• ১২ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Election Commission

কলকাতা

Dilip Ghosh: তড়িঘড়ি উপনির্বাচন নিয়ে দিলীপের খোঁচা

ফের একবার উপনির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, লোকাল ট্রেন চালাতে পারছেন না, অথচ ভোট করাতে চাইছেন। দিলীপের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতেই তড়িঘড়ি উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে চাইছেন। যদিও তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, মূল নির্বাচন পর্ব যে সময় হয়েছিল, তখন সংক্রমণের হার শীর্ষে ছিল। সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই ভোট করাতে কোনও বাধা থাকার কথা নয়। উল্লেখ্য, রাজ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ভবানীপুর কেন্দ্র। নন্দীগ্রামে হারের পর ছ মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন করতে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দাবি করেন তিনি।আরও পড়ুনঃ জয়ের হ্যাটট্রিক, দ্বিতীয় স্থানে থেকে অলিম্পিক হকির শেষ আটে ভারতশনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, উপনির্বাচন হওয়া উচিত। আমার মনে হয় যথা সময়েই তা হবে। বাংলায় কার্যত লকডাউন চলছে। দু বছর ধরে পুরসভার ভোট আটকে রয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী খালি উপনির্বাচন নিয়ে বলছেন। ওনার যদি মনে হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তা হলে বিধিনিষেধ তুলে দিন। আসলে উনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলেই উপনির্বাচন নিয়ে এতটা সরব। এর আগে এই একই বিষয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনিও বলেছিলেন, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ও টিকাকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই।

জুলাই ৩১, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: খবর প্রকাশ হতেই বাড়ির দুয়ারে ভ্যাকসিন

খবর প্রকাশ হতেই একেবারে বাড়ির দুয়ারে বসে কোভিডের ভ্যাকসিন পেলেন নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কলানবগ্রামে বাড়ি প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের। ভোটের সময়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়ে গেলেও ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কমিশনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ভ্রাতৃদ্বয় এমনকি ভোট মিটে যাওয়ার পরেও গত বুধবার পর্যন্ত তারা ভ্যাকসিন পাননি । সেই খবর এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই প্রশাসনের কর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। জনতার কথাতেও তা প্রকাশিত হয়।আরও পড়ুনঃ কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়রীতিমতো দুয়ারে ভ্যাক্সিন নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়ের বাড়িতে হাজির হয়ে যান মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মেমারি ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও। তাঁদের সঙ্গেই ছিল মেডিকেল টিম। বাড়িতেই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভাতৃদ্বয়। বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়। তবে তিনি দবি করেন, ব্লক প্রশাসনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিধানসভা ভোটের 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার' খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়

বিধানসভা ভোটের সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছিল দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়কে। আর ভোট মিটে যেতেই তারা এখন ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত ভোটে নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হওয়া সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল। ভ্যাকসিন পাওয়ার সৌভাগ্য আদৌ হবে কিনা তাও জানেন না দুই খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিধানসভার কলানবগ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা আন্না মণ্ডল। মাটির এক কুটুরি বাড়িতেই তাঁরা বসবাস করেন। সরকারী ভাতার সামান্য কয়েকটা টাকা আর দুচারটে ছগল, গরু ও মুরগি প্রতিপালন করে সামন্য যে টুকু রোজগার হয় তা দিয়েই তাঁরা দিন গুজরান করেন। এমনই এক হতদরিদ্র পরিবারের খর্বকায় প্রতিবন্ধী ভ্রাতৃদ্বয় সঞ্জীব ও মানিককে ২০২১ বিধানসভা ভোটে ২৬৫ মেমারি বিধানসভার ভোট আইকন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী এবং ৮০ উর্ধ্ব ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার ব্যাপারে তাঁরাই হয়েছিলেন প্রধান মুখ ।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?কোভিড অতিমারির মধ্যেই এবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তার জন্য নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু নতুন নিয়ম জারি করে। প্রতিবন্ধী ও ৮০ উর্ধ্ব বয়সী ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও কোভিড পেসেন্টরাও যাতে একই সুবিধা পান সেই ব্যবস্থাও কমিশন ধার্য করে। এই সকল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেয়। তারই প্রচার কাজে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেমারি বিধানসভার আধিকারিকরা আইকন হিসাবে বেছে নেন খর্বকায় দুই প্রতিবন্ধী ভাই সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডলকে। ভোটের সময় নিঃস্বার্থ ভাবেই এই দুই প্রতিবন্ধী ভাই ট্রাইসাইকেলে চড়ে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর কাজও চালিয়ে যান। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড ভোটার মহলে যথেষ্ট সাড়াও ফেলে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে। আর ভোট মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন দুই প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয়।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীসঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল বুধবার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। মনে রাখেনি সরকারও। সেই কারণে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আগেও তাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাননি। ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অনেকবার পাল্লারোডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন না পেয়ে তাঁদের হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সঞ্জীব ও মানিক আরও জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ব্লকের বিডিও অফিসেও মৌখিক ভাবে তাঁরা জানিয়ে ছিলেন। তাতেও সুরাহা হয়নি। আদৌ কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাবেন কিনা তা নিয়েও অন্ধকারে রয়েছেন বলে প্রতিবন্ধী খর্বকায় ভ্রাতৃদ্বয় জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?এই বিষয়ে মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাঁর সঙ্গে ওনারা যোগাযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তিনি জেনেছেন।খুব তাড়াতাড়ি ওনাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

Election Commission: অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ

ভবানীপুর-সহ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আরও জোরাল করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। প্রাথমিক ভাবে ওই পাঁচটি কেন্দ্রের ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, অগস্টে বা সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। যদিও নির্বাচনের মতোই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআররাজ্যে যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি হল ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর এবং দিনহাটা। ওই কেন্দ্রগুলির জন্যই প্রস্তুতিতে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। তবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কমিশন সূত্রে খবর, এই দুটি বিধানসভায় নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি বিধানসভা ভোটের আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। কারণ, ওই দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল প্রার্থীদের মৃত্যুতে। ফলে সেখানে আর নতুন করে ভোটযন্ত্র পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছিল, সেখানে নতুন করে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা সবরকম প্রস্তুতি রাখছি। রাজ্যসভা হোক বা বিধানসভা সব রকম নির্বাচনের জন্য দপ্তর প্রস্তুত।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

Rajya Sabha Election: রাজ্যসভায় দীনেশের আসনে উপনির্বাচন ৯ অগস্ট

রাজ্যসভার উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে ফের নির্বাচন হবে। ৯ অগস্ট ওই আসনে ভোটগ্রহণ বলে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত শ্রীনগর, খতম ২ লস্কর জঙ্গিগত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীনই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী।সে দিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই পদত্যাগের ঘোষণা করেন তিনি। অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি বেশি সময় নেব না। দুই মিনিটের মধ্যেই আমার বক্তব্য শেষ করব। আমি অন্তরাত্মার ডাক অনুসরণ করে এগোচ্ছি। আমার মতে কাজ না করার থেকে পদত্যাগ করাই শ্রেয়। এখানে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না, দম বন্ধ হয়ে আসছে। এরপরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। এদিকে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। ফলে এই আসনে দ্রুত নির্বাচন করাতে চাইছে কমিশন। আরও পড়ুনঃ কেন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না পূজা ভাট!শুক্রবার নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ২২ জুলাই প্রথা মেনে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ২৯ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করা যাবে। ৩০ জুলাই হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ অগস্ট। এরপরই ৯ তারিখ ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। সেদিনই বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা। যদিও রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার ফাঁকা আসন নিয়ে, তাঁর জায়গায় নতুন সাংসদ নির্বাচনের কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও অবধি জারি করা হয়নি।

জুলাই ১৬, ২০২১
কলকাতা

Nandigram-High Court: নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের

নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, ভিডিও সংরক্ষিত রাখতে হবে। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামলা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ দিন এই মামলায় সমস্ত পার্টিকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। এ ছাড়া গণনাকেন্দ্রে যে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন তাঁকে ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিসের একটি করে কপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব নথি সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে চলছে এই মামলার শুনানি।আরও পড়ুনঃ কাপ্পার কবলে এবার রাজস্থানও নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করেছেন রেজিস্টার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশনে কোন ত্রুটি নেই। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও ভিডিও সংরক্ষণ করার জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগস্ট। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশন মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মামলা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় অন্য বেঞ্চে সরানোর আর্জি করেন। বিচারপতি কৌশিক চন্দকেও চিঠি দেন। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি চন্দ। একইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার এজলাস বদল হয়। মামলা ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।

জুলাই ১৪, ২০২১
কলকাতা

State By-Election: রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন কমিশন চাইলেই উপনির্বাচন করতে পারে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কমিশনের (Election Commission) উদ্দেশে দ্রুত রাজ্যের ৭ আসনের উপনির্বাচন সেরে ফেলার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমান, চলল ব্যাপক মারধর-ভাঙচুরবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) বিপুল আসনে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তবে নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই ফলাফলে নানান কারচুপির অভিযোগ ওঠায়, বিষয়টি বর্তমানে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে নিয়মমাফিক ছমাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার মধ্যে প্রায় মাস দেড়েক ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে। বস্তুত রাজ্যে আগামী সাড়ে চার মাসের মধ্যে ৭ আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। যার মধ্যে যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerejee)। আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra) এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও জিতিয়ে আনতে হবে।তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা, রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরির উদ্দেশে এই উপনির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নির্বাচন কমিশন। করোনার অজুহাতে ছমাসের মধ্যে উপনির্বাচন নাও করানো হতে পারে। এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতার কথায় সেই আশঙ্কার আভাস মিলল। তিনি বললেন, আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ৭ আসনে উপনির্বাচন বাকি। এখন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই যে কোনও সময় উপনির্বাচন হতে পারে। তাঁর আর্জি, সাতদিন সময় দিয়ে উপনির্বাচন করুন। উপনির্বাচনে প্রার্থীদের বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

জুন ২৩, ২০২১
কলকাতা

জোড়া রদবদল রাজ্য প্রশাসনে, সরলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দুই কর্তা

ফের রাজ্য প্রশাসনে বড়সড় রদবদল। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিু জারি করে আমলাস্তরে জোড়া রদবদল করা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর একাধিক পদের রদবদল করেছেন। দুটি পরিবর্তন সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।নির্বাচনের আগে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের সচিব ছিলেন সংঘমিত্রা ঘোষ। নির্বাচনের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে একাধিক আধিকারিককে সরানো হয়। সেই সময় কমিশনের অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার পদে আনা হয় ১৯৯৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার সংঘমিত্রা ঘোষকে। ভোট মিটে যাওয়ার পর সরকার গঠন হতেই তাঁকে পুরনো পদেই ফেরানো হল। আরেক অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার স্মারকি মহাপাত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল। বদলে তাঁকে রাজ্যে অর্থদপ্তরের সচিব পদে নিয়োগ করা হল। তিনি ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার।রাজ্যে মিটে গিয়েছে ভোটপর্ব। ২০০-রও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ভোট মিটতেই রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক পদে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। ভোটের পরই বদলানো হয়েছে বীরভূমের জেলাশাসক এবং এসডিপিও-কে। তেমনই রাজ্য পুলিশের আরও একাধিক পদে বদল আনা হয়েছে।বীরভূমের জেলাশাসকের পদে ডিপি কারনামের জায়গায় আসতে চলেছেন বিধানচন্দ্র রায়। তিনি এর আগে খাদ্যদপ্তরের যুগ্ম সচিব পদে ছিলেন। ডিপি কারনামকে করা হয়েছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের ডিরেক্টর। এছাড়া তিনি বিশ্ববাংলা কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বও সামলাবেন। শ্রী নিখিল নির্মলকে করা হয়েছে বস্ত্রমন্ত্রকের ডিরেক্টর। এদিকে, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার অভিষেক তিওয়ারিকে করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। অন্যদিকে, ধবল জৈনকে করা হয়েছে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার। এছাড়া সরানো হয়েছে নদিয়ার জেলাশাসক পার্থ ঘোষকেও। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অ্যাগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে। যে পদে এতদিন ছিলেন ধবল জৈন। সেই রদবদলের তালিকা এদিন আরও দীর্ঘ হল।

মে ২০, ২০২১
রাজ্য

দিনভর লুকোচুরি, কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত

রাত পোহালেই রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। তবে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে বেলা ১২টা থেকে ঘুরে বেড়ালেন নানুর এবং সেই সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য তারাপীঠের মন্দিরে তাঁর হদিশ মেলে। কিন্তু এজন্য যে তিনি দায়ী নন, পুরো দোষটাই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের, বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথাই বললেন বীরভূমের কেষ্ট।সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমি আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কি করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।এরপরই নির্বাচন কমিশনের কাঠগড়ায় তুলে তাঁর মন্তব্য, বীরভূমে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে সাধারণ লোককে, আমাদের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এখানে একজন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে অথচ তাকে ধরছে না। আমাকে প্রতিবারই নজরবন্দি করে। তাতে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু এইভাবে সাধারণ লোককে হেনস্তা করছে সেটা খারাপ লাগছে। আর কদিনই বা করবে। ২ তারিখের পর তো আর পারবে না। আগামীকাল খেলা হবে। তবে কীভাবে খেলব সেটা বলব না। খেলা মানে তো ঝগড়া মারামারি নয়। ভালোভাবেও তো খেলা যায়।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
দেশ

ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজ না-নিলে গণনাকেন্দ্রে প্রার্থীকে প্রবেশাধিকার নয়: কমিশন

করোনা সংক্রমণের আবহে নতুন নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। বুধবার তারা জানিয়েছে, প্রার্থীদের যদি টিকার ২টি ডোজ না নেওয়া থাকে, তবে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না তাঁরা। দেখাতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও। গণনার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে প্রার্থীদের। কমিশন জানিয়েছে, দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই কোভিড-নির্দেশিকা।রবিবার, ২ মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট গণনা। এদিকে দেশে আঠারোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে ১ মে থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আবার তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে। কমিশনের এই নির্দেশে তাই প্রশ্ন উঠেছে ৪৫ বছরের কমবয়সি প্রার্থীদের গণনা কেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের ব্যাপারেও। যে সব প্রার্থী এখনও টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা কী করবেন।এর আগে মঙ্গলবারই দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরিতে জয়ের উদযাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। বুধবার নতুন নির্দেশিকায় তারা জানিয়েছে, প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরা আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালে তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।এই রিপোর্ট কোনওভাবেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি পুরনো হলে চলবে না। তবে আরটি-পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টও গ্রাহ্য হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ ছাড়া প্রার্থীদের বলা হয়েছে, তাঁদের গণনা এজেন্টের তালিকাও গণনার তিন দিন আগে পেশ করতে হবে।বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে অষ্টম ও শেষ দফার ভোট। ৪ জেলা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং কলকাতায় ৩৫ টি কেন্দ্রে ভোট হবে। ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমেই ভোট হয়েছে একাধিক দফায়। অসমে ৩ দফায় ভোট শেষ হলেও বাংলায় ৮ দফায় ভোটের ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, মাদ্রাজ হাইকোর্টও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না কমিশন। এ ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
রাজ্য

বীরভূমের ভোটের আগে ফের নজরবন্দি অনুব্রত

ভোটের আগে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত কমিশনের নজরবন্দি তিনি। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আইনি পথে হাঁটতে পারেন দাপুটে তৃণমূল নেতা ।অষ্টম দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সেই জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতার উপর কড়া নজর রাখবে কমিশন। ভোটের মরশুমে এত দীর্ঘ সময় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে নজরবন্দি করে রাখা নিঃসন্দেহে বেনজির সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র ভোটের দিন। যদিও তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেবারের ভোটের সময়ে খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, দিনভর সেই তথ্য নিজের নখদর্পণে রেখেছিলেন তিনি। এবারও ভোটের আগে থেকেই অনুব্রতকে নজরবন্দি করল কমিশন। যদিও কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচলিত নন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, এটা তো কমিশনের রুটিন কাজ। প্রতিবারই করে। তবু খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। প্রয়োজনে সিআরপিএফের পায়ে বল দিয়ে দেব, ওঁরা খেলবে। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হলে ও আদালতে যাবে। এদিন নেত্রীর কথা মনে করিয়ে অনুব্রত বলেন, আমি এবার কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।প্রসঙ্গত, এবার কমিশনের কড়া নজরে রয়েছে বীরভূম। ভোটের সময় জেলার পুলিশ সুপার করে পাঠানো হয়েছে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভোটের দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দপ্তর। এমনকী, গোরুপাচার মামলায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইও। যদিও কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এর পরই প্রকাশ্যে এল নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
রাজ্য

ভোট প্রচারে রোড শো, মিছিল বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

করোনা আবহে রাজ্যে চলছে টানা আট দফা ভোট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। বৃহস্পতিবারও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে এদিনই হাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন । তারপরই নড়েচড়ে বসেন দিল্লির কর্তারা। এদিন সন্ধেবেলা নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত মিছিল, রোড শোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।এর আগে চতুর্থ দফা ভোটের পরই কমিশন প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে, তারপরে কোনও রকম প্রচার চলবে না। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করে ফেলতে হবে। জনসভায় ৫০০ জনের বেশি সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।করোনা পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশিকা মেনেও নেন সকলে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে দেখে বাম দলগুলি প্রচার বন্ধ করেছিল। এ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা বলেছিল। তবে বিজেপি প্রচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধের বিরোধিতা করে। এসবের জেরে নির্দিষ্ট সময় মেনেই এতদিন প্রচার চলছিল। তা সত্ত্বেও জনগণের একাংশই এই প্রচারের বিরুদ্ধে মত পোষণ করছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফা ভোট শেষ হতেই নির্বাচন কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করল। সবরকম রোড শো, পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হল। জনসভা করলেও ৫০০ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হন, সে বিষয়ে আরও কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, শেষ দু দফা ভোটের আগেই কলকাতায় রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রোড শোর সূচি ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরও। এদিন কমিশনের নির্দেশিকার পর সেসবও বাতিল হয়ে গেল।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

ভোট প্রচারে রোড শো, মিছিল বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

করোনা আবহে রাজ্যে চলছে টানা আট দফা ভোট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। বৃহস্পতিবারও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে এদিনই হাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন । তারপরই নড়েচড়ে বসেন দিল্লির কর্তারা। এদিন সন্ধেবেলা নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত মিছিল, রোড শোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।এর আগে চতুর্থ দফা ভোটের পরই কমিশন প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে, তারপরে কোনও রকম প্রচার চলবে না। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করে ফেলতে হবে। জনসভায় ৫০০ জনের বেশি সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।করোনা পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশিকা মেনেও নেন সকলে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে দেখে বাম দলগুলি প্রচার বন্ধ করেছিল। এ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা বলেছিল। তবে বিজেপি প্রচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধের বিরোধিতা করে। এসবের জেরে নির্দিষ্ট সময় মেনেই এতদিন প্রচার চলছিল। তা সত্ত্বেও জনগণের একাংশই এই প্রচারের বিরুদ্ধে মত পোষণ করছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফা ভোট শেষ হতেই নির্বাচন কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করল। সবরকম রোড শো, পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হল। জনসভা করলেও ৫০০ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হন, সে বিষয়ে আরও কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, শেষ দু দফা ভোটের আগেই কলকাতায় রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রোড শোর সূচি ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরও। এদিন কমিশনের নির্দেশিকার পর সেসবও বাতিল হয়ে গেল।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

চলল গুলি, পড়ল বোমা, 'শান্তিপূর্ণ ষষ্ঠ দফার ভোট', জানাল কমিশন!

চলল গুলি,পড়ল বোমা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোট। কমিশনের চোখে অবশ্য শান্তিপূর্ণ ভোটই হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, ষষ্ঠ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে।বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফায় ৪ জেলার ৪৩ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। অশান্তি এড়াতে বুধবার থেকেই কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছিল কমিশন। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ৫২ জন পর্যবেক্ষককে নিয়োগও করেছিল কমিশন। বেশ কিছু অশান্তির ঘটনার মধ্যে দিয়েই শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোট। বৃস্পতিবার ব্যারাকপুরে ১০৮ নম্বর বুথে বোমাবাজি হয়। ওই ঘটনায় ৩ জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে কমিশন জানায়, বোমাবাজির ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিসি।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথের ২০০ মিটারের বাইরে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার পর ফের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল বাগদায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় নিয়ে আরিজ বলেন, একটি সেক্টর অফিসে জমায়েতের অভিযোগ ওঠে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। জমায়েত হঠাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও বাহিনীর উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। বুদ্ধ সাঁতরা নামে এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা নামে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে তাঁর গুলি লেগেছে বলে প্রমাণ এখনও মেলেনি। মেডিক্যাল রিপোর্টের পরই বলা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় এক পুলিশ ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবল আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন।বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে কাঁচরাপাড়া, অশোকনগর, মঙ্গলকোট-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গোলমালের খবর মিলেছে। কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৯৯২টি। সে সব অভিযোগ নিয়ে কমিশন কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তারা শুধু জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গোলমালের অভিযোগে ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৯টি তাজা বোমা। সব মিলিয়ে পঞ্চম দফার মতো ষষ্ঠ দফাতেও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে দরাজ শংসা দিলেন কমিশনের আধিকারিক।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

ব্যারাকপুরে অতিরিক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ

রাত পোহালেই রাজ্যে ভোট ষষ্ঠী। আর এই দফায় সকলের নজরে আটকে ব্যারাকপুরে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে ভোটের সময় অশান্তিতে উত্তাল হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। তাই এবারের উত্তপ্ত আবহে এই এলাকাকে নিয়ে বিশেষ সতর্ক নির্বাচন কমিশন।ভোটের মাত্র ২৪ ঘণ্টা ব্যারাকপুরের জন্য অতিরিক্ত আরও ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন। তিনি শুধুমাত্র বারাকপুরের ঘটনা নিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন। উল্লেখ্য, এ বারের ভোটে ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষককে দুই বা তার বেশি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে এবার বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। তাই বিশাল বাহিনী মোতায়েন থেকে ওয়েব কাস্টিং, কিউআরটি টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে একাধিক পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ, একাধিক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটষষ্ঠী নির্বিঘ্নে মেটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল কমিশন। এই দফার ভোটে কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছে কমিশন। ভোটের দিন এই এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা।

এপ্রিল ২১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য, কুয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি, অচল জনজীবন

ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে প্রায় শূন্যে। তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে বাতিল করা হয়েছে ১২৮টি বিমান পরিষেবা। পাশাপাশি প্রায় ২০০টি উড়ানের সময়সূচি বদল করা হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচলও। বহু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজধানীবাসী।আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৭টায় দিল্লির বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই ছিল ৪০৩, যা ভয়ানক খারাপ বলে ধরা হয়। ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লি বিমানবন্দরের আশপাশে দৃশ্যমানতা নেমে আসে মাত্র ১২৫ মিটারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মৌসম ভবনের তরফে দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ২২ ডিগ্রিতে।রবিবার থেকেই মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছিল, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন ঘন কুয়াশা থাকবে। হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকালবেলায় অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় ফগ লাইট ব্যবহার এবং অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কুয়াশার প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। সকাল থেকেই শতাধিক ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে চলছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই নয়ডা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় এবং তীব্র ঠান্ডার কারণে জেলা প্রশাসন ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে।এদিকে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে দূষণের মাত্রাও। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির গড় একিউআই ৪০৩। আনন্দ বিহারে একিউআই পৌঁছেছে ৪৫৯, যা সবচেয়ে খারাপ। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একিউআই ছিল ৩১৭, আইআইটি দিল্লিতে ৩৬২, লোধি রোডে ৩৫৯ এবং চাঁদনী চকে ৪২৩। দূষণ ও কুয়াশার এই জোড়া আঘাতে দিল্লিতে শ্বাস নেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিদেশ

জামাতের সঙ্গে হাত মেলাতেই ভাঙনের শুরু, এনসিপিতে একের পর এক পদত্যাগ

রবিবার প্রকাশ্যেই জামাতের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের ঘোষণা করেছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। কিন্তু সেই ঘোষণার পরদিনই দলটির অন্দরে শুরু হয়ে গেল প্রবল অশান্তি। জামাতের সঙ্গে জোট মানতে না পেরে এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি, জামাতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে প্রায় ৩০ জন নেতা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।রবিবার জামাতের আমির শফিকুর রহমান জানান, গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল এনসিপি এবং কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি জামাতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে। পরে এনসিপির তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই ঘোষণার পরেই দলের ভিতরে অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে এবং একের পর এক নেতা পদত্যাগ করেন।যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এই পদত্যাগে এনসিপির উপর বড় কোনও প্রভাব পড়বে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে নাহিদ ইসলাম বলেন, জামাতের সঙ্গে জোট নিয়ে দল অনড় অবস্থানেই রয়েছে। তাঁর দাবি, দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা এই জোটকে সমর্থন করছেন।এদিকে পদত্যাগ করা নেতাদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমঝোতা দলের আদর্শ ও নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেই কারণেই তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমে পদত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মির আরশাদুল হক। এরপর ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনুভা জাবিন, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং ফেনি-৩ আসনের প্রার্থী আবুল কাশেম দল ছাড়েন। যদিও তাসনিম জারা জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।এনসিপির প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছেন, জামাতের সঙ্গে জোট কোনও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং ধাপে ধাপে সাজানো একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ। এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।এর মধ্যেই নতুন দল গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহফুজ আলম। ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এনসিপি-জামাত জোটের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পাশাপাশি বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরেই নাহিদ ইসলাম দাবি করে আসছিলেন যে এনসিপি এককভাবে নির্বাচন লড়বে। সেই অনুযায়ী প্রথমে ১২৫টি আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের কথা জানানো হয় এবং জামাতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এনসিপি জামাতের কাছে ৫০টি আসন দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ৩০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি হয়নি জামাত। এই পরিস্থিতিতে দলের বহু ছাত্রনেতার মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়। জোট ঘোষণার পর সেই ক্ষোভই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
কলকাতা

শুনানি বন্ধ করে দিলেন বিধায়ক, নির্বাচন কমিশনের বড় নির্দেশে নতুন মোড়

আজ, সোমবার এসআইআর শুনানির তৃতীয় দিন। সকাল থেকেই শুনানি কেন্দ্রে বিএলএ-২ দের প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। বিধায়ক অসিত মজুমদার শুরু থেকেই বিএলএ-২ দের ঢোকার দাবিতে সরব হন। এক পর্যায়ে তিনি শুনানি বন্ধ করে দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।এই ঘটনার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ জারি করে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এসআইআর শুনানির সময় বিএলএ-২ রা ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী তাঁদের শুনানিকেন্দ্রের বাইরে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বাইরে ক্যাম্প করে বসতে পারবেন বিএলএ-২ রা।উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি বিএলএ-দের শুনানিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের কথাও বলেন। এরপর থেকেই এই বিষয়ে তৎপরতা বাড়ে।সোমবার অসিত মজুমদার দাবি করেন, কোনও লিখিত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শুনানি হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, লিখিত নির্দেশ দিলে তবেই তিনি সরে যাবেন। এই নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। পরে শুনানি বন্ধ করে দিয়ে নিজের অফিস থেকে এসডিও-কে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি।বিধায়কের দাবি, সাধারণ মানুষের নাম যদি তালিকা থেকে বাদ যায়, সে ক্ষেত্রে বিএলএ-রাই সাহায্য করতে পারবেন। তাই তাঁদের উপস্থিতি জরুরি।সকালভর এই বচসা চলার পর নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী বিএলএ-২ রা শুনানির ভিতরে বসতে পারেন না। সেই কারণেই তাঁদের বাইরে রেখেই শুনানি চালাতে হবে। হুগলির জেলা শাসককে অবিলম্বে শুনানি শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।যদিও এই সিদ্ধান্তে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, পুরনো সমস্ত নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বক্তব্য, কোনও সমস্যা হলে বিএলএ-২ রা আপত্তি জানাবেন, সেটাই তাঁদের অধিকার। এভাবে তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।তিনি আরও বলেন, নিয়ম বদল হলে তার জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ পাঠিয়ে নিয়ম বদল করা যায় না বলেও দাবি করেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

হার মানলেন মারণ রোগের কাছে, প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবণী বণিক

সপ্তাহের প্রথম দিনেই টেলিপাড়ায় নেমে এল গভীর শোক। দীর্ঘদিনের মারণ রোগের কাছে হার মানলেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শ্রাবণী বণিক। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শ্রাবণী।শ্রাবণী বণিক বাংলা টেলিভিশনের এক পরিচিত মুখ ছিলেন। লালকুঠি, রাঙা বউ, গোধূলি আলাপ, সোহাগ চাঁদ-সহ একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। বড়পর্দাতেও কাজ করেছেন শ্রাবণী। আলো ও চাঁদের বাড়ি ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছিল।জনপ্রিয়তা থাকলেও আর্থিক দিক থেকে খুব সচ্ছল ছিলেন না অভিনেত্রী, এমনটাই জানা যায়। ক্যানসারের চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মাসখানেক আগেই শ্রাবণীর ছেলে অচ্যুত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করে মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মাকে বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন এবং সকলের সামান্য সাহায্যও তাঁদের কাছে অমূল্য।গত নভেম্বর মাসে সেই আবেদন করা হলেও বছর শেষ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন শ্রাবণী বণিক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টেলিপাড়া। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পরিচালক বাবু বণিক। তিনি বলেন, শ্রাবণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেবল কাজের ছিল না, তা বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল। শ্রাবণীর এত দ্রুত চলে যাওয়া তিনি মানতে পারছেন না বলেও জানান। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি।শ্রাবণী বণিকের প্রয়াণে বাংলা টেলিভিশন জগতে তৈরি হল এক অপূরণীয় শূন্যতা।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
রাজ্য

ফোন ধরেননি দু’দিন, তারপর মিলল ঝুলন্ত দেহ— হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যুর পরেই উধাও সাব ইনসপেক্টর

ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল ২২ বছরের হোমগার্ড গুলজ়ান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির ঝুলন্ত দেহ। রবিবার সকালে এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রেশমি ক্যানিং থানাতেই হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বছর দুয়েক আগে ভাঙড়ে খুন হন তাঁর বাবা রশিদ মোল্লা। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর চাকরি দেওয়া হয়েছিল বড় মেয়েকে। এবার সেই মেয়ের মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।পরিবারের অভিযোগ, ক্যানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের সঙ্গে রেশমির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ।ঘটনার পরই বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছে ক্যানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের অনুমান, রেশমির রহস্যমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তিনি পলাতক হয়েছেন।তদন্তে গতি আনতে ছয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটি শেষ করে ক্যানিং থানার পিছনে থাকা একটি কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন রেশমি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। শনিবারও সারাদিন একইভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।শেষ পর্যন্ত রবিবার পরিবারের লোকজন ক্যানিং থানায় আসেন। রেশমির বোন রুকসানা খাতুন থানার কোয়ার্টারের দিকে যান। দরজা খুলতেই তিনি হতবাক হয়ে যান। সিলিং ফ্যান থেকে ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল রেশমির দেহ। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা।রেশমির মৃত্যু আত্মহত্যা না কি খুন, তা নিয়েই এখন জোর তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তদন্তের অগ্রগতির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
দেশ

‘তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি!’ কুলদীপ সেঙ্গারের মুক্তিতে রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট

উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে বড় মোড়। বিজেপির বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের জামিনে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে এই মুহূর্তে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আপাতত জেলমুক্তি হচ্ছে না কুলদীপ সেঙ্গারের। এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছেন উন্নাও-কাণ্ডের নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উন্নাও ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালত কুলদীপ সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। তবে গত মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই সাজা মকুব করে তাঁকে জামিন দেয়। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সোমবার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মন্তব্য করে, দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ ধরনের মামলায় অত্যন্ত সতর্কতা প্রয়োজন।শুনানির সময় সিবিআইয়ের তরফে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, দিল্লি হাইকোর্ট কুলদীপ সেঙ্গারকে পকসো আইনের আওতায় আনেনি এই যুক্তিতে যে তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। কিন্তু পকসো আইনের সংজ্ঞা এই ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে না বলেও জানান তিনি।সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি ছিল, পকসো আইনে জনপ্রতিনিধি বলতে কেবল পদবির কথা বলা হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি সমাজে নির্যাতিত শিশুর তুলনায় কতটা ক্ষমতাশালী, সেটাই মূল বিষয়। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, কুলদীপ সেঙ্গার একজন প্রভাবশালী বিধায়ক ছিলেন এবং এলাকায় তাঁর দাপট ছিল।এই যুক্তি শোনার পর প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, দিল্লি হাইকোর্টের এই ব্যাখ্যা মানলে পরিস্থিতি হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে। তাঁর মন্তব্য, তাহলে একজন পুলিশ কনস্টেবল জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন, কিন্তু কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নন।তবে অভিযুক্তের পক্ষের বক্তব্য না শুনে সাধারণত কোনও ট্রায়াল কোর্ট বা হাইকোর্টের দেওয়া জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় না সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণেই কুলদীপ সেঙ্গারের পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির দিকে এখন তাকিয়ে গোটা দেশ।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিদেশ

ফের ভারতকে নিশানা! শাহবাগ থেকে ২৪ দিনের আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের

আবার ভারতকে লক্ষ্য করে কড়া সুরে সরব হল বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওসমান হাদির স্বপ্ন পূরণ করতেই তারা এই পথে নেমেছে বলে দাবি সংগঠনের। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকার শাহবাগ মোড়ে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি থেকে একাধিক দাবি ঘোষণা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাব। সেই সঙ্গে এই দাবিগুলি পূরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।ইনকিলাব মঞ্চের প্রধান দাবি, হাদির হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য, যারা হাদিকে খুন করেছে, যারা এই হত্যার পরিকল্পনা করেছে কিংবা যারা সহায়তা করেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।এই দাবির পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে ভারতবিরোধী অবস্থান। ঢাকার বুকে নিহত ওসমান হাদি তাঁর বক্তব্যে যেভাবে বারবার ভারতবিরোধিতা তুলে ধরতেন, ঠিক সেই সুরই শোনা গিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের দাবির মধ্যেও। সংগঠনের দাবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে দেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি বাতিল করতে হবে।তৃতীয় দাবিতে আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লিগের যেসব নেতা-কর্মী বর্তমানে নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।চতুর্থ দাবিতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে থাকা হাসিনা-পন্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। এই চার দফা দাবি পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে মোট ২৪ দিনের সময় দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।উল্লেখ্য, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর থেকেই শাহবাগ মোড়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ। শনিবার রাতে আবদুল্লাহ আল জাব এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেন। সেই আহ্বানের জেরে সোমবার দুপুর দুটো থেকে শাহবাগের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
দেশ

এসি কামরায় আগুনের লেলিহান শিখা, মাঝরাতে ট্রেন থামিয়ে প্রাণ বাঁচানোর লড়াই

চলন্ত দূরপাল্লার ট্রেনের এসি কামরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে গেল পরপর দুটি কোচ। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। সোমবার ভোরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানায় রেলমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে কেরলের এর্নাকুলামগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপালি জেলার কাছে।ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে। তখন রাত প্রায় ১টা। নিজের গতিতে ছুটে চলছিল এর্নাকুলামগামী ট্রেনটি। হঠাৎই চালকের নজরে আসে একটি কোচ থেকে আগুনের শিখা উঠছে এবং তা পাশের কোচের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয় এবং আগুন লাগা কোচগুলি থেকে উদ্ধার শুরু হয়।রেল আধিকারিকদের মতে, আগুন লাগা কোচে মোট ৮২ জন যাত্রী ছিলেন। পাশের কোচে ছিলেন আরও ৭৬ জন। প্রায় সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন যাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় চন্দ্রশেখর সুন্দরম নামে এক যাত্রীর।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ট্রেনের বি১ এসি কোচে আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত তা বি২ কোচে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন যাতে গোটা ট্রেনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে কারণে এম১ কোচ থেকে আগুন লাগা অংশ আলাদা করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। চারটি দমকল ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ততক্ষণে দুটি এসি কোচ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal