• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Leader

রাজ্য

কাটোয়ায় কর্মীসভা থেকে দলের জেলা সভাপতিকে হুমকি অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতার

বিধানসভা ভোটে অভাবনীয় জয়ের পরেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় চরমে উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কর্মী সভা থেকে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে হরিদাস পাল বলে কটুক্তি করলেন দলের অনুব্রত অনুগামী কাটোয়ার নেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা জেলার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু এদিন স্পষ্ট জানিয়েদেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হওয়া কর্মী সভা দলের কর্মীসভা নয়। অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে নামে কে কর্মী সভার আয়োজন করেছে তাঁকেও চেনেন না বলেও রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েদেন।কাটোয়া শহরের রবীন্দ্র পরিষদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ঘনিষ্ট ও অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসাবে পরিচিত দলের জেলা সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কর্মী সভায় নেতৃত্ব দেন। কর্মী সভায় তিনি বেশ কয়েকজন কর্মীকে সম্বর্ধনা দেন। অরিন্দমবাবু দাবি করেন, দলের কর্মসূচিতে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের বিধায়ক ডাকেন না সেইসব তৃণমূল কর্মীদের তিনি সম্বর্ধনা দিলেন। সম্বর্ধনা শেষে বক্তব্য রাখতে উঠে অরিন্দম বাবু জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটুক্তি করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাম মুখে না এনে বলেন, ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক ও দলের জেলা সভাপতি হয়েছেন। পুরানো তৃণমূল কর্মীদের কোন অসম্মান করতে আর ওনাকে দেব না।আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপে বিধ্বস্ত রাজ্য, রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে ভাসছে শহর থেকে জেলামমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে কোন হরিদাস পালের অনুমোদন লাগে না। হরিদাস পালের অনুমতিও নেবেন না। পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।২০১৫ সালে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল দিত তাঁরাই আজ কাটোয়ায় তৃণমূলের ক্ষমতায় আছে। তাঁরাই রাজনীতিটাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। এমন নেতা ও তাঁর সাগরেদদের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নাম না করে হুমকির সুরে অরিন্দমবাবু বলেন, আপনি এমন কোন হরিদাস পাল নন যে আপনাকে মাথায় করে রাখতে হবে।আপনাকে ছেড়ে কথা বলব না।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মাস খানেক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে বদল ঘটায়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে সরিয়ে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি করে দল। তারপর থেকে দলের একাংশ রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথবাবু জেলা সভাপতি হওয়ার পরে কেতুগ্রামে এক জনসভা মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, দলের কাটোয়ার দায়িত্ব সামলাবে অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যেমন অনুগামী তেমনই তিনি প্রাক্তন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথেরও ঘনিষ্ট। তবে রবীন্দ্রনাথবাবুকে কটুক্তি করা নিয়ে প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ তাঁর ঘনিষ্ট অরিন্দম বন্দ্যোপধ্যায়ের পাশে দাঁড়াননি। স্বপনবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অরিন্দমের বক্তব্য আমি সমর্থন করি না। কর্মীসভা করতে হলে দলের জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়েই করতে হবে।আরও পড়ুনঃ বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে ইউভানবিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সহসভাপতি অনিল দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের এক নেতা তাঁদেরই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এখন কোন পর্যায়ে পৌছেছে। দলের জেলা সভাপতিকে যিনি কটুক্তি করছেন তাঁর মাথায় তৃণমূলের উপর সারির নেতাদের হাত রয়েছে বলেই মত বিজেপি নেতৃত্বের।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Bhawanipur: বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে পারেন শুভেন্দু, ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে কেন এই চ্যালেঞ্জ?

ভবানীপুর উপনির্বাচনে পর পর সভা করে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে কোনও ফাঁক রাখছেন না তিনি। বিজেপিও সমানতালে প্রচার করছে ভবানীপুরে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন ভবানীপুরের জনসভায় ঘোষনা করেছেন প্রিয়াঙ্কাকে জেতালে তিনি তাঁর পদ ছেড়ে দেবেন। একইসঙ্গে তিনি ভবানীপুরে অকাল ভোটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। শুভেন্দু এদিন প্রশ্ন তুলেছেন কেন ভবানীপুরে নির্বাচন হচ্ছে? এখানকার তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক কি অসুস্থ? নাকি তিনি দল বদলেছেন? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সুস্থ। তিনি দলবদলও করেননি। নন্দীগ্রামে হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ভবানীপুরে ভোট চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা্র জন্য জনগণের পকেট কেটে ৫ কোটি টাকা খরচ হবে নির্বাচনে।ভবানীপুরের নির্বাচনী সভায় মমতা বলেছেন, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাইলে সবাই আমাকে ভোট দিন। বৃষ্টি পড়লে ছাতা মাথায় দিয়ে বা বর্ষাতি পড়েও ভোট দিতে যাবেন। তিনি চেয়ার আঁকড়ে রাখতে চাইছেন বলেও এদিন কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে নিজে যে চেয়ার ছেড়ে দিতে প্রস্তুত সেকথাও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।এদিন শুভেন্দু ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে জয়ী করার জন্য আবেদন জানান। বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকবো না। তোমরা একটা একটা করে ভোট দাও। আমি শুভেন্দু অধিকারী বলে যাচ্ছি, প্রিয়াঙ্কাকে জেতান। আমি দিল্লির নেতাদের বলবো আমার চেয়ারটা ওকে দিয়ে দেওয়ার জন্য। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমার চেয়ারটা রাখতে হবে। এই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্যাক্রিফাইস।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Superi Killers: আউশগ্রামে তৃণমূল যুবনেতাকে খুনে ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই সুপারি কিলার

সুপারি কিলারদের দিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের আশঙ্কাই শেষপর্যন্ত সত্যি হল। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের তৃণমূল যুবনেতা চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই সুপারি কিলার। ধৃতরা হল মহম্মদ ইমরান কুরেশি ও শেখ শের আলি। ধৃতদের মধ্যে ইমরানের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে ভবানীপল্লিতে। আর অপর ধৃত শের আলির বাড়ি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর এলাকায়। খুনের ঘটনার মূল চক্রী আসানুল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ দুই সুপারি কিলারের নাম জানতে পারে। তারপরেই শুক্রবার আউশগ্রাম থানার পুলিশ দুই দলে ভাগ হয়ে দুর্গাপুর ও বীরভূমের সাঁইথিয়ায় হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।পুলিশের দাবি, ধৃতরা তৃণমূলের যুব নেতা চঞ্চল বক্সিকে খুনের কথা কবুল করেছে। তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে আট জন গ্রেপ্তার হল। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল বিহারের মুঙ্গেরের দুই অস্ত্রকারবারী মহম্মদ ইনতিয়াজ ও মহম্মদ পাপ্পু। ঝাড়খণ্ডে ধরা পড়া এই দুই অস্ত্র কারবারী তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেআস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ তদন্তের প্রয়োজনে ১২ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। সিজেএম ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর গেরাই থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতীদের হাতে গুলিতে খুন হন দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সির ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা চঞ্চল বক্সি। দুই বর্ধমান জেলার পুলিশ সিট গঠন করে এই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডলকে। ধরা পড়ে দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্য মনির হোসেন মোল্লা এবং তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডল। তাদের জেরা করে পুলিশ ভাতকুন্ডা গ্রামের আয়ূব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর ধৃতদের জেরা করে বৃহস্পতিবার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকা থেকে মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু নামে দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে। খুনের পর তারা ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে দুই সুপারিকিলারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

CBI: বিজেপি নেতার মাকে খুনের তদন্তে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার সিবিআইয়ের

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রামে খুন হন বিজেপি নেতার মা কাকলি ক্ষেত্রপাল(৪৭)। হাইকোর্টের নির্দেশে এই খুনের মামলার তদন্তে নেমে ধৃতদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করলো সিবিআই। অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কথা সিবিআই রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে জানিয়েছে। সিআইয়ের দাবি, তল্লাশীতে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তরোয়াল, কাস্তে ও কাটারি। এরআগে পুলিশও বেশকিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সহ সব কিছু নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে সোমবার বর্ধমান আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী ইন্সপেক্টার অরুন কুমার সিং। বিজেপি কর্মীর মা-কে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে সিবিআইয়ের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই নবগ্রাম এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।আরও পড়ুনঃ লাইনে হুড়োহুড়ি নয়, এই জেলায় বাড়িতে বসেই মিলবে কোভিড-টিকার কুপনবিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে দুপুরে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় জামালপুরের নবগ্রাম এলাকা। ওই দিন নবগ্রামের বিজেপি শক্তিপ্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। আশিসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি টাঙি দিয়ে তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের হাত থেকে স্বামী অনিল ক্ষেত্রপালকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কাকলি ক্ষেত্রপালও আক্রান্ত হন। নির্মম মারধর ও ভোজালির আঘাতে কাকলিদেবী মারাত্মক জখম হন। একই হামলায় জখম হন আশিস ক্ষেত্রপালেরকাকা মানস ক্ষেত্রপালও। জখমদের সকলকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাকলি ক্ষেত্রপালকে মৃত ঘোষণা করেন। জখম আশিসের বাবা ও কাকাকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিজেপি শক্তিপ্রমুখের বাড়িতে হামলা-আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই আশপাশ থেকে বিজেপির কর্মীসমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌছে তৃণমূলের লোকজনকে ঘিরে ফেলে। ওই সময়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘের্ষ তৃণমূলের দুই কর্মী শাজাহান শা ওরফে শাজু ও বিভাস বাগ গুরুতর জখম হন।তাঁদের ওইদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভির্ত করার কিছু সময় পর তাঁরাও মারা যান।আরও পড়ুনঃ আইপিএলের নতুন ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া হতে পারে কোন কোন শহর থেকে?রাজনৈতিক হিংসায় একই দিনে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই তরফের অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ পৃথক দুটি মামলা রুজু করে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকে যদিও বাড়ি ছাড়া থাকে আশিস ক্ষেত্রপাল পাল। পুলিশ পরের দিন ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিশ গত ৩ অগস্ট আদালতে চার্জশিটও পেশ করে দেয়। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে বিজেপি নেতা আশিস ক্ষেত্রপাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটপরবর্তী এই রাজনৈতিক হিংসার মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তদন্তের জন্য সিবিআই আধিকারিক দল ২৯ আগষ্ট প্রথম নবগ্রামে পা রাখে। তাঁর পর থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে সিবিআই দল নবগ্রাম এলাকাচষে বেড়ায়। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমও নবগ্রামে তদন্তে যায়। কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সকল সদস্যের পাশাপাশি এলাকার বেশ কয়েকজনের বয়ানও সিবিআই আধিকারিকরা নথিুভুক্ত করেন। তারই মাঝে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও এদিন আদালতে দাবি জানালো সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

Take Oath: দিল্লি ও ত্রিপুরা জয়ের শপথ নিলেন পূর্ব বর্ধমানের সকল নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করা

মোদি ও অমিত শাহ একাধিকবার প্রচারে এসেও পদ্ম ফোটাতে পারেননি পূর্ব বর্ধমানে। এই জেলার ১৬টি বিধানসভা আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের পরাজিত করে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থীরা। ঘাসফুল দুর্গ অটুট রাখতে পারা সকল বিধায়ককে রবিবার সম্বর্ধনা দিল জেলার জামালপুর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকেই শ্লোগান উঠলো আর নয় মোদি- ২৪ শে দিল্লির মসনদে চাই দিদি।আরও পড়ুনঃ নিহত বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে গেলেও সিবিআই গরহাজির হত দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি, বিতর্ক চরমেএদিন জামালপুর থানা সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়কদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক ও জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আলোক মাঝি। এদিনের সভায় জেলার বিধায়করা ছাড়াও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপনদেবনাথ, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা তথা দুর্গাপুরের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা সভায় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, এই সংবর্ধনা সভা আসলে ২০২৪-এ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করার শপথ নেওয়ার সভা। বিধানসভা ভোটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক পায়ে খেলে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছে। মোদি, অমিত শাহর বংলা জয়ের স্বপ্ন এক পায়ে খেলেই ভঙ্গ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২৪-এ দলনেত্রী দুপায়ে খেলবেন। দলের সবাইকে এই সভা থেকেই শপথ নিতে হবে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাতের জন্য। এখন থেকেই শ্লোগান তুলতে হবে আর নয় মোদি, ২৪ শে দিল্লির মসনদে চাই দিদি। অন্যদিকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির এখন ভরসা সিবিআই আর ইডি। তবে বিজেপি যতই সিবিআই ও ইডি এই রাজ্যে পাঠাক না কেন লাভ কিছু হবে না। এবার ত্রিপুরাতে ঘাসফুল ফুটবে। কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই চালাবে। সেই লড়াই আন্দোলনেও দিশা দেখাবেন এই বাংলার মানুষ।

আগস্ট ৩০, ২০২১
বিদেশ

Taliban: তালিবানি অন্ধকারের মধ্যেই কী আশার আলো? মহিলা সঞ্চালককে সাক্ষাৎকার তালিবান নেতার

তালিবানি আতঙ্কের পরিবেশে অনেকটা উলটপুরাণই বটে। একটি আফগান সংবাদমাধ্যমের মহিলা সঞ্চালক বেহেস্তা আরঘান্দকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তালিবান মিডিয়া সেলের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক মাওলাই আবদুল্লা হেমাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবিটি। তাহলে কী সত্যিই বদল এসেছে তালিবানি রক্ষণশীল ধারণায়? প্রশ্ন উঠছে। আরও পড়ুনঃ বাংলার নবাবের ব্যর্থতা ঢেকে লর্ডস অভিযানে নায়ক হায়দরাবাদি সিরাজ কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। গোটা আফগানিস্তানের তাদের দখলে আসা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। গোটা বিশ্ব যখন আগের অন্ধকার যুগ ফিরে আসার আতঙ্কে বুঁদ। শরিয়ত আইনের কঠোর শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ার আশঙ্কায় যখন আতঙ্কে মহিলারা, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এই ছবিটি। আফগানিস্তানে তালিবান রাজ কায়েম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা পৃথিবী। কারণ, শরিয়ত আইন মেনে চলা তালিবানরা বরাবরই মহিলাদের কঠোর নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখতে পছন্দ করে। মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার, বাইরে কাজের অধিকার, পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকারকে মান্যতা দেয় না তারা। অন্তত অতীত তাই বলছে। কিন্তু এবার আফগানিস্তান নিজেদের কবলে নিয়ে নেওয়ার পর থেকেই মহিলাদের শিক্ষা, চাকরির জন্য আশ্বাসবানী শোনা যাচ্ছে তালিবানদের তরফে। যদিও তাতে ভরসা করতে সাহস দেখাচ্ছেন না কেউই। নারীদের প্রতি তালিবানদের ভূমিকা ঠিক কী হবে, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিকমহল। এরইমধ্যে মহিলা সঞ্চালককে তালিবানি মিডিয়া সেলের আধিকারিকের দেওয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিশ্বকে অন্য বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। কিন্তু ভবিষ্যতই বলবে তালিবানিযুগে মহিলা স্বাধীনতা ঠিক কতটা উড়ান পায়।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Purba Bardhaman: গেষ্ঠীকলহের জেরেই কি জেলার শীর্ষে বর্ধমান শহরের কারও স্থান হয়নি? সরানো হল দুই যুব নেতাকেও

অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির মাথাতে রাখা হয়েছে প্রবীণদের। এঁদের মধ্যে তিনজনই আবার বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর দল যে সন্তুষ্ট নয় তা ঘোষিত কমিটির তালিকা দেখলে কারও অনুমান করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।আরও পড়ুনঃ শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকারপূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত কমিটির নেতাদের কারও বাড়ি বর্ধমান শহরে নয়। কমিটি ঘোষণার আগে একাধিক নেতা বারে বারে ছুটেছেন কলকাতায়। কিন্তু আদপে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি তা অন্তত এই কমিটির ঘোষণায় প্রমাণিত। তাই কেউ কেউ মুষড়ে পড়েছেন। তবে দল ভরসা রেখেছে প্রবীণ নেতৃত্বের ওপর। বরং শহরে বাড়ি দুই নেতাকে দল তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে বর্ধমানে তৃণমূলের অন্দরমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতেরএক ব্যক্তি এক পদ, এই নীতি আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। খেলা হবে দিবসের দিন রাজ্যব্যাপী নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত করল তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে যে সরতে হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু সরিয়ে হল পূর্ব বর্ধমানের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারকেও। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতিকার আহমেদকেও (পাপ্পু)। পাপ্পু বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ বলেই সূত্রের খবর। যদিও প্রাক্তন যুব সভাপতি রাসবিহারী একটা সময় খোকনের খুব ঘনিষ্ঠ হলেও এখন সম্পর্ক যথেষ্ট তিক্ত বলে সূত্রের খবর।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে নতুন যুগ, এক নেতা-এক পদজেলা সভাপতি হিসাবে বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন নেতা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তাতে জল ঢেলে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের খবর প্রকাশ হতেই বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ গালে হাত দিয়ে বসেছেন। নতুন সভাপতি হয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা যুবর সভাপতি জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, আইএনটিটিইউসির সভাপতি হিসাবে ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে দল। জেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও। সেই পদে বসেছেন অশোক বিশ্বাস। মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন চন্দনা মাঝি। বর্ধমান শহরের সভাপতি হিসাবে অরূপ দাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্বকে জেলা কমিটির শীর্ষে না রাখার প্রধান কারণ দলের গোষ্ঠীকলহে লাগাম টানা। শহরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেরবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপরাজ্যে বিধানসভার দুই আসন ও বাকি পাঁচ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তারপর রাজ্যে পুরনির্বাচন। সূত্রের খবর, বর্ধমান শহরে এখনই তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব পুরসভার টিকিট পেতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। গত পুর নির্বাচনে টিকিট প্রাপ্তদের অনেককে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে মুখ পুড়েছিল দলের। বর্ধমানের মতো শহরে যাঁদের পুরসভায় প্রার্থী করা হয়েছিল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এবার অন্তত প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দল মনযোগ দেবে বলে আশা করছে নীচুতলার কর্মীরা।

আগস্ট ১৭, ২০২১
রাজ্য

Khela Hobe: খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক

খেলা হবে দিবস-এ জমজমাট জঙ্গলমহল। ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের নাচের তালে অনুষ্ঠিত হল ফুটবল খেলা। যা নিয়ে সোমবার শোরগোল পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চলের রাণীগঞ্জে। এখানকার খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত খেলা হবে দিবস অনুষ্ঠানে চিয়ার লিডারদের ডিজের তালে নাচা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও অনুষ্ঠানের আয়োজকরা এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের পক্ষে তাঁদের সাফাইও যথারাতি দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্বত্র খেলা হবে দিবস অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে আউসগ্রাম ২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চল জাঁকজমক পূর্ণভাবেই ফুটবল খেলার আয়োজন করে। ভাল্কির রাণীগঞ্জ এলাকার মাঠে দর্শকের ভিড়ও হয়েছিল নজর কাড়া। খেলা শুরু হতেই হঠাৎচিয়ার লিডাররা মঞ্চে উঠে নাচ পরিবেশন করতে শুরু করায় মাঠে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়েযান।কেউ কেউ মুগ্ধ হলেও এলাকার অনেকেই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশও করেন । তাঁদের বক্তব্য গ্রামীন এলাকায় এইসব কালচার নেই। চিয়ারলিডারদের মাঠে না নামানো হলেই ভালো হত।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপএই বিষয়ে ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ মিদ্দা সাফাই, এখন সিনেমা, থিয়েটার বন্ধ। বিনোদন বলে কিছু নেই। তাই একটু বিনোদন দিতেই এই আয়োজন রাখা হয়েছিল। যদিও ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী কল্যাণ মিশ্র বলেন, খেলা হবে দিবসের অনুষ্ঠানে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু চিয়ার লিডারদের নাচের কোন অনুষ্ঠান ছিল না। কি করে এসব করা হল তা তিনি জানেন না । আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, জানি না কি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

আগস্ট ১৬, ২০২১
রাজনীতি

TMC: তৃণমূলে নতুন যুগ, 'এক নেতা-এক পদ'

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি-কে কার্যকর করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সাংগঠনিক পর্যায় আজ বড়সড় রদবদল করেছে। মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে তার জায়গায় সংগঠনে বেশ কিছু নতুন মুখকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে মজবুত করতে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো বড় জেলাগুলিকে ২-৩টি ভাগে ভেঙে নতুন ব্যক্তিদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?মুর্শিদাবাদ জেলাকে জঙ্গিপুর ও বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা থেকে বিভক্ত করে নতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে নদিয়া জেলাকে ও নদিয়া উত্তর বা কৃষ্ণনগর এবং নদিয়া দক্ষিণ বা রানাঘাট নামে দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে ভাগ করা হয়েছে ৪টি সাংগঠিক জেলায়।এগুলি হল দমদম-ব্যারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট ও বারাসত। কলকাতায় উত্তর ও দক্ষিণ দুটি সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে সুন্দরবন ও যাদবপুর-ডায়মণ্ডহারবার সাংগঠনিক জেলায়।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সংগঠনকে তমলুক ও কাঁথি এই দুই সাংগঠনিক জেলায় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরকে ঘাটাল ও মেদিনীপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা সংগঠনকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই জেলায় ভাগ করা হয়েছে। হুগলি জেলা সংগঠনকে ভাগ করা হয়েছে আরামবাগ ও হুগলি-শ্রীরামপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলায়। হাওড়া জেলা সংগঠন অবশ্য আগের মতোই হাওড়া সদর ও হাওড়া গ্রামীণ সংগঠনে বিভক্ত থাকছে। তবে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও সাংগঠিক জেলা তৈরি করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংগঠনিক রদবদল যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তাদের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া মৌসম বেনজির নূর, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী মত মুখেরাও তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন।আরও পড়ুনঃ ধুন্ধুমার ধর্মতলা, গ্রেপ্তার শুভেন্দু-দিলীপ-জয়প্রকাশরাযে সব জেলা সভাপতি এবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা ছিল। বাস্তবেও তাই হল। সেইসঙ্গে এক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। রাজ্য সহ সভাপতি করা হল ২ জনকে।রাজ্য-সহ সম্পাদক করা হল ৮ জনকে। রাজ্য কমিটিতে ১০ জনকে স্পেশ্যাল নিয়োগ করা হয়েছে।

আগস্ট ১৬, ২০২১
রাজ্য

TMC Murder: খড়দহে তৃণমূল নেতা খুনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

বিজেপি-র ছোড়া গুলিতে এক তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। শুক্রবার রাতের ঘটনা। এই ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চাপানউতর শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। গভীর রাতে খড়দহে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম রণজয় শ্রীবাস্তব। তিনি গাড়ি নিয়ে খড়দহের বিটি রোড ধরে টাটা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা ছুড়তে শুরু করে। গুরুতর জখম হন রণজয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।আরও পড়ুনঃ শুরুতে ধাক্কা সিরাজের, লর্ডসে অ্যাডভান্টেজ ভারতএ নিয়েই রাজনৈতিক তরজা বেধেছে তৃণমূল-বিজেপিদুই দলের মধ্যে। তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী এই ঘটনার পিছনে বিজেপিকে দায়ী করেছেন। আবার উল্টো দিকে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তারই পাল্টা অর্জুন সিং বলেন, প্রশান্ত চৌধুরীর বয়স হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কেসটা ঘোরানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমবাংলায় ১৮২ জনের ওপর বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। কালকেই সোদপুরে জয় সাহাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছে। কাজল সিনহার অনুগামীরা গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে। বিজেপি খুনের রাজনীতি করেনি। এটা পুরোপুরি ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের লড়াই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, খড়দহের বাগদিপাড়া এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মোট চার রাউন্ড গুলি চলে।

আগস্ট ১৪, ২০২১
কলকাতা

BJP: ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ঠিক যেন সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য। দরজা ভেঙে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনার জেরে মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুরো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম অবস্থা বেধে যায়।স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় একটি ক্লাবের উপরেও হামলা চালানো হয়। এর জেরে সজলের নেতৃত্বে মুচিপাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল সমর্থকেরাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। থানার মধ্যেই দুতরফের বাদানুবাদ হয়। শুক্রবার সকালেও দুদলের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের স্থানীয় এক যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে সজলের সঙ্গীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সজল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ইভ টিজিং-এর দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছেন সজল এবং বিজেপি। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান অব্যাহত, আজ যাচ্ছেন ৯ সাংসদশুক্রবার দুপুরে মুচিপাড়া থানার পুলিশকর্মীরা সজলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। মুচিপাড়া থানার ওসি জানলা দিয়ে সজলকে বাড়ির বাইরে আসার কথা বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, দরজা ভাঙুন। এর পর পুলিশকর্মীরা লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সজলকে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সজলের বাবা প্রদীপ-সহ পরিবারের সদস্যেরা। একদা কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের নেতা প্রদীপ কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা এবং মেয়র পারিষদ পদে ছিলেন। সজলের গ্রেপ্তারির পরে প্রদীপ বলেন, শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সজলকে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
রাজ্য

Laxmir Bhandar: ফর্ম বিলির আগেই বিতর্কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ফর্ম নিয়েও জালিয়াতি। ঘটনায় শিলিগুড়ি সংলগ্ন আমবাড়িতে এক তৃণমূল নেতাকে সপরিবারে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ফর্ম টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছিলেন বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ির বাসিন্দা বাপ্পা দে সরকার এবং তাঁর দাদা বাপি দে সরকার। বাপ্পা এলাকায় তৃণমূলের এসসি, এসটি, ওবিসি সেলের বুথ সভাপতি। এই ঘটনায় বাপ্পা এবং তাঁর দাদা-সহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম ১৬ তারিখ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই দেওয়া হবে। এছাড়া আর অন্য কোনও ফর্ম গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি ফর্ম নিয়ে কোনও জালিয়াতি হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্বেও এই অভিযোগ উঠে এসেছে।আরও পড়ুনঃ মুক্তি পাচ্ছে হরোর স্টোরিস, টেনশনে পরিচালকপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা বাপ্পা দে সরকার, তাঁর দাদা বাপি দে সরকার এবং বৌদি শিখা দে সরকার ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিত্ মহন্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হবে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুদিন ধরেই বাড়ি থেকে ফর্ম বিক্রি করছিলেন। এবং ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দিতে বাধ্য করেছিলেন। প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের ফর্মের দাম হিসেবে ১০০ টাকা, ফর্ম ফিল আপ করার জন্য আরও ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় হইচই। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের পিছিয়ে পড়া জনজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের ফর্ম মিলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান অব্যাহত, আজ যাচ্ছেন ৯ সাংসদস্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুদিন ধরেই বাড়ি থেকে ফর্ম বিক্রি করছিলেন। এবং ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দিতে বাধ্য করেছিলেন। প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের ফর্মের দাম হিসেবে ১০০ টাকা, ফর্ম ফিল আপ করার জন্য আরও ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় হইচই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুধু তাই নয়, ওই সদস্যা এক্কেবারে দেখিয়েই দিলেন কীভাবে ওই ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। কিন্তু তাঁর দাবি, পাড়ার দোকানেই নাকি এখনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি হচ্ছে। তিনি শুধু ফর্ম ভর্তি করে দিচ্ছেন। আর তার জন্য যে তিনি ৫০-৬০ টাকা করে নিচ্ছেন, তাও স্বীকার করে নিলেন এক বাক্যেই। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
দেশ

Congress: ৫ কংগ্রেস নেতার অ্যাকাউন্ট ব্লক করল টুইটার! কেন? জানুন

কেবল রাহুল গান্ধি নয়, বন্ধ করা হয়েছে একাধিক শীর্ষ কংগ্রেস নেতার টুইটার অ্যাকাউন্টও। বুধবার এমনই অভিযোগ করল কংগ্রেস। দেশের এই সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটির অভিযোগ, টুইটারের তরফে বন্ধ করা হয়েছে কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ রণদীপ সুরজেওয়ালা, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন, লোকসভার সদস্য মণিক্কম ঠাকুর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং এবং মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেবের টুইটার অ্যাকাউন্ট।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপে প্রথম পর্বের বাধা টপকাতে পারবেন? কী বলছেন হাবাসএই অভিযোগকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র কলকাঠি নাড়ায় রাহুল গান্ধি-সহ তাঁদের শীর্ষ নেতাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে টুইটার। কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তাঁদের দাবি, এরপরেও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের সমস্ত অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হবে দল। এদিকে, বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেন, পকসো আইনের ৭৪ নম্বর ধারা ভেঙেছেন রাহুল গান্ধি। এরপরই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, রাহুল গান্ধির টুইটার অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। যদিও টুইটারের তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার হয়।

আগস্ট ১২, ২০২১
রাজনীতি

Tripura-FIR: ত্রিপুরা-কাণ্ডের জের, অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর

তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ ত্রিপুরা সরকারের। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করল ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানায় অভিষেক-সহ ৫ বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকার ভয় পেয়েছে, পাল্টা টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ।Tripura: অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।ভয় পেয়েছে বিজেপি। pic.twitter.com/QHLBbkZTAT Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা অভিষেক-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসেরও। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।কেন দেবাংশু ভট্টাচার্যদের আদালতে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে, তারও বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা দীর্ঘসময়ে থানায় বসে ছিলেন। আদালতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পদস্থ দুই কর্তা এসডিপিও ও অ্যাডিশন্যাল এসপি-র সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা।অভিযোগপত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন পুলিশকর্তা। তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে বিজেপির দালাল বলে থানার মধ্যে বসেই দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা পুলিশের কোনও কাজেই বাধা দেননি। বরং তাঁরা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী ধারায়, কোন মামলায় তাঁদের দলে নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এই মামলা অত্যন্ত হাস্যকর।অন্যদিকে, গ্রেপ্তার করা অবস্থায় ত্রিপুরা পুলিশ ২৪ ঘণ্টা জয়াদের এক গ্লাস জলও দেয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঘটনার দিনের একটি ভিডিও টু্ইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাশ্রী দেওয়া উচিত। কারণ, তাঁর অভিযোগ সবটাই মিথ্যা। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জয়া ও সুদীপ, ২ জনেই জল খাচ্ছেন। যদিও এই টুইটের পাল্টা দিয়ে কুণাল টুইট করে বলেন, সবটাই মিথ্যা। জল এনে দিয়েছিল তৃণমূলের কর্মীরাই।শুভেন্দু মিথ্যা বলছে।জল আমাদের কর্মীরা এনে দিয়েছে।সুদীপ, জয়ার আঘাতের চিকিৎসা না করে গ্রেপ্তারির পর রুটিন প্রেসার দেখা হয়েছে।দলবদলু আগে বলুক 2014তে BJP 16/8 খেলার জন্য পালন করলেও ও কেন এখন খেলা দিবসের বিরোধিতা করছে?আর শিশিরদা কোন দলে ভাবা শেষ হল? https://t.co/bxmIsdt9ht Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021

আগস্ট ১১, ২০২১
রাজ্য

Boikanthapur GP: পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েতে অফিসে ঢুকে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ উঠল খোদ অঞ্চল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।এদিনই সন্ধায় অঞ্চল তৃণমূল নেতা মোজাম্বেল শাহের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শর্মিলা মালিক। এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।আরও পড়ুনঃ নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রধান শর্মিলা মালিক জানিয়েছেন, এদিন বৈকন্ঠপুর ২ অঞ্চলের হাটশিমুল গ্রামের কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনা করছিলেন। ওই সময়ে দুই জনকে সঙ্গে নিয়ে মোজাম্মেল শাহ পঞ্চায়েত অফিস রুমে ঢুকে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেবে বলে রীতিমত শাসায়। পঞ্চায়েত কর্মীরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহকে এরপর পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিক বলেন, তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহর এমন হুমকি শাসানির করণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বর্ধমান থানায় মোজাম্মেল সাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান এদিন আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও সদস্যা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু তাতে তাঁরা সফল হয়নি। সেই থেকে তাঁরা পঞ্চায়েতের কোনও মিটিংয়ে আসছেন না। ফলে এলাকার উন্নয়নের কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অবস্থা তৈরি হওয়ার জন্য মোজাম্মেল শাহ তাঁকে দায়ী করে হামেশাই শাসায়। এমনকী প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে উদ্দশ্য করে ওই তৃণমূল নেতা আক্রমণ করে চলেছেন বলেও প্রধান শর্মিলা মালিকের অভিযোগ।আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পেলেন জামালপুরের আদিবাসীরাপঞ্চায়েত প্রধান এমন অভিযোগ করলেও তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহ তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে জানতে গিয়েছিলাম কেন এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। উল্টে প্রধান মেজাজ হারিয়ে তার টেবিলে থাকা কাগজপত্র ফেলে দেন। পঞ্চায়েতে যদি সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্য উন্নয়নের কাজ না হয় তাহলে তার নৈতিক দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রধানের নিজের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মোজাম্বেল শাহ দাবী করেছেন। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কি ঘটেছে তা জানা নেই। তবে দলের উর্ধ্বে উঠে কেউ নিজের মতো করে কিছু দাবী করতে পারে না। সমস্যা বা অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বকে জানাতে হবে। এটাই আমাদের দলের নিয়ম। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দন কটাক্ষ করে বলেন, ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই ওনাদের অশান্তি বলে শুনেছি।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজনীতি

BJP: দিল্লি দরবারে যেতে চান রাজ্য বিজেপি নেতারা

ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ বাংলার সার্বিক চিত্রটা কী রকম তা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চায় বঙ্গ বিজেপি শিবির। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা শীঘ্রই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই সাক্ষাৎ-পর্ব হবে বলেই সূত্রের দাবি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই জন্য সময়ও চেয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। সেখান থেকে সবুজ সংকেত এলেই সাংসদরা হাজির হবেন। সূত্রের দাবি, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন দিলীপ ঘোষরা। বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতে পারে তাঁদের।উল্লেখ্য, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জমা করা রিপোর্ট মানতে রাজি নয় রাজ্য। এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাহায্য চেয়ে সমস্যা সমাধানে পথ বের করতে নাছোড় রাজ্য বিজেপি। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগস্ট ০১, ২০২১
দেশ

Mamata-Kamalnath: মমতার 'ক্ষমতায়' বিশ্বাসী কমলনাথ

বিরোধী জোটে সিলমোহর দিতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন। বুধবার তা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। এই সময় কমলনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মমতা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর, ২০০১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট গড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কমলনাথের। তাই সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার আগে কমলনাথের সঙ্গে পরামর্শ করেই মমতা এগোতে চাইছেন বলে জল্পনা।আরও পড়ুনঃ ইরাক থেকে সরবে মার্কিন সেনামঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোয় মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন কমলনাথ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কোনও মন্তব্য করেননি যদিও। তবে ২০২৪-এ জোট গড়ার প্রসঙ্গ যে তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। মমতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে কমলনাথ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে এসেছিলাম। মূল্যবৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০২৪-এর আগে জোট গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, মানুষ পাশে থাকলে, যে কোনও শক্তিকেই রোখা সম্ভব। ২০২৪-এ বিরোধী জোটের চালকের আসনে মমতাকে বসানোর ক্ষেত্রে কমলনাথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

জুলাই ২৭, ২০২১
কলকাতা

BJP: আচমকাই মত্যু বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকারের

বিজেপির যুব মোর্চার বৈঠকের শেষে বড় দুর্ঘটনা। এদিনের বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। বৈঠক শেষে দরুণ বিজেপি যুব মোর্চা সহ সভাপতি রাজু সরকার আচমকাই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে খবর সূত্রের।আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়াহেস্টিংসের দপ্তরে দুদিনের বৈঠক চলছিল যুব মোর্চার। সেই বৈঠকের শেষের উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয় এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন যুব মোর্চার-সহ সভাপতি রাজু সরকার। এরপর আলোচনা শেষে তিনি অফিস থেকে বেরিয়েও যান। পরে নিজের ফেলে যাওয়া ডায়েরি নিতে ফের অফিসে আসেন। তখনই বেরিয়ে আসার সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও শয্যা মেলেনি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইএম বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, দমদমের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রাজু। তাঁর মৃত্যুতে যুব মোর্চায় নেমে এসেছে শোকের আবহ।এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Pegasus Row: বড় খবর: দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতার

ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য সরকার। সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা ঘোষণা করেন। দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করেছে রাজ্য সরকার।সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করেছি আমরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন লকুর ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এই তদন্ত কমিশনের দায়িত্বে থাকবেন। এনকোয়্যারি অ্যাক্ট (১৯৫২)-এর আওতায় এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রথম কোনও রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হল তদন্ত কমিশন। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে কমিশন গঠনের প্রস্তাবে সিলমোহর পড়ল। কমিশনের দায়িত্বে রয়েছেন ২ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এদিন কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি না জাগে, তাঁকে জাগাতে হয়। আশা করব আমাদের পদক্ষেপ বাকিদেরও জাগিয়ে তুলবে।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিক টিটির তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন শরথ কমলউল্লেখ্য, আজ দুপুরেই দিল্লি উড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজধানীতে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তবে, দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পেগাসাস ব্যবহার করে সাংবাদ মাধ্যম, আইনজ্ঞ মহল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নাগরিক সমাজকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সংসদ চলাকালীন আমরা ভেবেছিলাম, সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতিকে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয়ই তদন্ত করাবে। সেক্ষেত্রে মানুষ বিচার পাবে। কিন্তু আমরা যখন দেখলাম সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তখন দিল্লি যাওয়ার আগে আমি বিচার বিভাগীয় কমিশন তৈরি করে দিলাম।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর

সোমবারই জেলার পুলিশ সুপারকে কাশ্মীর বদলির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এক ডজন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।করোনাকালে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে জমায়েত করা-সহ একাধিক কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তমলুক থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করেছে। এফআইআরে শুভেন্দু ছাড়াও নাম রয়েছে একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং নেতাদের। ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্ডা, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি, খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কান্তি দাস এবং হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নাম রয়েছে এই এফআইআর-এ।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো থেকে একাধিক অভিযোগে সোমবার তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। জেলার বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও সেই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সমাবেশ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথকে কাশ্মীরে বদলির হুমকি দেন তিনি।পুলিশ সূত্রে দাবি, বেআইনি জমায়েত, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ফোনে আড়িপাতা, পুলিশকে হুমকি দেওয়া, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০ টির বেশি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

জুলাই ২০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal