• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CPIM

রাজনীতি

বুধবার বামেদের 'আইন অমান্য' কাণ্ডে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা প্রশাসন ও তৃণমূলের, ৩৪ জনের জেল হেপাজত

বুধবারের বামেদের আইন অমান্য কি ঘিরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় তাতে ৫০ জনের উপর বাম কর্মীকে সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বর্ধমান শহর সংলগ্ন বিভিন্ন থানায় রাতে পুলিস কাস্টডি করে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে তাদের আদালতে পেশ করা হয়।বাম কর্মী সমর্থকদের হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কমল দত্ত। তিনি জানান বর্ধমান কোর্টে ২টি কেস ফাইল করা হয়। একটি কেস নং ১০০৪ অপরটি ১০০৫। ১০০৪ কেসটি প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে, কেস নং ১০০৫ তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। সিপিএম রজ্য নেতৃত্ব সহ জেলার নেতাদের নামে এই কেস দুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরি, অচিন্ত্য মল্লিক,অমল হালদার, তাপস সরকার সহ ছাত্র নেতৃত্ব শ আরও অনেকের নামে কেস ফাইল করা হয়েছে।কমল দত্ত জানান, কেস নং ১০০৪ এ ৫৭ জনের নাম আছে। আর ১০০৫ কেসে ১১ জনের নাম আছে। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭,৩৭৯, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩ এছাড়াও ৩৪ বিপি অ্যাক্ট ও আরও কিছু উপধারাতে এই কেসদুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, মোট ৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনজন আশিতিপর ও দুইজন বয়স ১৯ নিচে। জেল কাস্টডি দেওয়া হয়েছে মোট ৩৪ জনকে। ৭ জনকে পুলিস রিমান্ডে তিন দিনের জন্য অ্যালাও করেছে কোর্ট। তাঁরা হলেন, অর্নিবান রায় চৌধুরী (এসএফআই জেলা সম্পাদক),সৌমেন্দ্র নাথ মালিক, তারক নাথ চ্যাটার্জী, মহসীন সেখ, সাহাবুল ইসলাম, সঞ্জয় মৃধা, আনারুল সেখ

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজ্য

'বর্ধমান শহরে ওরা যা তান্ডব করেছে, আমাদের ৫ মিনিট লাগবে ওই তান্ডব বন্ধ করে দিতে' -বিধায়ক খোকন দাস

বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে জনতার কথাকে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, তিনি ২-৩ দিন একটা বিশেষ কারণে বর্ধমানের বাইরে ছিলেন। তিনি এও জানান এক বেসরকারি এনজিও তাঁকে বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে সন্মাননা দেওয়ার জন্য তাঁকে দিল্লী ডেকে ছিল, সেই পুরস্কার নিতেই তিনি শহরের বাইরে ছিলেন।তিনি আরও জানান আমি কাল দিল্লীতে বিভিন্ন চ্যনেলের মাধ্যমে ও দলের কর্মিদের কাছে বুধবারের ঘটনার পুংখানুপুংখ রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি জানান, যেকোনোও পার্টিই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে পারে, কিন্তু বুধবারচোর ধরো জেল ভরো আন্দোলনের নামে যেভাবে তান্ডব চালিয়েছে সিপিএম তাঁর ভাবছে আবার এইভাবে সন্ত্রাস করে সিপিএম আবার বাংলায় ফিরে আসবে। ২০১১ থেকে বারবার নির্বাচনে প্রমানিত বাংলার মানুষ সিপিএম কে পছন্দ করেনা।তিনি আরও জানান কলকাতা থেকে দলনেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের দলীয় কর্মীরা যথেষ্ট সংযত ছিল। কারন আমরা বাংলায় শান্তি চায়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, বর্ধমান শহরে ওরা যা তান্ডব করেছে, আমাদের ৫ মিনিট লাগবে ওই তান্ডব বন্ধ করে দিতে। তিনি আরও জানান,আমাদের কর্মীরা কাল্কেই অদের পার্টি অফিস ভেঙ্গে দিতে চায়ছিলো। আমাদের কলকাতা থেকে বারন করেছে বলে তাই আমাদের কর্মীদের কোনও জায়গায় কোনও কিছু করে নাই। তিনি বাম নেতাদের ও সংযত হওয়ার আবেদন করেন।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজ্য

'আইন অমান্য' কান্ডে ধৃত বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার পক্রিয়া বর্ধমানে

বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় পুলিশ মোট ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলো। বর্ষিয়ান বাম নেতা কমঃ আভাস রায় চৌধুরী কেউও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। প্রথমে তাদের বর্ধমান থানা নিয়ে যাওয়া হয়, পড়ে স্থানাভাবে তাদের বিভিন্ন থানায় ভাগ করে রাখা হয়। বাম কর্মীদের দেওয়ানদিঘি, রায়না, মেমারি,গালসি থানায় রাতে রাখা হয়। তাদেরকে আজ সকাল থেকেই বর্ধমান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ধমান থানা থেকে নাম লিখে নিয়ে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক মেডিকেল চেকআপ করে বর্ধমান আদালতে তোলার পক্রিয়া শুরু হয়েছে।সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হচ্ছে। যাতে ৪৬ জন সি পি এম কর্মী সহজে জামিন না পায়।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজনীতি

বামেদের 'আইন অমান্য' নিয়ে রণক্ষেত্র বর্ধমান, ভাঙল বিশ্ববাংলা লোগো, উত্তেজিত জনতা ছিঁড়ে ফেলল সরকারি প্রকল্পের তালিকা

সিপিআইএমের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচিতে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বর্ধমান শহর। পুলিস ও বাম সমর্থকদের উত্তেজনার টানাপোড়েনে মাঝে পড়ে কিংকর্তব্য-বিমূঢ় শহর বাসী ও শহরে কর্মসুত্রে আসা আসা জনসাধরণ। বিকাল ৩টার পর থেকেই ষ্টেশন থেকে বড় নীলপুর যেন রুপ নেয় রণক্ষেত্রের।এদিন দুটি বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বড়নীলপুর মোড় এবং বর্ধমান স্টেশনে দুটি সভায় দলের নেতারা অংশ নেন। বড়নীলপুরের সভায় বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য ও রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। দুটি মিছিল শহরের দুই প্রান্ত থেকে কার্জনগেটে সমবেত হয়। সেই সভায় এদিন সেলিম বলেন, লুঠ হলে, ধর্ষণ হলে এ রাজ্যের পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৯৫৯ এ হাজার হাজার মানুষ খাদ্যের দাবিতে সমবেত হন। পুলিশ লাঠি পিটিয়ে ৮৪ জন মানুষকে খুন করে। প্রত্যেক বছর এই লড়াইয়ে শহিদদের স্মরণ করি আমরা। জীবন জীবিকার এই লড়াই। একসময় সব কিছু নিষিদ্ধ করে, গুন্ডা পুলিশ নামিয়েও আমাদের দমাতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী কম দুর্নীতিগ্রস্ত নন। মুখ্যমন্ত্রী লিস্ট করে নাম বলে দিয়েছেন। লাল ঝান্ডা শেষ হয়েছে? এমন হিটলার ভেবেছিল। হিটলার মুসোলিনী মুছে গেছে।তিনি বলেন, হক কথা সোচ্চারে বলার দাবিতে, চোরদের ধরার দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সব জেলাতেই। যতই বিশ্ববাংলার ঢাক পেটান, ওই ঢাক ফেটে গেছে। কেন বেকাররা কাজ পাবেনা? কেন মজুরেরা সঠিক মজুরি পাবেন না? লাল হটেছে কিন্তু রাজ্য বাঁচেনি। আজ রাজ্যকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা আবার রাস্তায় নেমেছে।মহঃ সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, চোর ধরো জেলে ভরো এটা কি ছাত্র যুবদের কাজ? এটা কি পুলিশের কাজ নয়? পুলিশ এখানে চোরেদের মাল পাহারা দেয়। এ লড়াই পুলিশকে জাগিয়ে তোলার। আনিস খুন হলেও আমরা বিচার চাই পুলিশ খুন হলেও বিচার চাই। বিজেপির চোর আলাদা কিছু নয়। দুই চোরের বিচার চাই। সেলিম এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর স্টেশন ও নীলপুর থেকে দুটি মিছিল শুরু হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আসে। দুপুর থেকেই বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল গোটা এলাকায়।মিছিল পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বাম সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন, প্রথম গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে কিছুটা এগোতেই জল কামান চালানো হয়, ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা আবার একজোট হয়ে আবার ফিরে আসতেই পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়েন। এরপর উত্তেজিত জনতা ইট পাথর ছুড়তে থাকেন পুলিসকে লক্ষ করে। পুলিসও লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাস্তায় নামেন। শুরু হয়ে পুলিস-জনতা খন্ডযুদ্ধ।অবশেষে র্যাফ নেমে রুট মার্চ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিক্ষোভকারিদের। বেশ কিছু বাম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। দুপক্ষের এই খণ্ডযুদ্ধে পুলিস ও বাম সমর্থকের অনেকেই আহত হয়েছে। কিছুদিন আগে কর্জনগেট এলাকা সৌন্দার্য্যায়নের জন্য একটি বিশ্ব বাংলার লোগো বসানো হয়। বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের তালিকা টাঙ্গানো হয় টেলিফোন অফিসের দেওয়ালের গায়ে। সেই সবই এখন ধংস্তুপে পরিণত। এমনকি কর্জনগেটের অনতিদুরে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিধায়ক পরিসেবা কেন্দ্রেও ভাংচুড় করার অভিযোগ করেন বিধায়ক ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ।

আগস্ট ৩১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের মেমারিতে বামেদের 'চোর ধরো জেল ভরো' দাবীতে মিছিল

মেমারী দুনম্বর ব্লক এরিয়া কমিটির অন্তর্গত কালেশ্বর শাখার মেলনা স্কুল থেকে শুরু করে রেঁঞা গ্রামহয়ে ভান্ডুল পর্যন্ত চোর ধরো জেল ভরো, জিনিসপত্রের দাম, GST কমানো সহ আগামী ৩১ আগষ্ট বর্ধমানে আইন অমান্য কর্মসূচি ও আগামী ৩ (3)রা সেপ্টেম্বর সাতগেছিয়া বাজারে কমরেড দেবলীনা হেমব্রম এর জনসভার সমর্থনে মিছিল ও পথসভা সংগঠিত হয় সি.পি.আই(এম) এর পক্ষ থেকে।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কমরেড শান্তি ব্যানার্জ্জী, শাখা সম্পাদক কমরেড সুব্রত মিত্র, পার্টি নেতা কমরেড বিপিন রায় চৌধুরী, ব্লকে ছাত্রনেতা দেব জিৎ ব্যানার্জি সহ আরো অনেকে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজনীতি

'অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী'- মীনাক্ষী

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাবে বলে শাষকদলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি। সোমবার বর্ধমানে একটি মিছিল হয় ডিওয়াইএফআইয়ের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্বরে শেষ হয়ে জমায়েত হয়। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, এখন আর কোনও পোস্টারে সততার প্রতিক লেখা নেই। কারণ তৃণমূল নেতারা একে একে জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন। তাদের একাউন্টেও বহু টাকার হদিস পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।তিনি বলেন, এখন রাজ্যে চাকরি পেতে মেধা লাগেনা, যোগ্যতা লাগেনা, অর্পিতা লাগে- পার্থ লাগে। অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইদ্যুতে এইভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।সোমবার বিকালে স্বাধীনতা বাঁচাও, কাজের অধিকার দাও এই দাবীতে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। কার্জনগেট পর্যন্ত এই মিছিলের সামনে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বপ্ন দেখলাম আর রাজারাণীর মুর্তি এনে কার্জনগেটে বসিয়ে দিলাম, এইভাবে স্বাধীনতা আসেনি। সেই স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের অধিকার আজ নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ভূমিকা নেই। হিন্দু মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টানরা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছে।মীনাক্ষী বলেন, আমরা অনুব্রত নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ, গরু চোর নিয়ে আমরা কেন কিছু বলবো? শুধু এটা বলবো, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রতরা তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ, চিন্তা ভাবনাকে নষ্ট করেছে। তাঁকে বোঝানো হয়েছে চাকরি পেতে গেলে দিদি ও টাকা লাগে-পার্থ-ও লাগে আর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা লাগে। এরাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে যে স্কুলে চাকরি করত, সেই স্কুলের পরিচালনা সমিতি, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষা, রেল, ডাক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু মেধা বঞ্চিত হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলা দিয়ে বামপন্থীদের গ্রেফতার করে রেখেছে। কিন্তু ২১৮ দিন হয়ে গেলেও আনিশ খানের খুনিরা সাজা পায়না। তাই আমরা ২১৮টা সভা করব। চোরদের জেলে ভরার সভা। চোরদের বিরুদ্ধে এক কোটি সই সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচীতে কোনও বাধা মানা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে কাজ করা পুলিশদেরও সতর্ক করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দূরশিক্ষা তুলে দেওয়া। কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানান মীনাক্ষী।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

শিল্পাঞ্চলে সিপিএমের কিষাণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের

স্বাধীনতা দিবসে এ এক অনন্য নজির! সিপিএম পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক।পান্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের কিষাণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই সিপিএম কর্মী সমর্থকরা বিধায়কের গাড়ি দাঁড় করান। এবং বিধায়ককে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে। রাজ্য রাজনীতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণে যথেষ্ট উত্তাপ রয়েছে। এমতাবস্থায় এহেন কার্যক্রম যথেষ্ট চর্চার বিষয় শিল্পাঞ্চলে। এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, আজকের এই শুভ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কোনও ব্যাপারে রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়। আমি যেহেতু এই অঞ্চলের বিধায়ক তাই তাঁরা অনুরোধ করেন এবং সেই মোতাবেক আমি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। কিন্তু মাননীয় বিধায়ক কিছুটা হলেও রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বলেন, সিপিআইএম সরকার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৎকালীন জ্যোতি বসুর সরকার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চুলের মুঠি ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার করে দিয়েছিলেন।কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করলে সেই কারাগারের নম্বরে সিপিএম নেতৃত্ব তথা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কিন্তু সহ সিপিএম নেতৃত্বকে ফিসফ্রাই খাইয়েছিলেন। অন্যদিকে আজমপুর সিপিআইএমের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান কাঞ্চন মুখার্জি বলেন, মাননীয় বিধায়ক আমাদের ঘরের মানুষ। এ বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়।তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমরা সকলে একত্রিত।

আগস্ট ১৫, ২০২২
রাজ্য

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ 'বঙ্গবিভূষণ' নিতে পারছেন না, কারণ নিয়ে তর্জা তুঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে খবর, তিনি সারা কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, এবার, নতুন কাউকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন। বর্তমানে অমর্ত্য সেন বিদেশে আছেন। সোমবার রাজ্য সরকারের এই সম্মান জ্ঞাপণ অনুষ্ঠানে তিনি কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন না। সূত্রের খবর, তাঁর মতামত জেনেই পুরস্কারপ্রাপকের চূড়ান্ত তালিকায় অমর্ত্য সেনের নাম রাখা হয়নি। নোবেলজয়ীর পরিবার সূত্রে খবর অমর্ত্য সেন কলকাতায় ফিরছেন না, তাই পুরস্কার নিতে পারছেন না।প্রসঙ্গত, অমর্ত্যের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার নিতে না করার খবর প্রকাশ্যে আসার সময়েই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে নিয়ে তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে। ফলে বিরোধী শিবিরের একাংশ (প্রধানত সিপিএম) বলতে শুরু করে যে পার্থর ঘটনার প্রতিবাদেই অমর্ত্য সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নিয়ে কলকাতা শহরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে উপস্থিত হন, এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রীর পার্থ-র ইডি কর্তৃক গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দশ্য করে এই পুরস্কার না নেওয়ার আবেদন জানান। সুজনের দাবী, তাঁদের আবেদন মেনেই এই পুরস্কার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমর্ত্য। সিপিএম ও একাংশের দাবি, সেই ডাকে সাড়া দিয়েই সম্মান নিতে রাজি হননি অমর্ত্য। যদিও সূত্রের খবর, অমর্ত্য তার আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।সোমবার, রাজ্য সরকারের দুই নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জীকে বঙ্গ বিভূষণ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর কথা ছিল। একটি সূত্রের খবর, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। তাই তিনিও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রদান করবেন। ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলার তিন প্রধান খ্যাত মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হবে। এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেও একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাঁর সার্বিক সাফল্যের জন্য সম্মান দেওয়া হবে।

জুলাই ২৫, ২০২২
রাজ্য

সেলিমের পুলিশ না রেখে কুকুর পোষার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

গতকাল, শনিবার পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রাক্তন সাংসদের মন্তব্যে তোলপাড় পুলিশ থেকে রাজনৈতিক মহল। তবে নিজের বক্তব্য থেকে একটুও সরে আসেননি সেলিম। বরং সিপিএম নেতার বক্তব্য, পুলিশের বদলে কুকুর পোষার কথা বলে অপমান করেছেন কুকুরকে। তৃণমূল কংগ্রেস কড়া সমালোচনা করেছে মহম্মদ সেলিমের। পুলিশ মহলের বক্তব্য, সমালোচনা করতেই পারেন তবে এভাবে কুকুরের সঙ্গে তুলনা না করলেই পারতেন।দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরে জনসভায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, পুলিশকে কেন মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশকে না রেখে কয়েকটা কুকুর পুষলে ভাল হত। পুলিশের কুকুর থাকে না ট্রেনিং দেওয়া, তাঁরা শুঁকে শুঁকে বলে দিতে পারবে কোন দিকে অপরাধী গিয়েছে। কয়েকটা এসপির বদলে বিদেশি কুকুর রেখে দিলে খুনের কীনারা হয়ে যাবে। সেলিমের এই মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এমন মন্তব্য করে অত্যন্ত নিম্মরুচির পরিচয় দিয়েছেন সেলিম। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারাও এই বিষয়ে তাঁকে সমর্থন করবেন না। নেতাজিকে এরাই তোজোর কুকুর বলেছিল। সিপিএমের আমলে পুলিশ দলদাস ছিল। লালবাজারের নাকের ডগায় বড়বাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বোমা বিষ্ফোরণে ১০০জন মারা গিয়েছিল। রশিদ গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু তার পিছনে যে সিপিএম নেতারা ছিল তাঁরা দলের শাস্তির কোপে পড়লেও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। এখন পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছে।এদিকে সেলিমের বক্তব্য নিয়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ দুর্নীতিযুক্ত নয় তা বলছি না তবে এমন তুলনা না করলেই পারতেন। কিছু সৎ পুলিশ কর্মী-আধিকারিক এখনও আছেন। সিপিএমের আমলেও পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছিল। লোকাল কমিটির সম্পাদকের সম্মতি ছাড়া পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারত না। তবে এখন সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে পুলিশ। সব রাজনৈতিক দলই এর জন্য দায়ী।

মে ০৮, ২০২২
রাজ্য

বিজেপি জন্মানোর আগে থেকে সিপিএম আছে, পরে তৃণমূল জন্মেছে', সেলিমের জবাব

রাজনীতিতে এ-টিম, বি-টিম-এর কটাক্ষ চিরকাল হয়ে এসেছে। বিরোধীরা তৃণমূলকে বিজেপির বি-টিম বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে বিজেপির বি-টিম বলে দাবি করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, বি-টিম ব্যাপারটা উনি ভাল বোঝেন। বিজেপি জন্মানোর আগে থেকে সিপিএম আছে। বিজেপি জন্মানোর পরে তৃণমূল জন্মেছে। ১৯৮০ সালে বিজেপি জন্মেছে। তার ২০ বছর পরে তৃণমূল জন্মেছে। এখন তিনি বলছেন কে কার বাবা, কে কার ব্যাটা।এদিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দিকে নিশানা করেছেন অমিত শাহ। সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক বলেন, গরুপাচার কাণ্ডে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পুলিশ ও বিএসএফের নেক্সাস রয়েছে। গুজরাতে বসে, দিল্লিতে বসে পাচার প্রক্রিয়া চলে। আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবারের নাম জড়িয়েছে। গরুপাচারের জন্য দরজা খোলা হয়। কোটা রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের। অথচ সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা উঁচু গাছ চাষ করতে পারে না। সীমান্তের বাসিন্দাদের জীবনযন্ত্রনা রয়েছে। নানা বিধিনিষেধ আছে।সম্প্রতি রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একজন খুনের পর ৮জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও ২ জন মারা যায়। এরপর উত্তরপ্রদেশে একই পরিবারের ৫ জনকে গলার নালি কেটে খুন করা হয়। বগটুইতে বিজেপির প্রতিনিধি দল ও উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যায়। এরাজ্যে কিছু ঘটনা ঘটলেই উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে কেন তুলনা টানা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে কেন তুলনা হবে? আগে কোনও দিন হয়েছে কি? হাতরাস রয়েছে বলে হাঁসখালি হতে হবে? এসএসসির নিয়োগ ঘোষণা নিয়ে সেলিমের মত, তিনি চপ থেকে চাপে এসেছেন। দীর্ঘদিন লড়াই করেছে চাকরি পরীক্ষার্থীরা। রাস্তার ধারে পড়ে থেকে লাঠি খেয়েছে। শুধু এসএসসি নয় মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। আজ ঘোষণা করছেন। অথচ লক্ষ লক্ষ পদ খালি রয়েছে। কোনও স্কুলে একজন শিক্ষক। তিনিই রান্না করেন। তিনিই পড়ান। ২০১৬ সালে যে পদের ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেন তাঁরা গেলেন কোথায়। শিক্ষা দফতরের দুর্নীতিতে দুই মন্ত্রীই যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন সেলিম। সিবিআই তদন্ত নিয়ে সেলিম বলেন, দিল্লি সিবিআইয়ের নির্দেশ না পেলে এগোবে না।

মে ০৫, ২০২২
রাজ্য

সিপিএম 'ছাড়ছেন' অনিল কন্যা অজন্তা, তৃণমূলে যোগ জল্পনা তুঙ্গে

সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস কী সিপিএম ছাড়লেন? তিনি দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ নবীকরণ না করায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। এর আগে তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রবন্ধ লিখে শিরোনামে এসছিলেন অজন্তা।রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস জাগো বাংলায় ওই প্রবন্ধ লেখার দরুন তাঁকে সিপিএম সাসপেন্ড করেছিল। তাঁর শাস্তির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। কিন্তু তিনি তাঁর সদস্যপদ নবীকরণ করেননি। সেক্ষেত্রে এখন আর তিনি সিপিএমের সদস্য রইলেন না। কলকাতা জেলা কমিটি বা অজন্তা নিজে এখনও এবিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। সেক্ষেত্রে তাঁর দল ছাড়়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অসম্ভব বলেই মানতেন ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তাঁর জমানায় সিপিএস নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট রাজ্যে সর্বোচ্চ বিধানসভার আসন পেয়েছিল। একসময় দলীয় মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অনিল বিশ্বাস। তাঁর কন্যার দল ছাড়ার জল্পনায় সিপিএমে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তাহলে কী অজন্তা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন?

এপ্রিল ২৬, ২০২২
রাজ্য

বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ধুন্ধুমার কান্ড বর্ধমান শহরে

পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ একাধিক দাবীতে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলার বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, সৈয়দ হোসেন,তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা বামপন্থী নেতৃত্বরা। অমল হালদার জানান, আমরা একটার পর এক ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন করলাম, কিন্তু আইন অমান্য যে করছি! আমাদের দেশে কি আদও আইন বলে কিছু আছে? আনিশ খান মারা গেলো, বর্ধমানে তুহিনা বলে এক ছাত্রী মারা গেলো। আরও অবাক ব্যাপার সেই ছাত্রীর আত্ম্যহত্যায় প্রোরচনা দেওয়া আসামী এসডিও-র কাছে শপথ বাক্য পড়ে এলেন। তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গণহত্যায় প্রায় ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-র হত্যার বদলি ১০ টি তাজা প্রান চলে গেলো। তিনি জানান আজকের এই আইন অমান্য ২৮ ও ২৯ তারিখের ধর্মঘট কে সফল করার জন্য। ১২ দফা দাবী নিয়ে এই ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি বামজোট এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে দেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে এগিয়ে এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।অমল হালদার আক্ষেপের সুরে বলেন সারা দেশে একের পর এক রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বন্ধ হচ্ছে। হু হু করে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বেসরকারিকরন ও বিলগ্নিকরন হচ্ছে। মানুষ তাঁর ফসলের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। ক্ষেত মজুরদের কাজ বন্ধ সহ একাধিক দাবী তোলেন এই আইন অমান্য আন্দোলন থেকে।রামপুরহাট কান্ড নিয়ে বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত-র মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা আমল হালদার জানান, অনুব্রত যা বলেছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, কারন একটা বাড়িতে টিভি ফেটে আগুন লাগতে পারে, পর পর ১০-১২ টা বাড়িতে একসাথে টিভি ফেটে আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু! তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোনও আইন নেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তছনছ হয়ে গেছে।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

এ এক ভিন্ন ছবি, বুথ চত্ত্বরে ভোট উৎসবে মাতলেন শাসক-বিরোধী দলের তিন প্রার্থী

পুর ভোটে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রবিবার সারাটি দিন সোচ্চার থাকে বিরোধীরা। কিন্তু তারাই মধ্যে এদিন সম্পূর্ন উল্টোচিত্র দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানকার কালনা হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথ চত্ত্বরের বেঞ্চে এক সঙ্গে বসে হাসি ঠাট্টা করে খোশ মেজাজেই দিনটা কাটালেন তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীরা। যা দেখে শাসক ও বিরোধী সব দলের ভোটাররা ভিমড়ি খেয়ে যাবার মতন অবস্থা। কিন্তু তিন তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ, সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা বাগ ও বিজেপি প্রার্থী মামনি ঘোষ সেইসবকে কোন গুরুত্বই দিলেন না।বরং এক সুরেই তিন প্রার্থী জানিয়ে দিলেন, কোথায় কি হচ্ছে জানি না। তবে তাঁদের এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে যাকে খুশি জেতাবেন। সেটাই তাঁরা মাথা পেতে নেবেন।পুরভোটে কালনা পুরসভার একাধিক বুথে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থী ও এজেন্টরা । কিন্তু তারই মধ্যে ব্যতিক্রম থাকে কালনা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথে বসে আড্ডার মাঝেই তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থীরা ভোটারদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি দেখলেন। একই সঙ্গে ভোটসংক্রান্ত নিজেদের নানা কাজ ও যাঁকে ফোন করার তাও করলেন। পাশাপাশি ওয়ার্ডে যখন শাসক-বিরোধীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হাতাহাতি মারামারির উপক্রম তখন তৃণমূলের তনুশ্রী,সিপিএমের শর্মিষ্ঠা ও বিজেপির মামনি এক বঞ্চে একসঙ্গে বসে টিফিন সেরে চা খেয়ে রীতিমতো জমাটি আড্ডাও দিলেন। এনারই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ভোট আসলে গণতন্ত্রের উৎসব।তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ বলেন, ভোট উৎসবে খুব ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। আমরা তিন প্রার্থী একসঙ্গে ভোট উৎসব এনজয় করছি। বিজেপির প্রার্থী মামনি ঘোষ দাস বলেন, সকাল থেকে চা,টিফিন সবই আমরা একসঙ্গে খেয়েছি। কোন বিরোধ নয়। নিজেদের মতন করেই আমরা একসঙ্গে ভোট করছি। কোন অসুবিধা হয়নি। সিপিএমের প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা বলেন, মানুষ যাকে ভালোবাসবে তাঁকেই বেছে নেবে। আমারা সেটাই চেয়েছি। ভোটাররা যে রায় দেবেন সেটা আমরা মাথা পেতে মেনে নেব। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়াটাই হওয়াটাই বড় কথা।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও লুঠের পুরভোটের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা

পুর ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে দলীয় মুখপত্রে বার্তা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বাস্তবে রবিবার পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় ঠিক তার উল্টোটাই ঘটলো। বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, বিরোধী দলের এজেন্টের উপরে হামলা সবেতেই অভিযোগের আঙুল উঠলো শাসক দলের দিকে। এমন পুর ভোট দেখে তিতি-বিরক্ত ভোটাররাও। রাজ্যের যে ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন এদিন ভোট হয় তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরা পুরসভাও ছিল। এদিন ভোট শুরুর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই গোলযোগ অশান্তি শুরু হয়ে যায় গুসকরা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। গুসকরার শান্তিপুর পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বুধে ব্যাপক গণ্ডগোল বেঁধে যায়। বহিরাগতরা বুধে ঢুকে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয় সিপিএমের প্রার্থী ও এজেন্টরা। একই অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হন এলাকার ভোটাররাও। পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্কৃয়তার অভিযোগ তুলে তাঁরা সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয়ে যায় পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া। ইটের আঘাতে চোট পান গুসকরা ফাঁড়ির আই সি অরুণ সোম সহ ৪ পুলিশ কর্মী। এর পরেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। এমন গোলযোগ অশান্তির জন্য প্রায় আধ ঘন্টা ভোট গ্রহন থমকে থাকে সংশ্লিষ্ট বুথে। গুসকরা পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দি সিপিএম, বিজেপি উভয় বিরোধী দলের প্রার্থী ও এজেন্ট দের অভিযোগ, বেলা বাড়তেই গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের সব বুথেরই দখল নিয়ে নেয় শাসক দলের বহিরাগত দুস্কৃতিরা। ওই দুস্কৃতিরা বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের বুথ থেকে বাইরে বের করে দিয়ে অবাধে ছাপ্পা দিয়ে গেছে। এমনই অভিযোগ এদিন করেছেন জেলা সিপিএম নেতা আলমগীর মণ্ডল ও গুসকরার বিজেপি নেতা পতিতপাবন হালদার।পৌরসভা নির্বাচনএকই ভাবে এদিন কালনা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডেও গোলযোগ অশান্তির ঘটনা ঘটে। কালনা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বিকা মহিষমর্দিনী প্রাথমিক স্কুলের বুথের দরজা বন্ধ করে পুলিসের সামনেই তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেবার অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে ছাপ্পা ভোট দেবার ছবি। তা বুঝতে পেরেই মুখ ঢেকে বুথ থেকে ছুটে পালায় ওই ভুয়ো ভোটার। ছাপ্পা চলাকালীন ওই বুথে ভোট দিতে গিয়ে নিগৃহীত হয়ে এক ছাত্র বুথ চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী কারফা। কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভদেব হাজরা অভিযোগ করেছেন, কালনার শশীবালা স্কুলের বুথ ভোট শুরুর আগেই তৃণমূল কর্মীরা মারধোর করে তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেয় যদিও তৃণমূল প্রার্থী সুনীল চৌধুরী এই অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। কালনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধীক বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএম প্রার্থী পিয়ালী মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতা কর্মীরা। পিয়ালীদেবী বলেন, ভোটের একদিন আগেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা তাঁকে ব্যাপক মারধোর করে, মাথা ফাটিয়ে দেয়। আর এদিন ভোট শুরুর প্রথম থেকেই তৃণমূলের দুস্কৃতিরা বুথে বুথে ঢুকে ভোট লুঠ শুরু করে দেয়। বাইক বাহিনী হঠাৎ কালনার মহিষমর্দিনী গার্লস স্কুলের বুথে ঢুকে ইভিএম ভেঙে দেয় বলে সিপিএমের অভিযোগ। বাইক বাহিনী সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীদের মারধোরও করেছে বলে অভিযোগ। এইসবের জন্য ওই বুথে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ভোট লুঠের জন্য পুলিশকে দায়ী করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীরা। তাঁরা কালনার নিভূজি মোড়ে সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেয়। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ জোর-পূর্বক অবরোধ তুলে দেয়। মেমারি পুরসভার ভোটে তেমন কোন বড়সড় গোলযোগ আশান্তির অভিযোগ বিরোধীরা তোলেন না। তবে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে মেমারির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুরের ২১০ ও ২১২ নম্বর বুথে। বহিরাগতরা বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিতে গেলে বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটাররা একজোট হয়ে তা রুখে দেয়। তা নিয়ে স্কুল চত্ত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পৌরসভা নির্বাচনবর্ধমান পৌরসভার ভোটেও নির্বাচনের নামে ব্যাপক ভোটলুঠ ও বুথে বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছে। পুর-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকালে বর্ধমান সদর মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রার্থীরা প্লাকার্ড হাতে সেখান মাটিতে বসে পড়েন। তার আগে পুলিশের সাথেও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বচসাও হয়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। একই ভাবে ভোটগ্রহণের শেষে বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সন্ধ্যায় কার্জন গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় বাম, বাম ছাত্র-যুব ও অন্যান্য গণসংগঠনের প্রতিনিধরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুরভোটে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ভোট লুঠ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কুশপুতুল পোড়ায়। বিক্ষোভের শেষে দলের নেতা অমল হালদার বলেন, জেলার ৬ টি পুরসভার ভোটেই নিরব সন্ত্রাস ও ভোট লুঠ চলেছে। গোটা রাজ্যেই ভোটলুঠ হয়ে হয়েছে। মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তারা পথে নেমেছেন। এই কর্মসূচি চলাকালীন কিছু উচ্ছৃঙ্খল বাম সমর্থক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে অবশ্য উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,যেমন সিপিএম তেমনই বিজেপি। সংগঠন নেই জনসমর্থনও নেই। শুধু অভিযোগ তুলেই বিরোধীরা পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার কৌশল নিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
কলকাতা

নির্বাচনের আগের দিন ভাটপাড়ায় সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত ভোটগ্রহণ

আগামিকাল ১০৮ টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। তার জন্য প্রস্তুতিও ছিল তুঙ্গে। নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন শাসক শিবির, বিরোধী শিবির। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে হয়েছে প্রচারাভিযান। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘটল ছন্দপতন। ভোটের আগের দিন ভাটপাড়ায় শোকের ছায়া। আজ সকালে মারা গেলেন ভাটপাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বাবলি দে। সেই কারণে বন্ধ থাকবে ভাটপাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ। আপাতত কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে না এই ওয়ার্ডে।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তিন নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বাবলি দের। জানা গিয়েছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরবেলা তিনি নিজের ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচার চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা যায় সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ এই দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তারপর আজ ভোররাতে সেই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর মৃত্যুর কারণ আপাতত বন্ধ থাকবে ভাটপাড়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

আনিসের মৃত্যু দায় চাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম

পুর ভোটের প্রচারে বর্ধমানে এসে আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন,দোষীদের আড়াল করতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী। বর্ধমান শহরের কালিবাজারে এক নির্বাচনী জনসভা হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ।সেখানেই বর্ধমান পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দি দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বক্তব্য রাখেন ।সভায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে উঠেই মহম্মদ সেলিম রাজ্যে তোলপাড় ফেলা ইস্যু আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে সরব হন । তিনি বলেন, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বললেন পুলিশ যায়নি। তারপর বললেন পুলিশ গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে নীচুতলার কয়েকজন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হল। নিচুতলার পুলিশকে কেন সাসপেন্ড করা হল? তার উপরে তো হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার আছে।সেলিমের আরও অভিযোগ, ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলে দিলেন, পুলিশ যায়নি। কারণ যে কোন বড় ঘটনাকে খেলো করে দেখা ওনার স্বভাব। যখন বড় ঘটনা হয় তখন নীচুতলায় কোপ পড়ে। এই আনিসের ঘটনায় এস পি বা পুলিশ মন্ত্রী কি দায় এড়াতে পারেন?। তার প্রশ্ন, আনিসের বাবা আমতা থানায় ফোন করার ছয় ঘন্টা পর পুলিশ আসে। আজ পড়ুয়ারা কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ করছিল। সেখানে শয়ে শয়ে পুলিশ চলে এলো? কেন কি হচ্ছে? শাসকদল বলছে, এই মৃত্যু নিয়ে বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে, সেলিমের প্রশ্ন, জল ঘোলা করল কারা?

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানের ভোট লুট নিয়ে পুলিশকে কড়া হুঁশিয়ারি সিপিএমের যুব নেত্রীর

রাজ্যে ইতিমধ্যেই যে কটি পুরসভার নির্বাচন হয়েছে তার সবকটাতে তৃণমূলেরই জয় জয়কার। আর তৃণমূলের এই জয়কে ভোট লুটের জয় বলে দাবি করে সোচ্চার হয়েছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী হবে বর্ধমানসহ পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬ টি পুরসভার ভোট।তার প্রক্কালে মঙ্গলবার ভোট লুট নিয়ে বর্ধমানের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু সিপিএমের যুব নেত্রীর এই হুঁশিয়ারিকে পরাজয়ের আগে মান বাঁচানোর কৌশল বলে কটাক্ষ করেছেন।বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের আসনে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন মীণাক্ষী মুখার্জী। ভোটে পরাজিত হলেও সেই থেকে বাংলার রাজনীতিতে মীণাক্ষী এখন পরিচিত মুখ। বর্ধমানের পুরভোটে সেই মীণাক্ষীকে লড়াইয়ের মুখ হিসাবে সামনের সারিতে রেখেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন বিকালে বর্ধমানের মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে যুব নেত্রী মীনাক্ষী বলেন, বিগত যে কটি পুরভোট হয়েছে সেই ভোটকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি। তাই বর্ধমান পৌরসভার ভোটে ভোট লুট আটকানোর জন্য তিনি তাঁর দলের কর্মী ও বাড়ির মা-বোনেদের তৈরি হওয়ার কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের দিন বহিরাগতরা ভোট লুট করতে এলে যে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে সেই সব পুলিশ ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই অফিসেই থাকবে। বাইরে বের হতে দেবেন না। কারণ ওদের কাজ ওরা রাস্তায় করতে পারবে না। তাই ওদের অফিসেই রেখে দিন। দলের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মীনাক্ষী আরও বলেন, এলাকার তৃণমূলের গুণ্ডা দুস্কৃতিরা যারা ভোট লুট করতে আসবে তাদের দাপটের সঙ্গে বলুন, এক মাঘে শীত যায় না। আজ ভোট লুট করতে এসেছ। কালকে এই পাড়া দিয়েই হেঁটে যেতে হবে। তখন পা নিয়ে হাঁটতে পারবে না।রাজ্যে পুর নির্বাচনকে প্রহসন করে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এদিন প্রতিবাদে সামিল হয় বর্ধমানের সিপিআইএম নেতা ও কর্মীরা। তারা দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জীর নেতৃত্বে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে বিকালে বর্ধমানের মহকুমাশাসকের দপ্তরে সামনে হাজির হয়। সেখানে হওয়া সমাবেশেও বক্তব্য রাখেন মীণাক্ষী। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী দাবি করেন, রাজ্যের চার কর্পোরেশনের ভোটে ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। মৃত মানুষও ভোট দিয়েছেন। ভোটের দিন পিস্তল; মেশিন নিয়ে গুণ্ডারা দাপিয়ে বেড়িয়েছে।এর নামই কি ভোট? বর্ধমানে পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, বর্ধমানে পুর পরিষেবা তলানিতে পৌছেছে। সময়ে এই পুরসভার ভোট যেমন হয়নি, তেমনই হয়নি কর্মী নিয়োগও। মীণাক্ষী মুখার্জী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান পৌরসভার ভোট শান্তিতে করাবার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি রাখেন।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

শিক্ষাগুরু বাম প্রার্থীর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বর্ধমানে পুরভোটের ময়দান চোষে বেড়াচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী

রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধ রয়েছে ঠিকই। তাবলে পুরভোটের যুদ্ধে নেমে শিক্ষাগুরু ও তাঁর ছাত্রের কেউই পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ককে জলাঞ্জলি দিতে চান না। আর সেই কারণেই এবার বর্ধমান পৌরসভার ভোটে সবার নজর কেড়েছে গুরু শিষ্যের লড়াই।যে লড়াইয়ের শেষ ফল দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।রাজ্যের যে কটি পৌরসভার নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে তার সবকটাতেই তৃণমূলেরই জয়জয়কার। এমন ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে বর্ধমান পৌরসভা ৩৫ টি ওয়ার্ডের নির্বাচন। তার মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নুরুল আলম ওরফে সাহেব। আর তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দি সিপিআইএম প্রার্থী লুৎফর রহমান মুন্সী। যুজুধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর বাড়ি একই ওয়ার্ডে। সেই ওয়ার্ডেরই দুবরাজদিঘী এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান মল্লিক দুবরাজদিঘী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক।আর সেই বিদ্যালয়েই পড়াশুনা করে বড় হয়ে ওঠা ছাত্র নুরুল আলম আজ তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। একজন বয়সে প্রবীন হলেও আপাদমস্তক কমিউনিষ্ট। অপর জন তৃণমূলের তরুণ তুর্কী নেতা।সে যাইহোক ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে দুজনের কেউ এই বিষয়টিকেই বেশী গুরুত্ব দিতে চান না। বরং দুজনেই চান ভোট যুদ্ধের ময়দানেও অটুট থাকুক গুরু ও শিষ্যের পারস্পরিক স্নেহ ও শ্রদ্ধার বন্ধন। তাই প্রতিদিন ভেটের প্রাচার নেমেই সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে শিষ্য নুরুল পৌছে গেলেন শিক্ষা গুরু লুৎফর রহমান মুন্সীর বাড়িতে। শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে গুরুর কাছেও ভোট ভিক্ষা চাইলেন ছাত্র। পাল্টা শিক্ষা গুরুও তাঁর শিষ্যকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানালেন। একই সঙ্গে শিক্ষক লৎফর রহমান সবাইকে শুনিয়ে বললেন ,আজকের দিনে রাজনীতিতে আমার ছাত্র নুরুলের মত যুবশক্তির উঠে আসা প্রয়োজন রয়েছে। ভোটের দিন লুৎফর রহমান মুন্সী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ হয়তো নুরুল আলমকে ভোট দেবেন না। তবুও রাজনৈতিক সৌজন্যতার এই দৃশ্য চাক্ষুষ করে কার্যতই অবিভূত দুবরাজদিঘীর বাসিন্দারা। শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সোমবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অলি গলি ঘুরে নুরুল সারলেন ভোটের প্রচার।নুরুল আলম এদিন বলেন, আমার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময়েই দলের সবাইকে রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রেখে চলার বার্তা দেন। নিজেকে বিনয়ী রেখে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হবার কথা বলেন। সেই আদর্শেই আমি দীক্ষিত।শিক্ষা গুরু আমার প্রতিদ্বন্দি হলেও তিনি আমার গুরুই। তাই ভোট যুদ্ধে শিক্ষা গুরুর আশীর্বাদ মাথায় থাকাটাও বড় প্রাপ্তি। বাকিটা বিচার করবেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনতা জনার্দন। অন্যদিকে সিপিআইএম প্রার্থী লুৎফর রহমান মুন্সী বলেন, আমার ছাত্র নুরুল আলমের সৌজন্যতা বোধ আমায় মুগ্ধ করেছে। ওর ভবিষ্যৎ জীবন ভালো হোক এই শুভ কামনাই করছি। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, বর্ধমান পুরসভায় লড়াইটা মূলতই তাঁদের সঙ্গে সিপিএমেরই। তবে তিনি আশাবাদী বর্ধমান পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভে কোনও প্রভাব পড়বে না, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীর

পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থিদের নামের তালিকা তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যায় ক্ষোভ বিক্ষোভ। যার ব্যতিক্রম পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ঘটেনি। যদিও এইসব ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই দেখছেন না তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তাঁর মতে এইসব ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কিছু লাভ হবে না।শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ধারান বুড়োপীর প্রগতি সংঘের সরস্বতী পূজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শতাব্দী রায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, পৌরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব শুক্রবার দলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে। তারপর থেকে যাঁরা ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁদের উদ্দেশ্য করে শতাব্দী রায় বলেন, অনেকে ভেবে রাখে তাঁর প্রাথী হবেন। কিন্তু তাঁদের ভাবনা যখন মেলে না তখন একটা অভিযোগ তৈরি হয়। তাঁরাএখন কিভাবে অভিযোগটা প্রকাশ করবে সেটা তাঁদের উপর নির্ভর করছে। যদি দলের প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে দলের ঘোষিত প্রার্থীকে মেনে নিয়েই তাঁদের কাজ করাটা উচিত।টিকিট পাওয়ার আশা তো সবারই থাকে। কিন্তু টিকিটতো সবাই পায় না। কিন্তু এখন কেউ টিকিট না পেলেই এই সমস্যাটা দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, এই বিক্ষোভ দলের উপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না।কারণ তৃণমূল কংগ্রেস দলে এখন বহু মানুষের সমর্থন রয়েছে। বহু ভালো মানুষের সমর্থনও রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি। তাই আমি মনে করি এইসব ক্ষোভবিক্ষোভে আগেও কোনও প্রভাব পড়েনি। আর এখনো কোনো প্রভাব পড়বে না।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল- বিজেপিকে টেক্কা, পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পৌরসভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বামেদের, তৃণমূল বিধায়কের প্রার্থী তালিকা ফাঁস মেমারিতে

রাজ্য রাজনীতিতে ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোটক্ষয় হয়ে চলেছিল বামেদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেইভোটক্ষয়ে কিছুটা লাগাম পরাতে সক্ষম হয় বামেরা। আসন সংখ্যার নিরিখে না হলেও ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হারের বিচারে তিলোত্তমা কলকাতায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। আর কলকাতা পুরভোটে অক্সিজেন পেয়েই এবার একদা বাম দুর্গ পূর্ব বর্ধমানের ছয়টি পৌরসভার নির্ফাচনেও জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া সিএপিএম। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে। এর ঠিক পরেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোট প্রচারে নেমে পড়েন সিপিএম নেতা কর্মী ও প্রার্থীরা। শাসক নেতৃত্ব বামেদের প্রার্থি ঘোষণার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিধায়কের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা নিয়ে মেমারির তৃণমূল শিবিরে এখন ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। বাম আমলে বলিষ্ঠ সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল মেমারি। সেই মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকেই এদিন মেমারি পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এদিন প্রর্যন্ত তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি ।প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেই নিবাসী সিপিআইএম জেলা নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এদিন থেকেই তাঁরা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। যেমন কথা তেমনই কাজ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই বাম নেতা কর্মীদের একদল দেওয়াল লিখন আর অন্য দল বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো শুরু করেদেন।তবে বামেদের আগে তৃণমূলের মেমারিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে না পারাটা শাসক দলের নিচু তলার কর্মীদের যথেষ্টই হতাশ করেছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী।৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ।বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।এখনও মেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে তৃণমূলের মনোনীতরাই রয়েছেন।এদিকে দল মেমারি পুরসভার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্যের নির্দিষ্ট করা প্রার্থীদের নাম। যা নিয়ে মেমারির পৌর এলাকার তৃণমূল শিবিরে যথেষ্টই ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, মেমারির বিধায়ক মধুসূদনবাবু নিজের অনুগতদের মেমারি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।যাঁদের তিনি চিহ্নিত করেছেন তাঁদের নাম, ফোন নম্বার ও কোন ওয়ার্ডে কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তার তালিকা নিজের বিধায়ক প্যাডে ছাপিয়েছেন। তাতে স্বাক্ষর ও শিলমোহর দিয়ে মধুসূদনবাবু ওই নামের তালিকার লোকজনকেই মেমারির প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করার জন্য সুপারিশ করে ১৭ জানুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই সুপারিশ পত্রে মেমারি পৌরসভার দুবারের চেয়ারম্যান ও বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্বপন বিষয়ীকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও তোলাবাজ বলে অবিহিত করেছেন। আর তা নিয়েই পৌরসভা ভোটের প্রাক্কালে মেমারি শহর জড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যদি মেমারির তৃণমূল বিধায়কের সুপারির করা ব্যক্তিদেরই পুরভোটে প্রার্থি করে তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। তেমনটা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াইয়ে জমজমাট হবে মেমারি পৌরসভার নির্বাচন। ওই তালিকা বিষয়ে মেমারির বিধায়ক মধূসূদন ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , নিজের অবজারভেশন মোতাবেক প্রার্থী প্রস্তাবপত্র তৈরী করে ছিলেন। তারপর দলের উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারাই মেমারি পর ভোটের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সার্ভে করছেন। তাই তিনি আর তার প্রস্তাব পত্র রাজ্যে পাঠাননি। বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটার স্বপন বিষয়ী সন্মন্ধে যেসব যে অভিমত লিখেছেন তার প্রসঙ্গে মধুসূদন বাবু বলেন ,অ্যালিগেশন নিয়ে পাবলিকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে আমার পার্সোনাল অবজারভেশন আমি লিখেছি। স্বপন বিষয়ী যদিও বিধায়কের করা প্রার্থী নির্বাচন তালিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্ব যথা সময়েই মেমারির পৌর ভোটে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করবেন। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরীন বিরোধ যখন তুঙ্গে সেই সময়েই মেমারির পর বর্ধমান, গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাট পৌরসভার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেদেন সিপিএম নেতারা। এদিন বিকালে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমানের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে নেতারা ওইসব পৌরসভার বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান পৌরসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বামেদের এবারের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। তালিকায় ফরোয়ার্ড ব্লকের ৪ জন এবং আর এস পির ২ জনের নাম রয়েছে। মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। দলের দুই ছাত্র নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরী; অতনু হুই; অরিন্দম মৌলিক; মুনমুন হালদারের মত তরুণ মুখের প্রতিনিধিরা রয়েছেন এবারের ভোট যুদ্ধে । ২০১৩ সালে বর্ধমান পুরসভা ভোটের দিন সকালেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সব প্রার্থী তুলে নেয় বামেরা। তারা জানিয়েছেন ; এবারে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করুক।তা সত্বেও তারা শেষ অবধি ময়দানে থাকবেন।গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাটের প্রার্থী তালিকায় বাম নেতৃত্ব পুরনোদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকে নিয়ে এসেছেন। একেবারে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal