• ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, রবিবার ১০ আগস্ট ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Hospital

রাজ্য

কর্মবিরতির জন্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ২৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের, দাবি রাজ্য সরকারের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছেন, মৃত ২৯ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। মমতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। যার ফলে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করছে। ২৯ জন মৃতের পরিবারকে ওই টাকা দেওয়া হবে।রাজ্যের অভিযোগ, ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে বহু মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৯। তবে রাজ্যের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিচ্ছেন। বাড়তি পরিশ্রম করছেন। কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে না।পাল্টা তাঁদের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশাতেই এমনতিই বহু মানুষ প্রতিদিন উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে মারা যান। সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে রাজ্য সরকার। কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে কর্মবিরতিকে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
রাজ্য

কেন নবান্নের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং নয়? কারণ জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী

লাইভ স্ট্রিমিং প্রশ্নে জুনিয়র চিকিৎসক ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করলো আদালতকে প্রভাবিত করতে। লাইভস্ট্রিমিংয়ের সাথে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। সুপ্রিমকোর্টের শুনানি তো লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশ দেখছে। নবান্নের সভাঘরে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তার সাথে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। নবান্নের সভাঘরে কি বিচার প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল !নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক, লাইভস্ট্রিমিংয়ে আসলে ওনার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক। পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন।নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে লাইভ দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর বকাঝকাও ওই বৈঠকগুলিতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু লিখেছেন, যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়? আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কেনো প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রাজ্য

ভেস্তে গেল নবান্নের বৈঠক, "বিচার নয়, চেয়ার চায়", মন্তব্য মমতার, পাল্টা চিকিৎসকরা

টানা তৃতীয় দিনেও বৈঠকের আয়োজনই ব্যর্থ। বৃহস্পতিবারও রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকই হল না। নবান্নে পৌঁছেও জুনিয়র চিকিৎসকরা সভা ঘরে ঢুকলেন না। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানিয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই দাবি মানেনি রাজ্য সরকার। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ৪টে ৪৫ মিনিট থেকে অপেক্ষা করছি। এখন ৭ টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি। আন্দোলনকারীরা সভা ঘরে এলেন না। তিন দিনের প্রচেষ্টায় বৈঠক হল না। লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বক্তব্য, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। পাল্টা দিয়েছেন চিকিৎসকরাবৃহস্পতিবারর রাজ্যের সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আলোচনা শেষমেষ হল না। নবান্নের বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং না হলে কোন ভাবেই আলোচনা নয়। রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এদিকে সরকারের তরফে কোন ভাবেই লাইভ সম্প্রচার হবে না বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা জানান। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে টানা ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলেছে টানটান স্নায়ুযুদ্ধ। বৈঠক না হওয়ায় টানা তৃতীয় দিনেও মিলল না কোন সমাধান সূত্র। এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বলেন, আজকে ইমেল করেছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিপ্তে ওরা এখানে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ৫টা থেকে অপেক্ষা করছেন। ওরা ৩২ জন এসেছে। আমরা ওদের আসতে অনুমতি দিয়েছি। ওদের একটা ইস্যু আছে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের। আমরা ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কথা বলেছিলাম। ওরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অনড়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছেন। এখনও ওরা মিটিং হলে আসেনি। ওদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। ওদের যা দাবি আছে, সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ আছে সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আমরা অনুরোধ করব ওরা মিটিংয়ে আসুক। যাই হোক জুনিয়র চিকিৎসকরা মিটিংয়ে যাননি।এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে আন্দলনরত চিকিৎসকরা। বাতিল হয় আজকের বৈঠক। এরপর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পৌনে ৫টা থেকে প্রায় সাতটা বাজে! আমরা ২ ঘন্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছি, আমার ভেবেছিলাম তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আমরা প্রথমে চিঠি দিয়েছিলাম, মুখ্যসচিব, ডিজি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ হোম সেক্রেটারি আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা বলেছিলাম খোলা মনে আসুন, কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে নয়। আলোচনার মাধ্যমে পাঁচটা নতুন কথা আসতে পারে। কথা বললে সমাধান হয়। এর আগেও গতকাল ও গত পরশু অপেক্ষা করেছিলাম তাঁরা আসেনি।মমতা আরও বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে তাঁদের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। আজকেও মুখ্যসচিব তাদের চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। আগের বার ঘটনা ছিল ভিন্ন। সুপ্রিম কোর্ট বা সিবিআইয়ের কাছে ছিল না। আমরা আজকের বৈঠকে রেকর্ডিংয়ের সুযোগ রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট যেটা পারে আমরা তা পারি না। এই নিয়ে কোন আলোচনা আইনত সঠিক নয়। যেহেতু তদন্ত বিচারাধীন, আগামী ১৭ তারিখ শুনানি। তাই লাইভ সম্প্রচারে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আমরা ভিতরে যখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তখন রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। আমরা ওনাদের ৪.৪৫ মিনিটে আসতে বলেছিলাম। তারা অনেকটা দেরি করে এসেছেন। তাতেও আমরা কিছু মনে করিনি। বাংলার মানুষের একটা আবেগ আছে। আমরা সবাই চাই নির্যাতিতা বিচার পাক। এটা আমাদের হাতে নেই। সিবিআই তদন্ত করছে বলে আমি কোন মতামত জানাবো না। আজ আমাদের আলোচনা ছিল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গঠনমূলক উন্নতি, তাদের সেফটি ও সিকিউরিটি। টেলিকাস্টের বিষয়েও আমরা ওপেন মাইন্ড, কিন্তু এই মামলা বিচারাধীন। আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমরা চিঠিতে উল্লেখ করেছিলাম। আমরা খোলা মন নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। যদি মিটিংটা সফল হত আমরা যৌথভাবে প্রেস মিট করতে পারতাম। আমরা ভেবেছিলাম খোলামেলা আলোচনায় রাগারাগি না করে ডাক্তার ও রোগীদের স্বার্থে মানবিক ভাবে আলোচনা করবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছোটদের ক্ষমা করা আমাদের সৌজন্য। সেটা আমরা মেনে চলছি। ১৫ জন বলার পরও ওরা ৩৪ জন এসেছেন তাও মেনে নিয়েছি। কেন ঢুকলেন না আমরা জানি না। ওদের সাহায্য করার জন্য আমি চন্দ্রিমা ছাড়া কাউকে ডাকিনি। যাতে তাঁরা খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। আমি ৩ বার চেষ্টা করলাম। ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ২৭ জন মারা গিয়েছেন, সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি, দেড় হাজার সিরিয়াস রোগী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। ১১ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ঢালাও উন্নতি করেছি। কর্মবিরতির জেরে যাদের মৃত্যু তাদের জন্য আমরা সহানুভুতি জানাবো না? আমার হৃদয় কাঁদছে সবার জন্য। বিনা চিকিৎসায় কত রোগী মারা গেছেন তার পরিসংখ্যান নেওয়ার কাজ করছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট সময় দিয়ে দিয়েছে। তারপরও কোন অ্যাকশন নিইনি। অনেক সিনিয়ার ডাক্তার কষ্ট করেও কাজ করছেন। তাদের অভিনন্দন। ডাক্তারদের কাছে আবেদন কাজে যোগ দিন, রোগীদের সেবা দিন। এরপরও বসতে চাইলেও আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। ধৈর্য্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা। আমাকে অনেক অপমান অসম্মান করা হয়েছে। অনেকে জানতেন না এর মধ্যে রঙ আছে, ওরা বিচার নয় ওরা চায় চেয়ার, আমি পদত্যাগ করতেও রাজি। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ বিচার পাক। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছে, এখানে চেয়ারের কোনও প্রশ্নই নেই। লাইভ না করে কি লুকোতে চাইছে সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসারা।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রাজ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে রাজনীতির খেলা দেখছেন মন্ত্রী, কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার?

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পিছনে রাজনীতির খেলা দেখছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তাঁরা শর্ত রেখে বৈঠকে আসতে চাইছে। একথা বলছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকরী করতে পদক্ষেপ করবে রাজ্য। কি পদক্ষেপ তা পরে জানিয়ে দেবে রাজ্য। তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলতে কি কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য তোলপাড় হয়ে যায়। টানা কর্মবিরতি করে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে আন্দোলন চলছে। এর আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালাবাজার অভিযান করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় ২৪ ঘন্টা লালবাজারের সামনে অবস্থান করে তাঁরা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনও আলোচনা হয়নি। শুধু মেইল চালাচালি চলছে। গতকাল রাজ্যর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেড় ঘন্টা নবান্নে বসে থেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যাঁর পদত্যাগ চাইছি সেই স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব মেইল করে মিটিংয়ে ডেকেছেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা কি করে জানবেন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে থাকবেন। তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল না। জুনিয়র চিকিৎসকদের আজ বৃহস্পতিবার দাবি ছিল, তাঁরা বৈঠকে ৩০ জন প্রতিনিধি যাবে। পুরো বৈঠক লাইভ টেলিকাস্ট হতে হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের শর্ত রাজ্য মানবে না, জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শেষমেশ আজ জুনিয়র চিকিৎসক ও রাজ্য সরকারের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নিতে হবে। নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এদিন রাজ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দুপাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গলায় কর্মবিরতি নিয়ে কড়া সুর শোনা গিয়েছে। এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকরা।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
রাজ্য

নবান্নে অপেক্ষা করে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, সরকারের মেইলে অপমানিত জুনিয়র চিকিৎসকরা

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবের পক্ষে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে একটি মেল পাঠানো হয় সন্ধে ৬টা১০মিনিট নাগাদ। নবান্নে এসে সরকারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল এসে দেখা করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নবান্নে হাজির ছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের এই মেলকে ভালো ভাবে নেননি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা এই মেলকে অপমানজনক বলে মনে করছেন। তাই মেইলের জবাব দেবে না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে। সরকারের তরফে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করার জন্য অপেক্ষা করে বেরিয়ে গিয়েছেন। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৭টা নাগাদ নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন তাঁরা ওই ভবনের সামনে অবস্থান করছে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওই বৈঠকে থাকবেন তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল না, বলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়ে দেন, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা বা আন্দোলন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে যা বলার তিনিই বলবেন। বৈঠক শেষে তৎপরতা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, তারপরেই স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকে মেল পাঠানো হয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে।জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, যাঁর পদত্যাগ দাবি করছি তিনি মেইল করছেন। এটা অত্যন্ত অপমানজনক। মেলের জবাব দেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই, বলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বৈঠকের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন। আমাদের সে কথা বলা হয়নি। মেইলে তার কোনও উল্লেখ ছিল না। ইমেলে লেখা হয়েছে, রেসপেক্টেড স্যার। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, মনে রাখবেন, এই আন্দোলনে শুধু স্যারেরা নেই, ম্যাডামেরাও রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের রাজপ্রাসাদের সন্ধান মিলল ক্যানিং-এ

এবার সন্দীপ ঘোষের প্রাসাদোপম বাংলোর হদিশ মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে প্রায় ২ বিঘা জায়গার উপর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আলিশান বাংলোর খোঁজ মিলেছে। মাঝেমধ্যেই সপরিবারে সেই বাংলোয় যেতেন সন্দীপ ঘোষ। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষের বিরাট সাম্রাজ্যের হদিশ মিলল। ক্যানিংয়ের মধ্য নারায়নপুরে সন্দীপ ঘোষের আলিশান বাংলোর হদিশ মিলেছে। সন্দীপ ঘোষের সেই বাড়ির নাম সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা। অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েও এই বাড়িতে আসতেন সন্দীপ ঘোষ, এমনও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ক্যানিংয়ে প্রায় ২ বিঘা জায়গার উপর ওই বিশাল বাংলোটি বাড়ি বানিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ওই এলাকায় একটি বিরাট প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই প্রকল্প থেকেই প্রায় দুই বিঘা জায়গা কিনে নেন সন্দীপ। সেই জমির উপরেই তৈরি হয় তাঁর বিশাল বাংলো।আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন প্রাসাদপম ওই বাংলো ক্যানিংয়ে তৈরি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ওই বাংলোর নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মাঝেমধ্যে উনি আসতেন এখানে। ওনার বাবা-মা, ছেলে সবাই আসতেন। মাঝেমধ্যে এখানে এসে সন্ধের আগেই চলে যেতেন।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দিনভর ইডির তল্লাশি, উদ্ধার নথিও সোনার গয়না

এবার ইডির নজরে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তি। শুক্রবার সকালে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে ED-র অভিযান। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর বাড়ির ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হন ইডির আধিকারিকরা। শুধু সন্দীপ ঘোষই নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে আজ সকালে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজি কর মেডিকেল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির এই অভিযান। সুভাষগ্রামে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে ED। আরজি কর মেডিক্যালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সাঁড়াশি অভিযানে ইডি। শুক্রবার সকালে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে ইডির চার আধিকারিক পৌঁছে যান। এদিন সকাল ৬.৪০ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসাররা সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে বহুক্ষণ ডাকাডাকির পরেও বাড়ির দরজা খোলা হয়নি। শেষমেষ ঘন্টা তিনেক অপেক্ষার পর বাড়ির দরজা খোলা হলে ইডির অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে এদিন অভিযান চলে। হাওড়ার সাঁকরাইলে ভেন্ডর বিপ্লব সিংহের বাড়িতে এদিন অভিযানে যায় ইডি। বিপ্লব ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলের বাড়িতেও চলে অভিযান। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। সেই সঙ্গে এদিন ইডির অভিযান চলে সুভাষগ্রামে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। সম্প্রতি আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হলের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল প্রসূনকেও। প্রসূন নিজেকে সন্দীপ ঘোষের PA বলে দাবি করতেন। এদিন প্রসূনের বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি।আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলায় আজ রাজ্যজুড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সল্টলেকের বিই ব্লকের একটি বাড়ি থেকে তল্লাশি করে বেশকিছু সোনার গয়না উদ্ধার করেছে ইডি।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই, এবার ভোর দখলের ডাক শিলিগুড়িতে

এবার শিলিগুড়িতে ভোর দখলের ডাক। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আরজি করের ঘটনার একমাস পূর্তি হচ্ছে। সেই দিনই ভোর ৪টে ১০ মিনিট থেকে ৬টা পর্যন্ত শিলিগুড়ির রাস্তায় মঙ্গল প্রার্থনা ও শপথবাক্য পাঠের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে টেবিল টেনিস তারকা অর্জুন মান্তু ঘোষ, সমাজসেবী ও শিক্ষিকা সুনন্দা সরকার ও পৌলমী চাকি নন্দীরা জানান, আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা এখনও বিচার পায়নি। দ্রুত যাতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়, এই দাবিতে তাঁরা পথে নামবেন। শুধু শিলিগুড়ি নয়, অন্যান্য জায়গাতেও একই ভাবে সকলকে পথে নামার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪
রাজ্য

চোর চোর স্লোগান তো ছিলই সঙ্গে জুটলো থাপ্পড়, সন্দীপের সিবিআই হেফাজত ৮ দিনের

চোর চোর, সঙ্গে থাপ্পর। এভাবেই দিন কাটলো আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের। পাশাপাশি ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট ৪ জনের। গতকাল রাতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪। আজ তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকিদের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই হেফাজতে। একটানা দুসপ্তাহেরও বেশি দিন ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল, সোমবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সঙ্গে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতরাতেই তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর আজ সন্দীপ-সহ বাকিদের আলিপুর আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বিচারক ধৃতদের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আলিপুর আদালতে তোলার সময় পিছনের দরজা দিয়ে সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকিদের নিয়ে ঢোকে সিবিআই। ততক্ষণে কোর্ট চত্বর ফেটে পড়ছে চোর-চোর স্লোগানে। মাস্ক পরা অবস্থায় কাঠগড়ায় ওঠেন সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপকে মাস্ক খুলতে বলেন উপস্থিত আইনজীবীরা। তুমুল হট্টগোল শুরু হয় কোর্ট চত্বরে। তখনই বিচারক চারজনকে সামনে ডেকে নেন। প্রবল অস্বস্তির মুখে কার্যত মাস্ক খুলে ফেলতে বাধ্য হন সন্দীপ।আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাহাড় প্রমাণ আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে সন্দীপ-সহ বাকিদের জেরা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই। এদিন ১০ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে চাওয়া হয়েছিল। বিচারক সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে আজ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগানে ইএম বাইপাসে দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার মানববন্ধন করলেন চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ। তিলোত্তমা আজ দেখাল প্রতিবাদের অন্য ভাষা। রাস্তার ধারে সুশৃঙ্খলভাবে বাইপাস জুড়ে নজিরবিহীন মানববন্ধনের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। রাস্তার ধারে অভিনব এই কর্মসূচি পালন করলেও সচল থাকল যান চলাচল। উল্টোডাঙা থেকে পাটুলি পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধন চলল কলকাতার একাংশে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মানববন্ধনে বহু সিনিয়র চিকিৎসকরাও এদিন সামিল ছিলেন। সুশৃঙ্খল নীরব আন্দোলন চলল শহরে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

যাঁর পদত্যাগ দাবি তাঁকেই দিলেন স্মারকলিপি, অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে জুনিয়র চিকিৎসকদের

পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। সিপির পদত্যাগের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্মারকলিপি দিয়েছে সিপিকেই। অবস্থান তুললেও আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় । দেড় ঘণ্টা ধরে লালবাজারে আজ পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের ২২ জনের প্রতিনিধিদল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতার দায়ে সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে একটানা অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আপাতত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই অবস্থান চিকিৎসকরা তুলে নিয়েছেন।মঙ্গলবার লালবাজার থেকে বেরিয়ে এক চিকিৎসক প্রতিনিধি বলেন, আমরা আমাদের স্মারকলিপি সিপিকে দিয়েছি। উনি আমাদের স্মারকলিপি জমা নিয়েছেন। আমরা প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। পুলিশ কমিশনার স্বীকার করেছেন পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের ঘটনা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। উনি বলেছেন তিনি তাঁর কাজে খুশি, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বললে তিনি পদত্যাগ করবেন।সোমবার রাতভর ফিয়ার্স লেনের উপরেই অবস্থানে বসে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ কমিশনার পদত্যাগ করুন, এই দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ফিয়ার্স লেনে ট্রাম লাইনের উপর রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বসে থাকেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। পরে তাঁরা রওনা দেন লালবাজারের উদ্দেশে।জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আটকাতে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে লালবাজারের সামনে বসেছে ভারী, চওড়া ব্যারিকেড। যাতে সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে না পারেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার এমন অভিনব প্রস্তুতি পুলিশের। আন্দোলনকারীদের সোমবার লালবাজারের আগেই মিছিল আটকে দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা ফিয়ার্স লেনের সামনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কুশপুতুল পোড়ান। তাঁদের দাবি, লালবাজারে কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা কমিশনারকে ডেপুটেশন দিতে চান। বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। নাহলে তাঁরা যাবেন না। মিছিল এগোতে না দিলে সেখানেই বসে থাকবেন তাঁরা।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে

অবশেষে ২৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ। তাকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে সিবিআই। টানা ১০-১২ ঘন্টা ধরে প্রতিদিন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার সিবিআই ক্রাইম ব্রাঞ্চ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। তাঁকে আটক করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশনের অফিসাররা।সোমবার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডাকে সিবিআই। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছিল। এরপরেই আজ সন্ধ্যেবেলা সিজিও কমপ্লেক্সে এসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর দপ্তর থেকে তাকে বের করে নিয়ে যায় সিবিআই এর অ্যান্টি করাপশন উইং। সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন উইং এর পক্ষ থেকে আরজিকর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলা তদন্ত চালানো হচ্ছিল। সূত্রের খবর, সেই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই সন্দীপ ঘোষকে আটক করলো সিবিআই এর অ্যান্টি করাপশন উইং।সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। সেখানে বহু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিনই লালবাজারে অভিযান করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করে। ফিয়ার্স লেনে অবস্থানের সময় তাঁরা খবর পান সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
রাজ্য

কাকলির মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল সাংসদ

প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ চিকিৎসক কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশের উদ্দেশ্যে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থী বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কাকলি লিখেছেন, কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমি বরাবর মহিলাদের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে গিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেছিলেন, ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল। যার আমি তীব্র নিন্দা করি, ঘৃণা করি। আমার ছেলেরাও নিন্দা করেছিল বলে ওদের কম নম্বর দিয়েছিল। কিন্তু আজ তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। তবে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার চলটা যে এখন এখানে এসে দাঁড়াবে, মুখ খোলার সাহস করলে তাঁর থিসিস আটকে দেওয়া হবে, এটা ভাবতেও পারিনি।I am sorry for any statement made in ABP anondo talk show and apologize if my recent words have hurt anyones sentiments. I retract my statement. My intention has been and will always be to champion cause of well-being and rights of women. Dr. KakoliGDastidar (@kakoligdastidar) September 1, 2024আরজি কর আবহে মহিলা চিকিৎসকদের নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সমাজের বিভিন্ন মহলে ওঠে তীব্র প্রতিবাদ। এমনকী ইন্ডিয়ান সাইক্রিয়াটিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে জানান, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। সাংসদের মন্তব্যে চিকিৎসকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেষ নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
রাজ্য

আদালতের নির্দেশে মুক্ত সায়ন লাহিড়ী, জানিয়ে দিলেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ বেলা ১.৪১ মিনিট নাগাদ মুক্তি দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সায়ন। আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর নৃশংস পরিণতির বিচার না হওয়া অবধি তাঁদের লড়াই চলবে বলে এদিন জানিয়েছেন সায়ন। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্ট যাচ্ছে রাজ্য সরকার।আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। নবান্ন অভিযানের দিন তুমুল অশান্তি ছড়ায় কলকাতা ও হাওড়ার দিকে দিকে। আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। পরবর্তী সময়ে একটি টিভি চ্যানেলের টক শো থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় গাড়ি আরকে গ্রেফতার করা হয় সায়ন লাহিড়ীকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেন। রাজ্যকে আজ বেলা ২টোর মধ্যে সায়নকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো এদিন বেলা ১.৪১ মিনিট নাগাদ সায়নকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সায়ন এদিন বলেন, পাশে থাকার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যতদিন পর্যন্ত নির্যাতিতা দিদি বিচার না পাবেন ততদিন আন্দোলন চলবে। হাইকোর্টের রায়ে খুশি। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন সায়ন লাহিড়ী। পুলিশ দমন-পীড়নের ধারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নবান্ন অভিযানে ধৃত বাকিদের মুক্তির জন্যও তাঁদের লড়াই জারি থাকবে বলে এদিন সায়ন জানিয়েছেন।সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে গতকালই বিচারপতি হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যকে তুলোধনা করেছিলেন। প্রভাবশালী যুক্তি দেখিয়ে সায়নের মুক্তি ঠেকাতে রাজ্য নানা যুক্তি খাড়া করেছিল। তবে কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। জানা গিয়েছে, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।

আগস্ট ৩১, ২০২৪
রাজ্য

কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষীর

সিপিএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবার কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে মীনাক্ষীর অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ চলাকালীন একজন অফিসার তাঁকে ছু়ড়ে ফেলে দেন এবং তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন।৯ আগস্ট, আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের মহিলা পিজিটি ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী, ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত এবং কিছু সমর্থক ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং নির্যাতিতার দেহ বহনকারী শকট গাড়িটি থামান। মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মীনাক্ষীরা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সংরক্ষণের দাবি জানান।সেই বিক্ষোভ চলাকালীন, পুলিশ মীনাক্ষীর সঙ্গে গাড়ির সামনে ধস্তাধস্তি করে বলে অভিযোগ। সেইসময় এক পুরুষ পুলিশ অফিসার তাঁকে ধাক্কা মারেন, মারধর করেন বলে অভিযোগ। একটি ছবি পরে অনলাইনে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও মহিলা পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।মীনাক্ষীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমাদের আন্দোলনের সময় আমরা প্রতিদিন এমন অপমানের সম্মুখীন হচ্ছি। কখনও কখনও মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতেও পুরুষ পুলিশ আমাদের মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আমি জানি না আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,।তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই ধর্ষণ এবং হত্যা ঘটে, এমনকি আরজি কর কাণ্ডের পরেও।মীনাক্ষী বলেছেন, গতকাল যদি ঘোলায় ঘটে থাকে, তবে পরশু কোচবিহারে ঘটেছিল। পুলিশ শুধু এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতেই ব্যর্থ হয় না, তারা এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করতেও ব্যর্থ হয়। কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ যদি কিছু করতে না পারে তাহলে পুলিশি ব্যবস্থার কী দরকার! অপরাধীরা কেন পুলিশকে ভয় পাবে? কলকাতা পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।

আগস্ট ৩০, ২০২৪
রাজ্য

বিক্ষোভের জেরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে এদিনও যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের চিকিৎসক

মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের অফিস ঘরে বসে রয়েছেন আরজিকর থেকে বদলি হয়ে আসা চিকিৎসক অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আর তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে কোনওভাবেই দায়িত্ব নিতে দেওয়া হবে না বলে দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরে নিজেকে আটকে রেখেই কোনরকমে আন্দোলনকারীদের থেকে রেহাই পেয়েছেন আরজি কর থেকে আসা চিকিৎসক অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও আন্দোলন যেন আবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করে দিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এমন ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে। যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। ওই চিকিৎসক আরজি কর থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে দায়িত্ব নিতে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেব্যাপারে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা কর্মবিরতি ও আন্দোলন করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতির মধ্যে আরজি কর মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে আপাতত মালদা মেডিকেল কলেজে কর্মক্ষেত্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ওই ডাক্তার যাতে মালদা মেডিকেল কলেজে যোগ না দেন, তার জন্যই নতুন করে চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এদিন কয়েক ঘন্টা ধরে মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোচ্চার হন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, আরজি করে ওই চিকিৎসকের অধীনে মৃত ওই ছাত্রী পাঠরত ছিল। ওই মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে আমরা কোনভাবেই মালদা মেডিকেল কলেজে কাজ করতে দেব না। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রী খুনের ঘটনায় ইনিও হয়তো জড়িত রয়েছেন বলে আমাদের ধারণা। তাই প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে আরজি কর থেকে আসি ওই চিকিৎসক অরুনাভ দত্ত চৌধুরীর জয়েনিং-এর বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রায় দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জয়েন না করে খালি হাতে ফিরে গেলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হয়ে আসা অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আরজিকর আবহে অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। আরজিকর ঘটনার পর দোষীরা চিহ্নিত হোক শাস্তি পাক ,তারপর তাকে আমরা ওয়েলকাম জানাবো, স্পষ্ট বক্তব্য মালদা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের।

আগস্ট ২৯, ২০২৪
রাজ্য

অভিষেক কন্যাকে হুমকি, সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। দিকে দিকে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সাধারণ মানুষ। এই আবহে অভিষেক কন্যাকে হুমকির ঘটনায় এক্স-এ ট্যুইট করে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবার এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়ে নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আজ সহ্যের সব সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে । দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাবালিকা কন্যাকে আজ হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। অবিলম্বে এই নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী বাম-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আগস্ট ২৭, ২০২৪
রাজ্য

কর্মবিরতিতে অনড় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা, ভরসা নেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে

আরজি কর কাণ্ডে সর্ষের মধ্যে ভূত দেখতে পাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তাই সুপ্রিম কোর্টের আবেদন সত্ত্বেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের উপর ভরসা থাকলেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উপর তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানিয়েছেন, আড়াল থেকে ক্ষমতাশীল একটা চক্র সক্রিয় হয়ে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করছে। যাদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে স্বাস্থ্যভবনও।আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, এই চক্রের কারণেই আসল দোষী বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ মুড়ে দিলেও তাঁরা নিরাপদ বোধ করছেন না। সে কারণেই তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না এখনই। কেন তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ এবং যুক্তি পেশ করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের উপর। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।আরজি কর কাণ্ডে ব্যর্থতার জন্য পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলেছেন, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ভয় দেখানো এবং তথ্য প্রমাণ লোপাট এটা কার্যত স্পষ্ট। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেদিন রাতে এমার্জেন্সি গেট দিয়ে ঢুকে কোথাও কোনও ভাঙচুর না করে সেমিনার রুম খুঁজতে গিয়ে বাকি ফ্লোরগুলিতে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল, যা বেদনাদায়ক। তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। অত্যন্ত অসংবেদনশীল এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর পুরো দোষ চাপিয়ে আসল দোষীদের আড়াল করেছে। সুবিচার পাওয়ার পথে বাধা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।দুষ্টচক্র পুলিশের মতোই ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে বাধা তৈরি করছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২১ আগস্ট আমরা স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকি কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন এখনও তাঁদের অপসারণ করা হচ্ছে না। তখন প্রশাসনিক জটিলতা ছাড়া আর কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় এঁদের বাঁচানোর পিছনে এক অশুভ দুষ্টচক্র প্রবলভাবে সক্রিয়। যারা এতকিছুর পরেও সন্দীপ ঘোষ-সহ কর্তৃপক্ষকে আড়াল করতে ব্যস্ত এবং তাদের চাপের কাছে স্বাস্থ্যভবনও কার্যত অসহায়। যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে তাঁকে কেন এখনও সাসপেন্ড করা হল না, শুধু হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সমস্ত অভিযোগে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেন তাঁকে স্বাস্থ্যভবন বরখাস্ত করছে না, কে বা কারা বাধা দিচ্ছে?চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে যে প্রচার চলছে তা অসত্য বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, এমার্জেন্সি-সহ সমস্ত বিভাগ চালু। সিনিয়র চিকিৎসকরা বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। আমরাও কাজে যোগদান করতে চাই। কিন্তু যাঁরা ন্যায়বিচারের পথে বাধা দিচ্ছে, তাঁরা যদি সক্রিয় থাকে তাতে যদি কীভাবে নিরাপদ বোধ করব। সিআইএসএফ দিয়ে আরজি করতে মুড়ে দিয়ে কী হবে যদি আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য ভিতরেই কোনও চক্র সক্রিয় থাকে?আন্দোলনকারীরা তাঁদের চার দফা দাবি জানিয়েছেনঃ-১। ৯ই আগস্টের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা। হয়তো দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই তাঁরা মোটেও নিরাপদ নন। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।২। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ঘটনায় যে বা যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তাঁদের তদন্ত কের বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্যভবনকে অবিলম্বে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে হবে।৩। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশ সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। এই ব্যর্থদার দায় নিয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁকেও বিচার এবং তদন্তের আওতায় আনতে হবে।৪। প্রতিটি কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করতে হবে। সমস্ত কলেজ এবং হাসপাতালে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটিতে জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে বেছে নিতে হবে।

আগস্ট ২৫, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সিবিআই হানা, আরজি কর কাণ্ডে অভিযান আরও বেশ কিছু জায়গায়

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন ল।অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে রবিবার সাতসকালে হাজির CBI টিম। আজ সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন ১ ঘন্টারও বেশি সময় পরও বাড়ির দরজা খোলেননি সন্দীপ। পরে সকাল ৮টার পর হঠাৎই বাড়ির দরজা খুলে বাইরে বেরোতে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে। আরজি কর কাণ্ডে গত টানা ৯ দিন ১০-১২ ঘণ্টা ধরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই। গতকালই তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে বলে খবর সূত্রের।রবিবার আরজি কর কাণ্ডে শহর কলকাতার দিকে দিকে সাঁড়াশি হানা সিবিআইয়ের। শুধু প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আজ আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালির বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এছাড়াও হাওড়ায় আরজি কর মেডিক্যালের সাপ্লায়ারের বাড়িতেও অভিযানে যায় সিবিআই দল। হাওড়ার হাটগাছায় বিপ্লব সিংহের বাড়িতে আজ সকালে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক। আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাপ্লায়ার বিপ্লব সিংহ।জানা গিয়েছে, আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি দল এই অভিযানে বেরোয়। বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একইভাবে এদিন শহরের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। এদিন আরজি করের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলে।

আগস্ট ২৫, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট সিবিআইয়ের, আগামিকাল সঞ্জয়ের পালা

৯ অগাস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? রহস্যের সমাধানে মরিয়া সিবিআই। তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শুরু হল সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট। শনিবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় ওই হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের।আরজি কর কাণ্ডে পলিগ্রাফ টেস্ট করা শুরু করল সিবিআই। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। রহস্যের সমাধান সূত্রে পলিগ্রাফ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। দিল্লি থেকে ইতিমধ্যে কলকাতায় এসে পৌঁছাছেন সিবিআইয়ের বিশেষ দল।বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ে গতকালই সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজই পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এখন প্রশ্ন কবে কিনারা হবে তরুণী চিকিৎসক খুনের? কখন CBI পলিগ্রাফ টেস্ট করে?এদিন সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। আগামিকাল এই টেস্ট হবে সঞ্জয় রাইয়ের। তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে এই টেস্ট করবে সিবিআই। তার জন্য প্রেসিডেন্সি জেল কর। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে সিবিআই। সেখানে পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকিদের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এক প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক বলেছেন, যখন অভিযুক্ত তদন্তকারীদের যথেষ্ট তথ্য দেয় না অথবা তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁরা অভিযুক্তের থেকে চেয়েও যথেষ্ট তথ্য পাচ্ছেন না, তখনই পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তদন্তকারীরা যখন মনে করেন, অভিযুক্ত আরও কিছু গোপন করে যাচ্ছে, তখন তা বের করে আনতে দরকার হয় এই টেস্টের। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত সত্য গোপনের ক্ষমতা হারিয়ে যায়। আর, সেটাই তদন্তকারীদের হাতিয়ার।

আগস্ট ২৪, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত সিট নয় সিবিআইয়ের হাতে, নির্দেশ আদালতের

শুধু তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত নয়, এবার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামিকাল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তের নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এর আগে এই তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী কমিটি সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। ফলত কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে পর সিটের আর কোনও গুরুত্ব রইল না।আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ তিনি একবছর আগেই সরকারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও অভিযু্ক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুলেছিলেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একবছর আগে কেন সিট গঠন করা হয়নি? আর, তারপরই তিনি সিবিআইকে আরজি কর হাসপাতালের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।আদালতের এই নির্দেশে আরও বেকায়দায় পড়তে চলেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তাঁর বিরুদ্ধে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন আখতার আলি। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাঁদের পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও আখতার আলি তুলেছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করেছিল, সেই সিটে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাও ছিলেন। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনা বড় না হলে কেন এত বড়মাপের পুলিশকর্তাদের ১৬ আগস্ট গঠন করা সিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে? এরপরই আদালত আরজি কর দুর্নীতির যাবতীয় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।এর ফলে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট-এর আর প্রয়োজন রইল না। সিবিআইয়ের এই তদন্ত চলবে আদালতের নজরদারিতে। আদালত তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সিবিআইকে আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়ায় আখতার আলি বলেছেন, আমি সন্তুষ্ট। আমি পুলিশের কাছে যাবতীয় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু, অভিযোগের সুরাহা হওয়া দূর, আমাকেই অন্য হাসপাতালে (বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ) বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

আগস্ট ২৩, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, অঘোষিত এমার্জেন্সি দেখছে শুভেন্দু

নবান্ন অভিমানকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অভয়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এক বছরে নবান্ন অভিমানের ডাক দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা থেকে অভয়ার বাবা ও মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এদিকে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেন অঘোষিত ইমারজেন্সি জারি করেছে মমতা পুলিশ। গত বছর আজকের দিনে কর্তব্যরতা তরুণী চিকিৎসক বোন অভয়া খুন ও ধর্ষণ হন। তার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে অভয়ার বাবা ও মা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝেনিতে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান নবান্ন যাওয়ার।উক্ত কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অনুমোদিত কর্মসূচি। নিরীহ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর মমতা পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। গুরুতর আহত হন অভয়ার বাবা ও মা সহ অনেকেই। তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তার দলদাস প্রশাসন ন্যায় বিচার দিতে পারে না অথচ এই একপেশে অত্যাচার করে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর সহ্য করবে না। এবার এর বদল হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অযথা রাজনীতি করেছে বিজেপি। সেই ফাঁদে পা দিয়েছে অভয়ার বাবা, মা।

আগস্ট ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল সিএবি যুগ্ম সচিবের, জানুন কারণ

সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের। টাউন ক্লাবে খেলানো থেকে বাংলা দলে সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, সিএবিকে টিকিট বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা না মেটানো-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী, সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল গতকাল অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে। অভিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে থাকতে পারবেন বলেও আগেই সিদ্ধান্ত হয়।সিএবি সূত্রে খবর, দেবব্রত দাসকে বলা হয়েছে, টিকিট বাবদ বকেয়া অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। সেই জবাব এলে তা পাঠানো হবে ওম্বুডসম্যানের কাছে।প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত জানাবেন ওম্বুডসম্যান। প্রবীরের বিরুদ্ধে উয়াড়ি ক্লাব কী পদক্ষেপ করবে বা কোন পথে আইনি লড়াই চলবে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না সিএবি। তবে সিএবির তরফে বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কতটা ব্যবহৃত হয়েছে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসা অবধি উয়াড়ি ও এরিয়ান ক্লাবের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে।অম্বরীশের নামে যে আইনজীবী চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই বিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। মহাদেব অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নিয়ম মেনে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও আর জলঘোলা হয়নি তিনি কলকাতা পুলিশ থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর লিগ ফাইনালে যে অবাঞ্ছিত বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য দুই আম্পায়ার, পর্যবেক্ষক ও কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক ও আম্পায়াররা আর পরের বছর লিগ ফাইনাল খেলাতে পারবেন না। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল-সহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে খান চারেক লিগ ম্যাচে দেখা যাবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল থ্রি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আগস্ট ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অভিমন্যুর অভিষেক আর কবে?

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে করুণ নায়ার ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০, ১৪, ৫৭, ১৭ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বি সাই সুদর্শন ০, ৩০, ৬১, ০, ৩৮, ১১।তবু একের পর এক সিরিজে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে যাঁর দুটি অর্ধশতরান ছিল। তবু তিনের কথা ভেবে অভিষেক ঘটানো হলো সাই সুদর্শনের। যাঁর ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এখনও অবধি ২০৪৮ রান রয়েছে। সেখানে অভিমন্যু? ১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান করেছেন। ২৭টি শতরান, ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলেও আন্তর্জাতিক অভিষেকের জন্য তাঁকে ওয়েট করানো হচ্ছে। সুদর্শন তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন। অভিমন্যুর চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেও। এর পিছনে কোন ক্রিকেটীয় যুক্তি?সুদর্শন আইপিএল খেলেন, অভিমন্যু সুযোগ পাননি। তবে টেস্ট দলে সুযোগের মাপকাঠি তো আইপিএল হতে পারে না। সাই অক্টোবরে ২৪ বছর পূর্ণ করবেন। সেপ্টেম্বরে ৩০ হবে অভিমন্যুর। করুণ ৩৪ পূর্ণ করার পথে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করার পর ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান হাঁকিয়ে টেস্ট দলে করুণ কামব্যাক নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনে হোক বা মিডল অর্ডারে করুণের অবস্থা বেশ করুণ। ফলে তাঁকে এবার বসানো যেতেই পারে।গৌতম গম্ভীরের পছন্দ, অপছন্দ বড় কথা নয়। প্রথম একাদশ নির্বাচনে যোগ্যতা, পারফরম্যান্স হোক মাপকাঠি। শুভমান গিলের গুজরাত টাইটান্সে খেলার সুবাদে সুদর্শন ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন, আর অভিমন্যুকে জল বয়ে বেড়াতে হবে বা পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করতে হবে এটা মানা যায় না। ২০২২ সালে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজে অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। অথচ সেই সময় থেকে আজ অবধি ১৫ জনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। অভিমন্যুকে বসে বসে তা দেখতে হয়েছে।অংশুল কম্বোজকে ডাকা হলো। কিন্তু কেন ডাকা হলো না মুকেশ কুমারকে? ভারত এরপর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিপক্ষ। লোকেশ রাহুল আর যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনার হিসেবে আপাতত জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। কিন্তু তিনে ভরসাযোগ্য কাউকে এখনও পাওয়া যায়নি। এই আবহে অবিলম্বে সুযোগ দেওয়া হোক অভিমন্যুকে। পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলে না হয় অন্য কাউকে সুযোগ দেবেন। কিন্তু অভিমন্যুকে এবার টেস্টের প্রথম এগারোয় না নেওয়া হলে তা হবে অন্যায়। না হলে কীসের রঞ্জি, ইরানি বা দলীপ, কিংবা ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলা! যে যেভাবে পারেন অভিমন্যুর জন্য জোরালো দাবি উঠুক।

আগস্ট ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal