• ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Artist

বিনোদুনিয়া

'কুপন' নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নেওয়া! এনএবিসি 'বঙ্গ সম্মেলন' নিয়ে ক্ষোভ সঙ্গীত শিল্পী মধুরা'র

এবছরে এনএবিসি বঙ্গ সম্মেলনএ গিয়ে চূড়ান্ত অপদস্থ হতে হয়েছে বাংলার শিল্পীদের। আয়োজকদের অব্যবস্থার নানা অভিযোগ শিল্পীরা তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে করছেন। তাঁদের অভিযোগ: প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়া, খাওয়া-দাওয়ার অব্যবস্থা, হোটেলের ঘর নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়ার আদেশ, অনুষ্ঠানের অদ্ভুত সময়সূচী; নানাভাবে বাংলার বিশিষ্ট শিল্পীদের নানারকম অপ্রীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় এনএবিসি অনুষ্ঠানে এসে। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স-র বঙ্গ সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আতিথেয়তা নিয়েও! নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স-র বঙ্গ সম্মেলন-এ বাংলার শিল্পীদের অপমান, অসম্মান ও অবহেলা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার নবীন থেকে প্রবীন শিল্পীরা।সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে এক খোলা চিঠিতে এই বছরের (২০২৩) আটলান্টাতে আয়োজিত নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স বঙ্গ সম্মেলন-এ বাংলার শিল্পীদের অপমান ও হেনস্থায় বাংলার একঝাঁক শিল্পী প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, বিক্রম ঘোষ থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়,অঞ্জন দত্ত, শ্রীকান্ত আচার্য্য, মনোময় ভট্টাচার্য্য, সৌমিত্র রায়, অনুপম রায়,অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, শুভমিতা ব্যানার্জী, জয়তী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, মধুরা ভট্টাচার্য, তৃষা পাড়ুই ছাড়াও কবি শ্রীজাত, সুবোধ সরকার, সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, জয় সরকার ও টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা/ অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী,সোহিনী সরকার ছাড়াও আরও অনেকে তাঁদের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।এই মহুর্তের বাংলা সিনেমা ও টেলিভিশন-র ব্যস্ততম সঙ্গীত শিল্পী মধুরা ভট্টাচার্য এনএবিসি বঙ্গ সম্মেলনএ গিয়ে তাঁর সুমধুর অভিজ্ঞতার কথা জনতার কথা কে জানালেন। মধুরা জানান তিনি, ২০১৭ সালের এনএবিসি বঙ্গ সম্মেলনএ প্রথম বার তিনি গিয়েছিলেন, এবং ওটাই তাঁর শেষ যাওয়া! মধুরা জানান এনএবিসি সম্পর্কে এক বিশাল ধারণা নিয়ে ওখানে গিয়েছিলাম, প্রচুর মানুষ, দারুণ সুন্দর ব্যবস্থা হবে ওখানে, সবার মত এই রকমই ধারনা আমারও ছিল! ২০১৭ তে প্রথম বার ওখানে পৌঁছাবার পরই বেশীরভাগ ধারনাই ভুল প্রমাণিত হল। তিনি জানান, তিনি ছাড়াও অনেক গুণী শিল্পী সেই বারের অনুষ্ঠানে একত্রে ওখানে গিয়েছিলেন।মধুরা জানান, দীর্ঘ বিমান যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে, ওখানে একেবারে অন্য একটা ওয়েদারে পৌঁছাবার পর অনেক্ষনের অপেক্ষা রুম এলটমেন্ট এর জন্য। সেসব না হয় মেনে নেওয়া যায়, আমরা মেনে নিইও। অনুষ্ঠানের সময়সূচীর পরিবর্তন! সেসবও ঠিক আছে। হয়েই থাকে।মধুরা আরও বলেন, তবে আমার সবচেয়ে খারাপ লেগেছিল, পৌঁছনোর পরেই, আমাদের হাতে খাবারের কুপন ধরানো! ছোট ছোট কাগজের টুকরোতে এনএবিসি লেখা কুপন। বঙ্গ সম্মেলনএ শিল্পী হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়ে কুপন নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ডিনার নিতে হবে! আমার সেই ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে গেলো, পাড়ার পুজোর প্যান্ডেলে টিফিন বা ভোগ নেওয়ার জন্য কুপন নিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর কথা। মধুরা জানান, দীর্ঘ বিমান যাত্রায় ক্লান্তি ও ধকলের পর, লাইন দিয়ে কুপন নিয়ে দাঁড়িয়ে খাবার মত মানসিকতা ছিলোনা, তাছাড়া দু-তিন দিনের মধ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠান ছিল, তার প্রস্তুতিও ছিল। সর্বোপরি শিল্পী হিসাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কুপন নিয়ে খাবার নেওয়া আমার কাছে খুব-ই অপমানজনক লেগেছিল। নীরব প্রতিবাদ হিসেবে তাই বেশিরভাগ সময়েই, আমি ও আরও কয়েকজন সহশিল্পী বাইরে থেকে নিজেরাই খাবার কিনে এনে খেয়েছি। সবসময় অনুষ্ঠানের টাইট শিডিউলে সেটাও সম্ভব হয়নি যদিও। তাতে আয়োজক দের কারও মাথা ব্যথা হবে, সেটা এক্সপেক্ট করাও ভুল!তিনি বলেন,তবে বলা বাহুল্য, সেবারে গিয়ে বেশ এমন কয়েকজন শ্রোতার সাথেও আলাপ হয়েছিল, যাঁরা তাদের মতন করে যথা সম্ভব যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের সাথে খুবই সুন্দর হৃদ্যতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেই থেকে। প্রতিবার হয়তো কোর কমিটিতে বদল হতে থাকে। তাই কিছু মানুষের কেলাসনেস এর জন্যে সবাইকে দায়ী কখনোই করবোনা।মধুরা জানান, ওই অভিজ্ঞতার পর এনএবিসি যাবার ইচ্ছা বা আকর্ষণই কমে গিয়েছিল। এর পরেও এনএবিসি থেকে অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু আমি খুব সন্তর্পনে এড়িয়ে গেছি। তিনি জানান এই বছরেও এনএবিসি থেকে প্রস্তাব এসেছিলো, কিন্তু আমার চুক্তি যে তাদের মনমত হয়নি, এটা আমার পক্ষে খুবই মঙ্গলদায়ক হয়েছে।মধুরার জানান, এবছর যা যা ঘটেছে তাতে আয়োজকদের আরও অনেকটা বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এতদূর থেকে এতজন শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হলে, আয়োজকদের আরও অনেকটা সময়, ভাবনা চিন্তা, বোধের প্রয়োজন। নানান খুঁটি নাটি দিক অনেক কিছু ভাবার থাকে। শিল্পীরা রোবট নন। তাদের ন্যূনতম হলেও, একটা কমফর্ট এর প্রয়োজন হয়, সুস্থ শরীরে, হাসি মুখে, দুই আড়াই ঘণ্টা শ্রোতা দের নির্ভেজাল আনন্দ দিতে। শিল্পীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে যে ভাবে অপমানিত হতে হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে প্রবীন থেকে নবীন। সামাজিক মাধ্যমে চোখ বোলালেই তাঁর আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।একটি খোলা চিঠি তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন তাতে লেখা,সুধী, উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন ২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী, বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান। পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য। তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা, অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার, অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত, ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন। অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ, তা তারা ভুলতে বসেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাংলার সব শিল্পী আজ এনএবিসির যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত, অপমানিত। তাই একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই এনএবিসির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত। ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে, তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা। ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট, স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য, অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়, এ কথা যেন তারা বিস্মৃত না হন। সংস্কৃতি মঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা, তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব, সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে; সাবধান. গর্জে উঠবে বাংলার সব শিল্পীদল।

জুলাই ০৮, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

বাংলার শিল্পীদের চরম অসম্মান ও হেনস্থা বঙ্গ সম্মেলনে, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের আগুন

আমেরিকার নিউ জার্সির আটলান্টাতে আয়োজিত ২০২৩-র নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স-র বঙ্গ সম্মেলন-এ বাংলার শিল্পীদের অপমানের প্রতিবাদে মুখর বাঙালি শিল্পী মহল। এবছরে উত্তর আমেরিকায় নিউ জার্সির আটলান্টাতে আয়োজিত হয়েছিল ইতিহ্যবাহী বঙ্গ সম্মেলন বা নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স। ১৯৮১ থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান মূলত জুলায় মাসেই হয়ে থাকে। বিগত প্রায় চার দশক ধরে বঙ্গ সংস্কৃতি সংঘ সামক এক সংস্থা এই বার্ষিক কনফারেন্সের আয়োজন করে আসছেন। এরপর থেকে প্রতি বছরই বাঙালি শিল্পী সমন্বয়ে (কলকাতার (ভারত) বা বাংলাদেশ) এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ২০২৩-র বঙ্গ সম্মেলন অনুষ্ঠানটি ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই অবধি হয়েছিল।এইবছরের (২০২৩) আটলান্টাতে আয়োজিত নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স বঙ্গ সম্মেলন-এ বাংলার শিল্পীদের অপমান ও হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব বাংলার আপামর শিল্পীমহল। বাংলার একঝাঁক শিল্পী সামাজিক মাধ্যমে এর প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, বিক্রম ঘোষ থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়,অঞ্জন দত্ত, শ্রীকান্ত আচার্য্য, মনোময় ভট্টাচার্য্য, সৌমিত্র রায়, অনুপম রায়,অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, শুভমিতা ব্যানার্জী, জয়তী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, মধুরা ভট্টাচার্য, তৃষা পাড়ুই ছাড়াও কবি শ্রীজাত, সুবোধ সরকার, সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র, ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত, জয় সরকার ও টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা/ অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী,সোহিনী সরকার ছাড়াও আরও অনেকে তাঁদের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।সমবেত ভাবে তাঁরা তাঁদের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে লিখেছেন, সুধী, উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী, বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান। পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য। তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা, অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার, অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত, ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন। অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ, তা তারা ভুলতে বসেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাংলার সব শিল্পী আজ এনএবিসির যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত, অপমানিত। তাই একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই এনএবিসির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত। ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে, তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা। ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট, স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য, অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়, এ কথা যেন তারা বিস্মৃত না হন। সংস্কৃতি মঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা, তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব, সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে; সাবধান. গর্জে উঠবে বাংলার সব শিল্পীদল।প্রতিবাদী শিল্পীদের মূল প্রতিবাদ আয়োজক সংস্থার অব্যবস্থা ও শিল্পীদের প্রতি অসন্মান! তাঁদের বক্তব্য এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আমেরিকা পৌছানো পর থেকেই প্রতি পদে তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। শিল্পীদের অভিযোগ বিমানবন্দর থেকে যাওয়া শুরু করে, হোটেলে থাকার ব্যবস্থা,খাওয়ার মত সামান্য বিষয়েও কোনওরকম নজর দেননা আয়োজকরা। বিদেশ বিভূঁইয়ে স্বজাতির দ্বারা প্রতারিত ও হেনস্তা হয়ে প্রতি পদে বিপদে পড়েন তাঁরা। শিল্পীদের আরও অভিযোগ যে মূল করনে তাঁরা এতদূর পারি দিয়ে এসেছেন সেই অনুষ্ঠান-ই কেটেছেঁটে ছোট করে দেওয়া হয়। এছাড়া পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও তাঁদের প্রতারিত হতে হয়েছে নানা সময়, অনেককেই তাঁদের নুন্যতম পারিশ্রমিক টুকুও দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ শিল্পীদের।আয়োযোগ সংস্থা নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও, তাঁদের যোগাযোগ করতে ব্যর্থ প্রতিবাদী শিল্পীরা। বিশিষ্ট প্রবীন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী-র আয়োজকদের পাঠানো একটি ইমেল সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ইমেলে তিনি লেখেন,অসম্ভব ভুলভাল টাইমিং তো ছেড়েই দিলাম, আমি ভাবতেই পারিনি সেখানে আমাদের জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থাও থাকবে না, দুপুরের খাবার আসবে বিকেল ৪ টের সময়। তাও আমরা বাইরে থেকে খাবার কেনার পর। হোটেলের ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে পারিনি আমরা। বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী আমায় এত সম্মান দেন, ভারতের সব থেকে প্রবীণ শিল্পী আমি সেখানে আমায় নিয়ে গিয়ে এমন অপমান! আমি আমার প্রাপ্য টাকাটুকু পাইনি। এবার বলুন আমার কী করণীয়?...শুধু অজয় চক্রবর্তী-তেই থেমে নেই, ফেসবুক লাইভে এসে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী জয়তী চক্রবর্তী নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সর অনুষ্ঠানে এসে তাঁর ভয়ানক অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করে নেন। জয়তি বলেন, আমাদের ৫ তারিখ পর্যন্ত হোটেল বুকিং আছে বলে জানানো হয়েছে কিন্তু আজ সকাল (৪ঠা জুলাই ২০২৩) থেকে আমরা আমাদের ঘরে ঢুকতে পারিনি। বিকেল ৪ টে বেজে গেলেও আমাদের খেতে দেওয়া হয়নি। এক পরিচিত খাবার এনে দেওয়ার পর ওঁরা খাবার দেন। আমাদের অনুষ্ঠানের এক শিডিউল টাইম বলে নিয়ে আসা হয়েছিল, এখানে এসে পুরোটাই পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকেই আমাদের নিজেদের ঘরে ঢুকতে পারিনি। পরে সৌগত দা এসে আমাদের কিছু শিল্পীকে উদ্ধার করেন এই পরিস্থিতি থেকে। আমি আজ নিজের চোখে গুরুজির যে অসম্মান দেখলাম সেটা মানতে পারছি না। আমাদের যে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রাখা হয়েছিল তার দায় কে নেবে?দায়ভারের প্রশ্নই এখন শিল্পীদের মুখে মুখে তা প্রবীন সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী-ই হোক বা অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, সকলেই এর একটা যথাযত বিহিত চাইছেন......। সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে লেখেন ভারতের সিনিয়র-মোস্ট কিংবদন্তি শিল্পীকে যদি এমন চিঠি লিখতে হয়,তাহলে বেঙ্গলি কনফারেন্স করে লাভ কি? এই অসম্মানটুকু পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর প্রাপ্য বুঝি!! বাঙালি আর কত নীচে নামবে?

জুলাই ০৭, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

এই বিশ্বখ্যাত প্রবাদপ্রতীম শিল্পী কে? বিস্তারিত জেনে নিন

বেশ কিছুদিন আগে থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ফেসবুক বা ফেসবুক টাইম লাইনে অশীতিপর এক বৃদ্ধার সংগীত পরিবেশন কে ট্রোলড হতে দেখা গিয়েছে বারংবার। তিনি কে? কি ভাষায় তিনি গান গাইছেন ? অথবা গানের অর্থই বা কি এর তথ্যানুসন্ধান কেউ করেনি। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের বিচারে এই মহান শিল্পীকে নিয়ে শুধু নানান মন্তব্য ও স্ববোধের বিচারে হাসাহাসি চলেছে। কিন্তু প্রকৃত সংগীত পিপাসুদের কানে এই শিল্পীর পরিবেশিত গানটি শুনে কেমন যেন একটা ভালোলাগা অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, গানটি সোয়াহিলি ভাষার একটি বিখ্যাত গান। আর এই অশীতিপর বৃদ্ধা শিল্পীটি আর কেউ নন আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়ার মহান সংগ্রামী শিল্পী বিকিডুডু। যাঁর পোশাকি নাম ফাতুমা বিনতি বারাকা। এই সোয়াহিলি আরব প্রভাবিত সংগীতের স্টাইল তারাবোর কিংবদন্তী পারফর্মার তিনি। তাঁকে তারাব ও ইউনেয়াগো সংস্কৃতির রানীও বলা হয়। এটি মূলত তানজানিয়া এবং কেনিয়ার কিছু অঞ্চলের সংস্কৃতি। অনুমান করা হয় বিকিডুডের জন্ম ১৯১০সালে তানজানিয়া জাঞ্জিবার দ্বীপের একটি ছোট্ট গ্রামে, গ্রামটির নাম মাফাগিমিরিঙ্গ। তাঁর বাবা ছিলেন ওই দ্বীপেরই একজন নারকেল বিক্রেতা। বিকিডুডে তাঁর মাত্র ১০ বছর বয়সেই আফ্রিকান রক্ষণশীল সমাজের নিয়ম ভাঙতে শুরু করেন। তিনি সমাজ ও প্রথার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজে ব্যক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে আফ্রিকান সংগীতএবং নারী জাগরণের পথ তৈরি করে গেছেন। বিশ্ব সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ওমেক্স এওয়ার্ড। এই পুরস্কারপ্রাপ্তির আগে পর্যন্ত বিকিডুডে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিলেন। ২০০৫ সালে প্রাপ্ত এই পুরস্কারে তিনি বিশ্ববাসীর নজরে আসেন এবং বিশ্ববাসীর মন জয় করেন। ব্রিটিশ নির্মাতা এন্ডি জোন্স শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন Shot Bi kidudu প্রবল লিঙ্গ বৈষম্যে জাঞ্জিবার সমাজে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। তাঁর সারল্য জেদ আর অনমনীয় মনোভাবের মধ্যে দিয়ে পদদলিত করেন এই সমাজের জরা ও পশ্চাদপদ প্রথাকে। একক ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জাঞ্জিবার প্রথার অমলিন সংস্কৃতিকে উন্মুক্ত করেন বিশ্ববাসীর সামনে। নিঃসন্তান প্রথাবিরোধী স্বাধীনচেতা এই শিল্পীর জীবনটাই ছিল বিতর্কিত। তথাকথিত একটা পর্দানশীন সমাজের বাইরে বেরিয়ে আসা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান করতেন, আবিশ্ব ঘুরে বেড়াবেন এই স্বপ্ন ছিল তার। নিজের সমস্ত উপার্জিত অর্থ তিনি অকাতরে দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে নিজে নিঃস্ব থাকতেন। হাঁপানি রোগ নিরাময়ে একজন ভেষজ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই শিল্পী পরিচিত ছিলেন। এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী জাঞ্জিবার তরুণ ও দুঃস্থ শিল্পীদের সংগীত শেখানো ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। আফ্রিকার লোকসংগীত এর প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অবিসংবাদিত। ১৯৮০ সালে স্বৈরাচারী নাইজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তার কন্ঠ। তানজানিয়ার জাঞ্জিবার সমাজের তিনি ছিলেন জাতীয় ধন। দীর্ঘ ১০৩ বছরের জীবন পথ অতিক্রম করে মহান এই মানবতাবাদী শিল্পী ২০১৩ সালের ১৭ই এপ্রিল জাঞ্জিবার দ্বীপে নিজ গ্রামে লোকান্তরিত হন। গত ১৭ এপ্রিল ছিল তার মৃত্যুর দশম বৎসর।

মে ০৬, ২০২৩
রাজ্য

লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রীর তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস

উত্তরবঙ্গের লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লোকশিল্পীরা ভাতা পাচ্ছেন। শিল্পীদের একাধিক দাবিদাওয়া পূরণে উত্তরবঙ্গের সমস্ত লোকশিল্পীরা তৈরি করেছেন বঙ্গীয় বাউল ও লোকশিল্পী সংঘ। বাউল, ভাওয়াইয়া,খন গান, পালা গান সহ বিভিন্ন লোক সংস্কৃতির সাথে যুক্ত উত্তরবঙ্গের মোট সাতটি জেলা থেকে শিল্পীরা এদিনের এই রাজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন,ইতিমধ্যেই শিল্পীদের একাধিক সমস্যা সমাধান হয়েছে। আগামীতেও সকল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার শিল্পীদের পাশে থাকবে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা'-র আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ব্যাপক সাড়া

২৮ শে জুন মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা আয়োজিত আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হল। আবৃত্তি নিয়েই আবৃত্তিশিল্পী সংস্থার পথ চলা চুরু ২০১৫ সালে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশাল ভাবনা চিন্তার চাষ শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকেই আগে। সারা বিশ্ব যখন আতিমারির কবলে আটকে পড়েছিল সেই সময় আবৃত্তিশিল্পী সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। ভারত তথা বিশ্বের বহুপ্রান্তীয় সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। সংখ্যাটা ছিল ৪১৬৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের শেষে গত ২৮ জুন চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন তিনটে বিভাগে মোট ১৯ জন প্রতিযোগী।এদিন চূড়ান্ত পর্বের বিচারকের আসন অলংকৃত করেছিলেন স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী প্রণতি ঠাকুর, রত্না মিত্র, সুকুমার ঘোষ। উদ্বোধন করা হয় গাছে জল সিঞ্চন এবং কবিগুরুর বিভিন্ন কথার মালা গাঁথা হয় গাছটিতে। উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার সভাপতি সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, সহ সভাপতি মধুমিতা বসু, কর্ণধার জয়ন্ত ঘোষ এবং বিচারকরা। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই মেন্টরদের সংবর্ধনা দেওয়া হয। এছাড়াও যে সমস্ত প্রতিযোগী সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তাঁদেরকেও সংবর্ধিত করা হয়। কবি দিধিতি চক্রবর্তী এবং কবি মনীষা যুগ্ম সম্পাদনায় আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার নিজস্ব পত্রিকা কন্ঠকথার তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগ ছিল ক-খ-গ, ক বিভাগে প্রথম হয় তৃষিত চক্রবর্তী (চিত্তরঞ্জন), দ্বিতীয়- পরিযায়ী চ্যাটার্জী (পুরুলিয়া), তৃতীয় - প্রমীতি পন্ডা ( পাটুলী)। খ বিভাগে প্রথম হয় সৃজা রায় ( পুরুলিয়া), দ্বিতীয় - শ্রীপর্ণা সিং (মুর্শিদাবাদ), এবং তৃতীয় -সোমশ্রী দেব ( হুগলি)। গ বিভাগ প্রথম- রীতি সেন(দক্ষিণ দিনাজপুর), দ্বিতীয়- স্বাগতা মির্জা (মুর্শিদাবাদ), তৃতীয়- সুশ্বেতা চক্রবর্তী ( উত্তর ২৪ পরগণা)। অনুষ্ঠানের শেষে সমস্ত প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।এইদিন সংস্থার নিজস্ব প্রযোজনা ছিল শতাধিক শিল্পীর কন্ঠে হে মোর চিত্ত পূণ্যতীর্থ কবিতাটি। দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইনে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং তার গ্রান্ড ফিনালে - এই ভাবনা বাস্তবায়িত হয়েছে জয়ন্ত ঘোষের তত্বাবধানে।

জুন ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বাংলার বহুরূপী শিল্পীদের নিয়ে কেনিয়া নিবাসী বঙ্গকন্যার কাজ

বীরভূমের বহুরূপী সম্প্রদায় বংশপরম্পরায় তাঁদের শিল্প চর্চাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, যা বাংলার লোকশিল্পের এক উজ্জ্বল অঙ্গ। বিভিন্ন চরিত্রের নিখুঁত সাজ পোশাক ও অভিনয়ের মাধ্যমে তার চরিত্র চিত্রায়ন, বহুরূপী শিল্পের এটাই বৈশিষ্ট। সম্প্রতি অনন্যা পালের লেখা ও পরিচালনায় মনসা কথা নাটকে কাজ করেছেন বহুরূপী শিল্পীরা, এই চিত্রনাট্যটি মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার আঙ্গিকে পদাবলী ছন্দে লেখা, যা মনসামঙ্গল কাব্যের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে। মনসামঙ্গলের কাহিনীতে, দেবী উগ্র স্বভাব ও কঠিন হৃদয়ের অধিকারিনী, সেখানে চাঁদের দুর্দশা, সনকার অসহায়তা আর বেহুলার পতিপ্রেম পাঠকের মন জিতে নেয়। তবে অনন্যার মনসা কথা নাটকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেবী মনসাকে তুলে ধরা হয়েছে, এখানে সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে যে বার্তা রয়েছে তা আজকের যুগেও সমান ভাবে উপযোগী।মনসা কথা নাটকটি ইউটিউবে মুক্তি পেল অনন্যা পালের নিজস্ব চ্যানেল থেকে, এখানে অভিনয় করেছেন ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্য, সুবল দাস বৈরাগ্য, রাজীব বাজিকর, প্রণব বাজিকর ও সুজিত বাজিকর। ভাষ্যপাঠে শুভ কুণ্ডু ও গানে সঙ্ঘমিত্রা ব্যানার্জী।অনন্যা পাল একজন লেখিকা। কর্মসূত্রে কেনিয়াতে থাকলেও বাংলায় বই লেখেন। তাঁর অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল বহুরূপী শিল্পীদের নিয়ে কাজ করবেন। মনসা কথা-য় সেই আশা পূর্ণ হলো। অনন্যা পাল বললেন, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল বাংলার লোকশিল্পীদের নিয়ে কাজ করার। বহুরূপী শিল্পীদের কথা মাথায় আসে। মাঝে করোনার কবলে সকলের মতোই বাংলার লোকশিল্পীরাও সমস্যার সম্মুখীন হন।ওঁদের কথা মাথায় আসায় মনসা কথা-র চিত্রনাট্য লিখি। সেই হিসেবেই ওঁদের মতো করেই শান্তিনিকেতনে শুটিং করা হয়। করা হয় আর্থিক সাহায্য। আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসে আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকেই মুক্তি পেল এই নাটকটা ।

জুন ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শিল্পীদের পাশে অভিনেতা সন্দীপ ভট্টাচার্য

ফাউন্ডার অভিনেতা সন্দীপ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এফবিএসি আইসিসিআরে এফবিএসসির সূচনা হল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। এখানে সুদর্শন চক্রবর্তী পারফর্ম করেন এবং গান গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে দেন সৌম্য শংকর রায়। উদ্যোক্তা সন্দীপ ভট্টাচার্য তার বোর্ড মেম্বার এবং তাদের সহযোগী সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে এই পবিত্র কাজে যোগ দেয়ার জন্য। এনাদের মূল লক্ষ্য ব্যবসা সামাজিক সংস্কৃতি এক ছাতার তলায় আনা। এটাকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বললেও ভুল হবে না। যারা ব্যবসা করতে উদ্যোগী তাদের উদ্যোগ দেখে তাদেরকে সাহায্য করা আর্থিকভাবে এবং তাদেরকে ব্যবসার বিষয়ে সঠিক শিক্ষা দান করা যাতে তারা কি করে ব্যবসাটি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে তারা ভীষণভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। শুধু ব্যবসাই না সামাজিক কাজ বলতে মানুষকে শুধু টাকা দিয়ে না সমস্ত দিক থেকে সমস্ত রকম ভাবে কিভাবে সাহায্য করতে যাওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা এবং তাদেরকে সমাজে স্বাবলম্বী করে তোলা। আরেকটি মূল বিষয় আমাদের সমাজের একটি বড় অংশ সংস্কৃতি, অর্থাৎ শিল্পীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া যেহেতু সন্দীপ ভট্টাচার্য নিজে একজন শিল্পী। তাই শিল্পীদের সমাজের উন্নতি কিভাবে ঘটানো যায় এবং একজন শিল্পী হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এই সমাজে তার ধারণা রয়েছে সন্দীপের। তার এই ধারণা তিনি সমাজের ছোট থেকে বড় সমস্ত শিল্পীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। তাদের একটি মূলমন্ত্র আমি বলে কিছু হয়না এখানে আমি বলতে এখানে আমরা। এর অর্থ হলো আমরা চাইলে সমাজের অনেক কিছু বদলাতে পারি একা কিছু করা যায় না। ব্যবসা, সামাজিক কাজ এবং সংস্কৃতিকে একসূত্রে গাঁথার উদ্দেশ্য নিয়ে সমাজের মধ্যে এক নতুন রকম ঐক্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা তারা করেছেন।

মে ০২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শিল্পী মেয়ের অনুরোধে, গানের খাতা-র ধুলো ঝেড়ে ফের স্বমহিমায় সঙ্গীতশিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য

রাতের চোখে ঘুম যে নামে, চাঁদের পাশে মেঘ যে থামে, আমার পাশে নেই তো তুমি মা, তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা...... হ্যাঁ, ঠিক-ই ধরেছেন, মা ও মেয়ের সম্পর্কের বন্ধন নিয়ে স্টার জলসা-র জনপ্রিয় সিরিয়াল মা-এর টাইটেল সঙ্গীতের কথাই বলছি। এই মুহুর্তে বাংলা সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তম মধুরা ভট্টাচার্যর যেন তাঁর শিল্পী সত্ত্বার পাশে মায়ের উপস্থিতি না পেলে, তাঁর অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাচ্ছিলো।মেয়েদের বড় করে তুলতে গিয়েই সঙ্গীত শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য তাঁর গানের খাতা কবেই আলমারী তে তুলে রেখেছিলেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিলো যেভাবেই হোক সন্তানদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। আজ মধুরা সফল একজন সঙ্গীত শিল্পী ও বড় কন্যা সুমিত্রা একজন প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন ডিজাইনার। মঞ্চের পাটাতন শক্ত হতেই মেয়ে মধুরা টেনে ধরলেন মা শম্পা ভট্টাচার্য-র হাত। এবার আর উপেক্ষা করতে পারলেন না মা।শম্পা ভট্টাচার্য-র সঙ্গীত শিক্ষা শুরু খুব ছোটো বয়সে। তাঁর ঠাকুমা শান্তিময়ী দেবী সেই সময়ের একজন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ছিলেন, তিনি বেশ কয়েকটি কবিতার বই লিখেছিলেন। তদকালীন সময়ে তিনি এক বিদুষী মহিলা ছিলেন। শম্পার বাবা সাধনানন্দ মিশ্র রবীন্দ্রসঙ্গীত ও পুরাতনী গানে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ছোটো বয়স থেকেই শম্পা বাড়িতে এক সুন্দর সাংগীতিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন।শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও ইতিহাসে মাস্টার্স করেন। তিনি যেকোনও ঐতিহ্যবাহী (Traditional) গানে অত্যন্ত পারদর্শী। তিনি ১৯৮১ সাল থেকে অতুল প্রসাদী, দ্বিজেন্দ্র গীতি এবং রজনীকান্তর গানের ধারায় আকাশবাণীর শিল্পী হিসেবে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। এছাড়াও তিনি পুরাতনী গানেও খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কারণ তার বাবা এবং ঠাকুমার কাছ থেকে সেই গান তিনি শিখেছিলেন। তিনি একটি আদ্যন্ত সঙ্গীতীক পরিবারের বংশধর। ১৯৮৬ তে তাঁর গাওয়া অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত এবং দ্বিজেন্দ্র গীতি-র ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ঐতিহ্যবাহী (Traditional) গানের একজন বি-হাই (B-High) শিল্পী, এবং শম্পা ১৯৮১ থেকে কলকাতা দূরদর্শনের সাথে যুক্ত।শম্পা কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন জায়গা যেমন, রবীন্দ্র সদন, মধুসূদন মঞ্চ, শিশির মঞ্চ, গিরিশ মঞ্চ, মহাজাতি সদন, অহীন্দ্র মঞ্চ, উত্তম মঞ্চ, শরৎ সদন-এ অনুষ্ঠান করেছেন। তিনি বিভিন্ন জনপ্রিয় মেলা তে তাঁর মধুর কন্ঠের মুর্ছনা ছড়িয়ে দিয়েছেন। শম্পা বিষ্ণুপুর ঘরনার প্রবাদপ্রতিম শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত তারাপদ চক্রবর্তী-র পিঠস্থান বিষ্ণুপুর মেলা এবং বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।মেয়ে মধুরা সাথে মা শম্পাশম্পা ভট্টাচার্য নীহার রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, সিদ্ধেশ্বর ভট্টাচার্যের কাছ থেকে তার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি সুকুমার মিত্র, বিমান মুখোপাধ্যায়, মীরা দত্ত রায়-র কাছ থেকে নজরুল গীতি এবং বাংলা আধুনিক গান শেখেন। শম্পা অতুল প্রসাদী, দ্বিজেন্দ্র গীতি, রজনীকান্ত গীতি শিক্ষা লাভ করেন নীলা মজুমদার কাছে।তাঁর রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা লাভ প্রবাদ প্রতিম রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র-র কাছে এবং তিনি শ্রীমতি সুমিত্রা সেনের কাছ থেকেও রবীন্দ্র সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করেন যখন তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতের ছাত্রী ছিলেন। শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের আরও দুই মহিরূহ শ্রীমতী কণিকা বন্দোপাধ্যায় ও শ্রীমতি নীলিমা সেন-র কাছে রবীন্দ্রসংগীত শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য সমন্ধে জনতার কথা কে কন্যা বিশিষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী মধুরা বলেন, মা বাবা সমন্ধে কি আর বলবো, আমি আজ যা কিছু, যেটুকু হতে পেরেছি সমস্তটাই মা এবং বাবার জন্য। আমার সঙ্গীত জীবনের প্রথম গুরু আমার মা। আমার খুব মনে পড়ে, আমি যখন ছোট ছিলাম, মা রেওয়াজ করতে বসলেই আমার বসার যায়গা ছিল মায়ের হারমোনিয়াম ও তবলা। সেগুলি কে চেয়ার ভেবে বসে পড়তাম। কেননা ওই দুটো যন্ত্র-ই আমার বসার উচ্চতায় থাকতো। আজ বুঝতে পারি মাকে কতটা বিরক্ত করতাম! আমার গানের হাতে খড়ি মায়ের কাছেই। তাঁর কাছেই আমার প্রথাগত শিক্ষা শুরু। এখনও যেকোনো ঐতিহ্যবাহী (Traditional) গান যেমন, অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত এবং দ্বিজেন্দ্র গীতি যাঁর গানই হোক তোলার প্রয়োজন হলেই মায়ের স্মরনাপন্ন হতে হয়। আর রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে বলতে গেলে তিনি চলমান গীতবিতান, যে গানই বলি সেটা তাঁর তোলা আছে। কি করে যে এত রবীন্দ্রসঙ্গীত জানেন আমি জানি না। আমরা বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীরা নিজেদের গান গাইতে গেলেই খাতা বা ট্যাব ছাড়া গাইতে ভরসা পাই না। তিনি কি করে এত রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা-সুর একেবারে নোটেশন মিলিয়ে অবলীলায় গাইতে পারেন, ভাবতে অবাক লাগে। হয়ত তখনকার দিনের শিক্ষা পদ্ধতিটাও সেরকমই ছিল, তাই তিনি পারেন।মেয়ে মধুরার উৎসাহে শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য আবার জনসমক্ষে। বেতার ও দুরদর্শন ক্ষ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য তাঁর গানের ডালি সাজিয়ে উপস্থিত সামাজিক মাধ্যমে। মধুরার উদ্যোগে তাঁর নতুন ফেসবুক পেজ গানে গানে শম্পা ভট্টাচার্য তে উঁকি দিলেই শোনা যাচ্ছে ঘরোয়া মেজাজে সেই উদাত্ত কণ্ঠের অতুল প্রসাদী, রজনীকান্ত এবং দ্বিজেন্দ্র গীতি ও রবীন্দ্রসঙ্গীত। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর গাওয়া অতুল প্রসাদী চিত্ত দুয়ার খুলিবি কবে মা - চিত্ত-কুটীরবাসিনী মন ছুঁইয়ে যায়, নেটনাগরিক দের প্রসংশায় বোঝা যায় যে সঠিকভাবে সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারলে এই প্রজন্ম-ও ভালো গান শুনতে প্রস্তুত। কুটির বাসিনী শম্পা-র চিত্ত দুয়ার খুলতে মেয়ে মধুরা সত্যিই সফল।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শুভাপ্রসন্নের উপস্থিতিতে ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং এর প্রদর্শনী

২০২২ এর ২৯ ছপ্রিল ২০২২ এ ইনফুসিও ২০২২ শীর্ষক আইএনাইএফডি সল্টলেক বার্ষিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রদর্শনী হল। প্রদর্শনীটি সিআইআই- সুরেশ নেওটিয়া সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর লিডারশিপ, ডিসি-৩৬, সেক্টর-এ এবং প্রর্দশনীটি শুরু হয় সকাল ১০ টায়, শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়।সকাল ১০ প্রখ্যাত শ্রী শুভপ্রসন্ন ভট্টাচার্য এই প্রর্দশনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আইএনাইএফডি সল্টলেকের সেন্টার ম্যানেজার অর্ণব রায় সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জানান, আইএনাইএফডি সল্টলেকের ইনফিউসিও শিক্ষার্থীদের ডিজাইন তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের অভিজাত শিক্ষার্থীরা চিত্র এবং প্রোটোটাইপগুলি প্রদর্শন করে যা তাদের উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা ব্যবহার করার ক্ষমতা উপলব্ধি করতে তাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এটি একজন ব্যক্তির প্রকৃত প্রতিভা এবং দক্ষতার সঠিক বিকাশ ঘটায়। করোনা মহামারী বিশ্বকে বদলে দিয়েছে এবং বিশ্বের নাগরিকদের নতুন প্যাটার্নে ভাবতে শিখিয়েছে। নকশা দর্শন, এইভাবে, বিকশিত হয়েছে এবং নতুন, টেকসই চিন্তার ধরণ আবির্ভূত হয়েছে। তাছাড়া এই বছর প্রদর্শনীটি ছিল ডিজাইন: ইনসাইড-আউটসাইড প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রদর্শনীটি তিনটি বিভাগে বিস্তৃত ছিল। এই প্রদর্শনীতে ডিজাইন করা দুটি সেলফি বুথ ছিল - যেমন ছিল ভারতীয় এবং মিশরীয় যুগ। শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রস্তুত করা বুথগুলি গতিশীল ছিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফের জন্য স্টাইল পরিবর্তন করার সুযোগ এবং তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ও ব্যবস্থা করা হয়।শুভাপ্রসন্ন ছাড়াও বিচারক আসনে ছিলেন সমাজের প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। এঁরা হলেন দেবপম সরকার (সাংবাদিক), মিসেস সোমা কাজী (স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার), শ্রী জয়ন্ত সাহা (এসিপি, বিধাননগর) এবং আর. রাজা সিনহা।বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় গ্রামীণ নাগরিকের সুবিধার পরিবর্তনশীল চেহারা এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদার সাথে তাদের সম্পর্ক শীর্ষক একটি আলোচনা সভা। এই অধিবেশনের প্রধান বক্তা ছিলেন অয়ন সেন (স্থপতি); মিস শতরূপা মজুমদার (এনজিও); মিঃ সুপ্রিয় মুখার্জি (মিডিয়া প্রফেশনাল); মিস বৃন্দা সরকার (সাংবাদিক); শ্রী সুশোভন ভট্টাচার্য (বিকল্প শক্তি বিশেষজ্ঞ)। ২৯শে এপ্রিল, ২০২২-এ, প্রাক্তন ছাত্র সায়ন্তন দানার একটি উপস্থাপনা দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং তারপরে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এর বিষয়বস্তু ছিল ডিজিটাল অঙ্কনের চেয়ে ম্যানুয়াল ড্রয়িং কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

এপ্রিল ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মেকআপ আর্টিস্ট কনটেস্টে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা

আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা পরবের সূত্রপাত। আর বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে বেলগাছিয়ার শুভক্ষন হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এইচডি স্টুডিওসের পরিচালনায় মেগা মেকআপ আর্টিস্ট কনটেস্ট। এখানে বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার বৈভব (সন্দীপ শীল)এর ব্র্যান্ড এস এস ট্র্যাডিশনাল স্টাইল লফ্টের ডিজাইনার পোষাক ও শিল্পী রায়ের মেকআপের ছোঁয়ায় মডেল ডোনা খান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৫৪ জন মডেলের মধ্য থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ডোনা ও শিল্পীর হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় সুদৃশ্য মেমেন্টো ও সার্টিফিকেট। আগামী দিনে মডেলিং জগতে আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোই লক্ষ্য তাদের।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ওয়াসিম কাপুর চলে যাওয়ায় আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলঃ অশোক রায়

বিশিষ্ট চিত্রকর ওয়াসিম কাপুরের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পী-মহল। বেঙ্গল আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সনামধন্য চিত্রশিল্পী অশোক রায় ওয়াসিম কাপুরের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে চিনতেন। শিল্পীর মৃত্যুতে স্মৃতিচারণা আরেক শিল্পীর।জনতার কথাঃ ওয়াসিম কাপুর কে খুব কাছ থেকে আপনি দেখেছেন। উনি চলে গেলেন। কি বলবেন।অশোক রায়ঃ ওয়াসিম দা আমার অনেক সিনিয়র। প্রায় ৫ বছরের সিনিয়র। ওয়াসিম দার বাড়িতে আমি বহুবার গিয়েছি। ওনার ওরিজিনাল বাড়ি লখনৌ-তে। ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজ থেকে পাশ করে বেরোন। আর্ট ওয়ার্ল্ডে ওনার অনেক অবদান। উনি সাধারণত রিয়েলিস্টিক কাজ করেন। প্রচুর পোট্রেট করেছেন পলিটিক্যাল পার্সোনালিটিদের ওপর। জ্যোতি বসুর উনার একটা পেইন্টিং খুব বিখ্যাত। সেই পোট্রেট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাখা আছে।উনি এবং উনার স্ত্রী দুজনেই খুব ভালো মানুষ। উনি এমন সময় মারা গেলেন যে উনার স্ত্রী শিলা দি রয়েছেন দুবাইতে। কয়েকদিন আগেই তিনি দুবাইতে গেছেন। জনতার কথাঃ উনার শারীরিক অবস্থা কি সাম্প্রতিককালে বেশ খারাপ ছিল?অশোক রায়ঃ বছর চার-পাঁচ ধরেই উনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। উনার পায়ের একটা সমস্যা বারবার ভোগাচ্ছিল। কোনও প্রোগ্রামে যেতে পারতেন না। অসুস্থ হয়ে পড়তেন। হাসপাতালে যেতেন। বাংলায় যে কজন ভালো শিল্পী আছেন আসতে আসতে সবাই চলে যাচ্ছেন। জনতার কথাঃ আপনার সঙ্গে উনার সম্পর্ক কেমন ছিল?অশোক রায়ঃ ব্যক্তিগতভাবে যেহেতু উনার বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল এবং উনার সঙ্গে একটা সুন্দর রিলেশন ছিল। দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। জনতার কথাঃ ওয়াসিম কাপুরের চলে যাওয়াটা বাংলার শিল্পীদের জন্য কতটা যন্ত্রণার?অশোক রায়ঃ ভীষণই যন্ত্রণার। উনি মানুষ হিসাবে খুব ভালো ছিলেন। শিল্পীর দুটো জিনিস হয়। একজন খুব ভালো শিল্পের সৃষ্টি করেন। যেটা তিনি করতেন। তার বাইরে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে মিশে যেতে পারতেন। যে কারণে আমরা সবাই খুব শকড উনার খবর পেয়ে। অনেকেই ফোন এসেছে তাঁর চলে যাওয়ার পর। ওয়াসিম কাপুর চলে যাওয়ায় আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর

প্রয়াত চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর। সোমবার সকাল ১১.৪৫ নাগাদ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে নিজের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই বর্ষীয়ান চিত্রশিল্পী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ১৯৫১ লখনউয়ে জন্ম হলেও কলকাতাই ছিল শিল্পীর কর্মভূমি। নিজের ছবির মাধ্যমে মানুষের গভীর আবেগের কথা ফুটিয়ে তুলতেন ওয়াসিম কাপুর। কয়েক বছর আগে অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে আঁকা একটি ছবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিল্পীমহলে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

WBMPAF: ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন

শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরামের বার্ষিক সাধরণ সভায় অনিষ্ঠিত হয়। এই সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। কার্যনির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হলেন জীতেন্দ্র মাদনানি ওরফে জিৎ। সহ- সভাপতি পদে মোট পাঁচ জনের নাম আছে, তাঁরা হলেনঃ১। সব্যসাচী চক্রবর্তী২।সুমন্ত মুখোপাধ্যায়৩।কৌশিক সেন৪।অপরাজিতা আঢ্য৫। ভরত কল।সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। যুগ্ম সম্পাদক পদে দিগন্ত বাগচীর সঙ্গে নতুন নাম অঙ্কুশ হাজরা। নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি অভিনেতা। তিনি জানিয়েছেন দায়িত্ব আরও বেড়েছে।শিল্পী সংগঠনের নতুন কমিটিতে সহকারী সম্পাদক কুশল চক্রবর্তী এবং শুভাশিস মিত্র। তাপস চক্রবর্তী কোষাধ্যক্ষ। সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে। পার্থসারথি দেব, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পায়েল দে, শুভ্রজিৎ দত্ত, অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং শঙ্কর চক্রবর্তীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Pranati Nayek : অলিম্পিকে হতাশ করলেন বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক

টোকিও অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র পাননি দীপা কর্মকার। দেশের জিমন্যাস্টিক্সের ব্যাটন ছিল প্রণতি নায়েকের হাতে। কিন্তু হতাশ করলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। সাবডিভিশন রাউন্ড থেকেই বিদায় প্রণতি নায়েকের।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরপরের রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন পর্বে সাবডিভিশন ১এ ১২ নম্বরে শেষ করেন প্রণতি। তাঁর মোট সংগৃহীত স্কোর ৪২.৫৬৫। প্রতিটি সাবডিভিশন থেকে ৮ জন করে জিমন্যাস্ট দ্বিতীয় রাউন্ডের ছাড়পত্র পাবেন। কিন্তু প্রণতি প্রথম আটের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেননি। ফ্লোর এক্সারসাইজে ১০.৬৩৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন প্রণতি। এর মধ্যে ডিফিকাল্টিতে ৪.৪ ও একজিকিউশনে ৬.২৩৩। তুলনামূলকভাবে ভল্টে বেশি পয়েন্ট তুলে নেন। ভল্টে তাঁর সংগ্রহ ১৩.৪৬৬। ডিফিকাল্টিতে ৫ ও একজিকিউশনে ৮.৪৬৬। এই ভল্ট বিভাগই প্রিয় প্রণতির। আরও একবার ভল্ট দেওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টা নেননি।আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্টআনইভেন বারে ৯.০৩৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ডিফিকাল্টিতে ৪.১ ও একজিকিউশনে ৪.৯৩৩। এই বিভাগে ২৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ২২ নম্বরে শেষ করেন প্রণতি। ব্যালান্স বিমে সংগ্রহ করেন ৯.৪৩৩ পয়েন্ট। ডিফিকাল্টিতে ৪.৫ ও একজিকিউশনে ৪.৯৩৩ সব সব মিলিয়ে তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ৪২.৫৬৫। প্রথম সাবডিভিশনে তিনি শেষ করেন ১২ নম্বরে। সবচেয়ে বড় কথা সুযোগ থাকলেও দ্বিতীয়বার ভল্ট নেননি। অথচ ছোট থেকে এই ভল্টেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতে এসেছেন প্রণতিআরও পড়ুনঃ পোলিকারপোভাকে উড়িয়ে দারুণভাবে অলিম্পিক অভিযান শুরু করলেন সিন্ধুযে কোনও জিমন্যাস্টের আসল অস্ত্র হল ভল্ট। এই ভল্ট থেকেই আন্তর্জাতিক পদক আসে। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমস, ২০১৫ এশিয়ান গেমসে এই ভল্ট থেকেই ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন দীপা। ২০১৬ অলিম্পিক টেস্ট ইভেন্টে ও ২০১৮ তুরস্ক বিশ্বকাপে সোনা জিতেছিলেন। প্রণতি নায়েকের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক এসেছিল এই ভল্ট থেকেই। ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সেই ভল্টেই টোকিওতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলে নিয়েও শেষরক্ষা হল না।

জুলাই ২৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shooting: বন্ধ বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং, টলিপাড়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ

সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫০ জনকে নিয়ে বুধবার থেকেই শুরু হয়েছিল মেগা ধারাবাহিকের শুটিং (Shooting)। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই থমকে গেল শুটিং। রীতিমতো হুমকি দিয়ে কলাকুশলী এবং ভেন্ডারদের ধারাবাহিকের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে ফেডারেশন বারণ করেছে বলে অভিযোগ। তার ফলে অনিশ্চিত মিঠাই, খড়কুটো, অপরাজিতা অপু-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের ভবিষ্যৎ।বুধবার বিকেলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে। ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে গোটা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে। তাও কেন ফেডারেশন কাজ বন্ধ করে দিল, তা বোঝা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে কাজকে মান্যতা দিলেও কেন ফেডারেশন তার বিরোধিতা করছে, সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্ন তোলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম (Artist Forum)। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।করোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তার ফলে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। সেই সময় শুটিং ফ্রম হোম শুরু হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুটিং চলায় ফেডারেশনের রোষের শিকার হয় কৃষ্ণকলি, তিতলি, অপরাজিতা অপু, গ্রামের রাণী বীণাপাণি, বরণ, খেলাঘর, যমুনা ঢাকি, গঙ্গারাম, জীবন সাথী, মিঠাই, সাঁঝের বাতি, খড়কুটো, শ্রীময়ী, মোহর, দেশের মাটি, রিমলি, ওগো নিরুপমা, ফেলনা, কি করে বলবো তোমায়, ধ্রুবতারা-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও টেকনিশিয়ান নির্দিষ্ট ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করতে পারবেন না। সেই অনুযায়ী রাজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হলেও টলিপাড়ার ছবিটা রইল একইরকম।

জুন ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত

প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ছোট পর্দার পাশাপাশি থিয়েটারের মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বিখ্যাত থিয়েটার শিল্পী রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর স্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৯৮৪ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পর্দায় অভিনয়ের যাত্রা শুরু স্বাতীলেখার। সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ঘরে বাইরে-র বিমলা অভিনয় নিয়ে আজও প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলা ছবির দর্শক। সেই থেকে সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার জুটিকে পছন্দ করেছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু তার পরে মঞ্চের বাইরে দেখা যায়নি তাঁকে। দীর্ঘ ৩১ বছর পরে সৌমিত্রর সঙ্গেই পর্দায় ফিরলেন তিনি। প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বড় পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। বেলা শেষে ছবিতে সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রসায়ন দেখে আপ্লুত দর্শকদের জন্য ফের বেলাশুরু-তে অভিনয় করেন তাঁরা। কিন্তু ছবি মু্ক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার চলে গেলেন স্বাতীলেখাও।১৯৭০ সালে ইলাহাবাদে মঞ্চজীবন শুরু তাঁর। মঞ্চজীবনে পেয়েছেন বিভি করন্থ, তাপস সেন এবং খালেদ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য। ১৯৭৮ সালে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। সেখানেই আলাপ ও প্রেম হয় নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে। তার পরে বিয়ে এবং সংসার। ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তাঁর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্তও একই ভাবে নাট্য ও পর্দার জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। মঞ্চে শঙ্খপুরের সুকন্যা, মাধবী, পাতা ঝরে যায় ইত্যাদিতে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখাছিলেন স্বাতীলেখা। নান্দীকার-এর বেশ কিছু নাটকের সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

জুন ১৬, ২০২১
কলকাতা

শিল্পীদের জন্য সব ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি নবান্নের

বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমতি দিল নবান্ন। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, যাতে বাংলার শিল্পীরা তাদের জীবন-জীবিকায় উৎসাহ পান তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই কোভিড-বিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।গান, নৃত্য, আবৃত্তি কিংবা কোনও প্রদর্শনী অনুষ্ঠান নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের। এদিন মুখ্যসচিব জানান, যদি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাহলে দেখতে হবে, অর্ধেক মানুষ নিয়ে তা আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, বদ্ধ ঘর হলে যত আসন সংখ্যা থাকবে তার অর্ধেক দর্শক থাকতে পারে। প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে ২০০ জন করে ছাড় দেওয়া হবে। যদি খোলা মাঠে কোনও মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেখানে মাথার ওপর কোনও সিলিং নেই। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র করোনা বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে চললেই হবে। আরও পড়ুন ঃ সম্মান না পাওয়ায় তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের বাংলার সমস্ত মাপের শিল্পীদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের কমিশনারদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতার নগরপাল এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

নভেম্বর ২১, ২০২০
কলকাতা

বাংলা গান বাজানোর আবেদন জানিয়ে ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্মারকলিপি বাংলা পক্ষের

বাংলা গান ও সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরা ও বাঙালি শিল্পীদের প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরার আবেদন জানিয়ে ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্মারকলিপি জমা দিল বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা সেখানে আবেদন করেন, পুজো মণ্ডপে বাংলা গান বাজান। চলতি বছরে দূর্গাপুজোয় শিল্পীরা যে বাংলা গানগুলি পরিবেশন করেছেন , সেই গানগুলি ্সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তারা। আরও পড়ুনঃ সামান্য ছাড় দিয়ে পুজো মামলায় আগের রায়ই বহাল হাইকোর্টের তাদের আবেদন , হিন্দি সাম্রাজ্যবাদকে প্রতিহত করে বাংলা গানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। নতুন শিল্পীদের তুলে ধরুন। কলকাতার অন্যান্য পুজো কমিটিগুলিকেও বাংলা পক্ষের তরফ থেকে একই অনুরোধ করা হচ্ছে। স্মারকলিপি প্রদানের সময় বাংলা পক্ষের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক মাইতি সহ আরও অনেকে।

অক্টোবর ২১, ২০২০
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত  বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী প্রদীপ ঘোষ

প্রয়াত বিশিষ্ট আবৃত্তিকার বাচিক শিল্পী প্রদীপ ঘোষ। তিনি একজন আবৃত্তিকারও ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে যোধপুর পার্কের বাড়িতে ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।আরও পড়ুনঃ শারীরিক অবস্থার উন্নতি অভিনেতা সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়েরপরিবার সূত্রে খবর, কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। যদিও শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে শিল্প-সংস্কৃতির জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ২০১৭ সালে তাঁকে কাজী সব্যসাচী পুরস্কারে সম্মানিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

অক্টোবর ১৬, ২০২০

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

খেলার ফাঁকে দিদার হাতের খিচুড়ি-পাঁপড়! বেহালা ফ্রেন্ডসের অনুষ্ঠানে সৌরভের অজানা অধ্যায়

খিচুড়ি-পাঁপড় থেকে ফাইভ স্টারের খাবার। বাংলার ক্রিকেটের উত্তরণকে এভাবেই তুলে ধরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক অজানা গল্পের মধ্যে দিয়ে। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে, বেহালা ফ্রেন্ডসের ৮৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে।সৌরভ বলেন, কলকাতায় রিকশ দেখা যায় ব্রহ্ম সমাজ রোডে। আমার দাদুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বেহালা ফ্রেন্ডসের কর্তাদের সঙ্গে। ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি যেতাম। দেখতাম আমার দিদা নিজের হাতে বড়িশা স্পোর্টিং আর বেহালা ফ্রেন্ডসের ক্রিকেটারদের জন্য রান্না করে পাঠাতেন। আমি যখন বড়িশায় খেলি তখনও দিদা রিকশ করে ডেচকিতে খিচুড়ি, পাঁপড় পাঠাতেন। আর এখন দেখি ইডেনে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস, বিজলি গ্রিলের খাবার ক্রিকেটারদের জন্য।বেহালা ফ্রেন্ডসের শীর্ষকর্তা তথা সিএবির অবজারভার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকের প্রশংসা করে সৌরভ বলেন, বেহালা মানেই ফ্রেন্ডস! শ্রীমন্তদা আমার পাড়ার মানুষ, আমরা ভালো বন্ধু। ওঁর জন্যেই আজ এই ক্লাব এই জায়গায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলেছে। আরও এগিয়ে চলুক।সৌরভের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। তবে বুধবারেও এই অনুষ্ঠানে সৌরভকে জন্মদিনের কেক কাটতে হলো। শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক মহারাজকে কেক খাওয়ালেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সৌরভ। এদিন ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করল বেহালা ফ্রেন্ডস। ছিল মনোময় ভট্টাচার্যের মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সিএবির ট্যুর ও ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস, আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিএবির প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক পদাধিকারী।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লড়াই লর্ডসে, বুমরাহ ফিরছেন ভারতের একাদশে, ইংল্যান্ডের বাজি আর্চার

পাঁচ টেস্টের সিরিজ এখন ১-১। বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় টেস্ট লর্ডসে। উইকেটে এখনও ঘাস আছে। ফলে প্রথমদিকে পেসাররা ফায়দা আদায় করে নিতে পারবেন। ভারতীয় একাদশে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে বসতে হবে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কুলদীপ যাদবকে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, পেস সহায়ক উইকেট হলে নিশ্চিতভাবেই পেসার কমানো হবে না। কিন্তু তা না হলে ওয়াশিংটন সুন্দর বা নীতীশ কুমার রেড্ডির জায়গায় কুলদীপকে খেলানো উচিত। যেভাবে বোলাররা এজবাস্টন টেস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন, তাতে ভারতীয় দলের মনোবল তুঙ্গে থাকবে। ইংল্যান্ডে টেস্ট জিততে চারশো রান করতে হবে বলেও জানান মহারাজ।ইংল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন। জোফ্রা আর্চারকে আনা হলো। দুটি টেস্টে ১১টি শিকার ঝুলিতে পুরে সর্বাধিক উইকেটশিকারী জশ টংকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে বসানো হলো। ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস টস জিতলে ফের রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।লর্ডসে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১৯টি টেস্ট খেলে জিতেছে তিনটিতে, ইংল্যান্ডের জয় ১২টিতে। ভারত ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ক্রিকেটের মক্কায়। ২০২১ সালের টেস্টটিতে লোকেশ রাহুল শতরান করেছিলেন, মহম্মদ সিরাজ নেন ৮ উইকেট।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়! সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, ওম্বুডসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ

ফের বিতর্কে সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। যাঁর কথায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচ গড়াপেটা-সহ নানা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন সিএবির এই যুগ্ম সচিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ তুলে সিএবিকে চিঠি পাঠাল আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছেও জমা পড়ল অভিযোগ, আর্জি জানানো হলো তদন্ত শুরুর। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত এপ্রিল মাসে সিএবিতে চিঠিটি পাঠিয়েছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। যার প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। কী অভিযোগ? দেখে নেওয়া যাক। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের তরফে চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে সচিন ধন্দগের (Sachin Dhondge)। অভিযোগ, এই সংস্থার থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন দেবব্রত। বিনিময়ে তিনি আশ্বাস দেন, আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস সিএবি স্বীকৃত ক্লাবের মর্যাদা পাবে। সংস্থাটি ভেবেছিল এর ফলে শিক্ষার্থীরা সিএবি অনুমোদিত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবেন এবং মিলবে যথাযথ স্বীকৃতি।যদিও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দেবব্রত দাস প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী এই সময়কালে সংস্থার তরফে দেবব্রত দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজের উত্তর দেননি। ফলে বিশ্বাসভঙ্গের পাশাপাশি দেবব্রত দাস নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ। সিএবির মতো প্রতিষ্ঠানকে এমন কেলেঙ্কারিতে যেভাবে জড়ানোর চেষ্টা হলো তাতে বিস্মিত আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস।সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানোর পাশাপাশি চার লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে যথাযথ শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ সিএবি করবে এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে বলে আশা আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে এপ্রিল মাসে। তারপর মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে দেবব্রত দাস ঘুরছেন বলে জানতে পেরেছে সংস্থাটি। এমনকী বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই গত ২ জুলাই সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছে জমা পড়ল চাঞ্চল্যকর একাধিক অভিযোগ। টাউন ক্লাবের সভাপতি বিশাখ ঘোষের তরফে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ, দল নির্বাচনী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন এবং নির্বাচকদের প্রভাবিত করেন বলে দাবি করে দেবব্রত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। বাংলার বিভিন্ন দলে সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের নথিও জমা পড়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে।নিজের পদের অপব্যবহার করে বিশেষ করে বছর দেড়েক ধরে দেবব্রত যে অনৈতিক কাজ চালাচ্ছেন, দুর্নীতি করছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন তা টাউন ক্লাব ও সিএবির গরিমায় আঘাত বলে উল্লেখ।টাউন ক্লাবের তরফে আরও অভিযোগ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, গীত পুরীর মতো ক্রিকেটারদের দেবব্রত বাধ্য করেছেন টাউন ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য। তাঁদের আশ্বাস দেন টাউনের হয়ে খেললে বাংলা দলে সুযোগ মিলবে। তবে তাঁদের যে অর্থের বিনিময়ে টাউন ক্লাবের হয়ে খেলতে বলা হয়েছিল সেই অর্থ বকেয়া রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার এমন অভিযোগও আছে যে, অনেকের কাছ থেকে দেবব্রত এই আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন যে তাঁদের সিএবি অনুমোদিত ক্লাবে খেলার বন্দোবস্ত করে দেবেন। প্রতারিত হয়ে, বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়ে আর্থিক লেনদেনের কপি-সহ ক্রিকেটার ও অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন টাউন ক্লাবে।এমনকী টাউন ক্লাবের ক্রিকেটারদের খাবারের বিল তিনি সিএবির ক্যান্টিন বিলে যোগ করেছেন বলে অভিযোগ। সেই বিলগুলিতে দেবব্রত নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। এ বিষয়ে ওম্বুডসম্যানের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের মতো মুর্শিদাবাদের মিলন, কালীঘাট ক্লাবের সমীরণ দাস, রিয়াল এস্টেটের মালিক অমিত গুপ্ত সিএবির যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সিএবি সভাপতির কাছে। বিষয়টি জানতে পেরেছে টাউন ক্লাবও।একাধারে সিএবির যুগ্ম সচিব, অন্যদিকে টাউন ক্লাবের কর্তা হিসেবে দেবব্রত দাস যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাতে তা স্বার্থের সংঘাত বলে দাবি করেছে টাউন ক্লাব। দেবব্রতকে শোকজ করা ও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত শুরু করে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছে টাউন ক্লাবের কাছে। এই অভিযোগ নিয়ে দেবব্রতর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএবিতে বার্ষিক সাধারণ সভা তথা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহে এমন গুরুতর অভিযোগে শোরগোল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায়।

জুলাই ০৮, ২০২৫
দেশ

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসকে, মৃত দুই, জখম বহু

ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসে। ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে ২ জন শিক্ষীর্থীর মৃত্য়ু হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলায় রেলক্রসিংয়ে একটি স্কুল ভ্যান ও ট্রেনের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থীর মত্যু হয় এবং চারজন আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি রেলগেট বন্ধ না করেই যাচ্ছিল। সেই কারণেই সম্ভবত স্কুল বাসটি রেল লাইনে চলে আসে।সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ভ্যানটি কুমারপুরমের কৃষ্ণস্বামী বিদ্যানিকেতন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুড্ডালোরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এস জয়াকুমার জানিয়েছেন, ভিল্লুপুরম-মায়িলাদুথুরাই যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।দুর্ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী এবং ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ভ্যানের চালক, দুই শিশু, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি উদ্ধার অভিযানের সময় বৈদ্যুতিক শক খেয়েছিলেন।

জুলাই ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এজবাস্টনে ইতিহাস ভারতের, ক্যানসার আক্রান্ত দিদির মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তৃপ্ত আকাশ

এজবাস্টনে সকালের বৃষ্টিতে ১০ ওভার কমলেও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল ভারতের প্রথম অধিনায়ক যাঁর নেতৃত্বে বার্মিংহামে এই প্রথম টেস্ট জিতল ভারত। আগামী বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্ট। তার আগে পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ১-১।দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। এদিন আকাশ দীপকে প্রান্ত বদলে আক্রমণে আনেন গিল। তবে তাতে আকাশের অভ্রান্ত নিশানায় বদল আসেনি। অলি পোপকে (২৪) বোল্ড করে দেন। কিছু সময় পর হ্যারি ব্রুককে (২৩) দুরন্ত ডেলিভারিতে লেগ বিফোর। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩৩)।কিছুটা লড়াই চালালেন প্রথম ইনিংসে শতরান তথা সর্বাধিক রান করা জেমি স্মিথ (৮৮)। তিনি আকাশের পঞ্চম শিকার। আকাশের বলে ব্রাইডন কার্স (৩৮)-এর ক্যাচ গিলের হাতে জমা পড়তেই ভারতের ৩৩৬ রানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৭১ রানে। আকাশ ৯৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পেলেন, ম্যাচে ১০ শিকার। এই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরলেন মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সিরাজ ম্যাচে সাত উইকেট দখলের পাশাপাশি দুরন্ত ক্যাচও ধরলেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতেও বড় জয় নিশ্চিতভাবেই গোটা সিরিজে মনোবল বাড়াল গিলদের।ম্যাচের শেষে বাংলার পেসার আকাশ দীপ জানালেন, তাঁর দিদি মাস দুয়েক ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। এ কথা এতদিন কাউকে বলেননি। এখন দিদি স্থিতিশীল, কিছুটা ভালো। যখন বল হাতে নিচ্ছিলেন তখন বারবার দিদির মুখ মনে পড়ছিল। আকাশ এই পারফরম্যান্স দিদিকেই উৎসর্গ করছেন। আকাশের বিশ্বাস, তাঁর বোলিং দেখে খুশি হয়েছেন দিদি। তাঁর মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। দিদির পাশে সব সময় থাকার বার্তাও দেন আকাশ। এদিকে, ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দলে নিল গাস অ্যাটকিনসনকে। বোঝা যাচ্ছে, বোলিং বিভাগ জোরদার করতে চান স্টোকসরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে ভারতীয় বোলিংকে অনেক শক্তিশালী দেখিয়েছে। অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন মহারাজ। গিলদের জয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলিও।মনোজিৎ মৌলিক

জুলাই ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়কের প্রাণনাশের আশঙ্কায় তোলপাড়, বোমায় উড়েছে বাড়ি, মৃত্যু একজনের

পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক দুস্কৃতীর। জখম হয়েছে আরও তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজৌর গ্রামে। এই বিষ্ফোরণের পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতার আশঙ্কায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে। তার জন্য়ই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তুফান চৌধুরী বোমা বাঁধছিল। তুফানের মাথার ওপর হাত ছিল জঙ্গল শেখের। বোমা ফেটে বাড়ি উড়ে যায় কাটায়োরার রাজৌর গ্রামে। জঙ্গল শেখের পরিকল্পানা ছিল পার্টি অফিসে আক্রমণ করা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ রাজৌর গ্রামে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফেরণে মৃত্যু হয় বরকত শেখের(২৮)। এই দুষ্কৃতীর বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার সিয়ালা গ্রামে। জখমরা হল সেখ তুফান চৌধুরী, ইব্রাহিম সেখ ও সফিক মণ্ডল। জখম তিন জনই রাজৌর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ রাতেই চিকিৎসার জখম তিনজনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তুফানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ তুফান চৌধুরীকে করেছে। এই তুফানই বোমা বাঁধার মূল পান্ডা। জানা গিয়েছে, তারা লম্বু শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বালি খাদানে দখলদারি করার উদ্দেশ্যেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। এতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের। তার নির্দেশে তুফানরা বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ। বোমা বেশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গল শেখের নেতৃত্বে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে কাটোয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছিলেন জঙ্গল শেখ। এমনকী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তখন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গল শেখ দীর্ঘ দিন জেলে ছিলেন। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২৫
কলকাতা

কিছু দিন আগে ধাক্কা, সেই গাড়ি ধরে ব্যাপক ভাঙচুর, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

রাজারহাট চৌমাথায় প্রাইভেট চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর। প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ। বাস লাঠি ইট দিয়ে ভাঙচুর করা হয় গাড়িটি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজন।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রাইভেট চারচাকা গাড়িটি বেশ কয়েকদিন আগে রায়গাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। এলাকার মানুষ গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলেও গাড়িটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষ সেই গাড়িটির ছবি মোবাইল বন্দি করে। গতকাল ওই গাড়িটিকে আবার দেখা যায় রাজারহাট জগারডাঙ্গা এলাকায় সে সময় স্থানীয়রা সেই গাড়িটিকে থামিয়ে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে এরপর সেই গাড়িটি কোনভাবে পালিয়ে রাজারহাট চৌমাথায় ট্রাফিক বুথের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে ধাওয়া করে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন গিয়ে গাড়িটা কি ঘিরে ধরে বাস লাঠি পাথর দিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর চালায়। আর সেই ভিডিও ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় রাজারহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

জুলাই ০৪, ২০২৫
রাজ্য

এক বছর পুলিশের পোশাক পড়ে ঘোরাঘুরি , সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট, অবশেষে গ্রেফতার যুবক

পুলিশ কনেস্টেবলের পোশাক বানিয়ে সেই পোশাক পড়ে বিভিন্ন যায়গায় ঘোরাঘুরি করত যুবক। নিজেকে এলাকায় পুলিস বলে পরিচয় দিত। পুলিশের পোশাক পরে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট করত। অবশেষে পুলিশের জালে ভুয়ো পুলিশ কনেস্টেবল। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম অঙ্কিত ঘোষ। বাড়ি গাইঘাটা থানার শিমুলপুর চৌরঙ্গী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, সম্প্রতি গাইঘাটা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে গাইঘাটা চৌরঙ্গী এলাকার এক যুবক পুলিশের পরিচয় দিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। খবর পেয়ে অঙ্কিতের গতিবিধির উপরে নজর রাখছিল গাইঘাটা থানার পুলিশ। তার গতিবিধিতে সন্দেহ হয় আজ অঙ্কিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা যায়। তখন পুলিশ তার কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু পুলিশে চাকরি করার মত কোন নথি সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতের কাছ থেকে একাধিক পুলিশের পোশাক, নেম প্লেট সহ একাধিক ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, পুলিশের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। তারপরে তাদের জানায় সে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে পুলিশের পোশাক পরে ডিউটিতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরোতে। বিকাশ ভবনে পোস্টিং রয়েছে বলে পরিবার জানত ।

জুলাই ০৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal