• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Health

দেশ

১৮-র অনূর্ধ্বদের দেওয়া যাবে না রেমডেসিভির, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

অ্যান্টি ভাইরাল বা মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া যাবে না অনূর্ধ্ব ১৮-দের। বাদ দেওয়া হয়েছে রেমডেসিভির। নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব আঠারোদের করোনার কী কী উপসর্গ দেখা যেতে পারে, তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, এই বয়সিদের জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় শিশুদের শারীরিক অবস্থাকে উপসর্গের প্রকৃতি অনুযায়ী উপসর্গহীন, মৃদু, মাঝারি ও প্রবল এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে বাড়িতে বা কোভিড কেয়ার সেন্টারে বাচ্চাকে রাখা যাবে। তবে দেহের তাপমাত্রা ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়মিত মেপে যেতে হবে। মাঝারি ও প্রবল উপসর্গের ক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো আবশ্যিক।নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়স হলে শিশুর মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ছয় থেকে ১১ বছর বয়স্কদের প্রয়োজনমাফিক মাস্ক পরানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাঁদের শারীরিক সমস্যা না হয়। ১২ বছর ও তার ঊর্ধ্বের বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই সব সময় মাস্ক ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সাধারণ কোভিড বিধি, যেমন বার বার হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এ সব মেনে চলতে হবে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন লতা মঙ্গেশকর

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতের বর্ষীয়ান গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। আসতে আসতে সুস্থ হচ্ছেন তিনি। তবে এখনও হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে। চিকিৎসকরা হ্যাঁ বললেই বাড়িতে আসবেন তিনি। লতা মঙ্গেশকরের মুখপাত্র জানিয়েছেন তিনি আপাতত স্থিতিশীল আছেন। লতার চিকিৎসক প্রতীত সমদনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লতাজি এখনও আইসিইউ-তেই আছেন। ওঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি আমরা। আপনারা ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করুন। জানা গেছে এখন তরল খাদ্যের পাশাপাশি ভাত-রুটিও খেতে পারছেন লতা মঙ্গেশকর। বাইরে থেকে এখন আর অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। পুরোপুরি সুস্থ হলেই বাড়ি ফিরবেন তিনি।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
দেশ

দেশে একদিনেই আক্রান্ত ৩ লক্ষের বেশি, ভাঙল ৮ মাসের রেকর্ড!

দৈনিক সংক্রমণে দীর্ঘ আট মাসের রেকর্ড ভাঙল। দেশে একদিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৩ লক্ষের গণ্ডি। বিগত কয়েক দিন ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও, তা হঠাৎ করে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩২ জন। এই নিয়ে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১-এ। দেশে মোট ,করোনা আক্রান্তের ৪.৮৩ শতাংশই সক্রিয় রোগী। একদিনেই ৪৯১ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৯৩-এ।দেশের এই উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য চিকিৎসক, গবেষকরা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকেই দায়ী করেছেন। বর্তমানে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৮৭-এ। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সে রাজ্যে ২১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৬০-এ পৌঁছেছে। সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্যেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০-র গণ্ডি পার করেছে।আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে কিছুটা কমেছে সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৯০ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭ হাজার ২৯-এ। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৬৯ শতাংশে। অন্য়দিকে, বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ১৬.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে, সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.০৬ শতাংশে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, কখন, কাদের নিভৃতবাস বা হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন সে বিষয়েও বার্তা রয়েছে ওই নির্দেশিকায়।চলতি সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের এই নির্দেশিকা। এতে জানানো হয়েছে, করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন সকলেরই পরীক্ষা করানো জরুরি।৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তেরা যদি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলে তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-লিভার-কিডনির সমস্যা, স্থূলত্ব জনিত সমস্যাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিভৃতবাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে যাঁরা বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে টানা ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা বা ধড়ফড় করা আচ্ছন্নভাব বা অস্থিরতার মতো উপসর্গ। এর সঙ্গে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র কম, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর বেশির মতো সমস্যা থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। মৃদু উপসর্গের তালিকায় রয়েছে, শুকনো কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর, ডায়ারিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ হারানো। সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র সামান্য বেশি কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর কম হলেও তা পড়বে মৃদু উপসর্গের তালিকায়। কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের বিশেষভাবে বাড়িতে নিভৃতবাস পর্বে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায়।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
দেশ

দেশে একদিনেই করোনা আক্রান্ত প্রায় আড়াই লাখ!

ফের একবার এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার জন। গতকালই এই সংখ্যাটি ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০। অর্থাৎ একদিনেই ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে দৈনিক সংক্রমণে। বর্তমানে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৬৩ লাখে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন। গতকালই এই সংখ্যাটি ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০, অর্থাৎ একদিনেই ৫০ হাজারের বেশি আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি হয়েছে। বিগত আট মাস বাদে এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণ দুই লাখের গণ্ডি পার করল। দেশে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও, গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের।গত কয়েক দিন ধরেই দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা পৌঁছে গিয়েছে ১৩.১১ শতাংশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের ২৯টি রাজ্যের অন্তত ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার রয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। সেই সঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮৮ জন।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
কলকাতা

উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নে

শহরের বড় আবাসনগুলিতেই বেশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আরবানা, স্বর্ণমণি, শালবনি, এবং নিউটাউনের একাধিক আবাসনেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই সব আবাসনে করোনা সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তের নবান্নের চিন্তার কারণ কোনও বস্তি এলাকা নয়, বড় বড় আবাসনও। কারণ সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আবাসিকরা। অরক্ষিত মুখের ভিড় সর্বত্র। কলকাতা পুরসভা ও নিউটাউনের ক্ষেত্রে হাউজিং ডিপার্টমেন্টে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সংক্রমণ ঠেকানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বলছেন, আবাসনগুলিতেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আবাসনগুলিই উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এরই মধ্যে নবান্নে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আবাসনগুলিতে সংক্রমণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিউটাউনের আবাসনগুলির ক্ষেত্রে ফোরাম ও কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি যাতে তাঁরা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে তাঁদের।কমিটিগুলিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঝুপড়ি অঞ্চল ঘিঞ্জি, উল্টোদিকে আবাসনগুলো অনেকটাই খোলামেলা। তা সত্ত্বেও কেন আবাসনগুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? অভিজাত আবাসনগুলিতে করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ, বর্ষবরণের উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়, আর লিফটের বহুল ব্যবহার।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
দেশ

হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত রাখতে রাজ্যগুলোকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে নাজেহাল হয়েছিল দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য।সাম্প্রতিক কোভিড স্ফীতিতে সংক্রমণের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুপাত কিছুটা কম। তবে এই পরিসংখ্যান বাড়তে পারে ধরে নিয়ে রাজ্যগুলিকে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে বলল কেন্দ্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে, কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।দুই পাতার সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যের কাছে এই আবেদন করা হচ্ছে, যাতে কমপক্ষে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সময় ধরে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের সুবিধা থাকে। পাশাপাশি, যথাযথ পরিমাণে অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান, পিএসএ প্লান্ট তৈরি, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর-সহ উপযুক্ত পরিষেবার ব্যবস্থা যাতে থাকে সেদিকে কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে। সমস্ত তথ্য তুলে দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। প্রয়োজনে তাহলে সমস্ত রাজ্যকেই মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।কিছুদিন আগেই পাঁচটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। পাশাপাশি ভোটমুখী রাজ্যগুলির কোভিড পরিস্থিতি কী তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায়, জেলাস্তরে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
দেশ

Covid-Doctors: মুম্বইয়ে তিন দিনে কোভিড আক্রান্ত দু’শোর বেশি চিকিৎসক, বঙ্গে আক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ বহু

ওমিক্রন আবহে দেশজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়তে শুরু করেছে। কোনও হাসপাতালে এক সঙ্গে ৭০ জন, তো কোনও হাসাপাতলে তারও বেশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এর মধ্যে মুম্বইয়ের ছবিটা বোধহয় সবচেয়ে ভয়াবহ। গত তিন দিনের মধ্যে শহরের সরকারি হাসপাতালগুলির ২২০ জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।এদিকে করোনায় আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তবে কেবল স্বাস্থ্য অধিকর্তা নন, আক্রান্ত হয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের ৮৭ জন। মোট ১৩৫ জনের ৮৭ জনই করোনা আক্রান্ত। প্রথমে সংখ্যাটা ছিল ৬৬। সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়ে হয় ৮৭। পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যভবনে কার্যত থাবা বসিয়ে দিয়েছে করোনা। স্বাস্থ্য ভবনের মূল প্রশাসনিক কার্যালয়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেনে অনেকেই। স্বাস্থ্য ভবনে মোট কতজন আক্রান্ত, সেই পরিসংখ্যান এখনই নির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না দপ্তরের কেউই।মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক সংগঠন সূত্রে খবর, জেজে হাসপাতালে গত ৭২ ঘণ্টায় ৭৩ জন চিকিৎসকের কোভিড ধরা পড়েছে। কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে আক্রান্ত ৬০ জন চিকিৎসক। লোকমান্য তিলক মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে এক সঙ্গে ৮০ জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া আর এন কুপার হাসপাতালে সাত জন এবং থানের ছত্রপতি শিবাজি হাসপাতালের আট চিকিৎসকের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যে ভাবে দেশজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দেশজুড়ে একটা আশঙ্কার মেঘ তৈরি হচ্ছে।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
দেশ

New Guidelines: স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় নিভৃতবাসের মেয়াদ কমে ৭ দিন, আর কী কী রয়েছে নির্দেশিকায় জেনে নিন

করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে যাঁদের, তাঁদের বন্দিদশাও কাটতে পারে দ্রুত। বুধবার একটি নির্দেশিকায় নিভৃতবাসের নতুন নিয়ম জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীরা সাত দিন পর নিভৃতবাস শেষ করতে পারেন। তবে শর্তসাপেক্ষে।দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নতুন পর্বে মৃদু উপসর্গের রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তাঁদেরকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাল, একজন করোনা আক্রান্তের যদি পর পর তিনদিন জ্বর না আসে তবে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার সাত দিন পর তাঁরা নিভৃতবাস থেকে বের হতে পারেন।এর আগে নিভৃতবাস থেকে বেরনোর আগেও কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নেওয়ার নিয়ম ছিল। এ ক্ষেত্রে নতুন করে পরীক্ষা করানোরও দরকার নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে নিভৃতবাস শেষ হলেও রোগীকে সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র মৃদু উপসর্গের রোগী যাঁরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিশ্বের একাধিক দেশেই সম্প্রতি আইসোলেশনের মেয়াদ কমানো হয়েছে। বিশেষত, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে যেহেতু আক্রান্তদের মধ্যে খুব ভয়ঙ্কর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, তাই এই আইসোলেশনের মেয়াদ কমানোর কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।বুধবার গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা পরীক্ষা হওয়ার দিন থেকে শুরু করে অন্তত ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে আক্রান্তকে। যদি শেষ তিন দিন কোনও জ্বর না আসে, সে ক্ষেত্রে ৭ দিনেই আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ শেষ তিন দিনে জ্বর এলে আইসোলেশন জারি থাকবে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, আইসোলেশন শেষ হওয়ার পর করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে, হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাস্ক পরে থাকতে হবে, নিজের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখতে হবে। তবে উপসর্গ না দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি-গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে ৫ দিন বাড়িতে থাকতে হবে। ৫ দিন পর যদি কোনও উপসর্গ না দেখা যায়, তাহলে বাড়ি থেকে বেরতে পারেন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় জ্বর না এলে ধরে নিতে হবে কোনও উপসর্গ নেই। তবে পরের পাঁচদিন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।যদি কেউ কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে ১০ দিন মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ও পাঁচদিন পর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। আর যদি ভ্যাকসিনের সাধারণ ডোজ নেওয়া থাকে বা, ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকে, তাহলে পাঁচ দিন বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না। পরের পাঁচ দিন বাড়ি থেকে বেরলেও মাস্ক পরে থাকতে হবে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Corona: রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড, উদ্বেগ বাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৯০০০

একদিকে যখন বাংলার চিকিৎসকেরা তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তখন বাংলায় বড়সড় লাফ দিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় বেড়ে ৯ হাজার পেরিয়ে গেল মঙ্গলবার। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। কলকাতাতেই মৃতের সংখ্যা ৫।সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের যে বুলেটিন প্রকাশ হয়, তাতে দেখা গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৬ হাজারের কিছু বেশি। সাধারণত রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় টেস্ট তুলনামূলকভাবে কম হয়। সম্ভবত সেই কারণেই শনিবার ও রবিবার আক্রান্তের সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হয়নি বলেই অনুমান করা হয়। আর মঙ্গলবার একলাফে সেই সংক্রমণ বাড়ল অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সাধারণ মানুষের সতর্কতার অভাবেই এই পরিস্থিতি। তারপরও অসতর্কতার ছবি দেখা যাচ্ছে বাসে-ট্রেনে সর্বত্র। তবে মঙ্গলবারের করোনার গ্রাফ বুঝিয়ে দিচ্ছে, এবার সত্যিই আরও বেশি সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্য গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১০। এক সপ্তাহে তা বাড়ল ১,১৪৬ শতাংশ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিন জানাচ্ছে মঙ্গলবার রাজধানী শহরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৪,৭৫৯। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ৩ মে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছিল ৩,৯৯০-এ। তৃতীয় ঢেউয়ের অষ্টম দিনেই সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Health Guidelines: ওমিক্রন পরিস্থিতিতে নয়া চিকিৎসাবিধি জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর

রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতায়। এরমধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে নতুন চিকিৎসাবিধি জারি করল রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দপ্তর। এই বিধির তালিকায় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি (ককটেল থেরাপি) ও মলনুপিরাভির, এই দুটি ওষুধকে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথম বার স্বাস্থ্য দপ্তর এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করল। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।করোনা চিকিৎসার নতুন এই নির্দেশিকায় মূলত তিন ধরনের কোভিড রোগীকে চিহ্নিত করে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই তিনটি ভাগ হল উপসর্গহীন রোগী, লক্ষণবিহীন কোমর্বিড রোগী এবং মৃদু উপর্সগযুক্ত রোগী। এই তিন ধরণের কোভিড কেসের ক্ষেত্রেই বাড়িতে বা সেফ হোমে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যদি দেখা যায় রোগীর শ্বাসকষ্ট, ধারাবাহিকভাবে জ্বর, বুকে ব্যথা বা মারাত্মক কাশি হতে থাকে তবে সেক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। এই ধরণের উপসর্গ থাকলেই সংশ্লীষ্ট রোগীকে হাসপাতালের এইচডিইউ বা আইসিইউ-তে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।চিকিৎসকদের মতে, করোনার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকা বা মৃদু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে জ্বর বা ধারাবাহিক কাশি থাকলেই করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে চিকিৎসক মহলের বক্তব্য করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ককটেল থেরাপি ব্যায়বহুল। এই ওষুধগুলি বেশ খরচসাপেক্ষ। আমাদের রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মূলত কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কলকেট থেরাপি ব্যবহার করা হয়েছিল।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
দেশ

Mumbai Covid: মহারাষ্ট্রের ১০ মন্ত্রী, ২০ বিধায়ক কোভিড আক্রান্ত!

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। এই আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের ১০ মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক। বছরের প্রথম দিনে এই খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এই মন্ত্রী-বিধায়করা আক্রান্ত হওয়ায় সে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনের সময়ও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অজিত।নতুন বছরের প্রথম দিনেই অজিত বলেছেন, এখনও অবধি ১০ জন মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য বিধানসভা অধিবেশনের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরই জনসাধারণের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, নতুন বছরের উৎসবে সকলেই সামিল হতে চাই। কিন্তু মনে রাখা দরকার ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। কিছু রাজ্যে ফের রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রেও মুম্বই এবং পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।বর্ষবরণে মেতে পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে জন্য ইতিমধ্যেই মুম্বই জুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে কোভিড সংক্রান্ত আরও বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, আট হাজার ৬৭ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এর মধ্যে মুম্বইয়েই আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩১ জন যা শুক্রবারের তুলনায় প্রায় দুহাজার বেশি। ওমিক্রনও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে। এখনও অবধি ৪৫৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
দেশ

Omicron: ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রায় ৩৫%, চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রনও

ডিসেম্বরেই দেশে প্রবেশ করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু, তার দাপট যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা বুঝে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছে। তবে বছর শেষে করোনার যে রেখচিত্র সামনে এসেছে, তা থেকে স্পষ্ট ওমিক্রন তার আসল চেহারা ক্রমশ প্রকাশ্যে আনতে শুরু করেছে। দেশে একধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৪০০। মাত্র চার দিনে দেশে ওমিক্রন সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ গত চার দিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। শুক্রবার তা ছিল ১৬ হাজার ৭৬৪। অর্থাৎ শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ৩৫ শতাংশ বেড়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৭৯ জন।দেশে কোভিড আক্রান্তের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন রূপেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে ১ হাজার ৪৩১ জন ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৩টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের সাম্প্রতিক রূপ। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে (৪৫৪) রাজধানী দিল্লিতে ৩৫১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু (১১৮), গুজরাত (১১৫), কেরল (১০৯), রাজস্থান (৬৯), তেলঙ্গানা (৬২), হরিয়ানা (৩৭), কর্নাটক (৩৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৭), পশ্চিমবঙ্গ (১৭) এবং ওডিশা (১৪)। বাকি রাজ্যগুলিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০-এর কম।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
কলকাতা

Christmas-Omicron: বড়দিনের আনন্দে আত্মহারা শহরবাসী, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রন

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৫৫২ জন। একদিকে কোভিডের ওমিক্রন স্ট্রেন যখন রাজ্যের চিন্তা বাড়াচ্ছে, তখন করোনা পরিস্থিতিও স্বস্তি দিচ্ছে না কোনওভাবেই। শনিবার বড়দিনের উৎসবে মেতেছে গোটা বাংলা। কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলা, পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। স্বভাবতই এ ছবি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে।শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন চারজন। যার মধ্যে তিনজনই কলকাতার। কলকাতার সংক্রমণের ছবিটাও চিন্তার। গত একদিনে কলকাতায় ১৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে কলকাতায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৭৫ জন।গোটা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৪৫৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৭৩টি। পজিটিভিটি রেট ১.৭১ শতাংশ। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমানেও একজন করোনার বলি হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।এখনও অবধি রাজ্যে ৬ জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব নির্দেশ দেন, নমুনা পরীক্ষা যেন বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে পরিস্থিতির নজরদারিতে কেন্দ্র তাদের বিশেষ দলও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলায়। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সেই দল রাজ্যে চলে আসবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে ১০ রাজ্যে কেন্দ্রের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম যাবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্নাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের নাম।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
দেশ

Omicron: ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়ালে দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

কর্নাটকের এক বিদেশ ফেরত যাত্রীর দেহে প্রথম ধরা পড়েছিল ওমিক্রন সংক্রমণ। কয়েক সপ্তাহ পার হতেই একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সেই সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। এই পরিস্থিতিতেই আরও উদ্বেগের কথা শোনাল কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্স। শুক্রবারই টাস্ক ফোর্সের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে ব্রিটেন ও ফ্রান্সে যে বিপুল সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, তার ছোঁয়া ভারতে এসে পৌছলে, ফের দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন।সংক্রমণ এড়াতে মাস্কের ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা-সহ অন্যান্য কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। সাধারণ নাগরিকদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে বেরানো যতটা সম্ভব এড়ানো যায়, সেই পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। নববর্ষেও ভিড় এবং জমায়েত থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।দেশের ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট, আগামিদিনে কী হতে পারে, সে প্রসঙ্গে কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ ভিকে পাল বলেন, আমরা যদি ব্রিটেনের সংক্রমণের হার দেখি, তবে দেখা যাবে, বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতেও যদি একইধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। ফ্রান্সেই দৈনিক ৬৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, একই ধরনের সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে, আমাদের জনসংখ্যার হিসাবে দৈনিক ১৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন।বর্তমানে ব্রিটেনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজারে পৌঁছেছে, এর মধ্যে ২.৪ শতাংশই আবার ওমিক্রন সংক্রমণ। ইউরোপে ডেল্টার ঢেউ বয়ে যাওয়া এবং ৮০ শতাংশ মানুষই আংশিক টিকাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও যে হারে সংক্রমিত হচ্ছেন, তাতে ওই মহাদেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেই জানান ডঃ ভিকে পাল।যে হারে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকেও হার মানিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডেল্টার থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকেও হার মানিয়ে দেবে ওমিক্রন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
দেশ

Omicron-Guidelines: আতঙ্কের নাম ওমিক্রন, নির্দেশিকা-সহ রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রের

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ফের চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। এ বার আরও বেশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। পাঁচদিন আগেই চিঠি দিয়ে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অতিসতর্ক থাকতে বলেছিল কেন্দ্র। এ বার আবারও চিঠি দিয়ে রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।চিঠিতে স্বাস্থ্য সচিব লিখেছেন, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং, প্রয়োজনে করোনা আক্রান্তদের নিভৃতবাসের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। দরকারে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার প্রথম টিকার পর যাতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। জেলাভিত্তিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। যে কোন পরিস্থিতির মোকাবিলায় পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা মজুত রাখতে হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্যও বেশ কিছু নিয়মমানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে বিদেশযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর-এর নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এয়ার সুবিধা পোর্টাল থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে গত ১৪ দিন কোথায় ছিলেন তা জানাতে হবে। যাত্রীর দেওয়া তথ্য সঠিক কি না তার প্রমাণও দিতে হবে। এই তথ্য না দিলে বিমানযাত্রার অনুমতি মিলবে না। যাত্রীদের প্রত্যেকের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৭দিনের নিভৃতবাসে পাঠাতে হবে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
দেশ

Omicron: উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতে ঢুকে পড়ল ওমিক্রন, কর্নাটকে আক্রান্ত ২ জন

ভারতে ঢুকে পড়ল কোভিডের নতুন রূপ ওমিক্রন। কর্নাটকে দুজনের দেহে করোনার নয়া রূপের হদিশ মিলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৬ এবং ৪৬ বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। আক্রান্তদের কনট্যাক্ট ট্রেসিং-ও করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯টি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৩৭৩ জন কোভিডের এই নতুন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল টুইট করে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের যে সব রোগীর হদিশ মিলেছে, সকলেরই মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে। এর সংক্রমণে মারাত্মক কোনও উপসর্গের কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কোভিডের এই নতুন রূপের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছে।কোভিড-এর এই নতুন রূপকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন বি.১.১.৫২৯ রূপকে উদ্বেগজনক বা ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ওমিক্রন নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন এই রূপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের।যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওমিক্রন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। গবেষণা চলছে। ফলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সচেতনতা জরুরি।

ডিসেম্বর ০২, ২০২১
দেশ

Corona: দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার, চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাও

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ৩০৬ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৯৫১ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৮ জন।বিগত কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণ ছিল ১৫ হাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর আজ একধাক্কায় তা অনেকটাই কম হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দেশে যে হারে টিকাকরণ হয়েছে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ অনেকটা কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে চিকিৎসক থেকে সাধারণ জনগণের। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন যে টিকাকরণে রোগের মাত্রাটা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু কখনও সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে না। এদিকে, গতকালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, ভয় ধরাচ্ছে দেশের মৃত্যুর গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৬ জন গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৪৪৩ জন।সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটেই বাংলাতেও বাড়ছে আতঙ্ক। সোমবারও এক লাফে অনেকটা বাড়ল এই সংখ্যাটা। রবিবার ২.৩২ শতাংশ পজিটিভিটি রেট ছিল বাংলায়। সোমবার তা বেড়ে হল ২.৭৭ শতাংশ। এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ২২৯ জন। মৃত ৩।

অক্টোবর ২৬, ২০২১
দেশ

Corona: ভয় ধরিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ৬৬৬ জনের

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই নিম্নমুখী রয়েছে দেশের করোনা চিত্র। এরমধ্যে আবার ১০০ কোটির টিকাকরণের মাইল ফলক ছোঁয়ার পর থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হয়েছে দেশ।বিগত কিছুদিন ধরেই সংক্রমণ গ্রাফ ২০ হাজারের নীচেই রয়েছে। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩২৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৬৭৭ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ১২৬ জন।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান হাসপাতালে ৯ সদ্যোজাতর মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগএদিকে, আজ এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে দেশের মৃত্যর সংখ্যা। বিগত কয়েকদিনের তুলনায় রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬৬ জনের। তবে গোটা দেশে সংক্রমণ কমলেও শীর্ষে এখনও কেরল, তামিলনাড়ু মহারাষ্ট্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখনও কেরলে। এদিকে,চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ফের দৈনিক সংক্রমণ ৮০০-র ওপরে। এই নিয়ে টানা তিন দিন ৮০০ পার করল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮৪৬ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার ও বুধবার এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮৩৩ ও ৮৬৭।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজ্য

corona Update: দেশে নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ, চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য

আশঙ্কাই সত্যি হল। দুর্গাপুজো শেষ হতেই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান। এ শহরের দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় প্রায় ২০০-র কাছে পৌঁছেছে। দুদিনের মধ্যেই কলকাতার নতুন সংক্রমণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।আরও পড়ুনঃ গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে ঘনীভূত রহস্যকলকাতা ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়ও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে নতুন আক্রান্ত বেড়ে প্রায় ৭০০ হয়েছে। সংক্রমণের দৈনিক হারও ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯০ জন। যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ২০ হাজারের নীচে রয়েছে দেশের কোভিড গ্রাফ। যেহেতু দেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছ উৎসবের মরশুম, সেই কারণে সংক্রমণে দাড়ি টানতে বারবার সতর্ক হতে বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারপর বিগত কয়েকদিনের এই সংক্রমণ গ্রাফ অনেকটাই আশা জোগাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আম-জনতাকে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৮ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ৫৯৬ জন। করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ হাজার ৪৭০ জন।দেশের মৃত্যুর গ্রাফও নিম্নমুখী। গত একমাস আগেও ভয় ধরাচ্ছিল মৃতের সংখ্যা। কখনও ২০০ কখনও বা ৩০০-র গণ্ডি ছুঁইছুঁই ছিল সেই সংখ্যাটা। এরপর তা কমে দেড়শোর কম হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal