• ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ban

দেশ

সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নিশানা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বাংলা সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৬টি অত্যাধুনিক ভাসমান আউটপোস্ট এবং ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে হেলিকল্টারে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে উড়ে যান। এদিনই বনগাঁর হরিদাসপুরে মৈত্রী সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করেন অমিত শাহ। অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটে। তবে এবার যে অত্যাধুনিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার ফলে এই অনুপ্রবেশ এবং পাচার বন্ধ হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া অনুপ্রবেশ ও পাচার রোখা কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন শাহ। একইসঙ্গে এদিন তিনি সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফ-এর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।এদিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রশংসায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব বিএসএফ-এর। অনুপ্রবেশ ও পাচারকারীদের রুখতে সচেষ্ট বিএসএফ। শুধু ফেন্সিং দিয়েই হবে না, দেশের সুরক্ষা দিতে পারে বিএসএফ। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে টহলদারির ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে।সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি নিয়ে এর আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল। এবিষয়ে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাংলাদেশের যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও বিএসএফের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন অমিত শাহ। এদিন বিকেলে শিলিগুড়িতে জনসভা ছাড়াও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে অমিত শাহর।बीएसएफ की इन फ्लोटिंग सीमा चौकियों पर स्वास्थ्य सुविधाओं के लिए बोट एम्बुलेंस का भी शुभारंभ किया।किसी भी आपातकालीन स्थिति में ये बोट एम्बुलेंस बहुत सहायक सिद्ध होगी। pic.twitter.com/wNYjLkU0PD Amit Shah (@AmitShah) May 5, 2022এদিন এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহর সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ বলে বাংলায় গেল খুন হয়ে যাব। আমার গায়ে লাগে। উল্লেখ্য বাংলার রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।উল্লেখ্য, দেশের সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফ-এর কাজের পরিধি বাড়াতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এক্ষেত্রে ঘোরতর অপত্তি রয়েছে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যের। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল, শুক্রবার কলকাতায় ফিরে দলের রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ।

মে ০৫, ২০২২
রাজ্য

কাল বাংলায় সীমান্ত পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সুন্দরবনে ৬টি ভাসমান বিওপি ও বোট অ্যাম্বুলেন্সের সূচনা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামিকাল এরাজ্যে আসছেন। তিনি বৃহ্পতিবার বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত পরিদর্শন করবেন। এই সফরে অমিত শাহ বিএসএফ-এর সুন্দরবনের জলে অবস্থিত ০৬ টি আধুনিক ভাসমান বিওপি-সতলজ, নর্মদা, কাবেরী, গঙ্গা, সবরমতি, কৃষ্ণা এবং বোট অ্যাম্বুলেন্স এর বিওপি হিঙ্গলগঞ্জে পৌঁছানোর পর উদ্বোধন করবেন। ভাসমান বিওপি উদ্বোধনের পর শ্রী শাহ বিওপি হরিদাসপুরে অবস্থিত মৈত্রী সংগ্রহালয় (জাদুঘর) এর উদ্বোধন করবেন।বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিএসএফের এবং সরকার তাই সেখানে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের ওপর জোর দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সংলগ্ন আমাদের সীমান্তের সব বিওপিকে নজরদারি ও সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে শক্তিশালী করার ওপরও জোর দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের নজরদারি জোরদার ও মজবুত করতে ভাসমান বিওপির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের এই দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে বোট অ্যাম্বুলেন্সও চালু করা হচ্ছে যা সাহেব খালি থেকে শামসের নগর পর্যন্ত এলাকায় সেবা দেবে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বিএসএফ-এর বীরত্ব সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে ফ্রেন্ডশিপ মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের সময় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং, আইপিএস, যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া, আইপিএস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, ইস্টার্ন কমান্ড এবং ডাঃ অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, ইন্সপেক্টর জেনারেল সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার উপস্থিত থাকবেন।

মে ০৪, ২০২২
রাজ্য

কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যাবে বহরমপুরে? কটাক্ষ শুভেন্দুর

রাজনীতি ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এখন সমার্থক শব্দ। বাংলায় ঘটনা ঘটলে বিজেপি কেন্দ্রীয় ভাবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠাচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য বা কেন্দ্রীয় পুলিশের তত্বাবধানে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে এই কমিটি গঠন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাম একই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এবার বহরমপুরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, জানতে চাই মাননীয়া কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে? @MamataOfficial আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন।জানতে চাই মাননীয়া কখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে?@MamataOfficial আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন। Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 3, 2022রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুন হওয়ার পর গণহত্যায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আরও ২জন অগ্নিদগ্ধের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিলেন। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নাড্ডাকে রিপোর্ট দিয়েছিল। পরে হাঁসখালিতে গণধর্ষণের ঘটনাতেও দলের মহিলা সদস্যের নিয়ে ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে গলার নালি কেটে কেটে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। সেখানে পৌঁছায় তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তারপর দিল্লির ঘটনায় ফের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠায় তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে যোগীর সরকার। আর দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পাল্টা তৃণমূলও গঠন করে।গতকাল সোমবার সন্ধ্য়ায় বহরমপুরে চাকু দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে অনেকের সামনে এক কলেজছাত্রীকে খুন করে যুবক। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।

মে ০৩, ২০২২
রাজনীতি

সোশাল মিডিয়ায় কী লিখলেন দেবাংশু? পোস্ট ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসে তুলকালাম, মুহূর্তে ডিলিট

গত ২০২১-এ এই দিনে উত্তেজনায় টগবগ করছিল সারা বাংলা। পরের দিন ছিল বিধানসভা নির্বাচনের গণনা। ২ মে ফল প্রকাশের পর দেখা গেল টানা তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২১৩টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ৭৭টি। কংগ্রেস ও সিপিএম কোনও আসনেই জয় পায়নি। এরইমধ্যে সিপিএমের জোটসঙ্গী আব্বাস-উদ্দিনের দল ভাঙড়ের আসনে জয়লাভ করে।তৃণমূলের জয়ের পর বিজেপি থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে ফিরতে শুরু করে। তাঁদের না ফেরানো নিয়ে আগেই মন্তব্য করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফের এদিন সোশাল মিডিয়ায় সেই আবহের কথা তুলে ধরে গঙ্গা জলের সঙ্গে ড্রেনের জলের তুলনা টেনেছেন দেবাংশু। বিতর্ক শুরু হতেই ফের সেই পোস্ট ডিলিটও করে দিয়েছেন তিনি। তবে সেটা যে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেরই মনে কথা, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চর্চা অভ্যাহত।এদিন দেবাংশু লিখেছেন, গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ। ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তারা পিছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করে দলের কর্মীরা। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর লাইন দিয়ে ঘরওয়াপসি শুরু হয়ে যায়। অনেক পদও পেয়ে গিয়েছেন। দেবাংশুর এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়তেই বিতর্ক এড়াতে সেটাও ডিলিট করে দেন তরুন তুর্কি এই যুব নেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, পোস্টের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ফের আর একটা পোস্ট করেন দেবাংশু। একসময় এই যুবনেতা হুঙ্কার ছেড়েছিল, বিজেপি থেকে দলে ফিরলে তিনি গদ্দারদের আটকাতে তৃণমূল ভবনের দরজায় শুয়ে থাকবেন। যদি পাল পালে তৃণমূলে ফিরলেও তিনি আটকাতে পারেননি।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরধাপে ধাপে একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়কে দিয়ে এই ঘরে ফেরার পালা শুরু হয়েছিল। ইদানিং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ পাট শিল্প নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আন্দোলনে রাজি বলেও তিনি ঘোষণা করেন। চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফের জল্পনা শুরু হয়ে যায় তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। কারণ এর আগে বাংলার মানুষ দেখেছে কীভাবে দলনেত্রীসহ তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া সমালোচনা করেও দলে দলে বিজেপি থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। এমনকী অর্জুন সিংয়ের ভাইপো ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌরভ সিং যিনি রাজনীতিতে তাঁর ডানা হাত বলে পরিচিত ছিলেন, তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমন অনেকেই ফের তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরপোস্ট ঘিরে বিতর্ক বাড়তেই তা ডিলিট করে দেন দেবাংশু। ফের তিনি পোস্ট করে লেখেন, শেষ পোষ্টের অর্থ হয়ত ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ, এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্ট, ডিলিট, ফের পোস্ট যাই হোক না কেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মনে কথা দেবাংশু লিখেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

মে ০১, ২০২২
দেশ

প্রদ্যুত কিশোর ও আশিসলাল এক মঞ্চে থাকলে রাতের ঘুম উড়বে অন্যদের

ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণায় তোলপাড়। নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন সুবল ভৌমিক। তাছাড়া ৬ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোর কমিটিতেও আছেন সুবল ভৌমিক। তাছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিং, আশিস দাস, ভৃগুরাম রিয়াং ও মামন খান। আরও একাধিক পদ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দলের নয়া কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের মধ্যেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। এঁদের পাশাপাশি ত্রিপুরা তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে।ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জনতার কথা-কে। আশিসবাবু বলেন, আমি দলের সৈনিক। দুঃসময়ে দলে ছিলাম। তবে দলের বোঝা হয়ে লাভ নেই। দলকে যদি জেতাতে না পারি তাহলে পদে থেকে কী হবে? আশিসলাল সিংয়ের মতোই আশিস দাসও নতুন কমিটি নিয়ে নিরাশ। এর আগে সোশাল মিডিয়ায় দলের নেতৃত্বের প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক পদ ছেড়ে ন্যাড়া হয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন আশিস দাস। সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বাংলা ও ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই তিনি ঘরে বসে গিয়েছেন। দূরে থেকেছেন রাজনীতি থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখাই যায়নি বললেই চলে।এদিন আশিস দাস জনতার কথা-কে বলেন, ত্রিপুরার মানুষ খুব সেন্টিমেন্টাল। ত্রিপুরার মানুষের পালস নিয়ে যেভাবে খেলা হচ্ছে রাজ্যের মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না। অতিদর্পে হত লঙ্কা। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের ফলকে ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬-এ কিছু একটা হবে। এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নেগেটিভ দিকের কথা বলেন তিনি। তাঁর ব্যাঙ্গ, পরকীয়া করতে অনেকে আনন্দ পায়। ধরা পড়লে পরকীয়ার স্বাদ কি তখন বুঝবে। ত্রিপুরায় পরকীয়া চলছে। এটা ধরা পড়বে। রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আশিস দাস বলেন, আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সময়ই বলবে। তবে বলতে পারি একটা সম্ভাবনাটা নষ্ট হয় গেল।তৃণমূলের নয়া কমিটি গঠন নিয়ে দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। রতন সরকার, বেচারাম দাস, অসিত ঘোষ, দুর্যোধন দাসদের মতো একনিষ্ঠরা দলে জায়গা পায়নি। ত্রিপুরা তৃণমূলের একটা বড় অংশ যোগাযোগ রাখছে তিপ্রা মথার নেতৃত্বের সঙ্গে। একথা স্বীকারও করেছে তিপ্রা মথা। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহারাজ বীর বিক্রম মানিক্য বাহাদুর ও টানা ২৪ বছরের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংয়ের সময় ত্রিপুরায় উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ হয়েছিল। এই দুই পরিবারের কেউ ত্রিপুরাকে ঠকায়নি। সর্বদা ত্রিপুরার মানুষের পাশে ছিল। এখন তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান মহারাজ বীর বিক্রমের নাতি প্রদ্যুত কিশোর মানিক্য দেববর্মন। শচীন্দ্রলালের পুত্র আশিসলাল সিং ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রদ্যুত কিশোর ও আশিসলাল এক হয়ে লড়াই করলে বাকিরা বেসামাল হয়ে যাবে। রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই হবে বিজেপি ও তিপ্রা মথার মধ্যে। তারপর সিপিএম, কংগ্রেস থাকবে। লড়াইয়ে থাকতে পারে আম আদমি পার্টিও। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কোন স্থানে থাকবে তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছে দলেরই একাংশ।আশিস দাসেরবিজেপি ত্যাগ করে মস্তক মুন্ডনআশিসলালের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল তাদের দুই প্রার্থীকে লড়াইয়ের জন্য আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল। তা সত্বেও আগরতলা পূর্ব আসনের প্রার্থীকে দলীয় প্রচারের জন্য কয়েকলক্ষ টাকা নির্বাচনী প্রচারকার্যের জন্য দিয়েছিলেন আশিসলাল সিং। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকে কোনও ফান্ড দেয়নি দল। প্রার্থীদের মাত্র ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। তখনও ত্রিপুরায় যাতায়াত করা নেতাদের হোটেল বিল, গাড়ির ভাড়া দিয়েছিলেন আশিসলাল সিং। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে একটা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় প্রার্থী মামন খানকে প্রচারের জন্য একটা টাকাও দেয়নি দলীয় নেতৃত্ব। ১৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আশিসলাল সিং। দলের ওই অংশের দাবি, শুধু দলীয় কর্মীদের পাশে নয়, আর্থিক ভাবেও দলের পাশে বারংবার দাঁড়িয়েছেন শচীন্দ্রলাল পুত্র। মান রেখেছেন পিতার।তৃণমূল সূত্রে খবর, গত ২১ জুলাই দলবদলুরা দলে আসেনি। ৮২ জন নেতা-কর্মীসহ কৈলাশহরে গ্রেফতার হয়েছিলেন আশিসলাল। সারা ত্রিপুরায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভার্চুয়াল ভাষণ চলেছে। প্রতিদিন কয়েকশো লোক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। পোলো টাওয়ারে রাতের অন্ধকারে দলবদলুরা যোগ দিতেই দলে যোগদান পর্ব কমতে শুরু করল। মে থেকে জুলাই প্রায় ৫২ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিল তৃণমূলে।ত্রিপুরা তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, যুব, মহিলা, এসটি মোর্চায় শিক্ষিত কাজের লোক থাকা সত্বেও তাঁদের দল দায়িত্ব দেয়নি। সভাপতি করা হয়েছে তৃতীয় শ্রেণি, অষ্টমশ্রেণি পাস লোকজনদের। কেউ আবার জেল খেটে জামিনে রয়েছেন। ওই মামলা কিন্তু রাজনৈতিক নয়। মোদ্দা কথা, ত্রিপুরায় সম্ভাবনা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেল বলে আশিস দাসের মতোই দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করছেন।

মে ০১, ২০২২
রাজ্য

অবশেষে জটিলতা কাটল বাবুলের শপথের, ডেপুটি স্পিকারকে বিশেষ ক্ষমতা রাজ্যপালের

শেষমেশ তৃণমূল সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জটিলতা কাটল। প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বাবুল। জানা গিয়েছে, বাবুল সুপ্রিয়র শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন।আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, তিনি প্রথম একাদশে খেলতে চান। শেষমেশ বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিধায়কপদে শপথ নিয়ে জটিলতা বেড়ে যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাবুলের শপথের ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দেন। তাঁর শপথ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, রাজ্য সরকার রাজভবনের কোনও প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না। যাই হোক শেষমেশ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে ক্ষমতা দেওয়ায় এবার শপথ নিতে চলেছেন বাবুল। বাংলায় প্রবাদ আছে। মচকাবেন কিন্তু ভাঙবেন না। নিজে না করে ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ শপথ হলেও নিজে হাজির থাকবেন না। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত দ্বারা বুঝিয়ে দিলেন তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না। রাজ্য সরকারের নানা কর্মকান্ডে তিনি যে সন্তুষ্ট নয়, তা এর আগে নানা মন্তব্য করে স্পষ্ট করেছেন জগদীপ ধনখড়।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
রাজ্য

মানুষের পকেট কেটে কেন্দ্রের আয় ১৭ লক্ষ কোটি', ৩০০ টাকা কমনো হোক রান্নার গ্যাসেরঃ মমতা

রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। এখনই রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতার দাবি, যখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কম ছিল তখন ক্রমাগত দাম বাড়িয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রান্নার গ্যাসের দাম ৩০০ টাকা কমানো উচিত। পেট্রল, ডিজেলের দামও কমানো উচিত। যখন সারা বিশ্বে দাম কমিয়েছিল তখনও দাম কমায়নি কেন্দ্র। ওদের একটা ফান্ড থাকবে। নিজের ইচ্ছামত খরচ করবে পার্টির স্বার্থে। দেখাবে সরকার খরচ করছে। মানুষের পকেট কেটে সব দোষ চাপায় রাজ্যের। সাধু সেজেছে সব নন্দ ঘোষ। এটা তো হতে পারে না।এবার মোদি-মমতা পৃথক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একথা বললেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাল রাতে পৌছাবে পরশু চলে আসব। এবার তাড়াতাড়ি চলে আসব। এবার আর আলাদা করে দেখা হবে না।গতকাল, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাজ্যগুলির ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তার মধ্যে বাংলার নামও করেছেন তিনি। তবে গতকালের বৈঠক নিয়ে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ তা এদিন তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট।মমতা বলেন, গতকাল কোভিড এজেন্ডা ছিল না। আগামি দিন আরও বাড়াবে তাই দোষটা নিজেরে ঘাড় থেকে ঝাড়বার চেষ্টা করছে। নিজেরা ১৭ লক্ষ ৩ কোটি টাকা আদায় করেছে মানুষের পরকেট কেটে। এই টাকাটা না কাটলেই হত না? ১৪ বার দাম বাড়িয়েছে। রাজ্যকে পাওনা দেবে না। দোষ হলে রাজ্যের দোষ। কোভিড লড়াইতে ক্রেডিট তোমার। মানুষ বিপদে পড়লেও দোষ রাজ্যের।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
রাজ্য

তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা, রাজ্যে স্কুল ছুটির দিন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের গরমে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন প্রয়োজনে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার নবান্নে গরমের ছুটির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য়মন্ত্রী জানান, রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হবে। শুধু সরকারি স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলিতেও ওই নির্দেশিকা জারি করার জন্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বৈঠকে তিনি ব্রাত্য বসুকে জানান, গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হোক। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক। গরমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও জানান, অনেক বাচ্চাদের গরমে কষ্ট হচ্ছে, এমনকী নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।বুধবার দুপুরে নবান্নে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিডিও, এসডিও এবং আইসি-ওসিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মুখ্যমন্ত্রী। গরমের হালহকিকত নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্কুলের ছুটি এগিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাই জারি রয়েছে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
রাজ্য

ফের রাজ্যে দুয়ারে সরকার-পাড়ায় সমাধান, ঘোষণা মমতার

ফের রাজ্যে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। শুরু হবে পাড়ায় সমাধান। আগামী ২১ মে শুরু হবে দুয়ারে সরকার, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। ৫ মে পাড়ায় সমাধান শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ মে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময় সরকারি কর্মীরা ছুটে পাবে। রবিবার বা ছুটির দিন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি মমতা জানিয়ে দেন, ফ্লাড সেন্টারগুলি পরিদর্শন করতে হবে। ডিভিসির জল কোন কোন জায়গা ভেসে যায়, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোথায় কোথায় বজ্রপাত বেশি হয় সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ওপর দোষ চাপিয়ে সাধু সাজছে। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেট্রপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য একাধিক রাজ্যকে দায়ী করেছেন। তার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল শচীন্দ্রলালের বাড়ি, সেখানেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আঁতুরঘর ছিল ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্রলাল সিংয়ের বাড়ি, অরুন্ধতি নগরের বাড়িতে থাকতেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এবং রাতে শচীনবাবুর সরকারি বাসভবনে থাকতেন। মুজিব ও তাঁর সহকারীদের রান্না করে খাওয়াতেন শচীন্দ্রলালে-র ভগিনী হেমাঙ্গিনী সিং। শচীন্দ্রলাল এখনও ত্রিপুরার মানুষের মনে গেঁথে রয়েছেন। উন্নয়নের কান্ডারী টানা ২৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং জন্মসুত্রে ভিন রাজ্যের হলেও, কার্যত তিনি ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই। ত্রিপুরার রূপকার বললে অত্য়ুক্তি হবে না।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মুজিবর রহমান। যিনি বঙ্গবন্ধু নামে অধীক পরিচিত। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাও দেশবাসী অবগত রয়েছেন। পাকিস্তান ভেঙে নতুন দেশ গঠন না হলে এখন হয়তো অন্য ইতিহাস লেখা হত। কিন্তু একজনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করতেই হবে, তিনি হলেন ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা টানা ২৪ বছর প্রশাসনিক প্রধান শচীন্দ্রলাল সিং। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় মুজিবর রহমানের এদেশের ঘর ছিল শচীন্দ্রলালবাবুর বাড়ি। সেখানে থেকে যাবতীয় পরকল্পনা রচিত হত। তাছাড়া ত্রিপুরার উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত শচীন্দ্রলাল সিং।স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার কারণে শচীন্দ্রলাল সিং ১৭ বছর ব্রিটিশ জেলে কাটিয়েছেন। ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভুমিকার জন্য ৯৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ, অতুল্য ঘোষ, গোপিনাথ বড়দলুই, হরেকৃষ্ণ মহাতাব, প্রফুল্ল্য সেনেদের সাথে শচীন্দ্রলাল সিংও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনসান কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।শচীন্দ্রলাল সিং যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ত্রিগুনা সেনকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন ত্রিপুরা থেকে। ওনার সঙ্গে ত্রিগুনা সেনের কথা ছিল কেন্দ্রে মন্ত্রী হলে ওএনজিসি দেবেন। ত্রিগুনা সেনের ঠিকানা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ওই ডিমান্ড ফুলফিল করেছিলেন ত্রিগুনা সেন। শচীন্দ্রলাল সিংয়ের আমলেই রাজ্যে গোবিন্দ বল্লভ হাসপাতাল হয়েছিল। তারপর ত্রিপুরায় বড় কোনও হাসপাতাল হয়নি। পাওয়ার প্রোজেক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কী হয়নি তখন পরশি রাজ্যে।বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় সব থেকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল সিং। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন জেল থেকে বেরিয়ে শচীন্দ্রলাল সিংকে বাংলাদেশের ঢাকায় নিয়ে যান মুজিবর রহমান। সেখানে রেড কার্পেটে তাঁকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মুজিবর রহমান শচীনবাবুর জন্য চেয়ার ছেড়ে দেন। তখন শচীনবাবু বলেছিলেন, এটা হয় না, আপনি বসুন। শচীন্দ্রলাল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্য়তম হোতা। মুজিবর রহমানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। শচীন্দ্রলালবাবুর ছোট ছেলে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বাবার সৌজন্যে তাঁকে সোনার নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। একসময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল ত্রিপুরা, রাজ্য গঠন করার ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা ছিল শচীন্দ্রলাল সিংয়ের। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দাবি করেছিলেন রেললাইন চাই, ধর্মনগর অবধি সেই রেললাইন স্থাপিত হয়। ১৯৭৭ এ যখন তিনি সাংসদ হন সে সময় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মধু দণ্ডবতকে অনশন করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ধর্মনগর থেকে আগরতলা রেললাইন করতে হবে। যেদিন সংসদ ভবনের সামনে অনশনে বসার কথা, সেদিন সকালে মধু দন্ডবতে তাঁর দিল্লী বাসভবনে এসে সরকারের অর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন আপাতত কুমারঘাট অবধি রেললাইন দেওয়া হচ্ছে, পড়ে ওটা বর্ধিত করা হবে।শচীন্দ্রলাল সিং খেলার প্রসারের জন্য স্টেডিয়াম করেছিলেন। উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র। মহারাণী কাঞ্চনপ্রভাদেবী বনমালীপুরে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শচীনবাবুকে বসবাস করার জন্য। ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল খোঁজ নিয়ে জানলেন ত্রিপুরাতে কোনও মহিলা কলেজ নেই। তিনি মহিলাদের শিক্ষাপ্রসারের জন্য সেই বাড়ি দান করে দেন কলেজ করার জন্য। এখন সেখানে স্থাপিত হয়েছে আগরতলা উইমেন্স কলেজ। শচীনবাবুর প্রধান সহযোগীদের মধ্যে উল্লেখ্যগয় হলেন তসলাম ফা, ওয়াজেদ আলি, মনসুর আলি, চক্র ফা, বুলু কুকি, কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য। এই কৃষ্ণদাস তাঁর মন্ত্রী সভায় অর্থ মন্ত্রী ছিলেন।২০১২-এর ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্র, ঢাকাতে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা তাঁকে প্রদান করেন।মুজিবর রহমান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই থাকতেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী, জহরলাল নেহরুর সময় থেকেই। ১৯৭১ ১লা নভেম্বর সারাদিন বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ও শচীন্দ্রলাল সিংকে নিয়ে। ফিরে এসে আগরতলা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কথাবার্তা চলাকালীন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি সীমান্ত খুলে দিয়েছেন, অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য করছেন, আপনি তো দেশকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইন্দিরাকে ত্রিপুরার রূপকার শচীন্দ্রলাল জবাব দেন, আমি যা করছি তা দেশের মঙ্গলের জন্যই করেছি এবং আপনার জন্যই করছি। আমি একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমগ্র বিশ্ব আপনার নামই করবে, আমার নই। ইতিহাস আপনাকেই স্মরণ করবে। আরও বলেন, আমি আপনার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনি আমাকে রাজনীতি শেখাবেন না। একটা ছোট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হজম না করতে পেরে দিল্লী ফিরেই ১লা নভেম্বর ১৯৭১ রাতে ত্রিপুরাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলেন ইন্দিরা। ভেঙে দিলেন কংগ্রেসের-ই সংখ্যাগড়িষ্ট সরকার। তবুও দমলেন না দেশ তথা ত্রিপুরার প্রতি দায়বদ্ধ শচীন্দ্রলাল সিং, তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ফোন করে বলেন Imposition is a great sin। সেই রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন ত্যাগ করে পৈতৃক ভিটে জয়নগরের বাসভবনে ফিরে যান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দাপুটে ইন্দিরা গান্ধীকে। তখনও তাঁর পাশে ছিলেন ত্রিপুরার আপামর সাধারণ মানুষ। অনবরত সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন শচীনবাবুকে। নির্দল প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন শচীন্দ্রলাল।জাতপাতের উর্দ্ধে রাজনীতি করতেন শচীন্দ্রলাল সিং। মানুষকে মানুষ ভাবতেন। সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন অনায়াসে। এই দেশে এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন অমিল। ত্রিপুরার আদিবাসীরা মনে করতে শচীন্দ্রনাথবাবু তাঁদের ঘরের লোক। আদিবাসী সমাজে তাঁর নাম ফাটা ছিলুম তার মানে ছেঁড়া কাপড়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এতটাই আপন ছিলেন তিনি। কাছে টেনে নিয়েছিলেন মনিপুরি, সংখ্যালঘুসহ সকলকেই। কোনও ভেদাভেদ তাঁকে কখনও স্পর্শ করতে পারেননি। ২০০০ সালে ইহলোক ত্যাগ করলেও ত্রিপুরার মানুষ ভোলেনি শচীন্দ্রলাল সিংকে। এখনও তাঁর জন্মদিনের উৎসবে হাজির হন অগনিত মানুষ।শচীন্দ্রলালবাবুর বড় ছেলে আশিসলাল সিং ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এখন দলের কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছেও আশিসবাবু কাছের মানুষ, মাটির মানুষ। পাহাড় থেকে সমতল হোক রাত-বিরেতে কেউ বিপদে পড়লেই পাশে থাকেন শচীন্দ্রপুত্র আশিসলাল। তিনিও মহান পিতার মতোই কোনও জাতিগত ভেদাভেদে বিশ্বাস করেন না। তাঁর ভাবনাতেও রয়েছে বাবার মতোই ত্রিপুরার উন্নয়ন।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
রাজ্য

দিল্লিতে বাঙালিকে বাংলাদেশি চিহ্নিত করে অত্যাচার, প্রতিবাদের ঝড় বাংলা পক্ষর

দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় বাঙালিদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙার ও বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বাংলা পক্ষ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, ও চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার, উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে। এছাড়াও এই মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।এই মিছিল থেকে দিল্লির সরকারের বাঙ্গালিদের উপরে আক্রমণ, দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা ন্যাক্কারজনক। দিকে দিকে বাঙালিদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় বাংলা পক্ষ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদে নামছে। শুধু দিল্লি না, এই কলকাতায়, এরাজ্যের নানা জায়গায় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিকে বাংলাদেশি বলে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হতে হয়। আগামিতে বহিরাগতরা যাতে বাঙালিকে বাংলাদেশি বলার সাহস না পায়, তার জন্য বাংলা পক্ষর প্রতিরোধ তীব্র হবে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বাঙালিকে বাংলাদেশি বলা ধিক্কারজনক ঘটনা।এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামিদিনে বাংলাপক্ষ আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। বাংলা পক্ষ দলমত ও ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের আপামর বাঙালিকে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গানে গানে 'আবার অচেনা বৈশাখে' রণিতা

প্রতি বৈশাখেই এক অচেনা বৈশাখ থাকে। সেই বৈশাখ আসে নতুন গানে। কিন্তু বিগত তিন বছর ধরে একটি গানই বিভিন্ন শিল্পীর সমবেত কণ্ঠে বার বার সাড়া ফেলে দিচ্ছে, এমনটা সচরাচর ঘটে না। অচেনা বৈশাখ গানে তেমনটাই ঘটেছে। ইউটিউবের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ শ্রোতার মন জয় করে নিয়েছে দেবর্ষির লেখা এই গানটি। ২০১৯ সালে নতুন এই গান লিখেছিলেন দেবর্ষি। কম্পোজের দায়িত্বে ছিলেন শোভন। মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্ব সামলেছে অমিত-ঈশান জুটি। প্রথমবার এই ভিডিয়ো অ্যালবামে গান গেয়েছিলেন বাংলার এই সময়ের ছয় জনপ্রিয় শিল্পী।তার পর সেই অচেনা বৈশাখ-ই ফিরে এল আবার অচেনা বৈশাখ হয়ে, এই বৈশাখে। এবার এই অ্যালবামে গেয়েছেন সাত জন শিল্পী। পুরনো কণ্ঠের সঙ্গে এবার মিলেছে নতুন কণ্ঠ। যাঁদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ, রণিতা ব্যানার্জি। এই অ্যালবামে রণিতার কণ্ঠ শ্রোতাদের মন ভরিয়েছে।টেলিভিশনে গানের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তে কয়েক বছর আগে প্রথম আত্মপ্রকাশ রণিতার। তার পর, একাধিক জনপ্রিয় টেলি-সিরিয়ালে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার। হামি, চাঁদের পাহাড়, অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো- বাংলা সিনেমায় প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন রণিতা। আবার অচেনা বৈশাখে সুযোগ পেয়ে আপ্লুত রণিতা বললেন, অমিত-ঈশান জুটির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে তাঁর বহুদিনের। এবার সেটা পূর্ণ হল। সেইসঙ্গে শোভনের সুরে এই প্রথম গাইলেন রণিতা। সহশিল্পীদের সঙ্গে এই কাজ তাঁর কাছে ভীষণ উপভোগের ছিল, খুশিটুকু শেয়ার করে বললেন তিনি। আগামীতেও অমিত-ঈশান, শোভনের সঙ্গে এমন নতুন ধারার কাজ করতে চান বলে নিজের ইচ্ছেটুকু জানিয়ে দিলেন এই সময়ের উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী রণিতা।

এপ্রিল ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মূল্যহীন হয়ে গেল চৈতি ফারহানার লড়াই, মারণ ব্যাধির কাছে হার রুবেলের

মিরপুরের শেরইবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাঁচ ঘেরা শববাহী যানে চিরনিদ্রায় শুয়ে রয়েছেন মোশারফ হোসেন রুবেল। কাঁচের দেওয়ালে মাথা রেখে প্রিয় মানুষটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে চৈতি ফারহানা রুপা। চোখ দুটো যেন কাঁচের দেওয়ার ভেদ করে কাছে পৌঁছতে চাইছিল। কিন্তু সম্ভব ছিল না। চৈতির কোলে একমাত্র সন্তান রুশদান। মায়ের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে সেও তাকিয়ে মোশারফ হোসেন রুবেলের দিকে। হয়তো মায়ের কোলে বসে ভাবছিল, কখন উঠে আসবে আব্বু। তার যে এখনও বোঝার বয়স হয়নি তার জানের আব্বু না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে তাঁদের জীবনে। এইরকম যে হতে পারে, কল্পনা করেননি কেউই। দেশের হয়ে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলা মোশারফ হোসেন রুবেলের মস্তিষ্কে ২০১৯ সালের মার্চে টিউমার ধরা পড়ে। ২৪টি কেমোথেরাপি লেগেছিল তাঁর। সিঙ্গাপুরে গিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে সেই টিউমার কেটে বাদও দেওয়া হয়েছিল। মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আবার মাঠে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু মারণরোগ তার পিছু ছাড়েনি। পুনরায় ফিরে আসা ঘাতক ব্যাধিকে আর হারাতে পারেননি রুবেল।জানুয়ারি মাসে তাঁর মস্তিষ্কে নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে। আবারও শুরু হয় কেমোথেরাপি। অবশ হয়ে যায় শরীরের একদিক। গত মাসে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তবে প্রায় এক মাস পর ১৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন রুবেল। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোমন্দের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিল তাঁর পরিবার। তবে দেশের ক্রিকেটমহল তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তাঁর আবার কেমোথেরাপি নেওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রুবেলকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।তিন বছর ধরে জীবনের প্রিয় মানুষকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন চৈতি ফারহানা রুপা। প্রেম করে মোশারফ হোসেন রুবেলকে বিয়ে করেছিলেন। ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। ছোট বাচ্চা রয়েছে। সংসার, বাচ্চা ও ব্যাঙ্কের চাকরি সামলে প্রিয় মানুষটির জন্য লড়াই করে গেছেন। গত তিন বছর ধরে হাসপাতালই হয়েছিল চৈতি ফারফানার ঘরবাড়ি। স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ঢাকার একমাত্র ফ্ল্যাটটাও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অর্থ সংগ্রহের জন্য চারিদিকে ছোটাছুটি করছে হয়েছে। অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সাকিব আল হাসান তুলে দিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। আর্থিক সাহায্য করেছিলেন মোশারপ হোসেনও। যেখানে যতটুকু অর্থ ছিল, সব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বামীকে বাঁচাতে। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি। স্বামীর জন্য কী না করেননি চৈতি ফারহানা? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রুবেলকে গল্পের বই পড়ে শোনাতেন। স্বামীকে দেখাশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে বসেই ল্যাপটপে অফিসের কাজ করতেন। রুবেলকে সবসময় মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতেন। প্রিয় মানুষটির জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবু মারণ ব্যাধি সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেল চৈতির। ৪০ বছর বয়সী মোশারফ হোসেন রুবেল দেশের হয়ে ৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ৪টি উইকেট পেয়েছেন। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক। জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এপ্রিল ২০, ২০২২
রাজ্য

'শিল্পপতিদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে যেন বিরক্ত না করা হয়', রাজ্য়পালকে কড়জোড়ে মমতা

Bengal Global Business Summit 2022-এ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন, পাল্টা তাঁকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে রাজ্যপালের উপস্থিতি ও বক্তব্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন মমতা। তাছাড়া এভাবেই রাজ্যের পাশে থাকার আবেদনও রেখেছেন রাজ্যপালের কাছে। দুজনের বক্তব্য শুনলে মনে হবে তাহলে কী রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাত বলে কিছু ছিল না। কিন্তু এই বানিজ্য সম্মলনেই শিল্পপতিদের সাক্ষী রেখে রাজ্যপালের কাছে কড়জোড়ে আবেদন করে মমতা রীতমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন। যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রশংসা করেই ধনখড়ের দিকে হাতজোড় করেন মমতা। তখন অনেকটাই হতবাক দেখাচ্ছিল রাজ্যপালকে। মমতা বলেন, রাজ্যপাল স্যার, কিছু মনে করবেন না, আপনার মাধ্যমে একটা কথা বলতে চাই। মহামান্য রাজ্যপালকে সমস্ত শিল্পসংস্থার তরফে একটা কথা বলছি। আমরা কেন্দ্রীয় সকারের কাছ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা চাই। একইসঙ্গে রাজ্যপালদের বৈঠকে একটা কথা অবশ্যই বলবেন প্লিজ। শিল্পপতিদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে যেন বিরক্ত না করা হয়। মমতার এই বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজনীতিতে হইচই শুরু হয়ে যায়। পুরোটাই নাটক বলে মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এমন সময় মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন তখন আর মঞ্চে জবাব দেওয়ার পরিস্থিতি ছিল না রাজ্যপালের। তবে এদিন মঞ্চে নানা দফায় রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এপ্রিল ২০, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যপাল ধনখড়ের মুখে ভূয়সী প্রশাংসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিশ্ব বাংলা বানিজ্য সম্মলনে এক মঞ্চে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরভর বাংলার নানান ইস্যুতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত লেগেই থাকে। এমনকী রাজ্যপালকে অপসারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই রাজ্যপাল এদিন প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বাংলাকেও।২ বছর পর ফের নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশনে বুধবার বানিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই বিশ্ব বাংলা বানিজ্য সম্মেলনে হাজির হয়েছেন ১৯টি দেশের ২৫০জন প্রতিনিধি। এদিন নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন শিল্পপতি আজিম প্রেমজি ও গৌতম আদানির সঙ্গে। জিন্দাল গোষ্ঠীর সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে ব্রিটেনের ৪৯ জন প্রতিনিধি এসেছেন। সম্মেলন শুরুতে ভাষণ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।এদিন বক্তব্যে রাজ্যপাল বলেন, মহামতি গোখলে বলেছিলেন বাংলা আজ যা ভাবে কাল গোটা দেশ ভাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাই বলেছেন। মোদীজির লুক ইস্ট নীতি মেনে এগিয়ে যাবে বাংলা। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানব সম্পদে এগিয়ে বাংলা। দেশের অর্থনৈতিক ছবি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলার আছে। পূর্বভারতের ইকোনমিক হাব হবে বাংলায়। শিল্পপতিদের বাংলায় শিল্প স্থাপনের জন্য উৎসাহ দেন ধনখড়। তিনি বলেন, বাংলায় বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিদের লাভ হবে। আশা করা যায় বাংলা আগামিদিনে আরও উন্নত হবে। এই বাণিজ্য সম্মেলন পথ দেখাবে।

এপ্রিল ২০, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ বগটুইয়ের প্রত্যক্ষদর্শীর, তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

আনারুলের পর এবার রাজ্যের মন্ত্রী ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন মিহিলাল শেখ। মিহিলাল রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর পরিবারের লোকজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পরপরই। সংশোধনাগারে আনারুল, লালনরা খেয়ে-দেয়ে ফূর্তি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মিহিলালের অভিযোগ, এই সমস্ত ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। পুরো বিষয়টা তিনি সিবিআইকে জানাবেন বলেছেন। এদিকে মিহিলালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আশিষ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।কী বলেছেন মিহিলাল শেখ?আমার পরিবার তো শেষ হয়ে গেল। আনারুলরা জেলের মধ্যে ফূর্তি করছে। জেলে বিয়ার, মদ খেয়ে এনজয় করছে। বাড়িতে যা পেত তা জেলে পাচ্ছে। বাইরে থেকে খাবার যাচ্ছে। আমাদের লোকজনকে শেলে রেখে দিয়েছে। এসবে মদত দিচ্ছে আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপো আমাদের ওপর অত্যাচার করত। আনারুলকে গাইড করছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব কান্ড আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। একমাসেও কোনও খবর নেয়নি। ওর লোকজনও খবর নিতে আসেনি। আমি বিডিওকে হোয়াটসঅ্যাপে খাদ্যদ্রব্যের জন্য পাঠিয়েছিলাম। প্রথমে তিন-চার দিনের জন্য কিছু পাঠিয়েছিলেন। এখন সব বন্ধ। আমরা এক মাসের খাবার চেয়েছিলাম প্রশাসনের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সত্বেও কোনও খাবার দিচ্ছে না প্রশাসন। পুরো বিষয়টা সিবিআইকে জানাব। চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট নই। কারণ জীবনের বিনিময়ে কিছু হয় না।এর আগে বগটুইয়ের ঘটনায় বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম জড়াচ্ছিল। আনারুল কার লোক তা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। আনারুলকে সুপারিশের বিষয় সংক্রান্ত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দেওয়া চিঠিও বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। এবার সরাসরি অভিযোগ উঠলো রামপুরহাটের বিধায়কের বিরুদ্ধে। তবে আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অভিযোগকেই পাত্তা দিতে নারাজ।

এপ্রিল ১৯, ২০২২
দেশ

ফের কংগ্রেসে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির

কংগ্রেসের ঘরে হানা দিয়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে গোয়ায় একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর আগে অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। রবিবার অসম কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রিপুন বোরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কয়েকদিন আগে রাজ্যসভার নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন বিপুন। এদিনই পূর্বাঞ্চলের এই কংগ্রেস নেতা টুইটে কংগ্রেসের সভানেত্রীকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। এই তৃণমূলযোগের ফলে উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন অব্যাহত রইল। এর আগে মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।It gives us immense joy to welcome Shri @ripunbora, who joined the @AITCofficial family in the presence of our National General Secretary Shri @abhishekaitc pic.twitter.com/qfJka4PVIq All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 17, 2022উত্তর পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত। এদিন কলকাতায় রিপুন বোরার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের পর এবার কংগ্রেসের ঘর ভেঙে অসমে সংগঠন বিস্তার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে শনিবারই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সনিয়া গান্ধিসহ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের বৈঠক হয়। প্রশান্ত কিশোর আবার তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।Extending a very warm welcome to Shri @ripunbora, a stalwart and skilled politician, who joined the @AITCofficial family today.We are extremely pleased to have you onboard and look forward to working together for the well-being of our people! pic.twitter.com/Tz0Q691Egd Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 17, 2022অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৩ ও ৪ মে মেঘালয়ে যাবেন। সেখানে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। মেঘালয়ের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্য়মন্ত্রীসহ একাধিক নেতা তৃণমূলে ভিড়েছেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন দক্ষ রাজনীতিক রিপুন বোরাকে তৃণমূল পরিবারে স্বাগত।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজনীতি

আসানসোলে সবুজ ঝড়ে উড়ল গেরুয়া শিবির, বালিগঞ্জে জয়েও আতঙ্কে তৃণমূল

রাজ্য়ের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে পরপর দুবারে জয় পাওয়া বিজেপিকে। প্রায় ২ লক্ষের ওপর ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে পরাজিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয় পেয়েছেন ২০ হাজারের ওপর ভোটের ব্যবধানে। এখানে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কিন্তু এই কেন্দ্রে যে ভাবে তৃণমূলের ভোট কমেছে তাতে ঘাসফুল নেতৃত্বের যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ ও ২০১৯-এ জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রায় ১,৯৭,৬৩৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে পরাজিত করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর আসানসোল কেন্দ্রে জয় পায়নি। এই প্রথম সেখানে জয় পেয়েছে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহা ভোট পেয়েছেন ৬,৪৬,৬৬১ ভোট পেয়েছেন শত্রুঘ্ন। প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট। অগ্নিমিত্রা পাল ভোট পেয়েছেন ৩,৫০,০১৫। শতাংশের হিসাবে ৩০%। বিজেপির প্রায় ২২ শতাংশ ভোট কমেছে গতবাবের তুলনায়।এদিকে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপিকে সরিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ২০হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে। বাবুল পেয়েছেন ৫০,৯৯৬ ভোট। সায়রার প্রাপ্ত ভোট ৩০,৯৪০ ভোট। বিজেপি গতবারে তুলনায় ৭ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে। বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন ১৩,১৭৪ ভোট। তবে এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট প্রাপ্তি কমেছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবারের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট কমায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ঘাসফুল শিবিরের।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
রাজ্য

'ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব', তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুমকি ভিডিও ভাইরাল

হাঁসখালি থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনসহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করে সিপিএম। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লক প্রেসিডেন্ট আফরোজ সরকারের হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট শোনা যায়, তিনি বলছেন, ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা)।আফরোজ সরকারকে ওই ভিডিও-তে বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো যাবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। আমরা আছি। ধর্ষণ হলে বড়বাবু, এসপিকে বলব গ্রেফতার করার কথা। প্রমান দেখাক ধর্ষণ করেছে। সিপিএম একটা মিছিল বের করে দিয়েছে। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ঠান্ডা করে দেব। তার জন্য ডান্ডার দরকার। বেশি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলে তবে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দবে। আমি পদের ভয় করি না। যুব সভাপতিসহ নানা পদে ছিলাম, সিপিএম যদি উল্টোপাল্টা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছেলে আছি আফরোজ সরকার। এমন ঠান্ডা করে দেব বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই হুমকির পর সুড় চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, হুমকি ছাড়া কথাই বলছেন না তৃণমূলীরা। এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
রাজ্য

হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদের বিষ্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধীরা এই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসিয়ে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা ঘটনাও সকলের কাছে লজ্জার। সৌগতর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তবে তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যকে বিতর্ক সৃষ্টির প্রচেষ্টা বলে মনে করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ঘটনার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেও এমন মন্তব্য করতে পারেন।তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন, রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সকলেই চিন্তিত। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স করতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব বরদাস্ত করা যাবে না। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা ঘটনাও লজ্জার। পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে নজর রাখবেন। বিরোধীদের দাবি, একথা বলে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ। একইসঙ্গে সাংসদের এমন মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশলও হতে পারে।দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণীর ঘটনার তদন্ত ভার আদালত দিয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। আদালতের তদারকিতে হাঁসখালির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে সৌগত রায়ের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • ...
  • 66
  • 67
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal