• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Durga Puja

বিনোদুনিয়া

Agomoni : আগমনীতে দুর্গাপুজোর ছোঁয়া

Klikk এর নতুন প্রোজেক্ট। আগামী ১০ ই অক্টোবর Klikk এ প্রিমিয়ার হবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আগমনী।অভীক একটি ২২ বছরের ছেলে। শহরের বাইরে থাকে। শুরুতেই দেখা যায় যে কিঞ্চিৎ বিষণ্ণ হয়ে অভীক কে তার বাবা ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন যে সে এই বছর পুজোয় বাড়ি আসছে কিনা, কারণ এই বছর তাদের বাড়িতে পুজো হবেনা। অভীক বাড়ি আসে। তার দিদির সাথে কথোপকথনের পর আমরা বুঝতে পারি যে, কিছুদিন তাদের বাবা মায়ের সেপারেশন হয়েছে তাই এবারে পুজোটা হবেনা। অভীক এসেছে জানতে পেরে তার পুরোনো বান্ধবী রাই, তার সাথে কথা বলতে আসে। রাই এখন অভীকের প্রাক্তনী। ২ বছর আগেই ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের কথার মধ্যে সেই মান অভিমান আমরা ফুটে উঠতে দেখতে পাই। রাই অভীক কে বলে যদি তারা সব বন্ধুরা মিলে পুজোটা করতে পারে। পরের দিন তারা বাবার কাছে পারমিশন নিতে গেলে বাবা কিছুটা ইতস্তত হলেও রাজি হয়ে যায়। পুজোর তোড়জোড় শুরু হয় বন্ধুদের। মহালয়ার দুদিন আগে অভীক দুঃখের সাথে রাই কে বলে - এবারের পুজোয় মা কে খুব মিস করবো!মহালয়ার দিন সকালে চক্ষুদান এর সময় অভীক দেখে, তার মা ফিরে এসেছে। আবেগে বিহ্বল হয়ে অভীক মা কে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে। দেবী ও মাএর আগমনী হয়। মা অমলীন, চিরন্তন,শুধুমাত্র দৈনন্দিন আবেগ বা আরাধনায় আবদ্ধ নয়। বিরহ, বিচ্ছেদ, বিষাদ, সবের ঊর্ধ্বেমা। আসবেই আগমনী। এটি মা এর ফিরে আসার গল্প। মা বারবার ফিরে আসেন। এই ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন রোহন সেন,ঐশ্বর্য সেন,রানা বসু ঠাকুর,অমৃতা দে, হিন্দোলা চক্রবর্তী, অন্তরা স্বর্ণকার এবং বুলান ঘোষ। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে কিছুক্ষণ এন্টারটেইনমেন্টের অমৃতা দে। প্রযোজনার পাশাপাশি এখানে মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। শুধু তাই নয় টাইটেল ট্র্যাক ও তাঁর গাওয়া। সহ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুরের JLT FILMS। পরিচালনায় চিত্রনাট্য, ডায়ালগ ও সম্পাদনা পুরোটাই সামলেছেন তরুণ পরিচালক রোহন সেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
নিবন্ধ

Saradarghya: শারদঅর্ঘ্য

উত্তাল তরঙ্গভঙ্গ হেলায় তুচ্ছ করে এগিয়ে চলেছে রঙবেরঙের এক ময়ূরপঙ্খী, তাতে সওয়ার ঢাক -ঢোল -সানাই নিয়ে এক দল গাইয়ে বাজিয়ে... মাথার ওপর উজ্জ্বল সূর্য... এক কোণে সেই পরিচিত দুলাইনের লোগো --- শারদঅর্ঘ্য!আটাত্তরের এইচ.এম.ভি.-র পুজোর গানের বইয়ের প্রচ্ছদ, যদ্দূর মনে পড়ে, ছিল এমনই। বিধ্বংসী বন্যায় সেবার রক্তাক্ত হয়েছিল সারা বাংলা; তবু তার মধ্যেও পূজো এসেছিল, মা এসেছিলেন অনিঃশেষ বৃষ্টিতে শ্যাওলা পড়ে যাওয়া গ্রামের আটচালায়.. লাশ ভাসার ছবি সরে গিয়ে খবরের কাগজের পাতায় শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল নৌকোয় রওনা দিয়েছে মাতৃপ্রতিমা... কলা-পেয়ারা -ভেজা মটর -পানিফলের সামান্য উপচার দিয়েই সাজানো হয়েছিল ফল প্রসাদের থালা... আর লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে সলিল চৌধুরী গাইয়েছিলেন আজ নয় গুণগুণ গুঞ্জন প্রেমের / চাঁদ ফুল জোছনার গান আর নয় / ওগো প্রিয় মোর খোলো বাহুডোর / পৃথিবী তোমারে যে চায়...সেই শারদঅর্ঘ্য! দেশ-আনন্দমেলা-কিশোরভারতী-শুকতারা-নবকল্লোলের পুজোবার্ষিকীর চাইতে তার আকর্ষণ কি ছিল কিছু কম? মোটা দামী কাগজে ঝকঝকে ছাপা তকতকে ছবি মোড়া গোটা পঞ্চাশ পাতার বইটি নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম মামাতো দিদিদের সঙ্গে (তারা সবাই ছিল কম বেশি গাইয়ে, কাজেই সে বইয়ের অধিক হকদার!) পুজোর কদিন আগে জলপাইগুড়ি থেকে এসে পড়তাম বর্ধমানে মামার বাড়ি। সবার প্রিয় সেজমামা ততদিনে দূর্গাপুর থেকে তার এইচ.এম.ভি ফিয়েস্টা রেকর্ডপ্লেয়ার আর নতুন কেনা এক গুচ্ছ এল.পি ও ই.পি রেকর্ড নিয়ে এসে পড়েছে--- তারপর সারাদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই সব হেমন্ত -কিশোর -মান্না - লতা - আশা - সন্ধ্যা - আরতি নিয়েই ওঠা বসা!শারদঅর্ঘ্য নেই আজ অনেক দিনপ্রতি পাতায় শিল্পীর সাদা কালো ছবি, রেকর্ডের নম্বর ও টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি,গীতিকার -সুরকার -যন্ত্রানুসঙ্গীর নাম, গানের সম্পূর্ণ কথা। আমার ছোটমামা লম্বা খাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লিখে রাখত সেই সব গান-- দেখে দেখে আর শুনে শুনে মনে গেঁথে যেত আমাদেরও। দ্বিজেন - পিন্টু -শ্যামল - মানবেন্দ্র, প্রতিমা - জপমালা - সবিতা - বনশ্রী, পূর্ণদাস - নির্মলেন্দু - রুণা লায়লা - স্বপ্না চক্রবর্তী - মিন্টু দাশগুপ্ত ছাপার অক্ষর থেকে বেরিয়ে এসে আবিষ্ট করে রাখতেন।শারদঅর্ঘ্যের পাতায় পাতায় অন্য এক জগতের হাতছানি--- কৃষ্ণচূড়া শোন শোন শোন, সারা বেলা গেল খেলে খ্যাপা হাওয়াতে...কৃষ্ণচূড়া আগুন তুমি ফাগুন ভরা গানে... ..কৃষ্ণচুড়ার বন্যায় চৈতালি ভেসে গেছে ... কৃষ্ণচুড়ার বনে ছায়াঘন পথ --- সব রহস্য যেন চেনা হয়ে যেত, গানে গানে সব বন্ধন যেত টুটে। অদ্ভুত কান্ডও হতো মাঝে মধ্যে। আটাত্তরে লতা মঙ্গেশকর আজ তবে এইটুকু থাক গানে কেন না তাকাতে ভোর হয়ে যাবে না গেয়ে না গাবাতে ভোর হয়ে যাবে গেয়েছিলেন, তা আজো বুঝতে পারি নি, যেমন বুঝে উঠতে পারি নি সেই ভুল গানই এইচ .এম.ভি রেকর্ড হিসেবে প্রকাশ করে দিল কী করে!সাতাত্তরেই সম্ভবতঃ, শারদঅর্ঘ্যের পাতায় প্রথম দেখা দিয়েছিলেন অসামাব্য সুন্দরী এক তরুণী গায়িকা, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী--- ইংরেজীতে লেখা হয়েছিল Holme। তাঁর একটি গান ছিল ও পদ্মকলি গো, কার ঢেউয়ে অঙ্গ তোমার দোলে। সে গানের কথার চাইতেও অবাক লেগেছিল এই Holme বানানে। সবাই ভেবেছিলাম নির্ঘাত বিলেত -প্রবাসিনী কেউ হবেন! অনেক পরে, উননব্বই সালে, মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সচিব থাকাকালীন কলেজ সোস্যালে গাওয়ার অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলাম সল্ট লেকে অরুন্ধতী -শিবাজীর ফ্ল্যাটে। চমৎকার মানুষটির সঙ্গে কথাবার্তার সুবাদে জেনেছিলাম, বিলেত নয়, আদতে উনি শিলচরের মানুষ।শারদঅর্ঘ্য নেই আজ অনেক দিন। যশোর রোডে এইচ.এম.ভি.-র বন্ধ কারখানায় এখন প্রোমোটারের থাবা। সন্গীতালয়ের গা বেয়ে ওঠা অশ্বথ্ব -বট -যজ্ঞডুমুরের পাতা দুলিয়ে হাওয়া বয়ে আনে শুধুই সঙ্গীতপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাস। শারদঅর্ঘ্য বয়ে আনা সেজমামাও অকালে চলে গেছে ক বছর হলো।লেখকঃ ডঃ সুজন সরকারবর্ধমান।আরও পড়ুনঃ বাজলো তোমার আলোর বেণু

অক্টোবর ০৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Durga Puja : দুর্গাপুজোতে পরিচালক সৌভিক দে'র দুটো ভিন্নধারার প্রোজেক্ট

পুজোর মিউজিক ভিডিও জানি দেখা হবে ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি কোড 706 এর সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল। দুটোই পরিচালনা করেছেন সৌভিক দে। জানি দেখা হবেতে অভিনয় করেছেন সৌভিক ব্যানার্জি ও মৌটুসী সর্দার। কোড 706 এ অভিনয়ে দেখা যাবে চাঁদনী সাহা ও অনিন্দ্য ব্যানার্জিকে।জানি দেখা হবে নিয়ে মৌটুসী জানালেন,পুজোর প্রেমের স্বাদ এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। পুজোর সময় কলকাতা যে আলাদা রূপ ধারণ করে, কলকাতার যে আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে সেটা ডিরেক্টর তুলে ধরেছে। আমি আর সৌভিক দা মিলে এটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।কোড 706 এ রয়েছেন চাঁদনী সাহা। দর্শকরা অনেক বাংলা ধারাবাহিকে চাঁদনী কে দেখেছেন। কোড 706 নিয়ে তিনি জানালেন,অনিন্দ্য দার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনেই হয়নি যে একটা কাজ করছি। প্রচণ্ড মজার একটা মানুষ। কিছু কিছু সিনে তো মনিটারও দেখতে হয়নি আমাকে। এরকম অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা বড় প্রাপ্তি। আমি আমার দিক থেকে ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।পরিচালক সৌভিক দে জানালেন,সবাই লকডাউনে ছিল। লকডাউনের পর সবাই একটু আনন্দ চায়। সেরকমই কিছু ভাবনা নিয়ে আমি দুটো কাজ করেছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।জানি দেখা হবে গতকাল মুক্তি পেয়েছে তাইচি প্রোডাকশনের ইউটিউব চ্যানেলে। কোড 706 মুক্তি পাবে পুজোতে। কিন্তু মুক্তির দিন এখনও ঠিক হয়নি।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Sarbamangala Temple: ৩০০ বছরের পুরনো বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট প্রতিষ্ঠার সঙ্গেই রাঢ়বঙ্গে দামামা বাজল শারদ উৎসবের

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে মহালয়ার পরদিন থেকে শারদ উৎসবের সূচনা হয়ে গেল রাঢ়বঙ্গে। বৃহস্পতিবার থেকে নবমী পর্যন্ত চলবে পুজো। তবে রাজ আমলের রীতি মেনে পুজো হলেও কোভিড বিধি মেনে এবারও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমানোয় নিষেধাঞ্জা বলবৎ রেখেছে সর্বঙ্গলা ট্রাস্টি বোর্ড। বৃহস্পতিবার রীতি মেনে বর্ধমান শহরের কৃষ্ণসায়র থেকে রুপোর ঘটে জল ভরে সেই ঘট ঘোড়ার গাড়িতে চাপিয়ে শোভাযাত্রা ও বাদ্যযন্ত্র সহযোগে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। মন্দিরের পুরোহিত অরুণ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে দেবী সর্বমঙ্গলার জন্য ঘটে জল ভরে আনার নিয়ম রয়েছে। কৃষ্ণসায়রের চাঁদনী ঘাট থেকে ঘটে জল ভরে সেই ঘট মন্দিরে নিয়ে গিয়ে এদিন প্রতিষ্ঠা করা হল। কৃষ্ণসায়র থেকে ঘট আনার জন্য শোভাযাত্রা করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরোহিত জানান, ঘটস্থাপনের পর থেকে নবমী পর্যন্ত পুজো চলবে। সঙ্গে হবে চণ্ডীপাঠ ও দেবীকে ভোগ নিবেদন। সর্বমঙ্গলা মায়ের পুজো শুরু নিয়ে বর্ধমানে নানা কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে জানা যায়, বহুকাল পূর্বে বর্ধমানের বাহিরসর্বমঙ্গলা অঞ্চলে জেলেদের জালে একটি অদ্ভূত দর্শন পাথর উঠে আসে। কিছুটা শিলার মত দেখতে ওই পাথর দিয়েই তখনকার দিনে গুগলি, শামুক থেঁতো করতেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই শিলা যে আদতে দেবী মূর্তি, তা পরে বুঝতে পারেন এলাকার এক পুরোহিত। কাহিনী অনুসারে আরও জানা যায়, সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনো ক্ষতি হয়নি। সেই রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্রই বর্ধমানের তৎকালীন রাজা শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন। ঐতিহাসিক মতে বর্ধমানের মহারাজা শ্রী কীর্তিচাঁদ ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে সর্বমঙ্গলা মায়ের পুজোর জন্য মন্দিরটি নির্মাণ করান। কিন্তু এই মন্দিরে থাকা মাতা সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি মন্দিরের থেকেও বেশি প্রাচীন। অনেকের মতে মূর্তিটি ১০০০ বছর পুরোনো, আবার কারও মতে ২০০০ বছরের পুরনো। এই মূর্তিটি হল কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মহিষমর্দিনী। যাঁর দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। মন্দিরে রুপের সিংহাসনে দেবী আসীন থাকেন। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হবার পরে বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজা উদয় চাঁদ ১৯৫৯-তে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন, তাঁদের হাতে এই প্রাচীন মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন ও তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই ট্রাস্টি বোর্ডই এই মন্দিরের দেখাশোনা করে। আগে সন্ধি পুজোয় কামান দাগা হতো, মেষ, মহিষ ও ছাগ বলি হতো। এখন আর হয় না। পূর্বে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সন্ধিপুজোয় কামানের আওয়াজ শুনে আশেপাশের সমস্ত জমিদার বাড়িতে সন্ধিপুজো শুরু হতো। নবমীতে নব কুমারি মায়ের পুজোর রীতি আজও চালু রয়েছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Sitabhog Mihidana : পুজোর আগে দুই দফায় বিদেশে পাড়ি দিল বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগ

বর্ধমানের দুটি প্রসিদ্ধ মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানা। এখন এই দুই মিষ্টির কদর ও চাহিদা সমানভাবে বেড়েছে বিদেশের বাজারে। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের বড়দ্বীপ বাহরাইনে পাড়ি দিয়েছিল রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি মিহিদানা। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর মহালয়ার আগের দিনের সকালে বর্ধমান সীতাভোগ এ্যন্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের উদ্যোগে সীতাভোগ পাড়ি দিল ভিন দেশে। বিদেশের বাজারে বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টির চাহিদা বাড়ায় খুশি এখানকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।সীতাভোগ এ্যণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের সহ-সম্পাদক সৌমেন দাস এদিন বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে ৩০টি প্যাকেটে মোট ১২ কেজি মিহিদানা বাইরাইনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার মানুষজন বর্ধমানের মিহিদানা খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। আর এদিন গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরী জিআই ট্যাগযুক্ত মোট ১২ কেজি সীতাভোগ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার রাজ্য বাহরাইনের দ্বীপে আলজাজিরার একটি স্টোরে উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল।বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা জি আই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতীয় ডাক বিভাগ এই দুই মিষ্টিকে স্পেশাল কভারেজ দিয়েছে। সীতাভোগ ও মিহিদানকে মর্যাদা দিয়ে মাস দুয়েক ভারতীয় ডাক বিভাগ বাজারে ছাড়ে বিশেষ খাম। তারপর দেশজুড়ে সীতাভোগ ও মিহিদানার কদর আরও বাড়ে। আর এখন আন্তর্জাতিক বাজারেও এই দুই মিষ্টির চাহিদা ও কদর উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।সীতাভোগ ও মিহিদানার উৎপত্তি নিয়ে নানা কাহিনী প্রলিত আছে। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চন্দ মহাতাবকে ১৯০৪ সালে রাজাধিরাজ উপাধি দেয় ইংরেজ সরকার। সেই উপলক্ষ্যে বর্ধমান রাজপ্রাসাদে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন বাংলার বড়লাট লর্ড কার্জন বর্ধমানে আমন্ত্রিত ছিলেন। বড়লাটকে খুশি করার জন্য এবং অনুষ্ঠানকে আরও উৎকর্ষপূর্ণ করার জন্য বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদের নির্দেশে রাজ পরিবারের খাস মিষ্টি প্রস্তুত কারক ভৈরবচন্দ্র নাগ একদম নতুন দুটি মিষ্টি সীতাভোগ আর মিহিদানা তৈরি করেন। যার স্বাদ পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন বড়লাট-সহ সকল অতিথিরা।সীতাভোগ তৈরির প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়। তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে ওই মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সঙ্গে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনও কখনও কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। তবে সীতাভোগ নামটি নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব আছে পণ্ডিতমহলে। সুকুমার সেনের মতে, বানানটি হওয়া উচিত সিতাভোগ, সিতা অর্থে সাদা। আবার সিতা-র মানে মিছরিও হয়, তাই সাদা রঙের মিছরির মতন যে মিষ্টি বর্ধমান রাজবাড়ির হালুইকররা বানালেন, তার নাম হয়ে গেল সিতাভোগ।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Corona: পুজোর মুখে বাংলায় ফের বাড়বাড়ন্ত করোনার

পুজোর মুখে ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ। পর পর চারদিন সাতশোর উপরে একদিনের সংক্রমণ রয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুও দুই সংখ্যার নিচে নামেনি। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭০৮ জন। মৃত ১৩। এদিকে, পুজোয় সংক্রমণের রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জমায়েত এড়াতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বছরও গতবারের মতো পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি। এবারও পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এখানে সংক্রমিত হয়েছে ১৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনার নাম। এখানে একদিনে সংক্রমিত ১১৬ জন। মৃতের সংখ্যা এখানেও চার। একদিনের সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে হুগলি। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ জন। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার নাম। পুজোর মুখে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েই গিয়েছে। টিকাকরণ হলে বড় বিপদের ঝুঁকি কম ঠিকই। কিন্তু সংক্রমণ হবে না, এমন কথা কোনও বিশেষজ্ঞই দেননি। ফলে শিশু কিংবা যাঁদের বয়সটা অনেক বেশি বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের কাছে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ার কথা।গত চারদিনে সাতশোর নিচে নামেনি সংক্রমণ। নিঃসন্দেহে যা উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর একদিনে এ রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৭০৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। পরদিন অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৪৮-এ। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ৩০ সেপ্টেম্বর একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ৭৪৯ জন। মৃত্যু হয় ১৫ জনের।

অক্টোবর ০২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Durga Puja : মন্ডপে মন্ডপে মাইকে বাজবে গান,ফিরছে নতুন পুজোর গান

আবার পুজো মন্ডপে বাজবে পুজোর নতুন গান। সেই ফেলে আসা হেমন্ত- মান্না- শ্যামল- কিশোর যুগ পেরিয়ে অমিত-শানু-নচিকেতা-অঞ্জন-শান-বাবুল হয়ে এখন পুজোয় নতুন গান প্রকাশ পেলেও পুজো মন্ডপে সে গান আর বাজতে শোনা যায়না। চারিদিকে থিমের পুজো, তাই থিম হিসেবেই সুরে, সুরে আবহ নির্মান করা হয়।নতুন বাংলা গান সেখানে অচল। রেডিওতেও তেমন চল নেই নতুন বাংলা আধুনিক গান বাজানোর। তাই শিল্পী গান করেন নিজের গরজেই।শোনার তেমন সুযোগ নেই,মাধ্যম নেই। এবার ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেট নিয়ে আসছে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য এবং ঝুমকি সেনের পুজোর নতুন গান যা আবার শোনা যাবে শহরের কুড়িটা বড় দুর্গা পুজোয়।এবার পুজোর নতুন গান বাজবে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যেমন নলিন সরকার সার্বজনীন, নবীন সংঘ,হাতিবাগান সার্বজনীন, নর্থ ত্রিধারা, যাদবপুর শ্যামাপল্লী এই রকম প্রায় কুড়িটি মণ্ডপে বাজবে এই নতুন গান। বাংলা গানের স্বর্ণযুগ না ফিরলেও এই উদ্যোগ স্মৃতিমেদুর করে তোলে বলা বাহুল্য।শিল্পী ঝুমকি সেন বললেন, খুব ভালো লাগছে আবার নতুন বাংলা আধুনিক গান পুজো মন্ডপে বাজবে শুনে।থিমের পুজোর চক্করে সব হারিয়ে যাচ্ছিল।মনোময় ভট্টাচার্য বললেন,মাইকে দূর থেকে গান ভেসে আসতো।সত্যি সেই দিন গুলো খুব মিস করি। পাড়ায়,পাড়ায় পুজোর জলসা,বিজয়া সম্মিলনী। সব মিলিয়ে সেই দিন গুলো পুজোর আবহকে আরো জীবন্ত করে তোলে।ভালো লাগছে জেনে আবার মাইকে বাংলা নতুন আধুনিক গান শুনতে পাওয়া যাবে।কল্যাণ সেন বরাট জানালেন, আমিও বাকিদের মতোই খবরটা পেয়ে বেশ খুশি। মানুষ নতুন বাংলা গান শুনুক এটাই একমাত্র কামনা।এই শিল্পকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হব। সেক্ষেত্রে ড্যাফোডিলের রূদ্র সেনের এই পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ সাধুবাদ প্রাপ্য।পুজোয় নতুন যে গান দুটো প্রকাশ পেল- তুমি কিছু স্বপ্ন দেখো ( ঝুমকী সেন ),চঞ্চলো হলো মন ( মনোময় ভট্টাচার্য ও ঝুমকী সেন )। দুটো গান লিখেছেন শুভ দাশগুপ্ত ও সংগীত পরিচালনা করেছেন কল্যাণ সেন বরাট। গান দুটি ডিজিটালি মুক্তি পেল।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Bhowanipore 75 Pally : ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর খুঁটিপুজো

দুর্গাপুজোর আগমনীর বাঁশি বাজতে শুরু করেছে। তবে করোনার মধ্যে যেহেতু আমরা পুজো উপভোগ করবো তাই সেই জৌলুসটা কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে। তবে তার মধ্যেও বিভিন্ন ক্লাব তাদের খুঁটিপুজোর কাজ সেরে ফেলছে। সেরকমই খুটিপুজো হয়ে গেল ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর। এদিন উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সমাজকর্মী কার্তিক ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে। এবারের ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করছে।আরও পড়ুনঃ ওয়েব সিরিজে আত্মপ্রকাশ রণিতারক্লাবের সেক্রেটারি সুবীর দাস জানালেন,বিগত বছরগুলোতে বড় সাফল্য পাওয়া এবং অনেক অ্যাওয়ার্ড জিতলেও এইবছর সম্পূর্ণ আলাদা। করোনার মধ্যে এবারের পুজোটা হচ্ছে। তাই অনেক কিছু মাথায় রাখতে হচ্ছে। তবে আমি আশাবাদী এবারের পুজোর সময় করোনার প্রকোপটা কিছুটা হলেও কম থাকবে। সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন পরিবারের সকলকে নিয়ে আমাদের এবারের পুজো দেখতে আসেন।আরও পড়ুনঃ মুক্তি পেল খেলা শুরু জনতার কথার মুখোমুখি পরিচালকদুর্গাপুজো ছাড়াও এই ক্লাব প্রতি বছর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, চক্ষুদান ও দেহদান শিবির, দুঃস্থ মহিলাদের নতুন শাড়ি ও পোশাক দেওয়া, বাচ্চাদের হাতে পড়াশোনার কিছু সামগ্রী তুলে দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়া শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে অনেক দুঃস্থদের নতুন চাদরও দেওয়া হয়। এবারেও এরকম কিছু ভাবনা রয়েছে তাদের।

আগস্ট ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Khuti Puja: সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের দুর্গাপুজো এবার ৭২ তম বর্ষে, হয়ে গেল খুঁটিপুজো

বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের খুটিপুজো হয়ে গেল। সমগ্র পরিকল্পনা ও রুপায়ণে অসীম পাল ও দেবজিত চক্রবর্তী। এবারের পুজো ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করল। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কিছু মানুষ।আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতারসন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সহ-সম্পাদক সৌভিক ভট্টাচার্য তাদের এবারের পুজো প্রসঙ্গে জানালেন,আজকে আমরা খুঁটিপুজোর মাধ্যমে ৭২ তম বর্ষে একধাপ এগিয়ে গেলাম। এবছর আমাদের ভাবনা ও চিন্তাধারা সবকিছুই থাকবে স্বল্পব্যয়ে যাতে খুব সুন্দর এক শিল্প দর্শকদের জন্য তুলে ধরতে পারি। বিগত বছরের মতো এবারেও করোনার প্রকোপ। তাছাড়া ইয়াসের প্রকোপ তো বটেই।আরও পড়ুনঃ এরোটিক ভিডিয়ো মানে পর্ন নয় : শিল্পা শেট্টিসবমিলিয়ে ২০২০র পর থেকে আমরা ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। তো সেইসব দিক চিন্তাভাবনা করেই আমরা যাতে স্বল্পব্যায়ে ভালো একটা কাজ উপস্থাপন করতে পারি সেই চিন্তাতেই এগোচ্ছি। এর সঙ্গে তিনি আরও জানান,আমাদের পুজোর সময় চিন্তা-ভাবনা রয়েছে দুঃস্থ ব্যক্তিদের বস্ত্র বিতরণ করা এবং সামনেই আগস্ট মাসে একটা রক্তদান উতসবেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আপনারা সকলেই পাশে থাকবেন। সাথে থাকবেন। আপনাদের শুভ হোক।

জুলাই ২৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Sudipa Chattopadhyay : রথের দিনেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু সুদীপার

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজো। এবারের পুজো আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। গত বছরের মতো এই বছরের পরিস্থিতিও বিশেষ ভাল নয়। করোনার প্রকোপের জন্য সাধারণ মানুষদের নিজেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাড়িতেই থাকতে হতে পারে।আরও পড়ুনঃ সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক ফাইনাল, অভিনয়ে বলিউড তারকাতবে এর মধ্যেই সুদীপা চট্টোপাধ্যায় পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন নিয়ম নীতি মেনে। পরিচালক তথা প্রযোজক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সঞ্চালিকা তথা চিত্রনাট্যকার সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে পুজোর কোনও একটা দিন হাজির হন বহু নামজাদা ব্যক্তিত্বরা। যদিও ছবিটা আলাদা ছিল গত বছর। এ বছরও হয়তো সম্ভব হবে না সাধারণের জন্য ব্যবস্থা করা।আরও পড়ুনঃ বাড়িতে জগন্নাথ বন্দনা করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকিন্তু এই পারিবারিক পুজোর কাঠামো পুজো হয় রথের দিন। সেই কাঠামো পুজো সেরে ফেললেন দম্পতি শিল্পী। সঙ্গে ছিল তাদের পুত্র আদিদেব চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঠামো পুজোর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন সুদীপা। আর তার সঙ্গে লিখেছেন, দুগ্গা দুগ্গা বলে, শুরু হয়ে গেল বাঙালির সবচেয়ে বড় উত্সবের সূচনা। দুর্গা পুজোর কাঠামো পুজো হয়ে গেল আজ- কুমারটুলিতে, পশুপতি রুদ্র পালের ওয়ার্কশপে। সাদা, লালের ছোঁয়া ছিল সুদীপা, অগ্নিদেব এবং আদিদেবের পোশাকে। সকলে পোশাক পরেছিলেন একই কম্বিনেশনে। উল্লেখ্য, একটি গয়নার ভিডিও শেয়ার করেছেন সুদীপা দিন কয়েক আগে। সঙ্গে লিখেছেন, ব্র্যান্ড সুদীপা চ্যাটার্জী আসছে। খুব তাড়াতাড়ি আসছে। গয়না, হ্যান্ডলুম শাড়ি আরও অনেক কিছু আসছে, পুজোর আগেই আসছে। আপনাদের আশীর্বাদ চাই। তিনি জানিয়েছেন তাঁর নতুন সম্ভার সাজাবেন ভারতীয় গয়না, পোলকি, বেনারসি সিল্ক শাড়ি, বাংলার জামদানি, বাংলার তাঁত, ধুতি পাঞ্জাবি, তসরের মতো অনেক কিছু দিয়ে।

জুলাই ১৩, ২০২১
উৎসব

কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে মা দুর্গাকে গান স্যালুট দিয়ে বিদায়

কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে তিনশ বছরের অধিক সময় ধরে মায়ের আরাধনা হয়ে আসছে ৷ এই পুজোর বিশেষত্ব হল , গান স্যালুট দিয়ে দশমীতে মাকে বিদায় জানানো হয়৷ বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলা শেষে মায়ের ঘট বিসর্জন সেরে গান স্যালুটে দেবীকে বিদায় জানায় রায় পরিবারের সদস্যরা ৷ যেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। আরও পড়ুনঃ আজ দশমী , আড়ম্বরহীনভাবেই চলছে বিসর্জনের প্রস্তুতি এই বিষয়ে রায় পরিবারের তরফ থেকে বাচ্চু রায় জানিয়েছেন, ক্ষত্রিয় পরিবার হিসাবে তাদের পুজোর এই রীতি বংশ পরম্পরায় চলে আসছে ৷ একইসঙ্গে পরিবারের মহিলাদেরও ছোট থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ তাই তারাও দেবীকে বিদায় জানাতে এই রীতিতে অংশগ্রহণ করেন ৷ এদিন কুলটির বেলরুই গ্রামে রায় পরিবারের দেবীকে বিদায় জানানোর সময় গান স্যালুটের অনুষ্ঠান দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করে।

অক্টোবর ২৬, ২০২০
উৎসব

ফুল ছাড়াই বহু মণ্ডপে অঞ্জলি বাঙালির

করোনা সংক্রমণের কারণে ব্যতিক্রমীই হয়ে থাকল এবছরের অষ্টমী। শহরের বড় পুজো গুলি এবার ফুল ছাড়াই, শুধুমাত্র মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অঞ্জলির ব্যবস্থা করেছিল। বাড়িতে বসে টিভিতে দেখে, বা পুজো মণ্ডপগুলিতে বসানো জায়ান্ট স্ক্রিনে অঞ্জলিপর্ব দেখে মনে মনে এদিন দূর থেকে বা বাড়িতে বসেই মাকে অঞ্জলি দিয়েছেন অধিকাংশ বাঙালি। তবে বিভিন্ন পাড়ার কিছু কিছু ছোট পুজোতে এবার ১৫-২০ জন করে ছোট ছোট দলে ভাগে করে, কয়েকদফায় অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার হাতে সেখানেই লাইন দিয়ে অঞ্জলি দিতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। অনেক পুজো মণ্ডপেই দেখা যায়, বাড়ি থেকে যে যার মতো করে ফুল নিয়ে গিয়ে তা নিবেদন করছেন দেবী উদ্দেশে। অন্যান্যবারের মতো পুজো উদ্যোক্তারা এবার আর ফুল বিতরণ করেননি। আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠীর সকাল থেকে নিম্নচাপের জের , শুরু বৃষ্টি অন্যদিকে, দর্শক শূন্য বেলুড় মঠে মন্দিরের পশ্চিম দিকের বারান্দায় কুমারী পুজো অনুষ্ঠি্ত হয় । এবার কুমারী পুজোতেও রয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ। প্রতিবার কুমারীকে সন্নাসীরাই কোলে করে নিয়ে এসে মা দুর্গার মূর্তির পদতলে বসানো হয়, কিন্তু এবার কুমারীকে স্পর্শ করবে না কোনও সন্নাসী মহারাজরা। কুমারীর পরিবারের লোকেরাই নিয়ে এসেছেন কুমারীকে।

অক্টোবর ২৪, ২০২০
উৎসব

হাইকোর্টের রায় ও বৃষ্টির জের , পুজোর ষষ্ঠীতে চেনা ভিড় উধাও

রাস্তাঘাটের ষষ্ঠীর সকালের সেই পরিচিত দৃশ্য উধাও। পুজো হচ্ছে , কিন্তু রাস্তায় লো্ক নেই। শুধু পাড়ায় নয়, শহর কলকাতার হেভিওয়েট পুজোগুলিতে উধাও চিরচেনা ভিড়। বোধনে কার্যত শুনশান মণ্ডপ। উধাও ভিড়। যে গুটিকয়েক মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন, তাঁরাও নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কারণ, হাইকোর্টের রায় মেনে কাউকে পুজো মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দর্শকদের আটকাতে বসেছে পুলিশের ব্যারিকেড। ঝুলছে নো-এন্ট্রি বোর্ড। এ অবস্থায় প্রতিমা দর্শন তো দূরের কথা, মণ্ডপের ধারেকাছে কেউ ঘেঁষতে পারছেন না। আরও পড়ুনঃ এপিজি মেমোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মোদি সকাল তো বটেও, সন্ধে পর্যন্ত পরিচিত ভিড় দেখা যায়নি চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙ্ঘ, বেহালা নতুন দল, নতুন সঙ্ঘ, এসবি পার্ক সর্বজনীনের মতো পুজো মণ্ডপে। অবশ্য করোনা পাশাপাশি মানুষকে এদিন ঘরবন্দি রেখেছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের কারণে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে অনেকেই মণ্ডপমুখী হয়নি। অবশ্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভিড় এড়াতে বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তারা বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও কোভিড বিধি মেনে স্যানিটাইজেশন টানেল বসেছে বেশি কিছু পুজো মণ্ডপে।

অক্টোবর ২২, ২০২০
কলকাতা

একতার বার্তা দিয়ে ষষ্ঠীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রথমে আপনাদের সকলকে জানাই দুর্গাপুজো, কালীপূজো ও দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে সকলের মধ্যে আজ আমি আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলায় বিজেপির উদ্যোগে যে দুর্গাপুজো হচ্ছে ইজেডসিসিতে, সেই দুর্গাপুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পুজো পরিচালনা করছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। ষষ্ঠীর দিন দুপুর বারোটায় দিল্লি থেকে এই পুজো্র উদ্বোধন করেন। এদিন উদ্বোধনের আগে মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন বাবুল সুপ্রিয়। নৃ্ত্য পরিবেশন করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর সম্প্রদায়। তিনি আরও বলেন, আমি আজ দিল্লিতে নয়, মা দুর্গার শক্তি এবং বাংলার মানুষের ভক্তি দেখে আমার মনে হচ্ছে যে আমি বাংলার পুণ্যভূমিতেই যেন আছি। বাংলার লোক আমাকে আজ ডেকেছে তাঁদের মধ্যে। মা দুর্গার পর্ব সারাদেশের এক একতার ও পূর্ণতার পর্ব। বাংলার মানুষ বরাবরই বুদ্ধিজীবী এবং দেশকে গর্বিত করে তুলেছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে তারা ভারতকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে । বাংলার দুর্গাপুজো ভারতকে পূর্ণতা ও রঙে ভরিয়ে তোলে। বাংলার ঐতিহাসিক সম্পদ এই পুজো। ভারতমাতার যে ছবি আমরা দেখি তা এই বাংলারই ছেলে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা। বাংলার মধ্যে একটা তাগিদ আছে, বাঙালিদের উৎসাহ দেশকে প্রগতির রাস্তা দেখিয়েছে। আগামী দিনেও দেশের গর্ব বৃদ্ধি করবে বাংলার মানুষ। মোদি বলেন , বাংলায় মা দুর্গাকে ঘরে ঘরে কন্যারূপে পুজো করা হয়। সেই জন্য সব কন্যাকেই দুর্গার মত সম্মান প্রদান করা দরকার। মা দুর্গার মত সকল মা চায় যে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে আর এটা তখনই সম্ভব যখন সকল চাষী বন্ধুরা আত্মনির্ভর হবে। মা দূর্গা সকলের মধ্যেই লক্ষী রূপে বিরাজ করেন।তাই সকলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে, সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হবে। মা দুর্গা আর মা কালীর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমরা প্রতি বছর এই ভাবে মায়ের পূজা আর সেবা করে যেতে পারি। মায়ের দেওয়া মাথায় কাপড় তুলে নেরে ভাই- স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবীদের একত্রিত করেছিল। আমাদেরও একত্রিত হয়ে থাকতে হবে। আরও পড়ুনঃ ছাড়লেন এনডিএ , একুশে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট ময়দানে বিমল গুরুং তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে্র কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য, সংযোগ স্থাপনের উন্নতির জন্য লাগাতার কাজ করা হচ্ছে। কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর প্রকল্পের জন্যও সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। দেশের ২২ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ১২ সপ্তাহ থেকে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। বেটি বাচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাংলায় কী কী কাজ হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও দেন তিনি। করোনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে দুর্গাপুজো হচ্ছে। সকলে সংযতভাবেই পালন করছে। এটাই তো উচিত। আয়োজন সীমিত হোক, কিন্তু উৎসব অসীম। এটাই তো বাংলার পরিচয়, বাংলার চেতনা। এটাই আসল বাংলা। তবে আপনাদের সকলকে অনুরোধ আপনারা মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম পালন করুন নিষ্ঠা রেখেই।

অক্টোবর ২২, ২০২০
রাজ্য

পুজোয় বাংলা গান বাজানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি বাংলাপক্ষের

সামনেই পুজো। তার আগে পুজো প্যান্ডেলে বাংলা গান বাজানো এবং বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার আবেদন জানিয়ে বাংলার নানা পুজো কমিটি ও ক্লাবকে আবেদন জানাচ্ছে বাংলা পক্ষ। আরও পড়ুনঃ নেতাইয়ের সঙ্গে আছি, থাকবঃ শুভেন্দু শিলিগুড়ি বাংলাপক্ষের তরফ থেকে সম্পাদক রাজাদিত্য সরকার শিলিগুড়ির প্রতিটা ক্লাবে দুর্গা পুজোয় বাংলা গান বাজানো ও বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাংলাপক্ষের তরফ থেকে কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, আগামীদিনে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই বাংলা গান বাজানো এবং বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার আবেদন জানানো হবে।

অক্টোবর ১৯, ২০২০
কলকাতা

পুরোহিতদের জন্য বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, পুজো নিয়েও দিলেন স্পষ্ট ইঙ্গিত

সনাতনী ধর্মের তীর্থস্থান হবে কোলাঘাটে। এ জন্য ১ টাকায় জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আমার কাছে সনাতনী হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, সনাতন ধর্মের অনেক ব্রাহ্মণ পুরোহিত আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছেন। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ৮ হাজার দরিদ্র পুরোহিতকে পুজোর মাস থেকে ১ হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে। বাড়ি যাঁদের নেই, তাঁদের আবাস যোজনায় বাড়ি করে দেওয়া হবে। এটাকে কেউ অন্যভাবে দেখবেন না। ওয়াকফ বোর্ড তাঁদের তহবিল থেকে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের ভাতা দেয়। আমার কাছে সব ধর্ম সমান। কারও কোনও প্রয়োজন থাকলে সরকার পাশে থাকবে। সব ধর্মের মানুষজনকেই সাহায্য করতে প্রস্তুত সরকার। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, কালীঘাটে স্কাইওয়াক হচ্ছে। নবদ্বীপ, কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউন গড়ার কাজ চলছে। নবদ্বীপে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই পুজো নিয়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের প্রস্তাব জমা পড়েছে। ঠাকুরের জায়গাটুকু ঘুরে প্যান্ডেল খোলা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে হাওয়া চলাচল করে। প্যান্ডেলে কীভাবে, কত মানুষ ঢুকবেন, কীভাবে অঞ্জলি হবে তা পরে ঠিক করা হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন করোনা চলে গেছে, মিটিং মিছিল করব। এরা কোনও নিয়ম মানছে না! ছাই থেকেও আগুন জ্বলে উঠে সব শেষ করে দেয়। করোনা সংক্মণেরর দ্বিতীয় ঢেউ এলে যাতে সামলানো যায় সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। হিন্দি দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০১১ সালে রাজ্য সরকার হিন্দি আকাদেমি গঠন করেছিল। এখন তার কাজ ব্যাপকভাবে করতে হবে। তাই বিবেক গুপ্তার নেতৃত্বে হিন্দি আকাদেমি পুনর্গঠন করা হলো। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, কিন্তু আমরা কোনও ভাষাকেই অবজ্ঞা করি না। দলিত সাহিত্য আকাদেমি গঠনের কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

পুজোর আগেই বাঙালির রসনাতৃপ্তি, হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। পুজো উপলক্ষে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে এলো বাংলাদেশের ইলিশ। বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা দরে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই ইলিশ মাছ কিনতে ভিড় খুচরো ব্যাবসায়ীদের। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর মোট ২০ মেট্রিক টন মাছ এসেছে বাজারে। রাজ্যের ইলিশ আমদানিকারী সংস্থা ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মুকসুদ বলেন, পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসেছে। এই ভালো লাগার আনন্দের কোনও সীমা নেই। কারণ সকলেই জানি যে, এপার বাংলার মানুষ ওপারের পদ্মার ইলিশের জন্য কতটা উদগ্রীব। আমরা গত ২০১২ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি যাতে বাংলাদেশ রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু যাই হোক গত বছর পুজো উপলক্ষে তাঁরা আমাদের ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ দিয়েছিলেন। আর এই বছর ওনারা পুজো উপলক্ষে আমাদের ১৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ দিচ্ছেন। এটা অনেক বড়ো আনন্দের।মানুষ যে ইলিশ মাছ কিনতে কতটা পাগল সেটা আজকে বাজারে মানুষের ভিড় ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমরা আশা করছি হয়তো বাংলাদেশ সরকার বাঙালির এই উৎসাহ দেখে ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবে। সোমবার ২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ এসেছে। আজকে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আসবে। এরপর যে রকম আমদানি হবে মাছ আসতে থাকবে। প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আসবে। বিভিন্ন সাইজের ইলিশের বিভিন্ন দাম রয়েছে। ৫০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত সাইজের ইলিশ আছে। মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত। অকশন হচ্ছে। এর কোনও ফিক্সড রেট নেই। যা আসবে এই বাজারে সামনেই বিক্রি হবে। আমরা সফল যে আমাদের রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, বাংলাদেশ সরকার সবাই এগিয়ে এসেছেন। আমাদের চেষ্টা সার্থক হলো। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকেছে পদ্মার ইলিশ। আজ মঙ্গলবার থেকেই বাজারে সেই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। হাওড়ার বাজারে ইলিশ কিনতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। একটি ইলিশ মাছ কিনে খুশি বীণা মন্ডল বলেন, এমন ভালো ইলিশ মাছ কিনে খুব আনন্দ হয়েছে। প্রত্যেক বছর যেন এমন মাছ পাই। বাঙালি ইলিশ মাছ খেতে খুব ভালোবাসে। পুজোর আগে ইলিশ পেলাম সেটাই বেশি আনন্দের।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal