• ৮ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

House

রাজ্য

বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়কের প্রাণনাশের আশঙ্কায় তোলপাড়, বোমায় উড়েছে বাড়ি, মৃত্যু একজনের

পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক দুস্কৃতীর। জখম হয়েছে আরও তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজৌর গ্রামে। এই বিষ্ফোরণের পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতার আশঙ্কায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে। তার জন্য়ই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তুফান চৌধুরী বোমা বাঁধছিল। তুফানের মাথার ওপর হাত ছিল জঙ্গল শেখের। বোমা ফেটে বাড়ি উড়ে যায় কাটায়োরার রাজৌর গ্রামে। জঙ্গল শেখের পরিকল্পানা ছিল পার্টি অফিসে আক্রমণ করা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ রাজৌর গ্রামে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফেরণে মৃত্যু হয় বরকত শেখের(২৮)। এই দুষ্কৃতীর বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার সিয়ালা গ্রামে। জখমরা হল সেখ তুফান চৌধুরী, ইব্রাহিম সেখ ও সফিক মণ্ডল। জখম তিন জনই রাজৌর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ রাতেই চিকিৎসার জখম তিনজনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তুফানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ তুফান চৌধুরীকে করেছে। এই তুফানই বোমা বাঁধার মূল পান্ডা। জানা গিয়েছে, তারা লম্বু শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বালি খাদানে দখলদারি করার উদ্দেশ্যেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। এতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের। তার নির্দেশে তুফানরা বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ। বোমা বেশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গল শেখের নেতৃত্বে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে কাটোয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছিলেন জঙ্গল শেখ। এমনকী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তখন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গল শেখ দীর্ঘ দিন জেলে ছিলেন। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২৫
রাজ্য

মৌমাছি তাড়া খেযে প্রাণ বাঁচতে ছাদ থেকে লাফ, মৃত গৃহবধূ

মৌমাছির তাড়া খেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পালাতে গিয়ে শেষমেশ জীবনটাই চলে গেল। দোতলার খোলা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে মানিকচক থানার ধরমপুর এলাকায়। এই ঘটনার পর ওইদিনই অচেতন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান তার পরিবারের লোকজন। বুধবার মৃত্যু হয় ওই গৃহবধুর। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মাথার পিছনে গুরুতর আঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রাধা মন্ডল (৫৫)। ওই মহিলার তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। তার স্বামী পেশায় কৃষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , এদিন বিকেলে বাড়ির খোলা ছাদে রান্না করার জন্য খড়ি রাখা ছিল। সেই জ্বালানি ছাদ থেকে আনতে যায় ওই গৃহবধু। ওই বাড়ির পাশে রয়েছে একটি লিচু গাছ। সেখানেই মৌমাছির চাক ভেঙে যাওয়ায় আচমকাই ওই গৃহবধূর ওপর আক্রমণ করে। তড়িঘড়ি মৌমাছির তাড়া থেকে বাঁচতেই খোলা ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে দেয় ওই মহিলা। সে সময় মাথার পিছনে জোরালো আঘাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি । এরপর স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে সেদিনই মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। মৃতের এক আত্মীয় বিনয় মন্ডল জানিয়েছেন, দিদির বাড়ির ছাদের পাশে একটি লিচু গাছ আছে। সেখানেই এদিন কয়েকটি অল্প বয়সী ছেলে ঢিল মেরে লিচু পারছিল । সেই সময় মৌমাছির চাকে ঢিল লেগে ভেঙে যায়। তখন দিদি ছাদে খড়ি সংগ্রহ করছিল। মৌমাছির ঝাঁক দিদির ওপর হামলা করে। পালাতে গিয়ে বেসামাল হয়ে ছাদ থেকে নিচে পড়ে মারা যায় দিদি।

জুন ১২, ২০২৫
দেশ

পাহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের বাড়ি

কাশ্মীরে পাহেলগাঁও হামলার পর নানা জায়গায় অভিযান শুরু করেছে সেনা। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে পাঁচটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং কুলগাম জেলার তিনটি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। আহসান উল হক শেইখ, শাহিদ আহমদ কুট্টে এবং জাকির আহমদ গানি পরিচিত ছিলেন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য, যার মধ্যে লস্কর-এ-তইবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে। বিজবেহারা ও ট্রাল এলাকায় অন্যান্য সন্দেহভাজনদের বাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল। ওই বাড়িগুলির কাছ থেকে সাধারণ মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল{ এর কিছু সময় পরেই বিস্ফোরণ ঘটে।

এপ্রিল ২৬, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ংকর বিস্ফোরণ কেতুগ্রামে, উড়লো ছাদ - ভাঙলো ইটের দেওয়াল

গুলি, বিষ্ফোরণের পালা চলছে। এবার ভয়ংকর বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চেঁচুড়া গ্রামে। বিস্ফোরণে উড়ে গেল পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ। গুড়িয়ে গিয়েছে শৌচাগারের ইটের দেওয়ালের একাংশ। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চেঁচুড়া গ্রামে। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আই সি ও কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কিশিনাথ মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেউ গোপনে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারে প্রচুর বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করে রেখেছিল। কারা কি উদ্দেশ্যে পরিত্যক্ত ওই শৌচাগার শক্তিশালী বোমা মজুত রেখেছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে । উল্লেখ্য, দুদিন আগে কল্যাণীতে বেআইনি বাজির কারখানায় বিষ্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ির শৌচাগারে এদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেউ থাকেন না। বাড়ির মালিকরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে একবার তাঁরা আসেন। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বর্ডার সংলগ্ন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত কেপে উঠেছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে তটস্থ ঘুম ছুটেছে চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের।বিগত লোকসভা ভোটের আগের রাতেই বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতি হামলায় খুন হন চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ। বোমা মেরে ও কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় মিন্টুর এক সঙ্গী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিল। আজও ওই খুনের হামলাকারী দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। সেই আতঙ্ক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেঁচুড়ি গ্রামবাসী। তারই মাঝে ভয়ংকর বিস্ফোরণে একটা পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনায় সিঁদূরে মেঘ দেখছে গ্রামবাসীরা।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) কাশিনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বাড়ির শৌচাগারে বিস্ফোরণ ঘটেছে ওটি পোড়ো বাড়ি। ১৫-১৬ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। আমারা সুয়োমোটো মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতায় তিনতলা বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু, কি দিয়ে বানিয়েছিল এই বাড়ি?

কলকাতায় বাড়ির ছাদ ভেঙে বিপর্যয়। এবার বাগুইআটিতে তিনতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ওই বাড়িরই বাসিন্দা এক কিশোরের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, একেই বাড়ি তৈরির সঠিক দ্রব্যসামগ্রী ব্য়বহার করা হয়নি, নেওয়া হয়নি পুরসভার অনুমতি। তারওপর টানা বর্ষণ। যার ফলে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পর রাতের দিকে বাগুইআটি অশ্বিনীনগরে আচমকা একটি তিনতলা বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় নীচের ঘরে ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডল নামে ওই কিশোর। ছাদের চাঙর কিশোরের মাথার উপর ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘন্টার চেষ্টার অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরে বিশাল সিমেন্টের চাঙরের নিচেই চাপা পড়ে ছিল ওই কিশোর। অভিযোগ, খবর পাওয়ার পর বহুক্ষণ পর এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার দল পাঠায় প্রশাসন। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সেই বাড়ির ভিতরে ঢুকে সিমেন্টের চাঙর সরিয়ে উদ্ধার করে ওই কিশোরকে। কিন্তু কেন ভেঙে পড় তিনতলার ওই অংশ।স্থানীয়দের দাবি, এই বাড়িটির ছাদ ঢালাইতে লোহার রড দেওয়া হয়নি। বাঁশ বা কঞ্চি দিয়ে ঢালাই করা হয়েছিল। পাথরের বদলে ইঁটের টুকরোও দেখা গিয়েছে ভাঙা অংশে। এই বাড়িটি ভেঙে নতুন করে করার কথা ছিল। তার আগেই ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলো। স্থানীয়দের আরও বক্তব্য, মৃত কিশোরের বাবা নিষেধ করা হয়েছিল ওই ভাবে ঢালাই দিতে, তিনি তা শোনেননি। তারই পরিণতিতে প্রাণ গেল কিশোরের। অন্যদিকে, হাওড়ার সালকিয়ায় টানা বৃষ্টির জেরে জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু চহয়েছে এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার রাতে বোনকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সালকিয়ার তাঁতি পাড়ার বাসিন্দা পূরবী দাস। তাঁদের বাড়ির সামনেই জল জমে ছিল। জমা জলে কোনওভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই তরুণী। বাবার সামনেই এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণীর বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। সেই খুঁটি থেকে কোনওভাবে একটি তার বেয়ে পড়েছিল রাস্তার জলে। তা থেকেই ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আগস্ট ০২, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

আন্তর্জাতিক হাঁটা প্রতিযোগিতায় বড় কীর্তি বাংলার গৃহবধূর, সংসার সামলে এমন সাফল্যে প্রশংসার ঝড়

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেলেন মালদার গৃহবধূ। সংসার সামলে সুপ্রিয়া দাসের এমন কীর্তিতে রীতিমতো প্রশংসার ঝড় বইছে মালদায়। এমনকি সুপ্রিয়াদেবীর আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন মালদা জেলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এর আগেও হেঁটে একাধিক পদক জিতেছেন মালদার গৃহবধূ সুপ্রিয়া দাস। এবার বিশ্বসেরার খেতাব। দুই কিলোমিটার হেঁটে বিশ্বসেরা হলেন সুপ্রিয়াদেবী। তবে শুধুমাত্র হেঁটে নয়, পাশাপাশি রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতাতেও একাধিক পদক জমিতেছেন সুপ্রিয়া দেবী। বাংলাদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্কদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মালদার সুপ্রিয়া দাস। তাঁর স্বামী রাজু দাস পেশায় পুলিশ কর্মী। ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলায় বিশেষ আগ্রহ ছিল সুপ্রিয়া দাসের। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর তেমন খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সংসার সামলে প্রায় ১৪ বছর পর ২০২৩ সালে আবার শুরু করেন অনুশীলন। গত এক বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় একাধিক সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যে একাধিক পদক জিতেছেন তিনি।গত ২৭ ও ২৮ জুন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ভ্যাটেনারি অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। মালদার গৃহবধূ সুপ্রিয়া দাস জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সুবাদে সেখানে সুযোগ পান। দুই কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক পেয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন মালদার এই গৃহবধূ। পাশাপাশি রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতায় আরও চারটি পদক পেয়েছেন। দুটি দ্বিতীয় ও দুটিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। গত এক বছরে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। সংসারের সমস্ত কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পান মালদা শহরের পুলিশ লাইন মাঠ অথবা বৃন্দাবন ময়দানে অনুশীলন করেন সুপ্রিয়া দাস। নিজ প্রচেষ্টায় নিয়মিত অনুশীলন করেই প্রাপ্তবয়স্কদের এই অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় নেমে সাফল্য অর্জন করছেন তিনি। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে জেলার ক্রীড়া প্রেমী মানুষেরা।

জুলাই ১৮, ২০২৪
কলকাতা

লেকটাউনে পরিতক্ত বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে রহস্য।

সোমবার সকালে লেকটাউন যশোর রোডের ধারে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে রহস্য। লেকটাউন ব্লক এ ৮৪৮ বি/১ একটি বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এদিন রাস্তায় প্যান্ডেল করার সময় এক কর্মী কঙ্কাল দেখতে পায়। এরপরে লেকটাউন থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। স্থানীয় সূত্রে ওই ব্যক্তির নাম রাজীব বড়াল। এদিন পুলিশ সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেয়।

এপ্রিল ১৫, ২০২৪
রাজ্য

সল্টলেকে গেস্ট হাউজের আড়ালে মধুচক্রের আসর! গ্রেফতার ৭

সল্টলেকে মধুচক্রের হদিস। গেস্ট হাউজের আড়ালে চলতো মধুচক্রের রমরমা। সেখানে হানা দিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ম্যানেজার সহ চার জন গেস্ট হাউস কর্মী, তিনজন কাস্টমারকে গ্রেফতার করলো বিধান নগর পূর্ব থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে তিনজন তরুণী ।পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ আসছিল যে সল্টলেকের বিজে ব্লকের ৩০১ নাম্বার বাড়িতে গেস্ট হাউস করে সেখানে বহু মেয়ে ও ছেলেদের দিন রাত আনাগোনা চলছে। সেই খবর অনুযায়ী শনিবার রাতে ঐ গেস্ট হাউসে আচমকা হানা দেয় পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে তিনজন কাস্টমার ও সঙ্গে তিনজন মেয়ে রয়েছে। এর পরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর না পেয়ে ঐ গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ও তিনজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে ওই তিনজন কাস্টমারকেও গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ঐ তিন তরুণীকে। আজ ধৃতদের বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
রাজ্য

দিদির বাড়ি দেখে হিংসে করেন সলমন খান, বললেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার হাজির মুম্বাইয়ের সুপারস্টার সলমন খান। ছিলেন না অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা। এর আগে তাঁরা প্রতিবারই হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। এবার বললেন সেই অভিজ্ঞতা।এবার চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। এদিন সলমন বলেন, কালীঘাটে দেখতে গিয়েছিলাম দিদির বাড়ি।এর আগে সাল্লু ভাই তথা ভাইজান এসেছিলেন কলকাতায়। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। পুরনো কথা তুলেই তিনি বললেন, আমি যখন এর আগে আমন্ত্রণ পেলাম তখন একটাই বিষয় মাথায় ঘুরছিল, যে গিয়ে এটাই দেখব দিদির বাড়ি আসলেই এত ছোট কিনা? আমার বাড়ির থেকে ছোট কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আপনার সঙ্গে হিংসা করি দিদি। আমি সত্যিই ভাবিনি যে আপনার বাড়ি আমার থেকে ছোট হবে। এপ্রসঙ্গে অনিল কাপুরের বাংলোর কথাও বললেন।কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ি এত ছোট যেন ভাবতেই পারেননি তিনি। বেশ অবাক হয়েছিলেন। বললেন, আমি খুব খুশি, যে সত্যি দিদির বাড়ি এত ছোট। এত ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাড়ি যে এত ছোট হবে, অবিশ্বাস্য! আমার হিংসা হয় দিদি। আমার আর বড় বাড়ির ইচ্ছে নেই।উল্লেখ্য, সলমন এই প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আর বাংলার মানুষের উন্মাদনা দেখে তিনি আপ্লুত। সলমন খান বললেন, আমরা বাংলার কাছে বাঙালির কাছে ঋণী। এখানের মানুষরা অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা হিন্দি ছবির মানুষ হলেও বাংলার ট্যালেন্টকে কদর করি।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, সামাল দিল পুলিশ

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে চড়াও হল পঞ্চায়েত এলাকার একদল বাসিন্দা। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার কামারহাটি গ্রামে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার কথা জেনে বিস্মিত পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।তাঁর আশঙ্কা,এই ঘটনার পিছনে বিরোধীদের উস্কানি থাকলেও থাকতে পারে! জানা গিয়েছে, পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত।রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পৈত্রিক বাড়ি রায়না ২ নম্বর ব্লকের গোতান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কামারহাটি গ্রামে। শুধু বসত বাড়ি নয়, ওই গ্রামে রয়েছে মন্ত্রীর পরিবারে একাধিক পুকুর ও জমিজমা। মাঝে মধ্যে পৈত্রিক বাড়িতে যাওয়া আসা করেন মন্ত্রী। লাঠি ডাণ্ডা নিয়ে সেই বাড়িতেই এদিন বিকালে চড়াও ক্ষুব্ধ একদল গ্রামবাসী। তারা ডাণ্ডা দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ির সদর দরজা ঠোকে, বাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া, কিছুই বাদ রাখেন না। তির-ধনুক নিয়ে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে লোহার গেট থেকে শুরু করে বাড়ির ভিতরে জানলা, দরজার কাঁচ, চেয়ার, টেবিল, আলো,ফুলের গাছ ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালানো হয় । মাছ-চাষিদের তিনজনের বাড়িও ভাঙচুর হয়। কেন মহেন্দ্র হেমব্রম নামে এলাকার এক বাসিন্দাকে মন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার ও তার দলবল নির্মম ভাবে মরধোর করেছে, তার বিহিত চাইতেই মূলত ক্ষুব্ধ মানুষজন এদিন মন্ত্রীর বাড়ির বিক্ষোভে ফেটো পড়েন।এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, কাউকে কিছু না জানিয়ে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পৈত্রিক পুকুর থকে মাছ ধরা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় অশান্তি ছড়ায়। মাছ ধরা নিয়ে মহেন্দ্র হেমব্রম নামে এলাকার এক বাসিন্দাকে মারধোরে অভিযোগ ওঠো মন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকারে বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহেন্দ্রকে মন্ত্রীর বাড়ির মধ্যে তুলে নিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার খবর পেয়েই মাধবডিহি থানার পুলিশ গিয়ে তখনকার মত পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে মারধোরের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ স্তিমিত হয় নি। মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ ফের আছড়ে পড়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর পৈত্রিক বাড়িত । পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মির্জা আখতার আলি বলেন, এটা সাধারণ মানুষের অধিকারের প্রশ্ন, সে জন্যে গ্রামবাসীরা নির্মমতার বিরুদ্ধে একত্র হয়েছেন। আমরা অন্যায়কে তো আর ন্যায় বলতে পারি না। বিজেপির জেলা সম্পাদক (কাটোয়া) মাণিক রায় বলেন, তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসছে।

নভেম্বর ০৭, ২০২৩
রাজ্য

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও 'ভাইপো' মন্তব্য, কি বললেন তিনি?

এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও ভাইপো। কোভিড ক্ষতিপূরণের একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে ভাইপো মন্তব্য। চোলাই মদ খেয়ে মারা গেলে ২ লাখ, কোভিড মৃত্যুতে কত? প্রশ্ন বিচারপতির। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,কে একটা ভাইপো আছে, তাঁর বাড়ি ৪ তলা। কোটি টাকার বাড়ি, কোথা থেকে আসে এত টাকা? চোলাই মদ খেয়ে মারা গেলে ২ লাখ, কোভিডে মৃত্যুতে কত? আদৌ কি টাকা দেওয়া হয়?২০২০ সালের ১ অগাস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বিভূতিকুমার সরকারের। ওই শিক্ষকের মৃত্যুর পরেও সরকারি চাকরি বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর। শেষমেশ চাকরি না পেয়ে তাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার সেই মামলাটিই উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।এই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উপরোক্ত প্রশ্নগুলি করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
নিবন্ধ

দুই বিপ্লবী কোনোমতে বেরোতে পেরেছিলেন সেই 'ডালান্ডা হাউস' র রৌরব নরক থেকে!

পি.জি.হাসপাতাল ছাড়িয়ে , বহুতল ট্রমা কেয়ার সেন্টার পেরোলেই কন্ডাক্টরদের সরব ঘোষণা পি.টি.এস .. পি.টি.এস! কিছু মানুষ নেমে যান বাস থেকে; আরো বেশী মানুষ হুরমুড়িয়ে উঠে আসেন সততজনঅধ্যুষিত স্টপেজটি থেকে।রাস্তার উল্টোদিকে সুবিশাল রেসকোর্সের দিকে শান্ত চোখে সারাবেলা চেয়ে থাকা বড় বড় গাছের ছায়ায় ঢাকা বাসস্টপটি আমাদের প্রায় সকলেরই অতিপরিচিত পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা পি.টি.এস। অবসরপ্রাপ্ত দুটি কামান দুপাশে নিয়ে যার প্রশস্ত তোরণ ঝাঁকিদর্শন দেয় ভিতরে বৃত্তাকার এক রহস্যময় সরকারী ভবনের, প্রকৃত নাম যার ডালান্ডা হাউস।পিছিয়ে যাওয়া যাক একশো আশি বছর। এই চত্বরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নেটিভদের জন্য বিশাল এক পাগলাগারদ। আগে রসাপাগলা অন্চলে ছিল এই পাগলাগারদ; সেখান থেকে তাকে তুলে আনা হয় এই প্রশস্ত পরিসরে। ১৯০৬ সালে ভবনটি চলে আসে স্ট্যাম্প অ্যান্ড স্টেশনারী দফ্তরের আওতায়। ১৯১৪ সালে এখানেই গড়ে তোলা হোলো এক আধুনিক পুলিশ ট্রেনিং কেন্দ্র, তদানীন্তন পুলিশ কমিশনার স্যার ফ্রেডেরিক হ্যালিডে-র উদ্যোগে। ১৭৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে আসা পন্চান্নটি গ্রামের অন্যতম ছিল ডালান্ডা (ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে পঞ্চান্নগ্রাম স্টপেজ আজো স্মৃতি বহন করছে হাতবদল হওয়া সেই পঞ্চান্নটি গ্রামের) সেই ডালান্ডা গ্রামের নামেই চিহ্নিত হলো ইংরেজ দার্শনিক জেরেমি বেন্থাম-এর উদ্ভাবিত প্যানপ্টিকন শৈলীতে নির্মিত এই পুলিশভবন। এই স্থাপত্যকৌশল তখন ব্যবহৃত হতো কারাগার - হাসপাতাল - পাগলাগারদ - উদ্ধারকেন্দ্র ইত্যাদিতে বৃত্তাকার অট্টালিকার কেন্দ্রে থাকতো নজরদারীর জন্য উঁচু এক নির্মান।বিপ্লবের আগুন তখন দাউদাউ করে জ্বলছে পরাধীন বাংলায়। শত শত অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সামলাতে জেরবার ব্রিটিশ রাজশক্তি। গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট প্রস্তাব দিলেন ডালান্ডা হাউস ব্যবহৃত হোক কারাগার ও জিজ্ঞাসাবাদ-কেন্দ্র হিসেবে। সেই শুরু সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডালান্ডা হাউস পর্যবসিত হোলো পাশবিক নির্যাতনের এক নারকীয় মন্চে।সেই নরকযন্ত্রণার বিবরণ জানতে পারতো না বাইরের জগৎ। নিদারুণ নিষ্ঠুরতা-নিষ্পেষণ-নিপীড়নে নির্বাপিত হয়েছে কত স্বপ্নদর্শী তরুণ প্রাণ, উন্মাদ হয়ে গেছেন কতো উজ্জ্বল দেশপ্রেমী কে তার খোঁজ রাখে!নলিনীকান্ত ঘোষ আর প্রবোধকুমার বিশ্বাস দুই বিপ্লবী কোনোমতে বেরোতে পেরেছিলেন সেই রৌরব নরক থেকে, ১৯১৬ সালে। পরের বছর বেঁচে ফিরেছিলেন আরেক স্বাধীনতাসংগ্রামী প্রবোধ দাশগুপ্ত-ও। এঁদের মুখেই বিবরণ মেলে ভেতরকার ভয়ঙ্কর বিভীষিকার। সেই ভয়াবহ বর্ণনা ক্রমে ক্রমে জন্ম দেয় প্রবল বিরুদ্ধ জনমতের যা ব্রিটিশ রাজশক্তিকেও বাধ্য করে ১৯২০ সালে এই ফাটক তথা জিজ্ঞাসাবাদ-কেন্দ্র বন্ধ করতে। ডালান্ডা হাউস ফিরে যায় তার মৌলিক চরিত্রে পুলিশট্রেনিং কেন্দ্র হিসেবে।সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ কয়েকটি পর্যায়ে মেরামত করেছে ডালান্ডা হাউসকে। বিস্তৃত ভবনটিতে এখনও কার্যালয় রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশিষ্ট কতকগুলি বিভাগের ডগ স্কোয়্যাড .. বম্ব স্কোয়্যাড .. RAF .. কম্যান্ডো ইউনিট .. বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ বিভাগ পুলিশ ট্রেনিং স্কুল চলে যাচ্ছে হাওড়া-র ডুমুরজলায়। ডালান্ডা হাউস জেগে থাকবে মৃত্যুন্জয়ী বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দীর্ঘশ্বাস-যন্ত্রণা-স্বপ্নভঙ্গ বুকে নিয়ে!

আগস্ট ১৭, ২০২৩
রাজ্য

বুলডোজারের কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বেআইনি নির্মাণে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ

শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ থেকে একের পর এক রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচিতি এখন বাংলার ঘরে ঘরে। তিনি দুর্নীতির লড়াইয়ে দমবেন না সেকথা বারে বারে ঘোষণা করেছেন। এবার কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ করতে তা বোঝাতে বুলডোজার তত্ত্ব সামনে নিয়ে এলেন। কোনও গুন্ডাগিরি বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি।কলকাতা পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কীভাবে পদক্ষেপ করতে হবে? শুক্রবার তা বোঝাতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মহানগরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজ়ার ভাড়া করুন। সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না, গুন্ডাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমি জানি।কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বহু অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে মামলাও চলছে বছরের পর বছর ধরে। বেআইনি নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বোঝাতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং বুলডোজার শব্দের ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার প্রশংসা করে বলেন, কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকেরা জানেন, কী ভাবে গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হয়। তবে পুলিশ আর পুরসভা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি জানি তাদের কী বাহ্যিক চাপের মুখে কাজ করতে হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৩
রাজ্য

বৌমার এক ধাক্কায় পড়ে গিয়ে শাশুড়ির মৃত্যু, অভিযোগে গ্রেফতার গৃহবধূ

পারিবারিক অশান্তির জেরে মৃত্যু হল শাশুড়ির। অভিযোগ, গন্ডগোলের সময় বৌমা ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় শাশুড়ির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। বৌমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট থানার গলাসিয়ার বাসিন্দা শাশুড়ি আয়তন বিবি বয়স (৬২) ও বৌমা তনুজা বিবির সঙ্গে গতকাল পারিবারিক অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, তখন বৌমা শাশুড়িকে ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় শাশুড়ির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রাজারহাট থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই বৌমাকে গ্রেফতার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শাশুড়িকে ধাক্কা দিলে ইটে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান শাশুড়ি। সেই আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়। আজ ধৃত তনুজা বিবিকে বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ, ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মালদায়

মালদা, ২১ ডিসেম্বর। সরকারি প্রকল্পে বাংলা আবাস যোজনায় তালিকা তৈরি নিয়ে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীদের নাম। কিন্তু প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকায় নাম নেই। যাদের পাকা বাড়ি নেই। কাটমানি দিতে না পারায় নাম নেই অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী শতাধিক গ্রামবাসীরা। বুধবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাটা এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে রাজ্য সড়কে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। এদিন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ফেশান আলি সহ একাধিক নেতার, সরকারি কর্মচারীর এবং যাদের পাকা বাড়ির রয়েছে তাদেরও। কিন্তু যাদের পাকা বাড়ি নেই, দরিদ্র পরিবার তাদের কারোর নাম নেই। তারা কাটমানি দিতে পারে নি বলে নাম নেই এমনটাই দাবি বিক্ষোভকারীদের। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ভোট বয়কট করা হবে বলেও জানিয়েছে বিক্ষোভকারী দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। অপরদিকে তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেও একই অভিযোগে বিক্ষোভ। পঞ্চায়েতের কার্য্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা।হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, এরকম ঘটনার বিষয় যদি ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন অবশ্যই তা তদন্ত করে দেখবে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না হবে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনায় নেতা নেত্রীদের নাম প্রত্যহারের পালা অব্যহত

রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা নেতা নেত্রী ও তাঁদের পরিবারের নাম প্রত্যহার পালা অব্যহত। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পর এবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তার ছেলের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন।সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময় মালিকের নাম থাকায় তিনি তা বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন বুধবার। তিনি পরিবারের অভিভাবক। তাই তিনি তালিকা থেকে তন্ময়ের নাম বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন বলে তিনি জানান।ছোটো একটা ভাঙা মাটির বাড়িতে থাকতেন পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময়। সেখানকার ভিআরপিদের সাহায্যে তিনি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ থাকায় নিজের বাবার দেওয়া জমি বিক্রি করে কয়েক দিন আগেই বাড়ি তৈরি করেন পাট্টা পাওয়া জায়গার উপর। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাংলার আবাস যোজনায় পার্বতী ধারা মালিকের ছেলের নাম আসে। যেহেতু ছেলের বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে তাই তিনি এই প্রকল্প থেকে তার ছেলের নাম বাদ দিয়ে দেন। তিনি চান অসহায় দুঃস্থ মানুষরা আবাস যোজনার সুযোগ পাক। এখানে উল্লেখ্য গত সোমবার রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহান্ত তার নিজের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেন তিনি নিজেই।মঙ্গলবার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের রায়ান ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যা ফতেমা বিবি সেখও একই পথে হাঁটেন।আবাস যোজনা তালিকায় নাম ছিল ফতেমা বিবি সেখের।তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেন।আর বুধবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকও নাম তালিকা থেকে বাদ দেন তার ছেলের। তবে লাগাতার আবাস যোজনার তালিকা থেকে শাসকদলের নেতানেত্রীদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ যে সত্যি তা পরিস্কার হল। হৈচৈ হয়েছে বলেই এখন তৃণমূল নেতারা তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে সাধু সাজছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ সব চালাকি বুঝতে পারছেন।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ২০১৬-১৭ সালে আবাস যোজনার বাড়ির জন্য সার্ভে করা হয়। তখন অনেকেরই মাটির বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন অনেকেই পাকা বাড়ি করেছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী নাম বাদ যাবে। অনেকেই আগেভাগেই নাম তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। এতে দোষের কি হল। বরং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই তারা এই পথ বেঁচে নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
কলকাতা

নিউটাউনে গেস্ট হাউসে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক

নিউটাউনে গেস্ট হাউসে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। ধৃতের নাম সোনু সরকার। বাড়ি গরফা থানা এলাকায়। গতকাল রাতে গরফার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। আজ ধৃতকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে।পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার রাতে অভিযোগকারী ওই যুবতীকে নিয়ে নিউটাউনের একটি গেস্ট হাউসে ওঠে ধৃত সোনু সরকার। এরপর যুবতীকে মাদক খাইয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করা হয় এমনটাই অভিযোগ যুবতীর। এরপর ইকোপার্ক থানায় এসে যুবকের বিরুদ্ধে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই যুবতী। ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল গরফা এলাকা থেকে সোনু সরকারকে গ্রেফতার করে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ধৃত যুবকের সাথে বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় যুবতীর। এরপরই ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্টতা বাড়ে। অভিযোগ, নিউটাউন গেস্ট হাউসে যুবতীকে নিয়ে এসে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে সোনু সরকার নামে ওই যুবক। আজ ধৃতকে ধর্ষণের অভিযোগে বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজেই কাটালেন তাঁর নাম, কটাক্ষ বিরোধীদের

এযেন উলোট পূরাণ। আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকায় সেই নাম নিজেই কেটে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত।যেখানে আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ছেন আইসিডিএস ও অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। পাকা বাড়ি থাকা স্বত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের নাম আবাস যোজনায় তালিকায় আছে। সেই নিয়ে সার্ভে করতে গিয়েই অশান্তি হচ্ছে। রোষের মুখে পড়ছেন সার্ভের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। কোথাও কোথাও আবার সরকারি আধিকারিকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।জেলার খণ্ডঘোষের ব্লকের শাঁখারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের পেল্লায় চারতলা বিশাল বাড়ি। তবু্ও তার নাম আবাস যোজনা তালিকায় জ্বল জ্বল করছে। প্রথম দিকে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেননি উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ, অভিযোগ বিরোধীদের। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ হওয়ায় ব্লকের বিডিও তালিকা থেকে জাহাঙ্গীর সেখের নাম বাদ দেন।এখানে অবশ্য রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত ঠিক উল্টো পথেই হেঁটেছেন। তালিকায় তার নাম দেখে নিজেই নাম কেটে দেন। তিনি বলেন, আগে যখন সার্ভে করা হয়েছিল সেই সময় তার কোনও পাকা বাড়ি ছিল না। ছিল মাটির বাড়ি। সেই সময় সার্ভে করতে গিয়ে ছবি তোলা হয় এবং সেই অনুযায়ী এবার আবাস যোজনার তালিকায় নামও আসে তার। কিন্তু রায়না ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্বদের সাহায্যে বর্তমানে তার একটি পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তার যেহেতু পাকা বাড়ি মাথার ছাদ সবটাই রয়েছে তাই তার জায়গায় যাতে অন্য আরেকজন দুঃস্থ অসহায় মানুষ আবাস যোজনার তালিকায় আসতে পারেন সেই জন্য তিনি নিজের নাম সোমবার কেটে দেন। তবে বিরোধীরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ঠেলায় পড়েই নাম কাটতে উদ্যোগী হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলে দাবী করেন জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনা’র স্বচ্ছতা বাড়াতে এবার অভিযোগ জমা নেওয়ার উদ্যোগ জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা'র

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে যেকোনো ধরনের অভাব, অভিযোগ এবার জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরেরই জানানো যাবে। সেই উদ্দেশ্যেই পূর্ব-বর্ধমানের জেলাশাসক সহ জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরের সামনেই বসানো হল অভিযোগ বক্স।জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত প্রায় ৭৩৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার বেশীরভাগটাই যোজনায় অন্তর্ভুক্তকরণের। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ গুলোও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার নাম নথিভুক্ত আছে। যে তালিকা আবার নতুন করে প্রশাসনিকভাবে যাচাই করার কাজ চলছে। মূলত বিডিও ও এসডিও স্তরে দুবার যাচাইয়ের পর ফের তৃতীয়স্তর হিসাবে এডিএম স্তরে সেই তালিকা যাচাইয়ের পরই ফের নতুন তালিকা তৈরী করা হবে।রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির ও স্বজনপোষণের অভিযোগের শেষ নেই। এবং তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজাও কম হচ্ছে না। এরই মাঝে জেলাপ্রশাসনের তরফে অভিযোগ বক্স বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ফের রাজনৈতিক চাপানউতর।জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এরপর এত অভিযোগ প্রতিদিন জমা পড়বে, প্রশাসনের আধিকারিকরা নাজেহাল হবেন। কারণ গরিব মানুষজনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় নেই। যারা প্রকৃত দাবীদার তাদের নাম শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বাদ দিয়ে নিজেদের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করেছেন। এই দাবী আমরা প্রথম থেকেই করে আসছি। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ নিয়ে আমরা অভিযোগ করেছি বারে বারে। তখন তৃণমূল কান দেই নি। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তাই বক্স করছে প্রশাসনিক দপ্তরে। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে এতদিন মিথ্যে অভিযোগ করছিল রাজ্য সরকার ও তৃণমূল। এখন তা প্রমাণিত হল। আইসিডিএস কর্মী সার্ভে করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা তাদের আক্রমণ করছে। হুমকি দিচ্ছে।অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন,যখন সার্ভে হয়েছিল তখন তার পাকা বাড়ি ছিল না। এখন ২০২২ সালে আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম আছে। এতে বেনিয়মের কি আছে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখে তবেই তো নাম থাকবে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে গিয়ে নাম কাটাচ্ছেন।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনার তালিকায় উপপ্রধানের নাম! তাঁর বিলাসবহুল অট্টালিকা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হতেই বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর পড়লো পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। বাম ডান সব আমলেই স্বজনপোষণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ হয়েছে। শাসকদলের নেতারা কমবেশি অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতার জাহির করেছেন।কিন্তু খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর গ্রামে চুরি নয় রীতিমত পুকুর চুরি বললেও কম বলা হবে। এককথায় ডাকাতি হয়েছে। তাই নিয়ে সরব হয়েছেন শাসকদলের একাংশ।শাঁকারি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ। গ্রামেই রয়েছে তার বিলাসবহুল চোখ ধাঁধানো চারতলা ইমারত। তবুও সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের স্ত্রী সীমা সেখের নাম রয়েছে। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি তার মৃত বাবা সেখ মহসিন, ভাই আমনগীর সেখ ও আর এক ভাই আজমগীর সেখের নামেও আবাস যোজনার বাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। গোল বেঁধেছে এখানেই। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ তারা গরিব হলেও তারা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন না। তাদের মাটির বাড়ি আছে,কারো মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে। তবুও তাদের নামে আবাস যোজনার বাড়ি আসে নি।শাঁকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলী খাঁ বলেন, আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় নি।আমাকে পুরোপুরি নিক্রিয় করে রাখা হয়েছে। উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখ নিজের খুশী মত সব ঠিক করেছে।এখানে আমার কোন ভূমিকাই নেই। এই বিষয়ে আমি উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলাম।এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপপ্রধান জাহাঙ্গীর সেখের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সাফাই তিনি দলের কাজে ব্যস্ত থাকেন।অফিসে খুব একটা যান না। কে বা কারা এই লিস্ট করেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি তার নজরে আসা মাত্র নাম বাতিলের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান। খণ্ডঘোষের বিডিও সত্যজিৎ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই সব নাম বাতিল করা হয়েছে।জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পাকা বাড়ি থাকলে বা আর্থিক অবস্থা ভালো হল তিনি আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন না। এই ক্ষেত্রে কি ভুল ভ্রান্তি হয়েছে প্রশাসন তা দেখছে। আর এটা আগেকার তালিকা।এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। চারতলা বাড়ির মালিক অথচ তার নামে আবাস যোজনার বাড়ি আসছে।প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

ডিসেম্বর ১০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অম্বরীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! সিএবিতে চিঠি আজহারের

সিএবিতে চিঠি পাঠালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে এই আজহার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বা ইডেনের বরপুত্র নন। এই আজহারের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায়। যদিও এই আজহারের দাবি নয়া মাত্রা যোগ করল সিএবিতে চলা সাম্প্রতিক এক বিতর্কে।সম্প্রতি আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া একটি চিঠি সিএবি, বিভিন্ন ক্লাব-সহ নানা জায়গায় পাঠিয়ে সিএবির স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন। অম্বরীশ প্রাক্তন ক্রিকেটার, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। রেলের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করেন সিএবিতে। ফলে ভিজিল্যান্স-সহ রেলের কর্তাদের কাছেও অম্বরীশের নামে অভিযোগপত্র পাঠান সুমন। তাঁর দাবি, অম্বরীশ বিভিন্ন ক্লাব, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন, হাইকোর্ট ক্লাবে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছেন প্রভাবশালী পরিচয় দেওয়া অম্বরীশ। জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, দুর্নীতিতে অম্বরীশের সঙ্গী দেবনিক দাস যুক্ত বলেও দাবি সুমনের। উল্লেখ্য, দেবনিক হলেন টাউন ক্লাবের কর্তা। তিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পুত্র। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধেও এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে সিএবি ওম্বুডসম্যানের কাছে। সুমন চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে অম্বরীশ যে টাকা পেয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছিল আজহারের নাম। এবার সেই আজহার চিঠি দিলেন সিএবিতে। আর্জি জানালেন, অম্বরীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে দিতে। সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অম্বরীশ ও তাঁর খ্যাতিতে আঘাত দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অপব্যাখ্যা করে ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আজহারের।আজহার সিএবি সভাপতি ও সচিবকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ক্রিকেট খেলার সূত্রে অম্বরীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। খেলার পাশাপাশি তাঁরা নানাভাবে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সাহায্য করে থাকেন। গত মরশুমে হাইকোর্ট ক্লাবকে সহযোগিতা করেছেন অম্বরীশ, সে কাজে তিনিও অম্বরীশের পাশে ছিলেন।ক্রিকেট দল চালাতে অর্থের প্রয়োজন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব অনুদান-সহ নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে খেলাধুলো পরিচালনা করে। সে কাজটাই তিনি ও অম্বরীশ করেছিলেন বলে জানান আজহার। তাঁরা সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ক্রিকেটারদের জার্সি, ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেন, যাতায়াত, টিফিন, লাঞ্চের খরচ জোগান, অনুশীলনের জন্য প্র্যাকটিস-স্লট বুকিং, পরিকাঠামো তৈরি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সহায়তার কাজে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করেন বলে দাবি আজহারের। তিনি আরও বলেন, যে অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট চালানোর কাজেই তহবিল গড়তে দেওয়া হয়েছে। যাতে মসৃণভাবে এই প্রক্রিয়া চলে সে কারণেই অম্বরীশের ইউপিআই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ অম্বরীশ ও আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোলেননি বলেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করা হলো তিনিই যখন আসল তথ্য সিএবিকে চিঠি লিখে জানালেন তাতে অভিযোগকারীর দাবি অনেকটাই লঘু হয়ে গেল। অভিযোগকারী সুমন অম্বরীশের কর্মক্ষেত্রে যে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছেন সেটিও সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মঙ্গল-রাতে আজহারের চিঠি জমা পড়ার পর সিএবি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজ্য

জাতীয় সড়কে উড়ালপুলের দাবিতে রোড অবরোধ, নবানহাটে জনজোয়ার

আজ সকাল ৮টা থেকে পূর্ব বর্ধমানের মেটেল, নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক রোড অবরোধ শুরু হয়েছে। মূল দাবিঅতি দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের যানজট ও দুর্ঘটনার সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও গৃহীত হয়নি।সকাল থেকেই প্রায় ৩,০০০-র বেশি মানুষ জাতীয় সড়কের উপর জড়ো হয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উড়ালপুল চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাইএই দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন স্কুল, অফিস যেতে গিয়ে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। উড়ালপুল না হলে ভবিষ্যতে আর বড় ক্ষতি হবে। এই অবরোধে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী যগদান করেছে, জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তেই হাজার হাজার লড়ি বাস প্রাইভেট কার আটকে আছে। দূর্ভোগের চূড়ান্ত অবস্থা।অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কের দুদিকেই শতাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

নিশানায় মহাদেব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল সিএবিতে

প্রবীর চক্রবর্তী, দেবব্রত দাস, অম্বরীশ মিত্রর পর এবার সিএবিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল মহাদেব চক্রবর্তীর নামে। সিএবির ওম্বুডসম্যান, সিএবি সচিব ও কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা তথা ক্রিকেট অনুরাগী শ্যামল দাস। গত ১৮ জুলাই। অভিযোগ, সিএবির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাদেব চক্রবর্তী বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের এসিপি (ওএসডি) পদে আসীন থাকা অবস্থায় কীভাবে মহাদেব চক্রবর্তী সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে গেলেন তা নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী।এমনকী তিনি মনোনয়নের সময় বা হলফনামায় যথোপযুক্ত নথি জমা দিয়েছিলেন কিনা, তাতে কোনও গরমিল আছে কিনা তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে। সিএবির নিয়মের চতুর্থ চ্যাপ্টারে ৩৪(৩)(ডি) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ মূলত উঠেছে মহাদেবের বিরুদ্ধে। এই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী স্পোর্টস কোটায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য বা সিএবির পদাধিকারী হতে পারবেন। আবেদনকারীর সংশয় ঠিক এই জায়গাতেই। ফলে ক্লিনচিট পেতে মহাদেব এখন যথোপযুক্ত নথি পেশ করেন কিনা বা তিনি কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।আবেদনকারীর আর্জি, মহাদেবকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তদন্ত অবিলম্বে শুরু হোক। প্রয়োজনে ফৌজদারি পদক্ষেপ শুরু করা যেতে পারে বলেও আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মহাদেবের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বছর বাহাত্তরের ওই অভিযোগকারী। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগে দোষী প্রতিপন্ন হলে মহাদেব যাতে ভবিষ্যতে সিএবিতে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিএবির কেউ কিংবা অভিযুক্ত মহাদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেননি।

জুলাই ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal