• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

COVID

রাজ্য

মালদার গঙ্গায় কী 'করোনা আক্রান্তের' দুটি মৃতদেহ! তদন্তে পুলিশ

অবশেষে আশঙ্কায় সত্যি হলো রাজ্য প্রশাসনের। মানিকচক ব্লকের ভুতনি থানা হীরানন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর গঙ্গার ঘাটে ভেসে আসলো দুটি মৃতদেহ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই দুটি মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে নদীপথে ভেসে এসেছে মালদার ভুতনি এলাকার গঙ্গা নদীতে, এমনটাই অনুমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় এলাকার জেলেদের। এরপরই খবর পৌঁছায় ভুতনি থানায়। অবশেষে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর গঙ্গার ঘাটে ওই মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য তদারকির কাজ শুরু করেন। দুটি দেহ মধ্য বয়স্ক পুরুষের বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।এদিকে এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় করোনায় মৃতদেহের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই সেই দেহ গঙ্গা নদী পথে প্রবাহিত হয়ে মালদার মানিকচকের গঙ্গার ঘাটে আসতে পারে এমনটাই অনুমান করে রাজ্য সরকার। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর বেশ কয়েকদিন পরেই কেশরপুর এলাকার গঙ্গার ঘাটে ভেসে এলো দুটি মধ্য বয়স্ক পুরুষের মৃতদেহ। সেই মৃতদেহ দুটি গঙ্গা নদীর ঘাটের একটি কচুরিপানা সংযুক্ত গাছের আটকে থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশের অনুমান করোনায় আক্রান্ত ওই দুটি মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে মালদায় ভেসে এসেছে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জেলার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরের কর্মীরাও। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মৃত ওই দুটি দেহ অজ্ঞাত বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।

জুন ০৫, ২০২১
দেশ

করোনায় মৃত্যু হলে পরিবারকে এক মাসের মধ্যে পেনশন, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য পেনশনের নিয়ম আরও সহজ করল কেন্দ্র। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিয়মের গেরো কাটিয়ে কোভিডে মৃত কর্মীর পরিবারকে এক মাসের মধ্যে পেনশন দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কোভিডের কারণে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁর পরিবার সমস্যায় পড়েছে। এমন অবস্থায় দ্রুত ওই পরিবারের হাতে যাতে পেনশন পৌঁছে দেওয়া যায়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ। ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের পরিবারের জন্য এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মৃত্যুর শংসাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেট জমা করে আবেদন করলেই পেনশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ফলে কম সময়ের মধ্যে পেনশনের টাকা ওই পরিবারগুলোর হাতে আসবে। মৃত্যুর পর মৃত্যুর সরকারি শংসাপত্র পেতেও অনেক সময় দেরি হয়। তাই সেই চূড়ান্ত শংসাপত্র পাওয়ার আগে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্র দিয়েও পেনশনের আবেদন করা যাবে বলে স্থির করেছে ভারতীয় রেল। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেলের অনেক কর্মীর পরিবার পেনশন এবং পিএফের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ সময় মতো মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেরি হচ্ছে পেনশন বা পিএফের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে। সে কারণেই হাসপাতালের শংসাপত্র দিয়ে পেনশনের আবেদন করা যাবে বলে স্থির হয়েছে।১৯৭২-এর সিসিএস (পেনশন) ৮০এ-র নিয়ম অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিস (পিএও)-র কাছে পেনশনের বিষয়টি পাঠানো হয়। তার পর তা অনেক সময় যায় সিপিএও বিভাগে। এর পর যাবতীয় নিয়ম পার করে পেনশন হাতে পান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পিএও বা সিপিএওর কাছে ওই আবেদনপত্র পাঠানেোর সঙ্গে সঙ্গেই পেনশন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। নিয়মের গেরোয় যাতে পেনশন বেরোতে দেরি না হয়, তার জন্যই এই নির্দেশ। পাশাপাশি পিপিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পেনশনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যে যাতে তা চালু হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।

জুন ০৪, ২০২১
স্বাস্থ্য

সাইক্লোন আতঙ্কে বাংলা, সাইটোকাইন ঝড় কাড়ছে মানুষের প্রাণ

বাংলা তথা ভারতবর্ষের পূর্ব উপকূলে ২৬ তারিখ আছড়ে পড়ছে সাইক্লোন যশ। আবহাওয়া দপ্তর বাংলা এবং ওডিশার উপকূলবর্তী এলাকাকে ২৩ তারিখ থেকেই সতর্ক করেছে। তেমনি এরকমই একটি সাইক্লোন মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে তা হলো সাইটোকাইন। করোনা আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই এই ঝড়ের শিকার হচ্ছে। যশ আসছে বাইরে আর সাইটোকাইন ঝড় বইছে শরীরের ভেতরে এবং কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ। তাই সতর্ক থেকে আগেভাগে রোগ নির্ণয় করতে হবে আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আগাম সতর্কতা সাইটোকাইন ঝড় থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করবে।কি এই সাইটোকাইন?সাইটোকাইন হলো প্রোটিন, পেপটাইড আর গ্লাইকোপ্রোটিন যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ নির্গত হয়। শরীরে কোনো ভাইরাস ঢুকলে শরীর তার নিজের ইমিউন সিস্টেম দিয়ে লড়ার চেষ্টা করে তার একটি প্রতিক্রিয়া হলো ইনফ্ল্যামেসন। শরীরে ইনফ্লামেশন হলে সাইটোকাইন ইমিউন কোষ যেমন ম্যাক্রোফেজেস, B লিম্ফোসাইটস, T লিম্ফোসাইটস, মাস্ট কোষ থেকে তৈরী হয়। এই সাইটোকাইন শরীরে যোগাযোগের কাজ করে। এটি ম্যাচুরেশন, গ্রোথ, আর কোষের প্রতিক্রিয়া কে নিয়ন্ত্রণ করে।কেন সাইটোকাইন থেকে ভয় পাবো?শরীরে ভাইরাস জনিত ইনফ্লামেশন এর জন্য সাইটোকাইন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ সাধন করার চেষ্টা করে। যেহেতু আমাদের ইমিউন সিস্টেম করোনা ভাইরাস কে চেনে না, তাই এটি শরীরে প্রবেশ করলে এর সঙ্গে লড়ার জন্য প্রচুর ইনফ্লামমেটরী প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় যার ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাইটোকাইন তৈরী হতে থাকে। হাইপার ইমিউন প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রচুর পরিমান সাইটোকাইন তৈরী হওয়া কে সাইটোকাইনিন ঝড় বলা হয়। প্রচুর সাইটোকাইন ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি করে। সে জন্য এই ঝরে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এই ঝড় থেকে বাঁচার উপায় কি? করোনার কোনোরকম উপসর্গ হলে তাকে অবহেলা করা চলবে না, কারণ সাধারণত করোনা তে আক্রান্ত হবার ৬ দিনের মাথা থেকে সাইটোকাইন এর পরিমান শরীরে বাড়তে শুরু করে, তখন বেশ দেরি হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হতে যে আপনি করোনা তে আক্রান্ত কিনা। যদি আপনার করোনা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ESR, CRP, D Dimer পরীক্ষা করান আর তার সাথে সাথে IL-6, IL-8, TNF, IL-1 and IL-33 এই পরীক্ষা গুলো করান। এর মধ্যে IL - 6 অবশই করাতে হবে। IL - 6 অনেকসময় সাধারণ মানুষদেরও বেড়ে থাকতে পারে, কিন্তু যদি করোনা রুগীদের এটি বেড়ে থাকে তাহলে সাবধান হতে হবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে অন্য আরো পরীক্ষা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে। মনে রাখতে হবে সাইটোকাইন শরীরের অনেক অঙ্গের ক্ষতি করে। সাধারণত ডাক্তাররা এর চিকিৎসা স্টেরয়েড দিয়ে করে থাকেন। তবে ডাক্তার না দেখিয়ে স্টেরয়েড খাবেন না, কারণ সময়ের আগে যদি স্টেরয়েড শুরু করা হয় সেক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসায় অসুবিধা হতে পারে।পরিশেষে:সরকার বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা নিচ্ছে যশ থেকে মানুষকে বাঁচাবার আর আপনি সতর্ক থাকুন সাইটোকাইন ঝড় থেকে বাঁচবার জন্য। সবার শরীরে যে সাইটোকাইন ঝড় উঠবে তা নয়, প্রত্যেকের শরীর একভাবে ভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেয় না।Dr. Satyen Bhattacharyya (PT)MPT, COMT, CMT, CDNP, DOMPT (Pursuing), PhD Scholar.Associate Professor : Burdwan Institute of Medical and Life SciencesEx-Physiotherapist : Sports Authority of India, Bardhaman

মে ২২, ২০২১
কলকাতা

কোভিড শ্মশানের চুল্লিতে আগুন

হাওড়ার একমাত্র কোভিড শ্মশানে দাহ কাজ চলার সময়েই চুল্লিতে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একমাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এই শ্মশানের চুল্লিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। কেন আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে যান হাওড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। অতিরিক্ত চাপের কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই হাওড়ার শিবপুর শ্মশানকে কোভিড শ্মশানে পরিনত করে হাওড়া পুরসভা। তারপর থেকেই সারা জেলায় কোভিডে মৃতদেহের সৎকারের কাজ এই শ্মশানেই করা হতে থাকে। বাড়তে থাকে চাপ। সেই চাপ সহ্য করতে দিনরাত দাহ কাজ চালিয়ে যেতে হয় এই চুল্লিতে। গত এপ্রিল মাসের ২৭তারিখেও দাহ কাজ চলার সময়ে চুল্লির চিমনি গরম হয়ে আগুন লেগে যায়। ওই ঘটনার পর হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, টানা ২৪ ঘণ্টা ফারনেস চলায় সেটি মারাত্মক গরম হয়ে যাচ্ছে। ওই সময় শ্মশানের দুটি চুল্লির মধ্যে একটিই মাত্র সচল ছিল। পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে দ্বিতীয় চিমনিটি সারাবার পর সেটিতেও কোভিড দেহ পোড়াবার কাছে লাগানো হয়। তবে দুটো চুল্লিকেই একসঙ্গে কাজে না লাগিয়ে একটিকে বন্ধ রেখে অন্যদিকে চালানো হচ্ছিল। তারপরে এক মাসেরও কম সময়ে আবার আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, সারাক্ষণ চুল্লি জ্বলতে থাকায় চুল্লি বা চিমনি কোনওটাই ঠাণ্ডা করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই এদিন এই ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন আগুন নেভানোর পর আর এক নম্বর চুল্লিটি ব্যবহার করা হয়নি। দ্বিতীয় চুল্লিতে পরে দাহ কাজ শুরু করা হয়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছু সময় ব্যাহত হয় মৃতদেহের অন্তিম সংস্কারের কাজ।

মে ২০, ২০২১
রাজ্য

মহামারিতে মানুষের পাশে মানবিক বিধায়ক

চারিদিকে মহামারির হাহাকার। রোজ হাজার হাজার মানুষ করোনার বলি হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে লাগু হয়েছে কড়া বিধিনিষেছ। যখন মানুষ ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন, নিজের প্রতিবেশী, আত্মীয়দের পর্যন্ত সাহায্য করতে কুণ্ঠা বোধ করছেন, এমনই এক দুঃসময়, দুর্দিনে মানবিকতার অন্যতম নজির গড়লেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক শ্রী সুব্রত মৈত্র।বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় ঐতিহ্যবাহী বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ পূর্ণেন্দু সেনের। করোনার ভয়ে তাঁর পরিবার বা প্রতিবেশী এগিয়ে আসেননি। এমত অবস্থায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন শ্রী সুব্রত মৈত্র। মুখাগ্নিও করেন তিনি। বিধায়কের এমন পদক্ষেপে এলাকার মানুষের প্রশংসা বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। যেখানে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় প্রায়ই, সেখানে একজন জনপ্রতিনিধির এমন মানবিক আচরণে সকলেই মুগ্ধ।

মে ১৯, ২০২১
কলকাতা

গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে শুরু হল কোভিড চিকিৎসা

কলকাতার ঐতিহাসিক পাঁচতারা হোটেল গ্রেট ইস্টার্নে শুরু হল কোভিড চিকিৎসা। সৌজন্যে পূর্ব ভারতের অন্যতম বেসরকারি হাসপাতাল আমরি। করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে। ফুরিয়ে আসছে বেড। অবস্থা সামাল দিতে স্যাটেলাইট সেন্টার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেডের চাহিদা পূরণ করতে সরকারি পরিকাঠামোয় বেসরকারি উদ্যোগেই কাজ করবে এই সেন্টার। এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইট সেন্টারে চুক্তির মেয়াদ ন্যূনতম তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। চুক্তির সর্বোচ্চ মেয়াদ ১ বছর। স্যাটেলাইট সেন্টারে কর্মী নিয়োগ, পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করতে হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেই। এই শর্তেই গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে স্যাটেলাইট সেন্টার খুলল আমরি হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই বিলাসবহুল হোটেলের ২০০ বেডে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে। প্রতিটি ফ্লোরের ১২ টি করে ডাবল বেড, এবং ১৩ টি করে সিঙ্গল বেডে চলবে চিকিৎসা। ঝা চকচকে এই হোটেলের কোভিড চিকিৎসার ডাবল বেডের ভাড়া ছহাজার। এবং সিঙ্গল বেডের ভাড়া ১০ হাজার টাকা। পাওয়া যাবে ২৪ ঘন্টার ডাক্তার, নার্স। প্রতিটি বেডের সঙ্গে রয়েছে অ্যাটাচ পেশেন্ট মনিটরিং সিস্টেম। রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন, রক্তচাপ দেখে নেওয়া হবে মনিটরে। প্রতিটি রোগীর জন্য থাকবে আলাদা ডেটাবেস। প্রতিমুহূর্তের স্যাচুরেশন রিডিং সেখানে জমা হতে থাকবে।এখানেই শেষ নয়, ডিসইনফেক্টিং স্প্রে গান দিয়ে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে রোগীর কেবিন। শহরের এই অভিজাত হোটেলে করোনার এহেন বিলাসবহুল চিকিৎসা শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনজন রোগী ভর্তি হয়ে গিয়েছেন ললিত গ্রেট ইস্টার্নের কোভিড স্যাটেলাইট সেন্টারে।

মে ১২, ২০২১
স্বাস্থ্য

নিঃস্বাস এ নেই বিশ্বাস

আজ পৃথিবীর বায়ু কলুষিত হয়েছে করোনা ভাইরাস এর জেরে। নিজের ঘর ছাড়া আজ কোথাও গিয়ে শান্তি নেই। আর যে সমস্ত মানুষরা ঘরে বসে আছে তারা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা সারাক্ষন টিভির পর্দায় কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখছি করোনার খবর নিতে। তাই করোনা যেরকম শরীরকে আক্রমণ করছে তেমনি আমাদের মনকেও অসুস্থ করে তুলছে. আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভিতে চোখ রাখলেই দেখতে পাচ্ছি এ সব থেকে কিভাবে নিজেকে ঠিক রাখা যায়, মানে শরীর আর মন কে সুস্থ রাখা যায়। আমরা সেইসব অনুসরণ করার চেষ্টা করছি আর তার সুফল পাচ্ছি, কিন্তু বেশিভাগ সময় আমরা নানারকম কৌশল ব্যবহার করেও শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারছি না। কেন?প্রত্যেক মানুষের জন্য এক্সারসাইজ প্রেসক্রিপশন আলাদা, তাই বেশি এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে শুরু করুন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ সমস্ত জয়েন্টের।তারপরে ধাপে ধাপে আইসোটোনিক ও আইসোমেট্রিক এক্সারসাইজ এর দিকে ঝুঁকবেন। যেকোনো ধরণের ব্যায়াম করলে ব্রেইনে ডোপামিন লেভেল বৃদ্ধি পায়, ফলে স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন কমে যায়। তাই মাথায় রাখবেন যেকোনো ধরণের এক্সারসাইজ শুরু করলেই কিন্তু আপনি আপনার ডিপ্রেশন আর টেনশন কাটাচ্ছেন।এবার যেটা করতে হবে সেটা হলো ব্রিথিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন করার সময় আমাদের শ্বাস প্রস্বাস এর ওপর নজর রাখতে হয়, তাই চেষ্টা করুন ব্রিথিং এক্সারসাইজ আর মেডিটেশন একসাথে করতে। এতে আপনার মন শান্ত হবে এবং আপনার ফুসফুস এর ক্ষমতা বাড়বে। কয়েকটি সহজ ব্রিথিং এক্সারসাইজঃ১. সহজ প্রানায়ামঃ সোজা হয়ে বসে নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন জোরে আর ছাড়ুন মুখ দিয়ে। এখানে সময় ধরে করতে হবেনা। শুধু চেষ্টা করবেন অনেকটা নিঃস্বাস নেয়া আর সেটাকে ছেড়ে দেয়া।২. বক্স ব্রিথিংঃ ৪ সেকেন্ড ধরে নিঃস্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে থাকুন, ৪ সেকেন্ড ধরে ছাড়ুন, আবার নিঃস্বাস নেয়ার আগে ৪ সেকেন্ড বিরত থাকুন। তারপর এই জিনিসটাই বার বার রিপিট করুন।৩. ভ্রমণ প্রানায়ামঃ অনেকধরণের ভ্রমণ প্রাণায়াম আছে তার মধ্যে দুটি সহজ প্রাণায়ামের কথা বলছি এখানে।চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস নিন আর চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস ছাড়ুন। যখন এতে অভস্থ হয়ে যাবেন তখন চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস নিন আর ছয় পদক্ষেপে ছাড়ুন. প্রথমে এটি ১০ মিনিট পরে ৩০ মিনিট ধরে করার চেষ্টা করুন। ৪. Pursed লিপ ব্রিথিংঃ নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন আর মুখ ছোট করে জোরে (মোমবাতি নেভাতে গেলে আমরা যেভাবে ফুঁ দিই) নিঃস্বাস ছাড়ুন।৫. অনুলোম বিলোমঃ একটি নাক বন্ধ করে অন্য নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন, এবার যে নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিলেন সেটি বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে নিঃস্বাস ছাড়ুন, এবার যে নাক দিয়ে নিঃস্বাস ছাড়লেন সেই নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন, এরপর সেই নাকটি বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে ছাড়ুন। এই প্রক্রিয়া টি সোজা হয়ে পদ্মাসনে বসে বেশ কয়েকবার ধরে করুন।৬. ডায়াফ্রাগমেটিক ব্রিথিংঃ ডায়াফ্রাম ফুসফুস থেকে পেটের অর্গানদের আলাদা করে রাখে. পেটের ঠিক মাঝখানে একটু ওপরের দিকে হাত রাখুন এবং একটু চাপ দিয়ে রাখুন, এই অবস্থায় নিঃস্বাস প্রস্বাস নিন। এই এক্সারসাইজ এর দ্বিতীয় ধাপ হলো যখন নিঃস্বাস ছাড়বেন হাতদিয়ে চাপ পেটের দিকে এবং ওপরের দিকে বাড়ান আবার নিঃস্বাস নেয়ার সময় চাপ একটু হালকা করুন, কিন্তু চাপ বজায় থাকবে।এই এক্সারসাইজ গুলো ছাড়াও আপনারা নিজেদের মতো এক্সারসাইজ করতে পারেন।এক্সারসাইজ করলে আমাদের নিঃস্বাস প্রশ্বাসের কি তফাৎ হয়?১. পালমোনারি ভেন্টিলেশনঃ পালমোনারি ভেন্টিলেশন হলো বায়ুর পরিমান যা ১ মিনিটে লাংস এ ঢোকে আর বেরোয়। সাধারণত এর পরিমান নরমাল এডাল্টদের 6liter / মিনিট (টাইডাল ভলিউম ৫০০ ml x রেসপিরেটরি রেট ১২/মিনিট)। মডারেট এক্সারসাইজ এ এটি 60liter / মিনিট এবং সিভিয়ার মাস্কুলার এক্সারসাইজ এ 100liter / মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। ২. অক্সিজেন ডিফিউসিং ক্যাপাসিটিঃ এটি হলো অক্সিজেনের শরীরের (রক্তর সাথে) সাথে মেশার ক্ষমতা। সাধারণ এটি 21ml / মিনিট হয়, কিন্তু এক্সারসাইজ এ এটি বেড়ে 45ml থেকে 50ml পর্যন্ত হতে পারে।৩. অক্সিজেন গ্রহণযোগ্যতাঃ এক্সারসাইজ করলে টিসু, মাসল এ অক্সিজেন গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।৪. অক্সিজেন ডেবিটঃ এক্সারসাইজ করার পর মাসল এ অক্সিজেন এর দরকার ৬ গুন্ বেড়ে যায়। তখন মাসল এ অক্সিজেন ঘাটতি দেখা যায়, যা সাধারণত দেখা যায় না। শরীর আস্তে আস্তে এই ঘাটতি পূর্ণ করে।৫. রেসপিরেটরি কোশেন্টঃ শরীরে নির্দিষ্ট পরিমান অক্সিজেন গ্রহণে যে পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী হয় তার রেশিও কে রেসপিরেটরি কোশেন্ট বলে। নরমাল অবস্থায় এটি ১.০। এক্সারসাইজ করলে এটি বেড়ে ১.৫ বা ২.০ অবধি হয়, এবং এক্সারসাইজ শেষ হয়ে গেলে এটি কমে ০.৫ হয়ে যায়. অর্থাৎ সমপরিমাণ অক্সিজেনের জন্য শরীর তার অর্ধেক কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী করে।যেকোনোরকমের এক্সারসাইজ করতে হবে ঘরের মধ্যেই। করোনার সময় বাইরে না গিয়েও আপনি এক্সারসাইজ, ব্রিথিং এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন এর মাধ্যমে নিজের শরীর ও মনকে ঠিক রাখতে পারবেন।নিঃস্বাস নিন প্রাণ ভরে, বুক ভরে বিশ্বাসের সাথে, যে আমার একদিন এই সংকট কাল থেকে উদ্ধার পাবোই।Dr. Satyen Bhattacharyya (PT)MPT, COMT, CMT, CDNP, DOMPT (Pursuing), PhD Scholar.Associate Professor : Burdwan Institute of Medical and Life SciencesEx-Physiotherapist : Sports Authority of India, Bardhamanhttps://www.fitofine.in/post/breathing-exercise

মে ১১, ২০২১
কলকাতা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালের নার্সদের

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সিং কর্মীরা। পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে চরম অব্যাবস্থার অভিযোগ। পর্যাপ্ত সাফাই কর্মী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাবে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীর মলমূত্র-সহ বিছানা পরিষ্কার না হওয়ার অভিযোগ রোগীদের। এদিন দুপুরে ডিউটি শেষ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নার্সরা। মূলত পরিকাঠামোর অভাবেই এই কোভিড হাসপাতালে সাফাই সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই বিক্ষোভ দেখালেন নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, ড্রপিং এরিয়া, যেখানে ডিউটি শেষে নার্সরা তাঁদের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট কিট বা পিপিই কিট ছেড়ে রাখেন সেই এলাকা প্রত্যেক শিফটের পরে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। ফলে থেকে যায় সংক্রমণের আশঙ্কা। এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাথরুমের জল ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এগুলি পরিষ্কার হচ্ছে না। তার উপর হাসপাতালের রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত খাবার জল। এমনকী, কোনও রোগীর মৃত্যু হলে সেই দেহ পড়ে থাকছে শয্যায়। পাশে থাকা অন্য রোগীরা যার ফলে তীব্র সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। নার্সদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না-থাকাতেই এই নরকীয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে এই কর্মচারী পর্যাপ্ত না থাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। তাঁরা জানান, ২০০ জন রোগী পিছু ১২ ঘণ্টায় মাত্র এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকছে। ফলে অপরিষ্কার হয়ে পড়ে থাকছে কোভিড ওয়ার্ড। হাসপাতালের এক নার্সের অভিযোগ, রোগীরা শয্যা থেকে পড়ে গেলে তাঁদের বেডে তোলার মতো লোক থাকছে না। অক্সিজেন দেওয়ার লোক নেই। চূড়ান্ত এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও রোগীর পরিবারে তাদের পেশেন্ট সংক্রান্ত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হলেও সেই ফোন নম্বরে ফোন এলে রোগীর সেবা করতে গিয়ে পরিজনদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মত সুযোগ পাচ্ছেন না নার্সরা। ফলে রোগীর পরিজনরাও তাঁদের রোগীর খবর না পেয়ে অসহায় বোধ করছেন এবং অভিযোগও করছেন। হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী না থাকায় সমম্বয়ের অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে এদিন দাবিপত্রে জানান বিক্ষোভরত নার্সরা। এদিকে এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দলকে বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এই কোভিড হাসপাতাল নিয়ে বারে বারেই নানান অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিজনরা। এবারে পরিকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরে বিক্ষোভে সামিল হলেন নার্সরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যে শুরু হল গণনা

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আট দফা ভোট শেষে এবার ফলপ্রকাশের পালা। ২৯২ টি আসনে শুরু ভোটগণনা। বাকি ২টি আসনের প্রার্থীর মৃত্য়ুতে সেখানে ভোট হয়নি। কোভিডবিধি মেনে, প্রত্যেক গণনাকর্মী, রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা কর তবেই কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় জেলার প্রশাসনিক ভবনগুলিতে শুরু হয়েছে ভোটের গণনা। মোতায়েন ২৪২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল ৮.৪০: পোস্টাল ব্যালট গণনায় নন্দীগ্রামে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। পুরুলিয়া, রঘুনাথপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা। বাঘমুন্ডি আসনে এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী নেপাল মাহাতো। সকাল ৮.৩৬: দমদমে পিছিয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী ব্রাত্য বসু। মানিকতলায় এগিয়ে সাধন পাণ্ডে। সকাল ৮.৩২: জামুড়িয়ায় এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী ঐশী ঘোষ। বারাকপুর, ভাটপাড়া, হাবড়া, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণে এগিয়ে বিজেপি। সকাল ৮.২৮: পোস্টাল ব্যালট গণনায় হাসন, সুজাপুরে এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা।সকাল ৮.২০: দাঁতন, মুরারই, মঙ্গলকোট, খড়গপুর সদর, রানাঘাট দক্ষিণে এগিয়ে তৃণমূল। রানিগঞ্জ, কেশিয়াড়ি, চন্দ্রকোণা, আলিপুরদুয়ার, দিনহাটা, মাদারিহাটে এগিয়ে বিজেপি। সকাল ৮.১২: পোস্টাল ব্যালট গণনার শুরুতে ৬ আসনে এগিয়ে বিজেপি, ৩ আসনে এগিয়ে তৃণমূল। কেতুগ্রাম, আসানসোল উত্তর, সবং, নলহাটিতে এগিয়ে তৃণমূল, মেমারি, সিউড়ি, দুবরাজপুরে বিজেপি এগিয়ে। সকাল ৮.০৪: গণনার শুরুতেই পানিহাটিতে অসুস্থ কংগ্রেসের এজেন্ট। গরমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে ভরতি করাতে হল। এই গণনাকেন্দ্রে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গণনা ঘিরে শুরুতেই গন্ডগোল। সকাল ৮: ভোটগণননা শুরু রাজ্যের ২৯২টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ২ টি কেন্দ্রে ভোট হয়নি। প্রথম আধঘণ্টা পোস্টাল ব্যালটের গণনা। তারপর হবে ইভিএমের ভোটগণনা।

মে ০২, ২০২১
দেশ

গুজরাতের কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত অন্তত ১৮

কোভিড হাসপাতালে আগুন লেগে জীবন্ত দগ্ধ অন্তত ১৮ জন। ঘটনাস্থল গুজরাতের ভারুচ এলাকা। শুক্রবার মধ্যরাতে প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালের একতলায় আগুন ধরে যায়। তবে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে।ভারুচের প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালের একতলায় কোভিড ওয়ার্ড। স্থানীয় সূত্রে খবর, আইসিইউতে অন্তত ২৪ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগুন লাগার পরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে এবং ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়। সকালে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। তাঁদের মধ্যে ২ জন নার্স রয়েছেন। বাকি ছজনের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। তাঁরাই স্ট্রেচারে করে অন্তত ৫০ জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন দমকলবাহিনী ও পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই হাসপাতালে আগুন লেগেছে। তবে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারবার কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।গতকাল রাতে ভারুচের পুলিশ সুপার রাজেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, রাত পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে প্রকৃত তথ্য সকালে জানা যাবে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হয়। হাসপাতালের এক ট্রাস্টি জুবের প্যাটেল জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ও ২ জন নার্সের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও দমকলবাহিনীর সাহায্যে বাকি রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে।

মে ০১, ২০২১
কলকাতা

কলকাতায় কোভিড রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেবে অ্যাপ ক্যাব

করোনা আবহে যাঁর যতটা সামর্থ্য, তিনি ঠিক সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কলকাতা আবার প্রমাণ করছে, মানবিকতা এখনও বেঁচে আছে। ঠিক যেমন বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু সমর্থিত অ্যাপ ক্যাবের অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার ইউনিয়ন।কোভিড রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। বারবার ফোন করলেও মিলছে না অ্যাম্বুল্যান্স। গাড়ির ব্যবস্থা যদিওবা হচ্ছে, চালকরা আকাশছোঁয়া দর হাঁকাচ্ছেন। ফলে হাসপাতালে পৌঁছতে পারছেন না অনেকেই। এই সংকট কাটাতেই রাস্তায় নামল প্রায় ৩০০ অ্যাপ ক্যাব। যাঁরা সুরক্ষাবিধি মেনে রোগীকে পৌঁছে দেবে হাসপাতালে।তার জন্য বিশাল অঙ্কের কোনও অর্থও খরচ করতে হবে না। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, ফোন করলে গাড়ি পৌঁছে যাবে জেলাতেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আপাতত তাঁদের পোস্টার। সেখানে রয়েছে চারটি ফোন নম্বরও।ওলা বা উবর অ্যাপের মাধ্যমে বুক করা যাবে না গাড়িগুলি। বদলে এই চারটি ফোন নম্বরে9874404040, 9007774116, 967400858 এবং 9748463237 ফোন করলে গাড়ির ব্যবস্থা করা যাবে। ভাড়া নির্ধারিত হবে অ্যাপ ক্যাবের হারেই। ঘণ্টা প্রতি ভাড়া দিতে হতে পারে। সিটু সমর্থিত অ্যাপ ক্যাবের অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার ইউনিয়নের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পোস্টার শেয়ার করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও।নিজেদের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে অ্যাপ ক্যাবের অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার ইউনিয়নের সম্পাদক মহম্মদ মুনিম জানালেন, দিকে দিকে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের সাহায্য করার চেষ্টা করলাম। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ক্যাবগুলি যাবে। আর তাঁদের চালকদের থেকে ইউনিয়ন কোনও টাকা নেবে না। ভাড়ার টাকা সম্পূর্ণটাই পাবেন চালকরা। তিনি আরও জানালেন, এটাই প্রথম নয়, গত বছর লকডাউনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ যখন আটকে পড়েছিলেন, তখন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিতেও কাজ করেছিল এই ইউনিয়ন।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
দেশ

কোভিড বিধ্বস্ত ভারতকে মোটা অঙ্কের অনুদান গুগলের

করোনায় বিপর্যস্ত গোটা ভারত। সেই সময় দেশের দুই সন্তান ভারতের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লা।গুগলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, সংস্থার তরফে ভারতে করোনা মোকাবিলা করতে ১৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এই টাকা সরাসরি ভারত এবং ভারতকে সাহায্য করার জন্য ইউনিসেফকে দেওয়া হবে। ভরতে করোনা মোকাবিলার জন্য কিছু সরঞ্জাম ইউনিসেফ ভারতের জন্য জোগাড় করে দেবে। এছাড়াও গুগলের কর্মীরাও ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ৯০০ কর্মী ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দান করেছেন ভারতে করোনা মোকাবিলার জন্য। আর্থিক অনুদান ছাড়াও প্রযুক্তিগত সাহায্যও করবে গুগল।ভারতের এই জরুরি অবস্থার সময় মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লাও জানিয়েছেন, তাঁর কোম্পানি প্রযুক্তিগতভাবে সব রকম সাহায্য করবে। করোনা মোকাবিলায় তারা সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অক্সিজেনের সংকট মেটাতেও প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসবে। বিশ্বের দুই শীর্ষ প্রযুক্তি সংস্থার এই সাহায্যের আশ্বাস এমন সময়ে এল যখন ভারতে এক দিনে সাড়ে ৩ লক্ষ আক্রান্তের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। প্রতিদিন বাড়ছে সংখ্যা। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তার পর গুগল আর মাইক্রোসফটের তরফেও সাহায্যের কথা জানানো হল।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

ফের অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির হাসপাতালে ২০ কোভিড রোগীর মৃত্যু

অক্সিজেনের অভাবে ফের মৃত্যুর ঘটনা দিল্লিতে। জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে শুক্রবার রাতে ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। ওই হাসপাতালের শীর্ষস্তরের এক আধিকারিক শনিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অক্সিজেনের অভাব দিল্লিতে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি করেছে, তা ফের সামনে আনল এই ঘটনা।জয়পুর মেডিক্যাল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডিকে বালুজা বলেছেন, সরকারের তরফে আমাদের হাসপাতালের জন্য ৩.৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই অক্সিজেন শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এসে পৌঁছয় মধ্যরাতে। ততক্ষণে ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালে অন্তত ২২৫ জন কোভিড রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের সব সময়ের জন্য অক্সিজেন দরকার বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। যদিও ওই সব রোগীকে পর্যাপ্ত সরবরাহ করার মতো অক্সিজেন মজুত নেই বলে জানান তিনি।এর আগে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লির অধিকাংশ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব প্রকট। শনিবার সকালে মূলচাঁদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজলের উদ্দেশে। সেই জরুরি বার্তার বিষয় অক্সিজেনের অভাব। সেখানে লেখা হয়েছে, জরুরি সাহায্য দরকার। যা অক্সিজেন মজুত রয়েছে, তা দিয়ে ২ ঘণ্টাও চলবে না। অথচ ১৩৫ জন রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক।

এপ্রিল ২৪, ২০২১
দেশ

মোদির তোপের মুখে কেজরিওয়াল, চাইলেন ক্ষমা

শুক্রবার দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিরস্কারের মুখে পড়তে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে হাতজোড় ক্ষমাও চাইতে হল তাঁকে। তবুও বিতর্ক থেকে রেহাই পাননি তিনি। পরে কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন আধিকারিক রীতিমতো ভর্ৎসনা করলেন কেজরিওয়ালকে। তাঁদের অভিযোগ, অতিমারির সময়ে রাজনীতি করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।আসলে শুক্রবারের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁর এহেন পদক্ষেপকেই কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন কেজরিওয়াল। তখনই তাঁকে থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, আমাদের যা প্রোটোকল রয়েছে, এখানে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছেন, এমনটা একেবারেই হওয়া উচিত নয়।প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কারের জবাবে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় কেজরিওয়ালকে। তিনি জানিয়ে দেন, এমনটা ভবিষ্যতে আর হবে না। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যদি তাঁর কথা বা আচরণে কোনও কঠোরতা প্রকাশ পেয়ে থাকে সেজন্যও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন তিনি।প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে থামানোর আগে কেজরিওয়াল দিল্লিতে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের অপ্রতুলতা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিল্লিমুখী অক্সিজেনের ট্যাংকার অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এরপরই তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কেজরিওয়ালের এহেন আচরণ নিয়ে অভিযোগে তাঁকে বিদ্ধ করছেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, এমন কঠিন সময়ে এভাবে রাজনীতি করা উচিত নয়। বাকি মুখ্যমন্ত্রীরা যেখানে নিজেদের রাজ্যের পরিস্থিতি শোধরাতে কী পদক্ষেপ করেছেন সেকথা জানাচ্ছিলেন, সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল তেমন কিছুই বলতে পারেননি। উলটে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রের অব্যবস্থার দিকে।পরে বেগতিক অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে অবশ্য জানানো হয়, কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোনও নির্দেশ তাদের কাছে ছিল না যে এই ধরনের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা যায় না।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
দেশ

মহারাষ্ট্রের কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১৩

বিপত্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মহারাষ্ট্রের। একে তো মহামারি মোকাবিলায় নাজেহাল অবস্থা সরকারের। তার উপর একের পর এক দুর্ঘটনা রীতিমতো নাস্তানাবুদ করছে প্রশাসনকে। নাসিকে অক্সিজেন লিক কাণ্ডের পর এবার ভিরারের এক কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ।স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল মাঝরাতে মহারাষ্ট্রের পালঘরের ভিরার এলাকার এক কোভিড হাসপাতালে আগুন লেগে যায়। সেসময় ওই হাসপাতালটিতে ৯০ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিজয়বল্লভ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে আগুন লেগেছিল। যার জেরে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মৃত্যু হয় ১৩ জন কোভিড রোগীর। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ সকালে তাঁদের পাশের কোভিড হাসপাতালে সরানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গতকাল ভোর ৩টে নাগাদ হাসপাতালটির আইসিইউ বিভাগে আগুন লাগে। সেসময় হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক নার্স বা চিকিৎসক ছিলেন না। যার জেরে আরও আতঙ্ক ছড়িতে পড়ে। খবর পাওয়ার পর দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কাঠগড়ায় তলা হচ্ছে জেলা প্রশাসনকেও। হাসপাতালের সিইও দিলীপ শাহ এই ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে লিখেছেন, স্বজনহারানো পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বাকি রোগীদের চিকিৎসায় যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ইতিমধ্যে। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বাকি রোগীদের চিকিৎসা যাতে বিনা বাধায় হয়, এই বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
দেশ

অক্সিজেনের অভাবে হাহাকার দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫

চারিদিকে কেবল অক্সিজেনের হাহাকার। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন করোনা রোগীর। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন পড়ে রয়েছে, এদিকে ৬০ জনেরও বেশি রোগীর অক্সিজেনের দরকার। দ্রুত অক্সিজেন না পৌঁছলে তাঁদের প্রাণসঙ্কট দেখা দেবে।এ দিন, সকাল আটটা নাগাদ কেন্দ্রের কাছে অক্সিজেন চেয়ে একটি জরুরি বিবৃতি প্রকাশ করে হাসপাতাল। তাতে বলা হয়,গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপও সঠিকভাবে কাজ করছে না। আইসিইউ ও এমার্জেন্সি বিভাগে ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন চালানো হচ্ছে। যেকোনও সময়ে বড় বিপদ ঘটতে পারে। ৬০ জনেরও বেশি রোগীর প্রাণ সঙ্কটে রয়েছে। দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে দ্রুত আকাশপথে অক্সিজেন সরবরাহ করা হোক।সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে গঙ্গারাম হাসপাতালে ৫০০-রও বেশি করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা অক্সিজেনের অভাবেও মারা যেতে পারেন বলে সন্দেহ। তবে একা গঙ্গারাম হাসপাতাল নয়। দিল্লির একাধিক হাসপাতালেই চিত্রটা একই। গতকালই একটি বেসরকারি হাসপাতাল দিল্লি হাইকোর্টের দারস্থ হয় অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে হস্তক্ষেপের দাবিতে। এদিকে কেন্দ্রের তরফে জবাবে বলা হয়, দিল্লি সরকার অখুশি প্রেমিকার মতো ব্যবহার করছে।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
দেশ

১৮ বছর হলেই কোভিড টিকা ১ মে থেকে

১৮ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে কোভিড টিকা। ১ মে থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ। সোমবার ঘোষণা করল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পুনর্মূল্যায়ণ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষকে যাতে অল্প সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া যায়, তার জন্য গত এক বছর ধরেই চেষ্টা করে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গতিতে এগিয়েছে দেশ। তবে মোদির কথায়, আমরা আগামী দিনেও এ ব্যাপারে আরও দ্রুত গতিতে কাজ করব।সোমবারের পদক্ষেপকে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় পর্যায় বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ এপ্রিল থেকে টিকা নেওয়ার সুবিধা অবারিত করা হয় পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব দেশবাসীদের জন্যও। কেন্দ্র জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে টিকা নিতে পারবেন ১৮ উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন সব দেশবাসী। তবে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় প্রতিষেধকের দাম, মজুতকরণ, কাদের আগে দেওয়া হবে এবং কীভাবে দেওয়া হবে, সেব্যাপারে কিছুটা নমনীয় নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকেই। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ প্রদান করেছে কেন্দ্র। এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশি ও বিদেশি সংস্থাকেও এই উৎপাদনে অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে তাদের মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ পাঠাতে বলা হবে কেন্দ্রকে। বাকি ৫০ শতাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে এবং রাজ্য সরকারগুলোকেও পাঠানো যাবে। সংক্রমণের হার ও টিকাকরণের হার বিচার করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে টিকা সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্য এবং খোলা বাজারে সরবরাহের টিকার দাম কত হতে চলেছে, তা ঘোষণা করতে হবে ১ মে-র আগেই।সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের টিকারণ চলবে আগের মতোই। কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত নিয়ম মেনেই টিকাকরণ হবে। তবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
দেশ

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান বিহারের কোভিড হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট

দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াই লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই কোভিড হাসপাতালে বেডের সংখ্যার অপ্রতুলতা কিংবা অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিহারের প্রথম কোভিড হাসপাতাল নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তীব্র অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট।যেভাবে অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন তা দেখে উদ্বিগ্ন সুপারিনটেন্ডেন্ট ড. বিনোদকুমার সিং। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য সচিবকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা অত্যন্ত গভীর। রোগীদের মরতে হচ্ছে। এরপর সরকার আমাকে দায়ী করবে।কয়েকদিন আগে এক রোগীর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সংঘর্ষ বাঁধে। এক্ষেত্রেও অভিযোগের মূল কারণ অক্সিজেনের সরবরাহের অভাব।এই পরিস্থিতিতে সুপারিটেন্ডেন্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর হাসপাতালের অক্সিজেনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পাটনা জেলা প্রশাসনের হাতে। ফলে নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অক্সিজেন বহু সময়ই চলে যাচ্ছে অন্যান্য হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে যে অচিরেই রোগীমৃত্যু আরও বাড়বে বলে আশঙ্কিত তিনি। আর তাই তাঁর আরজি, তিনি আর হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্টের দায়িত্বে থাকতে চান না।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
কলকাতা

করোনা পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

রাজ্যে শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। এর পরেও ৩ দফার ভোট রয়েছে। কিন্তু এখন থেকে আর বাকি দফাগুলিতে রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক জনসভা বা রোড-শো করা যাবে না। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, বাকি তিন দফার ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে যাবে প্রচারের সময়সীমা। সাধারণ ভাবে ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হয় প্রচারপর্ব। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রেও ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত ১ হাজার ৮৪৪ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯২। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। তার জেরে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১০ হাজার ৫০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৯ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।আগামী দফাগুলিতে যে সব জায়গায় ভোটগ্রহণ রয়েছে সেখানেও করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধির সংখ্যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে শেষ ৩ দফার ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করার দাবিও উঠেছিল। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সমস্যার কথা মাথায় রেখে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার একটি সর্বদল বৈঠকও করে কমিশন। সেখানে অবশ্য নতুন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে দুপুরের বৈঠকে হাজির সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়। এর পরেই সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন।এই সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি করোনাবিধি মেনে চলার জন্য নতুন করে সতর্কতাও জারি করেছে কমিশন। বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলকে করোনাবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। কোনও রকম শিথিলশিথিলতা চলবে না। কোনও নিয়ম ভাঙলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ফৌজদারি মামলা করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সব সভা, সমাবেশ হবে সেখানেও প্রত্যেকের মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। পর্যাপ্ত স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। এই বাবদ যে খরচ হবে সেটা বহন করতে হবে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেই। নির্বাচন কমিশন প্রার্থী ও দলের জন্যে খরচের যে সীমা বেঁধে দিয়েছে তার থেকেই মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
রাজ্য

করোনাবিধি না মানলে বিনা নোটিসেই বন্ধ হতে পারে সভা-মিছিল

লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। ১ এপ্রিল থেকে গত দশ দিনে রাজ্যে সংক্রমণ তিনগুণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে, শুক্রবার কমিশন জারি করেছে কঠোর নির্দেশিকা। তাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এইভাবে চলতে থাকলে সভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করার পথে যাবে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্বের নির্দেশ না মানা হলে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট তারকা প্রচারকের সভা ও রোড শো নিষিদ্ধ করা হবে।উল্লেখ্য, কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু। দুইয়ের নিরিখে গতবছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শীর্ষে কলকাতা। অন্তত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য তাই বলছে। মানে, কুড়ির করোনাপর্বের সুচনালগ্নের রিরান শুরু হয়েছে একুশেও। এমতাবস্থায় আগেরবারের মতোই কোমরবেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। আগামী সপ্তাহেই স্বাস্থ্যদপ্তর ও কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে মহানগরের ঘনবসতি এলাকায় ফের বুথ করে করোনা পরীক্ষা অভিযানে নামছে। তথ্য বলছে, গতবছরের ১৫ অক্টোবর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৭২০। তবে সেই সময়ে দৈনিক কোভিড পরীক্ষা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছিল। এখন পরীক্ষা কম। কিন্তু সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর এমন চিত্রে চোখ বুলিয়ে যারপরনাই দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা দুষছেন আট দফা লম্বা ভোটকে। বিহার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কোভিড বিধি মানার যে নির্দেশিকা ছিল সেটিই এবারে পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে ফের জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার নতুন নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, ওই নির্দেশিকা মেনে চলছে না রাজনৈতিক দলগুলি। যদি দেখা যায়, সভায় বা মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা মাস্ক পরছে না এবং মঞ্চে নেতারা শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করছেন না তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তারকা প্রচারকের সভা ও রোড শো বিনা নোটিসেই নিষিদ্ধ করা হবে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এখনও বিধানসভা ভোট শেষ হওয়া বাকি। রাজ্যে পরবর্তী চার দফার প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে যে সতর্ক হতেই হবে তা এদিন রাতের নির্দেশিকায় স্পষ্ট।বড় বড় সভার ক্ষেত্রে সেটা হওয়া আদৌ কতটা সম্ভবপর তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ফলে কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও ও তারকা প্রচারকের সভা ও রোড শো বন্ধ হতে পারে। শুক্রবার রাতে কমিশনের এই নির্দেশিকার কথা জানাজানি হওয়ার পর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নেতাদের কপালে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তার কথায়, কোভিড সংক্রমণ কলকাতার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও ছড়িয়েছে। ভোটের কারণে কলকাতা থেকে যাঁরা জেলায় যাচ্ছেন তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এপ্রিল ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal