• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Il

বিদেশ

মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস সাময়িক বাতিল, জানাল রেল দফতর

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বাংলাদেশে ঈদ-উল-আধহা উদযাপন উপলক্ষে নিম্নলিখিত পরিষেবাগুলি সাময়িকভাবে বাতিল থাকবে। জানিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে- 13109/13110 কলকাতা-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট - কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, 13107/13108 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট -কলকাতা-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং 13129/13130 কলকাতা-খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ।* 13107 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 14.06.2024, 16.06.2024, 18.06.2024 এবং 21.06.2024)* 13110 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 15.06.2024, 19.06.2024 এবং 22.06.2024 তারিখে)* 13108 কলকাতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 15.06.2024, 17.06.2024, 19.06.2024 এবং 22.06.2024 তারিখে)* 13109 কলকাতা ক্যান্টনমেন্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 14.06.2024, 18.06.2024 এবং 21.06.2024 তারিখে)* 13129 কলকাতা - খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 16.06.2024 এবং 20.06.2024 তারিখে)* 13130 খুলনা - কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস (যাত্রা শুরু 16.06.2024 এবং 20.06.2024 তারিখে)

জুন ১০, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, থানায় পুলিশকে ধমক শুভেন্দুর

নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী মহিলাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে পৌঁছে সরাসরি পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম কাণ্ডে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাও আবার নন্দীগ্রাম থানার ভিতরে দাঁড়িয়ে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দিলেন।বুধবার রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মাঝে পড়ে নিহত হয়েছে বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির। গুরুতর আহত তাঁর ছেলে সঞ্জয়। এদিন বিকেলে নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। তার পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থানায় ঢোকার আগে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। প্রথমে তাঁদের ধমক দেন শুভেন্দু।এর পর শুভেন্দু থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে এক কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে তিনি বলেন, খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে, মাকে খুন করেছে। রথীবালা আড়ি সঞ্জয় আড়ির মা নন, তিনি আমার মা। খুনিদের সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন। আমি জানতে চাই, খুনির সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন কেন? মজা দেখাব আইসিকে!দলের এক মহিলা কর্মী খুনে হিংসার আগুন জ্বলতে থাকে নন্দীগ্রামে। পরপর চলতে থাকে দোকানে ভাঙচুর-আগুন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপর্যুপরি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ গেরুয়া দলের। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে শেষমেশ বিক্ষোভ ওঠে। নির্বাচনের দুদিন দিন আগে এই নৃশংস খুনে নন্দীগ্রাম বেশ উত্তপ্ত।প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া মনসাবাজারে গতকাল রাতে তৃণমূল-BJP-র মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে ৯ জন গুরুতর জখম হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জখম রথিবালা আড়ি নামে এক মহিলা BJP কর্মীর মৃত্যু হয়। অন্য আর একজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত বাকিরা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন।এদিকে, নন্দীগ্রামের এই খুন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, মমতা ব্যানার্জির ভাইপোর উসকানিতে খুন হয়েছে। উনি গতকাল বলে গিয়েছিলেন সোনাচূড়া, গোকুলনগরের ৮০টি বুথে অনেকে ধমকাচ্ছেন, আমি তাদের সতর্ক করতে এসেছি, ফল ভালো হবে না। FIR-এ ওঁর পরিবার ওঁর নাম বলেছে।তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে তৃণমূলের সংগঠনই নেই। BJP-র আদি ও নব্যের মধ্যে ঝামেলা। তারই জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নেই। রাজনৈতিকভাবে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে BJP এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকায়-এলাকায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করছে।

মে ২৩, ২০২৪
বিদেশ

নিউ টাউনে খুন বাংলাদেশের এমপি আনোয়ার উল আজিম

গত ১২ তারিখ কলকাতায় আসে চিকিৎসার জন্য। এরপর সেখান থেকে নিউ টাউন এর একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোক বারংবার ফোন করলেও যোগাযোগ করতে পারেনি। এরপরই বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরই আনোয়ার উল আজিম দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে।পুলিশ সূত্রে খবর, খুলনার ঝিনাইদহ এলাকার চার আসনের এমপি আনোয়ার উল আজিম। তিনি যখন নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসনে ওঠেন তার সঙ্গে ছিল একজন মহিলা সঙ্গী সহ বেশ কয়েকজন। তবে কারা খুন করল, কেনই বা খুন করল এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ আধিকারিকেরা তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।

মে ২২, ২০২৪
রাজ্য

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দুপুরে মাছ-ভাত, যাত্রাপথেই সুস্বাদু খাবরে তৃপ্ত বাঙালি

কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি অর্থাৎ বাঙালি যেখানেই যাক দুপুরের আহারে মাছ ভাত চাই ই চাই। অবশ্য এতে সমস্যার কিছুই নেই, বাঙালিরা যেখানেই যায় মাছ ভাতের হোটেল একটা অবশ্যই জোগাড় করে নেয়। শুধুমাত্র যাত্রার সময়কালে বাঙালিকে ম্যানেজ করতে হয় দুপুরের খাবারটা মাছ ভাত ছাড়া। তবে সেই চিন্তারও এখন অবসান হয়েছে। দুপুরের আহারে মাছ ভাত একটি অপূর্ব পরিচিতি যা বাঙালি সমাজের জীবনধারা এবং সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত অংশ। এই অংশের মূল্যায়ন এখন 22301 হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে পূর্ণতঃ সম্পন্ন হয়েছে। এখন হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এ বাংলার সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন প্রাতরাশে ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, মাল্টিগ্রেন আটার রুটি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা, সোনামুগের ডাল, বাঙালির অতিপ্রিয় মাছের ঝোল, সরষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ এবং ক্ষীরকদম। প্রাতরাশ থেকে লাঞ্চ এবং ডিনার এর জন্য বাছাইকৃত বাঙালি খাবারের প্রতিটি অংশে উল্লেখযোগ্য সুস্বাদ এবং পারিপাটিত্ব সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তার উচ্চ-গতির ক্ষমতা এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার জন্য বিখ্যাত ৷ যাত্রীদের জন্য একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতার সাথে রেল ভ্রমণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে, ঋতুগত ভিন্নতা সত্ত্বেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাফল্য মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

মে ১৭, ২০২৪
রাজ্য

দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদের কোলাকুলিই সার, শেষমেশ গাড়ির কাচও ভাঙলো বিজেপি প্রার্থীর

দিনভর হামলার মুখে পড়ছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের কালনা গেট কপিবাগান এলাকায় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে মাথা ফাটল বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক জওয়ানের। দিলীপের দাবি, মোট দুজন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাল্টা তাদের চার তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের বিরুদ্ধে।বিকেলের দিকে একটি বুথে যাওয়ার সময় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কপিবাগানে দিলীপের গাড়িতে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, দিলীপের গাড়ির পিছনের দিকের কাচ ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী জানান, তিনি বুথে গোলমালের খবর পেয়ে কপিবাগানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অশান্তির জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। গন্ডগোলেট খবর পেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে খবর।বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় মন্তেশ্বরের তুল্ল্যা গ্রামে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভ, ইট ছোড়া এমনকি তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুশুনিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ওই গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে বিজেপির লোকেরা মেরে রক্তাক্ত করেছে। তার পরেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা দিলীপের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তখন গো ব্যাক, জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া হয় দিলীপকে ঘিরে। ওই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন দিলীপ। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে।ভোট শুরুর পর থেকেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার নানা জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই যুযুধান প্রার্থী, বিজেপির দিলীপ এবং তৃণমূলের কীর্তি আজ়াদ দুজনই কোলাকুলি করে সৌজন্য বিনিময় করেন। তবুও দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সেই সৌজন্যের ছোঁয়া মেলেনি। যত বেলা গড়িয়েছে, ততই একের পর এক গন্ডগোলের খবর সামনে আসছে। কীর্তির অভিযোগ, যেখানেই দিলীপ ঘোষ যান, সেখানেই উত্তেজনা ছড়ায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।

মে ১৩, ২০২৪
কলকাতা

মুক্তিতে স্বস্তি! কেজরিওয়ালের নামে পুজো কালীঘাট মন্দিরে

আজ আম আদমী পার্টি, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে আম আদমী পার্টির সুপ্রিমো শ্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে পুজো দেওয়া হল কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগামী দিন গুলির রাজনৈতিক সাফল্য কামনা করে এবং দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে আজ এই প্রার্থনা করা হয় দলের তরফে । দলের তরফ থেকে প্রধান মুখপাত্র, অর্ণব মৈত্র জানিয়েছেন, দেশে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লড়াই সফল হয় সেই জন্য আজকের এই পুজো আয়োজন করা হয়েছিল। তার সাথে সমগ্র দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করি আমরা।। মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা সকলে ভালো থাকুক এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের স্বৈরাতন্ত্র কে পরাজিত করে দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর করুন।

মে ১১, ২০২৪
কলকাতা

কলকাতা মেট্রোয় খুচরোর সমস্যা থেকে শীঘ্রই মুক্তি, সাড়া জাগানো উদ্যোগ

মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারেটিকিট কাটতে গিয়ে খুচরোর সমস্যার পরিচিত দৃশ্য খুব শীঘ্রই অতীত হতে চলেছে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল লেনদেনের এক নতুন পন্থা হিসাবে ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউ পি আই) ভিত্তিক টিকিটিং ব্যবস্থা খুব তাড়াতাড়ি চালু করছে। এর ফলে কাউন্টারে খুচরো টাকা বা পয়সার মাধ্যমে সঠিক ভাড়া দিতে গিয়ে বর্তমানে মেট্রো যাত্রীরাযে সমস্যার সম্মুখীন হন তা আর হবে না।স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস ( ক্রিস ) এর সহায়তায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউ পি আই) ভিত্তিক টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করছেন। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদহ স্টেশনে এই ব্যবস্থার মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। শ্রী রেড্ডি নিজে এই ব্যবস্থার সাহায্যে একটি টিকিট কাটেন। মেট্রো রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন্স ম্যানেজার শ্রী সৌমিত্র বিশ্বাসের উদ্যোগে ও তৎপরতায় এই নতুন টিকিটিং ব্যবস্থা মেট্রোয় চালু হচ্ছে।এই মহড়া সম্পূর্ণ হলেই নতুন এই টিকিটিং ব্যবস্থা প্রথমে গ্রিন লাইনে চালু হবে। এই সুবিধা নিতে আগ্রহী যাত্রীদের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে প্রথমে তাদের গন্তব্য স্টেশনের নাম বলতে হবে। এরপর কাউন্টারের ডুয়াল ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে ওঠা কিউ আর কোডটি স্ক্যান করে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করতে হবে। এই লেনদেন সম্পূর্ণ হলেই কিউ আর কোড বেসড কাগজের টিকিটটি তিনি হাতে পাবেন এবং মেট্রোয় সফর করতে পারবেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মেট্রো যাত্রীরা নিজেদের স্মার্ট কার্ডও রিচার্জ করতে পারবেন।Shri P Uday Kumar Reddy,GM, conducted the trial of #UPI Payment Based Ticketing System at #Sealdah #Metro station today.Once the trial is over,this ticketing system will be introduced in #GreenLine first then #BlueLine,#PurpleLine #OrangeLine for the benefit of the commuters. pic.twitter.com/IuWm4rEk4t Metro Railway Kolkata (@metrorailwaykol) May 7, 2024কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইনে এই ব্যবস্থা সফল হলে যাত্রীদের সুবিধার্থে তা ব্লু লাইন , পার্পল লাইন ও অরেঞ্জ লাইনেও চালু করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।মেট্রো রেল , স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস ( ক্রিস )-এর বরিষ্ঠ আধিকারিকরা আজকের এই মহড়ায় শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন।

মে ০৮, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপাল থেকে কুণাল ইস্যু, সাতসকালে নিজস্ব মেজাজে দিলীপ ঘোষ

শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে আসেন বর্ধমান -দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃ ভ্রমণকালীন স্বমহিমায় প্রাক্তন বঙ্গীয় বিজেপি সভাপতি, দিলেন বর্তমান ইস্যু সম্বন্ধীয় একের পর এক প্রশ্নের উত্তরঃরাজ্যপাল ইস্যুঃতৃণমূল কংগ্রেস এই সমস্ত ব্যাক গ্রাউন্ড তৈরি করেছে। এগুলো তারাই করছে। সবাই জানে এই লোকেরা এই কারণেই ওখানে গেছে। পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি ছিল। তৃণমূল একাই চেঁচাচ্ছে। আর কারুর কোনো টেনশন নেই। কারণ আর সবাই জানে এর পিছনে কে আছে। তৃণমূল এবং সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে বললে এটা হয়। ওনার বিরুদ্ধে এখনও কোনো কেস করতে পারেনি ওরা। কালো পতাকা দেখিয়েছে, গো ব্যাক বলেছে। কিছু হয়নি। এখন এটাই শেষ অস্ত্র। তৃণমূল কথায় মহিলা মহিলা বলে। মহিলাদের সম্মান করেনা। তাদের ব্যবহার করে। এখানেও একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ তো তদন্ত কমিটি করবেই। আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করুন। তদন্ত দল তৈরি হয়ে যাবে। বাকি হাজার কোটি লুঠ খুন ধর্ষণ সেখানে কতজন গ্রেফতার হয়েছে? তারা বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ কি করেছে? পুলিশের কি যোগ্যতা? এবং সরকারের কি ইচ্ছা, সবই আমরা জানি। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি সহ কাউকেই অপমান করতে ছাড়েনি। এমনকি হাইকোর্টের মহিলা বিচারকের স্বামী কে সিআইডি দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছে। তৃণমূলের এই নিকৃষ্ট রাজনীতি একদিন তাদের পতনের কারণ হবে।কুনাল ঘোষ ইস্যুঃএসব মক ফাইট। এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না। অন্নদাস দের কথার গুরুত্ব নেই। ওই বাড়িতে থাকব, খাবো, লাথি খাবো। ওখানেই থাকব। আবার মুখ খুলব, দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। রাস্তায় নামুন। দম থাকলে বেরিয়ে এসে লড়াই করুন। পার্থ চ্যাটার্জি অনেক কিছু বলেছেন কুনাল নিয়ে। এটা ওদের পুরোনো ঝগড়া, বাড়ির ঝগড়া, স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া কেউ রাস্তায় নিয়ে আসে?৭ মে মুর্শিদাবাদে ভোটঃওখানে আইন শৃংখলা বলে কিছু নেই। মুর্শিদাবাদ কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে। সমস্ত ক্রিমিনাল এবং অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাকটিভিটি ওখানে চলছে। তৃণমূল চায় ভোট টা ওদের দিয়ে দিক। বাকি যা খুশি হোক।বিজেপি কর্মীদের ওপর সিউড়িতে হামলাঃনতুন কিছু নয়। ভয় দেখানোর চেষ্টা। এই ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেই আজ বিজেপি এই জায়গায় পৌঁছেছে। এবার লাস্ট ধমক চমক চলছে। এরপর কি হবে আমরা ঠিক করব।দুই থানার ওসি বদলঃআরও অনেকে আছে। বর্ধমান জেলায় এরকম দুজন আছে। তাদেরকে আরও বেশ কিছু বছর চাকরি করতে হবে। দিদির আঁচলের তলায় বেশিদিন বসে থাকতে পারবেন না। তারপর খোলা মাঠে আসতে হবে। তখন আমরা হিসেব বুঝে নেব।

মে ০৪, ২০২৪
রাজ্য

বিজেপি বিধায়ক'কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

শিলিগুড়ির মহানন্দা গার্লস স্কুলের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সামনে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁর গাড়ি আটকানো হয় বলেও অভিযোগ। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। চলতে থাকে ধস্তাধস্তি। তবে বিধায়ককে বুথে ঢুকতে দেখা যায়নি। তবে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেয়ে ওই জায়াগাতেই অনুগামীদের নিয়ে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে আরও ঘোরাল হয় পরিস্থিতি। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশের।

এপ্রিল ১৯, ২০২৪
রাজ্য

যাত্রীদের কষ্টের দিন শেষ, শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন সেকশনে সমস্ত ১২ কোচের লোকাল ট্রেন

শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ সেকশনে সমস্ত EMU লোকালগুলিকে ১২ কোচের করার জন্য শিয়ালদহ মেইনের সাবার্বান প্লাটফর্মগুলি অর্থাৎ ১ থেকে ৫ নং প্লাটফর্মের দৈর্ঘবৃদ্ধির কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের ইয়ার্ডের জটিলতা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে, ডেডিকেটেড প্রজেক্ট টিম 24X7 অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে নির্দিষ্ট যাতে সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়। নতুন ট্র্যাক, বৈদ্যুতিক লাইন ইত্যাদি স্থাপনের কাজ সহ এমন একটি বিশাল প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা এবং সুস্পষ্ট সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন লে আউটে ইলেকট্রিক ট্রাকশনের বন্দোবস্ত এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ধৈর্যসাপেক্ষ ব্যাপার। ট্রেন চলাচল চালু রেখে এসমস্ত কাজ করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এবং দক্ষ রেলকর্মীরা এই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন। গ্রীষ্মের ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ সত্ত্বেও, নিবেদিত প্রজেক্ট টিম বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে এবং ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সরঞ্জামগুলির জন্য নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং নতুন পরিকাঠামোর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই কাজটি নির্ভুলতার সাথে করা হচ্ছে। দিনের যাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত কমাতে এবং ধুলা দূষণ কমাতে রাতে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে।যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য, দিনের বেলায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম ১,২,৩ এবং ৪ এর কাছে অতিরিক্ত অস্থায়ী এক্সেস রুট খোলা হয়েছে।প্রতি রাতেই রেলসেবা নিবৃত্তির পরেই পূর্বরেলের কর্মীরা কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়ছেন কারণ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ট্রেন চলার আগেই কাজ শেষ করতে হবে যাতে যাত্রীসাধারণ কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন। শিয়ালদহের সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগই প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিভাগীয় কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলতে বদ্ধপরিকর যাতে খুব শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন এবং নর্থ এর সমস্ত লোকাল ট্রেনই ১২ বগির করে তোলা যায়। প্রকল্পটি শিয়ালদহে সামগ্রিক পরিচালন নমনীয়তা এবং যাত্রীদের সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৪
রাজ্য

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য পুলিশের এফআইআর, অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃনাঙ্কুর সহ একাধিক তৃণমূল ছাত্র নেতা

এই প্রথম কোন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তরফ থেকে দায়ের করা হল এফআইআর। পার্থ চ্যাটার্জির নামে এফআইআর দায়ের করলো ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন। এফ.আই.আরে নাম রয়েছে বিনয় তামাং, তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ শাসক দলের বেশ কিছু নেতানেত্রীদের।কলকাতা হাইকোর্ট পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই তড়িঘড়ি রাজ্য শিক্ষা সচিবের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল রাজ্য পুলিশ। এঁদের মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য, ছাত্র নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী সহ আরও ৪ জনের নাম রয়েছে। এফআইআর এ দুর্নীতি ছাড়াও অর্থ তছরুপ, হুমকি ও সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির চিঠির অভিযোগ এফ.আই.আর হিসেবে গ্রহন করার আবেদন এর আগে জানানো হলে, তাতে বিধান নগর উত্তর থানা গুরুত্ব না দেওয়ায়,এই চিঠির বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব আদালত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। যদিও সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
নিবন্ধ

আপনি কোন ট্রেনে চাপেন EMU নাকি MEMU? জানেন তাদের পার্থক্য?

কলকাতা ও হাওড়ার শহর ও শহরতলীর বাসিন্দরা EMU লোকাল ট্রেনগুলিতে চড়েননি, এরকম যাত্রী খুব কমই আছেন। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এই যাতায়াত মাধ্যম এই অঞ্চলের দ্রুত নগরায়নের সহায়ক হিসেবেও বলা যেতে পারে। EMU ট্রেনগুলি শহরতলির অংশগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধাকে ত্বরান্বিত করে। দ্রুতগতির ত্বরণ, চওড়া কোচ, চওড়া দরজা - জানালা, ফলে ভালোভাবে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা এবং কোচের অভ্যন্তরে হাই স্পিড ফ্যানগুলি যাত্রী স্বাচ্ছন্দের সহায়ক। এই অঞ্চলে প্রথম EMU ট্রেন চলাচল শুরু হয় হাওড়া - শেওড়াফুলি সেকশনে ১৯৫৭ সালে। EMU ট্রেনে অনেকগুলি করে ইউনিট থাকে। প্রত্যেকটি unit এ থাকে দুটি ট্রেইলার কোচ এবং একটি মোটর কোচ এবং EMU ট্রেনে কোচের সংখ্যা সচরাচর তিনের গুণিতকে হয়। বর্তমানে ৯ কোচ বা ১২ কোচ EMU ট্রেনের চলাচল পূর্ব রেলের অধিক্ষেত্রে দেখা যায়। এর প্রত্যেকটি ট্রেইলার কোচে ১১৩ জন যাত্রী বসতে পারে যেখানে মোটর কোচে বসতে পারে ৯৮ জন যাত্রী। এছাড়া EMU ট্রেনগুলিতে স্থানীয় পণ্যের সহজে বাজারজাত করার জন্য vendor কোচ ও যুক্ত থাকে যেখানে ৮৬ জন যাত্রী বসতে পারে। ২৫ KV AC ট্র্যাকশন এবং কনভার্টার এর সাহায্যে এই ট্রেনের DC মোটরগুলিকে চালানো হয়। পূর্বরেলের অধিক্ষেত্রে কলকাতা, হাওড়ার শহর এবং শহরতলীর যোগাযোগব্যবস্থা বজায় রাখতে রোজ প্রায় ১২৭২ টি EMU লোকাল চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৩৮৬ টি লোকাল ট্রেন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৮৮৬ টি লোকাল ট্রেন। এছাড়াও প্রায় একইরকম দেখতে MEMU বা Mainline EMU ট্রেন চলাচল করে। এই MEMU ট্রেনগুলি সচরাচর শহরতলীর বাইরের অঞ্চলে স্বল্প এবং মাঝারি দূরত্বের ট্রেন হিসেবে চালানো হয়। EMU ট্রেন এর মতোই MEMU ট্রেনগুলিরও আলাদা কোনও ইঞ্জিন থাকে না। মোটর কোচগুলি এখানে ইঞ্জিনের কাজ করে। যদিও MEMU ট্রেনের দৈর্ঘ্য সাধারণত EMU ট্রেনের তুলনায় বেশি হয়। কারণ, MEMU ট্রেনগুলিতে কোচের সংখ্যা সচরাচর EMU ট্রেনগুলির তুলনায় বেশি হয়। বর্তমানে পূর্ব রেলে মোট ১৪১ টি MEMU ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৪৫ টি, শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৩ টি, আসানসোলে ৮৫ টি এবং মালদা ডিভিশনে ৬ টি। ১৯৯৫ সালে আসানসোল-আদ্রা বিভাগে MEMU পরিষেবা প্রথম শুরু হয়েছিল।এছাড়াও আছে DEMU ট্রেন। তবে এগুলি চলে ডিজেল মোটরে। পূর্ব রেলে এখন মোট ৫০ টি DEMU সার্ভিস চলাচল করে। এরমধ্যে ১১ টি হাওড়া ডিভিশন, ৩৯ টি মালদা ডিভিশনে চলে। এই EMU /MEMU /DEMU ট্রেনগুলি পূর্বরেলের অধিক্ষেত্রে স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে কম খরচে যাতায়াতের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সমাদৃত। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকায় লোকাল ট্রেনে চড়ে যতটা দূরত্বে যাওয়া যেতে পারে, তা অকল্পনীয়। এর পরিবর্তে যে কোনও স্থল পরিবহনের মাধ্যমে সমদূরুত্বে যাতায়াত করতে ২০ টাকা দিতে হতে পারে। বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নতিতে পূর্ব রেল এই সাবার্বান ট্রেনগুলির পরিচালনায় অত্যন্ত তৎপর এবং গণপরিবহনের মাধ্যমের উপর সঠিক গুরুত্ব আরোপ করে যথাযতভাবে চালাতে সর্বদা সচেষ্ট।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
সম্পাদকীয়

মুসলিম তোষন: সোনার পাথর বাটি

চৈত্র এলেই বঙ্গ বাসীর মন উচাটন হয় পয়লা বৈশাখের জন্য। রুখু সুখু চৈত্রের দায়িত্ব বৈশাখের জন্য মঞ্চ সাজিয়ে প্রস্থান করা। আর দুদিন বাদেই বাংলা পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে মন্দিরে, রেস্তোরাঁয় লাইনে দাঁড়াবে। এবার আবার তারপরেই ভোটের লাইনে দাঁড়াবে বঙ্গভূমি। যদিও নির্বাচনটা সারা দেশে। তবু দেশটার নাম যেহেতু ভারতবর্ষ, তাই দেশ এক হলেও প্রতি প্রদেশেই সাজানো থাকে বৈচিত্র্যের ডালি। এই বৈচিত্র্যের কারনেই প্রতিটি রাজ্যে ভোট, ভোটার, ভোটের প্রতিশ্রুতি, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, শান্তি, অশান্তি সব কিছুর ই ক্যানভাস আলাদা। এই যেমন আমাদের বাংলা।এখানে ভোট এলেই শাসকদল তৃণমূলের ভোট শক্তির দুই স্তম্ভ নিয়ে আলোচনা হয়। চলে তর্ক, বিতর্ক। এই দুই স্তম্ভ কে কি ভাবে কাছে টেনে তৃণমূলকে দুর্বল করা যায় তার কৌশল খোঁজে বিরোধীরা। সবাই জানে এই দুই স্তম্ভ হল দুই ম। মুসলিম এবং মহিলা ভোটার। যদিও আমরা কেউ কেউ এক দেশ, এক nation, এক নেতার নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য গলা ফাটাই। আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতায় বৈচিত্র্যময় ভারতের ছবি তুলে ধরে প্রতিযুক্তি সাজায়। তবে এই দুই অংশের সমর্থন পেতে যতই শুম্ভ নিশুম্ভ যুদ্ধ চলুক, পরিসংখ্যান বলছে আখেরে তারা যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই রয়েছেন। ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু এদের অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় না। অথচ পরিবর্তনের নামে সুবিধা বিলোনোর প্রতিযোগিতা চলে। সুবিধা বিলোনোর সেই সব প্রকল্পের গালভরা নাম ও দেওয়া হয়। প্রকল্পের সরণি বেয়ে হাতে কিছু অর্থ আসে। অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সামাজিক সুরক্ষা, নির্যাতন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষার সুযোগ, সুস্থ পরিবেশ, ভদ্রস্থ কাজের সুযোগ, বৈষম্য দূর করা, সু-বেতন অর্থাৎ মানব উন্নয়নের যাবতীয় মাপকাঠিতে এই দুই অংশের পিছিয়ে থাকার কাল আর ফুরোয় না। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়তি যন্ত্রনা হল সমস্যার গলা জলে দাঁড়িয়েও তোষনের অভিযোগে বিদ্ধ হওয়া।শাসক, বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই মনে করে মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুন না কেন তাঁরা এক ভাবে চলেন। এক ভাবে ভাবেন। এক ভাবে দিন কাটান। এক ভাবে ভোট দেন। তাই একটা গতিশীল, চিন্তাশীল জনগোষ্ঠীর ভোট ভিক্ষুকদের কাছে পরিচিতি পায় ভোট ব্যাঙ্ক শিরোনামে। তাই এক দেড় দশক আগেও মুসলিম ধর্ম গুরুদের গুরুত্ব বাড়তো। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা তাঁদের দরজায় পৌঁছে যেতেন। মনে করতেন ধর্ম গুরুরা দাওয়ায় দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়লেই মুসলিমরা দলে দলে গিয়ে তাঁদের নির্দেশ মত রাজনৈতিক দলকে ভোট দেবেন। এই ভাবনা থেকেই মুসলিম সমাজের উন্নয়নের জন্য মুয়াজ্জিমদের জন্য ভাতা বাড়ানো হয়। যদিও ভাতা বাড়ানোর পরে তাঁদের অনেকের উপার্জন কিছুটা কমে গিয়েছে। ভাতা বাড়ানোর পরে কয়েকজন মুয়াজ্জিমের সঙ্গে কথা বলে ছিলাম। হিন্দুদের যেমন বিভিন্ন পুজা পার্বনে, বিবাহে ও শ্রাদ্ধশান্তিতে পুরোহিতের প্রয়োজন পড়ে, মুসলিম সমাজেও তাই। এই সবক্ষেত্রেই যজমানদের দক্ষিণা ধরে দিতে হয়। কিন্তু ওই মুয়াজ্জিমরা জানিয়ে ছিলেন অনেক সময় দক্ষিণা পর্বে তাঁদের শুনতে হয়েছে, সরকার তো তোমাদের ভাতা বাড়িয়েছে তাহলে আমরা আবার দেব কেন? বঙ্গে মুসলিম তোষনের অভিযোগ বাম আমলেও ছিল। অথচ সেই সময় সাচার কমিটির রিপোর্ট মুসলিম সমাজের পশ্চাদপদতার যে ছবি তুলে ধরেছিল তাতে সরকার কে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। সেই ছবি টা আজও বদলায় নি। অথচ পথে ঘাটে শোনা যায় তোষনের ফলে মুসলিমদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। সত্যিই কি তোষন হয়? বাস্তব অবস্থা কিন্তু উল্টো কথা বলছে। ২০১১ সালের জনগননা বলছে এই রাজ্যে জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ মুসলমান। ২০২১ সালে জনগননার কথা থাকলেও হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান বর্তমানে জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মুসলমান হতে পারে। সাম্প্রতিক নানা সমীক্ষায় দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের সংকট বেড়ে চলার ছবি ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা হলে বলতেই হয় যে রাজ্যে নাগরিক জীবনের সুযোগ সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজ ও কাজের পরিবেশে ঘাটতি রয়েছে। এই অবস্থায় যদি সত্যিই মুসলিম তোষন হত তাহলে তিরিশ শতাংশ মুসলিম বাকি ৭০ শতাংশের থেকে এগিয়ে থাকতো। মানব উন্নয়নের মাপকাঠিতে কে কোথায় দাঁড়িয়ে তার জানতে সরকারি স্তরে নানান সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষা গুলির ফল বলছে মানব উন্নয়নের সব মাপকাঠিতেই হিন্দুদের মধ্যে পশ্চাদপদ অংশের থেকেও মুসলমানরা পিছিয়ে রয়েছেন।এই তথ্য আমার মত অর্বাচীনের কল্পনা প্রসূত নয়। জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষা, শিশু মৃত্যুর হার, periodic labour force য়ে পরিসংখ্যান হাতের নাগালেই রয়েছে। যে কেউ চাইলেই দেখতে পারেন। সেখানে দেখতে পাবেন, কোনক্ষেত্রেই মুসলমানরা এগিয়ে নেই। বরং হিন্দুদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। অবশ্য একথা বলার উদ্দেশ্য এই নয় যে হিন্দুরা খুব ভালো আছেন। তাঁরাও অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাই বিভ্রান্তিকর প্রচারে হিংসা ও বিদ্বেষে গা না ভাসিয়ে সবারই উচিত শাসক, বিরোধী সব পক্ষের কাছেই সার্বিক উন্নয়নের খতিয়ান চাওয়া। যাতে উন্নয়নের মাপকাঠিতে যে সব ঘাটতি রয়েছে তা দূর করার জন্য রাজনৈতিক দল গুলির সঠিক উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
রাজ্য

ধরা পড়লেই বিজেপির চক্রান্ত, কেন বললেন দিলীপ ঘোষ

সরকারি কর্মী আন্দোলনের নেতা ভাষ্কর ঘোষকে মারধর প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা প্রথম নয়। এই সরকার হিংসা আর দুর্নীতি দিয়েছে। আর কিছু দিতে পারেনি। আপনি কিছু চাইলে আপনাকে গলা ধাক্কা, কেস, অপমান। এর আগে ডিএ নিয়ে দাবি তোলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। মহিলাদের ও ছাড়া হয়নি। আমরা দেখেছি, ওরা রাস্তায় শুয়ে আছে। জলে কাদায়। কি বাকি রেখেছেন? একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির আন্দোলনে? তাদের কথা শোনার কেউ নেই। ভাস্করদের লড়াই থামবে না। এই লড়াই এই অত্যাচারী শাসককে একদিন লাইনে আনবে। পুলিশের যুক্তি ছেঁদো কথা। তারা কেউ পুলিশকে মারতে যায়নি। পুলিশ ওদের আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কেস হাওয়া উচিৎ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গলা টিপে ধরলে মানুষ বিচার করবে। সব বিজেপির চক্রান্ত, বলছে শেখ শাহাজাহান। আপনি কি বলবেন?উনি যখন খুন করছিলেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছিলেন, তখন মনে ছিল না একদিন জেলের ভাত খেতে হবে। ধরা পড়লেও বিজেপির চক্রান্ত? ওখানে মহিলারা রাস্তায় ঝাঁটা নিয়ে বেরিয়েছিল কেন? কোথায় বিজেপি তখন? বিজেপি তো ঢুকতেই পারেনি। আপাতত জেলে থাকো। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলে বেরোতে পারবে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কীর্তি আজাদকে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ভালো তো। জিতে আসুন। ওনার দূর্ভাগ্য। ওনাকে তৃণমূল এমন ফাঁসিয়েছে, উনি আর বেরোতে পারছেন না। রেজাল্ট হলে বুঝতে পারবেন। কঠিন ফাঁদে পা দিয়েছেন। ওনার পার্টি ওনাকে সাহায্য করছে না। আমি যদি উল্টে বলি, ওনার পার্টির লোকেরা আমাকে সাহায্য করছে। কীর্তি আজাদের বাংলার রাজনীতি বুঝতে সময় লাগবে। উনি বারবার আমার পিছনে লাগছেন। লোক ভাবছে ও জিতলে আর ওকে দেখতে পাবো? দিলীপ ঘোষ মানুষের সঙ্গে আছে। আন্দামান আমার পুরোনো জায়গা। একদিনের জন্য আজ যাচ্ছি। কাল ফিরে আসব। রচনা-লকেট দ্বৈরথ নিয়ে তিনি বলেন, রচনা শিল্পের কি বোঝেন? সিনেমা করেন। সিনেমা শিল্প টাই দেখুন। লকেট এর সঙ্গে রচনার তুলনাই হয়না। লকেট সিনেমা করার পর কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে রাজনীতি করছে। লোকসভায় জিতেছে। পার্টি স্বীকৃতি দিয়েছে। সাফল্যের সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই লকেট অনেক এগিয়ে। বাকিটা ওখানকার মানুষ ঠিক করব।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

"রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না", কেন বললেন দিলীপ ঘোষ

যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কি বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক। রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না। অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বরাবর হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করি না, আমি ডিবেট শো তে যাই না। দিলীপ ঘোষ কি রাজনীতি করে এটা বাংলার মানুষ জানে। ওরাও আসুক। দেখা যাবে কাকে দেখতে লোক বেরোয়।তিনি আরও বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজনো যেন গতঃ সঃ পন্থাঃ। উনি নিজে, ওনার পার্টির নেতা, মন্ত্রী, আগে যারা নেতা ছিল, তাদের কমেন্টগুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড। এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এতো কম, এটা আমি জানতাম না।*ময়নাগুড়ি তে ত্রাণ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। কি বলবেন?সরকার ফুটো হয়ে গেছে। তারা ভালো হাঁড়ি দেবে কীভাবে? রাজ্যকে রেকর্ড টাকা দিয়েছি: মোদী। রাজ্য তো বলছে কেন্দ্র টাকা দেয় না।কেন্দ্র কি দিয়েছে সেটা ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এই সরকার সেই টাকা দিয়ে কি করছে সেটাও সিএজি রিপোর্টে পেয়ে যাবেন। ফলে মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এমন ভাব করছে যেন টাকা ওখানে জমা রেখেছে। চাইলেই দিয়ে দেবে আর লুঠ করে খাবে। এই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অধিকার কেউ দেয়নি। বোস বনাম ব্রাত্য। বেশ বিতর্ক দেখা দিয়েছে।মজার ব্যাপার। এরা রাজ্যপালকে আর কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস। আবার ঠেলায় পড়লে সকাল বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়াবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন। অ আ ক খ শেখালেন। তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন। গিয়ে চা খেলেন। আবার কি হল? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনও ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারে না। রোজ ঝগড়া হবে। আবার ঠেলায় পড়লে দৌড়াবেন। এটাই দেখে আসছি আমরা। বাহিনী আরও ৩ মাস?আমরা বিধানসভার সময় একই দাবি জানিয়েছিলাম। ফল পাইনি। গুণ্ডারা ওপেন বেরিয়ে এসে খুন খারাপি করছিল। মানুষের মনে হয়েছে বাহিনী থাকলে কিছু করলেও করতে পারে। বাহিনী ব্যাবহার করে এখানকার পুলিশ। পুলিশের যেমন ভূমিকা বাহিনীর তাই-ই ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসন না চাইলে কি ভাবে হিংসা বন্ধ হবে?আমি না থাকলেই সব বন্ধ: মুখ্যমন্ত্রী!উনি তো এটাও বলেছেন যে সব জায়গায় উনিই মুখ। ওনার মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো মুখ দেখতে চায় না। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও চলাসার ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি। উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কি কি হয়।ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আপত্তি মমতার। কেন এমব বলছেন?উনি বলেছিলেন জিএসটি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন। দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। উনি ওনার সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারেন না। মানুষও আজকাল ওনার কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদী দেবেন। মোদীর গ্যারান্টি এখন দেশে চলছে। কাকে বিয়ে করতে হবে বিজেপি ঠিক করে দেবে নাকি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন।যেটা উনি নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যেটা উনি নিজে সারাজীবন ঠিক করতে পারেননি। সেটা ঠিক করতে হবে তো। বিজেপি কোনও ধর্মীয় বা ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে না। উনি মিথ্যা বলে এতদিন লোক ক্ষেপিয়ে এসেছেন। এখন সেটা ধরা পরে গেছে। নওশাদ এর ইউ টার্ন। ফের বিতর্ক।এই সব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট। গো ফর বিজেপি।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজ্য

বাংলার ১৯ কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা কোন কেন্দ্রে?

শেষমেশ বাংলায় ১৯ লোকসভা আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তবে এখনও ৪ আসনের ঘোষণা বাকি রইল। রবিবারে রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে ঘোষণা করা হয় এই তালিকা। প্রত্যাশা মতোই প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা তাপস রায় এবং অর্জুন সিংকে। প্রার্থী করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।বড় চমক হিসাবে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী করা হয়েছে রাজপরিবারের রাজমাতা অমৃতা রায়কে। দমদমে প্রার্থী করা হয়েছে বারাকপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকে। দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপকে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে।একনজরে ১৯ কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকা উত্তর কলকাতা তাপস রায়দক্ষিণ কলকাতা- দেবশ্রী চৌধুরীদমদম শীলভদ্র দত্তব্যারাকপুর অর্জুন সিংবর্ধমান-দুর্গাপুর দিলীপ ঘোষবর্ধমান পূর্ব অসীম সরকারমেদিনীপুর অগ্নিমিত্রা পালরায়গঞ্জ কার্তিক পালশ্রীরামপুর কবীর শঙ্কর বোসআরামবাগ অরূপকান্তি দিগারতমলুক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়বসিরহাট রেখা পাত্রবারাসত স্বপন মজুমদারকৃষ্ণনগর অমৃতা রায়জলপাইগুড়ি জয়ন্ত রায়দার্জিলিং রাজু বিস্তাজঙ্গিপুর ধনঞ্জয় ঘোষমথুরাপুর অশোক পুরকাইতউলুবেড়িয়া অরুণ উদয় পাল চৌধুরী

মার্চ ২৪, ২০২৪
দেশ

রঙের উৎসবে স্পেশাল ট্রেন পূর্ব রেলওয়ের, হোলি উদযাপনের সুবর্ণ সুযোগ

রঙের উৎসব হোলি, যা সমগ্র ভারতে উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয় এবং ঐক্য ও আনন্দের মুহুর্তগুলিকে ধারণ করে। সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করার ঐতিহ্যকে বজায় রেখে, পূর্ব রেলওয়ে তাদের হোলি স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু রাখার ঘোষণা করেছে। এই উৎসবের মরসুমে জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে ভ্রমণরত যাত্রীদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই আনন্দময় উৎসব উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার প্রয়োজনে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক জনগণের চাহিদাও পূরণ করবে এই ট্রেনগুলি।এবারের হোলির উৎসবে পূর্ব রেল ২২টি হোলি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করার কথা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ৬টি ওয়ান ওয়ে স্পেশাল ট্রেন রয়েছে। এই ট্রেনগুলি রাক্সৌল, ইন্দোর, বেনারস, জাগী রোড, আনন্দ বিহার, উধনা, নতুন দিল্লি, নিউ জলপাইগুড়ি, ওয়ালসাড, গোরক্ষপুর, পুরী, বারমের, খতিপুরা, চণ্ডীগড়, পাটনা, দিল্লি ও গয়া সহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থানকে একসূত্রে বাঁধবে। যাত্রীদের সুবিধাজনক ও আরামদায়ক ভ্রমণের বিকল্প উপলব্ধ করার লক্ষ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, আসানসোল, ভাগলপুর ও মালদহ সহ প্রধান স্টেশন থেকে এই বিশেষ পরিষেবাগুলি পরিচালনা করা হবে।যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পূর্ব রেল হোলি উৎসবে উপলক্ষ্যে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫৩৬৫২ টি অতিরিক্ত বার্থের ব্যবস্থা করে পূর্ব রেল নিয়মিত পরিষেবার চাপ কমিয়ে যাত্রীদের জন্য একটি সুগম ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে আগের বছরের তুলনায় পূর্ব রেল আরও ১৯টি অতিরিক্ত হোলি স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে তাদের পরিষেবাযর মান উন্নত করেছে। এটি যাত্রী চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি এই উৎসব উপলক্ষ্যে এক সুখময় ও আনন্দদায়ক উদযাপন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে পূর্ব রেলওয়ের অঙ্গীকারেরই পুনর্ব্যক্তি।ভারতের অন্যতম শীর্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হিসাবে, পূর্ব রেল যাত্রী সন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং সমগ্র যাত্রাপথে নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবদাই অঙ্গীকারবদ্ধ।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র বলেছেন, হোলি স্পেশাল ট্রেনগুলির নিরবচ্ছিন্ন পরিচালনার মাধ্যমে, পূর্ব রেল, হাজার হাজার যাত্রীদের জন্য স্মরণীয় অভিজ্ঞতা এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের সুযোগ ও সৃজনের ভূমিকায় নিজেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে।

মার্চ ২৩, ২০২৪
রাজ্য

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত প্রোমোটারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত, রাজনৈতিক শোরগোল অব্যাহত

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এদিকে ওয়াসিম আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বলেন, এক পুর ইঞ্জিনিয়ার সব জানতেন। তাঁর এই মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি গার্ডেনরিচ কাণ্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তাতেও বিতর্ক থামছে না। এবার নয়া বিতর্ক, ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের ঘনিষ্ঠতা।২ বারের কাউন্সিলর শামস ইকবালের ওয়ার্ডেই রবিবার মধ্যরাতে বহুতল পড়ে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। তাঁর ওয়ার্ডেই এমন বেআইনি নির্মাণ সম্পর্কে তিনি নাকি জানতেনই না। এমনটা দাবি করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে, শামস ইকবালের সঙ্গে ধৃত প্রোমোটারের ছবি। ছবিতে শামস ইকবাল এবং মহম্মদ ওয়াসিমকে একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।স্থানীয় ও অন্যান্য সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম ভেঙে পড়া বহুতলটি যে ওয়ার্ডের সেই ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের ঘনিষ্ঠ। যদিও এনিয়ে শামস ইকবালের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। এর আগে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে বিতর্কে জড়িয়েছেন শামস ইকবাল। পুরসভায় একবার ৫ কোটি টাকা মূল্যের অ্যাস্টন মার্টিন গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন ইকবাল। সম্প্রতি আরও একটি গাড়ি কিনেছেন তিনি। সেই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, একজন সাধারণ কাউন্সিলরের কীভাবে এত রোজগার হতে পারে?গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। বেআইনি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। মহম্মদ ওয়াসিম নামে ওই প্রোমোটারকে সোমবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, পাঁচতলার উপরে গাঁথনি করতে গিয়েই দুর্ঘটনা হয়েছে। এদিন আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। এদিকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, এই ঘটনার দায় স্থানীয় কাউন্সিলর এড়াতে পারেন না। বিরোধীরা গার্ডেনরিচ কাণ্ড নিয়ে এদিনও তুলোধোনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। মোটা টাকার বিনিময়ে এমন বেআইনি বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

মার্চ ১৯, ২০২৪
কলকাতা

বহুতল ভেঙে বস্তিতে, বড়সড় বিপর্যয় কলকাতায়, মৃত ৬, জখম বহু

বিকেল গড়িয়ে গেলেও বহুতলের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন ৪ জন। তাদের জল ও অক্সিজেন দেওয়ার পাশাপাশি গ্যাস কাটার দিয়ে সিমেন্টের চাই সরিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। গতকাল রাতের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকালের ঘটনায় ২২ জন আটকে পড়েন বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তাদের মধ্যে ১৫-১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ৬ জন এখনও আটকে রয়েছেন ধ্বংসস্তুপের নীচে।বাম আমল থেকে গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ সামনে এনেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বামেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জলাশয় ভরাট করে গত এক বছর ধরে চলছে বেআইনি এই নির্মাণ। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের এমন অভিযোগ সামনে আসতেই প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।উল্লেখ্য, আজ সকালে মাথায় চোট নিয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি স্থানীয় মানুষদের আশ্বাস দিয়েছেন, দুর্ঘটনায় যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের নতুন করে ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্মাণের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গোটা ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।রবিবার মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে বহুতল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তারপর সময় এগোতে তা বেড়ে হয় ৬। আহত কমপক্ষে ১৫ জন। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একদিকে শাসক দলকে নিশানা করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই দুর্ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ নির্মাণের তত্ত্ব কার্যত মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপরই আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী।গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই অ্যাকশনে নেমে পড়েছে পুলিশ। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এই ঘটনায় বিল্ডিংয়ের প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

মার্চ ১৮, ২০২৪
কলকাতা

কলকাতায় নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ল বস্তির ওপর, মৃত্যু ২, জখম বহু, আটক ৭

গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক জখমের ঘটনা ঘটেছে। এখনও ৭ জন চাপা পড়ে আটকে আছে। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় ১২ টা নাগাদ। এই বাড়িটি জলাভূমি বুজিয়ে তৈরি হচ্ছিল। বেআইনি ভাবে বহুতল নির্মাণ চলছিল বলে জানিয়েছেন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থলে তিনি ছাড়াও গিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ৩ ফুট রাস্তায় ৫ তলা বহুতল কিভাবে সম্ভব? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া এই জায়গাটা আগে জলাভূমি ছিল। কি করে বহুতলের অনুমতি পায়? কারও চোখে পড়েনি। রবিবার রাতে বহুতল ভেঙে পাশের ঝুপড়ির ওপর পড়ে। এখনও বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আটকে আছে। এই দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন জখম হয়েছে। নার্সিংহোম ও এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বহুতলটি বেআইনি ভাবে নির্মিত হচ্ছিল। কাউন্সিলরদের জানার কথা নয়। আধিকারিকরা বিষয়টি জানবে। এ বিষয়ে তদন্ত করবে পুরসভা। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মার্চ ১৮, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 61
  • 62
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal