• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

China

খেলার দুনিয়া

বিশ্বে এত সরু নদীও আছে! যার গড় প্রস্তের পরিমাপ সেন্টিমিটারেই আটকে

সত্যি বাস্তবে এমন নদী থাকতে পারে ভাবাই যায় না। এই নদী পার হতে নৌকার প্রয়োজন নেই, এক লাফ দিলেই পার হওয়া যায় নদী। চিনের উত্তরের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে হুয়ালাই নদী। বিশ্বের সব চেয়ে সরু নদী হিসেবে স্বীকৃতি আছে এই নদীর। এর গড় প্রস্থ ১৫ সেন্টিমিটার। সবচেয়ে সরু পয়েন্টটি মাত্র ৪ সেন্টিমিটার চওড়া। তবে লম্বা ১৭ কিলোমিটার।নদীর স্বীকৃতি পেতে যেসব শর্ত মানতে হয়, সেগুলো মেনেই নদীর মর্যাদা পেয়েছে হুয়ালাই। এক লাফে পার হওয়া যায় বলে এটাকে খাটো করে দেখার জো নেই। এই নদীর একাধিক বিশেষত্ব আছে। যা অনেক বড় নদীর নেই। কারণ চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ হাজার বছর ধরে হুয়ালাইতে জলের প্রবাহ একই রকম আছে। মাটির তলায় থাকা একটি স্রোত থেকেই এই নদীর উৎপত্তি। এরপর থেকে কখনই এর প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়নি, নদী কখনও শুকিয়েও যায়নি। নদীর জল এঁকে বেঁকে গিয়ে পড়েছে হেক্সিগট্যান গ্রাসল্যান্ড ন্যাচার রিজার্ভের দালাই নুর লেকে।সারাবছরই হুয়ালাইতে স্রোত থাকে। গভীরতা গড়পড়তায় ৫০ সেন্টিমিটার হলেও এর পানি একদম স্বচ্ছ। যা দিয়ে আশপাশে সেচের কাজ তো হয়ই, বুনো প্রাণীরাও আসে এর স্রোত থেকে পান করতে। এককথায় এই হুয়ালাই নদীর ছবি দেখলেও যে কারও মন কেড়ে নিতে বাধ্য।।

জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
বিদেশ

১৩৩ জন যাত্রী-সহ দক্ষিণ চিনে ভেঙে পড়ল বিমান

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি চিন। দক্ষিণ চিনে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই বিমানে ১৩৩ জন যাত্রী ছিল। জানা গিয়েছে চিনে যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান ছিল। মনে করা বিমান থাকা কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। সবেমাত্র উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে বিমানটি কুনমিং শহর থেকে গুয়াংজুর দিকে যাচ্ছিল। ভেঙে পড়া বোয়িং বিমানটি চিন ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমান ছিল। চিনের সিভিল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, এখনও অবধি এই বিমান দুর্ঘটনায় কত জন মারা গিয়েছেন তা জানা যায়নি।বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তদন্তের নির্দেশ দিলেন। কীভাবে আচমকা ভেঙে পড়ল সুরক্ষিত বোয়িং ৭৩৭ বিমান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।Crash site pic.twitter.com/8qJWYK8FhS ChinaAviationReview (@ChinaAvReview) March 21, 2022তবে বিমানে থাকা ১৩৪ জন যাত্রী বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেঙে পড়া বিমানটি ৬ বছরের পুরানো। সিএএসি জানিয়েছে, উঝুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিমানটিতে মোট ১২৩ জন যাত্রী এবং পাইলট সহ মোট ৯ জন কর্মী ছিলেন। ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এবং উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ফলে বিমানটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বিমান দুর্ঘটনার সময়ে আগুন দেখা গিয়েছিল। পাহাড়ের কোলে যে এলাকার বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানকার বাঁশ বনে আগুন লেগে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

মার্চ ২১, ২০২২
বিদেশ

এক বছর পর ফের কোভিডে মৃত্যু দেখল চিন

চিনে আবারও ফিরল করোনার নতুন আতঙ্ক। প্রায় দু বছর পর করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল চিনে। জিলিন প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ অথরিটি করোনায় মৃত্যুর এই খবর জানিয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর জানুয়ারি মাসে শেষবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল চিনে। তারপর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনও মৃত্যু হয়নি। তবে সম্প্রতি সংক্রমণের এক নতুন ঢেউ প্রবেশ করার ইঙ্গিত পেয়েছেন চিনা বিশেষজ্ঞরা। চিনের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে বিধি নিষেধ জারি হয়েছে। আর এবার মৃত্যুর ঘটনা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত চিনে মোট ৪ হাজার ৬৩৮ জনের মৃত্যু হল করোনায়।শনিবার চিনে নতুন করে ২ হাজার ১৫৭ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে জিলিন প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ওই প্রদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই কারণেই ওই প্রদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।বিগত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে চিনে, কখনও ২-হাজার, কখনও আবার ৩-হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২,২২৮ জন সংক্রমিত হওয়ার পর চিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮,৪৬২ জন। দুজনের মৃত্যুর পর মোট মৃত্যু হয়েছে ৪,৬৩৮ জনের। চিনে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০৫,২৩৮ জন।

মার্চ ১৯, ২০২২
বিদেশ

চিনে ফের লকডাউনে বন্দি দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দা

কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না করোনা। তবে তুলনামূলকভাবে বিশ্বজুড়েই করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই কম। তবে স্বস্তি নেই চিনের বাসিন্দাদের। সেখানে ফের একবার করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই, প্রশাসনের তরফে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই চিনের চাংচুন শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এবার লকডাউন ঘোষণা করা হল হাইটেক শহর শেনজেন-এও। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত দুই বছরে সবথেকে ভয়ঙ্করভাবে এবারই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ রুখতেই তাই একের পর এক শহরে লকডাউন জারি করা হচ্ছে।করোনা সংক্রমণের উৎপত্তি হয়েছিল চিন থেকেই। তাই ভাইরাসের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, তার আন্দাজ ভালভাবেই রয়েছে চিনের। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম মাস হিমশিম খেলেও, হাল সামলিয়ে নেয় প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি করে দেওয়া হয় হাসপাতাল। সেই সময়ই তৈরি করা হয় জিরো কোভিড নীতি। শহরে ৫-১০ জন করোনা আক্রান্ত হলেও, গোটা শহরেই লকডাউন জারি করে দেওয়া হয়।দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দার শেনজ়েন শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেখানে সমস্ত গ্রামের সীমানা আটকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস, মেট্রো। রবিবারই চিনা সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে যে সোমবার থেকে সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শহরের সমস্ত বাসিন্দারাই যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং অত্যাবশ্যকীয় কোনও পণ্য কেনার জন্যই বাড়ি থেকে বের হন। বাইরে থেকে যারা শেনজ়েনে আসছেন, তাদের সকলকেই নেগেটিভ নিউক্লেইক অ্যাসিড রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার বেশি পুরনো হতে পারবে না। এছাড়া নতুন সপ্তাহেই শহরজুড়ে ফের তিন দফায় করোনা পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মার্চ ১৪, ২০২২
বিদেশ

কোভিড আক্রান্তদের ধাতব বাক্সে বন্দি করছে চিন! ভাইরাল ভয়ঙ্কর ভিডিও

কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা শুরু করেছে চিন সরকার! নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিও। সংক্রমণকে নাগালে রাখতে নিভৃতবাস, বিচ্ছিন্নবাস, লকডাউন সব পন্থাই নিয়েছে তারা। এত কিছু করেও সংক্রমণ আয়ত্তে না আসায় এই ভয়ঙ্কর পথ বেছে নিয়েছে চিন। আর তাতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ এক ফোনে মিলবে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা, গলসির হাসপাতালে নয়া উদ্যোগভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা সকলকে ধাতব বাক্সের মতো ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রয়েছে একটি খাট, জলের বোতল ও একটি শৌচাগার। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মধ্য চিনের শাংচি প্রদেশের জিআন শহরে খোলা হয়েছে এই নিভৃতবাস ক্যাম্প। সেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক, এমনকী, গর্ভবতী মহিলাদেরও অন্তত দুসপ্তাহের জন্য জোর করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।আরও পড়ুনঃ মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পাঁচ যুবক গ্রেফতার, চাঞ্চল্য মেমারিতেসিনেমার কোনও দৃশ্যের থেকে কম নয় চিনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির চিত্র। অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির সামনে বাসের লম্বা লাইন, ভিতরে জবুথবু হয়ে বসে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। চিনের জিরো কোভিড নীতি অনুযায়ী, একজনও করোনা আক্রান্ত হলে, গোটা শহরেরই বাসিন্দাদের যেমন করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তেমনই আবার একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এলেই, বাকি এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা হচ্ছে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো থেকে আটকাতে।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে টানা দুদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, কমেছে পজিটিভিটি রেটবাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের দরুণ জিআন শহরের প্রায় দুকোটি বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। খাবার কিনতে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা। সোমবার সেখানে ১৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মাত্র দুজন ওমিক্রন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়ার পর চিনের আনিয়াং শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চিন সংক্রমণ রুখতে এতটাই কড়া অবস্থান নিয়েছে যে, কোনও বহুতলের এক জন বাসিন্দা সংক্রমিত হলেও ওই বহুতলের সকল বাসিন্দাদের নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
কলকাতা

Dilip Ghosh: চিন হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ! বিস্ফোরক দিলীপ

উপনির্বাচনের পরে পুরসভা নির্বাচনেও সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এই কথা জানান তিনি। দিলীপ বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা চিনের মত হয়ে যাবে। একটাই দল ভোটে দাঁড়াবে। তাকেই সবাই ভোট দেবে। বাকি দলের অস্তিত্ব মুছে দেওয়া হবে। এই ভাবেই উপনির্বাচন হইয়েছে এবং সেখানে প্রার্থীকেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। উপনির্বাচনের ফল দিয়ে কিছু বোঝা যাবে না এমনটাই দাবি দিলীপের।সামনেই পুরভোট হবে শহরে। বিজেপি সর্ব শক্তি দিয়ে লড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোট ঠিকমত হলে পরিস্থিতি আলাদা হবে আশা দিলীপের। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ার আশা খুব কম বলেই তাঁর ধারণা।

নভেম্বর ০৩, ২০২১
বিদেশ

China Corona: চিনে ফের শুরু লকডাউন, গৃহবন্দি হাজারো মানুষ

করোনার প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে পুরোপুরি ছন্দে ফিরে এসেছিল চিন। ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সে দেশের অর্থনীতিও। কিন্তু এখন নতুন করে সেখানে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে করোনা। রাজধানী বেজিং-ও ছড়িয়েছে করোনা। এদিকে আগামী বছরের শুরুর দিকেই শীতকালীন অলিম্পিক্সের আয়োজক চিন। সব মিলিয়ে এই নতুন করে করোনা গ্রাফ চিন্তা বাড়াচ্ছে শি চিনপিংয়ের প্রশাসনের।চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার এজিনে লকডাউন জারি হয়েছে। সোমবার থেকে ওই এলাকার ৩৫ হাজার ৭০০ বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই অঞ্চলেই সংক্রমণের হটস্পট। গত সপ্তাহে ওই এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৫০ জন। চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের তরফ থেকে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, এ ভাবে চলতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। চিনের ১১ টি প্রদেশে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।চিন থেকেই শুরু হয়েছিল কোভিডের দাপট। ২০১৯-এর শেষের দিকে সেই আতঙ্কের শুরু। লকডাউনের ছবি দেখা গিয়েছিল চিনের একাধিক শহরে। এরপর প্রায় গোটা বিশ্ব দেখেছে ভাইরাসের দাপট। তবে নতুন করে সেই ভাইরাসের আতঙ্কে প্রহর গুনছে চিন। ইতিমধ্যেই চিনের একাধিক শহরে ছড়াতে শুরু করে সংক্রমণ। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নতুন করে শুরু হচ্ছে লকডাউন।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
বিদেশ

Earthquake: সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশ

সূর্যের আলো তখনও ঠিক করে ফোটেনি, এমন সময়ই কেঁপে উঠল বাড়িঘর। একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করল তাসের ঘরের মতো। দক্ষিণ পশ্চিম চিন-র সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পর জেরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এই ভূমিকম্প হয়, বিপর্যয়ের জেরে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন।আরও পড়ুনঃ শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশিমার্কিন ভূতত্ত্ব বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৪। যদিও চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের দাবি, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.০। মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নীচেই ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল, সেই কারণে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সিচুয়ান প্রদেশের ভূমিকম্প দপ্তরের ডেপুটি চিফ দু বিন বলেন, এই অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আফটার শকের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, আগামী কিছু সময় ধরেই এই অঞ্চলে আফটার শক অনুভব হতে পারে। এরজন্য বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেসমস্ত বাড়ি অনেক পুরনো ও কাঠামোও ওত শক্তিশালী নয়, সেই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের আপাতত অনত্র থাকতেই বলা হয়েছে। সিচুয়ান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৬২ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আফটার শকের আশঙ্কা থাকায় কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে আপাতত লাইন সারাইয়ের কাজও শুরু করা যাবে না।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভূমিকম্পের একাধিক ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে ঘরের ভিতরে টিভি, ফ্রিজ কাঁপছে, ছাদে লাগানো নানা অন্দরসজ্জা মাটিতে ভেঙে পড়ছে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
বিদেশ

Corona Virus: কীভাবে ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে

মানুষের শরীরে করোনাকে বাসা বাঁধানোর চেষ্টাই চালানো হচ্ছিল উহানে ল্যাবে! সেই সময়ই কোনও ফাঁকে ভাইরাস বেরিয়ে অতি মহামারির রূপ নিয়েছে। চিনের এক গবেষণাগারে প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন নাম না জানা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। সেখান থেকেই কি কোনও ফাঁকে বেরিয়ে এসেছিল করোনা ভাইরাস? আর তাতেই বিশ্ব জুড়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ৪৪ লক্ষ মানুষের? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকেই। আমেরিকা বারবার উহানের সেই ল্যাবের তত্ত্ব সামনে আনলেও, চিন বরাবরই তা উড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন গবেষকরা এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেননি। তবে এ বার উহান ল্যাব সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল মার্কিন রিপাবলিকান দল। তাঁদের গবেষকদের দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা।আরও পড়ুনঃ উদ্বেগ বাড়িয়ে ডেল্টার প্রভাবে ফের বাড়ছে সংক্রমণসোমবার প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকা ও চিনের সরকারের যৌথ সহযোগিতায় চলা ওই উহান ল্যাবে করোনা নিয়ে গবেষণা চলছিল, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল যে কী ভাবে করোনা ভাইরাসকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত করানো সম্ভব। এমন প্রমাণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপাবলিকানদের এই রিপোর্টে। রিপাবলিকানের প্রতিনিধি মাইক ম্যাককাউন জানিয়েছেন, সোমবার একটি বিশেষ প্যানেলের তৈরি করা এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনেন। নতুন করে এই ইস্যু নিয়ে তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।রিপাবলিকানদের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, উহানের মাছের বাজার থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছ, এমন তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়ার সময় এসেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

আগস্ট ০৩, ২০২১
বিদেশ

Arunachal: গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্ট

ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা তিব্বতের এক শহর ঘুরে গেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু কেউ টেরই পেল না!শুক্রবার চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তিব্বতের নিয়াংচি শহরে ঘুরে গিয়েছে তিনি। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছেই এই তিব্বতি শহর কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বুধবার তিনি এসেছিলেন ওই শহরে। এই প্রথম কোনও চিনা প্রেসিডেন্ট এই শহরে পদার্পণ করল, অথচ সেই খবর দুদিন ধরে প্রকাশিত হল না চিনের সংবাদমাধ্যমে।আচমকা জিনপিং-এর এই সফর নিয়ে জল্পনা চরমে। তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতেই কি এমন গোপন সফর, উঠেছে প্রশ্ন। লাদাখে যখন ভারত-চিন সংঘাতের ঘা পুরোপুরি শুকোয়নি, তারই মধ্যে জিনপিং-এর এই সফর। গত বছরের মে মাস থেকে লাদাখে এই সংঘাতের সূচনা। প্যাংগং থেকে দুই দেশই সেনাবাহিনী সরিয়ে নিলেও এখনও কোনও কোনও অংশে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। এই ইস্যুতে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছে দুই দেশ। কিন্তু সমাধান এখনও অধরা।আরও পড়ুনঃ ধর্ম-বিতর্কে চাপের মুখে সাফাই মহুয়ারবেশ কিছুদিন ধরেই তিব্বতে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে বেজিং। তারই মধ্যে এই সফরে জল্পনা বাড়ালেন জিনপিং। বৃহস্পতিবারা তিব্বতের রাজধানী লাসায় প্রথমে পৌঁছন জিনপিং। এই সফরে জিনপিং অরুণাচলপ্রদেশ-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত নিয়াংচি শহরেও যান। সিচুয়ান-তিব্বত রেল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন সেখানে। এ ছাড়া নিয়াং নদীর সেতুও পরিদর্শন করেন তিনি। এই অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর তৈরি হচ্ছে বাঁধ। চিনে ইয়ারলুং জাংবো নামে পরিচিত ওই নদীতে বাঁধ তৈরির অনুমোদন চলতি বছরেই দিয়েছে বেজিং। আর চিনের সেই উদ্যোগ ঘিরে আশঙ্কা বেড়েছে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা শহরগুলিতে। তিব্বতের সুইজারল্যান্ড বলে পরিচিত এই নিয়াংচি শহর।উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে থাকে চিন, যে দাবি ভারত বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারত ও চিনের ৩,৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২১
দেশ

Jammu Airport Blast: চিনা ড্রোনের মাধ্যমে জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু বিমানবন্দর (Jammu Airport) চত্বর। শনিবার রাত দুটো নাগাদ বিমানবন্দরে বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত টেকনিক্যাল এরিয়ায় (Air Force Station) জোড়া বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন জিহাদিকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আইইডি উদ্ধার হয়েছে। বিমানবন্দরে কোনও জঙ্গি সংগঠনের বড়সড় নাশকতার ছক ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাশ্মীরের এক শপিং মল থেকে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তইবার সদস্য বলে খবর। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণের জন্য চিনা ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই উঠে এসেছে তদন্তে। এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে চিনে তৈরি ড্রোন পাকিস্তান হয়ে ভারতে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ফ্ল্যাট থেকে বোমা উদ্ধারশনিবার রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তেমন বড় কোনও ক্ষতি না হলেও দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই প্রথম এই ধরনের হামলা হল। এই ঘটনার পিছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, স্টেশনে মোতায়েন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলিকেই নিশানা করা হয়েছিল। কোনও ভাবে ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণের জন্য চিনা ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই উঠে এসেছে তদন্তে। এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে চিনে তৈরি ড্রোন পাকিস্তান হয়ে ভারতে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তেমন বড় কোনও ক্ষতি না হলেও দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই প্রথম এই ধরনের হামলা হল। এই ঘটনার পিছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, স্টেশনে মোতায়েন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলিকেই নিশানা করা হয়েছিল। কোনও ভাবে ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। এদিকে কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে। ঠিক সেই সময় বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণ প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর করেছে। আরও পড়ুনঃ টিকাকরণে গতি আনতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য চাইলেন মোদিরাত দুটোয় রোজকার মতোই কাজকর্ম চলছিল জম্মু বিমানবন্দর এলাকায়। এই এয়ারপোর্টেই রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার ফোর্স স্টেশন-সতওয়ারি। বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত সেই অংশের একটি বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, বাড়িটির ছাদ ভেঙে পড়ে। বিকট আওয়াজ শুনেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিমানবন্দরের কর্মীরা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার আগেই আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে দুজন জখম হয়েছেন। যদিও সে কথা স্বীকার করেনি বায়ুসেনা বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত অংশে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে তাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তদন্ত চলছে। এদিকে এই ঘটনার পরই নরওয়াল এলাকা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৫ কেজি আইডি উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভূস্বর্গে ফের বড়সড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে কাশ্মীরের এক শপিং মল থেকে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তইবার সদস্য বলে খবর। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এদিকে কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে। ঠিক সেই সময় বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণ প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর করেছে। বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রিত বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণ কি নাশকতামূলক আচরণ নাকি অন্য কিছু, খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

জুন ২৭, ২০২১
বিদেশ

Sputnik V : রাশিয়া ও চীনের তৈরি টীকা আনুমোদন দিতে নারাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন

রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি কোভিড-১৯ টিকা কখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন পাবে না বলে জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। শুক্রবার তিনি চীনের তৈরী সিনোভাক জাব এর অনুমদনের বিষয়েও বিশেষ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।ব্রাসেলসে দ্রাঘি বলেছেন, স্পুটনিক-ভি এখনও পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি। সম্ভবত কখনও ইএমএ (ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি) এর অনুমোদন তারা পাবে না। তিনি আরও জানান, চীনা ভ্যাকসিন সিনোভাক জাব যথোপযুক্ত নয় বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। চিলির অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিলেই তা বোঝা যাবে।আরও পড়ুনঃ আমেরিকায় নিষিদ্ধ একধিক ইরানি ওয়েবসাইটচিলি, চীনা সিনোভাক জাবের উপর নির্ভর করে তাদের টিকাকরণ অভিযানে বিরাট জোর দিয়েছিল। এই মুহুর্তে তাঁদের ধারণা চীনের তৈরি টীকা করোনার নতুন স্টেন থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে। সেকারণে নতুন স্টেনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বাড়াতে এখন তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।চীন ও রাশিয়ার তৈরি টীকা স্পুটনিক ভি এবং সিনোভাক উভয় ভ্যাকসিনই ইএমএ -র রোলিং রিভিউ ওপর নির্ভর করে আছে। আশা করা যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেতে আরও এক ধাপ পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সাম্প্রতিক যথেষ্ট বিভ্রান্তি চলছে, এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে ইএমএ-কে আরও শক্তিশালী এবং সংস্কারের প্রয়োজন ছিল।আরও পড়ুনঃ দেশের বাকি বড় শহরকে পিছনে ফেলে সুরাট এবং ইন্দোর সেরার সেরাতিনি ইএমএ এবং জাতীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সুরক্ষার বিষয়ে আরও আলোচনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। দুদিন ব্যাপী ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে দ্রাঘি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্র নেতাদের সাথে করোনা ভাইরাসের অতিমারি প্রতিরোধ বিষয়ে একটি সাধারণ আলোচনা ছিল। এই অতিমারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি, আমরা এখনও এ থেকে বের হতে পারিনি। ইতালিয়ান নেতা ব্রিটেনে আরও ভয়ঙ্কর সংক্রমণযোগ্য ডেল্টা রূপটি ছড়িয়ে পড়ার দিকটিকেও ইঙ্গিত করেন।আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে ৫৫০ জনকে টীকাকরণ অটোমোবাইল সংস্থারএক বিবৃতিতে ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (আইএসএস) বলেছে যে, জুন মাস অবধি ইতালিতে করোনার যে স্টেন দেখা গিয়েছে তার ৭৪.৮ % আলফা। এবং একই সময়ে, ডেল্টা স্টেনেরও খোঁজ পাওয়া গেছে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৬.৮%, মে মাসে যা ছিলো মাত্র ৪.২%।

জুন ২৬, ২০২১
রাজ্য

China Citizen: হানের আইফোন খুলতে সক্ষম এসটিএফ, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবশেষে চিনা চর হান জুনেইয়ের আইফোনের (iPhone) লক খুলতে সক্ষম হল এসটিএফ (STF)। ধৃতের ল্যাপটপ থেকেও কিছু তথ্য মিলেছে। ভারতে হানের নেটওয়ার্কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আরও পড়ুনঃ উইঘুর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের পুলিশ জানিয়েছে, মালদহের সীমান্ত থেকে হান জুনেইকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি আইফোন-সহ তিনটি মেবাইল ও তিনটি ল্যাপটপ। ওই তিনটি মোবাইলে ছিল চারটি সিমকার্ড। তার মধ্যে একটি বাংলাদেশের, একটি ভারত ও দুটি চিনের। মালদহ (Maldah) জেলা পুলিশও তার মোবাইল ও ল্যাপটপ খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু চিনের ম্যান্ডারিন ভাষায় থাকা ওই পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা যাচ্ছিল না। রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স চিনা হানকে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার পর তার ল্যাপটপ ও মোবাইলের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করার চেষ্টা করে। অবশেষে তা সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে আইফোনটি খতিয়ে দেখেছেন গোয়েন্দারা। ওই ফোনের মাধ্যমে তার ভারতের নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখা হয়। একটি বেসরকারি সংস্থার অংশীদার হয়ে টাকা জালিয়াতির কারবার শুরু করে হান। যে পদ্ধতিতে চিনা চক্রটি জলিয়াতি করে, তাতে তার ভারতের কয়েকটি কোম্পানির প্রয়োজন ছিল। হায়দরাবাদের একটি সংস্থার মাধ্যমে হান জালিয়াতি করত। হানের এক সঙ্গী প্রশান্ত পৌত্তলিকে হায়দরাবাদ থেকে ভিনরাজ্যের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু আরও এক সঙ্গী তথা অংশীদার আবদুল রেজ্জাক পালিয়ে বেড়াচ্ছে, জানতে পেরেছেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা। ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিলেও চিনা জালিয়াতিতে সাহায্য করত সে। রেজ্জাক হানের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অনেক তথ্য জানে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা।উল্লেখ্য, এই মাসেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চিনা জালিয়াতি চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দাকেই অংশীদার করে ও মোটা টাকা দিয়ে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে চিনা জালিয়াতরা। এই রাজ্যে যে চিনা জালিয়াতি চক্র ফাঁদ পেতেছে, সেই ব্যাপারেও গোয়েন্দারা নিশ্চিত। এখানেও রয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক। এই রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্কে কারা রয়েছে, গোয়েন্দারা তা জানার চেষ্টা করছেন। গোয়েন্দাদের মতে, আইফোন ও নেটওয়ার্ক দেখে তা জানা সম্ভব। এ ছাড়াও দেশের কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মীর সঙ্গে চিনা জালিয়াতরা যোগাযোগ রাখত কি না, সেই তথ্যও জানার চেষ্টা হচ্ছে মোবাইলগুলি থেকে।

জুন ২২, ২০২১
বিদেশ

China-Uyghurs: উইঘুর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের

উইঘুর নির্যাতন নিয়ে সরব রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations)। চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে এবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশ পরিদর্শনের কথা বললেন মানবাধিকার পরিষদের প্রধান মিশেল ব্যাকলেট। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uyghurs) ও অন্য মুসলিম (Muslim) জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা।আরও পড়ুনঃ সরকারি সম্পত্তি অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজীব ঘনিষ্ঠসোমবার মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে চিন, রাশিয়া ও ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হন ব্যাকলেট। বিশেষ করে চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলতি বছরই শিনজিয়াং যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ব্যাকলেট। একইসঙ্গে, হংকংয়ে চিনা দমননীতি নিয়েও সরব হন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান। স্বশাসিত প্রদেশটির গণতান্ত্রিক মর্যাদা কেড়ে নিতে জিনপিং প্রশাসনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করেন ব্যাকলেট। বিশ্লেষকদের মতে, উইঘুর ও হংকং ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাকফুটে রয়েছে চিন। এবার শিনজিয়াং পরিদর্শনের প্রসঙ্গ তুলে চিনের উপর আরও চাপ বড়াল রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

জুন ২২, ২০২১
বিদেশ

China Scientist murder: চিনের পরমাণু বিজ্ঞানীর রহস্যমৃত্যু

রহস্যজনভাবে মৃত্যু হল চিনের (China) অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী (Nuclear Scientist) ঝাং ঝিজিয়ানের। বৃহস্পতিবার একটি বহুতল থেকে পড়ে প্রাণ হারান ওই বিজ্ঞানী। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে, বিজ্ঞানী ঝাংয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।চিনের হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিজ্ঞানী ঝিজিয়ান। পাশাপাশি, চাইনিজ নিউক্লিয়ার সোসাইটির এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। ফলে তাঁর এহেন রহস্যজনক মৃত্যুতে রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিনা বিজ্ঞানী মহলে। চিনা সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনই একে খুনের ঘটনা বলে মানতে নারাজ তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন আত্মহত্যা করবেন ঝিজিয়ান? তাহলে কী এমন কোনও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যার জেরে এহেন চরম পদক্ষেপ করলেন ওই বিজ্ঞানী। এদিকে, এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এক বিবৃতি জারি করেছে হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি। সেখানে বলা হয়েছে, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ১৭ জুন একটি বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কমরেড ঝাং ঝিজিয়ানের। তাঁর পরিবারের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২১
রাজ্য

Bit Coin: বিটকয়েনের সাহায্যে চিনে টাকা পাচার করত হান

চিনা (China) জালিয়াতদের শতাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা। এসব বেআইনি লেনদেনের মাথায় ছিল মালদা (Maldah) থেকে ধৃত চিনা চর হান জুনেই। ভারত থেকে বিটকয়েনের সাহায্যে তারা চিনে অর্থ পাঠাত বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হানকে জেরা করে চলছে হাওয়ালা চক্রের সন্ধান। মালদহ থেকে ধৃত হানকে নিজেদের হেপাজতে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন রাজ্যের স্পেশ্যা ল টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকরা। গোটা চক্রের নেটওয়ার্ক জানতে তাকে জেরা শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, হান ও তার সঙ্গীরা যে জালিয়াতি চক্র চালাত, তা নিশ্চিত। চিনে বসে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জালিয়াতি চালাতে শুরু করে হান ও তার সঙ্গীদের চক্র। ওই জালিয়াতির টাকা ভারতবিরোধী কোনও কার্যকলাপে কাজে লাগানো হত, এমন সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে হানের যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, জালিয়াতির জন্য কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্যবহার করত জালিয়াতরা। ওই অ্যাপের সার্ভার রয়েছে চিনে। সেই অ্যাপগুলির সাহায্যেই ভুয়ো লগ্নিকারী সংস্থা বলে পরিচয় দেওয়া হত। মেল করে অথবা মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় টাকা বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হত। মোটা সুদ পাওয়ার লোভে অনেকেই টাকা রাখতেন সংস্থায়। আর সেই টাকাই হাতিয়ে নিত চিনা জালিয়াতরা। যেহেতু ভারতীয়দের জালিয়াতি করা হত, তাই প্রথমে ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির সাহায্যে ভারতীয় মুদ্রা হাতিয়ে নিত তারা। এরপর বিটকয়েন বা ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিবর্তন করে ওই টাকা পাঠানো হত চিনে। এভাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে চিনা জালিয়াতরা। হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলত ওই জালিয়াতি।

জুন ১৮, ২০২১
রাজ্য

BSF-Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক চিনা নাগরিক

মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে এক চিনা নাগরিককে আটক করলো বিএসএফ। ওই চিনা নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ , তিনটি মোবাইল ক্যামেরা-সহ বেশকিছু নথিপত্র। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর এলাকায়। সাতসকালে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় কি কারণে ছবি তুলতে এসেছিল ওই চিনা নাগরিক। এবং কিসের ছবি ওই চিনা নাগরিক ক্যামেরাবন্দি করছিল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ এবং গোয়েন্দা কর্তারা।এদিকে আটক চিনা নাগরিককে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জাওয়ানেরা মহদীপুর এলাকার ক্যাম্পে নিয়ে আনা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য । যদিও ওই চিনা নাগরিককে কি বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। পরে অবশ্য এই ঘটনার ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে কালিয়াচক থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই চিনা নাগরিকের কাছ থেকে বাংলাদেশি ভিসা পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়েই ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল ওই চিনা নাগরিক বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে বিএসএফ কর্তারা। ওই চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিএসএফ এবং পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আটক হওয়া ওই চিনা নাগরিকের নাম হান জুম উই (৪৫) । তিনি চিনের বেজিং শহরের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকার বাংলাদেশি নোট, আমেরিকার ডলার উদ্ধার হয়েছে । এর সাথে বেশ কিছু নথিপত্র পেয়েছে বিএসএফ কর্তারা।যদিও বিএসএফ ও পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মিলিক সুলতানপুর এলাকার বাংলাদেশের ও প্রান্তে ছবি তুলতে গিয়েই কাঁটাতারের বেড়া বিহীন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ফেলে ওই চিনা নাগরিক। এরপরই বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান জাওয়ানেরা সেই সময় ভারতীয় সীমান্তে ওই চিনা নাগরিককে দেখতে পায়। তড়িঘড়ি তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হলেও ভারতীয় কোনও পাসপোর্ট-ভিসা দেখাতে পারেনি । এদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে চিনা নাগরিক আটকের ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানান ধরনের চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে ওপার সীমান্ত থেকে বিজিবি (বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ) নজর এড়িয়ে এবার সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করলো ওই চিনা নাগরিক। বাংলাদেশের ভিসা পাসপোর্ট থাকার পরেও কেন ওপারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এই চিনা নাগরিককে সতর্ক করলো না। এছাড়াও সাতসকালে ভারতীয় সীমান্তে কি ছবি তুলতে এসেছিল ওই চিনা নাগরিক এসব বিষয় নিয়েও তদন্ত করছে বিএসএফ ও পুলিশ কর্তারা।এদিকে ওই চিনা নাগরিককে আটক করার পর পরই তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা করা হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। যদিও বিএসএফের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। যদিও এ ব্যাপারে মালদার পুলিশ সুপার কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকী, বিএসএফের পদকর্তাদের পক্ষ থেকেও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১০, ২০২১
বিদেশ

ইচ্ছাকৃতভাবেই ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস!

ইচ্ছাকৃত ভাবেই পরিবেশে ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস । এব্যাপারে নাকি গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের হাতে। যদিও বেজিং স্বাভাবিক ভাবেই এমন অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। কিন্তু চিনেরই এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ফের অভিযোগ করলেন, চিনের গবেষণাগার থেকে জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে কিছুদিন ধরেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উহানের বাজার নয়, লালফৌজের গবেষণাগারেই বিশ্বত্রাস হয়ে ওঠা কোভিড-১৯ ভাইরাসের জন্ম, একথা লি-মেং ইয়ান কীসের ভিত্তিতে বলছেন। এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর সাফ কথা, গত জানুয়ারি থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মি-র গবেষণাগারেই জন্ম এই ভাইরাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা ছড়ানো হয়েছিল। চিনের সরকার এটা ভাল করেই জানে।তাঁর দাবি, প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে ওই ভাইরাসকে তৈরি করেছিল চিন। এবং তা ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসে। উদ্দেশ্য, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়া। এবং সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দেশগুলির চিকিৎসা কাঠামোকেই নড়বড়ে করে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল বেজিংয়ের। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁর এই অভিযোগের সপক্ষে জোরদার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। তাঁর আরও দাবি, এই সব প্রমাণ এমন অকাট্য চিনের পক্ষেও তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তবু বেজিং এসবকে আড়াল করতে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।প্রসঙ্গত, করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর থেকেই এই দাবি উঠতে থাকে যে এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। একে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাগারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই সময় জানিয়েছিল, এমন দাবি ভিত্তিহীন। এবার চিনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে চাঞ্চল্য।

মে ১২, ২০২১
বিদেশ

৫ বছর আগেই সার্স-কোভ-২-কে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ছক ছিল চিনের!

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের পিছনে চিনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে, এমন অভিযোগ বার বার উঠেছে। কিন্তু তার কোনও পোক্ত প্রমাণ কেউ তুলে ধরতে পারেনি, যা দিয়ে চিনকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলা যায়। চিনও বার বার চেষ্টা করেছে তাদের ঘাড় থেকে দায় নামিয়ে ফেলতে। কিন্তু এবার যে নথি প্রকাশ্যে এল তাতে সার্স করোনা ভাইরাস নিয়ে চিনের অনেক গোপন পরিকল্পনা অনেকটাই ফাঁস হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা নাকি ২০১৫ সালেই এই ভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। চিনেরই এক শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী এই তথ্য ফাঁস করেছেন। লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরোলজিস্টের দাবি ঘিরে এখন তোলপাড় গোটা বিশ্ব। চিনা ভাষায় লেখা কিছু নথি তিনি ইংরেজিতে অনুবাদ করে টুইট করেছেন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি চিনের সরকারি গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে। এবং চিনের সামরিক বিভাগের বিজ্ঞানীরা সার্স করোনা ভাইরাসকে জৈব হাতিয়ার রূপে ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করছেন। শুধু তাই নয়, জৈব অস্ত্র দিয়েই নাকি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে লড়াই হবে। এই নথিতে এমন আলোচনার উল্লেখ রয়েছে।২০১৫ সালে এই আলোচনা যখন হয়, তখন বিশ্বে করোনার অতিমারির কথা সাধারণ মানুষের কেউ ভাবেননি। তার প্রায় ৫ বছর পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যায় করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। অস্ট্রেলিয়ার এক খবরের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, এই ভাইরাসের জিন ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করে মানব শরীরে ঘাতক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এই নথি প্রকাশ্যে আসার পর চিনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। তবে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।

মে ০৮, ২০২১
বিদেশ

চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতেই আস্থা কোয়াড গোষ্ঠীর

চিনকে নজরে রেখে ব্লক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছিল সেই ২০০৭ সাল থেকেই। অবশেষে বেজিংয়ের রক্তচক্ষুকে অবজ্ঞা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসল প্রথম চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াড রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক। লালফৌজকে নজরে রেখে কোয়াড গোষ্ঠীর চার সদস্য দেশ ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত আদানপ্রদান গভীর করাই এই মঞ্চের লক্ষ্য বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নেতারা। বিশেষ করে, চিনকে রুখতে ভারতই যে আমেরিকার ভরসা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল।চিন একাই ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বের। বেজিংয়ের অর্থনৈতিক, সাইবার এবং সামরিক আগ্রাসন নিয়ে আমেরিকা-সহ বিশ্বের চার বৃহৎ শক্তির জোটবদ্ধ হওয়া তারই ইঙ্গিত। কোয়াড গোষ্ঠীর মাথাব্যথার কারণ বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারসাম্য রক্ষাই চ্যালেঞ্জ। করোনা টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। ভবিষ্যতের স্বার্থে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে কৌশলগত সমঝোতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উঠেছে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। কূটনৈতিক লড়াইয়ে চিনকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে একাধিকবার চার দেশের আমলা-মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু করোনা অতিমারি বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। তার জেরেই শুক্রবার প্রথমবার বৈঠকে মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।ভারতীয় সংস্থাগুলির করোনা টিকা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকে ঢাল করে আসলে চিনের টিকা আবিষ্কারের আলোচনা সারলেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। মূলত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভারতীয় উৎপাদক সংস্থাগুলোর কার্যকরী মূলধনের জোগান অব্যাহত রাখতে নয়াদিল্লির আবেদনে শুক্রবারের কোয়াড শীর্ষ বৈঠক। করোনা অতিমারির মোকাবিলায় ভারতীয় সংস্থাগুলোর উপর ভরসা রাখতে চাইছে অধিকাংশ দেশ। আশঙ্কা, টিকা কূটনীতিকে হাতিয়ার করে আরও আগ্রাসী হবে চিন।পূর্ব লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সামরিক সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীর। দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের ক্রমবর্ধমান দাপট আমেরিকার জন্য অস্বস্তির। ভারত-চিন বিতর্কে কোয়াড গোষ্ঠী নয়াদিল্লির পাশেই রয়েছে। তেমনই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রেও চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সেই বেজিং। হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা, কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে দাপট প্রতিষ্ঠা করবে লালফৌজ। পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার মাধ্যমে একজোট থাকতে চায় ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, টোকিও এবং ক্যানবেরা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান চিনা বিনিয়োগের প্রভাব নিয়েও উদ্বিগ্ন কোয়াড গোষ্ঠী।

মার্চ ১৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal