• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengal

রাজ্য

'নগরের নটী' পায়েল-তনুশ্রীদের হার নিয়ে বিজেপিকে তোপ তথাগতর

বেহিসেবি মন্তব্যে অনেক কাল ধরেই তাঁর বেশ নামডাক। তবে এত দিন তথাগত রায়ের সেই সব মন্তব্য ধাবিত হত বিজেপি-বিরোধীদের প্রতি। কিন্তু বঙ্গ দখলের লড়াই শেষ হতে সেই তথাগত রায়ের দিকে তোপ এ বার ধেয়ে গেল দলীয় নেতৃত্বের দিকে। বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের একাংশকে নাম করে নগরীর নটী বিশেষণ দেওয়া হোক বা দলীয় নেতৃত্বকে প্রভু হিসেবে উল্লেখ করা বাছা শব্দচয়নে শুধু কটাক্ষই নয়, বিজেপি নেতৃত্বকে প্রশ্নবাণেও বিদ্ধ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা তথাগত টুইট করে দলের তিন তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার ও তনুশ্রী চক্রবর্তীকে টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওই তিন প্রার্থীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননের ভূমিকাকেও জিজ্ঞাসাচিহ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তথাগত মঙ্গলবার সকালে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?এর পর তিনি আর একটি টুইট করে আগের বক্তব্যে একটু সংশোধন করেন। সেখানে তিনি জানান, পার্নো নয় ওই নামটি তনুশ্রী চক্রবর্তী হবে। তিনি প্রথমে ভুল করে লিখে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তথাগত। রাজনীতিতে পোড় খাওয়া তথাগতর বেহিসেবি মন্তব্য নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য নিয়ে আগেও বহু বার সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এ বার দলের দিকে তোলা তাঁর প্রশ্নে রীতিমতো অস্বস্তিতে দল। প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও বিজেপি নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, এটা তথাগতর নিজের বক্তব্য। দলের মন্তব্য নয়।

মে ০৪, ২০২১
রাজ্য

মতুয়া ও রাজবংশীদের হাত ধরে কিছুটা মান বাঁচল বিজেপির

উত্তরে রাজবংশী। দক্ষিণে মতুয়া। প্রান্তিক, উপেক্ষিত দুই সমাজ অনেকটাই পাশে না থাকলেরাজ্য বিজেপির আসন সংখ্যা আরও বেশ কিছুটা কমতো বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাঁদের সমর্থনে ভর দিয়েই একটা সম্মানজনক সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। না হলে আসনসংখ্যা হয়তো অর্ধশতকের আশপাশে আটকে যেত পদ্মের। ভোটের ফলাফলের বিন্যাস বলছে, মতুয়া ও রাজবংশী প্রভাবিত প্রায় প্রতিটি আসন জিতেছে বিজেপি। পূর্ববঙ্গ থেকে আসা দুই সম্প্রদায়ের মানুষের প্রভাব রয়েছে এমন এলাকার ভোটবাক্সে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। ব্যতিক্রম একমাত্র উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। মতুয়া ভোট ঘরে তুলতে দুই তরফেই দীর্ঘ লড়াই জারি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বেশ কিছু আসন জেতা-হারা নির্ভর করে মতুয়া ভোটের উপরে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির প্রিয় ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি রাজনৈতিক ক্ষমতার টানাপোড়েনে দুই ভাগে বিভক্ত। সেখানকার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক টানাপোড়েনের মধ্যে রাজ্যের তরফের উন্নয়নকাজ অব্যাহত। অন্যদিকে আবার বিজেপির তরফেও রয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি এবং এনআরসি ইস্যুতে মতুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বনগাঁর উত্তর ও দক্ষিণ, বাগদা, গাইঘাটা জিতেছে বিজেপি। হাবড়া আসনে সামান্য ভোটে জিতেছেন খাদ্যমন্ত্রী। পাশের জেলা নদিয়ায় রানাঘাট উত্তরপূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, কৃষ্ণগঞ্জে মতুয়া ভোটের আধিক্য রয়েছে। সেখানে বিজেপি জিতেছে। মতুয়া নির্ণায়ক শক্তি এমন আসন হরিণঘাটা, কল্যাণী জিতেছে গেরুয়া শিবির। তবে তেহট্টে মতুয়া ভোট পেয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে গত লোকসভা ভোটেই ভাল ফল করেছিল বিজেপি। তার আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে যে কিছুটা হলেও হাওয়া রয়েছে তা বোঝা গিয়েছিল। এবার দেখা গেল রাজবংশী এবং কামতাপুরী সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে এমন আসনগুলি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের।অন্যিদিকে, কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু আসন জিততে পারেনি তৃণমূল। এগুলি সবই রাজবংশী ভোটার বেশি। তারাই নির্ণায়ক শক্তি। গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনেও প্রাণ গিয়েছে এখানকারই মানুষের। এখানে দলের মধ্যে খুবই ঝামেলা রয়েছে যা ভোটের আগেও মেটানো যায়নি। নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে ভোটের বাক্সে। আবার পাহাড়ের দার্জিলিং ও কার্সিয়াংসহ ডুয়ার্সের আদিবাসী অধু্যষিত একাধিক আসন জিতেছে বিজেপি। যেগুলি পকেটে না পুরতে পারলে মোট আসনের নিরিখে সংখ্যাটা একটুও ভারী বা ওজনদার মনে হত না। তথ্য ও পরিসংখ্যানের প্রশ্ন মতুয়া এবং রাজবংশী ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে না পারলে কম করে কুড়িটি আসন কম পেতে পারত বিজেপি। এই প্রান্তিক, উপেক্ষিত মানুষগুলির একটা বড় অংশই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মান বাঁচাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মে ০৩, ২০২১
রাজ্য

ফল ঘোষণার দিন বৃষ্টিতে ভিজল বাংলা

ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল বাংলা। চরম অস্বস্তিতে ভুগছে বঙ্গবাসী। এর মাঝেই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস। জানাল, আগামী পাঁচদিন বৃষ্টিতে ভিজবে রাজ্যের মাটি। রয়েছে ঝড়ের পূর্বাভাসও। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৫ দিন অসম এবং মেঘালয়ে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। মে-র ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে ওডিশায় তুমুল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে বাংলার জন্যও। ২ থেকে ৫ মে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে রবিবার সন্ধেয় কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৫ দিন অসম এবং মেঘালয়ে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। মে-র ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে ওড়িশায় তুমুল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে বাংলার জন্যও। ২ থেকে ৫ মে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে রবিবার সন্ধেয় কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, মধ্যপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে। এই রাজ্যের মধ্যভাগে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দপ্তরের। ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে রয়েছে। ফলে ২ মে থেকে ৫ মে এ রাজ্যের আর্দ্রতা বাড়বে। তাই বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে প্রতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে এ নিয়ে সতর্কতাও জারি হয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, সোমবার থেকে বুধবার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টি স্বস্তি দিতে পারে বঙ্গবাসীকে। নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

বাংলা থাকল নিজের মেয়ের হাতেই

সেই এক পায়েই বাংলা দখল করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারের জনসভা থেকে এভাবেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা পায়েই ময়দানে নেমেছিলেন জননেত্রী। কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যত একাই ২৯৪টি আসনে লড়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ওঠা গেরুয়া ঝড়কে বিধানসভা ভোটে একার নেতৃত্বে রুখে দিয়েছেন তিনি। সেই দীর্ঘ লড়াই আর আত্মত্যাগের আজ মধুর ফল পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে অনেকখানি পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগারের অনেক বেশি আসন নিয়ে আরও একবার বঙ্গে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করল মমতার তৃণমূল সরকার। দিদির কাছেই রইল বাংলা। একুশের নির্বাচনের আগে অদ্ভুত এক দলবদলের আবহ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের ঘরভাঙা নিয়ে একটা সময় দলের অন্দরেও চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই যে বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য যথেষ্ট ছিল, তা তৃতীয়বারের জন্য প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। দলত্যাগীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বলে দিয়েছিলেন, যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে না ভেবে, যাঁরা দীর্ঘ দশ বছর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়েই লড়াই জিতবেন। এমনকী নিজের গড় ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জও স্বেচ্ছায় নিয়েছিলেন। যে ভূমি আন্দোলন থেকে তৃণমূলের উত্থান হয়েছিল, সেই মাটিতেই জয়ের নয়া ইতিহাস গড়ার শপথ নিয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে ইতিহাস গড়েছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। সেই মমতা সাম্রাজ্যের পতন ঘটাতে এবার একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসে বঙ্গে প্রচার করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৮টি সভা করে গিয়েছেন। কিন্তু মমতার জনপ্রিয়তা, তাঁর প্রতি রাজ্যবাসীর বিশ্বাস, আস্থা-ভরসাকে টলাতে পারেননি শাহ-নাড্ডা-স্মৃতি ইরানিরা। কেন্দ্রীয় শক্তির চোখ রাঙানিকে কখনওই ভয় করেননি তিনি। বরং ভাঙা পা নিয়েই মিটিং-মিছিল, জনসভা চালিয়ে গিয়েছেন। দশ বছর পরও বিধানসভা ভোটে তিনিই ফ্যাক্টর, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেল। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যে ভারতীয় রাজনীতির সেরা নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম, তা নিয়ে আর কোনও দ্বিধা রইল না।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

করোনায় রাজ্যে একদিনেই মৃত ৯৬ জন

ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল রাজ্যের ৯৬ জনের। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মৃত্যুর সংখ্যা রীতিমতো ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যবাসীর। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যাও। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ১৭,৪১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৩২ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে ওই জেলা। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। সেখানকারও তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯২৪ জন। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে নতুন করে করোনা থাবা বসিয়েছে সেখানকার ৯৭৩ জনের শরীরে। হাওড়া রয়েছে চতুর্থ স্থানে। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ৯২২ জন। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনা গ্রাফও রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,২৮, ৩৬৬।

এপ্রিল ৩০, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে জারি আংশিক লকডাউন বন্ধ শপিং মল-রেস্তরাঁ

করোনা মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ। মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় এবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল, রেস্তরাঁ। বেঁধে দেওয়া হল বাজারের সময়সীমাও। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। জেনে নিন আর কোন কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নবান্ন। সিনেমা হল, রেস্তরাঁ ছাড়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল শপিং মল, বার, স্পা, বিউটি পার্লার, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও জিম। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বা পড়াশোনার বিষয়েও এমন কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না, যেখানে প্রচুর মানুষের জমায়েতের সম্ভাবনা থাকে। বেঁধে দেওয়া হল বাজারের সময়সীমা। সকাল ৭টা থেকে ১০ টা ও বিকেলে ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে। ভোটের ফল প্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্রে জমায়েত করা যাবে না, বিজয় মিছিল করা যাবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সেই নির্দেশ লাগু রাখল রাজ্য। নিয়ম ভাঙলে আইনি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। অর্থাৎ বলা যায়, করোনাকে রুখতে কার্যত আংশিক লকডাউনের পথেই হাঁটল রাজ্য। পরবর্তীতে আরও একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জারি হতে পারে সম্পূর্ণ লকডাউন। আগেই করোনা রুখতে সোমবার থেকে দক্ষিণ দমদমের বাজারগুলি সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ সোম, বুধ, শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। প্রতিদিন কয়েকহাজার মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে ভাইরাস। একজন আক্রান্তের থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। সেই কারণেই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের।

এপ্রিল ৩০, ২০২১
কলকাতা

প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী ও কন্যা ভোটের লাইনে দাঁড়ালেও ঘরবন্দি থাকবেন তিনি। সুস্থ থাকলেও এবারে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত ভলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এই প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন পদক্ষেপ করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। বাকি দুই দফার নির্বাচনের আগে বেশকিছু কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে কমিশনকে। প্রচারে সংযত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এরমধ্যেই আজ সপ্তমদফা নির্বাচনের কলকাতার চারটি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ হচ্ছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রের ভোটার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থতার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের লাইনে দাঁড়াননি তিনি। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও কন্যা সুচেতনা ভোট দিলেও যাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধবাবু।বুদ্ধবাবু যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আগেই কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল পার্টি। কমিশনের পক্ষ থেকে পাম এভিনিউর বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণের আবেদন করা হয়। কিন্তু বুদ্ধবাবুর বয়েস যেহেতু আশির নিচে তাই ভোটগ্রহণ করতে অস্বীকার করে কমিশন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় শরীর ভাল থাকলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের অধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি। কিন্তু দিন যতো গড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে ভোট না দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বালিগঞ্জ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম নিজেও চাইছিলেন না বুদ্ধবাবু ভোট দিতে যান। তিনি বলেন, পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না উনি বাড়ির বাইরে বেরোন। তার সঙ্গে একমত আলিমুদ্দিনের সিংহভাগ নেতৃত্ব। তবে সবটাই নির্ভর করছিল বুদ্ধবাবুর ওপর। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শই মানলেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
রাজ্য

আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। ৫ জেলার ৩৪ আসনে হবে ভোটগ্রহণ। করোনা মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতাও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬, পশ্চিম বর্ধমানের ৯, মালদহের ৬, মুর্শিদাবাদের ৯ এবং কলকাতার ৪টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ।আর এই ভোটগ্রহণের মাধ্যমেই একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে রাজ্যের চার মন্ত্রী, তেমনই রয়েছেন অভিনেতা, তারকা এমনকী বিশিষ্ট ছাত্রনেতা। এরা হলেন,ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, দেবাশিস কুমার, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, ফুয়াদ হালিম, ঐশী ঘোষ।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
রাজ্য

ভাঙড়ের চামড়া কারখানায় বিস্ফোরণে জখম অন্তত ৫

সাতসকালে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠল ভাঙড়ের এক চামড়া কারখানা। ঘটনায় গুরুতর জখম ৫ জন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনা তীব্র আতঙ্ক স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।ঘড়িতে তখন প্রায় ৮টা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বালিগাদায় চামড়া কারখানায় সবে কাজ শুরু হয়েছে। এখানে চামড়া থেকে নানা সামগ্রী তৈরি হয়। সেসবই চলছিল রোজকার মতো। তবে আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে কারখানা। বোঝা যায়, বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রাথমিক ধাক্কা কাটতেই দেখা যায়, অন্তত ৫ জন জখম হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিকটবর্তী নলবড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণে জখম ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় কারখানা বন্ধের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।অভিযোগ, এই চামড়ার কারখানাটি অবৈধভাবে চলছে বহুদিন ধরে। এই এলাকায় অবৈধ কারখানা বন্ধের জন্য় পুলিশকে বারবার বলা হলেও, লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।এদিন বিস্ফোরণের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে সব পরীক্ষা করে। তাদের প্রাথমিক অনুমান, চামড়া কাটার মেশিনের বয়লার থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আতঙ্কিত আশেপাশের মানুষজন।

এপ্রিল ২৪, ২০২১
রাজ্য

জয়ের পর বাংলার মাটি ছুঁয়ে প্রণামের প্রতিশ্রুতি মোদির

করোনা আবহে বঙ্গে এসে নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন বৃহস্পতিবার। বদলে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় রাজ্যের ৫৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । কিন্তু জনসভার সেই চেনা মেজাজটাই নেই ভারচুয়াল প্রচারে। ফলে অনেকটাই নিষ্প্রভ শোনাল তাঁর বক্তৃতা। চিরাচরিত ভঙ্গিতে তৃণমূল সরকারকেও বিঁধতে শোনা গেল না মোদিকে। বাংলার আবেগ উস্কে ফের তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের বিখ্যাত রচনা ও আমার দেশের মাটির দুটি লাইন দিয়ে শুরু করলেন বক্তৃতা। টানা ৩০ মিনিটের বক্তব্যে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা বারবার উল্লেখ করলেও একবারও দিদি, ও দিদি সুর শোনা গেল না মোদির কণ্ঠে। এই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেননি মোদি।একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। এতদিন বারবার দিল্লি থেকে প্রচার করতে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির শীর্ষ নেতারা। রাজ্যে ৮ দফা ভোটের মধ্যে ছটি দফার আগে তাঁরা এভাবেই প্রচার করেছেন। তবে সম্প্রতি দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় কিছুটা রাশ টানতে হয়েছে প্রচারে। প্রধানমন্ত্রী নিজে কোভিড সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার বঙ্গের চার জায়গায় সশরীরে এসে নির্বাচনী প্রচার বাতিল করেছেন। বদলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। আর শুরুতেই সরাসরি আসতে না পারায় দলীয় কর্মী, সমর্থক থেকে আমজনতা সকলের কাছেই ক্ষমা চেয়েছেন মোদি। প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য আপনাদের কাছে আসতে পারলাম না, ক্ষমাপ্রার্থী। তবে ২ মে জয়ের পর বাংলার মাটি ছুঁয়ে মাথা নত করে প্রণাম করব।ভাষণের গোড়ার দিকে বাংলায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তাঁর বক্তব্য, বাংলার প্রতি কোণায় কোণায় গিয়ে জনতার কথা শুনেছি। বুঝেছি, তাঁরা কতটা আগ্রহী পরিবর্তনের জন্য। সোনার বাংলা তৈরির সংকল্প করছেন তাঁরা। আর মানুষের এই ইচ্ছাপূরণের সংকল্প নিয়েছি আমরা। এই নির্বাচন শুধু পরিবর্তনের জন্যই নয়। এই নির্বাচন নয়া আশা, আকাঙ্ক্ষার নির্বাচন। এরপরই মোদি বলেন, গত ৬ দফার ভোটে বিজেপিকে সমর্থনের জন্য বাংলার নাগরিকদের ধন্যবাদ। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বঙ্গবাসীকে গুণ্ডামিমুক্ত, ভ্রষ্টাচারমুক্ত বাংলা উপহার দেবেন। যুব প্রজন্মকে চাকরি এবং মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। গতি পাবে থমকে থাকা মেট্রো প্রকল্পের কাজ। বিজেপির ইস্তাহারে প্রকাশিত একাধিক পয়েন্ট নিয়ে ফের নির্বাচনী ভাষণ দিলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে করোনা সতর্কতা নিয়ে একটি কথাও শোনা গেল না তাঁর মুখে।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
রাজ্য

বঙ্গে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ১৩ হাজার

করোনার বেঙ্গল স্ট্রেনের দাপট। রাজ্যে লাগামহীন মহমারির সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস নতুন করে থাবা বসিয়েছে মোট ১২,৮৭৬ জনের শরীরে।মারণ জীবাণুর বলি হয়েছেন ৫৯ জন। অনেকটা কমেছে সুস্থতার হার। মাত্র ৮৮.০১ শতাংশ। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ২৮৩০। এরপরই কোভিড গ্রাফে উত্তর ২৪ পরগনার স্থান। এখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৮৫। এর মধ্যে বিধাননগরেও বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্যমহলে। রোগীদের সুরক্ষিত থাকতে ফের এখানকার সেফ হাউসগুলো খোলার পরিকল্পনা চলছে।রাজ্যে এই মুহূর্তে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। ৬ দফা ভোট শেষ, বাকি ২ দফা। এরই মাঝে সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়তে থাকায় কোভিড বিধি আরও কড়া করেছে নির্বাচন কমিশন। সমস্ত রোড শো, মিছিল বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এগিয়ে এসেছে। জনসভা বাতিল করে অনেকেই ভারচুয়াল প্রচারে ঝুঁকেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছুতেই যেন লাগাম পরছে না করোনা সংক্রমণে। স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫২, ৬৪৬ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে করোনার। এর মধ্যে ৭.১০ শতাংশ রিপোর্টই পজিটিভ। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৪৭৩৭। তবে সংক্রমণের হার সর্বকালীন রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এদিনই মুখ্যসচিবকে নেতৃত্বে রেখে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সাহায্যের জন্য গঠিত হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়ানো হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার জন্য অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো আপাতত স্থগিত করতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ কত দ্রুত জয়ী হবে বাংলা, সেটাই এখন দেখার।

এপ্রিল ২৩, ২০২১
রাজ্য

একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৮৪ জন

ভয়াবহ রূপ নিয়ে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১০ হাজার। রেকর্ড গড়ল গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে ভয়াবহ আকার নিল রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি।বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের সন্ধের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৪ জন। ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৫৬ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। আজকের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪৯৬ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৫ হাজার ১১০ জন বেশি। এদিনের সরকারি হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে কলকাতায় (২ হাজার ৫৬৮)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২ হাজার ১৪৯)। চিন্তা বাড়াচ্ছে বাকি জেলাগুলিও। উদ্বেগ বাড়িয়েছে নিম্নমুখী সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬১৬ জন। ফলে সুস্থতার হার কমে দাঁড়াল ৮৯.২৩ শতাংশ। বুধবার সুস্থতার শতকরা হার ছিল ৮৯.৮২ শতাংশ। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০ জন।চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় (১৪)। এর ঠিক পরেই রয়েছে কলকাতা (১৩)। বাকিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এদিন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৭১০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি।

এপ্রিল ২১, ২০২১
রাজ্য

বাইরে থেকে বাংলায় ঢুকতে হলে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক

ভোটের মরশুমে বহিরাগতরা এসে বাংলায় রোগ ছড়াচ্ছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জনসভায় একাধিকবার এমন দাবিই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যাঁরা বাইরে থেকে আসতে চাইবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করার পর বাংলায় পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।তৃণমূল নেত্রীর দাবি, অন্তত ১০ হাজার মানুষ অন্য জায়গা থেকে এ রাজ্যে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংক্রমিত। আর এঁদের কারণেই বাংলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই বহিরাগতদের নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এরপর বড় কোনও অঘটন ঘটলে তার জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী থাকবে।গত বেশ কয়েকদিন ধরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কমিশন ভোট প্রচারে লাগাম টানলেও করোনা রুখতে তা বিরাট কোনও ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না, সে নিয়ে সন্দীহান ওয়াকিবহল মহল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করানোর দাবিও তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে নির্বাচন। ফলে আগের মতোই চলবে জনসভা, রোড শো। আর সেই কারণেই বাড়ছে চিন্তা। স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড আক্রান্ত ৭,৭১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা জানিয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে, মৃদু উপসর্গ থাকলে প্রয়োজনে সেফ হোমে পাঠানো হবে কোভিড রোগীদের।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৬ লক্ষ পার, একদিনে মৃত্যু ৩৪ জনের

কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের অবহেলার সুযোগেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মতোই দিনে দিনে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে বাংলার করোনার ছবিটাও। গতকালের তুলনায় শনিবার অনেকখানি বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অতীত রেকর্ড ভেঙে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৭,৭১৩ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ১,৯৯৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ১,৬৩৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৯১। হাওড়ায় একদিনে আক্রান্ত ৪৩২ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বীরভূমে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ৪০৬ জন। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে পাহাড়ে। ফলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দার্জিলিংয়েও। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৪১ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০৮ জন। গত কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৪৫ হাজার ৩০০। একইসঙ্গে এই ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ৩৪ জন। প্রাণ হারিয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক আব্দুর রহমান এবং পুরুলিয়ার প্রাক্তন সাংসদ বীর সিং মাহাতো। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৫৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
কলকাতা

পয়লা বৈশাখে উত্তর কলকাতায় রোড শো মমতার, সঙ্গ দিলেন জয়া

কথা ছিল, বৈশাখের প্রথম দিনে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে রোড শো করবেন। দক্ষিণ কলকাতার সব প্রার্থীদের হয়ে এদিনই ভোট প্রচার সেরে ফেলতেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভবানীপুর, অর্থাৎ নিজের এতদিনের লড়াইয়ের জায়গা ছেড়ে এবার এগিয়ে দিয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মূলত তাঁরই হয়ে প্রচারের কথা ছিল মমতার। তবে কোভিডের বাড়বাড়ন্তে সেই মিছিল বাতিল হয়েছে। তবে পয়লা বৈশাখের মতো উৎসবের দিন মোটেই ঘরে বসে কাটাননি নেত্রী। শুধু দক্ষিণ থেকে রোড শোর স্থান বদলে গেল উত্তর কলকাতায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বেলেঘাটা থেকে বউবাজার পর্যন্ত রোড শো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী দলের তারকা প্রচারক জয়া বচ্চন, উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থীরা।বেলেঘাটা থেকে বউবাজার এই অঞ্চলের মধ্যে মূলত চার বিধানসভা কেন্দ্র। বেলেঘাটা, চৌরঙ্গি এবং মানিকতলা। এই চার কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে দীর্ঘ পথে রোড শোর মধ্যে দিয়েই প্রচার সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, পরেশ পাল, বিবেক গুপ্তা। হুইল চেয়ারে বসেই লম্বা রাস্তা পাড়ি দিলেন নেত্রী। সঙ্গে হলুদ শাড়ি, দলের ঐতিহ্যবাহী লাল টুপিতে পাশেই সমাজবাদী পার্টি নেত্রী তথা তারকা প্রচারক জয়া বচ্চন। কিছুক্ষণ হাঁটার পর অবশ্য তিনি উঠে যান জিপে। অবশ্য মিছিলের মধ্যমনি তখন একজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার দুধারে সমবেত জনতার উদ্দেশে কখনও তিনি হাত নাড়ছেন, কখনও হাত জোড় করে নমস্কার করছেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রোড শো পৌঁছয় বউবাজার মোড়ে।এদিন মমতার পর রাস্তা থেকে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জয়া বচ্চন বিজেপিকে বিঁধে বলেন, বাংলায় পরিবর্তন দরকার নেই। অনেক কাজ হয়েছে। মমতা থাকলে আরও কাজ হবে। পরিবর্তনের স্লোগান যাঁরা তুলছেন, তাঁদের কথায় কান দেবেন না। কোনও দরকার নেই পরিবর্তনের।

এপ্রিল ১৫, ২০২১
রাজ্য

নববর্ষে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

পয়লা বৈশাখের সকালে বাংলায় টুইট করে রাজ্য তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি টুইটে তিনি প্রোটোকল মেনে সকলের সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করলেন। আবার আরেকটি টুইটে উঠে এল রাজনীতির কথা। একটি ভিডিও পোস্ট করে নতুন বাংলা গড়ার বার্তা দিলেন। দিলেন পরিবর্তনের ডাক। সাতসকালে ফেসবুকে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।পয়লা বৈশাখে সাতসকালে বাংলায় করা এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলার মানুষের ভালবাসা আর প্রাণস্পন্দন প্রকৃত অর্থেই মন ছুঁয়ে যায়। নতুন বছর সকলের জীবনে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক, সকালে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন। পয়লা বৈশাখে ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহও নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর টুইট,মঙ্গলময় উৎসব পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আমার সকল বাঙালি বন্ধুদের জানাই অগ্রিম আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ঈশ্বরের কাছে কামনা করি এই নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি।শুভ নববর্ষ! টুইটে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।অরাজনৈতিক পোস্টে শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়ার পর পয়লা বৈশাখের সকালে রাজনৈতিক পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় এবং ইংরেজিতে করা দুটি টুইটে তিনি লিখেছেন,পুণ্যভূমি পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষে নতুনের সূচনা হোক, রাজ্য প্রগতির পথে এগিয়ে যাক!

এপ্রিল ১৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে এল ৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন

গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা টিকার চাহিদাও। ইতিমধ্যেই টিকার ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে স্বস্তি দিয়ে মোট ৫ লক্ষ ডোজ করোনা টিকা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে।সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছিলেন, দ্রুত যদি টিকার আরও ডোজ এসে না পৌঁছয় তবে করোনা পরিস্থিত আরও খারাপ হতে পারে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে জনঘনত্ব অনেক বেশি। করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাই এখানে দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে না পারলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন করা হয়, দ্রুত যাতে আরও টিকার ব্যবস্থা করা হয়।ইতিমধ্যেই টিকা নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠতে আরম্ভ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বেশি করে টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে চাহিদা অনুযায়ী অবিজেপি দল শাসিত রাজ্যে তা দেওয়া হচ্ছে না। বার বার চেয়েও মিলছে না পর্যাপ্ত টিকা ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় টিকার চাহিদাও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে নতুন করে আরও ৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে রাজ্যে। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড ডোজ পুনের ল্যাব থেকে এসে পৌঁছেছে। বুধবার রাত্রের মধ্যেই ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের ২ লক্ষ ডোজ পৌঁছে যাবে। ফলে টিকার চাহিদা আপতত অনেকটাই পূরণ করা যাবে।

এপ্রিল ১৪, ২০২১
রাজ্য

ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি

ভোটের মরশুমে রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে মারণ করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ৪, ৩৯৮ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ১০ জন। অর্থাৎ শনিবারের তুলনায় সামান্য হলেও কমেছে মৃত্যু। এদিনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন।স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৪, ৩৯৮ জনের মধ্যে ১,১০৯ জনই কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথম স্থানে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানকারও একহাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৪৭ জন। তৃতীয় স্থানে হাওড়া। একদিনে নতুন করে করোনা থাবা বসিয়ে সেখানকার ২৯৩ জনের শরীরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ২৮৮ জন। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের করোনা গ্রাফও রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। তবে এদিন নতুন আক্রান্তের হদিশ মেলেনি কালিম্পংয়ে। যদিও বাকি সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬, ১৪, ৮৯৬। একদিনে করোনা রাজ্যের যে ১০ জনের প্রাণ কেড়েছে তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে ওই জেলা। দ্বিতীয়ে কলকাতা। একদিনে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার ৩ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনার বলি একজন। ফলে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০, ৪০০।

এপ্রিল ১১, ২০২১
রাজ্য

দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজার, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ১২

রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পেরিয়ে গেল ৪ হাজারে গণ্ডি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪০৪৩ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৯৮এ। শতাংশের বিচারে দেখলে দৈনিক সংক্রমণের হারও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। শেষ ২৪ ঘণ্টার বিচারে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১০.৯৭ শতাংশ।আক্রান্তের নিরিখে এখনও সর্বোচ্চ স্থানেই রয়েছে কলকাতা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৭ জন। এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৭ জন। রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায় সমান তালে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে হাওড়া (২৮৯), হুগলি (১৯১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৯১), পশ্চিম বর্ধমান (২৬৬) ও বীরভূম (২৭১) উল্লেখযোগ্য। এখন পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন। শুক্রবারে তুলনায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এদের মধ্যে ৪ জন কলকাতার, ও ৫ জন উত্তর ২৪ পরগনার। মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে সমান তালে চলছে টিকাকরণের কাজও। এখনও পর্যন্ত ৭৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৩৪ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৪০ জন।

এপ্রিল ১১, ২০২১
রাজ্য

বঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

ভোটের বঙ্গে রাজনৈতিক অশান্তির পাশাপাশি নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নতুন করে কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত ৩৬৪৮ জন। বৃহস্পতিবারও এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮০০। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল প্রায় ৮০০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৮ জনের। সংক্রমণের হারে সবচেয়ে এগিয়ে কলকাতা। এখানে দৈনিক আক্রান্ত ৬৭৫ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিনে রাজ্যে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক কম। ২৪ ঘণ্টায় ১১৪৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। করোনা থেকে সুস্থতার হার এ নিয়ে দাঁড়াল ৯৫.২২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মহামারির কামড়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন রাজ্যের ১০,৩৭৮ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮, ৬০৩, যা গত দিনের তুলনায় প্রায় ৩০০০ বেশি। কলকাতার পরই যেসব জেলার করোনা পরিসংখ্যানে মাথাব্যথা বাড়ছে, তা হল উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে একদিনেই সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫৭ জন। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আচড়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় এই বৈঠকে ছিলেন না। বাংলার তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব। তাতে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হয়েছে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়েও। বাংলায় টিকাকরণের কী পরিস্থিতি, ভোটযুদ্ধের মাঝে সতর্কতা কতটা নেওয়া হচ্ছে, সেসব নিয়ে সংশয় থাকছে। তার উপর এই লাগামহীনভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা বাড়ছে।

এপ্রিল ০৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • ...
  • 41
  • 42
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal