• ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ৩১ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cricket

খেলার দুনিয়া

U-10 Asia Cup: অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন বাংলার দুই ক্রিকেটার

ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে জায়গা করে নিলেন বাংলার দুই বোলার অমৃত রাজ উপাধ্যায় ও রবি কুমার। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন এই দুই ক্রিকেটার। ২৩ ডিসেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বসবে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের আসর। এই প্রতিযোগিতার জন্য শুক্রবার ২০ সদস্যের ভারতীয় দল বেছে নিয়েছে জাতীয় জুনিয়র নির্বাচক কমিটি। সেখানে বাংলার মুখ দুই বোলার অমৃত রাজ উপাধ্যায় ও রবি কুমার। দলকে নেতৃত্ব দেবেন যশ ঢুল। এবছর ভিনু মানকড় ট্রফিতে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছেন। ৫ ম্যাচে তাঁর মোট রান ৩০২। ২০ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া ছাড়াও ৫ জনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত ২০ জনের দলে সুযোগ পেয়েছেন : হার্নুর সিং পান্নু, অঙ্কৃশ রঘুবংশী, অংশ গোসাই, এস কে রশিদ, যশ ঢুল (অধিনায়ক), অন্নেশ্বর গৌতম, সিদ্ধার্থ যাদব, কুশল তাম্বে, নিশান্ত সিন্ধু, দীনেশ বানা (উইকেটকিপার), আরাধ্য যাদব (উইকেটরক্ষক), রাজাঙ্গদ বাওয়া, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর, গর্ব সাঙ্গওয়ান, রবি কুমার, রিশিত রেড্ডি, মানব পারেখ, অমৃত রাজ উপাধ্যায়, ভিকি ওস্তাবাল, বাসু ভাটস (ফিটনেস পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে)। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন: আয়ূষ সিং ঠাকুর, উদয় সাহারান, শাশ্বত ডাঙ্গওয়াল, ধানুস গৌড়া, পিএম সিং রাঠৌর।সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উড়ে যাওয়ার আগে ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি শিবির হবে। কিছুদিন আগে ইডেনে অনু্ষ্ঠিত ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় অমৃত রাজ উপাধ্যায় জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু রবি কুমারের কাছে এটাই প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া। জাতীয় দলে সুওদ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত রবি কুমার। এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, একসময় স্বপ্ন দেখতাম দেশের হয়ে খেলব। সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আমি দারুণ খুশি। একই সঙ্গে উত্তেজিত। আমার সব কোচদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অন্যদিকে, অমৃত রাজ উপাধ্যায় বলেন, দেশের হয়ে ইডেনে ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় খেলেছি। এশিয়া কাপে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। দেবাং স্যার আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : ‌কোহলিকে কেন সরানো হয়েছে?‌ ব্যাখা দিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি

বিরাট কোহলিকে সরিয়ে একদিনের ক্রিকেটে রোহিত শর্মাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার দল নির্বাচনের পরেই সমালোচনার মুখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সোশ্যাল মিডিয়ার সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ আবার আবার চ্যাপেল জমানার কথা তুলে ধরে কাঠগড়ায় তুলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, জয় শাহদের। কেন বিরাট কোহলিকে সরানো হয়েছে, তার ব্যাখা দিয়েছেন ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি।কেন একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে বিরাট কোহলিকে সরানো হয়েছে, সে প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে টি২০ ক্রিকেটের নেতৃত্ব না ছাড়ে। কোহলি বোর্ডের অনুরোধ রাখেনি। ও নেতৃত্বে থাকতে চায়নি। অন্যদিকে, নির্বাচকরা চায়নি সাদা বলের ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক রাখতে। তাই টি২০র পাশাপাশি একদিনের দলের নেতৃত্বও কোহলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোহলি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবে। এই ব্যাপারে আমি কোহলির সঙ্গে কথা বলেছি।রোহিত শর্মার ওপর আস্থা রয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির। তিনি বলেন, কোহলি টেস্টের নেতৃত্বে রয়েছে। রোহিত টি২০ ও একদিনের ক্রিকেটে। ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের হাতেই রয়েছে। রোহিতের নেতৃত্বের ওপর বোর্ডের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করছি হতাশ করবে না। অধিনায়ক হিসেবে সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলি প্রচুর অবদান রেখেছে। তারজন্য ওকে ধন্যবাদ। অন্যদিকে বিরাট প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, বিরাটের মতো ব্যাটারের প্রয়োজনীয়তা দলে সবসময় রয়েছে। অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে দারুণ দক্ষতায় দলের পরিত্রাতা হয়ে উঠেছে।কীভাবে দলকে পরিচালনা করতে চান, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন রোহিত। তিনি বলেন, দলের ভেতরেই আমার কাজ বেশি। সকলের সঙ্গে কথা বলে দায়িত্ব ভাগ করে দেব। রোহিতের সহকারীর দায়িত্ব দেওয়া হবে লোকেশ রাহুলকে। সরকারীভাবে ঘোষণা না করলেও ইতিমধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Abid Ali: অতিথি দেব ভব! মধ্যাহ্নভোজের আসরে অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত ব্যাটার, ভাইরাল পাকিস্তানের আবিদ আলি

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দাপুটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে ইনিংস ও ৮ রানে। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। তবে বোলারদের ছাপিয়ে এই টেস্টে শিরোনামে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলি। ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, তিনি শিরোনামে উঠে এসছেন অন্য কারণে। ম্যাচের পঞ্চম দিন বিড়ালের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন এই পাক ব্যাটার। তাঁর সেই মধ্যাহ্নভোজের ছবি ভাইরাল হয়েছে।ম্যাচের পঞ্চম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছিল। হঠাও দেখা যায় খাবারের প্লেট হাতে ড্রেসিংরুমের বাইরে বেরিয়ে গ্যালারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আবিদ আলি। ড্রেসিংরুমের পাশের গ্যালারির চেয়ারের নীচ থেকে একটা বিড়াল বেরিয়ে আসে। নিজের প্লেট থেকে খাবার নিয়ে আবিদ সেই খাবার বিড়ালকে খেতে দেন। বিড়ালকে খাওয়ানোর এই ভিডিও টুইট করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ক্যাপশনে লিখেছে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আজ আরও এক অতিথি মধ্যাহ্নভোজ করেছে।It is not only the players who are taking lunch #BANvPAK pic.twitter.com/wZ0k3ErPZW Pakistan Cricket (@TheRealPCB) December 8, 2021পশুর সেবা করে মহানুভবতার পরিচয় দিলেও সিরিজে বাংলাদেশের বোলারদের অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি আবিদ আলি। ২ টেস্টে ২৬৩ রান করে সিরিজ সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন। চলতি মরশুমে টেস্টে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানও তাঁরই। ৯ টেস্টে করেছেন ৬৯৫ রান।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ঘটেছে আরও একটা চমকপ্রদ ঘটনা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনও বোলিং করেননি বাবর আজম। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার বোলিং করেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। তাও মাত্র ১ ওভার। দ্বিতীয় ওভার বোলিং করতে আসেন ম্যাচের পঞ্চমদিন শেষ সেশনে। বাংলাদেশ ইনিংসের তখন ৭৫ ওভার পেরিয়ে গেছে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছে প্রায় ২৩ ওভার। বাংলাদেশ তখন প্রায় নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি। বাবর বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই জুটি ভাঙেন। মিরাজের প্রায় দেড় ঘণ্টার লড়াই শেষ হয় বাবরের বলে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌‌পুদুচেরীর বিরুদ্ধে সহজ ম্যাচে বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি

বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী বরোদার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়। বাংলা শিবিরের আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে পুদুচেরীকে হারিয়ে লিগ টেবিলে এগিয়ে যাওয়া। স্বপ্নপূরণ হল না সুদীপ চ্যাটার্জির। বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। বড় রান তুলেও জয় অধরা থেকে গেল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলার পরাজয় ৮ রানে। বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ ছিল গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামে। এদিন পুদুচেরী ম্যাচ ছিল মঙ্গলাপূরমে। উইকেট একেবারে অজানা। কেমন আচরণ করবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বাংলা শিবিরের কাছে। তাই টস জিতে ঝুঁকি নেননি বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ম্যাচে রান পাওয়া অভিষেক দাস এদিন ব্যর্থ। মাত্র ৮ রান করে তিনি আউট হন। কাইফ আমেদও (০) এদিন রান পাননি। শ্রীবৎস গোস্বামী (৪৫) অবশ্য প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। একের পর এক উইকেট পড়লেও তিনি একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। সুদীপ চ্যাটার্জি (২৭), ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরিরা (৩২) দ্রুত ফিরে যান। একসময় ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। সেখান থেকে শাহবাজ আমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান সুমন্ত গুপ্ত (২২)। শেষদিকে ঝড় তোলেন শাহবাজ। ৮টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে তিনি ৬০ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর দাপটে ৫০ ওভারে ২৬৪/৮ রানে পৌঁছে যায় বাংলা। বড় ইনিংস গড়লেও ভাগ্য এদিন বাংলার সহায় ছিল না। তৃতীয় ওভারেই পুদুচেরীর প্রথম উইকেট তুলে নেন মুকেশ কুমার। ফেরান অধিনায়ক দামোদরন রোহিতকে (০)। একাদশতম ওভারে অপর ওপেনার রামচন্দ্রন রঘুপতিকে (১৫) তুলে নেন শাহবাজ আআমেদ। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান পবন দেশপান্ডে (অপরাজিত ৬২) ও পরশ ডোগরা (অপরাজিত ৪১)। ৩০ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তখন পুদুচেরীর রান ছিল ২ উইকেটে ১৩২। পরে বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভেজা থাকায় আর খেলা শুরু করা যায়নি। সেই সময় ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে পুদুচেরীর সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১২৫। ৮ রানে ম্যাচ জিতে যায় পুদুচেরী।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : বিরাট’‌ পতন ভারতের একদিনের ক্রিকেটে, নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হল কোহলির

ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট পতন। অনেক আগেই টি২০ ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি। এবার তাঁকে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এখন শুধু তিনি টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বুধবার এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিরাট কোহলিকে যে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও সরানো হবে, সেই ইঙ্গিতটা অনেক আগেই পাওয়া গিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের কথায়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে দল নির্বাচনের সময় সেই সেই পথেই হাঁটল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিরাট কোহলির জায়গায় একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হল রোহিত শর্মার হাতে। টি২০ ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি একদিনের ম্যাচেও ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন।দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বুধবার দল নির্বাচন করতে বসেছিলেন নির্বাচকরা। শুধুমাত্র টেস্ট সিরিজের জন্য দল বেছে নেওয়া হল। বিরাট কোহলিকেই নেতৃত্বে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে অজিঙ্ক রাহানের হাত থেকে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঘোষিত ১৮ জনের দলে সুযোগ পেয়েছেন: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা (সহ অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, অজিঙ্ক রাহানে, শ্রেয়স আয়ার, হনুমা বিহারী, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জয়ন্ত যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব, যশপ্রীত বুমরা, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে: নভদীপ সাইনি, সৌরভ কুমার, দীপক চাহার, আর্জান নাগেশওয়ালা। চোটের জন্য রবীন্দ্র জাদেজা, শুভমান গিল, অক্ষর প্যাটেল, রাহুল চাহারদের নাম বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা।দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাটে রান নেই অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পুজারার। চারিদিক থেকে এই দুই ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্ত নির্বাচকরা চাননি এই দুই ক্রিকেটারকে এখনই দল থেকে ছেঁটে ফেলতে। ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও চাননি রাহানে, পুজারাদের এখনই দল থেকে বাদ দিতে। কোনও ক্রিকেটারের মনে সংশয় রেখে তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার পক্ষপাতি নন দ্রাবিড়। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও কয়েকদিন আগে রাহানের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। রাহানের হাত থেকে সহকারী অধিনায়কের দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে তাঁকে বার্তা দেওয়া হল যে তিনি দলে অপরিহার্য নন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে সুযোগ না পাওয়া হনুমা বিহারীকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সুযোগ দিয়ে ভুল শুধরে নিলেন নির্বাচকরা।টেস্ট দল বেছে নেওয়া হলেও একদিনের সিরিজের দল পরে বেছে নেওয়া হবে। ১৯ জানুয়ারি একদিনের সিরিজ শুরু। বিজয় হাজারে ট্রফির পারফরমেন্স দেখে একদিনের সিরিজের জন্য দল বেছে নেওয়া হবে। চোটের জন্য হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজাকে পাওয়া যাবে না। হার্দিকের বিকল্প হিসেবে একদিনের সিরিজে বেঙ্কটেশ আয়ারকে সুযোগ দিতে পারেন নির্বাচকরা।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Bazare Trophy : ‌বরোদাকে ২৮ রানে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফি অভিযান শুরু করল বাংলা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতার ব্যর্থতা কাটিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে দারুণ শুরু করল বাংলা। প্রথম ম্যাচে বরোদাকে হারাল ২৮ রানে। বাংলার জয়ে মুখ্য ভুমিকা নিলেন বোলাররা। ত্রিবান্দ্রমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান বরোদা অধিনায়ক কেদার দেবধর। শুরুটা ভাল হয়নি বাংলার। প্রথম ওভারেই মেরিওয়ালার বলে লেগ বিফোর হন শ্রীবৎস গোস্বামী (০)। স্কোর বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই শ্রীবৎস ফিরে যাওয়ায় সতর্কভাবে ব্যাট করতে থাকেন অন্য ওপেনার অভিষেক দাস ও তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। ১২.৫ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় বাংলার। এরপর আবার ধাক্কা বাংলা শিবিরে। ১৫ নম্বর ওভারের শেষ বলে অতীত শেঠের বলে ভার্গব ভাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সুদীপ চ্যাটার্জি। ৪০ বলে তিনি করেন ১৪। এরপর বাংলাকে টেনে নিয়ে যান অভিষেক দাস ও কাইফ আমেদ। ৯০ বলে ৬২ রান রান করে ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে প্রত্যুষ কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিষেক। বাংলার রান তখন ৩০.৫ ওভারে ১১৫। সুমন্ত গুপ্ত (১৬) বড় রান পাননি।মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে তিনি আউট হন। লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় ইনিংস গড়তে পারেনি বাংলা। ৪৯.৪ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। শাহবাজ আমেদ (৫), ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি (২), আকাশ দীপ (০), গীত পুরিরা (০) রান পাননি। বরোদার হয়ে অতীত শেঠ ৬২ রানে ৪টি ও লুকমান মেরিওয়ালা ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ক্রূণাল পান্ডিয়া ৩৪ রানে ২ উইকেট পান।জয়ের জন্য ২৩১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বরোদাও শুরুতে ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান শ্বাশত রাওয়াত (০)। আকাশ দীপের বলে তিনি উইকেটের পেছনে শ্রীবৎসর হাতে ক্যাচ দেন। এরপর কেদার দেবধর ও প্রত্যুষ কুমার বরোদাকে টেনে নিয়ে যান। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৭৪। কেদারকে (৩৫) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি। ১ ওভার পরেই ফেরান প্রত্যুষকে (৩৮)। বিষ্ণু সোলাঙ্কি (১০) রান আউট হতেই রান তোলার গতি কমে যায় বরোদার। একসময় ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বরোদা। ক্রূণাল পান্ডিয়া ও কার্তিক কাকাদে দলকে ম্যাচে ফেরান। এই জুটি বরোদাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কাকাদেকে (২৮) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মুকেশ কুমার। পরের ওভারেই ক্রূণাল পান্ডিয়াকে ফেরান (৩৯) শাহবাজ আমেদ। তখনই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় বরোদার। ৪৮.২ ওভারে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় বরোদার ইনিংস। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ ৩৯ রানে ৩টি, মুকেশ কুমার ৪১ রানে ২টি, ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি ৩২ রানে ২টি ও শাহবাজ আমেদ ৪৮ রানে ২টি উইকেট নেন।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Harbhajan Singh : বাইশ গজ ছেড়ে এবার অন্য ভুমিকায় দেখা যাবে হরভজন সিংকে

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। জাতীয় দলের হয়ে শেষবার খেলেছেন ২০১৫ সালে। তারপর দেশের জার্সি গায়ে আর খেলার সুযোগ পাননি। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ না পেলেও চুটিয়ে আইপিএল খেলেছেন। তবে এই মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এবার বাইশ গজকে চিরতরে বিদায় জানাতে চলেছেন হরভজন সিং। সামনের মরশুমে আইপিএলে তাঁকে অন্য ভুমিকায় দেখা যেতে পারে। আইপিএলের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই কোচিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন হরভজন সিং। ভাজ্জি নিজেও আইপিএলে কোচিং করাতে ইচ্ছুক। তাই বাইশ গজকে চিরতরে বিদায় জানাতে চান। ২০১৫ সালে দেশের হয়ে শেষবার টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন ভাজ্জি। ২০১৬র মার্চে শেষ টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে আইপিএলে নিয়মিত খেলে গেছেন। ২০১৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন। তারপর কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেন। এই মরশুমে আইপিএলের প্রথম পর্বে মাত্র তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটা ম্যাচেও সুযোগ পাননি। আইপিএলে হরভজন ম্যাচ খেলেছেন ১৬০টি, উইকেটের সংখ্যা ১৫০। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই আইপিএল জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন ভাজ্জি। তাঁর সেরা বোলিং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১৮ রানে ৫ উইকেট। ২০১৩ সালের আইপিএলে ১৯ ম্যাচে ২৪ উইকেট পান। ২০১৫ সালের আইপিএলে ১৮টি, ২০১০ সালের আইপিএলে ১৭টি এবং ২০১১ ও ২০১৪ সালের আইপিএলে ১৪টি করে উইকেট দখল করেন। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের আইপিএল অবধি টানা খেললেও ২০২০ সালে একটা ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ১০৩টি টেস্টে তাঁর ৪১৭টি উইকেট রয়েছে। ২৩৬টি একদিনের আন্তর্জাতিকে হরভজনের উইকেট-সংখ্যা ২৬৯। ২৮টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে ২৫টি উইকেট নিয়েছেন। টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন ২৬৮টি, ২৩৫টি উইকেট দখল করেছেন। আইপিএল খেলার পাশাপাশি ধারাভাষ্যের কাজেও যুক্ত থেকেছেন ভাজ্জি। এবার আইপিএলে তাঁকে পরামর্শদাতার ভুমিকায় দেখা যাবে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলা?‌ বিজয় হাজারেতে সামনে বরোদা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতা ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। ভাল পারফরমেন্স আশা করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। গ্রুপ লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে শীর্ষে থেকে পৌঁছে গিয়েছিল নক আউটে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে শেষরক্ষা হয়নি। দুর্দান্ত লড়াই করেও কর্ণাটকের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতার আক্ষেপ রয়েছে। তবে হতাশা কাটিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলা। এলিট বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলার সামনে বরোদা। বিজয় হাজারে প্রতিযোগিতার দল গঠনে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বাংলা। দলে ফেরানো হয়েছে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পাওয়া অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামীদের। যদিও ঋদ্ধিমান সাহার না থাকাটা বাংলার কাছে বড় ধাক্কা। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামী, সুদীপ চ্যাটার্জিদের অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা করেছেন বাংলার হেড কোচ অরুণলাল। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা এই ফরম্যাটে খেলতে নামছি। ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। দলেও দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। তরুণদের পাশাপাশি অনুষ্টুপ, সুদীপ, শ্রীবৎসদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা রয়েছে। ওদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শ্রীবৎস গোস্বামী, অনুষ্টুপ মজুমদারের মতো অভিজ্ঞদের বাইরে রেখেই দল গড়েছিল বাংলা। অভিজ্ঞতার অভাবে বাংলাকে ডুবতে হয়েছিল। সৈয়দ মুস্তাক আলির ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার অনুষ্টুপদের ফেরানো হয়েছে। মাঠে নিয়েও চিন্তা রয়েছে বাংলা শিবিরে। ত্রিবান্দমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে বরোদার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলা। দীর্ঘদিন এই স্টেডিয়ামে কোনও ম্যাচ হয়নি। ফলে স্টেডিয়ামের বাইশ গজ কেমন আচরণ করবে, সে ব্যাপারে কোনও ধারণা নেই বাংলা শিবিরের। অরুণলাল বাইশ গজ সম্পর্কে বলেন, দীর্ঘদিন এই মাঠে খেলা হয়নি। উইকেট কেমন হবে তা বুজতে পারছি না। দেখে ভাল মনে হয়েছে। তবে কেমন আচরণ করবে সেটাই দেখার।দীর্ঘদিন পর ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নামলেও চিন্তিত নয় বাংলা শিবির। সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলেন, দলের সব ক্রিকেটার দারুণ ফোকাসড। আমরা ত্রিবান্দ্রমে আসার আগে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৫টা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। দল দারুণ তৈরি। ভাল প্রস্তুতির জন্য ম্যাচ প্র্যাকটিসের কোনও বিকল্প হয় না। বরোদাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সৌরাশিস। তিনি বলেন, হার্দিক পান্ডিয়া না থাকলেও বরোদা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ক্রূণাল পান্ডিয়াসহ আরও ভাল ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। আশা করছি ভাল লড়াই হবে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের জঘন্য পারফরমেন্স নিয়ে কী বললেন সৌরভ গাঙ্গুলি?

ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা টি২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। আশা করেছিলেন এবছর টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু কোহলিদের পারফরমেন্সে তিনি খুবই হতাশ। সেই হতাশা গোপন রাখেননি সৌরভ। টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের জঘন্য পারফরমেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বিরাট কোহলিদের টি২০ বিশ্বকাপের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, এই ভারতীয় দলের অনেক দক্ষতা ছিল। কিন্তু সেই ক্ষমতার ১৫ শতাংশও মেলে ধরতে পারেনি। গত ৫৬ বছরে এত খারাপ খেলতে ভারতীয় দলকে কখনও দেখিনি। সত্যি কথা বলতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কিংবা ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপেও ভারত এর থেকে অনেক ভাল খেলেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারত হেরেছিল। তখন আমি ধারাভাষ্যকারের ভুমিকায় ছিলাম। ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপেও সব দলকে হারিয়েছিলাম। সেমিফাইনালে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল। একটা বাজে দিনে দুমাসের কঠোর পরিশ্রমের জলাঞ্জলি হয়েছিল।এবারের টি২০ বিশ্বকাপে কেন ভারতের এই ব্যর্থতা? এই প্রসঙ্গে সৌরভ অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও কারণের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনও একটা কারণ বলা খুবই কঠিন। তবে ক্রিকেটারদের দেখে মনে হয়েছে ওরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারছিল না। কখনও কখনও এমন হয়ে থাকে। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা গুটিয়ে ছিলাম। এই দুটি ম্যাচে ক্রিকেটাররা ১৫ শতাংশর বেশি দিতে পারেনি। বড় প্রতিযোগিতায় এইরকম খারাপ সময় আসে।সৌরভের আশা, এই বিশ্বকাপে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দল ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমাদের সময় দীর্ঘদিন পরপর বড় প্রতিযোগিতা হত। আর এখন প্রায় প্রতিবছর বিশ্ব খেতাব জেতার মতো প্রতিযোগিতা হয়। আগামী ৮ বছরে আটটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি এবারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপে ভাল ফল করবে। এই ভারতীয় দলে অনেক প্রতিভা রয়েছে। সব ক্রিকেটারের প্রচুর দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু নিজেদের সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারতে হয়েছিল ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার ৮ উইকেটে। গ্রুপ লিগের বাকি ৩ ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বিরাট কোহলি ব্রিগেড। গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হয় ভারতকে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India vs New Zealand : অক্ষরের ৫ উইকেট, স্পিনারদের দাপটে ম্যাচে ফিরল ভারত

দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডকে দেখে মনে হচ্ছিল করা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে ভারতকে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেও দারুণ ব্যাট করছিলেন টম লাথামরা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে স্পিনারদের দাপটে ম্যাচে ফেরে ভারত। সৌজন্যে অক্ষর প্যাটেল।আগের দিনের বিনা উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই ভারতীয় স্পিনারদের দারুণ সামলাচ্ছিলেন দুই ওপেনার টম লাথাম ও উইল ইয়ং। নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৬৬.১ ওভারে উইল ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার নীতীন মেনন। ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্ত হিসেবে উইকেটকিপিং করতে নামা শ্রীকার ভরতের পরামর্শে রিভিউ নেন অজিঙ্কা রাহানে। রিভিউতে দেখা যায় অশ্বিনের বল ইয়ংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের হাতে জমা পড়েছে। ২১৪ বলে ৮৯ রানে আউট হন উইল ইয়ং। নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১৫১।এরপর দলকে টানছিলেন টম লাথাম ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দলের ১৯৭ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে লেগ বিফোর হন কিউয়ি অধিনায়ক। ৬৪ বল খেলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপরই শুরু হয় ভারতীয় স্পিনারদের দাপট। অক্ষর প্যাটেলের স্পিনের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। এক ওভারের ব্যবধানে রস টেলর (১১) ও হেনরি নিকোলসকে (২) তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। দুরন্ত ব্যাট করতে থাকা টম লাথামও তাঁর শিকার। ২৮২ বলে ৯৫ রান করে অক্ষরের বলে স্টাম্পড হন লাথাম। নিউজিল্যান্ডের রান তখন ২২৭/৫। লাথাম আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বড় রানের ইনিংসের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। টম ব্ল্যান্ডেল (১৩), টিম সাউদিকে (৫) তুলে নিয়ে ৫ উইকেট পূর্ন করেন অক্ষর প্যাটেল। ২৭০ রানে ৮ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর বেশিক্ষণ লড়াই জারি রাখতে পারেনি কিউয়িরা। ২৯৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। ৮২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। অন্যদিকে, ৬২ রানে ৫ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।৪৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই শুভমান গিলকে তুলে নেন কাইল জেমিসন। মাত্র ১ রান করে বোল্ড হন শুভমান। তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তুলেছে ১৪/১। দুই ইনিংস মিলিয়ে এগিয়ে রয়েছে ৬১ রানে।

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wriddhiman Saha : কানপুরেই জীবনের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন ঋদ্ধিমান?

কানপুরেই কি জীবনের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন ঋদ্ধিমান সাহা? প্রশ্নটা ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। যদি শেষ পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভবিষ্যৎ কিন্তু সেই দিকেই এগোচ্ছে। জল্পনা তৈরি হয়েছে কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন উইকেটকিপিং করতে না নামায়।বিশ্বের সব দেশই অলরাউন্ডার উইকেটকিপার দলে নিতে চায়। অর্থাৎ উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও যিনি দলকে ভরসা দিতে পারবেন। উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে ঋদ্ধিমানের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। ব্যাটিংয়ের জন্যই ঋষভ পন্থ নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন। ঋদ্ধিমানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন শ্রীকার ভরত, ঈশান কিষাণরা। ঋষভ পন্থকে নির্বাচকরা বিশ্রাম দেওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু ব্যাট হাতে দলকে একেবারেই ভরসা দিতে পারেননি। গত বছর ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ঋদ্ধিমান। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত সেই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ঋষভ পন্থ টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে জায়গা পাকা করে নেন। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা আইপিএলেও দাগ কাটতে পারেননি ঋদ্ধি।ঘাড়ে যন্ত্রণার জন্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নামতে পারেননি ঋদ্ধিমান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এদিন খেলা শুরুর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘাড়ে টান ধরায় ঋদ্ধি আজ খেলতে পারবেন না। মেডিক্যাল টিম তাঁর চিকিৎসা করছে। ঋদ্ধির পরিবর্তে উইকেটকিপিং করছেন কেএস ভরত।১৯৪৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি বছরের উইকেটকিপার হিসেবে টেস্ট খেলছেন ঋদ্ধিমান। কানপুর টেস্টের প্রথম দিন ঋদ্ধির বয়স ছিল ৩৭ বছর ৩২ দিন। ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার ৩৬ বছর ৩৩৮ দিনের মাথায় নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। ঋদ্ধি ইঞ্জিনিয়ারের রেকর্ড টপকালেন। তবে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সের উইকেটকিপার হিসেবে টেস্ট খেলার রেকর্ডটি দখলে রয়েছে দত্তরাম হিন্দেলকরের। তিনি শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ৩৭ বছর ২৩১ দিন। এই সিরিজের পর ঋদ্ধিমান যদি অবসর নেন, তাহলে দত্তরাম হিন্দেলকরের রেকর্ডটিও অক্ষত থাকবে। অবসর না নিলেও ঋদ্ধির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া কঠিন।/p

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs NZ Test : শ্রেয়স আয়ারের অভিষেকে সেঞ্চুরি সত্ত্বেও কেন চাপে ভারত?

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতকে বড় রানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার ও রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্ত দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর ৩৪৫ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ভারতকে চাপে ফেলে ম্যাচের রাশ শক্ত হাতে ধরল বিশ্বের ১ নম্বর টেস্ট দল তথা টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। শ্রেয়স আয়ারের টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন টিম সাউদি। আর ভারতকে চাপে ফেলার দুই কারিগর টম লাথাম ও উইল ইয়ং।আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়স আয়ার। ৫০ রানে ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। লাঞ্চের সময় ভারতের রান ছিল ৩৩৯/৮। এদিন কোনও রান না করেই আউট হন রবীন্দ্র জাদেজা। ২৬৬ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ার পর ২৮৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত। ঋদ্ধিমান সাহা ১২ বলে ১ রান করলেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায় নিউজিল্যান্ড সিরিজই ঋদ্ধিমানের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ হতে চলেছে কিনা সেই জল্পনা জোরালো হলো। ঋদ্ধিমানের পর শ্রেয়স আয়ারকেও আউট করেন সাউদি। ২৬৭ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৭১ বলে ১০৫ রান করেন শ্রেয়স আয়ার। ১৩টি চার ও দুটি ছয় মেরেছেন। ৯৬.১ ওভারে ভারতের সপ্তম উইকেট পড়ে ৩০৫ রানে।৯৯তম ওভারের শেষ বলে অক্ষর প্যাটেল সাউদির পঞ্চম শিকার। তিনি করেন তিন। টিম সাউদি ২৭.৪ ওভারে ৬টি মেডেন-সহ ৬৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন। ভারত প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৪৫। ভারত শেষ ৬টি উইকেট হারায় ৮৭ রানে।দ্বিতীয় দিনেও পিচে কোনও জুজু ছিল না তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৪৫ রানের জবাবে ৫৭ ওভার খেলে নিউজিল্যান্ড তুলেছে বিনা উইকেটে ১২৯ রান। দিনের শেষে লাথাম ১৬৫ বলে ৫০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। উইল ইয়ং অপরাজিত রয়েছেন ১৮০ বলে ৭৫ রান করে। বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভ শট দেখা গিয়েছে ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে। স্যুইপের সঙ্গে লেগ ফ্লিক মেরে স্পিনারদের সামলেছেন লাথাম।

নভেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs NZ Test : অভিষেকেই দুরন্ত ব্যাটিং, বৃত্ত সম্পূর্ণ হল শ্রেয়স আয়ারের

২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। বিরাট কোহলি না থাকায় তাঁর পরিবর্তে শ্রেয়সকে দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। সেই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। যদিও টেস্ট অভিষেক হয়নি শ্রেয়সের। এবারও বিরাট কোহলি বিশ্রাম নেওয়ায় সুযোগ পেয়েছেন শ্রেয়স। নেতা সেই অজিঙ্কা রাহানে। তবে এবার আর রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়নি শ্রেয়সকে। সুযোগ পেয়েই অভিষেক টেস্টে দুরন্ত অর্ধশতরান। তাঁর দুরন্ত অর্ধ শতরানের সুবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় ভারত।কানপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন হবে। এই কথা মাথায় রেখে টস জিতে ভারত এদিন প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। অজিঙ্কা রাহানের লক্ষ্য ছিল প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলা। সেই লক্ষ্যের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ভারত। এদিন প্রথম সেশনে একটি, দ্বিতীয় সেশনে তিনটি উইকেট পড়লেও, তৃতীয় সেশনের পর আর কোনও উইকেট হারায়নি ভারতীয় দল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ভারতের স্কোর ছিল ২৯ ওভারে ১ উইকেটে ৮২।ভারত এদিন প্রথমে হারায় ময়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেটে । ১৩ রান করে কাইল জেমিসনের বলে তিনি কট বিহাইন্ড হন। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারের শেষ বলে শুভমান গিলকে বোল্ড করেন জেমিসন। ৯৩ বলে ৫২ রান করেন গিল। নিজস্ব ভঙ্গীতে ২ ঘণ্টার বেশি ক্রিজে থেকে ৮৮ বল খেলে ২৬ রানে টিম সাউদির ওভারে কট বিহাইন্ড হন চেতেশ্বর পূজারা। ১০৬ রানে ভারত যখন তিন উইকেট হারিয়েছে তখন ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়স। তিনি ও রাহানে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অজিঙ্ক রাহানে ৬৩ বলে ৩৫ রান করার পর কাট শট মারতে গেলে বল তাঁর ব্যাটে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়। রাহানে জেমিসনের তৃতীয় শিকার।রাহানে ফিরে যাওয়ার পর রবীন্দ্র জাদেজা ও শ্রেয়স আয়ার দলকে টেনে নিয়ে যান। এই দুই ব্যাটারের দুরন্ত অর্ধ শতরান দলকে মজবুত জায়গায় পৌঁছে দেয়। প্রথম দিনে আলোর অভাবে খেলা বন্ধের সময় ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ২৫৮ রান। সাতটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ১৩৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত শ্রেয়স আইয়ার। ১০০ বলে ৫০ রানে ক্রিজে রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁদের অবিচ্ছেদ্য পঞ্চম উইকেট জুটিতে উঠেছে ১১৩ রান। অভিষেক টেস্টে শতরানের দিকে এগোচ্ছেন শ্রেয়স আইয়ার, দরকার আর ২৫। রবীন্দ্র জাদেজা এদিন কেরিয়ারের ১৭তম অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নটিংহ্যামে প্রথম টেস্টে ৫৬ রান করার পর এদিন ফের টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি পেলেন জাদেজা।

নভেম্বর ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India :ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডায়েট চার্ট নিয়ে বিতর্ক। খাওয়া যাবে না বিফ-পর্ক?

ক্রিকেটারদের ডায়েট চার্ট নিয়ে বিতর্কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের জন্য ডায়েট চার্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্রিকেটাররা শুধু হালাল মাংস খেতে পারবেন। বিফ কিংবা পর্ক খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল। কিউইদের হোয়াইট ওয়াশ করে মনোবল তুঙ্গে। এই অবস্থায় ক্রিকেট বোর্ডের এই বিজ্ঞপ্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ক্রিকেট দলের নতুন ডায়েটে বিফ ও পর্ক নিষিদ্ধ। ক্রিকেটারদের ফিট থাকার জন্য ও সুস্বাস্থ্যের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ মাংস খেতে চায়, তাহলে হালাল মাংস খেতে পারে। ক্রিকেটাররা অন্য কোনও মাংস খেতে পারবে না। ভারতীয় বোর্ডের যে বিজ্ঞপ্তির কথা বলা হয়েছে, সেখানে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং খেলার পরে খাবারের কথা ছিল। বিজ্ঞপ্তির একেবারে নিচে পর্ক এবং বিফ খাওয়া যাবে না বলে উল্লেখ ছিল। সেখান থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। একদল ক্রিকেট প্রেমী বলছেন, বোর্ড এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। এই প্রসঙ্গে বোর্ডের তরফে এক কর্তা জানিয়েছেন, এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। খেলোয়াড়রা আমিষ বা নিরামিষ যাই খান, সেটা তাদের নিজেদের পছন্দের বিষয়।আগামীকাল, অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে কানপুরে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্ক রাহানে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা বিশ্রাম নিয়েছেন। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ মুম্বইয়ে। সেই টেস্টে দলে ফিরবেন বিরাট কোহলি।

নভেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Indian Cricket: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগেই বড় ধাক্কা ভারতের, ছিটকে গেলেন এই তারকা

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল ওপেনার লোকেশ রাহুলকে। এরপরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, টেস্ট সিরিজের জন্য সূর্য্কুমার যাদবকে দলে ডাকা হয়েছে। তখনই ইঙ্গিতটা ছিল। হয়তো কোনও ক্রিকেটারের চোটের জন্য সূর্যকে দলে ডাকা হচ্ছে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। চোটের প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন লোকেশ রাহুল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখবর জানানো হয়েছে। শুধু প্রথম টেস্ট নয়, সম্ভবত দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি খেলতে পারবেন না। লোকেশ রাহুলের ছিটকে যাওয়াটা ভারতীয় দলের কাছে বড় ধাক্কা।জয়পুরে পৌঁছনোর পর সোমবার অনুশীলনে নেমে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্র্যাক্টিসে লোকেশ রাহুলকে দেখা যায়নি। মনে করা হচ্ছিল, টি২০ সিরিজ খেলে ক্লান্ত থাকায় হয়তো অনুশীলনে আসেননি। কিন্তু মঙ্গলবারও অনুশীলনে গরহাজির ছিলেন রাহুল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, লোকেশ রাহুল প্রথম টেস্টে খেলতে পারবে না। ওর চোট রয়েছে। লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে সূর্য্কুমার যাদবকে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, শুধু কানপুর নয়, মুম্বইয়ে দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারবেন না লোকেশ রাহুল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য লোকেশ রাহুলের কোথায় ছোট রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যমের খবর, তাঁর বাম উরুর পেশীতে টান ধরেছে৷ সেই কারনেই তাঁকে বাদ পড়তে হল৷ আপাতত তিনি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে রিহ্যাব করবেন। লোকেশ রাহুল ছিটকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হবে ভারতকে। কারণ ব্যাটিং শক্তি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। প্রথম টেস্ট থেকে আগেই বিশ্রাম নিয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা। চোটের জন্য এবার ছিটকে গেলেন লোকেশ রাহুল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেক্ষেত্রে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে শুভমান গিল ওপেন করবেন। সূর্য্কুমারের টেস্ট অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্য্কুমারের টেস্ট অভিষেক হলে তিনি কোহলির জায়গায় ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন।

নভেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India Test Team : ‌চমক ভারতীয় টেস্ট দলে, টেস্ট ডাকা হল এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যনকে

টি২০ বিশ্বকাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজেও ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও আবার ভারতীয় টেস্ট দলে ফেরানো হচ্ছে সূর্যকুমার যাদবকে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে তাঁকে দলে নেওয়া হচ্ছে। কলকাতায় ইডেনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ খেলে তিনি দলের সঙ্গেই কানপুর উড়ে গেছেন টেস্টের জন্য জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে। সেখানেই হবে প্রথম টেস্ট।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টি টেস্টের জন্য আগেই ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দলে প্রথমে সুযোগ পাননি সূর্যকুমার যাদব। পরে তাঁকে ডেকে নেওয়া হল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রোহিত শর্মা খেলবেন না। তবে টি২০ সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেওয়া বিরাট কোহলি টেস্ট সিরিজে ফিরবেন। তবে তিনি দ্বিতীয় টেস্ট থেকে খেলবেন। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্কা রাহানে। মহম্মদ সামি, যশপ্রীত বুমরারাও বিশ্রাম কাটিয়ে টেস্ট সিরিজে ফিরবেন।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, সূরকুমার যাদবকে আবার টেস্ট দলে ফেরানো হচ্ছে। কলকাতা থেকে সরাসরি তিনি কানপুরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। সূর্যকুমার যাদব এই প্রথম টেস্ট দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। এর আগে ঘরের মাঠে ইংল্যানন্ড সিরিজে তাঁকে ব্যাক আপ হিসেবে দলে রাখাআ হয়েছিল। তবে একটা ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। এবার প্রথম একাদশে সুযোগ পান কিনা, সেটাই দেখার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই রানের মধ্যে রয়েছেন সূর্যকুমার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৭৭ ম্যাচে রান করেছেন ৫৩৫৬। গড় ৪৪ এর কাছাকাছি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে মুম্বইয়ের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। করেছেন ২৬টি অর্ধ শতরান। তবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে আর লাল বলের ক্রিকেটে খেলেননি সূর্যকুমার।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই টেস্ট সিরিজ ২০২১২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ইতিমধ্যেই ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা সিরিজ খেলে ফেলেছে। কোহলিরা দ্বিতীয় সিরিজ খেলতে নামবেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সংস্করণে এই প্রথমবার সিরিজ খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সংস্করণে এই নিউজিল্যান্ডের কাছে ফাইলানে হারতে হয়েছিল ভারতকে। কোহলিরা যদি ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে পারেন, তাহলে ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পারবেন। নিউজিল্যান্ড খেলাব ধরে রাখার জন্য শুরু থেকেই মরিয়া হবে। তার ওপর ভারতের কাছে টি২০ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার ক্ষত তো রয়েছেই।

নভেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India vs New Zealand : ‌‌কিউয়িদের হোয়াইট ওয়াশ করে বিশ্বকাপের ক্ষতে প্রলেপ ভারতের

জয়পুর ও রাঁচিতে পরপর দুটি একদিনের ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই দখল করে নিয়েছিল ভারত। ইডেনে নিয়মরক্ষার ম্যাচে ছিল নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করার হাতছানি। লক্ষ্যে সফল রোহিত ব্রিগেড। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৭৩ রানে জিতে কিউয়িদের হোয়াইট করার পাশাপশি বিশ্বকাপের পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিল ভারত। ইডেনে আবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা।টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। লোকেশ রাহুল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বিশ্রাম দিয়ে ভারত এই ম্যাচে প্রথম একাদশে নিয়ে আসে ঈশান কিষাণ ও যুজবেন্দ্র চাহালকে। ওপেন করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন রোহিত ও কিষাণ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে ৬৯ রান। ১১ ওভারে ভারতের ১০০ রান পূর্ণ হয়। ১৭.৩ বলে হয় দেড়শো। সপ্তম ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। এই ওভারের দ্বিতীয় বলে ঈশান কিষাণ কট বিহাইন্ড হন। ৬টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ২১ বলে ২৯। একই ওভারে সূর্যকুমার যাদব শূন্য রান করে আউট হন। নবম ওভারের শেষ বলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন ঋষভ পন্থ। ৬ বলে ৪ রান করে তিনিও স্যান্টনারের শিকার। ভারতের তৃতীয় উইকেটটি পড়ে ৮৩ রানে।১১.২ ওভারে রোহিত শর্মাকে (৩১ বলে ৫৬) নিজের বলেই দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ইশ সোধি। এরপর শ্রেয়স আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৫.৫ ওভারে ভেঙ্কটেশ ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন দলের ১৩৯ রানের মাথায়। একটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি ১৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন। শ্রেয়সকে আউট করেন অ্যাডাম মিলনে। ২০ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ১৮.৩ ওভারে হর্ষল প্যাটেল লকি ফার্গুসনের বলে হিট উইকেট হন। হর্ষল এদিন ২টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে করলেন ১১ বলে ১৮। ২০ ওভারে ভারত তোলে ১৮৪/৭।এমনিতেই সিরিজ খুঁইয়ে মনোবল ভেঙে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের। তার ওপর বিশাল রানের চাপ নিতে পারেনি। রোহিত এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়ে দেখে নিতে চেয়েছিলেন বোলাররা কতটা শিশিরের চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। অক্ষর প্যাটেল, হর্ষল প্যাটেলরা হতাশ করেননি ক্যাপ্টেনকে। অক্ষরের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে কিউয়ি ব্যাটংয়ের মেরুদন্ড। ৩ ওভারে ৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন হর্ষল প্যাটেল। ১৭.২ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিছুটা লড়াই করেন মার্টিন গাপটিল। ৩৬ বলে ৫১ রান করেন তিনি।

নভেম্বর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India vs New Zealand : ‌ইডেনে দ্রাবিড়, টিকিটের হাহাকার, কলোবাজারি তুঙ্গে

রোহিত শর্মার পয়া মাঠ ইডেন। ক্রিকেটের নন্দনকানন কখনও খালি হাতে ফেরায়নি তঁাকে। একদিনের ক্রিকেটে মহাকাব্যিক ২৬৪ রানের ইনিংসও সেই ইডেনে। রবিবার এই প্রিয় ইডেনেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ ৩০ করার লক্ষ্যে মাঠে নামছে রোহিতের ভারত। জয়পুর ও রাঁচিতে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ ইতিমধ্যেই পকেটে ভরে ফেলেছে ভারত। তৃতীয় ম্যাচে প্রথম একাদশে কয়েকটা পরিবর্তন করতে চায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তা ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখেই। কারণ হোয়াইট ওয়াশের কথাটা মাথায় রাখতে হচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৩০ ব্যবধানে জিতলে তবেই টি২০ বিশ্বকাপের ক্ষত কিছুটা হলেও নিরাময় হবে। রাঁচিতে ম্যাচ খেলে শনিবার দুই দলই কলকাতা পৌঁছনোর অনুশীলনের কোনও ব্যাপার ছিল না। তবে হোটেলে পৌঁছেই ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরকে সঙ্গে নিয়ে ইডেনে চলে এসেছিলেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। উইকেট দেখে যান। কথা বলেন ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জির সঙ্গে। ইডেনের বাইশ গজ, মাঠে কেমন শিশির পড়ছে, এসব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন। ইডেনের উইকেট দেখে খুশি ভারতীয় দলের হেড কোচ। সিরিজ আগেই জিতে যাওয়ায় ইডেনে শেষ ম্যাচে নতুনদের দেখে নেওয়ার পরিকল্পনা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুলকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অভিষেক হতে পারে। ভুবনেশ্বর কুমার কিংবা দীপক চাহারের পরিবর্তে আবেশ খানকে খেলানো হতে পারে। প্রথম একাদশে ঢুকতে পারেন যুজবেন্দ্র চাহাল। অক্ষর প্যাটেলকে বসানো হতে পারে। ঋষভ পন্থের জায়গায় ঈশান কিষাণের খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে ভারসাম্যের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে ভারতীয় টিইম ম্যানেজমেন্টকে।সিরিজের ফয়সালা হয়ে গেলেও টিকিট নিয়ে হাহাকার। করোনার জন্য পুলিশ ৭০ শতাংশ দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। কাউন্টার থেকে কোনও টিকিট বিক্রি হয়নি। যা টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, সবই অনলাইনে। ফলে টিকিটের চাহিদা আরও বেড়েছে। ময়দানে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ৬৫০ টাকার টিকিট দেড়হাজারে। দেড় হাজার টাকার টিকিট ২৫০০ টাকায়। এমনকি মেম্বারশিপ, কমপ্লিমেন্টারি টিকিটও কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। কালোবাজারির দায়ে এদিন সাতজনকে আটক করেছে ময়দান থানার পুলিশ।

নভেম্বর ২০, ২০২১
নিবন্ধ

Shree: কুঁড়ে ঘর থেকে ক্রিকেটের নন্দনকাননে

......এবার আমরা ডেকে নিচ্ছি আমাদের গর্ব, আমাদের গ্রামের রত্ন শ্রীতমা দত্তকে। ওনাকে সম্বর্ধনা জানাবেন আমাদের এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী প্রতাপ চৌধুরী।একটি ছিপছিপে শ্যামলা মেয়ে উঠে এল মঞ্চে। মেয়ের চোখে অসম্ভব একটা আত্মবিশ্বাস। মুখে একটা আত্মপ্রসাদের হাসি।ভাবছেন তো কে এই শ্রীতমা? কেন তাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হচ্ছে?শ্রীতমা এই পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি ছোট গ্রাম কানপুর এর মেয়ে। আজ সে জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য রূপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তাই গ্রামের ক্লাব থেকে ওকে সম্বর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।ওকে ওর এই সাফল্যের কথা বলতে বলা হলেও একটু হাসল যেন নিজের মনে। হাসবে নাই বা কেন! কারন এখন ও যদি ওর আজকের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে ওর জীবন সংগ্রামের কথা সব বলে তাহলে উপস্থিত অনেকেই অস্বস্তিতে পরবে। তাই যতটুকু বলা যায় সেটুকুই বলে।কারন শ্রীতমার চলার পথ মোটেও সহজ হয়নি। খুব ছোট বেলায় বাবাকে হারায়। না বাবা মারা যায়নি, হারিয়ে গেছে । তাঁর স্মৃতি হারিয়ে গেছিল। কোনো একদিন অজান্তেই বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর তখন থেকেই ওদের মা মেয়ের জীবন যুদ্ধ শুরু। মা মিনতি দেবী সাধারণ গৃহবধূ। লেখা পড়ার খুব বেশি জানতেন না। তাই জীবন টা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।কিন্তু গ্রাম হলেও বেশ বর্ধিষ্ণু। অনেক মানুষ বাস করে সে গ্রামে। চার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বিডিও অফিস, ব্যাঙ্ক, কলেজ থাকায় সেখানে বহু মানুষের বাস। সেখানে ই অনেক চেষ্টার পর দু-তিন ঘরে রান্নার কাজ পেয়ে যায়। আর তাতেই মা মেয়ের দিন চলে যায়। শ্রী গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে। তার সাথে বাড়িতে ও ঘরের কাজ করতে হয়। মা সকালে উঠে কাজে চলে যায়। তাই ঘরের যাবতীয় কাজ ওকে করে আগের দিন করে রাখা ভাত খেয়ে স্কুলে যেতে হয় ওকে। এই ভাবে চলতে থাকে মা মেয়ের জীবন।একদিন সে মায়ের সথে মা যেখানে রান্না করে তাদের বাড়িতে যায়। সেই বাড়ির ছেলেটি বাড়ির পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। শ্রী তখন ক্লাস সিক্স। ও ছোটো থেকেই খেলাধুলায় খুব ভালো। স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বরাবরই পুরস্কার পায়। ও ক্রিকেট খেলা খুওব ভালোবাসে। ইন্ডিয়া টিমের খেলা থাকলে ও দেখবেই পাড়ায় কারও বাড়িতে। কারন টিভি কেনার মত সামর্থ তাঁদের নেই, এই ব্যাপারে অনেকে ওর মাকে নানা কথা শোনায়। ও যখন ছেলেদের সঙ্গে খেলতে যায় গ্রামের লোকেরা নানারকম কথা বলে। কিন্তু শ্রী খেলা ছেড়ে যেন থাকতে পারে না। এরপর ও মেয়েদের ক্রিকেট দলের কথা শোনার পর স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিন্তু জানে যে সে স্বপ্ন পূরণ হবার নয়। তবুও স্বপ্ন আসে নিজের মত করে। মায়ের সঙ্গে গিয়ে ক্রিকেট কোচিং সেন্টার দেখে ওর ইচ্ছাটা প্রবল হয়। তারপর থেকে ছুটির দিনে সে মায়ের সাথে মাঠে যায়। মা রান্না করে আর ও মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে দেখে কি করে খেলা হয়।শ্রীতমাকে সপ্তাহে ওই বিশেষ দিনে মাঠের পাশের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একদিন কোচিং সেন্টারের কোচ ওকে জিজ্ঞাসা করেন ওর বাড়ি কোথায়? ও এখানে কার সাথে আসে? ও তখন সাহস করে বলে ও দাদা আমাকে ক্রিকেট শেখাবে?শুনে অবাক হয়ে যায় কোচ অনির্বাণ রায়। বলে এখানে তো মেয়েদের শেখানো হয়না। তুমি একা কি করে শিখবে?ও বলে কি হয়েছে আমি একাই শিখবো। দেখবে আমাকে দেখে অনেক মেয়ে আসবে।কথাটা বেশ ভালো লাগে অনির্বাণের। ও বলে বেশ আমি ক্লাবের সাথে কথা বলি।পরের সপ্তাহে শ্রী ঠিক হাজির হয়। সেদিন দেখে আরও কয়েকজন রয়েছে। ওকে বলেন, তুই খেলার কথা বলেছিস?হ্যাঁ!একজন বলে ওঠেন জানিস এই খেলার খরচ?ছোটো শ্রী খেলার খরচের কথা শুনে একটু অবাক হয়। ছোটো মনে সেটা ঢোকে না, শুধু অবাক চোখে তাকায়।যারা এসেছেন তাদের মধ্যে একজন বলেন ঠিক আছে ও যদি খেলতে চায় খেলুক। আমরা ক্লাবের তরফ থেকে যত টা পারব সাহায্য করবে।সেই শুরু শ্রীতমার আরেক যুদ্ধ। ওর মা অবশ্য প্রথম প্রথম রাজী ছিলেন না। কিন্তু মেয়ের ইচ্ছা আর অদম্য জেদের কাছে হেরে যান শেষ পর্যন্ত। মেয়েকে আরও একটু ভালো খাবার দেওয়ার জন্য আরও এক বাড়ি কাজ নেন মিনতি। মেয়ের খেলা নিয়ে গ্রামের অনেকে বলে,মেয়ে মানুষের আবার ওত লাফালাফি কিসের ছেলেদের সাথে?আবার অনেকে বলে কুঁজোর ও সখ হয় চিৎ হয়ে শুতেএসব কথা যত শুনে শ্রীতমার মনে জেদ আরও বেড়ে যায়। একদিন অনিদা ওকে বলে তোর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আরও বড়ো জায়গায় শিখতে হবে।...আমি কি করে বড়ো জায়গায় শিখবো অনি দা?দেখি একবার সুধীরদাকে বলে। সবার বিরুদ্ধে গিয়ে উনিই তো তোর খেলার ব্যবস্থা করেছিলেন। আজ পর্যন্ত তোর যাবতীয় সরঞ্জাম উনিই কিনে দিয়েছেন। উনি যদি আরও একটু সাহায্য করেন তাহলে তোকে দূর্গাপুরের একটা ক্লাবে ভর্তি করে দিতে পারব, আমার চেনা আছে।সুধীরদা সাহায্য করে, শ্রী ভর্তি হয় দূর্গাপুরের ক্লাবে। ওর মাকে ও ওখানে কাজের ব্যবস্থাও করে দেয় ওরা। তবে এসব কিছু সহজ হয়নি। গ্রামের অনেকে অনেক বাজে কথা বলেছে ওর মাকে। যারা আজ ওকে নিয়ে এত উচ্ছাস দেখাচ্ছে তারাই যে একদিন নোংরা কথা বলতেও ছাড়েনি মামেয়েকে।নিজের জেদে অটুট শ্রী মাকে শুধু বলেছে দেখবে একদিন সবাই আমাদের কাছে হেরে যাবে।এরপর শুরু হয় আরেক লড়াই। শহরের বড়ো ঘরের মেয়েদের সাথে খেলা সহজ নয়। সহজে কেউ মেনে নিতে পারে না গ্রামের গরীবের মেয়ে শ্রীতমাকে। পদে পদে হেনস্থা করতে থাকে। ঠিক যেমন কোনি গল্পে আমরা দেখতে পাই। ওর পোষাক নিয়ে হাসাহাসি করে ওখানকার মেয়েরা। এসব কিছু মাঝে মাঝে শ্রীকে একটু দুর্বল করে দেয়। কিন্তু সবাই তো সমান হয় না; শর্মিলা শ্রীতমার বন্ধু হয়ে ওঠে। শহরের মেয়ে হলেও ও একটু অন্য রকম। ও বোঝে শ্রীতমার কষ্ট। শ্রী যখন ভেঙে পরে ও বোঝায় কোনো কিছু খেলার থেকে বড়ো নয়। শর্মিলা বোঝে শ্রী এর মধ্যে একটা আগুন আছে যে টা ওকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।এর মধ্যে আসে বাংলা দলের টিম নির্বাচনের সময়। ক্লাবের হয়ে ও খুব ভালো খেলে তবু অনেক চেষ্টা চলে শ্রী কে না নেওয়ার। কিন্তু ভগবান যার সহায়তা হন তাকে কেউ হারাতে পারে না।তাই কোন কিছু পারে না ওকে থামাতে। ও বাংলা দলে নির্বাচিত হয়। খেলে খুব ভালো। এবার যেতে হয় কোলকাতায়। সেখানেও ওকে সাহায্য করে সুধীর দা। মা মেয়ের থাকার আর মায়ের কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। ওখানেও রান্নার কাজে লাগিয়ে দেয়। এখানে ক্লাব আরও বড়ো আরও ভালো ব্যবস্থা। শ্রী তো খুশিতে নেচে ওঠে। কিন্তু প্র্যাকটিস করতে গিয়ে বোঝে আরও কঠিন জায়গায় এসে পৌঁছেছে সে।কিন্তু স্বপ্নটা তো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে জোরদার ভাবে। তবে ওখানে বাংলার দুই মহিলা ক্রিকেটারের চোখে পড়ে শ্রী। ওর একাগ্রতা ও অধ্যবসায় তাদের মুগ্ধ করে। তারা ওকে যথাসম্ভব সাহায্য করেন।এইসময় বাংলা টিমে সূযোগ না পেয়ে পূর্ব ভারতের অন্য একটি রাজ্যের হয়ে শ্রী খেলে।এখন কোনো বাধা আর যেন অন্তরায় না হয় শ্রীতমার জীবনের পথে এই প্রার্থনা করে ওর মা। কিন্তু সেটা তো সহজ নয়। তবে ওর অধ্যবসায় দেখে সুধীর দার মত সহৃদয় ব্যক্তি এখানেও এগিয়ে আসেন ওকে সাহায্য করতে। আর এই মানুষগুলো আছেন বলেই এখনও পৃথিবীর বুকে শ্রীতমার মত মেয়েরা সফলতা পায়।হাজার রকম বাধা সত্ত্বেও শ্রীতমার প্র্যাকটিস চলতে থাকে। এরপর আসে সেই দিন জাতীয় স্তরে নির্বাচনের দিন। প্রথমে তো ওকে জানানোই হয়না। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে থাকলে সব হয়, ও জানতে পারে নির্বাচনের কথা। ক্লাবের সেক্রেটারির কাছে যায়।স্যার আমি কি যাব না জাতীয় স্তরের নির্বাচনে? বলে শ্রীতুমি! তুমি কি করে যাবে? তুমি এই সবে কয়েক মাস হলো এসেছো।তাও... আমাকে একটা সূযোগ দিন!না না ওইভাবে হয় না। তুমি এখন যাও। বলে ওকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে।ও বেরিয়ে যাওয়ার সময় আর একটি মেয়ে ঢোকে। তাকে ঢুকতে দেখে দাঁড়িয়ে পরে শ্রী। তারপর ওদের কথোপকথন শুনে বুঝতে পারে এখানেও খেলা চলছে। ওর পরে যে মেয়েটি ক্লাবে আসে সে কোনো বড়ো ব্যক্তির আত্মীয় তাই সে যাবার সূযোগ পেয়ে যায়।এসব শুনে মন ভেঙে যায় শ্রীতমার। এমন সময় শর্মিলা ওকে বলে তুই চিন্তা করিস না আমি ব্যাপারটা দেখছি। শর্মিলা মেয়েটি খুব চটপটে। ও সব জানায় যতীন্দ্রমোহন বসুকে যে এই ক্লাবের সব বিষয়ে নিজের মতামত জোরদার ভাবে চাপাতে পারেন। ভদ্রলোক খুব অমায়িক। উনিই সেই ব্যক্তি যিনি শ্রী কে এখানে সবরকম ভাবে সাহায্য করেন। উনি আসলে খেলা টা ভালোবাসেন এবং বোঝেন। আরও বোঝেন কার দ্বারা কি হবে।তাই প্রথম দিন থেকেই উনি শ্রীতমার খেলা র অনুরাগী হয়ে ওঠেন। ওকে সবরকম সাহায্য করতে থাকেন।উনি শর্মিলার বাবার বিশেষ পরিচিত।শর্মিলা ওনাকে সব বলে। উনি সব শুনে চুপ করে যান। শুধু বলেন ঠিক আছে আমি দেখছি।ক্লাবের কমিটি যে দিন নাম নির্বাচন করবে সেদিন উনি বললেন সবার আগে শ্রীতমার নাম লেখা হোক। আজ পর্যন্ত ওর মতো কেউ খেলেনি এই ক্লাবে।দু একজন আপত্তি জানানোর চেষ্টা করেন কিন্তু ওনার ব্যক্তিত্বের কাছে চুপ করে যেতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত শ্রীতমার নাম পাঠানো হয়। এরপর শ্রীতমা কঠিন পরিশ্রম করতে থাকে। স্বপ্ন যেন দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে। যত দিন এগিয়ে আসে শ্রীতমার জেদ ও বাড়তে থাকে। নিজের সাথে যেন নিজের কথা আমাকে পারতেই... হবে। আসে সেই দিন, ট্রায়াল ম্যাচ হবে। চারটি ভাগে খেলা হয়, টিম এ, বি, সি, ডি। দুটি ম্যাচে খুব ভালো বোলিং করে এবং একটিতে রানও করে ভালো। অলরাউন্ডার হিসেবে ওর পারফরম্যান্স বেশ ভালো হয়। তাছারা গ্রামের এবড়ো খেবড়ো মাঠে খেলার সুবাদে ফিল্ডিং-এ বরাবরই খুব ভালো ছিলো শ্রী। সেটাই তফাত গড়ে দিলো বাকিদের সাথে। শ্রী নিজের সবটুকু উজার করে খেলে। এত ভালো পারফরম্যান্স হবে ও ভাবতেও পারেনি। ও সিলেক্ট হয় ইন্ডিয়া-এ আন্ডার নাইনটিন এ টিমে।খবরটা সংবাদ মাধ্যমে বের হতেই গ্রামে হইচই পরে যায়। একসময় যারা বিরোধীতা করে ছিল তারা আজ শত মুখে প্রশংসা করতে থাকে।শ্রীতমা স্পোর্টস কোটায় চাকরি ও পেয়ে যায়।আজ গ্রামের মাঝে মাথা উঁচু করে মা মেয়েকে হেঁটে যেতে দেখে তারা ই আজ বাহবা দিচ্ছে যারা একদিন ওদের অপমান করতে ছাড়েনি।আজ শ্রীতমার স্বপ্ন আর তা পূরনের ইচ্ছার কাছে সব হেরে গেছে।শ্রীতমার সফলতা আমাদের গ্রামবাংলায় অনেক শ্রীতমার জন্ম দেবে।লেখিকাঃ রাখি রায়রাখি রায়-র কলমে আরও কিছু লেখাআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ উত্তরণ (বাংলা ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাতআরও পড়ুনঃ মিঠির ডায়েরি (বাংলা ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- তৃতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- চতুর্থ পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)-অন্তিম পর্ব

নভেম্বর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs NZ T20 : বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ভারতের

দায়িত্ব পেয়েই প্রথম টি২০ সিরিজেই রোহিত শর্মারাহুল দ্রাবিড় জুটির কামাল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে জয় এসেছিল। শুক্রবার রাঁচিতে কিউয়িদের ৭ উইকেটে উড়িয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি২০ সিরিজ জিতে নিল ভারত। দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই চমক দেখালেন হর্শল প্যাটেল। ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং এই জোরে বোলারের। ব্যাট হাতে আবার জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য সহায় ছিল রোহিত শর্মার। টসে জিতে কিউয়িদের ব্যাট করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন মার্টিন গাপটিল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ড্যারিল মিচেল। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই ১৪ রান নেন গাপটিল। দীপক চাহারের দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান নেন ড্যারিল মিচেল। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেল কিছুটা কৃপণ বোলিং করলেও চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর ১৪ রান দেন। ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন মার্টিন গাপটিল। পঞ্চম ওভারে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দীপক চাহার। ১৫ বলে ৩১ রান করে তাঁর বলে উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দেন গাপটিল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান চ্যাপম্যান ও মিচেল। ১৭ বলে ২১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন চ্যাপম্যান। অভিষেক ম্যাচেই ড্যারিল মিচেলে (২৮ বলে ৩১) তুলে নিয়ে দেশের হয়ে প্রথম উইকেট সংগ্রহ করেন হর্ষল প্যাটেল। মিচেল যখন আউট হন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১১.২ ওভারে ৯০/৩। এই সময় মনে হচ্ছিল ১৭০১৮০ কাছাকাছি রান তুলে ফেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিল, ডেথ ওভারে হর্ষল প্যাটেলের দুরন্ত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ১৫৩/৬ রানে আটকে যায় নিউজিল্যান্ড। পরের দিইলে গ্লেন ফিলিপ ২১ বলে ৩৪ রান করেন। ভারতের হয়ে হর্ষল প্যাটেল ২৫ রানে ২টি, অশ্বিন ১৯ রানে ১টি উইকেট পান। ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহার, অক্ষর প্যাটেলও ১টি করে উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১১৭। লোকেশ ও রোহিতই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ৬টি ৪ ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪৯ বলে ৬৫ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। ১৬ তম ওভারে রোহিতকেও তুলে নেন সাউদি। ৩৬ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রোহিত। তিনি ১টি ৪ ও ৫টি ৬ মারেন। সূর্যকুমার যাদব ১ রান করে সাউদির বলে বোল্ড হন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বেঙ্কটেশ আয়ার ১১ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭.২ ওভারে ১৫৫/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। পরপর দুম্যাচ জিতে নেওয়ায় ইডেনের শেষ ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal