• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Buddhadeb Bhattacharya

রাজনীতি

প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কাল দেহ শায়িত থাকবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তরে

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যে প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, সকালেও বুদ্ধদেববাবু প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। এখন তাঁর মরদেহ তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়েত বাসস্থানেই থাকবে। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী চক্ষুদানের ব্যবস্থা হয়েছে।দুপুর ১২:৩০ টার সময়ে পিস ওয়ার্ল্ডে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল সকাল ১০:৩০ থেকে ৩১, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট, সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফফর আহমদ ভবনে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য শায়িত থাকবে তাঁর মরদেহ। এরপর সেখান থেকেই বিকেল ৪টে নাগাদ কমঃ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল করে।নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে মরণোত্তর দেহদান করা হবে।দীর্ঘ বছর ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন পাম অ্যাভিনউর ছোট্ট ফ্ল্যাটে। আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময়েও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত বছর ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। ২০২১-এ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো ছিলেন বুদ্ধদেববাবু।

আগস্ট ০৮, ২০২৪
রাজ্য

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সঙ্কটে, তবু তীব্র বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে

এখনও সঙ্কট কাটেনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আগামিকাল সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। রাইলস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সুগার নিয়ন্ত্রণে তাঁকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। সচেতন রয়েছেন, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন। শুনতে পাচ্ছেন, জানাচ্ছে মেডাক্যাল বোর্ড। ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ কাটাতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। আগামিকাল আরও রক্তসহ নানা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এদিন হঠাৎ তাঁর রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। কিডনিতেই সমস্যা রয়েছে বুদ্ধদেববাবুর। এদিকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে বিতর্কও শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, বুদ্ধদেববাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তবে যাঁরা তাঁকে মহাপুরুষ বানাচ্ছেন সেটাও ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিকিৎসার দিকে নজর রাখছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী কনীনিকা ঘোষ। তিনি বলেন, জেলখাটা আসামী এমন কথা বলতেই পারেন। এরা কি মানুষ! লজ্জা হয়। আমি ধিক্কার জানাই। কুণালের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কুণাল ঘোষের শিক্ষা-দিক্ষা, রুচি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। উনি যা বলেছেন তিনি তাঁর রুচি অনুযায়ী বলেছেন। আমরা দেখতে গিয়েছি তাতে কারও যদি আদিখ্যেতা মনে হয় কিছু বলার নেই।বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরা প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীকে সৎ বলেই আখ্য়া দিয়েছেন। তারপর এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের বক্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সুত্রপাত হয়।

জুলাই ৩০, ২০২৩
রাজ্য

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল

অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শনিবার ভর্তি করা হল হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নীচে নেমে গিয়েছিল। কমে গিয়ছিল পটাশিয়ামের মাত্রাও। এদিন সকাল ১১টা থেকেই তাঁর সমস্যা শুরু হয়। সেই কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডা, সুস্মিতা দেবনাথ, আশিস পাত্র, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, সপ্তর্ষি বসু ও সরোজ মণ্ডলের মত পালমোনোলজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, মেডিসিন-সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে আট সদস্যের এক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই মেডিক্যাল টিমই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেই চিকিৎসা করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সি-প্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল শনিবার সংস্কৃত কলেজের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে তিনি খবর পান। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যান হাসপাতালে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার পর রাজ্যপাল জানান, দক্ষ চিকিৎসকরা তাঁর দেখভাল করছেন। আশা করা যায়, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। সিপিএমের তরফে রবীন দেবও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অক্সিজেনের মাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের পথে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দিকে। হাসপাতালের তরফে নিয়মিত মেডিক্যাল বুলেটিনে যাবতীয় বিষয়গুলো জানানো হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।দীর্ঘদিন ধরেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মাঝে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। শ্বাসকষ্ট, সিওপিডিও এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যায় রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার পর পরিবারের লোকজন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে খবর দেন। তারপরই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন পাম এভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আনা হয় হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন সপ্তর্ষি বসু-সহ দুজন চিকিৎসকও। এরপর গ্রিন করিডরে অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হয় দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন বাড়িতে রুটিন চেক আপে ধরা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাপারে বরাবর অনীহা রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।

জুলাই ২৯, ২০২৩
কলকাতা

করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

এবার করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে তাঁর স্ত্রীর শরীরেও। মীরাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তাঁর শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যেরও উপসর্গ ছিল। সেই কারণেই ঝুঁকি না নিয়ে করোনা পরীক্ষা করান তাঁরা। দুজনেরই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। বুদ্ধদেববাবুর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে মীরাদেবী অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮৫ মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বলেই খবর। সেই কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত দেশবাসী। রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই বহু রাজনীতিবিদের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। বহু বিশিষ্টজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতিত মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য। একাধিক ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

মে ১৯, ২০২১
কলকাতা

প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী ও কন্যা ভোটের লাইনে দাঁড়ালেও ঘরবন্দি থাকবেন তিনি। সুস্থ থাকলেও এবারে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত ভলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এই প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন পদক্ষেপ করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। বাকি দুই দফার নির্বাচনের আগে বেশকিছু কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে কমিশনকে। প্রচারে সংযত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এরমধ্যেই আজ সপ্তমদফা নির্বাচনের কলকাতার চারটি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ হচ্ছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রের ভোটার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থতার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের লাইনে দাঁড়াননি তিনি। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও কন্যা সুচেতনা ভোট দিলেও যাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধবাবু।বুদ্ধবাবু যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আগেই কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল পার্টি। কমিশনের পক্ষ থেকে পাম এভিনিউর বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণের আবেদন করা হয়। কিন্তু বুদ্ধবাবুর বয়েস যেহেতু আশির নিচে তাই ভোটগ্রহণ করতে অস্বীকার করে কমিশন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় শরীর ভাল থাকলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের অধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি। কিন্তু দিন যতো গড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে ভোট না দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বালিগঞ্জ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম নিজেও চাইছিলেন না বুদ্ধবাবু ভোট দিতে যান। তিনি বলেন, পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না উনি বাড়ির বাইরে বেরোন। তার সঙ্গে একমত আলিমুদ্দিনের সিংহভাগ নেতৃত্ব। তবে সবটাই নির্ভর করছিল বুদ্ধবাবুর ওপর। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শই মানলেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
কলকাতা

কুটিল চিত্রনাট্য ছিল নন্দীগ্রামে, সরব তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী

বর্তমানের পরে এ বার প্রাক্তন। প্রায় দেড় দশক আগে নন্দীগ্রামে এবং সিঙ্গুরের জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে কুটিল চিত্রনাট্যের অভিযোগ তুললেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে চক্রান্ত, তার জেরে রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে সোমবার এ বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন বুদ্ধ। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে দুষে লিখেছেন, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ।পাশাপাশি, দেড় দশক আগে বামফ্রন্টের স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে বুদ্ধ লিখেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি, তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি-শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। ঘটনাচক্রে, নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে রবিবার রেয়াপাড়ায় তৃণমূলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষেছিলেন শিশির এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বাপ-ব্যাটার অনুমতি নিয়েই পুলিশ নন্দীগ্রামে অভিযান চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকী, হাওয়াই চটি-পরা পুলিশ ঢোকানোর দায়ও মমতা চাপিয়ে দেন তাঁদের ঘাড়ে। তবে স্থানের উল্লেখ করেও সরাসরি কাল এবং পাত্রের নাম না করেননি সে সময়ের পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধ। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চের পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু কিংবা নভেম্বরের সূর্যোদয় (নন্দীগ্রামে সিপিএমের পুনর্দখল) প্রসঙ্গ নিয়েও কিছু বলেননি। রবিবার মমতার মন্তব্যের পরেই নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে নেটমাধ্যমে প্রচারে নামে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তৎকালীন বিরোধী নেত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, ওই ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল! কারণ, শিশির-শুভেন্দু এবং মমতা তিনজনেই তখন বিরোধী তৃণমূলে ছিলেন। বুদ্ধ অবশ্য এর আগেও নন্দীগ্রামের ঘটনার (পুলিশি গুলিচালনা) পিছনে চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তী কালে নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী।

মার্চ ২৯, ২০২১
কলকাতা

ব্রিগেডে নেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

খবর ছিল, এবারের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই মতো চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শও নেওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলেনি অনুমতি। সুতরাং এবারও ব্রিগেড ময়দানে দেখা যাবে না তা্ঁকে। এই বিষয়ে মর্মাহত হয়ে তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গিয়েছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দি, যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
কলকাতা

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফিরলেন নিজের প্রিয় ঘরে। আগের থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল তিনি। তাই হাসপাতালে তাঁকে রাখার প্রয়োজন আর নেই বলেই মনে হয়েছে চিকিৎসকদের। মঙ্গলবার সকালে কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়। তারপরই ছাড়া পান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাড়িতেও বহু নিয়ম মানতে হবে তাঁকে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। পাম অ্যাভিনিউতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আইসিইউর মতো ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বাই প্যাপের সুবিধাও রয়েছে। আগামী কয়েকদিন হালকা ডায়েটই চলবে বলে জানা গিয়েছে। বুদ্ধবাবুর বাড়িতেই নেবুলাইজেশনের ব্যবস্থা ও পোর্টেবল ভেন্টিলেটর রয়েছে, তাই সেদিক থেকেও অসুবিধা হবে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপসহ অন্যান্য প্যারামিটার স্বাভাবিক। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করে টুইট ডেরেকের ৯ ডিসেম্বর দুপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দলীর নেতাদের পাশাপাশি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
কলকাতা

ভাল আছেন বুদ্ধদেব, মঙ্গলবার ফিরছেন বাড়ি

ভাল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে তাঁর।মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাতেও ভালভাবে ঘুমিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে তাঁকে খবরের কাগজ পড়ে শোনানো হয়েছে। তবে চোখের সমস্যার কারণে তাঁকে টিভি দেখতে দেওয়া হয়নি। নরম খাবারের বদলে তাঁকে ফল ও কিছুটা শক্ত খাবার দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ আমি একশোবার চাইব, রাজ্যে ৩৫৬ জারি হোকঃ মুকুল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর ক্যাথিটারও খুলে দেওয়া হয়েছে। অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁর শরীরের বিভিন্ন মাপকাঠি স্বাভাবিক রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
কলকাতা

সঙ্কট মুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

অনেকটাই সুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুক্রবার রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। চেতনাও একেবারে স্বাভাবিক। অল্প অল্প কথাও বলছেন তিনি। শনিবার সকালে এমনই স্বস্তি খবর শোনাল উডল্যান্ডস হাসপাতাল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমানে বিপদমুক্ত। আরও পড়ুন ঃ মোদী সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেনঃ অপর্ণা সেন গত রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে তাঁর। জ্ঞানও রয়েছে। কথা বলতেও পারছেন। রক্তচাপের মাত্রা ও মূত্রত্যাগের পরিমাণও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফেরার পরই চিকিৎসক ও সবসময়ের সঙ্গীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, আমি বাড়ি যেতে চাই। এদিনই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁর ইউরিনারি ক্যাথিটারও। তবে এখনও অ্যান্টি বায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধগুলি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অর্থাৎ সব ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দলীয় নেতাদের পাশাপাশি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ডিসেম্বর ১২, ২০২০
কলকাতা

ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে

ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। শুক্রবার বিকেলের আগেই সুখবর শোনালেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিন বিকেল নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বেলা ১১.৩০ নাগাদ ধীরে ধীরে ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে পাঠালেও দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি পরবর্তী দুঘণ্টা ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে তিনি শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন কি না, রক্তচাপ কিংবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কি না, এসবই নজরে ছিল চিকিৎসকদের। শেষপর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেই বুলেটিনে জানিয়েছেন তাঁরা। আপাতত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আরও বেশ খানিকটা সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। শুক্রবার সকালে উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ আর তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা আপাতত স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন। তবে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থা এখনও কাটেনি তাঁর। ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমলেও, তা চলছে। এই মুহূর্তে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬, যা স্বাভাবিক। তাকে রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি ধীরে ধীরে তা গ্রহণ করতে পারছেন। ডাকলে খুব ধীরে চোখ খুলে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েকটি স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক এখনও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সর্বক্ষণ তাঁকে নজরে রেখেছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি হন ৭৬ বছর বয়সি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

এখনও সঙ্কটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই সঙ্কটমুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসকেরা। ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর শরীরের একাধিক প্যারামিটার অবশ্য সন্তোষজনক। বৃহস্পতিবার বিকেল এক মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনও পর্যন্ত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ প্রচার না পেয়ে গুন্ডাদের দিয়ে হামলার নাটক করাচ্ছেঃ মমতা তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। রক্তচাপ, পালস রেট ঠিক আছে। ইউরিন ঠিকমতো হয়েছে। সকালে বৈঠকের পরে মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয় বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। আচ্ছন্ন থাকলেও জ্ঞান আছে। এখনও মেক্যানিক্যাল ভেন্টিলেশনেই আছেন। এবং আপাতত সেখানেই থাকবেন। তবে যাতে তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা যায় ধীরে ধীরে সেই চেষ্টাই চলছে। বিকেলের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে স্যালাইনের মাধ্যমে। খাবার দেওয়া হচ্ছে রাইস টিউবের সাহায্যে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন মমতা, করলেন দ্রুত আরোগ্য কামনা

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার দুপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিএম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী। আরও পড়ুন ঃ আগামীকাল প্রকাশিত হবে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। উনি সেরে উঠুন। পরিবারের পাশে আছি। হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে অবস্থার অবনতি হয়েছে বুদ্ধবাবুর। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রথমে কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাঁর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়েছে। ভর্তি হওয়ার সময় ৮৮ থাকলেও পরে তা বেড়ে হয়েছে ১৩১। তাঁর চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জের, হাসপাতালে ভরতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জেরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বুধবার দুপুরে তাকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে ভরতি করার সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে সেখানে তাঁর কন্যা উপস্থিত হয়। তাঁর চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অক্সিজেনের স্যাচুরেশন লেভেল ৭০ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। এর জেরে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিক অবস্থার কারণেই দীর্ঘদিন জনসমক্ষে দেখা যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও পড়ুন ঃ কৃষি আইনের বিরোধিতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তৃণমূলের সিপিএমের কোনও দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি এখন আর যোগ দিতে পারেন না, যেতে পারেন না দলীয় দফতরে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি। বাড়িতেও কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্টের রাখা হয়েছিল তাঁকে। মাস কয়েক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেসময় তাঁর খোঁজ নিতে বুদ্ধবাবুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

অষ্টমীর সন্ধ্যায় বুদ্ধদেবের বাড়ি গেলেন সস্ত্রীক ধনকড়

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।এরপর রাজ্যপাল একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, শ্রীমতী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে আজ প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা-সহ আরোগ্য কামনা করেছি। আরও পড়ুনঃ সৌমিত্রকে অন্ধকারে রেখেই জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের পদ বাতিল করলেন দিলীপ পোস্টে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সস্ত্রীক তাঁর সাক্ষাতের ছবিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে শয্যাশায়ী বুদ্ধবাবুর নাকে লাগানো রয়েছে অক্সিজেনের নল। এদিন পাম এ্যাভিনিউয়ে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে স্বাগত জানান বুদ্ধ জায়া মীরা ভট্টাচার্য। পরে রাজ্যপাল জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত সজ্জন ব্যক্তি। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি।

অক্টোবর ২৫, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal