• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ISI

কলকাতা

Dhankhar: আচমকাই আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল

দলবদল নিয়ে সড়গরম রাজ্য-রাজনীতি। সোমবারই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। Honble Governor West Bengal. Shri Jagdeep Dhankhar will be visiting New Delhi.Governor Dhankhar will leave for Delhi on the late evening of June 15, 2021 and return to Kolkata on June 18, 2021 in the late afternoon. Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 15, 2021মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছেন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি। ঠিক কী কারণে এই সফর তা নিয়ে টুইটে কোনও মন্তব্য করেননি ধনকড়। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি হঠাৎ দিল্লি যাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য়পালের দিল্লিযাত্রা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। হঠাৎই রাজ্যপালের দিল্লি সফরের এই সূচি সামনে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং প্রত্যেকবারই বাংলা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তিনি সেখানে জানিয়ে এসেছেন। বেশির ভাগ সাক্ষাৎই তিনি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির সমস্বরেই রাজ্যপালকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দোষী ঠাওরেছেন ধনখড়।উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক কোনওদিনই সুমধুর নয়। একাধিকবার প্রকাশ্যে রাজ্যের নীতির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন ধনখড়। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল। সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ধনখড়। সেখানে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না? ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের খোঁচা, বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। ওইদিন ফের রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন জগদীপ ধনখড়।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Firhad Hakim: শালিমার শিপ বিল্ডার্সের হাল ফেরাতে পরিদর্শন ফিরহাদের

হাওড়ার শালিমার শিপবিল্ডার্স অনেক দিন ধরেই লোকসানে চলছে। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ধুঁকতে থাকা এই সংস্থাকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায় তা ক্ষতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে সংস্থাটি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সংস্থাটির হাল ফেরাতে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে একজন কর্মরত আইএএস অফিসারকে। শালিমার লাভের মুখ দেখলে লাভ সরকারের। তাই শালিমার শিপবিল্ডারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই পরিবহন মন্ত্রীর এই সংস্থা পরিদর্শন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন শালিমার শিপবিল্ডার্স পরিদর্শন করে সেই সংস্থার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, প্রথম কাজ সংস্থার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন করা। এর পাশাপাশি সংস্থার যে জায়গাগুলো পড়ে আছে সেই জায়গাগুলোকে ব্যবহার করা। শুধু তাই নয় সরকারের যেসব প্রকল্পের কাজ বাইরে করা হয় সেগুলি এখানে নিয়ে আসা হবে। তিনি জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স বাইরে থেকে কাজ করিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের লাভজনক কাজগুলি এখানে টেনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও সরকার প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে যে যে কাজগুলি করিয়ে থাকে সেগুলি শালিমার করবে। পাশাপাশি, রিভার ট্রাফিক সার্ভিসের কাজে প্রাইভেট সংস্থাকে না দিয়ে শালিমার কে দিয়ে করানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এদিন তিনি জানান, বড় নৌকাগুলি অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করানো এবং গঙ্গা ভ্রমণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও শালিমারে একটা ছোট ড্রাই ডক তৈরি করা হবে। তাঁর দাবি, এখানে যদি ভালো পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় তাহলে আগামী দিনে শালিমার লাভের মুখ দেখবে। এতে সরকারি লাভবান হবে। এই কারণে শালিমার কে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো শালিমার শিপবিল্ডার্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। এসে দেখি এটার বিশাল পরিকাঠামো। রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোও বড়। কিন্তু কোন কারণে কোম্পানিটা ধুঁকছে। তিনি সেক্রেটারি সঙ্গে কথা বলে এক আইএএস অফিসার কে এই কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হলো বলে জানান। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এতটা দক্ষ ছিলেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, শালিমার শিপবিল্ডার্স এ কিছু সমস্যা আছে। এই শিপবিল্ডার্সের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে করা হবে। যেমন জাহাজ সারানো, নতুন জাহাজ আনার মতো রাজ্য সরকারের কাজ শালিমারে করা হবে। এতদিন এই সমস্ত কাজ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হতো। এই কাজ করানো হলে শালিমার শিপবিল্ডার্স চলবে। ২০০৪ সালে কিছু অর্ডার নিয়েছিল এই সংস্থা। সেটা দিতে পারছে না। ফলে প্রায় ১৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসান থেকে লাভের পথে নিয়ে আসার জন্য পরিকাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। অনেক জাহাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে এগুলি সম্পন্ন করা হবে। তাঁর আশা সরকার এই সংস্থাকে ভালোভাবে চালাতে পারবে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে সংস্থাটি লাভবান হবে।

জুন ১৪, ২০২১
রাজনীতি

Abjishek Bannerjee: সুখেন্দুশেখরের বাড়িতে এবার 'গুরুপ্রণাম' অভিষেকের

নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সপ্তাহখানেক হল। তবে গুরুপ্রণাম এখনও শেষ হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। রবিবার তিনি গেলেন রাজনৈতিক জীবনের আরেক গুরু, দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy)বাড়ি। সন্ধেবেলা সাংসদের যোধপুর পার্কের বাড়িতে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অভিষেক। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সুখেন্দুশেখর। বাড়ির ভিতরে ডেকে নেন। প্রণাম-আশীর্বাদের পর্ব মিটিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। নতুন দায়িত্ব সামলানোর জন্য অভিজ্ঞ এই রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চেয়েছেন যুব নেতা।দলের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অভিষেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজনীতির আঙিনায় গুরুজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেবেন। সেইমতো গত রবিবার থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিন গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। নতুন দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, এই নয়া অভিষেককে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বক্সিদা। তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, তোকে সব উজাড় করে দেব। মমতার আশীর্বাদ তোর সঙ্গে আছে। ও কত কষ্ট করেছে, কত সংগ্রাম করেছে। যুব নেতাকে দেখে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছিল তৎকালীন যুব নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা (Mamata Banerjee)। তাই চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। অভিষেকই তাঁকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেন।এরপর অভিষেক একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে গুরুপ্রণাম সেরেছেন। সকলেই অভিষেককে নতুন ভূমিকায় দেখতে উদগ্রীব। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন এক সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ করেছেন প্রাণভরে। কথা দিয়েছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা, সুপরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবেন। সুখেন্দুশেখরও ব্যতিক্রম নন। তিনিও প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন দলের যুব নেতাকে।

জুন ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Left Alliance: বামফ্রন্টেই থাকছে ফরওয়ার্ড ব্লক

আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইতি ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Bloc)। বামফ্রন্ট ভেঙে বেড়িয়ে আসার রাস্তায় হাঁটল না শরিক নেতারা। মান বাঁচাতে এবার তাঁরা টার্গেট করল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে (ISF)। এই দুই জোট শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাল ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতারা। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে শরিকের দাবির কাছে পাল্টা কৌশলী চাল চেলেছে সিপিএম।ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছিল বামফ্রন্টের দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বা আসনরফার সময় তাঁদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পাননি যোগ্য সম্মান। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আসনরফা করা হয়। ফলে বঞ্চিত হয় শরিকরা। অভিযোগের সব আঙুলই ছিল সিপিএমের (CPIM) দিকে। এইভাবে চললে বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজন নেই। আপাতত বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি করে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। এক পা এগিয়ে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ করে তাঁরা। বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যতে চলার পথ কী হবে সেই ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। শরিকের এহেন মনোভাবে রুষ্ট হয় আলিমুদ্দিন। মাঝে দু-দুবার বৈঠক ডেকেও বাতিল করেন বিমান বসু। তবে শরিকের দাবি মেনে লিখিত দেন। সেখানে আগামীদিনে বামফ্রন্টের লক্ষ্য কী সেই উল্লেখ থাকলেও জোট বা আসনরফা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। দ্বন্দ্ব মেটাতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেয় আলিমুদ্দিন। প্রস্তাব মেনে শনিবার আলিমুদ্দিন যান দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর বিপ্লবে ইতি টানে নেতাজির দল। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের (Left Front) বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। বামফ্রন্ট একাই চলবে বলে দাবি করেন তিনি। বিমান বসুর আশ্বাসে আপাতত বামফ্রন্টেই থাকছেন বলে জানানো হয়।

জুন ১২, ২০২১
কলকাতা

Rajiv Bannerjee: কুণাল ঘোষের বাড়িতে দেড় ঘণ্টার 'সৌজন্য' সাক্ষাৎ

মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়ের পর একে একে ঘরের পথে পা বাড়াচ্ছেন আরও অনেকেই। এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বাড়িতে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সূত্রের খবর, বিকেলে কুণাল ঘোষের বাডিতে হাজির হন রাজীব। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলে ফিরতে চেয়েই কুণাল ঘোষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সখ্য বাড়াতে চাইছেন রাজীব। তবে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ফেরার পালা? কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের খবরে এই জল্পনা উসকেছে অনেকটাই।সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য কুণাল ঘোষ নিজে এই সাক্ষাৎপর্বকে সৌজন্য বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, রাজীবের এক আত্মীয় অসুস্থ। তিনি তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। আমাকে ফোন করে জানতে চাইলেন, আমি বাড়ি আছি কিনা। আমি বাড়ি ছিলাম, তাই তিনি এসেছেন। রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি। রাজীবেরও প্রায় একই বক্তব্য। বললেন, কুণালদার সঙ্গে অনেকদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমি এখানে এসেছিলাম, তাই দেখা করেছি। এর মধ্যে অন্য কোনও প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নেত্রী সবসময় শ্রদ্ধার। তাঁর আশীর্বাদ সঙ্গে রাখলাম। এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন নিজের এলাকায়। তারও আগে অবশ্য রাজীবের এই দলবদলের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এলাকাবাসীই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ডোমজুড়- সহ একাধিক এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তারপর ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবার কী তাহলে রাজীবের ঘরে ফেরার পালা?

জুন ১২, ২০২১
রাজ্য

যশ-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল

বাংলা ও ওডিশায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ বিধ্বস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এরপর ক্ষয়ক্ষতি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় দল। রবিবারই তাঁরা এ রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। যশ-এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও তাঁরা এই দুই জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। এরপর বুধবার নবান্নে সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, যশ-এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর দিল্লি গিয়ে রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দেবে এই কেন্দ্রীয় দল। রাজ্যে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেই বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কত টাকা সাহায্য করবে, তার অনেকটাই এই রিপোর্টের উপর নির্ভরশীল বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।যশ-এ সর্বহারা পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প দুয়ারে ত্রাণ শুরু হয়েছে। এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। সেই কাজ কীভাবে, কতটা ভাল কাজ করছে, তা বুঝতে আজ নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জেলাগুলির পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে।রবিবার সন্ধেবেলা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস কে সাহির নেতৃত্ব প্রতিনিধি দলটি। এই দলে রয়েছেন কেন্দ্রের কৃষি ও কৃষক উন্নয়নের ডিরেক্টর, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে মন্ত্রকের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, বিদ্যুৎ মন্ত্রক, মৎস্য মন্ত্রকের কর্তারা। দুটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা যাবেন ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার একটি দল পাথরপ্রতিমা ও গোসাবা এলাকা ঘুরে দেখবেন। দ্বিতীয় দলের সদস্যরা যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে দিঘা ও মন্দারমণির পরিস্থিতি কতটা সঙ্গীন, তা বুঝে নেবেন। মঙ্গলবার দিঘার বিভিন্ন সাইক্লোন বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অন্য দলটি যাবে গদখালি এবং গোসাবায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়। বুধবার দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। রাজ্যের তরফে বৈঠকে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা, সিভিল ডিফেন্স এবং অর্থ দপ্তরের কর্তারা।

জুন ০৭, ২০২১
কলকাতা

মুকুলের স্ত্রী-কে দেখতে এবার হাসপাতালে লকেট

মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রী-কে দেখতে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, নরেন্দ্র মোদির পর লকেট।বস্তুত, হাসপাতাল-সফর নিয়ে দিলীপ-মুকুল বাকযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনেই বিজেপি লকেটকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তবে লকেট জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে নয়, তিনি ব্যক্তিগতভাবেই হাসপাতালে গিয়ে মুকুলের স্ত্রী-র খোঁজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মুকুলের স্ত্রী কৃষ্ণা অসুস্থ বেশ কিছুদিন ধরেই। করোনা নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন গত ১৪ই মে। করোনাকে জয় করলেও পরে অন্যান্য সমস্যায় কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। মুকুলও করোনা আক্রান্ত হন। তবে তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। এই পর্বে রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে নাকি তেমন কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি। অন্তত প্রকাশ্যে তো নয়ই। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের টান দেখিয়ে আচমকা হাসপাতালে চলে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক চেহারা পেয়ে যায় কৃষ্ণার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতাদের হাসপাতাল-সফর। অভিষেকের যাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পরে পরেই বুধবার হাসপাতালে পৌঁছে যান দিলীপ। বৃহস্পতিবার সকালে মুকুলকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এর পরে মুকুলের মন্তব্য এবং তাতে দিলীপের পাল্টা কটাক্ষে তৈরি হয় বিতর্কের নতুন আবহ। দিলীপের হাসপাতাল যাওয়া প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, উনি আমাকে বা অন্য কাউকে বলে তো হাসপাতালে যাননি। কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তা-ও জানি না! তার জবাব দিতে গিয়েই শুক্রবার দিলীপ বলেন, অসুস্থকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার আগে কাউকে জানিয়ে যেতে হয় নাকি! আর আমি ওখানে অনেককে চিনি। গিয়েছি। দেখা করেছি। চলে এসেছি।সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আর রাজ্য সভাপতির মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যে সামনে এসে পড়ে বিজেপি-র অন্দরের লড়াই। নতুন করে প্রকাশ্যে আসে মুকুল- দিলীপের দ্বন্দ্ব। এর পরেই লকেটের যাওয়া।

জুন ০৪, ২০২১
কলকাতা

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল গেলেন সচিবালয়ে

ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এবং রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একইসঙ্গে রাজ্যের ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করলেন তিনি। এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্যের সচিবালয়ে পা রাখেননি। তবে রাজ্য এবং রাজ্যপালের নিরন্তর সংঘাতের প্রেক্ষিতে এদিন দুপক্ষই যথাযথ সৌজন্যে বজায় রেখেছেন।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, রাজ্য এক ঘোরতর সংকটের মুখোমুখি।তবে বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খুব ভালো কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির খবর নিতে তিনি আজ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে গিয়ে সেখানকার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি ঝড়ের বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেন এক সঙ্গে কাজ করতে পারে তার উপরেও তিনি নজর রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারও এই ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে বলে রাজ্যপাল জানান। তবে আজও তিনি রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। আলিপুর থেকে সন্ধে ৬টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর নবান্নের কন্ট্রোলরুমে রাজ্যপালকে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুজন পাশাপাশি বসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন নবান্নে যাওয়ার আগে টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি দেখতে নবান্নে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এর পর নবান্নে পৌঁছন তিনি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন।

মে ২৫, ২০২১
রাজনীতি

এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শাসকদলের সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের পর ভোটপরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্র থেকেই এবারের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে মমতাকে।রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল থেকেই জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনখড় । তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা কতটা, তা সরেজমিনে দেখেছেন। আজ আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে যান তিনি। রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অভিযোগ, এই রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ঝাউকুঠি এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা৷ ধনখড় তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোচবিহার, অসমের পর শনিবারই তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম। সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে শনিবারই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের সফরের একদিন আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে কর্মীকে খুনের অভিযোগে মৌন মিছিল করেছে বিজেপি।এদিকে, রাজ্যপালের জেলা সফরের মধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিজেপি কর্মীদের রেশন নিতে দিচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানের অবস্থা মারাত্মক। ওডিশা, অসমে বহু মানুষ চলে গিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে। দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল এসেও আক্রান্ত হচ্ছে। তপসিলি কমিশন এসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। দিলীপের দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়।

মে ১৪, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে বিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় যান প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তার আগে শুক্রবার সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে হিংসার তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে বাংলায়। ওই দিন তারা নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে হিংসার রিপোর্ট তলব করে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তিনি শান্তির বার্তাও দিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল হিংসা প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এই আবহে শুক্রবার হিংসার তথ্য পেতে রাজভবনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার তথ্য রাজ্যপালের কাছে চেয়েছেন তাঁরা।রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন। ওই জেলার বাওয়ালি এলাকায় গত বুধবার কয়েকটি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেন। এবং এই হিংসার কাজে কারা যুক্ত সে খবরও নেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রতিনিধি দল ওই জেলার আরও বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। প্রতিনিধি দলকে তাঁরা দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার রিপোর্ট দেন। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা ওই দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য আর্জি জানান। তারপরেই শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

২দিনের সফরে রাজ্যে নাড্ডা, ৫ মে দেশজুড়ে ধরনার ডাক বিজেপির

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার জের। ৫ মে দেশজুড়ে ধরনার ডাক দিল বিজেপি। বাংলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন জেপি নাড্ডা। ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে শাসকদল সন্ত্রাস চলছে বলে রবিবার সন্ধে থেকেই অভিযোগ করছে বিজেপি। সোমবার দলের রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে অশান্তি ও হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছে ৬ জনের। রাজ্যে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর আরজি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালকে চিঠি দিচ্ছি। মুখ্যসচিবকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত না শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। এদিকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার পর তৃণমূল উৎসব করছে। এবং তারা বিজেপি কর্মীদের ঘর ভাঙছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের বেশি বিজেপি কার্যকর্তা খুন হয়েছে। এদিন রাজ্যপালকে অভিযোগ জানানোর পর রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভয়ংকর খুন, সন্ত্রাস হচ্ছে। লাঠি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে বাড়ি ভাঙছে, আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। সব ভিডিও আসছে। এসব বন্ধের আবেদন নিয়েই রাজ্যপালের কাছে এসেছিলাম। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের উপর লাগাতার হামলার প্রতিবাদেই বুধবার দেশজুড়ে ধরনার ডাক দিয়েছে বিজেপি। আজ রাজ্যে এসে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন ডেপি নাড্ডা। কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে বৈঠক করতে দলের নেতাদের সঙ্গেও।

মে ০৪, ২০২১
কলকাতা

গণনার আগের দিন রাজভবনে মিঠুন

রাত পোহালেই বাংলার ভোটগণনা। বঙ্গের মাটিতে পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন, জানতে মুখিয়া গোটা দেশ। ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাজভবনে এলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে মহাগুরুর সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্যমূলক। রাজভবনের তরফে এ প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আলোচনা শেষে মিঠুন জানান, রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল।বাংলার বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রূপালি পর্দার তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। তার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচারে তাঁকে ব্যবহার করেছে গেরুয়া শিবির। পাহাড় থেকে সমতল, জঙ্গলমহল থেকে সমুদ্রতট, সর্বত্রই প্রচার সেরেছেন তিনি। কেউ কেউ বলেছেন, মহাগুরু বিজেপির তুরুপের তাস। এমন পরিস্থিতিতে ভোটগণনার আগের দিন রাজভবনে তাঁর আগমন নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের আমন্ত্রণের রাজভবনে এসেছেন মহাগুরু।

মে ০১, ২০২১
রাজ্য

করোনার কোপ, শিয়ালদহ শাখায় বাতিল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন

দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার ধাক্কা আরও বেশি। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ল রেল পরিষেবায়। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ শাখায় বাতিল করা হল ২৯ টি লোকাল ট্রেন। সম্প্রতি ট্রেনের চালক ও গার্ডরা কোভিড পজিটিভ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিল রেল। দ্রুতই এই ২৯ টি ট্রেন বাতিল হবে বলে খবর। ফলে নিত্যযাত্রীরা বেশ সমস্যায় পড়লেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রেল পরিষেবা কীভাবে চলবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রেলের আধিকারিকরা।এর আগেও করোনার দাপট বাড়তে থাকায় শিয়ালদহ, হাওড়া শাখার বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করার ভাবনাচিন্তা চলছিল রেলের অন্দরে। বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছিল চালক, গার্ডদের। তবে সেসময় কোনও ট্রেন শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। লোকাল ট্রেন, প্ল্যাটফর্মে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নইলে আর্থিক জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে, এমন নির্দেশিকাও জারি হয়েছে রেলের তরফে। কিন্তু তারপরও জনসচেতনতা তৈরি হয়নি। তারউপর একের পর এক গার্ড, চালকের শরীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইরাস। ফলে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হল। শিয়ালদহ শাখায় ২৯ টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হল। এছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। রেলে আইসোলেশন কোচের ব্যবস্থা হবে কীভাবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে রেলের তরফে।এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও করোনা মোকাবিলায় আরও বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যের স্কুলগুলি মঙ্গলবার থেকে ফের বন্ধ করা হচ্ছে। তার জন্য এগিয়ে আনা হচ্ছে গ্রীষ্মের ছুটি। এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দুপুরে রাজভবনে তথ্য নিয়ে দেখা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এপ্রিল ২০, ২০২১
দেশ

১৮ বছর হলেই কোভিড টিকা ১ মে থেকে

১৮ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে কোভিড টিকা। ১ মে থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ। সোমবার ঘোষণা করল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পুনর্মূল্যায়ণ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষকে যাতে অল্প সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া যায়, তার জন্য গত এক বছর ধরেই চেষ্টা করে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গতিতে এগিয়েছে দেশ। তবে মোদির কথায়, আমরা আগামী দিনেও এ ব্যাপারে আরও দ্রুত গতিতে কাজ করব।সোমবারের পদক্ষেপকে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় পর্যায় বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ এপ্রিল থেকে টিকা নেওয়ার সুবিধা অবারিত করা হয় পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব দেশবাসীদের জন্যও। কেন্দ্র জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে টিকা নিতে পারবেন ১৮ উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন সব দেশবাসী। তবে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় প্রতিষেধকের দাম, মজুতকরণ, কাদের আগে দেওয়া হবে এবং কীভাবে দেওয়া হবে, সেব্যাপারে কিছুটা নমনীয় নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকেই। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ প্রদান করেছে কেন্দ্র। এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশি ও বিদেশি সংস্থাকেও এই উৎপাদনে অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে তাদের মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ পাঠাতে বলা হবে কেন্দ্রকে। বাকি ৫০ শতাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে এবং রাজ্য সরকারগুলোকেও পাঠানো যাবে। সংক্রমণের হার ও টিকাকরণের হার বিচার করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে টিকা সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্য এবং খোলা বাজারে সরবরাহের টিকার দাম কত হতে চলেছে, তা ঘোষণা করতে হবে ১ মে-র আগেই।সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের টিকারণ চলবে আগের মতোই। কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত নিয়ম মেনেই টিকাকরণ হবে। তবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
রাজ্য

ভোটের মাঝে ফের অপসারিত কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসার

বঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। মঙ্গলবারই ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। আর সেদিনই ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার আটজন রিটার্নিং অফিসারকে। বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানাল নির্বাচন কমিশন।কমিশনের মতে, পরপর তিন বছর কেউ এক পদে থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে সেই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু এতদিন কলকাতার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর করা হয়নি। এবার সেই বিধিই কার্যকর করা হল। আর তাই সরানো হয়েছে ওই আট রিটার্নিং অফিসারকে। যদিও সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময়ে ওই আট আধিকারিকের উপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের কাছে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনও সময়ই তাঁরা সেই অভিযোগগুলির প্রতি গুরুত্ব দেননি। এরপরই সেই খবর পৌঁছায় নির্বাচন কমিশনের কাছে। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেন কমিশনের আধিকারিকরা। ওই আটজন অফিসারকে শো-কজ করা হয়। তারপরই মূলত তাঁদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। ওই আটজনের পরিবর্ত হিসেবে নতুন রিটার্নিং অফিসারও নাকি ঠিক করে ফেলা হয়েছে।কমিশনের তরফে খবর, কলকাতার মোট আটটি বিধানসভা এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে অপসারিত করা হয়েছে। এগুলি হল- কলকাতা বন্দর , জোড়াসাঁকো, ভবানীপুর, এন্টালি, চৌরঙ্গী, বেলেঘাটা, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া। অর্থাৎ কলকাতার ১১টি আসনের মধ্যে আটটিরই রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন। এই কেন্দ্রগুলিতে এবার একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা পোর্ট বা বন্দর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আবার ফিরহাদ হাকিম। তবে তাঁর এলাকার রিটানিং অফিসারকেও অপসারিত করা হয়েছে।

এপ্রিল ০৬, ২০২১
বিদেশ

মোদির বাংলাদেশ সফরে দৃঢ় হল মৈত্রীর বন্ধন

বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন আরও মজবুত করতে দুদিন ঢাকায় কাটিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে ফিরে আসার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে একাধিক মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পেরও ঘোষণা হয়। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবেও বলে জানা গিয়েছে।শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিগুলির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেসেরও সূচনা হবে বলে জানানো হয়। এই ট্রেনের জন্য বিশেষভাবে তিনটি সীমান্তবর্তী হল্ট স্টেশনেরও নির্মাণ হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবং দেশে ফিরে আসার আগে একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফসপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পরবর্তী সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও গভীর করা নিয়েও আলোচনা করেছি। এ দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার স্বরূপ ১০৯ টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১২ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষের এই বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত সোনা এবং রুপোর মুদ্রাও মোদির হাতে তুলে দেন হাসিনা।

মার্চ ২৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal