• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cup

খেলার দুনিয়া

‌T20 World Cup : ৪ বলে ৪ উইকেট!‌ কার্টিস ক্যাম্ফারের বিরল নজির টি২০ বিশ্বকাপে

একই ইনিংসে পরপর ৪ বলে ৪ উইকেট! হ্যাঁ, এমন অভাবনীয় নজির ঘটেছে টি২০ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ড ম্যাচে। আর এই বিরল নজির ঘটিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের বোলার কার্টিস ক্যাম্ফার। পরপর ৪ বলে ৪ উইকেট তুলে নেন ক্যাম্ফার। ইনিংসের শেষ ওভারেও ৩ বলে ৩ উইকেট হারায় হল্যান্ড। অ্যাডায়ার তুলে নেন ২ উইকেট, ১টা রান আউট। এই দুই বোলারের দাপটে হল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৭ উইকেটে সহজ জয় আয়ারল্যান্ডের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হল্যান্ডের অধিনায়ক পিটার সিলার। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি হল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই রান আউট হন বেন কুপার (০)। শুরু থেকেই রান তোলার গতি মন্থর ছিল হল্যান্ডের। পঞ্চম ওভারে আউট হন বাস ডি লিডে (৭)। ম্যাচের দশম ওভারে চমক কার্টিস ক্যাম্ফারের। দ্বিতীয় বলে তুলে নেন অ্যাকেরম্যানকে (১১)। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফেরান যথাক্রমে টেন ডশকাটে (০), স্কট এডওয়ার্ডস (০) ও ভ্যান ডার মারউইকে (০)। অ্যায়ারল্যান্ডের ২২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের এটাই জীবনের সেরা বোলিং। ৪ ওভারে ২৬ রানে তিনি ৪ উইকেট নেন। চলতি টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের মালিক হয়ে গেলেন। তবে পরপর ৪ বলে ৪ উইকেট টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই এই নজির গড়েছিলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। ২০১৯ সালেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর ৪ বলে ৪ উইকেট পান শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। টি২০ বিশ্বকাপে এর আগে একমাত্র হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেট লি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপে।৫১ রানে ২ উইকেট থেকে হল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৫১। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ম্যাক্স ওডোওড (৪৭ বলে ৫১) ও অধিনায়ক সিলার। হল্যান্ডের ইনিংসের শেষ ওভারে আবার নাটক। অ্যাডায়ার চতুর্থ বলে তুলে নেন সিলারকে (২১)। পঞ্চম বলে লোগান ভ্যান বিক (১১) রান আউট। ষষ্ঠ বলে ফেরান ব্রেন্ডন গ্লোভারকে (০)। ৯ রানে ৩ উইকেট নেন অ্যাডায়ার। হল্যান্ডের হয়ে একা লড়াই করেন ম্যাক্স ওডোওড। তাঁর সৌজন্যেই ২০ ভারে ১০৬ তোলে হল্যান্ড। জয়ের জন্য একেবারেই বেগ পেতে হয়নি আয়ারল্যান্ডকে। কেভিন ওব্রায়েন (৯)। আন্দ্রে বলবিরাইন (৮) দ্রুত ফিরে গেলেও পল স্টার্লিং (অপরাজিত ৩০) ও গ্যারেথ ডিলেনি (৪৪)। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ১৫.১ ওভারে ১০৭/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T‌‌20 World Cup : কোহলির নেতৃত্বে ভারত কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে? ভবিষ্যতবানী ইঞ্জিনিয়ারের

মাস খানেক আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করেছিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের পরই এই ফর্ম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। সেই অর্থে এটাই কোহলির কাছে নেতা হিসেবে শেষ বিশ্বকাপ। দেশের অধিনায়ক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোনও আইসিসির কোনও টুর্ণামেন্টে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে শেষ টি২০ বিশ্বকাপে ছাপ রেখে যেতে মরিয়া হবেন কোহলি। ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারও মনে করছেন কোহলির নেতৃত্বে ভারত এবার বিশ্বকাপ জিতবে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, এবছর টি২০ বিশ্বকাপ জেতার দারুণ সুযোগ আছে কোহলির কাছে। বড় টুর্ণামেন্টে ভারত বরাবরই প্রভাব দেখিয়ে এসেছে। এবারও দেখাবে। কোহলির নেতৃত্বেই ভারত এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে খুব ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কোহলি। এই ভারতীয় দলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, যশপ্রীত বুমরা, ঋষভ পন্থরা যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। কোহলির নেতৃত্বেরও দারুণ প্রশংসা করেছেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, বিরাট দুর্দান্ত অধিনায়ক। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের আসনে অনায়াসে ওকে বসানো যায়। কোহলির এনার্জি, পরিকল্পনা, প্রভাব বিস্তার করার দক্ষতা, নিজেকে প্রয়োগ ক্ষমতা এককথায় অসাধারন। দলের শক্তির রসদ জোগাড় করে। জেতার জন্য সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে। রানের প্রচুর খিদে রয়েছে। এই কারণেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ওর জন্যই দলের ফিটনেস লেভেল দুর্দান্ত। সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসার ব্যাপারে কোহলির জুড়ি মেলা বার বলেও মনে করেন ভারতের এই প্রাক্তন উইকেটকিপার। ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, কোন সময় সতীর্থদের কীভাবে ব্যবহার করতে হয় কোহলি খুব ভালভাবেই জানে। দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনারকে পেয়েছে। এদের মধ্যে বুমরা, হার্দিক অন্যতম। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নিজের মতো করে দলটাকে সাজিয়ে নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কোহলির নেতৃত্বেই ভারত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক ওমানের, হেরে চাপে বাংলাদেশ

বেজে গেল টি২০ বিশ্বকাপের ঘন্টা। রবিবারই ওমানের আল আমেরাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ বির উদ্বোধনী ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিল ওমান। বিশ্বকাপের আত্মপ্রকাশেই চমক মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে চাপে বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডে দুটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাবে। সেইদিক দিয়ে প্রথম ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল ওমান।টস জিতে এদিন পাপুয়া নিউ গিনিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ওমান। স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই দুটি উইকেট হারায় পাপুয়া নিউ গিনি। তা সত্ত্বেও তারা ৯ উইকেটে ১২৯ রানে পৌঁছয় অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির সৌজন্যে। ৪৩ বলে ৫৬ রান করেন আসাদ। আমিনি ২৬ বলে করেন ৩৭। ওমানের হয়ে অধিনায়ক জিশান মাকসুদ ২০ রানে ৪ উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে দারুণ আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ওমানের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও যতীন্দার সিং। মাত্র ১৩.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ওমানকে (১৩১/০)। আকিব ইলিয়াস ৪৩ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। আকিবের থেকেও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন যতীন্দার সিং। তিনি ৪২ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। যতীন্দারের ইনিংসে রয়েছে ৭টি ৪ এবং ৪টি ৬। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদ্দুলা। বাংলাদেশ স্পিনারদের বিরুদ্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি স্কটল্যান্ডের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। ওপেনার জর্জ মুনসে ২৩ বলে ২৯ রান করেন। একসময় ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল স্কটল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে ১৪০/৯ রানে পৌঁছে দেন ক্রিস গ্রেভস (২৮ বলে ৪৫) ও মার্ক ওয়াট (১৭ বলে ২২)। মেহদি হাসান ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সাকিব ১৭ রান ২ উইকেট। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভাল হয়নি। ১৮ রানের মধ্যে সৌম্য সরকার (৫) ও লিটন দাসকে (৫) হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। সাকিব (২০), মুশফিকুর রহিম (৩৮), মাহমুদুল্লা (২৩), আফিফ হোসেনরা (১৮) কিছুটা লড়াই করলেও দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২০ ওভারে ১৩৪/৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ম্যাচেই হেরে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।

অক্টোবর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : টি২০ বিশ্বকাপের আগে কোহলিদের কী পরামর্শ দিলেন সৌরভ?‌

টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ২০০৭এ মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর থেকে খেতাব অধরা থেকে গেছে। প্রতিবারই অন্যতম ফেবারিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় খেলতে নামে ভারত। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। অধিনায়ক হিসেবে এবছরই শেষ টি২০ বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির। খেতাব জিততে মরিয়া কোহলি। এবছরও অন্যতম ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে ভারত। মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। নিজের দেশকে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে অভিহিত করে একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলকে সতর্ক করে বলেছেন, ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো প্রতিভা রয়েছে। তবে একটু পরিণতিবোধ দরকার। বিশ্বকাপে একগুচ্ছ ম্যাচ খেলতে হবে। ক্রিকেটাররা যদি শুরু থেকেই ভেবে নেয় যে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছে, সেটা বোকামি হবে। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ফাইনালে জিততে হবে। তার জন্য ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কাজটা কিন্তু ততটা সহজ নয়। কোনও টুর্নামেন্টে নামলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়াও যায় না। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নিজেদের খেলায় পরিণতভাব দেখানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরু থেকেই যদি চ্যাম্পিয়নের কথা মাথায় ঢুকে যায়, তাহলে ফোকাস ঠিক রাখতে পারবে না। সৌরভ আরও বলেছেন, ভারতের এই দলে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। রান করা বা উইকেট নেওয়ার দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটাররাই বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছে। মানসিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। ভারতীয় দলে যে প্রতিভার ছড়াছড়ি, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। তঁার কথায়, দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। প্রত্যেকের ব্যাট হাতে রান তোলার দক্ষতা রয়েছে, বল হাতে উইকেটও তুলে নিতে পারে। বিশ্বকাপ জিততে এসেছি এমন মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিংয়ের সময় গার্ড নেওয়া উচিত নয়। তাতে গোটা প্রক্রিয়াটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। যে বলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেটা কতটা সঠিকভাবে খেলা যায় তার ওপর ফোকাস রাখা উচিত। ফাইনালে ওঠা না পর্যন্ত এমনটাই করতে হবে। আইপিএলের পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ। আইপিএলের ম্যাচগুলি যেখানে খেলা হয়েছে সেখানেই হবে বিশ্বকাপের খেলা। তবে তাতে পিচগুলি মন্থর হবে না বলেই ধারণা সৌরভের। তবে শারজার উইকেট মন্থর আচরণ করতে পারে মনে করছেন তিনি। সৌরভের কথায়, শারজার উইকেটে একটু কম রান উঠতে পারে। দুবাইয়ে সেই সমস্যা নেই। আইপিএল ফাইনালেও উইকেট ভাল আচরণ করেছে। তবে সবথেকে ভাল উইকেট আবু ধাবিতে। বিশ্বকাপের আদর্শ উইকেট।

অক্টোবর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : টি২০ বিশ্বকাপের নিয়মে চমক নিয়ে এল আইসিসি

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের নিয়মে চমক নিয়ে আসছে বিশ্বের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। এই প্রথম টি২০ বিশ্বকাপে ডিআরএস পদ্ধতি চালু করতে চলেছে আইসিসি। শুধু তাই নয়, ডাকওয়ার্থলুইস পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাশাপাশি টি২০ বিশ্বকাপের আর্থিক পুরস্কারের অঙ্কও ঘোষণা করেছে আইসিসি।আগে কখনও টি২০ বিশ্বকাপে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহার করা হত না। ২০১৬ সালে শেষবার টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বিশ্বকাপেও ডিআরএস ছিল না। ২০১৮ সালে প্রথম মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপে ডিআরএস ব্যবহার করা হয়। পুরুষদের বিশ্বকাপে এই প্রথমবার ডিআরএস ব্যবহার করা হবে। এ বারের বিশ্বকাপে প্রতি ইনিংসে একেকটা দল দুটি করে ডিআরএস নিতে পারবে। এছাড়া ডাকওয়ার্থলুইস নিয়ম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। বৃষ্টি ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটালে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম ব্যবহার করতে হলে অন্তত ৫ ওভার খেলা হতেই হবে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে ১০ ওভার খেলা হতে হবে। প্রতিটা ইনিংসের মাঝে ২.৩০ মিনিটের জলপানের বিরতি থাকবে। অর্থাৎ ম্যাচে ৫ মিনিট।এদিক, বিশ্বকাপের জন্য আর্থিক পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করেছে আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১২ কোটি টাকা। রানার্স দল পাবে ৬ কোটি টাকা। এবছর টি২০ বিশ্বকাপে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল পাবে ৪ কোটি টাকা করে। সুপার ১২ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া দল পাবে ৫৩ লক্ষ টাকা করে। সুপার ১২ পর্বে প্রতিটা ম্যাচে জয়ী দল ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ লক্ষ টাকা করে পাবে। আর প্রথম পর্ব থেকে যে দল ছিটকে যাবে তারা প্রত্যেকে ৩০ লক্ষ টাকা করে পাবে।টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে অংশ নেবে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি, স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি সুপার ১২তে খেলবে। প্রথম রাউন্ড থেকে সুপার টুয়েলভে যাবে দুটি গ্রুপ থেকে দুটি করে অর্থাৎ মোট চারটি দল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ওমানে হবে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলি।

অক্টোবর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌Ishan Kishan-Virat Kohli : টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঈশানকে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরাট কোহলি?‌

আইপিএলে প্লে অফের জন্য এবছর ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। স্বয়ং সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত ঈশান কিষান ও সূ্র্যকুমার যাদবের তাগিদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গাভাসকারের মনে হয়েছিল, ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় আইপিএলে সেভাবে তাগিদ দেখাচ্ছেন না এই দুই ব্যাটসম্যান। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ছবিটা বদলে গেছে। ফর্মে ফিরেছেন ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদব। ঈশানকে তো টি২০ বিশ্বকাপে ওপেন করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেশ কয়েকটা ম্যাচে রান না পেলেও আইপিএলের গ্রুপ লিগের শেষ দুই ম্যাচে পরপর দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ঈশান কিষান। তার মধ্যে ওপেন করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সকলের নজর কেড়েছে। ম্যাচের পর ঈশান বলেন, আমি ওপেন করতে ভালবাসি। কিন্তু দলের কম্বিনেশনের জন্য আইপিএলের সব ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পাইনি। শেষ দুই ম্যাচে ওপেন করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। বিরাট ভাই আমাকে বলেছে, টি২০ বিশ্বকাপে আমাকে ওপেনে সুযোগ দিতে পারে। পাশাপাশি আরও বলেছে, বড় পর্যায়ে সব পরিস্থির জন্য তৈরি থাকতে হয়।বিরাট কোহলি প্রতিশ্রুতি দিলেও টি২০ বিশ্বকাপে ঈশান কিষান ওপেন করার কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ নিয়মিত ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মা রয়েছেন। লোকেশ রাহুলও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। বিরাট কোহলিও অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে টি২০ বিশ্বকাপে তিনি ওপেন করতে পারেন। ফলে ঈশানের পক্ষে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া কঠিন। এদিকে, টি২০ বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরার জন্য খুশি ঈশান কিষান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমি রানে ফিরেছি। এটা আমার কাছে যেমন ভাল ব্যাপার, তেমনি দলের কাছেও দারুণ খবর।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Hardik Pandya : টি২০ বিশ্বকাপে হার্দিকের জায়গায় শার্দূল?‌

টি২০ বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। যে ক্রিকেটার পুরো ফিট নন কেন তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল, বিশ্বকাপের আগেই পুরো ফিট হয়ে যাবেন হার্দিক। কিন্তু আইপিএল চলাকালীনই ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। ফিটনেস সমস্যার জন্য টি২০ বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে যেতে পারেন হার্দিক। তাঁর পরিবর্তে শার্দূল ঠাকুর দলে ঢুকতে পারেন। রবিবারের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। মাসখানেক আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ও টি২০ সিরিজে দলে ছিলেন হার্দিক। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাঁকে সেভাবে বোলিং করতে দেখা যায়নি। ভারতীয় দলের নির্বাচকরা আশা করেছিলেন, আইপিএলে বল হাতে দেখা যাবে হার্দিককে। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে নামলেও একটা ম্যাচেও বল করেননি এই অলরাউন্ডার। তাঁকে নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কোচ মাহেলা জয়বর্ধনেও জানিয়েছিলেন হার্দিক পন্ডিয়ার ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ওয়ার্কলোডের কথা ভেবেই তাঁকে দিয়ে বোলিং করানো হচ্ছে না। এমনকি আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচে প্রথম একাদশেও সুযোগ পাননি এই অলরাউন্ডার। তার পর থেকেই হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে জোরালো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপে পুরো কোটা বল করতে পারবেন ধরে নিয়েই হার্দিককে দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু এখন অন্য পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আধা ফিট ক্রিকেটারকে দলের সঙ্গে রাখতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁর বিকল্প হিসেবে শার্দূল ঠাকুরকে টি২০ বিশ্বকাপে পাঠানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যদি কোনও দল ক্রিকেটার পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে ১০ অক্টোবরের মধ্যে আইসিসিকে জানাতে হবে। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, দীপক চাহার ও শ্রেয়স আয়ার। এই তিন জনের মধ্যে শার্দূলকে হার্দিকের পরিবর্ত হিসেবে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। শুক্রবার আইপিএলের গ্রুপ লিগে সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে হার্দিকের ফিটনেসের ওপর নজর রাখবেন নির্বাচকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্দিক বোলিং করতে না পারলে তাঁর জায়গায় পুরো ফিট ক্রিকেটারকে নেওয়া উচিত। ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে শার্দূল ঠাকুর এগিয়ে থাকায় তাঁর সম্ভাবনা বেশি।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ডুরান্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ, বাংলার সম্মান রক্ষা করতে পারল না মহমেডান

স্বপ্ন ছিল, ছিল আশাও। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে রবিবার যুবভারতীতে হাজির হয়েছিলেন মহমেডান সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পর সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হল না। ৮ বছরের পুরনো ইতিহাস স্পর্শ করতে পারল না সাদাকালো ব্রিগেড। এফসি গোয়ার কাছে ১০ ব্যবধানে হেরে ডুরান্ড কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে এডু ভেদিয়ার দুরন্ত গোলে স্বপ্নভঙ্গ মহমেডান সমর্থকদের।বিকেল থেকেই যুবভারতীর পথে গাড়ি লম্বা লাইন। সাদাকালো পতাকায় সাজানো। আরোহীদের গন্তব্য যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। মহমেডান সমর্থকদের সৌজন্যে দীর্ঘদিন পর কলকাতায় ফুটবল ঘিরে উন্মাদনা। ডুরান্ড ফাইনালে বাংলা বনাম গোয়ার লড়াই। মহমেডান ক্লাবের হাতে ছিল বাংলার সম্মান রক্ষার ব্যাটন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের অবর্তমানে স্পোর্টিং। ফেরাতে পারল না ২০১৩ সালের স্মৃতি। এফসি গোয়া আইএসএলের দল। ডুরান্ড কাপকে আইএসএলের প্রস্তুতি হিসেবে নিয়েছিল। তাই পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে এসেছিল। এইরকম শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়াই যে সহজ হবে না, জানতেন মহমেডান স্পোর্টিং কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তাই শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি। প্রতি আক্রমণভিত্তিক ফুটবলের দিকে নজর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, এফসি গোয়া শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহমেডানের ওপর। কিন্তু মহমেডান রক্ষণ সতর্ক থাকায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি। এফসি গোয়ার যাবতীয় আক্রমণ এসে আটকে যাচ্ছিল পেনিট্রেটিভ জোনে। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করার মতো ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।অন্যদিনের তুলনায় মহমেডানের আক্রমণ এদিন অনেকটাই নিস্প্রভ ছিল। তার অন্যতম কারণ নিকোলা স্টোজানোভিচ। ডিফেন্সকে মজবুত করতে এদিন তাঁকে একটু পেছন থেকে ব্যবহার করেন মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। ফলে বল সরবরাহ বেশি না হওয়ায় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি মার্কাস জোসেফ। তার মাঝেই ৩৪ মিনিটে দুরন্ত শটে মিলন সিং এফসি গোয়ার জালে বল রাখলেও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই বিরক্তিকর ফুটবল। কোনও দলই ঝুঁকি না নেওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল থাকে গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মহমেডান। নিকোলার কর্নারে ওয়েন ভাজের হেড এফসি গোয়া গোলকিপার নবীনকুমারের হাতে চলে যায়। ১০৫ মিনিটে বাজিমাত এফসি গোয়ার। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন এডু ভেদিয়া। তাঁর বাঁপায়ের শট মহমেডান গোলকিপার জোথানমাইওয়ার নাগাল এড়িয়ে দ্বিতীয় পোস্টের কোন দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে নিকোলার বাঁপায়ে শট অসাধারন দক্ষতায় বাঁচান গোয়ার গোলকিপার নবীনকুমার।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Mohammedan SC: ৮ বছর পর অতীতকে ছোঁয়ার হাতছানি মহমেডানের সামনে

দীর্ঘদিন পর আবার কলকাতার ফুটবলে প্রাণ ফিরে এসেছে মহমেডান স্পোটিং ক্লাবের দৌলতে। টিকিটের জন্য হাহাকার। এই ছবিটাই তো দেখতে চেয়েছিল ডুরান্ড কাপের আয়োজকরা। তাই দিল্লি থেকে কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে এসেছে শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রতিযোগিতা। দীর্ঘদিন পর ডুরান্ড কাপের এত জনপ্রিয়তা মহমেডান ক্লাবের সমর্থকদের সৌজন্যে। কেনই বা হবে না? ৮ বছর পর আবার ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে সাদাকালো ব্রিগেড। রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মহমেডানের সামনে এফ সি গোয়া।২০১৩ সালে শেষবার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। দীর্ঘদিন পর আবার সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি সাদাকালো ব্রিগেডের সামনে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে মহমেডান শিবির। দলকে তাতানোর দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস। শেষবার মহমেডান যখন ডুরান্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই দলে ছিলেন দীপেন্দু। ৮ বছর আগের সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে দরছেন ফৈয়াজ, আজহারউদ্দিনদের সামনে।এফসি গোয়া যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে না। তবে মহমেডানের বাড়তি সুবিধা ঘরের মাঠে প্রিয় দর্শকদের সামনে খেলা। সেমিফাইনালে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচে সাদাকালো ফুটবলারদের বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছিল সমর্থকরা। রবিবারও যে মহমেডান বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে নামবে সেকথা বলাই বাহুল্য। আইএসএলের প্রস্তুতি হিসেবে ডুরান্ড কাপ খেলছে এফসি গোয়া। পূর্ণশক্তি নিয়ে খেলতে এসেছে। তা সত্ত্বেও বিপক্ষকে ভয় পাচ্ছেন না মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ফাইনাল সবসময়ই বড় ম্যাচ। আমরা ভারতের অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। বিপক্ষকে গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে ভয় পাচ্ছি না। আমরা নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যথেষ্ট ভাল ফুটবল উপহার দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছি। এখন লক্ষ্য ফাইনালে সেরাটা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এফসি গোয়াকে হারানোর জন্য সেরাটা দিতে হবে, সেটা ফুটবলাররা জানে।দীপেন্দু বিশ্বাসও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, দল ভাল ছন্দে রয়েছে। যদি আগেরল ম্যাচগুলোর মতো খেলতে পারি, চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকাবে না। দীর্ঘদিন পর আবার কলকাতা ময়দানে উন্মাদনা ফিরে এসেছে। এমন উন্মাদনা দীর্ঘদিন দেখিনি। চ্যাম্পিয়ন হলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। এফসি গোয়া ডিফেন্সে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ফুটবলারদের কাছে সেরা সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Gavaskar-Rohit: রোহিতকে পরপর দুটি বিশ্বকাপে নেতৃত্বে দেখতে চান গাভাসকার

টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর পরিবর্তে নির্বাচকরা কার হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার চান, এই টি২০ বিশ্বকাপেই কোহলির পরিবর্তে রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করা হোক। আগামী দুটি টি২০ বিশ্বকাপে রোহিতকে জাতীয় দলের নেতৃত্বে দেখতে চান ভারতীয় ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি।আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ সফল রোহিত শর্মা। তিনি দলকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন। মোটামুটি এটা পরিস্কার, টি২০ বিশ্বকাপের পর কোহলির হাতেই দায়িত্ব উঠতে চলেছে। দু বছর পরপর টি২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল। করোনার জন্য ২০২২ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবছর টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব ভারতের। ২০২৩ সালে আবার ভারতে একদিনের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। গাভাসকার চান পরপর দুটি বিশ্বকাপেই রোহিত শর্মা নেতৃত্ব দিক।আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন শিষ্যের কাছে মাথা নত পেপ গুয়ার্দিওলারগাভাসকার বলেছেন, দেশকে এশিয়া কাপ ও নিদাহাস ট্রফি দেওয়া রোহিত শর্মাই এই গুরু দায়িত্ব পালন করার যোগ্য দাবিদার। ওর হাতে এখনই নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হোক। একটা বিশ্বকাপ হতে কয়েকমাস বাকি। পরের বিশ্বকাপের মধ্যে খুব বেশি সময় নেই। তাই এখনই ওর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া উচিত। যাতে দুটি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে পারে। গাভাসকারের এই মন্তব্য অন্য ইঙ্গিত বহন করছে। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই কোহলিকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে। রোহিতকে অধিনায়ক করার পাশাপাশি সহ অধিনায়ক হিসেবে নিজের পছন্দের কথাও জানিয়েছেন গাভাসকার। লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থের মধ্যে একজনকে সহ অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান তিনি। গাভাসকারের কথায়, ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান দুই তারকা আইপিএলে যেভাবে নিজ নিজ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, মাঠে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বোলিং পরিবর্তন করছে, তা অসাধারণ। দিল্লি দলে প্রচুর তারকা। ঋষভ দারুন সামলাচ্ছে। বিরাট কোহলির পর রোহিত শর্মা ভারতের টি২০ দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হলে লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থের মধ্যে যে কোনও একজনকে ওর ডেপুটি করে দেওয়া উচিত।আরও পড়ুনঃ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে কেন চিন্তিত মিতালিরা?আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লোকেশ রাহুল। দিল্লি ক্যাপিটালসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ ঋষভ পন্থ। দুই ক্রিকেটারের উর্বর ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সুনীল গাভাসকর। তবে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে বেশি দক্ষ কে, তা অবশ্য বলেননি ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Durand Cup-Mohamedan : ৮ বছর পর আবার ডুরান্ড কাপ জয়ের হাতছানি মহমেডানের সামনে

ডুরান্ড কাপ শুরুর আগে মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বলেছিলেন, কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিতে চান ডুরান্ড কাপকে। কারণ এটি সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা। শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে খেলে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে পারবেন। তঁার লক্ষ্য যে ডুরান্ড কাপ জয়, সেকথাও খোলসা করে দিয়েছিলেন। লক্ষ্যে পৌঁছতে আর মাত্র একধাপ বাকি। এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল সাদাকালো ব্রিগেড। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয় তুলে নিল মহমেডান স্পোর্টিং। ৮ বছর পর আবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে। মহমেডান সমর্থকদের দৌলতে দীর্ঘদিন পর আবার যুবভারতীতে প্রাণ ফিরে এল। এদিন যুবভারতীতে মহমেডান ও এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের ম্যাচ দেখতে প্রায় হাজার পঁচিশেক দর্শক মাঠে হাজির ছিলেন। অন্যরকম পরিবেশে ম্যাচ শুরু হওয়ার অপেক্ষা ছিল। আর তার আগেই ঘটল বিপত্তি। সেই পুরনো রোগ। হঠাৎ করে একটি বাতিস্তম্ভের আলো নিভে যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। আলো আসার পর তখনও দর্শকরা মাঠে ঠিকভাবে আসনে বসেননি। তার মধ্যেই ধাক্কা মহমেডান শিবিরে। ১৯ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল। এগিয়ে যায় এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। লুকা মাসেনের পাস থেকে দুরন্ত শটে দলকে এগিয়ে দেন পেড্রো মানজি। ডুরান্ড কাপে দ্রুততম গোলের নজির হয়ে গেল এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। তবে এই অগ্রগমন বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। ৮ মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় মহমেডান। পরিত্রাতা সেই মার্কাস জোসেফ। আগের ম্যাচে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। এদিন দলকে সমতায় ফেরালেন। হেডে ফৈয়াজের নামিয়ে দেওয়া বল ধরে মার্কাস ৩ জন ফুটবলারকে ড্রিবল করে জোরালো কোনাকুনি শটে গোল করে মার্কাস। ৩৮ মিনিটে মহমেডানকে এগিয়ে দেন ফয়জল আলি। এই গোলের পেছনেও মার্কাসের অবদান। তাঁর সাজিয়ে দেওয়া বল থেকে মাটি ঘেঁসা শটে গোল করেন ফয়জল। সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। একাধিক গোলের সুযোগও তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের ৭৮ মিনিটে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। সঞ্জু প্রধানের কর্ণার থেকে দুরন্ত সাইড ভলিতে গোল করেন কিংশুক দেবনাথ। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে হাত দিয়ে গোল করতে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বেঙ্গালুরুর পেড্রো মানজি। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২২ থাকে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে দুটি অর্ধে দুটি গোল করে ডুরান্ড ফাইনাল নিশ্চিত করে মহমেডান। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ১২ মিনিটে ছোটখাটো চেহারার ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকার গোল করে স্বস্তি দেন সাদাকালো সমর্থদের। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিকোলার পেনাল্টি থেকে করা গোল ডুরান্ড কাপ নিশ্চিত করে মহমেডানের। ২০১৩ সালের পর আবার ডুরান্ড জয়ের হাতছানি মহমেডানের সামনে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Durand Cup : পুরনো দলের জালে বল জড়িয়ে মহমেডানকে সেমিফাইনালে তুললেন মার্কাস

জার্সিটা বদলালেও ডুরান্ড কাপে জ্বলে ওঠার অভ্যাস বদলায়নি মার্কাস জোসেফের। বছর দুয়েক আগেই প্রায় একার কৃতিত্বে গোকুলাম এফসিকে ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ২০১৯ ডুরান্ড কাপে ১১ গোল করেছিলেন গোকুলাম এফসির জার্সি গায়ে। সময় বদলেছে, বদলেছে জার্সিও। বদলাননি মার্কাস জোসেফ। পুরনো দল সেই গোকুলাম এফসির জালে বল ঢুকিয়েই মহমেডান স্পোর্টিংকে তুললেন ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে পরপর তিন ম্যাচে পরাজয়। গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট চাপে ছিল সাদাকালো শিবির। জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল মহমেডান ফুটবলাররা। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের রাস্তা বেছে নিয়েছিল। সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে পারছিলেন না মহমেডান ফুটবলাররা। তার মধ্যেই ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মহমেডানের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন মহমেডানের বিদেশি ডিফেন্ডার বৌবা। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় মহমেডান। দুরপাল্লার শটে গোল করেন মার্কাস জোসেফ। দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ অব্যাহত ছিল মহমেডানের। গোল করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাদাকালো ফুটবলাররা। ৫৪ মিনিটে আজহারউদ্দিন মল্লিকের কাছ থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও জালে পাঠাতে পারেননি শেখ ফৈয়াজ। এরপরও গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। ব্যর্থ হন আজহারউদ্দিন মল্লিক, শেখ ফৈয়াজ, মার্কাস জোসেফরা। তবে গোকুলাম এফসিও সমতা ফেরাতে পারত। এলভিসের জোরালো হেড শরীর ছুঁড়ে বাঁচান মহমেডান গোলরক্ষক জোথানমাওইয়া। শেষদিকে মরিয়া হয়ে উঠলেও সমতা ফেরাতে পারেনি গোকুলাম। ডুরান্ড কাপে এদিনই প্রথম দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল আয়োজক কমিটি। যুবভারতীতে মহমেডান ও গোকুলাম এফসি ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন হাজার খানেক সাদাকালো সমর্থক। দলের জয়ে তাঁরা মেতে ওঠেন। ২৭ সেপ্টেম্বর সেমিফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিং খেলবে এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে।এদিন কল্যাণী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্মি রেড এবং এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের। কিন্তু আর্মি রেড শিবিরে কয়েকজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আর্মি দল প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়ে সরাসরি সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। এরমধ্যে করোনা নিয়ে চিন্তা বেড়ে গেল। বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে মহমেডানের জয়ের পর গ্যালারির ফেন্সিং টপকে বেশ কিছু সমর্থক মাঠে ঢুকে পড়ে। মহমেডান ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরতে এবং তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। ফলে সংক্রমনের ভয় থেকেই যাচ্ছে। দুটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে যুবভারতীর মোট দর্শকাসনের ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এই টিকিটগুলো বিনামূল্যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাঁবু থেকে বিতরণ করা হবে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

A‌TK Mohunbagan : এটিকে মোহনবাগানের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবলে ফিরল কলঙ্কজনক অধ্যায়

বছর দশেক আগে এএফসি কাপে নাসাফ এফসির কাছে ৯০ ব্যবধানে হেরে ভারতীয় ফুটবলকে কালিমালিপ্ত করেছিল ডেম্পো। আবার সেই কলঙ্কজনক অতীত ফিরে এলে। সৌজন্যে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে নাসাফের কাছে ৬০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হল সবুজমেরুণ শিবির। গ্রুপ লিগে বেঙ্গালুরু এফসি এবং মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারিয়ে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠার পর এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন সবুজমেরুণ সমর্থকরা। উজবেকিস্তানের নাসাফের কাছে হেরে স্বপ্ন চুরমার। লজ্জার মুখে পড়তে হল হাবাসের দলকে।আরও পড়ুনঃ বাংলার জন্য আমি অ্যাভেলেবল আছিসবুজমেরুণের এই বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে দায় এড়াতে পারেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় হাবাস। প্রথমত, ভুল দল নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, দলের বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারেননি। নাসাফের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে যে ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, তা নিতে পারেনি। তবে ধারেভারে নাসাফ যে অনেকটাই এগিয়ে ছিল, সেকথা অস্বীকার করে যাবে না। উজবেকিস্তানের সুপার লিগে খেলার মধ্যেই রয়েছে। অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগানের সমস্যা ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব। মাত্র ১৫২০ দিনের অনুশীলন করে ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ফলে অনেকটা পার্থক্য যে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।আরও পড়ুনঃ আপনার একটা ভোট না পেলেও ক্ষতি হয়ে যাবে...কেন এমন বললেন মমতা?ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল নাসাফ। ৪ মিনিটে এগিয়েও যায়। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা কর্ণার বিপদমুক্ত করতে গেলে প্রীতম কোটালের মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মনোবলে ধাক্কা খায় এটিকে মোহনবাগান। নিজেদের সামলাতে পারেননি সবুজমেরুণ ফুটবলাররা। ১৮ মিনিটে নাসাফের হয়ে ব্যবধান বাড়ান খুসায়িন। মিনিট তিনেক পর তিনিই ৩০ করেন। ৩১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন খুসায়িন। ৪০ মিনিটে বাখরমকে বক্সের মধ্যে প্রীতম কোটাল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় নাসাফ। বজোরভের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সেই বজোরভই ৫০ করেন।আরও পড়ুনঃ কোভিডে মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্যনাসাফের বিরুদ্ধে প্রথমে ৩৪৩ ছকে শুরু করেছিলেন হাবাস। বিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে না পেরে ৪৩৩ ছকে চলে যান। নাসাফকে মাঝমাঠে আটকতে যার ওপর বেশি ভরসা করেছিলেন সেই জনি কাউকো প্রথমার্ধে একেবারে নিস্প্রভ ছিলেন। ডিফেন্সে তিরি আর সন্দেশ ঝিংঘানের মতো ফুটবলার না থাকাটাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। তার ওপর শেখ সাহিলের মতো তরুণ ফুটবলারকে এই ধরণের ম্যাচে নামিয়ে দিয়ে ঠিক করেননি হাবাস। প্রথম একাদশ নির্বাচনে একাধিক ভুল। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের প্রথমার্ধে দিশাহীন মনে হচ্ছিল। মাঝমাঠে এটিকে মোহনবাগানকে দাঁড়াতেই দেননি। তাছাড়া শারীরিক দিক দিয়ে নাসাফের ফুটবলারদের থেকে সবুজমেরুণ ফুটবলাররা অনেক পিছিয়ে।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথাদ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান অনেকটা গুছিয়ে নেয়। মাঝমাঠে খেলা ধরতে পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রথমার্ধেই ৫ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তেমন ঘামায়নি নাসফ। ম্যাচ অনেক হালকাভাবে নেয়। তার মধ্যেই ৬০ মিনিটে বজোরভের একটা শট পোস্টে লাগে। ৭১ মিনিটে ৬০ করেন নারজুয়েলভ। শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল নাসাফ। কাজে লাগাতে পারেনি। জনি কাউকো ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচের শেষের দিকে তাঁকে তুলে নেন হাবাস।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Durand Cup : ডুরান্ডের তৃতীয় ম্যাচেই ছন্দহীন মহমেডান, হেরে গ্রুপে দ্বিতীয়

প্রথম দুই ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল। তৃতীয় ম্যাচেই ছন্দপতন। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে তাল কাটল সাদাকালো ব্রিগেডের। এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের কাছে ২০ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ শীর্ষে থাকার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল মহমেডান স্পোর্টিংয়ে কাছে। টানা ৩ ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল এফসি বেঙ্গালুরু। গ্রুপের দ্বিতীয় হয়ে শেষ আটে মহমেডান।আরও পড়ুনঃ ঘোষিত হল সূচি, আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানএসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম ডার্বি ২৭ নভেম্বরদুটি দলই আগেই ডুরান্ড কাপের পৌঁছে গিয়েছিল। গ্রুপ লিগের এফ সি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড এবং মহমেডান স্পোর্টিংয়ের গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। এই নিয়মরক্ষার ম্যাচে প্রথম একাদশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিল মহমেডান স্পোটিং কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তাই নিজেদের সেরা ছন্দে দেখা যায়নি সাদাকালো ব্রিগেডকে। তার ওপর বৃষ্টির মধ্যে খেলা। ভেজা মাঠও মহমেডান ফুটবলারদের কাছে ভাল ফুটবল খেলাটা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।আরও পড়ুনঃ কোহলিদের পাশে সৌরভ, শাস্ত্রীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে নাভেজা মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই নিজেদের সেরা খেলা খেলতে পারেনি। দুই দলই প্রতি আক্রমণ ভিত্তিক খেলার দিকে নজর দিয়েছিল। বিপক্ষ বক্স পর্যন্ত উঠে এলেও কোনও দলই গোল করতে পারেনি। গোল করার মতো দুএকটা পরিস্থিতি তৈরি হলেও স্ট্রাইকাররা তিন কাঠি ভেদ করতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোল শূন্য।আরও পড়ুনঃ তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রামণের রাশ টানতে ভিক্টোরিয়ায় বড়দিন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণাদ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলায় কিছুটা প্রাণ ফেরে। দুই দলই আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে। তবে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের তুলনায় এফ সি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের খেলার মধ্যে ঝাঁঝ বেশি ছিল। আক্রমণে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে কর্ণার আদায় করে নেয় এফ সি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। রোনাল্ডোর কর্ণার থেকে হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন জেমস সিং। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মহমেডান স্পোর্টিং। আজহারউদ্দিন মল্লিককে মাঠে নামান সাদাকালো কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। ৭৭ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। তাঁর দুরন্ত শট অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে বাঁচান বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড গোলকিপার।আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বম্যাচের ইনজুরি সময়ে নাটক জমে ওঠে। মহমেডানের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। এরপরই পেনাল্টি পায় এফ সি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান লুকা। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে নক আউটে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মহমেডান স্পোর্টিং। ডুরান্ডের অন্য গ্রুপ লিগে মোহনবাগান মাঠে খেলা ছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এবং সি আর পি এফের মধ্যে। প্রবল বৃষ্টির জন্য খেলাটি পরিত্যক্ত হয়েছে। দুই দলকেই ১ পয়েন্ট করে দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Durand Cup : সিআরপিএফ–কে উড়িয়ে ডুরান্ডের নক আউটে মহমেডান

কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের তুলনায় ডুরান্ড কাপকে হয়তো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মহমেডান স্পোর্টিং কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। না হলে ডুরান্ড কাপে এইরকম দুরন্ত ফুটবল কেন উপহার দেবে সাদাকালো ব্রিগেড? একদিন আগেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছে আটকে গিয়েছিল মহমেডান। শুক্রবার সেই দলই ডুরান্ড কাপে সিআরপিএফকে উড়িয়ে দিল ৫১ ব্যবধানে? মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে এইরকম ভোল বদল! ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে পরপর ২ ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মহমেডান। মহমেডানের হয়ে ২টি করে গোল করেন আজহারউদ্দিন ও মার্কাস। একটি গোল ব্রেন্ডনের।শুক্রবার বেলা ৩টেয় কল্যানী স্টেডিয়ামে ম্যাচ ছিল মহমেডান ও সিআরপিএফএর। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরেন মহমেডান ফুটবলাররা। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় সাদাকালো ব্রিগেড। সিআরপিএফএর বক্সের বাঁদিকে ঢুকে মাইনাস করেন ফৈজল। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি আজহারউদ্দিন মল্লিক। এরপরই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মহমেডান। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিআরপিএফ। বেশ চাপে পড়ে যায় মহমেডান রক্ষণ। মনে হচ্ছিল যে কোনও সময় সমতা ফেরাতে পারে সিআরপিএফ। কিন্তু অনভিজ্ঞতার জন্য গোল তুলে নিতে পারেনি।বিরতিতে কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের পেপ টক বদলে দেয় মহমেডানকে। অনেক সতর্কভাবে শুরু করে সাদাকালো ব্রিগেড। সিআরপিএফের আক্রমণ সামলে প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। এইরকম প্রতি আক্রমণ থেকেই ৬৪ মিনিটে ফৈজলের পাস থেকে মার্কাস জোসেফ মহমেডানের হয়ে ব্যবধাআন বাড়ান। ২ মিনিট পর আবার গোল মার্কাস যোশেফের। আজহারউদ্দিনের মাটি ঘেঁসা পাস থেকে ৩০ করেন। ৮৬ মিনিটে ৪০ করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক। মিনিট তিনেক পর জটলার মধ্যে বল পেয়ে সিআরপিএফের হয়ে ব্যবধান কমান দর্শপ্রীত। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে মহমেডানের হয়ে ৫১ করেন ব্রেন্ডন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন আজহারউদ্দিন। দলের খেলায় খুশি মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। এই খেলা ধরে রাখতে পারলে সেমিফাইনালে যেতে সমস্যা হবে না।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Durand Cup : মমতা ব্যানার্জির পায়ে ‘‌খেলা হল’‌, জমকালো উদ্বোধন ডুরান্ডের

ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে ডুরান্ড কাপ সরে এসেছে বাংলার রাজধানী কলকাতায়। ২০১৯ সাল থেকে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৫ বছর কলকাতাতেই ডুরান্ড কাপ কলকাতায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতবছর করোনার জন্য এই শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিল আয়োজকরা। এবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্বোধনে অন্যমাত্রা পেল ডুরান্ড কাপ। রবিবার পড়ন্ত বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হল ডুরান্ড কাপের। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ থেকে পুস্পবৃষ্টি মোহিত করে রেখেছিল যুবভারতীকে। তারই মাঝে বলে লাথি মেরে ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এরপর দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে তিনি পরিচিত হন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়াদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ তেওয়ারি এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা।এবারের প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে। ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নিয়েছিল কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিং ও ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু করল মহমেডান। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে ৪১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে সাদা কালো ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপ অভিযানে নামার আগে মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিসভ বলেছিলেন, তাঁর দল উপভোগ্য ফুটবল উপহার দেবে। সাদা কালো কোচ যে ভুল প্রতিশ্রুতি দেননি, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধেই প্রমাণিত।ম্যাচের শুরু থেকেই মহমেডানের আধিপত্য ছিল। দুই বিদেশি মার্কাস ও নিকোলা স্টোজানোভিচের মাঝমাঠে বোঝাপড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝমাঠে দুর্দান্ত কর্তৃত্ব নিয়ে খেলেন ম্যাচের সেরা নিকোলা। তাঁর জন্যই মাঝমাঠে খেলা ধরতে পারেননি বায়ুসেনার ফুটবলাররা। মহমেডানের জয়ের পেছনে নিকোলার অবদান অনস্বীকার্য। ম্যাচের ১৯ মিনিটে তাঁরই বাড়ানো পাস থেকে ১৮ গজের দূরপাল্লার শটে দর্শনীয় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মিলন সিং। ৩২ মিনিটে শেখ ফৈয়াজের মাইনাসে বক্সের ডানদিকের কোনা থেকে ডানপায়ের শটে ২০ করেন ওভারল্যাপে উঠে আসা ডিফেন্ডার অরিজিত সিং। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ত। মার্কাসের দুরন্ত শট কোনও রকমে বাঁচান এয়ারফোর্সের গোলকিপার। প্রথমার্ধের একাবারে শেষলগ্নে নিকোলাসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে ৩০ করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক। প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় হয়তো আত্মতুষ্টি গ্রাস করেছিল মহমেডানকে। তার খেসরতও দিতে হয় সাদাকালো ব্রিগেডকে। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে গোল হজম করতে হয় মহমেডানকে। দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে ব্যবধান কমান এয়ারফোর্সের সৌরভ সাধুখাঁ। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ায় মহমেডান। নিকোলার ফ্রিকিক থেকে ফ্লাইং হেডে ৪১ করেন মার্কাস জোসেফ।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Durand Cup : রবিবার শুরু ডুরান্ড কাপ, উদ্বোধনে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

দিল্লির সঙ্গে ডুরান্ত কাপ অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত ছিল। প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দিল্লিতে শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রতিযোগিতা জনপ্রিয়তা হারানোয় ২০১৯ সালে কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। জনপ্রিয়তা হারানোর মূল কারন ছিল কলকাতার দুই বড় ক্লাবের অংশ না নেওয়া। ডুরান্ড কাপের প্রাণ ফেরাতে এবছর কলকাতায় ডুরান্ড কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রবিবার যুবভারতীতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হবে। উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ১৬টি দলকে নিয়ে এবারের ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ এতে রয়েছে মহমেডান, এয়ারফোর্স, সিআরপিএফ, এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। গ্রুপ বিতে রয়েছে এফসি গোয়া, সুদেভা এফসি, জামশেদপুর এফসি, আর্মি গ্রিন। গ্রুপ সিতে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, দিল্লি ফুটবল ক্লাব, ইন্ডিয়ান নেভি। গ্রুপ ডিতে গত ডুরান্ডের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা, হায়দরাবাদ এফসি, আসাম রাইফেল্স, আর্মি রেড। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও মোহনবাগান ও কল্যানী স্টেডিয়ামে ডুরান্ডের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে। যুবভারতীতে হবে ১৪টি ম্যাচ, মোহনবাগান মাঠে ৯টি এবং কল্যানীতে ৮টি ম্যাচ হবে।রবিবার ৫ সেপ্টেম্বর যুবভারতীতে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মহমেডান ও এয়ারফোর্স। ফাইনালও হবে যুবভারতীতে, ৩ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার ফোর্ট উইলিয়ামে ক্রীড়াদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ তেওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ডুরান্ড কাপের আবরণ উন্মোচন করেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, যুবভারতীতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে হাজির থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ডুরান্ডের আয়োজক কমিটির পক্ষে লেফটেনেন্ট জেনারেল কমল রেপসওয়াল (চিফ অফ স্টাফ, হেডকোয়ার্টার ইস্টার্ন কমান্ড,এসএম, ভিএসএম) বলেন, এটিকে মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গল অসুবিধার জন্য এবার ডুরান্ডে অংশ নিতে পারছে না। পরে বছর যাতে তারা অংশ নেয়, সেটা দেখবেন। তবে দেশের সেরা অন্য দলগুলি অংশ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কোভিড প্রোটোকল মেনেই প্রতিযোগিতায় খেলবে দলগুলো। শুরুতে দর্শকদের প্রবেশাধিকার না থাকলেও পরের দিকে কোভিড পরিস্থিতি বুঝে অল্পসংখ্যক দর্শক মাঠে ঢুকে খেলা দেখার অনুমতি পেতে পারেন। সেই সিদ্ধান্ত হলে টিকিটের দাম জানানো হবে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ATK Mohun Bagan : ৫ বছর পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে এটিকে মোহনবাগান

ড্র করলেই এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ড্র করেই পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ফল ১১। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে হাবাসের দল। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে বাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন ডেভিড উইলিয়ামস। গোল করে তিনি দলের মান বাঁচালেন। ৭ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। ২০১৬ সালের পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল সবুজমেরুণ।পরের রাউন্ডে যেতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না বসুন্ধরা কিংসের কাছে। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণে চাপও তৈরি করছিল। অন্যদিকে, হাবাসের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। বিক্ষিপ্ত লগ্নে আক্রমণে উঠে আসছিলেন রয় কৃষ্ণারা। এভাবেই প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ১৮ মিনিটে এগিয়ে যেত পারত এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণা বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপারকে টেনে এসে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসোকে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন লিস্টন কোলাসো। আরও পড়ুনঃ বেড পেতে গেলে আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে!২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। এটিকে মোহনবাগানের পেনান্টি বক্সের ডানদিকে বল পান ব্রাজিয়ান ফুটবলার ফার্নান্ডেজ। ছোট্ট জায়গার মধ্যে সবুজমেরুণের এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ডানপায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন তিনি। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠে এদিন হুগো বুমাসের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। দুটি হলুদ কার্ড দেখায় তিনি বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি। সেই সুযোগে মাঝমাঠে রাজত্ব করে গেলেন বসু্ন্ধরার ফুটবলাররা। ডেভিড উইলিয়ামসকে বারবার নীচে নেমে আসতে হচ্ছিল। প্রথমার্ধে লেনি রডরিগেজ একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন। ৪০ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণার শট বসুন্ধরা কিংসের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা বিপজ্জনক ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান।আরও পড়ুনঃ কলকাতায় টিকাকরণের নিয়মে বড়সড় বদলগ্রুপ লিগের আগের ম্যাচে মাজিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরার বিরুদ্ধেও সেই একই ছবি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে নেয়ে হাবাসের ফুটবলাররা। তবে সবুজমেরুণ ব্রিগেডের কাজ সহজ করে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের ১ জনের কম থাকাটা। বিপক্ষের ১ জন কম থাকার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে এটিকে মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে সমতাও ফেরায় সবুজমেরুণ। লিস্টন কোলাসোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মাঝখান থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন ডেভিড উইলিয়ামস। জয়ের জন্য শেষ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বসুন্ধরা কিংস। ৮৪ মিনিটে রবসনের শট পোস্টের বাইরে লেগে বেরিয়ে যায়। অল আউট আক্রমণে গেলেও আর গোল তুলে নিতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস।

আগস্ট ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohunbagan : বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কী বলছেন হাবাস?‌

গ্রুপ লিগে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে এএফসি কাপের পরের পর্বে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ড্র করলেই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত। তবে ড্রয়ের কথা ভাবছে না। জয়ের দিকেই তাকিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ফুটবলারদের জয়ের জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন সবুজমেরুণ কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস।আরও পড়ুনঃ অভিষেক বচ্চন হাসপাতালে, চিন্তায় পরিবার থেকে অনুরাগীরাটানা দুটি ম্যাচে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংস মাজিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারালেও বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে নক আউটে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে মাজিয়া। বসুন্ধরা পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের পরেই, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ফলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সবুজমেরুণ পৌঁছে যাবে এএফসি কাপের নক আউটে। অন্যদিকে, পরের রাউন্ডে যেতে গেলে জিততেই হবে বসুন্ধরা কিংসকে।আরও পড়ুনঃ অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কিছুটা হলেও সমস্যায় এটিকে মোহনবাগান। হলুদ কার্ডের জন্য হাবাস গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে পাবেন না মিডফিল্ডার হুগো বুমাসকে। নিঃসন্দেহে বাগান শিবিরের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা। কারণ, প্রথম দুটি ম্যাচেই দলের জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন। তবে হাবাস তাঁর না থাকাকে বড় করে দেখছেন না। তিনি বসুন্ধরা বধের পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবপরপর দুটি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে সবুজমেরুণ শিবিরের। তবে নিজেদের ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না হাবাস। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, নিজেদের ফেবারিট ভেবে মাঠে নামতে চাই না। ফুটবল খেলাটা খুবই কঠিন। অনেক সময় অঙ্ক মেলে না। বসুন্ধরা কিংসের খেলা দেখেছি। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল। ওদের সমীহ করতেই হবে। এই ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে নকআউটে যাওয়া। লক্ষ্য থাকবে গোল না খাওয়া। তার মানে এই নয় আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলব। খেলায় ভারসাম্য রাখতে হবে। জেতার জন্য ফুটবলারদের সেরাটা দিতে হবে। আরও পড়ুনঃ পুজোর পর কি খুলবে স্কুল? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরএদিকে, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজো। হাবাসের দলকে ফেবারিট হিসেবে মেনে নিলেও, বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে নারাজ। তিনি বলেন, এটিকে মোহনবাগান নিঃসন্দেহে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে ওদের হারিয়ে নকআউটে যাওয়া সম্ভব। ভারতীয় ক্লাবে কোচিংয়ের সূত্রে ওদেশের ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় আছে। এটিকে মোহনবাগানের শক্তি ও ওদের কোচ হাবাসের কোচিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আছে। সেটা মাথায় রেখেই জেতার জন্য মরিয়া হবে আমার ফুটবলাররা।

আগস্ট ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Roy Krishna : বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নামার আগে হুঙ্কার রয় কৃষ্ণার

নতুন মরশুম। দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেভাবে প্রস্তুতির সুযোগও পায়নি। তা সত্ত্বেও এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দাপট দেখাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২ গোলে হারানোর পর মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধেও দুরন্ত জয়। পরের পর্বে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে দরকার শুধু ড্র।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি জালে লিঙ্কম্যানটানা দুটি ম্যাচে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বসুন্ধরা কিংস মাজিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারালেও বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে নক আউটে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে মাজিয়া। বসুন্ধরা পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের পরেই, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ফলে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সবুজমেরুণ পৌঁছে যাবে এএফসি কাপের নক আউটে।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরতবে ড্র নয়, শেষ ম্যাচে জয়ের দিকেই তাকিয়ে বাগান শিবির। হাবাস ব্রিগেড যে জয়ের জন্যই ঝাঁপাবে, দলের সেরা ফুটবলার রয় কৃষ্ণার কথাতেই পরিস্কার। তিনি টুইটারে লিখেছেন, দুটি ম্যাচ হয়ে গেল, আর একটা বাকি। যেভাবে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছেন আমাদের দলের সকলে তাতে সত্যিই গর্বিত। এটা মোটেই সহজ ম্যাচ ছিল না। তবে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। এবার পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।আরও পড়ুনঃ কলকাতার পাশেই ছুটি কাটানোর দারুন সুযোগ, সুন্দরবনের পথে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিরয় কৃষ্ণা আরও বলেন, মেজিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও কখনও চাপে ছিলাম না। কারণ জানি, আমাদের দলে কোয়ালিটি ফুটবলার আছে। জানতাম, আমরা গোলের সুযোগ পাব। প্রথমার্ধে গোলশোধে তাড়াহুড়ো ভাব দেখানোয় সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ধৈর্য ধরায় গোল ও জয় এসেছে। এটাই আমাদের দলের আসল চরিত্র।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারীফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। তিনি বলেন, মাজিয়া শুরুতে গোল করায় আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। গরম, আর্দ্রতা, শক্ত মাঠের জন্য ফুটবলারদের ঘুরিয়েফিরিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। হুগো বুমাসকে এই জন্য পরে নামিয়েছিলাম। ফুটবলাররা দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে সেরাটা দেওয়ার জন্য গর্বিত। আমরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছি। পরের ম্যাচে ড্র করলেই নকআউটে পৌঁছে যাব। কিন্তু ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামব না। গ্রুপের শেষ ম্যাচও জেতার জন্যই ঝাঁপাবে আমার ফুটবলাররা।

আগস্ট ২২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal