• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cricket

খেলার দুনিয়া

‌কোহলির শততম টেস্টে নজর কাড়লেন জাদেজা, স্পর্শ করলেন ৬০ বছরের পুরনো রেকর্ড

ভারত-শ্রীলঙ্কা মোহালি টেস্টে সকলের নজর ছিল বিরাট কোহলির দিকে। এটাই ছিল কোহলির শততম টেস্ট। মাইলস্টোনের ম্যাচে প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটে স্মরনীয় কিছু দেখতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শততম টেস্টে মাত্র ১ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন কোহলি। হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি। যাবতীয় নজর কেড়ে নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। স্পর্শ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ৬০ বছরের পুরনো রেকর্ড। তাঁর দাপটেই তিনদিনের কম সময়ে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৭৪ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা তোলে ৪ উইকেটে ১০৮ রান। পাথুম নিসাঙ্কা ২৬ ও চরিথ আসালঙ্কা ১ রানে ক্রিজে ছিলেন। এদিন দলের ১৬১ রানের মাথায় আসালঙ্কাকে (২৯) তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। দুওভার পরেই নিরোসান ডিকওয়েলাকে (২) তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। একই ওভারে ফেরান সুরঙ্গা লাকমলকে (০)। লাকমল ফেরার পরপরই পরিস্কার হয়ে যায় যে, বেশিদুর এগোতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুক্ষণ আগেই ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। পাথুম নিসাঙ্কা একা লড়াই করে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে বুমরা ও অশ্বিন ২টি করে উইকেট নেন। ব্যাট হাতে সাফল্যের পর বল হাতেও দু্র্দান্ত মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ৪১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৬০ বছর পরে ভারতীয় ক্রিকেটে অনন্য নজির গড়লেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১৭৫ রান করেন তিনি। বল হাতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। পর পর দুবলে বিশ্ব ফার্নান্ডো ও লাহিরু কুমারাকে আউট করে পাঁচ বছর পরে ফের টেস্টে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন জাদেজা। একই টেস্টে ১৫০র বেশি রান ও ৫ উইকেটের কৃতিত্ব এর আগে রয়েছে দুই ভারতীয়র। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভিনু মানকড় এক টেস্টে করেছিলেন ১৮৪ রান ও বল হাতে ১৯৬ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তার ১০ বছর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পলি উমরিগড় এক টেস্টে ১৭২ রান করেছিলেন ও ১০৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ভারতীয় হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা এই তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ভারতীয়রা ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিনসন, গ্যারি সোবার্স ও পাকিস্তানের মুস্তাক মহম্মদ। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানে এগিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় ওভারেই হারায় লাহিরু থিরিমানেকে (০)। তাঁকে তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে লড়াই করা পাথুম নিসাঙ্কা করনে মাত্র ৬ রান। তিনিও অশ্বিনের শিকার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। নিরোসান ডিকওয়েলা ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ করেন ২৮, ধনঞ্জয় ডিসিলভা ৩০, আসালঙ্কা ২০। ভারতের হয়ে অশ্বিন ৪৭ রানে ৪টি ও জাদেজা ৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন। এদিন কপিলদেবের ৪৩১ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অশ্বিন।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌প্রথম টেস্টে চালকের আসনে ভারত, আবার বিতর্কে দ্রাবিড়

মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে ভারত। এদিন চা বিরতির পর ৮ উইকেটে ৫৭৪ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা। দুরন্ত ব্যাটিং রবীন্দ্র জাদেজার। ১৭৫ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। জবাবে দিনের শেষে ৪ উইকেটে ১০৮ রান। ভারতের ইনিংস ডিক্লেয়ার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কে আবার নাম জড়িয়েছে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। তাঁর জন্যই নাকি দ্বিশতরান হাতছাড়া হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজার।এদিন মোহালিতে ফিরে এল ২০০৪ সালে ২৯ মার্চের স্মৃতি। মুলতানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। দ্বিতীয় দিন চা বিরতির সময় ভরতের রান ছিল ৫৮৮/৪। শচীন তেন্ডুলকার ১৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। চা বিরতির পর ৩৫ বলে ২৯ রান করার পরেও শচীনকে দ্বিশতরান করার সুযোগ দেননি অধিনায়ক দ্রাবিড়। যুবরাজ আউট হতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন। দ্রাবিড়। শচীন তখন ১৯৪ রানে অপরাজিত। দ্রাবিড় এখন ভারতের কোচ। এদিন জাদেজা যেভাবে ব্যাট করছিলেন, সেঞ্চুরি করতে বেশিক্ষণ সময় লাগত না। কিন্তু ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক অপেক্ষা করেনি। ইনিংস ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্ত দ্রাবিড়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। শচীন ও জাদেজার দ্বিশতরান থেকে বঞ্চিত হওয়ার নেপথ্যে থেকে গেলেন সেই রাহুল দ্রাবিড়। ১৮ বছর আগে তিনি ছিলেন অধিনায়ক আর এখন কোচ।আগের দিন ২২৮ রানের মাথায় ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়েছিল। শ্রেয়স আয়ার ২৭ রানে আউট হওয়ার পর ঋষভ পন্থের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনের জুটিতে ওঠে ১০৪ রান। জাদেজাঅশ্বিন জুটিতে ওঠে ১৩০। ৬১ রান করে আউট হন অশ্বিন। ভারতের অষ্টম উইকেট পড়ে ৪৭১ রানের মাথায়। মাত্র ২ রান করে আউট হন জয়ন্ত যাদব। জাদেজামহম্মদ সামির নবম উইকেট জুটিতে ওঠে ১০৩। জাদেজা সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬০ বলে। ১৫০ রানে পৌঁছান ২১১ বলে। সামি ৩৪ বল খেলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। খেলেন ২২৮ বল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৭টি চার ও ৩টি ছয়।চা বিরতির পর ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। লাহিরু থিরিমানেকে তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। থিরিমানে ৬০ বলে ১৭ রান করেন। করুণারত্নে ৭১ বলে ২৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার। ৩৯ বলে ২২ রান করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ যসপ্রীত বুমরার বলে লেগ বিফোর হন।অশ্বিন ১৩ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৩০ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। যশপ্রীত বুমরা ২০ রান দিয়ে ১টি উইকেট দখল করেছেন।

মার্চ ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম আশা জাগাচ্ছে রনজিতে, টানা তৃতীয় জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা

বছর দুয়েক আগে তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাংলার। রনজি ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি। সৌরাষ্ট্রের কাছে কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাকে। এবছর চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কিনা, সময়ই বলবে। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে আশাবাদী হতেই পারেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। বরোদা ও হায়দরাবাদকে প্রথম দুই ম্যাচে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও চালকের আসনে বাংলা। বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় প্রথম ইনিংসে শেষ ২০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৮১ ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড় তুলেছে ১৪/২।প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানে এগিয়ে যায় বাংলা। সুযোগ ছিল চণ্ডীগড়কে ফলোঅন করানোর। সেই রাস্তায় হাঁটেনি বাংলা। ব্যাটারদের প্র্যাকটিসের সুযোগ দিকেই আবার ব্যাট করতে নামে। প্রথম ইনিংসে চণ্ডীগড় যে বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারবে না, দ্বিতীয় দিনের শেষেই ছবিটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ৬ উইকেটে ১৩৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ রানে ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে ক্রিজে ছিলেন। গৌরভ গম্ভীরকে (১৩) দিনের শুরুতেই তুলে নেন মুকেশ কুমার। দলের ২০৬ রানের মাথায় ঈশান পোড়েলের বলে অঙ্কিত কৌশিক আউট হন। তিনি করেন ৬৩। একই ওভারে শ্রেষ্ঠ নির্মোহিকে (০) তুলে নেন ঈশান। জশকরণদীপ সিংকে (৩১) তুলে নিয়ে চণ্ডীগড়কে ২০৬ রানে গুটিয়ে দেন শাহবাজ আমেদ। বাংলার হয়ে নীলকন্ঠ দাস ৩টি, মুকেশ কুমার, ঈশান পেড়েল ও সায়নশেখর মণ্ডল ২টি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলা। নবম ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি মাত্র ১৪ রান করে আউট হন। বাংলার রান তখন ১৮। আর এক ওপেনার সুদীপ ঘরামি (১৩), তিন নম্বরে নামা ঋত্বিক রায়চৌধুরীও (৬) ব্যর্থ। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলা। মনোজ তেওয়ারিও(১৩) রান পাননি। অনুস্টুপ মজুমদার (৪৩) কিছুটা লড়াই করেন। ১২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। অভিষেক পোড়েল (৩৮) ও শাহবাজ আমেদ (৩২) কিছুটা লড়াই করেন। ৮ উইকেটে ১৮১ তুলে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চণ্ডীগড়ও শুরুতে ধাক্কা খায়। সপ্তম ওভারে আর্সলান খানকে (৪) তুলে নেন মুকেশ কুমার। আর এক ওপেনার হারনুর সিংকে (১০) ফেরান ঈশান পোড়েল। দিনের শেষে চন্ডীগড় ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪। শেষদিনে জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ৮ উইকেট।

মার্চ ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেঞ্চুরি হাতছাড়া সায়নশেখরের, টানা ৩ ম্যাচ জয়ের পথে বাংলা

এবছর রনজি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে বাংলা। প্রথম দুটি ম্যাচে বরোদা ও হায়দরাবাদকে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও জয়ের পথে অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে বাংলা। বাংলার প্রথম ইনিংসে ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় তুলেছে ৬ উইকেটে ১৩৩। এখনও পর্যন্ত ৩০৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে চণ্ডীগড়। প্রথম দিনের ৩২৯/৬ রান হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলা। আগের দিন মনোজ তেওয়ারি ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন মাত্র ১১ রান যোগ করে তিনি আউট হন। মনোজ যখন আউট হন, বাংলার রান ৩৫০/৭। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান সায়নশেখর মণ্ডল ও মুকেশ কুমার। জুটিতে ওঠে ৭২ রান। এই জুটিই বাংলাকে ৪০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ২৮ রান করে গুরিন্দার সিংয়ের বলে আউট হন মুকেশ কুমার। পরের বলেই ফেরেন ঈশান পোড়েল (০)। নীলকন্ঠ দাসও (১) বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি। ফলে সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি অধরা থেকে যায় সায়নশেখর মণ্ডলের। ১৪২ বলে ৯৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৪৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই সায়নশেখরের। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চণ্ডীগড়ের। পঞ্চম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা হার্নুর সিং (১৫)। এরপর চণ্ডীগড়কে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক মনন ভোরা ও আর্সলান খান। দুজনে ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চণ্ডীগড় ১০৫ রানের মাথায় হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৯৭ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেটটি। মনন ৩৫, অমৃত লাল লুবানা ১০, জসকরন সোহি শূন্য ও গুরিন্দর সিং ৪ রানে আউট হন। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। নীলকণ্ঠ দাস ১৪ ওভারে ৪টি মেডেন-সহ ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। সায়নশেখর মণ্ডল ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান। মুকেশ কুমার পেয়েছেন ১টি উইকেট।

মার্চ ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শততম টেস্টে বড় রান করতে ব্যর্থ কোহলি, পন্থের দাপটে ভারত ভাল জায়গায়

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার প্রথম টেস্ট। মাইলস্টোনের ম্যাচ বিরাট কোহলিরও। মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জীবনের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন কোহলি। মাইলস্টোনের ম্যাচে অনেকেই কোহলির কাছ থেকে সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেছিলেন। তাঁর ভক্তদের হতাশ করলেন কোহলি। শততম টেস্টে বড় রান করতে ব্যর্থ। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। তা সত্ত্বেও প্রথম দিনের শেষে বড় রান ভারতের। ৬ উইকেটে তুলল ৩৫৭। সৌজন্যে ঋষভ পন্থ। যদিএ ধৈর্য হারিয়ে মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ভারতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। মোহালিতে আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫২। এরপরই লাহিরু কুমারার বলে আউট হন রোহিত (২৯)। লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৩ রান করে এমবুলদেনিয়ার বলে লেগ বিফোর আউট হন। ৮০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ভারতের দুই ওপেনার।চেতেশ্বর পুজারার বিকল্প হিসেবে হনুমা বিহারিকে তিন নম্বরে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগের সদব্যবহার করলেন হনুমা। কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান। জুটিতে ওঠে ৯০। শততম টেস্টে কোহলির দিকে তাকিয়েছিলেন সকলেই। অনেকেই ভেবেছিলেন, দীর্ঘদিন বড় রান না পাওয়া কোহলি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন। ভাল শুরু করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। এমবুলদেনিয়ার স্পিনে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন কোহলি। ৭৬ বলে তিনি করেন ৪৫। এদিন টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। কোহলি যখন আউট হন ভারতের রান ১৭০। কোহলি আউট হওয়ার পরপরই ফেরেন হনুমা বিহারি। তিনি করেন ৫৮। শ্রেয়স আয়ারও (২৭) বড় রান পাননি।Listen in to what Virat Kohli has to say on his playing his landmark Test today. @Paytm #INDvSL | @imVkohli pic.twitter.com/MAtUcgJcVo BCCI (@BCCI) March 4, 2022৫ নম্বরে ক্রিজে নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে ব্যাট করতে থাকেন ঋষভ পন্থ। ৭৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। লসিথ এমবুলদেনিয়ার ১ ওভারে নেন ২২। ম্যাচের দ্বিতীয় নতুন বলে সুরঙ্গা লাকমলের ওভারে বোল্ড হন ঋষভ। ৯টি ৪ ও ৪টি ৬য়ের সাহায্যে ৯৭ বলে ৯৬ রান করে ঋষভ। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে জুটিতে তোলেন ১০৪। এই নিয়ে ৫ বার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন ঋষভ। দিনের শেষে ভারত ৮৫ ওভারে তোলে ৩৫৭/৬। রবীন্দ্র জাদেজা ৪৫ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

মার্চ ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শততম টেস্টের মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে এ কী কথা বললেন কোহলি!‌

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই খেলা হয়ে যেত জীবনের শততম টেস্ট। চোটের জন্য সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোয় মাইলস্টোনে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি বিরাট কোহলির। অবশেষে শুক্রবার মোহালিতে আসছে সেই স্মরণীয় মুহূর্ত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন জীবনের শততম টেস্ট। ক্রিকেটজীবনের এই মাইলস্টোনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আপ্লুত কোহলি। অপেক্ষায় রয়েছেন কখন আসবে সেই সোনালী মুহূর্ত।জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর দিনও কোহলি ভাবেননি দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলতে পারবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, দেশের হয়ে খেলাটাই আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। ভাবিনি কোনও দিন ১০০ টেস্ট খেলতে পারব। ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকায় খেলতে পারছি। শততম টেস্ট যে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারছি, তার জন্য আমি আপ্লুত। নিজের ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছি। এটা আমার পরিবার, কোচের কাছে গর্বের মুহূর্ত। প্রত্যেকে আমার জন্য খুশি এবং গর্বিত। কোহলি আরও বলেন, কী পাব, কী পাব না, তা নিয়ে কখনও ভাবিনি। সামনে যে সুযোগ এসেছে, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বরাবরই লক্ষ্য থাকত বড় রান করার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আগে জুনিয়র ক্রিকেটে আমার ৭৮টা প্রচুর দ্বিশতরান ছিল। কখনও ছোট ইনিংস খেলার কথা ভাবিনি, যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে চাইতাম। টেস্ট ক্রিকেটকেই আসল ক্রিকেট মনে করেন কোহলি। তাঁর মতে, ক্রিকেটারের দক্ষতা, প্রতিভার বিচার হয় টেস্ট ক্রিকেটেই। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির কথা আজও চোখের সামনে ভাসছে কোহলির। তাঁর কথায়, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওদের মাটিতেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলাম। ওই দিনটারস কথা আমার কাছে সারাজীবন মনে থাকবে। আমার মতো একজন তরুণ ক্রিকেটারকে ওই সেঞ্চুরি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই টেস্টের পর থেকেই আমি খেলায় আরও উন্নতি করতে শুরু করি। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছে বলে দাবি করেন কোহলি। তাঁর কথায়, হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে শুরু করিনি। এরজন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে খেলাটাকে উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেছি বরাবর। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজের আত্মা এবং হৃদয় সমর্পণ করেছি।

মার্চ ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের আগে কেন চাপে নেই রোহিত?‌

সাদা বলের ক্রিকেটে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ভারত। টি২০ ক্রিকেটে টানা তিনটি সিরিজ জিতেছে রোহিত শর্মার দল। গত বছরের শেষে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে শুরু। কিউয়িদের হোয়াইট ওয়াশ করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ৩০ ব্যবধানে জয়। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও একদিনের সিরিজ জিতেছে ভারত। তবে ছন্দপতন লালবলের ক্রিকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতকে। ঘরের মাঠে সামনে এবার শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া রোহিত শর্মার দল।দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজে হেরে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ভারত। পয়েন্টের পার্সেন্টেজের বিচারে রয়েছে পঞ্চম স্থানে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০ ব্যবধানে না জিতলে আরও পিছিয়ে পড়তে হবে। ফাইনালে ওঠার জন্য ভারতের সামনে রয়েছে ৯টি টেস্ট। এই ৯টি টেস্টেই জেতার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অন্যদিকে, টি২০ সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। গতবছর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ ১০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। তারপর ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান বিরাট কোহলিরা। প্রথম টেস্ট জিতে ইতিহাস তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সিরিজ জেতা হয়নি। বাকি দুটি টেস্টে জিতে সিরিজ জেতে প্রোটিয়ারা। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হতে চলেছে রোহিতের। তাঁর লক্ষ্য অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে ছাপ রাখতে। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুধু দুটি টেস্টই নয়, লক্ষ্য সব টেস্ট জেতা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে খেলতে নামার আগে চাপে নেই হিটম্যান রোহিত। দলের ওপর ভরসা করছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তিনি বলেন, দল হিসেবে আমরা খুব ভাল জায়গায় আছি। এরজন্য বিরাটকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ক্যাপ্টেন হিসেবে দলটা তৈরি করেছে। ওর সাফল্যকে ধরে রেখে আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমি শুধু জয়ের কথা ভাবছি।দীর্ঘদিন পর চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানেকে ছাড়াই খেলতে নামবে ভারত। এই দুই ব্যাটারের জায়গা সহজে ভরাট হবে না বলে মনে করছেন রোহিত। তাঁর কথায়, পুজারা, রাহানের পরিবর্ত যারাই দলে আসুক তাদের কাজটা সহজ হবে না। দলের জন্য রাহানে ও পুজারার অবদান কখনও ভোলার নয়। দলকে প্রচুর ম্যাচে জিতিয়েছে। ভারতকে ১ নম্বর টেস্ট দল করার পেছনে ওদের বড় অবদান রয়েছে। চেতেশ্বর পুজরার জায়গায় তিন নম্বরে শ্রেয়স আয়ারের খেলার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে রাহানের জায়গায় হনুমা বিহারি কিংবা শুভমান গিলের মধ্যে একজন। এছাড়া দীর্ঘদিন পর আবার টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

মার্চ ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌দুরন্ত অভিমন্যু ও অনুষ্টুপের ব্যাটে বড় রানের স্বপ্ন বাংলার

বিগত কয়েক মরশুম ধরে বাংলার মূল সমস্যা ছিল ব্যাটিং। বোলাররা জ্বলে উঠলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সাফল্য আসেনি। এবছরও রনজির প্রথম দুটি ম্যাচে বরোদা ও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন বোলাররা। গ্রুপ লিগের তৃতীয় ম্যাচে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মজুমদারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে বড় রানের পথে বাংলা। এই জুটির তৈরি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথম দিনের শেষে বাংলার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৯। আগের দুটি ম্যাচে ওপেনাররা নির্ভরতা দিতে পারেনি বাংলাকে। তৃতীয় ম্যাচেও ছবিটা বদলায়নি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। দিনের চতুর্থ বলে ফিরে যান ওপেনার সুদীপ ঘরামি। কোনও রান না করেই জগজিৎ সিংয়ের বলে তিনি বোল্ড হন। এরপর দলকে কিছুটা টানেন অভিমন্যু ও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরি। উইকেটে থিতু হয়েও ব্যর্থ ঋত্ত্বিক। ১২ রান করে তিনি জসকরণ সিংয়ের বলে তিনি বোল্ড হন। ৪২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলা। এরপর অভিমন্যুর সঙ্গে দলের হাল ধরেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এই দুই ব্যাটারের দাপটে ব্যাকফুটে চলে যান চণ্ডীগড়ের বোলাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিমন্যু। শেষ পর্যন্ত ১৭২ বলে ১১৪ রান করে জগজিৎ সিংয়ের বলে আউট হন। এর পরপরই আউট হন অনুষ্টুপ। তিনি যেভাবে ব্যাট করছিলেন, সেঞ্চুরি নিশ্চিত ছিল। গৌরব গম্ভীরের ভেতরে ঢুকে আসা বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লু হন অনুষ্টুপ। ১৪৯ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। অভিমন্যু ও অনুষ্টুপের জুটিতে ওঠে ১৯৩। অনুষ্টুপ ফিরে যাওয়ার পরপরই ধস নামে বাংলার ইনিংসে। আগের দুটি ম্যাচে নজরকাড়া অভিষেক পোড়েল (০) ও শাহবাজ আমেদ (৬) রান পাননি। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। একসময় বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ২৬৮/৬। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে নিয়ে যান মনোজ তেওয়ারি ও সায়নশেখর মণ্ডল। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ৬১। দিনের শেষে মনোজ ৪২ রানে ও সায়নশেখর ৩৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চণ্ডীগড়ের হয়ে জগজিৎ সিং ৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

মার্চ ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনেও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাননি কোহলি

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মোহালিতে শততম টেস্ট খেলতে নামছেন বিরাট কোহলি। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই দীর্ঘ পথে বরাবরই দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন। যা রনজি খেলার সময়ও দেখা গিয়েছিল। দিল্লি রনজি দলের সতীর্থ পুনিত বিস্তের মুখে শোনা গেছে সেই দায়বদ্ধতার গল্প। বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনেও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাননি। বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন দলের জন্য। প্রত্যয়ী মানসিকতা নিয়ে। ২০০৬ সালের দিল্লি বনাম কর্ণাটক রনজির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলছিল। সবে তখন ১৭ বছর বয়স বিরাট কোহলির। ততদিনে জায়গা করে নিয়েছেন দিল্লি রনজি দলে। কর্ণাটক ম্যাচ চলাকালীন দ্বিতীয় দিন রাতে মারা গিয়েছিলেন কোহলির বাবা প্রেম। তৃতীয় দিন সকালে দিল্লি ড্রেসিংরুমে সকলেই শোকে বিহ্বল। থমথমে পরিবেশ। কোচ চেতন চৌহান থেকে শুরু করে অধিনায়ক মিঠুন মানহাস, সকলেই কোহলিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। কারও কথা শোনেননি কোহলি। ব্যাট করতে যাওয়ার জন্য ড্রেসিংরুমের এককোণে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছিলেন। দলের প্রতি কোহলির সেই দায়বদ্ধতার কথা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুনিত বিস্তের। কোহলির শততম টেস্ট খেলতে নামার প্রাক্কালে সেদিনের ঘটনার কথা স্মরণ করে পুনিত বলেন, তৃতীয় দিন সকালে আমার ও কোহলির ব্যাট করতে নামার কথা। আগের দিন রাতে কোহলির পিতৃবিয়োগ হয়েছে। কোচ চেতন চৌহান, অধিনায়ক মিঠুন মানহাস, দলের বাকিরা কোহলিকে বারবার বুঝিয়েছিল বাড়ি ফিরে গিয়ে এই শোকের পরিবেশে পরিবারের পাশে থাকার জন্য। কিন্তু কোহলি কারও কথা শোনেনি। ওর পরিকল্পনা ছিল অন্য। কোহলি চায়নি একজন ব্যাটারকে হারিয়ে দল বিপদে পড়ুক। আমার সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছিল। এখনও ভাবলে অবাক হই, কতটা মনের জোর থাকলে ওইরকম পরিস্থিতিতে মাঠে নামা যায়। ব্যাট করতে নেমে পুনিতের সঙ্গে জুটিতে ১৫২ রান তুলেছিলেন কোহলি। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছিলেন কোহলি। পুনিত বিস্ত সেই ইনিংসে করেছিলেন ১৫৬। পুনিতের মতে কোহলির ওই ইনিংস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ওই রকম মানসিক পরিস্থিতিতে কোহলিকে ব্যাট করতে পাঠানো ঠিক হবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু মাঠে নেমে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছিল কোহলি। শোককে পেছনে ফেলে প্রত্যয়ী হয়ে উঠেছিল। আমি ওকে সান্তনা দেব কী, কোহলিই আমাকে বারবার বলছিল, আউট হওয়া চলবে না, লম্বা ইনিংস খেলতে হবে।

মার্চ ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌নাইট রাইডার্সকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান?‌ রূপরেখা তৈরি শ্রেয়সের

আইপিএলের নিলামে তাঁকে নিয়ে দর চড়চড় করে বেড়েই চলেছিল। অন্যদিকে আমেদাবাদে ভারতীয় দলের টিম হোটেলে বসে সতীর্থদের সঙ্গে নিলাম দেখতে দেখতে রক্তচাপ ক্রমশ বাড়ছিল শ্রেয়স আয়ারের। একসময় নার্ভাসও হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে তাঁকে তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্সের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে তুলতে পেরে গর্বিত শ্রেয়স আয়ার। আরও সম্মানিত তাঁর হাতে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট নেতৃত্বর দায়িত্ব তুলে দেওয়ায়। ২০২০ আইপিএলেদিল্লি ক্যাপিটালসের নেতৃত্বে ছিলেন শ্রেয়স আয়ার। দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গত মরশুমে চোটের জন্য আইপিএলের মাঝপথে ছিটকে যান। শ্রেয়সের পরিবর্তে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় ঋষভের হাতে। চোট সারিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ফিরলেও তাঁকে আর নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এই মরশুমের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে ধরেও রাখেনি। নাইট রাইডার্স কর্তারা এমন একজন ক্রিকেটারকে দলে চাইছিলেন নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই শ্রেয়স আয়ারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিল। কীভাবে দলকে পরিচালনা করতে চান, সেকথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেকথা তুলে ধরেছেন শ্রেয়স আয়ার। তিনি বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। দলের সকলের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক রেখে দলগত সংহতির ওপর ভর করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আইপিএলে একসময় ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সঙ্গে খেলেছেন শ্রেয়স। এবার তাঁকে কোচ হিসেবে পাবেন। ম্যাকালামের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন শ্রেয়স আয়ার। তিনি বলেন, খেলার সময় ম্যাকালাম আগ্রাসী ছিলেন। ঝুঁকি নিতেও ভালবাসতেন। ওর এই আগ্রাসী মনোভাব আমাকে দারুণ আকৃষ্ট করে। আশা করছি একসঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌কোহলির ওপর চাপ বাড়ালেন শ্রেয়স, শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইট ওয়াশ ভারতের

বিরাট কোহলির ওপর কি চাপ বাড়িয়ে দিলেন নাইট রাইডার্সের নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার? টি২০ ক্রিকেট থেকে দিন দশেকের বিশ্রাম নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠলেন শ্রেয়স আয়ার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচেই অর্ধশতরান। তাঁর দাপটেই সিরিজের তৃতীয় টি২০ ম্যাচেও জিতল ভারত। ৬ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কাকে। নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর শ্রীলঙ্কাকেও টি২০ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ ভারতের। একই সঙ্গে টানা ১২টি টি২০ ম্যাচ জিতে আফগানিস্তান ও রোমানিয়ার বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করল ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা। আবেশ খান ও মহম্মদ সিরাজের দাপটে শুরুতেই বেসামাল হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। প্রথম ওভারেই মহম্মদ সিরাজ তুলে নেন দানুষ্কা গুণতিলকাকে (০)। পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ১০ বলে ১ রান করে আবেশ খানের বলে ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাথুম নিসাঙ্কা। চতুর্থ ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কায চরিথ আসালঙ্কাকে (৪) তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেকায়দায় ফেলে দেন আবেশ খান। ২৯ রানে শ্রীলঙ্কার চতুর্থ উইকেটের পতন। নবম ওভারে জানিথ লিয়ানাগেকে (৯) তুলে নেন রবি বিষ্ণোই। ১২.১ ওভারে দীনেশ চান্দিমল (২৭ বলে ২২) আউট হলে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬০। এরপর শ্রীলঙ্কাকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক দাসুন শনাকা। ২৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৯টি চার ও ২টি ছয়। করুণারত্নে ১৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ১৪৬/৫। ভারতের যা ব্যাটিং শক্তি, এই রান তুলতে সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। শুরুতে রোহিত শর্মা ফিরে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়নি। ৯ বলে মাত্র ৫ রান করে দুষ্মন্ত চামিরার বলে আউট হন রোহিত। এই নিয়ে ৬ বার চামিরার শিকার হলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ঈশান কিশান চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় রোহিতের সঙ্গে এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। সঞ্জুও (১২ বলে ১৮) বড় রান করতে পারেননি। দীপক হুডা ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হন। ভেঙ্কটেশ আয়ারও (৫) ব্যর্থ। এরপর ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শ্রেয়স আয়ার ও রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৫ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে তিনি ২০৪ রান করলেন। তিন ম্যাচের টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজে বিরাট কোহলির সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এদিন ভেঙে দিলেন শ্রেয়স। তিনটি চারের সাহায্যে ১৫ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৬.৫ ওভারে ১৪৮/৪ তুলে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টানা ২ ম্যাচ জিতে রনজির নক আউটে কার্যত নিশ্চিত বাংলা

বিগত কয়েক বছর ধরে বোলিংই বাংলার মূল শক্তি। ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও বোলারদের দাপটেই জয় এসেছে। কয়েকবছর ধরে এই ছবিটা দেখা বাংলার ক্রিকেটে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। রনজির প্রথম ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে জয় এসেছিল বোলারদের দাপটেই। হায়দরাবাদের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন বোলাররা। বোলারদের দাপটেই হায়দরাবাদকে ৭২ রানে হারিয়ে রনজির নক আউট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলা। কটকে অনুষ্ঠিত হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয় সত্ত্বেও বাংলা প্রথম ইনিংসে তোলে ২৪২। জবাবে বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে ২০৫ রানে শেষ হয়ে যায় হায়দরাবাদের প্রথম ইনিংস। ৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলা। শেষ পর্যন্ত অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আমেদের সৌজন্যে ২০১ রানে পৌঁছয়। হায়দরাবাদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩৯। তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ভবিতব্য অনেকটাই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল হায়দরাবাদ। চতুর্থদিন সকালেই হিমালয় আগরওয়ালকে (০) তুলে নিয়ে হায়দরাবাদকে কোনঠাসা করে দেন আকাশ দীপ। তিলক ভার্মা ও প্রতীক রেড্ডি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রতীককে (১৯) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন শাহবাজ আমেদ। রাহুল বুদ্ধিকে (১৭) আকাশ দীপ। একসময় ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। শেষ দিকে রবি তেজা ও তিলক ভার্মা লড়াই করেন। রবি তেজাকে (২৩) শাহবাজ আমেদ তুলে নিতেই আবার ধস। শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় হায়দরাবাদের দ্বিতীয় ইনিংস। তিলক ভার্মা ৯০ রান করে আউট হন। এটাই ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ ৪১ রানে ৪টি, শাহবাজ আমেদ ৪১ রানে ৩টি ও মুকেশ কুমার ৪৯ রানে ২টি উইকেট নেন। ঈশান পোড়েল ২০ রানে নেন ১ উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন শাহবাজ আমেদ।পরপর দুটি ম্যাচ জিতে বাংলার পয়েন্ট ১২। শেষ ম্যাচে বাংলা খেলবে চন্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। আর হায়দরাবাদ খেলবে বরোদার বিরুদ্ধে ২ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ৬। নক আউট পর্বে যেতে গেলে বোনাস পয়েন্টসহ জিততে হবে হায়দরাবাদকে। আর বরোদার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ যদি বোনাস পয়েন্টসহ না জেতে তাহলে বাংলা পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাবে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঋদ্ধিমানকে শোকজ করতে করতে চলেছে বোর্ড?

ঋদ্ধিমান সাহা কি শাস্তির কবলে পড়তে চলেছেন? তেমনই সম্ভাবনা তৈরি হতে চলেছে। দলের অন্দরের আলোচনা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করায় জেরার মুখে পড়তে পারেন ঋদ্ধিমান।বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রয়েছেন ঋদ্ধিমান। গ্রুপ বি-তে রয়েছেন তিনি। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে তিনি এই মরসুমের জন্য ৩ কোটি টাকা পাবেন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকার জন্য ক্রিকেটারদের একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ৬.৩ ধরায় বলা হয়েছে, কোনও প্লেয়ার খেলা, অফিসিয়াল, ম্যাচের মধ্যে ঘটা কোনও ঘটনা, টেকনোলজির ব্যবহার, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয় বা খেলার সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে পারবেন না। বোর্ডের এই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন ঋদ্ধিমান।শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বাদ পড়ার পর, দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন ঋদ্ধিমান। জাতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়, নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা এবং বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনার কথাও তিনি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এক সাংবাদিকের তাঁকে হুমকি দেওয়ার কথা জানিয়ে একটি টুইটও করেন ঋদ্ধিমান। যদিও সেই সাংবাদিকের নাম তিনি সামনে নিয়ে আসেননি। এই ব্যাপারে বোর্ড তদন্ত করার কথা জানিয়েছে। সাংবাদিকের হুমকির ব্যাপারে বোর্ড ঋদ্ধির পাশে দাঁড়ালেও দ্রাবিড়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কথোপকথন সামনে নিয়ে আসার জন্য এবং বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথপোকথন মিডিয়ার সামনে তুলে ধরার জন্য বোর্ড ঋদ্ধির ওপর ক্ষুব্ধ।সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল বলেছেন, বিসিসিআই ঋদ্ধিকে জিজ্ঞাসা করতেই পারে একজন সেন্ট্রল কন্ট্র্যাক্টে থাকা ক্রিকেটার হয়ে তিনি কী ভাবে দল নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন। প্রেসিডেন্ট ওকে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছিল। বোর্ডে জানতে চাইতে পারে তাঁকে কোনটা বাধ্য করল বিভিন্ন বিষয় সহ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথপোকথন সমস্ত কিছু জন সমক্ষে তুলে ধরতে। ঋদ্ধিমানকে শো কজের ব্যাপারে ধুমল বলেছেন, কিছু দিনের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঋদ্ধিমানের পাশে এবার ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’

ঋদ্ধিমানের টুইট করা একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট-এ সোরগোল পড়ে গেছে ভারতীয় ক্রীড়া জগতে। শনিবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কার সফরের টেস্ট দল ঘোষণা হতেই দেখা যায় ঋদ্ধিমান সাহা দলে সুযোগ পাননি। ঠিক তাঁর কিছুক্ষণ পরেই সেই টুইট! ওই চ্যাটে দেখা যায় জনৈক ক্রীড়া সাংবাদিক ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার নিতে চাইছিলেন। ঋদ্ধিমান তাতে পাত্তা না দেওয়াতেই তিনি রেগে গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন। সাহার সেই পোস্টের পর সারাদেশ জুড়ে সমলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপতি দিয়ে ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়াল ক্রিকেটারদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা তাঁদের বিজ্ঞপ্তিতে ঋদ্ধিমানকে অনুরোধ করা হয় যে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ তাঁর নাম যেন ঋদ্ধি তাঁর নাম প্রকাশ করুক। এবং ঋদ্ধিমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিসিআই তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।ICA strongly condemns threat to #WriddhimanSaha!#BCCI #IndianCricketTeam pic.twitter.com/TbgUVPZlt6 Indian Cricketers Association (@IndCricketAssoc) February 22, 2022ঋদ্ধিমান অভিযোগ করেন তাঁকে এক প্রভাবশালী সাংবাদিক হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু একবারও সেই সাংবাদিকের নাম উচ্চারণ করেননি। তাঁর অভিযোগের পর থেকে উত্তাল ভারতীয় ক্রীড়া মহল। ক্রিকেটারদের সংগঠনের সভাপতি অশোক মলহোত্রা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের উন্নতির পিছনে সংবাদমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সেই ভুমিকার-ও একটা সীমারেখা আছে। সেটা অতিক্রান্ত করা সমুচিন নয়। আর ঋদ্ধিমান সাহা ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে আহ্বান জানাই যাতে তাঁরা সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় এবং নিশ্চিত করে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। আমরা সব সময় ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেছি। ঋদ্ধিকে অনুরোধ করছি, তিনি সেই সাংবাদিকের নাম সবাইকে বলুন। তার পরে বিসিসিআই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।ঋদ্ধিমানের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন আছে, এই ধরনের হুমকি ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন কখনওই বরদাস্ত করবে না। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকেও ঋদ্ধিমান সাহার সমর্থনে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। জানান ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব হীতেশ মজুমদার।After all of my contributions to Indian cricket..this is what I face from a so called Respected journalist! This is where the journalism has gone. pic.twitter.com/woVyq1sOZX Wriddhiman Saha (@Wriddhipops) February 19, 2022প্রভাবশালী ওই সাংবাদিককে ঋদ্ধিমান পাত্তা না দেওয়াতেই রেগে গিয়ে তিনি হুমকি দিতে থাকেন তাঁকে। ঋদ্ধিমান সেই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পরেই গোটা সারা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠতে থাকে। একে পর একে প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, প্রাক্তন ক্রীড়া প্রশাসক ও বিশেষজ্ঞ তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান। ঋদ্ধির পাশে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও। এই সমস্যা সমাধানের দিকে কড়া নজর দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন পাশে এসে দাঁড়ানোই এই বিতর্ক এক অন্য মাত্রা পেলো।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ না খেলেই ফিরতে হত রবি কুমারদের। কারণটা জানেন?‌

পোর্ট অফ স্পেনে নামার পর গায়ানায় যাওয়ার জন্য চার্টার্ড ফ্লাইটে ওঠার আগেই বিপত্তি। রবি কুমারদের আটকে দিয়েছিলেন পোর্ট অফ স্পেনের অভিবাসন দপ্তরের কর্তারা। তাহলে কি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ না খেলেই ফিরে আসতে হবে রবি কুমার, অঙ্গক্রিশ রঘুবংশীদের? আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপর। অবশেষে আসরে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। সমস্যা মিটিয়ে বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরেন রবি কুমাররা। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলতে মুম্বই থেকে দুবাই হয়ে পোর্ট অফ স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ভারতীয় দল। পোর্ট অফ স্পেনে নামার পর গায়ানায় যাওয়ার কথা ছিল। চার্টার্ড বিমানে ওঠার আগে ক্রিকেটারদের করোনার টিকা নেওয়া আছে কিনা পরীক্ষা করছিলেন অভিবাসন দপ্তরের কর্তারা। রবি কুমার, অঙ্গক্রিশ রঘুবংশীসহ ৭ জন ক্রিকেটারের করোনার টিকা নেওয়া ছিল না। তাঁদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেন অভিবাসন দপ্তরের কর্তারা। যখন এয়ারলাইন ও অভিবাসন দপ্তরের কর্তাদের মধ্যে রবি কুমারদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে, তখন নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রেখেছিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের। যাতে কেউ পালাতে না পারে। দেশে ফেরার জন্য পোর্ট অফ স্পেন থেকে পরের বিমান ছিল ৩ দিন পর। তাই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে দর কষাকষির জন্য কিছুদিন সময় পেয়েছিল ভারতীয় দল। ভারতীয় দলের ম্যানেজার লবজাং জি তেনজিং অভিবাসন দপ্তরের কর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, ভারতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনার টিকা চালু হয়নি। তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি অভিবাসন দপ্তরের কর্তারা।দেশে ফেরার বিমান না থাকায় ভারতীয় দলের ওই ৭ ক্রিকেটারকে বিমানবন্দরের কাছেই একটা জঘন্য হোটেলে রাখা হয়েছিল। ভারতীয় দলের ম্যানেজার লবজাং জি তেনজিং ক্রিকেটারদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন। এরপর তেনজিং যোগাযোগ করেন ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যোগাযোগ করে আইসিসির সঙ্গে। আইসিসি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা। তারা কথা বলেন পোর্ট অফ স্পেনের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। তারপর সমস্যার সমাধান হয়। ওই ৭ ক্রিকেটারকে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় হোটেলে আটকে রাখার পর গায়ানা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঋদ্ধিকে হুমকি, অস্বস্তিতে সৌরভ গাঙ্গুলি, তদন্ত শুরু করতে চলেছে বোর্ড

ঋদ্ধিমান সাহাকে সাংবাদিকের হুমকি! তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেটমহল। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার আগেই এই ব্যাপারে ঋদ্ধিমান সাহার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সদ্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ঋদ্ধির পাশে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঋদ্ধিমানের কাছে হুমকি দেওয়া সাংবাদিকের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। কদিন আগে ঋদ্ধিমানের কাছে সাক্ষাৎকারের আব্দার জানিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। ঋদ্ধি সাক্ষাৎকার দিতে রাজিও ছিলেন। নিজেই সাক্ষাৎকারের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের তা পছন্দ হয়নি। তারপর ঋদ্ধিকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক। কদিন আগে সেই হুমকির স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করতেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে ওঠে। বীরেন্দ্র শেহবাগ, হরবজন সিং, রবি শাস্ত্রীর মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ঋদ্ধির পাশে দাঁড়ান। এবার আসরে নামল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ঋদ্ধিমানের কাছে হুমকি দেওয়া সাংবাদিকের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। তারপরই তদন্ত শুরু করবে বোর্ড। বোর্ড যে বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছেন না, বিষয়টা পরিস্কার। ঋদ্ধিকে হুমকি দেওয়া সাংবাদিক নাকি বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির ঘনিষ্ঠ। ফলে বিষয়টা নিয়ে সৌরভও অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অনেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ছড়ি ঘোড়ানোর চেষ্টা করেছেন। বোর্ডের অনেক কর্তাই বিষয়টা ভালভাবে নিচ্ছেন না। তাঁরা চান, বিষয়টার একটা বিহিত হওয়া দরকার। বোর্ড কর্তারা এতটাই ক্ষিপ্ত যে, যদি ঋদ্ধিকে হুমকি দেওয়ার খবর সত্য হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এমন ইঙ্গিতও মিলেছে বোর্ডের একটি সূত্র থেকে। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনও চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে হুমকি দেওয়া হলে বোর্ড কখনোই বিষয়টি হালকাভাবে নেবে না। বোর্ড অবশ্যই ক্রিকেটারের নিরাপত্তার দিকটা দেখবে। বিষয়টা নিয়ে এতটাই বিতর্ক দানা বেঁধেছে, বোর্ডেরও আসরে নামা ছাড়া উপায় ছিল না। ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা বারবার কেন ঘটছে সেই প্রশ্ন তুলে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে সৌরভ গাঙ্গুলিকে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইডেনে সেই চেনা ছবি, ভারতের কাছে আবার হোয়াইট ওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দীর্ঘদিন পর আবার ইডেনের গ্যালরিতে দর্শক। বিরাট কোহলি না থাকলেও রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আয়ারদের টানে মাঠে এসেছিলেন ক্রিকেটপ্রমীরা। দুজনই মন জয় করতে ব্যর্থ। ইডেনের হৃদয় জয় করে নিলেন প্রাক্তন নাইট রাইডার্স তারকা সূর্যকুমার যাদব। তাঁর দুরন্ত ৩১ বলে ৬৫ রানের সৌজন্যে ১৮৪/৫ তোলে ভারত। সূর্যকুমারের তৈরি ভিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টি২০ ম্যাচে ১৭ রানে জয় ভারতের। একদিনের সিরিজের পর টি২০ সিরিজেও হোয়াইট ওয়াশ ক্যারিবিয়ানরা।সিরিজ আগে জিতে যাওয়ায় ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এদিন ভারত যে পরীক্ষানিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটবে, এটা জানাই ছিল। প্রথম একাদশে চারচারটি পরিবর্তন করে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ভারত। বিরাট কোহলির জায়গায় শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থের জায়গায় ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বর কুমার ও যুজবেন্দ্র চাহালকে। এই দুজনের পরিবর্তে প্রথম একাদশে আবেশ খান ও শার্দূল ঠাকুর।CHAMPIONS 🎉#TeamIndia pic.twitter.com/9CRlRacaff BCCI (@BCCI) February 20, 2022টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে এদিন নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৪)। এরপর ভারতকে টেনে নিয়ে যান ঈশান কিশান ও শ্রেয়স আয়ার। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ওয়ে ৫৩। ভাল শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ শ্রেয়স। ১৬ বলে ২৫ রান করে হেডেন ওয়ালশের বলে জেসন হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভরেই ফিরে যান ঈশান। ৩১ বলে তিনি করেন ৩৪। চার নম্বরে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও (৭) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৯৩ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে ভারতের।WWW 🇮🇳🏆 pic.twitter.com/opFYridB7m Shreyas Iyer (@ShreyasIyer15) February 20, 2022রোহিত ফিরে যাওয়ার পর ইডেনের বাইশ গজে রাজত্ব করে গেলেন সূর্যকুমার যাদব ও ভেঙ্কটেশ আয়ার। বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ৩১ বলে তিনি করেন ৬৫। মারেন ৭টি ৬। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন সূর্যকুমার। ২০ ওভারে ভারত তোলে ১৮৪/৫। ভেঙ্কটেশ আয়ার ১৯ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই দীপক চাহার তুলে নেন কাইল মেয়ার্সকে (৬)। সাই হোপও (৮) সুযোগ পেয়ে এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। রভম্যান পাওয়েল ও নিকোলাস পুরান দলকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান। পাওয়েল (২৫) ফিরতেই ধস ক্যারিবিয়ান ইনিংসে। পরপর ফিরে যান কিয়েরন পোলার্ড (৫), জেসন হোল্ডার (২), রস্টন চেজ (১২)। একা লড়াই করেন নিকোলাস পুরান। তাঁকে সঙ্গ দেন রোমারিও শেফার্ড। ৪৭ বলে ৬১ রান করে আউট হন পুরান। শেফার্ড ২১ বলে করেন ২৯। ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৬৭/৯। হর্ষল প্যাটেল ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। দীপক চাহার, ভেঙ্কটেশ আয়ার ও শার্দূল ঠাকুর ২টি করে উইকেট নেন।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত কিংবদন্তীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বিশেষ ভাবনা-"গানের জন্য খেলা"

একের পর এক ইন্দ্রপতন। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে যখন শিল্পী থেকে শ্রোতা আপামর ভারতবাসী শোকস্তব্ধ, তার রেশ কাটার আগেই চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একসময় বাংলা গানের সুরে যে সুরজোয়ার এনেছিলেন, বদলে গেছিল গানের গতিপ্রকৃতি, সুরঝঙ্কার, তেমনই আচম্বিতে অমৃতলোকের পথে যাত্রা করলেন বাপ্পি লাহিড়ী। গান যতদিন থাকবে, এই সব শিল্পীদের নামও সমুজ্জ্বল থাকবে ততদিন৷ গান ভালবাসা, গান শেখা সমস্ত ক্ষেত্রেই কিংবদন্তী এই ত্রয়ী একেকটা প্রতিষ্ঠান। সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ তাই আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমেই শিল্পীকে মনের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য ধরে রাখতে চান৷ গানে গানে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন চিরাচরিত রীতি৷ কিন্তু এই রীতির বাইরে একেবারে অন্যরকমভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরিকল্পনা এবং আয়োজন করেছেন তিন সঙ্গীতপ্রেমী কৌশিক রাহুল, গৌরব সরকার এবং তন্ময় কর৷ লতা মঙ্গেশকর ভালোবাসতেন ক্রিকেট, বাপ্পি লাহিড়ীও ছিলেন খেলার অনুরাগী৷ তাই শুধু গান নয়, গানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলাকে সংযুক্ত করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এর আয়োজন করা হয়েছে প্লে ফর মিউজিক অনুষ্ঠানে৷ তিনটি দল এই ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করছেন৷ তিন শিল্পীর পদবী অনুসারে তিনটি দলের নাম মঙ্গেশকর টিম, মুখোপাধ্যায় টিম এবং লাহিড়ী টিম। প্রত্যেকটি টিমে ১৬ জন করে খেলোয়াড় রয়েছেন যাঁরা সকলেই সঙ্গীতের সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে যুক্ত৷ কেউ গান করেন, কেউ সুর করেন কেউ বা যন্ত্রশিল্পী৷ এই অভিনব উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অংশগ্রহণ করেছেন শিল্পীরা৷ খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয়, জয় সরকার, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রূপঙ্কর, মনোময় ভট্টাচার্য, রণজয় ভট্টাচার্য, রথীজিৎ ভট্টাচার্য, আরফিন রানা, আকাশ ভট্টাচার্য, অর্কদীপ মিশ্র।অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং আয়োজকদের অন্যতম কৌশিক রাহুল জানিয়েছেন, যতক্ষণ খেলা চলবে ততক্ষণ মাঠে লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং বাপ্পি লাহিড়ী এই তিন শিল্পীর গান বাজবে৷ গানের সঙ্গে খেলার সমন্বয়ে মিউজিক ফ্রেটার্নিটির সদস্যদের নিয়ে আগামীদিনেও এই ধরনের খেলার আয়োজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৌশিক রাহুল। প্রবীণ এবং নবীন সঙ্গীতশিল্পীদের এই ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা বিবেকানন্দ পার্ক এর মেইনল্যান্ড সম্বরণ ব্যানার্জী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে আজ। অভিনব এই উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই আয়োজক ত্রয়ী কৌশিক রাহুল, গৌরব সরকার এবং তন্ময় কর কে৷

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌রোহিতকে আবার দুহাত ভরে দিল ইডেন, টি২০ সিরিজ জয় ভারতের

রোহিত শর্মা ইডেনের বরপুত্র। ক্রিকেটের নন্দনকানন কখনও তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। অধিনায়ক হিসেবে ইডেনেই প্রথম টি২০ সিরিজ জিতেছিলেন রোহিত। টানা দ্বিতীয় সিরিজ জয়। একদিনের সিরিজে হোয়াইট ওয়াসের পর টি২০ সিরিজেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইডেনে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ৮ রানে হারিয়ে টি২০ সিরিজও জিতে নিল ভারত। আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভুগতে হয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে পরে ব্যাট করেও জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে এদিন ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ঈশান কিশান (২)। এরপর জুটি বেঁধে ভারতকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ও সহঅধিনায়ক। জুটিতে ওঠে ৪৯ রান। অস্টম ওভারে ছন্দপতন। রস্টন চেজের বলে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত (১৯)। সূর্যকুমার যাদব (৮) দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। নিজস্ব মেজাজে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। ৪১ বলে ৫২ রান করে রস্টন চেজের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ভারতে ১৮৬/৫ রানে পৌঁছে দেন ঋষভ পন্থ ও ভেঙ্কটেশ আয়ার। ১৮ বলে ৩৩ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। ২৮ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ। রস্টন চেজ ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। তবে ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে আউট হন কাইল মেয়ার্স (৯)। তাঁকে তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ব্রেন্ডন কিং ৩০ বলে ২২ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেনে নিয়ে যান নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েল। জুটিতে ওঠে ১০০। এই জুটিই ক্যারিবিয়ানদের জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। ভুবনেশ্বর কুমার এসে জুটি ভাঙেন। তুলে নেন নিকোলাস পুরানকে (৬২)। রভম্যান পাওয়েল লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৩৬ বলে ৬৮ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭৮/৩ রানে থেমে যায় ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবি বিষ্ণোই ১টি করে উইকেট নেন।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যাট হাতে মন্ত্রীমশাইয়ের অবদান শূন্য, চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার

দীর্ঘদিন ক্রিকেটের মধ্যে না থাকার ফল যে কী হতে পারে, বাংলাবরোদা রনজি ম্যাচে তারই প্রমান পাওয়া গেল। বরোদার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার। ৫ জন ব্যাটারের নামের পাশে শূন্য। তালিকায় রয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি। বরোদার ১৮১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলা গুটিয়ে গেল মাত্র ৮৮ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে বরোদার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৪। সব মিলিয়ে ২৩৭ রানে এগিয়ে বরোদা। কটকে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে বৃহস্পতিবার বরোদাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাইশ গজে ঘাসের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে মাত্র ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় বরোদা। ইশান পোড়েল ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন। মুকেশ কুমার ৩৩ রানে ৩টি ও আকাশ দীপ ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন। প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ১৩ ওভারে ২৪/১। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ধস নামে বাংলার ইনিংসে। দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান সুদীপ চ্যাটার্জি (১১)। পরের ওভারেই ১ বলের ব্যাবধানে অনুষ্টুপ মজুমদার (০) ও মনোজ তেওয়ারিকে (০) তুলে নেন অতীত শেঠ। ওপেন করতে নামা সুদীপ ঘরামিও (২১) দলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি। এরপর সাময়িকভাবে কিছুটা রুখে দাঁড়ান রনজিতে অভিষেককারী অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ আমেদ। অভিষেক (২১) ফিরতেই ধস বাংলার ইনিংসে। পরপর ফিরে যান ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি (৯), আকাশ দীপ (০), মুকেশ কুমার (০), শাহবাজ আমেদ (২১)। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। বরোদার হয়ে অতীত শেঠ ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন। লুকমান মেরিওয়ালা ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ৯৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে বরোদা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪১। জ্যোৎস্নিল সিংকে (১২) তুলে নিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন ইশান পোড়েল। অন্য ওপেনার কেদার দেবধরকে (৪১) ফেরান শাহবাজ আমেদ। ক্রূণাল পান্ডিয়াকে (১০) তুলে নেন আকাশ দীপ। দিনের শেষে বরোদার সংগ্রহ ১৪৪/৫।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal