• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Arrest,

রাজ্য

Buried Body: মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে রেখে দিয়েছিল ছোট ছেলে, খুঁড়তেই উদ্ধার কঙ্কাল

বৃদ্ধা মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে রেখে সেই ঘরেই দুবছর ধরে বসবাস করছে ছোট ছেলে।বৃদ্ধা সুকরানা বিবির ছোট ছেলে সহিদুল আলি ওরফে নয়নের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন ছোট বৌমা রুপসুনা বিবি। শেষ পর্যন্ত ছোট বৌমার আনা সেই অভিযোগই সত্যি প্রমান হল। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া সাহিদুলের দেখানো জায়গা মতো বুধবার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে খোঁড়া হয় তাঁর ঘরের মেঝে। ফুট চারেক মেঝে খোঁড়ার পরেই বেরিয়ে আসে মানব দেহের হাড়গোড় ও মাথার খুলি। যা দেখে এদিন কার্যত শিউরে ওঠেন বর্ধমান থানার হাঁটুদেওয়ানের পীরতলা ক্যানেলপাড় এলাকার বাসিন্দাা। উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় ও মাথার খুলি বৃদ্ধা সুকরানা বিবির কিনা তা নিশ্চিৎ হতে পুলিশ উদ্ধার হওয়া হাড় ও খুলি ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলেবৃদ্ধা সুকরুনা বিবির বড় ছেলে কিসমত আলির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বর্ধমান থানার পুলিশ হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার সহিদুল আলিকে আটক করে। তাঁকে বর্ধমান থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জিজ্ঞাসাবাদে মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে দেওয়ার কথা সাহিদুল আলি স্বীকার করার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এদিন সহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর দেখানো জায়গা মতো পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঘরের মেঝে খোঁড়ার পরেই উদ্ধার হয় মানবদেহের হড়গোড় ও মাথার খুলি। তারপরেই পুলিশ খুন ও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই ধৃত সাহিদুলকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতকে ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ তালিয়ান লিগে খেলা ডিফেন্ডার এবার এসসি ইস্টবেঙ্গলেপুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৫৮ বয়সী সুকরানা বিবি তাঁর ছোট ছেলে নয়নের সঙ্গে হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার বাড়িতেই থাকতেন। পেশায় লরি চালক বড় ছেলে কিসমত অন্যত্র থাকেন। সুকরানা বিবি বেড়াতে যেতে খুব ভালবাসতেন। মাঝে মধ্যেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়তেন। মায়ের বেড়াতে বেরিয়ে যাওয়াটা পছন্দ করতো না ছোট ছেলে সহিদুল আলি। মা ও ছোট ছেলের মধ্যে এইসব ছাড়াও নানা কারণে অশান্তিও হত। এই অবস্থার মধ্যেই ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে সুকরানা বিবির আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও মা সুকরানা বিবির হদিশ পান না বড় ছেলে কিসমত আলি। এরপর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি বর্ধমান থানায় তাঁর মায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত ডাইরি লিপিবদ্ধ করেন।আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিস্নাত দক্ষিণবঙ্গে রেল ও রাস্তা অবরোধে নাকাল সাধারণ মানুষকিসমত আলি জানান, তাঁর ছোট ভাই সহিদুলের স্ত্রী রুপসুনা বেশ কয়েকমাস হল শিশু সন্তানদের নিয়ে ভাতারের এরুয়ার গ্রামে বাপের বাড়িতে গিয়ে রয়েছে। ভাতৃবধূকে ছোট ভাইয়ের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি গত সোমবার এরুয়ার গ্রামে রুপসুনার বাপের বাড়িতে যান। কিসমত আলি বলেন, ওই দিনই রুপসুনার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁর ছোট ভাই সহিদুল তাঁদের বৃদ্ধা মা সুকরুনা বিবিকে খুন করে দেহ ঘরের মেজেতে পুঁতে দিয়েছে। সহিদুল প্রাণে মেরে দিয়ে তাঁকেও মাটিতে পুঁতে দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা রুপসুনা তাঁর ভাসুরকে জানায়। একই সঙ্গে রুপসুনা তাঁর ভাসুরকে জানিয়ে দেয় সে আর তাঁর স্বামীর কাছে আর ফিরে যাবে না। ভাতৃবধূর কাছ থেকে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শোনার পরেই কিসমত আলি মঙ্গলবার তাঁর ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানান।আরও পড়ুনঃ পূজার ছলে ভুলে থাকিকিসমতের অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে বর্ধমান থানার পুলিশ। হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকায় দ্রুত পৌছে পুলিশ সহিদুল আলিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। পুলিশের দাবি জেরায় সহিদুল জানায়, ঘটনার আগে বেশ কিছু দিন ধরে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে তাঁর অশান্তি চলছিল। ঘটনার দিন মায়ের সঙ্গে বচসা চলার সময়ে মুগুর দিয়ে সে তাঁর মায়ের মাথায় আঘাত করে। মা ঘরের ভিতরে ছিটকে পড়ে। এরপর মায়ের মৃত্যু নিশ্চিৎ করতে তিনি তাঁর মায়ের গলা টিপে ধরেন। বৃদ্ধা মা রুকসুনা বিবি মারা যাওয়ার পর ঘরে ধুপকাটি জ্বালিয়ে সহিদুল কাজে বেরিয়ে যায়। পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে সহিদুল তাঁর মায়ের মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেয়। এদিন সহিদুলকে তাঁর মাকে খুনের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মা নোংরা পথে চলে গিয়েছিল। মাকে বারণ করলেও মা কথা শুনতেন না। তাই মাকে মেরে দিয়ে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছি। যদিও এইসব অভিযোগই অসত্য জানিয়েছেন বৃদ্ধার বড় ছেলে সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
দেশ

Terrorists: উৎসবের মরশুমে হামলার ছক! ৩ রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার ৬ জঙ্গি

নাশকতার ছক ভেস্তে দিয়ে জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ জঙ্গিকে হাতেহাতে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে দুজন সদ্যই পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরশুমে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল এই জঙ্গিদের।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলেনানা গোয়েন্দা সংস্থা মারফৎ খবর পেয়ে দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষ সেল। গ্রেপ্তারির পর ওই সেলের বরিষ্ঠ আধিকারিক নীরজ ঠাকুর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ৬ জনের মধ্যে একজন সকাল বেলা তল্লাশি অভিযানে মহারাষ্ট্রের একজন জঙ্গি রাজস্থানের কোটা থেকে গ্রেপ্তার হয়। তিনজন উত্তর প্রদেশ এটিএসের সাহায্যে সেই রাজ্যে গ্রেপ্তার হয়। বাকি দুজন ধরা পড়ে রাজধানী দিল্লিতেই। তবে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যা ল সেলের বিশেষ কমিশনার অন্য একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন যা অধিক পরিমাণ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি জানান, ধৃতরা জানিয়েছে যে তাদের সঙ্গে আরও ১৪-১৫ এমন ছিল যারা বাংলা ভাষায় কথা বলত। তারাও একই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিল। জঙ্গিরা ভারতে ঘাপটি মেরে বসে থাকলেও তাদের পরিচালনা সীমান্তের ওপার থেকেই করা হত বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। আসন্ন উৎসবের মরসুমকেই তারা নিশানা করেছিল জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Killing Old Mother: বর্ধমানে বৃদ্ধা মাকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলে

মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে রেখে দিয়ে সেই ঘরেই বসবাস করছিল ছোট ছেলে। নিষ্ঠুর স্বামী সহিদুল আলি ওরফে নয়নের এই কুকীর্তি সোমবার ভাসুর কিসমত আলির কাছে ফাঁস করে দেয় ছোট বৌমা রুপসুনা বিবি। বৃদ্ধা মা সুকরুনা বিবিকে হত্যার কথা জানার পরেই বড় ছেলে কিসমত আলি তাঁর ছোট ভাই সহিদুল আলির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে এদিনই বর্ধমানের হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার বাড়িতে পৌছে সহিদুল আলিকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জিজ্ঞাসাবাদে মাকে খুনের কথা স্বীকার করার পরে পুলিশ সহিদুলকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বর্ধমান জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বুধবার ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ এদিনই বর্ধমান আদালতের অনুমতি নিয়েছে।আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রীকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূলপুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৫৮ বয়সী সুকরুনা বিবি তাঁর ছোট ছেলে নয়নের সঙ্গে হাঁটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার বাড়িতেই থাকতেন। ছোট ছেলে পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক। বড় ছেলে কিসমত আলিও লরি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি অন্যত্র থাকেন। সুকরুনা বিবি বেড়াতে যেতে খুব ভালবাসতেন। মাঝে মধ্যেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়তেন। মায়ের বেড়াতে বেরিয়ে যাওয়াটা পছন্দ করতো না ছোট ছেলে সহিদুল আলি। তা নিয়ে মা ছোট ছেলের মধ্যে অশান্তিও হত। এই অবস্থার মধ্যেই ২০১৯ সালের ১০ জানুযায়ী হঠাৎ করেই সুকরুনা বিবি নিখোঁজ হয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও মা সুকরুনা বিবির হদিশ পান না বড় ছেলে কিসমত আলি। এরপর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী কিসমত আলি বর্ধমান থানায় তাঁর মায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত ডায়রি লিপিবদ্ধ করেন।আরও পড়ুনঃ তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রামণের রাশ টানতে ভিক্টোরিয়ায় বড়দিন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণাকিসমত আলির এদিন জানান, তাঁর ছোট ভাই সহিদুলের স্ত্রী রুপসুনা বেশ কয়েকমাস হল শিশু সন্তানদের নিয়ে ভাতারের এরুয়ার গ্রামে বাপের বাড়িতে গিয়ে রয়েছে। ভাতৃবধূকে ফিরিয়ে আনার জন্য কিসমত মঙ্গলবার এরুয়ার গ্রামে রুপসুনাদের বাড়িতে যান। তখনই রুপসুনার কাছ থেকে কিসমত আলি জানতে পারেন, তাঁর ছোট ভাই সহিদুল তাঁদের বৃদ্ধা মা সুকরুনা বিবিকে খুন করে দেহ ঘরের মেজেতে পুঁতে দিয়েছে। তাঁকেও সহিদুল প্রাণে মেরে দিয়ে মাটিতে পুঁতে দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা রুপসুনা তাঁর ভাসুরকে জানায়। সেই আশঙ্কায় স্বামীর কাছে আর ফিরে যাবে না বলেও রুপসুনা তাঁর ভাসুরকে জানিয়ে দেয়।আরও পড়ুনঃ ভাদ্রের আকাশে শ্রাবণের ধারা, সকাল থেকে ভিজছে শহর থেকে জেলাপুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সহিদুল জানিয়েছে, ঘটনার আগে বেশ কিছুদিন ধরে নিজের মায়ের সঙ্গে তাঁর অশান্তি চলছিল। ঘটনার দিন মায়ের সঙ্গে বচসা চলার সময়ে মুগুর দিয়ে সে তাঁর মায়ের মাথায় আঘাত করে। মা ঘরের ভিতরে ছিটকে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই বৃদ্ধা মা রুকসুনা বিবি মারা যান। মায়ের মৃতদেহ ঘরে রেখেই ছোট ছেলে সহিদুল কাজে বেরিয়ে যায়। পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে সহিদুল তাঁর মায়ের মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেয়। কিসমতের স্ত্রী মিলি বিবি এদিন বলেন, তাঁর শাশুড়ি মা মাঝে মধ্যেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়তেন। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো বেড়াতে বেরিয়েই তাঁর শাশুড়ি মা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। কল্পনাও করতে পারছেন না তাঁর দেওর সহিদুল নিজের বৃদ্ধা মাকে খুন করে মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে। বৃদ্ধা মাকে হত্যাকারী ছেলের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেন দেওয়ানদিঘীর পীরতলার বাসিন্দারা।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Adhar : আধার কার্ড তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠান মালিক

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। ধৃত ব্যক্তির নাম খোকন শেখ ওরফে ফরজ। পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের কাঁসারিপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই খোকন আধার কার্ড তৈরির ব্যবসা ফেঁদেছিল। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ মঙ্গলবার সেখান থেকেই খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। বিচরক ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অহীন্দ্র মঞ্চে কর্মিসভায় বিজেপিকে কয়েক হাত মমতারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে কালনা শহরের কাঁসারিপাড়ার ভাড়া বাড়িতে আধার কার্ড তৈরির কারবার চালাচ্ছিল খোকন শেখ। অভিযোগ, সেখানে বসেই আধার কার্ড তৈরির জন্য সাধারণ ও গরীব মানুষজনের কাছ থেকে তিনি ৬০০ ও তার বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এই বিষয়ে স্থানীয় দীপঙ্কর রায় সহ বেশ কিছু বাসিন্দা মঙ্গলবার প্রতিবাদে সরব হন। তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠলে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি পুলিশ খোকন শেখের প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। তাতে অনিয়মের প্রমাণ মেলায় পুলিশ খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করে ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Goldsmith : মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে গ্রেফতার মেমারির স্বর্ণশিল্পী

১২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনা চুরি করে এই রাজ্যে পালিয়ে আসার অভিযোগে এক স্বর্ণশিল্পীকে গ্রেপ্তার করলো মহারাষ্ট্র পুলিশ। ধৃতের নাম হরি বাগ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হরকালী গ্রামে তার বাড়ি। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ।পুলিশের দাবি, সোনা চুরির কথা ধৃত কবুল করেছে। সোমবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে মহারাষ্ট্র নিয়ে যাওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্থকারী অফিসার এদিন আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।আরও পড়ুনঃ ওভালে জিতে ইতিহাস কোহলিদের, সিরিজ জয়ের হাতছানিপুলিশ জানিয়েছে, মেমারির হরকালি গ্রামের হরি বাগ কাজের সন্ধানে বছর খানেক আগে মহারাষ্ট্রে যান। তিনি সেখানকার সাংলি জেলার লাঙ্গরতলে একটি সোনার দোকানে কাজ পান। পরে ওই দেকান থেকে ১০৬.৩৭০ গ্রাম সোনা চুরি যায়। সেই বিষয়ে দোকান মালিক বিজয় মারুতি খান্ডগেলে গত ১২ এপ্রিল সেখানকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তিনি জানান, অলঙ্কার তৈরির জন্য ওই সোনা হরি বাগকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, হরি সেই সোনা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। যে সোনার মূল্য ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বলে দোকান মালিক পুলিশকে জানান। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্র পুলিশ মেমারি পৌছে হরি বাগকে গ্রেপ্তার করে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

CBI Arrest: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম, নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ২

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যে প্রথম গ্রেপ্তার ২ জন। নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল মৃত্যু-মামলায় অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। শনিবারই, সকালে ধৃতদের আটক করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, আরও ১০ টি নতুন এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। মূলত, তদন্তে গতি আনতে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।আরও পড়ুনঃ ধমকি দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না, শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকেরগত ১৪ মে হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন ধর্ম মণ্ডল। অভিযোগ তীর ছিল তৃণমূলের দিকে। বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। তারপর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই গত ১৬ মে মৃত্যু হয় ধর্মের।পারিবারিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করে ৭ জনকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখের নেতৃত্বে ওই হামলা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়াও, অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষও এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল মৃতের পরিবারের। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, রাজ্যে ১৫টি খুন ও ৬ টি ধর্ষণের মামলায় নতুন করে আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর দপ্তরে ৯টি এফআইআর রুজু করা হয়েছিল আগেই। শুক্রবার, এই মামলায় আরও ২ টি এফআইআর রুজু করা হয়। শনিবার আরও ১০ টি এফআইআর দায়ের করায় এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের মোট দায়ের করা এফআইআরের সংখ্যা ২১টি।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

Arrest: অশোক মাঝি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা

বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী অশোক মাঝি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার জেলা নেতা শিবশংকর ঘোষ। ওই খুনের ঘটনায় জেলা নেতা আব্দুল রব, প্রাক্তন জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতেকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুকে খুঁজছে পুলিশ। দলীয় সূত্রে খবর, শিবশংকর বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় এর আগে দলেরই ৩ মহিলা সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শহর বর্ধমানের খালাসি পাড়ার তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি(৩৮)কে খুনের ঘটনায় ধৃতরা হল টুম্পা দাস, শেফালি বিবি, পপি বেগম ও বাবলু বাগ।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলের ৩ মহিলা সহ ৪ জনের পুলিশি হেপাজতধৃতরা সকলেই খালাসি পাড়ার বাসিন্দা। তদন্তের প্রয়োজনে ও খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বুধবার সিজেএম ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় রাজনৈতিক দখলদারি কায়েম করতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধের জেরে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে ছিল বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা। জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সৈয়দ মহম্মদ সেলিম ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ গোষ্ঠীর বিরোধ মঙ্গলবার দুপুরে চরমে ওঠে।আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল কর্মী, উত্তপ্ত বর্ধমানখুনের ঘটনায় খোকন দাস ও শিবু অনুগামীরা যুক্ত বলে অভিযোগ করেন সেলিম। যদিও খোকন দাসের দাবি, দীর্ঘ বছর ধরে সেলিমের সঙ্গে রাজার বিবাদ রয়েছে। তা থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।

আগস্ট ২৬, ২০২১
রাজ্য

Murder: বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলের ৩ মহিলা সহ ৪ জনের পুলিশি হেপাজত

নির্মম ভাবে পিটিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় দলেরই ৩ মহিলা সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। শহর বর্ধমানের খালাসি পাড়ার তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি (৩৮)কে খুনের ঘটনায় ধৃতরা হল টুম্পা দাস, শেফালি বিবি, পপি বেগম ও বাবলু বাগ।আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল কর্মী, উত্তপ্ত বর্ধমানধৃতরা সকলেই খালাসি পাড়ার বাসিন্দা। বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এদিনই খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ চার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ তপসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়নে উদারনীতি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় রাজনৈতিক দখলদারি কায়েম করতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধের জেরে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে ছিল বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সৈয়দ মহম্মদ সেলিম ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ গোষ্ঠীর বিরোধ মঙ্গলবার দুপুরে চরমে ওঠে। সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর নির্মম আক্রমণে প্রাণ হারান তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি।আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিনই অশোকের স্ত্রী চন্দনা মাঝিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে।আরও পড়ুনঃ আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ শিক্ষামন্ত্রীরপ্রাক্তন কাউন্সিলার সৈয়দ মহম্মদ সেলিম আক্রমনের সবিস্তার উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে নাগাদ তিনি পৌরসভা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে খালাসীপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় থাকা ৫০-৬০ জন অতর্কিতে তাঁর উপর আক্রমন চালায়। তাঁকে মারতে দেখে খালাসী পাড়ার দলের কর্মী অশোক মাঝি ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা মাঝি ছুটে আসে। মহম্মদ সেলিম বলেন, আক্রমণকারীদের হাত থেকে তিনি নিজেকে কোনওরকমে বাঁচাতে সক্ষম হন। তবে আক্রমণকাীদের নির্মম মারধরের হাত থেকে রেহাই পায়নি অশোক মাঝি ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই দলের কর্মী অশোক মাঝি মারা যায়। আক্রমণকারী সকলে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ, আব্দুল রব, ইফতিকার আহমেদের অনুগামী। এইসব নেতাদের মদতে ও নির্দেশেই চলেছে আক্রমণ। আক্রমণকারী সহ আক্রমণে মদতকারী সকলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে সৈয়দ মহম্মদ সেলিম এদিন দাবি করেন। একই দিনে মৃতর স্ত্রী চন্দনা মাঝিও বর্ধমান থানায় ১০ জনের নামে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে।মৃত তৃণমূল কর্মীর মা কল্পনা মাঝি এদিন বলেন, তাঁর ছেলে অশোক পেশায় ছিল গাড়ি চালক। শিবশংকর ঘোষের দলে না ভিড়ে সেলিমের সঙ্গে থাকাটাই কাল হল ছেলে ও বৌমার। নির্মম মারধরে অকালে প্রাণ হারাতে হল ছেলে অশোককে। বৌমা চন্দনাও মারাত্মক জখম হয়েছে। ছেলেকে খুনের ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন কল্পনাদেবী।আরও পড়ুনঃ তালিবানের থেকে বাঁচলেও করোনা থেকে শেষরক্ষা হল নাপূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় যদিও এদিন দাবি করেন, যা ঘটেছে তা গোষ্ঠীদন্দের কোন ঘটনা নয়। এটা পাড়াগত বিবাদ। পুলিশ ঘটনার উচ্চপর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হবে। বিধায়ক খোকন দাস ও শিবশংকর ঘোষ এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটায় তাঁদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আগস্ট ২৫, ২০২১
রাজ্য

Linkman Arrested: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি জালে লিঙ্কম্যান

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় এবার এক লিঙ্কম্যানকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় ধৃত লিঙ্কম্যানের নাম রিপন শেখ। তার বাড়ি মঙ্গলকোটের সীতাহাটি গ্রামে। রিপন বর্ধমান স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে ভিন রাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা কষেছিল। সেই খবর পেয়ে সিআইডি দল শনিবার রাতে বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন নবাবহাট এলাকা থেকে রিপন শেখকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার ধৃতকে পেশ করা হয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে। বিচারক তাকে ৮ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ তালিবান জমানায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের সিউর গ্রামে বাড়ি লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাসের। গত ১২ জুলাই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি যখন কাসেমনগর বাজার থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন দুস্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে খুন করে। প্রথমে সিট গঠন করে পুলিশ এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে তদন্তভার সিআইডি নিজেদের হাতে নেয়। এরপর সিআইডির জালে একের পর এক ধরা পড়ে দুস্কৃতী সাবুল শেখ, সামু শেখ ও রফিকুল শেখ। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি কর্তারা জানতে পারেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের মাস্টার মাইন্ড বালি মাফিয়া রাজু শেখ।আরও পড়ুনঃ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে শ্রী সিমেন্ট? সম্ভাবনা প্রবলএই রাজুর আদি বাড়ি বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার সিদাই গ্রামে হলেও ৪ বছর ধরে সে মঙ্গলকোটের মল্লিকপুর গ্রামে থেকে অবৈধ বালির কারবার চালাচ্ছিল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আসীম দাসের কাছে অবৈধ বালি কারবারে বাধা পেয়ে সে সুপারি কিলারকে দিয়ে তাঁকে খুন করায়। তার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে থাকে শেখ রাজু। দিন কেয়েক আগে সিআইডি দিল্লি থেকে শেখ রাজুকে গ্রেপ্তার করে ট্রানজিট রিমান্ডে মঙ্গলকোটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি সুপারি কিলার শেখ বাবলুর হদিশ পায়। কয়েকদিন আগে সিআইডি সুপারি কিলার শেখ বাবলুকে গ্রেফতার করে। তাকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ লিঙ্কম্যান রিপন শেখের নাম জানতে পারে। শনিবার রাতে রিপনও ধরা পড়ে সিআইডির জালে।আরও পড়ুনঃ কলকাতার পাশেই ছুটি কাটানোর দারুন সুযোগ, সুন্দরবনের পথে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিসিআইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় মূল লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করেছিল ধৃত রিপন শেখ। সে খুনের কাজে শ্যুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া ও অসীম দাসের গতিবিধির ওপর নজর রাখার দায়িত্বও পালন করেছিল। খুনের ঘটনার মূলচক্রী শেখ রাজুর ডান হাত হিসাবে রিপন শেখ কাজ করত বলে জানতে পেরেছেন সিআইডির কর্তারা।

আগস্ট ২২, ২০২১
রাজ্য

Kidnap: বর্ধমান আদালতের ল’ক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারী

বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম মিরাজ আলি শেখ ওরফে শেখ সবুজ। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার বরিশালি গ্রামে তার বাড়ি।মাধবডিহি থানার পুলিশ শুক্রবার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর তার দেখানো এলাকার একটি মাটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে অপহৃতকে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। লক্লার্কের গোপন জবানবন্দি এদিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম ধৃতকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীন লক্লার্ক জগন্নাথ কুণ্ডুর বাড়ি মাধবডিহি থানার বিনোদপুরে। তাঁর বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ যায় শেখ সবুজ। একটি বিয়ের রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সবুজ অনুরোধ করে জগন্নাথবাবুকে। বছর আটষট্টির জগন্নাথবাবু তাতে রাজি হয়ে যান। সেই কাজের জন্য এরপর তিনি সবুজের বাইকে চেপে বর্ধমানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তারপর তিনি আর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ জগন্নাথবাবুর বাড়ির মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাতে তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে ফোনে বলা হয় জগন্নাথবাবুকে মুক্ত করতে হলে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পরিবারের কাউকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এলাকায় আসতে হবে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে জগন্নাথবাবুকে খুন করে দেওয়া হবে বলেও ফোনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মুক্তিপণ চেয়ে এমন ফোন আসার পরেই জগন্নাথবাবুর পুত্রবধূ বৈশাখী কুণ্ডু মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ অপহরণকারী শেখ সবুজকে গ্রেপ্তার করে।

আগস্ট ২২, ২০২১
রাজ্য

102 Ambulance: ১০২ অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চালক, আটক অ্যাম্বুলেন্স

টাকার লোভে আ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণের অভিযোগে ফের বর্ধমানে গ্রেপ্তার হল ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালক। বুধবার রাতে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অ্যাম্বুলেন্স চন্দন বৈরাগ্য।অ্যাম্বুলেন্সটিও পুলিশ আটক করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে অতিমারির সময়কালে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।পুলিশ জানিয়েছে, টাকার লোভে গত ৫ আগষ্ট মুর্শিদাবাদের চাঁদেমোড় এলাকা থেকে ১০ জন যাত্রীকে নিয়ে একটি ১০২ অ্যাম্বুলেন্স হুগলীর ডানকুনির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ওই দিন বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে থাকা পুলিশ কর্মীরা ওই অ্যাম্বুলেন্সটির পথ আটকায়।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশগ্রেপ্তার হন ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক । এরপর হাতে গোনা কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতে ফের বুধবার রাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখলো বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , বুধবার রাতে শহর বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় ডিউটি করছিলেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। ওই সময়ে যাত্রী বোঝাই ১০২ অ্যাম্বুলেন্সটিকে বর্ধমান-কাটোয়া রোড ধরে যেতে দেখেন পুলিশ কর্মীরা।পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটির পথ আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে থাকা ৪-৫ জন যাত্রী অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বর্ধমান থানার পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটক করার পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সেটির চালক চন্দন বৈরাগ্যকে গ্রেপ্তার করে।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণের ঘটনার নিন্দা করেছেন বর্ধমানের মানুষজন। তবে তাঁরা দাবি রেখেছেন ,যেসব মানুষের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায় তাঁদের জন্য প্রশাসন বিকল্প যানবাহণের ব্যবস্থা করুক। তা না হলে হয়তো অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহনে লাগাম টানা যাবে না।

আগস্ট ১৯, ২০২১
কলকাতা

BJP Arrest: ধুন্ধুমার ধর্মতলা, গ্রেপ্তার শুভেন্দু-দিলীপ-জয়প্রকাশরা

বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায় রানি রাসমনি রোডে। সোমবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই অতি তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরী, সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদের আটক করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস কর্মসূচি পালন বিজেপির রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশের পর গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা। এরপর মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি নেতারা। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত? কংগ্রেস ছাড়লেন সুস্মিতা দেবমূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকে টিকা নিয়ে কারচুপি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। তা নিয়েই এদিনের ধরণা।রাজ্যজুড়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গত আটদিন ধরে। ১৬ অগস্ট তার শেষদিন। এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ধরণার আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও তৈরি হয় ধরণা মঞ্চ। সেখানে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ারও কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন সেই কর্মসূচির শুরুতেই ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা।

আগস্ট ১৬, ২০২১
দেশ

Terrorists: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গি

স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। তার ২৪ ঘণ্টা আগে চার জইশ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে সেই ছক ভেস্তে দিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল বিপুল পরমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক জমা করছে জঙ্গিরা। সেই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তখন অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক-সহ চার জইশ জঙ্গিকে পাকড়াও করে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ পুজারা ও রাহানের ব্যর্থতা নিয়ে কী বলছেন গাভাসকার?পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা ড্রোনের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল। স্বাধীনতার আগে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা ছিল। সূত্রের খবর, মোটরসাইকেলে আইইডি ব্যবহার করে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। জম্মুর সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরই গোটা জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ড্রোনের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ এবং সেনা। বেশ কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামানোও হয়। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তলাগোয়া এলাকা থেকে বিস্ফোরক-সহ ড্রোনকে গুলি করে নামায় সেনা। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম মুন্তাজির মঞ্জুর জেরার মুখে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জইশ কমান্ডার মুনাজির শাহিদ তাদের নির্দেশ দিয়েছিল অমৃতসরের কাছে পাক ড্রোন থেকে ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলি সংগ্রহ করে নিতে। এছাড়াও তার উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পানিপথের তেল শোধনাগার ও অযোধ্যার রাম জন্মভূমি অঞ্চলে রেইকি করে ভিডিও পাকিস্তানে পাঠানোর জন্য। তবে তেল শোধনাগার এলাকার ভিডিও পাঠাতে পারলেও অযোধ্যায় যাওয়ার আগেই ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।উল্লেখ্য, গত শনিবারই বদগাওঁ জেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর কয়েক দিন আগে পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু।

আগস্ট ১৪, ২০২১
কলকাতা

BJP: ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ঠিক যেন সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য। দরজা ভেঙে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনার জেরে মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুরো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম অবস্থা বেধে যায়।স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় একটি ক্লাবের উপরেও হামলা চালানো হয়। এর জেরে সজলের নেতৃত্বে মুচিপাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল সমর্থকেরাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। থানার মধ্যেই দুতরফের বাদানুবাদ হয়। শুক্রবার সকালেও দুদলের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের স্থানীয় এক যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে সজলের সঙ্গীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সজল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ইভ টিজিং-এর দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছেন সজল এবং বিজেপি। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান অব্যাহত, আজ যাচ্ছেন ৯ সাংসদশুক্রবার দুপুরে মুচিপাড়া থানার পুলিশকর্মীরা সজলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। মুচিপাড়া থানার ওসি জানলা দিয়ে সজলকে বাড়ির বাইরে আসার কথা বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, দরজা ভাঙুন। এর পর পুলিশকর্মীরা লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সজলকে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সজলের বাবা প্রদীপ-সহ পরিবারের সদস্যেরা। একদা কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের নেতা প্রদীপ কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা এবং মেয়র পারিষদ পদে ছিলেন। সজলের গ্রেপ্তারির পরে প্রদীপ বলেন, শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সজলকে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
রাজ্য

Murder: শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার জামাই

শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল জামাই। ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ দলুই ওরফে জিৎ। তার বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি থানার নিমদাসপুরে। বর্তমানে সে বীরভূমের বোলপুর থানার মিশন কম্পাউন্ড এলাকায় থাকে। মঙ্গলবার রাতে খুন হন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মাহাতা গ্রামের ঠাকুরপাড়া নিবাসী শাশুড়ি লীলা আগরওয়াল (৪১)। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ বুধবার রাতে বোলপুরের বাড়ি থেকে প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত তাঁর শাশুড়ি লীলা আগরওয়ালকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুরসুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বৃস্পতিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। সিজেএম ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লীলা আগরওয়ালের প্রথম পক্ষের স্বামীর বাড়ি বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের মিশন কম্পাউণ্ড এলাকার। তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী রাজু আগরওয়ালের সেখানে একটি সাইকেল মেরামতির দোকান রয়েছে। লীলাদেবীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে আকাশ বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। মেয়ে প্রীতি আগরওয়াল বিবাহিতা। তাঁরই স্বামী প্রসেনজিৎ। লীলা বর্ধমান শহরে ওষুধ ব্যবসায়ী সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। ওই সময়ে লীলাদেবীর সঙ্গে সুদীপ্তবাবুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর দেড় বছর হল লীলাদেবী পাকাপাকিভাবে সুদীপ্তবাবুর কাছেই রয়ে যান। সুদীপ্তবাবুর সঙ্গে লীলার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে তাঁর স্ত্রী সুদীপ্তবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকে সুদীপ্তবাবু ভাতারের মাহাতা গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে সেখানে লীলাদেবীকে নিয়ে থাকা শুরু করেন। ভাতার থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সেই বাড়ি থেকেই লীলা আগরওয়ালের মৃতদেহ উদ্ধার করে । মৃতার গলায় কালশিটে দাগ ছিল।পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কলকাতায় দেবীসম্মানের ক্যালেন্ডার শুটলীলাকে খুন করা হয়েছে বলে বুধবার ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রথম পক্ষের স্বামী রাজু আগরওয়াল। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে ভাতার থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বেশিরভাগ সময়ে লীলার কাছেই থাকতো তাঁর প্রথমপক্ষের মেয়ে। তা নিয়ে লীলার মেয়ের সঙ্গে তাঁর স্বামী প্রসেনজিতের হামেশাই অশান্তি হত। শেষ পর্যন্ত প্রসেনজিৎ শাশুড়িকে খুনের পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার মাহাতা গ্রামের বাড়িতে এসে সে শ্বাসরোধ করে শাশুড়ি লীলাকে খুন করে পলায়। তদন্তে নেমে ভাতার থানার পুলিশ প্রসেনজিতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে ঘটনার সময় তাঁর মাহাতা গ্রামের বাড়িতে থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপরেই পুলিশ বুধবার রাতে বোলপুরের বাড়িতে হানা দিয়ে জামাই প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
রাজ্য

Rape : ঝাড়ফুঁকের নামে অসুস্থ তরুণীকে সারারাত ধর্ষণ, গ্রেফতার ভণ্ড ওঝা

ঝাড়ফুঁকের নাম করে রাতে অসুস্থ তরুণীকে নদীর চরে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ওঝা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার ঝিরেলা গ্রামে অজয় নদীর অনতি দূরে থকা শ্মশানের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মারু শেখ ওরফে সফিকুল শেখ ওরফে খ্যাপাবাবা। তার বাড়ি জেলার কেতুগ্রাম থানার মোড়গ্রামে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ রবিবার রাতে অভিযুক্ত ওঝাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ সোমবার ধৃতকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। পাশাপাশি পুলিশ এদিনই নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করায়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় অভিষেকের ওপর হামলা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ মমতারপুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা তরুনীর বাড়ি কেতুগ্রামের মোড়গ্রামে। একই গ্রামে বাড়ি মারু শেখ ওরফে সফিকুল শেখের। বুজরুকি কারবার চালানোর জন্য মারু শেখ নিজেই তাঁর নাম খ্যাপাবাবা রাখে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের কেউ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলে তাঁকে সুস্থ করে দেওয়ার কথা বলে মূল্য নিয়ে মারু ঝাড়ফুঁক করে দিত। নির্যাতিতা তরুনীর বাবা পুলিশেকে জানান, তাঁর ১৯ বছরের মেয়ে মাস খানেক ধরে অসুস্থ হয়ে রয়েছে। ডাক্তারি চিকিৎসা করানো হলেও রোগ সারেনি। ইদানিং তাঁর মেয়ের মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। খ্যাপাবাবা ঝাড়ফুঁক করে দিলে মেয়ে যদি সুস্থ হয় এইকথা ভেবে তিনি খ্যাপাবাবার শরণাপন্ন হন। নির্যাতিতার বাবা বলেন, শনিবার অমাবস্যার দিন অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলকোটের ঝিরেলা গ্রামের শ্মশানে নিয়ে যাবার কথা মারু তাঁকে বলে ।একই সঙ্গে মারু তাঁকে আরও জানায়,ঝিরেলা গ্রামে অজয় নদীর অনতিদূরে শ্মশানের কাছাকাছি পীরতলাতেই তার গুরু থাকেন। গুরু থাকলে ঝাড়ফুঁক করতে সুবিধা হবে। সেই মতো শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে তিনি মারু শেখের সঙ্গেই ঝিরেলা গ্রামে যান।আরও পড়ুনঃ স্বামীর সঙ্গে মালদ্বীপে সানা, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলেন সেই ছবিনির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁরা ঝিরেলা গ্রামে পৌছানোর পর সেখানকার ধুমক্ষেত্রতলায় তাঁর বাবাকে বসিয়ে রাখে মারু। এর পর ঝাড়ফুঁক করার জন্য মারু তাঁকে অজয়নদের ধারে নিয়ে চলে যায় ।সেখানে যাওয়ার পর ভয় দেখিয়ে মারু ওরফে খ্যাপাবাবা তাঁকে সারা রাত ধরে ধর্ষণ করে। পরদিন বাড়ি ফিরে খ্যাপাবাবার কুকীর্তির কথা তরুণী তাঁর বাবা মাকে বলে। ঘটনা সবিস্তার জানিয়ে ওই দিনই নির্যাতিতা মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ ওই রাতে অভিযুক্ত ওঝাকে গ্রেপ্তার করে। ভণ্ড ওঝার দৃষ্টান্ত মূলক সাজার দাবি করেছে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।

আগস্ট ০৯, ২০২১
রাজ্য

Battery Theft: উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার লরির ব্যাটারি চুরি চক্রের এক চাঁই

হেপাজতে নেওয়া অপরাধীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এবার পুলিশ পাকড়াও করলো সড়ক পথে দাঁড়িয়ে থাকা লরির ব্যাটারি চুরি চক্রের এক চাঁইকে। ধৃতের নাম বাবলু শেখ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগর থানার তেঁতুলিয়া ভোগালবাড়ি এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ শনিবার রাতে স্বরুপনগর থানার সাহায্য নিয়ে বাবলু শেখকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মেমারি থানার পুলিশের হেপাজতে থাকা মণিরুল গাজি ও বাবলু শেখকে সঙ্গে পুলিশ রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার খাসপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় চোরাই ১৮টি ব্যাটারি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে মণিরুল ও তার দলবল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে লরির ব্যাটারি চুরিতে জড়িত।আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী যুবক গ্রেফতার ভাতারে, তদন্তে পুলিশপুলিশ জানিয়েছে, মেমারি থানার বিষ্ণুপুরে বাড়ি আশুতোষ বিশ্বাসের। তাঁর ৩টি লরি আছে। তিনি বাড়ির কাছের গোডাউনের সামনেই লরিগুলি দাড় করিয়ে রাখেন। দিনকয়েক আগে রাতে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর লরি থেকে ব্যাটারি খোলার শব্দ পেয়ে আশুতোষ বাবু ঘর থেকে বেরিয়ে একটি গাড়িকে পালাতে দেখেন। আশুতোষবাবু এই বিষয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ পালশিটের একটি ধাবার কাছ থেকে ওই গাড়িটিকে ধরে। গাড়িতে থাকা মণিরুল গাজিকে গ্রেপ্তার নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জাজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চক্রের অপর চাঁই বাবলু শেখের হদিশ পায়। আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশীর গোটা কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল নেশা আশক্ত যুবক, চাঞ্চল্য গুসকরায়ধৃতকে এদিন বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।আরও ব্যাটারি উদ্ধার এবং চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃত বাবলুকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

ভয়ঙ্কর অভিযোগঃ মহিলাকে মারধর করে চোখে ও গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত

বাড়িতে চড়াও হয়ে রড, হাতুড়ি দিয়ে মহিলাকে মারধরের পর তাঁর চোখে ও গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন দুই ব্যক্তি।ধৃতদের নাম মানিক চন্দ্র রায় ওরফে বাবু ও প্রশান্ত খাঁ ওরফে কাঞ্চন। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার বাদুলিয়ার খাজুরতলা মোড়ে ধৃতদের বাড়ি। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে। মারধর, খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিনই ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশীর গোটা কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল নেশা আশক্ত যুবক, চাঞ্চল্য গুসকরায়পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি বাদুলিয়া গ্রামেই। ওই গ্রামেরই যুবক যাদব বাগ কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মহিলার স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ওই যুবক মহিলাদের বাড়িতে যাতায়াত করত। যাদব বাগ আত্মহত্যা করার পর তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলে ওই মহিলার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে যাদব আত্মহত্যা করেছে। এরপর শনিবার সকালে মহিলার স্বামী দোকানে চলে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজনকে নিয়ে মৃত যুবকের পরিবার মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় । তারা ঘরের দরজা ভেঙে মহিলাকে ঘর থেকে বের করে লাঠি, রড, হাতুড়ি দিয়ে প্রচণ্ড ভাবে পেটায়। মহিলাকে বাঁচাতে তাঁর জা ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয় হামলাকারীরা। মারধরে মহিলা সংজ্ঞা হারানোর পর তাঁকে বাড়ির উঠানে বিবস্ত্র করে চোখে ও গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এই খবর পেয়ে এলাকার অন্য লোকজন সেখানে পৌছালে হামলাকারীরা পালায়। ঘটনার কথা শুনে মহিলার স্বামীও একই সময়ে তাঁর বাড়িতে ফিরে আসেন। স্ত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তিনি গোটা ঘটনা খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে।

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

Bangladeshi Infiltrator: বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী যুবক গ্রেফতার ভাতারে, তদন্তে পুলিশ

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এক যুবককে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ওসমান আলি। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা ডিভিশনের ঝেরাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার কাগমারি গ্রামে। ভাতার থানার পুলিশ শনিবার বিকেলে ভাতার বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই যুবক কিভাবে এবং কি উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে তার তথ্য উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বার্সিলোনায় শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসিভাতার থানার ওসি প্রনব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লাল গেঞ্জি ও নীল সাদা চেক লুঙ্গি পরিহিত ওই যুবক শনিবার বিকেলের দিকে ভাতার বাজার এলাকায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। তার কথাবার্তাও এদেশের বাসিন্দাদের মতো নয়। সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। জেরায় যুবক স্বীকার করে তার বাড়ি বাংলাদেশে। সে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছে । তারপরেই অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবক কি ভাবে ও কি উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছে তা জানার জন্য ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

Tripura TMC: মহামারী আইনে গ্রেফতার দেবাংশু-জয়া-সুদীপরা, উত্তপ্ত ত্রিপুরা

মহামারী আইনে শনিবার রাতে তৃণমূল যুব নেতৃত্বের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। দেবাংশু, জয়াদের আজ আদালতে পেশ করবে পুলিশ। এদিকে শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। এবার আজ, রবিবার ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের হুঁশিয়ারি, পারলে আটকান। তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার তাদের যুব কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে ত্রিপুরায়। উল্টে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগকে নাটক বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আজ আবার উত্তপ্ত হতে পারে ত্রিপুরা।আরও পড়ুনঃ বিপ্লব করতে আজ ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেকত্রিপুরা অভিযান শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেই ত্রিপুরা যাতায়াত শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবার এই বাংলা থেকে ত্রিপুরা যাতায়াত করাকে বহিরাগতদের ত্রিপুরা আগমন বলে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। এরাজ্যে সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদের আসাকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়াএর আগে অভিষেক ত্রিপুরায় যাওয়ার দিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। অভিষেকের যাতায়াতের রাস্তায় পথ অবরোধ, তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তো ছিলই। তাছাড়া ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের গাড়িতেও বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ত্রিপুরার গনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। যদিও বিজেপির বক্তব্য ছিল পুরো ঘটনা সাজানো। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গের তুলনা টেনে এনেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ ১৫ জেলায় সারাদিন চলবে বৃষ্টিএদিকে গতকাল ত্রিপুরার আমবাসার রাস্তায় তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের ওপর বিজেপি হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। বোমা, গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে আজ পরশি রাজ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের যুবরাজ। ফের রাতেই খবর আসে ১১ জন তৃণমূল যুব নেতাকে গ্রেফতার করেছে মহামারী আইনে।

আগস্ট ০৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal