• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IR

কলকাতা

কো ভ্যাক্সিনের তৃ্তীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে আবেদন রাজ্যপালের

বেলেঘাটার নাইসেডে শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য আবেদন জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে তাঁর বয়স বেশি হওয়ায় ও কো-মরবিডিটি থাকায় তাঁর চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানাল নাইসেড। এদিন সকালে নাইসেডে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। দুজনকে স্বাগত জানান অধিকর্তা ডঃ শান্তা দত্ত। সেখানে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন তিনি। হাজার জনের দেহে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে।এদিন নাইসেডে পৌঁছে করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম দুর্নীতি নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমহলের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান জগদীপ ধনখড়। আরও পড়ুন ঃ বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার বিরাট প্রভাব পড়েছে। আমরা সামাল দিতে পেরেছি। করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট সাহায্য করেছে আয়ুষ্মান ভারত। এদিন জোর গলায় রাজ্যপাল আরও বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্য যে যে জিনিসপত্র কিনছে, সেই স্তরেও দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। আবার সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে তদন্ত টিম গঠন করেছে রাজ্য। কিন্তু, কারা সেই তদন্ত টিমের সদস্য? কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তার কোনও স্পষ্ট রিপোর্ট নেই। চিকিৎসা সামগ্রী কেনার দায়িত্ব ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কমিটির হাতে। সেই কমিটিই দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। তিনি এদিন বলেন, আমি এই বিষয়ে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও যোগাযোগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ০২, ২০২০
রাজ্য

খেজুরিতে বিজেপি কর্মীদের উপর বোমাবাজি ও গুলির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার খেজুরি ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বোগা মোড়ে বিজেপির তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। কিছুক্ষণ পরেই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও গুলিও চলে। আরও পড়ুন ঃ টুইটে করে ফের রাজ্যের পাওনার দাবিতে সরব ডেরেক অভিযোগ, একের পর বিজেপি কর্মীদের বাইকে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। বিজেপির অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতেই এই হামলা। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বে। তাদের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্ধের ফল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
বিনোদুনিয়া

অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে আটক কাস্টিং ডিরেক্টর

​বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে এক কাস্টিং ডিরেক্টরকে আটক করল মুম্বই পুলিশ। অভিনেত্রীর বয়স ২৮ বছর। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে একাধিকবার ওই কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। তাঁর ভারসোভার ফ্ল্যাটে থাকতেও শুরু করেন কাস্টিং ডিরেক্টর। কিন্তু গত অক্টোবরে ওই অভিনেত্রী বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসে ওই যুবক। এর মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই তরুণী। অভিযোগ, তিনি ওই ডিরেক্টরকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানালেও সে কোনও আগ্রহ দেখায়নি। আরও পড়ুন ঃ বিয়ে করলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য গর্ভপাতের জন্য হাসপাতালে যেতেও অস্বীকার করে সে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে শুরু করে গর্ভপাত করানো অবধি সবটা তিনি একাই সামলেছেন বলে দাবি করেন পুলিশের কাছে। এর মধ্যেই ওই অভিনেত্রীর গর্ভপাত হয়ে যায়। এরপরেও ওই ব্যক্তি অভিনেত্রীকে বিয়ে করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এরপরেই তিনি গত ২৫ নভেম্বর ম্বইয়ের ভারসোভা থানায় ওই কাস্টিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তারপরই মুম্বই পুলিসের তরফে আটক করা হয় বছর ২৭-এর ওই কাস্টিং ডিরেক্টরকে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

শিলিগুড়িতে একই মঞ্চে ডান - বাম উভয় পক্ষ

মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচনের মঞ্চে একই সারিতে দেখা গেল তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিদের। সোমবার শিলিগুড়ি কোর্ট মোড় লাগোয়া এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার সহ অনেকেই। পুরমন্ত্রী জানান, মানুষের হৃদয় থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম মুছবে না। একই সঙ্গে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদ অলংকৃত করার মতো ব্যক্তি উনি কি না তা জানি না। বলতে চাই ভগবান ওঁকে ক্ষমা করুন। কী বলছেন তা উনি নিজেও জানেন না। তিনি আরও বলেন, চায়ে পে চর্চা আসলে বিজেপির খরচা । দিলীপ ঘোষ কাকে কী সম্বোধন করছেন তা তাঁর রুচি ও সংস্কৃতির বিষয়। আমার নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই লড়াই নীতির লড়াই। ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই নয়। আরও পড়ুন ঃ সেবক হিসেবে বরাবর আপনাদের সঙ্গে থাকবঃ শুভেন্দু অশোকবাবু জানান, তারা পুরসভার তরফ থেকে সরকারি কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পুর-প্রশাসনের শীর্ষে থাকা পুরমন্ত্রী আসায় তাঁরা খুশি বলে জানান তিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই বলে দাবি তাঁর। মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেছেন, অতীতে তাঁকে কোনও সরকারি অনুষ্ঠা্নে ডাকা হত না। এখন তৃ্ণমূলের হুঁশ ফিরেছে। আগামীদিনে সেই হুঁশ রেখে তৃণমূল সরকার চললে সকলেরই ভাল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক নাঃ শিশির

দলেরই কয়েকজন ওকে জোর করে ঠেলে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিতে চাইছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক করছেন না। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শিশির অধিকারী। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা বলেন, ক্ষোভ, অভিমান আছে বলেই শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছে। আরও পড়ুনঃ বিজেপি মোর্চাদের মানুষ বলেই মনে করে নাঃ রোশন গিরি শুভেন্দু অধিকারী কি শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যাচ্ছেন? সে প্রশ্নের জবাবে শিশির অধিকারীর ইঙ্গিতপুর্ণ জবাব, দেখা যাক কি হয়! তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন। এই বয়সে এসে অন্য কোন দলে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা নেই বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত , কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অনেক সময় বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন। যা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌ্গত রায়ের সঙ্গে গোপন বৈঠকেও তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

বিজেপি মোর্চাদের মানুষ বলেই মনে করে নাঃ রোশন গিরি

তিনবার আমরা বিজেপিকে সুযোগ দিয়েছি পাহাড়ের উন্নয়নে কাজ করার। তিনবার সাংসদ নির্বাচন করেছি বিজেপি থেকে। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি আসার পরও কোনও লাভ হয়নি। বিজেপি মোর্চাদের মানুষ বলেই মনে করে না, গুরুত্বই দেয় না। আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করব। রবিবার কার্শিয়াংয়ের জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপির সমালোচনা করলেন রোশন গিরি। তিনি বলেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে যে দল আমাদের গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবে তাদেরই আমরা সমর্থন করব। এদিন তিনি স্পষ্ট করে দেন, একুশের আবার তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হোন এটাই তাঁদের আশা। তাই পাহাড়ে ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি বর্তমান জিটিএ অর্থাৎ অনীত থাপা পরিচালিত সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন রোশন গিরি। জিটিএ-তে অডিটের দাবি তোলেন। আরও পড়ুন ঃ জল্পনা জিইয়ে রেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর এদিন তাঁর কথায় সমর্থন জুগিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদস্যরা। এদিন রোশন গিরির সভায় ভালই জমায়েত হয়েছিল। সভা শেষে অনেকটা উৎসবের মেজাজে ছিল পাহাড়বাসী। সেই পুরনো ছন্দে নাচে-গানে মেতে উঠলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমলপন্থী সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে সভা করতে পারেন বিমল গুরুং। সেদিন তিনি কি বলেন, সেটাই এখন দেখার।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
কলকাতা

ডিসেম্বরেও খুলছে না কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ঃ পার্থ

আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে খুলছে না কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, এখনও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক নয়। সংক্রমণের ধারা বজায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তাই সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এখনই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়। পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত অনলাইন ক্লাসেই জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া স্নাতকে সেমেস্টার অনুযায়ী পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়ার কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আরও পড়ুন ঃ নির্বাচন কমিশনে অসত্য তথ্য দিয়েছেন অর্জুন সিংঃ শশী পাঁজা করোনা পরিস্থিতিতে স্নাতকের প্রথম বর্ষের ভরতি প্রক্রিয়াও অনলাইনেই হয়েছে। যেসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও আসন খালি রয়েছে সেখানে পুনরায় ভর্তির জন্য পোর্টাল চালু করা হতে পারে। তবে কীভাবে সেই প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে বিগত সাড়ে সাত মাসের উপর বন্ধ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনেই চলছে পঠন-পাঠন। স্নাতক ও স্নাতোকত্তোরে পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজনীতি

আগামী ৬ তারিখ পাহাড়ে বিমল গুরুং

আগামী ৬ তারিখ পাহাড়ে আসতে চলেছেন বিমল গুরুং। শনিবার এমনটাই জানালেন রোশন গিরি। শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান রোশন। রোশন গিরিকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুংপন্থীরা। তিনি বলেন, বিজেপি পাহাড়ের জন্য কিছু করেনি। পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করেনি। যে পার্টি গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করবে, তাকেই আমরা সমর্থন করব। নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালিত হয়নি। তাই আমরা দিদিকে সমর্থন করছি। গুরুংয়ের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আছে। বিনয় তামাংয়ের সময় পাহাড়ে গণতন্ত্র হরণ হয়েছে। এছাড়াও স্বজনপোষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রোশন দাবি করেন, বিমল গুরুংয়ের পাশে মানুষ রয়েছে। তারা পাহাড়ের মানুষের আবেগের সাথেই আছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তিন বছর পর পাহাড়ে এলেন রোশন গিরি। বেশ কয়েকদিন যাবৎ বিমল রোশনরা পাহাড়ে আসবেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিছুদিন আগে কলকাতায় প্রকাশ্যে এসেছিলেন বিমল গুরুং। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন গুরুং। রবিবার কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে সভা করার কথা তার। পার্বত্য এলাকা বিমল গুরুংয়ের এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়। সূত্রের খবর, বিমল এবং রোশন আগামী সপ্তাহেও সিবচুতেও একটি সভা করবেন। আরও পড়ুন ঃ কালো রক্ত যত আছে, সব বিজেপিতে যাক , ফের বিস্ফোরক কল্যাণ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী নেতা অনিত থাপার বক্তব্য, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। সবার সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে। বিগত তিন বছরের চেষ্টায় শান্তি ফিরচ্ছে পাহাড়ে। পাহাড় সকলের জন্য, যে কেউ আসতে পাহাড়ে। তবে আশার পেছনে কি উদেশ্য রয়েছে তা জানতে হবে। পাহাড়ে নতুন করে কোনো অশান্তি বরদাশ্ত করা হবে না।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

বিজেপি হচ্ছে ঝালমুড়ির মতোঃ ফিরহাদ

ওরা হল পাইকারি দল, ওদের কোনও নীতিবোধের মানুষ নেই। প্রত্যেক দলের একটা আদর্শ থাকে। তাই যারা আদর্শহীনভাবে দল করেন, তাদের ওনারা আহ্বা্ন করছেন, আদর্শহীন লোকেরা একসাথে জোট হন। তাতে বাংলায় চিড়ে ভিজবে না। শনিবার বিজেপির উদ্দেশে এভাবেই আক্রমণ শানালেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলায় আদর্শগতভাবে মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা , প্রগতি ও গণতান্ত্রিক পথে থাকে। মানুষকে খুন করে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট করতে চায় না বাঙালি। তাই দিলীপ ঘোষ যতই চেষ্টা করুক, বেশিরভাগ মানুষ ও আমাদের দলের লোকেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে গান্ধীবাদ, সুভাষবাদ জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করছেন। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিতঃ দিলীপ তিনি আরও বলেন, ওদের আদর্শগতভাবে কোনও ব্যাপার নেই। ঝালমুড়ির মতো কে এল, ঢুকিয়ে নিয়ে দল করছে। এভাবে কোনও দল হয় না। তৃণমূল দল শেষ হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইনি স্বপ্ন দেখছেন। ওনার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। তৃণমূলকে ফেলে দেওয়া যায় না। তৃণমূল কখনও বিজেপির মতো বহিরাগত দল নয়। অন্য জায়গা থেকে আসেনি। বাংলার মাটিতে আন্দোলনের ফল হচ্ছে তৃ্ণমূল। বিজেপির মতো অমিত শাহ ও মোদির দল নয়। এটা মানুষের ্দল। তাই মানুষ তৃণমূলকে রাখবে।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী

অবশেষে তৃৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার তিনি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন তিনি দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও অর্জুন সিং। কৈলাস বিজয়বর্গীয় তার গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে দলে বরণ করে নেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিহির গোস্বামী বলেন, আমি ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছি৷ আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যে অনাচার চলছে, দুর্নীতি ও ঠিকাদারি সংস্থার রাজত্ব তৈরি হয়েছে তার প্রতিবাদেই আমার এই সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতার পর থেকে বাম ও ডানপন্থী উভয় জামানায় উত্তরবাংলার প্রতি যে বঞ্চনা, ধারাবাহিকভাবে যে অবহেলা হয়ে এসেছে তার প্রতিবাদে আমার ধর্মযুদ্ধ বলতে পারেন ৷ রাজনৈতিক জীবনের প্রান্তে এসে, আমি আমার বাংলার নতুন দিনের ভোট দেখতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ সুদিন দেখতে পাব ৷ আরও পড়ুন ঃ মারের বদলা মারের নিদান দিলীপের প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। বারবার দলের নেতা-মন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। দলের তরফে প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে একাধিক নেতা কথা বলেন মিহিরবাবুর সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে আসে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মিহির গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা। তখন থেকেই শুরু কানাঘুষো। অনেকের মনেই ধারণা তৈরি হয়, সাংগঠনিক পদত্যাগের পাশাপাশি এবার মিহিরবাবু দলবদলও করতে চলেছেন। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই জল্পনাকে প্রশ্রয় দেননি বিধায়ক। বরং বারবারই জানিয়েছেন, দলবদল নিয়ে কখনওই কিছু ভাবেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের প্রতি অভিমান ব্যক্ত করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বিধায়ক। সেখানেই লেখেন, আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২০
বিনোদুনিয়া

বিয়ে করলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য

দীর্ঘদিনের চেনা বান্ধবীর সঙ্গে বিয়েটা করে ফেললেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। রেজিস্ট্রি এবং সিঁদুরদানের মাধ্যমে বান্ধবী মধুরিমার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে অভিনেতার। সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিয়ের দিন লাল রঙের পোশাক বেছে নিয়েছেন অভিনেতা অনির্বাণ এবং তাঁর সহধর্মিণী মধুরিমা। অভিনেতার পরণে লাল প্রিন্টেড পাঞ্জাবি এবং ধুতি। মধুরিমা সেজেছিলেন লাল রঙের শাড়িতে। বিয়ে হিসাবে বলা যেতে পারে বেশ হালকা সাজেই নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন অনির্বাণ ঘরনি। গয়নাগাটিরও বেশি জাঁকজমক দেখা যায়নি। আরও পড়ুন ঃ ভারতী সিং ও তাঁর স্বামীর ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত তবে বিয়ের পর এক্কেবারে টুকটুকে লাল বধূর বেশে ধরা দিয়েছেন তিনি। মাথা ভরতি সিঁদুরে স্বামী অনির্বাণের পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিলেন মধুরিমা। অনির্বাণ-মধুরিমা একত্রে বেশ কিছু নাট্য-প্রযোজনায় কাজও করেছেন। অনির্বাণের মতোই তিনিও সমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষ। দুজনেই সংস্কৃতি জগতের, ফলে তাঁদের মনের মিল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। এখন মধুরিমা তাঁর সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী। সন্ধ্যে গড়াতেই তাদের বিয়ের ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আপাতত শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন নবদম্পতি।

নভেম্বর ২৭, ২০২০
রাজনীতি

তৃণমূল ছাড়লেন মিহির গোস্বামী

এই তৃণমূল তাঁর দল নয়। তাই তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করাই শ্রেয়। ফেসবুক পোস্টে সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘুচিয়ে ফেলার বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন মিহির গোস্বামী। তিনি আরও লিখেছেন , বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।তিনি আরও লিখেছেন, গত ৩ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এও জানিয়েছিলাম, দলনেত্রীর নির্দেশ পেলে আমি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারি। তারপর প্রায় দুমাস হতে চলল আমি যেমন নিজের বিবেকের সঙ্গে ও নিজের যুক্তিবোধের সঙ্গে চিন্তন-মন্থন করেছি তেমনই আমার ভাবনাকে মানুষের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করেছি। আরও পড়ুন ঃ সিপিএম ও বিজেপি লোভী ও ভোগী, তৃণমূল ত্যাগীঃ মমতা তিনি আরও লিখেছেন, যে সব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যেই আবার বলি, গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ

প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। বুধবার তিনি মেচেদাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তাঁরা সিরাজ খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। কয়েকদিন আগেই তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি একজন মৎস্যজীবী। আমাকে মৎস কর্মাধ্যক্ষ না দিয়ে খাদ্য দফতর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন কাজ করতে পারছি না। এছাড়াও খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে তিনি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছেঃ দিলীপ তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহল। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দল বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে বহু দিন ধরেই কোনও কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গেই দলের সাংসদ সৌগত রায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মুসলিম তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

অনুব্রতর গড়ে চ্যালেঞ্জ দিলীপের

বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে বীরভূমের সিউড়িতে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এসে সব জঙ্গি আশ্রয় নিচ্ছে। মুর্শিদাবাদে ২৩ বার জঙ্গি ধরা পড়ল। সারা রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে এই জঙ্গিরা। বীরভূমেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এখানেও জঙ্গি ধরা পড়েছে। কাশ্মীরেও এত জঙ্গি ধরা পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় কাশ্মীর। এ জন্যই বাংলার মানুষ আগামী বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন চাইছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উপদ্রুত জেলা হচ্ছে বীরভূম। পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যাচ্ছে। এখানে পার্টির নেতার বাথরুমের মধ্যে বস্তায় বোমা পাওয়া যায়। একটাই কারখানা চলে, বোমার কারখানা। জেলাজুড়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। বীরভূমে দাঁড়িয়েই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, লোকসভা ভোটে সিউড়ি পুরসভার ২১টার মধ্যে ১৮টা আসনেই লিড নিয়েছে বিজেপি। দম থাকলে আগামি ইলেকশন জিতে দেখান। ওদের খাতা খোলাই সমস্যা করে দেব।আমি বীরভূমে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, ওদের খাতা খোলারও সমস্যা করে দেব। কে ঢাক বাজাবে, কে ধামসা বাজাবে সময় এলে দেখতে পাবেন। পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে ৷ যদি হিম্মত থাকত ১১৮টি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে, সেগুলি করিয়ে দিত। আরও পড়ুন ঃ জনসভায় ধর্ষণ নিয়ে অশালীন মন্তব্য অগ্নিমিত্রার তিনি এদিন আরও বলেন, বিজেপির কর্মসূচি অনুসরণ করছে তৃণমূল। অমিত শাহ আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর তাঁকে অনুসরণ করে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, যেখানে ক্ষমতায় নেই সেখানে কাশ্মীর দেখছে বিজেপি। আর যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানে কাশ্মীর করার চেষ্টা করছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার করে খুন করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নইঃ সিদ্দিকুল্লা

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে মঙ্গলকোটে কাজ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার বর্ধমানে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি বলেন, দল বললে কাজ করতেই হবে। তাহলে আমাকে মঙ্গলকোটে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। এটা আমি পরিষ্কার বলে দিলাম। আমি ওর মেজাজ চিনি। জানি। আরও পড়ুন ঃ অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া জবাব বৈশাখীর গত নির্বাচনেও তারা কী করেছে সকলে জানে। সংবাদমাধ্যম জানে। আমি মঙ্গলকোটে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করব। উনি বড় খেলোয়াড়। ওনার কথা আমি কী বলব? আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই। মারামারি করতে চাই না। কেউ করুক তাও চাই না। এভাবে আমি মঙ্গলকোটে হাত পোড়াতে যেতে পারব না। মঙ্গলকোটের বিধায়ক আরও বলেন, বিজেপির লোকেরা আমাকে খবর দিচ্ছে সাহেব নিরুপায় হয়ে বিজেপিতে গিয়েছি। আমরা আসলে বিজেপি না। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলকোটের অজয় নদে ২২ টি বালি ঘাট আছে।এগুলি বৈধ ঘাট।কিন্তু সেখানে একই স্লিপ দিয়ে এক গাড়ির জায়গায় বেশী সংখ্যক বালি বোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের রিভিনিউ মার খাচ্ছে। একের পর এক তার অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাদের গাঁজা কেস দেওয়া হচ্ছে। এদিন তিনি পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির কাছে ৯ জনের তালিকা দেন। যাঁরা জেলে আছে।তারা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিনিধিরা তাদের মামলা দিচ্ছে। মিথ্যা মামলায় তারা জেল খাটছে। অনেকেই এখনো ঘরছাড়া। তারা ভয়ে ঘর ঢুকতে পারছে না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। দলকে জানিয়েছেন। এখন তিনি ঘরছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ঘর ঢোকাতে পারেন।কিন্তু তাতে অশান্তি হতে পারে।সেই জন্য তিনি যাচ্ছেন না। এলাকার ৯০ শতাংশ লোক তাঁর সঙ্গে আছেন। শুধুমাত্র দশ শতাংশ লোক যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা ছাড়া।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জিএসটি বাবদ বকেয়া দাবি মমতার

অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গও প্রস্তুত আছে। টিকাকরণের জন্য রাজ্যে প্রশিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তি ও পরিকাঠামো প্রস্তুত। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তত তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে বাংলা। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদীকে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে করোনার টিকার দিকে তাকিয়ে আছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট প্রভৃতি উৎসব ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। বাংলা একটি সংবেদনশীল রাজ্য, বাংলাদেশ-ভুটানের সীমান্ত এই রাজ্যে রয়েছে। দেশগুলি থেকে রোগীরাও বাংলায় চিকিৎসার জন্য আসে। ফলে বাংলাদেশে করোনা রোগীর পরিমাণ বাড়লে তা এ রাজ্যেও প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার রোগীরাও এ রাজ্যে চিকিৎসার জন্য আসে। তা সত্ত্বেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় মৃত্যুর হার কম। অন্যান্য বছরে রাজ্যে এর চেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গু, কিডনির রোগ বা হৃদরোগে মারা যেতেন। সে তুলনাতেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও পড়ুন ঃ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী এর আগেও বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জিএসটি বকেয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন মমতা। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পায়। সেই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ৪০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী

তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে দুজনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বিজয়া করতেই মূলত মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর নানা বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা যদিও খোলসা করে বলেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মিহির গোস্বামীর দলের অভিমান প্রসঙ্গেও সেভাবে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তাঁর কথায়, মিহিরদা পুরনো লোক। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মিহিরবাবু দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে পথে বাংলা পক্ষ কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানান, ফেসবুক পোস্ট ও কলকাতার নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব তথা দলনেত্রীর বার্তা পাওয়ার পরে যে সব কিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন। চিন্তন ও মন্থনের পরে যে সিদ্ধান্ত নেব, তা জনসমক্ষে জানিয়ে দেব।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাঁকুড়া সফরে এসে আদিবাসী পরিবারে ভাত খেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার জনসভা থেকে অমিত শাহের বিরুদ্ধে এনিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাঁওতাবাজি মানুষ বুঝেছেন। নামী হোটেল থেকে ভাত আনিয়ে আদিবাসী বাড়িতে খান। বাইরে থেকে ব্রাহ্মণ এনে আগে থেকে ঘর রং করা হয়, স্যানিটাইজ করা হয়। লোক দেখানো তরকারি কাটা হয়। যা রান্না হয়েছে তা খাননি। খেয়েছেন বাসমতি চালের ভাত, পোস্তর বড়া। গরীব পরিবার বাইরে ধনে পাতা ছাড়াচ্ছে, কিন্তু কোনও তরকারিতে ধনে পাতা নেই। আর উনি ভিতরে বসে হোটেল থেকে আনা বাসমতী চালের ভাত খাচ্ছেন। এসে খেয়ে চলে গিয়েছেন। এরা গরীবের সমস্যা কী বুঝবে! আরও পড়ুন ঃ সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত , সক্রিয় উত্তুরে হাওয়া অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন আরও বলেন, যে মূর্তিতে মালা দেওয়া হয়েছিল, তা তো বিরসা মুন্ডারই নয়। এক আদিবাসী শিকারির। আমি শিকারি বলে তাঁকে ছোট করছি না, সেও আমার ভাই। কিন্তু এই মিথ্যাচারটা হল কেন? এরপরই তাঁর ঘোষণা, আদিবাসী ভাইবোনেদের আবেগের কথা মাথায় রেখে এরপর থেকে সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি দেওয়া হবে। সেটাই হবে প্রকৃত সম্মান জ্ঞাপন। এই ঘোষণার পরই উচ্ছ্বাসে ভাসেন উপস্থিত জনতা। এছাড়াও এদিন তিনি জানান, জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। জুনের পরও তা মিলবে। অর্থাৎ বাড়ানো হবে বিনামূল্যে রেশন বিলির সময়সীমা। আগামীতেও আমাদের সরকারই থাকবে। তাই কোনও চিন্তা করবেন না। জুনের পরও সকলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচবেন।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
বিদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে মানতে রাজি নন পুতিন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেব মানতে রাজি নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন স্পষ্টভাবেই একথা জানিয়ে দেন। পুতিন বলেন, মার্কিন জনগণ যাঁকে নির্বাচিত করবে আমরা তাঁর সঙ্গেই কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া তখনই সম্পন্ন হবে যখন প্রতিপক্ষ একজন প্রার্থীকে জয়ী বলে মেনে নেবে। কিংবা আইন তাঁকে মান্যতা দেবে। তবে জো বিডেনকে শুভেচ্ছা না জানানোর পিছনে অন্য কোনও কারণ যে নেই, সেকথাও স্পষ্ট করে দেন পুতিন। পাশাপাশি জানান, আমেরিকারাশিয়ার সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা , জখম ৮ পাশাপাশি পুতিন জানিয়ে দেন, এমন নয় আমরা নির্দিষ্ট কাউকে পছন্দ করি না। আমরা শুধু অপেক্ষা করছি সেদেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক সমস্যা মেটার। পুটিনকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর ওই মন্তব্যের ফলে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষতি হবে কিনা! পুতিন বলেন, ক্ষতি হওয়ার কিছু নেই। আগে থেকেই দুদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় নিয়ে রাশিয়ার দিতে আঙুল তুলেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। দাবি ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে। ফলে সেই রাশিয়া এখন বাইডেনের জয় নিয়ে চিন্তিত।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

কংগ্রেসের বক্তব্যের সঙ্গে বামেরা সহমত , তা নয়ঃ বিমান

কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিয়ে আজ রাজ্যের বামপন্থী নেতৃত্ব বৈঠক করলেন। রাজ্যের সমস্ত জেলায় বামফ্রন্টের সবকটি শরিক দলের কর্মীরা রাস্তায় নেমে ধর্মঘট পালন করবে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্বাধীন প্রচার ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, বেকারির কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়ে রাজ্যজুড়ে লাগাতার আন্দোলন করবে তারা। দেশব্যাপী ধর্মঘটে রেল রোকো, রাস্তা অবরোধ, সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে বামফ্রন্টের কর্মীরা। আসন সমঝোতা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ পায়নি বৈশাখী , না যাওয়ার সিদ্ধান্ত শোভনের আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে চলতি বছরের শেষ মাসে কংগ্রেসের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে বামফ্রন্ট। রবিবার বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে বিমান বসু বলেন, যৌথ কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই সফল হবে জোট। কংগ্রেস একটা পৃথক দল। ওদের নিজেদের বক্তব্য থাকতেই পারে। এর মানে সেই বক্তব্যের সঙ্গে বামেরা সহমত, তা নয়। ওদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে আগে এরকম কখনও হয়নি, যেখানে আমরা একটি নির্দিষ্ট মুখকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে এগিয়েছি। তাই এই নিয়ে আমাদের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনের বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুথ স্তরে বামপন্থী কর্মীরা যাতে মানুষের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

নভেম্বর ২২, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 57
  • 58
  • 59
  • 60
  • 61
  • 62
  • 63
  • 64
  • 65
  • 66
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal