বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।
বর্ধমান পুরসভার উন্নয়ন নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশা। তাঁর দাবি, দুএকটি ওয়ার্ড ছাড়া পুর এলাকার কোনও ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা হয়নি বেশিরভাগ ওয়ার্ডে। বরং না নোটিশ দিয়ে ফুটপাতের দোকান ভাঙতে মরিয়া। বসির আহমেদ বলেছেন,বর্ধমান পুরসভা এলাকায় ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া কোনও ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়ৃনি। ৩৩টা ওয়ার্ডে কোনও কাজ হয়নি। দেখাতে পারবেন কোথায় কি রাস্তা হয়েছে? এক ঘন্টা বৃষ্টিতে বাবুরবাগ ডুবে গিয়েছে। প্রতিবছর লহর সংস্কার হয়। এবছর লহর সংস্কার হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু হয়নি। চেয়ারম্যান ও বিধায়কদের জানিয়ে কিছু হয়নি। শুধু ফুটপাতের দোকানদারদের ওপর হিংসা। তাদের উচ্ছেদ করতে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। অন্ধকারে এসে দোকান বন্ধ ছিল ভেঙে চলে গিয়েছো। এর ফল পাবে। আমরা কিছু করতে করতে পারব না। বিধানসভা ভোটেই পাবে। লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল লিড পেয়েছে। কিন্তু এরপর জনগন কি করবে জানি না। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মাস পিটিশন করে বিষয়টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। কোথাও হকার উচ্ছেদ নেই অথচ ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে হকার উচ্ছেদ হচ্ছে।
এলাকার উন্নয়নের দাবিতে ভোট দিতে গেলেন না এক হাজারেরও বেশি ভোটার। এমনকি অরন্ধন পালন করে গ্রামের রাস্তায় মহিলা ভোটারেরা হাতে এলাকার সমস্যার প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তব্যরত অফিসারেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোটারদের বুঝিয়ে ভোটমুখী করতে পারেন নি। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর মালদার হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথেই এমন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বুথে ১৩৮১ জন ভোটার রয়েছে। তারাই এদিন এলাকার রাস্তা, পরিশ্রুত পানীয় জল সহ একাধিক দাবি নিয়েই ভোট বয়কট করেন। এমনকি মহিলারা ভোটারেরা এদিন সকাল থেকে রীতিমতো অরন্ধন পালন করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। এদিন বিক্ষোভকারী মহিলা ভোটার সুজাতা মন্ডল, রেবতী মন্ডল, দেবিকা হালদারদের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের ধরে গ্রামের রাস্তা খারাপ। পানীয় জলের অভাব রয়েছে । পাকা সেতুর অভাবে নদী পথে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিগত নির্বাচন গুলিতেও এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। তাই এবারে বাধ্য হয়ে ভোট বয়কটের পথে নামতে হয়েছে। এদিন অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমেই ভোট বয়কট করা হয়। যদিও এদিন এই ঘটনাটি ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চপারে আয়কর হানাযেদিন কমিশনের ফুল বেঞ্চ দিল্লিতে প্রেস মিট করেছিল সেদিনই তারা বলেছিল রাজনৈতিক নেতারা যে চাটার্ড ফ্লাইট বা চপার ব্যবহার করবেন সেখানে তল্লাশি করা হবে। সেই দায়িত্ব আয়কর বিভাগ কে দেওয়া হয়েছিল। একবার মনে করে দেখুন। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের আইন সবার জন্য সমান। আইন আলাদা হতে পারেনা। এখানে পিসি ও ভাইপোর জন্য আলাদা আইন হবে না। আপনারও একটা ভোট। দেশের রাষ্ট্রপতিরও একটা ভোট। তিনি ভিডিওগ্রাফি করেছেন, করতে পারেন। জোর করে বয়ান আদায়ের চেষ্টা : শেখ শাহাজাহানআমি বলতে পারব না। অভ্যন্তরীণ বক্তব্য। তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে শেখ শাহাজাহান যে অভিযুক্ত এটা সন্দেশখালির লোকেরাই বলেছে। গতকালও আমার পদযাত্রা ছিল। মা বোনেরা বলেছেন তারা নতুন করে পয়লা বৈশাখ পালন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রমাণিত যা যা অভিযোগ তাতে শেখ শাহাজাহান যুক্ত এটা প্রমাণিত। উত্তরবঙ্গের ত্রাণ বিতর্কওরা মিথ্যাবাদী। পিসি মিথ্যাবাদী। ভাইপো মিথ্যাবাদী। একটা ঝাড়ে আলাদা বাঁশ হয়না। ৯ তারিখ অনুমতি পেয়ে গেছে। ১২ তারিখ হাওয়া গরম করছে যে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পিসি ভাইপো দুজন মিলে বাজার গরম করছে। আমাকে নবান্ন থেকে লোক কাল এটা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি ট্যুইট করে দিয়েছি। সব অফিসাররা এখনও পিসি ভাইপোর পে রোলে যায়নি। এখনও মেরুদন্ড অনেকের সোজা আছে।
৮ ফেব্রুয়ারি ছিল সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রর জন্মদিন। এই জন্মদিন তিনি শান্তিনিকেতনে উদযাপন করলেন। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। সেই ভিডিওতে ছোটবেলার স্মৃতি থেকে শুরু করে ৫৫ তম জন্মদিন উদযাপনের আনন্দ তাঁর প্রিয় মানুষ থেকে শুরু করে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন।ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে লোপামুদ্রা বলেন তাঁর বাড়িতে নিয়ম ছিল মেয়েদের চালের পায়েস খাওয়া যাবে না। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুড়ি অতিথি নিবাসে তিনি এই বিশেষ দিনটি কাটান। তিনি অত্যন্ত অবেগপ্রবন হয়ে পড়েন সেখানকার আতিথেয়তায়, এবং বলেন এটা তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি। সেখানে তাঁকে একেবারে অন্ধকারে রেখে সোনাঝুড়ি অতিথি নিবাসের পক্ষ থেকে তাঁর জন্মদিন একটা সারপ্রাইস দেন চিতুদি। লোপামুদ্রা জানান তাঁর জন্মদিনে চিতুদি চালের পায়েস, পালং শাক, ডাল, পোস্ত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, খাসির মাংস, ইলিশ মাছ ভাজা ও পাঁপড় বানিয়েছিল জন্মদিনের মেনুতে। তিনি আরও বলেন যে, এরকম আনন্দ তিনি জীবনে বহুদিন পাননি বলেও উল্লেখ করেন।তবে এই ছোট্ট ভিডিওতে নিজের অজান্তেই একটা নীরব প্রতিবাদ বা আক্ষেপও করে বসেছেন। মেয়েদের জন্মদিনে চালের পায়েস খাওয়া যাবে না। এটা যতটা না সংস্কার তাঁর চেয়েও অনেক বেশী পুরুষ-মহিলা ভেদাভেদ। সেই প্রচলন আজও প্রবাহমান। তিনি তাঁর এই বিশেষ দিনে চালের পায়েস খেয়ে নীরবে একটা শ্লেষ ছুঁড়ে দিলেন তথাকথিত পুরুষ শাসিত সমাজের দিকে।ভিডিওর নীচে কমেন্ট বক্সে অনেক কমেন্ট ও আসে। লাজবন্তী রায় লেখেন, শুভ জন্মদিন লোপাদি। খুব ভালো কাটুক তোমার আগামীদিন গুলো। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আরও অনেকের শুভেচ্ছা এই বিশেষ দিনে পেয়েছেন তিনি।
ছোট বয়স থেকেই সরকারি আমলা হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তাই ডাক্তারি পাশ করে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হওয়ার পরেও অরুণ কুমার বিশ্বাস সরকারী আমলা হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। তাঁর সেই স্বপ্নও পূরণ হয়। তবে রোগীর চিকিৎসা করা থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের বিডিও অরুণ বিশ্বাস এখন ডাক্তার বিডিও নামেই স্বনামধন্য হয়েছেন। তাঁকে নিয়ে ভাতারবাসীর গর্বের অন্ত নেই।আরও পড়ুনঃ মন্দির দর্শনে এসে পানা পুকুরে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু শিশু পুত্রেরমালদার মঙ্গলপুরে বাড়ি অরুণ কুমার বিশ্বাসের। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০০৯ সালে ডাক্তারি পাশ করেন।তারপর এক বছর মানবাজার ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি করেন।অরুণবাবু জানান, চিকিৎসক হিসাবে মানবাজারের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি করলেও আমলা হওয়ার বাসনা তিনি ত্যাগ করতে পারেননি। তাই হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। তবে ইউপিএসসি না পেলেও ১০১৭ সালে ডাব্লুবিসিএস পরীক্ষায় পাশ করেন। ২০১৯ সালে কাজে যোগ দেন। প্রথম পুরুলিয়ার ঝালদা ২ ব্লকের বিডিও হন। এখন তাঁর ঠিকানা ভাতার ব্লক। আমলা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ঠিকই তবে ছুটির দিনে তিনি রোগীদের চিকিৎসা করার কাজটাও সমানতালে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ২০০২ সালে ২৬ ডিসেম্বর বিডিও সাহেবের মা হেমালিনিদেবী মারা যান। রবিবার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই ভাতারের ব্লক অফিসের একটি ঘরে বসে রোগীর চিকিৎসা করার কাজ শুরু করেন বিডিও অরুণ বিশ্বাস। ওই দিন তিনি ২৬ জনের চিকিৎসা করেন। এখন থেকে সরকারি ছুটির দিনে রোগীর চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করবেন বলে বিডিও মনস্থির করেছেন। বিডিও অরুণ বাবু এদিন বলেন, প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব সামলে তবেই চিকিৎসা করবেন। যতটুকু সময় মিলবে ততটুকু সময় তিনি সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করতে চান। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।আরও পড়ুনঃ শেষ হল জতুগৃহ-র শুটিংভাতারের কাঁচগোরিয়া গ্রামের মামনি ঘোষ ও বামশোর গ্রামের জিলাই শেখ এদিন বলেন, বিডিও সাহেব চিকিৎসা করবেন জেনে ব্লক অফিসে ছুটে গিয়েছিলেন। বিডিও সাহেব ওষুধ লিখে দিয়েছেন। ডাক্তার বিডিও সাহেব চিকিৎসা করা শুরু করায় ভাতারবাসীর প্রভূত উপকার হবে বলে জিলাই শেখ মন্তব্য করেন।আরও পড়ুনঃ ২০ জন কাউন্সিলরেই পুরসভা বিধায়কের কব্জায়! বর্ধমানে কর্মীসভায় তৃণমূল নেতার বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোলভাতার পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁদের কর্মীদের শারীরিক অসুস্থতা হলে কাজের ফাঁকে বিডিও সহেব চিকিৎসার পরামর্শ দিতেন। এ বার তিনি ব্লকের রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া শুরু করায় অনেকেই উপকৃত হবেন। এর ফলে বিডিও সাহেবের ডাক্তারি-বিদ্যাতেও মরচে পড়বে না। মহকুমাশাসক (বর্ধমান উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, প্রশাসনিক কাজ সামলে বিডিও তাঁর শিক্ষা প্রয়োগ করে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটা সত্যি ভালো উদ্যোগ।
রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভার দিনই গত দশ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট কার্ড এ কথাই তুলে ধরলেন দলীয় নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের একাধিক দফতরের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতর তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচির। আগামীকাল থেকে এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছাবেন তৃণমূলকর্মীরা। রাজ্যের মানুষ গত দশ বছরের মধ্যে যা যা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাই তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকেও তুলে ধরা হয়। এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে কথা বলেন দলের নেতারা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের ১১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষের বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে সরকার। এদিন দলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সরকার দশ বছরের মধ্যে ৮ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। করোনার জন্যে এক বছর, উপনির্বাচনের জন্যে বাকি ১ বছর কাজ করার সম্ভব হয়নি। তাও সরকার সমস্ত রকম ভাবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে। আর সেই কাজের খতিয়ান নিয়েই মানুষের দোরগোড়ায় এবার পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রের যে উদাহরণ তিনি টেনেছেন সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ তিন গুণ বেড়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও খাদ্য এই দুটি ক্ষেত্রেও বেড়েছে বরাদ্দ। যা উল্লেখ রয়েছে রিপোর্ট কার্ডের মধ্যে। গত দশ বছর ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার কী কী কাজ করেছে বাংলার মানুষের জন্যে, তার যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। যাকে এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, এটা আসলে শ্বেতপত্র। দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতার পরে চালু হচ্ছে নয়া প্রকল্প বঙ্গধ্বনি। যার মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবেন জনপ্রতিনিধি থেকে সাংগঠনিক পদের ব্যক্তিরা। তারাই মানুষের কাছে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে দেবেন। সেই উন্নয়নের চেহারাই প্রকাশ পাবে এই রিপোর্ট কার্ড পেশের মাধ্যমে। বারবারই মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নের গতি থামেনি। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও প্রতি মাসে সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশন দেওয়া হয়। এছাড়াও বিনাপয়সায় চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। আরও পড়ুন ঃ নাড্ডার সফরে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ, শাহকে চিঠি দিলীপের পাশাপাশি, গত ১০ বছরে রাস্তা থেকে পানীয় জল। বিদ্যুৎ থেকে সকলের জন্যে খাদ্যসাথী। স্বাস্থ্যসাথীর মতো বিশেষ সুবিধাও এনেছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা উন্নয়ন ইস্যুতে একাধিকবার আক্রমণ শানালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীরা একপ্রকার নিশ্চিত মানুষের কাছে তাঁদের উন্নয়নের খতিয়ান পৌঁছে যাবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ আস্থা রাখবে সেই উন্নয়নের উপরেই। তাই আজ থেকেই এই প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর জেলা নেতৃত্ব সেই বিষয়ে নিজেদের জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচার করবেন। শুক্রবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলন এবং মিছিল করে শুরু হবে বঙ্গধ্বনি যাত্রার প্রচার অভিযান। আগামী দশ দিনে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে ধারাবাহিকভাবে। জানা গিয়েছে, ওই যাত্রায় চার হাজার নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে ২৭ হাজার ৫০০ এলাকায় যাবেন। রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার জুড়ে ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন ওই প্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতানেত্রীরা। তৃণমূলের দশ বছরের রিপোর্ট কার্ড বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ২০২১ সালের দিদিকে বলো পকেট ক্যালেন্ডার।
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে দুজনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বিজয়া করতেই মূলত মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর নানা বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা যদিও খোলসা করে বলেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মিহির গোস্বামীর দলের অভিমান প্রসঙ্গেও সেভাবে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তাঁর কথায়, মিহিরদা পুরনো লোক। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মিহিরবাবু দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে পথে বাংলা পক্ষ কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানান, ফেসবুক পোস্ট ও কলকাতার নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব তথা দলনেত্রীর বার্তা পাওয়ার পরে যে সব কিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন। চিন্তন ও মন্থনের পরে যে সিদ্ধান্ত নেব, তা জনসমক্ষে জানিয়ে দেব।