• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Coach

রাজ্য

যাত্রীদের কষ্টের দিন শেষ, শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন সেকশনে সমস্ত ১২ কোচের লোকাল ট্রেন

শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ সেকশনে সমস্ত EMU লোকালগুলিকে ১২ কোচের করার জন্য শিয়ালদহ মেইনের সাবার্বান প্লাটফর্মগুলি অর্থাৎ ১ থেকে ৫ নং প্লাটফর্মের দৈর্ঘবৃদ্ধির কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের ইয়ার্ডের জটিলতা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে, ডেডিকেটেড প্রজেক্ট টিম 24X7 অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে নির্দিষ্ট যাতে সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়। নতুন ট্র্যাক, বৈদ্যুতিক লাইন ইত্যাদি স্থাপনের কাজ সহ এমন একটি বিশাল প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা এবং সুস্পষ্ট সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন লে আউটে ইলেকট্রিক ট্রাকশনের বন্দোবস্ত এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ধৈর্যসাপেক্ষ ব্যাপার। ট্রেন চলাচল চালু রেখে এসমস্ত কাজ করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এবং দক্ষ রেলকর্মীরা এই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন। গ্রীষ্মের ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ সত্ত্বেও, নিবেদিত প্রজেক্ট টিম বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে এবং ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সরঞ্জামগুলির জন্য নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং নতুন পরিকাঠামোর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই কাজটি নির্ভুলতার সাথে করা হচ্ছে। দিনের যাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত কমাতে এবং ধুলা দূষণ কমাতে রাতে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে।যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য, দিনের বেলায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম ১,২,৩ এবং ৪ এর কাছে অতিরিক্ত অস্থায়ী এক্সেস রুট খোলা হয়েছে।প্রতি রাতেই রেলসেবা নিবৃত্তির পরেই পূর্বরেলের কর্মীরা কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়ছেন কারণ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ট্রেন চলার আগেই কাজ শেষ করতে হবে যাতে যাত্রীসাধারণ কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন। শিয়ালদহের সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগই প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিভাগীয় কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলতে বদ্ধপরিকর যাতে খুব শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন এবং নর্থ এর সমস্ত লোকাল ট্রেনই ১২ বগির করে তোলা যায়। প্রকল্পটি শিয়ালদহে সামগ্রিক পরিচালন নমনীয়তা এবং যাত্রীদের সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

শিশু ও যুব সমাজকে মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্ত করে মাঠমুখী করতে গঙ্গারামপুরে শুরু হল ফুটবল কোচিং ক্যাম্প

গভীর সমস্যায় জর্জরিত শিশু ও যুব সমাজ। নানাবিধ নেশার সাথে সাথে ভয়ঙ্কর গ্রাস করছে মোবাইল ব্যবহারের অস্বাভাবিক প্রবণতা। মোবাইল আসক্ত এইসমস্ত শিশু ও যুবাদের মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনার লক্ষে এবং তাদের এই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্ত করতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প শুরু করল প্রিমিয়ার ইন্ডিয়ান ফিউচারিস্টিক ফুটবল অ্যাকাডেমি।বর্তমানে প্রায় ৩০ জন কচিকাঁচাদের নিয়ে ফুটবল কোচিং শুরু হয়। উল্লেখ্য, বর্তমান সময় শিশু ও যুবসমাজ মোবাইলের প্রতি আসক্ত। আর যে কারণে শিশু ও যুব সমাজের মানসিক বিকাশ ঘটার রাস্তায় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে এই মোবাইলে প্রতি আসক্তি। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে শারীরিক চর্চা ও ফুটবল কোচিংয়ের মধ্য দিয়ে সেই মোবাইলে আসক্তি থেকে মুক্ত দিতেই এই প্রয়াস প্রিমিয়ার ইন্ডিয়ান ফিউচারিস্টিক ফুটবল অ্যাকাডেমির।এই বিষয়ে প্রিমিয়ার ইন্ডিয়ান ফিউচারিস্টিক ফুটবল অ্যাকাডেমি একাডেমীর কর্মকর্তা প্রাক্তন ফুটবলার সুবীর বল বলেন, বর্তমান সময় একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু ও যুব সমাজের মোবাইলের প্রতি আসক্তি, তারা শারীরিক চর্চা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে এবং যার ফলে মানসিক বিকাশ ঘটতে দেরি হচ্ছে। তাই তাদের শারীরিক চর্চা মুখি করতে এই ফুটবল চর্চার আয়োজন। তিনি আরো জানান, ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন তৈরি-ই তাঁদের এই একাডেমী করার মূল লক্ষ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা বর্ধমান শহরে দু - দুটি ফুটবল একাডেমী চালু করেছেন এবং সেখানে বাচ্ছাদের উৎসাহও চোখে পড়ার মত।এই বিষয়ে এক অভিভাবক অজিত দাস জানান, বাচ্চারা বর্তমানে হাতে মোবাইল পেয়ে তার প্রতি আসক্ত হচ্ছে যার ফলে খেলা থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। শারীরিক চর্চার কথা মাথায় রেখে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের স্টেডিয়ামে ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের শুরু হওয়ায় ও এমন একটি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর সহ জেলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

ডার্বির আগে হতাশ লালহলুদ কোচ কনস্টানটাইন, চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন জুয়ান ফেরান্দো

ডার্বির আগে সমস্যায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত। দল নিয়ে অনুশীলনেই নামতে পারলেন না স্টিফেন কনস্টানটাইন। বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর ফুটবলারদের নিয়ে হোটেলে ফিরে গেলেন লালহলুদ কোচ।এদিন ক্লোজ ডোর অনুশীলনের পরিকল্পনা ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের। কিন্তু অনুশীলন শুরুর আগে প্রবল বৃষ্টি। ফলে পরিকল্পনায় ব্যাঘাত। ডুরান্ড কাপে দুদুটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তাঁর দলের। এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ডার্বিতে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই। কিন্তু শক্তিশালী এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লালহলুদ ব্রিগেড কতটা জ্বলে উঠতে পারে, সেটাই দেখার।শক্তির বিচারে জুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান অনেকটাই এগিয়ে। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মতো এখনও জয় পায়নি সবুজমেরুণ শিবির। পয়েন্টের বিচারে লালহলুদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ডার্বি ম্যাচ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ডার্বির আবেগ সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। আমি এই ম্যাচকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না। অতীতের পরিসংখ্যানকে আমি কখনও গুরুত্ব দিই না। কে কটা ম্যাচ জিতেছে তার কোনও প্রভাব রবিবারের ম্যাচে পড়বে না। আমাদের লক্ষ্য হল তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করা। আশা করি সেটাই হবে। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাঁর দল যে চাপে নেই, সেকথাও পরিস্কার করে দিয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, ডার্বি নিয়ে কোনও চাপ নেই। শেষ দুটো ম্যাচে জিততে পারিনি বলে হতাশ হলেও চিন্তিত নই। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। খারাপ খেললে বা গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে চাপ থাকত। একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলে নেমে পড়েছি ডুরান্ডে। দল সবে তৈরি হয়েছে। কিছু ভুলত্রুটি হচ্ছে। আশা করছি ডার্বিতে সেটা হবে না।এদিকে, ডার্বির আগে অনুশীলনের সুযোগ না পেয়ে হতাশ ইমামি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। তিনি বলেছেন, অনুশীলনটা খুবি জরুরি ছিল। এটা কঠিন ম্যাচ। আমরা অনেক দেরিতে প্রস্তুতি শুরু করেছি। উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে। আমরা এখনও ম্যাচ ফিট হওয়ার চেষ্টা করছি। সব ম্যাচেই আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। রবিবারের ম্যাচেও সেটাই করব। এই ম্যাচ আমাদের সামনে আরও একটা সুযোগ।আই লিগ ও আইএসএল মিলিয়ে শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে এগিয়ে পালতৌলা নৌকা। ইস্টবেঙ্গল শেষবার মোহনবাগানকে হারিয়েছে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয়েছে আইএসএল ডার্বি। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারির পর ফের যুবভারতীতে বসছে বড় ম্যাচের আসর। ডুরান্ড কাপে কলকাতার বড় ম্যাচে পারস্পরিক দ্বৈরথে লাল হলুদের জয় ৮টি ম্যাচে, ৬টিতে জিতেছে সবুজ মেরুন, পাঁচটি ড্র।

আগস্ট ২৭, ২০২২
কলকাতা

কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিতা ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

নরেন্দ্রপুর থানার একটি কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বলবীর সিং নামে এক কোচিং সেন্টারের মালিক কাম শিক্ষক। ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকার সিং এন্ড শাও নামে ওই কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হলো বলবীর সিং নামে ওই শিক্ষককে।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাতেন। তারপরে ওই ছাত্রী কে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন। কাউকে না জানানোর আবেদনের সঙ্গে ছিল খুনের হুমকি। লজ্জায়, ভয়ে, কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী টি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীতির মা।মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আগস্ট ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌মাঠে নেমে পড়লেন লক্ষ্মী, প্রথম দিনের অনুশীলনে অভিনবত্ব

কয়েকবছর ধরে ভাল খেলেও রনজিতে সাফল্য আসেনি। অরুণলালকে সরিয়ে এবছর বাংলা ক্রিকেট দলের দায়িত্ব লক্ষ্মীরতন শুক্লার হাতে তুলে দিয়েছেন সিএবি কর্তারা। রনজি জয়ের লক্ষ্যে বুধবার থেকে মাঠে নেমে পড়লেন বাংলার নবনিযুক্ত কোচ। সিএবির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৬টি উইকেটে টানা ৬ ঘন্টা ধরে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের নিয়ে পড়ে রইলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সৌরাশিস লাহিড়ী, শিবশঙ্কর পালরা।এই মরশুমের জন্য ৪১ জন ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। আপাতত তাঁদের নিয়েই প্রস্তুতি চলবে। প্রস্তুতি শিবিরে ডাক পাওয়া মনোজ তেওয়ারি, মহম্মদ সামি, মুকেশ কুমাররা প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন না। এদের কেউই শহরে নেই। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অনুষ্টুপ মজুমদাররা অবশ্য একসময়ের সতীর্থর অধীনে চুটিয়ে অনুশীলন করেন। ভেজা টেনিস বল ও প্লাস্টিকের বলে ব্যাটিং অনুশীলন চলে দীর্ঘক্ষণ। গত কয়েক মরশুম ধরে বাংলার মূল সমস্যা ব্যাটিং। ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার দারুণ অভাব। সেদিকেই নজর দিতে চাইছেন লক্ষ্মী। তাই শুরু থেকেই অনুশীলনে অভিনবত্ব নিয়ে এসেছেন। প্রথম দিনের অনুশীলনে মূলত ব্যাটিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলির অপর নজর দেন লক্ষ্মীরতন। ব্যাটারদের ব্যাকফুট ও ফ্রন্ট ফুটের ব্যবহার নিয়ে পরামর্শ দেন। এছাড়া হুক শট, সুইপ শটও অনুশীলন করান। কীভাবে বল ছাড়তে হবে, সেটাও নিজের হাতে দেখিয়ে দেন।প্রথম দিনের অনুশীলেন পর লক্ষ্মীরতন বলেন, ইন্ডোরে আজ আমরা অনুশীলন শুরু করলাম। প্রথম দিন মূলত ব্যাটিংয়ের বেসিক জিনিসের ওপর জোর দিয়েছি। প্লাসিক বলের পাশাপাশি ভেজা টেনিস বলেও অনুশীলন করিয়েছি। কীভাবে বল ছাড়তে হয় সেটাও দেখিয়েছি। বল ছাড়টা ব্যাটিংয়ের একটা শিল্প। নিজের নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে লক্ষ্মী বলেন, এই দায়িত্বটা নতুন হলেও জায়গাটা পরিচিত। মনেই হচ্ছে না যে এই কাজটা আগে কখনও করিনি। যখন ছেলেদের অনুশীলন করাচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিল আমি তো এখানেই ছিলাম। এখন শুধু প্রাথমিক ব্যাপারগুলোর দিকে জোর দিতে চাই।আপাতত এভাবেই অনুশীলন চলবে।এদিকে, বাংলার সিনিয়র দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ২৫ দলের জোরে বোলিং কোচ করা হল ময়দানের সুপরিচিত ম্যাকো শিবশঙ্কর পালকে।

আগস্ট ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

'অরুণের' প্রস্থানে বাংলার আবার 'লক্ষ্মী' লাভ, আশায় বুক বাঁধছেন ক্রীড়া প্রেমীরা

ভারতীয় ক্রিকেটে লক্ষ্মীরতন শুক্লা শুধুমাত্র একটা নাম নয়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা একটি বিশ্বাস। যে বিশ্বাসের আশায় এখন দুলছে বাংলার ক্রিকেট। ৩০ রানে ৫ উইকেটে ধুঁকছে বাংলা, লক্ষ্মীর আগমনে সেই রান পৌছে গেলো ৩০০/৫। কিনান স্টেডিয়াম, ব্যাট হাতে বাংলার ক্রাইসিস ম্যান উল্টো দিকে বল হাতে তৎকালীন সময়ের ভারতের দ্রুততম পেস বোলার আশিস নেহেরা। লক্ষ্মীর ইনিংসের প্রথম বল মাঠের বাইরে। ছয় রান। লক্ষ্মী মানে আসাধ্যসাধন, লক্ষ্মী মানে আশ্বাস।বাংলা ক্রিকেটের আকাশে অরুণলাল অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোজাগরীর লক্ষ্মীর আবির্ভাব। ক্রীড়াপ্রেমী বাংলার মানুষের আশা, লক্ষ্মী কোজাগরী পূর্ণিমার রাতের ঝলমলে আকাশের মতো আলো ছড়িয়ে বাংলার ক্রিকেট ভাঁড়ারে বহু মূল্যবান রতন এনে দেবেন। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) আগামী মরসুমে বাংলার সিনিয়র দলের কোচ হিসাবে লক্ষ্মীরতন শুক্লার নাম বিবেচনা করেছেন। ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাওড়ার ডুমুরজলাতে বিনা পারিশ্রমিকে বাচ্চাদের নিয়ে কোচিংয়ে মেতে ওঠেন। যাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে চেনেন তাঁরা জানেন, লক্ষ্মী কি প্রচন্ড ফিটনেস ফ্রিক। নিত্যদিন জিমে ১-২ ঘণ্টা সময় কাটান নিজেকে ফিট রাখতে। অত্যাধুনিক কোচিং ম্যানুয়ালের সঙ্গে সুপরিচিত এরকম একজন মানুষকে বাংলা দল পাশে পেয়ে ভীষণ রকম উপকৃত হবে সে কথা বলাই বাহুল্য। এর আগে তিনি বাংলা অনুর্ধ ২৩ দলের দায়িত্ব সামলেছেন।লক্ষ্মী খেলার শেষে মাঠ থেকে সোজা বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের মানুষজন ও কিছু ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধবের সাথেই সময় কাটাতে বেশী পছন্দ করেন। তাঁর জীবনদর্শন গড়পড়তা পাঁচটা মানুষের থেকে আলাদা। তাঁর কথা একটা প্রতিবেদনে লিখে শেষ করা মুশকিল। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন যোগ্য ব্যক্তিদের স্যার সম্বোধন করতেন অবলীলায়। যা তাঁর শিক্ষা ও বংশপরিচয়ের প্রমান রাখে। ছোটোবেলায় দাদার সাথে সাইকেলের পিছনে বসে ব্লাউজের পিস বিক্রী করেছেন অভাবের সংসারের পাশে থাকতে, সে থেকেই হয়ত জন্ম নিয়েছে লড়াকু মানসিকতার, হার না মানা লক্ষ্মীর।উল্লেখ্য, লক্ষ্মী ২০১৬-তে বর্তমান শাসক দলের হয়ে ভোটে লড়ে হাওড়া উত্তর বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। বিধায়ক হয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পান। ২০২১-র ৫ জানুয়ারি লক্ষ্মী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বান্দ্যপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তিনি দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যহতি চান। মমতা প্রেসকে জানান লক্ষ্মী খুব ভালো ছেলে, ও খেলায় মোনযোগ করতে চায়। বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে প্রবাদটির প্রতি সন্মান দিয়েই বোধহয় লক্ষ্মী মাঠে-ই ফিরে গেলেন। ঘাসফুল নয় তাঁকে টানছিল মাঠের সবুজ ঘাস। শাসক দলের বিধায়ক, মন্ত্রিত্ব...... হাজারো সুবিধা, প্রলোভন যে ছেলে অবলীলায় ছক্কা মেরে মাঠের বাইরে পাঠাতে পারে, মাঠ তো তাঁকে টেনে নেবেই। অভিষেক ডালমিয়া ও তাঁর সহকারীরা একেবারে সঠিক মানুষকেই বাংলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বলে বাংলার প্রাক্তনীরা জানাচ্ছেন।ভোটের প্রচারে লক্ষ্মীরতন শুক্লাতাঁর জীবনটাই এক লড়াই, স্কুল বেঙ্গল খেলায় জম্মুতে গিয়ে একপ্রকার জোর করে প্রথম দলে ঢুকে ম্যচ জেতানো ইনিংস উপহার দেওয়া। তাঁর নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস তাঁকে অনেকটা সামনে নিয়ে গেছে। তাঁর এই অদম্য মনোভাবের পরিচয় তিনি রেখেছিলেন সে ছোটবেলা থেকেই। নদিয়ার গয়েসপুরে অনুর্ধ ১৬ স্কুল ডিস্ট্রিক্ট টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুগলীর পাঁচ জন ব্যাটারকে রান আউট করে ম্যান অফ দা ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটারের নাম লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যাখনই যে দলে খেলেছেন সেই দলকে খাদের কিনারা থেকে তোলার দ্বায়িত্ব নেওয়া যেন তাঁর কাছে সহজাত ব্যাপার ছিল। তাঁর খেলা ফুটে উঠত দল খাদে পড়লেই। তাঁর কেরিয়ার অ্যানালিসিস করলে দেখা যাবে ৩০/৫ অবস্থায় নেমে লক্ষ্মী যে খেলা খেলেছেন, ৩৫০/৫ এ তাঁকে সেভাবে পাওয়া যাইনি।২০১১-১২-র মরসুমে বিজয় হাজারে ট্রফিতে সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে অনবদ্য পারফরমেন্স করে বাংলাকে চাম্পিয়ন করেন। ফাইনালে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে বল হাতে দুরন্ত পারফরমেন্সের (৯.২ - ১ - ৩৮ - ৪) পর ব্যাট করতে নেমে অনবদ্য অপরাজিত শতরান (১০৬) করেন। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড়ও তিনিই নির্বাচিত হন লক্ষ্মী। মনে রাখতে হবে সেই দলে বাংলার আইকন সৌরভ গাঙ্গুলী, বর্তমান ভারতীয় দলের দ্রুততম পেস বোলার মহঃ শামি-ও ছিলেন।তাঁর খেলোয়াড় জীবনের মূল মন্ত্র ছিল মাঠে না নেমে হারবো না। এই মনোভাবটাই তিনি তাঁর সহ-খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। মুম্বাই ক্রিকেটে একটা কথা খুব চালু আছে খাড়ুশ, যার অর্থ হল উইকেটে পরে থাকো। বোলার তোমার উইকেটে অর্জন করুক, তুমি তাকে তোমার উইকেট বিসর্জন দিও না। লক্ষ্মী তাঁর সহ-খেলোয়াড়দের মধ্যে তাঁর মনোভাব তুমিও পারবে ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন, তাই বহু জুনিয়ার খেলোয়াড় আজও লক্ষ্মীকে মনে রেখেছে। কলকাতা ময়দানে বিভিন্ন বড় দলে খেলেও কোনও নির্দিষ্ট স্ট্যাম্প লাগতে দেননি তাঁর গায়ে। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে তিনি কালিঘাট ক্লাবকে পাঁচ মুকুট চাম্পিয়ান করেছিলেন।লক্ষ্মীর জন্ম হাওড়া শহরে ঘুশুড়ি এলাকায়। শুক্লা স্থানীয় ঘুশুড়ি শ্রী হনুমান জুট মিল হিন্দি হাই স্কুলে এবং ডন বস্কো হাই অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্কুল, লিলুয়া থেকে পড়াশোনা করেন। তাকে স্থানীয় মানুষ জন ভালোবেসে বিট্টু নামে ডাকেন, শুক্লা বাংলা অনূর্ধ্ব-১৬ দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ খেলায় উড়িষ্যা-র বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ৫৬ এবং ৫ উইকেট নিয়ে তাঁর আগমন জানান দিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলা খেলতে খেলতে, মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন সেই ম্যাচে ২৬ রান এবং ২টি উইকেট দখল করে তাঁর যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করেন। পরের সিজিনে তিনি দলীপ ট্রফির জন্য নির্বাচিত হন।হার না মানা লক্ষ্মীরতন শুক্লাক্রিকেট বিশেষঞ্জদের মতে তাঁর ব্যাটিং ছিল ভয়ডরহীন। তিনি দ্রুত গতিতে বোলিং করতেন এবং একজন আন্তর্জাতিক মানের সুদক্ষ ফিল্ডার ছিলেন। তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতার জন্য তাঁকে ১৯৯৯ এ সফরকারী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারত এ-তে খেলার জন্য ডাক পেয়েছিলেন। ওপেনিং বোলিং করে শুক্লা ওয়াজাহাতুল্লাহ ওয়াস্তি, ইউসুফ ইউহানা এবং ইনজামাম-উল-হক এর উইকেট নিয়েছিলেন, সেই মাচে তিনি ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৯৯ এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরুক মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলিয়ে তাঁকে বাতিলের তালিকায় ফেলে দেওয়া হয়।শুক্লা ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধেও দারুণ খেলেছিলেন, সেই ম্যাচে তিনি ৪ টি উইকেট নেন। সে সময়ের পাকিস্তানের চার মহারথী শহীদ আফ্রিদি, ইনজামাম, আজহার মাহমুদ, এবং ইউহানাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন, তাঁর এ হেন পারফরমেন্সের পর ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা ছিল হয়ত খুব শীঘ্রই লক্ষ্মী ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পাবেন।২০১১-১২ দেশের সেরা অলরাউন্ডারের পুরস্কার লালা অমরনাথ ট্রফি পান লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই সেরা অলরাউন্ডারকে তাঁর সেরা সময়ে দেশের হয়ে খেলে নিজেকে প্রমান করার নুন্যতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁকে মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়ে শুধু যে তাঁর প্রতি অবিচার করা হল তা নয়। দেশ একজন লড়াকু ছেলের লড়াই দেখা থেকে বঞ্চিত হল। যাঁর জানপ্রান লড়াই বাংলার অগণিত ক্রিকেটপ্রেমী দেখতে অভ্যস্ত ছিল, সেটা কলকাতা ময়দানের লিগ খেলা হোক বা রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। তাঁর এই মনোভাব অসম্ভব ছোঁয়াচে ছিল। প্রায়সই সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে জুনিয়র খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের উজার করে দিতেন।সারা বাংলা লক্ষ্মীরতন শুক্লার দিকে তাকিয়ে, গত দুটি রঞ্জীতে বাংলা অরুনলালের কোচিং -এ একবার ফাইনাল ও এবার (২০২২) সেমিফাইনালে পোঁছেও চুড়ান্ত সফলতা পাইনি। লক্ষ্মী-সৌরাশিষ জুটি কি বাংলাকে সি উচ্চতায় পৌছাতে পারবেন? পারিবারিক জীবনেও লক্ষ্মী-সৌরাশিষ জুটি অনেকদিনের। সেই সমঝোতা কতটা কাজে লাগে বাংলার ক্রিকেটে সেই দিকেই তাকিয়ে বাংলা ক্রিকেটপ্রেমী জনগণ। লক্ষ্মী-সৌরাশিষ দুজনে একসঙ্গে বহু ম্যাচ বাংলার হয়ে খেলেছেন। পুরনো পেস-স্পিন জুগলবন্দী দেখার আশায়। সৌরাশিষ এর আগে বাংলার অনুর্ধ ২৩ টিমকে নিয়ে কাজ করেছেন এবং তাঁর সাফল্য ঈর্ষনীয়। সৌরাশিষের সাধাসিধে জীবনযাত্রা ক্রিকেটের প্রতি সততা ও অনুগত প্রান উপরি পাওনা বাংলার ক্রিকেটে।বাংলার ক্রিকেটের আর এক জনপ্রিয় ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি। যিনি লক্ষ্মী-র ছেড়ে আসা পদে আসীন হয়ে বাংলার বর্তমান ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্ভবত বিশ্ব ক্রিকেটে হয়ত বা যেকোনও ধরনের খেলায়, এক প্রাক্তন ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী কোচিং এ বর্তমান ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী খেলবেন। এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে একবার তাঁর ঘনিষ্ট মহলে বলতে শুনেছিলাম, লক্ষ্মীরতন শুক্লা কমপক্ষে ১০০ একদিনের ম্যাচ খেলা উচিত ছিল, বাস্তবে সেটা হইনি, কিন্তু সেকারণে তাঁর কমিটমেন্টের কোনও খামতি ছিল না। বর্তমানে অনেকের মুখেই শোনা যায় এ বাঙালি ও অবাঙালি, লক্ষ্মী হেঁসে তাঁদের বলে যে বাঙলাই জন্মেছে সেই বাঙ্গালি। গর্বিত করেছে এই বাংলা বহুবার... আরও করবে ভবিষ্যতে। তাঁর কথাতেই শেষ করি। বাংলার জার্সির লোগোতে বাঘের ছবি আছে,মাঠেও তাঁর প্রতিফলন দেখতে চাই বাংলা তোমার থেকে......।কুনাল মুখোপাধ্যায়(বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্ত আধিকারিক)

জুলাই ৩১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক বিনু জর্জের, বুধবার থেকে অনুশীলন শুরু ইস্টবেঙ্গলের

কয়েকদিন আগেই কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপের জন্য কোচ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন লালহলুদ কর্তারা। শুক্রবার রাতেই কলকাতা পৌঁছে যান ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনু জর্জ। শনিবার সাত সকালেই তিনি ক্লাব তাঁবুতে চলে আসেন। ক্লাবে তাঁকে লালহলুদ উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান ক্লাবের দুই প্রাক্তন ফুটবলার অমিত দাস এবং বিকাশ পাঁজি। হাজির ছিলেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।এরপরই ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিনু জর্জ। ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি নতুন মরশুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ স্থানীয় ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন। ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ক্লাব তাঁবু, মাঠ, জিম ঘুরে দেখেন। ক্লাবের পরিকাঠামো দেখে আপ্লুত বিনু জর্জ। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পরিকাঠামো এত আধুনিক, ভাবতেই পারিনি। আধুনিকমানের জিম, দুর্দান্ত মাঠ, অত্যাধুনিক ড্রেসিংরুম। সব খুব ভাল লেগেছে। আমার ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব ভালভাবে পালন করার। ভারতে দারুণ পরিচিতি এই ক্লাবের। সেই সম্মান রাখতে হবে। ক্লাবের অতীত গৌরব ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই। গত দুবছর ক্লাবের পারফরমেন্স ভাল হয়নি। সেটা মাথায় না রেখে নতুন করে শুরু করতে হবে।সোমবার ইস্টবেঙ্গল দিবস। ওই দিনই বাইপাসের ধারে এক হোটেলে ফুটবলারদের মেডিকেল টেস্ট হবে। বুধবার থেকে ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নামবেন বিনু। তাঁর লক্ষ্য ফুটবলারদের দ্রুত ফিটনেসের শীর্ষে নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি বোঝাপড়া বাড়ানোর। কারণ হাতে খুব বেশি সময় নেই। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ডুরান্ড কাপে নেমতে হবে। এই নিয়েও ফুটবলারদের মোটিভেট করেন বিনু জর্জ।

জুলাই ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করে পাঠিয়ে দিলেন কনস্টানটাইন, ইমামির সই কবে?‌

সামনের মরশুমে আইএসএলে স্টিফেন কনস্টানটাইনকেই লালহলুদের রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যাবে। মঙ্গলবারই বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে গেল। ইমামি গোষ্ঠীর পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করে এদিনই তা পাঠিয়ে দিয়েছেন এই ব্রিটিশ হাই প্রোফাইল কোচ। ক্লাবের একটা বিশেষ সূত্র থেকে খবরটা জানা গেছে। কনস্টানটাইন চুক্তিপত্রে সই করায়, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, আইএসএলে তাংর কোচিংয়ে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। কনস্টানটাইনের চুক্তিপত্রে সই করার কথা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা বাকি।লালহলুদের চুক্তিপত্রে সই করলেও এখনই কলকাতায় আসছেন না কনস্টানটাইন। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ডুরান্ড কাপ চলার সময় তিনি কলকাতায় আসতে পারেন। নিজের পছন্দ করা সাপোর্ট স্টাফদেরও তিনি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। কলকাতা লিগ ও ডুরান্ত কাপে ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বিনো জর্জ। তিনি দুএকদিনের মধ্যেই কলকাতা চলে আসছেন। বিনো জর্জ আইএসএলে স্টিফেন কনস্টানটাইনের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন।এদিকে, চলতি মাসেও ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার চুক্তিপত্রে সই হতে পারে। কিন্তু সূত্রের খবর, সামনের সপ্তাহের প্রথম দিকে চুক্তিপত্রে সই হবে। তবে দল গঠন প্রক্রিয়া চলবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়েছে। গত বছর লালহলুদ জার্সি গায়ে খেলা অঙ্কিত মুখার্জির সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গেছে। আরও কয়েকজন ফুটবলার প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করেছেন বলে খবর।

জুলাই ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন হাই প্রোফাইল ব্রিটিশ কোচ

যাবতীয় জল্পনা-কল্পনার অবসান। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। ইতিমধ্যেই চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। শেষ মুহূর্তে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ইস্টবেঙ্গলের নতুন মরশুমের হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। যদিও কলকাতা লিগ ও ডুরান্ডে দায়িত্ব সামলাবেন বিনু জর্জ।অনেকদিন আগেই আইএসএলের জন্য বিদেশি কোচদের তালিকা তৈরি করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তালিকায় জর্জ কোস্টা, সার্জিও লোবেরার সঙ্গে নাম ছিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের। অন্য দলেরও প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত কনস্ট্যানটাইন লালহলুদকেই বেছে নিয়েছেন। নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন এই ব্রিটিশ কোচ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাইপ্রাসে কোচিং শুরুর পর বড় দলের দায়িত্ব নেন ১৯৯৯ সালে। তখন থেকে ২০০১ অবধি কনস্টানটাইন নেপালের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচের পদে ছিলেন। ২০০৫-০৬ মরশুমে তিনি ইংল্যান্ডের মিলওয়ালের প্রথম দলের কোচ হন। ইংল্যান্ডে এএফসি বোর্নমাউথেও কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৭ সালে মালাউইয়ের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৮ সালে সরে দাঁড়ান। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুদানের দায়িত্ব নেন। এরপর সাইপ্রাসে এপিইপি, নিয়া সালামিস ফামাগুস্তার কোচের পদেও ছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৩ অবধি এথনিকোস আচনার কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৪ অবধি ছিলেন গ্রীসের ক্লাব আপোলোঁ স্মিরনির সহকারী ম্যানেজার। তার আগে জামাইকা জাতীয় দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ভারতে দ্বিতীয়বার আসার আগে ২০১৪ থেকে ২০১৫ অবধি থিলেন রোয়ান্ডার জাতীয় দলের ম্যানেজার।২০১৫ সালে ভারতের কোচ হিসেবে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে ভারত ২০১৬ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৮ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও জেতে। ২০১৯ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে কনস্টানটাইনের কোচিংয়ে। অভিজ্ঞ এই কোচের উপরই তাই আস্থা রাখলেন ইমামি গোষ্ঠীর কর্তারা।কলকাতা লিগ ও ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বিনু জর্জ। বুধবার তিনি কলকাতায় আসবেন বলে জানা যাচ্ছে। লাল হলুদ ক্লাব সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক চললে ওইদিনই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে। কলকাতা আসার সময় কেরলের কয়েকজন ফুটবলারকেও নিয়ে আসতে পারেন বিনু জর্জ।

জুলাই ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এটিকে মোহনবাগানের ঘর ভাঙতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল, লালহলুদের কোচের পদে বড় চমক

ইমামির সঙ্গে এখনও সরকারিভাবে চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু লগ্নিকারী সংস্থার সম্মতিতেই দল গঠনের কাজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন লালহলুদ কর্তারা। ফুটবলারদের সঙ্গে পাকা কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কোচ নিয়োগের দিকেও এক পা বাড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছেন কেরলকে সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন করা বিনু জর্জকে।সঞ্জয় সেন, শঙ্করলাল চক্রবর্তী, রঞ্জন ভট্টাচার্যদের কোচ করার কথাও মাথায় ছিল লালহলুদ কর্তাদের। কিন্তু সন্তোষ ট্রফিতে সাফল্যের কথা মাথায় রেখে কেরলের বিনু জর্জকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয় সেনদেরও একেবারে তালিকা থেকে ঝেড়ে ফেলছেন না লালহলুদ কর্তারা। একান্তই যদি বিনু জর্জের সঙ্গে চুক্তিতে না পোষায় তাহলে সঞ্জয় সেন কিংবা শঙ্করলাল চক্রবর্তীদের কথা ভাবা হবে। বিনু জর্জ ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আগেও কলকাতা ময়দানে কোচিং করিয়েছেন বিনু জর্জ। একসময় তিনি ইউনাইটেড স্পোর্টসের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ আপনি কি আধার কার্ডের আপনার ছবি নি খুশি নন? জেনে নিন আপনার আধার কার্ডের ছবি কীভাবে পরিবর্তন করবেন২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত গোকুলাম কেরলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন বিনু জর্জ। মূলত কলকাতা লিগের কথা মাথায় রেখেই বিনু জর্জকে প্রস্তাব দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড ও আইএসএলের জন্য বিদেশি কোচ নিয়োগ করবে ইস্টবেঙ্গল। তখন তিনি বিদেশি কোচের সঙ্গে ডুরান্ড এবং আইএসএলে সহকারি হিসেবে কাজ করবেন। এখন দেখার বিনু জর্জ লালহলুদের দায়িত্ব গ্রহন করেন কিনা।এদিকে, এটিকে মোহনবাগানের ঘর ভাঙার উদ্যোগ ইস্টবেঙ্গলের। দীপক টাংরিকে প্রস্তাব দিয়েছেন লালহলুদ কর্তারা। গত মরসুমে এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণভাগের ফুটবলার দীপক টাংরি নজর কেড়েছিলেন। ডিফেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজনে মাঝমাঠে ব্লকারের কাজটাও করতে পারেন তিনি। সন্দেশ ঝিংঘানে মতো দীপককেও বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে তাঁকে। গত মরসুমে দীপক টাংরির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করে এটিকে মোহনবাগান। যার ফলে ২০২৩ সালের ৩১ মে দীপকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে সবুজমেরুনের। তার আগে এই তরুণ ফুটবলারটিকে লালহলুদ জার্সিতে খেলাতে হলে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।

জুলাই ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচকে তুলে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল

মাসখানেক আগে শোনা যাচ্ছিল কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পারেন রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও বলেছিলেন লালহলুদ কর্তারা। রঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে এবার ইস্টবেঙ্গল কোচের লড়াইয়ে ঢুকে পড়লেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। তাঁর কাছে পৌঁছে গেলে লালহলুদ কর্তাদের প্রস্তাব। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি। ইস্টবেঙ্গলে প্রস্তাব ভেবে দেখছেন সবুজমেরুণকে লিগ জেতানো এই কোচ।কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপের জন্য স্বদেশি কোচ নিয়োগ করতে চান লালহলুদ কর্তারা। আইএসএলের জন্য পরে বিদেশি কোচ নিয়ে আসবেন। সেই মতো সন্তোষ ট্রফির বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যর কথা একসময় ভেবেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। পরে তাঁরা মত বদলেছেন। ক্লাব ফুটবলে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর সাফল্যের কথা মাথায় রেখে তাঁকে কোচ করার ভাবনা মাথায় আসে। যদিও রঞ্জন ভট্টাচার্য এখনও লালহলুদ কর্তাদের মাথা থেকে সরে যাননি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত লালহলুদের কোচের হটসিটে কাকে দেখা যায়।এদিকে, ইমামির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় দল গঠনে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ফুটবলারদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হলেও চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারছে না। ফলে ফুটবলাররা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। থমকে যাচ্ছে দলগঠন প্রক্রিয়া। যেমন জেরি লালরিনজুয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হলেও তাঁকে সই করাতে পারছেন না লালহলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কথা অনেকদুর এগিয়েও এটিকে মোহনবাগানে সই করেছেন বিশাল কাইথ। লালহলুদ কর্তারা তাকিয়ে ইমামির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির দিকে।এদিকে, সামনের মরশুমে সাদাকালো জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার সামাদ আলি মল্লিককে। বুধবার তিনি মহমেডানের চুক্তিপত্রে সই করেছেন। দীর্ঘ সময়ে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের দায়িত্ব সামলানো সামাদ আলি লালহলুদের প্রথম দলে সুযোগ পান ২০১৫ সালে। ২০২০ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের হয়েই খেলেছেন সামাদ। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিলে সই করেন পাঞ্জাবের রাউন্ড গ্লাস ক্লাবে। ২০২০-২১ আই লিগে পাঞ্জাবের দলটির হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০২১ সালে সমাদের নতুন ঠিকানা হয় শ্রীনিধি ডেকান। গত আই লিগে নতুন এই দলটির হয়ে তিন ম্যাচ খেলে ফের শহরের দলে ফিরলেন সামাদ।

জুন ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের কোচকে দায়িত্ব দেওয়ার ভাবনা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের

ইমামির সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হওয়ার পর জোরকদমে দল গঠনের কাজে হাত দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। শুধু ভাল দল গঠন করলেই তো হবে না, চাই ভাল কোচ। এই ব্যাপারেও চমক দিতে চলেছে লালহলুদ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের প্রাক্তন ফুটবলারকে আইএসএলে কোচের হট সিটে বসাতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। জর্জ কোস্তার নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে লালহলুদের অন্দরমহলে।কলকাতা লিগের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার সন্তোষ ট্রফির কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে পাকা কথা বলে রেখেছেন লালহলুদ কর্তারা। বড় অঘটন না ঘটলে তিনিই কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলাবেন। আইএসএলের জন্য ডুরান্ডের আগে নতুন কোচ নিয়োগ করা হবে। যাতে তিনি ডুরান্ড কাপে দল গুছিয়ে নিতে পারেন। লাল হলুদ কর্তারা চান জর্জ কোস্তাকে দায়িত্ব দিতে। কারণ, আইএসএলে তাঁর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি মুম্বই সিটি এফসির কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন।ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের এই কোচ নিজের ফুটবল কেরিয়ারের সিংহভাগ কাটিয়েছেন পোর্তোতে। পোর্তোর জার্সিতে ২৫১ ম্যাচে ১৬ গোল করেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০২এর মধ্যে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন ৫০টি ম্যাচ এবং করেছেন ২টি গোল। পোর্তোর হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১৯৯১ সালে পর্তুগালের হয়ে জেতেন অনূর্ধ্ব২০ বিশ্বকাপ ফুটবল কেরিয়ারের মতোই কোস্তার কোচিং কেরিয়ার বর্ণময়। তিনি কোচিং করিয়েছেন ব্রাগা, গ্যাবনের মতো দলে।ম্যানেজার হিসেবে পর্তুগালের ক্লাব এস সি ওলহানেনসেকে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ চ্যাম্পিয়ন করে তুলে নিয়ে প্রথম ডিভিশনে। ক্লুজের হয়ে জেতেন রোমানিয়া লিগা ১। তবে, ভারতের তাঁর কোচিং পারফরমেন্ট তেমন আহামরি নয়। মুম্বই সিটি এফসির হয়ে ৩৯ ম্যাচে ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন এবং ১৪টি হেরেছেন। ড্র করেছেন ৮টি ম্যাচে।এদিকে, মঙ্গলবার লালহলুদে বসছে কর্মসমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকে ঠিক হবে ইমামির সঙ্গে কোন পথে চুক্তি করা হবে, কত শতাংশ শেয়ার দেওয়া হবে। তারপরই ইমামির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন লালহলুদ কর্তারা। চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে অবশ্য দলগঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কলকাতা লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গল প্রাকচুক্তিতে সই করিয়েছে বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের স্ট্রাইকার শুভম ভৌমিককে।

জুন ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড, কী হবে নাইট রাইডার্সের?‌

কলকাতা নাইট রাইডার্স ছেড়ে এবার ইংল্যান্ডে পাড়ি। ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে টেস্ট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত করল ইংল্যান্ড। এই প্রথম তিনি লাল বলের ক্রিকেটের কোচিংয়ের দায়িত্বে। তাঁর সঙ্গে ৪ বছরের চুক্তি করা হচ্ছে। আইপিএল শেষ হলেই ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেবেন।লাল বলের ক্রিকেটের কোচ নিযুক্ত হলেও সাদা বলের ক্রিকেটের কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হয়ে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন কোচ নিয়োগ করা হবে। দৌড়ে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ ম্যাথু মট, ইংল্যান্ডের পল কলিংউড ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন। কলিংউড চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন। ম্যাথু মট ২০০৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে জন বুকাননের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন।গত অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ইংল্যান্ড দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্রিস সিলভারউড। তাঁর জায়গায় কোচ করা হল নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে। সিলভারউড পদত্যাগ করার পর ইংল্যান্ড ও ওয়ালেস ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা কোচ নিযুক্ত করা হবে। সেই পথেই এগোচ্ছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। ১০০র বেশি টেস্ট খেলা ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে লাল বলের ক্রিকেটের কোচ করা হল। টেস্ট ক্রিকেটে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন ম্যাকালাম।ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নেওয়ায় ম্যাকালামকে আর পাবে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল শেষ হলেই তিনি ইংল্যান্ড উড়ে যাবেন বেন স্টোকসদের দায়িত্ব নিতে। ২ জুন থেকে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্ট খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। ফলে টেস্ট কোচ হিসেবে নিজের দেশের বিরুদ্ধেই প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ম্যাকালামের।২০০৪ থেকে ২০১৬ অবধি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১০১টি টেস্ট খেলেছেন ম্যাকালাম। ৩৮.৬৪ গড়ে ৬৪৫৩ রান রয়েছে। সর্বাধিক ৩০২ রান করেছেন ভারতের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে। ২০১৩ সাল থেকে অবসর নেওয়া অবধি ম্যাকালাম নিউজিল্যান্ডকে ৩১টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৫ সালে তাঁর নেতৃত্বে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও খেলে কিউয়িরা। তাঁর কোচিংয়ে ২০২০ সালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জেতে। কেকেআরের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ১৮ মে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। কেকেআরের আইপিএল অভিযান শেষ হলেই ইংল্যান্ডে পৌঁছে যাবেন ম্যাকালাম। জো রুটকে সরিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে বেন স্টোকসকে কোচ করেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে নাইট রাইডার্সের টিম মিটিংয়ে সেই কথা জানান ম্যাকালাম।

মে ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য এটিকে মোহনবাগানকে কেন বেছে নিলেন ইগর স্টিম্যাক?‌

লক্ষ্য ২০২৩ এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন। ২৩ এপ্রিল থেকে কর্ণাটকের বেলারিতে জাতীয় দলকে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। বেলারি পর্ব শেষ করে এবার দলবল নিয়ে হাজির কলকাতায়। মঙ্গলবার থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে শুরু করলেন দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি। সুনীল ছেত্রীরা কতটা তৈরি, তা দেখে নিতে বুধবার এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে দলকে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামাবেন ইগর স্টিম্যাক।শুধু এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই নয়, দোহা রওনা হওয়ার আগে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে ভারতীয় দল। ১৭ ও ২০ মে আই লিগে খেলা সেরা ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত অলস্টার দলের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনীল ছেত্রীরা। এবছর দোহাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৩ এএফসি যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ২৫ মে জাম্বিয়ার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচ জর্ডনের বিরুদ্ধে ২৮ মে। ২০ মে আই লিগ অলস্টার দলের বিরুদ্ধে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দল নিয়ে দোহা রওনা হবেন ইগর স্টিম্যাক।প্রস্তুতি ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের জাতীয় দলে থাকা ফুটবলাররা সবুজমেরুণ জার্সি গায়েই খেলবেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ফুটবলারদের পারফরমেন্স দেখে নেওয়াই লক্ষ্য ইগর স্টিম্যাকের। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত দল বেছে নেবেন। চোট সারিয়ে প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। দলের সেরা স্ট্রাইকার অনুশীলনে যোগ দেওয়ায় স্বস্তি ভারতীয় দলের কোচের। স্টপার সন্দেশ ঝিংঘানকে পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য কম। চোট সারিয়ে এখনও তিনি পুরো ফিট হতে পারেননি। রহিম আলিকেও চোটের জন্য পাবেন না স্টিম্যাক। এছাড়া নরেন্দ্র ও চিঙ্গলেনসানাও চোটের কবলে। তাই নতুন করে ডিফেন্স সাজাতে হচ্ছে ভারতীয় দলের কোচকে।জুন মাসে যুবভারতীতে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলবে ভারত। ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ডিতে রয়েছে হংকং, আফগানিস্তান ও কম্বোডিয়া। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিনটি দলই ভারতের পরে রয়েছে। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে যাওয়াটা ইগর স্টিম্যাকের দলের কাছে খুব একটা কঠিন হবে না। ভারতীয় দলের কোচও আশাবাদী। স্টিম্যাক বলেন, গ্রুপে আমরা ফেবারিট। আশা করছি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠতে সমস্যা হবে না। তবে সহজ প্রতিপক্ষ হলেও তিনটি দলকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন স্টিমাক।

মে ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার মোহনবাগানে আসছেন 'সবুজ তোতা'

শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবে বসু পরিবার অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। এবার রাজনীতিকদের বারবাড়ন্ত। দীর্ঘদিন মোহনবাগান ক্লাবের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলে এসেছিলেন স্বপনসাধন বসু। যাকে ময়দান চেনে টুটু বসু নামে। এখনও নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষিত না হলেও বৃহস্পতিবার চারজন নতুন সহসভাপতি বেছে নেওয়া হয়েছে। জায়গা পেয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও মলয় ঘটক। এছাড়া সহসভাপতি করা হয়েছে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও অসিত চ্যাটার্জিকে।বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ক্লাবের নতুন কার্যকরী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। সেই বৈঠকে নতুন চার সহসভাপতির নাম ঘোষণা করা হল। অরূপ রায়, মলয় ঘটক, কুণাল ঘোষ, অসিত চ্যাটার্জির মতো রাজনীতিবিদরা অবশ্য ক্লাবের প্রশাসনে নতুন নয়। এর আগেও ক্লাব প্রশাসনে দেখা গেছে রাজনীতিবিদদের। দীর্ঘদিন সবুজমেরুণ ক্লাবের সহসভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। এদিনের সভায় ৪ জন সহসভাপতির নাম ঠিক হলেও বাকি দুজনের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কমিটিতে কোঅপ্ট করা হয়েছে পিন্টু বিশ্বাসকে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি অরূপ মজুমদারকে কার্যকরী কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।এদিকে, আমার মোহনবাগান ক্লাবে হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটোকে ফেরানোর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। যুব ফুটবলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নতুন কমিটির। অনূর্ধ্ব ১৫, ১৮, ২১ স্তরের দলগুলির কোচদের মাথায় ব্যারেটোকে বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। এদিন, মোহনবাগান তাঁবুতেও হাজির ছিলেন ব্যারেটো। তাঁর সঙ্গে এব্যাপারে প্রাথমিক কথাও বলেছেন নতুন সচিব দেবাশিস দত্ত।এদিনের বৈঠক শেষে দেবাশিস দত্ত বলেন, মোহনবাগানের সঙ্গে ব্যারেটোর আত্মার সম্পর্ক। ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা একটা বিদেশি কোচের কথা ভাবছি। ব্যারেটোর কথা মাথায় রয়েছে। কার্যকরী কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যারোটোও দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তৈরি। তিনি বলেন, মোহনবাগান আমার সেকেন্ড হোম। এই ক্লাবের যে কোনও দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমি তৈরি। আমার সঙ্গে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এখনও চুক্তি রয়েছে। ওদের কাছ থেকে রিলিজ নিতে হবে।

মার্চ ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন রিভেরা, লালহলুদকে সমীহ বাগান কোচ ফেরান্দোর

ডার্বি মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভরা গ্যালারি। দুই দলের সদস্য সমর্থকদের বাকবিতন্ডা, ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি, তুমুল উত্তেজনা। করোনার দাপটে এখন সে সব স্মৃতিতে। দেশীয় ফুটবলাররা ডার্বির আবেগ জানলেও, বিদেশি ফুটবলাররা ডার্বির উত্তেজনার আঁচ পায়নি। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ফুটবলারদের ডার্বির আবেগ বোঝাতে পুরনো ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ফুটবলাররা এতে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন তিনি।তিন বছর ধরে ডার্বিতে সাফল্য নেই লালহলুদ শিবিরের। গতবছর যেমন হারতে হয়েছিল, এবছরও প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তার ওপর আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লালহলুদ কোচ। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ফুটবলারদের বলেছি, লিগ টেবিলে আমরা কোথায় আছি সেটা মাথায় না রাখতে। এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। ডার্বি মানেই কঠিন লড়াই। সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছি। ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা ডার্বির গুরুত্ব জানে।হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওই ম্যাচের ফলাফল ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন রিভেরা। তিনি মনে করছেন, হায়দরাবাদের কাছে হার ডার্বিতে ইতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে। লালহলুদ কোচের যুক্তি, বড় হারের পর ডার্বি ম্যাচ থাকলে ফুটবলারদের মোটিভেশনের অভাব হয় না। কারণ সবাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া থাকে। ফুটবলারদের নতুন করে মোটিভেট করার দরকার হয় না। এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে বেশি চিন্তাও করছেন না রিভেরা। তাঁর ব্যাখ্যা, আমাদের তুলনায় ওরাই বেশি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে। আমার মতে এই ম্যাচ ৫০৫০।রিভেরার ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই প্রথম ডার্বিতে ডাগ আউটে বসবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। ডার্বিতে অশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, এইরকম ম্যাচের অংশীদার হওয়াটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। এই ম্যাচের আবেগ কতটা জানি। কোনও ভাবেই ফোকাস নষ্ট করা যাবে না।লিগ টেবিলের সবার শেষে থাকলেও লালহলুদকে যথেষ্ট সমীহ করছেন সবুজমেরুণ কোচ। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আগের এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই দলকে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওরা অনেক বদলে গেছে। আগে মনে হত চাপ নিয়ে মাঠে নামছে। এখন খোলা মনে খেলছে। দলে ছন্দ ফিরে এসেছে। নতুন বিদেশি যোগ দিয়েছে। ফলে আমাদের জিততে গেলে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হবে। তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে মাঠে নামব। প্রথম একাদশ নিয়ে মুখ না খুললেও রয় কৃষ্ণার খেলার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটা হবে সবথেকে বড় অঘটন, কেন একথা বললেন শ্যাম থাপা?‌

শনিবার আইএসএলের মহারণ। রাত পোহালেই আবার মাঠে নামছে কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের এই হাইভোল্ডেজ ম্যাচ নিয়ে আগের মতো ক্রীড়ামহলে আর তেমন উত্তেজনা নেই। সদস্যসমর্থকদের মধ্যেও সেই উন্মাদনা নেই। সবাই যেন ধরে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবুও ডার্বি বলে কথা। অনেক কিছুই তো ঘটতে পারে। কিন্তু লালহলুদকে নিয়ে আশা দেখতেন না কেউ। যেমন দুই প্রধানকে বহু ডার্বিতে উতরে দেওয়ার নায়ক শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলছিলেন, আমি তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের জেতার কোনও আশাই দেখছি না। জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারবে কিনাও সন্দেহ। এই ইস্টবেঙ্গল টিমের কী আছে বলুন তো? একটা পজিশনেও ভাল ফুটবলার আছে, যাকে ঘিরে সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিকে মোহনবাগানের দিকে তাকান। সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার। রক্ষণ একটু কমজোরি হলেও আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি রয়েছে আক্রমণভাগে। এছাড়া লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংয়ের মতো দেশীয় ফুটবলাররা। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই।১৯৭৮ র ডার্বি ম্যাচে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিকশোনা যাচ্ছে চোটের জন্য রয় কৃষ্ণা অনিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলেও সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস প্রথম একাদশ ফিরছে। ডেভিড উইলিয়ামস আছে। মাঝমাঠে জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরি, ম্যাকহিউরা আছে। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। শুনছি নাকি সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকেও খেলানো হতে পারে। সুতরাং এই এটিকে মোহনবাগানকে যদি এসসি ইস্টবেঙ্গল হারাতে পারে, সেটা হবে এই আইএসএলের সবথেকে বড় অঘটন।অতীতে দুর্বল দল নিয়েও লালহলুদের ডার্বি জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্ষমতা নেই বলে মনে করছেন শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, আগে ডার্বির একটা অন্য আবেগ ছিল। এইসব বিদেশি কোচ, ফুটবলাররা মুখে যাই বলুক, ডার্বির আবেগ জানে? গুরুত্ব বোঝে? আবেগ থাকা চাই। সেটা থাকলেও দুর্বল দল নিয়ে জেতা যায়। সেটা অতীতে আমরা অনেকবার জিতেছি। কখনও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে, কখনও এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। সেসব দিন এখন আর নেই।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী বললেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ?‌ জানলে চমকে যাবেন

এবারের আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে তিনিই ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামছে লালহলুদ শিবির। এবার আর ডাগ আউটে নয়, সুদূর স্পেনে বসে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে হবে মানোলো দিয়াজকে। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম পর্বের ডার্বিতে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল লালহলুদকে। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না লালহলুদের এই প্রাক্তন কোচ।ডার্বি নিয়ে মানোলো দিয়াজের বক্তব্য, এসসি ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, এবারও ডার্বি জেতার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্যের জোরে জিতেছিল। পরের ম্যাচেই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হার। দলটার যদি ছন্দ ফিরে আসত তাহলে তো পরের ম্যাচেও জিতত। মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে প্রথম পর্বের ডার্বিতে প্রথমার্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল। ৫ গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।মানোলো দিয়াজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রেনেডি সিং। তাঁর কোচিংয়ে লালহলুদ ফুটবলারদের মধ্যে লড়াইটা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যা দিয়াজের সময় দেখা যায়নি। তবুও এই স্প্যানিশ কোচের দাবি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার ছাড়া বাকিদের আইএসএলে খেলার যোগ্যতাই নেই। এমনকি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও ড্যারেল সিডোল ছাড়া বাকি বিদেশি ফুটবলারদের নাকি কর্তারাই পছন্দ করে দলে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের তিন মূলত এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দারের দিকে।রেনেডি সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আদিল খান প্রথম একাদশে। নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতাও দিচ্ছেন। তবু আদিল খানকে ভাল মানের ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে নারাজ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আদিল খানের দক্ষতা এমন কিছু আহামরি নয়। ভাল স্ট্রাইকারের সামনে পড়লে ওর দুর্বলতা ফুটে উঠবে। ওকে না খেলানোর জন্য আমার অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সবই শুনেছি। ওকে একটা ম্যাচে আমি খেলাতে চেয়েছিলাম। ও খেলতে রাজি হয়নি। একজন পেশাদার ফুটবলারের এইরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। টিমটার মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না। এরজন্য কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্থ শহর, ঘুমপাড়ানি গুলিতে খাচাবন্দী

সাতসকালেই চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্থ শহর। চিতাবাঘটিকে একবার চোখের দেখা দেখতে শয়ে শয়ে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কোচবিহার শহর এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। চিতাবাঘকে আয়ত্ত্বে আনতে নেমে পড়ে বনদফতর ও পুলিশ কর্মীরা। শেষমেষ ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে খাঁচাবন্দী করার পর শহরের বাসিন্দারা হাফ ছেড়ে বাঁচে। বুধবার সকালেই চিতাবাঘ জঙ্গল ছেড়ে ঢুকে পড়ে উত্তরবঙ্গের এই শহরে। কোচবিহারের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় ভোরের দিকে চিতাবাঘটি দেখা যায়। চিতাবাঘটিকে দেখে মানুষজন হকচকিয়ে যায়। চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেয় লোকজন। হইচই, মানুষজন দেখেই একটি বাড়ির বাথরুমে ঢুকে যায় চিতাবাঘটি। ক্রমশ ভিড় বাড়়তে থাকে। অনেককেই দেখা যায় বাঘটির কাছাকাছি গিয়ে মোবাইলে ছবি তুলতে। খবর যায় জলদাপাড়া বনদফতরে। সেখানে এসে পৌঁছায় তাঁরা। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করে বনকর্মীরা। সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শেষমেষ ঘুমাপাড়ানি গুলি চালিয়ে নিস্তেজ করা হয় চিতাটিকে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় চিতাবাঘটিকে খাচাবন্দী করা হয়।কোচবিহার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সঞ্জিত সাহা জানিয়েছেন, অনুমান করা হচ্ছে পাতলাখাওয়া জঙ্গল থেকে কোচবিহারে চলে এসেছে। মূলত কুকুর খাওয়ার লোভে লোকালয়ে চলে আসে চিতা। খাচাবন্দী চিতাকে নিয়ে যাওয়া হবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে শহরে হানা দেয় হাতির দল। সম্প্রতি ভাল্লুকও লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। এবার এল চিতা।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নাইট রাইডার্সে ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলিং কোচ

একসময় ভারতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে দেখা যাবে ভরত অরুণকে। শুক্রবারই তাঁকে নতুন দায়িত্ব দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট।দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছেন ভরত অরুণ। গতবছর টি২০ বিশ্বকাপের পরই তাঁর সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের চুক্তি শেষ হয়। ভরত অরুণের জায়গায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব দিয়েছেন পরশ মামরেকে। এই মুহূর্তে ভরত অরুণ ফাঁকাই ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই ভরত অরুণকে বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল আমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্জাইজির বোলিং কোচের দায়িত্ব পেতে পারেন ভরত অরুণ। কিন্তু আশিস নেহরা আমেদাবাদের হেড কোচ নিযুক্ত হওয়ায় নতুন করে বোলিং কোচ রাখার সম্ভাবনা কম। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রস্তাব গ্রহন করলেন ভরত অরুণ।🚨 𝘼𝙉𝙉𝙊𝙐𝙉𝘾𝙀𝙈𝙀𝙉𝙏 🚨We are delighted to introduce you to our new bowling coach! Welcome to the Knight Riders family, Bharat Arun 💜💛#KKR #AmiKKR #IPL2022 #BharatArun pic.twitter.com/MpAXJMa67C KolkataKnightRiders (@KKRiders) January 14, 2022কোচ হিসেবে ভরত অরুণের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। একসময় তিনি বাংলা ও তামিলনাডুর রনজি দলের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন। দীর্ঘদিন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। দুদফায় ভারতীয় জাতীয় দলের বোলিং কোচ ছিলেন। আইপিএলেও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন।আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি করতে ব্যর্থ কোহলিরা, ভারত নেমে গেল পাঁচেএইরকম হাই প্রোফাইল কোচকে দায়িত্ব দিতে পেরে খুশি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভরত অরুণের মতো দক্ষ বোলিং কোচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। ওর অভিজ্ঞতা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আরও সমৃদ্ধ করবে। অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি ভরত অরুণও। তিনি বলেন, কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভাল লাগছে। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal