• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Drama

রাজ্য

সরকারি উদ্যোগে বর্ধমানে শুরু 'সাঁওতালি' ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা

দেশের বৃহত্তম ভাষার অন্যতম বাংলা ভাষা যখন ইংরাজি ও হিন্দির চাপে এক সন্মিলিত ভাষায় পরিণত হওয়ার প্রহর গুনছে, ঠিক সেই সময় সাঁওতালি ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সত্যিই প্রশংসনীয়। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগর উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান শহরের অদূরে দেওয়ানদিঘী প্রীতিলতা মঞ্চে মহাসমারোহে শুরু হল তিনদিন ব্যাপী ৩০তম আদিভাষায় জেলা ও আঞ্চলিক স্তরের আদিবাসী একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। বুধবার দেওয়ানদিঘীর প্রীতিলতা মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহকারি সভাধিপতি গার্গী নাহা, ও কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি। উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস), সদর উত্তর মহুকুমাশাসক তির্থঙ্কর বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক রজনীশ কুমার যাদব সহ আরও বিশিষ্ট মানুষজন।এই সুবিশাল কর্মকান্ডের প্রধান উদ্যোগী পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেনী উন্নয়ন দপ্তর। ওই দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল সকলকে অবাক করে দিয়ে তাঁর স্বাগত ভাষণ শুরু করেন অলচিকী ভাষায়। কোনওরকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই অনর্গল ভাবে সাঁওতালি ভাষায় তাঁর বক্তব্য এই অনুষ্ঠানে পরম প্রাপ্তি। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে সকলকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই ভাষার প্রচার প্রসার করার শুভ উদ্যোগের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান।অথিতিবর্গের সকলেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। মাতৃভাষার রক্ষণাবেক্ষণে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে, জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের মেন্টর মহঃ ইসমাইল। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল জানান, প্রীতিলতা মঞ্চ, দেওয়ানদীঘিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের জেলা পর্যায়ের এবং শুক্রবার জোনাল লেভেল একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা (সাঁওতালি ভাষা) অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জনতার কথা মাধ্যমে সকল নাট্যপ্রেমী মানুষজনকে নাটকের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
নিবন্ধ

'পাখি' র, সাধ অনেক। সাধ্য অল্প। তবুও আয়োজন ছিল। যা 'না বললেই নয়"

না, পাখি-তে ফাঁকি নেই। ঠাস বুনন। সমকালীন জীবনকে তুলে ধরাই নাটকের ধর্ম। সময় তাই নাটকের প্রাণ ভোমরা। তাই মনোজ মিত্রের পাখিকে জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে আজ থেকে প্রায় ৪৮ বছর আগে। নকশাল আন্দোলন এর অন্তিম পর্বে। কলকাতায় নুতন সরকার। গড়ের মাঠে পেলেকে রুখে দিচ্ছে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সবুজ মেরুন বাহিনী। অন্যদিকে একে একে বন্ধ হচ্ছে শিল্প কারখানা। হারিয়ে যাচ্ছে তরুণের স্বপ্ন। উচ্চবিত্ত হচ্ছে মধ্যবিত্ত। মধ্য নিম্ন। সমাধি হচ্ছে স্বপ্নের।মনোজ মিত্রের পাখি নাটকে নীতিশ স্বপ্ন সমাধি। একদল অর্থপুষ্ট বন্ধুর সেলসম্যান সাথি। ফেরি করে। অন্যের বাড়িতে পৌঁছে দেয় হেরিকেন। তাদের বাড়িতে আলো জ্বলে। কিন্তু নিজের বাড়িতেই ঘোর অন্ধকার। স্বপ্ন বড় নয়। তবুও সমাজের চোখে তা দুঃস্বপ্ন। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় বড়লোক বন্ধুদের খাওয়ানোর দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা। দশম বিবাহ বার্ষিকীতে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার প্রচেষ্টা। অন্যদিকে কষ্টিপাথরে যাচাই করা যোগ্য সহধর্মিনী বিলাসিতাই ভাবে নীতু র স্বপ্নকে। নুন আনতে পান্তা পুরানো সংসারের ঘানি টানতে টানতে স্বপ্নই শেষ হয়ে গেছে তার জীবনে। কঠিন বাস্তবতার মোড়কে তার জীবন দর্শন। অর্থহীনরা প্রসব করে অর্থহীন স্বপ্ন। আবিষ্কার করতে হয় আত্মসম্মানকে বাঁচিয়ে রাখার নবনব কৌশল। তবুও স্বামীর পাশে। ভালোবেসে।নীতুর সাধ অনেক। সাধ্য অল্প। তবুও আয়োজন ছিল। ছিল হৃদয়বান মাসতুতো ভাইয়ের সাহচর্য, উষ্ণ উপস্থিতি। কিন্তু বাধ সাধলো একটা চিঠি। বড়লোক বন্ধুদের করুণা মাখা একটি ছোট্ট চিঠি। নিমন্ত্রণের ইচ্ছে প্রকাশই যথেষ্ট। আয়োজন বিলাসিতা। বেমানান। ব্যর্থ উপার্জনের সঙ্গে সঙ্গতে। গরিবির নির্মমতায় নিষ্পেষিত নীতু।স্বপ্নের সমাধিতে দিশেহারা নীতুর একমাত্র অবলম্বন শ্যামা। ভালোবাসাই সমাধান। নিজেদের পর্ণ কুঠিরে দুজনে খুঁজে পায় দুজনকে। মেতে উঠে ভালোবাসার আলিঙ্গনে। সোহাগে সান্ত্বনায় উপভোগ করে পূর্ণতা প্রাপ্তির আনন্দ।গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বর্ধমান অনীকের সৌজন্যে সংস্কৃতি লোক মঞ্চে ফিরে এলো ১৯৭৭ সাল। শিল্প হারা রাজ্যের ঝরাজীর্ণ অর্থনীতির শিকার নীতু র চরিত্রে শিক্ষক ডক্টর দিলীপ বিশ্বাসের অসাধারণ উপস্থাপনায়। কখনো স্বপ্ন, কখনো সমাধি। কখনো আবেগময়, কখনো আবেগহীন। পরিশেষে বাস্তবতায় আত্মসমর্পণ। শ্যামার চরিত্রে সহধর্মিনী রুনু মুখোপাধ্যায়ের যোগ্য সঙ্গত। নিয়ন্ত্রিত আবেগ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে কঠিন বাস্তবের সম্মুখীন হওয়া একটি জীবনকে। যোগ্য কপতি। উকিলের চরিত্রে বাবলুদা এবং নিতুর ভাইয়ের চরিত্রে অনিমেষদার সাবলীল অভিনয়। টানটান নাটকে দর্শক মন্ডলী ক্ষণিকেই ফিরে গিয়েছিল ১৯৭৭ সালের কলকাতায়। শুনছিল সময়ের পদধ্বনি। আলোক-আবহ নিখুঁত এবং নিটোল! নেশা ছাপিয়ে যায় পেশা কে। তাই হয়তো অভিনয়ের গুণে বিভিন্ন পেশায় থাকা কুশীলবদের প্রত্যেকটি চরিত্র হয়ে উঠেছিল প্রাণশক্তিতে ভরপুর, জীবন্ত। সঠিকভাবেই আয়না ধরা হয়েছিল জীবনের প্রতি।অনন্তদেব গুহ, (শিক্ষক ও নাট্যপ্রেমী)

মার্চ ০৩, ২০২৪
নিবন্ধ

রাজ্য স্তরে সন্মানিত বর্ধমানের নাট্যদলের নাটক 'ভৌতিক'

নাটকে অবদানের জন্য বিভিন্ন বিভাগে নাট্য একাডেমির তরফে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য নাটকের শিরোপা পেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের ময়না অন্যভবনা নাট্য ও সংস্কৃত চর্চার প্রযোজনা ভৌতিক। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী পুরস্কার ২০২৪- সম্মানে ভূষিত হলো ময়না অন্যভাবনার শত-রজনী মঞ্চায়ন অতিক্রান্ত এই নাটক। ভৌতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু এবং নাটকটির নির্দেশনা দেন প্রখ্যাত নাট্যকার স্বরাজ ঘোষ। ভৌতিক নাটকটি-কে ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কলকাতার শিশির মঞ্চে সম্মানিত করা হলো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর সভাপতি, অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, নাট্য একাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ, সদস্য সচিব দেবকুমার হাজরা, পশ্চিমবঙ্গের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ ভৌমিক প্রমুখ। রাজধানী শহর দিল্লি সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় একাধিক বার এই নাটক মঞ্চস্থ ও সমাদৃত হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক মঞ্চেও পুরস্কৃত হয়েছে ভৌতিক নাটকটি।রেলপথে বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের নবগ্রাম স্টেশনের পাশে এক ছোট্ট গ্রামের নাট্য দল ময়না অন্য ভাবনা কয়েকদিন আগেই মহাসমারোহে শততম দিনের নাটক উপস্থাপনা করলো বর্ধমান শহরের সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। সেদিন তাঁদের প্রযোজনা সত্যিই মুগ্ধ করে দেয় উপস্থিত দর্শকদের। এক গা ছমছম মঞ্চ সজ্জা দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছিল হয়ত বা কোনও গায়ে কাঁটা দেওয়া ভুতের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হবে এদিনের নাটক।ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা স্বরাজ ঘোষের। এই নাটকের উৎস জানতে চাইলে, ভৌতিক নাটকের মূল চরিত্র ভুতের ভূমিকার অভিনেতা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা দূরদর্শনে একটি নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা প্রথম স্থান লাভ করেন। গ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ ছেলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সেই প্রতিযোগিতার বিচারক সৌমিত্র বসু তাঁদের তাঁর লেখা ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য দেন।তাঁদের দলের প্রান ভোমরা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ২০১৭ সালে ময়না অন্য ভাবনা সৃষ্টি হয়। অনেকের আমাদের কাছে দাবী ছিল করলে ভালো কিছু কর, নাহলে বন্ধ করে দাও। সেই ভালো করে করার জেদ থেকেই অন্য ভাবনার যাত্রা শুরু। তিনি জানান ভৌতিক ছাড়াও তাঁদের এই মুহুর্তে তিনটি নাটক চলছে, যথাক্রমে প্রতিঘাত, আযান্ত্রিক, ও কর্মফল। তিনি জানান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলা সহ রাজধানী শহর দিল্লীতেও ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। তিনি আরও জানান, নাটককে ভালোবেসে আমরা নাটক করি। নাটক থেকে কোনও আয় আমরা করিনা। আমদের প্রত্যকেই কিছু না কিছু কাজ করি, সেখান থেকে সময় বার করেই আমাদের নাট্য চর্চা।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
নিবন্ধ

ভাবনায় অন্য মাত্রা যোগ করে ১০০ রজনী অতিক্রান্ত করল 'অন্য ভাবনা'-র 'ভৌতিক'

২০২৪-এ বছরের প্রথম দিনটা শুরু হলো একেবারে ভৌতিক ভাবে। জোড়া নাটকের মুর্ছনায় মেতে উঠলো শহর বর্ধমান। ১লা জানুয়ারি ইংরাজি নববর্ষের প্রথম দিনে যখন একদল মানুষ হুল্লোর করে পিকিনিক-এ ব্যস্ত ঠিক সেই দিন ভরসন্ধ্যায় শহরের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্তরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে অয়োজিত হল এই জোড়া নাটক। নাট্য পিপাসু বর্ধমান-বাসীর উপস্থিতিতে সংস্কৃতি লোকমঞ্চ আক্ষরিক অর্থেই হাউসফুল ছিল।প্রথম নাটকটি ছিল তিমিরবরণ রায় রচিত এবং প্রিয়তোষ রায় নির্দেশিত মনসামঙ্গল কাব্যের আশ্রয় করে জীয়ন কন্যা। যাত্রা দলের নায়েব বা চাঁদসদাগর ও লখিন্দর চরিত্রের অভিনেতা দর্শক মনে দাগ কেটে যায়। হারমোনিয়াম ও বাংলা ঢোলের আবহে মঞ্চে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা যাত্রা-র আমেজ বেশ পাওয়া গেল। এই নাটকের এক অন্যতম আকর্ষন এর গান। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোক নাটকের সম্পদ মনসামঙ্গল। এদের আছে আলাদা পরিবেশন রীতি, আলাদা আঙ্গিক। যাতে গ্রামীণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা আর জীবনের ভাবচিন্তা পরিস্কার বোঝা যায়। ১লা জানুয়ারি ছিল তাঁদের ষষ্ট প্রযোজনা। তাঁদের মঞ্চাভিনয় দেখে কোন সময়েই মনে হয়নি তাঁরা মাত্র ছয়দিন এই নাটকটি মঞ্চস্থ করছেন।তাঁদের জীয়ন কন্যা নাটকটি যে বার্তা বহন করে তা আজকের দিনে খুব-ই প্রাসঙ্গিক। দেশ জুড়ে যখন ধর্ম নিয়ে রাজনিতীর হিড়িক, যখন মানুষকে তাঁর শিক্ষা দিয়ে বিচার না করে, ধর্মের শতাংশের নিরিখে বিবেচনা করা হয়, ঠিক সেই সময়ে এই ধরনের বার্তাবহনকারি নাটকের প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করার মত। এক নামকরা চিত্র সমলোচক একবার বলেছিলেন, যে স্লোগান দেওয়ালে লিখে বোঝানো যায় না তাঁর জন্য সিনেমা/নাটক করতে হয়। ঠিক সে রকমই এক বার্তা যুদ্ধ নয় শান্তি চায় বক্তব্য কে ফোটাতে সত্যজিৎ রায় সৃষ্টি করেন হীরক রাজার দেশ। এই নাটকের মাধ্যমে যাঁরা ধর্মের জিগিড় তুলে বিভেদের রাজনীতি করছেন তাঁদের মুখে বেহুলার চরিত্রে মুসলিম মহিলার অভিনয় যেন সজোরে থাপ্পড়।নাট্য সন্ধ্যার দ্বিতীয় উপস্থাপনা ছিল ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক। বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের নবগ্রাম স্টেশনের পাশে শহরতলীর এক ছোট্ট গ্রামের নাট্য দলের শততম দিনের প্রযোজনা দাগ কেটে গেল এদিনের উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে। এক গা ছমছম মঞ্চ সজ্জা দেখে প্রথমেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল হয়ত বা কোনও গায়ে কাঁটা দেওয়া ভুতের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হবে এদিনের নাটক।উপস্থিত দর্শককুলকে ভুল প্রমান করে একাধিক ভ্রান্তিময় বদ্ধমূল ভুল ধারনার গোড়ায় আঘাত করলো তাঁদের এই প্রযোজনা। এক গহন জঙ্গলে মাঝ রাত্রিতে আত্মহননে উদ্যত যুগলকে একটি ভুত যে অবচেতন মনের হদিস দিলেন তা সত্যিই সমাজের সামগ্রিক চেতনা ফেরাবার জন্য যথেষ্ট। নাটকের বেশ কয়েকটি সামজিক বার্তার মধ্যে অন্যতম কোনও কিছু হেলায় পেলে তাঁর মুল্য থাকেনা। নাটকের মাধ্যমে যা মূল বার্তাটি তারা দিতে চেয়েছেন, বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, মৃত্যুর অনেক রাস্তা আছে, আত্মহননের অর্থ হেরে যাওয়া।ময়না অন্য ভাবনার ভোতিক নাটকটি রচনা করেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা স্বরাজ ঘোষের। এই নাটকের মূল চরিত্র ভুতের ভূমিকার অভিনেতা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা দূরদর্শনে একটি নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা প্রথম স্থান লাভ করেন। গ্রাম থেকে আসা একদল তরুণ ছেলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সেই প্রতিযোগিতার বিচারক সৌমিত্র বসু তাঁদের তাঁর লেখা ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য দেন। বছরের প্রথম দিনে তাঁরা তাঁদের শততম রজনী বর্ধমান শহরে মঞ্চস্থ করলেন। সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ২০১৭ সালে ময়না অন্য ভাবনা সৃষ্টি হয়। অনেকের আমাদের কাছে দাবী ছিল করলে ভালো কিছু কর, নাহলে বন্ধ করে দাও। সেই ভালো করে করার জেদ থেকেই অন্য ভাবনার যাত্রা শুরু। তিনি জানান তাঁদের এই মুহুর্তে চারটি নাটক চলছে, যথাক্রমে প্রতিঘাত, আযান্ত্রিক, কর্মফল ও ভৌতিক। তিনি জানান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের সবকটি জেলা সহ রাজধানী শহর দিল্লীতেও ভৌতিক নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, তাঁদের নাটকটি এতটাই জনপ্রিয় এই মহুর্তে তা জানাতে তিনি বলেন জানুয়ারী মাসেই তাঁদের এখনও অবধি ১৫টি শো আছে। তিনি জানান, নাটককে ভালোবেসে আমরা নাটক করি। নাটক থেকে কোনও আয় আমরা করিনা। আমদের প্রত্যকেই কিছু না কিছু কাজ করি, সেখান থেকে সময় বার করেই আমাদের নাট্য চর্চা।প্রথম থেকে শেষ অবধি যে টানটান অভিনয় দেখা গেল তাতে এটুকু বোঝা গেল কেন তাঁরা এত দ্রুত শততম রজনী পার করলেন। আশা করাই যায় অতি দ্রুত তাঁরা সহস্র রজনীও অতিক্রম করবেন। নাটকের মূল চরিত্রাভিনেতা ভুত রূপী সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়-র অভিনয়ে দর্শককূল মুগ্ধ হয়ে যায়। সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন ভুত কে আমরা ভালোবাসি বলেই ভুতের গল্প পড়ি, আর সেই ভুতের গল্প বই বেস্ট সেলার হয়। আজকের নাটক দেখতে বসে দর্শকদের অভিব্যাক্তি দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা তাঁদের অজান্তে কখন যেন ভূতকে ভালোবেসে আপন করে ফেলেছেন।

জানুয়ারি ০২, ২০২৪
শিক্ষা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক নাটক প্রতিযোগিতায় জমজমাট বর্ধমান

মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতাকে আরও বাড়াতে, মানুষের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক আরও নিবিড় হওয়ার প্রয়োজন। শিক্ষাবস্থায় এই ধারনা মনের মধ্যে গেঁথে দেওয়ার আদর্শ সময়। বিজ্ঞানের সম্যক ধারণা অনেক ক্ষেত্রেই কুসংস্কার দূরীকরণে প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সেই উদ্দশ্যেই কেন্দ্র সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানের বর্ধমান সায়েন্স সেন্টারে এক সায়েন্স ড্রামা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।এই সায়েন্স ড্রামা প্রতিযোগিতায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা মিলিয়ে মোট আটটি দল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এই মূল বিষয়ে এবং পাঁচটি ভিন্ন উপবিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটে তাদের নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক নাটক মঞ্চস্থ করে। এই প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলাতে প্রথম স্থান দখল করে হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় মর্নিং এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়। হরিসভা স্কুল শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার পায়। কাঞ্চন নগর দীননাথ দাস শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করে।শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মান পেয়ে দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমেন লাহা জনতার কথা কে জানান, এই ধরণের মঞ্চে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের এটাই প্রথম প্রয়াস। তাদের এই সাফল্য স্বভাবতই আমাদের সকলকে অপরিসীম আনন্দ দিয়েছে। ওদের চমৎকার অভিনয় এই পুরস্কারের মূলে, যা ভবিষ্যতে নতুন নতুন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আরও উৎসাহ দেবে। তিনি আরও জানান, এই প্রতিযোগিতা থেকে তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার তিনি সমগ্র বিদ্যালয়কে উৎসর্গ করছেন। ঠাকুমার ভূমিকায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নবম শ্রেণির সরমা দাস জানায়, অভিনয়ের জন্য খুব ভাল সংলাপ তাকে সাহায্য করেছে। সৌমেন স্যারের নির্দেশনাতে সে উপকৃত হয়েছে।দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত এই সফল আয়োজনের জন্য বর্ধমান সায়েন্স সেন্টারের অধিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। বিদ্যালয় স্তরে বিজ্ঞান সচেতনতা ভবিষ্যৎ জীবনে একজন সতর্ক নাগরিক গড়ে তুলবে বলে তাঁর বিশ্বাস। এই ব্যতিক্রমী সাফল্যের জন্য নাটকের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যালয়ের সকলকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

গোবরডাঙ্গা য় চারদিনের গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্য উৎসব

গোবরডাঙ্গা রূপান্তর ৫০ বছরে পদার্পণ করলো। প্রতিবছরের মতন তাদের গোবরডাঙ্গা টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো চারদিনের নাট্য উৎসব। এই উৎসব উদ্বোধন করেন গোবর ডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপিতা শঙ্কর দত্ত।ছিলেন গোবরডাঙ্গা থানার ওসি অসীম পাল ও সমাজসেবী বাসুদেব কুন্ডু। এই বছর মুকুল বন্ধপাধ্যায় স্বৃতি সন্মান প্রদান করা হয় নাট্য পরিচালক শ্যামল চক্রবর্ত্তী কে। এই সন্মান তুলে দেন মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের প্রথমদিন মঞ্চস্থ হয় সুখেন্দু বেরা নির্দেশিত মহিসাদল সমকাল এর নাটক পড়শি বশত করে। হরপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত সৃষ্টি সালকিয়ার নাটক দন্ড পানির দন্ড এবং সব শেষে মঞ্চস্থ হয় রূপান্তর নাট্য দলের নাটক প্রতাপ সেন পরিচালিত নাটক সোনালী ভোরের স্বপ্ন। দ্বিতীয়দিন মঞ্চস্থ হয় অতনু পাল নির্দেশিত গোবরডাঙ্গা রূপান্তরের নাটক কণিষ্ক। এরপর মঞ্চস্থ হয় অশোকনগর অভিযাত্রী র নাটক ভূত ভগবান। নির্দেশনা দেবাশিস দত্ত। তৃতীয়দিন মঞ্চস্থ হয় কাকদ্বীপ নোনা থিয়েটার এর নাটক দংশন। পরিচালনা দেবাশিস মান্না। এর পর মঞ্চস্থ হয় গোবরডাঙ্গা রূপান্তরের নাটক আমি আগন্তুক। নির্দেশনা শ্যামল দত্ত। সব শেষে মঞ্চস্থ হয় কাবেরী মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত ফিনিক কাছড়াপাড়া র নাটক বন্ধনহীন গ্রন্থি। উৎসবের শেষদিন মঞ্চস্থ হয় শ্যামল চক্রবর্ত্তী নির্দেশিত রঙ্গলোক এর নাটক শেকল ছেড়া হাতের খোঁজে।এইদিন অভিনয় জীবনের ৫০ বছর উপলক্ষে আশিষ পাল, প্রতাপ সেন কে রূপান্তরের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সবমিলিয়ে মহা সারম্বরে উদযাপিত হলো গোবরডাঙ্গা রূপান্তরের নাট্য উৎসব।

জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধ-এর নতুন প্রযোজনা ‘মাস্টারদা: ১৯৩০’

স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামী মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতি নিবেদিত এক শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে দমদমের ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধ মঞ্চস্থ করল তাঁদের নতুন প্রযোজনা মাস্টারদা: ১৯৩০। নাটকটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন ড. দানী কর্মকার। কলকাতার মুক্তাঙ্গন মঞ্চে মঞ্চস্থ হল নাটকটি। মাস্টারদার জীবন ও দর্শনমগ্ন এক সমষ্টিজীবন এই নাট্য। এই নাটক এক বেদনাদায়ক এবং একই সাথে বিস্মৃত ইতিহাসের গৌরবময় পাঠে পরিণত হয়েছে। ডকু থিয়েটারের আঙ্গিকে মঞ্চের নির্ধারিত পরিসরেই উঠে এসেছে ঐতিহাসিক সেই সময়। অবিভক্ত বাংলার অজস্র বিপ্লবীদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবিস্মরণীয় আত্মবলিদানের এক রক্তাক্ত দলিল যেন এই নাটক। এ যেন সংলাপের মাধ্যমে এক অখন্ড জীবন-কথা। নাট্যকার সংলাপ, আবহে, অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চের পরিসরে ত্রিশের সেই ঐতিহাসিক যুগ রচনা করেছেন আশ্চর্য দক্ষতায়। ঐতিহাসিক হলেও এই নাটক সমকালীন চিরন্তন মহাকাব্য হয়ে উঠেছে। ত্রিশের দশকে ব্রিটিশ পরাধীনতার সেঁকল ছিঁড়তে বাংলার যে সমস্ত বিপ্লবী তরুণ তরুণী সংগ্রাম করেছেন তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টারদা। গান্ধীজীর অহিংস আন্দোলনের বিপরীতে চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মাস্টারদা। আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের দলের নাম রেখেছিলেন ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা। সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ও অবদানের পাশাপাশি এই নাটকে উল্লেখিত হয়েছে তৎকালীন ঐতিহাসিক ঘটনা ও মুহূর্ত। এ যেন অগ্নিযুগের বিপ্লবনাট্য।অতিমারি কাটিয়ে মাস্টারদার জীবন ও সাধনার সমস্ত তথ্য সাল-তারিখসহ ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের এই নাটকটি সত্যি অনবদ্য। মাস্টারদার চরিত্রে কাজল শম্ভুর চরিত্রায়ন প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়া কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চরিত্রে যথাক্রমে ঝুমা ঘোষ ও বর্ণালী কর্মকার নাটকে প্রাণ সঞ্চার করেছেন।নাটকের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিত সরকার, রাজদীপ সাহা, বিনায়ক কর্মকার, লোকনাথ দাস, ঈশান কর্মকারসহ এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। নাটকের আবহ ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ড. দানী কর্মকার। নাটকের বিশাল প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আবেগময় মুহূর্ত সৃষ্টিতে আবহ বিরাট ভূমিকা রেখেছে। মঞ্চে বিশাল রক্তাক্ত ক্যানভাস নাটকের বিষয়ভিত্তিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। আলো আঁধার ও যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন আলোক পরিকল্পক গোবিন্দ কর্মকার। এছাড়া রূপসজ্জায় ছিলেন সৌগত মিত্র, পোশাক ভাবনায় সীমা কর্মকার এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন বর্ণালী কর্মকার।

জুন ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বিভাব নাট্য একাডেমির নতুন নাটক

বিভাব নাট্য একাডেমি একাডেমি মঞ্চে এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে মঞ্চস্থ করলো মনোজ মিত্রের কালজয়ী নাটক সাজানো বাগান অবম্বনে বানছা। নাটকটি বানছার সুন্দর বাগানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে।তার বাগানের উপর গ্রামের জমিদার নকরির অনেকদিনের লোভ। কিন্তু সে অনেক চেষ্টা করেও বাগানের দখল নিতে পারেনা। অবশেষে সে তার সাথে চুক্তি করলো বানছা মারা যাবার পর বাগানের দখল সে পাবে বিনিময়ে তার সারাজীবনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব তিনি নেবেন। কিন্তু আস্তে আস্তে বানছা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে বাগানের দখল নেয়।একটা মঞ্চ সফল নাটক নুতন করে উপস্থাপন করা খুবই কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজকে সুচারুভাবে করেছেন বিপ্লব মুখার্জি। সম্পাদনা ও নির্দেশনার গুনে নাটকটি নুতন ভাবে দর্শকদের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে নান্টু পালের বানছা, নির্মল মৃধার মোক্তার, তারক দাসের ডাক্তার বেশ ভালো। নতুনরা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাদের আরো সাবলীল হতে হবে। সমীর সরকারের মঞ্চ ভাবনা একটা সময়কে ধরেছে যা নাটক উপযোগী। দেবাশিস চক্রবর্তীর আলো নাটকটি কে দর্শকদের দৃশ্যায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। রবিন দাসের আবহ নাটকটি কে আরো প্রাণবন্ত করেছে। সামান্য ত্রুটি গুলি শুধরে নিলে নাটকটি দর্শকের কাছে আরো গ্রহনযোগ্য হবে।

জুন ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ইউটিউবে দর্শকদের নাটক দেখাতে বিশেষ ভাবনা

নাটক দেখবো। কিন্তু তাও আবার ইউটিউবে? সেরকমই ভাবনা নিয়ে এসেছে ইউপিক্স কলকাতা। করোনা পরিস্থিতিতে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সেই ইউটিউব কে কাজে লাগিয়ে নাটকের ভাবনা নিয়েছে এই সংস্থা। তাদের এই ইউটিউব চ্যানেলের শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল যাদবপুরের ইন্দুমতি সভাগৃহ তে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ গাঙ্গুলি, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমি গাঙ্গুলি, অভিজিৎ সেন, রিপণ দাস সহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশে ইউটিউবের মাধ্যমে নাটককে তুলা ধরার বিষয়টা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের আদলেই নাটককে ইউটিউবের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার ভাবনা নিয়েছে ইউপিক্স কলকাতা। ইউপিক্স কলকাতা-র প্রতিষ্ঠাতা সানি মন্ডল জানিয়েছেন নবাগত চলচ্চিত্র পরিচালকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য এগিয়ে এসেছে ইউপিক্স কলকাতা। এদিন এই সংস্থার পক্ষ থেকে হ্যাপি বার্থডে, টোটাল সোশ্যাল, এবং দ্য ট্রিপ এই তিনটি ছোট নাটকের পোস্টার উন্মোচন করা হয়। চ্যানেলটি ৫ জুন ইউটিউবে লঞ্চ হবে। সেদিন হ্যাপি বার্থডে নাটকটি দেখতে পাবেন দর্শকরা।

মে ২৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জীবন অধিকারী র নির্দেশনায় নাটকে ভিন্নতা

গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের নতুন প্রযোজনা অথ বৃষ মঙ্গল কথা হাসির মোড়কে বর্তমান সময়ের একটি জীবন্ত দলিল। নাট্যকার কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের অসাধারণ লেখনীকে নির্দেশক জীবন অধিকারী হাস্যরসে মালাগেঁথে এই নাটকের প্রতিটি সংলাপ কে করে তুলেছেন জীবন্ত। মঞ্চ ব্যবহার চমকপ্রদ। প্রচলিত অর্থে সেটের ব্যবহার না করে এক ছক ভাঙা আঙ্গিকে নাটকটি উপস্থাপনা করে দর্শকগণকে আপ্লুত করেছেন জীবন অধিকারী।গৌতম সরকার এর আলোক ভাবনা বেশ রুচিশীল। আস্তিক মজুমদারের আবহ সংগীত এই নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পোষাক নির্মাণ করেছেন অনুতোষ ও মহিতোষ দত্ত। সৌরভ পালের পাপেট ও প্রিয়েন্দু শেখর দাসের মুকুট অসাধারণ। অভিনতা ও অভিনেত্রীদের কোনো প্রসংসাই যথেষ্ট নয়। একঝাঁক অভিনেতা ও অভিনেত্রী মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। দলগত অভিনয় এই নাটকের বড়ো সম্পদ। প্রদীপ কুমার সাহা, শ্রাবণী সাহা, অবিন দত্ত, অনিল কুমার মুখার্জি, স্বরূপ দেবনাথ, আল্পনা সরকার, রাখি বিশ্বাস, নিকিতা সরকার, অশোক বিশ্বাস, সুপর্ণা সাধুখাঁ, নবনীতা বিশ্বাস, সৌরজ্যোতি অধিকারী ও জীবন অধিকারী প্রত্যেকের সাবলীল অভিনয় এই নাটক কে একটি ছন্দে বেঁধে রেখেছে। আল্পনা সরকারের ডান্স কম্পোজিশন বেশ চমৎকার। সব মিলিয়ে একটা আধুনিক রুচিশীল নাটক উপহার দিলেন গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম। নির্দেশক জীবন অধিকারী বলেন যে, বর্তমান সময় আমরা হাসতে ভুলে যাচ্ছি, প্রতি মুহূর্ত যাপন করছি নানান মানসিক অবসাদে, তাই ধরণের একটি নাটক দর্শকশ্রোতা বন্ধুদের হয়তো একটু আনন্দ দেবে। নাচ, গান দিয়ে জমজমাট এই নাটকটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সালকিয়া সব্যসাচী থিয়েটার দলের নাট্য সেমিনার

বর্তমানে বিভিন্ন থিয়েটার দল থিয়েটার সেমিনারের আয়োজন করছে। থিয়েটার সেমিনারের মূল লক্ষ্য থিয়েটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেরকমই সালকিয়া সব্যসাচী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সন্ধ্যাবেলায় থিয়েটার সেমিনারের আয়োজন করে। সালকিয়া শিল্পাশ্রম স্কুলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সাতটি স্কুলের ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক ও বেতার শিল্পী মুরারী মুখোপাধ্যায়ের অসামান্য দক্ষতায় প্রায় দু-ঘন্টা ধরে বিশ্লেষণ করেন থিয়েটার নিয়ে আলোচনা করেন এর মধ্যে ছিল থিয়েটার কি? থিয়েটারের প্রয়োজনীয়তা কেন? মুরারী মুখোপাধ্যায় জানান বিদ্যালয় থেকেই শুরু হওয়া দরকার থিয়েটার শিক্ষা।এছাড়াও অভিজিৎ চ্যাটার্জী ও এই বিষয়ে আলোচনা করে। ছাত্রছাত্রীরা মুগ্ধ হয়ে এই থিয়েটার আলোচনা শুনে আপ্লুত হন। ছাত্রছাত্রীরাও প্রশ্নোত্তর পর্বেও যোগদান করে। শেষে তারা বলে এই প্রথম এমন একটি অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিল যেখানে তারা শিখলো যে পুঁথিগত বিদ্যা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতাই জীবনে সব নয়। এই থিয়েটার সেমিনার নিয়ে তারা জানল চরিত্র গঠন, মনের বিকাশ ও জ্ঞানের ভান্ডার একমাত্র থিয়েটারই বৃদ্ধি করতে পারে।

মে ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মিনার্ভা থিয়েটারে 'দেবীগর্জন' গর্জে উঠল

বিজন ভট্টাচার্যর কাছে নাটক শুধু একটা পারফরম্যান্স ছিল না। শিল্প বলতে তাঁর কাছে ছিল সমাজ বদলের হাতিয়ার। থিয়েটারকে বুঝতেন গণের নাটক। যা কেবল সাধারণ মানুষের ভাল-মন্দ-দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কথা বলবে না। নাটকের মধ্য দিয়ে মানুষও হয়ে উঠবেন সেই গল্পের এক একজন অংশ। দেবীগর্জন- বিজন ভট্টাচার্যের লেখা একটি অন্যতম নাটক। বীরভূমের সাঁওতাল কৃষকদের আন্দোলন অর্থাৎ দেবীগর্জন নাটক, উৎসর্গ করা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে, উনিশ বিশ শতক জুড়ে নীল- তেভাগা সহ সমস্ত কৃষক যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। এছাড়া দেবীগর্জন নাটকে দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হয়। বিজন ভট্টাচার্য জানান যে আদিবাসী সাঁওতালরা তাদের আরাধ্য হিসাবে কালী কে আরাধনা করেন, সেই মাতৃ শক্তির আবির্ভাবের কথা খেয়াল রেখেই নাটকে দেবীগর্জন নাম এবং প্রসঙ্গ এসেছে। কৃষক আন্দোলন নাটকে প্রেক্ষাপট হলেও দুটি প্রসঙ্গ নাটকে প্রধান- ধর্মগোলা ও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। নির্যাতিত নিপীড়িত সাঁওতাল আদিবাসী কৃষকদের জোতদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে এই দেবীগর্জন নাটকের মধ্য দিয়ে। জমিদার প্রথার বিলোপ হলেও মধ্যস্বত্বভোগী প্রভঞ্জন সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পঞ্চায়েতি প্রথাকে পিছনে রেখে কৃষকদের জমি নিজের দখলে করে নেন। এদিকে কৃষি ঋণ ও সুদ জোগাতে হত দরিদ্র আদিবাসী কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়। অবশেষে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তারা, নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়। তিন অঙ্কের এগারোটি গর্ভাঙ্কে দেবীগর্জন হয়ে উঠেছে স্বার্থক গণনাট্য। এখানে আমি রাজা আমারই নীতি ইটাই রাজনীতি প্রভঞ্জনের এই কথায় যেমন সমকালীন জোতদারের মুখোশ খুলে যায়, ধর্মগোলার মজুত ধানের বিতরণের দাবিতে চাষিদের সঙ্গে জোতদারের বিরোধ বাধে, তখন মংলার চেতনায় প্রশ্ন জাগে- কে রাজা, কার রাইজ্য ? এটাই গণনাট্যের মূল। নাটকের শেষে মংলার নেতৃত্বে জোটবদ্ধ ভুঁই চাষির দল পঞ্চায়েতি শাসন চালুর দাবি জানায়। সেই দাবির গর্জনই আসলে দেবীগর্জন। কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে নাট্যিক কোলকাতার এই দেবীগর্জন নাটকটি মঞ্চস্থ হল। নাটকটিতে সকলের পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। প্রতাপ কুমার মণ্ডল নাট্যিক কোলকাতা দলের কর্ণধার ও নির্দেশক। তিনি জানিয়েছেন, বিজন ভট্টাচার্য মহশয়ের নাট্য চিন্তা ভাবনা ও দর্শন এর জায়গা থেকে আমরা গত ছয় মাস ধরে এই নাটকের মহড়া দিচ্ছি, চেষ্টা করছি লেখকের মূল ভাবনা কে তুলে ধরার; প্রথম অভিনয়ের মঞ্চায়নের ভুলভ্রান্তি সব শুধরে আমরা শিঘ্রই মঞ্চে ফিরছি; এবং দেবীগর্জন নাটক বাংলা থিয়েটারে যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে, সেটা আমাদের বিশ্বাস। এই নাটকে সৃজিতা বান্টি ভদ্র নাটকের মূল কেন্দ্রে রত্না চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা থিয়েটারের প্রথম সারির অভিনেত্রী একজন সৃজিতা। তাঁর প্রথম নির্দেশনা দেবীগর্জন নাটকটি, তিনি যে মুন্সিয়ানার সঙ্গে অত্যন্ত নিপুণ ভাবে এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখে। এই নাটকে সৃজিতাঁর অভিনয় সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।এই নাটকে তিনি যুব সাউতাল মংলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজল শম্ভু। শম্পা দে এই নাটকে গীরি চরিত্রে যথেষ্ট প্রভাবশালী অভিনয় দেখিয়েছেন। শঙ্খ বরণ দাস ত্রিভুবনের চরিত্রে তিনি অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে চরিত্রের রূপ দিয়েছেন। সন্তু সাধু খাঁ নাটকের মূল নেগেটিভ চরিত্র প্রভঞ্জন যার জন্যই এই দেবীগর্জন, তিনি সকল সহশিল্পীদের সঙ্গে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।

মে ০৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

‘পুরাতন ভৃত্য" নাটক সকল দর্শকদের মুগ্ধ করেছে

রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্যের প্রতি একটি মমতা আছে--রাজা ও রাণী নাটকের শঙ্কর, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন গল্পের রাইচরণ ইত্যাদি তাহার প্রমাণ।এই কবিতায়-লেখা গল্পটির মধ্যে পুরাতন ভৃত্য কৃষ্ণকান্তের প্রতি প্রভুর কৃত্রিম-বিরক্তি-মিশ্রিত মমতার বর্ণনা এবং অনাড়ম্বর অথচ অব্যর্থ শব্দপ্রয়োগ লক্ষ্যযোগ্য। কথ্য ভাষায় অতিপরিচিত বিষয়ের বর্ণনা পাঠককে মুগ্ধ করে। সমস্ত কবিতাটি হাস্যরসে অভিসিক্ত করিয়া শেষের কলিতে করুণরসের অতর্কিত অকস্মাৎ অবতারণা, গল্পটিকে মর্মস্পর্শী করিয়াছে। দুইটি বিপরীত প্রকৃতির রসকে আশ্চর্য অপূর্বভাবে মিশ্রিত করা হইয়াছে এই কবিতায়।এই রকম একটি কবিতাকে যখন নাটকের আকারে মঞ্চে দেখি।বাস্তবিক বিস্ময়ে অভিভূত হই। চন্ডীতলা প্রম্পটার তাঁর ২৩ তম জন্মদিনের প্রাক্কালে একাডেমিতে পুরাতন ভৃত্য নাটকের চৌষট্টি তম মঞ্চায়ন দেখে দর্শকদের উচ্ছাস, আবেগ ও ঘন ঘন হাততালির বহরে নিজেও আপ্লুত হয়ে যাই। শোনা যায় ভানু চট্টোপাধ্যায় নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তথাপি নির্দেশক নিজের মুন্সিয়ানায়, সম্পাদনায় ও কেষ্ট চরিত্রের অভিনয়ের গুনে নাটক টির স্বার্থক রূপায়ন ঘটেছে। নাটকের প্রয়োজনে কয়েকটি চরিত্রের সৃষ্টি তা যে কতোটা দরকার ছিল সেটা বোঝা যায় টানটান উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর পর।কর্তা অরূপ চৌধুরী ও গিন্নী তমসা ঘোষ প্রথম থেকেই ক্লাইমেক্স টিকে হাসির মোড়কে বেঁধে রেখেছিলেন।বাড়ির দুই চাকর নিবারণ ও কেষ্ট। একজনের প্রতি ভালোবাসা আর একজনের প্রতি বিরক্তি সুলভ আচরণ।সৌমিত্র ঘোষ ও প্রদীপ রায় ওঁদের এতোটাই স্বাভাবিক মঞ্চে আধিপত্য বিস্তারের অভিব্যক্তি ঘটিয়েছেন এককথায় অনবদ্য। তবে পুন্ডরী ও অনুকূল চরিত্রে সুরজিৎ কোলে ও কৌশিক মাল নির্দেশকের কথা ষোলোআনাই মেনে চলেন তা তাঁদের অভিনয়ে বোঝা যায়। তবে কুসুম চরিত্রে সপ্তবর্ণা আলু নাটকটি কে যে ভাবে অভিনয় দিয়ে মূল বিষয় সম্পর্কে আমাদের সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঘাত হেনেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।ডাক্তার চরিত্রে অনিমেষ পাঁজার অভিনয় সাবলীল।অয়ন রায়ের আবহ, তন্ময় চক্রবর্তী র আলো আর চঞ্চল আচার্য্য র মঞ্চ নাটকের পূর্ণতা পায়। প্রদীপ রায় এর নির্দেশনায় এই নাটকটি সকল দর্শকদের মন জয় করেছে।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"তোতা কাহিনী" ছোটদের দুর্দান্ত অভিনয় সকল নাট্যমোদি দর্শকদের মন জয় করে নেবে

চণ্ডীতলা প্রম্পটারের আয়োজনে আকাডেমি মঞ্চে নতুন প্রযোজনা তোতা কাহিনী মঞ্চস্থ হলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প। নাট্যরূপ ,সম্পাদনা ও নির্দেশনায় প্রদীপ রায়। মূলত অন্তঃসারশূন্য বাহ্যিক আড়ম্বরপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার ফাঁদে পড়ে ছাত্রদের ভয়াবহ পরিণতি দেখানো হয়েছে এই নাটকে। ব্যাঙ্গাত্মক হাস্যরস দিয়ে তোতাকাহিনী নাটক টিকে প্রদীপ রায় মঞ্চস্ত করার প্রয়াস নিয়েছেন।সঙ্গে ভাবনা ও পরিকল্পনা রাকেশ ঘোষ, গানে অভিজিৎ আচার্য্য ও কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য্ ও কোরিওগ্রাফি প্রিয়াঙ্কা ঘোষ (রায়)। নাচে গানে অভিনয়ে জমজমাট। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই অভিনয়ে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। রাজা সম্প্রীতা চক্রবর্তী, ভাগিনা-আদিত্য রায়, সেনাপতি-নীলাদ্রি রায়, পুরহিতগন - দেবজ্যোতি রায়, সত্যম ঘোষ ও রিতম পান, লিপিকারগন-অন্বেষা মুখার্জী,সৌরিমা তপাদার ও স্নেহা ঘোষ, স্যাকরা- অরূপ চৌধুরী, কমার-অনিমেষ পাঁজা, কমার গিন্নী- সপ্তবর্ণা আলু, নিন্দুকগন- আরাত্রিকা চৌধুরী, সম্মৃদ্ধি চৌধুরী ও শ্রেয়শ্রী আচার্য্য তোতা-পিয়াসা ঘোষ, কতোয়াল ; অর্নব মুখোপাধ্যায়। আলো-তন্ময় চক্রবর্তী ও মঞ্চ- চঞ্চল আচার্য্য একশ শতাংশ সফল হয়েছে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"স্বীকারোক্তি " দুজনের অনবদ্য অভিনয় সকলের মন ভরাবে

সম্প্রতি গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের প্রযোজিত নাটক স্বীকারোক্তি মঞ্চস্থ হলো কলকাতার তৃপ্তি মিত্র সভা গৃহে। নাটক যখন মানুষের মূল্যবোধকে নাড়া দেয়, নাটক যখন মানুষের মানবিক চেতনাকে স্পর্শ করে তখনই সেই নাটক হয়ে ওঠে আমার আপনার জীবনের গল্প. ঠিক এই রকম একটা বিষয় নিয়ে গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম মঞ্চস্থ করলো তাঁদের নতুন নাটক স্বীকারোক্তি। সুব্রত সরকারের অসাধারণ লেখনীতে নির্দেশক জীবন অধিকারী বাস্তব রূপ দিয়েছেন। এই নাটকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল্পনা সরকার। তিনি যে একজন দক্ষ অভিনেত্রী, প্রমান করেছেন তার অভিনয়ে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ এর দক্ষ অভিনেত্রীর তালিকায় তার নাম নথিভুক্ত হলো। তার সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। নির্দেশক জীবন অধিকারী দর্শকদের সাথে গল্প বলতে বলতে কখন নাটক শুরু করে দিয়েছেন দর্শকগণ বুঝতেই পারেনি। নাটকের শেষে দর্শকদের অনুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় নির্দেশকের গল্পবলার ছন্দে। কিছূ সময়ের জন্যে দর্শকমন্ডলী পৌঁছে জান তাঁদের ফেলে আসা জীবনে। জীবন বাবু নাটকে বলেন স্বপ্ন ফেরি করাই হলো তার প্রধান কাজ। নাটকে ব্রেকট, স্থানীস্ল্যাভেসকি র রীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এখানেই এই নাটকের স্বার্থকতা। আলো করেছেন অবিন দত্ত, নাটকে বোঝাই যায়নি তার আলোর ব্যবহার দর্শকদের সাথে কখন কিভাবে মিশে গেছে। আবহ নির্মাণ করেছেন আস্তিক মজুমদার, এই নাটকে ভীষণ উপযোগী হয়ে উঠেছে তার আবহ সংগীত। সর্বোপরি এই নাটকের গল্প ও সাবলীল অভিনয় এতোই বুদ্ধিদীপ্ত সেখানে মঞ্চের ব্যবহার নিষ্প্রয়োজন। সেটা নির্দেশক জীবন বাবু অনুভব করেছেন। তিনি এই নাটকের সাথে তাল মিলিয়ে নন্দিতা বাগচীর বার্তাবহ গল্প কে শুনিপুন দক্ষতায় প্রয়গ করেছেন এই নাটকে।এখানেই এই নাটকের সার্থকতা। জীবন অধিকারী যে একজন দক্ষ অভিনেতা বারবার সেটা প্রমাণিত। নির্দেশক জীবন অধিকারী কে কুর্নিশ জানাই তার দক্ষ নির্দেশনার জন্যে। বাংলার সংস্কৃতি কে আরো একধাপ এগিয়ে রাখলেন তরুণ নির্দেশক জীবন অধিকারী।

এপ্রিল ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"খনন আদি" দুটি খুনের রহস্য ও আইনী জটিলতার লড়াই

বেলঘড়িয়া এথিকের নবতম প্রযোজনা খনন আদি অভিনীত হলো, গিরিশ মঞ্চে। নাটকটির বিষয় ভবনা ও নির্দেশনা, চরিত্র নির্মাণ ও সংলাপ- আলো- আবহ চতুষ্কোণে ২ ঘণ্টা চুম্বকের মত আকর্ষণ করে রাখে দর্শকদের, যার রেশ থেকে যায় শেষের পরেও।মূলত রহস্যের আঙ্গিকে উপস্থাপিত হলেও নাটকের শেষে রহস্য উন্মোচিত হয়না , থেকে যায় ওপেন এন্ডেড খুন হয়েছে, রথীন্দ্র প্রতাপ সিংহা,নিজের বেডরুমে।তিনি শহরের সবচেয়ে ক্ষমতা ও প্রভাবশালী ড্ন। তার প্রাসাদের নাম মহাকাব্য । তদন্তের দায়িত্ব পান শহরে নতুন পোস্টিং পাওয়া এ সি পি ইন্টেলিজেন্স সমুদ্র বর্মন। খুনের প্রধান সাসপেক্ট ব্যারিস্টার ঋষি সেন,তাকে রাখা হয় হাউস অ্যারেস্টে। কারণ ঠিক পঁচিশ বছর আগে তার একমাত্র মেয়ে ভূমিকা খুন হয়েছিল রথীন্দ্র প্রতাপের হাতে।কিন্তু মৃত্যুর অসংখ্য কারণ ছড়িয়ে চার পাশে, রথীন্দ্র এর তিন স্ত্রী,চার ছেলে,বিপুল সম্পত্তি এর মালিকানা, রিভাল গ্যাং, দক্ষিণের বিজনেস এক্সটেনশনএবং তিনি খুন হন, নিজের সুরক্ষিত বেডরুমেই। হটাৎ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এক ব্যক্তি সামনে এসে খুনের দায় ভার স্বীকার করেন। কিন্তু কেনো? তাকে এই অপরাধী কে বাঁচাতে ঋষি সেন নামেন আইনি লড়াইয়ের শেষপর্যন্ত অপরাধী কে? নাটকের সংলাপ অত্যন্ত শক্তিশালী, যা ভাবতে ও ভাবাতে বাধ্য করে। সমুদ্র বর্মণের চরিত্রে শান্তনু দাস, ঋষি সেন এর চরিত্রে দেবাশিস সেনগুপ্ত, কস্তুরী সিংহা এর চরিত্রে কাকলি মজুমদার ও ভিকি এর চরিত্রে শুভম মিত্র এর অভিনয় নাটকের মেরুদন্ড। এছাড়াও নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র নিজের মত করে সম্পূর্ন, নতুন এক ঝাঁক তরুণ অভিনেতা মৃত্যুঞ্জয় রায়,তাপস সরকার, সুরঞ্জনা দাস,কেয়া কুন্ডু, অর্ণব দত্ত ও এষনা সেন এর কাজেও রয়েছে যত্নের ছাপ। সৌমেন চক্রবর্তী এর আলোক ভাবনা ও প্রয়োগ নাটকটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়, তিনি মঞ্চে নতুন ব্যাকরণ সৃষ্টি তে সফল। তপন বিশ্বাসের আবহ নির্মাণ ও মদন হালদার এর মঞ্চ ভাবনা সৃষ্টি কে সম্বৃদ্ধ করে।প্রথম অভিনয় এর পর এই নাটক টির আরো বেশি করে দর্শকদের মস্তকে- মননে পৌঁছানোর দাবিদার তা প্রমাণিত। ততাকথিত তারকাহীন ভাবে বেলঘরিয়া এথিকের এই ছন্দবদ্ধ নির্মাণ আরো সফল হবে, নতুন অভিনেতা দের অভিনয় কুশল আরো ধারালো হবে এই ভরসা রাখি। নাট্যকার ও নির্দেশক দেবাশিস সেনগুপ্ত র নির্দেশনায় এই নাটক সকল নাট্যমোদি দর্শকদের ভালো লাগবে।

এপ্রিল ০৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পূর্ব বর্ধমানে মহা সমারোহে পালিত হল বিশ্ব নাট্যদিবস

২৭শে মার্চ রবিবার বিশ্ব নাট্যদিবস। এই উপলক্ষে পূর্ব-বর্ধমান জেলার ভাতাড়ের প্রচেষ্টা নাট্যসংস্থা ও নটরাজ মিউজিক কলেজের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। নাটক জীবন ও সমাজের দর্পণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজকে জাগ্রত করা যায় তা আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতের সময় থেকেই দেখে এসেছি। এখন এই সময়কালে ছোট থেকে বড়ো সকলে যখন মোবাইলে আকৃষ্ট তখন ভাতাড়ের মত একটা ছোট্ট জায়গায় অনেক অসুবিধা অনেক রকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রচেষ্টা যে নিজের চেষ্টা জারি রেখেছে তা অতুলনীয়। আজ সন্ধ্যায় প্রচেষ্টার পক্ষ থেকে তিনটি নাটকের অংশ অভিনীত হয়েছে -- নিরূপ মিত্রের পাওনা গন্ডা; মনোজ মিত্রের-- টাপুর টুপুর আর চন্দন সেনের অনুবীক্ষণ। শুধুমাত্র নাটক মঞ্চস্থ করা নয় একটা ছোট আলোচনা সভার আয়োজন ও করা হয় নাটকের শেষে। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং দর্শক নিজেদের মতামত জানাতে পেরেছেন। এই উদ্যোগ যেমন নাট্য শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে নাটক বিষয় আগ্রহী করে তুলবে। আর শহরের বড়ো বড়ো মঞ্চ থেকে দূরে থাকা নাট্য পিপাসু দের পিপাসা মেটাবে। এই সংস্থার সভাপতি শ্রী প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী মহাশয় ও সম্পাদক শ্রী ধীমান ভট্টাচার্য মহাশয়ের ঐকান্তিক চেষ্টা ও পরিশ্রম এগিয়ে নিয়ে চলেছে এই অঞ্চলের নাট্য চর্চাকে। আগামী দিনে ওনাদের আগামী প্রজন্ম নাট্য শিল্প জানবে ও নাট্যচর্চা শিখবে এই আশা রাখি।

মার্চ ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অনুষ্ঠিত হলো গোবরডাঙ্গা কথাপ্রসঙ্গ নাট্য দলের নাট্য উৎসব ২০২২

অনুষ্ঠিত হলো গোবরডাঙ্গা কথাপ্রসঙ্গ নাট্য দলের নাট্য উৎসব ২০২২ গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটার ও গোবরডাঙ্গা সংস্কৃতি কেন্দ্রে মহা সাড়ম্বরে গোবরডাঙ্গা কথাপ্রসঙ্গের নাট্য উৎসব ২০২২ অনুষ্ঠিত হলো। এর শুভ সূচনা করেন পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের প্রশাসনিক আধিকারিক অভিজিৎ চট্ট্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন আশিস দাস, শ্যামল দত্তর মতো বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বরা। উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙা পৌরসভার নবনির্বাচিত পৌরপ্রধান শঙ্কর দত্ত। তিনি বলেন গোবরডাঙার সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে পৌর টাউন হলকে আরো ব্যাবহার উপযোগী করে তোলা হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দীপা ব্রহ্ম। মঞ্চে উপবিষ্ট সকল নাট্য ব্যক্তিত্বকে স্মারক সম্মানে সম্মানিত করা হয়। মূল্যবান বক্তব্য রাখেন মঞ্চে উপবিষ্ট সকল আতিথিবর্গ। তারপর পরপর দুখানি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথম নাটক বারাসাত জনস্বর প্রযোজিতনাটক- হিজিবিজি প্রা: লি:। নির্দেশক - প্রলয়। দ্বিতীয় নাটক গোবরডাঙ্গা কথাপ্রসঙ্গের বন্ধ দরজা, নির্দেশনা ও সামগ্রিক পরিকল্পনা - বিকাশ বিশ্বাস। এই নাটকটি দর্শকদের মনে সাড়া ফেলে দিয়েছে। একজন সৎ মানুষের মস্তিত বিভ্রম অথবা তাঁর জীবনের সততার বিড়ম্বনার গল্প এই নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে। অভিনয় এই নাটকের সম্পদ, প্রত্যেক অভিনেতার অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলো। বিশেষ করে নীলাঞ্জন ভৌমিক অনবদ্য। দীর্ঘদিনের নাট্য পরিচালনায় অভিজ্ঞ নির্দেশক বিকাশ বিশ্বাস এর এই নাটকটি অত্যন্ত সময়োপযোগী কাজ এবং দর্শক মনে দাগ কেটে যায়। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় গোবরডাঙা সংস্কৃতি কেন্দ্রে প্রথম নাটক পরিবেশন করে ঠাকুরনগর অনুরঞ্জন, নাটক -যা তারা পারে না। নির্দেশনা করেছেন মিন্টু মজুমদার। এইদিন মঞ্চস্থ হয় বসিরহাট কিংশুকের নাটক ময়নামতীর ইতিকথা, নির্দেশক মুকুন্দ চক্রবর্তী। তৃতীয় দিন প্রথম নাটক ছিলো আয়োজক সংস্থা কথাপ্রসঙ্গের বন্ধ দরজা, দ্বিতীয় নাটক গোবরডাঙা মৃদঙ্গম প্রযোজিত ছায়াকৃত, অসমের বিখ্যাত নির্দেশক কুশল ডেকা। নাচ, গান, নাটকের আড্ডা, প্রচুর দর্শকদের সমাবেশে, আন্তরিকতায় নাট্য উৎসব প্রাণ পেয়েছে। সংস্থার কর্ণধার বিকাশ বিশ্বাস জানান, কথাপ্রসঙ্গ দীর্ঘ কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে নাটকের বিভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করে চলেছে, নাট্য উৎসব এর মধ্যে অন্যতম কর্মসূচি। কথাপ্রসঙ্গ বিগত দিনে জাতীয় নাট্য উৎসবেরও আয়োজন করেছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগলেও আমাদের মননে ও জীবনে নাট্য চর্চা কখনো থেমে থাকেনি। কথাপ্রসঙ্গের এই কর্মকান্ডের সফলতার পিছনে অসংখ মানুষের ভালোবাসা, আদর ও প্রশ্রয়। থিয়েটার বেঁচে থাকবে থিয়েটারের শক্তিতে।

মার্চ ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কোম্পানির মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা জানালেন রূপঙ্কর

একজন কোম্পানির মালিককে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নাটকীয় ভাবে উধাও হয়ে গেলেন। কিন্তু বাস্তবে এমন তো হতেই পারে।কোনো ষড়যন্ত্র নাকি ইচ্ছে করেই গা ঢাকা দিয়েছেন এখনো বোঝার উপায় নেই।এই কোম্পানির বাকি কর্মীরাই কি এর পেছনে রয়েছেন!কিন্তু এখানে রূপঙ্কর বাগচী কি করছেন!!! এই সব প্রশ্নের উত্তর বা এই ধাঁধার সমাধান মিলবে কৃষ্টি পটুয়ার আগামী নাটকের প্রিমিয়ারে। চাঁদমারি, এই নাটকে করোনা কালের একটি দীর্ঘ সময় পর আবার মন্চে রূপঙ্করের নাটকের দল নতুন প্রযোজনা নিয়ে হাজির হচ্ছে নিরঞ্জন সদনে আগামী ২০ মার্চ।এর আগে জেহাদ, হীরালাল বায়োস্কোপ এর মতো সফল প্রযোজনা কৃষ্টি পটুয়ার কাজের মান এবং শৈলির জনসমাজে এক ছাপ ছেড়েছে। সেই ট্র্যাডিশনকে মাথায় নিয়েই আবার নতুন নিটক চাঁদমারি-এর আগমন।এর আগে নাটকে গান এবং আবহসঙ্গীত লাইভ করা হতো তবে এই নতুন প্রযোজনায় সেটা রেকর্ড করা হয়েছে। নাটকটা পরিচালনা করছেন দেবদাস ঘোষ। রূপঙ্কর বললেন, লকডাউনের পর এই প্রথম নতুন প্রযোজনা নিয়ে আসছি।এখানে আমি রূপঙ্কর নই, চৈতালিও অন্য ভূমিকায়। আসলে গল্পটা একটা কোম্পানির। কোম্পানির বস হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান। কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে নানা সমীকরণ বদলাতে থাকে। কোথায় গেলেন বস। নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের এই নাটক চাঁদমারি। এই প্রথম আবহসঙ্গীত রেকর্ড করলাম নাটকের জন্য। চৈতালি বললেন, এখানে আমি প্রমিলা,আর রূপঙ্করের পরিচয় নাটক দেখলে জানবেন। মাঝে অনেকদিন নাটকের কোনো কাজ করতে পারিনি। তাই ভালো লাগছে আবার মঞ্চে ফিরছি এই ভেবেপরিচালক তথা সহ অভিনেতা দেবদাস ঘোষ বললেন, আসা করি এই নতুন প্রযোজনাটা কৃষ্টি পটুয়ার আগের প্রযোজনা গুলোর মতোই সবার ভালো লাগবে। আবহসঙ্গীত নির্মানে আর্যা,রৌনক,আয়শ্রী,সুদীপ সবাই সহযোগিতা করেছেন। কৃষ্টি পটুয়ার চাঁদমারি নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হবে আগামী ২০ মার্চ, নিরঞ্জন সদন,সন্ধ্যা ৬টায়।

মার্চ ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের নাট্য মিলন উৎসব ২০২২

গোবরডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত নাট্য চর্চা করে চলেছে। ৪ থেকে ৬ ই মার্চ ২০২২ গোবরডাঙা শিল্পায়ন ষ্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হল গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের নাট্য মিলন উৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ চ্যাটার্জী হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় জিতেন্দ্র সিং, সুকুমার মাহাতো তাছাড়া ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আশিস চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল দত্ত, আশীষ দাস, বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য, অভিক ভট্টাচাৰ্য, প্রদীপ রায়চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এই দিন প্রথমে মঞ্চত্ব হবে আমতা পরিচয় এর নাটক Thank You Dadaji, নির্দেশনা ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, তারপরই নাবিক নাট্যম মঞ্চত্ব করে তাঁদের এই বছরের নতুন নাটক অথ বৃষ মঙ্গল কথা, নাট্যকার কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, নাটকটির সামগ্রিক ভাবনায় ও নির্দেশনায় রয়েছেন জীবন অধিকারী। ৫ ই মার্চ ছিল তিনটে নাটক, প্রথমে মুকুলিকা পরিবেশন করবে শ্রুতি নাটক তাহার নামটি রঞ্জনা, নির্দেশনা অনিমা দাস, দ্বিতীয় নাটক হরিপাল আশ্রমিকের সেলসম্যান, নির্দেশনা ভাস্কর দাস এবং ও দিনের শেষ নাটক মঞ্চত্ব হবে থিয়েটার জঙ্গল মহলের সূর্য সন্ধান, নির্দেশনা সঞ্জয় আচার্য্য, ৬ ই মার্চ প্রথম নাটক করে হালিশহর ইউনিটি মালঞ্চ নাটক আত্মকথন, নির্দেশনা দেবাশীষ সরকার, তারপর খড়দহ থিয়েটার জন্ মঞ্চত্ব করবে কাম ব্যাক বিনোদিনী, নির্দেশনা তপন দাস এবং শেষে মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার পরিবেশন করবে তাঁদের মাইম, নির্দেশনা ধীরাজ হওলাদার। নাবিকের কর্ণধার জীবন অধিকারী জানান এই উৎসব গোবরডাঙার একটি উল্লেখ যোগ্য উৎসব। দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এই নাট্য উৎসব দেখার জন্য। দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় এই মিলন কে সাফল্য মন্ডিত করে তুলবে আসা করা যায়। সরকারী স্বাস্থ্য ও কোভিড নিয়ম মেনে এই উৎসব হবে।

মার্চ ০৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal