• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ISRO

প্রযুক্তি

আদিত্য এল-১ অভিযানের মূল কারিগরকে জানুন, আজ সুর্যাভিযানে যাবে 'আদিত্য'

রবির কিরণে হাসি ছড়াইয়া দিব রে পরান ঢালিশিখর হইতে শিখরে ছুটিব,ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব।শনিতে রবির অভিযান। মহাকাশ গবেষণায় চন্দ্রযান-৩ এর মহা সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার ইসরোর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আর এক যানআদিত্য ছুটবে সৌর্য পর্যবেক্ষণে। আদিত্য এল ১ আজ ২রা সেপ্টেম্বর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ হবে। এই অভিযান স্বমন্ধে জানাতে গিয়ে ইসরো জানিয়েছে, এটির মূল লক্ষ্য হল মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তির উৎস সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করা যাতে সূর্যের জটিল প্রক্রিয়াগুলির উপর খুব ঘনিষ্ঠ অধ্যয়নের মাধ্যমে আলোকপাত করা যায়।এই অভিযান কে আদিত্য এল ১ বলা হচ্ছে কেন? এর মানে কী?আদিত্য নামটি এক অর্থে সূর্যকে বোঝানো হয়। আদিত্য বা আদিতেয় বলতে অদিতির সন্তানকে বোঝায়। সাধারণত, আদিত্যগণ সংখ্যায় বারো। এদের একত্রে দ্বাদশ আদিত্য বলা হয়। এরা হলেন অর্যমা, পূষা, ত্বষ্টা, সবিত্র, ভগ, ধাত্রী, মিত্র, বিষ্ণু, বরুণ, মিত্র, অংশ, বিবস্বান বা সূর্য। অনেক পণ্ডিতের মতে, দ্বাদশ আদিত্য বলতে বারোটি মাসকে বুঝানো হয়। ঋকবেদে এর উল্লেখ আছে। আদিত্য নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু দেবতানুসারে এবং L1 মানে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের Lagrange পয়েন্ট ১।আদিত্য L1 এর উদ্দেশ্য কি?মিশনের মূল লক্ষ্য হল সূর্য, সুর্যের করোনা ও এর বাইরের স্তর এবং এর চারপাশের ঘটনা নিয়ে গবেষণা করা। প্রকল্পটি হিন্দু সূর্য দেবতা আদিত্য র নামে নামকরণ করা হয়েছে। সূর্যের কার্যকলাপ এবং মহাকাশ আবহাওয়া এবং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে গঠনমূলক বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করতে এই অভযান।আদিত্য এল ১-এর যন্ত্রের বিন্যাস গবেষকদের সূর্যের পৃষ্ঠ এবং করোনাকে অভূতপূর্ব গভীরতায় বিভিন্ন আলোক তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সূর্যকে দেখে পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে। মিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল চৌম্বক ক্ষেত্রের গতিশীলতা, সৌর শিখা এবং পৃথিবীর জলবায়ু এবং মহাকাশের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য সৌর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানা।PSLV-C57/Aditya-L1 Mission:The 23-hour 40-minute countdown leading to the launch at 11:50 Hrs. IST on September 2, 2023, has commended today at 12:10 Hrs.The launch can be watched LIVEon ISRO Website https://t.co/osrHMk7MZLFacebook https://t.co/zugXQAYy1yYouTube ISRO (@isro) September 1, 2023আদিত্য এল ১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী কে?আদিত্য এল ১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউআরএসসি) বিশিষ্ট সৌর বিজ্ঞানী ডাঃ শঙ্কর সুব্রমণিয়ান কে. দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণার মূল দিকগুলি হল, ইন্সট্রুমেন্টেশন, অপটিক্স এবং সৌর চৌম্বক ক্ষেত্র। ইসরোর অ্যাস্ট্রোসাট, চন্দ্রযান-১ ও চন্দ্রযান-২ এ ও তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিলো।বর্তমানে তিনি ইউআরএসসির স্পেস অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের (এসএজি) দায়িত্বে রয়েছেন। চন্দ্রযান-৩ প্রোপালশন মডিউলের উপরে আদিত্য-এল 1, এক্সপোস্যাট এবং বিজ্ঞানের পেলোডের আসন্ন মিশনের জন্য, SAG বৈজ্ঞানিক পেলোড তৈরি করার কাজ করছে। উপরন্তু, তিনি আদিত্য-এল ১ এর এক্স-রে পেলোডগুলির মধ্যে জন্য প্রধান গবেষক হিসাবে কাজ করছেন। আদিত্য-এল ১ সায়েন্স ওয়ার্কিং গ্রুপ, যার মধ্যে অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা রয়েছে, এর নেতৃত্বে রয়েছেন ড. শঙ্করসুব্রামনিয়ান কে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
দেশ

ভারতের ‘রকেট ওমেন’, চন্দ্রাভিযানে গুরুদায়িত্ব সামলানো লখনউ-র এই বিজ্ঞানীকে চিনে নিন

চাঁদ মামা এখন দুরের নয় ট্যুরের, সুদুর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরস এই মন্তব্য ঘরে ঘরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পুর্বনির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যাণ্ডিং করে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। সারা দেশজুড়ে উল্লাস ও উৎসব। ভারতীয় হিসাবে সত্যিই গর্ব করার মত মুহুর্ত। চাঁদ এখন ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়।বিক্রমের কাঁধে ভর করে প্রজ্ঞান চাঁদে ল্যান্ড করেই একের পর এক চমক দিতে শুরু করেছে। সফল অবতরণের পর প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি ছবি তুলে পাঠায় ল্যান্ডার বিক্রম। তাতে দেখা যায় চাঁদের ঠিক কোন অঞ্চলে নেমেছে বিক্রম। এর পরই বিক্রমের অন্তঃস্থল থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান।ইসরো তার সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে জানায়,প্রজ্ঞান সঠিক ভাবেই বিক্রমের পেট থেকে চাঁদে ভুমিষ্ট হয়েছে, এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে মুনওয়াকেও বেড়িয়ে পড়েছে সে। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ চাঁদের মাটিতে এঁকে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান-৩-এর চুড়ান্ত সাফল্যে অনেকের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন লখনউয়ের প্রবাসী এক মহিলা। ইসরো খুব বড় দায়িত্ব দিয়েছিল এঁর কাঁধে।সম্পুর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইসরোর চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে, তথ্য তল্লাস করতে ঘোরাঘুরিও শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী হিসাবে প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে সামগ্র বিশ্ব থেকে অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের ওয়াল। আজ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে এই মুহুর্ত খুব আবেগের, আনন্দের ও অত্যন্ত গর্বের। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে উৎসবের ঝাঁজ বেশ খানিকটা বেশি। কারণ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে লখনউ-র এক ভুমিকন্যার যোগসূত্র। এই শহরেরই মেয়ে ডাঃ ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবের কাঁধেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের গুরুত্বদায়িত্ব ছিল।ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তব বিজ্ঞানী মহলে ভারতের রকেট ওমেন নামে অধিক পরিচিত। ঋতু করিধাল লখনউ শহরের রাজাজি পুরম এলাকার আদি বাসিন্দা। তার পৈতৃক বাড়ি এখনও রয়েছে এখানে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর তার বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। ঋতু এর আগেও ISRO-র অনেক বড় বড় প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি চন্দ্রযান ৩ মিশনে সফল অবতরণের মতো গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল ইসরোর পক্ষ থেকে। ঋতু করিধাল ছিলেন চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে মিশন ডিরেক্টর। এর আগে ঋতু মঙ্গলযানের ডেপুটি অপারেশন ডিরেক্টর ও চন্দ্রযান-২ এর মিশন ডিরেক্টর ছিলেন।করিধালের জন্ম উত্তর প্রদেশের লখনউতে। তিনি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। পরিবারে পড়াশোনার চল ছিল অনেক আগে থেকেই। তিনি লখনউ-র এক বেসরকারকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। তিনি ছাড়াও তাঁর দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ছিল বেশী। তিনি যেখানে থাকতেন, সেখানকার পরিবেশ তাঁর পড়াশোনার পক্ষে অনুকুল ছিলনা বলে তিনি সেলফ স্টাডি তে জোড় দেন। ঋতু ছোট থেকেই রাতের আকাশের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকত এবং মহাকাশের কথা চিন্তা করত, সে চাঁদের কথা ভাবত, কীভাবে এটি তার আকার ও রং পরিবর্তন করে, তারাগুলি কে পর্যবেক্ষণ করে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে ঐ গভীর অন্ধকারের পিছনে কী রয়েছে? তার কৈশোরে, তিনি মহাকাশ-সম্পর্কিত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে সংবাদপত্রের প্রতিটি কাটিং সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন এবং ISRO এবং NASA-এর কার্যকলাপের উপর তাঁর সাংঘাতিক রকমের নজর ছিল।ঋতু লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগেই ডক্টরেট কোর্সে ভর্তি হন। পরে একই বিভাগে শিক্ষকতাও করেন। তিনি ছয় মাস লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা স্কলার ছিলেন। তিনি মহাকাশ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করার জন্য IISc, ব্যাঙ্গালোরে যোগদান করেন। বাকিটা ইতিহাস। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় অবদানের জন্য ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবকে রকেট ওমেন হিসাবেই স্মরণ করবে।

আগস্ট ২৬, ২০২৩
দেশ

জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ভারতের, চন্দ্র অভিযানে ইতিহাস গড়ল ইসরো

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দ্বিতীয় দফার প্রচেষ্টা সফল। চন্দ্রযান-৩ বিক্রম ল্যান্ডার সফট ল্যান্ডিং করল চাঁদের পৃষ্ঠে। ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩। বুধবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল দেশজুড়ে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ভারতের চন্দ্র অভিযানের দিকে। এরইমধ্যে রাশিয়ার দ্রুত গতির চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চার বছরের মাথায় সফল ইসরো। চাঁদের সহজেই দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩।ইতিহাসে নাম লেখাতেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে মোদী। ইসরো প্রধান সোমনাথ আজ সকালেই মিশন সম্পর্কে বলেন, চার বছরের কম সময়ে আমরা আমাদের মিশন উন্নত করতে এবং একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা তৈরিতে আমাদের বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই মিশনে এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই ঠিক ঠাক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্তরে সিস্টেম যাচাই করে অবতরণের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগের সকল ভুল সংশোধন করেছে ISRO।১৪ জুলাই ইতিহাস গড়ার অভিযানে নেমেছিল ইসরো। শেষমেশ সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ অভিযানে সক্ষম হল। এই অবতরণে সফল হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত।চন্দ্রযান-২, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যর্থ হয়েছিল, যখন এর ল্যান্ডার বিক্রম একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে। ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-১ ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পরে ভারত মুন মিশনে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে হয়ে উঠেছে। ১৪ দিন সেখানে ঘুরে ফিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এই ১৪ দিন চাঁদের জমিতে থাকা জল ও নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

ইসরোর বিক্রমে ‘হাতের মুঠোয় চাঁদ’, জোছনা এবার আড়ি করেনি

ইতিহাসের সাক্ষী থাকলো সারা বিশ্ববাসী। অন্তরীক্ষে ইতিহাস ভারতের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিশাবে চাঁদের বুকে বীর বিক্রমে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে চাঁদের বুকে পা রাখলো ভারত। বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। অবতরণের শেষ ২০ মিনিট নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় কেটেছে। শেষ ভালো যার সব ভালো। কোনওরকম সমস্যা তৈরি না করে সমস্ত কিছুই পরিকল্পনা মাফিক হয়ে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করল সম্পূর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটি ছুঁয়েই ল্যান্ডারের বিক্রম ভারতকে অভিনন্দন বার্তা পাঠালো। এবার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান কি কি আজানা খবর দেয় তার দিকেই তাকিয়ে ইসরো-র বিজ্ঞানীরা।উল্লেখ্য, ২০২৩ এর ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা করে ছিল চন্দ্রযান-৩। ইসরোর তৈরি মহাবলী মার্ক-৩ রকেটে চড়ে কক্ষপথে পাড়ি দেয় এই মহাকাশ যানটি। যাত্রাপথে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারে পথ নির্বিঘ্নে প্রতিটি ধাপ সে সফলভাবে পেরিয়েছে। আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। ১৯ আগস্ট মূল মহাকাশ যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রাভিযানের উদ্দশ্যে রওনা দেয় ল্যান্ডার বিক্রম।Chandrayaan-3 Mission:All set to initiate the Automatic Landing Sequence (ALS).Awaiting the arrival of Lander Module (LM) at the designated point, around 17:44 Hrs. IST.Upon receiving the ALS command, the LM activates the throttleable engines for powered descent.The pic.twitter.com/x59DskcKUV ISRO (@isro) August 23, 2023ইসরো বিজ্ঞানীদের হয়ত বা চার বছর আগের ব্যর্থতার সেই মহুর্তে বার বার মনে আসছিলো। তীরে এসে তরী ডুববে না তো? ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের চন্দ্রযানকে এরর -ফ্রী করে তুলে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি তা বলাই বাহুল্য। এবারের অভিযান নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন বিজ্ঞানীরা।২০১৯ র অভিযানে ইসরোর ডিরেক্টর কে সিভান চাঁদের বুকে রুক্ষ মাটিতে চন্দ্রযান-২ আছড়ে পড়ার পর যে ভাবে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন সে দৃশ্য সারা দেশ আজও ভুলতে পারেনি। আজকের দিনে সমস্ত যায়গায় তিনিই ছিলেন আলোচনার কেন্দবিন্দুতে। সেই প্রাক্তন ইসরোর প্রধান কে সিভান কিন্তু এবারের অভিযানের সফলতার প্রতি সম্পূর্ন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের করা ভুল তৃতীয় আর পুনরাবৃত্তি করবে না। তিনি কতটা ঠিক ছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

সরাসরি দেখুন ইসরোর 'চন্দ্রযান ৩' এর চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণের মুহূর্ত, সাক্ষী হন ইতিহাসের

চূড়ান্ত মুহূর্তের অপেক্ষায় সমগ্র দেশবাসী। ইতিহাস স্পর্শ করতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কাউন্টডাউন শুরু। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধের সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতের সম্পূর্ন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান ৩। কথায় আছে, মঙ্গলে ঊশা-বুধে পা, প্রবাদকে সামনে রেখে বুধে-র সাফল্যের দিকেই তাকিয়ে আপামর ভারতবাসী।রাশিয়ার স্বপ্নভঙ্গ কিছুটা হলেও ইসরো-ও বিজ্ঞানীদের আরও বেশি সতর্ক করে দিয়েছে। রাশিয়ার তৈরি লুনা-২৫ রবিবার চাঁদ ছুঁতে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছে। চাঁদের বুকে ভেঙে পড়েছে রুশ মহাকাশযান লুনা -২৫। এখনও অবধি কোনও দেশই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান সফল অবতরণ করাতে পারেনি। সেই দিক থেকে ভাবলে, বুধবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর কাছে এ এক অগ্নিপরীক্ষা। ক্রমশ চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে যাচ্ছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল। এই মুহূর্তটা ইসরোর কাছে ক্রিকেট খেলার স্লগ ওভারের মত। বল গুনে গুনে খেলা, মুহুর্তের অসাবধানতা - সব শেষ।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো রবিবার দুপুর ২টো ১২মিনিটে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে ভারতীয় মহাকাশযান। সমগ্র দেশবাসীর কাছে সুখবর, তাঁরা এবারের চন্দ্রযানের অবতরণের মুহূর্ত সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন। যে যে মাধ্যমে এই বিরল দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে তার লিঙ্কও ইসরো জানিয়ে দিয়েছে। চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার করে হবেঃ ইসরো অফিসিয়াল সাইট, ইসরো ফেসবুক, ইসরো ইউটিউব।Chandrayaan-3 Mission:🇮🇳Chandrayaan-3 is set to land on the moon 🌖on August 23, 2023, around 18:04 Hrs. IST.Thanks for the wishes and positivity!Lets continue experiencing the journey togetheras the action unfolds LIVE at:ISRO Website https://t.co/osrHMk7MZLYouTube pic.twitter.com/zyu1sdVpoE ISRO (@isro) August 20, 2023অপেক্ষা আর মাত্র দুটি দিন, তার পরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রবিবার ইসরোর টুইট করার কিছু মুহূর্ত পরেই রাশিয়ার তৈরি লুনা-২৫ ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে। সেই খবরের জেড়ে ইসরোর শিরদাঁড়ায়ও চোরা স্রোত বইছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। ২০১৯-এর ভারতের চন্দ্রযান ২-এর বেদনাময় স্মৃতি ইসরোকে উস্কে দিচ্ছে বলেও তাঁরা মনে করছে। ২০১৯ -এ সারা দেশের অধীর রাতজাগা যে ভাবে ব্যর্থ হয়ে চাঁদের বুকে দেশের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সে কথাই এখন বারবার উঠে আসছে। তবুও ইসরোর সঙ্গে দেশবাসীও আশায় বুক বেঁধেছেন।এবারের চন্দ্রাভিযানের প্রথম থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ এর করুন পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ইসরো অনেক সাবধানেই চাঁদের বুকে পা রাখার পরিকল্পনা করেছে। এখনও পর্যন্ত সব ঠিক ঠাকই চলছে বলে তাঁদের ধারণা। চাঁদের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছেদের পর গতি কমিয়ে দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। রবিবার আবার দ্বিতীয় দফায় গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইসরো এবারের অবতরণ পদক্ষেপে অনেক পরিবর্তন করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। তাঁরা জানান, এবারের ভারতীয় চন্দ্রযান চন্দ্রযান ৩ কে পাখির পালকের মতো আলতো করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হবে। ঘন অন্ধকারে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই সফ্ট ল্যান্ডিং করা যে কোনও মহাকাশযানের কাছেই বিরাট চ্যালেঞ্জ। কয়েক মহুর্ত আগে রুশ চন্দ্রযান লুনা-২৫ যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন ভারতের চন্দ্রযান বুধবার সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারে কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন!উল্লেখ্য, ১৪ ই জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছিল সম্পুর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় চন্দ্রযান ৩। প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত করে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫। লুনা-২৫ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ১০ ই অগস্ট ২০২৩। সোমবার ২১শে আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা এই রুশ মহাকাশযানের। ভরতের থেকে কম সময়ে চাঁদে সফল অবতরণ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়। অনেকের মনেই এই জল্পনা চলছিল, ভারতকে টেক্কা দিয়ে কি পুতিনের দেশ রাশিয়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলবে? ব্যর্থ হয় সেই অভিযান! রবিবার রাশিয়ার সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে পরে। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয় তাঁরা। এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি ইসরোর কেরামতির দিকে। ভারতের চন্দ্রযানের কি হাল হয় তার দিকেই তাকিয়ে সারা বিশ্ব। বুধবার কি ইতিহাস তৈরি হবে? অপেক্ষার কাউন্টডাউন শুরু...... ২৩ আগস্ট, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের অধীর অপেক্ষায় সমগ্র ভারতবাসী।

আগস্ট ২০, ২০২৩
দেশ

কবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩, মহাকাশযান এখন কোথায় অবস্থান করছে?

চন্দ্রযান-৩ নিয়ে বিজ্ঞানীদের যেমন আশা রয়েছে তেমনই উৎসাহ দেশবাসীর। মঙ্গলবার চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান পৃথিবীর চারপাশে তার সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। এখানে এটি চাঁদের দিকে যাত্রা শুরু করার আগে আরও ছয় দিন থাকবে। ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) জানিয়েছে যে পঞ্চম এবং চূড়ান্ত কক্ষপথে ওঠার কৌশলটি মঙ্গলবার বিকেলেই সেরে ফেলেছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটি বর্তমানে রয়েছে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। যার দূরত্ব পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে বেশি ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার। আর, সবচেয়ে কাছের ২৩৬ কিলোমিটার। এর আগে, মহাকাশযানটি পৃথিবীর চারপাশে ৭১,৩৫১x২৩৩ কিলোমিটার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ছিল।গত ১৪ জুলাই উৎক্ষেপিত হয়েছে চন্দ্রযান-৩। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই মহাকাশযান আগামী মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। বর্তমানে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে এটি। ক্রমশই এর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছে। ১ আগস্ট, এটি পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেড়িয়ে যাবে। আর, সরাসরি চাঁদের দিকে যেতে শুরু করবে। একবার চাঁদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই মহাকাশযান চাঁদের একের পর এক কক্ষপথে প্রবেশ করবে। সেই জন্যও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। অবশেষে ২৩ বা ২৪ আগস্টের কাছাকাছি প্রায় ১০০ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে চন্দ্রযান চাঁদের পৃষ্ঠে চূড়ান্ত অবতরণ করবে।চন্দ্রযান-৩ সমগ্র ভ্রমণকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাশ্রয়ী করার জন্য সরাসরি চাঁদে চলে যাওয়ার পরিবর্তে একটি বৃত্তাকার পথে সেদিকে যাচ্ছে। চাঁদে এই মহাকাশযান সরাসরি যেতেই পারত। সেজন্য এর প্রায় চার দিন বেশি সময় লাগত। কিন্তু, সেজন্য চন্দ্রযান-৩ এর অনেক ভারী রকেট এবং বিপুল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হত। যার খরচ ছিল ব্যাপক। সেই কারণে খরচ বাঁচাতে চন্দ্রযান-৩ কে পৃথিবীর কাছাকাছি একটি কক্ষপথে প্রথম পাঠানো হয়। সেখান থেকে এই মহাকাশযান গতি অর্জনের জন্য অভিকর্ষ বল ব্যবহার করে। তারপরে ফায়ার থ্রাস্টারগুলোকে ত্বরান্বিত করে একের পর এক কক্ষপথে পৌঁছেছে। এই প্রক্রিয়ায় অনেক কম পরিমাণে জ্বালানি লাগছে। কিন্তু, চাঁদে পৌঁছতে অনেক বেশি সময়ও লাগছে।

জুলাই ২৬, ২০২৩
দেশ

চন্দ্রযান ‘থ্রী’ দলে সামিল বীরভূমের কৃষক পরিবারের সন্তান বাংলার গর্ব

চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। ইসরোর গবেষনাগারে বসে চন্দ্রযান থ্রীর সফল উৎক্ষেপনে অংশ নিয়েছেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার বিজয় কুমার দাই। তপশিলী দরিদ্র চাষী পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় দারিদ্রতাকে জয় করে চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল হলেন তিনি। বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা ও তার গ্রামের মানুষজন। চন্দ্রযান টু সফল না হলেও চন্দ্রযান থ্রী সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলে আশা বিজয় কুমার দাই এর বাবা ও মার।২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগততারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রী লাভ করেন। তারপরেই চাকরি পেয়ে যান ইসরোতে। সেখানেই চন্দ্রযান ২ এবং চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপনে অংশ গ্রহন করেন তিনি। বিজয় কুমার দাই এর এই সাফল্যে খুশী দক্ষিণগ্রামের মানুষজনও। খুশী দক্ষিণগ্রাম জগততারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষককেরাও।মা শ্যামলী দাই বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে বিজয় মেজো। বড় ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বড় ছেলের দেখানো পথেই মেজো ছেলে ইসরোতে পৌঁছেছে। বড় ছেলে সব সময় ভাইকে গাইড করত। খুব ভালো লাগছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র ইসরো বিজ্ঞানী হয়েছে এটাতো গর্বের বিষয়। আমরা ঠিক করেছি এবার বাড়ি ফিরলে স্কুলে অনুষ্ঠান করে তাকে সম্বর্ধিত করব। পাশাপাশি তাঁর মাধ্যমে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করব।

জুলাই ১৬, ২০২৩
রাজ্য

ইতিহাস ছুঁয়ে পূর্ব বর্ধমানকে গর্বিত করল মেমারির কিশোর অনুরাগ

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অনুরাগ মান্না। আগামী ১৪ মে ইসরোর সেন্টারে পৌঁছাবে অনুরাগ। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে ২৭ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবে সে। এই খবরে খুশির হাওয়া তার স্কুল ও পাড়ায়। অনুরাগের বাবা শ্যামল কুমার মান্না ও মা সাধনা মান্না জানায়, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ওকে ভাবায়, ভবিষ্যতে তাঁর লক্ষ্য মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়া। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে তাঁকে বরাবর অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন তার বিদ্যালয় ও বাবা মা। শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। সমগ্ৰ ভারত থেকে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্য থেকে মাত্র ৩৫০ জন সুযোগ পেয়েছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। ফল প্রকাশিত হতে দেখা যায়, সুযোগ পেয়েছে অনুরাগ। তার স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রী অরুন কান্তি নন্দি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভাকে খুঁজে বের করা ও তাদের উদ্দীপিত করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। তারই আবারও ফল পেলাম।

এপ্রিল ২১, ২০২৩

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal