• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kalna

রাজ্য

স্বামীর নিদান মানেনি, স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ

গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে নিদান দিয়েছিল স্বামী। সেই নিদান স্ত্রী না মানায় পেটে লাথি পেরে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙ্গা মোড় এলাকায়। যে ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত বধূর পরিজন ও প্রতিবেশীরাও। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বধূ চায়না বিবি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরেই রবিবার রাতে তিনি কালনা থানার দ্বারস্থ হন। গর্ভের সন্তানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা কারার জন্য তিনি তাঁর স্বামীকামালউদ্দিন মন্ডল সহ শ্বশুর বাড়ির আরও দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।ইতিমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে বধূর স্বামী সহ অপর অভিযুক্তরা।পুলিশ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে হুগলীর বলাগড় থানার আইদা গ্রাম নিবাসী তরুণী চায়নার সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার ধর্মডাঙ্গার যুবক কামালউদ্দিন মণ্ডলের। বধূ চায়না বিবি অভিযোগে জানিয়েছেন,বিয়ের পরেই তাঁর স্বামী তাঁকে এক আশ্চর্য ফতোয়ার কথা জানিয়ে দেন। চায়না জানান, তাঁর স্বামীর ফতোয়া ছিল স্বামীর সাথে সংসার করলেও নেওয়া যাবে না সন্তান। কিন্তু স্বামী সহবাস করা বন্ধ না করায় বিয়ের পর ছয় মাসের মধ্যে চায়না বিবি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আর তাতেই চটে যান কামালউদ্দিন। গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে দিতে হবে বলে তিনি তাঁর স্ত্রী চায়না বিবিকে নিদান দেন। চায়না বিবি এমন নিদান না মানায় স্বামী কামালউদ্দিন সহ শ্বশুর বাড়ির অন্য দুই সদস্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করেদেন।নির্যাতন বাড়লেও চায়না তাঁর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাননি। তার কারণে কামালউদ্দিন গত ৮ মার্চ তাঁর স্ত্রী চায়না বিবির পেটে সজোরে লাথি মেরে তাঁর গর্ভে থাকা ৪ মাসের সন্তানকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ।স্বামীর এমন নির্মম অত্যাচারের জেরে চায়নার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পাশাপাশি রক্তক্ষরণও শুরু হয়।চায়না জ্ঞান হারিয়ে শ্বশুর বাড়ির ঘরে লুটিয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এরপর কামালউদ্দিন ও তাঁর বাড়ির অন্য সদস্যরা বধূ চায়না বিবিকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েই পালিয়ে যান। এই খবর পেয়ে বধূর বাবার বাড়ির লোকজন দ্রুত কালনা হাসপাতাল ছুটে আসেন।বধূর ভাই শেখ বাপি বলেন ,হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে আমার বোনের গর্ভে থাকা মৃত চার মাসের সন্তানকে গর্ভ থেকে বেরকরে দিয়ে বোনকে কোনভাবে প্রণে বাঁচান। চায়না বিবি জানান, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের এমন নিষ্ঠুরতা তিনি মেনে নিতে পরেননি। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরেই রবিবার রাতে তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবীও করেছেন চায়না বিবি। পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

জাল দলিল চক্রের নাগাল পেতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে হেপাজতে নিল পুলিশ

জমির মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তিকেই হেপাজতে নিল পুলিশ। জাল দলিল তৈরি চক্রের পাণ্ডাদের নাগাল পেতেই পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে,কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দিয়ে জমির মিউটেশনা করাতে এসে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পিন্টু খাঁ ও তুষারকান্তি সরদার। দুজনেরই কালনা ১ ব্লকের বেগপুরের পশ্চিম সাহাপুরে। ব্লক ভূমি আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলিশ পিন্টু ও তাঁর সহযোগী তুষার কে গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ দুই ধৃতকে বুধবার কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক দুই ধৃতকেই ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ মনে করছে, হেপাজতে নেওয়া ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালালেই মিলবে জাল দলিল তৈরি চক্রে জড়িতদের হদিশ।ভূমি দফতরের আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ার জানিয়েছেন, মৃত বাবার নামে থাকা জমিজমা নিজের নামে মিউটেশন করানোর জন্য পশ্চিম সাহাপুর নিবাসী পিন্টু খাঁ কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরের অফিসে একটি দলিল সহ বেশ কিছু নথি জমা দেন।এদিন ছিল মিউটেশনের আবেদনের শুনানির দিন। শুনানির সময়ে পিন্টুর জমা দেওয়া দলিলে থাকা স্বাক্ষর দেখে ভূমি দফতরের রেভিনিউ অফিসারের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি সরকারি অফিসিয়াল সাইট খুলে দলিলের নম্বর খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। ওই দলিলে থাকা স্বাক্ষর ও তথ্য কোনও কিছুই সরকারি অফিসিয়াল সাইটে মেলে না। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দফতরের আধিকারিকরা সবাই নিশ্চিত হয়ে যান মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভূমি দফতরের আধিকারিকরা পিন্টু ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী তুষারকে ধরে ফেলে থানায় খবর দেয়। জাল দলিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ধৃতরা মুচলেখাও দেয়। এরপর পুলিশ এলে দুই অভিযুক্তকে আধিকারিকরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কালনা এসডিএলআরও তরুণ মন্ডল জানিয়েছেনএই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের কাউকেই রেয়াত করা হবেনা। জালিয়াতিতে ধরাপড়া দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও ধৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।

মার্চ ০৯, ২০২২
রাজ্য

জাল দলিল করে মৃত বাবার সম্পত্তি হাতাতে গিয়ে গ্রেফতার ছেলে-সহ সাকরেদ

জমির মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম পিন্টু খাঁ ও তাঁর সহযোগী তুষারকান্তি সরদার। দুজনেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের বেগপুরের পশ্চিম সাহাপুরে। মঙ্গলবার ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিকরা ওই দুই জালিয়াতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ব্লক ভূমি আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টু ও তাঁর সহযোগীকে রাতে গ্রেফতার করেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই কালনার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা মনে করছেন মোটা টাকার বিনিময়ে জাল দলিল তৈরি করে দেওয়ার চক্র জেলায় সক্রিয় হয়েছে।ভূমি দফতরের আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ার জানিয়েছেৌন, মৃত বাবার নামে থাকা জমিজমা নিজের নামে মিউটেশন করানোর জন্য পশ্চিম সাহাপুর নিবাসী পিন্টু খাঁ কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরের অফিসে একটি দলিল সহ বেশ কিছু নথি জমা দেন। এদিন ছিল মিউটেশনের আবেদনের শুনানির দিন। শুনানির সময়ে পিন্টুর জমা দেওয়া দলিলে থাকা স্বাক্ষর দেখে ভূমি দফতরের রেভিনিউ অফিসারের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি সরকারী অফিসিয়াল সাইট খুলে দলিলের নম্বর খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। ওই দলিলে থাকা স্বাক্ষর ও তথ্য কোন কিছুই সরকারী অফিসিয়াল সাইটে মেলে না। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দফতরের আধিকারিকরা সবাই নিশ্চিত হয়েযান মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়া হয়েছে।এর পরপরই ভূমি দফতরের আধিকারিকরা পিন্টু ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী তুষারকে ধরে ফেলে থানায় খবর দেয়। জাল দলিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ধৃতরা মুচলেখাও দেয়। এরপর পুলিশ এলে দুই অভিযুক্তকে আধিকারিকরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কালনা এসডিএলআরও তরুণ মন্ডল জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের কাউকেই রেয়াত করা হবেনা।জালিয়াতিতে ধরাপড়া দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মার্চ ০৮, ২০২২
রাজ্য

এ এক ভিন্ন ছবি, বুথ চত্ত্বরে ভোট উৎসবে মাতলেন শাসক-বিরোধী দলের তিন প্রার্থী

পুর ভোটে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রবিবার সারাটি দিন সোচ্চার থাকে বিরোধীরা। কিন্তু তারাই মধ্যে এদিন সম্পূর্ন উল্টোচিত্র দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানকার কালনা হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথ চত্ত্বরের বেঞ্চে এক সঙ্গে বসে হাসি ঠাট্টা করে খোশ মেজাজেই দিনটা কাটালেন তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীরা। যা দেখে শাসক ও বিরোধী সব দলের ভোটাররা ভিমড়ি খেয়ে যাবার মতন অবস্থা। কিন্তু তিন তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ, সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা বাগ ও বিজেপি প্রার্থী মামনি ঘোষ সেইসবকে কোন গুরুত্বই দিলেন না।বরং এক সুরেই তিন প্রার্থী জানিয়ে দিলেন, কোথায় কি হচ্ছে জানি না। তবে তাঁদের এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে যাকে খুশি জেতাবেন। সেটাই তাঁরা মাথা পেতে নেবেন।পুরভোটে কালনা পুরসভার একাধিক বুথে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থী ও এজেন্টরা । কিন্তু তারই মধ্যে ব্যতিক্রম থাকে কালনা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথে বসে আড্ডার মাঝেই তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থীরা ভোটারদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি দেখলেন। একই সঙ্গে ভোটসংক্রান্ত নিজেদের নানা কাজ ও যাঁকে ফোন করার তাও করলেন। পাশাপাশি ওয়ার্ডে যখন শাসক-বিরোধীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হাতাহাতি মারামারির উপক্রম তখন তৃণমূলের তনুশ্রী,সিপিএমের শর্মিষ্ঠা ও বিজেপির মামনি এক বঞ্চে একসঙ্গে বসে টিফিন সেরে চা খেয়ে রীতিমতো জমাটি আড্ডাও দিলেন। এনারই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ভোট আসলে গণতন্ত্রের উৎসব।তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ বলেন, ভোট উৎসবে খুব ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। আমরা তিন প্রার্থী একসঙ্গে ভোট উৎসব এনজয় করছি। বিজেপির প্রার্থী মামনি ঘোষ দাস বলেন, সকাল থেকে চা,টিফিন সবই আমরা একসঙ্গে খেয়েছি। কোন বিরোধ নয়। নিজেদের মতন করেই আমরা একসঙ্গে ভোট করছি। কোন অসুবিধা হয়নি। সিপিএমের প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা বলেন, মানুষ যাকে ভালোবাসবে তাঁকেই বেছে নেবে। আমারা সেটাই চেয়েছি। ভোটাররা যে রায় দেবেন সেটা আমরা মাথা পেতে মেনে নেব। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়াটাই হওয়াটাই বড় কথা।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও লুঠের পুরভোটের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা

পুর ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে দলীয় মুখপত্রে বার্তা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বাস্তবে রবিবার পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় ঠিক তার উল্টোটাই ঘটলো। বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, বিরোধী দলের এজেন্টের উপরে হামলা সবেতেই অভিযোগের আঙুল উঠলো শাসক দলের দিকে। এমন পুর ভোট দেখে তিতি-বিরক্ত ভোটাররাও। রাজ্যের যে ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন এদিন ভোট হয় তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরা পুরসভাও ছিল। এদিন ভোট শুরুর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই গোলযোগ অশান্তি শুরু হয়ে যায় গুসকরা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। গুসকরার শান্তিপুর পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বুধে ব্যাপক গণ্ডগোল বেঁধে যায়। বহিরাগতরা বুধে ঢুকে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয় সিপিএমের প্রার্থী ও এজেন্টরা। একই অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হন এলাকার ভোটাররাও। পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্কৃয়তার অভিযোগ তুলে তাঁরা সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয়ে যায় পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া। ইটের আঘাতে চোট পান গুসকরা ফাঁড়ির আই সি অরুণ সোম সহ ৪ পুলিশ কর্মী। এর পরেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। এমন গোলযোগ অশান্তির জন্য প্রায় আধ ঘন্টা ভোট গ্রহন থমকে থাকে সংশ্লিষ্ট বুথে। গুসকরা পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দি সিপিএম, বিজেপি উভয় বিরোধী দলের প্রার্থী ও এজেন্ট দের অভিযোগ, বেলা বাড়তেই গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের সব বুথেরই দখল নিয়ে নেয় শাসক দলের বহিরাগত দুস্কৃতিরা। ওই দুস্কৃতিরা বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের বুথ থেকে বাইরে বের করে দিয়ে অবাধে ছাপ্পা দিয়ে গেছে। এমনই অভিযোগ এদিন করেছেন জেলা সিপিএম নেতা আলমগীর মণ্ডল ও গুসকরার বিজেপি নেতা পতিতপাবন হালদার।পৌরসভা নির্বাচনএকই ভাবে এদিন কালনা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডেও গোলযোগ অশান্তির ঘটনা ঘটে। কালনা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বিকা মহিষমর্দিনী প্রাথমিক স্কুলের বুথের দরজা বন্ধ করে পুলিসের সামনেই তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেবার অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে ছাপ্পা ভোট দেবার ছবি। তা বুঝতে পেরেই মুখ ঢেকে বুথ থেকে ছুটে পালায় ওই ভুয়ো ভোটার। ছাপ্পা চলাকালীন ওই বুথে ভোট দিতে গিয়ে নিগৃহীত হয়ে এক ছাত্র বুথ চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী কারফা। কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভদেব হাজরা অভিযোগ করেছেন, কালনার শশীবালা স্কুলের বুথ ভোট শুরুর আগেই তৃণমূল কর্মীরা মারধোর করে তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেয় যদিও তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী এই অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। কালনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধীক বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএম প্রার্থী পিয়ালী মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতা কর্মীরা। পিয়ালীদেবী বলেন, ভোটের একদিন আগেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা তাঁকে ব্যাপক মারধোর করে, মাথা ফাটিয়ে দেয়। আর এদিন ভোট শুরুর প্রথম থেকেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা বুথে বুথে ঢুকে ভোট লুঠ শুরু করে দেয়। বাইক বাহিনী হঠাৎ কালনার মহিষমর্দিনী গার্লস স্কুলের বুথে ঢুকে ইভিএম ভেঙে দেয় বলে সিপিএমের অভিযোগ। বাইক বাহিনী সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীদের মারধোরও করেছে বলে অভিযোগ। এইসবের জন্য ওই বুথে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ভোট লুঠের জন্য পুলিশকে দায়ী করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীরা। তাঁরা কালনার নিভূজি মোড়ে সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেয়। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ জোর-পূর্বক অবরোধ তুলে দেয়। মেমারি পুরসভার ভোটে তেমন কোন বড়সড় গোলযোগ আশান্তির অভিযোগ বিরোধীরা তোলেন না। তবে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে মেমারির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুরের ২১০ ও ২১২ নম্বর বুথে। বহিরাগতরা বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিতে গেলে বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটাররা একজোট হয়ে তা রুখে দেয়। তা নিয়ে স্কুল চত্ত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পৌরসভা নির্বাচনবর্ধমান পৌরসভার ভোটেও নির্বাচনের নামে ব্যাপক ভোটলুঠ ও বুথে বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছে। পুর-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকালে বর্ধমান সদর মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রার্থীরা প্লাকার্ড হাতে সেখান মাটিতে বসে পড়েন। তার আগে পুলিশের সাথেও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বচসাও হয়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। একই ভাবে ভোটগ্রহণের শেষে বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সন্ধ্যায় কার্জন গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় বাম, বাম ছাত্র-যুব ও অন্যান্য গণসংগঠনের প্রতিনিধরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুরভোটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ভোট লুঠ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কুশপুতুল পোড়ায়। বিক্ষোভের শেষে দলের নেতা অমল হালদার বলেন, জেলার ৬ টি পুরসভার ভোটেই নিরব সন্ত্রাস ও ভোট লুঠ চলেছে। গোটা রাজ্যেই ভোটলুঠ হয়ে হয়েছে। মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তারা পথে নেমেছেন। এই কর্মসূচি চলাকালীন কিছু উচ্ছৃঙ্খল বাম সমর্থক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে অবশ্য উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,যেমন সিপিএম তেমনই বিজেপি। সংগঠন নেই জনসমর্থনও নেই। শুধু অভিযোগ তুলেই বিরোধীরা পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার কৌশল নিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

পুর ভোটের আগে হুমকির অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপি প্রার্থী ও নেতারা

রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোট। তার প্রাক্কালে শনিবার থেকেই নানা অভিযোগ ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোট রাজনীতির ময়দান। কোথাও বাড়ি গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে হুমকি, আবার কোথায় ফোনে হুমকি দেবার অভিযোগ।যা নিয়ে ভোট শুরুর আগেই রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ বুহুগুন চড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কালনা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থী হয়েছেন মানিক দাস। ওই ওয়ার্ডের ২৩৩(ক) বুথে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট মৌসুমি পালের বাড়িতে গিয়ে এদিন দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ বসু অপহরণ ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ ।ঘটনা বিষয়ে এদিনই কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এই সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণদিত বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ও তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে এদিনই দুপুরে হুমকি ফোন পেয়ে কাটোয়া থানার দ্বারস্থ হন কাটোয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ মোদক। পুলিশকে তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, এদিন সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটের পর থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। প্রশেনজিৎ বাবু জানিয়েছেন, যে ফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই ফেন নম্বার উল্লেখ করে তিনি কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে পরাজয় যে নিশ্চিৎ তা বুঝে গিয়ে বিজেপির নেতা, কর্মী ও প্রার্থীরা এখন নানা নাটক ফাঁদছে। নানা মিথ্য অভিযোগ করে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে। তবে এইসবে কিছু লাভ হবে না। বিধানসভা নির্বাচনের মতোই পুর ভোটেও বাংলার মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার তিন ছাত্র, উৎকণ্ঠায় পরিবার

ইউক্রেনে বেজে গিয়েছে যুদ্ধের দামামা। রাশিয়া ও ইউক্রেণের মধ্যে প্রতিনিয়ত চলছে গুলি-গোলার লড়াই। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই প্রাণ গিয়েছে শতাধিক মানুষের। এমন যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরিস্থিতির মধ্যেই একরাশ আতঙ্ক বুকে নিয়ে ইউক্রেনে আটকে রয়েছে বহু ভারতীয় ছাত্র ছাত্রী। আটকে পড়াদের মধ্যে এই রাজ্যের পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার তিন বাঙালি পড়ুয়াও রয়েছে। সন্তানরা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেণ থেকে কিভাবে বাড়ি ফিরবে তা ভেবেই এখন চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন এই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের খারকিভে আটকে রয়েছে কালনার পূর্বস্থলীর চুপি কালীতলা এলাকার ছাত্র শেখ আকিব মহম্মদ। এখন ছেলে ইউক্রেনে কি অবস্থার মধ্যে রয়েছে, কি ভাবে বাড়ি ফিরবে তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর বাবা মা। ছেলের কথা ভেবে শুক্রবার সকাল থেকে বাবা মায়ের উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে গিয়েছে।পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আকিব মহম্মদ ২০১৮ সালে ইউক্রেনে খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার জন্য যায়। তার পর থেকে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর বৃস্পতিবার থেকে আকিবকে রাখা হয়েছে আণ্ডারগ্রাউণ্ডে। সেখানে তাঁর সঙ্গেই রয়েছে পাঁচশোজন ভারতীয় ছাত্র ছাত্রী। তাঁরা সবাই ডাক্তারি পড়ুয়া। সবাই সেখানে আতঙ্কে রয়েছে। চেহারা মোটা হওয়ায় আণ্ডারগ্রাউণ্ডের ভিতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে বলে আকিব তাঁর পরিবারকে জানিয়েছে। এছাড়াও সে তার পরিবারকে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এটিএম পরিষেবা। এখন তাঁর কাছে আছে কিছু শুকনো খাবার। এইসব জেনে পূর্বস্থলীর বাড়িতে আকিবের বাবা মা সহ পরিবারের সবাই চোখের জল ফেলে দিন কাটাচ্ছেন।আকিবের বাবা শেখ আমজাদ ও মা সুলতানা বেগম তাঁদের ছেলেকে দ্রুত দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা চাইছেন, কেন্দ্রের সরকার যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেণনে আটকে থাকা সকল ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক।একই ভাবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পরিস্থিতিও যথেষ্ট ভয়াবহ। সেই কিয়েভে এখন আটকে রয়েছে কালনার মুক্তারপুর এলাকার একই পরিবারের দুই পড়ুয়া দীপক হালদার ও বিভাস হালদার। তাঁরা কম্পিউটার ডিপ্লোমা করতে ইউক্রেনে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এই পড়ুয়াদের পরিবার সদস্য ধনঞ্জয় হালদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুই ভাই হোস্টেল ছেড়ে ভারতীয় দূতাবাসে চলে গিয়েছে। ওই দিন অনলাইনে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে। বিভাষ ও দীপক দুজনেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মুহুর্মুহু রাশিয়ান হামলায় ত্রস্ত হয়ে রয়েছে গোটা ইউক্রেন। তাই দুই ভাই সেখানে এখন শুকনো খাবার খেয়েই রয়েছে। ভারত সরকার দ্রুত দুই সন্তানকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক এই আর্জি প্রশাসনের কাছে রেখেছে তাঁদের বাবা মা। পরিবারের সদস্যরা দিনরাত প্রার্থনা করছেন যাতে তাঁদের ঘরের ছেলেরা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসতে পারে।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, আমরাও এই খবর পেয়েছি। আকিব, বিভাস ও দীপককে দেশে ফেরানোর বিষয়ে রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা করছে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ক্যামেরায় বন্দি করে বিয়ের জন্য পিস্তল দেখিয়ে প্রেমিকের হুমকি! কালনায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছেনিতে বাধ্য হলেন এক কলেজ ছাত্রী।মৃতার নাম গঙ্গা সেন (১৯)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার শাসপুর পশ্চিমপাড়ায়। রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক। এইঘটনা নিয়ে জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসপুর এলাকায়। প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর পরিবারের আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, গঙ্গা সেন নামে ওই ছাত্রীটি কালনা কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা নগেন সেন জানান, কয়েক বছর হল তাঁর মেয়ে গঙ্গা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মনে কু-উদ্দেশ্য থাকায় ওই যুবক কোন এক সময়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের বেশ কিছু ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বন্দি করে নেয়। পরে সেই ছবি দেখিয়েই গঙ্গাকে ব্ল্যাকমেল করেচলে তাঁর প্রেমিক। এরই মধ্যে গঙ্গা জানতে পারে যে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে গঙ্গা তাঁর প্রেমিকে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে মনস্থির করে নেয়। নগেন বাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে জানতে পেরে ওই প্রেমিক যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে এসে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি শাসানি দিয়ে যেত।ছাত্রীর মা বিশাখা সেন বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ওই যুবক বাড়িতে এসে চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমার মেয়ে ওই যুবককে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার জন্য ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে আমাদের বাড়ির সবাইকে প্রাণে মেরে দেবে বলে কিছুদিন আগে হুমকি দিয়ে যায়। এইসব নিয়ে মেয়ে গঙ্গা মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। রবিবার সকালে তিনি ও তাঁর স্বামী কোভিডের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তার পরেই বাড়ির একটি ঘরে গলায় দড়ি ফাঁস দিয়ে গঙ্গা ঝুলেপড়ে। বাড়িতে তখন ছোট মেয়ে ছিল। সে তাঁর দিদিকে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে আমাদের জানায়। এই খবর পেয়েই দ্রূত বাড়িতে ফিরে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে আমরা কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গঙ্গাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নগেন সেন ও তাঁর স্ত্রী বিশাখাদেবী দুজনেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গার মৃত্যুর জন্য ওই প্রেমিক যুবককেই দায়ী করেছেন। সেন দম্পতি দাবি করেন, প্রেমিক যুবকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। সেই অভিোগের কথা পুলিশকেও এদিন মৌখিক ভাবে জানিয়ে এসেছেন। দাহকার্য শেষ করে সোমবার থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে যুবকের বিরূদ্ধে অভিযোগ জমা দেবেন বলে নগেন সেন জানিয়েছেন। কালনা থানার পুলিশ জানিয়ছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতার পরিবার ও তাঁর সহপাঠীদের প্রত্যাশা পুলিশ যুবকের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

কালনায় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ে মামলার প্রস্তুতি শুরু সিপিএমের

পরপর দুবার সিপিএমের প্রার্থী হয়ে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। এবারও সিপিএম পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল মণিপ্রভা ভাদুড়িকে। কিন্তু কালনা পৌরভার অস্থায়ী কর্মী হয়ে তাঁর ভেটে লড়াটা মেনে নেননি প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কালনার মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তার কারণে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহষ্পতিবার স্ক্রুটিনির দিনে সিপিএম প্রার্থী মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। পৌরসভার একই কাজে যুক্ত থেকে ইতিপূর্বে দুবার ভেটে লড়ে কাউন্সিলার হওয়া মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন এবার কমিশন বাতিল করায় বেজায় চটেছে সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁরা বিয়টি নিয়ে আদালের দ্বারস্থ হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিপিএমের হয়ে মণিপ্রভা ভাদুড়ী মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী কালনা মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জানান। তার অভিযোগ, মণিপ্রভা ভাদুড়ী কালনা পৌরসভার বেতনভুক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্কুটিনির দিনে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পৌরসভা থেকে তিনি বেতন পান।সেই তথ্য মহকুমা শাসকের দফতরে তিনি দাখিল করে মণিপ্রভাদেবীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে পৌর নির্বাচন বিধি মেনে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী মণিপ্রভা ভাদুড়ি বলেন, আসলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চান। তাই তিনি এমন অভিযোগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। মণিপ্রবাদেবী দাবি করেন, তিনি পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মী নন। তাই পৌরসভা থেকে বেতন পান না। তিনি একটি সংস্থার অধীনস্ত স্বাস্থ্যকর্মী। ওই সংস্থা থেকে তিনি বেতন পান। মণিপ্রভাদেবী বলেন, ভোটে লড়ে জিততে পারবেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আর সেটাকেই মান্যতা দিয়ে তাঁর মনোনয়ন কমিশন বাতিল করে দিয়েছে।এই বিষয়ে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, আমরা আইনের পথে যাব। তার প্রস্তুতিও শুরে করে দেওয়া হয়েছে। কারণ একই কাজ করেও এর আগেও দুবার মণিপ্রভা ভাদুড়ী কাউন্সিলর ছিলেন। তাহলে এখন হঠাৎ করে আইনের কি পরিবর্তন হল? যদি পরিবর্তন হয়েও থাকে তাহলে তা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশাসন জানালো না কেন? যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, আইন তো সবার জন্য সমান। সিপিএম প্রার্থীর জন্য তো আলাদা আইন হতে পারে না। এদিকে মণিপ্রভাদেবীর মনোনয়ন বাতিল করা নিয়ে সিপিএমের নেতারা যখন সোচ্চার তখন পৌরভোট নিয়ে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা এদিন জানিয়ে দিল জেলা প্রশাসন। এদিন সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক প্রিয়ংকা সিংলা বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরা পৌরসভার নির্বাচন হবে। ভোটে এই ছটি পুরসভার প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। সিসি ক্যামেরা ছাড়াও প্রতিটি বুথে থাকবে দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ।এছাড়াও প্রতিটি পৌরসভার জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার জন্যেও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আরও জানানো হয়েছে, ছটি পৌরসভার ১১৯টি ওয়ার্ডে ৪ লক্ষ ৬২হাজার ৮৪৮ জন ভোটার রয়েছেন। ২৪১টি চত্বরে ৫৭১টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিৎ করার জন্য এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে জেলশাসক আবেদন রাখেন।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় পাশবিক, নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ

বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ যে দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই দুটি সন্তানই কন্যা সন্তান। শুধুমাত্র সেই কারণে গৃহবধূর যৌনাঙ্গে রড, লাঠি ঢুকিয়ে নির্মম পাশবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়ার বিজার গ্রামে। ঘটনা নিয়ে এলাকার অন্য মহিলারা প্রতিবাদে সোচ্চার হতেই গা ঢাকা দিয়েছে গৃহবধূর স্বামী তৌফিক শেখ। গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে এদিনই কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বাপের বাড়ির লোকজন। কালনা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শুরু হয়েছে অভিযুক্ত নিষ্ঠুর স্বামীর খোঁজ। স্বামীর এমন নিষ্ঠুরতার নিন্দা করেছে আপামর কালনাবাসী। গৃহবধূর বাবা ভোলা শেখ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁর মেয়ে শরিফার সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার বিজারা গ্রামের যুবক তৌফিক শেখের। বিয়ের পর থেকে তাঁর মেয়ে যে দুটি সন্তানের জন্ম দেয় সেই দুটি সন্তানই কন্যা সন্তান। শরিফা পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় তার উপর বেজায় চটে যায় জামাই তৌফিক। সে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে দেয় তাঁর স্ত্রী শরিফার উপর। কখনও শরিফার যৌনাঙ্গে রড কিংবা লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে,আবার কখনও যৌনাঙ্গের পাশে সিরিশ কাগজ ঘষে দিত তৌফিক। ভোলা শেখ তাঁর অভিযোগে আরও বলেন, এত অত্যাচার চালিয়েও তাঁর জামাইয়ের নিষ্ঠুর স্পৃহা মিটতো না। সে নিজের স্ত্রীর বুকে পর্যন্ত বেপরোয়া ভাবে মারতো। বেশ কয়েক মাস ধরেই তৌফিক এই ভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল তাঁর স্ত্রী শরিফার উপর। এমনকি শরিফাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেবে বলেও তৌফিক জানায়। শরিফা তাঁর স্মামীর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়। তার জন্য শরিফার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তৌফিক। গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে শরিফাকে প্রাণে মারার চেষ্টাও করে জামাই। এই পরিস্থিতিতে একান্ত নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ শরিফা তাঁর স্বামীর নির্যাতনের কথা বাপের বাড়িতে জানায়। গৃহবধূর বাবা সহ বাড়ির অন্যরা শনিবার জামাই তৌফিকের বাড়িতে পৌছান। তাঁরা সেখান থেকে জখম অবস্থায় শরিফাকে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। তারই মধ্যে গা ঢাকা দেয় তৌফিক। গৃহবধূ এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিনই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন মৌখিক ভাবে তৌফিকের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন। ভোলা শেখ বলেন, লিখত ভাবেও তাঁরা জামাই তৌফিকের নির্যাতনের কথা পুলিশের কাছে জানাবেন।গৃহবধূ জানিয়েছে, তিনি পর পর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছ এটাই আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার স্বামী নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। এমনকি প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে। নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে স্বামীর কুকীর্তির কথা জানাতে বাধ্য হন, বলে তিনি জানিয়েছেন।কলনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক(এসডিপিও )সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনার বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ এখনও গৃহবধূর পরিবারের কেউ থানায় জমা দেননি। অভিযোগ পেলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

অবৈধ প্রণয়ের জেরে খুনের অভিযোগ তাঁত শ্রমিককে, আটক মালিকসহ তিন

এক তাঁত শ্রমিককে খুনের অভিযোগ উঠলো তাঁত মালিক ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই বেলতলা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম হরিহর আচার্য(৩৪)। নান্দাই এলাকাতেই তার বাড়ি। মৃতর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার তাঁত মালিক এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, তাঁত মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে বিবাদের জেরে যুবক খুন হয়ে থাকতে পারে। প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃত যুবকের দাদা শ্যামসুন্দর আচার্য পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, হরির আচার্য পেশায় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তিনি স্থানীয় সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়িতে তাঁত বুনতে যেতেন। সেই সূত্রে হরিহরের সঙ্গে সঞ্জয়ের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে হরিহর সঞ্জয়দের বাড়িতে যায়। অভিযোগ তখন তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মরে যাওয়ার পর হরিহরের মৃতদেহ চুপিসারে তাঁদের বাড়িতে ফেলে দিয়ে সঞ্জয়রা পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শ্যামসুন্দরবাবু দাবি করেন, তাঁর ভাইয়ের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে।তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয়দের বাড়িতে গিয়ে তাদের উঠানে রক্তের দাগ দেখতে পায়। তারপরেই পুলিশ সঞ্জয় এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে কালনা থানায় নিয়ে যায়।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

Ladakh on a Bicycle: কালনার দুই যুবকের মহতী উদ্যোগ, করোনা সচেতনায় সাইকেল নিয়ে লাদাখ পাড়ি

দেশজুড়ে ফের বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের প্রভাব। নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলা ও উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা কেউই সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এমনকি পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এত কিছুর পরেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে মাস্ক পরা ও বিধি নিষেধ মেনে চলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ। তাই আর ঘরে বসে না থেকে করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতে মঙ্গলবার সাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লো পূর্ব বর্ধমানের কালনার কালনার কাঠিগঙ্গা ও মহাপ্রভুপাড়ার দুই যুবক প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস। এই যুবকদের একজন চালান অটো। আপরজন ইলেকট্রিকের কাজ করার পাশাপাশি ছোট মুদিখানা দোকান চালান। যুবকরা সামান্য ১০০-২০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালাবে এমনটা নয়। করোনা নিয়ে সচেতনতা জাগাতে কালনার এই দুই যুবক জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখ পর্যন্ত যাবে সাইকেলে চড়ে। দুই যুবকের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ ও সহ কালনার বিশিষ্ঠজন।মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে ইতিমধ্যেই দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তও হয়েছে বহু মানুষ। এখন ফের আবার উর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। সংক্রমণ বৃদ্ধি রোখার জন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পলিশ কর্মীরা পথে বিধি মানানোর জন্য নজরদারি চালাচ্ছেন, সচেতনতার প্রচারও চালাচ্ছেন। তবুও অনেক মানুষজন বেপরোয়া মনোভাবদেখিয়ে বিধি মানছেন না।মাস্ক পড়ছেন না। এইসবের কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে দেশের মানুষজনকে করোনার সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করতে কালনার দুই যুবক সাইকেলে চেপে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। যুবকদের এমন মহতি কর্মকাণ্ড নিশ্চিৎ ভাবেই প্রশংসার দাবি রাখে।কালনা শহরের ঐতিহ্যশালী স্থান সেখানকার ১০৮ শিবমন্দির। সেই শিবমন্দিরের সামনে গিয়ে সর্বশক্তিমান দেবতাকে প্রণাম জানিয়ে এদিন প্রণব ও সৌরভ সাইকেলে চেপে রওনা হয়। প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস জানিয়েছেন, তাঁরা করোনার ভয়বহতা সম্পর্কে মানুষজনকে সচেতন করার সংকল্প নিয়ে সাইকেল কালনা থেকে রওনা দিচ্ছে।বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি,পঞ্জাব হয়ে তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখে পৌঁছাবে। পথে সরকারি জায়গা অথবা অন্য কোনও স্থানে রাত্রিবাস করবেন। সেই কারণে সাইকেলে তাঁবুর পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারের ব্যানারও সঙ্গে নিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে ও শরীর ঠিকঠাক থাকলে ২০-২৪ দিনের মাথায় তাঁরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবেন বলে আশা করছেন। আসা ও যাওয়া মিলে প্রায় পাঁচ হাজার পথ সাইকেল চালাতে হবে। প্রণব সাহা ও সৌরভ দাস এও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তা সত্বেও এখনও অনেক সচেতন নন। তাই সবাইকে করোনা অতিমারির ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করতেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে যুবকরা জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

School Open in Kalna: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্ব বর্ধমানে বেসরকারি স্কুলে মৌখিক পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ প্রশাসন

নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রাজ্য সরকার সোমবার থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু সেই সরকারী নির্দেশকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের কালনার জিউধরা এলাকার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। এই ঘটনা কথা জেনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ। তিনি ওই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্যকালনার মহিষমর্দিনী গার্লস ইন্সটিটিউশন ও কালনা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া এদিন বিদ্যালয়ে এসেছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে রিহার্সালের জন্য। আবার বই জমা দেওয়ার জন্যও কিছু পড়ুয়া স্কুলে আসে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেয়। তারই মধ্যে এদিন উল্টো চিত্র ধরা পড়ে কালনার জিউধরার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একাদশ ও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Road Accident: কলকাতা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জখম পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক

বিশেষ কাজে কলকাতা যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখম হলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। বৃহস্পতিবার বেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর বলাগড় থানা এলাকার করলা মোড়ে। দলীয় নেতৃত্বের কথায় জানা গিয়েছে, বিধায়কের চারচাকা গাড়ির সামনে একটি ডাম্পার যাচ্ছিল। ওই ডাম্পারটি হঠাৎ ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ায় বিধায়কের গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ডাম্পারটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। বিধায়কের গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।এই দুর্ঘটনাতে জখম হন বিধায়ক। সেখানকার পুলিশ ডাম্পারটি আটক করে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রণব রায় জানিয়েছেন, এমএলএ স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়েই দেবপ্রসাদ বাবু এদিন কলকাতা যাচ্ছিলেন । হুগলীর বলাগড়ের করলা মোড়ে তাঁর গাড়ির সামনে থাকা চলন্ত ডাম্পারটি হঠাৎ দাড়িয়ে পড়তেই ঘটে দুর্ঘটনা। মাথায় চোট লাগায় কালনার একটি বেসরকারি ল্যাবে বিধায়কের মাথার সিটি স্ক্যান কারা হয়েছে। তাঁর অন্য কোনও সমস্যা নেই তবে মাথায় যন্ত্রণা করছে বলে বিধায়ক জানিয়েছেন। বিধায়কের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাঁকে কিছু দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রণববাবু এও বলেন, বিধায়কের গাড়ির আগে আগে যাওয়া ডাম্পারটি হঠাৎ কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লো সেটাই রহস্যের। প্রণববাবু ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন দেবপ্রসাদ বাগ। ঈশ্বর তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন এই কামনা করি। বিধায়কের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

child died: মন্দির দর্শনে এসে পানা পুকুরে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু শিশু পুত্রের

খেলার মাঠ ভেবে কচুরিপানা ভর্তি জলাশয়ে নেমে পড়ায় তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। মৃত শিশুর নাম প্রহ্লাদ মণ্ডল (৮)। তাঁর বাড়ি বীরভূমের লাভপুরের মহদরী গ্রামে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের কালনার উঁচু জাপটের ভবা পাগলা মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। রাতে ওই জলাশয় থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু পুত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কি ভাবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বীরভূমের মহদারী গ্রাম থেকে একদল পর্যটক রবিবার কালনার বিভিন্ন মঠ ও মন্দির পরিদর্শনে আসেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শিশুপুত্র প্রহ্লাদ মণ্ডলও কালনার ভবা পাগলা মন্দির ও বাড়ি দর্শন করতে যায়। সন্ধ্যার প্রাক্কালে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও শিশুটির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গার্ডওয়াল বিহীন ভবা পাগলার বাড়ি লাগোয়া পানা পুকুরের মধ্য থেকে মেলে শিশু প্রহ্লাদের দেহ। ভবা পাগলার মন্দির দর্শনে আসা সকলের অনুমান সবুজ পানায় ঢাকা পুকুরটিকে খেলার মাঠ মনেকরে সেখানে যেতে গিয়ে শিশুটি জলে তলিয়ে যায়। তার কারণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজনীতি

Subrata Mukherjee: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছোটবেলা কেটেছে বর্ধমানে, শোকে পাথর জন্ম স্থানের গ্রাম

প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল নাদনঘাটের নওপাড়া। অধুনা বর্ধমানের নওপাড়ায় ছোটবেলা কেটেছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। স্থানীয় সুষমা সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন তিনি। তারপর বাবা চাকরিসূত্রে সপরিবারে নওপাড়া ছেড়ে বজবজে বসবাস শরু করেন। এখনও অনেকেরই অজানা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম স্থান পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের নওপাড়ায়। নওপাড়ায় বর্ষীয়াণ এই রাজনীতিকের মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।নওপাড়ায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শৈশবের বন্ধুরা তাঁকে সন্টু বলে ডাকতেন। সেকথা জানালেন শামসুল শেখ, তিনকরি বৈরাগ্যরা। তাঁরা অতীতের পাতা থেকে স্মৃতি তুলে ধরলেন। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় পেয়ারা পারতে গিয়ে বোলতার কামড় খেয়েছিলেন সুব্রত, জানালেন তিনকরি। মন্ডা খেতে খুব ভালবাসেন। শামসুলের কথায়, খুব ভাল হাডুডু খেলতেন। এককথায় মন্ত্রী হলেও গ্রামকে কখনও ভোলেননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গ্রামের জলপ্রকল্প, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নেও সুব্রতবাবুর ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।এখন মুখোপাধ্যায় পরিবারের ভিটে বলতে উঁচু মাটির ঢিভি। ঘর-বাড়ির কোনও চিহ্ন নেই। তাছাড়া গ্রামে তাঁদের কয়েক বিঘে চাষের জমি আছে। তা ভাগে চাষ চলছে বংশ পরম্পরায়। আগে ভাগের চাল নিতেন মুখোপাধ্যায় পরিবার। এই গ্রামেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাবা শিক্ষক অশোক মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি বসেছে। গ্রামে রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির। গ্রামে ঢোকার আগে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতেন সুব্রত। একথা জানালেন গ্রামের বাসিন্দারা। আজ নওপাড়ার বাসিন্দারা শোকে মুহ্যমান। তাঁর গ্রামের বন্ধুমহলও শোকে পাথর।

নভেম্বর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Ferry Service: কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাট দিয়ে মালবাহী গাড়ি পারাপারের চাপ বাড়ছে, বেড়েছে শঙ্কাও

ফাটল ধরা পড়ায় বন্ধ রয়েছে নদীয়ার গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল। তাবলে ঘুর পথে মালবাহী গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কোন চালক। ডিজেলের দাম সেঞ্চুরী পার করায় চালকরা তাই পূর্ব বর্ধমানের কালনার ফেরিঘাটে থাকা ভেসেলে তাঁদের মালবাহী গড়ি চাপিয়ে ভাগীরথী পেরিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করছেন। এই ভাবে নদী পথেই কোন চালক তাঁর মালবাহী ট্রাক নিয়ে যাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান। আবার কেউ যাচ্ছেন নদীয়ায়। বিগত কয়েকদিন যাবৎ কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাট দিয়ে মালবাহী গাড়ি পারাপারের চাপ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। ফেরিঘাট পরিষেবার মাধ্যমে কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে। এই ফেরিঘাট দিয়ে ভেসেলে মালবাহী ট্রাক ও লরিও পারাপার করা হয়। তবে এতদিন তা ছিল হাতেগোনা। মালবাহী গড়ির চালক সাইদুল সেখ , স্বপন দে প্রমুখরা এদিন বলেন, গৌরাঙ্গ সেতুতে ফাটল ধরা পড়ার পর থেকে ওই সেতু দিয়ে আর মালবাহী ভারী গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না । তার কারণে তাঁরা এখন কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাট দিয়ে ভেসেলে মালবাহী ট্রাক ও লরি পারাপার করিয়ে নিয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন । তার কারণে ফেরিঘাট দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি ভারী গাড়ি পারাপার করানোর চাপ অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে। এখানকার ফেরিঘাটের সামনে এখন প্রতিদিনই থাকছে মালবাহী ট্রাক ও লরির লম্বা লাইন। মালবাহী গাড়ি ও সাধারণ যাত্রী দুইয়ের ভিড় বাড়ায় ফেরিঘাটে পুলিশের কড়াকড়িও বেড়েছে। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে সব ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা। তবুও বিপদের আশঙ্কা পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে অনেকেরই মনে। কারণ কয়েক বছর আগে এই ফেরিঘাট দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভাগীরথী পারাপারের সময় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাটে এখন যেভাবে চাপ বেড়েছে তা সেই স্মৃতিকেই উস্কে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রীদের অনেকে। ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্য যদিও এদিন জানিয়েছেন, বড় লোহার ভেসেলে করে মালবাহী ভারী যানবাহন ভাগীরথী পারাপার করা হয়। তবে গত চারদিন হল ভারী গাড়ি পারাপার করানোর চাপ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কোন ঝুঁকি না নিয়ে সবরকম সাবধানতা মেনে ৩০ টন ওজনের নীচে থাকা যানবাহন ফেরিঘাট দিয়ে ভেসেলে পারাপার করা হচ্ছে।নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রনের জন্যই এই চাপ নিতে হচ্ছে।

অক্টোবর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Accident: কালনা রোডে টোটো ও বালি বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৪, কেন এই দুর্ঘটনা?

যাত্রীবাহী টোটোর সঙ্গে বালি বোঝাই ট্রাকের মুখোমাখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল টোটোর চার আরোহীর।বুধবার দুপুরে ভয়াবহ এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানর বেলাড়ি গঞ্জ এলাকায় বর্ধমান- কালনা রোডের উপর। দুর্ঘটনার জেরে এদিন বর্ধমান কালনা রোডে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে সড়কপথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করে। লক্ষ্মী পুজোর দিনে চারজনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন ভৈরব দাস (২৬), নির্মল চট্টোপাধ্যায় ওরফে সোনা (৪৫), অভিজিং পাল ওরফে গণেশ (৪৭)। এক মৃতর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। মৃতদের মধ্যে ভৈরব দাস হলেন টোটো চালক। বাকিরা সকলেই কালনা গেট এলাকার বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দা। সকলেই নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। কেউ বিক্রি করতেন লটারি টিকিট, আর কারুর ছিল ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই মৃতদেহগুলি পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। দুর্ঘটনার পরেই লরি ছেড়ে পালান চালক ও খালাসী। পুলিশ টোটো ও বালি বোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটো চালক ভৈরব দাস তাঁর অ্যাজবেসটার্স চালার একচিলতে ঘরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন।পরিবারের অন্য সদস্যরা এদিন বেলায় যখন পুজোর তোড়জোড়ে ব্যস্ত তখন ভৈরব তাঁর টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বেলা ১১ টা নাগাদ ভৈরব ও এলাকার অপর তিনজন টোটোয় চেপে শক্তিগড় থানার বেলাড়ির একটি অন-শপ মদের দোকানে যান। দুপুর ১টা নাগাদ সেখান থেকেই টোটোয় চেপে চারজন বর্ধমান - কালনা রোড ধরে কালনা গেটের দিকে ফিরছিলেন। পথে বৈকন্ঠপুর ১ পঞ্চায়েতের বেলাড়ি গঞ্জ এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝাই লরির সঙ্গে টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর টোটোটি সড়ক পথের উপরে উল্টে পড়ার সময়ে টোটোর আরোহীরা লরির চাকার নিচে ছিটকে পড়ে পিষ্ট হন। টোটোটিও এক প্রকার দুমড়ে মূচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটো চালক সহ টোটোর চার আরোহীর।প্রত্যক্ষদর্শী সুদীপ্ত কোনার ও বাসুদেব দত্ত জানিয়েছেন, লরি চালকের কোন দোষ ছিল না।লরিটি স্বাভাবিক গতিতেই যাচ্ছিল। টোটো চালক সহ টোটোর সকল আরোহীরা গঞ্জ থেকে মদ খয়ে টোটোয় চেপে ফিরছিলেন। অত্যধিক মদ খাওয়ার কারণে টোটোর চালক ও আরোহীরা সকলেই বেসামাল ছিলেন। সেই অবস্থায় টোটো চালক টোটো চালিয়ে নিয়ে যাবার সময়ে টোটোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিলেন না। টোটোটি রাস্তার এদিক ওদিক করতে করতে যাচ্ছিল। ওই সময়ে আচমকা টোটোটি বিপরিত দিক থেকে আসা লরির সামনে চলে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই টোটোর চার আরোহীর মৃত্যু হয়।টোটো চালক ভৈরব দাসের আত্মীয় সাগর দাস এদিন বলেন, ভৈরব ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। তাঁর রোজগারেই স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান সহ পরিবারের সকলের জীবিকা নির্বাহ হত। ভৈরবের মৃত্যুতে তাঁর গোটা পরিবারটা অথৈ জলে পড়ে গেল। ভৈরবের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী এদিন চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, বাড়িতে লক্ষীপুজোর জোগাড়যান্তি করছিলাম। এক্ষুণি আসছি বলে আমার স্বামী টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। আর তিনি বাড়ি ফিরলেন না। অপর এক মৃতর আত্মীয় প্রশেনজিৎ দাস একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বেলাড়ি গঞ্জ এলাকার মদের দোকানটাই সব সর্বনাশের মূল কারণ।

অক্টোবর ২১, ২০২১
রাজ্য

Betting: বেটিং চক্র বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ কালনার বাসিন্দারা

বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এমনকী সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছেন। তার পরেও বেটিং চক্রের রমরমা বন্ধ না হওয়ায় মঙ্গলবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এদিন কালনার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়েছেন। বেটিং চক্রের বিরুদ্ধে কালনার বাসিন্দারা সরব হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও সক্রিয় হয়েছিল বেটিং চক্র। জেলার মেমারি থানার পুলিশ বর্ধমান ও মেমারির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই সময়ে চক্রের বেশ কয়েকজন পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরেও বেটিং চক্র এই জেলায় যে সক্রিয় রয়েছে তা কালনার বাসিন্দাদের আনা অভিযোগ থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগে কালনার বাসিন্দারা মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন, আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে কালনা মহকুমার বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বস্বান্ত হয়ে অনেক মানুষের জীবন গিয়েছে। ওই সময়ে যারা আইপিএল বেটিং চক্র চালিয়েছিল তারাই এখন আবার নতুন ফন্দি এঁটে বেটিং চক্র চালাচ্ছে। এর ফলে আবার অনেক পরিবার নিঃস্ব হবে ,অনেকের প্রাণ যাবে। কালনা মহকুমা ও তার আশপাশ এলাকায় বেটিং চক্র চালাচ্ছে এমন ১৮ জনের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ অনুযায়ী বেটিং চক্র চালানোর ঘটনায় জড়িতরা মূলত কালনা ও কালনার যোগীপাড়া, বারুইপাড়া, জাপট ও কাঁশাড়িপাড়ার বাসিন্দা। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও কালনা মহকুমায় বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধের আর্জিও মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই এখন তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন।মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ পত্রকালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ এবিষয়ে বলেন ,অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Husband Killed Wife : স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলো স্বামী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের ধলেশ্বর গ্রামে। বধূ তারমিনা বিবি(৪৫)কে খুনের অভিযোগে পুলিশ স্বামী লালবাবু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। কালনা থানার পুলিশ বধূকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধলেশ্বর গ্রাম নিবাসী লালবাবু শেখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তারমিনা বিবির বনিবনা হত না। নিত্যদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে মারধোরও করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার অশান্তি চরমে উঠলে লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বসেন। এরপরেই স্ত্রীর মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দিয়ে লালবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ লালবাবুর বাড়িতে গিয়ে বধূ তারমিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দম্পতির ছেলে টোটন শেখ জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মা ভালো করে চলাফেরা করতে পারতো না। তা নিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। টোটন শেখ বলেন, এদিন বেলায় তিনি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চালাকালীন তাঁর মাকে প্রাণে মেরে দেন বাবা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। টোটন জানান, বাবার শাস্তির দাবি করে তিনি পুলিশের কছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করে এক ব্যক্তি নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal