• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Amit Shah

দেশ

অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দিয়ে ইমেল এল সিআরপিএফ-এর দপ্তরে। কয়েক দিন আগে এই ইমেল এলেও মঙ্গলবার সিআরপিএফ এই মেলের বিষয়ে সকলকে জানিয়েছে। দেশের দুই হেভিওয়েট নেতাকে এভাবে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।জানা গিয়েছে, কেবল যোগী ও অমিত শাহকে খুনের হুমকিই নয়, সেই সঙ্গে দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতেও ধারবাহিক হামলার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মেলে। এছাড়া দুই নেতাকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১১ জন সুইসাইড বম্বার প্রস্তুত রয়েছে ওই হামলা চালানোর জন্য। এই মেল পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৎপরতা৷ বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ সেই সঙ্গে কারা এই মেল পাঠাল, তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে এসেছে সেটি।প্রসঙ্গত, এর আগেও যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দিয়ে মেসেজ এসেছিল। উত্তরপ্রদেশের ১১২ হেল্প ডেস্কের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আসা সেই মেসেজে বলা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একে-৪৭ দিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে যোগীকে। সরাসরি হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, ক্ষমতা থাকলে আমাকে খুঁজে বের করো। তারও আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ওই নম্বরেই আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি বার্তা এসেছিল। তবে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সন্ধান মিলেছিল। আগ্রা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত একজন নাবালক।এবারের জোড়া হুমকি বার্তায় সতর্ক সিআরপিএফ। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলিকে তাদের তরফে এই মেল সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

এপ্রিল ০৭, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে জয় হবে শুভেন্দুর: আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ

রোড শো-এর পর রেয়াপাড়ার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মধ্যেই নারী সুরক্ষা নিয়ে নানা কথা বলেন, কিন্তু আজ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাইব, আপনার উপস্থিতিতেই নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হল। তাহলেই বুঝুন, পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন মমতাও। বলেন, একটা পরিকল্পনা আছে ওদের। নিজের দলের কোনও একটি মেয়েকে ওরা মারবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর মারবে। মেরে বাংলার নামে দোষ দিয়ে হিন্দু-মুসলমান করবে। এটা ওদের পরিকল্পনা।দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অমিত শাহ , শুভেন্দু অধিকারীরা। আক্রমণ পালটা আক্রমণে বাড়ছে প্রচারের উত্তাপ। কারণ নন্দীগ্রাম সবার কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট। সেই নন্দীগ্রামের মাটি থেকে কোনও রকম রাখঢাক না করে সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শাহ বলেন, নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রোড শো করেন শাহ। তার পর রোয়াপাড়া শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রত্যাশামতোই প্রধান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। নারী সুরক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারাবরের দাবিকে কটাক্ষ করেন তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত। আর যে বাড়িতে মমতা দিদি রয়েছেন তার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই এক মহিলা ধর্ষণের শিকার হলেন। তাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলায় পরিবর্তন চাই। আর নন্দীগ্রামে দিদিকে হারালেই গোটা বাংলায় পরিবর্তন আসবে। নিমতায় বিজেপি সমর্থকের মায়ের মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখ করেন শাহ।

মার্চ ৩০, ২০২১
রাজ্য

আজ শুভেন্দু ও অভিষেক-গড়ে রোড শো অমিত শাহর

দ্বিতীয় দফার ভোটের শেষ দিনের পদ্ম-প্রচারের ঝড় তুলতে ফের বাংলায় অমিত শাহ। একই দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পাশাপাশি যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি রোড-শো করার পরে তিনি সভা করবেন ডায়মন্ডহারবারে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোট শুরু হয়ে গেলেও ডায়মন্ডহারবার আসনে ভোট রয়েছে তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল।বিজেপি সূত্রে অমিতের যে সফরসূচি জানা গিয়েছে তাতে, নন্দীগ্রামে তিনি রোড শো করবে দুপুর ১২টায়। সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। রোড-শো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। এর পরে বিকেল ৩টের সময় পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করে অমিত চলে যাবেন ডায়মন্ডহারবারে। সূচি অনুযায়ী, সেখানে তাঁর সভা শুরু হবে বিকেলে সাড়ে ৪টের সময়। এই আসনে যুযুধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি শিবিরে নবাগত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মমতা এখন নন্দীগ্রামেই রয়েছেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ভোট পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। সুতরাং, অমিতের রোড-শো চলার সময় নন্দীগ্রামেই থাকবেন মমতা। নন্দীগ্রামে প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রচারের শেষবেলায় শুধু অমিত নন, মঙ্গলবার রোড-শো করবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। বিজেপি-র পরিকল্পনা মতো অমিত ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা করার কথা প্রতিটি জেলায়। কিন্তু ভিআইপি আসন নন্দীগ্রামের জন্য কার্যত ৩ জনই এলেন প্রচারে। মোদি কাঁথি শহরে সভা করলেও তার অনেকটাই ছিল নন্দীগ্রাম জয়ের লক্ষ্যে। পাশাপাশি যোগী নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করে গিয়েছেন। এ বার আসছেন অমিত।

মার্চ ৩০, ২০২১
দেশ

প্রথম দফার ২৬টি আসনই জিতবে বিজেপি, আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ

ভোটের ফল বেরনোর কথা ২ মে। কিন্তু অমিত শাহ ততদিন অপেক্ষা করতে রাজি নন। প্রথম দফার ভোটের পরের দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একপ্রকার ফলাফল ঘোষণা করে দিলেন। দিল্লিতে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন, প্রথম দফার ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসনেই জিতবে গেরুয়া শিবির। শাহর দাবি, বিজেপি নিজেদের পূর্ব নির্ধারিত ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে চলেছে। আর প্রথম দফা ভোটের পরই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাজ্যের ৩০ আসনের নির্বাচনে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছিল ভোটের হার। গতবারের তুলনায় ভোট পড়েছে অনেকটাই বেশি। ৫ জেলায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ। সাধারণত বেশি ভোটের হার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলছেন, দলের কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে আমি নিশ্চিত আমরা ২৬টির বেশি আসন পাচ্ছি। আমি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সমর্থন করার জন্য। শাহ বলছেন, বাংলায় যেভাবে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে, সেটাই ইঙ্গিত করছে বিজেপি ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ হতে চলেছে। তিনি বলছেন, বাংলার মহিলাদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেব আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য। বাংলায় আমরা দুশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়তে চলেছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার নজর দিচ্ছেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। তাঁর কথায়, বাংলার ভাগ্য এখন নন্দীগ্রামের হাতে। নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাংলায় এই ধরনের কোনও মাইন্ড গেম কাজ করবে না। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন পালটা শাহকে আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, আপনার মাইন্ড গেম গুজরাতের জিমখানায় ফেলে আসুন। এটা বাংলা, এখানে এই ধরনের পূর্বাভাস চলবে না।

মার্চ ২৮, ২০২১
কলকাতা

একাধিক প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করলেন অমিত শাহ

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা লাগোয়া পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির ইস্তেহারে রয়েছে একাধিক চমক। ইস্তেহার প্রকাশের আগে শাহ বলেন, ইস্তেহার শুনে আমাকে প্রশ্ন করবেন না যে এর টাকা কোথা থেকে আসবে? আমি বণিক পরিবারের সদস্য, পাই পয়সার হিসাব করে ইস্তেহার বানিয়েছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ বলেন, এটা সংকল্প পত্র। এটা মেনেই বিজেপি সরকার চলবে। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এই ইস্তেহার। এই ইস্তেহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চরমে। রাজনীতির দুরবৃত্তায়ণ হয়েছে। বাংলায় ভোট ব্যাংকের রাজনীতি। তৃণমূলের কুশাসনে বাংলার কালো অধ্যায়। এই আমলে পিছিয়ে পড়েছেন মহিলারা।ইস্তেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি সবসময় সংকল্পপত্রকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। সংকল্পপত্রের উপর ভিত্তি করেই বিজেপি সরকার চালিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে কীভাবে সোনার বাংলা তৈরি করব, তা এই সংকল্পপত্রে আছে। রাজ্যের মানুষের মতামত নিয়ে সংকল্পপত্র তৈরি হয়েছে। সোনার বাংলা কোনও অলীক কল্পনা নয়। অতীতে বাংলা ভারতের থেকে এগিয়ে থাকত। বাংলা থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। জনগণমন, বন্দেমাতরমের সৃষ্টি হয়েছে বাংলার মাটিতেই। শিক্ষা, বিজ্ঞান, সাহিত্য সব ক্ষেত্রে বাংলা এগিয়ে ছিল। কিন্তু গত ৭৩ বছর ধরে বাংলা একটু একটু করে পিছিয়ে গিয়েছে। ১৯৬৭ সালের পর থেকে বাম ও মমতার শাসন বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে। নারীসুরক্ষায় বাংলা আজ পিছিয়ে পড়েছে। গত ১০ বছরে তৃণমূলের কুশাসনে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। তোষণ, দুর্নীতি, গোরুপাচার, অনুপ্রবেশ ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। মমতা প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করেছেন। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন করেছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙেছেন মমতা। কংগ্রেস, বাম, তৃণমূলকে স্বাধীনতার পর থেকে সুযোগ দিয়েছেন। একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন, সোনার বাংলা তৈরি করব।বিজেপি-র ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ। কিষাণ সম্মান নিধিতে বকেয়া ১৮ হাজার টাকা ব্যাংক ট্রান্সফার। তারপর বছরে ১০ হাজার টাকা প্রতিবছর দেওয়া হবে। মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেক গরিবকে আনা হবে। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। সরস্বতী, দুর্গাপুজোর জন্য আদালতে যেতে হবে না। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আগামী ৫ বছর শরণার্থী পরিবারকে বছরে ১০ হাজার টাকা অনুদান। কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত মহিলাদের পঠনপাঠন বিনামূল্যে। সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াত বিনামূল্যে। রাজ্যে আরও ৩টি এইমস তৈরি হবে। ক্ষমতায় এসেই ৭ম বেতন কমিশন বসাব। নোবেল পুরস্কারের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে পুরস্কার চালু হবে। বিধবাদের পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার করা হবে। মহিলাদের সুরক্ষায় পুলিশে পৃথক ব্যাটেলিয়ন চালু হবে। কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটির তহবিল তৈরি হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য ৩ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা। মৎস্যজীবীদের সব নৌকা যন্ত্রচালিত করা হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে ১০ হাজার কোটির তহবিল। স্কুল পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য বিদ্যাসাগরের নামে ২০ হাজার কোটির তহবিল। রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য কমন এলিজিবল টেস্ট চালু হবে। শৈলেন মান্না স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে। আধাসেনায় নারায়ণী সেনা ব্যাটালিয়ন চালু হবে। রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিশ্চিহ্ন করব। এমএসএমই-তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টার ছাড়াই ঋণ। শহরে পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ। বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি হবে। গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে ২৫০০ কোটির তহবিল। সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার আবশ্যিক করার চেষ্টা। শান্তিনিকেতনকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা দিতে ১৫০ কোটি বরাদ্দ হবে। বাংলায় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্ন। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মনীষীদের জন্য চেয়ার থাকবে।বিজেপির ইস্তেহারে আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, টলিউডের কলাকুশলীদের সাহায্য করা হবে। রাজ্যে ৯টি পৃথক পর্যটন সার্কিট তৈরি হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫ টাকায় ৩ বেলার আহারের ব্যবস্থা হবে। এসসি, এসটি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ করা হবে। আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য মডেল স্কুল তৈরি হবে। কলকাতার উন্নয়নে ২২ হাজার কোটির তহবিল। কালীঘাটের আদিগঙ্গার সংস্কার করা হবে।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজনীতি

রাজ্য নেতাদের রাতেই দিল্লি তলব অমিতের

ভোট-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলার শীর্ষনেতাদের মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে জরুরি তলব করলেন অমিত শাহ। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার প্রাথমিক আলোচনা সোমবার গোটা রাত ধরে করেছেন বিজেপি-র শীর্ষনেতা অমিত। আলোচনার শেষে কিছু পরামর্শও দিয়ে গিয়েছেন। সেই মতো মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করেছেন দলের নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের আশা, আলোচনার মাধ্যমে ক্ষোভ প্রশমিত হবে।বিজেপি সূত্রে খবর, যেন তেন প্রকারেণ বাংলার নীলবাড়ি দখল করতে চাইছেন অমিত। সে কারণেই সমস্ত ইতিবাচক আসনে দলের ওজনদার নেতানেত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সাংসদদেরও ভোটের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও টালিগঞ্জ বিধানসভা আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচার এবং জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন। টিকিট দেওয়া হয়েছে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। কিন্তু তার চেয়েও একধাপ এগিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কেও ভোটের ময়দানে প্রার্থী হিসেবে হাজির করানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন অমিত। দিলীপ-ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, তাঁকে বীরভূম জেলার কোনও একটি আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। সেই আসনটি দুবরাজপুর হলেও হতে পারে। তবে দুবরাজপুর সংরক্ষিত আসন। সেখানে দিলীপের পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তবে বীরভূমের কোনও একটি সাধারণ আসনে দিলীপকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। দিলীপ-ঘনিষ্ঠদের মুখে ভবানীপুরের কথাও শোনা যাচ্ছে। আর মুকুলকে দাঁড় করানো হতে পারে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর দক্ষিণ আসন থেকে। অন্তত মুকুলের ঘনিষ্ঠরা তেমনই বলছেন।

মার্চ ১৬, ২০২১
কলকাতা

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে আসরে শাহ-নাড্ডা

বঙ্গের দুয়ারে কড়া নাড়ছে নির্বাচন। তার আগে এখনও পর্যন্ত দফায়-দফায় মাত্র ১২০ জন প্রার্থী নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি । এর মধ্যে প্রার্থী বদলের দাবিতে জেরবার গেরুয়া শিবির। জেলায়-জেলায় স্পষ্ট অন্তর্কলহের ছবি। নির্বাচনের আগে এই ছবিতে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে বঙ্গ বিজেপি। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামতে হল খোদ অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতাদের।পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পালটে যায় শাহি সফরসূচি। দ্বন্দ্ব সামাল দিতে দিল্লি ফেরা বাতিল করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। আবার সময়ের আগে তড়িঘড়ি রাজ্যে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উপায় খুঁজতে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত নিউটাউনের হোটেল চলে বৈঠকও। ছিলেন শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। শেষপর্যন্ত রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে মঙ্গলবার সকাল ৯টার উড়ানে দিল্লি ফিরেছেন শাহ।কথা ছিল বাঁকুড়া থেকে অসম হয়ে দিল্লি ফিরে যাবেন। আচমকাই পাল্টে যায় অমিত শাহর সফরসূচি। দিল্লি ফিরে যাওয়ার বদলে রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্তরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে সোমবার রাতে কলকাতায় ফিরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহর তলব পেয়ে নিউ টাউনের হোটেলে আয়োজিত বেশি রাতের সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও। বৈঠকে অংশ নেন বি এল সন্তোষ, ভূপেন্দ্র যাদবের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা।

মার্চ ১৬, ২০২১
রাজ্য

মমতার চোট নিয়ে খোঁচা অমিতের

ভোটের আবহে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সোমবার রানিবাঁধের জনসভায় মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেও তাঁকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সভা থেকে শাহের খোঁচা, মমতা দিদির পায়ে চোট লেগেছে। তৃণমূল বলছে, ষড়যন্ত্র হয়েছে। কমিশন বলছে, দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছেন। ভগবানই জানেন সত্যিটা কী। এর পরই বাংলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে আনলেন শাহ।সভামঞ্চ থেকে অমিত শাহের কটাক্ষ, বাংলায় কমিউনিস্ট সরকারের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ভেবেছিল, এ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা কমবে। কিন্তু ইতিমধ্যে বিজেপির ১৩০ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। মমতা দিদির পায়ে চোটের জন্য সকলে দুঃখিত। হুইলচেয়ারে ঘুরছেন তিনি। কিন্তু এতজন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মৃত্যুতে তো উনি দুঃখ পাননি? তাঁদের মায়েদের জন্য চোখের জল ফেলেননি। এর পরই শাহের চ্যালেঞ্জ, বাংলার মানুষ ইভিএমে জবাব দেবেন। এদিনও বাংলার কাটমানি-সিন্ডিকেট-অনুপ্রবেশ কালচার নিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি।এ রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম পে কমিশন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কার্যকর করারও প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।ভোট যত কাছে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গে। এদিকে খড়গপুরের রবিবারের ব়্যালি থেকে মমতার আরোগ্য কামনা করেছিলেন অমিত শাহ। এবার সোমবার সেই চোট নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন শাহ।

মার্চ ১৫, ২০২১
রাজ্য

বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা অমিত শাহর

মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। অথচ সৌজন্যের খাতিরে একবারও ফোন করে খবর নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শেষপর্যন্ত রবিবার বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন উনি।এদিন দুপুরে খড়গপুরের বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু অসম থেকে জনসভা সেরে বাংলায় আসতে বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলেন তিনি। তবু জমায়েত করা বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি। শেষপর্যন্ত এদিন সন্ধেবেলা খড়গপুরে রোড শো করলেন শাহ। মাত্র ৯০০ মিটার পথ পেরতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায় তাঁর। কারণ, রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এদিন শাহের সঙ্গে ছিলেন খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন রোড শো চলাকালীন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আজকের এই ব়্যালি দেখে বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছে। দুশোর বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এবার আসল পরিবর্তন হবে। তবে নন্দীগ্রামে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর চোটের বিষয় মুখ খুলতে চাননি শাহ। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ সব দেখছেন, সব বুঝছেন। ইভিএমে উত্তর দেবেন। কমিশন ও তদন্তকারী সংস্থা নিজের কাজ করছে। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

মার্চ ১৪, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় তিনি ঘরভাড়াও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিযোগ করেছেন,গাড়ি দাঁড় করিয়ে মন্দিরে প্রণাম করছিলাম তখন চার-পাঁচ জন আমাকে ঠেলে দেয়। তখনই আমার মুখে ও পায়ে আগাত লাগে। আপাতত কলকাতায় যাচ্ছি।এদিন হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাণীচকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল। বিজেপি পুরো বিষয়টা নাটক হিসাবে দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই ঘটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করা উচিত। সূত্রের খবর,, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা হবে। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না। বলেই অভিযোগ মমতার। জানা গগিয়েছে, খবর জানাজানি হতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।ভোটের বাংলায় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন? সব মহলেই এই প্রায় উঠেছে।

মার্চ ১০, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, বানাবেন কুঁরে ঘর

সবার প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে নন্দীগ্রামে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে। সম্মুখ সমরে মমতা-শুভেন্দু। জমি আন্দোলনের পর এবার রাজনীতির উত্তাপে দগ্ধ নন্দীগ্রাম। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বটতলার সভা থেকে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে সেখানে দুই কামরার বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন। স্মৃতি আওড়ালেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের।একসময় বামপন্থীরা স্লোগান তুলছিল ভুলতে পারি বাপের নাম, ভুলবো নাকো ভিয়েতনাম। এদিন মমতা বলেন, ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। এভাবেই নন্দীগ্রামকে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে আন্দোলন শুরু হয় নন্দীগ্রামের আগে। সিঙ্গুর আন্দোলন না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তুফান হত না। আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। শহরে মানুষ হয়েছি। সেটাও ভালবাসার জায়গা। ছোটবেলা গ্রামেই কেটেছে। আলে আলে ঘুরে বেড়াতাম। ধান কাটতাম। সর্ষে ক্ষেতে যেতাম। গ্রামের প্রতি আমার টান আছে। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামে যে কোনও এক জায়গায় আমি প্রার্থী হতাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই গ্রামের আবেগ ছুঁতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।আন্দোলনের স্মৃতি উসকে মমতা বলেন, গন্ডগোলের সময় একবার তাহের(আবু তাহের) ফোন করছে, একবার সুফিয়ান(সেখ সুফিয়ান) ফোন করছে। গুলির শব্দ শোনাচ্ছেন ফোনে। যাঁদের থাকার কথা ছিল তাঁরা একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও ছিলেন না। ১০ নভেম্বর সূর্য উদয়। ১০ জনকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কেটে ভাসিয়ে দিয়েছে না কী করেছে কেউ জানে না। তেখালিতে গুলি চালাচ্ছে, আমার গাড়িতে গুলি লেগেছে। গোকুলনগর, তেখালি, সোনাচূড়া বিভিন্ন গ্রামের নাম বলতে থাকেন মমতা। মমতার বক্তব্য, তাঁকেও বাইরের লোক বলে অভিহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।বেশ কয়েকটি জনসভায় বামেদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাম দলেও অনেক ভাল মানুষ আছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এদিন নন্দীগ্রামে মমতা বলেন, পুরনো অত্যাচারী সিপিএম চলে এসেছে। বিজেপি এদের নিয়ে এসেছে। নন্দীগ্রামে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে কাজ করছে। সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি এক। হুমকি দিচ্ছে তোমার বিরুদ্ধে কেস আছে! এসব দুমাস করে নাও। সাতদিন পরে তোমরা কোথায় যাবে?এদিনের সভায় নন্দীগ্রামের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। একইসঙ্গে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়াকে জুড়তে সেতু তৈরি করা হবে। মডেল নন্দীগ্রাম করব। বেকারদের চাকরি হবে। নন্দীগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় করব। আমি চাই এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক। মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে রুইয়া পাড়ায় দুটি রুমের একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। পরে একটা কুঁড়ে ঘর বানিয়ে নেব। এখানে ভোট পয়লা এপ্রিল। ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে খেলা হবে। তিন মাস অন্তর তিনি নন্দীগ্রামে আসবেন বলেও জানিয়ে দেন।

মার্চ ০৯, ২০২১
রাজনীতি

"খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে", প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কালিঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই জানিয়ে দেন পাহাড়ের তিনটে সিট গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছাড়া হয়েছে। বাকি ২৯১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। এদিন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৫০ জন মহিলা প্রার্থী দেবে তৃণমূল। ৪২ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী হচ্ছেন। তপসিলি ৭৯ জন। মমতা বললেন, খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে। মমতা এদিন বলেন, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি নন্দীগ্রামেই দাঁড়াব। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাসবিহারী কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হবেন দেবাশিস কুমার। অতীন ঘোষ কাশীপুর-বেলগাছিয়া, রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর, কাঞ্চন মল্লিক উত্তরপাড়া, ইদ্রিস আলি ভগবানগোলা, রত্না চট্টোপাধ্যায় বেহালা পূর্ব, সিঙ্গুর বেচারাম মান্না, মদন মিত্র কামারহাটি, বিধাননগর সিজিত বসু, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বর। বীরবাহা হাঁসদা ঝাড়গ্রা, কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী ইংরেজবাজার, উদয়ন গুহ দিনহাটা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেহালা পশ্চিম, হুমায়ুন কবির ডেবরা, সায়নী ঘোষ আসানসোল দক্ষি, জ্যোতিপ্রয় মল্লিক হাবড়া, অদিতি মুন্সী রাজারহাট-গোপালপুর, চিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বারাসাত, সায়ন্তিকা ব্যানার্জী বাঁকড়া, সোহম চক্রবর্তী চন্ডীপুর, মনোজ তিওয়ারি শিবপুর, লাভলি মিত্র সেনারপুর দক্ষিন, অরূপ বিশ্বাস টালিগঞ্জ, অরূপ চক্রবর্তী তালডাংরা, চন্দ্রনাথ সিনহা বোলপুর, ব্রাত্য বসু দমদম, কোশানূ মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর উত্তর।

মার্চ ০৫, ২০২১
রাজনীতি

‘হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার’, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতৃত্বের

হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে রেরে করে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে। বিজেপির কোনও নেতা টুইট করেছেন তো কেউ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন।বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জে জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে। মমতা বলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার। মমতার সভার ৪৮ ঘণ্টা আগে এখানেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।তৃণমূলনেত্রীর হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার বক্তব্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো ফেসবুকে লেখেন, ছিঃ !!! এই একজন মূখ্যমন্ত্রীর ভাষা !! এই ভাষা বলতে আপনার যে লজ্জা করে না তা আমরা বহুদিন আগেই দেখেছিজেনেছি কিন্তু আমাদের তো লজ্জা আছে, বাঙালির তো আত্মভিমান আছে, লজ্জাও আছে !! সারা পৃথিবীর বাঙালির মাথা আপনি হেঁট করে দিচ্ছেন !! আপনি আবার নিজেকে বাংলা গর্ব বলেন???বিজেপির এই রাজ্যের কোইনচার্জ অমিত মালব্য এদিন মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে টুইটে লেখেন, নিশ্চিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে।পিসির তা অসহ্য লাগছে। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। আসলে পিসি হেরে গিয়েছেন। এদিন মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্কে দলীয় সভায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তোপ দেগেছেন। রাজীব বলেন, কখনও তুইতোকারি করছেন, কখনও বিরোধী দলের নেতার শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এগুলো কী মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হওয়া উচিত?রাজনৈতিক মহলের মতে, সব কিছুকে ছাপিয়ে এবার বাঙালি, বাংলার মনীষী, বহিরাগত নিয়েই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি। একই বিষয় নিয়ে একদল আক্রমণ করছে প্রতিপক্ষ পাল্টা মন্তব্য করছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
রাজনীতি

‘হোঁদল কুতকুত’-‘কিম্ভূতকিমাকার’, নাম না করে শাহ-মোদিকে কটাক্ষ মমতার

এখানেই দুদিন আগে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের জনসভা থেকে নাম না করে শাহ-মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার । গত সোমবার এই মাঠেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা।এই সভাতেই বাংলা চলচ্চিত্রের এক ঝাঁক তারকা তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন ঘাসফুল শিবিরে ভিড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সুদেষ্ণা রায়, মানালী দে। এছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও শিক্ষাবিদ অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিনও তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন গোলপোস্টের নীচে তিনিই দাঁড়াবেন। একদিকে থাকবে তৃণমূল, অন্যদিকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। মমতার দাবি, সব ওপর দিয়ে চলে যাবে। একটা বলও গোলপোস্টে ঢুকবে না।তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ভাবা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। এদেশে এখন দুটো নেতা, একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূতকিমাকার। আমি এর ইংরেজি, হিন্দি জানি না। এদিকে মঙ্গলবারই অভিষেকের বাড়িতে কয়লাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়েছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করে সাংসদপত্নী রুজিরাকে। সিবিআই আসার আগে মমতা পৌঁছান তাঁর ভাইপোর বাড়িতে। এদিন মমতা বলেন, ঘরে ঢুকে বাইশ-তেইশ বছরের এক বউকে কয়লা চোর বলছে। আর কয়লা চোরেদের নিজেরা কোলে করে ঘুরছেন। আমার বাড়ির মা-বোনেরা কয়লা চোর? তোমার সারা গায়ে ময়লা। নোটবন্দির ময়লা।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন খেলা হবে, কী ভূমিকা নেবেন মমতা?

খেলা হবে স্লোগানে মাতোয়ারা বাংলার রাজনীতি। ডান-বাম সব পক্ষই বলছে খেলা হবে। কী খেলা হবে তা কেউ ব্যাখ্যা করছে না। তবে খেলায় জিতব বলে সকলেই দাবি করছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি খেলবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। তিনি যে কারও চমকানি ধমকানিতে ভয় পান না, ফের হুঁশিয়ার করেছেন মমতা। তাছাড়া জয় বাংলা স্লোগান যে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান দিয়েছেন সেকথাও স্মরণ করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।খেলা হবে-তে তিনি থাকছেন বলেই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বলেছেন, একুশেই চ্যালেঞ্জ হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম দেখি কার জোর কত বেশি। একুশে একটাই খেলা হবে, আমি থাকব গোলরক্ষক। কারা হারে কারা জেতে সেটা আমি দেখতে চাই। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করে আসছে পদ্মশিবির। এটা বাংলাদেশের স্লোগান বলেই বিজেপির দাবি। সেই দাবিকেই সিলমোহর দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয় তাহলেও আমি জেল থেকে ডাক দেব বঙ্গবন্ধুর মতো জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। হারতে আমরা শিখিনি আমরা হারব না। হারাতে আমাদের পারবে না। এটাই আমাদের ভাষা দিবসে আমাদের শপথ। ভাষা দিবসের অঙ্গীকার।ভাষা দিবসে মমতার আক্ষেপ কেন এই রাজ্যের নাম বাংলা হবে না। এটা তো রাজ্য বা প্রদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিলবে কেন? বলেন মমতা। তিনি বলেন, ওড়িষা হবে, বাংলা হবে না। বরাবরই বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ। এটাতো বাংলা রাজ্য। বাংলাদেশ তো নয়। পাকিস্তানেও তো পাঞ্জাব আছে। তাতে কী হয়েছে। নেতাজি সুভাষ বোস, রবীন্দ্রনাথকে অবহেলিত হতে হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, বাংলা মানেই বাঙ্গাল ওতো সবসে জাদা খারাপ হ্যায়। বাঙাল বলেছে কাঙাল বলেছে কত কিছু বলেছে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
রাজ্য

গুচ্ছ প্রতিশ্রুতির মাঝে সোনার বাংলা গড়ার শাহি ডাক

কখনও বলেছেন রাজ্যে কার্যকর হবে কৃষক সম্মান নিধি, কখনও আবার আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার নামখানা থেকে পরিবর্তন যাত্রা সূচনার আগে আরও এক বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত নেতৃত্বকে এবং উপস্থিত জনতাকে সম্ভাষণ করে তিনি নিজের বক্তব্য শুরু করেন। ● আজ আমার জন্য খুব সৌভাগ্যের দিন। আজ আমি গঙ্গাসাগর দর্শন করে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। ● বাংলায় পরিবর্তন করার জন্য আমরা আজ সবাই উপস্থিত হয়েছি। আজ পরমহংস শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের এবং শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মদিন। খুবই শুভময় দিন আজ। ● আজ পরিবর্তন যাত্রার পঞ্চম দফায় শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সব বিধানসভায় যাবে এই যাত্রা। সব বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই আমরা তৃনমূলকে উৎখাত করব। ● এই যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে আসছে। বড় বড় মিছিল, ১৫০০ অধিক সভা এবং সব বুথের কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। ● এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করার, তৃনমূলের সিন্ডিকেট শেষ করার লড়াই।● সিন্ডিকেট করেন যারা তাঁরা সাহায্য মানুষ পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না। এই সিন্ডিকেট রাজ আপনারা বদলাবেন তো? পরিবর্তন করবেন তো?● আমাদের লক্ষ্য হল বাংলায় পরিবর্তন। গরিব জনতার পরিবর্তন, মা বোনদের পরিবর্তন। এই জন্য এই যাত্রা। জেলেদের, আদিবাসীদের কাটমানি না দিতে হয় তার জন্য এই যাত্রা। ● প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আম্ফানের সময় যাতে আপনার বরাদ্দ কেউ না নিতে পারে তাই এই যাত্রা। তুষ্টিকরণ বন্ধ করে, দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, রাম নবমী যাতে ভালোভাবে পালন করা যায় তাকেই পরিবর্তন বলে।● এই পরিবর্তন শুধু ক্ষমতা বদলের পরিবর্তন নয়। গঙ্গাসাগরের পরিবর্তন, এখানে মৎস্যজীবী, আদিবাসীদের অবস্থা বদলানোর জন্য পরিবর্তন। ● যতদিন মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আছেন বাংলায় আইন শৃঙ্খলা উন্নতি হতে পারে না। ● কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বতে বড় ইঞ্জিন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠিত করুন যারা কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। ● বন্ধুগণ, এখানে আর্থিক ব্যবস্থা এত করুন এখানে সপ্তম পে কমিশন পাননা সরকারি কর্মীরা। বিজেপি সরকার গঠিত হলে সপ্তম পে কমিশন চালু হবে।● শিক্ষকরা কোমর পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে নিজেদের দাবি ন্যায় জানাচ্ছেন। আমি শিক্ষক ভাইবোনদের জানাতে চাই ক্ষমতায় এসে যাতে আপনারা ন্যায় পান তার জন্য আমরা কমিটি গঠন করব। ● মৎস্যজীবীদের জন্য ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হবে মৎস্যজীবী সম্মান নিধি। মৎস্যজীবীদের জন্য একটি অর্গানাইজেশন গঠন করা হবে যাতে মৎস্যজীবীরা সঠিক দাম পান। তার জন্য একটি মন্ত্রণালয় বানানো হবে। ● ২৪ পরগনায় তৈরি হবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হাব। ● গঙ্গাসাগরকে পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক পিঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ● গঙ্গাসাগরের মেলাকে আন্তরাষ্ট্রীয় রূপে গড়ে তোলা হবে যাতে দেশে বিদেশে মানুষ আসেন। ● তৃনমূল অল্প দিনে কিছু যোজনা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু কিছুই হয়নি। ইন্টিগ্রেটেড ফিসারি জোন তৈরি হয়নি। সুন্দরবনকে আলাদা জেলার কথা বললেও তা হয়নি। ঝড়খালীতে পর্যটন গড়ে ওঠেনি। আমফানের পর মোদিজির পাঠানো টাকা তৃণমূলের গুন্ডা খেয়ে নিয়েছে। ● আমি সবাইকে বলছি, বিজেপি সরকার গঠিত হলেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে যারা আম্ফানে দুর্নীতি করেছে তাদের জেলে পাঠানো হবে। ● মোদিজি ৩৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু কিছু হয়নি। তৃণমূলের একটাই কল্যাণ। ভাইপোর কল্যাণ। ● এটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিজেপি ক্ষমতায় এসেই জিরো ক্যাজুয়ালটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করবে। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারও প্রাণ না যায়। ● বাংলায় রাজনৈতিক হিংসায় আমাদের ১৩০ অধিক বিজেপি কার্যকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মমতা দিদি আপনার গুন্ডা কর্তৃক মৃত ১৩০ অধিক কর্মীর বলিদান ব্যর্থ যাবে না। রাজ্যজুড়ে প্রবল পরাক্রমে পদ্ম ফুটবে।● যে গুন্ডারা আজ লুকিয়ে আছে তাদের বলছি বিজেপি পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আপনাদের জেলে পাঠাবে।● নিবার্চনে তৃণমূলের গুন্ডা থাকবে না।● বাংলার উন্নয়নের জন্য মোদি প্রভূত টাকা পাঠান। কিন্তু সিন্ডিকেট খেয়ে নেয় টাকা। ● কংগ্রেস আমলে ৫ বছরে বাংলার জন্য ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। ● মোদি সরকার ৩ লক্ষ ৫৯ কোটি টাকা দিয়েছে।● কিন্তু গ্রামে গ্রামে কিছুই পৌঁছয় না। ভাইপো আর তার গুন্ডা খেয়ে নিয়েছে সব। সব তদন্ত হবে। ● মমতা ব্যানার্জি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। ● দুর্গাপূজার জন্য আদালত থেকে অনুমতি নিতে হয়। সরস্বতী পূজা বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। জয় শ্রীরাম শুনলে দিদির অপমান লাগে। জয় শ্রীরাম আমাদের পরিবর্তনের প্রতীক ।● এই পরিবর্তন যাত্রাকে আপন করে নিন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটা সুযোগ দিন সোনার বাংলা গড়ে তোলার। পাঁচ বছরে সোনার বাংলা গড়ে দেব।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

একই জেলায় সভা শাহ ও মমতার

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুদিনের সফরে আজ রাজ্যে আসছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে দিল্লি থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিউটাউনে পাঁচতারা হোটেলে যাবেন এবং সেখানে রাত্রিবাস করবেন। আগামীকাল সকালে পাঁচতারা হোটেল থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ পৌঁছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ পরিদর্শনে যাবেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে রেসকোর্স হেলিপ্যাড ময়দানে পৌঁছে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। গঙ্গাসাগরে পৌঁছে কপিল মুনির আশ্রমে গিয়ে আশ্রম দর্শন করবেন। এরপর এক দরিদ্র পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মধ্যাহ্নভোজনের পর গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড ময়দানে এসে হেলিকপ্টারে নামখানায় পৌঁছবেন। সেখানে নামখানা ময়দানে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে কাকদ্বীপ রেল স্টেশন পর্যন্ত পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নেবেন।এরপর কাকদ্বীপ থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতায় আসবেন। বিকেলে কলকাতায় এসে বিবাদীবাগ পৌঁছে সেখানে ফ্রিডম ফাইটার বাইক যাত্রার সূচনা করবেন। বিবাদীবাগ থেকে শেক্সপিয়ার সরণি পৌঁছে শ্রী শাহ অরবিন্দ ভবন পরিদর্শনে যাবেন। এরপর শহরের দুটি পাঁচতারা হোটেলে দুটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তারপর কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই জেলায় দুই প্রান্তে দুই প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচি। একই দিনে জবাব দেওয়ার সুযোগ। পাল্টা আক্রমণের ক্ষেত্র তৈরি করা। আবার ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলির ডানলপে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ২৪ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
কলকাতা

চলতি মাসেই ফের রাজ্যে মোদি-শাহ-নাড্ডা!

একুশের নির্বাচনের প্রচারে অনেকবার বাংলায় আসবেন। আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে একাধিক কর্মসূচিতে অংশও নিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসে ফের তিনি বঙ্গে আসছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার উদ্বোধন হবে তাঁর হাত দিয়েই। তবে একা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, বঙ্গ দখলের ভিত শক্ত করতে ফেব্রুয়ারিতেই আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মোদির বাংলায় পা রাখার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারও সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এরাজ্যে আসবেন তিনি। মোদি-শাহর পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও।এখনও পর্যন্ত মোদির সফরের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন মোদি। হুগলিতে জনসভাও করতে পারেন তিনি। তবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই বঙ্গ সফরে আসার কথা অমিত শাহর। এর আগে কোচবিহার থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন শাহ। এবার কাকদ্বীপের যাত্রার উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা জোনেও জনসভা করতে পারেন তিনি। আবার হুগলির সিঙ্গুরেও অমিত শাহর সমাবেশ চাইছে রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই চারটি পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা হয়েছে বঙ্গে। নবদ্বীপ, তারাপীঠ ও ঝাড়গ্রাম থেকে যাত্রার উদ্বোধনে ছিলেন জেপি নাড্ডা। কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চম রথযাত্রা শুরু হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তারই উদ্বোধন হবে শাহর হাতে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
দেশ

'দম বন্ধ হয়ে আসছে', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, পদ্মশিবিরে যোগ?

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন অধিবেশনেই। শুক্রবার দীনেশ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলায় মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। এভাবে আর চুপ করে থাকা যায় না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। আমি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। হঠাৎই তাঁর এই ঘোষণায় হইচই শুরু হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে তিনি কি পদ্মশিবিরে যোগ দিতেচলেছে? এ দিন দীনেশ ত্রিবেদী বিবেকানন্দের উক্তি ও পড়ে শোনান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা রাজ্যসভায় বসে আছি। অথচ মানুষের উপর যে অত্যাচার, অন্যায় হচ্ছে তার জন্য কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি একেবারেই অসন্তোষের কথা বলেননি তাও নয়। তবে নির্বাচনের মুখে এভাবে দল ছেড়ে চলে গেলে অসুবিধা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদ পদত্যাগ করায় বেজায় খুশি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিও স্বাগত জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। উল্লেখ্, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

করোনার টিকাকরণ হলেই লাগু হবে সিএএ : অমিত শাহ

রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বহুদিন একটি প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু জবাব দিলেন না, একেবারে সদর্পে ঘোষণা করে দিলেন, দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া মিটলে এবং করোনা থেকে মুক্তি পেলেই দেশজুড়ে বিতর্কিত ওই আইনটি কার্যকর করবে কেন্দ্র।বাংলার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সিএএ। বাংলার প্রায় ৩০ টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। যা আঁচ করতে পেরেই বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগর থেকে এই আইন কার্যকর করার সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন শাহ। সেই সঙ্গে, আইন কার্যকরে এত দেরি হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ঠাকুরনগরের সভায় অমিত শাহ বলেন, বিভাজনের সময় কংগ্রেস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে সব হিন্দু শরণার্থী আসবেন, তাঁদের আমরা ভারতের নাগরিকত্ব দেব, সম্মান দেব। কিন্তু ৭০ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করেনি। ২০১৮ সালে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেই সিএএ চালু করব। ২০২০ সালেই আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছি। কিন্তু এরপর করোনা এসে গেল। আইন চালু করতে দেরি হয়ে গেল। মমতা দিদি প্রচার করা শুরু করলেন, এঁরা নাগরিকত্ব দেবে না। এমনিই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর করতে চাইলেও আমি করতে দেব না। কিন্তু মমতা দিদি এটা বিজেপির সরকার। যা বলে সেটা করে দেখায়। আমি আজ এই সভা থেকে ঘোষণা করে দিচ্ছি, যখনই করোনার টিকাকরণ শেষ হবে। যখনই আমরা করোনা থেকে মুক্তি পাব, তখনই আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে। শাহ অভিযোগ করেন, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। আরও পড়ুন: রাসমেলা ময়দান থেকে মমতাকে খোঁচা অমিত শাহর

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal