• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Burdwan

রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় নেই স্থানীয় বিধায়ক, দায়িত্বে কাকলি

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (BDA) নতুন চেয়ারপার্সন ঘোষণা করলো রাজ্য পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে একজন চেয়ারপার্সন ও ৯ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন কমিটিতে সদস্য পর্যন্ত করা হয়নি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।এর আগে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রবিবঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পর পদটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। বিডিএ-র দায়িত্ব দূরের কথা সদস্য়ও করা হয়নি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন চেয়ারপার্সন হয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। ৯ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, পুর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের প্রতিনিধি, পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধি, পুর্ব-বর্ধমান জেলাশাসক, পুর্ব-বর্ধমান পুলিশসুপার, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক, শুভব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।প্রসঙ্গত কাকলি তা গুপ্ত দীর্ঘদিন তৃণমূল দলের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত-কর্মাধক্ষের দ্বায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

ফের ভেজাল সর্ষের তেলের রমরমা কারবারের পর্দা ফাঁস পূর্ব বর্ধমানে, গ্রেফতার ৫

পুলিশের তৎপরতায় ফের পর্দা ফাঁস হল ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারের। ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি করে বিক্রীর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রাজকুমার সাউ ওরফে রাজু, দীপককুমার সিং, অবদেশ কুমার, অনিতকুমার রায় ও বিশরাম যাদব। ধৃতদের মধ্যে রাজকুমারের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাদশাহী রোড এলাকায়। বাকিদের বাড়ি বিহারের ওলাপুর, সারাইয়ারঙ্গন ও উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার ছোয়েটা গ্রামে।ধৃতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ রাইস অয়েল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার, প্রচুর পরিমাণ ভেজাল সের্ষের তেল, খালি তেলের টিন, রাসায়নিক, রং ও বিভিন্ন কোম্পানির তেলের লেবেল, একটি বাইক ও একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করেছে।পুলিশর দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৯০ টাকাও উদ্ধার হয়েছে।আরও পড়ুনঃ বুধবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে মেঘলা আকাশ, মহানগরীর শীত উধাওভেজাল সর্ষের তেল তৈরি ও বিক্রির ঘটনায় জড়িতরা এই প্রথম ধরা পড়লো এমনটা মোটেই নয়। মাস চারেক আগে দুর্ণীতি দমন শাখা বর্ধমান শহরের লাকুর্ডিতে ভেজাল সর্ষের তেলের কারখানার হদিশ পায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ ভেজাল তেল। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। এর কিছুদিন আগে মেমারি থানার পুলিশ ভেজাল সর্ষের তেলের কয়েকজন কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের ডেরা থেকেও অসংখ্য টিনের ড্রামে ভর্তি ভেজাল সর্ষের তেল, রাসায়নিক, কামধেনু রং উদ্ধার হয়। এইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার রাতে শক্তিগড় থানার পুলিশের অভিযানে ফের ধরা পড়ে ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারীরা।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেশক্তিগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে পুলিশ স্থানীয় অশ্বত্থগড়িয়ায় একটি তেলের ট্যাঙ্কারের সামনে দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। ট্যাঙ্কারের সামনে একটি বাইক ও স্কুটি দাঁড় করানো ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তেলের ট্যাঙ্কারের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জানতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ট্যাঙ্কার থেকে রাইস অয়েল বেরকরে পাশের একটি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়। কী কারণে গোডাউনে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার সদুত্তর না মেলায় পুলিশ তাদের আটকে গোডাউনে হানা দেয়। গোডাউনে গিয়ে চমকে যায় পুলিশ। সেখানে তখন রাইস অয়েলের সঙ্গে রং, রাসায়নিক ও অন্যান্য জিনিসপত্র মিশিয়ে রাইস অয়েল থেকে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি হচ্ছিল। গোডাউন থেকে পুলিশ দুলিটার রাসায়নিক, ৬১৬টি বিভিন্ন কোম্পানির তেলের টিন, ৭০০ খালি তেলের টিন, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় টিন সিল করার যন্ত্র, তেলের বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল। সবকিছু খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিৎ হয় রাইস অয়েলে রং, রাসায়নিক ব্যবহার করে গোডাউনে ভেজাল সের্ষের তেল তৈরি করা হচ্ছিল খোলাবাজারে বিক্রীর জন্য।এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।আরও পড়ুনঃ হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত রাখতে রাজ্যগুলোকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরস্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্তকারী অফিসার রাজকুমারকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম রাজকুমারকে ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতেি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ বাজেয়াপ্ত হওয়া তেল, রাসায়নিক, রং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আরও পড়ুনঃ রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল তৈরির ডেরার পর্দা ফাঁস পূূর্ব বর্ধমানে, গোডাউন মালিক বেপাত্তা

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

STF Operation Burdwan: বর্ধমানে এসটিএফের অভিযানে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার বাবা ও ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে ফাঁস হল হেরোইন তৈরি ও পাচারের সঙ্গপ যুক্ত আন্ত রাজ্য চক্রের।অভিযানে ধরা পড়েছে মোট ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে এসটিএফ রবিবার রাতে ধরে বর্ধমানে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে। পৌরসভা ভোটের আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শহর বর্ধমানে।আরও পড়ুনঃ কেপ টাউন টেস্টের আগে ঋষভকে কেন সতর্ক করলেন কোহলি?এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকা থেকে ধৃতদের নাম বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডল। এঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এই দুই ধৃতর আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গকোটে। তবে ১০ বছর আগে সেখান থেকে চলে এসে তাঁরা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বর্ধমানে পালার- শ্রীরামপুর এলাকায় থাকতে শুরু করে। পরে তাঁরা শহর বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে বাড়ি ক্রয় করে। রবিবার রাতে এসটিএফ বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের বর্ধমানের ডেরায় অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি হেরোইন ও হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ রাজেয়াপ্ত করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৫ কোটি টাকা বলে এসটিএফের দাবি। এছাড়াও ধৃতদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা। বাকি চার ধৃতর মধ্যে ২ জন ওড়িশা ও ২ জন মণিপুরের বাসিন্দা। এদের বিষয়ে হাওড়ার গোলাবারি থানা মামলা রুজু করেছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন বাবর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে বর্ধমানের ডেরার হেরোইন তৈরি করে ওড়িশা ও মণিপুরে পাচার করতো।আরও পড়ুনঃ করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তাতদন্তকারীদের কথায় জানা গিয়েছে, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার রুজু হওয়া একটি মামলার সূত্র ধরে এসটিএফ ওড়িশা ও মণিপুর থেকে ৪ মাদক-পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন বর্ধমানের দুজনের কাছ থেকে তাঁরা মদক দ্রব্য কেনে। বর্ধমানের মাদক কারবারীদের ৫ জন এজেন্ট ওড়িশাতে থাকার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে। এমনকি বর্ধমানে দৈনিক ৪-৫ কোটি টাকার মাদক তৈরি হয়ে পাচারের তথ্যও তদন্তকারীদের কাছে উঠে আসে। এরপরেই রবিবার রাতে এসটিফ কর্তা আমিনুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বর্ধমানের গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডলদের ডেরায় অভিযান চালানো হয়।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নএসটিএফের দাবি বাবর ও রাহুলদের বর্ধমানের ডেরা থেকে ১৩ কেজি হেরোইন, হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ ও নগদ ২০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়াও টাকা গোনার যন্ত্র এবং অন্যান সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। দুটি বাড়ির ভিতরে বস্তাবন্দি করে বড় বড় প্লাস্টিক ড্রামের ভিতর হেরোইন ও অন্যান্য সামগ্রী লুকিয়ে গুলি রাখা ছিল। তদন্তকাীরা জেনেছেন, বর্ধমানে বাবর ও রাহুলের গোপন ডেরায় যে হেরোইন তৈরি হত তার কাচা মাল আসতো মণিপুর থেকে। হেরোইন তৈরি হওয়ার পর তা পাচারের জন্য দেওয়া হত ওড়িশার এজেন্টদের হাতে। হেরোইনের কারবার চক্রে বর্ধমানের আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও এসটিএফ খোঁজ খবর চালাচ্ছে।হেরোইনের কারবারের বিষয়ে বর্ধমান অভিযান চালিয়ে এসটিএফ প্রচুর হেরোইন সহ দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিল। এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Lock Down: অড-ইভেন পদ্ধতিতে বর্ধমান শহরের বাজার বন্ধ থাকবে, ঘোষনা মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের

কোভিড নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ ঘোষণা করল বর্ধমান পৌরসভা। এবার থেকে একদিন অন্তর দোকানপাট খোলা ও বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বর্ধমানে তিন-টে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। শুক্রবার বর্ধমান আরটিসি হলে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পুলিশ, প্রশাসন, পুরসভা ও বর্ধমান শহরের বাজার কমিটির কর্তারা হাজির ছিলেন।আরও পড়ুনঃ করোনার বাড়বাড়ন্তে বন্ধ হল কালীঘাটের গর্ভগৃহে প্রবেশবৈঠকের এদিনই বাজার-হাট বন্ধ ও খোলা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অড ও ইভেন (বাম দিক ও ডান দিক) পদ্ধতিতে বর্ধমানের দোকান বন্ধ থাকবে। একদিন বামদিকের সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে। সেদিন বিররীত দিকের দোকানপাট খোলা থাকবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শহরে উল্লাস থেকে নবাবহাট পর্যন্ত জিটি রোডের বামদিকের দোকান বন্ধ থাকবে সোম, বুধ ও শুক্রবার। অন্যদিকে উল্লাস থেকে নবাবহাট পর্যন্ত ডানদিকের দোকান বন্ধ থাকবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। এমন ভাবেই বিজয়তোরণ (কার্জনগেট) থেকে উত্তরফটক পর্যন্ত বিসি রোডের বামদিকের সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে সোম, বুধ ও শুক্রবার। তেমনই বিজয়তোরণ (কার্জনগেট) থেকে উত্তরফটক পর্যন্ত বিসি রোডের ডানদিকের দোকানগুলি বন্ধ থাকবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। আরবি ঘোষ রোড ও বিবি ঘোষ রোডেও একইভাবে দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে কোর্ট কম্পাউন্ড চত্বরে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার দোকান বন্ধ রাখতে হবে।আরও পড়ুনঃ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজই ভার্চুয়াল বৈঠকে করতে পারেন মোদিসুপার মার্কেটের ভিতরের দোকানও অড ও ইভেন ভিত্তিতে বন্ধ থাকবে। শহরের শাক-সব্জি, মাছ ও মাংসের দোকান ১০ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী ১০ জানুয়ারির বৈঠকে এইসব বাজারের বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি মিষ্টির দোকান কখন খোলা বা বন্ধ থাকবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। এদিকে শহরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে ভাঙাকুঠি, বড়লীনপুর সেন্ট জেভিয়ার্স রোড ও বাবুরবাগ এলাকা।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

Suspended Festival: করোনা আবহে স্থগিত বর্ধমান পৌরসভার বার্ষিক উৎসব

করোনা আবহে আপাতত বর্ধমানে বর্ধমান পৌর উৎসব স্থগিত ঘোষণা করে দিল বর্ধমান পৌরসভা। আবার কবে এই উৎসব হবে তা এখনও জানায়নি পৌর কতৃপক্ষ। জানুয়ারিতেই বর্ধমান পৌর উৎসব হওয়ার কথা ছিল, মেলার জন্য ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। মেলা পরিচালনা জন্য যোগ্য সংস্থার কাছে থেকে দরপত্র নেওয়ার পদ্ধতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেলার বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর বংশগোপাল টাউন হলে শহরের নাগরিক বৃন্দ ও বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে এক সভা আয়োজন করা হয় বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে।বর্ধমানের উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, করোনার বিধিনিষেধ জারি রয়েছে রাজ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুব জরুরি। আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে এই উৎসব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। এই মুহুর্তে মানুষের স্বাস্থ্যই পৌরসভার কাছে মূল প্রাধান্য।এই মুহুর্তে বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। মনে করা হচ্ছে করোনা-র তৃতীয় ঢেউ যেভাবে সারা বিশ্বে আছড়ে পরেছে তাঁর থেকে এই শহরও বাদ যাবে না। উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে, মাস্ক না পড়ে বাইরে বেরোবেন না, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। শরীর খারাপ বুঝলে পৌর-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Khagragarh Blasts: খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর এবার অস্ত্র চুরির ঘটনায় বর্ধমানে তদন্ত করে গেল এনআইএ

সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের অস্ত্র চুরি করে মাওবাদী শীর্ষ নেতাদের সরবরাহ করার ঘটনার নিয়ে বর্ধমানেও তদন্তে এল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(এনআইএ)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা বুধবারএকযোগে ধানবাদ, রাঁচি, পাটনা, ছাপড়া, গয়া, উত্তর প্রদেশের চাণ্ডুলি ও বর্ধমান জেলায় তল্লাশি চালিয়ে গেলেও কাকপক্ষীতেও তার টের পায়নি। গোয়েন্দারা অত্যন্ত গোপনে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন। হানায় হিসেব বহির্ভূত ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা, ল্যাপটপ, সেল ফোন, কম্পিউটার, ডিজিটাল স্টোরেজ ডিভাইস, আপত্তিকর নথি, চুরি করা অস্ত্রের বাক্স এবং বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে।সেন্ট্রাল আর্মড ফোর্সের অস্ত্র চুরি সংক্রান্ত মূল মামলাটি শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির এটিএস থানায়। পরে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেয়। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কেস রুজু করে এনআইএ তদন্তে নামে। এর আগে বর্ধমানে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে নামে এনআইএ। তদন্তে নেমে এনআইএ জামাতুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পের্ক বেশ কিছু নতুন তথ্য পায়। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর এবার মাওবাদীদের অস্ত্র সরবরাহে বর্ধমানের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বাভাবতই জেলা প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত একটি গ্যাং বিভিন্ন জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে তা মাওবাদীদের সরবরাহ করছে বলে গোয়েন্দারা খবর পান। গ্যাংটি যে শুধু অস্ত্র লুট করে তা মাওবাদীদের সরবরাহ করছে তাই নয়, তারা দেশবিরোধী শক্তিকে আর্থিক ভাবে সাহায্যও করছে। এমনকি তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা টাকা তোলা আদায়ও করছে। ইতিমধ্যেই বিহারের গয়া জেলার ইমামগঞ্জ থানার অভিনাশ কুমার ওরফে চুন্নু শর্মা, পাটনার সালিমপুরের ঋষি কুমার, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের আজাদনগরের পঙ্কজকুমার সিং, আমান সাহু ওরফে সাউ, অরুণকুমর সিং ওরফে ফৌজি গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছে। গ্যাংয়ের রাঁচি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয়কুমার সিং, পেশায় কনট্রাক্টর মুজাহিদ খান এখনও ধরা পড়েনি। এনআইএর গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে। সিভিল কনট্রাক্টর মুজাহিদ এবং সঞ্জয় দুজনে মাওবাদীদের হয়ে ফান্ড সংগ্রহ করছে এবং তা মাওবাদীদের সরবরাহ করছে। মুজাহিদ ইনসাস রাইফেলের ২৫০টি কার্তুজ ও ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মাওবাদীদের দিয়েছে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। এছাড়াও ধৃত ঋষি কুমারের কাছ থেকে ৪৫০ রাউন্ড ৫.৫৬ এমএম কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ঋষি এবং অভিনাশ মিলে তা একটি টেররিস্ট গ্যাংকে সরবরাহের জন্য মজুত করেছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা।তাদের কাছে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিস্তলও রয়েছে, যা তারা টেররিস্ট গ্যাংকে সরবরাহ করে থাকে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। তবে বর্ধমানে তল্লাশির বিষয়ে এনআইএর কোনও আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
রাজ্য

X-Mas: পার্কস্ট্রিটের আক্ষেপ মেটাচ্ছে আলোক ঝলমলে বিজয় তোরণ

বাঙালির বড়দিন মানেই পার্কস্ট্রীট। ডিসেম্বর ২৪র সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা ভিড় জমাতে থাকেন এই বিশেষ জায়গায়। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই যিশু-র জন্মস্থান স্বমন্ধে কোনও সম্যক ধারনা না থাকলেও আনন্দের ভাগ নিতে ছাড়েননি। গুরুগম্ভীর কিছু মানুষ প্রত্যুতপন্নমতিতার পরিচয় দিয়ে বললেন খাবার তৈরির মশালা জানার কি দরকার সে পদটিকে আস্বাদন করার জন্য।বড়দিন বা ক্রিসমাস আসলে একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। প্রত্যেক বছর ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। জেরুজালেম শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বেথলেহেম শহরে তাঁর জন্ম হয়েছিলো বলে ধরা হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা না থাকলেও, আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়।আদ্যান্ত এক খৃষ্টীয় উৎসব বাঙ্গালি আপন করে নিয়েছে। উপরি পাওনা সপ্তাহান্তে নতুন বছরের সুচনা। বাকি বছরটা যে ভাবেই যাক, আশা করতে তো মানা নেই। নতুন বছরে ভালো কিছু ঘটুক সেই আশায় সেজে উঠেছে শহর বর্ধমান। বর্ধমান পৌরসভার নব গঠিত প্রশাসক মণ্ডলীর উদ্যোগে বড়দিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আলোক সজ্জায় সেজে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গের এই প্রাণকেন্দ্র। রঙ্গীন হয়ে উঠেছে সারা শহর।শহরের দুই প্রান্ত নবাবহাট ও উল্লাস সহ শহরের কেন্দ্রস্থল বিজয়তোরণ (কর্জন গেট) সেজে উঠেছে চন্দননগরের আলোয়। এ যেন অকাল দীপাবলি। বাজছে জিঙ্গেল বেল, নিজস্বী তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন কচি কাঁচা থেকে বয়স্করা। পৌরসভার উপ- পৌর প্রশাসক এবং বর্ধমান শহরকে হাতের তালুর মত চেনা পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনুল হক জানান, নবগঠিত প্রশাসক মণ্ডলী আসার পর থেকেই তাঁরা শহরের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দার্যায়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। বর্তমান প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে তাঁরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিজস্বী জোন বানিয়ে এলইডি আই লাভ বর্ধমান (I Love Burdwan) বোর্ড লাগিয়েছেন।আইনুল হক আরও বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় বড়দিন ও ইংরাজী নববর্ষের প্রারম্ভে বর্ধমান পৌরএলাকা আলোকিত করা হয়েছে। এই আলোকসজ্জা ইংরাজী নববর্ষের প্রথম সপ্তাহ অবধি থাকবে। এছাড়াও তিনি জানান, আগামী সময়ে বিজয় তোরণে (কর্জন গেট) লাইট এন্ড সাউন্ড ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষের যাতে একঘেয়ে না লাগে, সেই জন্য সারা বছর বিভিন্ন পার্বনে তাঁর আলকসজ্জা পালটে পালটে যাবে। বদলাবে রংয়ের ছটা। যে সমস্ত বর্ধমানবাসী বড়দিনে পার্কস্ট্রিটে যেতে পারেননি তাদের কিছুটা হলেও আক্ষেপ মিটবে শহরটা আলো ঝলমলে দেখে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Contaminated Mustard Oil: রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল তৈরির ডেরার পর্দা ফাঁস পূূর্ব বর্ধমানে, গোডাউন মালিক বেপাত্তা

চোরাই রাইস অয়েলের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হত ভেজাল সরষের তেল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ছিনুই এলাকায় গজিয়ে ওঠা ওই ভেজাল সরষের তেলের কারবারী ডেরায় হানা দেয়। সেখান থেকে পুলিশ ভেজাল সরষের তেল তৈরিতে যুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ৫২টি টিনের ড্রামে ভর্তি ভেজাল সরষের তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। এছাড়াও রাইসয়েল তেল সমেত একটি ট্যাঙ্কারও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ নড়ে-চড়ে বসাতেই ভেজাল সরষের তেলের কারবারী চক্রের পর্দাফাঁস হল বলে মনে করছেন মেমারির বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অসীম মিত্র, গোবিন্দ সরকার ও পঙ্কজ সিং। অসীম ও গোবিন্দর বাড়ি মেমারির ছিনুই গ্রামে। অপর ধৃত পঙ্কজ সিং বাজেয়াপ্ত হওয়া ট্যাঙ্কারটির চালক। তাঁর বাড়ি হাওড়ার বালি এলাকায়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার তিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁদের ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের ৫ জানুয়ারী পর্যন্ত পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহরায় বলেন, ভেজাল সরষের তেল তৈরি চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আরও কারা করা যুক্ত রয়েছে তা ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সমস্ত সামগ্রীও ল্যাব টেস্টিংয়ে পাঠানো হবে। যে গোডাউনে ভেজাল সরষের তেল তৈরি করা হত সেই গাডাউনের মালিক কে সেই বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। মেমারির ছিনুই শীতলাতলা এলাকায় ভেজাল সরষের তেল তৈরি হওয়ার খবর মঙ্গলবার গোপন সূত্রে পায় মেমারি থানায় পুলিশ। ওই এলাকায় হানা দিতেই পুলিশের নজরে আসে একটি ট্যাঙ্কার থেকে তেল বের করে ড্রামে ভরা হচ্ছে। পুলিশ ওই ট্যাঙ্কারের চালককে ধরার পাশাপাশি ট্যাঙ্কারটি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কার থেকে রাইসয়েল ড্রামে ভরে নিয়ে গোডাউনে রাখা হত। এই রাইসয়েলও চুরি করা রাইসয়েল। এছাড়াও আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে রাইসয়েল সংগ্রহ করতো কারবারীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, গোডাউনের মধ্যে ওই রাইসয়েল প্রথমে একটি বড় পাত্রে ঢালা হত। পরে তাতে সরষের তেলের রঙ আনার জন্য কাঠ পালিশে ব্যবহৃত কামধেনু রঙ সহ নানা ভেজাল দ্রব্য মেশানো হত। এছাড়াও সরষের তেলের ঝাঁজ আনার জন্য ওই রাইসয়েলে ক্ষতিকারক রাসায়নিকও মেশানো হত। এইসব ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে কারবারীরা রাইসয়েলকে সরষের তেলের রুপ দিত। পরে সেই তেল ১৫ কেজির খালি টিনের ড্রামে ভরে টিনের ছিপি দিয়ে শিল করে দেওয়া হত। এরপর ওই টিনের ড্রামে বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির স্টিকার আঠা দিয়ে এঁটে কারবারীরা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতো। মেমারি থানার পুলিশ দাবি করেছে, ভেজাল সরষের তেলের এই কারবারির ডেরা থেকে ৫২ ড্রাম ভর্তি ভেজাল সরষের তেল, ৭৪টি খালি টিনের ড্রাম ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। এছাড়াও ভেজাল তেল তৈরিতে ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণ ও রাইসয়েল সমেত ট্যাঙ্কারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Fuchka: কামড় দিলেই তেতুল জলের বদলে বাটারস্কচ আইসস্ক্রিম, ভিন্ন স্বাদের ফুচকায় মেতেছে বর্ধমান

ফুচকা অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু মুখরোচক খাদ্যবস্তু। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় হলেও জানা যায় এর সৃষ্টি মুলত বাংলা এবং ওড়িশা-য়। খাদ্যবস্তুটি বাংলাদেশ এবং ভারতে শহর থেকে শহরতলি হয়ে গ্রামাঞ্চলেও সমান জনপ্রিয়। বিভিন্ন জায়গায় এটিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলায় এর নাম ফুচকা, উত্তর ভারতে গোল-গাপ্পা নামে জনপ্রিয়। মুম্বাই সহ সমগ্র মহারাষ্ট্রতে এর জনপ্রিয়তা পানি-পুরি। আবার আমাদের বাংলাতেই পশ্চিম-বর্ধমানের আসানসোল, বরাকরে এটিকে গুপচুপ বলা হয়ে থাকে।আরও পড়ুনঃ নগিডি, রাবাডাদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন, তৃতীয় দিন কেন ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের?সাধারণভাবে আটা এবং সুজি দিয়ে তৈরি একটি গোলাকৃতি পাপড়ির মধ্যে নানাবিধ মসলামিশ্রিত সেদ্ধ আলুর পুর (ছোলা, ধনেপাতা, মটর,কাঁচা লঙ্কা) ভরে তেঁতুলজল সহযোগে পরিবেশন করা হয় ফুচকা। বিভিন্ন অঞ্চলের নামকরণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী মশালারও প্রকারভেদ হয়। নানারকমের নামের পাশাপাশি ফুচকা পরিবেশনের রীতিটিও বিভিন্নতা লাভ করেছে। কোনও কোনও অঞ্চলে তেঁতুলজলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় পুদিনামিশ্রিত জল। আবার পশ্চিমবঙ্গে ফুচকার পুর হিসেবে ব্যবহৃত আলুতে পেঁয়াজের প্রচলন কম থাকলেও, ওড়িশাতে পেঁয়াজ ছাড়া ফুচকার কথা ভাবাই যায় না। এছাড়াও সারা ভারতেই দই-ফুচকা জনপ্রিয়তা প্রবল, এটি সাধারনত এলিট শ্রেনী-র পদ হিসাবেই বিবেচনা হয়।আরও পড়ুনঃ রোগীদের চিকিৎসা করছেন ডাক্তার বিডিও, গর্বের অন্ত নেই ভাতারবাসীরফুচকার ইতিহাস ঘেঁটে গ্রহণযোগ্য আর প্রমাণসাপেক্ষ যা জানা যায় তা হল, এর সৃষ্টি মহাভারতের দ্রোপদীর হাতে। কথিত আছে দ্রোপদী বিয়ে পর পান্ডবদের কাছে আসার পরে তাঁর শাশুরি মাতা কুন্তি তাঁকে আগের রাতের বেচে যাওয়া আলুর সব্জি আর আটার মন্ড দিয়ে বলেছিল তাঁর স্বামীদের (পান্ডব) জন্য খাবার বানাতে। তখন দ্রোপদী আটা দিয়ে একটি গোলাকৃতি পাপড়ির মধ্যে মসলা মিশিয়ে সেদ্ধ আলুর পুর ভরে তেঁতুলজল সহযোগে পরিবেশন করেন এই পদটি। কুন্তি পরে দ্রোপদীর বানানো খাবারকে অমরত্বের আশীর্বাদ দান করেন। সেই থেকে মগধে এই পদটিকে ফুলকি নামে ও পরে কালক্রমে নাম পরিবর্তন হয়ে ফুচকার নামে রূপান্তর হয়।শ্রীনাথ ও নিহা রায়ফুচকার নাম মনে পড়লেই তেঁতুল জলের কথা মনে আসবেই। কচি-কাঁচা থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও জিভে জল এসে যায় এই পদের নাম শুনলে। কালান্তরে এর প্রকারভেদ হতে হতে হালের আধুনিক প্রগতিশীলদের হাতে পরে ফুচকার কর্পোরেটাইজেশন হয়ে গিয়েছে। অতিমারী কোভিড-র প্রকোপে লকডাউনে কলকাতায় কাজ হারান বর্ধমানবাসী শ্রীনাথ। তিনি জনতার কথা কে জানান, আমি বর্ধমান সেন্ট জেভিয়ার্স-এ স্নাতক স্তরের পড়াশোনা চলিয়ে যাবার সাথে সাথেই আমার ড্রিম ফুলফিলমেন্টের জন্য নানা ধরনের কাজে যুক্ত হতে শুরু করি। স্নাতক পড়াশনার মাঝেই কলকাতা পাড়ি দিয়ে একটা কলসেন্টারে জব জয়েন করি। পাশ করার পর তিনি কলকাতার গড়িয়াতে একটি স্পোকেন-ইংলিস সেন্টারে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু বিধি বাম! শ্রীনাথের সুখ বেশি দিন স্থায়ী হল না। সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তড়িঘড়ি বর্ধমানে ফিরে আসেন। দু-মাস ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার পর কলকাতা থেকে চাকরী যাবার ফোন আসে।আরও পড়ুনঃ আগ্নেআস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করার দায়ে বর্ধমানে গ্রেফতার যুবকসদ্য বিবাহিত মানুষটি দিশেহারা হয়ে পড়েন, দুমাস বসে থাকার পর এক বন্ধুর পরামর্শে ডেলিভারি বয়ের কাজে লেগে পড়েন। তিনি বলেন কাজের সঙ্কোচ কোনওদিন-ই আমি করিনি, যে-কোনোও কাজকেই আমি সন্মান করি। কোনও কাজই আমার কাছে ছোটো নয়। কিছুদিন যেতেই তিনি বুঝতে পারেন এই কাজ করে তাঁর স্বপ্নপুরন স্বম্ভব নয়। তিনি বলেন, সেই কারনে আমার স্ত্রী নিহা কে নিয়ে আমি নিজে কিছু করার উদ্যোগ নিতে শুরু করি, আমি নিজে খেতে খুব ভালো বাসি, আমার এবং আমার স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে লোকজন এলেই নানা রকম পদ রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নিই যে আমরা খাবারের ব্যবসা-ই করবো।ভাবনার রুপদান করতে লেগে পড়েন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁকে সঙ্গ দেন তাঁর স্ত্রী নিহা। বর্ধমান শহরের এক প্রান্তে বিজয়রাম-এ খুলে ফেলেন তাঁর স্বপ্নের ঝাঁপি, নাম দিলেন জিভে জল। সত্যি-ই ফুচকা নামেই সাধারণ মানুষের জিভে জল আসবেই। তাঁর রেশ ধরেই এই নামকরণ বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। বিভিন্ন প্রকারের সম্ভার এই কাফেতে। জল ফুচকা, ধনিয়া জল ফুচকা, মিষ্টি জল ফুচকা, চিকেন ফুচকা,আইসক্রিম ফুচকা, আগুন ফুচকা, দই ফুচকা,পনির ফুচকা আরও অনেক রকমের ফুচকা। আরও পড়ুনঃ এবার বিজেপিতে বিদ্রোহী পাঁচ মতুয়া বিধায়কখেতে খেতে হটাৎ যদি শোনেন What else can I do for you? বা Will you eat anything else! অবাক হবেন না, প্রথাগত ফুচকা ওয়ালা দের থেকে স্পোকেন-ইংলিস টিচার-র আদব কায়দা একটু হলেও আলাদা। সেটা দেখতেই কিশোর-কিশোরী থেকে কলেজ পড়ুয়ারা ভিড় জমাচ্ছে তাঁর এই কাফেতে। সেখানে আসা কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁরা ফুচকার সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষিত ইংরাজি বলা মানুষটিকে চাক্ষুষ করতেই ভিড় জমাচ্ছেন। শ্রীনাথ জনতার কথা কে জানান আপাতত আপনারা জিভে জলএ গেলে ২২ রকমের ফুচকা, ৮ রকমের লস্যি, ৮ রকমের সরবত, ১০ রকমের চা, ও ভেজ ও চিকেন ফ্রাইড এবং ষ্টীম মোমো পাবেন, এই ভরা ক্রিসমাস ও নতুন বছরের প্রাক্কালে বর্ধমানবাসীরা ভিড় জমাচ্ছেন এই স্পোকিং ইংলিশ-বলা ফুচকার দোকানে।আরও পড়ুনঃ সারমেয়-র টানে পশুপ্রেমী টলি অভিনেত্রী বর্ধমানেশুধু ফুচকা নয়, এখানে আপনি চাএর ভ্যারাইটি পাবেন যেমন, মিল্ক টি, মসালা টি, লবঙ্গ টি, এলাচি টি, ব্ল্যাক টি, লেমন টি, মালাই টি। পাবেন নানা রকমের মোমো, ঠান্ডা পানীয়। বছরের শেষ লগ্নে ঘুরতে ঘুরতে একবার স্পোকেন-ইংলিস টিচারর জিভে জল-এ ঘুরে যেতেই পারেন। উপাদেয় নানা ধরনের খাবার তো পাবেন-ই আর যেটা অতিরিক্ত পাবেন সেটা হল আত্মবিশ্বাস, তাঁকে দেখে কবির সুমনের একটা গান আপনার মনে পরবেই হাল ছেড়োনা বন্ধু...

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Firearms: আগ্নেআস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করার দায়ে বর্ধমানে গ্রেফতার যুবক

আগ্নেআস্ত্র হাতে নিয়ে পাড়ার বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃতের নাম শেখ রফিকুল ওরফে কচি। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকায়। বর্ধমান সদর থানার পুলিশ সোমবার রাতে বড়নীলপুর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, বেলুন ফাটানোর একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। যুবক কোথা থেকে আগ্নেআস্ত্র পেল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে বলে আইসি জানিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কচি প্রায়ই এলাকায় দাদাগিরি করতো। কেউ প্রতিবাদ করলে আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের ভয় দেখাতো কচি। নিজের ন্ত্রীকে মারধর করার পশাপাশি সে এলাকার সাধারণ মানুষকেও হুমকি দিত বলে অভিযোগ। এদিন সন্ধ্যায় সে একইরকম ভাবে বড়নীলপুর বাজার এলাকায় দাদাগিরি শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দা মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কচিকে ধরে ফেলে। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার হয়। এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দে বলেন, বোমা বন্দুক নিয়ে কচি প্রায়সই সবাইকে ভয় দেখায়। ধৃতের নিজের ভাই শেখ সফিকুল জানান, তিনি আলাদা বাড়িতে থাকেন। তাঁর ভাই একটি মেয়েকে নিয়ে রবিবারও মদ্যপান করছিল। ভাইয়ের কাছে আগেও আগ্নেআস্ত্র দেখেছেন বলে সফিকুল এদিন জানান। কচির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Burdwan Municipality: ২০ জন কাউন্সিলর চাই বিধায়কের, বর্ধমানে কর্মীসভায় তৃণমূল নেতার বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল

কলকাতা পুরসভার নির্বাচন সম্পন্ন। সোমবার বাকি চার পুরনিগমের ভোট ঘোষণা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধমান পুরসভায় ঘর গোছানো শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে তা তৃণমূলের প্রতিটি কর্মীসভায় নেতৃত্বের বক্তব্যে একেবারে স্পষ্ট। রবিবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, দলের জেলা যুব সভাপতি তথা জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝির সামনেই বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ।কর্মীসভায় প্রাক্তন আইএনটিটিউসি সভাপতি ইফতিকার আহেমদ বলেন, যাঁরা নিজের ওয়ার্ডে হেরে গেল-গোহারা, তাঁরা পুরস্কৃত হল বর্ধমানে প্রশাসকরূপে। আমি আমাদের বিধায়কের কাছে জানতে চাইব ফর্মূলা কী আছে ভাই। আমরা লড়াই করলাম। আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তোমাকে জেতালাম। শঙ্খশুভ্র ঘোষ ৫ বছর কাউন্সিলর হয়ে কোনও কাজ করেনি, ওয়ার্ডটা হেরে গেল, উমা সাঁইয়ের ওয়ার্ডে লোকসভায় হার, বিধানসভায় হার, অথচ পুরস্কৃত হচ্ছে পুরপ্রশাসক হিসাবে। ১৬ নম্বরে যুব লিডারের ওয়ার্ডেও হেরেছে। এভাবেই দলের বিরোধী গোষ্ঠীকে সরাসরি আক্রমণ শানানো হয় বিধায়ক ও জেলা যুব সভাপতিকে মঞ্চে বসিয়ে।বর্ধমানে পুরপ্রশাসকদের নিয়োগ করার পর থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস। তিনি সরাসরি পুরসভার কাজ নিয়েও নানা সভায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এদিন বিধায়কপন্থী তৃণমূল নেতা বলেন, আমি বলব খোকনদাকে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টা কাউন্সিলর দরকার নেই। আপনি ২০টা কাউন্সিলর বের করে আনুন। বর্ধমান পুরসভা আপনার অঙ্গুলি হেলনে হিলবে। বর্ধমান পুরসভা আপনার কথায় চলবে। এই সময় অন্য কোনও আলোচনায় যেতে চাই না।বিধায়কপন্থী নেতার বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। পুর-প্রশাসক নিয়ে লাগাতার বিধায়ক সহ তাঁর অনুগামীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনৈক জেলা নেতার মন্তব্য, বর্ধমান পুরসভায় প্রশাসকদের কে নিয়োগ করেছে? বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম পরিচালিত রাজ্যপ্রশাসন! এখন ক্ষমতায় তো তৃণমূলই। তাহলে এভাবে পুরপ্রশাসকদের বিরোধিতা করার অর্থ কি? দলের একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনে খোদ বিধায়ক নিজের এলাকার ওয়ার্ডে ব্যাপক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। এর জবাব কে দেবে? তাছাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। বিধায়কের সঙ্গে থেকে যাঁরা এখন দৌড়ঝাঁপ করছেন তাঁদের বহু ওয়ার্ডেই বিধানসভায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহ কোন পর্যায়ে পৌঁছালে বিধায়কের ঝুলিতে ২০ জন কাউন্সিলর-এর দাবি ওঠে, সেই চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এই অংশের বক্তব্য, এখনকার পুরপ্রশাসক সংঘমিতা চৌধুরীও তো লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Christmas: বিশ্বপিতার আবহনে মেতে উঠলো বর্ধমান শহরের স্কুল

কলকাতা সহ সারা রাজ্যে মহা-সমারোহে পালিত হল বড়দিনের উৎসব। বাঙালি বারো মাসে তেরো পার্বন অতিক্রম করে শত-পার্বনের দিকে ধাবিত। পর-কে আপন করে নেওয়া এই জাতির এক সহজাত ক্ষমতা। সেই ব্যাপারে সেরা-র উদাহরণ টানতে গেলে বাঙালির নাম প্রথম সারিতেই আসবে, হয়ত বা প্রথমেই। আদ্যান্ত এক খ্রীস্টান ধর্মাবলাম্বিদের প্রানের উৎসবকে আজ বাঙালি আপন করে নিয়েছে। ২৫ ডিসেম্বরে মহাপ্রান যিশু খ্রিষ্ট বা ঈসা মসিহের জন্মদিনকে বড়দিন বলা হয়। জানা যায় যিশু খ্রিষ্টের জন্ম হয়েছিল, হেরোদ রাজার রাজত্বকালে যিহুদিয়ার বেথলেহেম বলে এক গ্রামে একটি গোয়াল ঘরে পবিত্র আত্মার (পাক-রুহের) শক্তি দ্বারা কুমারী মরিয়মের মাধ্যমে যিশু খ্রিষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন। প্রভু যিশু খ্রিষ্টের জন্মগ্রহণ নিয়ে অনেকে অনেক মত পোষণ করেন।রাজ্যের অন্য জায়গার মতই গতকাল সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ধমান মডেল স্কুলে পালিত হল বড়দিন। অতিমারির কারণে বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা এই উৎসব পালন করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে তারা ছাত্রছাত্রী দের জন্য আগামী তিনদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ খোলা রাখবেন। উৎসব উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান নাচ আবৃত্তি নাটক প্রভৃতির পাশাপাশি মঞ্চে যোগব্যায়াম-ও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্কুলের ছাত্র প্রশংসা ধন্য শিক্ষিকা নাসরিন ম্যাম। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েসন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ-র সম্পাদক ও বিদ্যালয় এর ম্যানেজার অচিন্ত্য কুমার মন্ডল বলেন, অতিমারির কারণে রাজ্যের সর্বত্র প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি সেকশন বন্ধ রয়েছে। আমরা যীশুর কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব যেন অতিসত্ত্বর মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে। নতুন বছর আসছে নতুন আশা নিয়ে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই যেন সুস্থ থাকেন। পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি! আমরা যেন প্রতিটা দিনকেই বড়দিন বলে ভাবি, পবিত্র মনে ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নতুন উদ্যম ঝাঁপিয়ে পড়ি। তিনি বিদ্যালয় এর সুনাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান।সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারেগামাপা খ্যাত সংগীতশিল্পী অতনু ঘোষ। সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি তিনি এমন এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে অভিনন্দন জানান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডঃ খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সদস্য অনন্তদেব গুহ (শিক্ষক), সদস্যা সহকারী অধ্যাপক ডঃ ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, বিআইএমএস এর টিচার-ইন-চার্য লিজা বন্দ্যোপাধ্যায়, সহকারি অধ্যাপক ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান ফিজিওথেরাপি কলেজের (BIMLS) প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ঠ ফিজিওথেরাপিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক ডঃ সত্যেন ভট্টাচার্য্য, ইউআইটি কলেজের অধ্যাপক ডঃ শিবকালী গুপ্ত।ম্যানেজিং কমিটি-র সদস্য অনন্তদেব গুহ বলেন,একটা বিদ্যালয় কথা বলে আপন খেয়ালে! শিক্ষকরাই বিদ্যালয়কে কথা বলায় তাদের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে! আজ সন্ধ্যায় যখন মডেল স্কুলে বড়দিন পালন হচ্ছে তখন হয়তো স্কুলেরই কোন কৃতি ছাত্র বা ছাত্রী প্যারিস কিংবা লস এঞ্জেলেসের কোন বড়দিনের উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই স্কুলের গল্প করছে। কনফুসিয়াস বলেছিলেন প্রত্যেকটি পাথরের মধ্যেই মূর্তি আছে। একজন ভাস্কর নিপুণতার সঙ্গে অতিরিক্ত অংশগুলি বাদ দিয়ে সেই মূর্তির প্রকৃত রূপ দেন। শিক্ষাও তেমনি প্রত্যেকটি মানুষের মধ্য থেকে আদর্শ মানুষকে বের করে আনে। আর এখানে ভাস্করের কাজটি করেন শিক্ষকরা তাই তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রসংসার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা অনেকেই এই বিদ্যালয়কে শহরের সেরার তকমা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন শুধুমাত্র পড়াশোনা নই খেলাধুলা, নাচ, গান সব বেপারেই অন্য যেকোনো বিদ্যালয়-কে পিছনে ফেলে দিতে পারেন। গত কয়েকবারের মত এইবারেরও খ্রিস্টমাস যেভাবে পালন করা হল সেটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
রাজ্য

Financial Scandal BMC: বর্ধমান পৌর এলাকায় বহুতল নির্মান সংক্রান্ত অডিট রিপোর্টে ফাঁস প্রায় ২৩ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি

কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বাকি পৌরসভাগুলির নির্বাচনের প্রস্তুতি। তারই প্রাক্কালে বর্ধমান পৌরসভার শপিং কমপ্লেক্স ও আবাসন তৈরি সংক্রান্ত অডিট রিপোর্টে ফাঁস হল প্রায় ২৩ কোটি টাকার কেলঙ্কারি। এছাড়াও অন্য আরও একটি অডিট রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে ৪১.৩৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বর্ধমান পৌরসভা ২০১৮ সাল থেকে বেআইনি ভাবে ১০ টি বহুতল নির্মানের ছাড়পত্র দিয়েছে। এই সব কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে। ঘটনা জানার পর তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল এ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল লোকাল অডিট ডিপার্টমেন্ট) সম্প্রতি বর্ধমান পৌরসভা নিয়ে করা তাঁদের দুটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টের কপি বর্ধমান পৌরসভাতেও জমা পড়েছে। যদিও কারা পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছিল তা অডিট রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়নি।একটি অডিট রিপোর্টে উল্লেখ কর হয়েছে, শহর বর্ধমানের গোদা মৌজার ৩.৪২ একর অর্থাৎ ৩৪২ শতক জমিটি বর্ধমান পৌরভার। ২০০৬ সালে পৌরসভা পিপিপি মডেলে (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শিপ) ওই জমিতে শপিং কমপ্লেক্স ও রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স (আবাসন) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে টেন্ডার করে। সেই টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজের বরাত পায় আরডিবি রিয়েলিটি এ্যন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটিড নামে সংস্থাটি। প্রকল্পের কাজ নিয়ে ২০০৭ সালে এই সংস্থার সঙ্গে বর্ধমান পৌরসভার মৌ (MOU) স্বাক্ষরিত। মৌ অনুযায়ী ঠিক হয় বর্ধমান পৌরসভাকে ১৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা দিতে হবে ওই সংস্থাকে। সেই মত প্রথমেই ওই সংস্থা চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা বর্ধমান পৌরসভায় জমা দেয়। বাকি ১৪ কোটি টাকা (প্রিমিয়াম মানি) ৬ টি কিস্তিতে ওই সংস্থাকে বর্ধমান পৌরসভাকে মিটিয়ে দিতে হবে বলে মৌ চুক্তিতে উল্লেখ থাকে।রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, মৌ চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয় গোদা মৌজার ওই জমিতে বেসমেন্ট সহ ৬ তলার একটি শপিং কমপ্লেক্স ও বেসমেন্ট সহ ৮ তলার ৪ টি রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স তৈরি হবে। সেই মতো পৌরসভা থেকে প্ল্যানও অনুমোদন হয়। প্ল্যান অনুযায়ী কাজও শুরু হয়। তারই মধ্যে পৌরসভার পাওনা ১৪ কোটি টাকা মিটিয়ে দেয় আরডিবি রিয়েলিটি এ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। তারপরেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই সংস্থাটি বিল্ডিংয়ের হাইট এক্সটেনশনের জন্য বর্ধমান পৌরসভায় আবেদন করে। অভিযোগ, মৌ চুক্তির শর্ত দূরে সরিয়ে রেখে ব-কলমে সংস্থাটিকে অনুচিত সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়।সেই সুবিধা পাওয়ার দৌলতেই সংস্থাটি বেসমেন্ট সহ ৮ তলা রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স তৈরির পরবর্তে করে নেয় বেসমেন্ট সহ ১২ তলার ৪টি রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স। অর্থাৎ ভিতরে ভিতরে সেটিং করে নিয়ে ওই সংস্থাটি অতিরিক্ত ১লক্ষ ১ হাজার ৭৯০ স্কয়ারফিটের বিল্ডিং তৈরি করে নেয়। বিল্ডিংয়ের এই হাইট এক্সটেনশন সংক্রান্ত কোনও নথি বা বোর্ড অফ কাউন্সিলার্সদের করা কোন রেজিলিউসন-র কপিও অডিটররা পৌরসভায় পাননি। অডিট রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, বিল্ডিংয়ের হাইট এক্সটেশন করা নিয়ে সংস্থাটি বর্তমান বাজার মূল্য মোতাবেক ২২ কোটি ৯০ লক্ষ ২৮ হাজার ২৮৭ টাকা মুনাফা করে নেয়। কিন্তু হাইট এক্সটেনসশনের দরুন বর্ধমান পৌরসভায় কোনও প্রিমিয়াম অর্থ জমা না পড়ায় পৌরসভা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও ওই নির্মানকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার পুগুলিয়া এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিল্ডিং নির্মান সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বচ্ছ ভাবে রয়েছে। নতুন করে নকশার জন্য পৌরসভাকে তাঁদের বেশী টাকা দিতে হয়েছে। তবুও কেন অডিট রিপোর্টে এ ভাবে লিখেছে তা জানি না।একই অডিট রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শপিং কমপ্লেক্স ও রেশিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স ছাড়াও পৌরসভা ৫৯৯ মেমোতে অপর আরও একটি হাইরাইজ বিল্ডিং স্যাংশন করেছিল। তার কোনও নথির হদিশ যদিও পৌরসভায় পাননি অডিটাররা। অর্থপ্রাপ্তি থেকে পৌরসভাকে বঞ্চিত করে কারা-কি উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারী সংস্থাকে এই আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিল সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।অপর একটি অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে বর্ধমান পৌরসভা বেআইনি ভাবে ১০ টি বহুতল (হাইরাইজ বিল্ডিং) নির্মানের ছাড়পত্র দিয়ে ৪১.৩৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। যদিও ওইসব বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাস নেই পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের কোনও রিপোর্ট। সুপারেনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লেভেল থেকেও ওইসব বিল্ডিংয়ের প্ল্যান ভেটেড করা হয়নি। বহুতল তৈরি হলেও পৌরসভার নথিতে তার স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়নি। এমনকি এই ক্ষেত্রে ওয়েস্টবেঙ্গল বিল্ডিং রুল ২০০৭ কে মান্যতাও দেওয়া হয়নি বলে অডিটাররা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।এই বিষয়ে বর্ধমান পৌরসভার উপ-প্রশাসক আইনুল হক বলেন, অডিট রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। রিপোর্টের আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা জানিয়েছেন, সঠিক ভাবে অডিট রিপোর্ট তৈরি হলে এই বাংলার সমস্ত পৌরসভার এমন আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসবে। সুনীল বাবু দাবি করেন, বর্ধমান পৌরসভার দায়িত্বে থাকা শাসক দলের কর্তা ব্যক্তিরা এই সব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। বেআইনি জেনেও তাঁরা কাটমানি খেয়ে বেআইনি ভাবে এইসব বহুতল বিল্ডিং নির্মানে ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছেন। বেআইনিভাবে নির্মিত ওই সব বহুতল যে কোনও সময় ভেঙে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। শুধু অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করলেই হবে না। যাদের অঙ্গুলি হেলনে বর্ধমান পৌরসভা এলাকায় একাধিক বেআইনি বহুতল বিল্ডিং নির্মান হয়েছে তাঁদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকেই সামনে রেখে বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলে বিজেপি নেতা সুনীল গুপ্তা এদিন জানিয়ে দেন। অডিট রিপোর্টের বিষয়টি জানার পর জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বও তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
রাজ্য

Municipal Administrator: বর্ধমানের পুর-প্রশাসক পদে প্রাক্তন সাংসদ, তৃণমূলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বর্ধমান পৌরসভার পুর-প্রসাশক পদে বদল। চিট-ফান্ড মামলায় বর্ধমান পৌরসভার পুর-প্রশাসক প্রনব চট্টোপাধ্যায়-এর সিবিআই গ্রেপ্তারির কারণে পুর-প্রসাশকের পদে বদল আনা হল। সোমবার আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলার পর প্রনব চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ২৭ তারিখ হবে বলে জানানো হয়। মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বদলের কথা জানান। তবে বাকি সদস্যদের কোনও বদল হচ্ছে না এই মুহুর্তে।আরও পড়ুনঃ ভুঁইফোর বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় গ্রেফতার বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসকপ্রনব চট্টোপাধ্যায়পর জায়গায় নিয়ে আসা হল প্রক্তন সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা-কে। মমতাজ সঙ্ঘমিতা পেশায় ডাক্তার ও অধ্যাপক। তিনি ২০১৪-২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বর্ধমানদুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মমতাজের স্বামী ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তাঁর স্বামী নুরে আলম চৌধুরি ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বীরভূম জেলার মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।মমতাজ সঙ্ঘমিতামমতাজ সঙ্ঘমিতার পিতা ছিলেন মনসুর হবিবুল্লাহ, তিনি ব্রামফন্ট সরকার পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী ছিলেন। ছোট থেকেই মার্ক্সবাদী আদর্শে বেড়ে ওঠা। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পরই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন।আরও পড়ুনঃ সোমবারের তুলনায় আরও নামল পারদ, মরশুমের শীতলতম মঙ্গলবারপ্রনবকে অপসারিত করে মমতাজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ায় মিশ্র পতিক্রিয়া শহরজুড়ে। সাধারণ মানুষের অনেকের-ই বক্তব্য প্রশাসক ও সহ-প্রসাশক দুটি পদেই বামফ্রন্ট-এর প্রক্তনীর লেবেল। তাহলে কি বর্ধমান শহরে আদি যোগ্য তৃণমূল নেতার অভাব? তৃণমূল নেতা সুজিত কুমার ঘোষকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জনতার কথা-কে বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই শেষকথা। আমরা দলের অনুগত সৈনিক, দলের আনুশাসন মেনেই আমরা চলব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সমর্থক জানান, এই সিদ্ধান্ত দলের বিরুদ্ধেই যাবে। সাংসদ হিসাবে তিনি চুড়ান্ত ব্যর্থ ছিলেন বলেই দ্বিতীয়বার তিনি পরাজিত হন বিজেপি পার্থীর কাছে। আবার দলের একাংশের বক্তব্য, মমতাজ সাংসদের দ্বায়িত্ব সামলে এসেছেন, বর্ধমান পৌরসভার কাজ করতে তাঁর কাছে খুব একটা সমস্যা হবে না।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

CBI: ভুঁইফোর বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় গ্রেফতার বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক

গ্রেপ্তার হলেন বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। একটি ভুঁইফোর বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের (ক্ষুদু) নাম জুড়ে যায়। সেই মামলাতেই তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে আসানসোল সিবিআই কোর্টে তাঁকে তোলা হয়। এর সাথেই সিবিআইয়ের একটি দল হানা দিয়েছে বর্ধমানে প্রণবের বসতবাড়ি ও ঢলদিঘি সংলগ্ন তাঁর অফিসে। তাঁর অফিসেও দীর্ঘক্ষন তল্লাসি চালায় তদন্তকারি দলটি। সূত্র মারফত জানা যায় বর্ধমান সানমার্গ নামক একটি ভুঁইফোর বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই বর্ধমান পুরসভার বর্তমান প্রশাসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থাটি তাঁর ঢলদিঘি অফিসে কিছুদিন ভাড়া ছিল। স্থানীয়দের ধারনা সে কারণেই হয়ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে গেছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ের সায়াহ্নে এসে মাত্র চার মাস আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দ্বায়িত্ব পান প্রণব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রণবকে আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ নিয়েছে আদালত।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
রাজ্য

BJP-TMC: এক ফ্রেমে বিজেপির শীর্ষ নেতা ও বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক, জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমল কংগ্রেসে যোগদানের হিরিক পড়ে গিয়েছে। রাজ্য স্তর থেকে জেলা স্তরে চলছে যোগদান পর্ব। এদিকে বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে জেলা বিজেপির এক নেতা পুষ্পস্তবক তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়কের হাতে। সৌজন্য়মূলক দৃশ্য মনে হলেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ছবিকে ঘিরে। ছবিটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন স্বয়ং অঞ্জন মুখোপাধ্যায়।সম্প্রতি বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূল নেতা ইন্তেকাব আলম ও শিবশঙ্কর ঘোষ। ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়কের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। যদিও এই অনুষ্ঠান ছিল বর্ধমান ডিজ-এবেল্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে। তবু দুই বিপরীত প্রান্তের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হাজির থাকায় বিতর্ক সামনে এসেছে। তৃণমূল বিধায়ক ও অন্য তৃণমূল নেতারাই ছিলেন মঞ্চ আলো করে। তবে একাংশের বক্তব্য, উন্নয়ন যজ্ঞে এমন রাজনৈতিক সৌজন্য থাকাটাই স্বাভাবিক।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। এর আগে তিনি ছিলেন আরএসপির যুব সংগঠনের রাজ্য নেতা। এবার তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তাঁকে এক ফ্রেমে দেখা যাওয়ায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধমানের একাধিক বিজেপি নেতা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ গোয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চোটআঘাতে জর্জরিত এসসি ইস্টবেঙ্গলআরও পড়ুনঃ জোরে বোলার থেকে স্পিনার, আজাজকে দারুণ উপহার ভারতীয় দলের

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

BMC: "বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢোকার মুখে টোটোর দৌরাত্ম্য", ক্ষোভপ্রকাশ মন্ত্রীর

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান হওয়ার পর আধিকারিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। রবিবার মন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামি ৮ ডিসেম্বর রোগী কল্যান সমিতি প্রথম অফিসিয়াল বৈঠকে বসবে। এদিনের বৈঠকে হাসপাতালের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে অবগত হন স্বপন দেবনাথ। ওই দিন কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে তাও এদিন স্থির হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি করেছে। একথা বলেও স্বপন দেবনাথ জানিয়ে দেন, এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। স্বপন দেবনাথ বলেন, উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ অব্যাহত থাকলেও তবু তো কিছু খামতি আছে, ঘাটতি আছে বেশ কিছু জায়গায়। সেগুলো নিয়ে আগামি ৮ তারিখের বৈঠকে আলোচনা হবে। এদিন আলোচনায় শিশু বিভাগ, এক্সরে, এমআরআই ও সিটি স্ক্যানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে ঢোকার মুখে টোটোর দৌরাত্ম্য রয়েছে। টোটোর জন্য হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। তাঁকে নেমে রাস্তায় যানজট সরাতে হচ্ছে। রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না। এখানে যানজট একটা বড় সমস্যা। এটা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা দরকার। পিডব্লুডির সঙ্গেও কথা বলতে হবে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Burdwan Municipality: লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে করোনা টিকাকরণ বর্ধমানে, চলছে শহর জুড়ে সার্ভে

সীমিত ক্ষমতার মধ্যে করোনা টিকাপ্রদানে রাজ্য খুব ভাল কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান পুরসভা এলাকায় টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে চলছে দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্প। তাছাড়া শহরে যাঁরা এখনও করোনা ভ্যাকসিন নেননি তাঁদের খুঁজে বের করার জন্য সার্ভে করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে।করোনা সংক্রমণের নিরিখে এদিনও রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে কলকাতা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুসারে রবিবার কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৮ জন, তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩০ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ জন। তার মধ্যে বর্ধমান শহরে মাত্র ১ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৫। এদিকে ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বেই। যদিও রাজ্যে করোনা টিকারকরণের গতি অব্যাহত।বর্ধমানের উপ-পুরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, বর্ধমানে দ্রুত গতিতে চলছে কোভিড টিকাকরণের কাজ। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি। প্রথম ডোজে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার। এরইমধ্যে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার। শহরের বাইরের বহু মানুষ টিকা নিচ্ছেন। পুর এলাকায় এখন ২০টি টিকারকরণ শিবির চলছে। এর আগে ২৭টি শিবির ছিল। রাজ্যে যেন একজনও কোভিড টিকা থেকে বাদ না যায় সেকথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনুল হক বলেন,, দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্পও শহরে চালু রয়েছে। অসুস্থ, শারীরিক ভাবে অক্ষম ও সিনিয়ার সিটিজেন-রা পৌরসভা-য় যোগাযোগ করলে আমাদের ভ্যাকসিন-ভ্যান তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি একজনও কোভিড টিকাকরণ থেকে বাদ না পড়ে তার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Agriculture Act: কৃষি আইন বাতিল ঘোষণায় লাড্ডু বিতরণ বর্ধমানে

কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল ঘোষণায় তৃণমূল সহ বিরোধী দলের নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের অভিনন্দন জানাতে সোমবার বর্ধমানের বড়নীলপুর মেড়ে মানুষের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হয়। এই তিন আইন বাতিল করার জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বর্ধমানের তৃণমূল নেতা সুজিত ঘোষ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, আন্দোলনকারী কৃ্যক সংগঠন ও তৃণমূল কংগ্রেসের ক্রমাগত প্রতিবাদের ফলেই এই তিন কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি। সোমবার তৃণমূল নেতা সুজিত ঘোষ বলেন, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় কালা কৃষি আইনের টানা প্রতিবাদ করেছেন। পথে নেমে তৃণমূল আন্দোলন করেছে। কৃ্যকদের কোনও সমস্যা হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে ভাবে নির্দেশ দেবে সে ভাবেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমরা কৃষকদের পাশে আছি। রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকদের সঙ্গে থাকে। এদিকে দিল্লিতে আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছে, শুধু মুখে ঘোষণা করলে হবে না কৃষি আইন বাতিলের পক্ষে সংসদে বিল আনতে হবে মোদি সরকারকে।

নভেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

Tmc: অভিনেত্রী শুভশ্রীর বাবাকে হেনস্তা, স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল বসানো নিয়ে তৃণমূলে বিবাদ

স্কুলে করোনা প্রতিরোধ করা নিয়েও দলীয় অন্তর্কলহ। সোমবার বর্ধমানে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যার ফলে আহত হয় তিন তৃণমূল কর্মী। তৃণমূল বিধায়ক প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর তথা অভিনেত্রী শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ আলি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। দেবপ্রসাদবাবু নিজেকে চার নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার বলে দাবি করেছেন।জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্যালিকা অনাবাসী ভারতীয় অনিতা গাটকারি স্থানীয় দুটি স্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল দেবার জন্য মনস্থির করেন। সেই কারণে দেবপ্রসাদবাবু বর্ধমান শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ধমান দুবরাজদীঘি হাইস্কুল ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে যোগাযোগ করেন। দেবপ্রসাদবাবুর দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই তার শ্যালিকা ও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালে দুবরাজদীঘি হাইস্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসাতে যান। অভিযোগ, তখন চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ আলি ও তার ভাইপো তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা নুরুল আলম তাঁদের স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে বাধা দেয়। তাঁদের আপত্তি, ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি না নিয়ে কারও ব্যক্তিগত নামে স্যানিটাইজার ট্যানেল স্কুলে লাগানো যাবে না। এই নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। এই বাগবিতণ্ডার মধ্যেই মহম্মদ আলি ও নুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, হাতে বন্দুক, লাঠি ও রড নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। এই আক্রমণের মুখে পরে দেবপ্রসাদবাবুর সঙ্গে থাকা সেখ হায়দার আলি, সেখ খোকন, শশীরাম ও গোবিন্দা মাল নামে চার তৃণমূল কর্মী আহত হয়। স্যানিটাইজার ট্যানেলটিও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে দেবপ্রসাদ বাবু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর শ্যালিকা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে বলেছেন দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।তাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল আলম জানান, উনি কোনও অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত একজনের নামে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে এসেছিলেন। কোনও সরকারি স্কুলে কাজ করাতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। উনি তা না করে গায়ের জোরে এলাকায় নিজের কতৃত্ব কায়েম করতে এই কাজ করতে এসেছিলেন। তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিতে আলোচনা হবার পর স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিজেকে এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেও দাবি করেন নুরুল আলম।যদিও এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার মালিক জানিয়েছেন, দেবপ্রসাদবাবু আমার কাছে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আমি ওনাকে এটি করতে বলেছিলাম। যেটা ঘটলো সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

নভেম্বর ১৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal