ মার্চ সাইবার ক্রাইম বিভাগ আসিফের কম্পিউটার, মোবাইল এবং ল্যাপটপ পরীক্ষা করে। তারা বুঝতে পারে, আসিফ হ্যাকিংয়ে অত্যন্ত দক্ষ। তাতেই প্রথম সন্দেহ হয় পুলিশের। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকায় তখনকার মতো ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আসিফ কোথা থেকে হ্যাকিং সম্পর্কে এত কিছু শিখল, কোথা থেকে প্রশিক্ষণ পেল এ সব প্রশ্ন ভাবাতে থাকে পুলিশকে। আসিফের এক আত্মীয় বলছেন, ওর হাবভাব মনোরোগীদের মতো হয়ে গিয়েছিল। ও মাধ্যমিকের পর থেকেই কোডিং নিয়েই মেতেছিল। অ্যাপ তৈরির চেষ্টা করছিল। বাবা ভেবেছিল ছেলের ভবিষ্যৎ ভাল হবে। এর আগেও ওকে পুলিশ ধরেছিল।

জুন ১৯, ২০২১
রাজ্য

বড় ঘটনা (Maldah Murder): দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা পর চার সদস্যকে খুন করে বাড়িতেই পুঁতে রাখল যুবক

একই পরিবারের চারজনের রহস্যমৃত্যু। মা, বাবা, বোন এবং দিদাকে খুন করে মাটিতে দেহ পুঁতে রাখল যুবক। এই ঘটনায় পরিবারের একমাত্র ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের কথাও স্বীকার করেছে সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালদহের (Maldah) কালিয়াচকের আটমাইল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।স্থানীয়দের দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ওই পরিবারের চার সদস্যকে তাঁরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। ওই যুবক সেই সময় বাড়িতেই ছিল। তার কাছ থেকে বারবার মা, বাবা, বোন এবং দিদার খোঁজ নেন প্রতিবেশীরা। সে জানায়, পরিবারের বাকি চার সদস্য বেড়াতে গিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির মাঝে ওই চারজন কোথায় বেড়াতে গেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। পুলিশ সূত্রে খবর, সে জানায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা, মা, বোন এবং দিদাকে খুন করেছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতেই মাটির তলায় দেহ পুঁতে রেখেছে বলেও স্বীকার করে অভিযুক্ত। কী কারণে মা, বাবা, বোন এবং দিদাকে খুন করল, সে প্রশ্ন উঠছে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে খুন নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।জানা গিয়েছে, নিহত গৃহকর্তা ইট, বালি, পাথরের ব্যবসা করতেন। ডাম্পারও ছিল তাদের। পরিবার যথেষ্ট বিত্তশালী। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত এলাকারই এক মিশন স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে বিশেষ মিশত না। পরিজনদের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলত না। নিজের ঘরেই বেশিক্ষণ সময় কাটাত সে। সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত বছর ১৮-র আসিফ মেহবুব। ঘরে ল্যাপটপ, একাধিক ফোন, সাউন্ড সিস্টেম, টিভি, সিসি ক্যামেরা সমেত বহু অত্যাধুনিক গেজেট উদ্ধার হয়েছে। বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না বাড়িতে। নিজের বাড়িতেই ল্যাব তৈরি করেছিল সে। আরও জানা গিয়েছে, প্লাইউড দিয়ে বেশ কয়েকটি কফিন তৈরি করেছিল অভিযুক্ত। বাবা-মা ভেবেছিলেন, ছেলে হয়তো গবেষণা করছে। তাই ছেলের কথা মতো ওই কফিনের মধ্যে জীবিত অবস্থা মা, বাবাকে ঢুকিয়েছিল সে। প্রত্যেকের মুখে লাগিয়েছিল সেলোটেপ। অভিযুক্তের দাদার দাবি, গোটা ঘটনাটির সাক্ষী ছিলেন তিনি। তারপরই অভিযুক্ত তার দাদাকে মারধর করে। খুনের হুমকি দেয়। জীবন বাঁচাতে কলকাতায় পালিয়ে যান তিনি। দিনদুয়েক আগে এলাকায় ফিরে বাবা, মা, বোন, দিদার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা জানতে পারে। তারপরই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান তিনি।

জুন ১৯, ২০২১
রাজ্য

Black Fungus: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে পলাতক আক্রান্ত মহিলা

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পলাতক মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ( Black Fungus) সংক্রমিত এক মহিলা। কোথায় পালিয়ে গেলেন ওই মহিলা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। গত কয়েকদিন আগেই নানা শারীরিক উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন বছর পঞ্চান্নর ওই মহিলা। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায়, ওই মহিলার শরীরে থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সেকথা জানানো হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের কথা শুনে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রোগী। কিছুক্ষণ পর নার্সরা তাঁর খোঁজ নিতে আসেন। দেখেন নির্দিষ্ট বে়ডে নেই ওই মহিলা। শুরু হয় খোঁজখবর। গোটা হাসপাতালেই পাওয়া যায়নি তাঁকে। মহিলার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (North Bengal Medical College Hospital) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত এক মহিলা উধাও হয়ে গিয়েছেন। সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ওই মহিলার খোঁজ করছেন।

জুন ১৮, ২০২১
রাজ্য

BSF-Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক চিনা নাগরিক

মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে এক চিনা নাগরিককে আটক করলো বিএসএফ। ওই চিনা নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ , তিনটি মোবাইল ক্যামেরা-সহ বেশকিছু নথিপত্র। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর এলাকায়। সাতসকালে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় কি কারণে ছবি তুলতে এসেছিল ওই চিনা নাগরিক। এবং কিসের ছবি ওই চিনা নাগরিক ক্যামেরাবন্দি করছিল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ এবং গোয়েন্দা কর্তারা।এদিকে আটক চিনা নাগরিককে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জাওয়ানেরা মহদীপুর এলাকার ক্যাম্পে নিয়ে আনা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য । যদিও ওই চিনা নাগরিককে কি বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। পরে অবশ্য এই ঘটনার ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে কালিয়াচক থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই চিনা নাগরিকের কাছ থেকে বাংলাদেশি ভিসা পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়েই ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল ওই চিনা নাগরিক বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে বিএসএফ কর্তারা। ওই চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিএসএফ এবং পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আটক হওয়া ওই চিনা নাগরিকের নাম হান জুম উই (৪৫) । তিনি চিনের বেজিং শহরের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকার বাংলাদেশি নোট, আমেরিকার ডলার উদ্ধার হয়েছে । এর সাথে বেশ কিছু নথিপত্র পেয়েছে বিএসএফ কর্তারা।যদিও বিএসএফ ও পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মিলিক সুলতানপুর এলাকার বাংলাদেশের ও প্রান্তে ছবি তুলতে গিয়েই কাঁটাতারের বেড়া বিহীন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ফেলে ওই চিনা নাগরিক। এরপরই বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান জাওয়ানেরা সেই সময় ভারতীয় সীমান্তে ওই চিনা নাগরিককে দেখতে পায়। তড়িঘড়ি তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হলেও ভারতীয় কোনও পাসপোর্ট-ভিসা দেখাতে পারেনি । এদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে চিনা নাগরিক আটকের ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানান ধরনের চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে ওপার সীমান্ত থেকে বিজিবি (বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ) নজর এড়িয়ে এবার সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করলো ওই চিনা নাগরিক। বাংলাদেশের ভিসা পাসপোর্ট থাকার পরেও কেন ওপারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এই চিনা নাগরিককে সতর্ক করলো না। এছাড়াও সাতসকালে ভারতীয় সীমান্তে কি ছবি তুলতে এসেছিল ওই চিনা নাগরিক এসব বিষয় নিয়েও তদন্ত করছে বিএসএফ ও পুলিশ কর্তারা।এদিকে ওই চিনা নাগরিককে আটক করার পর পরই তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা করা হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। যদিও বিএসএফের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। যদিও এ ব্যাপারে মালদার পুলিশ সুপার কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকী, বিএসএফের পদকর্তাদের পক্ষ থেকেও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১০, ২০২১
রাজ্য

মালদার গঙ্গায় কী 'করোনা আক্রান্তের' দুটি মৃতদেহ! তদন্তে পুলিশ

অবশেষে আশঙ্কায় সত্যি হলো রাজ্য প্রশাসনের। মানিকচক ব্লকের ভুতনি থানা হীরানন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর গঙ্গার ঘাটে ভেসে আসলো দুটি মৃতদেহ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই দুটি মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে নদীপথে ভেসে এসেছে মালদার ভুতনি এলাকার গঙ্গা নদীতে, এমনটাই অনুমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় এলাকার জেলেদের। এরপরই খবর পৌঁছায় ভুতনি থানায়। অবশেষে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর গঙ্গার ঘাটে ওই মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য তদারকির কাজ শুরু করেন। দুটি দেহ মধ্য বয়স্ক পুরুষের বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।এদিকে এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় করোনায় মৃতদেহের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই সেই দেহ গঙ্গা নদী পথে প্রবাহিত হয়ে মালদার মানিকচকের গঙ্গার ঘাটে আসতে পারে এমনটাই অনুমান করে রাজ্য সরকার। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর বেশ কয়েকদিন পরেই কেশরপুর এলাকার গঙ্গার ঘাটে ভেসে এলো দুটি মধ্য বয়স্ক পুরুষের মৃতদেহ। সেই মৃতদেহ দুটি গঙ্গা নদীর ঘাটের একটি কচুরিপানা সংযুক্ত গাছের আটকে থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশের অনুমান করোনায় আক্রান্ত ওই দুটি মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে মালদায় ভেসে এসেছে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জেলার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরের কর্মীরাও। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মৃত ওই দুটি দেহ অজ্ঞাত বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।

জুন ০৫, ২০২১
রাজ্য

এবার 'ঘরে ফিরতে' চান মালদহের সরলা মুর্মু

সোনালি গুহর পর এবার সরলা মুর্মু । দলত্যাগ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালেন মালদহের নেত্রী। যদিও দলের তরফে জানানো হয়েছে, সরলা মুর্মুর কোনও আবেদন পাওয়া যায়নি এখনও। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরলাদেবী জানিয়েছেন, তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই কাজ করতে চান। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দলবদলকারীদের যে স্বাগত জানিয়েছিলেন দিদি, তাতে সাড়া দিয়েই আবেদন জানিয়েছেন তিনি, এমনই দাবি মালদহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান সদস্য সরলা মুর্মুর।একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের গতানুগতিক কাহিনিতে খানিক ব্যতিক্রম সরলা মুর্মু। তাঁকে মালদহের হবিবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই আসন পছন্দ হয়নি সরলাদেবীর। চেয়েছিলেন পুরাতন মালদহ থেকে লড়তে। কিন্তু সংরক্ষণ কাঁটায় তা সম্ভব হয়নি। তাতে অভিমান করেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাতে পছন্দমতো আসন পাওয়া দূরঅস্ত, প্রার্থীই হতে পারেননি সরলা মুর্মু। ফলে গেরুয়া শিবিরে গিয়েও প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে ছিলেন মালদহের এই নেত্রী। ভোটের ফলপ্রকাশের পরও কার্যত কিছু করার ছিল না তাঁর।এই অবস্থায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই দলবদলকারীদের ফেরানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওরা ফিরলে ফিরবে, ওয়েলকাম। অসুবিধা কী? এ কথা শুনেই মনটা ফের ঘাসফুলের দিকে ফিরছিল সরলাদেবীর। তবে এতদিন প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। শনিবার মমতার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা, আরেক দলবদলকারী নেত্রী সোনালি গুহ দীর্ঘ টুইটে নিজের ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। তাতেই সম্ভবত অনুপ্রেরণা পান সরলা মুর্মু। তিনিও ঘনিষ্ঠ মহলে এবং সাংবাদিকদের জানান, বিজেপি আর পছন্দ নয়। এবার তৃণমূলে ফিরে দিদির সৈনিক হয়ে কাজ করতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলতে চান। এই মর্মে তিনি আবেদনও জানিয়েছেন।

মে ২৩, ২০২১
রাজ্য

এবার আর মালদা থেকে শূন্য হাতে ফিরতে চান না মমতা

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ মালদায় এত মানুষের জনসমাগম হয়, অথচ ভোট এলে অংকটা অন্যরকম হয়ে যায়। বুধবার মালদার জনসভায় মমতা বলেন, লোকসভাতেও শূন্য আর বিধানসভাতে মালদায় একইরকম। এবার আর শুন্য হাতে ফিরতে চাই না। এতদিন কংগ্রেস-বিজেপিকে ফজলি আম খাইয়েছেন। এবার আমাকেও দুটো ফজলি আম খাওয়ান।একইসঙ্গে বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নির্বাচন এলেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা সাজতে চাইছে বিজিপি। বিজেপিকে প্রত্যাখান করবে বাংলার মানুষ। বুধবার মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থা সংলগ্ন মাঠে তৃণমূলের জনসভা হয়। সভা শুরু হয় দুপুর একটা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা ছিল তিনটেয়। কিন্তু দুপুর আড়াইটা নাগাদ মঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশের মাঠেই তৈরি করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। হেলিপ্যাড থেকে প্রায় ৪০০ মিটার হেঁটে মঞ্চে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ জেলার প্রথম সারির নেতানেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মৌসুম নূর, কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, নিহার ঘোষ, বাবলা সরকার, জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস।বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বিজেপির মতো মিথ্যাবাদী কেউ নেই। ওরা দাঙ্গা লাগায়। আজকে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাবের চাষিরা কাঁদছে। বাংলার চাষীদের চোখে জল নেই। কারণ, এই রাজ্যে বিজেপি সরকার নেই। চাষীদের জন্য আমরা কৃষক বন্ধু যোজনা চালু করেছি। যাতে ছয় হাজার টাকা করে পাবেন চাষিরা। কৃষকদের নিয়ে বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওদের কাছে কি তথ্য নেই। আসলে মিথ্যা কথা বলাটাই ওদের কাজ।বিজেপির রথযাত্রার কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রাকে নিয়ে ওরা নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা জগন্নাথের রথকে প্রণাম জানাই। আমরা এরকম রাজনীতি করি না। এখন এরা রথকে নিয়ে কেউ জগন্নাথ, কেউ বলরাম আবার কেউ শ্রীকৃষ্ণ সাজছেন। মনে রাখবেন এই রথে করে সীতা হরণ করেছিল রাবন। আমরা মনে করি হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান, শিখ সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা তাদের মতোন চলবেন। বিজেপি মানেই দাঙ্গা। আর এই দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে ওদের আসল কাজ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী উসকে দিয়েছেন মালদার মিথ গনিখান চৌধুরীর স্মৃতিও। মমতা বলেন, মালদায় আমি আজ থেকে আসছি না, বরকতদার সময় থেকেই যখন যুব কংগ্রেস করতাম, তখন থেকে আসছি। এই জেলায় উন্নয়নে তৃণমূল সরকার অনেক কাজ করেছে। উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভুতনি সেতু তৈরি করেছি। মালদা - বালুরঘাট ট্রেন চালু করা হয়েছে। কিন্তু মালদা নিয়ে আমার অনেক দুঃখ এবং বেদনা রয়েছে। এই সরকার সকলের জন্য কাজ করছে। ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ বিধবা হন, তাহলে পেনশন পাবে। বাজেটে এই সুবিধা করে দিয়েছি। এরকম সুবিধা অন্য কোন রাজ্যে নেই। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ট্যাপ কেনার ক্ষেত্রে এককালীন দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সরকার জনগণের সরকার।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় তৃণমূল একটি আসনও পায়নি। ১২ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ৮টি, সিপিএম পেয়েছিল ২টি, বিজেপির ছিল ১টি। পাশাপাশি ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস ও সিপিএম জোটের সমর্থনে নির্দল প্রার্থীর দখলে ছিল একটি আসন। যদিও বর্তমানে এইসব বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ বিধায়কেরা তৃণমূলে যোগদান করেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি ও কংগ্রেস একটি করে জয় পেয়েছে। সেই আক্ষেপ থেকেই তৃণমূলনেত্রী এবার খালি হাতে ফিরতে চান না।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রাজ্য

সালিশি সভা চলাকালীন গুলি, মৃত ১

দশ বছর আগে পারিবারিক বিবাদের কারণে সালিশি সভা চলাকালীন খুন হয়েছিলেন বাবা । আর ঠিক একই ইস্যুতে আবারও সালিশি সভার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হতে হল ছেলেকে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মৃতের এক কাকাও। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কাকা এবং ভাইপোর মধ্যেই পারিবারিক পুরনো বিবাদের এই গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কালিয়াচক থানার মোজামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর এলাকায়। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ । যদিও কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস এখনই পরিষ্কারভাবে এই ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, পুরনো পারিবারিক শত্রুতার জেরকে ঘিরে এই গোলমালের ঘটনাটি ঘটেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃত ভাইপোর নাম নওয়াজ শরিফ চৌধুরী (৩০)। জখম কাকার নাম সালাম চৌধুরী (৫০)। মৃতের মাথায় গুলি লেগেছে । জখম সালাম চৌধুরীর কোমরের ডানদিকে গুলি লেগেছে। তার চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পারিবারিক জমির দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গোলমাল চলে আসছে কাকা ও ভাইপোর পরিবারের মধ্যে। দশ বছর আগে একইভাবে সালিশি সভা চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন শরিফ চৌধুরীর বাবা। আর এদিন এই বিবাদের মধ্যেই খুন হলেন ছেলে নওয়াজ শরিফ চৌধুরী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তির দখলকে ঘিরে এদিন নারায়ণপুর এলাকায় কাকা ও ভাইপোর দুই গোষ্ঠীর সালিশি সভা বসেছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে গোলমাল বাঁধে। আর সেখানে দুই গোষ্ঠী একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
শিক্ষা

গৌড়বঙ্গের মুকুটে নতুন পালক, খুলে গেল মহাকাশ গবেষণা ও কর্পোরেট ফার্মিং-এর দরজা

মহাকাশ গবেষণার দরজা খুলে গেল এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে। মালদার ভূমিপুত্র তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর হাত ধরেই এই ঐতিহাসিক সুযোগ আসতে চলেছে গৌড়বঙ্গে। সম্প্রতি সন্দীপ বাবুর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ' ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স'-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদের 'আর আর এনিম্যাল হেল্থকেয়ার' সংস্থার সঙ্গে কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়েও একটি মউ স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগ। এর ফলে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির গবেষণার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিতর্ককে পিছনে ফেলে ক্রমেই উৎকর্ষতার দিকে এগিয়ে চলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম তুলেছিলেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে খুলে গেল মহাকাশ গবেষণার সুবর্ণ সুযোগ। সম্প্রতি 'ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' নামে এক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর মালদার ভূমিপুত্র তথা জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত ওই সংস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে এখানকার পড়ুয়ারা মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে। যারা উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে গৌড়বঙ্গ অথবা উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তেমনভাবে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তারাও এখন উপকৃত হবেন। এমনকি সন্দীপ বাবুর 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' থেকে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এর ফলে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতা বাড়বে তেমনই সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের পরিকাঠামো ব্যবহার করে গবেষণার সুযোগ পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা মালদা জেলাতেই। এমনকি তাকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে সাম্মানিক 'ডক্টর অফ সায়েন্স' উপাধি দেওয়া হয়। মহাকাশ গবেষণার জন্য সন্দীপ চক্রবর্তীকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতবর্ষের সেরা বিজ্ঞানীর শিরোপা দেওয়া হয়েছে। তার 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে উন্নত মানের টেলিস্কোপ রয়েছে ওই সংস্থার কাছে। এমনকি মহাকাশ গবেষণার জন্য বিশাল আকারের বেলুন ও যন্ত্রপাতি সংস্থার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার উচ্চতায় ভেসে থাকা সেই বেলুন থেকেই সম্প্রতি বৃহস্পতি ও শণি গ্রহের নৈকট্য লেন্সবন্দী করেছে সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স। এমনকি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে ওই সংস্থা। স্বভাবতই এমন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর চঞ্চল চৌধুরী জানান," সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সন্দীপবাবু সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স প্রতিষ্ঠানকে সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনার আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার দরজা খুলে যাবে। গৌড়বঙ্গের পড়ুয়ারাও মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের অবদান রাখতে পারবেন। এমনকি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বা সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স থেকে গবেষণা করলে পিএইচডি ডিগ্রি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়ার সুযোগ থাকছে।" এ প্রসঙ্গে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন," সন্দীপবাবু সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার একটা নাড়ির টান রয়েছে। তিনি মালদার ভূমিপুত্র। তাই গৌড়বঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গের জন্য তিনি কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি যখন মহাকাশ গবেষণার প্রস্তাব আমাদের দেন, তখন আমরা তাতে সম্মত জানাতে দেরি করিনি। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরফলে এস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণার নতুন দিক উন্মোচিত হবে।" অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী। তিনি জানান," গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমার সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাবে তারা রাজি হয়েছেন। এর ফলে আখেরে গৌড়বঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যেই এখানকার ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে এখানকার পড়ুয়ারা আমার সংস্থায় গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। গবেষণার পর পিএইচডি ডিগ্রি দেবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে যে সমস্ত প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেত না, তাদেরও প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটবে বলে আশা করি।" একদিকে যখন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে তখন অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করলো হায়দ্রাবাদের প্রাণী সম্পদ বিকাশ সংস্থা 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার'। উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কর্পোরেট ফার্মিং অর্থাৎ ভক্ষ প্রাণীর উন্নত পরিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে গবেষণা ও কাজকর্ম করে থাকে সংস্থাটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে ওই সংস্থা গাঁটছড়া বাঁধায় এবার এখানকার পড়ুয়ারাও কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়ে যেমন তালিম পাবেন যেমন তেমনিই তাদের সামনে খুলে যাবে গবেষণার রাস্তাও। গরু, ছাগল,ভেড়া,হাঁস, মুরগি, মাছ সমেত পোলট্রি ফার্মিং বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে ওই সংস্থা। সাধারণ মানুষের কাছে দূষণমুক্ত উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা ও উৎপাদনের কাজ করে ওই সংস্থা। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করেছে সংস্থাটি। শারীরবিদ্যা বিভাগ সূত্রে খবর, যারা পোলট্রি তথা অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির সঙ্গে যুক্ত তারা যাতে নিজেরাই উন্নত মানের প্রজাতির প্রাণীর ব্রিডিং করতে পারেন সেজন্য সিমেন এক্সটেন্ডার মেশিন তৈরির চেষ্টা যৌথ ভাবে করা হবে। ওই মেশিন তৈরি হলে উন্নত মানের পুরুষ পশু বা পাখির বীর্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে তার সফল প্রয়োগ বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গেছে। শারীরবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানান," যে সমস্ত প্রাণীর মাংস, দুধ, ডিম আমাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রতিপালন করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা করার বিষয়ে পড়ুয়ারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। আমরা গবেষণার মাধ্যমে যদি উন্নততর কিছু আবিষ্কার করতে পারি তবে তার বাণিজ্যিক প্রয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন পশু পালক ও পোলট্রি ফার্মাররা। আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার আনা সম্ভব হবে এর মাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এটি বড় প্রাপ্তি।" এ প্রসঙ্গে 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার' এর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের প্রধান লাবণ্যময় কোলে জানান," গৃহপালিত প্রাণীর উন্নত প্রতিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি সম্পর্কে পড়ুয়ারা যেমন জানতে পারবেন তেমনি এখানে গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ প্রজননক্ষম গৃহপালিত প্রাণী ও তার উৎপাদনের বিষয়টিও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে গ্রামের পশুপালকরাও উপকৃত হবেন।" নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যখন গৌড়বঙ্গে অচলাবস্থা তৈরীর চক্রান্ত চলছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমন দু'টি বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার গাঁটছড়া বাঁধার ঘটনা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে শিক্ষাপ্রেমীদের।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

জেএমবি জঙ্গিদের দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূলঃ দিলীপ

তৃণমূলের আমলে এ রাজ্যে কোনও চাকরি হয়নি। চাকরি হয়েছে গুজরাট, হরিয়ানায়। মঙ্গলবার সরকার বিরোধী প্রচারে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। মালদহের চা- চক্র থেকে তাঁর তোপ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে এগিয়ে বাংলা, মহিলাদের উপর নির্যাতনে এগিয়ে বাংলা, বেকারত্ব বৃদ্ধি, পরিযায়ী শ্রমিক সবেতে এগিয়ে বাংলা। রাজ্য বিজেপি সভাপতির আরও দাবি, এই যে বলা হচ্ছে রাজ্যে প্রচুর চাকরি হয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখুন না, একজনও চাকরি পায়নি। হ্যাঁ, চাকরি যদি কেউ কোথাও পেয়ে থাকে, তাহলে সেটা গুজরাটে পেয়েছে, হরিয়ানায় পেয়েছে। আরও পড়ুন ঃ আমাকে যারা আক্রমণ করছেন ভোটের বোতামে তাঁরা টের পাবেন, বিস্ফোরক শুভেন্দু বীরভূমের পাইকর থেকে এক জেএমবি জঙ্গির গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের কড়াকড়ির জেরে সারাদেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি ধরা পড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ রোহিঙ্গা আসছে। তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার চায়, এই জেএমবি জঙ্গিরা এখানে আসুক, উৎপাত করুক, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করুক। তারা টিএমসি-কে জেতাবে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
রাজ্য

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিটলার বলে কটাক্ষ সায়ন্তনের

এবার নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিটলার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে মালদহে যান বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সকালে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকায় চা-চর্চায় যোগ দেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, কালিঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের শাড়ি পড়া হিটলারি শাসন কেউ বরদাস্ত করবে না। একুশের পর কালিঘাটে মাত্র ২ জন থাকবেন। ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে পালাবেন বাকি সকলে। যারা মমতা সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাঁদের সকলকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ গোটা রাজ্যে আমিই পর্যবেক্ষকঃ মমতা সুজাপুর বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সায়ন্তন বসু দাবি করেন, ওই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকার সংখ্যা গোপন করছে, দেহ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জঙ্গি গ্রেপ্তারির ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

সুজাপুরে পাওয়া যায়নি কোনও বিস্ফোরক সামগ্রীর নমুনাঃ ফরেনসিক

সুজাপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনও বিস্ফোরক সামগ্রীর নমুনা পাওয়া যায়নি। মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে। শনিবার সুজাপুরে বিস্ফোরণস্থলে দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনে আসে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সেখান থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করে। এরপরেই ফরেনসিক আধিকারিক চিত্রাক্ষ সরকার বলেন, মেশিনের যান্ত্রিক ক্রটির জন্যই মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে বিস্ফোরণ হয়। উল্লেখ্য, এদিন ফরেনসিক টিম ধ্বংস হয়ে যাওয়া মেশিন পরীক্ষা করার সময় ফের মৃদু বিস্ফোরণ ঘটে। টিমের প্রতিনিধিরা মেশিনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দিতেই ঘটে বিস্ফোরণ। ফরেনসিক সূত্রে খবর, বাকি প্লান্টগুলোতে কীভাবে কাজ চলে, সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখতে চায় তারা। আরও পড়ুন ঃ সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানার বিস্ফোরণস্থলে ফরেন্সিক দল সুজাপুরে এই বিস্ফোরণের পর থেকে এখনও কোনও মামলা করেনি পুলিশ। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর অভিযোগ , বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬ জন। তবুও কোনও মামলা করেনি পুলিস। বিষয়টি সন্দেহজনক।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপি বিস্ফো্রণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছেঃ ফিরহাদ

কালিয়াচক থানার সুজাপুরে প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মালদা এসেই মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ টাকা এবং ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এদিন বিকেলে সুজাপুরে প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর হেলিকপ্টারে মালদায় আসেন ফিরহাদ হাকিম। মালদার বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কনভয় নিয়ে চলে যান সুজাপুরের স্কুলপাড়া এলাকায় । সেখানে মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পাশাপাশি সুজাপুর থেকে ফিরে মালদা মেডিকেল কলেজে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আরও পড়ুন ঃ বহিরাগতদের মানে না বাংলার মানুষঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বিকালে সুজাপুরে বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন , বিজেপি সব কথাতেই এনআইএর তদন্তের দাবি তোলে। অথচ এই পরিস্থিতির পর ওদের দলের কোনও নেতৃত্বকেই দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে মালদা এসেই সেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ ওই পরিবারগুলির হাতে তুলে দিয়েছি। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমবেদনা জানানো উচিৎ। কিন্তু এখন বিজেপি রাজনীতি করছে। এদিকে সুজাপুরে প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিজেপির উত্তর মালদা সাংসদ খগেন মুর্মু এনআইএর তদন্তের দাবি জানিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন। যদিও বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্যকে তুলোধনা করে তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জেলা সভাপতি মৌসুম নূর বলেন , এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে বিজেপি এখন রাজনীতি করতে ময়দানে নেমে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসন যেখানে বলছে প্লাস্টিকের কারখানায় কাটিং মেশিন বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে বিজেপি সাংসদ এরকম কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। অথচ তারা ঘরে বসে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন। তৃণমূল সাংসদ মৌসুম নূর আরও বলেন, এদিন বিস্ফোরণকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই ঘটনায় আহতদের সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ছিলেন সাংসদ মৌসুম নূর সহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal